Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Calcutta High Court: পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশে এখনই স্থগিতাদেশ নয়! অভিমত হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশে এখনই স্থগিতাদেশ নয়! অভিমত হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার পর্যবেক্ষণ, পুরসভা ও শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি একটা মিশ্রিত অপরাধ। এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে রাজ্যের তরফে এই আর্জি জানানো হয়। আগামী শুক্রবার এই মামলার রায় ঘোষণা করবে উচ্চ আদালত।

    রাজ্যের দাবি

    রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এদিন শুনানি চলাকালীন বলেন, “প্রথমত, ইডির আবেদনের ভিত্তিতে পুরসভার দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুরসভার মামলা ওই বিচারপতির বিচারাধীন বিষয় নয়। তবে তিনি কী ভাবে এই নির্দেশ দিতে পারেন? হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি ঠিক করেন কোন বিচারপতি কোন মামলার বিচার করবেন। ওই বেঞ্চে পুরসভার মামলা নেই। তাই এই মামলা শোনার এক্তিয়ার নেই ওই বেঞ্চের।” তাঁর দাবি, “আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। সাধারণত কোনও ঘটনা ঘটলে তা রাজ্যের পুলিশ তদন্ত করে। খুবই কম ঘটনায় অন্য সংস্থাকে তদন্তভার দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে রাজ্যকে সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাই ইডির আবেদন কোনও ভাবেই গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত নয়।”

    ইডি ও সিবিআইয়ের যুক্তি

    পাল্টা ইডির আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী বলেন, ‘ইডি ও সিবিআইয়ের হাতে কম সময় ছিল। কারণ প্রমাণ নষ্ট হতে পারে। তাই দ্রুত আদালতে আসা। হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দ্রুত শুনানির আবেদন এই কারণে করা হয়। অয়ন শীলকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় ইডি জানতে পারে নিয়োগ দুর্নীতি শিক্ষাবাদ দিয়েও আরও বিভিন্ন দফতরে হয়েছে। মূল মামলায় সিবিআই দিয়েছিলেন, তাই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে আবেদন করা হয়। সিবিআই তদন্ত করতে পারে যদি অভূতপূর্ব ঘটনা হয়। ’অন্যদিকে সিবিআইয়ের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, ‘পুনর্বিবেচনার অর্থ নতুন করে ফের এই মামলা শুরু করতে হবে। এফআইআর দায়ের হয়ে গিয়েছে। অথচ সেই তথ্য দেওয়া হয়নি শীর্ষ আদালতে। পুনর্বিবেচনার আর্জি গ্রহণযোগ্য নয়। যেখানে সরকারি কর্মচারি দুর্নীতি করছেন, সেখানে সিবিআই তদন্ত করতে পারে।’

    আরও পড়ুন: বায়ুসেনার নজরদারি! ভারতের আকাশে প্রায় ১০ মিনিট রইল পাক বিমান, কেন জানেন?

    আদালতের মত

    পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য, ১ সপ্তাহের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা ফেরত পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India)। সেই রিভিউ মামলার রায় আগামী ১২ মে শুক্রবার দেওয়া হবে। তবে, তদন্তে কোনও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ নয়, বলে এদিন জানালেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: “তদন্তে সহযোগিতা করতে অভিষেকের সমস্যা কোথায়?” প্রশ্ন হাইকোর্টের

    Abhishek Banerjee: “তদন্তে সহযোগিতা করতে অভিষেকের সমস্যা কোথায়?” প্রশ্ন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তদন্তে সহযোগিতা করতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সমস্যা কোথায়? প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha)। তিনি বলেন, তদন্তকারী সংস্থা যে কোনও কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারে, এতে অসুবিধা কীসের? তদন্তে সহযোগিতা করতে সমস্যা কোথায়? এর পাশাপাশি বিচারপতি সিনহার নির্দেশ, দুর্নীতি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে যুক্ত করতে হবে। তাঁর বক্তব্য, এই মামলায় তাঁর বক্তব্য জানাতে পারবেন অভিষেক। কিন্তু তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ নেই। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১২ মে।

    সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)…

    ১৩ এপ্রিল নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, কুন্তল ঘোষের চিঠিতে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তার ভিত্তিতে অভিষেককে (Abhishek Banerjee) জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রয়োজনে কুন্তল ও অভিষেককে মুখোমুখি বসাতেও পারে ইডি-সিবিআই। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। পরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে অভিষেকের মামলা সরানোর নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। তার পরেই কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এই মামলা পাঠিয়ে দেন বিচারপতি সিনহার এজলাসে।

    মে মাসের প্রথম দিকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত দুটি মামলা সরিয়ে পাঠানো হয়েছে বিচারপতি সিনহার বেঞ্চে। সৌমেন নন্দী, রমেশ মাহাতর মামলা গিয়েছে তাঁর এজলাসে। সেই মামলার শুনানিতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ উঠতে তাঁকে তদন্তে সহযোগিতা করার বার্তা দিয়ে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। এদিন আদালতের কাছে সময় চান অভিষেকের আইনজীবী। হাইকোর্ট সময় মঞ্জুর করলেও, অভিষেককে তদন্তে সহযোগিতা করতে বলেন বিচারপতি সিনহা।

    আরও পড়ুুন: চণ্ডীপুর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি! কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    সোমবার আদালতে মামলাটি উঠলে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) আইনজীবী সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এদিন মামলাটির শুনানি ছিল বলে তাঁর জানা ছিল না। এর পরেই বিরক্তি প্রকাশ করে অভিষেকের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি সিনহা বলেন, আজ মামলার শুনানি, অথচ আপনি কেন জানেন না? মামলায় যুক্ত হওয়া পর্যন্ত কি অপেক্ষা করছিলেন? তদন্তের ওপরে কেউ নন। তদন্তে সহযোগিতা করুন। এর পরেই তিনি বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তদন্তে সহযোগিতা করলে অসুবিধার কী আছে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: স্কুল শিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশন পড়ালে তিন মাসের মধ্যে কড়া পদক্ষেপ! নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: স্কুল শিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশন পড়ালে তিন মাসের মধ্যে কড়া পদক্ষেপ! নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলের শিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশন পড়ালে তিন মাসের মধ্যে কড়া পদক্ষেপ করা হবে, এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সরকারি, সাহায্যপ্রাপ্ত বা পোষিত স্কুলের শিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশন করতে পারবেন না জানিয়ে বহু আগেই কড়া পদক্ষেপ করেছে রাজ্য। কিন্তু তারপরও দেখা যাচ্ছে নিয়মভঙ্গ করে এক শ্রেণির শিক্ষক প্রাইভেট টিউশন পড়াচ্ছেন, অথবা বিভিন্ন প্রাইভেট টিউশন ইনস্টিটিউশনে পড়াচ্ছেন। কিন্তু এবার বিষটি নিয়ে আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিল আদালত।

    তিন মাসের মধ্যে কড়া পদক্ষেপ

    প্রাইভেট টিউশন করানোয় অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ব্যাপারে রাজ্যকে তিন মাসের মধ্যে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়ম ভেঙে সরকারি শিক্ষকরা টিউশন পড়ালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং পর্ষদকে এ বিষয়ে ৩ মাসের মধ্যে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। না হলে হাইকোর্ট নিজেই পদক্ষেপ করবে বলে জানিয়ে দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

    কঠোর আদালত

    প্রাইভেট টিউশন বন্ধে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের করেছিল প্রাইভেট টিউটর ওয়েলফেয়ার অ‌্যাসোসিয়েশন। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রাইভেট টিউশনের চিত্র সকলের সামনে তুলে ধরতে এঁদের কোচিং ক্লাসের ছবি বা ভিডিও তোলেন সংগঠনের প্রতিনিধিরা। মোবাইল ক্যামেরায় তোলা ওই ছবি, ভিডিওতে দেখা যায়, কোনও শিক্ষকের বাড়ির বাইরে সকাল থেকে সাইকেলের সারি। কারও বা দরজার সামনে ৩০-৪০ জোড়া চটি। ছাত্রছাত্রীরা ভিড় জমিয়েছে দিদিমণি বা মাস্টারমশাইয়ের কাছে কোচিং নিতে। প্রায় সাড়ে তিনশো সরকারি, সাহায্যপ্রাপ্ত বা পোষিত স্কুলের শিক্ষকের পড়ানোর ছবি-সহ তথ্য গৃহশিক্ষকরা জমা দেন স্কুলশিক্ষা দফতর ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে। ২০২১ সালে এ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে ‘গৃহশিক্ষক কল্যাণ সমিতি’ নামে ওই সংগঠন। সেই মামলাতেই গৃহশিক্ষকতায় অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষকদের ব্যাপারে কঠোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। 

    আরও পড়ুন: ‘শান্তিনিকেতনে’র উঠোন দিয়ে গেল ডিএ-র দাবিতে মিছিল, উঠল ‘চোর, চোর’ স্লোগান

    প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, মামলাকারী সংগঠনের তরফে স্কুল শিক্ষকদের নামের যে তালিকা জমা দেওয়া হয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে হবে। তালিকা অনুযায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বক্তব্য জেনে আইনি পদক্ষেপ করতে হবে শিক্ষা দফতরকে। হাইকোর্টের নির্দেশ হাতে পেয়ে সংগঠনের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী সরকারি শিক্ষকদের পর্ষদের জেলা দফতরে ডাকা শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বাংলাদেশের নাগরিক এদেশের ভোট-প্রার্থী! ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা তৃণমূলের আলোরানির

    Calcutta High Court: বাংলাদেশের নাগরিক এদেশের ভোট-প্রার্থী! ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা তৃণমূলের আলোরানির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) একক বেঞ্চের পর ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা খেলেন একুশের বিধানসভা ভোটে বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকার। তাঁর দায়ের করা নির্বাচন সংক্রান্ত পিটিশন খারিজ করে দিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।

    দ্বৈত নাগরিকত্বের জায়গা নেই

    গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের কাছে ২০০৪ ভোটে পরাজিত হন আলোরানি। এই ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি। তাঁরই দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিলেন আলোরানি সরকার। একক বেঞ্চে শুনানির সময় আদালতকে জানানো হয়, আলোরানি বাংলাদেশের ভোটার। ভারতের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে তাঁর। হাইকোর্টে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন বিজেপি বিধায়ক স্বপনের আইনজীবী অরিন্দম পাল। আদালতকে তথ্য দিয়ে জানানো হয়েছিল, আলোরানি বাংলাদেশের বাসিন্দা। বাংলাদেশেই তাঁর বিয়ে হয়েছে। সেখানেই তাঁর স্বামী থাকেন। 

    আরও পড়ুন: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত সেই তৃণমূল নেত্রীকে আইনি নোটিশ পাঠাল পুলিশ, জেলাজুড়ে শোরগোল

    আলোরানির বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, দায়িত্বশীল দল হিসাবে কখনই একজন বাংলাদেশিকে ভারতের রাজনৈতিক দলের প্রার্থী করা যায় না। আলোরানিকে ভারত থেকে বিতাড়িত করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লেখাও হয়েছিল। গত বছর ২২ মে তাঁর মামলাটি খারিজ করে দেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। বিচারপতি বিবেক চৌধুরী জানান, বাংলাদেশের ভোটার লিস্ট আলোরানি সরকারের নাম রয়েছে, তাই আলোরানি সরকার নিজেকে ভারতীয় নাগরিক বলে দাবি করতে পারেন না। বিচারপতি জানান, ভারতের সংবিধানে দ্বৈত নাগরিকত্বের কোনও জায়গা নেই। ফলে মামলাকারী নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে দাবি করতে পারেন না। তিনি দেশের নির্বাচনেও অংশ নিতে পারেন না। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আলোরানি। এবার ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা খেলেন আলোরানি সরকার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Protest: মমতা-অভিষেকের পাড়াতেই মিছিল ডিএ আন্দোলনকারীদের! অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    DA Protest: মমতা-অভিষেকের পাড়াতেই মিছিল ডিএ আন্দোলনকারীদের! অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ-র (DA Protest) দাবিতে কলকাতার রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। আজ, বৃহস্পতিবার একদিকে নবান্ন অভিযানে সামিল হয় কো-অর্ডিনেশন কমিটি (Coordination Committee)। মিছিল করে নবান্নর পথে যান আন্দোলনকারীরা। অন্যদিকে, আজ খুশির খবর মিলল হাইকোর্ট থেকে। আগামী ৬ তারিখ হরিশ মুখার্জি রোড দিয়ে ডিএ-আন্দোলনকারীদের মিছিল নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ।

    মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে মিছিলের অনুমতি

    বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আগামী ৬ মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পাড়াতেই মহামিছিলের ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। কিন্তু সেই মিছিলের অনুমতি না মেলায় হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন আন্দোলনকারীরা। রাজ্যের রুট বদলের আবেদনে সাড়া দেননি আন্দোলনকারীরা। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বৃহস্পতিবার, মিছিল নিয়ে রাজ্যের আপত্তিতে প্রশ্ন তোলেন। আন্দোলনকারীদের পূর্ব প্রস্তাবিত রুটেই মিছিলের অনুমতি দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, শান্তি বজায় রেখে ওই রাস্তা দিয়ে মিছিল করা যাবে। কিন্তু মিছিল থেকে কোনও রকম কুমন্তব্য করা যাবে না। 

    আদালতের যুক্তি

    কলকাতা পুলিশের তরফে ডিএ আন্দোলনকারীদের তিনটি বিকল্প রুটে মিছিলের প্রস্তাব দেওয়া হলেও তাতে রাজি ছিলেন না তাঁরা। অন্য দিকে, হরিশ মুখার্জি রোড নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল পুলিশ। রাজ্যের দাবি ছিল, শহরের অন্যতম স্পর্শকাতর এলাকা ওই রাস্তা। বিচারপতি এদিন রাজ্যকে প্রশ্ন করেন, ‘প্রতি একদিন অন্তর হাজরা মোড়ে ধর্না বিক্ষোভ হয়। হঠাৎ হরিশ মুখার্জি রোড নিয়ে আপত্তি কেন?’ বিচারপতির প্রশ্নে রাজ্যের আইনজীবী জানান, ওই এলাকা খুবই স্পর্শকাতর। ওই এলাকায় মিছিল করতে গিয়ে যদি ভিড় ছাড়িয়ে যায় তবে তার দায়িত্ব কে নেবে? ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা রয়েছে। 

    আরও পড়ুুন: এবার শুভেন্দুর দুটি মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মান্থা

    আন্দোলনকারীদের পক্ষের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা আদালতে আবেদন করার পরই ওই এলাকার কিছু জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।’ তখন বিচারপতি মান্থা বলেন, ‘‘তা হলে তো মিছিল ওই রুটে হলে বলতে হবে, শহরের সবচেয়ে শান্ত এলাকা দিয়ে মিছিল যাচ্ছে।’’এর পরে বিকাশরঞ্জনের উদ্দেশে বিচারপতি মান্থা বলেন, ‘‘সকলে যে আশঙ্কা করছে, আদালত তা বুঝতে পেরেছে। ওই এলাকায় কোনও রকম অশান্তি হবে না সেই ভাবে মিছিল করতে হবে। দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টের মধ্যে ওই এলাকায় শান্তিপূর্ণ ভাবে কর্মসূচি শেষ করতে হবে।’’

    নবান্ন অভিযান

    এদিন নবান্ন (Nabanna) অভিযান করে কো-অর্ডিনেশন কমিটি (Coordination Committee)। হাওড়া স্টেশন থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত মিছিল করছে তারা। নেতৃত্বদের দাবি, প্রতিটা জেলা থেকে সরকারি চাকুরিজীবী, এমনকী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরিজীবীরা মিছিলে পা মিলিয়েছেন। সব মিলিয়ে কয়েক হাজার মানুষ মিছিলে পা মিলিয়েছেন। তবে নির্দিষ্টভাবে জমায়েতের সংখ্যা এখনও জানা যায়নি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে সরকারি কর্মীরা রয়েছেন মিছিলে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: এবার শুভেন্দুর দুটি মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মান্থা

    Calcutta High Court: এবার শুভেন্দুর দুটি মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মান্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দুটি মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। হাইকোর্টে এই দুটি মামলার দ্রুত শুনানি হচ্ছে না বলে দুবার সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ জানিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু শীর্ষ আদালত এই দুটি মামলায় কোনও হস্তক্ষেপ না করে দ্রুত শুনানির পরামর্শ দিয়েছিল হাইকোর্টকে। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার পর্যবেক্ষণ, শীর্ষ আদালতে রাজ্যের আবেদন দেখে মনে হয়েছে যেন মামলাকারীর জন্যই শুনানিতে দেরি হয়েছে। কিন্তু এই আদালত দেখেছে যে কোনও পক্ষই দ্রুত শুনানিতে আগ্রহী নয়।

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতির পর্যবেক্ষণ…

    বিচারপতি মান্থার মন্তব্য, দীর্ঘ শুনানি করার সময় এই এজলাসের (Calcutta High Court) নেই। আদালতে আরও ৫৩ জন বিচারপতি রয়েছেন। অন্য কোনও এজলাসে মামলা পাঠানো হোক। এর পরেই এই দুটি মামলা থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি মান্থা। এর আগে এই মামলা (Suvendu Adhikari) থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টেরই আর এক বিচারপতি পার্থসারথি সেন। ডিসেম্বর মাসে বিচারপতি মান্থার বেঞ্চ শুভেন্দুর বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের দায়ের করা ২৬টি এফআইআরে স্থগিতাদেশ দেয়। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নতুন মামলা করতে গেলেও আদালতের অনুমতি নিতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের অন্য এজলাসে আর্জি জানিয়েও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। তার প্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানায়, রাজ্য সরকারকে আগের নির্দেশে রদবদলের জন্য হাইকোর্টেই আবেদন করতে হবে।

    আরও পড়ুুন: ভোররাতে কৃষ্ণ কল্যাণীকে নিয়ে রওনা গোয়েন্দাদের! কোথায় গেলেন?

    এদিকে, শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে নগর দায়রা আদালতের প্রধান বিচারকের বেঞ্চে দাখিল হল মানহানির মামলা। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের হয়ে আবেদন করেছে রাজ্য। প্রসঙ্গত, ১৭ এপ্রিল একটি ট্যুইট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। একটি বাসের ছবি দিয়ে তাঁর অভিযোগ, বিনীত গোয়েলের পুলিশ পাহারা দিয়ে এই বাসটি পটুয়াপাড়া থেকে বের করেছে। মনে হয় এই বাসটিতে টাকা রয়েছে। আমি (Suvendu Adhikari) সিবিআই-ইডিকে অনুরোধ করব এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করতে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের তরফে আবেদন জানানো হয় যে, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হয়েছে। পুলিশের দাবি, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। পরে মানহানির মামলা দায়ের করে রাজ্য।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: কলকাতায় আসছেন সিবিআইয়ের দক্ষ ৫ অফিসার, কেন জানেন?

    Calcutta High Court: কলকাতায় আসছেন সিবিআইয়ের দক্ষ ৫ অফিসার, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে সিবিআইয়ের (CBI) ওপর মামলার পাহাড়। তদন্তের চাপে কার্যত নাজেহাল হওয়ার জোগাড় সিবিআই আধিকারিকদের। এমতাবস্থায় বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) একটি মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অশোককুমার চক্রবর্তী জানান, ৫ জন দক্ষ সিবিআই আধিকারিক কলকাতায় আসছেন।  

    কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)…

    এদিন শান্তনু পান্ডার একটি মামলায় কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের উদ্দেশে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, সিবিআইয়ের হাতে প্রচুর মামলা রয়েছে। যে কোনও ব্যক্তি মামলা করে সিবিআই তদন্ত দাবি করছেন। রাজনৈতিক বিরোধী হলে তো কথাই নেই। তাঁরা সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় থাকেন। কিছু ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট যুক্তিও থাকে। এই অবস্থায় সিবিআইকে নতুন তদন্ত দিতে আদালত (Calcutta High Court) উদ্বিগ্ন। এরই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল জানান, বিষয়টি তাঁদের নজরে রয়েছে। সিবিআইয়ে যে কর্মীর অভাব রয়েছে, তা মেনে নিয়ে তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক মামলার চাপ সামলাতে অনেক অফিসার আনা হচ্ছে রাজ্যে। শীঘ্রই আরও ৫ জন দক্ষ অফিসার কলকাতায় আসছেন। তাঁরা তদন্তের কাজ শুরু করবেন।

    আরও পড়ুুন: মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সিবিআইয়ের, রিপোর্ট পেশ সুপ্রিম কোর্টে

    গত কয়েক মাসে প্রায় ৫০টি মামলায় সিবিআই তদন্তের আর্জি জানানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। কিছু মামলায় সেই আর্জিতে সায়ও দিয়েছে আদালত। কয়েকটি খারিজ হয়ে গিয়েছে। তবে গত ২২ মাসে ২৩টি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এহেন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে আদালতের প্রশ্ন, সবাই সিবিআই তদন্ত চাইছেন। কিন্তু আপনারা কি এত তদন্ত ভার নিতে সক্ষম? এত আধিকারিক কি আছে আপনাদের?

    এদিন ওই মামলার শুনানিতে কাঁথি থানার আইসির ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত (Calcutta High Court) । তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই প্রসঙ্গেই বিচারপতি মান্থা বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ কাম্য নয় বলেই মনে করে আদালত। বিচারপতির নির্দেশ, ওই থানার সিসিটিভি ক্যামেরা নিয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে জেলার পুলিশ সুপারকে বক্তব্য জানাতে হবে। এই সময়ের মধ্যে মামলাকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Gangopadhyay: প্রাথমিকে নিয়োগে মেধাতালিকার বিশদ তথ্য চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Abhijit Gangopadhyay: প্রাথমিকে নিয়োগে মেধাতালিকার বিশদ তথ্য চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ সালের প্রাথমিকে (2016 TET Examination) যে হাজার হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল, পর্ষদকে তার মেধাতালিকার বিশদ তথ্য প্রকাশ্যে আনতে হবে। বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। ২০১৬ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ার রিপোর্টও চেয়ে পাঠিয়েছেন তিনি। পর্ষদকে তাঁর নির্দেশ, আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে রিপোর্ট দিতে হবে। এদিন নিজের এজলাসে বসে পর্ষদের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, ২০১৬ সালের শেষ প্যানেলভুক্ত প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করতে হবে। আদালতকে সে বিষয়ে জানাতেও হবে। রিপোর্টে উল্লেখ করতে হবে প্রার্থীর জেলা, জাতি, শ্রেণি সহ সমস্ত তথ্য। বোর্ডকে জেলা অনুযায়ী তালিকায় শেষ প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর জানানোর নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট।

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশ…

    ২০১৪ সালে জারি হয় বিজ্ঞপ্তি। সেই বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ২০১৬ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ করা হয়েছিল ৪২ হাজার ৫০০ জনকে। অভিযোগ, কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়াই হয়েছিল নিয়োগ। প্রাথমিকে অ্যাপটিটিউড টেস্ট সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) প্রশ্ন তুলেছিলেন, যদি এই টেস্ট না হয়, সেক্ষেত্রে কীভাবে নিয়োগ করা সম্ভব? তাঁর পর্যবেক্ষণ, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে যে হলফনামা দেওয়া হয়েছে, তা অনুযায়ী ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় অ্যাপটিটিউড টেস্ট না করে একটি নম্বর গড়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই মামলার প্রেক্ষিতে কোচবিহার, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর এবং হাওড়ার যাঁরা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন, তাঁদেরও আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। যাঁদের আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের রাহা খরচও দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুুন: ময়নায় নিহত বিজেপি কর্মীর দেহের ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত দুটি মামলা সরানো হয়েছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) এজলাস থেকে। তবে এখনও তাঁর হাতে রয়েছে প্রাথমিকের অন্যান্য মামলা। তারই একটিতে এদিন পর্ষদকে এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মামলা চলাকালীন একটি বিষয়ের ওপর এক বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তার জেরে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে দুটি মামলা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সেই মতো মঙ্গলবারই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে দুটি মামলা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ময়নায় নিহত বিজেপি কর্মীর দেহের ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ময়নায় নিহত বিজেপি কর্মীর দেহের ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ময়নার (Moyna) নিহত বিজেপি (BJP) কর্মীর দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে হবে ময়নাতদন্ত। বুধবার এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁর নির্দেশ, বিশেষ দল গঠন করে ময়নাতদন্ত করবে কমান্ড হাসপাতাল। ময়নাতদন্তের সময় উপস্থিত থাকতে পারবেন রাজ্যের দুই ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ। পরিবার চাইলেও উপস্থিত থাকতে পারবেন ময়নাতদন্তের সময়। তাঁর নির্দেশ, কমান্ড হাসপাতাল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেবে পরিবার ও ময়না থানাকে।

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ…

    বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, এখন তমলুক হাসপাতালে পরিবারকে দেহ দেখিয়ে অবিলম্বে রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তায় দেহ কলকাতায় নিয়ে আসতে হবে এবং ময়নাতদন্তের পর আবার ফেরত নিয়ে যেতে হবে। চার সপ্তাহের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় থাকবে পরিবার। সোমবারের মধ্যে রাজ্যকে এই ঘটনার রিপোর্ট দিতে হবে বলেও নির্দেশ বিচারপতি মান্থার। আদালতের আরও নির্দেশ, তফশিলি জাতি-উপজাতি সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট ধারা সহ বাকি উপযুক্ত ধারা এফআইআরে যুক্ত করতে হবে। মঙ্গলবার আদালতে (Calcutta High Court) রাজ্য জানায়, মাথায় গুলি লেগেই মৃত্যু হয়েছে বিজয়কৃষ্ণের।

    দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তে কোনও আপত্তি নেই রাজ্যের। বিচারপতি মান্থার মন্তব্য, এই মুহূর্তে আমার কাছে যে জিনিসগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলি হল, কীভাবে ওই বিজেপি কর্মী নিখোঁজ হলেন, আর কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল। পুলিশের কাজের পদ্ধতি ও সত্য খোঁজার পদ্ধতি, নিহতের পরিবারের নিরাপত্তা, যাঁদের নামে অভিযোগ করা হচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গেই তিনি জানান, দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। এই মামলার প্রথম বাহাত্তর ঘণ্টা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলেও জানান তিনি।

    আরও পড়ুুন: তমলুক, কাঁথিতে আইনশৃঙ্খলার অব্যবস্থা, রাজ্যপালকে চিঠি তৃণমূল সাংসদের

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ প্রসঙ্গে নিহত বিজয়কৃষ্ণের স্ত্রী বলেন, কোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়ায় আমি খুশি। রাজ্য পুলিশের কাজে আমি খুশি নই। পুলিশের পায়ে ধরে আমি বলেছি, স্বামীকে বাঁচান। আমার ছেলেও বলেছে বাবাকে বাঁচাতে। কিন্তু পুলিশ কিছু করেনি। কোনও অভিযোগ নেয়নি। প্রসঙ্গত, ময়নার বিজেপি কর্মী বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে অপহরণ করে খুন করা হয়। অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। ওই ঘটনায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, মমতার হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হবে না। ময়নাতদন্ত হবে কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • DL Ed: হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তিতে ডিএলএড পড়ুয়ারা, থমকে থাকা রেজিস্ট্রেশন শুরু

    DL Ed: হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তিতে ডিএলএড পড়ুয়ারা, থমকে থাকা রেজিস্ট্রেশন শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে স্বস্তিতে রাজ্যের কয়েক হাজার ডিএলএড (DL Ed) পড়ুয়া। টেটে বসার জন্য আবশ্যিক হয়েছে দু বছরের ডিএলএড কোর্স। আদালতের নির্দেশে প্রথম বর্ষের পরীক্ষা দিতে পারবেন তাঁরা। ওই পরীক্ষা নিয়ে তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। মঙ্গলবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ পর্ষদকে শর্তসাপেক্ষে রেজিস্ট্রেশন শুরু করার অনুমতি দিয়েছে। হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ডিএলএডের প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় বসার জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চালু করার নির্দেশ দিয়েছে। তবে পরীক্ষায় বসার জন্য কিছু শর্ত মানতে হবে ডিএলএড পড়ুয়াদের।

    ডিএলএড (DL Ed) পড়ুয়ারা…

    এদিন হাইকোর্ট জানায়, রেজিস্ট্রেশনের সময় সব পড়ুয়ার তথ্য যাচাই করতে হবে পর্ষদকে। যাঁরা ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশনের নির্দিষ্ট করে দেওয়া নিয়ম মেনে ক্লাস করেছেন তাঁরাই একমাত্র পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। এই তথ্য যাচাইয়ের জন্য পর্ষদকে এক মাস সময়ও দিয়েছে হাইকোর্ট। এসব হওয়ার পরেই পরীক্ষার নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে পারবে পর্ষদ। পড়ুয়াদের জন্যও কিছু নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    আরও পড়ুুন: ‘তৃণমূল হার্মাদরা তালিবানের থেকে কোনও অংশে কম নয়’! বিস্ফোরক সুকান্ত

    প্রসঙ্গত, ডিএলএড (DL Ed) ভর্তিতে নিয়ম মানা হয়নি এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন সুকান্ত গুড়িয়া নামে এক চাকরিপ্রার্থী। তাঁর অভিযোগ ছিল, ২০২১-২৩ শিক্ষাবর্ষে ডিএলএড কোর্সে ভর্তির শেষ দিন ছিল ২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর। ভর্তি নেওয়া হয়েছিল অনলাইনে। পরে ক্লাস শুরুর চার-পাঁচ মাস পরে অফলাইনে অনেককে ভর্তি নেয় বেসরকারি কলেজ। গত বছর ২২ ডিসেম্বর পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, অফলাইনে যাঁরা ভর্তি হয়েছেন, তাঁদের নাম নথিভুক্ত হয়নি। পড়ুয়া পিছু তিন হাজার টাকা করে দিয়ে নাম নথিভুক্ত করা যাবে। মামলাকারীর অভিযোগ, পরে এসেও ওই পড়ুয়ারা রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ পাচ্ছেন কী করে।

    আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে বলেন, একটি শিক্ষাবর্ষের মাঝ পথে পিছনের দরজা দিয়ে পড়ুয়া (DL Ed) ভর্তির পিছনে আর্থিক বিষয় কাজ করে থাকতে পারে। তাছাড়া মাঝ পথে যাঁরা ভর্তি হয়েছেন, তাঁরা ক্লাস সম্পূর্ণ করেননি। এতে অর্ধ প্রশিক্ষিতরা শিক্ষক হওয়ার সুযোগ পেয়ে যাবেন। এদিন সেই মামলারই রায় দিল আদালত। যার জেরে স্বস্তি পেলেন ডিএলএড পড়ুয়ারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share