Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Rajasekhar Mantha: দাড়িভিটে ছাত্র মৃত্যু, রাজ্য মানবাধিকার কমিশনকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Rajasekhar Mantha: দাড়িভিটে ছাত্র মৃত্যু, রাজ্য মানবাধিকার কমিশনকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাড়িভিট (Darivit) স্কুলে গুলিতে ছাত্রের মৃত্যুর জেরে প্রশ্নের মুখে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন (State Human Rights Commission)। গোটা ঘটনায় নিজেদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে রেখেছে কমিশন। দূর থেকে গোটা ঘটনা দেখছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। মন্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Rajasekhar Mantha)। ডিএম-এসপির ওপর এতটাই ভরসা যে রিপোর্ট চেয়েই দায়িত্ব শেষ। ২০২০ সাল থেকে কমিশনের সদস্য ছিল না বলে দাবি করা হচ্ছে। আদালতের প্রশ্ন, ২০১৮ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ছিল, সেই সময় কী করেছে রাজ্য কমিশন?  জাতীয় মানবাধিকার কমিশন লোক পাঠিয়ে একাধিক রিপোর্ট তৈরি করেছে। সে রিপোর্ট নিয়ে যতই বিতর্ক হোক, তবুও তারা করেছে, আপনারা কী করছেন?

    বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Rajasekhar Mantha) প্রশ্ন…

    স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়েই প্রাণ হারিয়েছিলেন ইসলামপুরের দাড়িভিট স্কুলের দুই প্রাক্তন ছাত্র। ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর মাসে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাপস বর্মণ ও রাজেশ সরকার নামে দুই ছাত্রের। সেই ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য-রাজনীতি। তদন্ত করেছিল সিআইডি। যদিও সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন দুই ছাত্রের পরিবারই। এ নিয়ে হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। সোমবার হাইকোর্টে সেই মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে কি না, এদিন সে প্রশ্নও করেন বিচারপতি মান্থা (Rajasekhar Mantha)।

    আরও পড়ুুন: কর্নাটকে বিজেপির ইস্তাহারে জোর কর্মসংস্থান, এনআরসি ও মহিলা ক্ষমতায়নে

    এর আগে আদালতে প্রায় একই রকম প্রশ্নের সম্মুখীন হয় সিআইডি। রাজ্যের এই তদন্তকারী সংস্থাকে বিচারপতি বলেন, সাংসদ, বিধায়ক, উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কী তথ্য পাওয়া গিয়েছে? যে পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তাঁদের কি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে? করা হয়ে থাকলে তাঁরা কী জানিয়েছেন? ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ গুলির খোল উদ্ধার করলেও, সেগুলি সিআইডিকে হস্তান্তর করা হয়নি বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগ কেন উঠছে?  সিআইডির উদ্দেশে বিচারপতি মান্থা (Rajasekhar Mantha) বলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অনুসন্ধান করে সিবিআই তদন্তের পক্ষে সুপারিশ করেছে। কিন্তু রাজ্য মানবাধিকার কমিশন প্রথমে অনুসন্ধান করলেও, পরে তারা সরে আসে কেন? এ নিয়ে সিআইডির বক্তব্য কী? সিআইডির পরে এবার হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য মানবাধিকার কমিশনও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • TET: বিএড উত্তীর্ণরাও চলতি টেট নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন! নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    TET: বিএড উত্তীর্ণরাও চলতি টেট নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন! নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিএড (B ed Training) উত্তীর্ণরা প্রাথমিকে চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। সোমবার  বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বরের আগে যে সব চাকরিপ্রার্থী বিএড প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করেছেন, তাঁরা চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। তাঁদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নতুন করে পোর্টাল খুলতেও নির্দেশ দেন বিচারপতি। ৩ সপ্তাহের মধ্যে পোর্টাল খুলে পরীক্ষার্থীদের সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও আদালতের পরবর্তী নির্দেশ ছাড়া ওই প্রার্থীদের ফলপ্রকাশ করা যাবে না। তবে যাঁরা আগে আবেদন করেছিলেন, একমাত্র তাঁরাই চলতি টেটে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। নতুন করে আবেদন করা যাবে না। 

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    গত বছর প্রাথমিক স্কুলে প্রায় ১১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথা ঘোষণা পর্ষদের। গত ২৯ সেপ্টেম্বর তারা নিয়োগ-বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে জানানো হয়, ডিএলএড প্রশিক্ষণরতরাও অংশ নিতে পারবেন এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। পরে এই পর্ষদের এই নির্দেশ খারিজ করে দেয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, প্রশিক্ষণরতরা নন, যাঁরা প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করেছেন একমাত্র তাঁরাই অংশ নিতে পারবেন।

    আরও পড়ুন: মে মাসের গরমে বাংলা টেক্কা দেবে রাজস্থানকে! কবে থেকে শুরু তাপপ্রবাহ?

    চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ পাওয়ার জন্য মৃন্ময় সরকার-সহ ৫০ জন চাকরিপ্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। তাঁদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের বক্তব্য, ডিএলএড প্রশিক্ষণ শুধুমাত্র প্রাথমিক স্কুলের জন্য। কিন্তু অনেকে বিএড সম্পূর্ণ করে আবার ডিএলএড-এর প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ডিএলএড যোগ্যতায় আবেদন করেন তাঁরা। তখন প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করার কথা বাধ্যতামূলক বলা হলে বিএড উত্তীর্ণরা আবেদন করতে পারতেন। পর্ষদের ত্রুটির কারণে তাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন। ওই মামলায় সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, যাঁরা আবেদন করেছেন সেই সব বিএড উত্তীর্ণরা চলতি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। আগামী ১২ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lalan Sheikh: রক্ষাকবচ সিবিআই-কে, লালনকাণ্ডের তদন্তে আদালতের নির্দেশে গঠিত হল সিট

    Lalan Sheikh: রক্ষাকবচ সিবিআই-কে, লালনকাণ্ডের তদন্তে আদালতের নির্দেশে গঠিত হল সিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বগটুইকাণ্ডে অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalan Sheikh) অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল সিবিআই (CBI) হেফাজতে। ওই ঘটনায় সোমবার সিট (SIT) গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। লালনের মৃত্যুর তদন্ত করবে আদালতের তৈরি এই সিট। এদিন আদালত লালন মামলায় সিবিআইয়ের ৭ আধিকারিককে রক্ষাকবচ দিয়েছে। তবে এও জানিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে রাজ্যই। এদিন আদালতের নির্দেশে যে সিট গঠিত হবে, তার নেতৃত্ব দেবেন আইপিএস প্রণব কুমার। সঙ্গে থাকবেন হোমিসাইডের বীরেশ্বর চট্টোপাধ্যায়। এই দুই আধিকারিকই ঠিক করবেন, এই সিটে আর কারা থাকবেন।

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশনামা…

    এক সপ্তাহের মধ্যে টিম গঠন করতে হবে। তবে সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না সিট। আদালতের তৈরি করা সিট (Lalan Sheikh) আদালতকে না জানিয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট দিতে পারবে না। হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এই সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। সিট কোন পথে তদন্ত করবে, সে সংক্রান্ত একটি নির্দেশনামাও জারি করেছেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। সিবিআই হেফাজতে লালনের মৃত্যুর পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সাত আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন তাঁর স্ত্রী। তার পরে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। এদিন হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই ঘটনার তদন্ত রাজ্য করলেও, তদন্তভার সিআইডির হাতে থাকবে না। তদন্ত করবে সিট।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চোখা-চোখা মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, দেখুন এক ঝলকে

    নিম্ন আদালত ছাড়া আর কোথাও কোনও রিপোর্ট পেশ করতে হবে না সিটকে। রাজ্যের কাছেও কোনও রিপোর্ট পেশ করতে হবে না সিটকে (Lalan Sheikh)। সিট গঠন না হওয়া পর্যন্ত সিআইডি কোনও তদন্ত করতে পারবে না। সিবিআই রক্ষাকবচ পেলেও, তারা তদন্তে সিটকে সব রকম সহযোগিতা করবে। তদন্ত হবে আদালতের নজরদারিতে। প্রসঙ্গত, ১২ ডিসেম্বর বীরভূমের রামপুরহাটে সিবিআই ক্যাম্পের শৌচালয় থেকে উদ্ধার হয় লালন শেখের (Lalan Sheikh) ঝুলন্ত দেহ। সিবিআইয়ের সাত তদন্তকারী আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে রাজ্য পুলিশ। গরুপাচার মামলার দুই তদন্তকারী আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্য ও স্বরূপ দে-র বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। রাজ্য পুলিশের তদন্ত এবং এফআইআরকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয় সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
     
  • Abhijit Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চোখা-চোখা মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, দেখুন এক ঝলকে

    Abhijit Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চোখা-চোখা মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, দেখুন এক ঝলকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় নানা সময় বিস্ফোরক একাধিক মন্তব্য করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। তাঁর এই সব মন্তব্য হইচই ফেলে দিয়েছে রাজ্যে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তাঁর মন্তব্যগুলি।

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) বিস্ফোরক মন্তব্য…

    দুর্নীতি দেখলে আমি রুখে দাঁড়াবই। মাথায় বন্দুক ঠেকালেও আমি থামব না। তিনি বলেন, সব আমলেই দুর্নীতি হয়। আমি কোনও রাজনীতি করছি না। আইনজীবীরা রাজনীতি করতে পারেন। অন্য একদিন বলেন (Abhijit Ganguly), ঢাকি সব বিসর্জন কীভাবে দিতে হয়, আমিও জানি। আসল অপরাধী কে বা কারা, তা সবাই জানে। আমার জীবদ্দশায় তারা ধরা পড়বে বলে মনে হয় না। আমি তো নিজে ধরতে যেতে পারব না। যা করার, পুলিশ, ইডি, সিবিআইকে করতে হবে। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ এমন একটা রাজ্য হয়েছে, যেখানে টাকা না দিলে চাকরি মেলে না। মুড়ি-মুড়কির মতো দুর্নীতি হয়েছে বলেই মুড়ি-মুড়কির মতো সিবিআই দিতে হয়েছে। আমি তো এটা জীবনে কল্পনাই করতে পারি না।

    আরও পড়ুুন: কর্নাটকে মোদির কনভয়ে উড়ে এল মোবাইল ফোন! প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে

    সিবিআইকে ভর্ৎসনা করে তিনি বলেন, আপনাদের থেকে তো ভাল জিজ্ঞাসাবাদ করতে আমি জানি। দুর্নীতি মামলায় তাঁর মন্তব্য, অনেক ধেড়ে ইঁদুর বেরবে। অন্য একটি মামলায় তিনি (Abhijit Ganguly) বলেছিলেন, দিদি একা সামলাতে পারছেন না। এত দুর্বৃত্ত চারপাশে থাকলে সামলাবেন কী করে? তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীক ও অনুমোদন বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংবিধান বিরোধী কাজের জন্য এই সরকারি দলের লোগো ও মান্যতা প্রত্যাহার করতে তিনি নির্বাচন কমিশনকে বলতে পারেন। অন্য একটি মামলায় তিনি বলেন, দুর্নীতির মহাসমুদ্রে আমি হাবুডুবু খাচ্ছি। আপনারা সাহায্য করছেন। তারপরও হাবুডুবু খাচ্ছি। ঠগ বাছতে তো গাঁ উজাড় হয়ে যাবে। এক জ্যাঠামশাই বলে বেড়াচ্ছেন আমি আইনের এবিসিডি জানি না। তিনি নিজে কি এবিসিডি জানেন?

    কিছু দালাল, যারা মুখপাত্র বলে পরিচিত এবং কিছু মন্ত্রীর নাম বলতে পারি আমি, যাঁরা প্রকাশ্যে বলেছেন কারও চাকরি যাবে না। মুখ্যমন্ত্রী ভাল কাজ করছেন। আমি কেন খারাপ কথা বলব? কবিতার প্রথম লাইন হল এপাং ওপাং ঝপাং। আমরা সবাই ড্যাং ড্যাং। এই যদি কবিতার বই হয়, তাহলে কেউ পড়বে? আমার (Abhijit Ganguly) মনে হয় কেউ পড়বে না। এই অখাদ্য জিনিসগুলো গ্রন্থাগারে রাখবেন না, এটা আজ বলার সময় এসেছে। অখাদ্য বই সরবরাহ হয় সরকারি গ্রন্থাগারে, তা পড়তে কোনও মনুষ্য সন্তান সেখানে যাবে না। বোমা বাঁধতে পারলে কি বাড়তি নম্বর পাওয়া যায়? বীরভূমে পেটো বাঁধলে কত নম্বর পাওয়া যায়?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: সরেছে ২টি, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে কোন কোন মামলা রয়েছে জানেন?

    Justice Abhijit Ganguly: সরেছে ২টি, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে কোন কোন মামলা রয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র দুটি মামলা কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) বেঞ্চ থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। একটি সৌমেন নন্দী ও অন্যটি রমেশ মালির করা। প্রশ্ন হল, তাহলে এবার কোন কোন মামলা থাকল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে? জানা গিয়েছে, সন্দীপ প্রসাদের করা এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা। টাকার বিনিময়ে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলে মামলা হয়। ২০২১ সালে সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) এজলাসে চলছে এই মামলা…

    প্রাথমিকের ওএমআর শিট মামলাও চলছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। মামলা করেছিলেন রাহুল চক্রবর্তী ও শান্তনু সিট। ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই মামলায়। মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এসএসসির নবম দশম মামলা। মামলাকারী সেতাবউদ্দিন। এসএসসির নবম দশম নিয়োগ সংক্রান্ত আরও একটি মামলা। মামলাকারী আবদুল গনি আনসারি। এসএসসি গ্রুপ সি মামলাও রয়েছে তাঁর এজলাসে। মামলাকারী সাবিনা ইয়াসমিন। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।

    এসএসসি গ্রুপ ডি সংক্রান্ত আরও একটি মামলা। মামলাকারীর নাম লক্ষ্মী তুঙ্গা। বেআইনিভাবে নিয়োগ (Justice Abhijit Ganguly) হয়েছে এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নন্দীগ্রামের লক্ষ্মী। নবম দশমের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাও রয়েছে তাঁর এজলাসে। মামলাকারী অনিন্দিতা বেরা। এই মামলাও সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। মেধাতালিকার বাইরে থেকে নিয়োগ হয়েছে এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। ববিতা সরকারের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে একটি মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার রায় দেবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশেই চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা। প্রাথমিক টেট সংক্রান্ত একটি মামলাও রয়েছে তাঁর এজলাসে। প্রায় ৪৪ হাজার চাকরি প্রাপকের নিয়োগ প্রক্রিয়া সঠিক নয়, এই প্রশ্ন তুলে মামলা হয়েছিল। মামলাকারী প্রিয়াঙ্কা নস্কর।

    আরও পড়ুুন: চাকরি খোয়ানো ১০ ‘অযোগ্য’ প্রাক্তন সরকারি কর্মীকে নথি সহ তলব সিবিআইয়ের

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, আমি তো নিজে সরাচ্ছি না। সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারে হচ্ছে। একটা ডিসিপ্লিন আছে। সেই অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্ট সর্বোচ্চ আদালত। সেটা মেনে চলতে হবে। তিনি বলেন, আরও যেসব দুর্নীতির মামলা রয়েছে, সেগুলোও হয়তো আমার হাত থেকে সরে যাবে। আজ যে গ্রাউন্ডে গিয়েছে, সেগুলো সরে যাবে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এই মামলা ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে শুরু করিনি। তাই আমার কাছে রইল কী কার কাছে গেল, তা নিয়ে আমার বিশেষ মাথাব্যথা নেই। তিনি যে সর্বদা দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হবেন, এদিন তাও জানিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: চাকরি খোয়ানো ১০ ‘অযোগ্য’ প্রাক্তন সরকারি কর্মীকে নথি সহ তলব সিবিআইয়ের

    Recruitment Scam: চাকরি খোয়ানো ১০ ‘অযোগ্য’ প্রাক্তন সরকারি কর্মীকে নথি সহ তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) নির্দেশে খুইয়েছেন চাকরি। এঁদের মধ্যে থেকে ১০ জনকে তলব করল সিবিআই (CBI)। সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে এমন ১০ জন ‘অযোগ্য’ প্রাক্তন গ্রুপ সি কর্মীকে নিজাম (Recruitment Scam) প্যালেসে ডেকে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায়ই ওই দশজনকে নোটিশ পাঠিয়েছে সিবিআই। সোমবার থেকে বুধবারের মধ্যে বিভিন্ন দিনে একে একে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁদের। চাকরি সংক্রান্ত সমস্ত নথি ও আর্থিক লেনদেনের কাগজপত্র সহ হাজির হতে বলা হয়েছে তাঁদের।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় জেরা…

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার তদন্ত চলাকালীন টাকার বিনিময়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে চাকরি বাতিল হয়েছে অনেক প্রাথমিক এবং হাইস্কুল শিক্ষকের। নিয়ম বহির্ভূতভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে বরখাস্তও হয়েছেন অনেক গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মী। এঁদের মধ্যে থেকেই ১০ জনকে তলব করা হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে। চাকরি পেতে তাঁরা কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন কিনা, তাঁদের সঙ্গেই বা কেউ যোগাযোগ করেছিলেন কিনা, তা নিয়ে এঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। টাকার লেনদেন কীভাবে হয়েছিল এবং কেউ মধ্যস্থতা করেছিলেন কিনা, সে ব্যাপারেও তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হতে পারে। এঁদের সকলেরই বয়ান রেকর্ড করা হবে। চাকরি হারানো (Recruitment Scam) প্রাক্তন ওই ১০ সরকারি কর্মীর দেওয়া টাকা কোন নিয়োগকর্তার কাছে পৌঁছেছে, কার মাধ্যমে নিয়োগ কর্তাদের সঙ্গে আলাপ করানো হয় চাকরিপ্রার্থীদের। এসবও জানতে চাওয়া হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।  

    আরও পড়ুুন: ‘বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে স্যালুট, ওঁকে নিয়ে বিচলিত হবেন না’, বললেন শুভেন্দু

    পিছনের দরজা দিয়ে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই দালাল ধরেছিলেন বলে অভিযোগ। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন বারাসতের জাতীয় পুরস্কার পাওয়া প্রধান শিক্ষক তাপস মণ্ডল, প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রেফতার হয়েছেন অয়ন শীলও। হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি খোয়ানোয় (Recruitment Scam) বিতর্কও কম হয়নি। কারও চাকরি চলে যাক, তা চাননি বলে জানিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছু দিন আগে একটি অনুষ্ঠানে নিজেই সেকথা বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন চাকরি হারানো সরকারি কর্মীরা। তাঁদের পক্ষে সওয়াল করছেন আইনজীবী মুকুল রোহতগি। এই মুকুল রোহতগিই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেছিলেন। তাঁর বক্তব্য, যাঁদের চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়েছে, তাঁদের কথা শোনা হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Abhijit Ganguly: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত থেকে কোন কোন মামলা সরল, জানেন?

    Abhijit Ganguly: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত থেকে কোন কোন মামলা সরল, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) হাতে থাকা সব মামলাই কি সরিয়ে নেওয়া হবে? শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের মৌখিক নির্দেশের পরে পাক খাচ্ছিল এই জল্পনাই। শেষমেশ ইতি পড়ল এই জল্পনায়। এদিন সন্ধে ৭টা নাগাদ মিলল সুপ্রিম কোর্টের লিখিত নির্দেশ।

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)…

    সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে এই মর্মে নির্দেশ দেন যে, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত থেকে কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলা শুনছিলেন, সেটি শোনার জন্য অন্য বিচারপতি নিয়োগ করা হোক। এদিন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রতিলিপি আসার পর জানা যাচ্ছে, দেশের শীর্ষ আদালত প্রকৃতপক্ষে দুটি মামলার শুনানি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) এজলাস থেকে সরাতে বলেছে। একটি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সৌমেন নন্দী এবং অন্যটি কুন্তল ঘোষ বনাম পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

    আরও পড়ুুন: উদাসীন রাজ্য, জল পাচ্ছেন না গ্রামের গরিব মানুষ, কেন্দ্রকে চিঠি শুভেন্দুর

    জানা গিয়েছে, অভিষেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ সংক্রান্ত মামলা থেকে সরতেই হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। এই মর্মেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এসেছে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে। তবে তিনি চাইলে, এ সংক্রান্ত অন্যান্য আবেদনের শুনানিও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে অন্যত্র সরিয়ে দিতে পারেন। ভারপ্রাপ্ত বিচারপতিকে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট লিখিত নির্দেশে বলেছে, সাক্ষাৎকারের প্রতিলিপি দেখার পরে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ওই মামলার বাকি শুনানি অন্য কোনও বিচারপতির হাতে দেবেন। এই সংক্রান্ত অন্যান্য আবেদনও অন্য এজলাসে সরিয়ে দেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া হল।

    প্রসঙ্গত, সোমবারই দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে অভিযোগ উঠেছিল, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) স্কুলে নিয়োগের দুর্নীতির মামলা শোনার সময় সেই মামলা নিয়ে একটি টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। যা শুনে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানিয়েছিলেন, বিচারপতিরা কোনওভাবেই তাঁদের বিচারাধীন বিষয় নিয়ে টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে পারেন না। উনি যদি সাক্ষাৎকার দিয়ে থাকেন, তা হলে তিনি ওই মামলা শোনার অধিকার হারিয়েছেন। সেক্ষেত্রে নতুন কোনও বিচারপতিকে দায়িত্ব দিতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Kaliaganj: মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা

    Kaliaganj: মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জে (Kaliagang) বিজেপি কর্মী মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের মৃত্যু মামলায় আদালতের দ্বারস্থ দলের যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ। কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন তিনি। শুক্রবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের এজলাসে মামলা দায়ের করেন ইন্দ্রনীল। আগামী সপ্তাহে মামলার শুনানি হতে পারে। অন্যদিকে, এবার কালিয়াগঞ্জের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে, এলাকা পরিদর্শন করে দেখবে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল। 

    সিবিআই তদন্তের দাবি পরিবারেরও

    নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জে পুলিশের বিরুদ্ধে যুবককে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার রাতে কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj incident) ভারত – বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া চাঁদগাঁয় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বিজেপি কর্মী মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের। পরিবারের দাবি গুলি চালিয়েছে পুলিশ। সেই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে মৃতের পরিবার। 

    পুলিশে ভরসা নেই

    কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj incident) থানায় হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বুধবার রাত আড়াইটেয় চাঁদগাঁয় বিজেপির স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিষ্ণু বর্মনকে গ্রেফতার করতে যায় পুলিশ। বিষ্ণুবাবুকে না পেয়ে তাঁর বৃদ্ধ বাবাকে মারতে মারতে গাড়িতে তুলছিল পুলিশ। তখন বৃদ্ধ জ্যেঠাকে থানায় নিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চান বিষ্ণু বর্মনের খুড়তুতো ভাই মৃত্যুঞ্জয়। অভিযোগ জবাব না দিয়ে বৃদ্ধকে গাড়িতে তুলে রওনা দেয় পুলিশ। এর পর চলন্ত গাড়ির পিছন থেকে যুবককে লক্ষ্য করে গুলি চালান এক পুলিশ আধিকারিক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় যুবকের। যদিও পুলিশের তরফে গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে পরিবার। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে পুলিশের তরফে কোনও ভরসা নেই তাঁদের।

    আরও পড়ুুন: ‘‘বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আমাদের ভগবান, ওঁকে ফেরাতে হবে’’, বলছেন চাকরিপ্রার্থীরা

    বৃহস্পতিবার রাতে গ্রামে নিয়ে আসা হয় মৃত্যুঞ্জয়ের দেহ। যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্যে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয় রাধিকাপুর সহ গোটা এলাকাতে। র‍্যাফ থেকে শুরু করে কমব্যাট ফোর্সও মোতায়েন ছিল। জানা গিয়েছে, দেহ পোড়ানো হয়নি। দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছে। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ যদি আদালত দেয় তাহলে যাতে ময়নাতদন্ত ফের করা যায় সেজন্যেই এহেন সিদ্ধান্ত এলাকার মানুষের। ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও গোটা এলাকা থমথমে।

    রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের দল

    কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj incident) এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে উত্তাল বাংলা। শুধু তাই নয়, কালিয়াগঞ্জে বিজেপি নেতা খুনের ঘটনা নিয়েও থমথমে পরিস্থিতি উত্তর দিনাজপুরের এই এলাকায়। এবার সেইসব কিছুই খতিয়ে দেখতে কালিয়াগঞ্জ যাচ্ছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের (State Human Rights Commission) একটি প্রতিনিধি দল। কমিশনের পুলিশ সুপার শান্তিদাস বসাকের নেতৃত্বে এই দল খতিয়ে দেখবে গোটা পরিস্থিতি। সূত্রের খবর, দুই পরিবারের সঙ্গে কথাও বলবে এই দল। 

  • Abhijit Ganguly: ‘‘প্রতিলিপি পাঠাতে বলেছি, রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চেম্বারে থাকব’’, জানালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Abhijit Ganguly: ‘‘প্রতিলিপি পাঠাতে বলেছি, রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চেম্বারে থাকব’’, জানালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলা চলাকালীন একটি বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। সেই কারণে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা তাঁর এজলাস থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে। এর পরেই সাক্ষাৎকারের ট্রান্সক্রিপ্ট ও যে হলফনামা সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়েছিল, তা চেয়ে পাঠালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের সেক্রেটারি জেনারেলকে ওই নথি পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) নির্দেশ…

    তিনি জানান, এদিন রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নিজের চেম্বারে অপেক্ষা করবেন। এই সময়ের মধ্যে তাঁকে ওই প্রতিলিপি পাঠাতে হবে। তাঁর এই নির্দেশনামা অবিলম্বে সুপ্রিম কোর্টে পাঠাতে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছেন চাকরি প্রার্থীদের ‘ভগবান’। স্বচ্ছতার স্বার্থেই নথি চেয়ে পাঠিয়েছেন বলে জানান তিনি। এদিন প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত দুটি মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ হাতে না আসা পর্যন্ত এ সংক্রান্ত কোনও মামলা শুনবেন না বলে জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    প্রসঙ্গত, সোমবারই দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে অভিযোগ উঠেছিল, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্কুলে নিয়োগের দুর্নীতির মামলা শোনার সময় সেই মামলা নিয়ে একটি টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। যা শুনে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানিয়েছিলেন, বিচারপতিরা কোনওভাবেই তাঁদের বিচারাধীন বিষয় নিয়ে টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে পারেন না। উনি যদি সাক্ষাৎকার দিয়ে থাকেন, তা হলে তিনি ওই মামলা শোনার অধিকার হারিয়েছেন। সেক্ষেত্রে নতুন কোনও বিচারপতিকে দায়িত্ব দিতে হবে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আমাদের ভগবান, ওঁকে ফেরাতে হবে’’, বলছেন চাকরিপ্রার্থীরা

    শুক্রবার নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার বেঞ্চ বদলের নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। এই নির্দেশ দেওয়ার আগে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) পাঠানো নোটও ভালভাবে পড়েন তিনি। প্রধান বিচারপতি জানান, তিনি নোট পড়েছেন, সাক্ষাৎকারের ট্রান্সক্রিপ্টও শুনেছেন। তার পরেই এই নির্দেশ। প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারকরা খুব কঠিন দায়িত্ব পালন করেন। আমরা কেস পুনরায় বরাদ্দ করার জন্য জিজ্ঞাসা করছি একমাত্র কারণ হল ট্রান্সক্রিপ্ট, অন্য কোনও কারণ নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly: ‘‘সুপ্রিম রায় ‘দুর্ভাগ্যজনক’, তবে…’’! অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের অপসারণে বললেন সুকান্ত

    Abhijit Ganguly: ‘‘সুপ্রিম রায় ‘দুর্ভাগ্যজনক’, তবে…’’! অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের অপসারণে বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Abhijit Ganguly) নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা থেকে অপসারণের সুপ্রিম নির্দেশকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে একটি নির্দিষ্ট বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ায় শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Abhijit Ganguly) নিয়োগ দুর্নীতির সমস্ত মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে তিনি ওই মামলাগুলি অন্য কোনও বিচারপতির এজলাসে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন।

    সুকান্তর অভিমত

    এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘এই রায় অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছেন তা থামবে না। উনি যে স্ফুলিঙ্গ জ্বালিয়েছেন তাতে আলোকিত হয়ে অন্যরা এই লড়াই এগিয়ে নিয়ে যাবেন। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে তৃণমূল নেতাদের আনন্দিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তাদের জেলে যেতেই হবে। দু দিন আগে, আর দু দিন পরে। জেলে যেতেই হবে।’ বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাতে মামলা থাকবে কী থাকবে না, সেটা বিতর্কের বিষয় নয়। তবে এতে এটা প্রমাণ হয় না যে দুর্নীতি হয়নি। দুর্নীতি তো দৃশ্যমান।” বিজেপি নেতা শুঙ্কুদেব পণ্ডা বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কোথাও বলা নেই, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাগুলিতে যে রায় দিয়েছে, তা ঠিক ছিল না। প্রসেডিংয়ে সমস্যা ছিল।”

    আরও পড়ুন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে নিয়োগ মামলা সরানোর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    আর কে কী বললেন?

    বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাতে মামলা থাকবে কী থাকবে না, সেটা বিতর্কের বিষয় নয়। তবে তাতে এটা প্রমাণ হয় না যে দুর্নীতি হয়নি। দুর্নীতি তো দৃশ্যমান।” অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ শুভময় মৈত্র বলেন, “এই রায় বাংলার রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এবার দ্বন্দ্বটা হচ্ছে, এই রায়ে সামাজিক ন্যায়বিচারে কোনও অসুবিধা হবে কিনা? সে তো আইনি ব্যবস্থা রয়েছে। এর বিরুদ্ধেও কেউ আদালতে যেতে পারেন। রায় সদ্য হয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি এই নিয়ে অনুসিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যাবে না।”

    পুর নিয়োগেও সুপ্রিম স্থগিতাদেশ

    পুর-দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-ইডি তদন্তে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এক সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। উল্লেখ্য, ২১ এপ্রিল পুর-দুর্নীতি মামলায় একযোগে সিবিআই-ইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২২ এপ্রিল এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। সেই তদন্তে এদিন স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য সরকারকে রিভিউ পিটিশন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। রিভিউ পিটিশন দাখিলের এক সপ্তাহের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share