Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Calcutta High Court: ২০১৪ সালের টেটে ৬টি ভুল প্রশ্নের নম্বর পাবেন সকল পরীক্ষার্থী! নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ২০১৪ সালের টেটে ৬টি ভুল প্রশ্নের নম্বর পাবেন সকল পরীক্ষার্থী! নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালের টেটে ৬টি ভুল প্রশ্নের উত্তর যে সব পরীক্ষার্থীরা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, তাঁদের প্রত্যেককেই নম্বর দিতে হবে। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলায় বড় রায় দিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চ।

    নম্বর সবাই পাবে

    ২০১৪ সালের টেটে ৬টি প্রশ্ন ভুল রয়েছে এই অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। তৎকালীন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন যাচাই করতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে একটি কমিটি গঠন করেন। কমিটি জানায়, ৬টি প্রশ্ন ভুল রয়েছে। এর পরে বিচারপতি চট্টোপাধ্যায় শুধুমাত্র যাঁরা ওই ভুল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ‘নেগেটিভ মার্কিং’য়ের শিকার হয়েছেন, তাঁদের নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর ৬ টি ভুল প্রশ্নের নম্বর কেন সব পরীক্ষার্থী পাবেন না, এই নিয়ে মামলা যায় ডিভিশন বেঞ্চে। তাঁদের বক্তব্য, শুধু মামলাকারীরা কেন ভুল প্রশ্নের নম্বর পাবেন? বাড়তি নম্বর সবাইকে দিতে হবে। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে পরাজিত হন মামলাকারীরা। এরপর মামলার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টেও। ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল মামলা কলকাতা হাইকোর্টেই (Calcutta High Court) ফেরত পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। সেই মামলা এতদিন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে চলছিল। সেই মামলাতেই ডিভিশন বেঞ্চ প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে সম্পূর্ণ নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেয়। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ডিভিশন বেঞ্চ এদিন এই নির্দেশ দেন। 

    আরও পড়ুন: অভিষেককে প্রশ্ন করতে পারে ইডি-সিবিআই! কুন্তলের চিঠি নিয়ে নির্দেশ হাইকোর্টের

    প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষা ২০১৫ সালে হয়। পরীক্ষার জন্য আবেদন করেন ২২ লক্ষ। পরীক্ষায় বসেন ১২ লক্ষ। টেট উত্তীর্ণ হন ১.২৫ লক্ষ। আাদালতের (Calcutta High Court) নয়া নির্দেশের জেরে টেট ২০১৪ রেজাল্ট আমূল বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সচিবকে আদালতের নির্দেশ, সকল পরীক্ষার্থীকে ৬টি ভুল প্রশ্নের নম্বর দিয়ে পদক্ষেপ করতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: অভিষেককে প্রশ্ন করতে পারে ইডি-সিবিআই! কুন্তলের চিঠি নিয়ে নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: অভিষেককে প্রশ্ন করতে পারে ইডি-সিবিআই! কুন্তলের চিঠি নিয়ে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় প্রয়োজনে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই (CBI) এবং ইডি (ED)। বৃহস্পতিবার ওই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ, চাইলে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার বিরুদ্ধে লেখা ওই চিঠি নিয়ে অভিষেক এবং কুন্তলকে প্রশ্ন করতে পারবে ইডি এবং সিবিআই।

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, একটি সভায় অভিষেক বলেছিলেন তাঁর নাম বলার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে কুন্তল-সহ নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত অন্য ধৃতদের। নিয়োগকাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষও এমন দাবি করেছেন একাধিকবার। এমনকী গত মঙ্গলবার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপারের মাধ্যমে হেস্টিংস থানায় অভিযোগপত্রও পাঠান কুন্তল। এবার এই অভিযোগকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাদ্বয় অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলে নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। আর তা করলে দ্রুত করতে হবে বলেও জানান তিনি। আদালতের বক্তব্য, খতিয়ে দেখতে হবে অভিষেকের মন্তব্যের সঙ্গে কুন্তলের চিঠির কোথায় সাযুজ্য রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: নিশীথকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ শীর্ষ আদালতের, মামলা ফিরল হাইকোর্টে

    “কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তকারীরা দলীয় নেতাদের নাম বলার জন্য চাপ দিচ্ছেন”, কিছুদিন আগে আদালতে প্রবেশের মুখে এমনই দাবি করেছিলেন তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুব নেতা কুন্তল ঘোষ। এই মর্মে তিনি প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপার মারফত হেস্টিংস থানায় অভিযোগপত্রও পাঠান। শুধু হেস্টিংস থানা নয়, আলিপুর সিবিআই বিশেষ আদালতেও একই ধরনের একটি চিঠি দেন কুন্তল। এই মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। অভিযোগপত্র দেখতে চেয়েছিল তারা। বৃহস্পতিবার এই মামলা ওঠে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। এদিন বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, চলতি বছর ২৯ মার্চ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যয় একটি জনসভায় মন্তব্য করেছিলেন, তাঁর নাম বলার জন্য জোর করা হচ্ছে। এই বক্তব্যের সঙ্গে কুন্তল ঘোষের চিঠির বক্তব্যের মিল রয়েছে। সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র এই ঘটনার প্রেক্ষিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুন্তল ঘোষকে পাশাপাশি রেখে জেরা করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।  পাশাপাশি, এবার থেকে যে সমস্ত সিবিআই এবং ইডি আধিকারিকরা নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশ ছাড়া কোনও অভিযোগ দায়ের করা যাবে না,বলেও স্পষ্ট জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘কেবল সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করে সমস্যা মিটবে না’, মন্তব্য বিচারপতি মান্থার  

    Calcutta High Court: ‘কেবল সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করে সমস্যা মিটবে না’, মন্তব্য বিচারপতি মান্থার  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের আসল সমস্যা পুলিশে (Police) নিয়োগ না করা। শুধুমাত্র সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer) নিয়োগ করে সমস্যা মিটবে না। সরশুনা থানার বিরুদ্ধে ওঠা একটি মামলার ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার এমন মন্তব্য করেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তিনি বলেন, রাজ্যের আসল সমস্যা পুলিশে নিয়োগ না করা। ফলে এক্ষেত্রে চুক্তিভিক্তিক কর্মীদের ওপরে ভরসা করতে হচ্ছে। পুলিশের কাজ সিভিক ভলান্টিয়াররা করছে। কনস্টেবল, এসআই এবং এএসআই নিয়োগ করা না হলে উপায়ও নেই।

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বলেন…

    বিচারপতি মান্থা বলেন, দুর্ভাগ্যের বিষয় আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায়ও দুজন সিভিক ভলান্টিয়ার ওই রাতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, পুলিশের ঘাটতি মেটাচ্ছে সিভিক ভলান্টিয়ার। তাই পুলিশে নিয়োগ না করলে এভাবে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নিয়ে নিচুতলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার চেষ্টা হলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। বিচারপতির (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, যতদিন না সরকার পুলিশে নিয়োগের ব্যাপারে উদ্যোগী হবে, ততদিন এই এক বছরের চুক্তি ভিত্তিক লোকদের দিয়েই নিচুতলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার চেষ্টা হবে।

    প্রসঙ্গত, ২১ মার্চের শুনানিতে এই মামলায়ই রাজ্যের আইজিকে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়ে গাইডলাইন তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন মান্থা। হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্য সিভিক ভলান্টিয়ারদের কোন কোন কাজে ব্যবহার করা হয়, সে ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। আদালতে এদিন এই বিষয়টিই স্পষ্ট করা হয়।

    আরও পড়ুুন: ‘আরএসএস সদস্যরা অপরাধী নন’, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের, দিল মিছিলের অনুমতিও

    কয়েক দিন আগে এক যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে সরশুনা থানার বিরুদ্ধে। পরিবারের অভিযোগ, দু জন সিভিক ভলান্টিয়ার ওই যুবককে তুলে নিয়ে যায়। সঙ্গে ছিল পুলিশও। তার পর থেকে আর ওই যুবকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তার পরেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয় যুবকের পরিবার। এর পরেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের দায়িত্ব বেঁধে দিয়ে রাজ্য পুলিশকে নির্দেশিকা তৈরির নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কী ভূমিকা রয়েছে, কোন কোন কাজে তাঁদের ব্যবহার করা হয়, সে প্রসঙ্গেও রাজ্য পুলিশের কাছে জানতে চেয়েছিল উচ্চ আদালত।

    উল্লেখ্য, গত বছরই আমতার ছাত্র নেতা আনিস খানের রহস্যমৃত্যুতে তোলপাড় হয় রাজ্য। আনিসের পরিবারের অভিযোগ, রাতে পুলিশের পোশাকে বাড়িতে ঢুকেছিল কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়াররাও ছিলেন। তাঁকে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। রাজ্যের তরফে আনিসকাণ্ডে পুলিশি গাফিলতির কথা আদালতে স্বীকার করে নিয়েছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nisith Pramanik: নিশীথকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ শীর্ষ আদালতের, মামলা ফিরল হাইকোর্টে

    Nisith Pramanik: নিশীথকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ শীর্ষ আদালতের, মামলা ফিরল হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) কনভয়ে হামলার মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। গত ২৮ মার্চ এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, পুনরায় রায় বিবেচনা করতে হবে কলকাতা হাইকোর্টকে।

    সুপ্রিম নির্দেশ

    বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। রাজ্যের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তিনি আদালতে জানান, রাজ্য পুলিশই এই ঘটনার তদন্ত করার জন্য উপযুক্ত। কিন্তু অপর পক্ষের আইনজীবী আদালতে সওয়াল করে জানান, কনভয়ে হামলার ঘটনায় তৃণমূল সমর্থকরা অভিযুক্ত হলেও পুলিশ বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদেরই গ্রেফতার করেছে। গাড়িতে হামলা ও মারধরের অভিযোগে কতগুলি এফআইআর করা হয়েছে, সেই তথ্যও এদিন আদালতে পেশ করা হয়। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, আপাতত রাজ্য পুলিশ ওই মামলায় তদন্ত করবে। পরবর্তীতে সিবিআই তদন্তের প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, তা হাইকোর্ট ঠিক করবে।

    আরও পড়ুন: তাপমাত্রার পারদ চড়ছে প্রতিদিন! জানেন কীভাবে সুস্থ রাখবেন আপনার সন্তানকে?

    গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) কনভয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে। বিজেপির অভিযোগ বোমা, গুলি এবং পাথর ছুড়ে হামলা চালানো হয়। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ওই দিন দিনহাটায় গিয়েছিলেন নিশীথ। সেখানেই বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল, বুড়িরহাট এলাকায় তাঁর কনভয় পৌঁছলে তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে কালো পতাকা দেখান। যার জেরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের পরামর্শ, পুলিশের নথি খতিয়ে দেখে তবেই তদন্তের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত কলকাতা হাইকোর্টের। পুলিশ এই ঘটনার সাম্প্রতিক রিপোর্ট আদালতের হাতে তুলে দেবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: শিক্ষকদের চাকরি বাতিলে হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: শিক্ষকদের চাকরি বাতিলে হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্ট তিন দফায় মোট ২৬৯ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দায়ের হয়েছিল মামলা। ২৩ ডিসেম্বর ও ৪ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে যাঁরা মামলা করেছিলেন, মূলত তাঁদের আবেদনের উপরই সুপ্রিম কোর্ট এই চাকরি বাতিলের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এদিন সুপ্রিম কোর্ট তার মধ্যে ১৯৬ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস ও বিচারপতি জে কে মাহেশ্বরীর বেঞ্চ সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছে। বুধবার ফের এই মামলার শুনানি হবে।

    সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ

    মূলত ২০১৪ সালে টেট পাশ করে ২০১৭ সালে চাকরি পেয়েছিলেন ২৬৯ জন। ২০২২ সালে কলকাতা হাইকোর্ট তাঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে সেই মামলার শুনানি হয়েছিল। ২৩ ডিসেম্বর ৫৩ জনের চাকরি বাতিল হয়, ৪ জানুয়ারি ১৪৩ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁরাই যান সুপ্রিম কোর্টে। আগামী ১২ এপ্রিল শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত অন্যান্য মামলার সঙ্গে এই মামলার শুনানি হবে।

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ ডিভিশন বেঞ্চের

    অন্যদিকে, মঙ্গলবার প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল, মঙ্গলবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ তা খারিজ করে দিয়েছে। ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পর্ষদ জানিয়েছিল, টেট উত্তীর্ণ যে সব প্রার্থী ২০২০-২২ সালে ডিএলএড প্রশিক্ষণের জন্য ভর্তি হয়েছেন, তাঁরা চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। পর্ষদের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন সৌমেন পাল-সহ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী। 

    আরও পড়ুন: এই প্রথম! টেট দুর্নীতিতে ইডির দফতরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী

    মামলাকারীদের আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ২০১৬ সালের নিয়ম অনুযায়ী ডিএলএড প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করেছেন যাঁরা, তাঁরাই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ২০২০-২২ সালের প্রার্থীদের প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ হয়নি। ফলে তাঁরা কী ভাবে চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন? বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মামলাকারীদের আবেদন খারিজ করে পর্ষদের সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন। আজ, মঙ্গলবার ডিভিশন বেঞ্চে তা খারিজ করে দেয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jitendra Tewari: কম্বল বিতরণের ঘটনায় শর্তসাপেক্ষে জামিন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির

    Jitendra Tewari: কম্বল বিতরণের ঘটনায় শর্তসাপেক্ষে জামিন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কম্বল বিতরণকাণ্ডে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tewari)। সোমবার ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁকে জামিন দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (calcutta High Court)। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি পার্থসারথী সেনের ডিভিশন বেঞ্চে জামিন মঞ্জুর করা হয়। জামিন পেলেও এখনই আসানসোলে ফিরতে পারবেন না শহরের প্রাক্তন মেয়র।

    শর্তসাপেক্ষে জামিন

    ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আসানসোলে ঢুকতে পারবেন না জিতেন্দ্র (Jitendra Tewari)। কলকাতার শেক্সপীয়র সরণির বাড়িতে থাকবেন জিতেন্দ্র। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, যে অভিযোগে জিতেন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, সেই মামলার তদন্ত অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে তদন্তের প্রয়োজনে তাঁকে ডাকা যেতেই পারে। গত ১৮ মার্চ গ্রেফতার করা হয়েছিল জিতেন্দ্রকে। তার পর কিছু দিন পুলিশি হেফাজতে থাকার পর প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি ছিলেন জিতেন্দ্র (Jitendra Tewari)। জিতেন্দ্রর গ্রেফতারির পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আসানসোল। থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন দলীয় কর্মী সমর্থকরা। জিতেন্দ্রর স্ত্রী ও এই মামলায় অভিযুক্ত আরও বেশ কয়েকজনকে রক্ষাকবচ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে নিম্ন আদালতে জামিনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন জিতেন্দ্র। কিন্তু তা মঞ্জুর হয়নি। এবার গ্রেফতারির ২২ দিনের মাথায় জামিন পেলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ডিএ আন্দোলনকারীদের শহিদ মিনার থেকে অন্যত্র সরাতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ সেনা

    গত ডিসেম্বরে আসানসোলে আয়োজিত একটি কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত জিতেন্দ্র (Jitendra Tewari)। সোমবার তাঁকে জামিনের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ যে তিনটি শর্ত দিয়েছে, সেগুলি হল— এক, আপাতত আসানসোল এলাকায় ঢুকতে পারবেন না বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র। দুই, যেখানে থাকবেন, সংশ্লিষ্ট থানায় সপ্তাহে এক দিন হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। তিন, তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, সেই ঘটনার সাক্ষীদের হুমকি দেওয়া যাবে না। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ডিএ আন্দোলনকারীদের শহিদ মিনার থেকে অন্যত্র সরাতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ সেনা

    Calcutta High Court: ডিএ আন্দোলনকারীদের শহিদ মিনার থেকে অন্যত্র সরাতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহিদ মিনার ময়দান থেকে ডিএ (DA Protest) আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিতে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হল সেনাবাহিনী (Indian Army)। বকেয়া ডিএ (DA) বা মহার্ঘভাতার দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের একাংশ আন্দোলনে সামিল হয়েছে। শহিদ মিনার ময়দানে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অবস্থান চলছে। সেনাবাহিনীর অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ মতো ওই জায়গায় অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। তার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সময়সীমা অগ্রাহ্য করেই কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। সেনার তরফে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের করা মামলার শুনানি হতে পারে আগামী শুক্রবার। 

    শুক্রবার শুনানি!

    আগামী শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চে (Calcutta High Court) মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। আইনগতভাবে শহিদ মিনার চত্বর সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন। তাদের অনুমতি নিয়েই সেখানে যাবতীয় সভা-সমাবেশ করতে হয়। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই শহিদ মিনার চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। ইতিমধ্যে ডিএ সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারকে আলোচনায় বসার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আগামী ১৭ এপ্রিল রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং অর্থসচিবের উপস্থিতিতে আলোচনায় বসবেন সরকারি কর্মচারী সংগঠনের তিন সদস্য। 

    আরও পড়ুুন: দু’দিনের সফরে শুক্রবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, কী কী কর্মসূচি থাকছে?

    আন্দোলন মঞ্চ অন্যত্র সরানোর আর্জি

    ইতিমধ্যেই সোমবার থেকে দিল্লির যন্তর-মন্তরে দু’দিনের প্রতীকী অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। এই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের দেখা করার কথা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের যুক্তি, বকেয়া ডিএ পেতে সাংবিধানিক হস্তক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে। সেই কারণেই কলকাতার পাশাপাশি আন্দোলনকে দিল্লির দরজায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, এদিন বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে চলা আন্দোলন ৭৪ দিনে পড়ল। এই নিয়ে কলকাতার শহিদ মিনারে ধর্না-অবস্থান চালাচ্ছে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। কিন্তু, প্রায় দেড় মাস ধরে চলা তাঁদের এই আন্দোলন নিয়ে এবার আপত্তি জানিয়েছে সেনাবাহিনী। আন্দোলন মঞ্চ অন্যত্র সরিয়ে দিতে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছে ভারতীয় সেনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: রামনবমীর শোভাযাত্রায় এনআইএ তদন্তের দাবি, রায় ঘোষণা স্থগিত রাখল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: রামনবমীর শোভাযাত্রায় এনআইএ তদন্তের দাবি, রায় ঘোষণা স্থগিত রাখল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল রাজ্যে। তার জেরে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এনআইএ (NIA) তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন তিনি। সোমবার রায়দান হওয়ার কথা ছিল ওই মামলার। তবে এদিন রায় ঘোষণা স্থগিত রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও এনআইএর তরফে আদালতে জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা এই ঘটনার তদন্ত করতে প্রস্তুত।

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ…

    হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, কারা এই অশান্তির ঘটনায় জড়িত, কারাই বা উসকানি দিয়েছে, তা জানা রাজ্য পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের প্রয়োজন। হাইকোর্টের এও পর্যবেক্ষণ, পুলিশের রিপোর্টে স্পষ্ট যে অশান্তি হয়েছে। পুলিশের রিপোর্টে কোথাও কোনও বোমার উল্লেখ নেই, মন্তব্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির। ইসলামপুরের গন্ডগোলে বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। পুলিশ সুপার সহ অনেক পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন। মামলা দায়ের হয়েছে, গ্রেফতারও হয়েছে বলে রাজ্য জানিয়েছে। ভারপ্রাপ্ত বিচারপতির প্রশ্ন, এই ধরনের গন্ডগোল নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রত্যেক বছর ৬,৭, ৮টা করে ঘটনা ঘটছে। এটা কীভাবে আটকানো সম্ভব?

    আরও পড়ুুন: প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি! বালুরঘাটের দণ্ডি-কাণ্ড নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি সুকান্তর

    ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, বোমাবাজি, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়া, অশান্তির সব ঘটনাই সাধারণ মানুষকে উদ্বিগ্ন করে। তাঁর প্রশ্ন, আদালতের (Calcutta High Court) আগের নির্দেশও কার্যকর হয়নি কেন? পুলিশের অদক্ষতা? গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা? নাকি অন্য কিছু? রিষড়া ও শিবপুর সহ রাজ্যের সর্বত্র গোলমালে এনআইএ অনুসন্ধানের পক্ষে সওয়াল কেন্দ্রের। বোমা বিস্ফোরণের কোনও ঘটনার উল্লেখই নেই রাজ্যের রিপোর্টে। বিস্ফোরণ ও নাশকতা যোগ খতিয়ে দেখতে এনআইএ অনুসন্ধান কেন্দ্রীয় আইনসঙ্গত। নাশকতা ও বিস্ফোরণের কিছু পাওয়া না গেলে সেখানে এনআইএ তদন্ত করবে না। সওয়াল কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এবং ডেপুটি সালিসিটর জেনারেলের। পেট্রোল বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ জনস্বার্থ মামলায় প্রথম দিন থেকেই।

    হাওড়া সিপির রিপোর্টে তার কোনও উল্লেখই নেই! পুলিশ কমিশনারের রিপোর্ট অবশ্যই অর্থবহ হওয়া উচিত, মন্তব্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির। রাজ্যকে দু দিন সময় দেওয়া হোক। সর্বশেষ তদন্তের অগ্রগতি সহ রিপোর্ট পেশ করবে রাজ্য। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিওর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ শুভেন্দুর আর্জি, পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে?

    Suvendu Adhikari: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ শুভেন্দুর আর্জি, পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) খারিজ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) আর্জি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Election) সংরক্ষণ তালিকার প্রক্রিয়াগত ত্রুটি নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। তাঁর সেই আবেদনই খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে কলকাতা হাইকোর্ট যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রেখেছিল, সুপ্রিম কোর্টও তাই বহাল রাখল।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) আর্জি…

    পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত এই মামলা দ্রুততার সঙ্গে শোনা হোক বলে বুধবার শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সেই মতো ঠিক হয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে ৪৪ নম্বর আইটেম হিসেবে এই মামলা শোনা হবে। বৃহস্পতিবার আদালতে যখন লাঞ্চের বিরতি হয়, তখন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ৪৪ নম্বর আইটেমে যে মামলা ছিল, তা খারিজ করে দেওয়া হল। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, নির্বাচন কমিশনকে আমরা আটকাতে পারি না।

    আরও পড়ুুন: ‘কেস ডায়েরিতে রয়েছে প্রভাবশালীর নাম’, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে দাবি ইডির

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে হস্তক্ষেপ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। দায়ের করেছিলেন জনস্বার্থ মামলা। তাঁর দাবি, রাজ্যের ওবিসি আসন সংরক্ষণের কাজ ঠিকভাবে হয়নি। সংরক্ষণের কাজে সমীক্ষা ঠিকভাবে হয়নি বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। এসব ব্যাপারেই আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন। রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, আইনে ওবিসি আসন সংরক্ষণের কাজ হয়েছে নিয়ম মেনেই। তার পরেই হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, এ বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ তারা করবে না। আদালত এও জানিয়েছিল, নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় সমস্ত কাজ করা হয়ে গিয়েছে। তাই আদালত ভোটে কোনও বাধা দেবে না। কলকাতা হাইকোর্টের সেই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। সেখানে খারিজ হয়ে গেল তাঁর আর্জি।

    প্রসঙ্গত, হাইকোর্ট আগেই জানিয়েছিল, রাজ্য নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে। হাইকোর্ট এখনই কোনও হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়নি। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, শুভেন্দুর মামলার বিষয়টি এই মুহূর্তে কমিশনের ওপরই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কোনও বক্তব্য থাকলে তা কমিশনে জানাতে পারেন। কমিশন আইন অনুযায়ী সে বিষয়ে পদক্ষেপ করবে। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের জেরে জট কাটল পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নজিরবিহীন! ৩০ মিনিট ধরে মানিককে হাইকোর্টে জেরা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    SSC Scam: নজিরবিহীন! ৩০ মিনিট ধরে মানিককে হাইকোর্টে জেরা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাপ্টিটিউট টেস্ট না নিয়েই প্রাথমিকে নিয়োগ করার অভিযোগে বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টে তলব করা হয় মানিককে। তাঁর কথায়, ‘আমি সত্যিটাই বলতে চাই। সত্য সহজ, সত্য সুন্দর। আমার বিরুদ্ধে যা পদক্ষেপ করা হোক। আমি মেনে নেব।’ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হঠাতই নরম সুর মানিক ভট্টাচার্যের।

    হাইকোর্টে হাজির মানিক

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের তলব পেয়ে বুধবার দুপুরেই কলকাতা হাইকোর্টে হাজির করানো হল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে দুপুর সোয়া ৩টে নাগাদ আদালতে নিয়ে আসা হয়। পুলিশি ঘেরাটোপে মাথা নীচু করেই আদালতের ভিতরে ঢুকে যান মানিক। মুখে মাস্ক, পরনে সাদা শার্ট এবং কালো ট্রাউজার পরে আদালতে ঢোকেন মানিক। জেলবন্দি আসামিদের সাধারণত হাইকোর্টে হাজির করানো হয় না। তাঁদের শুনানি হয় নিম্ন আদালতে। নিয়োগ মামলায় মানিক জেলে যাওয়ার পর তাঁর নানা আবেদনের শুনানি নিম্ন আদালতেই হয়েছে। কিন্তু বুধবার সেই প্রচলিত ধারা ভেঙেই মানিককে হাইকোর্টে হাজির করানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি।

    আধ ঘণ্টা ধরে বিচারপতির সঙ্গে কথোপকথন

    নির্ধারিত সময়ের কিছু পরে মানিক এজলাসে পৌঁছলে তাঁকে একের পর এক প্রশ্ন করেন বিচারপতি। আদালতে মানিকের হাজিরা দেখতে এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস ছিল ভিড়ে ঠাসা। বেলা ৩টে ১৬ মিনিটে মানিককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন বিচারপতি। জেরা পর্ব চলে বেলা ৩টে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। আধ ঘণ্টা ধরে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত মানিককে নানা প্রশ্ন করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিশেষ করে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ফলপ্রকাশের দায়িত্বে কারা ছিল। কী ভাবে তাদের নির্বাচন করা হয়েছিল এই সংক্রান্ত প্রশ্ন করেন বিচারপতি। বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিলেও, কয়েকটি প্রশ্নে উত্তর দেওয়ার জন্য সময় চাই বলে জানান মানিক। 

    প্রশ্নবানে বিদ্ধ মানিক

    ‘২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে কী জানেন?’ বিচারপতির এই প্রশ্নের উত্তরে মানিক বলেন, ‘আদালত ডেকেছে তাই এসেছি। আমি জেলে রয়েছি। আমার কাছে কোনও তথ্য বা নথি নেই। তাই স্মরণে যা আছে, তাই বলতে পারি।’ ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ফল কে প্রকাশ করেছিল? সেটাও এদিন জানতে চান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মানিক বলেন, ‘এটা আমি বলতে পারি না। বিশেষ করে এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে বোধগম্য নয়। নিয়োগ প্রক্রিয়ার মোট নম্বর তৈরি করে বিভিন্ন বিভাগ মিলে।’

    আরও পড়ুন: হনুমান জয়ন্তীতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী! শান্তি বজায় রাখতে কী নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট?

    বাইরের কোন সংস্থাকে রেজাল্ট প্রস্তুত করার জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল? বিচারপতির এই প্রশ্নের উত্তরে মানিক জানান, একটি সংস্থাকে নিয়োগ করা হয়েছিল, তবে তার নাম এখন আর মনে নেই। বিচারপতি এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির নাম উল্লেখ করাতে, মানিক বলেন, ‘হ্যাঁ ওই ধরনের নাম শুনেছি।’এর পর মানিককে হাইকোর্টে কলকাতার শেরিফের দফতরে অপেক্ষা করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। জানান, মানিকের সমস্ত বক্তব্য নথিভুক্ত করা হয়েছে। সেই কাগজে সই করে তবে তিনি আদালত ছাড়তে পারবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share