Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Calcutta High Court: রামনবমীর শোভাযাত্রায় এনআইএ তদন্তের দাবি, রায় ঘোষণা স্থগিত রাখল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: রামনবমীর শোভাযাত্রায় এনআইএ তদন্তের দাবি, রায় ঘোষণা স্থগিত রাখল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল রাজ্যে। তার জেরে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এনআইএ (NIA) তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন তিনি। সোমবার রায়দান হওয়ার কথা ছিল ওই মামলার। তবে এদিন রায় ঘোষণা স্থগিত রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও এনআইএর তরফে আদালতে জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা এই ঘটনার তদন্ত করতে প্রস্তুত।

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ…

    হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, কারা এই অশান্তির ঘটনায় জড়িত, কারাই বা উসকানি দিয়েছে, তা জানা রাজ্য পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের প্রয়োজন। হাইকোর্টের এও পর্যবেক্ষণ, পুলিশের রিপোর্টে স্পষ্ট যে অশান্তি হয়েছে। পুলিশের রিপোর্টে কোথাও কোনও বোমার উল্লেখ নেই, মন্তব্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির। ইসলামপুরের গন্ডগোলে বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। পুলিশ সুপার সহ অনেক পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন। মামলা দায়ের হয়েছে, গ্রেফতারও হয়েছে বলে রাজ্য জানিয়েছে। ভারপ্রাপ্ত বিচারপতির প্রশ্ন, এই ধরনের গন্ডগোল নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রত্যেক বছর ৬,৭, ৮টা করে ঘটনা ঘটছে। এটা কীভাবে আটকানো সম্ভব?

    আরও পড়ুুন: প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি! বালুরঘাটের দণ্ডি-কাণ্ড নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি সুকান্তর

    ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, বোমাবাজি, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়া, অশান্তির সব ঘটনাই সাধারণ মানুষকে উদ্বিগ্ন করে। তাঁর প্রশ্ন, আদালতের (Calcutta High Court) আগের নির্দেশও কার্যকর হয়নি কেন? পুলিশের অদক্ষতা? গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা? নাকি অন্য কিছু? রিষড়া ও শিবপুর সহ রাজ্যের সর্বত্র গোলমালে এনআইএ অনুসন্ধানের পক্ষে সওয়াল কেন্দ্রের। বোমা বিস্ফোরণের কোনও ঘটনার উল্লেখই নেই রাজ্যের রিপোর্টে। বিস্ফোরণ ও নাশকতা যোগ খতিয়ে দেখতে এনআইএ অনুসন্ধান কেন্দ্রীয় আইনসঙ্গত। নাশকতা ও বিস্ফোরণের কিছু পাওয়া না গেলে সেখানে এনআইএ তদন্ত করবে না। সওয়াল কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এবং ডেপুটি সালিসিটর জেনারেলের। পেট্রোল বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ জনস্বার্থ মামলায় প্রথম দিন থেকেই।

    হাওড়া সিপির রিপোর্টে তার কোনও উল্লেখই নেই! পুলিশ কমিশনারের রিপোর্ট অবশ্যই অর্থবহ হওয়া উচিত, মন্তব্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির। রাজ্যকে দু দিন সময় দেওয়া হোক। সর্বশেষ তদন্তের অগ্রগতি সহ রিপোর্ট পেশ করবে রাজ্য। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিওর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ শুভেন্দুর আর্জি, পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে?

    Suvendu Adhikari: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ শুভেন্দুর আর্জি, পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) খারিজ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) আর্জি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Election) সংরক্ষণ তালিকার প্রক্রিয়াগত ত্রুটি নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। তাঁর সেই আবেদনই খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে কলকাতা হাইকোর্ট যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রেখেছিল, সুপ্রিম কোর্টও তাই বহাল রাখল।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) আর্জি…

    পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত এই মামলা দ্রুততার সঙ্গে শোনা হোক বলে বুধবার শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সেই মতো ঠিক হয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে ৪৪ নম্বর আইটেম হিসেবে এই মামলা শোনা হবে। বৃহস্পতিবার আদালতে যখন লাঞ্চের বিরতি হয়, তখন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ৪৪ নম্বর আইটেমে যে মামলা ছিল, তা খারিজ করে দেওয়া হল। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, নির্বাচন কমিশনকে আমরা আটকাতে পারি না।

    আরও পড়ুুন: ‘কেস ডায়েরিতে রয়েছে প্রভাবশালীর নাম’, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে দাবি ইডির

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে হস্তক্ষেপ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। দায়ের করেছিলেন জনস্বার্থ মামলা। তাঁর দাবি, রাজ্যের ওবিসি আসন সংরক্ষণের কাজ ঠিকভাবে হয়নি। সংরক্ষণের কাজে সমীক্ষা ঠিকভাবে হয়নি বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। এসব ব্যাপারেই আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন। রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, আইনে ওবিসি আসন সংরক্ষণের কাজ হয়েছে নিয়ম মেনেই। তার পরেই হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, এ বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ তারা করবে না। আদালত এও জানিয়েছিল, নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় সমস্ত কাজ করা হয়ে গিয়েছে। তাই আদালত ভোটে কোনও বাধা দেবে না। কলকাতা হাইকোর্টের সেই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। সেখানে খারিজ হয়ে গেল তাঁর আর্জি।

    প্রসঙ্গত, হাইকোর্ট আগেই জানিয়েছিল, রাজ্য নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে। হাইকোর্ট এখনই কোনও হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়নি। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, শুভেন্দুর মামলার বিষয়টি এই মুহূর্তে কমিশনের ওপরই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কোনও বক্তব্য থাকলে তা কমিশনে জানাতে পারেন। কমিশন আইন অনুযায়ী সে বিষয়ে পদক্ষেপ করবে। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের জেরে জট কাটল পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নজিরবিহীন! ৩০ মিনিট ধরে মানিককে হাইকোর্টে জেরা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    SSC Scam: নজিরবিহীন! ৩০ মিনিট ধরে মানিককে হাইকোর্টে জেরা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাপ্টিটিউট টেস্ট না নিয়েই প্রাথমিকে নিয়োগ করার অভিযোগে বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টে তলব করা হয় মানিককে। তাঁর কথায়, ‘আমি সত্যিটাই বলতে চাই। সত্য সহজ, সত্য সুন্দর। আমার বিরুদ্ধে যা পদক্ষেপ করা হোক। আমি মেনে নেব।’ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হঠাতই নরম সুর মানিক ভট্টাচার্যের।

    হাইকোর্টে হাজির মানিক

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের তলব পেয়ে বুধবার দুপুরেই কলকাতা হাইকোর্টে হাজির করানো হল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে দুপুর সোয়া ৩টে নাগাদ আদালতে নিয়ে আসা হয়। পুলিশি ঘেরাটোপে মাথা নীচু করেই আদালতের ভিতরে ঢুকে যান মানিক। মুখে মাস্ক, পরনে সাদা শার্ট এবং কালো ট্রাউজার পরে আদালতে ঢোকেন মানিক। জেলবন্দি আসামিদের সাধারণত হাইকোর্টে হাজির করানো হয় না। তাঁদের শুনানি হয় নিম্ন আদালতে। নিয়োগ মামলায় মানিক জেলে যাওয়ার পর তাঁর নানা আবেদনের শুনানি নিম্ন আদালতেই হয়েছে। কিন্তু বুধবার সেই প্রচলিত ধারা ভেঙেই মানিককে হাইকোর্টে হাজির করানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি।

    আধ ঘণ্টা ধরে বিচারপতির সঙ্গে কথোপকথন

    নির্ধারিত সময়ের কিছু পরে মানিক এজলাসে পৌঁছলে তাঁকে একের পর এক প্রশ্ন করেন বিচারপতি। আদালতে মানিকের হাজিরা দেখতে এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস ছিল ভিড়ে ঠাসা। বেলা ৩টে ১৬ মিনিটে মানিককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন বিচারপতি। জেরা পর্ব চলে বেলা ৩টে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। আধ ঘণ্টা ধরে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত মানিককে নানা প্রশ্ন করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিশেষ করে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ফলপ্রকাশের দায়িত্বে কারা ছিল। কী ভাবে তাদের নির্বাচন করা হয়েছিল এই সংক্রান্ত প্রশ্ন করেন বিচারপতি। বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিলেও, কয়েকটি প্রশ্নে উত্তর দেওয়ার জন্য সময় চাই বলে জানান মানিক। 

    প্রশ্নবানে বিদ্ধ মানিক

    ‘২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে কী জানেন?’ বিচারপতির এই প্রশ্নের উত্তরে মানিক বলেন, ‘আদালত ডেকেছে তাই এসেছি। আমি জেলে রয়েছি। আমার কাছে কোনও তথ্য বা নথি নেই। তাই স্মরণে যা আছে, তাই বলতে পারি।’ ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ফল কে প্রকাশ করেছিল? সেটাও এদিন জানতে চান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মানিক বলেন, ‘এটা আমি বলতে পারি না। বিশেষ করে এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে বোধগম্য নয়। নিয়োগ প্রক্রিয়ার মোট নম্বর তৈরি করে বিভিন্ন বিভাগ মিলে।’

    আরও পড়ুন: হনুমান জয়ন্তীতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী! শান্তি বজায় রাখতে কী নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট?

    বাইরের কোন সংস্থাকে রেজাল্ট প্রস্তুত করার জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল? বিচারপতির এই প্রশ্নের উত্তরে মানিক জানান, একটি সংস্থাকে নিয়োগ করা হয়েছিল, তবে তার নাম এখন আর মনে নেই। বিচারপতি এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির নাম উল্লেখ করাতে, মানিক বলেন, ‘হ্যাঁ ওই ধরনের নাম শুনেছি।’এর পর মানিককে হাইকোর্টে কলকাতার শেরিফের দফতরে অপেক্ষা করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। জানান, মানিকের সমস্ত বক্তব্য নথিভুক্ত করা হয়েছে। সেই কাগজে সই করে তবে তিনি আদালত ছাড়তে পারবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hanuman Jayanti: হনুমান জয়ন্তীতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী! শান্তি বজায় রাখতে কী নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট?

    Hanuman Jayanti: হনুমান জয়ন্তীতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী! শান্তি বজায় রাখতে কী নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হনুমান জয়ন্তীতে (Hanuman Jayanti) শান্তি বজায় রাখতে রাজ্যে মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বুধবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য পুলিশকে সাহায্য করবে আধা সাময়িক বাহিনী। জানাল কোর্ট। এ ব্যাপারে রাজ্যকে অবিলম্বে সাহায্য করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রকেও। বৃহস্পতিবার হনুমান জয়ন্তী। তার আগে রাজ্যকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নেওয়ার কথা বলল উচ্চ আদালত।

    শুভেন্দুর মামলার প্রেক্ষিতে নির্দেশ

    রাজ্যে অশান্তির ঘটনা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী একটি জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। আদালতের কাছে তিনি আর্জি জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন এবং এনআইএ-কে দিয়ে তদন্ত করাতে। সেই মামলার শুনানিতেও সম্প্রতি অশান্ত হয়ে ওঠা এলাকাগুলিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে রাজ্যকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নিতে বুধবার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

    এদিন আদালতে রাজ্যের বক্তব্য ছিল, রামনবমী এবং হনুমান জয়ন্তী (Hanuman Jayanti) রাজ্যে পালিত হওয়া সাধারণ উৎসবের মধ্যে পড়ে না। আদালতে রাজ্য জানায়, শেষ ৫ বছর ধরে এটা শুরু হয়েছে। রাজ্যের দাবি, এ ক্ষেত্রে অপরিচিত সংগঠন অনুমতি চাইছে। পরের বছর থেকে ১৫ দিন আগে অনুমতি চাইতে হবে। রাজ্য জানিয়েছে, সব মিলিয়ে হনুমান জয়ন্তীতে মিছিল করার অনুমতি চেয়ে প্রায় ২০০০ আবেদন জমা পড়েছে। সেই মিছিলগুলিতে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্পর্শকাতর এলাকাগুলি চিহ্নিত করতে বলেছে আদালত। বুধবার থেকেই সেই এলাকাগুলিতে পুলিশ যাতে রুট মার্চ করে, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি রাজ্যের অনুরোধ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাহিনি মোতায়েনের ব্যবস্থা করার জন্য পৃথক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রকেও।

    আদালতের নির্দেশিকা

    হনুমান জয়ন্তী নিয়ে কোনও রাজনৈতিক নেতা কোথাও কোনও বক্তৃতা করবেন না

    হনুমান জয়ন্তীর জন্য কেন্দ্রের কাছে আধা সামরিক বাহিনী চাইবে রাজ্য

    মিছিল বা শোভাযাত্রা যদি প্রশাসনের কোনও শর্ত না মেনে হয় তা হলে তার দায় সেই প্রতিষ্ঠান এবং তার আধিকারিকদের উপর বর্তাবে

    শোভাযাত্রায় কত জন থাকবেন তা আগে থেকে পুলিশকে জানাতে হবে

    শোভাযাত্রা শুরু এবং শেষ নির্দিষ্ট সময়ে করতে হবে

    স্পর্শকাতর এলাকায় ব্যারিকেড করা হবে

    স্বেচ্ছাসেবকদের নাম এবং ফোন নম্বর দিতে হবে

    স্পর্শকাতর এলাকায় বসানো হবে সিসিটিভি

    ১৪৪ ধারা এলাকার মধ্যে কোনও হনুমান জয়ন্তী মিছিল হবে না। 

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য রিকুইজিশন দেবে রাজ্য। 

    সারা রাজ্যে হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রাজ্য পুলিশ রুট মার্চ করবে। 

    কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রাজ্যের পদক্ষেপ রিপোর্ট আকারে হাইকোর্টে পেশ করবে রাজ্য।

    আরও পড়ুন: বাজেট বরাদ্দের টাকা খরচে ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করল নবান্ন, সরব বিজেপি

    কেন্দ্রের নির্দেশ

    হনুমান জয়ন্তীর (Hanuman Jayanti) ঠিক আগে বুধবার (৫ মার্চ) বিশেষ পদক্ষেপ করল কেন্দ্রও। সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে আইন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উৎসব উদযাপন এবং সমাজে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারে, এমন যে কোনও বিষয়ের উপর নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতর থেকে ট্যুইট করা হয়েছে, “রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারগুলিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব পালন এবং সমাজে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিঘ্নিত করতে পারে এমন যে কোনও কিছুর উপর নজরদারি নিশ্চিত করতে বলা হচ্ছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Gangopadhyay: ‘‘যা কখনও বলিনি, তা আমার মুখে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে’’! বিস্ফোরক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    Abhijit Gangopadhyay: ‘‘যা কখনও বলিনি, তা আমার মুখে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে’’! বিস্ফোরক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে যা যা বলা হচ্ছে তা সঠিক নয়। ‘কিছু মানুষ আমার নামে বদনাম করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তা সফল হবে না।’ প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলা চলছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। সেই প্রসঙ্গেই এভাবে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কলকাতা উচ্চ আদালতের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। তিনি আরও বলেছেন, ‘শুধু দুর্নীতি নয়, অনেকের সঙ্গে আমাকে লড়াই করতে হচ্ছে। তাতে আমি ভীত নই। এই লড়াইয়ের শেষ দেখে ছাড়ব। যে কথা আমি কখনও বলিনি, তা আমার মুখে বসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কিছু মানুষ আমার নামে কুৎসা-অপপ্রচারও শুরু করে দিয়েছে। তাঁরা যদি ভাবেন আমি ভয় পেয়ে যাব, তাহলে মুর্খের স্বর্গে বাস করছে। কয়েকজন রক্তপিপাসু দালাল আমার পিছনে পড়েছে। তাঁরা আমার পিছনে ছুটছে। তাঁদের বিরুদ্ধেও লড়তে হবে আমাকে।’

    সুপ্রিম-রায়ে আস্থা

    প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলার সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন থাকায় আপাতত শুনানি বন্ধ রেখেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এজলাসের মধ্যে এক বিচারপ্রার্থী জানতে চান, কবে তাঁরা বিচার পাবেন? জবাবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। কিছুটা সময় লাগছে ঠিকই, তবে সঠিক বিচার পাবেন।’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, এই মামলার পরবর্তী শুনানি হাইকোর্ট করতে পারে কি না, মামলকারীদের আইনজীবীকে সুপ্রিম কোর্ট থেকে তা জেনে আসতে বলেন বিচারপতি। 

    আরও পড়ুুন: ‘‘রিষড়া জ্বলছে, আর রাজ্য প্রশাসন দিঘায় ছুটি কাটাচ্ছে’’! ট্যুইটে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    শীর্ষ আদালতের উপর পূর্ণ আস্থা রেখে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট এবং বিচারপতিদের ওপর আমার বিশ্বাস, আস্থা এবং শ্রদ্ধা আছে। সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা নিয়ে আমি কোনও বক্তব্য পেশ করিনি। যে কথা আমি বলিনি সেগুলো আমার নামে প্রচার করা হচ্ছে। আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা হচ্ছে। ভারতের আইন সভ্য আইন, কিছুটা সময় হয়তো লাগছে, কিন্তু বিচার হবে।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nisith Pramanik: নিশীথ প্রামাণিকের গাড়িতে হামলা! রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা সিবিআই-এর

    Nisith Pramanik: নিশীথ প্রামাণিকের গাড়িতে হামলা! রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল সিবিআই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের গাড়িতে হামলার মামলায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সিবিআই-এর আইনজীবী। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী জানান, ওই ঘটনায় হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরেও পুলিশ মামলার নথি হস্তান্তর করছে না। ফলে তদন্তও শুরু করা যাচ্ছে না। মঙ্গলবার আদালত অবমাননার মামলা করার অনুমতি চায় সিবিআই। 

    সিবিআইয়ের দাবি

    ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনহাটায় নিশীথ প্রামাণিকের গাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার তদন্তভার সিবিআই-কে দেয় আদালত। নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে সিবিআই ঘটনার তদন্ত করুক বলে রায় দেয় প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। নথি হস্তান্তরের জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু সিবিআই-এর অভিযোগ, এখনও সেই নথি হস্তান্তর করেনি রাজ্য পুলিশ। ফলে তদন্তে অসুবিধা হচ্ছে। মঙ্গলবার আদালতকে সিবিআই জানায়, পুলিশ মামলার নথি হস্তান্তর করছে না। ফলে তদন্তের কাজও শুরু করা যাচ্ছে না। সিবিআইয়ের দাবি, এর মধ্যে দিয়ে পুলিশ আদালত অবমাননা করেছে। তাই পুলিশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করার অনুমতি চাওয়া হয়। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ব্রেক ইন্ডিয়া ব্রিগেডকে রুখবে আত্মনির্ভর বাংলা’’! আহতকে দেখতে এসএসকেএমে রাজ্যপাল

    মামলা দায়েরের অনুমতি

    সিবিআইয়ের আবেদনে সাড়া দিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন সিবিআইকে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে। চলতি সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। মার্চ মাসের ৩১ তারিখেও হাইকোর্টের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চে সিবিআইয়ের অভিযোগ করেছিল, নিশীথ প্রামাণিকের মামলায় সিবিআইয়ের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা করছে না রাজ্য পুলিশ। গত শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, যেহেতু এখনও পর্যন্ত কোনও স্থগিতাদেশ নেই, তাই এই আদালত চায়, তার নির্দেশকে মান্যতা দেওয়া হোক। কিন্তু তারপরও পরিস্থিতি বদলায়নি বলে অভিযোগ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Civic Volunteer: সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ, সিআইডি তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Civic Volunteer: সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ, সিআইডি তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খরচ বাঁচাতে এবং দলীয় কর্মীদের খুশি করতে স্থায়ী পুলিশ কর্মী নিয়োগ না করে অস্থায়ী সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer) নিয়োগ করেছিল তৃণমূল (TMC) পরিচালিত রাজ্য সরকার। সেই সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগে জেরবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার। সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন সময়। তার পরেও টনক নড়েনি রাজ্য সরকারের। এবার মুখ পুড়ল কলকাতা হাইকোর্টে। কল্যাণীর ঈশ্বর গুপ্ত সেতুতে গাড়ি থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে।

    সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer)…

    কল্যাণী পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের দায়ের করা পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার মামলায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। শুক্রবার ওই মামলার প্রেক্ষিতে বিচারপতি মান্থা বলেন, যেহেতু এ ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধেও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে, তাই নিরপেক্ষ সংস্থা হিসেবে সিআইডি তদন্ত করবে। প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের (Civic Volunteer) বিষয়ে নির্দেশিকা তৈরি করতে রাজ্য পুলিশের আইজিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা। মামলাকারীর আবেদনের ভিত্তিতে এই মামলায় অংশ নেয় সিবিআইও। বিচারপতি মান্থা জানান, আগামী ১৩ এপ্রিল সিআইডি রিপোর্ট দেবে। সেদিনই হবে পরবর্তী শুনানি।

    ঈশ্বর গুপ্ত সেতুতে বালির ট্রাক আটকে ২ সিভিক ভলান্টিয়ার তোলাবাজি করছিলেন বলে অভিযোগ। পরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। তোলাবাজির পাশাপাশি হুমকি দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। তার ভিত্তিতেই রাজকুমার মান্না ও আশিকুল রহমান নামে অভিযুক্ত দুজনক গ্রেফতার করা হয়। তোলা চেয়ে হুমকি, তোলা না দেওয়ায় টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুুন: ‘ডিগ্রি দেখানোর প্রয়োজন নেই মোদির’, জানিয়ে দিল গুজরাট হাইকোর্ট

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে রাজ্য পুলিশ রীতিমতো সার্কুলার দিয়ে জানায়, আইন-শৃঙ্খলাজনিত কোনও দায়িত্বপূর্ণ কাজ সিভিক ভলান্টিয়ারদের (Civic Volunteer) দিয়ে করানো যাবে না। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে জারি করা হয়েছিল ওই সার্কুলার। সার্কুলারে এও বলা হয়েছিল, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পুলিশকে সহযোগিতা করবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। বিভিন্ন উৎসবে ভিড় সামলাতে, বেআইনি পার্কিং রুখতে, মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পুলিশের সাহায্যকারীর ভূমিকায় থাকবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। এই প্রথম নয়, এর আগেও সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। তবে হাইকোর্টের নির্দেশের পর জারি করা হয় সার্কুলার। রাজ্য পুলিশের এক কর্তা বলেন, সদ্য জারি হয়েছে নয়া নির্দেশিকা। এর পরেও অভিযোগ আসে কি না, দেখা প্রয়োজন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: ‘মানিকের জুতোয় পা গলাবেন না’, পর্ষদ সভাপতিকে বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়   

    Justice Abhijit Ganguly: ‘মানিকের জুতোয় পা গলাবেন না’, পর্ষদ সভাপতিকে বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানিক ভট্টাচার্যের রেখে যাওয়া জুতোয় পা গলাবেন না। শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালকে এ কথা বললেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। গৌতমকে এদিন ভর্ৎসনাও করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তার পরেই বলেন, মানিক ভট্টাচার্যের রেখে যাওয়া জুতোয় পা গলাবেন না। মাথা নেড়ে গৌতম বলেন, আচ্ছা ধর্মাবতার।

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেন…

    ২০১৪ সালের টেট সার্টিফিকেট দিতে দেরি হচ্ছে, এমন অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। সব শুনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদ সভাপতিকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মতো শুক্রবার আদালতে হাজিরা দেন গৌতম। তিনি জানান, আর্থিক কিছু সমস্যার কারণে এত দিন পরীক্ষার্থীদের শংসাপত্র দেওয়া সম্ভব হয়নি। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে তা দিয়ে দেওয়া হবে বলে আদালতকে জানান তিনি। এই প্রসঙ্গেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, আমার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাতারাতি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সময় টাকা থাকে, আইনজীবীদের পিছনে ৩০ লাখ টাকা খরচ করার সময় অসুবিধা হয় না, অথচ টেটের শংসাপত্র দেওয়ার সময় অর্থনৈতিক রীতিনীতির দোহাই দেওয়া হয়।

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এত ভূরি ভূরি অনিয়মের অভিযোগ আসছে এবং আদালতের কাছে এত তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, যার ভিত্তিতে ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে সংগঠিত হওয়া ২০১৬-র নিয়োগ প্রক্রিয়া খারিজ করে দেওয়া যায়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যে, এটা করলে কিছু বৈধভাবে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। তিনি বলেন, একজনও বৈধ প্রার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমার ভাল লাগবে না। এখনও এই দুর্নীতিকে ঢাকতে কিছু দালাল বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: মুকুল কতবড় আইনজীবী দেখতে হবে তো! বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    প্রসঙ্গত, দু দিন আগে নিয়োগ কেলেঙ্কারির একটি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেছিলেন, নির্দ্বিধায় মিথ্যে বলা অভ্যাস রয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের। মানিককে জেরা করা নিয়ে সিবিআইয়ের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেছিলেন, এটা কোনও জেরা হয়েছে? এর থেকে তো আমি ভাল জিজ্ঞাসাবাদ করি। কলকাতা হাইকোর্টের অনেক আইনজীবীও এর থেকে ভাল জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। তদন্ত শেষ করতে হবে তো!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
     
  • Mukul Rohatgi: মুকুল কতবড় আইনজীবী দেখতে হবে তো! বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Mukul Rohatgi: মুকুল কতবড় আইনজীবী দেখতে হবে তো! বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে চাকরি খোয়ানো কর্মপ্রার্থীদের একাংশের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) সওয়াল করছেন আইনজীবী মুকুল রোহতগি (Mukul Rohatgi)। প্রবীণ এই আইনজীবী এক সময় কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলায় সওয়াল করতে গিয়ে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) বিরুদ্ধে রুলিংয়ের দাবি জানিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, মুকুল রোহতগি কে? তাঁকে একবার দেখতে চাই। তিনি কত বড় আইনজীবী দেখতে হবে তো!

    মুকুল রোহতগি (Mukul Rohatgi)…

    প্রসঙ্গত, বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর এজলাসে মুকুল রোহতগি (Mukul Rohatgi) বলেন, কলকাতা হাইকোর্টে একজন মহামান্য বিচারপতি রয়েছেন। যিনি কথায় কথায় দু হাজার, পাঁচ হাজার জনকে চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের নির্দেশ দিচ্ছেন। সকালে নির্দেশ দিয়ে বলছেন, বিকেলের মধ্যে বরখাস্ত করতে হবে। যাঁদের চাকরি যাচ্ছে, তাঁদের কথা শোনা হচ্ছে না। উনি কলকাতা হাইকোর্টের কোনও রোস্টারও মানছেন না। সংবাদ মাধ্যমে ইন্টারভিউ দিয়ে রুল জারির হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের রুলিং দেওয়া উচিত। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য সেই দাবি মানেনি।

    আরও পড়ুুন: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলার ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দারস্থ শুভেন্দু

    এদিকে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর সিবিআই-ইডির যৌথ তদন্তের যে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট দিয়েছিল, তার ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশের পর প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিলই হল না। শুধুমাত্র ডায়েরি নম্বরের ভিত্তিতে তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়ে দেওয়া হল। এর পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বলে কি যা ইচ্ছা করা যায়? জমিদারি নাকি? প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর গত ২ মার্চ সিবিআই ও ইডির যৌথ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। ঘটনাটি অবশ্য ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার। ওই বছর টেটের ফলের ভিত্তিতে ২০২০ সালে নিয়োগ তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া যথাযথ নিয়ম মেনে হয়েছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখার জন্য ইডি ও সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: স্বেচ্ছাবসর চান নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গঠিত সিট কর্তা, আদালতের দ্বারস্থ সিবিআই

    SSC Scam: স্বেচ্ছাবসর চান নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গঠিত সিট কর্তা, আদালতের দ্বারস্থ সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক কেলেঙ্কারি (SSC Scam) মামলায় গঠিত হয়েছিল সিবিআইয়ের (CBI) সিট। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশেই গঠিত হয়েছিল সিট। এবার সেই সিটেরই সদস্য ধরমবীর সিংহ (Dharambir Singh) চাইলেন স্বেচ্ছাবসর নিতে। ঘটনার জেরে শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। ধরমবীর সিবিআইয়ের এসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক। তিনিই জানিয়েছেন স্বেচ্ছাবসরের আর্জি। কিন্তু যেহেতু সিট গঠন করেছে কলকাতা হাইকোর্ট, তাই আদালতের অনুমতি ছাড়া ধরমবীরের এই আবেদনে সাড়া দেওয়া সম্ভব নয় সিবিআইয়ের। বিষয়টি দ্রুত খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সিটে কয়েকজন বাঙালি অফিসার রাখার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলেও এদিন আদালতে জানান সিবিআইয়ের আইনজীবী।

    প্রাথমিক কেলেঙ্কারি (SSC Scam) মামলা…

    সিবিআইয়ের প্রাক্তন অতিরিক্ত অধিকর্তা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসের সুপারিশ মেনে প্রাথমিক শিক্ষক কেলেঙ্কারির (SSC Scam) তদন্তে সিবিআইকে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সময় উপেন জানিয়েছিলেন, সিট গঠিত হলে সিটের সদস্যরা কেবল এই মামলারই তদন্ত করবেন। তাঁরা অন্য কোনও মামলায় ব্যস্ত হতে পারবেন না। আদালতের নজরদারিতে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তাহলে প্রধানমন্ত্রীও প্রভাব খাটাতে পারবেন না। উপেন এও জানিয়েছিলেন, এই কেলেঙ্কারির তদন্তে তিনি সিবিআইকে সব রকম সহযোগিতা করবেন। এর পরেই উপেনের সুপারিশ মেনে গঠন করা হয় সিট।

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক শিক্ষক কেলেঙ্কারির দুই মামলায় তদন্তের জন্য একটি সিট গঠন করতে হবে সিবিআইকে। সিবিআই আদালতকে জানিয়ে দেবে, সিটের সদস্য কারা। প্রাথমিক শিক্ষক কেলেঙ্কারি মামলায় তদন্ত চলাকালীন সিটের কোনও সদস্য অন্য কোনও মামলার তদন্ত করতে পারবেন না। আদালতের অনুমতি ছাড়া এই মামলা থেকে বেরিয়েও যেতে পারবেন না তাঁরা। আদালতের নজরদারিতে হবে পুরো মামলার তদন্ত (SSC Scam)। তাই ধরমবীর চাইলেই স্বেচ্ছাবসর নিতে পারবেন না। সেই কারণেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    আরও পড়ুুন: স্বস্তিতে জিতেন্দ্র তেওয়ারি! কয়লাকাণ্ডে তাঁর বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশ মতো আগেই সিটের সদস্যদের নাম জমা দিয়েছিল সিবিআই। তারা জানিয়েছিল, ছয় আধিকারিককে নিয়ে সিট গঠন করা হয়েছে। সিবিআই জানিয়েছিল, তদন্তকারী দলের মাথায় রয়েছেন এসপি পদমর্যাদার আধিকারিক। একজন পুলিশ সুপার, দুজন ডিএসপি এবং তিনজন ইনস্পেক্টর। তদন্তে কলকাতা শাখার প্রধান রাজীব মিশ্র ও পূর্বাঞ্চলের যুগ্ম অধিকর্তা বেণুগোপাল নজরদারি করবেন বলেও জানিয়েছিল সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

LinkedIn
Share