Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির নেপথ্যে আরও কারা? ফের এফআইআর দায়ের, নতুন করে তদন্ত সিবিআইয়ের

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির নেপথ্যে আরও কারা? ফের এফআইআর দায়ের, নতুন করে তদন্ত সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশে ২০২০ সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) তদন্তে নতুন করে এফআইআর করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। ওই বছর প্রাথমিকে ১৬ হাজার ৫০০ পদে নিয়োগে দুর্নীতির (SSC Scam) প্রমাণ পাওয়ায় এ নিয়ে সিবিআইকে তদন্ত করার জন্য গত ২ মার্চ নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পৃথক এফআইআর করারও অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্ট। আদালত সেই নির্দেশ দেওয়ার পরে শনিবার, ১৮ তারিখ এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই।

    নয়া অভিযোগ

    নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) নেপথ্যে থাকা অনেক মাথাই এখনও আড়ালে রয়ে গিয়েছে আশঙ্কা করে সিবিআইকে পদক্ষেপ করতে বলেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গত ২ মার্চ ওই শুনানিতে বিচারপতি বলেছিলেন, সিবিআইয়ের সঙ্গে ইডিও এই মামলার তদন্ত করবে। তাদের ২০ এপ্রিলের মধ্যে এ বিষয়ে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শনিবার ১৮ মার্চ এই সংক্রান্ত এফআইআর দায়ের করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এফআইআরে সিবিআই জানিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অজ্ঞাত পরিচয় কিছু কর্মী এবং কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুুন: ‘তৃণমূল নেতাদের রাঁধুনি হলেও মিলবে ৬০ লক্ষ টাকা’! কটাক্ষ সুকান্তর

    সিবিআই-এর এফআইআর-এ নামোল্লেখ না করে নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আধিকারিকদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। এঁদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, তথ্য-বিকৃতি, অপরাধের জন্য সরকারি নথি জাল-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ২০২০-র বেআইনি নিয়োগের নেপথ্যে অন্যতম প্রধান চক্রী হিসেবে আদালত চিহ্নিত করেছে এস বসু রায় এন্ড কোম্পানিকে। ২০১৪ সালের টেটের উত্তরপত্র মূল্যায়নের বরাত পেয়েছিল ওই কোম্পানি। তাঁদের দেখা উত্তরপত্রে যোগ্যদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের বেশি নম্বর পাইয়ে দিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিচারপতি সিবিআইকে বলেছিলেন, কী ভাবে পর্ষদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব এই সংস্থাকে দেওয়া হল, তা খতিয়ে দেখতে হবে। এই সমস্ত বিষয়টি সামনে আসতেই নতুন করে এ ব্যাপারে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেয় আদলত। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: আইনজীবী সঞ্জয় বসুকে রক্ষাকবচ! হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে ইডি

    Supreme Court: আইনজীবী সঞ্জয় বসুকে রক্ষাকবচ! হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইনজীবী সঞ্জয় বসুকে রক্ষাকবচ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ ইডি। চিটফান্ড মামলায় কলকাতার আইনজীবী সঞ্জয় বসুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। পরে তাঁকে ইডি দফতরে তলবও করা হয়। এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সঞ্জয় বসু। তাঁর আবেদন মেনে তাঁকে রক্ষাকবচ দেয় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। কেন তাঁকে রক্ষাকবচ দেওয়া হল, এবার তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির আবেদন শীর্ষ আদালত (Supreme Court) গ্রহণ করেছে। আগামী সপ্তাহে মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আদালত সূত্রের খবর।

    কেন শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ ইডি? 

    পিনকন নামে ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার মামলাতেই নাম জড়িয়েছিল আইনজীবী সঞ্জয় বসুর। তাঁর বাড়ি, অফিসে ইডি তল্লাশি চালায় কিছুদিন আগে। দীর্ঘক্ষণ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। সঞ্জয় বসু আদালতে জানান, তাঁকে রীতিমতো হয়রান হতে হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সঞ্জয় বসুর বাড়িতে তল্লাশি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। সঞ্জয়কে ইডি নোটিস পাঠানোর পরে ক্ষোভপ্রকাশ করে মমতা বলেছিলেন ‘‘ও আমার আইনজীবী। তাই ওকে হেনস্থা করছে।’’ এরপর গত বুধবার গ্রেফতারির আশঙ্কায় রক্ষাকবচ চেয়ে আগেভাগেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সঞ্জয়। সেই মামলায় বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি বিশ্বরূপ ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। তাঁকে নোটিস দিতে পারবে না ইডি। তাঁর অফিস বা বাড়িতে তল্লাশি চালাতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এমনকি, কোনও কিছু বাজেয়াপ্তও করতে পারবে না তারা।

    আরও পড়ুন: বাড়ল কেষ্টর সিবিআই হেফাজতের মেয়াদও! গরু পাচারকাণ্ডে বোলপুরের রাজমিস্ত্রিকে তলব ইডির

    ইডি সূত্রের দাবি, ১ মার্চ প্রায় ২২ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশির পর সঞ্জয়ের বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। তার পরই তাঁকে ইডির দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরা দিতে বলা হয়। হাজিরা এড়াতেই নয়া কৌশল নেন সঞ্জয়। তাই হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: রাজ্যে মিটিং-মিছিল নিয়ে নয়া নির্দেশ হাইকোর্টের! কী বিধি দিলেন বিচারপতি মান্থা?

    Calcutta High Court: রাজ্যে মিটিং-মিছিল নিয়ে নয়া নির্দেশ হাইকোর্টের! কী বিধি দিলেন বিচারপতি মান্থা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে  মিছিল, মিটিং, রাজনৈতিক কর্মসূচির (Political Rally) ব্যাপারে বিধি বেঁধে দিলেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। কলকাতা হাই কোর্ট জানিয়ে দিল, এখন থেকে থানা নয় পুলিশ সুপার বা কমিশনারেটদের কাছে আবেদন করতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে। একইসঙ্গে শাসকদলের মতো বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সভা, মিছিলের অনুমতির ক্ষেত্রে পুলিশ সুপার বা কমিশনারেট সমান নীতি বজায় রাখবে এবং কোনও বাছবিচার করবে না বলেও আশা প্রকাশ করেছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

    মিছিল-মিটিং নিরপেক্ষ থাকতে হবে পুলিশকে

    ভাঙড়ে মিছিল করার অনুমতি না পেয়ে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের করেছিল সিপিএম। সেই মামলার শুনানি শেষে শুক্রবার  এ ব্যাপারে একটি সার্বিক নীতি তৈরি করে দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা। বিচারপতি বলেছেন, ‘‘আশা করছি, রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর মধ্যে বাছবিচার বা পক্ষপাতিত্ব না করে কোনও কর্মসূচি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে পুলিশ।’’ কোন দল, কোন তারিখ কোথায় কর্মসূচি করার জন্য আবেদন করল তা নথিবদ্ধ করে রাখতে হবে পৃথক রেজিস্টারে। কে কখন আবেদন জমা দিচ্ছে তারও উল্লেখ থাকতে হবে। ক্রমিক সংখ্যা ধরে সেইসব আবেদন বিবেচনা করে অনুমতি দেবে পুলিশ। কতজন যোগ দিতে পারে তার আনুমানিক সংখ্যা, কোথায় করতে চায় সেই জায়গা বা মিছিলের রুট জানতে হবে পুলিশকে। স্থানীয় থানা শান্তিশৃঙ্খলার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের আবেদন অনলাইনে যাতে সবাই দেখতে পায় তাও সুনিশ্চিত করতে হবে জেলা পুলিশ সুপারের অফিসকে।

    আরও পড়ুন: বনির পর কুন্তলের থেকে নেওয়া টাকা ফেরালেন সোমাও ! ইডির নজরে আর কোন টলি-তারকা?

    রাজ্যে বিরোধী দলগুলি বরাবরের অভিযোগ মিটিং-মিছিলের অনুমতি মেলে না পুলিশের তরফে। সম্প্রতি ভাঙড়ে সিপিএমের সভার অনুমতি নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। শেষে আদালতের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয় সিপিএম। আদালতের হস্তক্ষেপে কাটল সভা সংক্রান্ত জট। ২৮ মার্চ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর মিছিলে অনুমতি দিতে পুলিশের আপত্তি নেই বলে এদিন আদালতে জানান রাজ্যের আইনজীবী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • WB School Service Commission: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসির আইন চ্যালেঞ্জ করে মামলা হাইকোর্টে

    WB School Service Commission: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসির আইন চ্যালেঞ্জ করে মামলা হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় এবার এসএসসির (WB School Service Commission) আইন বদলের দাবি উঠল। কমিশনের ১৭ নম্বর ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা রুজু হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মামলাকারীদের দাবি, কমিশনের ১৭ নম্বর ধারা বাতিল করা হোক। এই বিষয়ে রাজ্য সরকার, এসএসসি (SSC) এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে হলফনামা তলব করেছে হাইকোর্ট। ৩ এপ্রিলের মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৩ এপ্রিল।

    এসএসসির (WB School Service Commission) আইন বদলের দাবি…

    সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ২০১৬ সালের নবম-দশমে চাকরির পরীক্ষায় ব্যাপক গরমিল হয়েছে বলে অভিযোগ। সিবিআইয়ের দাবি, ৯৫২টি ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছে। অনেকে সাদা খাতা জমা দিলেও, এসএসসির সার্ভারে কারও প্রাপ্ত নম্বর ৫০, কারও ৫২, কারও আবার ৫৩। গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া ওএমআর শিটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ৯৫২ জনের মধ্যে ১৩ জন। মামলায় (WB School Service Commission) যুক্ত হতে চেয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে আবেদন জানান তাঁরা। যদিও তাঁদের সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    ৮ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এঁদের সুপারিশপত্র বাতিলের নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের এই দুই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে ৯৫২ জনের একাংশ। সেই সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চও। তার পরেই কমিশন ১৭ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে প্রথমে ৬১৮ জনের সুপারিশপত্র বাতিল করে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বাতিল করে নিয়োগপত্র।

    আরও পড়ুুন: মুখ্যমন্ত্রী সবাইকে নিজের মতো প্রতিভাবান ভাবছেন! কেন একথা বললেন সুকান্ত?

    কমিশনের (WB School Service Commission) এই ১৭ নম্বর ধারা বাতিলের আবেদন জানিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। কমিশনের এই ধারাকে অবৈধ ঘোষণার দাবি জানানো হয়। প্রসঙ্গত, এই ধারায়ই কোনও চাকরিপ্রার্থীর সুপারিশ বাতিলের ক্ষমতা দেওয়া আছে কমিশনকে। যদি কোনও চাকরি প্রার্থীকে দেওয়া সুপারিশপত্রে কোনও ভুল থাকে তবেই কমিশন এই ধারা প্রয়োগ করতে পারে। প্রসঙ্গত, ওই ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনের চাকরি বাতিল নিয়ে পদক্ষেপ শুরু করেছে এসএসসি। তাঁদের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৬১৮ জনের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করে স্কুল সার্ভিস কমিশন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: নিয়োগ খারিজ করার হুঁশিয়ারি! এসএসসির চেয়ারম্যানকে আদালতে তলব বিচারপতির

    Calcutta High Court: নিয়োগ খারিজ করার হুঁশিয়ারি! এসএসসির চেয়ারম্যানকে আদালতে তলব বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে এসএসসির চেয়ারম্যানকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Calcutta High Court)। আগামী শুক্রবার রিপোর্ট নিয়ে হাজির থাকার নির্দেশ দিলেন তিনি। এদিন ২০১১ সালের প্রাথমিক টেটে প্রশ্ন ভুলের অভিযোগ ঘিরে একটি মামলায় কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তিনি কমিশনের উদ্দেশ্যে বলেন, “আদালতের সঙ্গে খেলবেন না। আপনারা নিয়োগ করছেন,আবার আপনারাই ভুল প্রশ্ন করছেন? সব পরিকল্পিত। বলতে দ্বিধা নেই, একটা গোটা প্রজন্মের ভবিষ্যত নিয়ে খেলছে কমিশন।”

    কোন মামলায় এমন মন্তব্য বিচারপতির?

    ২০১১ সালের আপার প্রাইমারি প্রার্থীদের পরীক্ষায় ভুল ও সিলেবাসের বাইরের প্রশ্ন করেছিল এসএসসি (SSC)। এমনটাই অভিযোগ তুলে মামলা করেছিলেন ৮৩ জন। মামলাকারীদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী শামিম আহমেদ। গত বছর জুন মাসে মামলাকারীদের নম্বর দিতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট (Calcutta High Court। কিন্তু কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে সেই নম্বর না দেওয়ায় এসএসসি-কে চরম ভর্ৎসনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

    আরও পড়ুন: মিড ডে মিলের হিসেব খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় অডিট দল, ট্যুইট শুভেন্দুর

    আর কী বললেন বিচারপতি?

    এদিন তিনি (Calcutta High Court হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আপনাদের প্রতিটি পদক্ষেপ সন্দেহজনক। আপনাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। প্রয়োজনে সব নিয়োগ খারিজ করে দেব। আমি সব নিয়োগে সন্দেহ করছি। আমাকে বাধ্য করবেন না আরও কড়া পদক্ষেপ করতে। আপনারা ভেবেছেন কী? আপনারা কোর্টের নির্দেশের উপরে খবরদারি করছেন! আগেও এই মামলায় আমি বলেছিলাম, দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু আজও দেখছি সেই একই পথে হাঁটছে এসএসসি।”

    ভর্ৎসনার শেষে এদিন আদালত (Calcutta High Court স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে জানায়, এই মামলায় এসএসসি-র চেয়ারম্যান যে হলফনামা দিয়েছেন, তা গ্রহণযোগ্য নয়। এরপরেই  আগামী শুক্রবার, ২৪ মার্চ রিপোর্ট নিয়ে কমিশনের চেয়ারম্যানকে সশরীরে হাজির থাকার নির্দেশ দেন বিচারপতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

     

  • Mamata Banerjee: কলকাতা হাইকোর্টে মিলল না মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অনুমতি  

    Mamata Banerjee: কলকাতা হাইকোর্টে মিলল না মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অনুমতি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন বহু অযোগ্য প্রার্থী। তাঁদের হয়ে সওয়াল করার অভিযোগ উঠেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে। তার জেরে তাঁর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে আদালত অবমাননার মামলা করার ব্যাপারে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু আদালত ওই অনুমতি দেয়নি। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, বিষয়টি তারা বিবেচনা করে দেখবে।

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে অভিযোগ…

    মঙ্গলবার আলিপুর আদালতের একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বক্তব্যের একটি অংশ নিয়ে অভিযোগ করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, প্রধান বিচারপতি এখানে নেই, আমি সুব্রতদাকে বলব, যিনি এখানে আছেন, এটা আমার ব্যক্তিগত মত, দয়া করে এত সহজে চাকরি কেড়ে নেবেন না। ওই অনুষ্ঠানে চাকরি বাতিল নিয়ে করা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের একাধিক অংশেরও বিরোধিতা করেছেন বিকাশ।

    প্রসঙ্গত, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, প্রাইমারি, নবম-দশম সব মামলা হাইকোর্টের বিচারপতি তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন। তার পরেও আলিপুর আদালতের ওই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জেনেশুনে কোনও অন্যায় করিনি। আমরা ক্ষমতায় আসার পর একটা সিপিএম ক্যাডারের চাকরি খাইনি। মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি, যাঁরা অন্যায় করেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। রোজ কথায় কথায় চাকরি বাদ দিচ্ছে। কালও দুজন আত্মহত্যা করেছে। যদি কেউ ভুল করে তার দায় কেন সবাই নেবে। তিনি বলেন, একটু ভেবে দেখবেন। ছেলেমেয়েরা যেন অবিচারের শিকার না হয়, তাঁদের চাকরিটা আইন অনুযায়ী ফিরিয়ে দিন।

    আরও পড়ুুন: নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি? কমিটির সদস্যের মন্তব্যে জল্পনা!

    বিকাশের যুক্তি, আদালতের নির্দেশে যখন অযোগ্যদের চাকরি বাতিল হচ্ছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) এমন মন্তব্য করলেন কেন? এই প্রশ্ন তুলে আদালত অবমাননার মামলার আবেদন জানানো হয় হাইকোর্টে। বুধবার স্বতঃপ্রণোদিত আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণের আবেদন জানান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সহ কয়েকজন আইনজীবী। বৃহস্পতিবার সে ব্যাপারেই আদালত জানায়, বিষয়টি তারা বিবেচনা করে দেখবে। এদিন আদালতে হলফনামা জমা দেন বিকাশ। হলফনামার সারমর্ম হল, আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করুক। তখনই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বিকাশের উদ্দেশে বলেন, আপনি কেন মামলা দায়ের করছেন না?  তখন বিকাশ বলেন, তাঁর হলফনামায় একাধিক মামলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যাতে স্পষ্ট, মুখ্যমন্ত্রী আদালত অবমাননা করেছেন। তিনি বলেন, কারচুপি করে যাদের নিয়োগ করা হয়েছিল, তাদের চাকরি যাচ্ছে আদালতের নির্দেশে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর এ হেন বক্তব্য আদালত অবমাননা ও বিচার ব্যবস্থার ওপর চাপ তৈরির কৌশল।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Rajasekhar Mantha: বিচারপতি মান্থার বাড়ির সামনে পোস্টার কাণ্ডে অভিযুক্ত ৬ জনকে তলব আদালতের

    Rajasekhar Mantha: বিচারপতি মান্থার বাড়ির সামনে পোস্টার কাণ্ডে অভিযুক্ত ৬ জনকে তলব আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) এজলাসে বিক্ষোভ, বাড়ির সামনে পোস্টার মামলায় পুলিশ কমিশনারের রিপোর্টে নাম থাকা ৬ ব্যক্তিকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এর পাশাপাশি সিসি ফুটেজ দেখে এজলাসের বাইরে বিক্ষোভে যুক্ত থাকা আইনজীবীদের শনাক্ত করে, তাঁদের নাম মুখবন্ধ খামে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল বার অ্যাসোসিয়েশনকে। আবার হাইকোর্ট তীব্র ভর্ৎসনাও করেছে পুলিশকে। আদালতের তরফে বলা হয়েছে, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বাড়ির সামনে পোস্টার লাগানোর ঘটনায় পুলিশ মোটেও ঠিকমত তদন্ত করছে না। এমনই অভিযোগে রীতিমত বিরক্তি প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট।

    আদালতের তরফে কী বলা হল?

    গত ৯ জানুয়ারি বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) বেঞ্চ বয়কট ও এজলাসে ঢোকার দরজা আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় আইনজীবীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল৷ সেই ঘটনায় গতকাল অভিযুক্ত আইনজীবীদের নাম গোপন খামে হাইকোর্টের তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চে জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ আবার পোস্টার লাগানোর ঘটনায় ৬ জনকে আগামী শুনানির দিন আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি টিএস শিবাগননম, বিচারপতি আইপি মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাসের বিশেষ বেঞ্চ।

    আরও পড়ুন: নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি? কমিটির সদস্যের মন্তব্যে জল্পনা!

    বিচারপতি আরও নির্দেশ দেন, ৯ জানুয়ারি বিচারপতি মান্থার এজলাসের বাইরে বিক্ষোভে যুক্ত থাকা আইনজীবীদের, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজের মাধ্যমে শনাক্ত করতে হবে।

    পুলিশকে ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি টিএস শিবাগননম

    বুধবার শুনানি চলাকালীন আদালত বলে, “তদন্তের নামে আদালতের সঙ্গে লুকোচুরি খেলবেন না। তদন্ত শামুকের গতিতে হচ্ছে না ঘোড়ার গতিতে, সেটা আমরা দেখব। পুলিশকে সঠিক নাম দিন। একজনের পরিবর্তে আর একজনের নাম দেওয়া ঠিক হবে না।” আবার পুলিশকে ভর্ৎসনা করেছেন বৃহত্তর বেঞ্চের বিচারপতি টি এস শিবাগননম। শুধু তাই নয়, পুলিশ কমিশনারের তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্টও খুলে দেখলেন না বিচারপতি। ২৭ মার্চ, বিচারপতি টিএস শিবাগননম, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাসের বৃহত্তর বেঞ্চে হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে জোর ধাক্কা কলকাতা পুলিশের, কৌস্তভের বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে জোর ধাক্কা কলকাতা পুলিশের, কৌস্তভের বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের দায়ের করা এফআইআর-এর তদন্তে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আদালত জানাল, ‘কোর্টের অনুমতি ছাড়া কৌস্তভের বিরুদ্ধে কোনও থানা পদক্ষেপ করতে পারবে না।’ কৌস্তভের দায়ের করা আবেদনের শুনানিতে বুধবার ৪ সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এছাড়াও মাঝরাতে কংগ্রেস নেতার বাড়ি গিয়ে গ্রেফতার করার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে আদালতে রিপোর্ট পেশ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা।

    হাইকোর্টে জোর ধাক্কা কলকাতা পুলিশের

    গত ৪ মার্চ কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের বড়তলা থানা। গভীর রাতে কৌস্তভের বাড়ি গিয়ে তাঁকে জেরা করে গ্রেফতার করেন পুলিশ আধিকারিকরা। গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়। কিন্তু সেদিনই বিকেলে আদালত থেকে মাত্র ১০০০ টাকার বন্ডে জামিন পান কৌস্তভ। এরপরেই পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন কৌস্তভ। সেই মামলায় আপাতত স্বস্তি পেলেন আইনজীবী। তবে অন্যদিকে চাপ বাড়ল রাজ্য পুলিশের। কারণ তদন্তর উপর স্থগিতাদেশ তো দিয়েছেই, এর পাশাপাশি পুলিশ কমিশনারকে পুলিশের অভিযান নিয়েও রিপোর্ট তলব করেছে আদালত।

    আরও পড়ুন: ইডি-র ডাকে সিজিও-তে কুন্তল-পত্নী, নিজামে সিবিআইয়ের জেরা ‘কালীঘাটের কাকু’-কে

    বিচারপতি মান্থা কী বলেছেন?

    এদিন মামলার শুনানিতে বুধবার বিচারপতি মান্থা বলেন, “কোনও নোটিশ না পাঠিয়ে নাগরিকের অধিকার ক্ষুণ্ণ করেছে পুলিশ। কীসের ভিত্তিতে মাঝরাতে কৌস্তভের বাড়িতে গিয়েছিল পুলিশ? সারা রাত তাঁর বাড়িতে থেকে পরদিন সকালে কীসের ভিত্তিতে গ্রেফতার? পুলিশের এই ভূমিকা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের বিরোধী। এক্ষেত্রে বড়তলা থানার ভূমিকা খতিয়ে দেখে ৩ সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিপিকে। আগামী ৪ সপ্তাহ কৌস্তভের বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর-এর তদন্তপ্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে।”

    এছাড়াও আদালত (Calcutta High Court) প্রাথমিক ভাবে মনে করছে, কৌস্তভ বাগচীকে হুমকি দেওয়ার আশঙ্কা থাকছে। ফলে আদালতের নির্দেশ, আগামী সোমবার সিআরপিএফ-কে জানাতে হবে, তারা নিরাপত্তা দিতে পারবে কি না। আপাতত ব্যারাকপুর পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে অন্তত পাঁচজন পুলিশের নিরাপত্তা দেওয়া হয় কৌস্তভের বাড়িতে। সশস্ত্র কনস্টেবলও দিতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে মিলল রক্ষাকবচ, অনুমতি ছাড়া সঞ্জয় বসুর বাড়িতে চলবে না তল্লাশিও

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে মিলল রক্ষাকবচ, অনুমতি ছাড়া সঞ্জয় বসুর বাড়িতে চলবে না তল্লাশিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি-র (ED) হাতে গ্রেফতারির আশঙ্কা করে আগেভাগেই রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আইনজীবী সঞ্জয় বসু (Sanjay Basu)। তিনি সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল। বুধবার তাঁকে রক্ষাকবচ দিল আদালত। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবারই নিজেদের দফতরে সঞ্জয়কে তলব করেছে ইডি। এদিনই তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন সঞ্জয়। সঞ্জয়ের আইনজীবী সপ্তাংশু বসুর দাবি, ভুয়ো অর্থনৈতিক সংস্থার একাধিক মামলায় রাজ্যের আইনজীবী ছিলেন তাঁর মক্কেল। তাই ইডি বারবার হেনস্থা করছে সঞ্জয়কে।

    সঞ্জয়ের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি…

    প্রসঙ্গত, ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার মামলায় তদন্তে নেমে সঞ্জয়ের আলিপুরের বাড়িতে ইতিমধ্যেই হানা দিয়েছে ইডি। ১ মার্চ সকালে তাঁর বাড়িতে ঢুকেছিলেন ইডির আধিকারিকরা। ২ মার্চ দুপুরের দিকে তাঁর বাড়ি থেকে বের হন তাঁরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, প্রায় ২২ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশির পর সঞ্জয়ের বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরেই ইডির দফতরে তলব করা হয় সঞ্জয়কে।

    এদিন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি বিশ্বরূপ ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয় মামলাটির। হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত সঞ্জয়কে কোনও নোটিশ দিতে পারবে না ইডি। তাঁর অফিস বা বাড়িতে তল্লাশিও চালাতে পারবে না। কোনও কিছু বাজেয়াপ্তও করতে পারবে না। সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে পারে বলে আদালত সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুুন: অযোগ্যদের চাকরির পক্ষে সওয়াল, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ

    সঞ্জয়ের বাড়িতে (Calcutta High Court) ইডির হানা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২ মার্চ দুপুরে নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ওরা (ইডি) গতকাল সঞ্জয়ের বাড়িতে ঢুকেছিল। আজ মেঘালয়ে ফল ঘোষণা পর্যন্ত ছিল। তিনি বলেন, সঞ্জয় রাজ্য সরকারের স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল। সরকারের অনেক কাগজপত্র স্বাভাবিকভাবেই ওর কাছে থাকে। ও আমারও আইনজীবী। ওকে আমি জিজ্ঞেস করেছি, এত তল্লাশি করে কী কী পেল? ও বলল, কিছু পায়নি। খালি আপনাদের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করছিল।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Mamata Banerjee: অযোগ্যদের চাকরির পক্ষে সওয়াল, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ

    Mamata Banerjee: অযোগ্যদের চাকরির পক্ষে সওয়াল, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন এতজনের চাকরি গেল? চাকরি গেলে খাবে কী? মঙ্গলবার এই সব প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নিয়োগ কেলেঙ্কারি (recruitment scam) সংক্রান্ত একগুচ্ছ মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) ও সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। এমতাবস্থায় আদালতের নির্দেশে যখন অযোগ্যদের চাকরি বাতিল হচ্ছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী এমন মন্তব্য করলেন কেন? এই প্রশ্ন তুলে আদালত অবমাননার মামলার আবেদন জানানো হল হাইকোর্টে। বুধবার স্বতঃপ্রণোদিত আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণের আবেদন জানান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সহ কয়েকজন আইনজীবী। আদালতের তরফে হলফনামা দাখিল করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি টিএস শিবগননমের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। আবেদনকারীর দাবি, সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারাধীন। ৭৮৫ জনের চাকরি গিয়েছে। আর মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, কেউ কেউ আত্মহত্যা করছেন।

    মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) বক্তব্যের যে অংশে আপত্তি…

    মঙ্গলবার আলিপুর আদালতের একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) বক্তব্যের একটি অংশ নিয়ে অভিযোগ করেন বিকাশ। তাঁর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, প্রধান বিচারপতি এখানে নেই, আমি সুব্রতদাকে বলব, যিনি এখানে আছেন, এটা আমার ব্যক্তিগত মত, দয়া করে এত সহজে চাকরি কেড়ে নেবেন না। ওই অনুষ্ঠানে চাকরি বাতিল নিয়ে করা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের একাধিক অংশেরও বিরোধিতা করেছেন বিকাশ।

    প্রসঙ্গত, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, প্রাইমারি, নবম-দশম সব মামলা হাইকোর্টের বিচারপতি তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন। তার পরেও আলিপুর আদালতের ওই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জেনেশুনে কোনও অন্যায় করিনি। আমরা ক্ষমতায় আসার পর একটা সিপিএম ক্যাডারের চাকরি খাইনি। মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি, যাঁরা অন্যায় করেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। রোজ কথায় কথায় চাকরি বাদ দিচ্ছে। কালও দুজন আত্মহত্যা করেছে। যদি কেউ ভুল করে তার দায় কেন সবাই নেবে। তিনি বলেন, একটু ভেবে দেখবেন। ছেলেমেয়েরা যেন অবিচারের শিকার না হয়, তাঁদের চাকরিটা আইন অনুযায়ী ফিরিয়ে দিন।

    আরও পড়ুুন: জামিনের আবেদন করলেন না পার্থ-অর্পিতা, জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়াল আদালত

    ওই অনুষ্ঠানে মমতা (Mamata Banerjee) বলেন, একজন চাকরি করছে বলেই বিয়ে করে সংসার করছে, চাকরি করে বলেই বাবা-মাকে দেখতে পারছে। হঠাৎ করে চাকরি চলে গেলে তারা খাবে কী? তাদের সন্তানদের মুখে কীভাবে খাবার তুলে দেবে? এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, যদি কোনও ভুল করে থাকে, তাকে সুযোগ দেওয়া হোক। দরকার হলে আবার পরীক্ষা দিক। নিয়োগ কেলেঙ্কারি ইস্যুতে এতদিন মামলা কিংবা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত নিয়ে একাধিকবার সুর চড়িয়েছেন মমতা। তবে এবার তিনি যেভাবে তিনি আদালতের নির্দেশে চাকরি হারানোদের হয়ে সওয়াল করলেন, তা কার্যত বেনজির বলেও মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share