Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Migrant Labour: পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কত? রাজ্যের হলফনামা তলব হাইকোর্টের

    Migrant Labour: পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কত? রাজ্যের হলফনামা তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে কাজ নেই। তাই ভিন রাজ্য তো বটেই, অন্য দেশেও চলে যাচ্ছেন এ রাজ্যের অনেক বাসিন্দা (Migrant Labour)। তবে তাঁদের সংখ্যাটি ঠিক কত, সেই খতিয়ান নেই রাজ্যের কাছে। মঙ্গলবার এ ব্যাপারে রাজ্যকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে এ ব্যাপারে তথ্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ।

    পরিযায়ী শ্রমিক (Migrant Labour)…

    রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কত তা জানতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন জনৈক বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ২০১১ সালে নয়া সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর তাঁরা রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছিলেন কতজন পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন। কিন্তু রাজ্য এতদিনেও সেই তথ্য জানিয়ে উঠতে পারেনি বলে অভিযোগ তাঁর। পরবর্তীকালে কোভিডের সময় যখন বহু পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফিরেছিলেন, সেই সময়ও রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি জানতে চাইলেও কোনও তথ্য মেলেনি বলে অভিযোগ। ২০২২ সালে আরটিআইয়ের মাধ্যমে মামলাকারী জানতে পারেন, রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কত, সে বিষয়ে কোনও তথ্য নেই রাজ্যের কাছে।

    এদিন এই জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানির সময় রাজ্যকে এ সংক্রান্ত তথ্য হলফনামা দিয়ে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। করোনা অতিমারি পর্বে রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Labour) ঢল দেখা গিয়েছিল। দীর্ঘদিন লকডাউনে আটকে থাকার পর অনেকেই লোটাকম্বল নিয়ে পায়ে হেঁটে রাজ্যে ফিরেছিলেন। কারণ সেই সময় ট্রেন, বাস সবই বন্ধ ছিল। অনেকেই পায়ে হেঁটে ভিটেয় ফিরলেও, অনেকেই পারেননি। তবে যাঁরা ফিরতে পেরেছিলেন এবং যাঁরা পারেননি, তাঁদের সংখ্যাটি ঠিক কত, সে সংক্রান্ত কোনও তথ্য রাজ্যের কাছে নেই বলেই অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ সংবিধান ভুলে গিয়েছে! দিনহাটায় পৌঁছেই বিস্ফোরক সুকান্ত

    অথচ পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর জেরে বারবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে বাংলা। এই তো মাস কয়েক আগে অরুণাচল প্রদেশে কাজে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল কোলাঘাটের বাসিন্দা ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের। সে রাজ্যের পুলিশ জানিয়েছে, প্রবল ঠান্ডার হাত থেকে রেহাই পেতে ঘরের মধ্যে আগুন জ্বালিয়েছিলেন তাঁরা। তার জেরে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁদের। এর আগে হরিয়ানার পানিপথে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের এক পরিযায়ী শ্রমিক (Migrant Labour) পরিবারের ৬ সদস্যের। তারও আগে মৃত্যু হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিকের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Rajasekhar Mantha: কাঁকুড়গাছিতে নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারকে ‘পর্যাপ্ত’ নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    Rajasekhar Mantha: কাঁকুড়গাছিতে নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারকে ‘পর্যাপ্ত’ নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২১ সালে বিধানসভা ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত বিজেপি কর্মীর দাদা বিশ্বজিৎ সরকার এবং তাঁর মা নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। অভিজিতের মাকে অভিযুক্তরা এসে হুমকি দিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। মামলা প্রত্যাহার না করলে প্রাণনাশের ভয়ও দেখানো হয়েছে। এরপরেই নিরাপত্তা চেয়ে মামলা দায়ের করে সরকার পরিবার। সোমবার এই মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে উঠেছে। সেই মামলাতেই ‘পর্যাপ্ত নিরাপত্তা’ দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Rajasekhar Mantha) নির্দেশ, শিয়ালদহ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের সময় তাঁদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে পুলিশকে।

    কী জানা গিয়েছে?

    অভিজিতের দাদা বিশ্বজিতের দাবি, শনিবার দুপুরে তাঁদের বাড়িতে বেশ কয়েকটা গুন্ডা নিয়ে পৌঁছন অভিযুক্তদের আইনজীবী (Rajasekhar Mantha)। অভিজিতের মা-কে সাদা কাগজে সই করার জন্য চাপ দিতে থাকেন তিনি। সই করতে অস্বীকার করলে ওই বৃদ্ধাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। মানসিক চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অভিজিতের মা। এমনকী তাঁকে এনআরএস হাসপাতালেও নিয়ে যেতে হয়। সেখানে চিকিৎসার পর বাড়ি নিয়ে আসেন বিশ্বজিৎবাবু।

    বিশ্বজিৎ বলেন, “আদালতের নির্দেশে আমাদের বাড়ির সামনে ২৪ ঘণ্টা পুলিশি নিরাপত্তা থাকে। থাকে সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারি। ঘটনার পর পুলিশকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখাতে বললে তারা জানায়, ক্যামেরা চালু হচ্ছে না।” এরপরেই আরও কড়া নিরাপত্তার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয় সরকার পরিবার।

    আরও পড়ুন: জার্মানিতে এসে কাজ করুন ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি ও দক্ষ কর্মীরা, আবেদন জার্মান চ্যান্সেলরের   
     
    সোমবারই বিজেপি কর্মী খুন মামলায় সাক্ষী দেওয়ার কথা ছিল বিশ্বজিৎ সরকার এবং তাঁর মায়ের (Rajasekhar Mantha)। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নারকেলডাঙা থানাকে নোটিস দিতে নির্দেশ দেন। 

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের (Rajasekhar Mantha) বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ আসে। ওই সময়ই ২ মে ফল ঘোষণার দিন কাঁকুড়গাছির শীতলাতলা লেনের বাসিন্দা অভিজিৎ সরকারের দেহ উদ্ধার করা হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করে অভিজিতের পরিবার। ভাইয়ের খুনিকে শাস্তি দেওয়ার জন্যে এতদিন লড়াই করছেন বিশ্বজিৎ। এই ঘটনায় নাম জড়ায় বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালের। পরেশকে ডেকে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Calcutta High Court: আদালত অবমাননার জের! প্রধান শিক্ষিকাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা বিচারপতি মান্থার

    Calcutta High Court: আদালত অবমাননার জের! প্রধান শিক্ষিকাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা বিচারপতি মান্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে এক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে আদালতের নির্দেশ অবমাননার অভিযোগে জরিমানা করল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চ স্কুল প্রধান শিক্ষিকাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। শুধু তাই নয়, সাতদিনের মধ্যে জরিমানার টাকা না দিলে বেতন থেকে টাকা কেটে নেওয়ার নির্দেশও দিল আদালত।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    সূত্রের খবর, পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে হাতকৃতি বালিকা বিদ্যালয়ে প্রায় পাঁচ বছর ধরে কর্মরত শিক্ষিকা হামিদা খাতুন। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরা হকরন গোকর্ণে। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় বদলির আবেদন জানান প্রধান শিক্ষিকার কাছে। অভিযোগ, প্রধান শিক্ষিকা তাতে কর্ণপাত করেননি। অবশেষে হামিদা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এরপর ২০২২ সালের ১ অগাস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন যাতে অবিলম্বে বদলির জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু তাতেও প্রধান শিক্ষিকা কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ। ফলে হামিদা আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন। এর পর এদিন হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা প্রশ্ন করেন, ‘আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও গতবছরের অগাস্ট মাস থেকে এই বছরের ফেব্রুয়ারি? এত দেরি কেন?’

    এর উত্তরে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক জানান, প্রধান শিক্ষিকার কাছ থেকে সম্প্রতি তাঁরা নথিপত্র পেয়েছেন। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক আরও জানান, নিয়ম অনুযায়ী কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা স্বাস্থ্যের কারণে বদলির আবেদন করলে, জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক একটি টিম গঠন করে তার গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করে। দরকার পড়লে আবেদনকারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হয়। তারপর জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে রিপোর্ট দেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে ডিআই অফিস বদলির নির্দেশ জারি করে। ডিআই জানান, সেই প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।

    এর পরেই বিচারপতি মান্থার মন্তব্য, আদালতের নির্দেশের অবমাননা করেছেন প্রধান শিক্ষিকা। এমন অবস্থায়, প্রধান শিক্ষিকাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। এমনকী সাত দিনের মধ্যেই ওই অর্থ দিতে হবে হামিদা খাতুনকে। এর অন্যথা হলে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক ওই অর্থ বেতন থেকে কেটে হামিদাকে প্রদান করবে।

  • Calcutta High Court: হাজিরা এড়ালেন পর্ষদ সভাপতি, হাইকোর্টেই নিয়োগপত্র পেলেন ‘বঞ্চিত’ অঞ্জনকুমার

    Calcutta High Court: হাজিরা এড়ালেন পর্ষদ সভাপতি, হাইকোর্টেই নিয়োগপত্র পেলেন ‘বঞ্চিত’ অঞ্জনকুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজই শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। আর প্রথমদিনেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট।  ১২ বছরের পুরনো একটি মামলায় নির্দেশ না মানায় তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করে ডেকে পাঠানো হয়েছিল আজ। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিংহের সিঙ্গল বেঞ্চ তাঁকে আদালতে গিয়ে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। অভিযোগ, ১২ বছর ধরে চাকরি পাননি পূর্ব মেদিনীপুরের অঞ্জনকুমার খাটুয়া। গত মাসে কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই মত অঞ্জনের সুপারিশ পত্র পর্ষদকে পাঠায় এসএসসি। কিন্তু তার পরও চাকরি দেয়নি পর্ষদ৷ এর পর আজই হাইকোর্টে শুনানি কক্ষের মধ্যেই হাতে হাতে নিয়োগপত্র পেলেন এক মামলাকারী।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    সূত্রের খবর, যোগ্য হয়েও ১২ বছর ধরে চাকরি পাননি অঞ্জনকুমার খাটুয়া নামে ওই ব্যক্তি। তাঁর একটি চোখে দৃষ্টিশক্তি নেই। গত মাসে তাঁকে শীঘ্রই নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এরপর অঞ্জনবাবুর সুপারিশপত্র পর্ষদকে পাঠায় এসএসসি। তারপরও তাঁকে চাকরি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। এই জন্য পর্ষদের অফিসেও যান ওই ব্যক্তি। পর্ষদ অফিসে চাকরিপ্রার্থীকে অপমান করা হয় বলে অভিযোগ। কমিশনের সুপারিশপত্র পাওয়ার পরও ওই ব্যক্তিকে এখনও নিয়োগ করা হয়নি। এদিন এই মামলা ওঠে হাইকোর্টে। আর তখনই পর্ষদ সভাপতিকে ডেকে পাঠানো হয়।

    অন্যদিকে পর্ষদ দাবি করে, অঞ্জনের নিয়োগপত্র অনেক দিন ধরেই তৈরি হয়ে রয়েছে। পর্ষদের আইনজীবীও আদালতকে একই কথা জানান। তাঁর দাবি, হাইকোর্টের নির্দেশ মত অঞ্জনের নিয়োগপত্র তৈরিই আছে। কিন্তু অঞ্জন তা সংগ্রহ করেননি। যদিও অঞ্জনের আইনজীবী সুভাষ জানার অভিযোগ, তাঁর মক্কেল পর্ষদের দফতরে নিয়োগপত্র আনতে গেলে তাঁকে হেনস্থা করা হয়। নিয়োগপত্র তাঁর মক্কেল হাতে পাননি। আবার পর্ষদের আইনজীবী পাল্টা দাবি করেন, প্রার্থীকে বোর্ডের অফিসে হেনস্থার অভিযোগ ভিত্তিহীন। এমন কোনও কথা কেউ বলেনি। মন গড়া অভিযোগ করা হচ্ছে।

    বিচারপতির নির্দেশ

    উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি অমৃতা সিংহই নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অঞ্জনকে নিয়োগপত্র না দিলে ২৩ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। যদিও বৃহস্পতিবার পর্ষদ সভাপতি আদালতে হাজিরা দেননি। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিংহের সিঙ্গল বেঞ্চ বলেন, “এত বছর ধরে একজন ঘুরছে তারপরও আপনারা তাঁকে ঘোরাচ্ছেন। এটাই এখনকার পরিস্থিতি।” এর পর দু’পক্ষের কথা শোনার পর বিচারপতি নির্দেশ দেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অঞ্জনকুমার খাটুয়া নামের ওই ব্যক্তিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দফতরে গিয়ে নিয়োগপত্র সংগ্রহ করতে হবে। একই সঙ্গে পর্ষদকে বিচারপতি অমৃতা সিংহ নির্দেশ দিয়েছেন, শুক্রবারের মধ্যে ওই নিয়োগপত্র মামলাকারীর হাতে তুলে দিতে হবে।

    এছাড়াও অঞ্জনের হেনস্থার প্রসঙ্গে বিচারপতির মন্তব্য, “হেনস্থার যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক, না ভুল, তা জানি না। তবে ওখানে কী হয়, সেটা এখন ওপেন সিক্রেট। কিন্তু আমাদের চোখ খোলা রয়েছে।” অঞ্জনের হেনস্থার অভিযোগও গৃহীত হয়েছে কোর্টে। বিচারপতি জানিয়েছেন, আগামী দিনে ওই বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে। আগামী ১৬ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

  • Manik Bhattacharya: জামিনে ‘না’ আদালতের, ৬ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী-পুত্রও

    Manik Bhattacharya: জামিনে ‘না’ আদালতের, ৬ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী-পুত্রও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খারিজ হয়ে গেল জামিনের আবেদন। এবার কারাগারের কালো কুঠুরিতে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) স্ত্রী ও পুত্র। ৬ মার্চ পর্যন্ত তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। 

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আপাতত ইডি হেফাজতে তৃণমূলের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। চার্জশিটে নাম ছিল তাঁর স্ত্রী শতরূপা ও ছেলে শৌভিকেরও। গতকাল ইডি বিশেষ আদালতে জামিনের আবেদন জানান দু’জনেই। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক।

    কী জানা গেল?

    এদিন আদালতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করে, মানিকের কাজ সংক্রান্ত তথ্য জানতেন তাঁর স্ত্রী (Manik Bhattacharya)। চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলেছিলেন, সেই টাকা নাকি স্ত্রীর অ্যাকাউন্টেই রেখেছিলেন মানিক! ইডির অনুমান, দুর্নীতিতে জড়িত থাকতে পারেন শতরূপা ভট্টাচার্য। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আরও দাবি, একাধিকবার ইংল্যান্ডে গিয়েছেন মানিক-পুত্র শৌভিক। সেই সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।  

    জামিন আবেদন খারিজ হওয়ার পর আদালতেই গ্রেফতার করা হয় মানিকের স্ত্রী ও পুত্রকে। স্ত্রীকে পাঠানো দেওয়া হয়েছে আলিপুর মহিলা সংশোধানাগারে। মানিক-পুত্র সৌভিককে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলে। সেখানেই রয়েছেন মানিক।

    মামলার চার্জশিটে নাম থাকায় আদালত তলব করেছিল শতরূপা ও সৌভিককে (Manik Bhattacharya)। আগেই তাঁরা আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন। কিন্তু আগের দিন শুনানি হয়নি। বুধবার সেই মামলার শুনানি ছিল। জামিনের বিরোধিতা করে এদিন ইডি জানায়, মানিকের স্ত্রী পুরো কেলেঙ্কারির কথা জানতেন। স্ত্রী ও পুত্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলেও উল্লেখ করেন ইডি-র আইনজীবী। আদালত প্রশ্ন করে মানিকের ছেলে সৌভিক ২০১৭ সালে দুবার ইউকে যাওয়ার কথা কেন লুকিয়ে গিয়েছেন?

    আরও পড়ুন: এবার পাইলট নিয়োগে জোর এয়ার ইন্ডিয়ার, বেতন শুনলে চোখ কপালে উঠবে!

    আদালত ইডিকে প্রশ্ন করে, এত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কেন এতদিন গ্রেফতার করা হয়নি তাঁদের? ইডি জানায়, এতদিন গ্রেফতারির প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু এখন আছে। প্রসঙ্গত, এর আগেও শৌভিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য পেশ করেছে ইডি। জানা গিয়েছিল, একটি কোম্পানি রয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের নামে। মিলেছিল ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকার হদিস। সেই টাকাকে দুর্নীতির টাকা বলে চিহ্নিত করেছিলেন গোয়েন্দারা। এর আগে একাধিকবার তাঁকে তলবও করা হয়েছিল তাঁদের। এবার গ্রেফতার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • Calcutta High Court: উপনির্বাচনের আগে কংগ্রেস শিবিরে স্বস্তি! হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন সাইদুর রহমান

    Calcutta High Court: উপনির্বাচনের আগে কংগ্রেস শিবিরে স্বস্তি! হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন সাইদুর রহমান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপনির্বাচনের আগে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরল কংগ্রেস শিবিরে। কলকাতা হাইকোর্টে থেকে অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন কংগ্রেস নেতা সাইদুর রহমান। এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, কংগ্রেস নেতাকে সপ্তাহে ৩ দিন তদন্তকারী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে হবে। সব ছবি ও ফুটেজ দিতে হবে পুলিশকে। পাশাপাশি, সাগরদিঘি ব্লকের প্রাক্তন যুব কংগ্রেস সভাপতি সাইদুরকে পুলিশি তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। দেড় দশকের পুরনো ধর্ষণ ও প্রতারণায় মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল সাইদুর রহমানকে। তাঁর গ্রেফতারির প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে কংগ্রস ও বামেরা। এরপর বুধবার সাইদুরের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট।

    কী ঘটেছিল?

    ২৭ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘি বিধানসভায় উপনির্বাচন, তার আগেই ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগে সাগরদিঘি ব্লকের প্রাক্তন যুব কংগ্রেস সভাপতি সাইদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। এর পরই দলীয় নেতাকে গ্রেফতারের ঘটনায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস। পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে তারা। কংগ্রেসের দাবি, ১৫ বছর আগের একটি ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সাগরদিঘির কংগ্রেস নেতা সাইদুর রহমানকে।

    কংগ্রেসের কী দাবি?

    কংগ্রেসের তরফে দ্রুত জামিনের আর্জি জানানো হয়। অধীর চৌধুরীর দাবি, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে কংগ্রেস নেতাকে। কংগ্রেসের বক্তব্য, মিথ্যা মামলা সাজিয়ে সাইদুরকে জেলে ঢোকানো হয়েছিল। পুলিশ চেষ্টা করছে এভাবে উপনির্বাচনের আগে ভয় দেখিয়ে কংগ্রেস কর্মীদের ঘরে ঢুকিয়ে দিতে। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি, কংগ্রেস বৃহত্তর আন্দোলনের সামিল হবে বলে জানিয়েছিল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। এর পর আজ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে দুপুর ২টোয় এই মামলার শুনানি হয়।

    বিচারপতির প্রশ্নের মুখে রাজ্য পুলিশ

    উপনির্বাচনের আগে সাগরদিঘিতে কংগ্রেস নেতা গ্রেফতারের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ে পুলিশ। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা প্রশ্ন তোলেন, ১৫ বছর আগের ঘটনায় কেন ২০২৩-এ অভিযোগ করা হল? ১৫ বছর আগের ঘটনায় কেন প্রাথমিক তদন্ত করা হল না?

    অন্যদিকে কংগ্রেসের তরফে আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী সওয়াল করেন, ১৫ বছর আগের ঘটনায় কেন ২০২৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ দায়ের হল, তার কোনও ব্যাখ্যা নেই। ফলে দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে  বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন সাইদুর রহমানকে।

  • SSC Scam: ‘‘নিজেকে শুদ্ধ করার জন্য যেভাবে কাজ করা দরকার সেটা করুন’’! কমিশনকে বিচারপতি

    SSC Scam: ‘‘নিজেকে শুদ্ধ করার জন্য যেভাবে কাজ করা দরকার সেটা করুন’’! কমিশনকে বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একবার যে দস্যু রত্নাকর থেকে বাল্মীকি হবে সে আর রত্নাকরের রূপে ফেরত যাবে না, অভিমত হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। ‘দস্যু রত্নাকর, বাল্মীকি হয়েছেন, কিন্তু বাল্মীকি যদি রত্নাকর হয় তাহলে? আদালতে মন্তব্য নবম-দশমের ৯৫২ জন শিক্ষকের একাংশের। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই এই অভিমত জানান বিচারপতি বসু।

    নবম-দশমের নিয়োগ মামলায় ৯৫২ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওএমআর শিট বা উত্তরপত্রে কারচুপি করে বেআইনি ভাবে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলারই শুনানি চলছিল বিচারপতি বসুর একক বেঞ্চে। বিচারপতি এর আগে এসএসসিকে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে এঁদের মধ্যে ৮০৫ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে বলেছিলেন। এসএসসি সেই নির্দেশ পালন করার প্রক্রিয়া শুরুও করেছিল। কিন্তু তার আগেই অভিযুক্ত চাকরিপ্রার্থীরা বিচারপতি বসুর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যান। তবে ডিভিশন বেঞ্চ মামলায় স্থগিতাদেশ দেয়নি। নবম-দশমের নিয়োগ মামলায় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শেষ হলেও এখনও রায় ঘোষণা হয়নি। 

    বিচারপতি যা বললেন

    বুধবার এসএসসির আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি বসু বলেন, ‘‘মনে রাখবেন, এসএসসি যে পরিজনদের ত্যাগ করেছেন, তাঁরা এখন জেলে। তারা এখন সিবিআই – ইডির হেফাজতে রয়েছে। ’’ এসএসসির পাশাপাশি, অভিযুক্ত শিক্ষকদের নিয়েও মন্তব্য করেন বিচারপতি। ৯৫২ জন শিক্ষকদের একাংশের উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, ‘‘এই দুর্নীতিতে আপনাদের কী ভূমিকা সেটা দেখুন। অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে, তারা দুজনেই সমান অপরাধী।’’  কমিশনকে উদ্দেশ করে বিচারপতি বসু আরও বলেন,  ‘আপনি এখন বাল্মীকি, নিজেকে শুদ্ধ করার জন্য যেভাবে কাজ করার দরকার সেটা করুন।’  বুধবার এই মামলার শুনানি আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত পিছিয়ে দেন বিচারপতি বসু।

    আরও পড়ুন: অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট কীভাবে নিতে হয় জানতেন না টেট পরীক্ষকরাই! মন্তব্যে ‘বিস্মিত’ বিচারপতি

    অন্যদিকে বিকৃত ৯৫২ ওএমআর শিটে নাম বেরোয় সোনারপুর পৌরসভার একজন কাউন্সিলরের। তিনি নিজের সম্মানহানি হয়েছে এই অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। শুনানির জন্য উঠেছে তার মামলাটিও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Naushad Siddique Case: ‘কেন এতদিন ধরে জেলে ৮৮ জন?’, নওশাদ জামিন মামলায় রাজ্যকে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    Naushad Siddique Case: ‘কেন এতদিন ধরে জেলে ৮৮ জন?’, নওশাদ জামিন মামলায় রাজ্যকে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে নওশাদ সিদ্দিকির (Naushad Siddique) জামিন মামলায় হাইকোর্টে বিচারপতির প্রশ্নের মুখে রাজ্য। কলকাতা হাইকোর্টে উঠল ভাঙড়ের বিধায়কের জামিন সংক্রান্ত মামলা। বুধবার এই মামলার শুনানিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি। ধর্মতলার কর্মসূচিতে একসঙ্গে ৮৮ জনকে কেন গ্রেফতার করা হল, পুলিশের কাছে জানতে চাইল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চ। অন্যদিকে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে এত দিন ধরে জেলে রাখা নিয়ে মুখ খুললেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও। যদিও তিনি বিধানসভার স্পিকার নয়, একজন আইনজীবী হিসেবে প্রশ্ন করেছেন, নওশাদ (Naushad Siddique) এতদিন জেলে কেন?

    বিচারপতির প্রশ্নের মুখে রাজ্য

    প্রসঙ্গত, গত ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় আইএসএফের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ধুন্ধুমার কাণ্ড ডোরিনা ক্রসিংয়ে। সেখান থেকে নওশাদ-সহ বাকিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে একাধিক মামলায় এখনও জেলেই রয়েছেন নওশাদ (Naushad Siddique)। আর এই নিয়েই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চের রাজ্যকে প্রশ্ন, একই ঘটনায় কেন ৮৮ জনকে গ্রেফতার? প্রতিরোধমূলক গ্রেফতারিতে কেন এতদিন ধরে জেলে ৮৮ জন? বিচারপতির আরও প্রশ্ন, ‘এই ধরনের ঘটনায় ১-২ জন নেতা বা নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যক্তিকে হেফাজতে নিলেন সেটা ঠিক আছে, কিন্তু ৮৮ জন? এই ৮৮ জনের ভূমিকা প্রমাণ করার মত ভিডিও রেকর্ডিং আছে তো?’

    বুধবার হাইকোর্টে নওশাদের (Naushad Siddique) হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি এদিন আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘একটি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ৮৮ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এক মাসের বেশি সময় জেলে রয়েছেন তাঁরা।’ যা শুনে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘এমন কী গুরুত্বপূর্ণ বিক্ষোভ ছিল যে একসঙ্গে এতজনকে গ্রেফতার করতে হল পুলিশকে?’ একদিকে বিচারপতি যেমন রাজ্য ও পুলিশকে এই ঘটনায় তীব্র ভর্ৎসনা করেছেন, অন্যদিকে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট। বেঞ্চ বলে, ‘নেতাদেরও আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয়।’

    বিচারপতির নির্দেশ

    বিচারপতির প্রশ্নের পর রাজ্যের বক্তব্যে বিস্মিত কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের যুক্তি, আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসের নামে সাধারণ মানুষের সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে। ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পুলিশের মতে, এগুলি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা। কিন্তু বিচারপতিরও প্রশ্ন, একটা মিছিল থেকে ৮৮ জনকে কী করে গ্রেফতার করা হয়। ফলে আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকির জামিন সংক্রান্ত মামলায় সেদিনের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ও কারা আহত হয়েছে সেই সংক্রান্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট পুলিশকে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ১ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    নওশাদের জামিন মামলায় মন্তব্য বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের

    জেলে থাকার কারণেই বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে যোগ দিতে পারেননি নওশাদ (Naushad Siddique)। সম্প্রতি, ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসএফ নেতা নওশাদকেও ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলে থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিন বুধবার নওশাদের জেল হেফাজতে থাকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জবাব দিতে গিয়ে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁর মতামত একজন আইনজীবী হিসেবে। এরপর আজ বিধানসভার স্পিকারকে নওশাদের (Naushad Siddique) পক্ষে বলতে শোনা গেল। তিনি তাঁর জেলে থাকা নিয়ে বলেন, ওনার আইনজীবীদের উচিত ছিল এ বিষয়ে যুক্তিযুক্ত ভাবে পদক্ষেপ করা। আমি ব্যক্তিগত ভাবে এত দিন জেলে রাখার মত কারণ আছে বলে মনে করি না।” আবার বিচারপতির মন্তব্যেও বলেন, “বিচারপতিরা তো বেল দিতেই পারেন। এমন কথা বলার কী মানে আছে? তিনি তো নির্দেশ দিতেই পারেন। বিচারপতি হিসেবে যদি উনি মনেই করেন যে, জামিন হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। সে ভাবে তিনি নির্দেশ দিতেই পারেন। বেল হয়ে যাবে বলেই আইনজীবী হিসেবে মনে করি।” 

  • Madhyamik 2023: কমেছে মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী, নবম-দশম সিলেবাসে বদল আনার পরামর্শ বিচারপতি বসুর

    Madhyamik 2023: কমেছে মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী, নবম-দশম সিলেবাসে বদল আনার পরামর্শ বিচারপতি বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik 2023)। তার আগে বোর্ডকে মাধ্যমিকের সিলেবাস নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার পরামর্শ দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা কমে যাওয়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতি।

    কী বলেন বিচারপতি? 

    বুধবার রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিচারপতি বসু ডেকে বলেন, “মাধ্যমিকে এত পড়ুয়া কমে যাচ্ছে। এখন থেকেই রাজ্যের সতর্ক হওয়া উচিত। মাধ্যমিকের সিলেবাস ঠিক করুন। সিলেবাস ঠিক না হলে সমস্যা বাড়বে। দয়া করে এ দিকে নজর দিন।”  

    এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসবেন ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭২৪ জন পরীক্ষার্থী (Madhyamik 2023)। আগের বছরের তুলনায় এই সংখ্যা অনেকটাই কম। বিচারপতি বসু বলেন, “এ বছর মাধ্যমিকে চার লক্ষ পরীক্ষার্থী কমে গিয়েছে। এটা কেন হল রাজ্যকে ভাবতে হবে। শিক্ষক নিয়োগ করলে, সেই শিক্ষকেরা কাদের পড়াবেন সেটা আগে চিন্তা করা প্রয়োজন। পড়ুয়া না থাকলে শিক্ষক থেকে লাভ কী?”

    বিচারপতি আরও বলেন, “নবম-দশম শ্রেনির সিলেবাস ৪ বছরেরও বেশি পুরোনো। অন্যান্য বোর্ডের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে সিলেবাসে সংস্কার করুক রাজ্য। সিলেবাসে বদল আনার কথা ভাবুক রাজ্যের শিক্ষা দফতর। আইসিএসই, সিবিএসই বোর্ডের থেকে কোনও অংশে কম নয় আমাদের মাধ্যমিক বোর্ডের পড়ুয়ারা।”

    আরও পড়ুন: মাঝারি ভূমিকম্পে কাঁপল দিল্লি, ভবিষ্যতে বড় ক্ষতির আশঙ্কা ভারতেও! সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদের

    রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বিচারপতি বলেন, “শুধু শিক্ষক নিয়োগ হলে তাতে লাভ কী হবে (Madhyamik 2023)! ছাত্র সংখ্যা ৩০ আর সেখানে শিক্ষক ১২। দিনভর ঝগড়া চলছে সেখানে শিক্ষকদের মধ্যে। সিলেবাসে বদল আনার কথা ভাবুক রাজ্য।”     

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জর্জরিত রাজ্য সরকার। সেই মামলা এখন চলছে হাইকোর্টে। নতুন শিক্ষক নিয়গ প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। কিন্তু এরই মাঝে মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা  কমে যাওয়ায় চিন্তিত সকলে। মনে করা হচ্ছে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সিলেবাসের কারণেই রাজ্য সরকারি স্কুলগুলিতে পড়ুয়ার সংখ্যা ক্রমশ কমে যাচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘মাধ্যমিকে কমেছে পরীক্ষার্থী, ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজন কী?,’ প্রশ্ন বিচারপতি বসুর

    Calcutta High Court: ‘মাধ্যমিকে কমেছে পরীক্ষার্থী, ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজন কী?,’ প্রশ্ন বিচারপতি বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ১০ হাজার শিক্ষকের প্রয়োজন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ ৪ লাখ কম ছাত্রছাত্রী এবার মাধ্যমিকে বসছে। তাই অতিরিক্ত শিক্ষকের কি প্রয়োজন? কী লাভ? অর্থের অপচয় হচ্ছে। সোমবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajit Basu)। স্কুল শিক্ষা দফতরকে তাঁর পরামর্শ, যে স্কুলে পড়ুয়া কম রয়েছে সেখানকার ছাত্রদের কাছের অন্য কোনও স্কুলে পাঠিয়ে দিন। শিক্ষকদের অন্যত্র বদলি করুন। তিনি বলেন, গোটা বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রীকে জানান। আইনে বদল আনুন।

    সরকারি টাকায়…

    শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের প্রতি নজর রাখছেন কিনা, এদিন সে প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন বিচারপতি বসু। তিনি বলেন, সরকারি টাকায় নিজের সন্তানকে বেসরকারি স্কুলে পাঠাচ্ছেন সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা। ভালো কথা। কিন্তু নিজের স্কুলের সন্তানসম পড়ুয়াদের খেয়াল রাখছেন তো? তাঁর প্রশ্ন, কোনও পড়ুয়াকে যদি জিজ্ঞাসা করা যায় যে সে আপনাদের কাছ থেকে কি শিখেছে, সদুত্তর পাব তো? উত্তর আপনাদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে তো?

    আরও পড়ুুন: একশো দিনের কাজে ‘পুকুর চুরি’! মৃত ব্যক্তির অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে মজুরি!

    বিচারপতি (Calcutta High Court) বসু বলেন, একাধিক স্কুলে ৩০, ৩৫, ৫০জন পড়ুয়া রয়েছে।  অথচ দেখা যাচ্ছে ১০-১৫ জন শিক্ষক রয়েছেন। তাঁদের অন্যত্র বদলি করুন। নিজের অধিকারের এইচআরএ, সিএল, পিএল, সিসিএল চাইছেন।  কিন্তু পড়ুয়াদের অধিকারের কি হবে? সরকারি কোষাগারের টাকার অপচয় হচ্ছে। তাঁর প্রশ্ন, এই সব স্কুল রেখে লাভ কি? অন্য স্কুলের সঙ্গে মিলিয়ে দিন। বিচারপতি বসু বলেন, এটা করতে না পারলে পরের নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝঞ্ঝাট মুক্ত হবে না। কারণ নিয়োগের সময় এই সব স্কুল শূন্যপদ দেখাবে। সেখানে নিয়োগ করতে হবে। এতে অর্থের অপচয় হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    চলতি বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ২৮ জন। অথচ গত বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭৫। কেন এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষ কমেছে, সে প্রশ্ন উঠছে। যদিও অতিমারির প্রভাবকে দায়ী করে হাত ধুয়ে ফেলেছে পর্ষদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
LinkedIn
Share