Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Panchayat Election: ফের বাড়ল অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ, পঞ্চায়েত ভোট কবে?

    Panchayat Election: ফের বাড়ল অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ, পঞ্চায়েত ভোট কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) নিয়ে আবারও বাড়ল অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ। বুধবার এই মেয়াদ বাড়িয়ে করা হল ৯ মার্চ পর্যন্ত। যার অর্থ হল, ৯ মার্চ পর্যন্ত ভোট ঘোষণা করা যাবে না। আদালতের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।

    পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)…

    কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর দাবির পাশাপাশি আসন পুনর্বিন্যাস ও সংরক্ষণে অনিয়মের অভিযোগ এনে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি ছিল, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। তাই ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে হোক। অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নজরদারিতে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর আর্জিও জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাছাড়া তফশিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের গণনার যে বিজ্ঞপ্তি রাজ্য নির্বাচন কমিশন দিয়েছে, তাতে ত্রুটি রয়েছে। তাই নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে প্রত্যেক বাড়ি গিয়ে সংরক্ষণের তালিকা খতিয়ে দেখা হোক। তার পরেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: লালগোলার চাকরিপ্রার্থীর সুইসাইড নোটে নিয়োগ দুর্নীতির সূত্র! তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইকে

    এদিন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি উঠলে শুভেন্দুর আনা প্রস্তাবের বিরোধিতা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (Panchayat Election)। তারা আদালতকে বলে, এখনই যেন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কোনও অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেওয়া না হয়। এদিন শুভেন্দুর তরফে আদালতে উপস্থিত ছিলেন না কোনও আইনজীবী। তার জেরে পিছিয়ে যায় শুনানি। পরে স্থগিতাদেশের কথা জানায় আদালত।

    প্রসঙ্গত, গত ১৫ ডিসেম্বর মামলার শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল ৯ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) নিয়ে কোনও ঘোষণা করতে পারবে না। ৯ জানুয়ারি মামলার শুনানি হয়নি। ১৫ ফেব্রুয়ারি শুনানিতে ফের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই নির্বাচন নিয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তিও জারি করতে পারবে না কমিশন। তার পর এদিনও বাড়ানো হল অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের মেয়াদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Recruitment Scam: লালগোলার চাকরিপ্রার্থীর সুইসাইড নোটে নিয়োগ দুর্নীতির সূত্র! তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইকে

    Recruitment Scam: লালগোলার চাকরিপ্রার্থীর সুইসাইড নোটে নিয়োগ দুর্নীতির সূত্র! তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে আরও একটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব বর্তাল সিবিআইয়ের (CBI) ওপর। রাজ্যে নিয়োগ কেলেঙ্কারির (Recruitment Scam) তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার মুর্শিদাবাদের লালগোলার প্রতারিত চাকরিপ্রার্থীর আত্মহত্যার বিষয়টিও খতিয়ে দেখবে সিবিআই। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্তের নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের বিশেষ পর্যবেক্ষণ, চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে পাওয়া সুইসাইড নোট নিয়োগ দুর্নীতির সূত্র হতে পারে। বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, প্রয়োজনে সিবিআই এই মামলায় চার্জশিটও দাখিল করতে পারবে।

    নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam)…

    প্রসঙ্গত, এই মামলায় আগেই চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, আত্মঘাতী চাকরিপ্রার্থী আবদুর রহমানের কাছ থেকে একটি ৯ পাতার নোট উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের দাবি, আবদুর যে কেবল নিজেই প্রতারিত হয়েছেন, তা নয়, তিনি নিজেও জড়িয়ে পড়েছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে। পুলিশের চার্জশিটে তাঁর নামও রয়েছে। আবদুরের মৃত্যুর (Recruitment Scam) পর যে সুইসাইড নোটটি উদ্ধার করেছে পুলিশ, তাতে জনৈক দিবাকর কনুইয়ের নাম রয়েছে। এই দিবাকর তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আবদুরকে দেখা করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বলে সুইসাইড নোটে রয়েছে। এর ওপর ভিত্তি করে তারাপীঠের একটি হোটেল থেকে দিবাকরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    আরও পড়ুুন: “বিনিদ্র রাত্রি কাটাতেই হবে…”, নবম-দশমের দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য বিচারপতি বসুর, কিন্তু কেন?

    লালগোলা মৃত্যু মামলায় পুলিশ যে চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে তাতে প্রয়াত আবদুরের নামও রয়েছে। আদালতে পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট, বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে আবদুরের। বৃহত্তর ষড়যন্ত্র খুঁজে বার করার সুযোগ রয়েছে। এর আগে এই মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, সিবিআইয়ের বক্তব্য শুনতে হবে। কারণ লালগোলা থানা এখনও তদন্তে কোনও ত্রুটি করেনি। এসএসসি দুর্নীতির সঙ্গে এই ঘটনার যোগ রয়েছে। শুধু আত্মহত্যা নয়, কোর্ট নিয়োগ নিয়েও তদন্তের বিষয়ে তাঁরা চিন্তিত। তাই সিবিআইয়ের মতামত চায়। বিচারপতি তখনই প্রশ্ন তুলেছিলেন, সিবিআই কেন জেলে গিয়ে জেরা করছে না? বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা ওড়ানো যাচ্ছে না।

    আবদুরের পরিবারের দাবি, আত্মঘাতী হয়েছেন ওই চাকরিপ্রার্থী। প্রাথমিকে (Recruitment Scam) চাকরির টোপ দিয়ে তাঁর কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তার পরেও চাকরি হয়নি তাঁর। আবদুরের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোট ও পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। আদালত জানায়, আবদুরের আত্মহত্যার পর তাঁর পরিবার যে অভিযোগ করেছে তার ভিত্তিতে পুলিশি তদন্তে এখনও কোনও ফাঁক নেই। কিন্তু যেহেতু নিয়োগ দুর্নীতির গোটা তদন্তটা সিবিআই করছে, তাই তদন্তভার দেওয়া হল তাদেরই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • SSC Scam: ৮০৫ ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের চাকরি বাতিল! সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল ডিভিশন বেঞ্চেও

    SSC Scam: ৮০৫ ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের চাকরি বাতিল! সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল ডিভিশন বেঞ্চেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবম – দশম নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে চাকরি বাতিল হতে চলেছে ৮০৫ জনের (SSC Scam)। সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবার ওই মামলার রায়ে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে কোনও রকম রদবদল করবে না তারা। 

    নবম – দশম নিয়োগ দুর্নীতিতে ৯৫২ জনের ওএমআর শিট (SSC Scam) উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে ৮০৫ জনের নম্বরে কারচুপি থাকার অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে কমিশন। এদের মধ্যে ৬১৮ জনকে ইতিমধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে। নবম – দশম দুর্নীতিতে অযোগ্যদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে মামলায় যুক্ত করার কোনও নির্দেশ দেননি তিনি। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছে, ৮০৫ জনের ওএমআর শিট বিকৃত করার প্রমাণ মিলেছে। তাই চাকরি থেকে তাদের বরখাস্ত করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকেই। এর পর এসএসসির নির্দেশিকা জারি হলে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হতে পারেন বরখাস্ত হওয়া ভুয়ো শিক্ষকরা। এর আগে এই মামলার শুনানির পর রায়দান স্থগিত রেখেছিল আদালত। বুধবার রায়দান করে আদালত জানায়, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ অপরিবর্তিত থাকবে।

    আরও পড়ুন: নিশীথের ওপর হামলার ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের   

    এর ফলে ভুয়ো শিক্ষকদের চাকরিতে (SSC Scam) বহাল থাকার সম্ভাবনা আরও অনেকটাই ক্ষীণ হয়ে গেল। এখন তারা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাতে পারেন। এই মামলায় অন্যতম মামলাকারী সেতাবউদ্দিনের আইনজীবী হিসাবে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম।

    মামলা প্রথমে ওঠে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে (SSC Scam)। পরে সেই মামলাই হস্তান্তর হয়ে যায় বিচারপতি বসুর সিঙ্গল বেঞ্চে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে মামলাটি চলাকালীন সিবিআই তদন্ত-সহ একাধিক নির্দেশ দিলেও অভিযুক্ত ৯৫২ জন প্রার্থীকে মামলায় যুক্ত করেননি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরে বিচারপতি বসুর এজলাসে মামলাটি উঠলে তিনি ওই ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনের চাকরির সুপারিশ পত্র বাতিল করে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন এসএসসিকে। কারণ কমিশনই বলেছিল, এই ৮০৫ জন উত্তরপত্র ওএমআর শিট খতিয়ে দেখে তারা বুঝেছে, তা বিকৃত করা হয়েছে। এই দু’টি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরি হারানো শিক্ষকেরা। আজ ফের তাদের মুখ পুড়ল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Migrant Labour: পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কত? রাজ্যের হলফনামা তলব হাইকোর্টের

    Migrant Labour: পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কত? রাজ্যের হলফনামা তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে কাজ নেই। তাই ভিন রাজ্য তো বটেই, অন্য দেশেও চলে যাচ্ছেন এ রাজ্যের অনেক বাসিন্দা (Migrant Labour)। তবে তাঁদের সংখ্যাটি ঠিক কত, সেই খতিয়ান নেই রাজ্যের কাছে। মঙ্গলবার এ ব্যাপারে রাজ্যকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে এ ব্যাপারে তথ্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ।

    পরিযায়ী শ্রমিক (Migrant Labour)…

    রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কত তা জানতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন জনৈক বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ২০১১ সালে নয়া সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর তাঁরা রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছিলেন কতজন পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন। কিন্তু রাজ্য এতদিনেও সেই তথ্য জানিয়ে উঠতে পারেনি বলে অভিযোগ তাঁর। পরবর্তীকালে কোভিডের সময় যখন বহু পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফিরেছিলেন, সেই সময়ও রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি জানতে চাইলেও কোনও তথ্য মেলেনি বলে অভিযোগ। ২০২২ সালে আরটিআইয়ের মাধ্যমে মামলাকারী জানতে পারেন, রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কত, সে বিষয়ে কোনও তথ্য নেই রাজ্যের কাছে।

    এদিন এই জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানির সময় রাজ্যকে এ সংক্রান্ত তথ্য হলফনামা দিয়ে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। করোনা অতিমারি পর্বে রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Labour) ঢল দেখা গিয়েছিল। দীর্ঘদিন লকডাউনে আটকে থাকার পর অনেকেই লোটাকম্বল নিয়ে পায়ে হেঁটে রাজ্যে ফিরেছিলেন। কারণ সেই সময় ট্রেন, বাস সবই বন্ধ ছিল। অনেকেই পায়ে হেঁটে ভিটেয় ফিরলেও, অনেকেই পারেননি। তবে যাঁরা ফিরতে পেরেছিলেন এবং যাঁরা পারেননি, তাঁদের সংখ্যাটি ঠিক কত, সে সংক্রান্ত কোনও তথ্য রাজ্যের কাছে নেই বলেই অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ সংবিধান ভুলে গিয়েছে! দিনহাটায় পৌঁছেই বিস্ফোরক সুকান্ত

    অথচ পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর জেরে বারবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে বাংলা। এই তো মাস কয়েক আগে অরুণাচল প্রদেশে কাজে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল কোলাঘাটের বাসিন্দা ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের। সে রাজ্যের পুলিশ জানিয়েছে, প্রবল ঠান্ডার হাত থেকে রেহাই পেতে ঘরের মধ্যে আগুন জ্বালিয়েছিলেন তাঁরা। তার জেরে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁদের। এর আগে হরিয়ানার পানিপথে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের এক পরিযায়ী শ্রমিক (Migrant Labour) পরিবারের ৬ সদস্যের। তারও আগে মৃত্যু হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিকের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Rajasekhar Mantha: কাঁকুড়গাছিতে নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারকে ‘পর্যাপ্ত’ নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    Rajasekhar Mantha: কাঁকুড়গাছিতে নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারকে ‘পর্যাপ্ত’ নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২১ সালে বিধানসভা ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত বিজেপি কর্মীর দাদা বিশ্বজিৎ সরকার এবং তাঁর মা নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। অভিজিতের মাকে অভিযুক্তরা এসে হুমকি দিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। মামলা প্রত্যাহার না করলে প্রাণনাশের ভয়ও দেখানো হয়েছে। এরপরেই নিরাপত্তা চেয়ে মামলা দায়ের করে সরকার পরিবার। সোমবার এই মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে উঠেছে। সেই মামলাতেই ‘পর্যাপ্ত নিরাপত্তা’ দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Rajasekhar Mantha) নির্দেশ, শিয়ালদহ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের সময় তাঁদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে পুলিশকে।

    কী জানা গিয়েছে?

    অভিজিতের দাদা বিশ্বজিতের দাবি, শনিবার দুপুরে তাঁদের বাড়িতে বেশ কয়েকটা গুন্ডা নিয়ে পৌঁছন অভিযুক্তদের আইনজীবী (Rajasekhar Mantha)। অভিজিতের মা-কে সাদা কাগজে সই করার জন্য চাপ দিতে থাকেন তিনি। সই করতে অস্বীকার করলে ওই বৃদ্ধাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। মানসিক চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অভিজিতের মা। এমনকী তাঁকে এনআরএস হাসপাতালেও নিয়ে যেতে হয়। সেখানে চিকিৎসার পর বাড়ি নিয়ে আসেন বিশ্বজিৎবাবু।

    বিশ্বজিৎ বলেন, “আদালতের নির্দেশে আমাদের বাড়ির সামনে ২৪ ঘণ্টা পুলিশি নিরাপত্তা থাকে। থাকে সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারি। ঘটনার পর পুলিশকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখাতে বললে তারা জানায়, ক্যামেরা চালু হচ্ছে না।” এরপরেই আরও কড়া নিরাপত্তার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয় সরকার পরিবার।

    আরও পড়ুন: জার্মানিতে এসে কাজ করুন ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি ও দক্ষ কর্মীরা, আবেদন জার্মান চ্যান্সেলরের   
     
    সোমবারই বিজেপি কর্মী খুন মামলায় সাক্ষী দেওয়ার কথা ছিল বিশ্বজিৎ সরকার এবং তাঁর মায়ের (Rajasekhar Mantha)। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নারকেলডাঙা থানাকে নোটিস দিতে নির্দেশ দেন। 

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের (Rajasekhar Mantha) বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ আসে। ওই সময়ই ২ মে ফল ঘোষণার দিন কাঁকুড়গাছির শীতলাতলা লেনের বাসিন্দা অভিজিৎ সরকারের দেহ উদ্ধার করা হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করে অভিজিতের পরিবার। ভাইয়ের খুনিকে শাস্তি দেওয়ার জন্যে এতদিন লড়াই করছেন বিশ্বজিৎ। এই ঘটনায় নাম জড়ায় বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালের। পরেশকে ডেকে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Calcutta High Court: আদালত অবমাননার জের! প্রধান শিক্ষিকাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা বিচারপতি মান্থার

    Calcutta High Court: আদালত অবমাননার জের! প্রধান শিক্ষিকাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা বিচারপতি মান্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে এক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে আদালতের নির্দেশ অবমাননার অভিযোগে জরিমানা করল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চ স্কুল প্রধান শিক্ষিকাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। শুধু তাই নয়, সাতদিনের মধ্যে জরিমানার টাকা না দিলে বেতন থেকে টাকা কেটে নেওয়ার নির্দেশও দিল আদালত।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    সূত্রের খবর, পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে হাতকৃতি বালিকা বিদ্যালয়ে প্রায় পাঁচ বছর ধরে কর্মরত শিক্ষিকা হামিদা খাতুন। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরা হকরন গোকর্ণে। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় বদলির আবেদন জানান প্রধান শিক্ষিকার কাছে। অভিযোগ, প্রধান শিক্ষিকা তাতে কর্ণপাত করেননি। অবশেষে হামিদা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এরপর ২০২২ সালের ১ অগাস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন যাতে অবিলম্বে বদলির জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু তাতেও প্রধান শিক্ষিকা কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ। ফলে হামিদা আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন। এর পর এদিন হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা প্রশ্ন করেন, ‘আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও গতবছরের অগাস্ট মাস থেকে এই বছরের ফেব্রুয়ারি? এত দেরি কেন?’

    এর উত্তরে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক জানান, প্রধান শিক্ষিকার কাছ থেকে সম্প্রতি তাঁরা নথিপত্র পেয়েছেন। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক আরও জানান, নিয়ম অনুযায়ী কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা স্বাস্থ্যের কারণে বদলির আবেদন করলে, জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক একটি টিম গঠন করে তার গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করে। দরকার পড়লে আবেদনকারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হয়। তারপর জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে রিপোর্ট দেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে ডিআই অফিস বদলির নির্দেশ জারি করে। ডিআই জানান, সেই প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।

    এর পরেই বিচারপতি মান্থার মন্তব্য, আদালতের নির্দেশের অবমাননা করেছেন প্রধান শিক্ষিকা। এমন অবস্থায়, প্রধান শিক্ষিকাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। এমনকী সাত দিনের মধ্যেই ওই অর্থ দিতে হবে হামিদা খাতুনকে। এর অন্যথা হলে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক ওই অর্থ বেতন থেকে কেটে হামিদাকে প্রদান করবে।

  • Calcutta High Court: হাজিরা এড়ালেন পর্ষদ সভাপতি, হাইকোর্টেই নিয়োগপত্র পেলেন ‘বঞ্চিত’ অঞ্জনকুমার

    Calcutta High Court: হাজিরা এড়ালেন পর্ষদ সভাপতি, হাইকোর্টেই নিয়োগপত্র পেলেন ‘বঞ্চিত’ অঞ্জনকুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজই শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। আর প্রথমদিনেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট।  ১২ বছরের পুরনো একটি মামলায় নির্দেশ না মানায় তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করে ডেকে পাঠানো হয়েছিল আজ। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিংহের সিঙ্গল বেঞ্চ তাঁকে আদালতে গিয়ে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। অভিযোগ, ১২ বছর ধরে চাকরি পাননি পূর্ব মেদিনীপুরের অঞ্জনকুমার খাটুয়া। গত মাসে কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই মত অঞ্জনের সুপারিশ পত্র পর্ষদকে পাঠায় এসএসসি। কিন্তু তার পরও চাকরি দেয়নি পর্ষদ৷ এর পর আজই হাইকোর্টে শুনানি কক্ষের মধ্যেই হাতে হাতে নিয়োগপত্র পেলেন এক মামলাকারী।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    সূত্রের খবর, যোগ্য হয়েও ১২ বছর ধরে চাকরি পাননি অঞ্জনকুমার খাটুয়া নামে ওই ব্যক্তি। তাঁর একটি চোখে দৃষ্টিশক্তি নেই। গত মাসে তাঁকে শীঘ্রই নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এরপর অঞ্জনবাবুর সুপারিশপত্র পর্ষদকে পাঠায় এসএসসি। তারপরও তাঁকে চাকরি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। এই জন্য পর্ষদের অফিসেও যান ওই ব্যক্তি। পর্ষদ অফিসে চাকরিপ্রার্থীকে অপমান করা হয় বলে অভিযোগ। কমিশনের সুপারিশপত্র পাওয়ার পরও ওই ব্যক্তিকে এখনও নিয়োগ করা হয়নি। এদিন এই মামলা ওঠে হাইকোর্টে। আর তখনই পর্ষদ সভাপতিকে ডেকে পাঠানো হয়।

    অন্যদিকে পর্ষদ দাবি করে, অঞ্জনের নিয়োগপত্র অনেক দিন ধরেই তৈরি হয়ে রয়েছে। পর্ষদের আইনজীবীও আদালতকে একই কথা জানান। তাঁর দাবি, হাইকোর্টের নির্দেশ মত অঞ্জনের নিয়োগপত্র তৈরিই আছে। কিন্তু অঞ্জন তা সংগ্রহ করেননি। যদিও অঞ্জনের আইনজীবী সুভাষ জানার অভিযোগ, তাঁর মক্কেল পর্ষদের দফতরে নিয়োগপত্র আনতে গেলে তাঁকে হেনস্থা করা হয়। নিয়োগপত্র তাঁর মক্কেল হাতে পাননি। আবার পর্ষদের আইনজীবী পাল্টা দাবি করেন, প্রার্থীকে বোর্ডের অফিসে হেনস্থার অভিযোগ ভিত্তিহীন। এমন কোনও কথা কেউ বলেনি। মন গড়া অভিযোগ করা হচ্ছে।

    বিচারপতির নির্দেশ

    উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি অমৃতা সিংহই নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অঞ্জনকে নিয়োগপত্র না দিলে ২৩ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। যদিও বৃহস্পতিবার পর্ষদ সভাপতি আদালতে হাজিরা দেননি। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিংহের সিঙ্গল বেঞ্চ বলেন, “এত বছর ধরে একজন ঘুরছে তারপরও আপনারা তাঁকে ঘোরাচ্ছেন। এটাই এখনকার পরিস্থিতি।” এর পর দু’পক্ষের কথা শোনার পর বিচারপতি নির্দেশ দেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অঞ্জনকুমার খাটুয়া নামের ওই ব্যক্তিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দফতরে গিয়ে নিয়োগপত্র সংগ্রহ করতে হবে। একই সঙ্গে পর্ষদকে বিচারপতি অমৃতা সিংহ নির্দেশ দিয়েছেন, শুক্রবারের মধ্যে ওই নিয়োগপত্র মামলাকারীর হাতে তুলে দিতে হবে।

    এছাড়াও অঞ্জনের হেনস্থার প্রসঙ্গে বিচারপতির মন্তব্য, “হেনস্থার যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক, না ভুল, তা জানি না। তবে ওখানে কী হয়, সেটা এখন ওপেন সিক্রেট। কিন্তু আমাদের চোখ খোলা রয়েছে।” অঞ্জনের হেনস্থার অভিযোগও গৃহীত হয়েছে কোর্টে। বিচারপতি জানিয়েছেন, আগামী দিনে ওই বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে। আগামী ১৬ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

  • Manik Bhattacharya: জামিনে ‘না’ আদালতের, ৬ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী-পুত্রও

    Manik Bhattacharya: জামিনে ‘না’ আদালতের, ৬ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী-পুত্রও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খারিজ হয়ে গেল জামিনের আবেদন। এবার কারাগারের কালো কুঠুরিতে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) স্ত্রী ও পুত্র। ৬ মার্চ পর্যন্ত তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। 

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আপাতত ইডি হেফাজতে তৃণমূলের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। চার্জশিটে নাম ছিল তাঁর স্ত্রী শতরূপা ও ছেলে শৌভিকেরও। গতকাল ইডি বিশেষ আদালতে জামিনের আবেদন জানান দু’জনেই। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক।

    কী জানা গেল?

    এদিন আদালতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করে, মানিকের কাজ সংক্রান্ত তথ্য জানতেন তাঁর স্ত্রী (Manik Bhattacharya)। চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলেছিলেন, সেই টাকা নাকি স্ত্রীর অ্যাকাউন্টেই রেখেছিলেন মানিক! ইডির অনুমান, দুর্নীতিতে জড়িত থাকতে পারেন শতরূপা ভট্টাচার্য। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আরও দাবি, একাধিকবার ইংল্যান্ডে গিয়েছেন মানিক-পুত্র শৌভিক। সেই সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।  

    জামিন আবেদন খারিজ হওয়ার পর আদালতেই গ্রেফতার করা হয় মানিকের স্ত্রী ও পুত্রকে। স্ত্রীকে পাঠানো দেওয়া হয়েছে আলিপুর মহিলা সংশোধানাগারে। মানিক-পুত্র সৌভিককে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলে। সেখানেই রয়েছেন মানিক।

    মামলার চার্জশিটে নাম থাকায় আদালত তলব করেছিল শতরূপা ও সৌভিককে (Manik Bhattacharya)। আগেই তাঁরা আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন। কিন্তু আগের দিন শুনানি হয়নি। বুধবার সেই মামলার শুনানি ছিল। জামিনের বিরোধিতা করে এদিন ইডি জানায়, মানিকের স্ত্রী পুরো কেলেঙ্কারির কথা জানতেন। স্ত্রী ও পুত্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলেও উল্লেখ করেন ইডি-র আইনজীবী। আদালত প্রশ্ন করে মানিকের ছেলে সৌভিক ২০১৭ সালে দুবার ইউকে যাওয়ার কথা কেন লুকিয়ে গিয়েছেন?

    আরও পড়ুন: এবার পাইলট নিয়োগে জোর এয়ার ইন্ডিয়ার, বেতন শুনলে চোখ কপালে উঠবে!

    আদালত ইডিকে প্রশ্ন করে, এত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কেন এতদিন গ্রেফতার করা হয়নি তাঁদের? ইডি জানায়, এতদিন গ্রেফতারির প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু এখন আছে। প্রসঙ্গত, এর আগেও শৌভিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য পেশ করেছে ইডি। জানা গিয়েছিল, একটি কোম্পানি রয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের নামে। মিলেছিল ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকার হদিস। সেই টাকাকে দুর্নীতির টাকা বলে চিহ্নিত করেছিলেন গোয়েন্দারা। এর আগে একাধিকবার তাঁকে তলবও করা হয়েছিল তাঁদের। এবার গ্রেফতার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • Calcutta High Court: উপনির্বাচনের আগে কংগ্রেস শিবিরে স্বস্তি! হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন সাইদুর রহমান

    Calcutta High Court: উপনির্বাচনের আগে কংগ্রেস শিবিরে স্বস্তি! হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন সাইদুর রহমান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপনির্বাচনের আগে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরল কংগ্রেস শিবিরে। কলকাতা হাইকোর্টে থেকে অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন কংগ্রেস নেতা সাইদুর রহমান। এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, কংগ্রেস নেতাকে সপ্তাহে ৩ দিন তদন্তকারী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে হবে। সব ছবি ও ফুটেজ দিতে হবে পুলিশকে। পাশাপাশি, সাগরদিঘি ব্লকের প্রাক্তন যুব কংগ্রেস সভাপতি সাইদুরকে পুলিশি তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। দেড় দশকের পুরনো ধর্ষণ ও প্রতারণায় মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল সাইদুর রহমানকে। তাঁর গ্রেফতারির প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে কংগ্রস ও বামেরা। এরপর বুধবার সাইদুরের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট।

    কী ঘটেছিল?

    ২৭ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘি বিধানসভায় উপনির্বাচন, তার আগেই ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগে সাগরদিঘি ব্লকের প্রাক্তন যুব কংগ্রেস সভাপতি সাইদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। এর পরই দলীয় নেতাকে গ্রেফতারের ঘটনায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস। পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে তারা। কংগ্রেসের দাবি, ১৫ বছর আগের একটি ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সাগরদিঘির কংগ্রেস নেতা সাইদুর রহমানকে।

    কংগ্রেসের কী দাবি?

    কংগ্রেসের তরফে দ্রুত জামিনের আর্জি জানানো হয়। অধীর চৌধুরীর দাবি, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে কংগ্রেস নেতাকে। কংগ্রেসের বক্তব্য, মিথ্যা মামলা সাজিয়ে সাইদুরকে জেলে ঢোকানো হয়েছিল। পুলিশ চেষ্টা করছে এভাবে উপনির্বাচনের আগে ভয় দেখিয়ে কংগ্রেস কর্মীদের ঘরে ঢুকিয়ে দিতে। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি, কংগ্রেস বৃহত্তর আন্দোলনের সামিল হবে বলে জানিয়েছিল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। এর পর আজ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে দুপুর ২টোয় এই মামলার শুনানি হয়।

    বিচারপতির প্রশ্নের মুখে রাজ্য পুলিশ

    উপনির্বাচনের আগে সাগরদিঘিতে কংগ্রেস নেতা গ্রেফতারের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ে পুলিশ। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা প্রশ্ন তোলেন, ১৫ বছর আগের ঘটনায় কেন ২০২৩-এ অভিযোগ করা হল? ১৫ বছর আগের ঘটনায় কেন প্রাথমিক তদন্ত করা হল না?

    অন্যদিকে কংগ্রেসের তরফে আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী সওয়াল করেন, ১৫ বছর আগের ঘটনায় কেন ২০২৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ দায়ের হল, তার কোনও ব্যাখ্যা নেই। ফলে দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে  বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন সাইদুর রহমানকে।

  • SSC Scam: ‘‘নিজেকে শুদ্ধ করার জন্য যেভাবে কাজ করা দরকার সেটা করুন’’! কমিশনকে বিচারপতি

    SSC Scam: ‘‘নিজেকে শুদ্ধ করার জন্য যেভাবে কাজ করা দরকার সেটা করুন’’! কমিশনকে বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একবার যে দস্যু রত্নাকর থেকে বাল্মীকি হবে সে আর রত্নাকরের রূপে ফেরত যাবে না, অভিমত হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। ‘দস্যু রত্নাকর, বাল্মীকি হয়েছেন, কিন্তু বাল্মীকি যদি রত্নাকর হয় তাহলে? আদালতে মন্তব্য নবম-দশমের ৯৫২ জন শিক্ষকের একাংশের। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই এই অভিমত জানান বিচারপতি বসু।

    নবম-দশমের নিয়োগ মামলায় ৯৫২ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওএমআর শিট বা উত্তরপত্রে কারচুপি করে বেআইনি ভাবে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলারই শুনানি চলছিল বিচারপতি বসুর একক বেঞ্চে। বিচারপতি এর আগে এসএসসিকে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে এঁদের মধ্যে ৮০৫ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে বলেছিলেন। এসএসসি সেই নির্দেশ পালন করার প্রক্রিয়া শুরুও করেছিল। কিন্তু তার আগেই অভিযুক্ত চাকরিপ্রার্থীরা বিচারপতি বসুর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যান। তবে ডিভিশন বেঞ্চ মামলায় স্থগিতাদেশ দেয়নি। নবম-দশমের নিয়োগ মামলায় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শেষ হলেও এখনও রায় ঘোষণা হয়নি। 

    বিচারপতি যা বললেন

    বুধবার এসএসসির আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি বসু বলেন, ‘‘মনে রাখবেন, এসএসসি যে পরিজনদের ত্যাগ করেছেন, তাঁরা এখন জেলে। তারা এখন সিবিআই – ইডির হেফাজতে রয়েছে। ’’ এসএসসির পাশাপাশি, অভিযুক্ত শিক্ষকদের নিয়েও মন্তব্য করেন বিচারপতি। ৯৫২ জন শিক্ষকদের একাংশের উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, ‘‘এই দুর্নীতিতে আপনাদের কী ভূমিকা সেটা দেখুন। অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে, তারা দুজনেই সমান অপরাধী।’’  কমিশনকে উদ্দেশ করে বিচারপতি বসু আরও বলেন,  ‘আপনি এখন বাল্মীকি, নিজেকে শুদ্ধ করার জন্য যেভাবে কাজ করার দরকার সেটা করুন।’  বুধবার এই মামলার শুনানি আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত পিছিয়ে দেন বিচারপতি বসু।

    আরও পড়ুন: অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট কীভাবে নিতে হয় জানতেন না টেট পরীক্ষকরাই! মন্তব্যে ‘বিস্মিত’ বিচারপতি

    অন্যদিকে বিকৃত ৯৫২ ওএমআর শিটে নাম বেরোয় সোনারপুর পৌরসভার একজন কাউন্সিলরের। তিনি নিজের সম্মানহানি হয়েছে এই অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। শুনানির জন্য উঠেছে তার মামলাটিও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share