Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Naushad Siddique Case: ‘কেন এতদিন ধরে জেলে ৮৮ জন?’, নওশাদ জামিন মামলায় রাজ্যকে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    Naushad Siddique Case: ‘কেন এতদিন ধরে জেলে ৮৮ জন?’, নওশাদ জামিন মামলায় রাজ্যকে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে নওশাদ সিদ্দিকির (Naushad Siddique) জামিন মামলায় হাইকোর্টে বিচারপতির প্রশ্নের মুখে রাজ্য। কলকাতা হাইকোর্টে উঠল ভাঙড়ের বিধায়কের জামিন সংক্রান্ত মামলা। বুধবার এই মামলার শুনানিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি। ধর্মতলার কর্মসূচিতে একসঙ্গে ৮৮ জনকে কেন গ্রেফতার করা হল, পুলিশের কাছে জানতে চাইল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চ। অন্যদিকে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে এত দিন ধরে জেলে রাখা নিয়ে মুখ খুললেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও। যদিও তিনি বিধানসভার স্পিকার নয়, একজন আইনজীবী হিসেবে প্রশ্ন করেছেন, নওশাদ (Naushad Siddique) এতদিন জেলে কেন?

    বিচারপতির প্রশ্নের মুখে রাজ্য

    প্রসঙ্গত, গত ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় আইএসএফের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ধুন্ধুমার কাণ্ড ডোরিনা ক্রসিংয়ে। সেখান থেকে নওশাদ-সহ বাকিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে একাধিক মামলায় এখনও জেলেই রয়েছেন নওশাদ (Naushad Siddique)। আর এই নিয়েই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চের রাজ্যকে প্রশ্ন, একই ঘটনায় কেন ৮৮ জনকে গ্রেফতার? প্রতিরোধমূলক গ্রেফতারিতে কেন এতদিন ধরে জেলে ৮৮ জন? বিচারপতির আরও প্রশ্ন, ‘এই ধরনের ঘটনায় ১-২ জন নেতা বা নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যক্তিকে হেফাজতে নিলেন সেটা ঠিক আছে, কিন্তু ৮৮ জন? এই ৮৮ জনের ভূমিকা প্রমাণ করার মত ভিডিও রেকর্ডিং আছে তো?’

    বুধবার হাইকোর্টে নওশাদের (Naushad Siddique) হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি এদিন আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘একটি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ৮৮ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এক মাসের বেশি সময় জেলে রয়েছেন তাঁরা।’ যা শুনে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘এমন কী গুরুত্বপূর্ণ বিক্ষোভ ছিল যে একসঙ্গে এতজনকে গ্রেফতার করতে হল পুলিশকে?’ একদিকে বিচারপতি যেমন রাজ্য ও পুলিশকে এই ঘটনায় তীব্র ভর্ৎসনা করেছেন, অন্যদিকে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট। বেঞ্চ বলে, ‘নেতাদেরও আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয়।’

    বিচারপতির নির্দেশ

    বিচারপতির প্রশ্নের পর রাজ্যের বক্তব্যে বিস্মিত কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের যুক্তি, আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসের নামে সাধারণ মানুষের সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে। ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পুলিশের মতে, এগুলি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা। কিন্তু বিচারপতিরও প্রশ্ন, একটা মিছিল থেকে ৮৮ জনকে কী করে গ্রেফতার করা হয়। ফলে আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকির জামিন সংক্রান্ত মামলায় সেদিনের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ও কারা আহত হয়েছে সেই সংক্রান্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট পুলিশকে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ১ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    নওশাদের জামিন মামলায় মন্তব্য বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের

    জেলে থাকার কারণেই বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে যোগ দিতে পারেননি নওশাদ (Naushad Siddique)। সম্প্রতি, ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসএফ নেতা নওশাদকেও ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলে থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিন বুধবার নওশাদের জেল হেফাজতে থাকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জবাব দিতে গিয়ে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁর মতামত একজন আইনজীবী হিসেবে। এরপর আজ বিধানসভার স্পিকারকে নওশাদের (Naushad Siddique) পক্ষে বলতে শোনা গেল। তিনি তাঁর জেলে থাকা নিয়ে বলেন, ওনার আইনজীবীদের উচিত ছিল এ বিষয়ে যুক্তিযুক্ত ভাবে পদক্ষেপ করা। আমি ব্যক্তিগত ভাবে এত দিন জেলে রাখার মত কারণ আছে বলে মনে করি না।” আবার বিচারপতির মন্তব্যেও বলেন, “বিচারপতিরা তো বেল দিতেই পারেন। এমন কথা বলার কী মানে আছে? তিনি তো নির্দেশ দিতেই পারেন। বিচারপতি হিসেবে যদি উনি মনেই করেন যে, জামিন হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। সে ভাবে তিনি নির্দেশ দিতেই পারেন। বেল হয়ে যাবে বলেই আইনজীবী হিসেবে মনে করি।” 

  • Madhyamik 2023: কমেছে মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী, নবম-দশম সিলেবাসে বদল আনার পরামর্শ বিচারপতি বসুর

    Madhyamik 2023: কমেছে মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী, নবম-দশম সিলেবাসে বদল আনার পরামর্শ বিচারপতি বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik 2023)। তার আগে বোর্ডকে মাধ্যমিকের সিলেবাস নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার পরামর্শ দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা কমে যাওয়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতি।

    কী বলেন বিচারপতি? 

    বুধবার রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিচারপতি বসু ডেকে বলেন, “মাধ্যমিকে এত পড়ুয়া কমে যাচ্ছে। এখন থেকেই রাজ্যের সতর্ক হওয়া উচিত। মাধ্যমিকের সিলেবাস ঠিক করুন। সিলেবাস ঠিক না হলে সমস্যা বাড়বে। দয়া করে এ দিকে নজর দিন।”  

    এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসবেন ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭২৪ জন পরীক্ষার্থী (Madhyamik 2023)। আগের বছরের তুলনায় এই সংখ্যা অনেকটাই কম। বিচারপতি বসু বলেন, “এ বছর মাধ্যমিকে চার লক্ষ পরীক্ষার্থী কমে গিয়েছে। এটা কেন হল রাজ্যকে ভাবতে হবে। শিক্ষক নিয়োগ করলে, সেই শিক্ষকেরা কাদের পড়াবেন সেটা আগে চিন্তা করা প্রয়োজন। পড়ুয়া না থাকলে শিক্ষক থেকে লাভ কী?”

    বিচারপতি আরও বলেন, “নবম-দশম শ্রেনির সিলেবাস ৪ বছরেরও বেশি পুরোনো। অন্যান্য বোর্ডের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে সিলেবাসে সংস্কার করুক রাজ্য। সিলেবাসে বদল আনার কথা ভাবুক রাজ্যের শিক্ষা দফতর। আইসিএসই, সিবিএসই বোর্ডের থেকে কোনও অংশে কম নয় আমাদের মাধ্যমিক বোর্ডের পড়ুয়ারা।”

    আরও পড়ুন: মাঝারি ভূমিকম্পে কাঁপল দিল্লি, ভবিষ্যতে বড় ক্ষতির আশঙ্কা ভারতেও! সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদের

    রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বিচারপতি বলেন, “শুধু শিক্ষক নিয়োগ হলে তাতে লাভ কী হবে (Madhyamik 2023)! ছাত্র সংখ্যা ৩০ আর সেখানে শিক্ষক ১২। দিনভর ঝগড়া চলছে সেখানে শিক্ষকদের মধ্যে। সিলেবাসে বদল আনার কথা ভাবুক রাজ্য।”     

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জর্জরিত রাজ্য সরকার। সেই মামলা এখন চলছে হাইকোর্টে। নতুন শিক্ষক নিয়গ প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। কিন্তু এরই মাঝে মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা  কমে যাওয়ায় চিন্তিত সকলে। মনে করা হচ্ছে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সিলেবাসের কারণেই রাজ্য সরকারি স্কুলগুলিতে পড়ুয়ার সংখ্যা ক্রমশ কমে যাচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘মাধ্যমিকে কমেছে পরীক্ষার্থী, ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজন কী?,’ প্রশ্ন বিচারপতি বসুর

    Calcutta High Court: ‘মাধ্যমিকে কমেছে পরীক্ষার্থী, ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজন কী?,’ প্রশ্ন বিচারপতি বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ১০ হাজার শিক্ষকের প্রয়োজন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ ৪ লাখ কম ছাত্রছাত্রী এবার মাধ্যমিকে বসছে। তাই অতিরিক্ত শিক্ষকের কি প্রয়োজন? কী লাভ? অর্থের অপচয় হচ্ছে। সোমবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajit Basu)। স্কুল শিক্ষা দফতরকে তাঁর পরামর্শ, যে স্কুলে পড়ুয়া কম রয়েছে সেখানকার ছাত্রদের কাছের অন্য কোনও স্কুলে পাঠিয়ে দিন। শিক্ষকদের অন্যত্র বদলি করুন। তিনি বলেন, গোটা বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রীকে জানান। আইনে বদল আনুন।

    সরকারি টাকায়…

    শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের প্রতি নজর রাখছেন কিনা, এদিন সে প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন বিচারপতি বসু। তিনি বলেন, সরকারি টাকায় নিজের সন্তানকে বেসরকারি স্কুলে পাঠাচ্ছেন সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা। ভালো কথা। কিন্তু নিজের স্কুলের সন্তানসম পড়ুয়াদের খেয়াল রাখছেন তো? তাঁর প্রশ্ন, কোনও পড়ুয়াকে যদি জিজ্ঞাসা করা যায় যে সে আপনাদের কাছ থেকে কি শিখেছে, সদুত্তর পাব তো? উত্তর আপনাদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে তো?

    আরও পড়ুুন: একশো দিনের কাজে ‘পুকুর চুরি’! মৃত ব্যক্তির অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে মজুরি!

    বিচারপতি (Calcutta High Court) বসু বলেন, একাধিক স্কুলে ৩০, ৩৫, ৫০জন পড়ুয়া রয়েছে।  অথচ দেখা যাচ্ছে ১০-১৫ জন শিক্ষক রয়েছেন। তাঁদের অন্যত্র বদলি করুন। নিজের অধিকারের এইচআরএ, সিএল, পিএল, সিসিএল চাইছেন।  কিন্তু পড়ুয়াদের অধিকারের কি হবে? সরকারি কোষাগারের টাকার অপচয় হচ্ছে। তাঁর প্রশ্ন, এই সব স্কুল রেখে লাভ কি? অন্য স্কুলের সঙ্গে মিলিয়ে দিন। বিচারপতি বসু বলেন, এটা করতে না পারলে পরের নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝঞ্ঝাট মুক্ত হবে না। কারণ নিয়োগের সময় এই সব স্কুল শূন্যপদ দেখাবে। সেখানে নিয়োগ করতে হবে। এতে অর্থের অপচয় হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    চলতি বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ২৮ জন। অথচ গত বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭৫। কেন এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষ কমেছে, সে প্রশ্ন উঠছে। যদিও অতিমারির প্রভাবকে দায়ী করে হাত ধুয়ে ফেলেছে পর্ষদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Justice Abhijit Ganguly: “এখন রঞ্জনকে গ্রেফতার করে কী হবে?” হতাশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    Justice Abhijit Ganguly: “এখন রঞ্জনকে গ্রেফতার করে কী হবে?” হতাশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি মামলার তদন্তে সিবিআই- এর ভূমিকা নিয়ে এবার হতাশার সুর শোনা গেল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) গলায়। শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বাগদার চন্দন মণ্ডল ওরফে সৎ রঞ্জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। বাগদার রঞ্জনের কথা প্রথম সামনে এনেছিলেন প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস। গত বছর জুলাই মাসে বিচারপতি জানতে চেয়েছিলেন চন্দনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি না। তারপরেও কেটে গিয়েছে বহু দিন। এতদিন পরে শুক্রবার সেই চন্দনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। কিন্তু সে কথা শুনেও খুশি হন নি  বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “সৎ রঞ্জন গ্রেফতার হয়ে কী হবে? কিছুই হবে না। সাত মাস চুপ করে বসে ছিলেন। এখন কী হবে?”

    কী জানা গেল? 

    প্রসঙ্গত, গত বছর উপেন বিশ্বাস মুখবন্ধ খামে কিছু তথ্য তুলে দেন আদালতের কাছে। উপেন বিশ্বাসের দেওয়া সেই নোটের ওপর ভিত্তি করে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। তিনি জানিয়েছিলেন, বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত রয়েছে ওই নোটে।

    আরও পড়ুন: ‘ডিএ দিতে পারবেন না…আপদ বিদায় হলেই মানুষের মঙ্গল’, মমতাকে কটাক্ষ সুকান্তর

    এবার এ বিষয়ে মুখ খুললেন উপেন বিশ্বাস। উপেন বিশ্বাস এদিন বলেন, “কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) আমাকে ডেকে জানতে চেয়েছিলেন, সিবিআই কীভাবে এত বড় দুর্নীতির তদন্ত করবে? সেই সময় আমি বিচারপতিকে সব জানিয়েছিলাম। এরপর সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার একবারই আমার সঙ্গে কথা বলেন। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত আর কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।”

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বারবার সিবিআই তদন্তের গতি-প্রকৃতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। উপেন বিশ্বাসের দাবি, যখনই কোর্ট অসন্তোষ প্রকাশ করেছে তখনই দেখা গিয়েছে সিবিআই কাউকে না কাউকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু তাতে এটা প্রমাণিত হয় না যে, সিবিআই কাজ করছে।    

    সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তা থাকাকালীন উপেন বিশ্বাস বহু ঘটনার তদন্ত করেন। তাঁর হাতেই গ্রেফতার হয়েছিলেন পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: দস্যু রত্নাকর পরে বাল্মীকি হন! ‘লেডি ম্যাকবেথ’-এর পর এসএসসি প্রসঙ্গে অভিমত হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: দস্যু রত্নাকর পরে বাল্মীকি হন! ‘লেডি ম্যাকবেথ’-এর পর এসএসসি প্রসঙ্গে অভিমত হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনকে এবার বাল্মীকির সঙ্গে তুলনা করল কলকাতা হাইকোর্ট। নিয়োগে অনিয়মের জন্য অযোগ্য নবম-দশমের ৯৫২ জন শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ করতে এসএসসি-কে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।  শুধু তাই নয়, তাঁদের নাম, রোল নম্বরের পাশাপাশি এবং বাবার নাম ও স্কুলের তথ্যও উল্লেখ করতে বলা হয়েছিল।  আদালতের নির্দেশ মতো এসএসসি সেই কাজে এগিয়েছিল। এ প্রসঙ্গে শুক্রবার আদালতের পর্যবেক্ষণ, রত্নাকর যদি বাল্মীকি হতে পারেন, তবে কমিশন নিজেদের পরিবর্তন করলে ক্ষতি কী?

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে কমিশন জানিয়েছিল, “অনেক ভুল হয়েছে। এখন সংশোধন করার সময় এসেছে। আমরা তাই করছি।” শুক্রবার এই মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনেই নবম-দশম শ্রেণির ৯৫২ জন শিক্ষকের মধ্যে কিছু ব্যক্তির আইনজীবী বলেন, “স্কুল সার্ভিস কমিশন এখন সব এজলাসে গিয়ে সাধু সাজছে। নিজেদের যুধিষ্ঠির বলে প্রমাণ করতে চাইছে। এমন ভাব করছে যেন তারা কোনও ভুল করেনি। এই সবকিছুই কমিশনের ভুলের জন্য হচ্ছে।” এরপরেই বিশ্বজিৎ বসু পালটা প্রশ্ন করেন, “আমাদের দেশের পুরাণ অনুযায়ী দস্যু রত্নাকর পরে বাল্মীকি হয়েছিলেন। এটা ভালো লক্ষণ। অসুবিধা কোথায় ?

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের নয়া মোড়! সিবিআইয়ের জালে বাগদার ‘রঞ্জন’

    বৃহস্পতিবার গ্ৰুপ ডি কর্মী নিয়োগ মামলায় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এসএসসি-র আইনজীবীর দাবি ছিল, ‘‘যা ভুল হয়েছে, তা সংশোধন করতে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। আদালতকে সব তথ্য দিয়ে সাহায্য করছি। আমাদের যুধিষ্ঠির হতে গত দেড় বছর লেগেছে।’’ একই ভাবে নবম-দশম শ্রেণির মামলাতেও নিজেদের ভুল শোধরানোর কথা জানিয়েছে এসএসসি। যা দেখে বিচারপতি তালুকদার লেডি ম্যাকবেথের সঙ্গে এসএসসি-র তুলনা করেন। প্রসঙ্গত, গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১ হাজার ৯১১ জনের চাকরি বাতিলের পাশাপাশি সেই পদে নিয়োগের জন্যও নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। রায়দানের তিন সপ্তাহের মধ্যেই সেই নির্দেশ কার্যকরী করার কথাও বলা হয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: বদলির নির্দেশ না মানলে বন্ধ হবে শিক্ষকদের বেতন, কড়া বার্তা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: বদলির নির্দেশ না মানলে বন্ধ হবে শিক্ষকদের বেতন, কড়া বার্তা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলিতে শিক্ষকদের স্বেচ্ছাচারিতা আটকাতে কড়া দাওয়াই দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। হাইকোর্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলে, বদলি পছন্দ না হলে পরে মামলা করুন। তবে নির্দেশ মতো স্কুলে না গেলে পরের মাস থেকে বেতন বন্ধ করে দেওয়া হবে। এদিন এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। স্কুল শিক্ষা দফতরকে নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, রাজ্যের যেসব স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা অত্যন্ত কম, তার অনুমোদন প্রত্যাহার করুন। আইনে না থাকলেও এদিন হাওড়ার রসপুর স্কুলে নিরাপত্তা কর্মী দিতে নির্দেশ দিল আদালত। বিচারপতি বলেন, ছাত্রীদের নিরাপত্তা সবার আগে। হাওড়ার কমিশনারকে আদালত নির্দেশ দিয়ে বলে, সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে ওই স্কুলের নিরাপত্তা দিতে। হাওড়ার রসপুর স্কুলের একটি মামলা হয়। সেখানে দেখা যায়, একটি বিদ্যালয়ে ১৩ জন পড়ুয়ার জন্য ৫ জন শিক্ষক রয়েছেন।

    কী বলেন বিচারপতি? 

    উল্টোদিকে অন্য একটি স্কুলে প্রায় ৫৫০ জন পড়ুয়া আছে। কিন্তু বাংলার শিক্ষক নেই সেই স্কুলে (Calcutta High Court)। ২০১৬ সাল থেকে অঙ্কের শিক্ষকও নেই। তারপরই ওই স্কুলের অনুমোদন প্রত্যাহারের জন্য শিক্ষা দফতরকে পরামর্শ দেন বিচারপতি বসু। উত্তরে শিক্ষা দফতরের তরফের আইনজীবী জানান, অনুমোদন প্রত্যাহার করতে একটু সমস্যা আছে। স্থানীয়রা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। রাজনৈতিক চাপও আসতে পারে। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘‘পড়ুয়া অত্যন্ত কম থাকলে স্কুলের অনুমোদন প্রত্যাহার করে নিন। অযথা শিক্ষক পুষে লাভ নেই। যেখানে ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে, সেখানে শিক্ষকদের পাঠান। রাজনৈতিক চাপের কথা ভুলে যান।’’

    বিচারপতি এ-ও বলেন, ‘‘শিক্ষক বদলির নতুন নিয়ম ঠিক ভাবে পালন করুন। বদলির নিয়ম না মানলে পরের মাস থেকে বেতন বন্ধ করে দেব (Calcutta High Court)।’’ বিচারপতির কথায়, “শিক্ষকের পরিবর্তে পড়ুয়াদের কথা ভাবতে হবে। এই অচলায়তন ভাঙতে গেলে সময় লাগবে। কিন্তু আমরা করে ছাড়ব।” এর পরেই বিচারপতি বসু নির্দেশ দেন যে,  রাসপুর গার্লস হাই স্কুলে এক জন সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা যায় কি না, হাওড়ার পুলিশ সুপারকে তা বিবেচনা করতে হবে।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের নয়া মোড়! সিবিআইয়ের জালে বাগদার ‘রঞ্জন’

    স্কুলের শিক্ষক বদলি নিয়ে এর আগেও কড়া নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সম্প্রতি এই বদলি সংক্রান্ত গাইডলাইনও আনে রাজ্য সরকার (Calcutta High Court)। সেখানে বলা হয়, স্কুলে প্রতিটি বিষয়ে কতজন শিক্ষক রয়েছেন তা প্রথমে দেখা হবে। এরপরই শিক্ষক ও ছাত্রের সংখ্যার অনুপাত দেখে শিক্ষক বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শিক্ষকদের পছন্দের জেলাতে বদলির ব্যবস্থা থাকবে। কিন্তু প্রয়োজনে তাতে বদলও আসতে পারে। জেলার মধ্যে কোনও স্কুলে অতিরিক্ত শিক্ষক থাকলে, প্রাথমিকভাবে তাঁদের পাঠানো হবে সেই জেলারই অন্য কোনও স্কুলে। কিন্তু যাদের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে বা বাড়িতে ছোট সন্তান রয়েছে, যাঁদের অবসরের মাত্র ২ বছর বা তার কম সময় বাকি, তাঁদের যাতে বদলি না করা হয় সেদিকেও নজর দেওয়া হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: এখনই বেতন ফেরাতে হচ্ছে না গ্রুপ ডি কর্মীদের, স্থগিতাদেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে

    SSC Scam: এখনই বেতন ফেরাতে হচ্ছে না গ্রুপ ডি কর্মীদের, স্থগিতাদেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের গ্রুপ ডি কর্মীদের বেতন ফেরানোর নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (SSC Scam)। তবে চাকরি বাতিলের নির্দেশে কোনও নড়চড় হয়নি। এর আগেই ওএমআর শিট কারচুপিতে অভিযুক্ত ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সিঙ্গল বেঞ্চ। পাশাপাশি ওই অবৈধ চাকরিপ্রার্থীদের বেতন ফেরানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। বেতন ফেরানোর নির্দেশে আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। তবে সিঙ্গল বেঞ্চের সম্পূর্ণ রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়নি। অর্থাৎ, চাকরি বাতিলের নির্দেশ এখনও রয়েছে।

    কেন এই স্থগিতাদেশ?

    সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম মজুমদারের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গ্রুপ ডি কর্মীরা (SSC Scam)। তাঁদের দাবি ছিল, শ্রম যখন দিয়েছেন, তখন বেতন কেন ফেরাবেন? বৃহস্পতিবার সেই মামলার রায়ে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, বেতন ফেরত নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হচ্ছে। আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত জারি থাকবে এই স্থগিতাদেশ। ৩ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।    

    ইতিমধ্যেই গ্রুপ ডি নিয়োগে কারচুপির কথা স্বীকার করে নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC Scam)। ২৮২৩ জনের ওএমআর শিট বিকৃত করে চাকরি পাইয়ে র অভিযোগে শিলমোহর পড়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়, এই ২৮২৩ জনের মধ্যে ১৯১১ জনকে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে নিয়োগ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সেনা জওয়ানকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার ডিএমকে কাউন্সিলর-সহ ৮

    এর পরই গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই ১৯১১ জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেন (SSC Scam)। পাশাপাশি এতদিন যে বেতন পেয়েছেন তাঁরা, তাও ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। বিচারপতি বলেছিলেন, ‘‘আমার বিশ্বাস, বেআইনি ভাবে দুর্নীতি করে এই সব প্রার্থীদের সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল।’’ পাশাপাশি বিচারপতি এ-ও জানিয়ে দেন, যে প্রার্থীদের সুপারিশপত্র বাতিল করা হবে, তাঁরা অন্য কোনও চাকরির পরীক্ষায় আর কখনও বসতে পারবেন না। সেই নির্দেশ মেনে ওই দিনই ওই প্রার্থীদের চাকরি বাতিলের ঘোষণা করে এসএসসি। 

    সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়কেই চ্যালেঞ্জ করে ১৩ ফেব্রুয়ারি ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া গ্রুপ ডি কর্মীরা (SSC Scam)। বুধবার ওই মামলায় বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশকেও চ্যালেঞ্জ করে নতুন আবেদন করা হয়। এদিন সেই মামলারই শুনানি ছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Panchayat Election 2023: ফের পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তিতে নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টের! শুভেন্দুর মামলায় স্থগিতাদেশ বহাল

    Panchayat Election 2023: ফের পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তিতে নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টের! শুভেন্দুর মামলায় স্থগিতাদেশ বহাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তিতে নিষেধাজ্ঞা কলকাতা হাইকোর্টের! পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এখনই কোনও ধরনের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বিজ্ঞপ্তি জারির প্রক্রিয়ায় ফের স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভোটের দিনক্ষণ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ বুধবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টে। অনগ্রসর শ্রেণীর আসন পুনর্বিন্যাস এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে করা শুভেন্দু অধিকারীর মামলার প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ দিল আদালত।

    মামলাটি কী?

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী গত বছরের শেষ দিকে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলা দায়ের করা হয়েছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে এবং আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে। মামলায় বলা হয়, ২০১৩ সালে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন সম্পূর্ণ হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে এবং ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া। মামলাতে শুভেন্দুর অভিযোগ, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় হিংসার অভিযোগ উঠেছিল। তাই ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোট কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে হোক। এর পাশাপাশি শুভেন্দুর অভিযোগ ছিল, তপশিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের গণনার যে বিজ্ঞপ্তি রাজ্য নির্বাচন কমিশন দিয়েছে, তাতে ত্রুটি রয়েছে। তাই নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে প্রত্যেক বাড়ি গিয়ে সংরক্ষণের তালিকা খতিয়ে দেখা হোক। এরপরই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হোক। ফলে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও আসন পুনর্বিন্যাসের দাবি জানিয়ে মামলা করেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: ‘ভোটমুখী বাজেট, কিন্তু কাঁচা কাজ হয়েছে’, রাজ্যের বাজেট নিয়ে তুমুল সমালোচনায় শুভেন্দু অধিকারী

    অন্তর্বর্তী নির্দেশের মেয়াদ বৃদ্ধি

    এরপরেই এই মামলার শুনানি গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে। সেই সময় আদালত নির্দেশ দিয়েছিল ৯ জানুয়ারি ওই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। সেই শুনানি না হওয়া পর্যন্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কোনও ঘোষণা করতে পারবে না। কিন্তু ৯ জানুয়ারির পরিবর্তে আজ মামলাটির শুনানির দিন ধার্য করা হয়। আর এদিনই বেঞ্চ ফের স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়ে জানিয়ে দিয়েছে যে, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শুধু তাই নয়, আগামী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা যাবে না বলেও এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে আদালত। ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আইনি জটিলতাও জারি থাকল।

  • Recruitment Scam: ‘পাঁচ বছর চাকরি করেছি, বেতন ফেরত দেব কেন?’, হাইকোর্টে গ্রুপ ডি কর্মীরা

    Recruitment Scam: ‘পাঁচ বছর চাকরি করেছি, বেতন ফেরত দেব কেন?’, হাইকোর্টে গ্রুপ ডি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ বছর চাকরি করেছি। স্কুলে নিজের শ্রম দিয়েছি। বেতন (Salary) ফেরত দেব কেন? প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন চাকরি (Recruitment Scam) হারানো গ্রুপ ডি কর্মীরা। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। এর আগে চাকরি হারানো ১ হাজার ৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মী চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এবারও ফের দ্বারস্থ হলেন ডিভিশন বেঞ্চের। তবে এবার তাঁরা আদালতে গিয়েছেন বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে।

    নিয়োগ দুর্নীতি…

    নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ২ হাজার ৮২৩ জন গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীর ওএমআর শিট বিকৃত করে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে আদালতে স্বীকার করে নিয়েছিলেন এসএসসি কর্তৃপক্ষ। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়, এই ২ হাজার ৮২৩ জনের মধ্যে ১ হাজার ৯১১ জনকে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে নিয়োগ করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখে আইন অনুযায়ী ক্ষমতা প্রয়োগ করে এসএসসিকে বেআইনিভাবে চাকরি প্রাপক ১ হাজার ৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এতদিন ধরে নেওয়া বেতনও ধাপে ধাপে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

    আরও পড়ুুন: মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে থাকছেন না শুভেন্দু! কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    এই ১ হাজার ৯১১ জনের সুপারিশপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশও এসএসসিকে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, আমার বিশ্বাস, বেআইনিভাবে দুর্নীতি করে এই সব প্রার্থীদের সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এও জানিয়ে দিয়েছিলেন, যাঁদের সুপারিশপত্র বাতিল করা হবে, তাঁরা অন্য কোনও চাকরির পরীক্ষায় আর কখনও বসতে পারবেন না। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মোতাবেক ওই দিনই চাকরি খোয়ান (Recruitment Scam) ১ হাজার ৯১১ জন গ্রুপ ডি স্টাফ। সিঙ্গল বেঞ্চের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ১৩ ফেব্রুয়ারি ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: এখনও চাকরি যায়নি ৬১৮ জন শিক্ষকের, সংশয় দূর করে সাফ জানাল এসএসসি

    Recruitment Scam: এখনও চাকরি যায়নি ৬১৮ জন শিক্ষকের, সংশয় দূর করে সাফ জানাল এসএসসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলায় শিক্ষকদের সংশয় অবশেষে দূর করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। বুধবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে কমিশনের দাবি, এখনও ৬১৮ জন শিক্ষকের চাকরি বহালই আছে। এদিন আদালতে এসএসসির দাবি, এই ব্যাপারে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ঠিক করা হবে। ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগে এই শিক্ষকদের নিয়োগের সুপারিশপত্র বাতিলের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল এসএসসি। আর এই নিয়েই অভিযোগ করে এই ৬১৮ জন শিক্ষক অভিযোগ করেছেন, যে বিষয়ের উপর স্থগিতাদেশ রয়েছে, সেখানে কী ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেল। আর আজ সেই প্রশ্নেরই উত্তর দিয়ে কমিশন জানাল যে, তাঁদের চাকরি এখনও যায়নি। তাঁদের সুপারিশপত্র এখনই বাতিল হয়নি, কেবল সুপারিশপত্র বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

    কী ঘটেছে?

    নবম-দশমে নিয়োগের পরীক্ষায় ওএমআর শিট কারচুপির অভিযোগে অভিযুক্ত ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনের চাকরি বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এ ব্যাপারে এসএসসিকেই নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিলেন তিনি। আদালতে বিচারপতি বসুর একক বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষকেরা। ডিভিশন বেঞ্চ সেই বক্তব্য শোনে। পরে একক বেঞ্চের নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ না দিলেও রায়দান স্থগিত রাখেন। এর পর সোমবার রাতেই অভিযুক্ত ৮০৫ জনের মধ্যে ৬১৮ জন শিক্ষকের চাকরির সুপারিশ পত্র বাতিলের বিজ্ঞপ্তি দেয় এসএসসি।

    আরও পড়ুন:‘ভিক্ষাবৃত্তি গ্রহণ করছি না…’, ৩ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি প্রত্যাখ্যান করলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা

    কমিশনের বিজ্ঞপ্তি নিয়েই অভিযোগ অভিযুক্ত শিক্ষকদের

    বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে এই মামলা। সেক্ষেত্রে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা চলাকালীন কী ভাবে এসএসসি প্রথম দফায় ৬১৮ জন শিক্ষকের নিয়োগপত্রের সুপারিশ প্রত্যাহারের নির্দেশ দিল সেই বিষয়ে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন এই শিক্ষকদের একাংশ। দাখিল করা হয়েছিল অতিরিক্ত হলফনামাও।

    এরপরেই আজ আদালতে অভিযুক্ত শিক্ষকদের সমস্ত সংশয় দূর করে জানিয়ে দেয় যে, তাঁদের চাকরি থেকে এখনই বরখাস্ত করা হচ্ছে না, কারণ এই মামলায় ডিভিশন বেঞ্চ একক বেঞ্চের নির্দেশ নিয়ে রায়দান স্থগিত রেখেছে। তাই এদিন কমিশন জানিয়েছে, ওই বিজ্ঞপ্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষকদের সুপারিশপত্র বাতিল হয়ে যায়নি। সুপারিশপত্র বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ফলে এখনই মধ্য শিক্ষা পর্ষদ ওই শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিল করতে পারবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share