Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • SSC Recruitment: শিক্ষক পদে চাকরির ‘পরীক্ষা’-র দাবিতে ডিগ্রিধারীদের অন্দোলনে অনুমতি হাইকোর্টের

    SSC Recruitment: শিক্ষক পদে চাকরির ‘পরীক্ষা’-র দাবিতে ডিগ্রিধারীদের অন্দোলনে অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরির পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলনে অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (SSC Recruitment)। শহিদ মিনারে চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান-বিক্ষোভের অনুমতি দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। শিক্ষক পদে অবিলম্বে নিয়োগ করতে হবে। নিতে হবে পরীক্ষা। এই দাবিতে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। ২০১৬ সালে শেষবার এসএলএসটি পরীক্ষা নিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগের জন্য এই পরীক্ষা নেওয়া হয়। শেষ ৬ বছর হয়নি কোনও পরীক্ষা। কমিশনে একাধিক চিঠি দিয়েও মেলেনি কোনও আশ্বাস। এতদিন আন্দোলনের অনুমতি দিচ্ছিল না পুলিশ। সে কারণেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা।

    আরও পড়ুন: এক মিনিটেই সনাক্ত হবে টিবি, পোর্টেবল এক্সরে ডিভাইস বাজারে আনছে ভারতীয় সংস্থা        

    মঙ্গলবার বিচারপতি মান্থা আন্দোলনের অনুমতি দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহ থেকেই আন্দোলন করতে পারবেন চাকরিপ্রার্থীরা (SSC Recruitment)। এর আগেও হয়েছে বহু আন্দোলন। সুরাহা হয়নি কিছুই।  

    গত দুবছর ধরে চলছে আন্দোলন। প্রেস ক্লাব, বিকাশ ভবন, গান্ধীমূর্তির পাদদেশ। আন্দোলন হয়েছে সর্বত্র। লাভ হয়নি কিছুই। সম্প্রতি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠি লিখেছেন আন্দোলনকারীরা। নিজেদের জীবন-যন্ত্রণার কথা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিতে চান তাঁরা। তাঁদের একটাই অনুরোধ, মুখ্যমন্ত্রী যেন তাঁদের দ্রুত স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

    মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল 

    এদিকে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে দিয়ে মিছিল করলেন চাকরিপ্রার্থীরা। মাঝ রাস্তায় মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর পাঁচ বছর ধরে তাঁরা বসে রয়েছেন। কিন্তু নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। আন্দোলনকারীদের হাতের ব্যানারে লেখা দেখা যায়, ‘কন্যাশ্রীকে রাত জেগে বিশ্বসেরা করল যারা, তারাই আজ বঞ্চিত’।

    স্কিল ইন্ডিয়ার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কম্পিউটার শিক্ষকদের মিছিল এগোতে থাকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে। মাঝ রাস্তায় তা আটকে দেয় পুলিশ। তারপরেই রাস্তায় বসে পড়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন স্কিল ইন্ডিয়ার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কম্পিউটার শিক্ষকরা। বেশ খানিকক্ষণ এসব চলার পর সরিয়ে দেয় পুলিশ।  স্কিল ইন্ডিয়ার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কম্পিউটার শিক্ষকরা অনেক দিন ধরেই নিয়োগের দাবি করছেন। এবার পথে নেমেছেন তাঁরাও। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Calcutta High Court: স্কুলে অবিলম্বে শরীরচর্চা ও এনসিসি চালু করতে হবে, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: স্কুলে অবিলম্বে শরীরচর্চা ও এনসিসি চালু করতে হবে, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলে যোগব্যায়াম, শরীরচর্চা এবং এনসিসির মত গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনিং অবিলম্বে চালু করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দিষ্ট একটি স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং পরিচালন কমিটির বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের ট্রেনিং থেকে বঞ্চিত করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এইসব গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনিং থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের কখনই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বঞ্চিত করতে পারে না, এমনটাই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। এই সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে এমনটাই জানিয়েছেন, বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়। আজ আদালতের তরফে এই সমস্ত ট্রেনিং চালু করার নির্দেশ দেওয়া হল।

    কী ঘটেছিল?

    হুগলির ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়া হাইস্কুলে ২০০৮ সাল থেকে এনসিসির ট্রেনিং ভালোভাবেই চলছিল। কিন্তু ২০১১ সালের সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর থেকে এই ট্রেনিংগুলো কেমন যেন উধাও হয়ে যায়। কেন্দ্রের সরকার পরিবর্তন হয়। এরপর মোদি সরকার ক্ষমতায় আসে৷ কেন্দ্র সরকার যোগব্যায়াম, শারীরশিক্ষা, স্বাস্থ্য সচেতনতার উপরও জোর দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছিল। এই মর্মে সমস্ত রাজ্যগুলিতে নির্দেশিকা পাঠায় কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। পশ্চিমবঙ্গেও সেই নির্দেশিকা কেন্দ্রের তরফে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রের ওই নির্দেশিকা রাজ্যের বেশ কিছু স্কুল বিরোধিতা করে এনসিসির ট্রেনিং দেওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা প্রকাশ করে। যার মধ্যে অন্যতম তেলেনিপাড়া ভদ্রেশ্বর হাইস্কুল রয়েছে। অভিযোগ, স্কুল পরিচালন কমিটি জানিয়ে দেয়, স্কুলে কোনও এনসিসি হবে না।

    হাইকোর্টে মামলা এনসিসি শিক্ষকের

    এরপর স্কুলের এনসিসির শিক্ষক দিব্যেন্দু বিশ্বাস আবেদন করেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং ডিআইকে। তাতেও টনক নড়েনি স্কুল কর্তৃপক্ষের। পরে সমস্ত অভিভাবকরা এবং এনসিসির শিক্ষক স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং হুগলির বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে সেই অভিযোগ পেয়ে ডিআইকে নির্দেশ দিলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ এনসিসির প্রোগ্রাম চালু করতে দেয়নি বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সুস্বাস্থ্যের কথা ভেবে এনসিসির শিক্ষক দিব্যেন্দু বিশ্বাস কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।

    এরপরেই বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের এজলাসে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। মামলাকারী পক্ষের আইনজীবী আশিস চৌধুরী আদালতে জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষ এভাবে এনসিসি ট্রেনিং বন্ধ করে দিয়ে পড়ুয়াদের প্রতি অবিচার করছে। তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

    এই নিয়ে বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতিকে কলকাতা হাইকোর্টে তলবও করেন। কিন্তু হাইকোর্টের সেই নির্দেশ পালন করেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং তারা আদালতেও হাজিরা দেননি। এরপরেই ক্ষুব্ধ বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, হুগলির বিদ্যালয় পরিদর্শকের নির্দেশ মেনে অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে এনসিসি চালু করতে হবে ওই স্কুলে।

  • Calcutta High Court: রাজ্যের সব সংশোধনাগারে জ্যামার ও ফুল বডি স্ক্যানার বসানোর নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: রাজ্যের সব সংশোধনাগারে জ্যামার ও ফুল বডি স্ক্যানার বসানোর নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোবাইলের সাহায্যে জেলে বসেই জেলা কন্ট্রোল করছেন কেষ্ট, এমন অভিযোগ নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়, ঠিক তখনই অন্য একটি মামলার শুনানিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। জেলে বন্দিদের মোবাইল ব্যাবহার রুখতে রাজ্যের সব সংশোধনাগারে জ্যামার ও ফুল বডি স্ক্যানার বসানোর নির্দেশ দিল আদালত (Kolkata High Court)। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। সোমবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ (Divison Bench) এই নির্দেশ দিয়েছে।

    আদালতের নির্দেশ

    বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, বন্দিদের কোর্ট থেকে ফিরিয়ে আনার পর আগে তাদের গোটা দেহ ওই মেশিনে তল্লাশি করতে হবে। মোবাইল সহ কোনো ইলেকট্রনিক গ্যাজেট যাতে জেলের ভিতরে ঢুকতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে জেল দফতরকে। হাইকোর্টকে (Kolkata High Court) বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট দেওয়ার জন্য কারা দফতরের একাধিক অফিসারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত। তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের লিখিত নির্দেশ দিলেও পরে রাজ্যের অনুরোধে তা প্রত্যাহার করে আদালত।

    মাদক মামলা চলাকালীন নির্দেশ

    ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে জলঙ্গি থেকে  তাজবুল শেখ ও সুকুর মণ্ডল নামের দুই যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। মাদক মামলায় অভিযুক্ত ওই দুই যুবকের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্যের সমস্ত সংশোধনাগারে নজরদারি কড়াকড়ি করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আদালতে শুনানি চলাকালীন সরকারি আইনজীবী রুদ্রদ্বিপ্ত নন্দী বলেন, তাজবুল ও সুকুর মাদক ব্যবসায় পারদর্শী। সংশোধনাগার (Jail) থেকে গোপনে ফোনের মাধ্যমে ওরা ব্যবসা চালায়। মাদক ব্যবসায় এক অভিযুক্তের সঙ্গেও দুই যুবকের যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে। বিচারপতি বাগচী এই তথ্য শুনে  হতবাক হয়ে পড়েন। এরপরই তিনি রাজ্যের সমস্ত সংশোধনাগারে চার সপ্তাহের মধ্যে জ্যামার ও ফুল বডি ইলেকট্রনিক্স স্ক্যানার (Full Body Electronic Scanner) বসানোর নির্দেশ দেন।

    আরও পড়ুন: ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাত রাজ্যপাল আনন্দ বোসের! কী কথা হল প্রাক্তন ও বর্তমানের মধ্যে?

    নির্দেশ প্রসঙ্গে

    প্রসঙ্গত, রাজ্যে সাম্প্রতিককালে একাধিক হেভিওয়েট নেতা জেলবন্দি রয়েছেন। অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে সম্প্রতি বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন কাজল শেখ। তাঁর দাবি ছিল, জেলে বসেই জেলা কন্ট্রোল করছেন অনুব্রত। এমনই এক পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে আইনজীবী মহল। হাইকোর্টের এই নির্দেশ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলছেন, ‘নিরাপত্তার দৃষ্টিভঙ্গিতে এটা ভীষণভাবে দরকার। জেলের সাধারণ কয়েদিদের পরিবার যখন দেখা করতে যান, তখন তাঁদের একটু হয়ত হয়রানি হবে। কিন্তু জেলটাকে তো তামাশা হিসেবে নেওয়া যায় না। রাজ্য সরকার এটিকে তামাশা বানিয়ে দিয়েছে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির জের, চাকরি হারাচ্ছেন নবম-দশম শ্রেণির ৬১৮ জন শিক্ষক! বিজ্ঞপ্তি জারি এসএসসি-র

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির জের, চাকরি হারাচ্ছেন নবম-দশম শ্রেণির ৬১৮ জন শিক্ষক! বিজ্ঞপ্তি জারি এসএসসি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওএমআর শিট এবং সার্ভারে দেদার নম্বরের ফারাক রয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি খোয়াতে চলেছেন নবম-দশম শ্রেণির ৬১৮ জন শিক্ষক। সোমবার ওই ৬১৮ জনের নাম প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করে তাঁদের সুপারিশপত্র বাতিল করার কথা ঘোষণা করে এসএসসি।

    এসএসসির বিজ্ঞপ্তি

    দিন দু’য়েক আগেই স্কুল সার্ভিস কমিশন ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর সুপারিশ বাতিল করে দিয়েছিল। গ্রুপ ডি-র পর এবার চাকরি বাতিল নবম-দশমের।  নবম এবং দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির কথা এর আগে স্বীকার করে নিয়েছিল এসএসসি। এসএসসির সভাপতি সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছিলেন, নির্দিষ্ট আইন মেনে ২০১৬ সালের নবম-দশমের নিযুক্ত শিক্ষকদের তালিকা থেকে ‘অযোগ্য’ ৮০৫ জনেরও বেশি শিক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে পর্যায়ক্রমে। সেই মতো প্রথম ধাপে ৬১৮ জনের চাকরি বাতিল হওয়ার পথে। পর্যায়ক্রমে আরও অযোগ্য প্র্রার্থীর নাম প্রকাশ করা হবে।

    আরও পড়ুন: জটে জমি আটকে রেল-৬: একযুগ অতিক্রান্ত! বিশ বাঁও জলে হাসনাবাদ-হিঙ্গলগঞ্জ রেলপ্রকল্প

    উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে কমিশন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নবম- দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশের পর ২০১৮ সালে মেধা তালিকা প্রকাশ করে চাকরির সুপারিশপত্র দেয় কমিশন। অভিযোগ, চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের মধ্যে অনেকেই যোগ্য ছিলেন না। প্রসঙ্গত, সিবিআই দাবি করেছিল, ওএমআর শিটে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে। কম নম্বর পাওয়া পরীক্ষার্থীদের পাশ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওএমআর শিটে কেউ পেয়েছেন ৪, কেউ পেয়েছেন ২৬, অথচ তাঁদের সকলকে ৫৩ নম্বর দিয়ে পাশ করানো হয়েছে।ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে এসএসসির পরীক্ষায় বসা ৯৫২ জন চাকরিপ্রার্থীর বিরুদ্ধে। 

    সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল

    কমিশন নিয়োগ দুর্নীতির কথা স্বীকার করার পরেই হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, এসএসসি নিজ ক্ষমতা প্রয়োগ করে ওই ৮০৫ জনের চাকরি বাতিল করুক। এই প্রক্রিয়া ৭ দিনের মধ্যে শুরু করার নির্দেশও দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল ৮০৫ জন শিক্ষক। কিন্তু এদিন সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘পার্থ’-কে টাকা দিয়েও মেলেনি চাকরি! আত্মহত্যা যুবকের, সিবিআই-নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘পার্থ’-কে টাকা দিয়েও মেলেনি চাকরি! আত্মহত্যা যুবকের, সিবিআই-নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রুপ ডি চাকরির জন্য টাকা দিয়েও মেলেনি নিয়োগপত্র। ফলে বাধ্য হয়ে আত্মহত্যারই পথ বেছে নিয়েছিলেন লালগোলার বাসিন্দা আবদুল রহমান। তাঁর মৃত্যুর পরই উদ্ধার করা হয়েছিল একটি সুইসাইড নোট। যেখানে লেখা ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ আরও কয়েকজনের নাম। সেই মামলায় এবারে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। প্রথমে এই ঘটনার তদন্তে নেমেছিল লালগোলা থানার পুলিশ। তাঁরা একটি চার্জশিট পেশ করলে সেখানে দেখা যায়, তাঁরা মৃতের বিরুদ্ধেই চার্জশিট পেশ করেছে। এর পরই পুলিশি তদন্তে অনাস্থা প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি করে মৃতের পরিবার। আর আজ সেই দাবি মেনে মামলার তদন্তভার দেওয়া হল সিবিআইকে।

    সুইসাইড নোটে পার্থর নাম!

    ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। জানা যায়, গ্রুপ ডি পদে চাকরির জন্য ছয় লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন আব্দুল রহমান। কিন্তু, ঘুষের টাকা দিয়েও চাকরি না মেলায় অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। অবশেষে বছর ২৫-এর এই যুবক আত্মঘাতী হন। তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোটও। যেখানে জনৈক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এই ঘুষের টাকা তোলার কথা লিখে যান আবদুল। সেই নোট-এ পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ কারা কারা এই নিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থ নিয়েছিলেন, তাও উল্লেখ ছিল।

    আরও পড়ুন: মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের তৃণমূল যোগ নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু, কী লিখলেন ট্যুইটে?

    আবদুলের মৃত্যুর তদন্তে চার্জশিটে রয়েছে মৃতেরই নাম!

    এরপর ঘটনার তদন্ত শুরু করে লালগোলা থানার পুলিশ। প্রথমে তদন্তে নেমে অভিযুক্ত দিবাকর কনুইকে গ্রেফতার করা হয়। সে কান্দির বাসিন্দা হলেও কলকাতা থেকে মিডলম্যান হিসেবে ভূমিকা পালন করছিল বলে তদন্তে উঠে আসে। এরপর আব্দুল রহমানের মৃত্যুর তদন্তে চার্জশিট পেশ করে লালগোলা থানার পুলিশ। তবে আশ্চর্যজনক ভাবে ওই চার্জশিটে নাম রয়েছে মৃত আব্দুলেরই। এর পর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পরিবার। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে ওঠে মামলাটি। চার্জশিট ও অন্যান্য নথি খতিয়ে দেখে এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা।

    এদিন এই মামলায় আবেদনকারীদের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে, খোঁজার বদলে আত্মঘাতী ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে পুলিশ। পুলিশের এই কাজের নিন্দার ভাষা নেই। চোরেদের আড়াল করতে বুক চিতিয়ে নেমে পড়েছে গোটা প্রশাসন। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব।”

  • SSC Scam: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ! ডিভিশন বেঞ্চে চাকরি হারানো গ্রুপ ডি কর্মীরা

    SSC Scam: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ! ডিভিশন বেঞ্চে চাকরি হারানো গ্রুপ ডি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরি থেকে বহিষ্কৃতরা। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন তাঁরা। মামলাটির শুনানি হবে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের এজলাসে। যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদের হয়ে আদালতে সওয়াল করছেন আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ, অনিন্দ্য লাহিড়ী এবং পার্থ দেববর্মণ। অন্যদিকে বিচারপতি বসুর রায়কেও চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গেলেন চাকরি খোয়ানো নবম-দশমের শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

    ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ

    শুক্রবারই বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে এসএসসি নিযুক্ত ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল করেছিল হাইকোর্ট। ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হাইকোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে ডিভিশন বেঞ্চে।

    আরও পড়ুন: বিদায় নিচ্ছে শীত! আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বাড়ছে ভয়ঙ্কর ব্যাকটেরিয়ার দাপট

    এদের প্রত্যেকের ওএমআর শিটে কারচুপি করা হয়েছিল বলে স্বীকার করে নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। বহিষ্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন বহু তৃণমূল নেতা, তাদের আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠরা। আদালতে কমিশন স্বীকারও করেছে ২৮১৯ জনের ওএমআর শিটে কারচুপি করা হয়েছে। তার মধ্যে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন ১৯১১ জন। ফলে এই ১৯১১জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সেদিন বলেছিলেন, “অবিলম্বে ১৯১১ জন গ্ৰুপ ডি কর্মীর সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করতে হবে। আমার বিশ্বাস, বেআইনি ভাবে, দুর্নীতি করে এই সব প্রার্থীদের সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল।” তাঁরা অন্য কোনও চাকরির পরীক্ষায় আর বসতে পারবেন না, সে বিষয়েও জানিয়ে দিয়েছিলেন বিচারপতি। আর এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই আজ ডিভিশন বেঞ্চের দারস্থ হন চাকরি খোয়া কর্মীরা।

    বিচারপতি বসুর রায়কে চ্যালেঞ্জ নবম এবং দশমের চাকরি যাওয়া শিক্ষকদের

    উত্তরপত্র বিকৃত করে ৯৫২ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এই ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনের ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছে বলে স্বীকার করে নেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। এরপরেই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু কমিশনকে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই ৮০৫ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর পরেই সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে যান ওই চাকরি খোয়া শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই দুই মামলাতেই ডিভিশন বেঞ্চ কী রায় দেয় সেদিকেই নজর রাজ্যবাসীর।

  • Jhalda: আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী জুন অবধি ঝালদা পুরসভার দায়িত্বে শীলা, অস্বস্তিতে তৃণমূল

    Jhalda: আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী জুন অবধি ঝালদা পুরসভার দায়িত্বে শীলা, অস্বস্তিতে তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝালদা পুরসভা (Jhalda) মামলায় নয়া মোড়। শীলা চট্টোপাধ্যায় এবং পূর্ণিমা কান্দুর নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশের সময়সীমা বাড়ালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বিচারপতির নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত নিজ নিজ পদে বহাল থাকবেন তাঁরা। আর সেদিনই হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগে দুই পক্ষকে হলফনামা পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চ।    

    ঝালদা পুরসভার (Jhalda) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে অসাংবিধনিকভাবে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শীলা চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে সঙ্গ মৃত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। মামলাটি ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চে। সেই বেঞ্চ যা রায় দিয়েছিল তার বিরোধিতায় আবার ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। কিন্তু বৃহস্পতিবার ওই মামলার শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখল। ডিভিশন বেঞ্চের স্পষ্ট নির্দেশ, আপাতত দায়িত্ব সামলাবেন শীলা চট্টোপাধ্যায়ই।

    আরও পড়ুন: বীরভূমে জাল স্লিপ দিয়ে তোলা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা, সিবিআই তদন্তের দাবি          

    কী ঘটেছে? 

    ঝালদা পুরসভার (Jhalda) নির্বাচনে কংগ্রেস জেতার পরে শীলা চট্টোপাধ্যায়কে চেয়ারপার্সন করলে, তৃণমূল তা নিয়ে আপত্তি তোলে। সেই আপত্তির ভিত্তিতে পুরুলিয়ার মহকুমাশাসক রীতম ঝাঁ নির্দেশিকা জারি করে তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকারকে চেয়ারম্যান নিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশকে যে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। তাতে আদালত তৃণমূলের সুদীপকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে। সেইসঙ্গে পরবর্তী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কংগ্রেস কাউন্সিলর তথা নিহত কংগ্রেস নেতা তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুকে।   

    এরপর কাউন্সিলর পদ (Jhalda) থেকে তাঁকে অপসারণের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শীলা চট্টোপাধ্যায়। সেই মামলা গ্রহণ করে দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা করে আদালত। মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পূর্ণিমা কান্দু ঝালদা পুরসভার চেয়ারপার্সনের পদ সামলাবেন। সঙ্গে শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজের নির্দেশেও স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। এবার শীলার চেয়ারপার্সন পদের সময়সীমা বাড়ানো হল জুন অবধি।

    আরও পড়ুন: বীরভূমে জাল স্লিপ দিয়ে তোলা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা, সিবিআই তদন্তের দাবি          

    গত ১৬ জানুয়ারি ১২টি আসন বিশিষ্ট ঝালদা (Jhalda) পুরসভার নির্বাচন হয়। ৬ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং ১ জন নির্দল কাউন্সিলের ভোট আসে কংগ্রেসের ঝুলিতে। ৫ তৃণমূল কাউন্সিলর ভোটদান থেকে বিরত থাকেন। শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দল কাউন্সিলর হিসাবে কংগ্রেসকে সমর্থন করেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় চেয়ারপার্সন হিসেবে নির্বাচিত হন। তার পরদিনই এক নির্দেশিকায় মহকুমাশাসক শীলাদেবীর কাউন্সিলর পদ খারিজ করেন। প্রশাসনের যুক্তি, নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জয়যুক্ত হলেও পরে নিজেকে নির্দল ঘোষণা করেছেন তিনি। যা দলত্যাগবিরোধী আইন বিরোধী। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

         

  • Birbhum: বীরভূমে জাল স্লিপ দিয়ে তোলা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা, সিবিআই তদন্তের দাবি

    Birbhum: বীরভূমে জাল স্লিপ দিয়ে তোলা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা, সিবিআই তদন্তের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্বন স্লিপের মাধ্যমে পাথর বোঝাই লরির চালকদের কাছ থেকে ফি দিন আদায় হয় কাঁচা টাকা। সম্পূর্ণ ক্যাশে আদায় হয় অর্থ। সরকারিভাবে স্লিপ দেওয়া হলেও, আদায় করা অর্থ জমা পড়ে না সরকারের ঘরে। কারণ স্লিপটি নকল। বীরভূমে (Birbhum) প্রতিদিন এভাবে প্রায় ৩ কোটি টাকা তোলাবাজি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন রামপুরহাট পুরসভার কাউন্সিলর, সঞ্জীব মল্লিক।

    ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সরকার…

    ওই মামলায় আদালত মনে করছে, এতে একদিকে যেমন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সরকার, তেমনি অযথা দাম বেড়ে যাচ্ছে পাথরের। বৃহস্পতিবার সরকারের তরফে কোনও প্রতিনিধি শুনানিতে উপস্থিত না থাকায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, অবিলম্বে এই বিষয়ে আবেদনকারীকে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেলকে নোটিশ দিয়ে জানাতে হবে। রাজ্য সরকারকে মামলায় যুক্ত করতে হবে। রাজ্যের লিগ্যাল রিমাম্ব্রান্সরকেও যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে সোমবার।

    ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের (Birbhum) কাউন্সিলরের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, মুরারই, রামপুরহাট, মহম্মদবাজার, নলহাটি সহ বীরভূম জেলার ছটি জায়গা থেকে কার্বন স্লিপের মাধ্যমে পাথর বোঝাই লরির ড্রাইভারদের কাছ থেকে কাঁচা টাকা আদায় করা হয়। সরকারিভাবে ওই স্লিপ দেওয়া হলেও, আদায় করা টাকা জমা পড়ে না সরকারের ঘরে। কারণ স্লিপটি জাল। জাল ওই স্লিপটিও এদিন আদালতে পেশ করেন মামলাকারীর আইনজীবী।

    আরও পড়ুুন: চাকরি বাতিল ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর, ফেরত দিতে হবে বেতনও

    বীরভূমে এই অর্থ আদায় নিয়ে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়েছে দুই গোষ্ঠীর। অন্তত আবেদনকারীর দাবি এমনই। তাঁর মতে, বগটুইয়ে ভাদু শেখের খুনের নেপথ্যেও রয়েছে এই পাথর খাদানের তোলা বাঁটোয়ারার বিষয়টি। বগটুইকাণ্ডের পর কিছু দিন বন্ধ থাকলেও, ফের সেই তোলাবাজি শুরু হয়েছে। আবেদনকারীর অভিযোগ, প্রতিদিন প্রায় তিন কোটি টাকা নগদে আদায় হলেও, রাজ্যের কোষাগারে জমা পড়ছে না। চলছে বেআইনি লেনদেন। তৃণমূলের বীরভূম (Birbhum) জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের লোকজনই একাজ করছে বলে অভিযোগ। বিচারপতি মান্থা বলেন, এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের বক্তব্য শোনা বিশেষ জরুরি। তাই ফের সব পক্ষকে নোটিশ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় আবেদনকারীকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • SSC Scam: চাকরি বাতিল ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর, ফেরত দিতে হবে বেতনও

    SSC Scam: চাকরি বাতিল ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর, ফেরত দিতে হবে বেতনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯১১ জন গ্রুপ ডি (Group D) কর্মীর চাকরি বাতিল (SSC Scam)! তাঁদের বেতনও বন্ধ হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, বেতন বাবদ এতদিন যে টাকা তাঁরা নিয়েছেন, সেটাও ফেরত দিতে হবে তাঁদের। ধাপে ধাপে সেই টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি সিবিআই (CBI) তাঁদের জেরাও করবে। প্রয়োজনে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। শুক্রবার এসএসসিকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, অবিলম্বে ১ হাজার ৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করতে হবে। বিচারপতি বলেন, আমার বিশ্বাস বেআইনিভাবে দুর্নীতি করে এই সব প্রার্থীদের সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গেই ওয়েব সাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওই কর্মীদের সুপারিশ প্রত্যাহার করে নিল এসএসসি। এবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে ওই প্রার্থীদের আইন মেনে অবিলম্বে চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    এসএসসি…

    কলকাতা হাইকোর্টে বৃহস্পতিবারই এসএসসির (SSC Scam) আইনজীবী দাবি করেছিলেন, গ্রুপ ডি নিয়োগের ক্ষেত্রে ২ হাজার ৮১৯ জনের ওএমআর শিটে কারচুপি করা হয়েছে। তিনি এও জানিয়েছিলেন, তাঁদের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কারচুপি যে হয়েছে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। ওই ২ হাজার ৮১৯ জনের মধ্যে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন ১ হাজার ৯১১ জন। শুক্রবার তাঁদেরই চাকরি বাতিলের সুপারিশ করল আদালত। এসএসসির আইনজীবীকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আপনারাই যখন বলছেন ২ হাজার ৮১৯ জনের ওএমআর শিটে কারচুপির বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই, তা হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আপনাদেরই করতে হবে।

    আরও পড়ুুন: ‘ইডি একেবারে মমতার পরিবারের কাছে পৌঁছে গিয়েছে’, সুকান্ত কেন বললেন জানেন?

    প্রথমে আলাদাভাবে এই প্রার্থীদের নাম কমিশনের সাইটে আবারও প্রকাশ করুন। তার পর তাঁদের নিয়োগ বাতিল করুন। এজন্য কমিশনকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছিলেন বিচারপতি। দেশের কোনও সরকারি চাকরিতে এঁরা বসতে পারবেন না বলেও জানায় আদালত। আদালত এও জানায়, এঁদের সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বসতে হলে তাঁদের আদালতের অনুমতি নিতে হবে। নিজেদের প্রমাণ করতে হবে নির্দোষ। ২০২১ সালে এসএসসি (SSC Scam) গ্রুপ ডি-রই ৬০৭ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁদের বেতন বন্ধের নির্দেশও দিয়েছিল আদালত।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে শিবজ্ঞানমের নাম সুপারিশ কলেজিয়ামের

    Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে শিবজ্ঞানমের নাম সুপারিশ কলেজিয়ামের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  নয়া প্রধান বিচারপতি (Chief Justice) পেতে চলেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কেন্দ্রের কাছে ওই পদে বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নাম সুপারিশ করল সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) কলেজিয়াম। শুধু তাই নয়, এলাহাবাদ হাইকোর্ট, ছত্তিশগড় হাইকোর্ট, গুজরাট হাইকোর্ট এবং মণিপুর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিদের নামও সুপারিশ করেছে ওই কলেজিয়াম। ৩০ মার্চ কলকাতা হাইকোর্টের বর্তমান প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের মেয়াদ শেষ হবে। তার প্রায় মাস দেড়েক আগেই প্রধান বিচারপতির নাম সুপারিশ করল দেশের শীর্ষ আদালতের কলেজিয়াম। বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সহ তিন বিচারপতির কলেজিয়াম কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে বিচারপতি শিবজ্ঞানমের নাম সুপারিশ করেছে। ওই কলেজিয়ামে রয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এসকে কল এবং বিচারপতি কেএম জোসেফ।

    কলেজিয়ামের সুপারিশ…

    জানা গিয়েছে, কলেজিয়াম এলাহাবাদ হাইকোর্টের জন্য সুপারিশ করেছে বিচারপতি প্রীতিঙ্কর দিবাকরের নাম। ছত্তিশগড়ের জন্য ওই পদে সুপারিশ করা হয়েছে বিচারপতি রমেশন সিংহের নাম। গুজরাট হাইকোর্টের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে সোনিয়া জি গোকানির নাম। আর মণিপুর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে সুপারিশ করা হয়েছে বিচারপতি ধীরজ সিং ঠাকুরের নাম। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব অফিস ছাড়বেন ৩০ মার্চ। তাঁরই স্থলাভিষিক্ত হতে চলেছেন বর্ষীয়ান বিচারপতি শিবজ্ঞানম।

    আরও পড়ুুন: ‘ইডি একেবারে মমতার পরিবারের কাছে পৌঁছে গিয়েছে’, সুকান্ত কেন বললেন জানেন?

    বিচারপতি শিবজ্ঞানমের জন্ম তামিলনাড়ুতে। ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে পেশা শুরু করেন। দীর্ঘ ২৩ বছর ওই পেশায় থাকার পর ২০০৯ সালে তিনি মাদ্রাজ হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। ২০১১ সালে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। সেখানে ১২ বছর থাকার পর তাঁকে কলকাতা হাইকোর্ট স্থানান্তরিত করে দেশের শীর্ষ আদালত। ২০২১ সালে তিনি প্রধান বিচারপতির পরেই হাইকোর্টে দ্বিতীয় সিনিয়র বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। বিচারপতি হিসেবে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ ২০২৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পদে নিযুক্ত হতে চলেছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share