Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • SSC Scam: এসএসসি গ্রুপ ‘ডি’ মামলায় ফের ২৮১৯ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

    SSC Scam: এসএসসি গ্রুপ ‘ডি’ মামলায় ফের ২৮১৯ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবারে এসএসসির গ্রুপ ডির কর্মী নিয়োগের মামলায় চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল আদালত। গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অবৈধভাবে চাকরি পাওয়া ২৮১৯ জনকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে নিশ্চিত হওয়ার কথা জানায় কমিশন। এরপরেই নির্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, শুক্রবারের মধ্যে এদের নাম, বাবার নাম ও বাড়ির ঠিকানাসহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে।

    ওএমআর শিটে কারচুপি!

    এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কমিশন আদালতকে জানায় ৬,৮৯৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ২৮১৯ জনেরই নিয়োগে গরমিল রয়েছে। গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে ওএমআর উত্তরপত্রে কারচুপির অভিযোগ ছিল। তাতে কমিশনের তরফে আইনজীবী আজ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে জানান, ২৮১৯ জনের ওএমআর শিটে কারচুপি হয়েছিল, সে বিষয়ে নিশ্চিত কমিশন।

    আরও পড়ুন: কোভিডকালে নির্মাণ-শিল্পে উল্কাবেগে উত্থান শিকারিয়ার! কীভাবে সম্ভব? খোঁজ করছে ইডি

    বিচারপতির প্রশ্নের মুখে কমিশন

    ওএমআর শিটে কারচুপি হয়েছে জেনেও কেন কমিশন পদক্ষেপ নেয়নি, সেই নিয়ে প্রশ্ন করেছেন বিচারপতি গাঙ্গুলি। তিনি বলেন, “আপনারাই যখন বলছেন ২৮১৯ জনের ওএমআর শিট কারচুপির বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই, তা হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আপনাদের করতে হবে। আলাদাভাবে এই প্রার্থীদের নাম কমিশনের সাইটে আবারও প্রকাশ করুন। তারপর তাঁদের নিয়োগ বাতিল ঘোষণা করুন।” অযোগ্যদের নাম, বাবার নাম ও ঠিকানাসহ তালিকা ওয়েবসাইটে আপলোড করে ও চাকবি বাতিল করার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার জন্য বিচারপতি এবারে ২৪ ঘণ্টাও বেঁধে দিলেন। আগামীকালের মধ্যেই তাঁদের বরখাস্ত করতে হবে বলে জানা গিয়েছে।

    বিচারপতি আরও বলেছেন, শুক্রবার আদালতে কমিশন হলফনামা জমা দেওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যে ২৮১৯ জনের নাম আপলোড করার এবং সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেওয়া হবে। তার ৫ মিনিটের মধ্যে তাঁদের নিয়োগপত্র প্রত্যাহার করবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ফলে বিচারপতির এমন নির্দেশে গ্রুপ ডির যোগ্য প্রার্থীরা ফের আশার আলো দেখছেন। এর পর এটাই দেখার যে পরবর্তীতে এই মামলায় আর কী কী তথ্য বেরিয়ে আসে।  

  • Calcutta High Court: কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি! বিচারপতির নির্দেশে হাইকোর্টেই ইডির হাতে গ্রেফতার হাওড়ার দুই ব্যবসায়ী

    Calcutta High Court: কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি! বিচারপতির নির্দেশে হাইকোর্টেই ইডির হাতে গ্রেফতার হাওড়ার দুই ব্যবসায়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে নজিরবিহীন ঘটনা। এজলাস থেকেই গ্রেফতার করা হল হাওড়ার দুই অভিযুক্ত ব্যবসায়ীকে। গত বছর অক্টোবর মাসে হাওড়ার দুই ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাট, অফিস, গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিপুল পরিমাণ টাকা। সেই মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি ইডিকে নির্দেশ দেন, ওই দুই ব্যবসায়ী শৈলেশ পান্ডে এবং প্রসেনজিৎ দাসকে বৃহস্পতিবারই গ্রেফতার করতে হবে। হাওড়ার এই দুই ব্যবসায়ীকে জামিন দিয়েছিল নিম্ন আদালত। কিন্তু আজ তা হাইকোর্টে খারিজ হয়ে গেল। ইতিমধ্যেই ইডি গ্রেফতার করেছে ওই দুই ব্যবসায়ীকে। বিচারপতি আরও নির্দেশ দেন যে, এই দুই ব্যবসায়ীকে বেলা তিনটের মধ্যে নিম্ন আদালতে পেশ করতে হবে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    গত বছর অক্টোবর মাসে শৈলেশ কুমার পান্ডে, প্রসেনজিৎ দাস নামে হাওড়ার শিবপুরের ওই ব্যবসায়ীর গাড়ি ও ফ্ল্যাট মিলিয়ে উদ্ধার হয় ৮ কোটি নগদ টাকা। সেই সঙ্গে সোনা, হীরের গয়নাও উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশ। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নরেন্দ্রপুর শাখার লেনদেন নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় ব্যাঙ্কের তরফে হেয়ার স্ট্রিট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর ওই অ্যাকাউন্টের দুই হোল্ডারকে ডেকে পাঠায় পুলিশ। তাঁদের কথাবার্তায় অসঙ্গতি দেখেই শুরু হয় তদন্ত। এরপর কেঁচো খুড়তে কেউটের সন্ধান মেলে। ওই ব্যাঙ্কের নরেন্দ্রপুর শাখার দু’টি অ্যাকাউন্ট থেকে ৭৭ কোটি টাকার লেনদেনের হদিশ পায় পুলিশ।

    আরও পড়ুন: শিবপুরে টাকা উদ্ধার-কাণ্ডে তদন্ত শুরু করল ইডি! জানেন কী খুঁজছে তারা?

    এখানেই থেমে নেই, পরের তদন্তে আরও ১৭টি ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ মেলে। যার মধ্যে ছ’টি খতিয়ে দেখে প্রায় ৫৭ কোটি টাকা লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছিল কলকাতা পুলিশের আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখা। লালবাজার সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ২০৭ কোটি টাকা লেনদেনের হদিশ মিলেছে। এর পর মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার মধ্যে ছিলেন পান্ডে ব্রাদার্স অর্থাৎ শৈলেশ পান্ডে, তাঁর দাদা অরবিন্দ পান্ডে ও ভাই রোহিত পান্ডে ও প্রসেনজিৎ দাস। তবে পরে তাঁদের জামিন হয়ে যায়। এর ফলেই ইডি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়।

    বিচারপতির নির্দেশ

    দীর্ঘ শুনানির পর আজ, বৃহস্পতিবার ওই মামলায় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ অভিযুক্তদের আদালত থেকেই গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। সেই মত হাইকোর্ট থেকেই অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ইডি। আবার বিচারপতি বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টের মধ্যে অভিযুক্তদের নিম্ন আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘জোর করে নাবালিকার অন্তর্বাস খুলে দেওয়া ধর্ষণের সমতুল্য’, বলল কলকাতা হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: ‘জোর করে নাবালিকার অন্তর্বাস খুলে দেওয়া ধর্ষণের সমতুল্য’, বলল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোর করে এক নাবালিকার অন্তর্বাস খুলে (removing minor’s undergarment) তাকে শুয়ে থাকতে বাধ্য করা ধর্ষণের অপরাধের সমান। সম্প্রতি একটি মামলায় এমনই রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। মেডিক্যাল পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ না থাকলেও অন্যান্য সাক্ষ্য-প্রমাণ এবং অপরাধীর উদ্দেশ্য বিচার করেই এই রায় দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    কী ঘটেছিল

    মামলার বয়ান অনুযায়ী, ২০০৭ সালের মে মাসে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে এক নাবালিকা একটি খেলনার দোকানের কাছে দাঁড়িয়ে ছিল। তখন এক ব্যক্তি তার কাছে এসে তাকে আইসক্রিম দেয়। তারপর অভিযুক্ত আরও আইসক্রিমের প্রলোভন দিয়ে ওই নাবালিকাকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে অভিযুক্ত নাবালিকাকে তার প্যান্ট খুলে ফেলতে বললে সে সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তারপর অভিযুক্ত নাবালিকার পিছু ধাওয়া করে এবং তাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে তার অন্তর্বাস খুলে দেয়। কিন্তু, মেয়েটি চিৎকার করতে শুরু করলে আশেপাশের লোকজন সেখানে চলে আসে এবং ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলে। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। যদিও ডাক্তারি পরীক্ষায় মেয়েটিকে নির্যাতনের কোনও প্রমাণ মেলেনি।

    আরও পড়ুুন: ফের বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘু হিন্দুরা, ১৪টি মন্দিরে ভাঙচুর, কী বলছে প্রশাসন?

    নিম্ন আদালতের রায় বহাল

    সেই ঘটনায় অভিযুক্ত রবির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রুজু হয়। ২০০৮ সালে বালুরঘাট জেলা ও দায়রা আদালত রবিকে দোষী সাব্যস্ত করে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৩ হাজার টাকা জরিমানারও নিদেশ দেন। জেলা ও দায়রা আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে পাল্টা মামলা দায়ের করে রবি রায়। নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষায় ধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি। তার দাবি, কোনও অসৎ উদ্দেশ্যে নয়, বরং কিশোরীকে আদর করার জন্যই এমন কাজ করেছিল সে। সেই মামলাতেই অভিযুক্তের দাবি নস্যাৎ করে দিয়ে এমন যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন কলকাতা উচ্চ আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারক জানিয়েছেন, অপরিচিত কোনও ব্যক্তি এমন কাজ করেছেন মানে তিনি নাবালিকাকে ধষর্ণের উদ্দেশ্যেই তা করেছিলেন, এ নিয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই। বিচারপতি জানিয়েছেন, শারীরিক পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ না পাওয়া গেলেও এই ঘটনা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা অনুযায়ী ধর্ষণের সমতুল্য অপরাধ। ফলে এই মামালয় নিম্ন আদালতের রায়ই বহাল রেখেছেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TET Scam: অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া নিয়োগ কীভাবে? প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    TET Scam: অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া নিয়োগ কীভাবে? প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাপটিটিউড টেস্ট (Aptitude Test) হয়নি বলে অভিযোগ। তার পরেও দিব্যি হয়েছে নিয়োগ (TET Scam)। এ সংক্রান্ত একটি মামলায়্ সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া নিয়োগ কীভাবে?  ২০১৬ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়াই হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এনিয়ে জানুয়ারি মাসে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কয়েকজন পরীক্ষার্থী। এদিন ছিল ওই মামলার শুনানি। এর আগে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদের কাছে হলফনামা তলব করেন।

    হলফনামা…

    এদিন সেই হলফনামা জমা দেয় পর্ষদ। তার পরেই বিচারপতির প্রশ্ন, অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া কীভাবে নিয়োগ?  দেড়-দু মিনিট সময়ের মধ্যে কীভাবে এক সঙ্গে ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়?  বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, পর্ষদের হলফনামায়ও অ্যাপটিটিউড টেস্টের সংজ্ঞা অনুযায়ী, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও ইন্টারভিউ (TET Scam) নেওয়াই হয়নি। এদিন পর্ষদের তরফে ওই বছর প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ইন্টারভিউ নেওয়া শিক্ষকদের নামের তালিকা পেশ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস! নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নেওয়া হয়েছে ২০ লক্ষ টাকা!

    জানা গিয়েছে, ৫ হাজার ২১৬ প্রশিক্ষণহীনের চাকরি বেআইনিভাবে হয়েছে বলে অভিযোগ মামলাকারীদের। অ্যাকাডেমিক স্কোর কম, অথচ ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্টে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি নম্বর দিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এদিকে, এদিন পর্ষদের তরফে ইন্টারভিউ (TET Scam) নেওয়া যে শিক্ষকদের নামের তালিকা হাইকোর্টে পেশ করা হয়েছে, সেই তালিকা থেকে প্রথম পর্যায়ে হাওড়া, হুগলি, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার ও মুর্শিদাবাদের শিক্ষকদের তলব করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টোয় তাঁদের আদালতের হাজিরা দিতে হবে।

    সূত্রের খবর, ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া শিক্ষকদের কাছ থেকে নানা তথ্য জানতে চায় আদালত। শুধু তাই নয়, গোটা প্রশ্নোত্তর পর্বই হবে রুদ্ধদ্বার শুনানিতে। ধাপে ধাপে তলব করা হবে মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীদেরও। দূরের জেলার ওই শিক্ষকদের রাহা খরচ বাবদ পর্ষদকে দিতে হবে দু হাজার করে টাকা। আর কাছের জেলার শিক্ষকদের দিতে হবে ৫০০ টাকা করে। এদিন পর্ষদকে এই নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kanthi: স্বস্তি নেই নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত কাঁথির তৃণমূল ছাত্রনেতার, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল ডিভিশন বেঞ্চে

    Kanthi: স্বস্তি নেই নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত কাঁথির তৃণমূল ছাত্রনেতার, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল ডিভিশন বেঞ্চে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিঙ্গল বেঞ্চের পর এবারে ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা খেল নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত কাঁথির তৃণমূল ছাত্রনেতা শুভদীপ গিরি। নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল। সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়ের উপর হস্তক্ষেপে নারাজ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তবে অভিযুক্ত শুভদীপ গিরি চাইলে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের দ্বারস্থ হতে পারেন, নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

    ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা তৃণমূল ছাত্রনেতার

    সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের উপর হস্তক্ষেপ করল না প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের রায়, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণের যে নির্দেশ দিয়েছিল, সেখানে তারা হস্তক্ষেপ করবে না। ফলে নাবালিকাকে ধর্ষণের মামলায় অস্বস্তিতে পড়লেন শুভদীপ গিরি।

    সিঙ্গল বেঞ্চে কী রায় দেওয়া হয়েছিল?

    জানুয়ারির শেষ দিকে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন, আত্মসমর্পণ করলেও জামিন দেওয়া যাবে না অভিযুক্ত শুভদীপ গিরিকে। সঙ্গে নির্দেশ, তাঁকে গ্রেফতারির সব রকম চেষ্টা করতে হবে পুলিশকে। অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেফতারের চেষ্টা করতে হবে। তিনি যেন নিম্ন আদালতে জামিন না পান, তার চেষ্টা করতে হবে পুলিশকে। আর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্রনেতা। তার পরই আজ এই নির্দেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ।

    কী ঘটেছিল?

    নির্যাতিতার বাবা-মায়ের অভিযোগ, শুভদীপ তাঁদের মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেন। মোবাইলে একান্ত মুহূর্তের বেশ কিছু ছবিও তুলে রাখেন। কিন্তু পরে তাঁদের মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হননি। মেয়েটি তাঁকে ওই সব একান্ত মুহূর্তের ছবি মোবাইল থেকে মুছে দিতে বলে। অভিযোগ, এর পর গত বছরের ১৪ অক্টোবর সেই ছবি মোছার অজুহাতে প্রাক্তন বান্ধবীকে দিঘার একটি হোটেলে ডাকেন তৃণমূল ছাত্রনেতা। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, সেখানেই তাঁদের কন্যাকে ধর্ষণ করেন শুভদীপ। এই ঘটনার পর ১ নভেম্বর তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

    চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি কাঁথি থানায় তৃণমূল ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেও কোনও পদক্ষেপ করেনি কাঁথি থানার পুলিশ। এরপর পুলিশি তদন্তে অসন্তুষ্ট ওই পরিবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এর পর গত ১৯ জানুয়ারি মামলা দায়ের হয়। আদালত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু তার পরও শুভদীপকে পুলিশ গ্রেফতার না করায় পুলিশের তদন্ত নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন খোদ বিচারপতি মান্থা। এর আগে এক তদন্তকারী পুলিশ কর্তাকে তিনি বলেন, ‘‘আপনি সঠিক ভাবে তদন্ত করছেন না…। যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে গ্রেফতার করুন।” এছাড়া, অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় আদালত। তবে অভিযুক্তের আইনজীবী এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ এই রায়ে হস্তক্ষেপ করতে নারাজ।

  • Calcutta High Court: ‘‘কীভাবে তদন্ত এগোবে রোজ বলে দিতে হবে কেন?’’ সিবিআইকে ফের ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘‘কীভাবে তদন্ত এগোবে রোজ বলে দিতে হবে কেন?’’ সিবিআইকে ফের ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে (Calcutta High Court) ফের মুখ পুড়ল সিবিআই- এর। সিবিআই আধিকারিকদের অপদার্থতায় ক্ষোভ উগরে দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বিচারপতির প্রশ্নবানের মুখে কার্যত বোবা হয়ে যান সিবিআইয়ের আইনজীবী।

    কী বললেন বিচারপতি? 

    সিবিআইয়ের অপদার্থতায় বিরক্তি প্রকাশ করে গত শুক্রবার তদন্তকারী আধিকারিকদের সম্পত্তির হিসাব পেশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court) । শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআইয়ের অপদার্থতায় বিরক্তি প্রকাশ করে গত শুক্রবার তদন্তকারী আধিকারিকদের সম্পত্তির হিসাব পেশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার যেই অবস্থায় আদালতের কাজকর্ম বন্ধ হয়েছিল সোমবার সেখান থেকেই শুরু হল। বদলাল শুধু এজলাস। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর এবার সিবিআই- এর কাজে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিচারপতি বসু।

    আরও পড়ুন: জোরালো ভূমিকম্পে পর পর দু’ বার কেঁপে উঠল তুরস্ক! মৃত অন্তত ৩৬০

    এদিন নবম – দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বসু সিবিআইয়ের আইনজীবীকে (Calcutta High Court) প্রশ্ন করেন, “চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? যারা টাকা দেওয়া-নেওয়া করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? আদালত কেন বার বার একে ওকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি বলে প্রশ্ন তুলছে?” বিচারপতির একের পর এক প্রশ্নে কার্যত  বাকরুদ্ধ হয়ে যান সিবিআইয়ের আইনজীবী।   
     
    এএরপর বিচারপতি আরও প্রশ্ন করেন, “যারা ওএমআর শিট বিকৃত করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? সিবিআই কী ভাবে তদন্ত করবে সেটা কেন বার বার আদালতকে বলে দিতে হবে? সিবিআই কী ভাবে কাজ করবে সেটা আদালতকে বারবার বলে দিতে হচ্ছে? এটা ভালো দেখায় না। কেন দুর্নীতিতে যুক্তদের প্রতি এত সদয় সিবিআই?”

    প্রসঙ্গত, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের দায়িত্বে সিবিআই (Calcutta High Court)। সাম্প্রতিককালে বার বার আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যে ২ বার তদন্তকারী আধিকারিক বদলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কিন্তু তাতেও সিবিআই- এর ভূমিকায় অখুশি সিবিআই।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     

          
     
      

     

  • Suvendu Adhikari: হাইকোর্টে স্বস্তি শুভেন্দুর! রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের শোকজ নোটিসের উপর স্থগিতাদেশ

    Suvendu Adhikari: হাইকোর্টে স্বস্তি শুভেন্দুর! রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের শোকজ নোটিসের উপর স্থগিতাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘কয়লা ভাইপো’ ট্যুইট বিতর্কে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে পাঠানো রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের শোকজ নোটিসের উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার ওই নোটিসের উপর আগামী ৩ সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করলেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য।

    কী অভিযোগ

    তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলের জন্মদিন নিয়ে কটাক্ষ করে ট্যুইট করার অভিযোগ উঠেছিল শুভেন্দুর বিরুদ্ধে। এই নিয়ে শিশু সুরক্ষা কমিশনে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। কমিশন নোটিস পাঠিয়েছিল বিরোধী দলনেতাকে।  ওই ট্যুইট নিয়ে তাঁকে ৩ বার নোটিস পাঠানো হয়।  এই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করেই হাইকোর্টে আপিল করেছিলেন শুভেন্দু। আদালতের কাছে তাঁর আর্জি ছিল, ওই নোটিস খারিজ করা হোক কিংবা তার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। বুধবার সেই মামলার শুনানির পর শুক্রবার শুভেন্দুর আবেদন গৃহীত হয়েছে।

    অভিযোগ গুরত্বহীন

    শুক্রবার ওই নোটিসে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রসঙ্গত, গত বুধবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মামলার শুনানিতে বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য তাঁর পর্যবেক্ষণ জানান, যে ট্যুইটের বিরোধিতা করে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, সেখানে ‘কয়লা ভাইপো’র কথা বলা হয়েছে! ইনি কে? তা জানতে চান বিচারপতি। তিনি বলেন, “মামলকারী তো তাঁর ট্যুইটে কারও নাম ব্যবহার করেননি।” অভিযোগ, বিতর্কিত ট্যুইটে ‘লেডি কিম’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করেছিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। এদিন শুনানি চলাকালীন বিচারপতি ভট্টাচার্য বলেন, “লেডি কিম! তিনি কে? কিম জন উন উত্তর কোরিয়ার শাসক বলে জানি। তাঁকেই কী বলা হয়েছে? না কী মজা ছিল?”

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য রাষ্ট্রবিরোধী ও ভিত্তিহীন! সব জানলে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন, দাবি শুভেন্দুর

    শুনানি চলাকালীন শুভেন্দুর আইনজীবী বলেন, “শিল্পা দাস নামে এক মহিলা কমিশনে অভিযোগ করেন। তার ভিত্তিতে নোটিস পাঠিয়েছে কমিশন।” এরপরেই বিচারপতি ভট্টাচার্যের প্রশ্ন, “যিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর সঙ্গে এই ট্যুইটের কী সম্পর্ক রয়েছে? তাঁর কি কোনও ক্ষতি বা স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হয়েছে?” কমিশনের আইনজীবী জানান, অভিযোগকারিণী একজন মা। বিরোধী দলনেতার ওই মন্তব্য শিশু অধিকার লঙ্ঘন করে! একটি শিশুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানকে কটাক্ষ করার অভিযোগ রয়েছে। এর উত্তরে কমিশনের উদ্দেশে বিচারপতি ভট্টাচার্যের প্রশ্ন, “যদি অভিযোগ সত্যিও হয়, তা হলে মামলকারীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার কোনও ক্ষমতা আপনাদের রয়েছে?” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: ‘‘সিবিআইয়ের জন্য খারাপ সময় আসছে’’! তাদেরই অফিসারকে জেরার নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    SSC Scam: ‘‘সিবিআইয়ের জন্য খারাপ সময় আসছে’’! তাদেরই অফিসারকে জেরার নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবাদ আছে, ‘যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবণ’। বাংলার ক্ষেত্রেও হয়তো তেমনটাই হচ্ছে। এখানে তদন্ত করতে এসে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারাও দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন ইঙ্গিত হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly)। নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) সংক্রান্ত মামলায় বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই (CBI)-এর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তিনি। 

    ক্ষুব্ধ বিচারপতি

    ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে বৃহস্পতিবার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন নিয়োগ সংক্রান্ত সেই মামলার শুনানিতে সিবিআই অফিসার সোমনাথ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বিচারপতি বলেছেন, “এই মামলার সঙ্গে যুক্ত সব সিবিআই আধিকারিকের ব্যক্তিগত সম্পত্তি খুঁজে বের করার নির্দেশ আমি দেব। তারপর দেখছি। তাঁরা যদি সতর্ক হয়ে কাজ না করেন তা হলে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখব।” সিবিআই প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের আওতায় রয়েছে। সেই কারণেই হয়তো সিবিআইয়ের কার্যকলাপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখার কথা জানিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের দুর্নীতি কাণ্ডের ব্যাপারে ১০ ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট পেশ করবে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই! বিজেপির প্রার্থী দিলীপ সাহা

    এদিন প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। এই মামলায় আগেই সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু সিটের তদন্ত নিয়ে সম্প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। সিবিআই ফের সময় চাইলে বিরক্তি প্রকাশ করেন তিনি। এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সিকে হুঁশিয়ার করে বলেন, “সিবিআইয়ের জন্য খুব খারাপ সময় আসছে। এখনও যদি সিবিআই ঠিকমতো কাজ না করে তাহলে তাদের জন্য খুব খারাপ দিন অপেক্ষা করছে”। তদন্তের ঢিমে তাল নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিচারপতি বলেন, ‘‘সারা পশ্চিমবঙ্গের লোক তাকিয়ে বসে আছে কী হবে। আপনারা ইয়ার্কি মারছেন? আমি তো দেখছি এ বার ইংল্যান্ডের তদন্তকারী সংস্থা এমআই-৫ এর উপর ভরসা করতে হবে।’’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • TET Scam: পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে ২০১৭ টেটের ওএমআর শিট! কার নির্দেশে? রিপোর্ট তলব বিচারপতির

    TET Scam: পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে ২০১৭ টেটের ওএমআর শিট! কার নির্দেশে? রিপোর্ট তলব বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। কিন্তু তার আগেই নষ্ট করা হয়েছে ওএমআর শিট। পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে সেই উত্তরপত্র। গতকাল কলকাতা হাইকোর্টে এমনটাই জানিয়েছে পর্ষদ। পর্ষদের এই বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, কার নির্দেশে পুড়িয়ে ফেলা হল তা খতিয়ে দেখতে হবে ও এই সংক্রান্ত বিশদ তথ্য পর্ষদের থেকে চেয়ে পাঠানো হয়েছে। আজই, বৃহস্পতিবার আদালতে তা জমা দিতে হবে৷ একইসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কোনও সিনিয়র অফিসারকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির থাকার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়৷

    ক্ষোভ প্রকাশ বিচারপতির

    ২০১৭ সালে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুসারে প্রাথমিক টেট অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২১ সালের জানুয়ারিতে। গত বছর জানুয়ারিতে ফল প্রকাশ হয় সেই পরীক্ষার। প্রার্থীদের আরটিআই-এর জবাবে এপ্রিল মাস নাগাদ পর্ষদ ওএমআর শিটের কপিও দেয়। কিন্তু গতকাল জানা গেল সেই ওএমআর শিট নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদ না থাকলে সুবিধা, আমরা প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে চলি’, বিস্ফোরক বিবৃতি বিশ্বভারতীর

    সেই পরীক্ষার নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি। তার আগেই ওএমআর শিট পুড়িয়ে ফেলার মত বিস্ময়কর কথাা প্রকাশ্যে এসেছে। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ৯৫২ জন প্রার্থীর ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার মামলার শুনানিতে জানা যায়, ওএমআর শিট প্রকাশ করা সম্ভব নয়, কারণ তা পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। একথা জেনে চরম বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি। তিনি পর্ষদকে প্রশ্ন করেন, কোন বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল ওএমআর শিট নষ্ট করে ফেলা হবে হবে? এরপরেই সিবিআইকে নির্দেশ দেন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কোন বৈঠকে ওএমআর শিট পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তা তদন্ত করে জানাতে হবে সিবিআইকে। বৃহস্পতিবার বেলা ২টোর মধ্যে জমা দিতে হবে রিপোর্ট। এই সংক্রান্ত সমস্ত নথি একই সময়সীমার মধ্যে জমা দিতে হবে পর্ষদকেও।

    প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ কাণ্ডে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, একাধিক শিক্ষাকর্তা এখন জেলে। সেই ঘটনায় দিনের পর দিন নতুন তথ্য সামনে আসছে। এবার তাতে পরীক্ষার ওএমআর শিট নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ সামনে এল। এদিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগে কারাবন্দি হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। ওএমআর পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় তাঁর হাত রয়েছে কিনা সেই নিয়েও প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। 

  • Suvendu Adhikari: ‘কয়লা ভাইপো কে? তাঁর পরিচয়ই বা কী?’, প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের

    Suvendu Adhikari: ‘কয়লা ভাইপো কে? তাঁর পরিচয়ই বা কী?’, প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা ভাইপো কে? তাঁর পরিচয় কী? প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বুধবার বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মামলার শুনানিতে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের পর্যবেক্ষণ, যে ট্যুইটের কথা বলা হচ্ছে সেখানে ‘কয়লা ভাইপো’র কথা বলা হয়েছে! ইনি কে? মামলাকারী ট্যুইটে তো কারও নাম ব্যবহার করেননি। বিচারপতি ভট্টাচার্য বলেন, লেডি কিম! তিনি কে? কিম জন উং উত্তর কোরিয়ার শাসক বলে জানি। তাঁকেই কি বলা হয়েছে? না কি মজা ছিল?

    শুভেন্দু অধিকারী...

    গত বছর ১৩ নভেম্বর শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) করা কয়েকটি ট্যুইটকে কেন্দ্র করে তাঁকে শোকজ নোটিশ পাঠায় পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। নোটিশ পাঠানো হয় তিন বার। কমিশনের এই নোটিশ খারিজের আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলেনতা। বুধবার এই মামলার শুনানিতে সওয়াল করেন শুভেন্দুর আইনজীবী। শুনানি চলাকালীন শুভেন্দুর আইনজীবী বলেন, শিল্পা দাস নামে এক মহিলা কমিশনে অভিযোগ করেছিলেন। তার ভিত্তিতে নোটিশ পাঠায় কমিশন।

    আরও পড়ুুন: সত্যকে লুকোতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য! মিড ডে মিল নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    বিচারপতি ভট্টাচার্যের প্রশ্ন, যিনি অভিযোগ করেছেন তাঁর সঙ্গে এই ট্যুইটের কী সম্পর্ক রয়েছে? তাঁর কি কোনও ক্ষতি বা স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হয়েছে? কমিশনের আইনজীবী জানান, অভিযোগকারিণী একজন মা। বিরোধী দলনেতার ওই মন্তব্য শিশু অধিকার লঙ্ঘন করে! একটি শিশুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানকে কটাক্ষ করার অভিযোগ রয়েছে। এর পরেই কমিশনের উদ্দেশে বিচারপতি ভট্টাচার্যের প্রশ্ন, যদি অভিযোগ সত্যি হয় তা হলে মামলকারীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার কোনও ক্ষমতা আপনাদের রয়েছে? কমিশনের আইনজীবী জানান, অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে অনুসন্ধান করা হয়। কমিশন নিজেও শুনানি করে। তার পর আইন অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানো হতে পারে। এর পর কমিশনের আইনজীবী হলফনামা দিয়ে উত্তর দেওয়ার জন্য সময় চান। শুভেন্দুও (Suvendu Adhikari) এই বিষয়ে অতিরিক্ত হলফনামা জমা দিতে চান। বৃহস্পতিবার ফের এই মামলাটির শুনানির দিন ধার্য হয়।

    এদিকে, একদিন জেল হেফাজতে রাখার পর বুধবার ফের আসানসোল সিবিআই আদালতে পেশ করা হল লালা ঘনিষ্ঠ রত্নেশ ভার্মাকে। কয়লাকাণ্ডে অভিযুক্ত রত্নেশকে নিজেদের হেফাজতে পেতে চায় সিবিআই। এই মর্মে এদিন আদালতে আবেদন করা হবে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে। প্রসঙ্গত, দু বছর পলাতক থাকার পর আত্মসমর্পণ করেন রত্নেশ। কয়লা পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা ঘনিষ্ঠ রত্নেশ মঙ্গলবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী তাঁর জামিন নাকচ করে একদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share