Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • SSC Scam: হাইকোর্টের নির্দেশে ১০২ জনের চাকরি বাতিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের, আজ নয়া নিয়োগ ৫১ জনকে

    SSC Scam: হাইকোর্টের নির্দেশে ১০২ জনের চাকরি বাতিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের, আজ নয়া নিয়োগ ৫১ জনকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: র‍্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ছিল যাঁদের বিরুদ্ধে, সেরকম ১০২ জনের নিয়োগপত্র বাতিল করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট গত বছর ১৪ ডিসেম্বর যে রায় দিয়েছিল তার ভিত্তিতে পর্ষদ ১০২ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল। পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তিটি জারি করেছেন সেক্রেটারি সুব্রত ঘোষ।

    বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পর্ষদের

    যে ১০২ জন শিক্ষকের নিয়োগপত্র বাতিল করা হয়েছে তাঁদের জায়গায় বুধবারই নিয়োগপত্র দেওয়া হবে ৫১ জনকে। যাঁরা বঞ্চিত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ, তেমন ৬৫ জনকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে থেকেই বুধবার নিয়োগপত্র নেবেন ৫১ জন। এমনটাই পর্ষদের তরফে জানানো হয়। কোন কোন শিক্ষককে হাইকোর্টের আদেশে চাকরি থেকে সরানো হয়েছিল সেই তালিকা প্রকাশ করেছে পর্ষদ। সেই তালিকাতে শিক্ষকের নাম এবং ওই কোন বিষয়ে স্কুলে পড়াতেন, কবে থেকে তিনি এই স্কুল শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। তার সব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ১০২ জনকে কাউন্সেলিং-এর জন্য ডাকা সম্ভব নয়, কারণ ওয়েটিং লিস্টে মাত্র ৬৫ জনের নাম আছে। আদালতের নির্দেশেই ১০২ জনের সুপারিশ বাতিল করা হয়েছিল। মঙ্গলবার তাঁদের নিয়োগপত্রও বাতিল করা হল। 

    আরও পড়ুন: এজলাস বয়কটের ডাক আইনজীবীদের! আদালত অবমাননার রুল জারি বিচারপতি মান্থার

    ২০১৬ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এসএসসি-র নবম-দশমে ওই নিয়োগ হয়েছিল। প্রায় ৬৬৩ দিন ধরে আন্দোলনের পর অবশেষে চাকরি মিলছে বঞ্চিতদের। এত বছর পরে হলেও চাকরিটা তো পাচ্ছেন, এটাতেই খুশি তাঁরা। তবে দুর্নীতির কারণে যে এতগুলো বছর নষ্ট হল, সে কথা ভুলতে পারছেন না তাঁরা। শুধু নবম-দশম নয়, প্রাথমিকের ক্ষেত্রে এমন অনেক নিয়োগ বাতিল হয়েছে আদালতের নির্দেশে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য সহ অনেকে। প্রতিদিনই উঠে আসছে দুর্নীতির নানা ছবি। এরই মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশে পর্ষদের এই পদক্ষেপে খুশি চাকরিপ্রার্থীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Justice Rajasekhar Mantha: এজলাস বয়কটের ডাক আইনজীবীদের! আদালত অবমাননার রুল জারি বিচারপতি মান্থার

    Justice Rajasekhar Mantha: এজলাস বয়কটের ডাক আইনজীবীদের! আদালত অবমাননার রুল জারি বিচারপতি মান্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বিক্ষোভকারী আইনজীবীদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)। কেবল তাই নয়, বিক্ষোভকারীদের আদালত অবমাননার রুলও জারি করলেন তিনি। স্বতঃপ্রণোদিত মামলাটির শুনানি হবে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে। প্রসঙ্গত, সোমবার থেকেই হাইকোর্টের বিচারপতি মান্থার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন আইনজীবীদের একাংশ।

    বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ…

    এদিন বিচারপতি মান্থা সোমবারের ঘটনাকে বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, আইনজীবীদের একাংশ সোমবার যা যা করেছেন, তাতে উশৃঙ্খল মনোভাব দেখা গিয়েছিল। বিচারপতি মান্থা আরও বলেন, হাইকোর্টের ১৩ নম্বর এজলাসের বাইরে যে সিসি ক্যামেরাগুলি রয়েছে, সেগুলির ফুটেজ সংরক্ষণ করে প্রধান বিচারপতির এজলাসে পাঠাতে হবে। সবটা দেখে প্রধান বিচারপতি সিদ্ধান্ত নেবেন ওই ঘটনায় কোনও ফৌজদারি মামলা রুজু হবে কিনা।

    আরও পড়ুুন: বিজেপির গঙ্গা আরতি কর্মসূচি নিয়ে ধুন্ধুমার বাবুঘাট, গ্রেফতার সজল ঘোষ

    এদিকে, এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হয়। সোমবার বিচারপতির কাজে বাধা কাঙ্ক্ষিত ছিল না। এখন যে আইনজীবীরা আদালতে এসে বলছেন, সমস্যা মিটিয়ে নিতে, ওই দিন ঘটনার সময় সেই আইনজীবীরা এজলাস সচল করতে কোনও অনুরোধ করলেন না কেন? কেন তখন আন্দোলনকারীদের আন্দোলন তুলতে অনুরোধ করলেন না তাঁরা? আদালত সব কিছু নজর রাখছে। মন্তব্য প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের।

    এদিন সওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) বেঞ্চে কাজে বাধাই নয়, সামাজিকভাবে বিচারপতির মানহানিও করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বিচারপতির বাড়ির বাইরে রঙিন পোস্টার সাঁটানো হয়েছে, কুৎসা রটানো হচ্ছে। আজ বিচারপতি মান্থা, কাল হয়তো অন্য কোনও বিচারপতির বিরুদ্ধে একই কাজ হবে। বিকাশরঞ্জন বলেন, কড়া পদক্ষেপ না নিলে এই ধরনের কাজকে উৎসাহ জোগানো হবে। আবেদন খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। জানিয়ে দিলে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সূত্রের খবর, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha)বেঞ্চের বাইরের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ১৫ জন আইনজীবীকে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Justice Rajsekhar Mantha: ‘কেউ এজলাসে ঢুকতে চাইলে যেন বাধা দেওয়া না হয়’, কড়া নির্দেশ বিচারপতি মান্থার   

    Justice Rajsekhar Mantha: ‘কেউ এজলাসে ঢুকতে চাইলে যেন বাধা দেওয়া না হয়’, কড়া নির্দেশ বিচারপতি মান্থার   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেউ এজলাসে ঢুকতে চাইলে তাঁকে যেন বাধা দেওয়া না হয়। মঙ্গলবার হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ওসিকে ডেকে এমনই নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা (Justice rajasekhar Mantha)।

    বিচারপতি মান্থা…

    সোমবার থেকেই বিচারপতি মান্থার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন হাইকোর্টের আইনজীবীদের একাংশ। তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টারও পড়ে। মঙ্গলবার সকালেও বেশ কিছু আইনজীবী তাঁর এজলাসের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। হাইকোর্ট সূত্রে খবর, এই সময় এক আইনজীবী বিচারপতি মান্থার এজলাসে ঢুকতে গিয়ে বাধা পান বলে অভিযোগ। সে খবর কানে যায় বিচারপতি মান্থার। এর পরই তিনি তলব করেন হাইকোর্টের ওসিকে। নির্দেশ দেন, তাঁর কক্ষে এবং এজলাসের বাইরে যেন পুলিশি প্রহরা আরও বাড়ানো হয়। ওসিকে তিনি বলেন, প্রয়োজনে এজলাসের বাইরে ফোর্স বাড়ান। কিন্তু কেউ এজলাসে ঢুকতে চাইলে যেন তাঁকে বাধা দেওয়া না হয়। বিচারপতির এই নির্দেশর পরেই বাড়ানো হয় পুলিশি প্রহরা। আইনজীবীদের অনেকেই ভিতরে প্রবেশ করলে শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। তবে অধিকাংশ মামলার শুনানিই হয়েছে একতরফা। বেশিরভাগ আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় স্বাভাবিক বিচার প্রক্রিয়া এগোয়নি বলে হাইকোর্ট সূত্রে খবর। প্রসঙ্গত, সোমবারও বিচারপতি মান্থার (Justice rajasekhar Mantha) এজলাস বয়কট হওয়ায় ৪০০টি মামলার বিচারপ্রক্রিয়া থমকে গিয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ মামলাও রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: কলকাতা এসটিএফের বড় সাফল্য! মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার আইএস মডিউলের মাথা কুরেশি

    এদিকে, শহরে মিছিল করার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় কর্মসূচি পালনের আবেদন নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। মঙ্গালবার বিচারপতি মান্থা তাঁদের মামলা করার অনুমতি দেন। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় সেই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা। মামলাকারীদের আইনীজীব কৌস্তভ বাগচি বলেন, আগামী ১৬ জানুয়ারি চাকরি প্রার্থীদের ১০টি সংগঠন মহামিছিলের ডাক দিয়েছে। সংগঠনগুলির সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন তিন দিক থেকে মিছিল করে ধর্মতার মেট্রো চ্যানেলে জমায়েতের পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু তাতে পুলিশ আপত্তি জানিয়েছে বলে চাকরি প্রার্থীদের একাংশের দাবি। জানা গিয়েছে, হাওড়া, কলেজ স্ট্রিট এবং শিয়ালদহ থেকে তিনটি মিছিল ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে আসবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Calcutta High Court: বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কট, আইনজীবীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হাইকোর্ট চত্বর

    Calcutta High Court: বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কট, আইনজীবীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হাইকোর্ট চত্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নজিরবিহীন ঘটনা বাংলায়! কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বয়কটের দাবি তুলে বিক্ষোভ করতে দেখা গেল আইনজীবীদের একাংশকে। আইনজীবীদের মধ্যে এই সংঘাত শেষপর্যন্ত হাতাহাতিতে পৌঁছল। কলকাতা হাইকোর্টের ১৩ নম্বর আদালত কক্ষ বন্ধ থাকা নিয়ে প্রতিবাদ জানান আইনজীবীদের একাংশ। তাঁরা জোর করে এজলাসে ঢুকতে গেলে বাধা দেন কিছু আইনজীবী। এর পর দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি, হাতাহাতি। তৃণমূলের মহিলা আইনজীবীদের একাংশ এজলাসের গেট বন্ধ করে দেন। তুমুল হট্টগোলে বিচারপতি এজলাস ছেড়ে উঠে যান। এই বিক্ষোভ, ধস্তাধস্তি শুরু হলে কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে কাজ। এর পর ২ ঘণ্টা পর এজলাসে ফিরে আসেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ও শুরু হয় বিচারের কাজ।

    হাইকোর্ট চত্বরে ধুন্ধুমার! 

    সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ কলকাতা হাইকোর্টে  বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস ঘিরে বয়কটের দাবি তোলে কিছু আইনজীবী। তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। সেই পরিস্থিতিতে নিজের এজলাস ছেড়ে উঠে যান প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবও। বন্ধ হয়ে যায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের শুনানি। প্রায় ১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে শুনানি বন্ধ থাকে বিচারপতি মান্থার এজলাসে। এরপর বিচারপতি মান্থা ফিরে আসলে কাজ শুরু হয়। হাইকোর্টের এই দৃশ্য ট্যুইটারে শেয়ার করেছেন, আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।

    বিচারপতির বাড়ির পাশেও বেনামি অভিযোগ-পোস্টার

    আবার তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের বাইরের দেওয়ালেও পোস্টার দেখা গিয়েছে। তাতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ছবি দিয়ে ইংরাজিতে লেখা – লজ্জা, বিচারব্যবস্থার নামে কলঙ্ক! কেউ আবার প্রশ্ন তুলেছেন – কোথায় আসল বিচার মিলবে? তাঁর বাড়ির আশেপাশেও লাগানো হয়েছে পোস্টার। যোধপুর পার্ক এলাকায় বিচারপতির বাড়ি। পোস্টারে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নামে বিভিন্ন অভিযোগ তোলা হয়েছে, কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে, তার কোনও উল্লেখ নেই। তদন্তে নেমেছে লেক থানার পুলিশ।

    প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব কী বললেন?

    এরপর ১৩ নম্বর কোর্ট বয়কট নিয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কেন্দ্রের অ্যাসিস্ট্যান্ট সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য। এসব শুনে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব বলেন, “এটা উচিত নয়। সব তথ্য প্রমাণ নিয়ে আসুন। বারের সভাপতি ডেকে পাঠাচ্ছি। এই ঘটনা একেবারেই উচিত নয়। বিষয়টি আমরা দেখেছি।” এরপর প্রধান বিচারপতি বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে (AG) ডেকে পাঠান। তাঁদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চান তিনি। আদালতের ১৩-এর বাইরের সমস্ত সিসি ক্যামেরা ফুটেজ চাইলেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। পরে একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পাঠানোও হল তাঁর কাছে। ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন তিনি। এই বিক্ষোভ এবং হাতাহাতির ঘটনার পর নিজের এজলাসে শুনানি বন্ধ করে জরুরি বৈঠকে বসেছেন তিনি। বৈঠকে রয়েছেন হাই কোর্টের অন্য বিচারপতিরাও। 

  • TET Scam: ফের ৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল! বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্নের মুখে সিবিআই

    TET Scam: ফের ৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল! বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্নের মুখে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (TET Scam) ফের ৩ জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার বেআইনি ভাবে প্রাথমিকের স্কুলে চাকরি পাওয়া আরও ৩ জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই নিয়ে মোট ২৬৮ জন প্রাথমিক শিক্ষকের মধ্যে ২৫৮ জনেরই চাকরি বাতিলের নির্দেশ বহাল রাখল আদালত। আবার আজ এসএসসি সংক্রান্ত এক মামলার শুনানি চলাকালীন সিবিআইকে বিচারপতির প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ভর্ৎসনার সুরে সিবিআইয়ের আইনজীবীকে জিজ্ঞেস করেন, “সিবিআইয়ের ম্যাজিক আবার কবে দেখব?”

    ফের ৩ জনের চাকরি বাতিল

    বিচারপতির এজলাসে চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিলেন এই তিন শিক্ষক। কিন্তু আদালত তাঁদের নথিপত্র খতিয়ে দেখে জানিয়ে দিয়েছে, তাঁরা তাঁদের চাকরি ফিরে পাবেন না। প্রসঙ্গত, বেআইনি ভাবে এবং নিয়োগের নিয়ম না মেনে প্রাথমিকের চাকরি পাওয়ার অভিযোগে চাকরি বাতিল হয়েছিল ২৬৮ জন শিক্ষকের। পরে সেই নির্দেশকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এই শিক্ষকেরা সুপ্রিম কোর্টে গেলেও লাভ হয়নি। গত বুধবারই ১৪৩ জন ও বৃহস্পতিবার ৫৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করা হয়েছিল। এর আগে ডিসেম্বর মাসেও ৫৩ জনের চাকরি বাতিল করেছিল উচ্চ আদালত। ফলে মোট ২৫৮ জনের চাকরি বাতিল করা হল।

    আরও পড়ুন: আরও একমাস জেল হেফাজতে মানিক, আদালতে আত্মসমর্পণ স্ত্রী-পুত্রের

    সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা রাজ্য সরকারের

    এদিন প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে দায়ের জনস্বার্থ মামলায় হস্তক্ষেপে অস্বীকার করল সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে মামলা হাইকোর্টে ফেরত পাঠালেন বিচারপতি। ২০১৪ সালের প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। তাদের দাবি, ২০১৪ সালের ঘটনায় ৮ বছর পর মামলা দায়েরের পিছনে উদ্দেশ্য কী? মামলা খারিজ করা হোক। কিন্তু সওয়াল শুনে আদালত জানিয়েছে, এব্যাপারে আপাতত কোনও হস্তক্ষেপ করবে না সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য সরকারের যা বলার হাইকোর্টে বলতে হবে। মামলা খারিজের আবেদনও জানাতে হবে সেখানেই।

    সিবিআইয়ের আইনজীবীকে প্রশ্ন বিচারপতির

    আজ, সোমবার এসএসসি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলছিল। সিবিআইয়ের আইনজীবীকে তখন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “২০২২ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এখনও কোনও আলো দেখা যায়নি।”‌ তখন সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, তাঁরা দ্রুত আসল সত্য সামনে আনবেন। তাতে আরও হতাশ হয়ে পড়েন বিচারপতি। তার পর ফের সিবিআইকে জিজ্ঞাসা করলেন, “‌আবার ম্যাজিক দেখব কবে?‌”

  • Lalan Sheikh: এবার সিআইডির থেকে লালন শেখ মৃত্যুর কেস ডাইরি চাইল আদালত

    Lalan Sheikh: এবার সিআইডির থেকে লালন শেখ মৃত্যুর কেস ডাইরি চাইল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু হয় বগটুই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalan Sheikh)। এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি। শুক্রবার এই মামলার শুনানির সময় সিআইডির থেকে কেস ডায়েরি চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার শুনানি চলার সময় বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দেন, আগামী সোমবারের মধ্যে সিআইডি-কে কেস ডায়েরি জমা দিতে হবে। তারপর ফের এই মামলার শুনানি হবে। 

    কী জানা গেল?  

    গত ১২ ডিসেম্বর রামপুরহাটের সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় লালন শেখের (Lalan Sheikh) ঝুলন্ত দেহ৷ বীরভূম পুলিশের তরফে জানানো হয়, পার্শিয়াল হ্যাঙ্গিং অর্থাৎ আংশিক ঝুলন্ত অবস্থায় লালন শেখের দেহ উদ্ধার হয়। লালনের গলায় ফাঁস লেগে থাকছেও পা ছিল মাটিতে। সিবিআই- এর বিরুদ্ধে লালনকে খুনের অভিযোগ করে তাঁর পরিবার৷ মামলার তদন্তকারী অফিসার-সহ একাধিক সিবিআই আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করেন লালনের স্ত্রী রেশমা বিবি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা। রামপুরহাটে সিবিআই-এর ওই অস্থায়ী ক্যাম্প ইতিমধ্যেই সিল করা হয়েছে। কিন্তু গত ১৫-২০ দিনে তদন্তে কোন পথে এগোল, কাদের কাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হল, কোন পর্যায়ে তদন্ত পৌঁছল তা কেস ডায়েরিতে দিতে হবে সিআইডি-কে। 

    আরও পড়ুন: বিমানে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাবের ঘটনায় প্রকাশ্যে অভিযুক্তের পরিচয়, কে সেই ব্যক্তি?

    এর আগে হাইকোর্টের ভ্যাকেশন বেঞ্চে এই মামলার (Lalan Sheikh) শুনানি হয়। সে সময় বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত দু’দিন এই মামলা শোনেন। এবার রেগুলার বেঞ্চেও তাঁরই এজলাসে এই মামলার শুনানি। সিবিআই দ্রুত এই মামলা শোনার আর্জি জানালেও আদালত এত তাড়াহুড়ো নিয়ে প্রশ্ন তোলে। আগামী সোমবার বেলা ১১টায় ফের এই মামলার শুনানি হবে।

    ইতিমধ্যেই সিবিআই (Lalan Sheikh) অফিসারদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সিআইডি। এখন দেখার কেস ডায়েরিতে কী দেয় রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

      

     

     

     
     

  • Abhishek Banerjee: আদালতের নির্দেশে রক্ষাকবচ রইল না অভিষেক-শ্যালিকার, পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি?

    Abhishek Banerjee: আদালতের নির্দেশে রক্ষাকবচ রইল না অভিষেক-শ্যালিকার, পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রক্ষাকবচ রইল না তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরের (Maneka Gambhir)। মেনকার মামলা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এর জেরে মেনকার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির (ED) আর কোনও বাধা রইল না। মেনকার রক্ষাকবচ খারিজের দাবিতে চলতি সপ্তাহেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। আদালত মেনকার রক্ষাকবচ তুলে নেওয়ায় বিপাকে অভিষেক ও তাঁর শ্যালিকা।

    গরু পাচার মামলা…

    এর আগে গরু পাচার মামলায় মেনকাকে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল ইডি। তখন ইডির আবেদনে সাড়া দেয়নি আদালত। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী মামলাটির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই রায় অনুযায়ী শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ মেনকার মামলা খারিজ করে দেয়। তবে আগামিদিনে ইডির বিরুদ্ধে নতুন করে আদালতে মেনকা যাতে আবেদন করতে পারেন, সেই স্বাধীনতাও তাঁকে দিয়েছে উচ্চ আদালত। প্রসঙ্গত, আদালতের এই নির্দেশের ফলে মেনকার বিরুদ্ধে এখন যে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি। আবার সেই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ফের আদালতের দ্বারস্থও হতে পারবেন অভিষেকের (Abhishek Banerjee) শ্যালিকা।

    আরও পড়ুুন: ‘তৃণমূলে থেকে মানুষের চোখের জল…’, নদিয়ায় বিজেপিতে যোগ দিয়ে বললেন ২০০ তৃণমূল নেতা-কর্মী

    গরু পাচার মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের শ্যালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে তলব করেছিল ইডি। ইডির এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মেনকা। মেনকাকে গ্রেফতার করা যাবে না এবং দিল্লির পরিবর্তে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে ইডিকে। অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়ে এমনই জানিয়েছিলেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। আদালতের এই নির্দেশ মতো ইডির সমন কার্যকর করেন অভিষেক-শ্যালিকা। পরে বিদেশ যেতে চেয়ে ফের আদালতের শরণ নেন মেনকা। পরে অবশ্য সেই আবেদনও প্রত্যাহার করে নেন তিনি। তাই আটকে গিয়েছিল তাঁর বিদেশ যাত্রাও। এদিন আদালতে ইডির তরফে কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল বলেন, মেনকার দু দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে। এটা থাকতে পারে না। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে কোনও পর্যবেক্ষণ বা নির্দেশ দেয়নি আদালত।

    আরও পড়ুুন: ‘‘গণতন্ত্র বিপন্ন’’! দার্জিলিং পুরসভায় দল ক্ষমতায় আসার দিনেই তৃণমূল ছাড়লেন বিনয়

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • West Midnapore Gang Rape: গণধর্ষণের তদন্তে গাফিলতি! মেদিনীপুরের এসপি-র বিরুদ্ধে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের

    West Midnapore Gang Rape: গণধর্ষণের তদন্তে গাফিলতি! মেদিনীপুরের এসপি-র বিরুদ্ধে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম মেদনীপুরের কেশপুর ব্লকের আনন্দপুর থানার গণধর্ষণের মামলায় (West Midnapore Gang Rape) জেলা পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছেন, জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমারকে সতর্ক করতে হবে। শুধু মৌখিকভাবে সতর্ক করলেই চলবে না, তাঁকে যে সতর্ক করা হল তা তাঁর সার্ভিস বুকে উল্লেখ করতে হবে বলেও জানিয়েছে আদালত। 

    কেন এমন নির্দেশ? 

    আনন্দপুর গণধর্ষণ মামলায় (West Midnapore Gang Rape) পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। আর তার জেরেই এই নির্দেশ। রাজ্য পুলিশের ডিজি-র কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল আদালত। সেই রিপোর্টে ডিজি স্পষ্ট জানান, এসপির কর্তব্যে গাফিলতি ছিল। রিপোর্ট পাওয়ার পরেই আদালতের নির্দেশ, কর্তব্যে গাফিলতির বিষয়টি এসপি দীনেশ কুমারের সার্ভিস বুকে উল্লেখ করতে হবে।

    আরও পড়ুন: রেকর্ড শীত কলকাতায়! মরশুমের শীতলতম দিনে কাঁপুনি ধরাল হাড়ে 

    কয়েক মাস আগেই কেশপুর ব্লকের আনন্দপুর থানা এলাকায় জমি বিবাদকে ঘিরে এক গণধর্ষণের ঘটনা (West Midnapore Gang Rape) ঘটে। নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগ নিতে দেরি করার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ সামনে আসার পরই আনন্দপুর থানার ওসিকে সাসপেন্ড করা হয়। এবার কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হল পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধেও।     

    মেদিনীপুরের বিষয়টিকে সামনে রেখে আদালত এদিন রাজ্যের সমস্ত এসপি ও পুলিশ কমিশনারদের সতর্ক করে বলে, কোনওভাবেই এই ধরনের ফৌজদারি অপরাধের (West Midnapore Gang Rape) অভিযোগ নিতে দেরি করলে চলবে না। এইসব মামলায় পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ এলে তৎক্ষণাৎ রাজ্যকে সংশ্লিষ্ট এসপি বা পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করতে হবে। 

    আনন্দপুরের গণধর্ষণের (West Midnapore Gang Rape) অভিযোগ পুলিশ না নেওয়ায় ইতিমধ্যে আদালতের নির্দেশে ওই থানার ওসি এবং বিভাগীয় ডিএসপির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। নির্যাতিতার আইনজীবী সৌম্যজিৎ দাস মহাপাত্রের অভিযোগ, শুধু এই একটি ঘটনা নয়, শুধু ওই জেলা নয়, রাজ্যের আরও কিছু জেলায় এমন গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। আদালতও এই অভিযোগ মেনে নিয়েছে। অভিযুক্ত এসপির বিরুদ্ধে এমন মামলা এই এজলাসেই ঝুলে রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Contai Tender Scam: এবার ‘ভুয়ো’ এফআইআর! কাঁথি টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-নির্দেশ হাইকোর্টের

    Contai Tender Scam: এবার ‘ভুয়ো’ এফআইআর! কাঁথি টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার কাঁথি টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলায় শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দুর ঘনিষ্ঠ রামচন্দ্র পান্ডার গ্রেফতারির ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। এই মর্মে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে আগামী পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট জমার নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ। যে এফআইআর-এর ভিত্তিতে রামচন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, সেই তৃতীয় এফআইআরের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছে বেঞ্চ। রামচন্দ্রের জামিন মঞ্জুর করা হয়। একইসঙ্গে, অভিযোগকারিনীকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।

    ঘটনার প্রেক্ষাপট কী?

    গত বছর, কাঁথি পুরসভার একটি টেন্ডার দুর্নীতি নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। কারণ, ওই দুর্নীতির অভিযোগের তির ছিল শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দুর দিকে। ২০১৯-২০২০ সালে কাঁথি পুরসভার শ্মশানের সংস্কারের বরাত পেয়েছিলেন ঠিকাদার রামচন্দ্র পান্ডা, যিনি শুভেন্দু এবং অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি। অভিযোগ ওঠে, ভুয়ো শংসাপত্রের মালিক রামচন্দ্রকে বরাত দেওয়া হয়। রামচন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ, টেন্ডার পেয়েও তিনি কাজ শেষ করেননি। আরও অভিযোগ, ওই টেন্ডারে দেড় কোটির টাকার দুর্নীতি হয়েছে। 

    তৃতীয় এফআইআর ঘিরে সন্দেহ

    এই অভিযোগের ভিত্তিতে রামচন্দ্র পান্ডার বিরুদ্ধে তিনটি এফআইআর দায়ের হয়। প্রথম দুটি আগে দায়ের হয়েছিল। এরপর গত ২৮ ডিসেম্বর তৃতীয় এফআইআর দায়ের হয়। আর এই তৃতীয় এফআইআর ঘিরে তৈরি হয় যাবতীয় সন্দেহ। কেন? জানা যায়, তৃতীয় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ফ্রেন্ডস ইঞ্জিনিয়ার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সম্পাদক কাকলি পান্ডা। যিনি আবার কাঁথি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার শান্তনু পান্ডার স্ত্রী। আদালতে রাজ্য জানায় যে, কাকলির অভিযোগের ভিত্তিতেই রামচন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    আদালতে রামচন্দ্রের দাবি

    আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করেন রামচন্দ্র। হাইকোর্টে তিনি জানান, এই অভিযোগের পিছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। এর আগেও কয়েক বার অভিযোগ করা হয়েছিল। এখন যে এফআইআর করা হয়েছে তা সাজানো বলেও দাবি করেন তিনি। তিনি আরও জানান, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত হওয়ার দরুন তাঁকে রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হতে হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ফের আরও এক রুশ নাগরিকের মৃত্যু হল রাশিয়ায়, এবার দেহ মিলল জাহাজে  

    কাকলির হলফনামা তলব আদালতের

    রামচন্দ্রের দাবির প্রেক্ষিতে অভিযোগকারিনী কাকলির হলফনামা তলব করে আদালত। তাতেই বেরিয়ে পড়ে আসল সত্য। রামচন্দ্রের দাবির সত্যতা রয়েছে বলে বুধবার আদালতে স্বীকার করে নেন কাকলি। তৃতীয় এফআইআর (Contai Tender Scam) সম্পর্কে আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় কাকলি জানিয়েছেন, গত বছর ২৫ ডিসেম্বর কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি তাঁকে জোর তুলে নিয়ে গিয়ে অভিযোগপত্র লিখিয়েছেন এবং তাতে সই করতে বাধ্য করেছেন। তিনি এও জানান, ওই অভিযোগপত্রে যা লেখা রয়েছে, তা তাঁর নিজের অভিযোগে ছিলই না। 

    আদালতের নির্দেশ

    কাকলির হলফনামার প্রেক্ষিতে পুলিশের ভূমিকায় বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি। তাঁর প্রশ্ন, “টেন্ডার দুর্নীতি নিয়ে পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার! এও কি সম্ভব?” এরপরই দায়ের হওয়া মামলার মামলার উপর স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। সেইসঙ্গে, ভুয়ো এফআইআর-এর পিছনে প্রভাবশালী যোগ খুঁজতে সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি। পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে সেই রিপোর্ট আদালতে জমা দেবে সিবিআই। এদিকে, রামচন্দ্র পান্ডাকে নিঃশর্তে জামিন দেয় বিচারপতি মান্থার বেঞ্চ। একইসঙ্গে, এদিন থেকে রামচন্দ্র ও কাকলিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা ২৪ ঘণ্টা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • TET Scam: ১৪৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল হাইকোর্ট, বেতন বন্ধের নির্দেশ

    TET Scam: ১৪৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল হাইকোর্ট, বেতন বন্ধের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক দুর্নীতি (TET Scam) মামলায় বড় পদক্ষেপ নিল হাইকোর্ট। ফের ১৪৩ জন ভুয়ো শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন ১৪৬ জন শিক্ষকের আবেদনের শুনানি ছিল আদালতে। তাঁদের মধ্যে ১৪৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ বহাল রাখা হল। বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, এঁদের চাকরি বাতিল করতে হবে। অবিলম্বে বেতন বন্ধের নির্দেশও দেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: প্রিয়জনদের অস্থি গঙ্গায় ভাসাতে পারবে পাকিস্তানের হিন্দুরা! নয়া নীতি মোদি সরকারের  

    প্রসঙ্গত, প্রত্যেকের চাকরির স্বপক্ষে নথি খতিয়ে দেখে চাকরি (TET Scam) বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ৫৩ জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এই পর্যন্ত সবমিলিয়ে ১৯৬ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত। 

    গত ২৩ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। এর আগে এই মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (TET Scam) নির্দেশে ২৬৯ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। ২৩ ডিসেম্বরের শুনানিতে বরখাস্ত হওয়া প্রাথমিক শিক্ষকদের হলফনামা খতিয়ে দেখে প্রথম দফায় তাঁদেরই ৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এঁদের মধ্যে একজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

    বরখাস্ত হওয়া ২৬৯ জনের মধ্যে চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে হাই কোর্টে পাল্টা আবেদন করেন ১৪৬ জন (TET Scam)। এঁদের মধ্যে বুধবারই চাকরি গিয়েছে ১৪৩ জনের। বাকি ৩ জনের মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে প্রাথমিকের দুই শিক্ষক তরুণ কারক এবং প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্যকে চাকরিতে বহাল রাখার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি, ওই দুই শিক্ষকের বেতন আবার চালু করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। নথি খতিয়ে দেখে আবার শুনানি হবে এক জন আবেদনকারীর। 

    অন্য দিকে, বুধবার আরও ৫৯ জন প্রাথমিক শিক্ষক নিজেদের চাকরি বাঁচাতে আদালতে গিয়েছিলেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁদের মামলাটি বৃহস্পতিবার শুনবেন তিনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

LinkedIn
Share