Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Anubrata Mondal: “আপনার মক্কেল এত ভিআইপি যে…”, কেষ্টর জামিন মামলায় বললেন বিচারপতি

    Anubrata Mondal: “আপনার মক্কেল এত ভিআইপি যে…”, কেষ্টর জামিন মামলায় বললেন বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় এখনই জামিন মিলল না অনুব্রতের (Anubrata Mondal)। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঠাঁই হয়েছে এখন দুবরাজপুর থানায়। শিবঠাকুরের দায়ের করা অভিযোগের পরে তাঁকে বর্তমানে রাখা হয়েছে দুবরাজপুরে। আজ, গরু পাচার মামলায় হাইকোর্টে অনুব্রতের জামিনের মামলা ছিল। আর সেই মামলার শুনানিতেই শিবঠাকুরের দায়ের করা অভিযোগের কেস ডায়েরি চায় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, অনুব্রতের বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশে যে মামলা হয়েছে, তার কেস ডায়েরি জমা দিতে হবে। এছাড়াও এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী অনুব্রতকে কটাক্ষ করে ‘ভিআইপি’ তকমা দিয়েছেন।

    কী ঘটেছে হাইকোর্টে?

    আজ হাইকোর্টে অনুব্রতের (Anubrata Mondal) জামিন মামলা ছিল। কিন্তু এই মামলার শুনানিতে জামিন তো দূরের কথা, বিচারপতি কেষ্টর বিরুদ্ধে নতুন মামলার কেস ডায়েরি চেয়ে বসলেন। একই সঙ্গে আসানসোল বিশেষ আদালতের বিচারকের হুমকি পাওয়ায় যে অভিযোগ উঠেছিল, সে কথা ফের মনে করিয়ে দিলেন বিচারপতি। সে বিষয়ে রাজ্য কী তদন্ত করেছে, সেটাও জানতে চায় আদালত। ফলে আজ শুনানি শেষে জামিনের মামলা আরও পিছিয়ে গেল। পরবর্তী শুনানি হবে ৩ জানুয়ারি।

    আরও পড়ুন: উত্তরপত্র ফাঁকা, তবু প্রাপ্ত নম্বর ৫৩! এসএসসি-এর বিকৃত ওএমআর শিট প্রকাশ হতেই চক্ষু চড়কগাছ

    এদিন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, কেন অনুব্রত (Anubrata Mondal) মামলায় সব নথি সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের হাতে জমা করা হয়নি। এই মর্মে তিনি অনুব্রত মণ্ডলকে শুক্রবার ৫টা পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। এর মধ্যে মামলা সংক্রান্ত সমস্ত নথি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সির হাতে জমা করতে বলেছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী।

    বিচারপতি কেষ্টর আইনজীবীকে কী বললেন?

    অনুব্রতর (Anubrata Mondal) হয়ে আদালতে লড়েছেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি এদিন আদালতকে জানান, নতুন মামলায় রাজ্য পুলিশ কেষ্টকে গ্রেফতার করেছে। তাঁকে বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। রাজ্য আগামী শুনানিতে কেস ডাইরি হাজির করবে বলে জানানো হয়। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী মজা করে বলেন, “আপনার মক্কেল এত ভিআইপি, যে কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে চায়। ভিআইপিদের ক্ষেত্রে এটা হয়। সবাই নজরে রাখে।” এছাড়াও বিচারপতি এদিন জানতে চান, আর নতুন করে কোনও মামলা অনুব্রতর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে কি না, কোনও মামলা পেন্ডিং রয়েছে কি না, তাও জানতে চাওয়া হয়। ফলে এই সব সওয়াল-জবাবের পর নতুন মামলার কেস ডায়েরি চাওয়া হয় ও জামিন মামলা পিছিয়ে যায়।

  • SSC Recruitment Scam: ১৬৯৮ জন ভুয়ো চাকরিপ্রার্থীর বিরুদ্ধে কড়া নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    SSC Recruitment Scam: ১৬৯৮ জন ভুয়ো চাকরিপ্রার্থীর বিরুদ্ধে কড়া নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এবার এই চাকরিপ্রার্থীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশেই কার্যত এসএসসি চাকরি প্রাপকদের ওএমআর শিট খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। একই প্রার্থীর ওএমআর শিটের মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর আর এসএসসি (SSC Recruitment Scam)-র তালিকায় থাকা নম্বরের মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক নজরে এসেছে গোয়েন্দাদের। সেই তথ্য হাইকোর্টে জমাও দেওয়া হয়েছে। বুধবারই ‘গ্রুপ ডি’ নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় সেই ওএমআর শিট বিকৃতির কথা হাইকোর্টে তুলে ধরেছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার নিয়োগ মামলায় ওএমআর বিকৃতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। যে সব প্রার্থীদের উত্তরপত্র নিয়ে এই অভিযোগ উঠেছে, এদিনই বেলা তিনটের মধ্যে তাঁদের তালিকা তুলে দিতে হবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে। এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। নাম, স্কুলের নাম, ঠিকানা আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।   

    এদিন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, “নিয়োগে দুর্নীতির জেরে ইতিমধ্যেই ছাত্রদের ক্ষতি হয়েছে। আর নয়। এক মুহূর্তও আর চাকরি করবেন না ওই প্রার্থীরা। একদিনও এদের স্কুলে ঢুকতে দেওয়া যাবে না।”

    আরও পড়ুন: বড়দিনেও জেলে, পার্থ-সুবীরেশদের জামিনের আর্জি খারিজ আদালতের

    কী দাবি করেছে সিবিআই

    সিবিআই- এর আদালতে জমা (SSC Recruitment Scam) দেওয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে ওএমআর শিটের নম্বর বদল করা হয়েছে। সিবিআই উদাহরণ তুলে ধরে বলে, “যাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৩, তিনি ওএমআর শিটে আসলে পেয়েছেন শূন্য।” গাজিয়াবাদের সংস্থা নাইসার দেওয়া তথ্য খতিয়ে দেখেই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে সিবিআই। আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানতে চান এমন প্রার্থীর সংখ্যা কত। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে ১৬৯৮। তাঁদের সম্পর্কিত তথ্য জমা দিতে বলেন বিচারপতি।  

    পর্ষদ তার জন্য সময় চায়, কিন্তু বিচারপতি জানিয়ে দেন, কোনও সময় দেওয়া হবে না। বৃহস্পতিবারই তাই নাম, ঠিকানা জমা দিতে বলা হয়েছে। এদিনই হাইকোর্টের নির্দেশে গ্রুপ ডি পরীক্ষার ১০০ টি ওএমআর শিট প্রকাশ করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন।

    অভিযুক্তদের (SSC Recruitment Scam) বেতনও ফেরত দিতে হবে বলে জানিয়েছে উচ্চ আদালত। রাজ্যের আইনজীবীকে বিচারপতি বসু বলেন, ‘‘শিক্ষা দফতরকে হিসাব করতে বলুন, এঁদের এখনও পর্যন্ত কত টাকা বেতন দেওয়া হয়েছে। সব ফেরত নিতে হবে।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Calcutta High Court: ১০০ দিনের কাজে মৃত ব্যক্তির নামে জব কার্ড-টাকা, মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    Calcutta High Court: ১০০ দিনের কাজে মৃত ব্যক্তির নামে জব কার্ড-টাকা, মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে জবকার্ডে কারচুপির অভিযোগে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। প্রকাশ্যে এসেছে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। মামলায় উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য। মৃত ব্যক্তিদের নামেও তৈরি করা হয়েছে জব কার্ড। এমনই আভিযোগ করা হয়েছে। কল্যাণী ব্লকে একশো দিনের কাজের তালিকায় এমন কিছু ব্যক্তির নাম রয়েছে, যাঁদের মধ্যে কেউ ২০১১ সালেই মারা গিয়েছেন, তো কেউ ২০১৪ সালে। ২০১৫ সালে মারা গিয়েছেন এমন কারো নামও রয়েছে তালিকায়। এমন অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়। এরই মধ্যে একটি ঘটনা, ২০১৯ সালে পুকুর খোঁড়ার কাজ করে টাকা তোলা হয়েছে অমল আচার্যর নামে। অথচ তিনি নাকি ২০১৫ সালেই মারা গিয়েছেন।      

    অভিযোগে এমন অনেক ঘটনার উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে। আরও একটি ঘটনা, একশো দিনের কাজে মদনপুর পুকুর খুঁড়েছেন মনোরঞ্জন বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি। অথচ তিনি ২০১৪ সালে মারা গিয়েছেন। তাঁর নামের অ্যাকাউন্টেও টাকা জমা পড়েছে। এমনকী পুলিশে কর্মরত এক ব্যক্তি এই প্রকল্পে টাকা তুলছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। মামলাকারীর বক্তব্য সব তথ্য রাজ্যকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সেই বিষয়ে কান দেয়নি বলে অভিযোগ। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে।

    হাইকোর্টের নির্দেশ?

    হাইকোর্ট জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন, তিন মাসের মধ্যে এই সংক্রান্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে। হাইকোর্ট (Calcutta High Court) আরও নির্দেশ দিয়েছে, এই মামলা নিস্পত্তি করা হলেও, আগামী দিনে জেলাশাসকের সেই রিপোর্ট নিয়ে মামলাকারীর কোনও অসন্তোষ থাকলে, ফের তিনি আদালতের কাছে আবেদন করতে পারবেন।

    আরও পড়ুন: নিজাম প্যালেসে এসএসসির ২ প্রাক্তন চেয়ারম্যান-সহ ৬ জনকে তলব সিবিআই- এর

    প্রসঙ্গত, একশো দিনের কাজে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে দীর্ঘদিন ধরেই সরব হচ্ছিল রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। একশো দিনের কাজে বেনিয়মের অভিযোগে আগেই হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপরেও আদালতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Subiresh Bhattacharya: জামিন না-মঞ্জুর সুবীরেশের! ‘‘সমাজের সঙ্গে বেইমানি’’, অভিমত হাইকোর্টের

    Subiresh Bhattacharya: জামিন না-মঞ্জুর সুবীরেশের! ‘‘সমাজের সঙ্গে বেইমানি’’, অভিমত হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের যুক্তি, “শিক্ষক সমাজের মেরুদণ্ড। তাই শিক্ষক নিয়োগে যদি দুর্নীতি হয়, তা হবে সমাজের সঙ্গে বেইমানি।” 

    আদালতে সওয়াল জবাব

    বুধবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে সুবীরেশের জামিনের মামলার শুনানি ছিল। সুবীরেশের আইনজীবী আদলতকে জানান, ‘‘তাঁর মক্কেল এসএসসির চেয়ারম্যান থাকাকালীন নিয়োগ দুর্নীতি হয়নি। ২১ অক্টোবরের চার্জশিট মোতাবেক আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর মৌখিক নির্দেশেই প্রোগ্রামিং অফিসার উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) পরিবর্তন করেছেন। কম নম্বর পেয়েছেন এমন প্রার্থীদের বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে। এমনকী, এসএসসির ওয়েবসাইটেও নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে। অথচ এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য তৈরি কমিটির মাথায় ছিলেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা। আমার মক্কেলকে প্রথমে সাক্ষী হিসাবে ডাকা হয়েছিল। তার পরে গ্রেফতার করা হয়।’’এরপরই বিচারপতি বলেন, ‘‘একটি সংস্থার সর্বোচ্চ পদে ছিলেন। সেই জায়গায় কী ভাবে আপনাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ এড়িয়ে যেতে পারেন? যিনিই অভিযোগ আনুন, আপনি এত দিন কেন সচেতন হননি?’’

    আরও পড়ুন: শাহী সাক্ষাতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ, তুলে ধরলের তাঁর বিরুদ্ধে মামলার তালিকা

    সুবীরেশের ভাগ্নেকে তলব

    অন্যদিকে, নম্বরে গড়মিল করে নিজের ভাগ্নেকেও চাকরি করিয়ে দিয়েছেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য,দাবি সিবিআইয়ের। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাই এবার সুবীরেশের ভাগ্নেকে নিজাম প্যালেসে তলব করল সিবিআই। কয়েকদিন আগে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের অধীনে কাজ করা চারজন কর্মীকে তলব করেছিল সিবিআই। একইসঙ্গে ডাকা হয়েছিল দুই প্রাক্তন আধিকারিককে। তাঁদের কাছ থেকে যে তথ্য মিলেছে তা নিয়ে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে সুবীরেশ। সূত্রের খবর, এঁদের মাধ্যমেই সিবিআই জানতে পেরেছে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের ভাগ্নের চাকরি পাওয়ার কাহিনী। সেটাই এবার যাচাই করতে চান সিবিআই অফিসাররা। সুতরাং মামা–ভাগ্নেকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter 

  • Hanskhali Rape Compensation: কাজ হল হাইকোর্টের ভর্ৎসনায়, হাঁসখালিকাণ্ডে মিলল ক্ষতিপূরণ

    Hanskhali Rape Compensation: কাজ হল হাইকোর্টের ভর্ৎসনায়, হাঁসখালিকাণ্ডে মিলল ক্ষতিপূরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাজ হল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ভর্ৎসনায়। নদিয়ার হাঁসখালিকাণ্ডে (Hanskhali Rape Compensation) নির্যাতিতার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হল ৫ লক্ষ টাকা। মঙ্গলবার আদালতকে এ কথা জানিয়েছে লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটি। এদিন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে তারা জানিয়েছে, সোমবারই ক্ষতিপূরণ বাবদ হাঁসখালির ওই পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছে তারা। প্রসঙ্গত, ক্ষতিপূরণের টাকা না দেওয়ায় সোমবার লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটিকে ভর্ৎসনা করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই মিলল ক্ষতিপূরণ।

    হাঁসখালি…

    হাঁসখালিতে এক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের মামলায় পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের (Hanskhali Rape Compensation) নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে টালবাহানা করায় বিরক্ত হন প্রধান বিচারপতি। নির্দেশ দেওয়ার পরেও কেন নূন্যতম ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। মামলা পিছিয়ে দিতে সময় নেওয়ায় লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির ভূমিকায় বিরক্তি প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন প্রধান বিচারপতি লিল্যাল সার্ভিসেস অথরিটির আইনজীবীকে বলেন, লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটিকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। কিছু অস্পষ্ট শব্দ বলে ব্যাপারটা আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে। তিনি বলেন, আপনাদের জন্য কত মানুষ ভুগছে। এত গুরুত্বপূর্ণ মামলায় কেন আপনারা ইনস্ট্রাকশন না নিয়ে আসেন? দায়সারাভাবে কাজ হয় না। তাঁর প্রশ্ন, যেখানে নির্দিষ্ট স্কিম রয়েছে, সেখানে আবার আলাদা ইনস্ট্রাকশনের দরকার কী আছে?

    আরও পড়ুন: ‘সমলিঙ্গে বিয়ে সামাজিক বন্ধন ছিন্ন করবে’, সুশীল মোদি

    প্রসঙ্গত, হাঁসখালিতে তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে মৃতের পরিবারকে এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট প্রকল্পের আওতায় ক্ষতিপূরণ (Hanskhali Rape Compensation) দেয়নি রাজ্য সরকার। এই ইস্যুতে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে। অথচ ন্যূনতম ক্ষতিপূরণ দেওয়া দূরে থাক, শুনানির দিন দীর্ঘায়িত করার আবেদন করে লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটি। তাই বিরক্তি প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এদিকে, অন্য একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে, যেখানে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছিল। সেই মামলার শুনানি হবে নতুন বছরের ৩০ জানুয়ারি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter 

  • Primary TET 2022: টেট পরীক্ষায় শাঁখা-পলা পরে ঢুকতে বাঁধা, হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের

    Primary TET 2022: টেট পরীক্ষায় শাঁখা-পলা পরে ঢুকতে বাঁধা, হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিকের টেট (Primary TET 2022) পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ থেকে দাবি করা হয় যে, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবেই হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে বিবাহিত মহিলাদের শাঁখা-পলা খুলে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিরোধী দল বিজেপিও। আর এর পরেই এই অভিযোগে পর্ষদের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।

    টেট পরীক্ষা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা

    প্রাথমিক টেট নিয়ে দূর্নীতির তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ থেকে, স্বজনপোষণ সহ একাধিক অভিযোগে জর্জরিত রাজ্য সরকার। আর এই পরিস্থিতিতেই ফের পর্ষদের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হল। প্রাথমিক টেট পরীক্ষা কেন্দ্রে হিন্দু মেয়েদের হাত থেকে শাঁখা-পলা খোলানোর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন মৌমিতা চক্রবর্তী নামে এক চাকরিপ্রার্থী। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদিকা পারমিতা দে এই বিষয়ে আদালতে প্রশ্ন তুলেছেন যে,  ‘কেন এই কারণে পরীক্ষা দিতে পারলেন না চাকরিপ্রার্থী? তার যে ক্ষতি হল সেটা কে পূরণ করবে?’ মামলাকারীর অভিযোগ সরাসরি পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: শাঁখা-পলা পরে টেট পরীক্ষায় বসতে বাধা, তীব্র প্রতিক্রিয়া বিজেপি বিধায়কের

    বিজেপি মহিলা মোর্চা কর্মীদের প্রতিবাদ

    শুধুমাত্র এক জায়গা থেকে অভিযোগ উঠে আসেনি। শাঁখা-পলা-নোয়া পরে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠে আসে একাধিক জেলা থেকে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এহেন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করে গেরুয়া শিবির। গত বুধবার এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি মহিলা মোর্চা কর্মীদের পথে নামতেও দেখা যায় জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুরে।

    শাঁখা, পলা খুলে টেট পরীক্ষা দিতে হবে। এই নিয়মের বেড়াজালে টেট পরীক্ষাই দেওয়া হয়নি জলপাইগুড়ির এক গৃহবধূর। জলপাইগুড়ি সেবাগ্রামের গৃহবধূ মৌমিতা চক্রবর্তী জানান, “দীর্ঘদিন বাদে এবারের প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা দিয়ে একটা চাকরি পাব আশা করেছিলাম৷ জলপাইগুড়ি দেবনগরের সতীশলাহিড়ি উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী কোনও অলঙ্কার পরে যাওয়া যাবে না। তাই বাড়িতেই সমস্ত সোনার গয়না খুলে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু পরীক্ষা কেন্দ্রের গেটে থাকা পুলিশ কর্মীরা আমার শাঁখা ও পলা খুলতে বলে। আমি খুলতে পারব না জানিয়ে দিই। কারণ বিয়ের পর থেকে আমি শাঁখা পলা হাত থেকে খুলিনি। এবারও খুলতে না পারায় তাই পরীক্ষা কেন্দ্রে না ঢুকতে পেরে বাড়ি চলে আসি।”

    আর এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির মহিলা মোর্চার সমর্থকরা বুধবার ডিবিসি রোডের অফিস থেকে মিছিল করে কোতয়ালি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। আর এবারে পর্ষদের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলাও করা হল। চলতি সপ্তাহে মামলার শুনানির সম্ভাবনা প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে।

  • Justice Abhijit Ganguly: ‘‘এখন নয়, আগে ভাল করে পড়ান’’, শিক্ষক বদলি মামলায় বিচারপতির ধমক আবেদনকারীকে

    Justice Abhijit Ganguly: ‘‘এখন নয়, আগে ভাল করে পড়ান’’, শিক্ষক বদলি মামলায় বিচারপতির ধমক আবেদনকারীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক বদলির মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) প্রশ্নের মুখে মামলাকারী। হাইকোর্টে শিক্ষক বদলির মামলায় ভর্ৎসনা করা হল মামলাকারীকে। এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি সাফ জানিয়ে দিলেন, এখন কোনও বদলি হবে না। তিনি বলেন, “শিক্ষকদের বেতন-সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকার থাকলে, ছাত্রদেরও উপযুক্ত শিক্ষার অধিকার রয়েছে। এই আদালত ওই পড়ুয়াদের জন্য চিন্তিত।” তিনি এদিন পড়ুয়াদের শিক্ষার অধিকার ও পড়ানোর মান নিয়ে সরব হন। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, শিক্ষক বদলি চাইতেই পারেন, কিন্তু তা নির্ভর করে পড়ুয়াদের উপর। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ায় ক্ষতি করে এই সুবিধা দেওয়া হবে না শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।

    মামলাটি কী?

    পুরুলিয়ার ঝালদার ঘোড়াশূল প্রাথমিক স্কুলের এক শিক্ষক বদলি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলা আজ উঠেছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) বেঞ্চে। এদিন বিচারপতি ওই স্কুল পরিদর্শনের ইচ্ছেও প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “প্রাথমিক স্কুলের পঠনপাঠন দেখতে যাব। যে কোনও একদিন স্কুল দেখতে যাব। আগে ভালো করে পড়াও ছাত্রদের, তারপরে বদলি। এই মুহুর্তে কোনও বদলি হবে না। স্কুলে শুধুমাত্র এখন মিড ডে মিল টুকু দেওয়া হয়।”

    আরও পড়ুন: ‘‘মেসির জন্য এই বিশ্বকাপ দরকার ছিল’’, বললেন আদ্যান্ত মারাদোনা-ভক্ত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    বিচারপতির প্রশ্নের মুখে মামলাকারী

    সোমবার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) প্রশ্ন করেন, ওই স্কুলে কতজন পড়ুয়া রয়েছে? আবেদনকারীর আইনজীবী জানান, পডুয়ার সংখ্যা ৫৬ জন আর শিক্ষক ২ জন। তাতে বিচারপতির মন্তব্য, “এখন ভাল করে ছাত্রদের পড়াতে বলুন। এখন আমি কোনও বদলির নির্দেশ দেব না। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এই বদলি মামলায় রাজ্যের স্কুলগুলিতে ছাত্র ও শিক্ষকের অনুপাত জানতে চেয়েছেন। আমিও তাই চাইছি।”

    সোমবার এই মামলায় নির্দেশ দিয়েছেন, রাজ্যকে ছাত্র ও শিক্ষকের অনুপাত জানাতে হবে। তার পরই আদালত বদলির নির্দেশ দেবে। তার আগে কোনও বদলি সংক্রান্ত মামলার নির্দেশ দেবে না এই আদালত। আবার বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly) এই বিষয়ে আরও বলেছেন, “শিক্ষকরা বদলি চাইছেন। তাঁরা বেতন নিচ্ছেন। অন্যান্য সুযোগও পাচ্ছেন। এটা তাঁদের অধিকার। কিন্তু এটাও মাথায় রাখতে হবে যে ছাত্রদেরও উপযুক্ত শিক্ষার অধিকার রয়েছে। তা থেকে তারা যেন বঞ্চিত না হন, তা লক্ষ রাখতে হবে। শুধু বদলি চাইলেই হবে না।” ফলে রাজ্যের তরফে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত হলফনামা দেওয়ার পরই পরবর্তী শুনানির দিনক্ষণ স্থির করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

  • Anubrata Mondal: কেষ্টকে দিল্লিতে জেরা করতে পারবে কি ইডি? সোমবার রায়দান আদালতের

    Anubrata Mondal: কেষ্টকে দিল্লিতে জেরা করতে পারবে কি ইডি? সোমবার রায়দান আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে যেতে তৎপর ইডি। তা নিয়ে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের বিশেষ বিচারকের এজলাসে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে মামলার শুনানি হল শনিবার। তবে শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছে আদালত। আগামী সোমবার এই মামলার রায় দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেদিনই জানা যাবে, ইডি অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে কিনা।

    কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে কি ইডি?

    অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে যেতে চেয়ে ইডির আবেদনকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে মামলাটি রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে ফেরত পাঠায় দিল্লি হাইকোর্ট। এদিনের শুনানিতে ইডির তরফে আবেদন জানানো হয়, অনুব্রত মণ্ডল গরুপাচারের প্রধান অভিযুক্ত। তার নেতৃত্বেই যাবতীয় দুর্নীতি হয়েছে। ফলে তাকে দিল্লিতে সংস্থার সদর দফতরে এনে জেরা করা দরকার। তবে এই মামলার আজ রায় দেননি বিচারক। 

    কেষ্টর আইনজীবীর তরফে কী বলা হল?

    পালটা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন,  “এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গে। এফআইআরও হয়েছিল সেখানেই। অনুব্রতর দিল্লিতে কোনও সম্পত্তি পাওয়া যায়নি। তাহলে ইডি কেন তাঁকে দিল্লি নিয়ে আসতে চাইছে।” 

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ বিলকিস বানোর আর্জি

    ফের হাইকোর্টে ধাক্কা কেষ্টর…

    অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টও। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি)-এর করা এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া কেষ্ট। শুক্রবার বিচারপতি বিবেক চৌধুরী অনুব্রতর করা আবেদন খারিজ করে দেন। তদন্তের স্বার্থে এই আবেদন আপাতত খারিজ করেছে আদালত। অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি। ফলে দিল্লির বিশেষ আদালতে আর্জিও জানিয়েছিল তারা। তবে ইডির এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন অনুব্রত। সেটিই গতকাল খারিজ করা হল। 

    শুনানিপর্বে কেষ্টর আইনজীবী কী বললেন?

    শুক্রবার কেষ্টর (Anubrata Mondal) করা মামলার শুনানিতে আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, নিম্ন আদালত ইতিমধ্যেই অনুমতি দিয়েছে, তদন্তের প্রয়োজনে ইডি জেলে গিয়ে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, অনুব্রতের বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ ‘বেআইনি’, ‘ভিত্তিহীন’। আইনজীবীর দাবি, প্রথমে অনুব্রতকে গরুপাচার মামলার সাক্ষী দেখানো হলেও পরে তাঁকে অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হয়েছে। এখন তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যেতে চাইছে ইডি। তাই ইডির এফআইআর খারিজ করার আবেদন জানান তিনি।

    সিবিআইয়ের তরফে কী বলা হল?

    এর উত্তরে পাল্টা সিবিআইয়ের আইনজীবী এসভি রাজু জানান, জিজ্ঞাসাবাদের পরই গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রতকে (Anubrata Mondal)। তাঁকে রিমান্ড দিয়েছে নিম্ন আদালত। যদি বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়, তাহলে নিম্ন আদালত কেন জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেবে?

    এই বক্তব্যের ফের বিরোধিতা করেন কপিল সিব্বল। তিনি বলেন, এই তথ্য ঠিক নয়। আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, টাকা তছরূপের অভিযোগ থাকলে আয়কর দফতরে যাওয়া দরকার। এরপর দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর অনুব্রতের (Anubrata Mondal) আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। 

  • SSC Scam:  ওএমআর শিটে ৩, এসএসসি সার্ভারে ৫০! এটা কি পি সি সরকারের ম্যাজিক? প্রশ্ন বিচারপতির

    SSC Scam: ওএমআর শিটে ৩, এসএসসি সার্ভারে ৫০! এটা কি পি সি সরকারের ম্যাজিক? প্রশ্ন বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোন যাদুতে ওএমআর শিটে প্রাপ্ত ৩ নম্বর এসএসসি সার্ভারে বেড়ে ৫৩ হল তা জানতে চাইলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। নবম – দশম শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) যে ভাবে অযোগ্যদের নম্বর বাড়ানো হয়েছে তাকে পিসি সরকারের ম্যাজিকের সঙ্গে তুলনা করলেন তিনি। 

    বিচারপতি যা বললেন

    শুক্রবার এসএসসি দুর্নীতি (SSC Scam) নিয়ে এক মামলায় বিস্ময় প্রকাশ করে বিচারপতি  (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, ‘ওএমআর শিটে যিনি ৩ পেয়েছিলেন, তাঁর নম্বর হয়ে গিয়েছে ৫৩। ১নম্বর হল ৫১, ২ নম্বর হল ৫২! এসব হল কী করে? জাদুকর কে? পিসি সরকার জুনিয়র (PC Sircar) নাকি সিনিয়র? কার ছোঁয়ায় নম্বরে এইরকম ম্যাজিক হল?’এ প্রসঙ্গে কমিশনের বক্তব্য জানতে চেয়েছে আদালত। চার দিনের মধ্যে এ বিষয়ে কমিশনকে উত্তর জানাতে বলেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির কথা শুনে হাসতে হাসতে যাদুকর পিসি সরকার বলেন  ‘এটা মোটেও পিসি সরকারের ম্যাজিক নয়। এটা পিবি সরকারের কেরামতি। পিবি সরকার হল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।’

    আরও পড়ুন: শুভেন্দু ইস্যুতে হাইকোর্টে ফের একবার মুখ পুড়ল রাজ্যের, কী নির্দেশ দিলেন বিচারপতি?

    প্রসঙ্গত, সিবিআইয়ের তরফে আদালতে দাবি করা হয় যে, এই মামলায় আগেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC Scam) কীর্তি ফাঁস করেছে সিবিআই। তারা জানিয়েছে, গাজিয়াবাদের যে সংস্থাকে ওএমআর শিট স্ক্যান করতে দেওয়া হয়েছিল সেখানে শূন্য পাওয়া প্রার্থীদের নম্বর বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৩। এরকম প্রতিটি ক্ষেত্রে বেড়েছে নম্বর। এর পরই ২ দফায় ২২৩ জন অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে এসএসসি। তার মধ্যে ৪০ জনের ওএমআর শিট প্রকাশ করেছে তারা। সেখানে দেখা যায় প্রচুর চাকরিপ্রার্থীর নম্বর বৃদ্ধি হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বারো জন শিক্ষক তাঁদের ওএমআর শিটে প্রাপ্ত নম্বরের সমর্থনে আদালতে আবেদন করেন। তাঁদের মামলায় যুক্ত করে একত্রে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এ-ও দাবি করে, এসএসসি-র ওই হার্ড ডিস্ক তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দেবে। আগামী ২০ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: “লজ্জাজনক… সব নিয়োগ বাতিল করে দেব”, অভিযুক্ত ২১জনকে সিবিআই জেরার নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    SSC Scam: “লজ্জাজনক… সব নিয়োগ বাতিল করে দেব”, অভিযুক্ত ২১জনকে সিবিআই জেরার নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) মামলা যেন শেষ হওয়ার নামই নিচ্ছে না। আর একের পর এক মামলার তদন্তভার দেওয়া হচ্ছে সিবিআইকে। ২০১৬ সালে নবম-দশম শ্রেণির (SLST) ২১ জনের বেআইনি ভাবে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয় আদালতের তরফে। আর আজ সেই ২১ জনকে জেরা করার জন্য সিবিআইকে অনুমতি দিল হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বয়স কম দেখিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। জানুয়ারি মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    ২১ জনের সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদে অনুমতি হাইকোর্টের

    ২০১৬ সালে নবম এবং দশম শ্রেণিতে বয়স কমিয়ে এবং অ্যাকাডেমিক নম্বর বেশি দেখিয়ে অনেককে শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে ১৯২ জন চাকরিপ্রার্থী হাইকোর্টে মামলা করেন। চাকরিতে নিয়োগের জন্য বয়সসীমা ৪০ বছর। কিন্তু সেই বয়স পেরিয়ে গেলেও নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন মামলাকারী (SSC Scam)। মামলাকারীদের দাবি, “এসএসসি-র দেওয়া মেধাতালিকা তথ্যেই স্পষ্ট, বয়স পেরোনোর পরেও চাকরি দেওয়া হয়েছে। এতে সিবিআই তদন্তের দরকার।”

    আরও পড়ুন: অষ্টম শ্রেণি পাশেই প্রাথমিকের শিক্ষক! ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টে

    ইতিমধ্যেই আদালতের কাছে এই ২১ জনের তালিকা এসে পৌঁছেছে। ফলে সেখানে দেখা গিয়েছে, তাদের প্রকৃত বয়স ৪০-এর উপরে। কিন্তু চাকরির জন্য বয়স কম করে দেখিয়েছে তারা। এরপরেই এতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যদিকে, ২০১৬ সালে অন্তত ১৬৩ জনকে বেআইনি ভাবে চাকরিতে নিয়োগের সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল বলে ইতিমধ্যেই হলফনামা দিয়ে মেনে নিয়েছে এসএসসি কর্তৃপক্ষ (SSC Scam)।

    আর এরপরেই এই মামলায় (SSC Scam) বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ, আপাতত অভিযুক্ত ২১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। এমনকী গোটা প্যানেল বাতিলের হুঁঁশিয়ারিও দেন বিচারপতি। আজ শুনানি পর্বে বিচারপতি বসু বলেন, “দুর্নীতি কোথায় হয়েছে তা দেখা হবে। কিছু যোগ্য প্রার্থীর কথা বিবেচনা করবে আদালত। যদি দেখা যায় অধিকাংশকেই বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে তবে, প্রয়োজনে সব নিয়োগ বাতিল করে দেব।” সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, “স্কুল সার্ভিস কমিশনের মেধাতালিকায় থাকা ৪০ বছর বয়স পেরিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক।”

    হাইকোর্ট থেকে আরও নির্দেশ দেওয়া হল, নিয়োগ মামলায় (SSC Scam) বয়স, নম্বর ইত্যাদি খতিয়ে দেখে আদালতে ১৬ জানুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিবিআইকে। ফলে এই নিয়োগ মামলায় আবার কী তথ্য সিবিআইয়ের হাতে উঠে আসে, সেটাই এখন দেখার। 

LinkedIn
Share