Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Partha Chatterjee: নতুন বছরের শুরুটাও জেলের আঁধারেই কাটাতে হবে পার্থ অর্পিতাকে, কেন জানেন?

    Partha Chatterjee: নতুন বছরের শুরুটাও জেলের আঁধারেই কাটাতে হবে পার্থ অর্পিতাকে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষ বিদায় কিংবা বর্ষবরণ, কোনও অনুষ্ঠানটাই এবার আর ঘটা করে পালন করতে পারবেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)! তার আগে রয়েছে ২৫ ডিসেম্বরের অনুষ্ঠান। এই তিন অনুষ্ঠানই মাটি হতে চলেছে পার্থ অর্পিতার। কারণ আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁদের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিচারক। প্রাইমারি টেট (Primary TET) দুর্নীতি মামলায় ইডি ভার্চুয়ালি আদালতে পেশ করেছিল পার্থ-অর্পিতাকে। তখনই জানানো হয় তাঁদের জেল হেফাজতের মেয়াদ। এদিন অবশ্য জামিনের আবেদন জানাননি পার্থ-অর্পিতার আইনজীবীরা। বরং পার্থকে মামলার শুনানি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছিল। সেই আর্জির শুনানি হবে ৩১ জানুয়ারি।

    আরও পড়ুন: “লজ্জাজনক… সব নিয়োগ বাতিল করে দেব”, অভিযুক্ত ২১জনকে সিবিআই জেরার নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    ইডির মামলা…

    এদিন ব্যাঙ্কশাল কোর্টে শুনানি ছিল এসএসসি সংক্রান্ত ইডির মামলার। এই মামলায় মূল অভিযুক্তদের একজন হলেন পার্থ (Partha Chatterjee)। জুলাই মাসে ইডি গ্রেফতার করেছিল তাঁকে। কিন্তু পার্থর তরফে এই মামলায় প্রশ্ন তোলা হয়েছে সেই ইডির তদন্তকারী আধিকারিকের এক্তিয়ার নিয়ে। জানতে চাওয়া হয়েছে, যে তদন্তকারী অফিসার এই মামলায় তদন্ত করছেন, তিনি কি আদৌ এই তদন্ত করতে পারেন? এই প্রশ্নের জবার দেওয়ার জন্য চার সপ্তাহের সময় চেয়েছে ইডি।

    প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শিক্ষক নিয়োগ মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। গত জুলাই মাসে গ্রেফতার হন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। ওই সময়ই গ্রেফতার করা হয় পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে নগদ প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা। বাজেয়াপ্ত করা হয় সোনার গয়নাও। এর পর একে একে গ্রেফতার করা হয় কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, এসপি সিনহা সহ একাধিক ব্যক্তিকে। ধৃতেরা প্রত্যেকেই আপাতত রয়েছেন জেলে।

     

  • Abhijit Ganguly: নবম দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে এবার ইডিও, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Abhijit Ganguly: নবম দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে এবার ইডিও, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবম দশমের ওএমআর শিট (OMR Sheet) বিকৃত করার মামলায় এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে (ED) পার্টি করার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। বুধবার ওই নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। এদিনই ইডিকে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, নবম দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এতদিন তদন্ত করছিল সিবিআই। এবার তার সঙ্গে তদন্ত করবে আরও এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। আদালতের সন্দেহ, এই মামলায়ও আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকতে পারে। সেই কারণেই এমন নির্দেশ বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। আদালতের এই নির্দেশের জেরে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তবে এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বাম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।

    নবম দশম…

    এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) জানান, ইডিকে তদন্তের দৈনিক রিপোর্ট দিতে হবে। অভিযোগ ছিল, নবম দশম শ্রেণিতে ওএমআর শিট বিকৃত করে ১৮৩ জনকে চাকরির সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। আদালত স্কুল সার্ভিস কমিশন ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে জানতে চেয়েছিল, এদের মধ্যে কতজন চাকরি করছে? এসএসসি জানায়, ৮১ জন চাকরি করছেন। মধ্য শিক্ষা পর্ষদ জানায়, সুপারিশপত্র পেলেও সবাই চাকরি করছেন না। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, শূন্য পদে নিয়োগের জন্য ২১ তারিখের মধ্যে কাউন্সেলিং করাতে হবে। যোগ্য প্রার্থীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিতে হবে ২৯ তারিখের মধ্যে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের আরও নির্দেশ, বিকৃত ওএমআর শিট অবিলম্বে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েব সাইটে আপলোড করতে হবে।

    আরও পড়ুন: লালন শেখের রহস্যমৃত্যু, রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব শুভেন্দু

    আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, আমরা হাইকোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। কারণ এটার প্রয়োজন ছিল। টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। সেই আর্থিক লেনদেনের পরিমাণটা বিশাল। তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের বহু নেতা এর ফলে লাভবান হয়েছেন। টাকা কার কাছ থেকে কোথায় গিয়েছে, এটা খুঁজে বের করা খুবই প্রয়োজন। তার জন্য ইডি-ই সব থেকে উপযুক্ত সংস্থা ভারতবর্ষে। বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যও বলেন, আদালত সঙ্গত কারণেই বলেছে। কারণ এখানেও প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে।

     

  • Lalan Sheikh: লালন শেখের ‘রহস্যময়’ মৃত্যু নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের

    Lalan Sheikh: লালন শেখের ‘রহস্যময়’ মৃত্যু নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই হেফাজতে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalan Sheikh) মৃত্যুতে এবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হল। আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় এই বিষয়ে বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন। লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হল। কীভাবে সিবিআই-এর হেফাজতে মৃত্যু লালন শেখের, প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের করা হয়েছে আদালতে। আজ, মঙ্গলবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন। জনস্বার্থ মামলার দ্রুত শুনানির আর্জিও জানিয়েছেন মামলাকারী আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়।

    লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের

    বগটুই কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখকে (Lalan Sheikh) কয়েকদিন আগেই ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর রহস্যময় মৃত্যু হয়। একদিকে সিবিআইয়ের দাবি, লালন ‘আত্মহত্যা’ করেছে। অন্যদিকে নিহতের পরিবারের দাবি, তাকে ‘খুন’ করা হয়েছে। ফলে এই মৃত্যু খুন নাকি আত্মহত্যা, তা জানার জন্যই হাইকোর্টে মামলা করা হয়। সিবিআই হেফাজতে থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: লালনের মৃত্যুতে অস্বস্তিতে সিবিআই, দিল্লি থেকে রিপোর্ট তলব, বাড়ানো হল কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা

    এদিন আাদালতে এ নিয়ে একটি বিশেষ আবেদন দাখিল করেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। সেই আর্জিতে ওই আইনজীবী আবেদন করেন, হাইকোর্টের কোনও বিচারপতির পর্যবেক্ষণে এই গোটা বিষয়টির তদন্ত করা হোক। এ নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করার আর্জিও জানান তিনি। সব্যসাচীর আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলা দায়ের করার অনুমতিও দিয়েছেন বিচারপতি। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আজ অথবা আগামিকাল শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে বগটুই কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

    অন্যদিকে লালন শেখের (Lalan Sheikh) মৃত্যুতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে রামপুরহাটে। সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পেও মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আবার, এই ঘটনা নিয়ে বিপাকে পড়েছে সিবিআই। কারণ লালনের মৃত্যুর পরে গতকাল রাতেই দিল্লির সিবিআই দফতর থেকে সেই বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয় বগটুই তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিবিআই আধিকারিকদের থেকে। এর পাশাপাশি, এই ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তও শুরু করেছে সিবিআই। ইতিমধ্যে আজ সকালেই রামপুরহাটে পৌঁছেছেন আরও কয়েকজন সিবিআই আধিকারিক। ফলে তদন্ত শুরু হলেও পরে এই মামলা শেষ পর্যন্ত আদালত পর্যন্ত গড়াল। ফলে এই ঘটনায় আদালত থেকে কী নির্দেশ দেওয়া হয়, এখন সেটাই দেখার। 

  • Suvendu Adhikari: কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছর শুরুতেই হতে চলেছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রায় ৩৪% প্রার্থীকে নমিনেশনই জমা দিতে দেওয়া হয়নি, এই অভিযোগ রয়েছে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই নির্বাচনে সেই পরিস্থিতি এড়াতে কড়া নিরাপত্তা চাইছে বিরোধী দল বিজেপি। এমতাবস্থায় রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হোক, এমনটাই চায় বিজেপি। এই দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন তিনি। এই নিয়ে এখন রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা তুঙ্গে।  

    রাজ্যে নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখনও নির্বাচনের দিন ঘোষণা না করলেও, ২০২৩ সালের শুরুতেই নির্বাচন হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাই এই নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করা হোক দাবি তুলে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)।

    আরও পড়ুন: “যে নেতারা শর্টকাটের রাজনীতি করেন, তাঁরাই করদাতাদের সবচেয়ে বড় শত্রু”, বললেন মোদি 

    কী বক্তব্য শুভেন্দুর? 

    ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সন্ত্রাসের যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সেই জন্যেই এই আবেদন। এমনটাই জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর বক্তব্য, সন্ত্রাস করেই শাসকদল পঞ্চায়েত নির্বাচন জেতার চেষ্টা করবে। তাই ভোট–লুঠ ঠেকাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করে পঞ্চায়েত নির্বাচন করা উচিত। রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা নেই, তা আগেও বার বার জানিয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করার পক্ষে একাধিকবার সওয়াল করেছে তারা। এবার সেই আবেদন পৌঁছল হাইকোর্টে। 

    সোমবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা দায়ের করে দ্রুত শুনানির আর্জি জানান শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আইনজীবী। তবে রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একদিন সময় দেওয়ার আবেদন করা হয়। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সেই আবেদন মঞ্জুর করে। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালে এই মামলার শুনানি হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • DA Case: সুপ্রিম কোর্টে দুই বাঙালি বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি ডিএ মামলার, জয়ের আশায় সরকারি কর্মীরা

    DA Case: সুপ্রিম কোর্টে দুই বাঙালি বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি ডিএ মামলার, জয়ের আশায় সরকারি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঞ্চ বদল হল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ডিএ মামলায় (DA Case)। এই মামলা গেল দুই বাঙালি বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। এঁরা হলেন বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। বুধবার এঁদের বেঞ্চেই হবে ডিএ মামলার শুনানি। মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চে চলছিল ডিএ মামলার শুনানি।

    বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত…  

    এক সময় বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ছিলেন। পরে বদলি হয়ে যান বম্বে হাইকোর্টে। সোমবার তিনি শপথ নেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে। বিচারপতি হৃষিকেশ রায় গুয়াহাটি হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করতেন। পরে সেখানেই বিচারপতি নিযুক্ত হন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন একাধিক মামলায় দীপঙ্কর দত্ত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছিলেন। তাই, তাঁর এজলাসে ডিএ মামলার শুনানি হলে এই মামলায় তাঁরাই জয়ী হবেন বলে আশা সরকারি কর্মীদের।

    প্রসঙ্গত, গত সোমবারই সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের ডিএ মামলার (DA Case) শুনানি হওয়ার কথা ছিল। পরে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ১৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। এর মধ্যে এই মামলায় সব পক্ষকে নিজেদের সংক্ষিপ্ত যুক্তি লিখিত আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এদিন দেশের শীর্ষ আদালতের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী আদালতে থাকছেন না। তাই সুপ্রিম কোর্টের সাত নম্বর কোর্টে বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চ বসবে না। এই বেঞ্চে যে মামলাগুলির শুনানি হওয়ার কথা ছিল, তা হবে বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চে।

    আরও পড়ুন: ‘দাতব্য স্বাগত, তবে দানের উদ্দেশ্য অবশ্যই ধর্মান্তকরণ নয়, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর ডিএ মামলার (DA Case) শুনানি হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেদিন রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তিনি বলেছিলেন, কলকাতা হাইকোর্ট যে হারে ডিএ দেওয়ার কথা বলছে, তা দেওয়ার সঙ্গতি নেই রাজ্যের।

    বুধবার যে বড় কিছু ঘটতে চলেছে, সে ব্যাপারে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার হাজরার সমাবেশেও তিনি বলেন, স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল যখন রাজ্য সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার কথা বলছে, তখন সুপ্রিম কোর্টেও আশা করা যায় কর্মীদের জয় হবে। তিনি বলেন, বর্ধিত হারে ডিএ দিতেই হবে রাজ্যকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Calcutta High Court: নিয়োগ দুর্নীতি কি স্বাস্থ্য দফতরেও? জেলাস্তরে গঠিত সিলেকশন কমিটি বাতিল করল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: নিয়োগ দুর্নীতি কি স্বাস্থ্য দফতরেও? জেলাস্তরে গঠিত সিলেকশন কমিটি বাতিল করল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য নিয়োগ দুর্নীতিতে জেরবার রাজ্য। এবার পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় স্বাস্থ্য দফতরে (health department) নিয়োগের জন্য জেলাস্তরে গঠিত ২৮ জনের সিলেকশন কমিটি (selection committee) বাতিল করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।  এই কমিটিতে ছিলেন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী এবং শাসকদলের নেতা। 

    আদালতের অভিমত

    উচ্চ আদালতের অভিমত, গত বছর ২৬ নভেম্বর স্বাস্থ্য দফতরের নিয়োগের জন্য যে সিলেকশন কমিটি গঠন করেছিল, তার মাথায় কোনও নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে রাখা উচিত। এর ফলে প্রার্থীদের সিলেকশন প্রক্রিয়া নিয়ে নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা দরকার। একই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মিশনের ডিরেক্টরকে হাইকোর্টের নির্দেশ, দু’সপ্তাহের মধ্যে সিলেকশন কমিটি পুনর্গঠন করতে হবে। চেয়ারম্যান হিসাবে এমন গুরুত্বপূ্র্ণ ব্যক্তিকে নিয়োগ করতে হবে যাঁর বিরুদ্ধে কোনও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ থাকবে না। যিনি অরাজনৈতিক ব্যক্তি হবেন। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, রাজ্য সরকার গঠিত মনোনয়ন কমিটির মাথায় কোনও নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে রাখা হলে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ্ব হবে।

    আরও পড়ুন: আত্মঘাতী হয়েছে লালন শেখ, বগটুই কাণ্ডে মূল অভিযুক্তের মৃত্যু নিয়ে দাবি সিবিআইয়ের

    প্রসঙ্গত, গত বছর নভেম্বর মাসে রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে এই সিলেকশন কমিটি গঠন করা হয়েছিল স্বাস্থ্য দফতরে। সেই কমিটিতে ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, গৌতম দেব, চন্দ্রনাথ সিংহ, শান্তা ছেত্রী, মলয় ঘটক, অখিল গিরি, শেখ সুফিয়ানের মতো তৃণমূলের একাধিক নেতামন্ত্রী। তারপরই এই কমিটিকে নিয়ে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন পীযূষ পাত্র। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের ১১,৫২১ পদে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে। মামলাকারীর আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি ছিল, মনোনয়ন কমিটির প্রায় সকল সদস্যই শাসকদলের নেতা-মন্ত্রী। ফলে এই নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ বা দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Justice Abhijit Ganguly: “ভগবান থেকে শয়তান হয়ে গিয়েছি”, কেন এমন বললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?

    Justice Abhijit Ganguly: “ভগবান থেকে শয়তান হয়ে গিয়েছি”, কেন এমন বললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে যেন অস্ত্র তুলে নিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। রাজ্যের লক্ষ লক্ষ বেকার ছেলে-মেয়ে তো বটেই তাদের অভিভাবকদের চোখেই তিনি হয়ে উঠেছেন ভগবান। তাঁর একের পর এক নির্দেশে আজ গারদের অন্ধকারে রাজ্যের হেভিওয়েট দুর্নীতিবাজ নেতারা। গোটা রাজ্যই তাঁকে সততার প্রতীক হিসেবে দেখা শুরু করেছে। এরই মাঝে তিনি নিজেকে ‘শয়তান’ হিসেবে দাবি করে বসলেন। কিন্তু কেন? 

    কী ঘটেছে?

    একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এক মহিলা এগিয়ে এসে তাঁকে তাঁর কথা শোনার আর্জি জানান। সময়ের অভাবে বিচারপতি তা শুনতে অস্বীকার করলে মহিলা বলেন, “ধর্মাবতার আমার কথা একটু শুনুন। আপনিই ভরসা।” তার উত্তরে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, “এখন তো মামলা মেনশনের সময় নেই। তা ছাড়া এ ভাবে বলছেন কেন? এ ভাবে কি মামলা করা যায়?” মহিলা বলেন, ”বঞ্চিত হয়ে অনেক বছর ধরে ঘুরছি। কয়েক বার আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলাম। বাচ্চার মুখের দিকে চেয়ে করতে পারিনি। এর আগে মামলা করেও কিছু হয়নি। আপনি সাহায্য করুন। আপনাকে আমরা ভগবানের মতো দেখি।” সেই সময়ই বিচারপতি উত্তর দিয়ে বলেন, “আমি বদলে গিয়েছি। আগের মতো আর নেই। ভগবান থেকে শয়তান হয়ে গিয়েছি।”

    আক্ষেপের সুরে তিনি (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, “আমি আর আগের মতো নেই। আর আমি ভগবান-টগবান নই। আমি শয়তান হয়ে গিয়েছি। ভগবান থেকে শয়তান!” মহিলা তখন পাল্টা বলেন, “এ ভাবে বলবেন না! আপনি যা দেশের জন্য যা করেছেন তা অতুলনীয়। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।”

    আরও পড়ুন: “যে নেতারা শর্টকাটের রাজনীতি করেন, তাঁরাই করদাতাদের সবচেয়ে বড় শত্রু”, বললেন মোদি 

    বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly) এরপর বলেন, “আপনার মামলার নম্বর কত? দিয়ে যান বুধবার বিষয়টি দেখতে পারি।” এরপর এজলাস ছেড়ে যাওয়ার পথে হঠাৎ পা পিছলে ওই মহিলা পড়ে গেলে কয়েকজন আইনজীবী তাঁকে তুলে ধরেন। মহিলা খানিকটা সুস্থ হয়ে জানান যে, তাঁর মাথা ঘুরে গিয়েছিল। বিচারপতি সেই মহিলাকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, “সাবধানে যান। মামলা হবে। চিন্তা করবেন না।” প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, ”আমার মন্তব্যের অন্য মানে করা হচ্ছে। আমি আর মন্তব্য করব না।”

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) এজলাসে কোনও শুনানি থাকলে এখন ঠেলাঠেলি ভিড় হয়ে যায় হাইকোর্টে। আইনজীবী, সাংবাদিক থেকে সাধারণ মানুষ সবাই ভিড় করেন। অন্য মামলার সঙ্গে জড়িত আইনজীবীরাও অনেকে এসে বসে থাকেন বিচারপতি নতুন কী বলছেন তা শোনার জন্য। জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা কোনও তারকার থেকে মোটেই কম নয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Agnimitra Paul: এখনই গ্রেফতার করা যাবে না, অগ্নিমিত্রা পাল-সহ তিন নেতাকে রক্ষাকবচ হাইকোর্টের

    Agnimitra Paul: এখনই গ্রেফতার করা যাবে না, অগ্নিমিত্রা পাল-সহ তিন নেতাকে রক্ষাকবচ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিমিত্রা পাল-সহ তিন বিজেপি নেতাকে এখনই গ্রেফতার নয়। এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সম্প্রতি ডায়মন্ডহারবারে সভা করতে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে কূলপি সহ একাধিক এলাকা। খবর পেয়েই উত্তপ্ত এলাকাগুলিতে ছুটে যান বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul), প্রাক্তন বিধায়ক দীপক হালদার সহ আরও এক বিজেপি নেতা। 

    এরপরেই এই নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। আর সেই মামলার নিরিখেই নেতাদের গ্রেফতারিতে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট। আজ শুক্রবার বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। আদালতের এই নির্দেশে খানিকটা স্বস্তিতে বিজেপি নেতারা।

    আরও পড়ুন: ওএমআর শিটে কারচুপির প্রচুর প্রমাণ সিবিআইয়ের হাতে, রিপোর্ট পেশ হাইকোর্টে

    বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ? 

    ডিসেম্বরের ৩ তারিখে দুই হাইভোল্টেজ সভায় উত্তাল ছিল রাজ্য রাজনীতি। শুভেন্দুগড় কাঁথিতে সভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেকের লোকসভা ক্ষেত্রে পাল্টা সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। দুই সভা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় দুই এলাকায়। বিজেপির সভামঞ্চ খুলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    এমনকি বিজেপি কর্মীরা যাতে শুভেন্দু অধিকারীর সভাতে না আসতে পারেন সেজন্যে বিভিন্ন জায়গাতে পথও অবরোধ করে তৃণমূল। আর সেই অবরোধ চলাকালীনই বিজেপি কর্মীদের  উপর মারধরেরও অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আর তা নিয়ে উত্তাল হয় এলাকা। ঘটনার খবর পেয়েই দ্রুত সেখানে যান বিজেপি নেতারা। 

    নেতাদের পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় অগ্নিমিত্রাসহ (Agnimitra Paul) বাকি নেতাদের। আর এরপরেই একাধিক ধারাতে অগ্নিমিত্রা পাল, প্রাক্তন বিধায়ক দীপক হালদার সহ আরও এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। আর এরপরেই এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতারা। আজ শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল।

    বিজেপির পক্ষের আইনজীবী বলেন, “ঘটনার দিনে ডায়মন্ডহারবারের সভাস্থল নষ্ট করে দেওয়া হয়। স্থানীয় থানায় এবং ডিএম, এস পিকে অভিযোগ জানানো হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। পুলিশ কাউকে গ্রেফতার না করে উল্টে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করে।”

    দীর্ঘ সওয়াল জবাব শেষে আদালত জানায়, সভা সম্পর্কিত মামলায় এখনই কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত গ্রেফতারিতে স্থগিতাদেশ। কুলপি ও উস্তি থানাকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ জানুয়ারি ফের এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

  • Suvendu Adhikari: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তিতে শুভেন্দু, জানুন কারণ

    Suvendu Adhikari: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তিতে শুভেন্দু, জানুন কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে স্বস্তি পেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রামের বিধায়কের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব এফআইআরে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিভিন্ন ঘটনায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে মোট ২৬টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। সেগুলির সবগুলির ওপরই স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। সেখানেই স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি মান্থা। গুজরাটের ক্ষমতায় ফের ফিরতে চলেছে বিজেপি। তা নিয়ে উৎসাহের অন্ত ছিল না রাজ্য বিজেপিতে। তার ওপর শুভেন্দুর এই খবরে দৃশ্যতই খুশির হাওয়া বঙ্গ বিজেপিতে।

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক…

    রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বদলের জেরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। যদিও শেষ হাসি হাসেন শুভেন্দুই। ১৯৫৬ ভোটে তিনি পরাস্ত করেন তৃণমূল নেত্রীকে। বিজেপির একাংশের অভিযোগ, তার পর থেকে নানা ঘটনায় জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে শুভেন্দুর নাম। দায়ের হয়েছে একাধিক এফআইআর। 

    আরও পড়ুন: পুলিশি হেনস্থার শিকার উস্তাদ রশিদ খান, শিল্পীর পাশে রয়েছেন শুভেন্দু

    এরই বিহিত চাইতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। আদালতে তাঁর আবেদন, হয় এফআইআরগুলি খারিজ করে দেওয়া হোক, নয়তো অভিযোগের তদন্ত করুক সিবিআই। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ, শুভেন্দু রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি মানুষের ভোটে নির্বাচিত। পুলিশ নিজে অথবা অন্য কারও নির্দেশে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনে জনগণের প্রতি বিরোধী দলেনতার (Suvendu Adhikari) কর্তব্য স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে। শুভেন্দুকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল আদালত। তার পরেও শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এত এফআইআর দায়ের হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি মান্থা। শুধু তাই নয়, রাজ্যের কাছে এ বিষয়ে হলফনামাও তলব করেছে হাইকোর্ট। ছ সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে হবে সেই হলফনামা। রাজ্যের কাছ থেকে ওই হলফনামা পাওয়ার পরেই আদালত সিদ্ধান্ত নেবে অন্য কোনও সংস্থার হাতে এই মামলাগুলির তদন্তের ভার দেওয়া হবে কিনা। আদালতের এই নির্দেশে স্বস্তিতে শুভেন্দু শিবিরও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Recruitment Scam: ২১ হাজার নিয়োগে দুর্নীতি, কারচুপি ৯ হাজার ওএমআর শিটে, হাইকোর্টে সিট

    SSC Recruitment Scam: ২১ হাজার নিয়োগে দুর্নীতি, কারচুপি ৯ হাজার ওএমআর শিটে, হাইকোর্টে সিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোট ২১ হাজার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই দুর্নীতি করতে গিয়ে ৯ হাজার ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছে। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে এমনই দাবি করল সিট। এসএসসি নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির জাল যে কত বড় তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে একথা বলে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অধীনে হাইকোর্ট (Calcutta High Court) যে স্পেশাল ইনভেস্টিগেটিং টিম তথা সিট গঠন করে দিয়েছিল তারা এদিন রিপোর্ট পেশ করেছে। সেই রিপোর্টেই এই কথা বলা হয়েছে।

     আদালতে শুনানি

    সোমবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে উপস্থিত হন সিবিআইয়ের সিটের নবনিযুক্ত প্রধান অশ্বিনী সাংভি। গ্রুপ-ডি র দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলায় তাঁকে উপস্থিত থাকতে বলেছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি সাংভিকে বলেন, “যা সাহায্য লাগবে আদালতে এসে জানাবেন, আদালত সবরকম সাহায্য করবে। এই দুর্নীতির শেষ দেখা দরকার। যারা এই দুর্নীতিতে যুক্ত তাদের কাউকে ছাড়া হবে না। জল থেকে কাদা সরিয়ে জলটাকে স্বচ্ছ করুন।” 

    আরও পড়ুন: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরি প্রার্থী এবং প্রাপককে তলব সিবিআই- এর

    আদালতে এদিন সাংভি জানান, এখনও পর্যন্ত প্রায় ২১ হাজার পদে দুর্নীতি হয়েছে, তার মধ্যে ৯ হাজার ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছে। মূল প্যানেল থেকে ওয়েটিং লিস্ট,সর্বত্রই দুর্নীতি দেখা গিয়েছে। সিবিআইকে উদ্দেশ্য করে এদিন বিচারপতি বলেন, “যে যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হয়েছে তারা শুধু ফলাফলের আশায় বসে আছেন। তারা জানতে চায় না সিবিআই কী করল, স্কুল সার্ভিস কমিশন কী করল? তারা চায় শুধু নিয়োগপত্র”। বিচারপতির কথায়, “এই দুর্নীতির তদন্ত – বিচার অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছে। এবার তদন্ত – বিচার তার লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে।” সাংভি আদালতে দাবি করেন,সিবিআই গাজিয়াবাদ থেকে হার্ড ডিস্ক উদ্ধার করার পরই ওএমআর শিটের বিষয়টি সামনে আসে এবং তদন্ত অন্য মাত্রা পায়। সাংভি জানান ইতিমধ্যেই, সিবিআই সব নথি এসএসসিকে দিয়েছি। এখন তাদের ঠিক করতে হবে যে তারা কী ভাবে এই ত্রুটি সংশোধন করবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share