Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Suvendu Adhikari: অভিষেকের মতো একই জায়গায় ধর্নায় বসতে চান শুভেন্দু! কী নির্দেশ বিচারপতি সিনহার?

    Suvendu Adhikari: অভিষেকের মতো একই জায়গায় ধর্নায় বসতে চান শুভেন্দু! কী নির্দেশ বিচারপতি সিনহার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিঃসায় আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসতে চান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। গত বছরের শেষ দিকে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে ধর্নায় বসেছিলেন, ঠিক সেখানেই এবার ধর্নায় বসতে চান তিনি। ইতিমধ্যেই ধর্নার অনুমতি চেয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গয়ালকে চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। উল্লেখ্য, ভোটের ফল প্রকাশের পর কর্মীদের ওপর আক্রমণের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। একইসঙ্গে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও উঠেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের তরফে। এসব ইস্যু সামনে রেখেই আগামী ১৯ জুন থেকে ধর্নায় বসার পরিকল্পনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

    হাইকোর্টের নির্দেশ (Calcutta High Court) 

    এ প্রসঙ্গে, শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে যে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে রাজ্যপালের কাছে নতুন করে আবেদন জানাতে পারেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। বিচারপতি জানিয়েছেন, রাজ্যপালের অনুমতি সাপেক্ষে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও নির্বাচন পরবর্তী অশান্তিতে ‘আক্রান্ত’ ব্যক্তিরা। তবে রাজ্যপালের সঙ্গে কতজন দেখা করতে যাবেন, সেটা পুলিশকে জানাতে হবে। পাশাপাশি বিচারপতির নির্দেশ, যদি গাড়ি নিয়ে রাজ ভবনের (Raj Bhavan) ভেতরে যাওয়া হয়, তাহলে কতগুলি গাড়ি রাজভবনের ভিতরে ঢুকবে, সেটাও জানাতে হবে পুলিশকে। 
    তবে শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষের আইনজীবী এদিন আদালতে জানিয়ে দেন, তাঁদের কোনও গাড়ি রাজভবনের ভিতরে ঢুকবে না। সকলেই হেঁটে রাজভবনের ভিতরে প্রবেশ করবেন। অন্যদিকে রাজ্যের তরফে আবার সওয়াল করা হয়, যাঁরা রাজভবনের ভিতরে প্রবেশ করবেন, তাঁদের শনাক্তকরণের কাজ শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পক্ষ থেকে কোনও ব্যক্তিকে করতে হবে। রাজ্যের এই দাবিতে বিচারপতি সম্মতি দিলেও, তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, কারও পরিচয় নথিবদ্ধ করা যাবে না। কারণ, সেরকম হলে পরে আবার তাঁদের হেনস্থা করার আশঙ্কা থেকে যায় বলেই মনে করছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

    আরও পড়ুন: ছাত্রীকে ‘কপালে তিলক’ ও ‘গলায় মালা’ নিয়ে স্কুল প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা! শোরগোল রঘুনাথগঞ্জে

    কেন এই ধর্নার সিদ্ধান্ত? 

    বিজেপি জানিয়েছে, এ বছর লোকসভা ভোটের ফলাফলে কিছুটা আশাহত দলের নিচুতলার কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে দলের শীর্ষ নেতারা পাশে না থাকলে সংগঠন আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। তাই শুভেন্দু অধিকারীর এই ধর্নার উদ্যোগকে দলের কর্মীদের চাঙ্গা রাখার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বর্তমানে দলের নেতাকর্মীদের মনোবল বাড়ানোই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)  নগরপালকে জানিয়েছেন, তিনি আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের নিয়েই ধর্নায় বসতে চান। তবে এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের (kolkata police) পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো উত্তর মেলেনি।

    প্রসঙ্গত, গত বছর ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে এবং রাজ্যের বকেয়া মেটানোর দাবিতে রাজভবনের সামনে টানা ধর্নায় বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার শাসক দলের বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে ওই একই স্থানে ধর্নায় বসতে চান শুভেন্দু অধিকারী। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: লোকসভা ভোটে কারচুপি, আদালতে যাচ্ছে বিজেপি, জানালেন শুভেন্দু

    Lok Sabha Election 2024: লোকসভা ভোটে কারচুপি, আদালতে যাচ্ছে বিজেপি, জানালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটে অনিয়মের অভিযোগ তুলে রাজ্যের চার লোকসভা (Lok Sabha Election 2024) কেন্দ্র, বসিরহাট, ডায়মন্ড হারবার, জয়নগর, ঘাটাল নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে বিজেপি। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানিয়েছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) জানান, আগামী মঙ্গল বা বুধবার তাঁদের চার প্রার্থী হাইকোর্টে ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী ইলেকশন পিটিশন দাখিল করবেন।

    ডায়মন্ড হারবার প্রসঙ্গে শুভেন্দু

    ডায়মন্ড হারবারে ভোটের ক্ষেত্রে বিপুল কারচুপি হয়েছে অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন করা হবে বলে জানান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। সেখানে তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস (ববি) অভিযোগ জানাবেন। ডায়মন্ড হারবারের পাশাপাশি জয়নগর এবং ঘাটালের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের ‘ওয়েব কাস্টিং’-এর ফুটেজ কেন্দ্রীয় গবেষণাগারে পরীক্ষার জন্য হাই কোর্টে আর্জি জানাবে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘ফুটেজ যাচাই করে যদি অনিয়ম প্রমাণিত হয় তবে সিবিআই তদন্ত এবং পুরো নির্বাচন বাতিলের দাবি জানাবে বিজেপি।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, “ডায়মন্ডহারবারে ছাপ্পা হয়েছে ১০ লক্ষের বেশি। কেশপুরে ছাপ্পা দেড় লক্ষের বেশি। ক্যানিং পূর্ব পশ্চিমেও ছাপ্পা। গোটা রাজ্যে অন্তত ২৫ লাখ ভোট ছাপ্পা দেওয়া হয়েছে।”

    ঘাটাল-বসিরহাট নিয়ে

    শুভেন্দু জানান, বসিরহাট লোকসভার জয়ী তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুলের প্রার্থিপদ বাতিলের আবেদন করা হবে আদালতে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘তিনি নিয়ম মেনে বকেয়া শংসাপত্র তাঁর মনোনয়নের সঙ্গে দেননি। তাই তাঁর মনোনয়নের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করবেন বসিরহাট লোকসভা (Lok Sabha Election 2024) কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র।” শুভেন্দুর কথায়, ‘‘ঘাটালে আমাদের প্রার্থী হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় (অভিনেতা হিরণ) ইলেকশন পিটিশন করবেন।’’ সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘তৃণমূল শুনে রাখুক এই ইলেকশন পিটিশন চার-পাঁচ বছর ধরে ঝুলবে না। ছ’মাসের মধ্যে যাতে ডিসক্লোজার হয়, সেই ব্যবস্থা আমরা করব।’’

    আরও পড়ুন: আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি অব্যাহত, বৃষ্টি হলেও কমবে না গরম! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    কোচবিহারে যাচ্ছেন শুভেন্দু

    কোচবিহার লোকসভা (Lok Sabha Election 2024) কেন্দ্রের গণনা নিয়েও আসছে অভিযোগ। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে শনিবার কোচবিহারে যাচ্ছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘‘শনিবারের পর কোচবিহার কেন্দ্র নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ১৮ রাউন্ড পর্যন্ত আমাদের প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক এগিয়ে ছিলেন, ১৯-২০ রাউন্ডে তাঁকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Leaps And Bounds Case: “‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র সোর্স অফ মানি কি?” প্রশ্ন আদালতের

    Leaps And Bounds Case: “‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র সোর্স অফ মানি কি?” প্রশ্ন আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কিছু আধিকারিকের মধ্যে তদন্তে গাফিলতির প্রবণতা দেখা দিয়েছে।” বুধবার প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ইডির আধিকারিকদের উদ্দেশে (Leaps And Bounds Case) একথা বলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ইডির আধিকারিকদের একাংশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি সিনহা।

    কী বললেন বিচারপতি? (Leaps And Bounds Case)

    তিনি বলেন, “আপনাদের কিছু আধিকারিককে সতর্ক হতে বলুন। আদালতের কাছেও বিভিন্ন তথ্য আসছে। বিশ্বাসযোগ্য সূত্র থেকেই সেই তথ্যগুলি আসছে। কিছু আধিকারিকের মধ্যে তদন্তে গাফিলতির প্রবণতা দেখা দিয়েছে। কী তদন্ত করা হবে, কী তদন্ত করা হবে না, তা নিয়ে বাছবিচার করা হচ্ছে।” তিনি বলেন, “আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চলছে। তাই আমার কাছেও কিন্তু খবর আসছে। চূড়ান্তভাবে সতর্ক থাকতে (Leaps And Bounds Case) বলুন আপনার অফিসারদের।”

    ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’

    এই প্রসঙ্গেই উঠে আসে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র প্রসঙ্গ। বিচারপতি সিনহা বলেন, “লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কী সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে সেটা আপনারা জানেন, কোর্টও জানে। সোর্স অফ মানি কী? কোথা থেকে আসছে সেই টাকা, সেটা জানা দরকার। যা তথ্য আপনাদের রিপোর্ট থেকে দেখেছি, সেখানে কোম্পানি কোনও অর্থ জেনারেট করেনি। অন্য কোনও জায়গা থেকে এসেছে সেই টাকা।” এদিন ইডির তরফে আদালতে জানানো হয়, এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ১৪৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। সিবিআই বাজেয়াপ্ত করেছে ১৩ কোটি টাকার সম্পত্তি। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার মোট সাড়ে ৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয় ইডির তরফে।

    আর পড়ুন: দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন, কুয়েতের বহুতলে জীবন্ত দগ্ধ ৪০ ভারতীয়

    প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই এবং ইডি। এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করার পর কেন তদন্ত এগোচ্ছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত। এই মামলায় গত সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্যকে একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল আদালত। রাজ্য এখনও সেই রিপোর্ট জমা না দেওয়ায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি সিনহা। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৩০ জুলাই (Leaps And Bounds Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Soham Chakraborty: চড়কাণ্ডে সোহমের বিরুদ্ধে মামলা রেস্তোরাঁ মালিকের, উঠল পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও

    Soham Chakraborty: চড়কাণ্ডে সোহমের বিরুদ্ধে মামলা রেস্তোরাঁ মালিকের, উঠল পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউটাউনের রেস্তোরাঁ মালিককে নিগ্রহের ঘটনায় এবার জল গড়াল আদালতে। অভিনেতা তথা চণ্ডীপুরের বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর (Soham Chakraborty) বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন ওই রেস্তোরাঁর মালিক আনিসুল আলম। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, সোহমের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না পুলিশ। এ বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিন‍্‍হার একক বেঞ্চ মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন রেস্তোরাঁর মালিককে। চলতি সপ্তাহেই এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    সোহমের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রেস্তোরাঁর মালিক (Soham Chakraborty) 

    রেস্তোরাঁ মালিক আনিসুল ইসলাম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ধরনের হুমকির মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ। এমন অবস্থায় নিজেদের নিরাপত্তা ও যথাযথ তদন্তের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রেস্তোরাঁর মালিক। একইসঙ্গে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ রয়েছে মামলাকারী পক্ষের। আনিসুলের আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেল এবং পরিবারকে হুমকি দিচ্ছেন ওই জনপ্রতিনিধি। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি। ঘটনার পর থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই রেস্তোরাঁর মালিক। সেই প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) সোহমের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: পরবর্তী সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, চলতি মাসেই দায়িত্ব গ্রহণ

    হোটেল মালিকের অভিযোগ 

    অনিসুল অভিযোগ করেন, “ঘটনার পর তাঁকে থানায় ডেকে বিষয়টি মিটমাট করে নিতে চাপ দেওয়া হয়। তাতে রাজি না হওয়ায় তৃণমূল বিধায়কের (Soham Chakraborty) পক্ষ থেকে তাদের নানা রকম হুমকি দেওয়া হচ্ছে। রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও এসেছে। সমস্ত কথা পুলিশকে জানালেও সোহমের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করছে না থানা। তার জেরেই তিনি হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।” যদিও পরে অভিনেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। 

    ঠিক কী ঘটেছিল?  

    গত শুক্রবার সন্ধ্যেবেলা শুটিং করতে গিয়ে নিউটাউন সাপুরজি এলাকার একটি রেস্তোরাঁর মালিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল সোহম চক্রবর্তীর (Soham Chakraborty) বিরুদ্ধে। এরপর মারধরের অভিযোগ স্বীকার করে সোহম দাবি করেছিলেন, বচসা চলাকালীন হোটেল মালিক তাঁর নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কটূক্তি করেন। এতেই রেগে যান তিনি। আর তখনই সূত্রপাত হয় এই ঘটনার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বিচারপতি অমৃতা সিনহার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন! মামলা গেল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে

    Calcutta High Court: বিচারপতি অমৃতা সিনহার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন! মামলা গেল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ এক নজিরবিহীন ঘটনা। এবার বিচারপতির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অমৃতা সিনহার (justice Amrita Sinha) এজলাসে দেওয়া মামলার বিচার শুরুর আগেই তাঁর বিরুদ্ধে নিরপেক্ষতার অভিযোগ তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল হাইকোর্টে। আগামী ১০ জুন গরমের ছুটির পরে হাইকোর্ট চালুর প্রথম দিন থেকেই বিচারপতি সিনহার পুলিশ সংক্রান্ত মামলার বিচার করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই মামলা শুরুর আগেই দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Calcutta High Court) 

    কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্ধারিত ‘রস্টার’ মোতাবেক গ্রীষ্মকালিন ছুটির পর পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা এবং অতি সক্রিয়তা সংক্রান্ত মামলাগুলির শুনানির দায়িত্ব গিয়েছিল বিচারপতি অমৃতা সিনহার (justice Amrita Sinha) এজলাসে। কিন্তু, নজিরবিহীনভাবে তাঁর এজলাসে এই সংক্রান্ত কোনও মামলা যাওয়ার আগেই বিচারপতির নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ-দুর্নীতি তদন্তে নয়া মোড়! জেলবন্দি পার্থর আরও সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি

    মামলাটিতে হস্তক্ষেপ করল না ডিভিশন বেঞ্চ 

    জানা গিয়েছে, কেন তাঁর এজলাসে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা কিংবা অতি সক্রিয়তার মামলার শুনানি হবে? এই প্রশ্ন তুলে অমৃতা সিনহার নিরপেক্ষতা নিয়ে দায়ের হয়েছে এই জনস্বার্থ মামলা। বৃহস্পতিবার গরমের ছুটির অবকাশকালীন বিচারপতি কৌশিক চন্দের ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলাটির (Calcutta High Court) শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু, বিচারপতি অমৃতা সিনহার (justice Amrita Sinha) বিচার্য বিষয় বদলের আবেদন সংক্রান্ত এই জনস্বার্থ মামলাটির প্রেক্ষিতে কোনও হস্তক্ষেপ করেনি বিচারপতি কৌশিক চন্দের ডিভিশন বেঞ্চ। ইতিমধ্যেই মামলাটি ফেরত পাঠানো হয়েছে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে। উল্লেখ্য, বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টে গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলছে। আগামী ১০ জুন ফের শুরু হবে আদালত। এরপরেই প্রধান বিচারপতির দেওয়া রস্টার মোতাবেক মামলা শুনবেন অন্যান্য বিচারপতিরা। 
    প্রসঙ্গত, কোনও বিচারপতির রায় পছন্দ না হলে তাঁর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা, এজলাসের সামনে ধর্না, এজলাস বয়কট, এমনকি, ওই এজলাস থেকে মামলা সরানোর জন্য প্রধান বিচারপতির এজলাসে আবেদন— সবই হয়েছে অতীতে। তবে কোনও বিচারপতির এজলাসে মামলা শুরুর আগেই তাঁর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা এবং জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন অনেকে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: রেখা পাত্র এবং  আরও ৫ বিজেপি কর্মীকে স্বস্তি দিয়ে জামিনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: রেখা পাত্র এবং আরও ৫ বিজেপি কর্মীকে স্বস্তি দিয়ে জামিনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১ জুন  শনিবার সপ্তম দফা অর্থাৎ শেষ দফার নির্বাচন। গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে লোকসভার নির্বাচনী শেষ প্রচার। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বিরাট স্বস্তি পেলেন বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র এবং ৫ বিজেপি কর্মী। গতকাল তাঁদের সকলকে জামিনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। উল্লেখ্য সন্দেশখালি নারী নির্যাতনের মূলচক্রী তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে অন্যতম প্রধান প্রতিবাদী চরিত্র ছিলেন রেখা পাত্র। তাঁকেই বসিরহাট লোকসভার প্রার্থী করে বিজেপি বিরাট চমক দিয়েছে।

    ৬ মে অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করেছিল তৃণমূল (Calcutta High Court)

    গত ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে ক্ষোভের আন্দোলন উত্তাল হয়ে উঠেছিল। কিন্তু লোকসভার মধ্যেই আরেকবার নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় সন্দেশখালিতে। গত ৬ মে অস্ত্র নিয়ে বিজেপি কর্মীদের উপর তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব হামলা করেছিল। এই ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালেও কাউকে গ্রেফতার করেনি। প্রতিবাদে থানার সামনে বসে অবস্থান বিক্ষোভ করে বিজেপির কর্মীরা। এরপর এক অভিযুক্তের বাড়িতে ৪০-৫০ জন মিলে লাঠি নিয়ে আক্রমণ করে। এমনকী মারধরের ঘটনাও ঘটে। এই ঘটনাকে ঘিরে পুলিশ পাল্টা রেখা পাত্র এবং আরও কিছু বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে। এরপর মামলায় জামিন নিতে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয় বিজেপি। অবশেষে স্বস্তি মিলেছে হাইকোর্টে।

    আইনজীবীর বক্তব্য

    মামলার শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, “পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করেছে। প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। মূল অভিযুক্তরা এখনও গ্রেফতার হয়নি। আবার যে ব্যক্তির বাড়িতে মারধর করা হয়েছে সেই ঘটনায় এখনও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেননি। তাই যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তাঁদেরকে স্বস্তি দিয়ে আদালতে (Calcutta High Court) জামিন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। রেখা পাত্রের সঙ্গে আরও পাঁচ সঙ্গীর নাম হল অজিত সর্দার, গীতা বর, সুপ্রকাশ মণ্ডল, উৎপল মাইতি এবং সুদেব দে। প্রত্যেকেই জামিন পেয়েছেন।”

    হাইকোর্টের বক্তব্য

    কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) এইদিন জামিন দেওয়ার সময় বক্তব্য ছিল, “অস্ত্র নিয়ে হামলা অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে যে এখনও পর্যন্ত কোনও গ্রেফতারি হয়নি সেটাও দুর্ভাগ্যজনক বিষয়।” দ্রুত এই বিষয়ে পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। সেই সঙ্গে রেখা পাত্র এবং আরও ৫ বিজপি কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআরের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

  • Private Tuition: সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধের নির্দেশ, সময় বেঁধে দিল হাইকোর্ট

    Private Tuition: সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধের নির্দেশ, সময় বেঁধে দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকার নিয়ন্ত্রিত স্কুলের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন (Private Tuition) বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এখনও সেই নির্দেশ মানা হয়নি বলে অভিযোগ। এবার সেই বিষয়ে সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং জেলা স্কুল পরিদর্শককে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। এ প্রসঙ্গে স্কুল শিক্ষা দফতরকে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবগণনমের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং জেলা স্কুল পরিদর্শককে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

    আদালতে সওয়াল জবাব

    স্কুল শিক্ষকরা যে প্রাইভেট টিউশন (Private Tuition) করাতে পারবেন না, কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) সেই নির্দেশ আগেই ছিল। তবে অভিযোগ উঠছে, এখনও স্কুল শিক্ষকরা জেলায় জেলায় প্রাইভেট টিউশন করাচ্ছেন। সম্প্রতি এ নিয়ে কলকাতায় হাইকোর্টে একটি আদালত অবমাননার মামলা হয়েছে। এই মামলা করে ‘গৃহশিক্ষক কল্যাণ সমিতি’। এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর দাস জানান ২০২৩-এর ১ মে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, ওই শিক্ষকদের টিউশন বন্ধের জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে তিন মাসের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে হবে। স্কুলের শিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশন করছেন না বলে পর্ষদ বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে মুচলেকা চায়। সমিতির অভিযোগ, মুচলেকা দেওয়ার পরেও শিক্ষকরা টিউশন করছেন। গত ডিসেম্বরে ফের আদালত অবমাননা মামলা করেন সমিতি। এই মামলার শুনানির পর দীপঙ্কর বলেন, ‘‘এ বার আদালত পর্ষদ এবং সমস্ত জেলা স্কুল পরিদর্শকদের নিয়ে একটা কমিটি করতে বলেছে স্কুল শিক্ষা দফতরকে। প্রধান শিক্ষকদের মুচলেখা ঠিক কিনা এবং কী করে এই প্রাইভেট টিউশন বন্ধ হবে সে সম্পর্কে একটা রিপোর্ট আট সপ্তাহের মধ্যে হাই কোর্টকে জমা দিতে হবে।’’

    আরও পড়ুন: আরও পড়ুন: আজ কলকাতায় মেগা রোড-শো মোদির, রয়েছে অশোকনগর ও বারুইপুরে জোড়া সভাও

    আদালতের নির্দেশ

    সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলের কর্মরত শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন (Private Tuition) আগেই অবৈধ বলে জানিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এ নিয়ে রাজ্য সরকারের নিয়ম রয়েছে। ২০১৮ সালের মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়, পর্ষদের আওতাভুক্ত সরকারি স্কুল বা সরকার পোষিত স্কুলের শিক্ষকরা নিজের বাড়িতে বা কোনও প্রতিষ্ঠানে প্রাইভেট টিউশন করাতে পারবেন না। সরকারের নির্দেশিকা না মেনে কেউ প্রাইভেট টিউশন করালে সেটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু, তারপরেও প্রাইভেট টিউশন চলতে থাকে। সরকার এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করছে না বলে অভিযোগ। এবার প্রধান বিচারপতির টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ২০১৮ সালে শিক্ষকদের জন্য যে বিধি তৈরি হয়েছে সেই অনুযায়ী, সরকারি শিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশন করাতে পারবেন না। কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশনকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করতে হবে। নইলে আদালত উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajasthan Govt: মুসলমানদের ওবিসি শংসাপত্র, এবার খতিয়ে দেখবে রাজস্থান সরকার

    Rajasthan Govt: মুসলমানদের ওবিসি শংসাপত্র, এবার খতিয়ে দেখবে রাজস্থান সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র দু’দিন আগেই পশ্চিমবঙ্গের ৭৭টি শ্রেণিকে (যার সিংহভাগই মুসলমান এবং তাদের ওবিসি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল তৃণমূল জমানায়) দেওয়া ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য-রাজনীতি। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও উচ্চতর আদালতের এই রায়ের প্রসঙ্গে নিশানা (Rajasthan Govt) করেছেন তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “কলকাতা হাইকোর্টের এই রায় রাজ্যকে কষিয়ে এক থাপ্পড়।”

    কাদের ওবিসি শংসাপত্র! (Rajasthan Govt)

    আদালতের এই রায়ের দু’দিনের মধ্যেই বিজেপি নেতৃত্বাধীন রাজস্থান সরকার পূর্বতন সরকারের আমলে কাদের ওবিসি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে, তা পুনর্মূল্যায়ন করতে চলেছে। ২৪ মে রাজস্থানের সোশ্যাল জাস্টিস অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট মন্ত্রী অবনীশ গেহলট বলেন, “তুষ্টিকরণের রাজনীতির অংশ হিসেবে কংগ্রেস ১৪টি মুসলিম শ্রেণিকে ১৯৯৭ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে ওবিসি সংরক্ষণের আওতায় নিয়ে এসেছিল।” তিনি বলেন, “এ সংক্রান্ত সমস্ত সার্কুলার আমাদের রয়েছে। যথা সময়ে দফতর ও সরকার এটি পুনর্মূল্যায়ন করবে।” গেহলট বলেন (Rajasthan Govt), “ধর্মের ভিত্তিতে কোনও শ্রেণিকে সংরক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা সংবিধানের নীতিবিরুদ্ধ। আমরা এ ব্যাপারে একগুচ্ছ অভিযোগ পেয়েছি। দফতর অভিযোগগুলি যাচাই করে দেখছে। এজন্য উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    রাজস্থানে সরকারি চাকরিতে ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণের হার ২১ শতাংশ। চলতি বছর এপ্রিল মাসে এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণের কোটা কমিয়ে দিয়ে মুসলমানদের জন্য সংরক্ষণের ঢালাও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে এক নির্বাচনী জনসভায় অভিযোগ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। তিনি বলেছিলেন, “আমি কংগ্রেসকে জিজ্ঞাসা করতে চাই এরা কী দলিত, উপজাতি এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ কমিয়ে দিয়ে মুসলমানদের সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করবে না? যদি তা না করে, তাহলে দেশবাসীকে কথা দিতে হবে।”

    আর পড়ুন: মোদির ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের সুফল, ব্যাপক বংশবৃদ্ধি গাঙ্গেয় ডলফিনের

    প্রসঙ্গত, দিন দুয়েক আগে ২০১০ সালের পরে তৈরি হওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে বাতিল হতে চলেছে প্রায় ৫ লাখ ওবিসি সার্টিফিকেট। যদিও ২০১০ সালের পরে ওবিসি সংরক্ষণের কারণে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন বা নিয়োগপ্রক্রিয়ায় রয়েছেন, তাঁদের চাকরি বহাল থাকবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে আদালত। তবে বাকিরা আর চাকরিপ্রক্রিয়ায় ওই সার্টিফিকেট ব্যবহার করতে পারবেন না বলেই নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চের। বেঞ্চের নির্দেশ, ১৯৯৩ সালের ওবিসি সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী রাজ্যকে ফের নতুন করে তালিকা তৈরি করতে হবে (Rajasthan Govt)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে স্বস্তি হিরণের, তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ, অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে স্বস্তি হিরণের, তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ, অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘাটালে বিজেপি প্রার্থী হিরন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর-এ অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিনের মামলায় হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতার সিনহার বেঞ্চ জানিয়েছে, ১৭ জুন এই মামলার পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে। এর পাশাপাশি হিরণে বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ, এমন নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। জানা গিয়েছে, মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১০ জুন।

    আরও পড়ুন: ম্যালেরিয়া নাশে নয়া ভ্যাকসিন, আবিষ্কারের পথে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা

    মূল ঘটনা, ভাইরাল অডিও

    প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ১৮ তারিখ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দিলীপ মাজির অভিযোগের ভিত্তিতে ঘাটাল থানায় হিরণোর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। সেখানে হিরণ ছাড়াও আরও তিনজনের নাম ছিল। ওই অভিযোগ অনুযায়ী, ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী তথা অভিনেতা দেবের একটি ভুয়ো অডিও তৈরি করে তা সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন হিরণ। এই মর্মেই মামলার জল গড়ায় হাইকোর্ট (Calcutta High Court) পর্যন্ত। কিন্তু এদিন সে সবকিছুতে স্থগিতাদেশ দিল উচ্চ আদালত (Calcutta High Court)। প্রসঙ্গত, মামলা দায়ের হওয়ার পরেই এফআইআর-কে চ্যালেঞ্জ করে হিরণ আদালতে যান। ওই এফআইআর-এ নাম থাকা স্থানীয় বিজেপি নেতা তমোঘ্ন দেও এফআইআর-এর বিরুদ্ধে মামলা করেন।

    কী বলেছিলেন হিরণ

    ওই অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতেই দেব মামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। সেই সময়ে ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরন বলেছিলেন,‘‘আমি তো এটাই চেয়েছিলাম। উনি কোর্টে যান। তাহলে কালীঘাটের কাকুর মতো দেবেরও গলার স্বর পরীক্ষা হলেই সবটা প্রমাণ হয়ে যাবে।’’ প্রসঙ্গত আগামীকালই ঘাটালে ভোট রয়েছে। সেখানে বিজেপি এবং তৃণমূল প্রার্থী করেছে দুই তারকাকে। বিজেপি প্রার্থী হীরণ চট্টোপাধ্যায়, অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী অভিনেতা দেব। টলিউডের দুই তারকার মধ্যে কে জেতেন তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ৪ জুন পর্যন্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Anand Bose: বড় স্বস্তি রাজভবনের! তদন্তে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ

    CV Anand Bose: বড় স্বস্তি রাজভবনের! তদন্তে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপালের (C V Anand Bose) বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের কাছে দায়ের করা শ্লীলতাহানির অভিযোগের ঘটনায় পুলিশি তদন্তের উপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ জুন।  

    পুলিশের অতিসক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠল আদালতে

    আদালত জানিয়েছে যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে সেই এফআইআরের ভিত্তিতে নতুন করে আর কাউকে তলব করা যাবে না। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে লোকসভা ভোট মিটে যাওয়ার পর ১০ জুন। ততদিন পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    আরও পড়ুন: : নন্দীগ্রাম কাণ্ডে কমিশনের অজুহাতে রাজ্যপালকে রিপোর্ট দিতে নারাজ রাজ্য

    সম্প্রতি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী। রাজ্যপাল নাকি তাঁকে প্রলোভন দেখিয়ে শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ করেন ওই তরুণীর। এর পাল্টা রাজ্যপাল স্পষ্টভাবে বলেছিলেন তিনি দিদিগিরি বরদাস্ত করবেন না। অর্থাৎ শাসকদলের সুপ্রিমর অঙ্গুলিহেলনে এই অভিযোগ হয়েছিল স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল রাজ্যপালের (C V Anand Bose)। প্রথমে মহিলার বক্তব্য রেকর্ড করে তাঁকে ছেড়ে দিলেও পরে হেয়ার স্ট্রিট থানায় জমা পড়ে অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে শুরু করে লালবাজার। রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি রাজ্যপালের ওএসডি সন্দীপ সিংহ সহ রাজভবনের তিনজন কর্মীকে ৪১ (এ) ধারায় নোটিশ পাঠিয়ে তলব করে কলকাতা পুলিশ।  

    পুলিশ সহযোগিতা করেনি, অভিযোগ রাজভবনের কর্মীদের

    রাজভবনের কর্মীদের অভিযোগ, স্পষ্টভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আছে এই বিষয়টি জানতে চাওয়া হলেও কলকাতা পুলিশ খোলসা করে তাঁদের কিছু বলেনি। তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করেনি। এর পর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। রাজভবনের কয়েকজন কর্মীর অভিযোগ ছিল পুলিশ তাঁদের ভয় দেখাচ্ছে। ওই আবেদনের শুনানির দিনই সংশ্লিষ্ট মামলায় পুলিশের তদন্তের উপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। স্বাভাবিকভাবেই আদালতের স্থগিতাদেশ চলে আসায় কলকাতা পুলিশের মুখ পুড়েছে এই মামলায়। রাজ্যপালের (C V Anand Bose) বিরুদ্ধে মামলা যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত সেই তত্ত্ব আরও জোরালো হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share