Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • CV Ananda Bose: মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা রাজ্যপালের মানহানি মামলার শুনানি শেষ, কী বলল হাইকোর্ট?

    CV Ananda Bose: মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা রাজ্যপালের মানহানি মামলার শুনানি শেষ, কী বলল হাইকোর্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে যে মামলা করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) সেই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে সোমবার।  শুনানিতে দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষে অন্তর্বর্তী নির্দেশ আপাতত মুলতুবি রেখেছে উচ্চ আদালত। সপ্তাহের প্রথম দিন এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি কৃষ্ণ রাওয়ের বেঞ্চে।

    কী বলল আদালত

    সোমবারের শুনানিতে রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) আইনজীবী বলেন, ‘‘রাজ্যপাল সম্পর্কে মানহানিকর মন্তব্য করা হয়েছে। দুই নবনির্বাচিত বিধায়কের শপথ নিয়ে রাজ্যপাল চিঠি দিয়েছিলেন। সেই চিঠিতে কোনও ভয়ের কথা ছিল না। তার পরেও মহিলারা রাজভবনে যেতে ভয় পান— এই ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে। এটা বিদ্বেষমূলক মন্তব্য। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মন্তব্য করা হয়েছে , এটা তো সঠিক।’’ মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবীর পাল্টা সওয়াল, ‘‘দু’টি অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। রাজভবনের এক মহিলা কর্মী এবং এক জন নৃত্যশিল্পী অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) ওই মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর ওই মন্তব্য মানহানিকর নয়। তার পরই রাজ্যপালের আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, ‘‘দুই বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁরা শপথ নেবেন। এটা প্রশাসনিক কাজকর্মের মধ্যে পড়ে। কিন্তু সেখানে অন্য বিষয় কেন জুড়ে দেওয়া হল?’’ দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর শুনানি মুলতুবি করে দেন বিচারপতি। 

    আরও পড়ুন: মন্দির ভেঙে মসজিদ? ভোজশালার ওপর সমীক্ষা রিপোর্ট জমা পড়ল আদালতে

    কোন প্রেক্ষিতে মামলা

    দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন সরকারের শপথগ্রহণের ইস্যুতে দীর্ঘ টানাপোড়ন চলেছে। শপথ না হওয়ার বিষয় নিয়ে রাজ্যপালকে সরাসরি আক্রমণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্লীলতাহানির যে অভিযোগ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে উঠেছিল সেই প্রসঙ্গ টেনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী সহ তৃণমূল নেতারা সম্মানহানিকর মন্তব্য থেকে বিরত থাকুক, আদালতের কাছে এই আর্জি জানিয়ে মানহানির মামলা করেছিলেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) সি ভি আনন্দ বোস। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টেও মুখ পুড়ল রাজ্যের, কী বলল শীর্ষ আদালত?

    Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টেও মুখ পুড়ল রাজ্যের, কী বলল শীর্ষ আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ড মামলায় (Sandeshkhali Case) সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মুখ পুড়ল রাজ্যের। শীর্ষ আদালতে খারিজ রাজ্যের সিবিআই তদন্তের বিরোধিতার আর্জি। রাজ্যকে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, “রাজ্য কি কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে?”

    কী বলল সুপ্রিম কোট? (Sandeshkhali Case)

    সন্দেশখালিতে জমি দখল ও মহিলাদের যৌন হেনস্থার অভিযোগের ভিত্তিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে আবেদন করে রাজ্য। সেখানেই খারিজ হয়ে যায় রাজ্যের আবেদন। সোমবার মামলাটির শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই এবং কেভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চে। তখনই বিচারপতি গাভাই প্রশ্ন ছুড়ে দেন, “এই বিষয়ে কেন আবেদন করেছে রাজ্য সরকার? তারা কাকে প্রোটেক্ট করতে চাইছে?” বেঞ্চের আরও প্রশ্ন, “সন্দেশখালিতে যেখানে নারী নির্যাতনের এত অভিযোগ উঠেছে, যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে, সেখানে কেন রাজ্য সরকার বাড়তি আগ্রহ দেখাচ্ছে?”

    কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেলেঙ্কারির বেরল কেউটে!

    রাজ্যে রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে কেউটে। গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের দাপুটে নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই কেলেঙ্কারির শেকড় খুঁজতে জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। সেই সময় হামলা হয় ইডির আধিকারিকদের ওপর (Sandeshkhali Case)। পরে গ্রেফতার হয় শাহজাহান। তার পরেই একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে কেলেঙ্কারির কেউটে।

    আর পড়ুন: বোসের গায়ে ‘কালির ছিটে’! দুই পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    শাহজাহান ও তার দলবলের বিরুদ্ধে জমি দখল, নারী নির্যাতন-সহ একাধিক অভিযোগ তুলে পথে নামে সন্দেশখালির প্রমীলা বাহিনী। জমি দখল এবং নারী নির্যাতনের অভিযোগে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। দেওয়া হয়েছিল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ। উচ্চতর আদালতের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোটের দুয়ারে হাজির হয় রাজ্য। সেখানেও জুটল রামধাক্কা।

    দেশের শীর্ষ আদালতে রাজ্য সরকারের মুখ পোড়ায় যারপরনাই খুশি বিজেপি। সাংসদ বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “রাজ্য সরকার কিছু অনৈতিক দাবি নিয়ে কিছু অপরাধীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। সেই জন্যই মানুষেরই দেওয়া ট্যাক্সের টাকা দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয় তারা। বারংবার পরাজিতও হয় (Sandeshkhali Case)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Calcutta High Court: মমতার বিরুদ্ধে রাজ্যপালের মানহানি মামলা, শুনানির দিন ঠিক করল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: মমতার বিরুদ্ধে রাজ্যপালের মানহানি মামলা, শুনানির দিন ঠিক করল হাইকোর্ট

    নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের দায়ের করা মানহানি মামলার শুনানি ১০ জুলাই হবে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta Highcourt) । মামলাটি শুনানির তালিকায় না থাকায় রাজ্যপালের আইনজীবী বৃহস্পতিবার বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তার পরেই বিচারপতি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ঘোষণা করা হয়।

    হাইকোর্টে রাজ্যপালের মানহানির মামলার শুনানি (Calcutta Highcourt)

    মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta Highcourt) মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস(C V Ananda Bose) । তৃণমূলের দুই হবু বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, রায়াত হোসেন সরকার এবং তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকেও এই মামলায় যুক্ত করা হয়েছে রাজ্যপালের তরফে। বুধবারই সেই মামলা বিচারপতি রাওয়ের বেঞ্চে উঠেছিল। সম্প্রতি নবান্নের একটি সরকারি বৈঠক থেকে রাজ্যপালকে আক্রমণ করেছিলেন মমতা। তার জেরে ওই মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন রাজ্যপাল। মমতার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন সায়ন্তিকা, রায়াত হোসেন সরকার এবং কুণাল ঘোষ। সেই কারণে তাদের ওই মামলাতে যুক্ত করা হয়েছে বলে রাজভবন সূত্রে খবর।

    অমিত শাহকে নালিশ রাজ্যপালের (C V Ananda Bose)

    বিধায়কের শপথ গ্রহণ নিয়েও রাজভবন বনাম সরকার পক্ষের সংঘাত চলছে। দুই বিধায়ককে রাজভবনে ডেকে পাঠানো হলে তাঁরা যাননি। শাসক দলের তরফ থেকে রাজ্যপালকে বিধানসভায় এসে শপথ পাঠের কথা বলা হয়েছে। তবে সেই আবেদন মৌখিক নাকি লিখিতভাবে করা হয়েছে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোন উত্তর নেই শাসক শিবিরে। প্রসঙ্গত রাজ্যের দুই বিধায়কের শপথ গ্রহণ নিয়ে জটিলতা প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, উনি (C V Ananda Bose) হয় স্পিকারকে নয়তো ডেপুটি স্পিকারকে (শপথ পাঠের) এই অধিকার দিন। আর তা না হলে নিজে বিধানসভায় যান। রাজভবনে কেন সকলে যাবে? রাজভবনে যা কীর্তি কেলেঙ্কারি চলছে, তাতে মেয়েরা ওখানে যেতে ভয় পাচ্ছে বলে আমার কাছে অভিযোগ করেছে। নির্দিষ্ট দিনে এবং সময়ে দুই বিধায়ক রাজভবনে না যাওয়ার ফলে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে যায়।

    আরও পড়ুন: মন্ত্রীর নামে নালিশ করে গ্রেফতার, মুক্তির নির্দেশ বিচারপতির

    এরপর রাজ্যপাল দিল্লি চলে যান। ইতিমধ্যেই অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। রাজ্যের তিন শীর্ষ আধিকারিকের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তিনি কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। যে দুই পুলিশ আধিকারিক এবং এক আমলার বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে রাজ্যপাল নালিশ জানিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আগেই সাংবিধানিক কার্যপ্রণালী এবং আচরণবিধির লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন বোস।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Justice Amrita Sinha: মন্ত্রীর নামে নালিশ করে গ্রেফতার, মুক্তির নির্দেশ বিচারপতির

    Justice Amrita Sinha: মন্ত্রীর নামে নালিশ করে গ্রেফতার, মুক্তির নির্দেশ বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাইভ সম্প্রচারে মুখ্যমন্ত্রীর ফেসবুক পেজে মন্ত্রী অরূপ রায়ের নামে অভিযোগ জানাতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন এরশাদ সুলতান ওরফে শাহিন। মন্ত্রী অরূপ রায় তথা শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে জলা জমি ভরাটের অভিযোগ এনে গ্রেফতার হওয়া হাওড়ার ওই যুবককে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (High Court) । বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha) মুক্তির নির্দেশের পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকার চরম নিন্দা করেছেন।

    বিচারপতির প্রশ্ন (Justice Amrita Sinha)

    মুখ্যমন্ত্রীর লাইভ সম্প্রচার চলাকালীন কমেন্ট বক্সে এরশাদ সুলতান অরূপ রায় এবং তাঁর সাঙ্গপাঙ্গর বিরুদ্ধে জলা জমি ভরাটের অভিযোগ এনেছিলেন। এরপরই ওই যুবককে গ্রেফতার করে শিবপুর থানার পুলিশ। গ্রেফতারের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে গিয়েছিল তাঁর পরিবার। এরপরই বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha) প্রশ্ন করেন, কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে কেউ কোনও অভিযোগ করলে বা ক্ষোভ জানালে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে? যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই অরূপ রায় কি অভিযোগ করেছেন? নাকি পুলিশ নিজে থেকে নাক গলাল? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। তিনি প্রশ্ন করেন, দুজনের মধ্যে গোলমাল হলে তৃতীয় ব্যক্তি অভিযোগ জানানোয় একজনকে পুলিশ এভাবে গ্রেফতার করে নিল? এটা কি আইন?

    গ্রেফতার প্রক্রিয়া প্রশ্নের মুখে

    কোথা থেকে এবং কবে শাহিনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাও জানতে চেয়েছেন বিচারপতি (Justice Amrita Sinha) । জবাবে রাজ্যের আইনজীবী জানান, প্রথমে তাঁকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি হাজির না হওয়ায় দুদিন পর তাঁকে ৩০ শে জুন বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। রাজ্যের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি নির্দেশ দেন ৩০ জুন শিবপুর থানার সারাদিনের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। যদিও অভিযুক্তের পরিবারের পাল্টা অভিযোগ, শাহিন নোটিস পেয়ে থানায় গেলে তাঁকে প্রথমে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হয়। পরে জানানো হয় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিবারের দাবি তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গেই যুক্ত।

    অভিযোগকারীর বক্তব্য

    হাওড়ার তৃণমূল নেতা সুশোভন চট্টোপাধ্যায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সুশোভন চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, স্থানীয় বাসিন্দা হিসেবে অভিযোগ করেছিলাম। ওই ব্যক্তি যেভাবে মন্তব্য করেছিলেন তা মেনে নেওয়া যায় না। এ বিষয়ে বিজেপি নেতা ভাস্কর রায় বলেন, “সরকার বা শাসকদলের বিরুদ্ধে কেউ কোনও কথা বললেই তাঁকে গ্রেফতার করা এ রাজ্যে রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘কঠোর ব্যবস্থা নিন’! রাজ্যের তিন শীর্ষ আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাহকে চিঠি বোসের

    এখানে শাসকের আইন চলে। আইনের শাসন চলে না। এই রাজ্যে গণতন্ত্র নেই তা শাসক এবং তাঁদের দোসর পুলিশ বারংবার প্রমাণ করছে। হাইকোর্টে (High Court) বারংবার বিচারপতি (Justice Amrita Sinha) এ রাজ্যের আইনি ব্যবস্থা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। সরকার বদল না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতির বদল হবে না।”

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: সময়সীমা বেঁধে দিল হাইকোর্ট, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিপাকে রাজ্যের মুখ্যসচিব

    Calcutta High Court: সময়সীমা বেঁধে দিল হাইকোর্ট, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিপাকে রাজ্যের মুখ্যসচিব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) আবারও নয়া মোড়। এবার রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করার জন্য রাজ্যের কাছে অনুমোদন চেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তবে সিবিআই এই নিয়ে অনুমোদন চাইলেও এ ব্যাপারে রাজ্যের গড়িমসিতে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করায় দেরি হচ্ছিল। এই নিয়ে আগে একাধিক বার হাইকোর্টে (Calcutta High Court) অভিযোগ জানিয়েছিল সিবিআই। হাইকোর্টও সময় দেয় বহুবার। তবে সুরাহা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে এবার মুখ্যসচিবকে চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। 

    কী জানিয়েছে আদালত? (Calcutta High Court) 

    প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবিরেশ ভট্টাচার্যদের জামিন মামলায় সরকারি আধিকারিকদের সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে মুখ্যসচিবের অনুমোদন নিয়ে ফের বক্তব্য জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকাকে এ বিষয়ে (Recruitment Scam) উত্তর দিতে হবে। এদিন এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ মুখ্যসচিবকে লিখিত আকারে রাজ্যের মতামত জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডে পালাবদল, চম্পইকে সরিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন হেমন্ত

    বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য 

    তবে মুখ্যসচিবের উত্তরের জন্য জামিন মামলা আটকে থাকবে না। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ১১ জুলাই থেকে রোজ জামিন মামলা শোনা হবে। প্রসঙ্গত, এর আগে মুখ্যসচিব আদালতকে জানিয়েছিলেন, ভোটের কারণে তিনি এই বিষয়ে উত্তর দিতে পারেননি। তবে ভোট মিটেছে বহুদিন। এদিন রাজ্যের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “৭ মে উত্তর চাওয়া হয়েছিল। এখন জুলাই মাস। এখনও উত্তর মেলেনি। আমরা দ্রুত উত্তর চাই ওঁর কাছে। এর পর আর কোন অজুহাত শোনা হবে না। এর পর যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।” 
    নিয়ম অনুযায়ী, ধৃত সরকারি আধিকারিকদের বিষয়ে মুখ্যসচিবের অনুমতি ছাড়া তাঁদের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে রাজ্যের গড়িমসিতে বিচারপ্রক্রিয়া অযথা দেরি হচ্ছে বলে আগেই অভিযোগ করেছিল সিবিআই। বুধবার ওই মামলায় রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকাকে ডেডলাইন বেঁধে দিল আদালত (Calcutta High Court)। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: “আত্মসম্মানে আঘাত নয়”, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: “আত্মসম্মানে আঘাত নয়”, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরাসরি সংঘাতের পথে রাজ্য-রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মানহানির মামলা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বুধবার এই মামলার শুনানি হতে পারে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে সরগরম হয়েছে রাজ্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শাসকদলের নেতারা ক্রমাগত নিশানা করে গিয়েছেন রাজ্যপালকে। সেই প্রেক্ষিতেই আদালতের দ্বারস্থ হলেন সিভি আনন্দ বোস। বিচারপতি কৃষ্ণা রাও-এর এজলাসে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    কেন মামলা (CV Ananda Bose)

    রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) বিরুদ্ধে রাজভবনে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরই দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে এক নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষণেরও অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে শিলিগুড়িতে দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল বলেন, “আমার আত্মসম্মানে আঘাত লাগে, এমন কোনও মন্তব্য যদি কেউ করে থাকেন, তাহলে তাঁকে তাঁর পরিণতি ভুগতে হবে।” মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে তিনি বলেন, “তিনি আমার প্রশাসনিক সহকর্মী। কিন্তু তিনি এক্ষেত্রে দোষী।”  রাজভবন সূত্রে খবর, হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এই মামলা করার আগে রাজ্যপাল কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর পরামর্শ নেন। এই মামলার জন্য প্রায় ১০০ পাতার ফাইল তৈরি করা হয়। ফাইলে কোন নেতা কোন সময়ে রাজ্যপালকে আক্রমণ করেছেন এবং অপমানজনক কথা বলেছেন তার উল্লেখ রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ভাসছে অসম, ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে ৬ লক্ষ বাসিন্দা! প্রধানমন্ত্রীর ফোন, উদ্ধারে বায়ুসেনা

    রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব (CV Ananda Bose)

    মঙ্গলবার প্রথমে চোপড়ায় নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা ছিল রাজ্যপালের (CV Ananda Bose)। জানা যায়, মাথাভাঙার নির্যাতিতাকেও সেখানে ডেকে নেওয়া হবে। কিন্তু পরে কর্মসূচিতে বদল হয়। শিলিগুড়ি সার্কিট হাউজেই মাথাভাঙার নির্যাতিতাকে ডেকে নেওয়া হয়। তাঁর সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল।  চোপড়ার নির্যাতিতার সঙ্গে তাঁর দেখা করা হয়নি। তাঁকে রাজভবনে ডেকে পাঠানো হয়েছে।  শিলিগুড়ি থেকে এদিন বিকেলে রাজ্যপাল দিল্লি রওনা দেন। দিল্লি যাওয়ার আগে তিনি বলেন, “যে সমাজ মহিলাদের রক্ষা করতে পারে না, সেই সমাজ সভ্যসমাজ বলে গণ্য হয় না। ” রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে রাজ্যপাল বলেন, “সরকার সমর্থিত হিংসা চলছে রাজ্যে। এই বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে ৪৭টি এফআইআরে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে ৪৭টি এফআইআরে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রাম থানায় (Nandigram police station) বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ৪৭টি এফআইআরে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। জানা গিয়েছে, তিন সপ্তাহের জন্য এই স্থগিতাদেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের সময় ওই বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও রকমের কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না, এমন কথাই জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

    কী বললেন বিচারপতি (Calcutta High Court) অমৃতা সিনহা? 

    এদিন এই সংক্রান্ত মামলাটির শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার পর্যবেক্ষণ, ‘‘এই মুহূর্তে তদন্তকারী সংস্থা বদল করার কোনও প্রয়োজন নেই। তাছাড়া মনে করা হচ্ছে, সব মামলাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই করা হয়েছে।’’ বিচারপতি সিনহা প্রাথমিকভাবে পর্যবেক্ষণ করেন, যে ৪৭টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে, সেখানে প্রত্যেকটি এফআইআর-এ মোটামুটি একই অভিযোগ আনা হয়েছে। এই এফআইআরগুলির আদৌ কোনও সারবত্তা রয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিচারপতি সিনহা। তাই আপাতত তিন সপ্তাহের জন্য অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনওরকমের পদক্ষেপ পুলিশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

    ৩৫ দিনের মধ্যেই নন্দীগ্রাম থানাতে (Nandigram police station) ৪৭টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল

    প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হতেই এবং ভোটপর্ব চলাকালীন ও তার পরবর্তীকালে ৩৫ দিনের মধ্যেই নন্দীগ্রাম থানাতে ৪৭টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তা যে মিথ্যা মামলা তা বারে বারেই দাবি করে এসেছে গেরুয়া শিবির। মিথ্যা মামলায় তাঁদের কর্মীদের ফাঁসানো হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির সময় এমন পর্যবেক্ষণ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, এর আগে এই মামলার শুনানি ছিল গত ২৬ জুন সেদিনও বিচারপতি অমৃতা সিনহা পুলিশকে কোনও রকমের কড়া পদক্ষেপ না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থানায় ৪৭টি অভিযোগ, কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না, জানাল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থানায় ৪৭টি অভিযোগ, কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না, জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রাম থানায় বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ৪৭টি মামলায় কোনও রকমের পদক্ষেপ নিতে পারবে না পুলিশ। বুধবার শুনানিতে এমনটাই জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এদিনই বিচারপতি অমৃতার সিনহার এজলাসে এ সংক্রান্ত মামলাটি ওঠে। সেখানে বিচারপতি জানান, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের আশ্বাস অনুযায়ী আপাতত ওই এফআইআরের প্রেক্ষিতে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। এর পাশাপাশি হাইকোর্ট ওই সমস্ত এফআইআরগুলি নিয়ে রাজ্যের কাছে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্টও চেয়েছে। আগামী মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। সেদিনই রাজ্যকে রিপোর্ট জানাতে বলেছে হাইকোর্ট।

    কী বললেন শুভেন্দুর আইনজীবীরা?

    প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের সময় এবং তার আগে ও পরে নন্দীগ্রাম থানায় বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়ের হতে থাকে। বিজেপির অভিযোগ যে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে তাদের কর্মীদেরকে। এরপরে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার সেই মামলার শুনানি ছিল। শুভেন্দুর আইনজীবী পিএস পাটোয়ালিয়া এবং বিল্বদল ভট্টাচার্য আদালতে সওয়াল করেন, ‘‘ইচ্ছাকৃত ভাবে ওই এলাকার বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে এতগুলি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এক জন ব্যক্তিই ৩৪টি অভিযোগ করেছেন! তার ভিত্তিতে এফআইআরও দায়ের হয়।’’

    নেপথ্যে রাজনৈতিক চক্রান্ত

    প্রসঙ্গত, গত ৪ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত ওই এফআইআরগুলি করা হয়েছে বলে জানান মামলাকারীর আইনজীবীরা (Calcutta High Court)। এর নেপথ্যে রাজনৈতিক চক্রান্ত রয়েছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন। তাঁদের আর্জি, ওই সব এফআইআরের তদন্ত সিবিআইকে দিয়ে করানো হোক। অন্যদিকে, এই মামলায় রাজ্যের বক্তব্য, বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের হয়েছে। সব পক্ষের বক্তব্য শুনেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট চেয়েছেন রাজ্যের কাছে। সেই সঙ্গে এজির আশ্বাসের ভিত্তিতে মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন, এখনই এফআইআরে নাম থাকা বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: “মঙ্গলবারের মধ্যে সকল ঘরছাড়ারা ঘরে ফিরুক”, ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় কড়া বার্তা হাইকোর্টের

    Post Poll Violence: “মঙ্গলবারের মধ্যে সকল ঘরছাড়ারা ঘরে ফিরুক”, ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় কড়া বার্তা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে লোকসভার নির্বাচন শেষ হলেও থেমে নেই ভোট-পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence)। গড়ে প্রত্যেকদিন ১০টি করে অভিযোগ দায়ের হচ্ছে। খোদ রাজ্যের দেওয়া হিসেব দেখে এবার কড়া মন্তব্য করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার দুই বিচারপতির বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছেন, “অশান্তি নিয়ে অনেক মারাত্মক অভিযোগ উঠে আসছে, আমরা বাস্তাব চিত্র জানতে চাই।” অবশ্য বিজেপির অভিযোগ, শাসক দলের নেতা-কর্মীদের ইন্ধনে জেলায় জেলায় আক্রান্ত হচ্ছেন আমাদের কর্মীরা। কেউ ঘরছাড়া তো আবার বাড়ি ভাঙচুরের শিকার হয়েছেন।

    বিচারপতিদের বক্তব্য (Post Poll Violence)

    ভোট-পরবর্তী (Post Poll Violence) সময়ে হিংসার কথা তুলে ধরে আক্রান্তদের আইনজীবীরা জানান, শাসক দলের দুষ্কৃতীদের আক্রমণে জেলায় জেলায় অনেকেই ঘরছাড়া। আতঙ্কে বাড়িতে ফিরতে পারছেন না। এরপর বিচারপতিরা বলেন, “আমরা চাই মঙ্গলবারের মধ্যে সকল ঘরছাড়ারা ঘরে ফিরুক। যে সমস্ত এলাকায় হিংসার খবর আরও বেশি করে আসছে, সেখানে পুলিশের সক্রিতা আরও বৃদ্ধি করতে হবে।” যদিও ১৯ জুন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখতে বলেছিল নির্বাচন কমিশন। পরে কলকাতা হাইকোর্ট, মেয়াদ ২১ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছিল। কিন্তু আজ শুক্রবার সেই মেয়াদ শেষ হলে হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় এখনই বাহিনী ফিরবে না, ২৬ জুন পর্যন্ত বাহিনী মোতায়েন থাকবে।

    আইনজীবীদের বক্তব্য

    রাজ্যে বাহিনী মোতায়েন থাকবে কিনা, এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা উঠেছিল। এই বেঞ্চে কেন্দ্রের আইনজীবী বলেন, “রাজ্যের দেওয়া হিসেবেই বলছে জেলা থেকে রোজ ভোট-পরবর্তী (Post Poll Violence) হিংসার অভিযোগ দায়ের হচ্ছে। গড়ে প্রতিদিন অন্তত ১০টি করে ভোট-পরবর্তী হিংসার অভিযোগ দায়ের হয়েছে।” আরও জানা গিয়েছে, রাজ্যের ডিজির কাছে মেইলে ১২ জুন পর্যন্ত ৫৬০টি অভিযোগ এসেছে। এরপর ১৮জুন পর্যন্ত অভিযোগ দাঁড়িয়েছে ৮৫৯টি। এর মধ্যে ২০৪টি ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। ১৭০টির অভিযোগ গ্রাহ্য হয়নি।

    আরও পড়ুনঃ কালীঘাটের কাকুর পর তাপস, নিয়োগ মামলায় কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করল সিবিআই

    রাজ্যপালের চিঠি

    ঘরাছাড়া কর্মীদের নিয়ে রাজভাবনের সামনে ধর্নায় বসতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু আদলাত অনুমতি না দিয়ে বিকল্প জায়গা বেছে নেওয়ার কথা বলা হয়। এরপর তিনি রাজ্য ডিজির দফতরের সমানে বসার জন্য আবেদন জানান কোর্টে। অপর দিকে রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) নিয়ে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। এই চিঠি নিয়ে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়েছে। রাজনীতির একাংশের মানুষের বক্তব্য চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে নয়, রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া দরকার ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: কালীঘাটের কাকুর পর তাপস, নিয়োগ মামলায় কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করল সিবিআই

    CBI: কালীঘাটের কাকুর পর তাপস, নিয়োগ মামলায় কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীঘাটের কাকুর পর এবার তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার তৃণমূল বিধায়কের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। তবে কাকুর ক্ষেত্রে নমুনা সংগ্রহ করেছিল ইডি। সিবিআই কিছু না জানালেও তৃণমূল বিধায়কের আইনজীবী আজ এই কথা জানিয়েছেন। তবে শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ে তাঁর কথাবার্তার চাঞ্চল্যকর রেকর্ড এবং তথ্য, তদন্তকারী সংস্থার হাতে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। 

    আইনজীবীর বক্তব্য (CBI)

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলা বিষয়ে তেহট্টর বিধায়ক তাপস সাহাকে আগেও ডাকা হয়েছিল। এদিন শুক্রবার তিনি সকাল ১১টায় নিজাম প্যালেসে গিয়ে হাজিরা দেন। সংবাদ মাধ্যম তাঁকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “আমায় আবার ডাকা হয়েছিল। তদন্তে সহযোগিতা করব।” তাঁর আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য বলেছেন, “বিধায়কের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার জন্য তলব করা হয়েছিল। শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও তিনি তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করেছেন। প্রায় ২ ঘণ্টা সময় দিয়ে বেলা ১টা নাগাদ বেরিয়ে গিয়েছিলেন।” তবে বের হওয়ার সময় তাপস বাবু কেবল মাত্র মাথা নেড়ে নমুনা সংগ্রহ বিষয়ে ইঙ্গিত দেন।

    আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল আমডাঙ্গা, লাঠি-বোমা-বন্দুকে রণক্ষেত্র এলাকা, আহত ৪

    সিবিআই সূত্রে খবর

    সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে, তাপস ঘনিষ্ঠ প্রবীর কয়ালের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের পর এই বিধায়কের কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়া হয়েছে। কথোপকথনের একটি রেকর্ডিং সিবিআইয়ের হাতে এসেছে। টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে এই তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। আগেও তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এবং বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। উল্লেখ্য আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করেছিল ইডি। গত এপ্রিলে কলকাতা হাইকোর্টে কণ্ঠস্বরের নমুনা সম্বলিত রিপোর্ট পেশ করেছে ইডি। তবে তদন্তকারী সংস্থা যা সন্দেহ করেছিল, তা মিলে গিয়েছে, বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share