Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • TET: ২০১৪ টেটের মেধা তালিকায় বিভ্রান্তি, কী সাফাই দিলেন পর্ষদ সভাপতি, জানেন?

    TET: ২০১৪ টেটের মেধা তালিকায় বিভ্রান্তি, কী সাফাই দিলেন পর্ষদ সভাপতি, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৭ সালের টেট (TET) প্রার্থীদের মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল আগেই। এবার প্রকাশিত হল ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের মেধা তালিকা। মেধা তালিকা প্রকাশ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ওই তালিকায় টেট উত্তীর্ণদের নাম এবং প্রাপ্ত নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে প্রাথমিকের সংরক্ষিত বিভাগে ৮২ নম্বর প্রাপ্তদের তালিকাও প্রকাশ করেছে পর্ষদ। যদিও ওই তালিকা নিয়ে দেখা দিয়েছে সমস্যা। ওই তালিকার (Merit List) বেশ কয়েকজন প্রার্থীর নামের জায়গা ফাঁকা রয়েছে। সংরক্ষিত তালিকায়ও একজনের নাম নেই। জানা গিয়েছে, এক লক্ষ ২৪ হাজার ৯৫২ জনের তালিকায় বহু পরীক্ষার্থীর রোল নম্বর ও প্রাপ্ত নম্বরের উল্লেখ থাকলেও, নাম নেই। এর পরেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এই অসম্পূর্ণতার নেপথ্যেও কোনও রহস্য রয়েছে?

    পর্ষদ সভাপতি বলেন…

    এ ব্যাপারে সাফাই গেয়েছেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। তিনি বলেন, আমাদের হাতে এখনও সব তথ্য আসেনি। তবে সব তথ্য হাতে পেলেই ঠিক করে দেওয়া হবে। শুক্রবার বিকেলে ২০১৪ সালের টেটের (TET) মেধা তালিকা প্রকাশ করেন গৌতম পাল। ওই সময় তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশের পরেই আমরা এই তালিকা প্রকাশ করতে উদ্যোগী হই। তিনি বলেন, এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

    এ প্রসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, যেগুলো নেই, দু একদিনের মধ্যে আমরা তা ক্ল্যারিফাই করে দেব। অনেক ক্ষেত্রে রোল নম্বর রয়েছে। তিনি বলেন, রোল নম্বর তো ইউনিক আইডি। একই নামে একাধিক ব্যক্তি থাকেন। এক লক্ষ ২৫ হাজার কিন্তু অনেকটা। এটা মহামান্য আদালতের নির্দেশ ছিল। আমরা তাকে মান্যতা দিয়ে প্রকাশ করেছি। পর্ষদ সভাপতি বলেন, এটা কিন্তু খুব একটা সরল কাজ নয়। যদি দু একটি ক্ষেত্রে ত্রুটি থাকে, সেটা আমরা সংশোধন করে নেব।

    আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানেও ছিলেন টেট-চাকরিপ্রার্থীকে কামড় দেওয়া পুলিশকর্মী! কী বললেন শুভেন্দু?

    এদিকে, টেটের (TET) ওএমআর শিট পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গৌতম বলেন, এটা ভুল ধারণা। কোথাও কি পর্ষদ বলেছে ওএমআর শিট পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে? ওএমআর শিট রিসাইক্লিং হয়। তিনি বলেন, আমাদের ওএমআর শিট রিসাইক্লিং হয়েছে, পোড়ানো হয়নি। তাঁর দাবি, প্রার্থীদের তথ্য সংরক্ষিত রয়েছে ডিজিটাল ফর্মেটে। প্রত্যেকের ডেটা আছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর বাড়ির সামনে জমায়েত অবৈধ, জানাল কলকাতা হাইকোর্ট

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর বাড়ির সামনে জমায়েত অবৈধ, জানাল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বাড়ির সামনে জমায়েত অবৈধ। শুভেন্দুর কাঁথির বাড়ি শান্তিকুঞ্জের সামনে মিছিলও করতে পারবে না তৃণমূল (TMC)। মিছিল যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে। বুধবার সাফ জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

    শান্তিকুঞ্জের সামনে অশান্তি…

    গত দু দিন ধরে শান্তিকুঞ্জের সামনে অশান্তি পাকাচ্ছে তৃণমূল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বাড়ির সামনে জমায়েত করছেন তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের হাতে লাল গোলাপ ও গ্রিটিংস কার্ড। কার্ডে লেখা, ‘গেট ওয়েল সুন…!’ ঘটনার জেরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। চান সিবিআই তদন্তও। বুধবার হয় ওই মামলার শুনানি।

    এদিন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আইনজীবী আদালতে জানান, ভাসবাসার নাম করে ফুল নিয়ে গিয়ে বাড়ির সামনে কর্মসূচি করা হচ্ছে। তখনই শুভেন্দুর আইনজীবীকে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, হতে পারে আপনাকে তাঁরা ভালবাসে। শুভেন্দুর আইনজীবী পাল্টা বলেন, ফুল নিয়ে গিয়ে অশ্লীল শব্দ প্রয়োগ করাকে কি ভালবাসা বলে? তখনই রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, তাহলে বেশি ভালবাসবেন না। মধুমেহ (ডায়বেটিস) হয়ে যেতে পারে। এর পরই আদালত নির্দেশ দেয়, বিরোধী দলনেতার বাড়ির সামনে জমায়েত করা যাবে না। এ রকম জমায়েত যাতে না হয়, তা কাঁথি থানাকে নিশ্চিত করতে বলবেন পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার। আগামী শুক্রবার ফের এই মামলার শুনানি হবে।

    আরও পড়ুন: ‘শান্তিকুঞ্জে’র সামনে ‘অশান্তি’ তৃণমূলের, সিবিআই চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) বাড়ির সামনে জমায়েত না করার নির্দেশের পাশাপাশি রাজ্যের কাছে এই ঘটনা সম্পর্কে রিপোর্টও তলব করা হয়। বিচারপতি জানান, নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল, তার রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে।

    প্রসঙ্গত, এই ঘটনার সূত্রপাত দিন তিনেক আগে। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) একটি ট্যুইট প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, শুভেন্দু মানসিকভাবে সুস্থ নেই। তাঁর আরোগ্য কামনা করে চিঠি পাঠানো হবে। সেই কর্মসূচির নাম হবে গেট ওয়েল সুন। কুণালের এই মন্তব্যের পর থেকেই তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকরা দলে দলে ভিড় করতে থাকেন শুভেন্দুর বাড়ি শান্তিকুঞ্জের সামনে। পাকাতে থাকেন অশান্তি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পেও দুর্নীতি! এমন অভিযোগ আগেই করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর এবারে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ১০০ দিনের কাজে রাজ্য সরকার কারচুপি করে টাকা নয়ছয় করেছে, এমনটা অভিযোগ এনে আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি লিখেছিলেন তিনি। আর এবারে সরাসরি কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছে গিয়েছেন ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা তছরুপ করার অভিযোগ এনে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

    ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে দুর্নীতি

    রাজ্যে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে, এমন অভিযোগ আগেই উঠেছিল। আর এই নিয়ে অনেক সমালোচনারও সৃষ্টি হয়েছিল। আর এই নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি দাবি করেছেন যে, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের জন্য কেন্দ্র থেকে যে টাকা রাজ্য সরকারকে দেওয়া হয়, সেই টাকা নিয়ে নয়ছয় করেছে রাজ্য সরকার। কোনও কাজ না দিয়েই অন্য জায়গায় টাকা খরচ করার পর দুর্নীতি লুকোতে মানুষকে ভুল শংসাপত্র দিয়েছে মমতা ব্যানার্জির সরকার। আর এমনটাই জানানো হয়েছে নরেন্দ্র মোদিকে পাঠানো চিঠিতে।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিকর মন্তব্যের জের, প্রতিবাদে পথে জনজাতি সমাজ

    জনস্বার্থ মামলা দায়ের

    এই ইস্যুতে এবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, তথ্যে কারচুপি করা হচ্ছে। টেন্ডার না হওয়া তথ্য তুলে ধরে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এলাকায় প্রকৃত জনসংখ্যার থেকে বেশি সংখ্যক জব কার্ড হোল্ডার রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

    তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে দেওয়ার আর্জি

    মামলা দায়ের করার পাশাপাশি বিষয়টির তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আর্জিও করেছেন তিনি (Suvendu Adhikari)। সূত্রের খবর অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহেই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে বলে সম্ভাবনা রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্য প্রশাসনের! শুভেন্দুকে সভার অনুমতি আদালতের 

  • Sainthia: সাঁইথিয়ার বোমা বিস্ফোরণের তদন্ত এনআইএ করবে কিনা, সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    Sainthia: সাঁইথিয়ার বোমা বিস্ফোরণের তদন্ত এনআইএ করবে কিনা, সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাঁইথিয়া (Sainthia) বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে এক বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন আদালত থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, বীরভূমের সাঁইথিয়ায় বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তভার এনআইএ-কে দেওয়া হবে কি না, সে ব্যাপারের সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট এই বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর ছেড়ে দিয়েছে। জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে সোমবার এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।

    কী ঘটেছিল?

    গত ১৪ নভেম্বর, সাঁইথিয়ায় (Sainthia) শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর (tmc inner clash) মধ্যে তুমুল মারামারি হয়। বোমাবাজির ঘটনায় রক্তাক্ত হয় বীরভূমের সাঁইথিয়ার বহড়াপুর গ্রাম। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জন্য দুই জন গুরুতর আহতও হয়। অভিযোগ উঠেছিল এই ঘটনার মূলে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বোমার ফলে সাদ্দাম হোসেন নামে এক যুবকের ডান পা এবং হাত উড়ে গিয়েছে ও আহত হয়েছে ১৪ বছরের বালক মুজফ্ফর। আর তারপরের দিন ফের ওই এলাকা থেকে তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে রাজ্য পুলিশ। কিন্তু এবার এই বোমা বিস্ফোরণের তদন্তের ভার কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআইএ-এর হাতে তোলার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের উপর ছেড়ে দিয়েছে হাইকোর্ট।

    জনস্বার্থ মামলা আইনজীবীর

    এরপরই এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের আবেদন করে উচ্চ আদালতে জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী অনিন্দ্য সুন্দর দাস। আর এই মামলারই আজ শুনানি ছিল। এই মামলায় ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, তদন্তভার এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়া হবে কি না, সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত কেন্দ্রই নেবে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও আদালতে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ইতিমধ্যে ঘটনার (Sainthia) রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। সেই রিপোর্ট কেন্দ্রকে পাঠানো হবে।

    সাঁইথিয়া ঘটনায় (Sainthia) গ্রামবাসীর অভিযোগ, এই ঘটনার মূলে রয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এই ঘটনার পরের দিনেও একাধিক বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে বিরোধীদের অভিযোগ যে, গোটা বীরভূম জেলাই এখন বারুদের স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে আছে। জেলার বিভিন্ন অংশে প্রায় রোজই বোমা উদ্ধার হচ্ছে, পাওয়া যাচ্ছে অস্ত্রশস্ত্রও। পাশাপাশি শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষও প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা। যদিও তৃণমূলের তরফে এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বিরোধীদের আরও অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজ্য।

    তবে শেষপর্যন্ত সাঁইথিয়ার (Sainthia) বিস্ফোরণের ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকার এর তদন্তভার এনআইএ-এর হাতে তুলে দেয় কিনা, সেটাই দেখার।

  • CBI DIG: নিয়োগ দুর্নীতিতে গঠিত সিটের মাথায় অশ্বিন সাংভি, জানাল হাইকোর্ট

    CBI DIG: নিয়োগ দুর্নীতিতে গঠিত সিটের মাথায় অশ্বিন সাংভি, জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন ডিআইজি অখিলেশ সিং (Akhlesh Singh) আসতে পারবেন না বলে কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়েছিল সিবিআই। বৃহস্পতিবার আদালতে একথা জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অথচ তার আগের দিনই বিশেষ তদন্তকারী দলের (SIT) মাথায় তাঁকে বসানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhya)। শেষমেশ অখিলেশের পরিবর্তে সিটের মাথায় বসানো হল ডিআইজি (CBI DIG) অশ্বিন সাংভিকে (Ashwin Sangvi)। তিনি চণ্ডীগড় অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চের প্রধান। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, এক সপ্তাহের মধ্যে দায়িত্ব নিতে হবে অশ্বিন সাংভিকে। শুধু তাই নয়, আদালতের অনুমতি ছাড়া নিয়োগ দুর্নীতি তদন্ত প্রধানের পদ থেকে সরতেও পারবেন না তিনি।

    অখিলেশ সিং…

    সিবিআইয়ের প্রাক্তন ডিআইজি অখিলেশ সিং ২০২১ সালের ১৭ মে নারদকাণ্ডে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় (প্রয়াত) এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বাড়ি থেকে নিয়ে এসে গ্রেফতার করেছিলেন। বগটুইকাণ্ড, ভাদু শেখ খুন, হাঁসখালিতে গণধর্ষণ, ঝালদা সহ একাধিক মামলার তদন্তও করেছেন তিনি। কয়লা পাচারকাণ্ড থেকে গরু পাচারের মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তও করেছিলেন অখিলেশ। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে গঠিত সিটের মাথায়ও তাঁকেই বসাতে চেয়েছিল আদালত। কিন্তু বৃহস্পতিবার সিবিআই আদালতকে জানায়, পদোন্নতি হয়েছে অখিলেশ সিংয়ের। দিল্লি থেকে আসামে বদলি হয়েছেন তিনি। গত ১৫ নভেম্বর তাঁর বদলিতে অনুমোদন দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতর। তাই স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) তদন্তে আসতে পারবেন না সিবিআইয়ের প্রাক্তন ডিআইজি।

    আরও পড়ুন: কেষ্ট-সুকন্যার পর এবার লটারি জয় এনামুলের! ৫০ লক্ষ টাকার খোঁজ পেল সিবিআই

    সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতকে এও জানান, ডিআইজি পদমর্যাদার দক্ষ এক অফিসার রয়েছেন। তাঁকে নিয়ে এসে বসানো যেতে পারে সিটের মাথায়। এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, একজন নয়, ডিআইজি (CBI DIG) পদমর্যাদার তিনজন অফিসারের নাম দিন। সেখান থেকে একজনকে বেছে নেবে আদালত। সেই মতো সিবিআই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে এদিন জানায়, ডিআইজি সুধাংশু খারে, কলকাতা সিবিআই স্পেশাল ব্রাঞ্চ হেড, ডিআইজি মাইকেল রাজ, ঝাড়খণ্ড এবং ডিআইজি অশ্বিন সাংভি, চণ্ডীগড়ের নাম। তার মধ্যে থেকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বেছে নেনে অশ্বিনকে। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাঁকে দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Calcutta HC on SSC: কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শূন্যপদে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    Calcutta HC on SSC: কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শূন্যপদে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষায় অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta HC on SSC)। আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। শুক্রবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে হাইকোর্টের নির্দেশ, যাঁরা সুপারিশ পত্র পেয়েছেন তাঁদের নিয়োগ পত্র দিতে নিষেধ করল আদালত। এদিন আদালতের প্রশ্নের মুখে পিছু হটল স্কুল সার্ভিস কমিশন। রাতারাতি ভোল বদলে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) জানিয়ে দিল, বেআইনিভাবে যাঁরা বিভিন্ন স্কুলে (School) নিয়োগ হয়েছিলেন, তাঁদের কখনওই শূন্য পদে নিয়োগ করা যাবে না।

    স্কুল সার্ভিস কমিশনের আবেদন প্রত্যাহার

    এদিন আদালতে মামলার শুনানিতে (Calcutta HC on SSC) কমিশনের আইনজীবী সুতনু পাত্র জানান, অবৈধভাবে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন এবং যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁদের শূন্যপদে নিয়োগ করার যে আবেদন করা হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এ বিষয়ে কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে লিখিত নির্দেশিকা এসেছে। 

    সম্প্রতি আদালতে দাখিল করা নতুন চারটি হলফনামায় কমিশনের আবেদন ছিল যে রাজ্যের তৈরি করা শূন্যপদে যেন চাকরি বাতিল হওয়া ব্যক্তিদের নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়। আর অন্যদিকে কমিশনের এই অবস্থানের উল্টো পথে হেঁটে রাজ্য জানায় তারা এই অবস্থানের বিপক্ষে, অযোগ্যদের নিয়োগের পক্ষে তারা নয়। আর এরপরেই কমিশন ও রাজ্যের আলাদা অবস্থানে আদালতে বিচারক বিশ্বজিৎ বসুর কাছে প্রশ্নের মুখে রাজ্য। বিচারপতি জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, কমিশনের প্রতি রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নেই কেন? কমিশন ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। এরপর পরস্পরবিরোধী অবস্থানের জন্য কমিশনের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপের কথা ভাবছে রাজ্য, সেই বিষয়ে আজ জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Calcutta HC on SSC)।

    আরও পড়ুন: বাতিল হওয়া প্রার্থীদের শূন্যপদে নিয়োগের আবেদন প্রত্যাহার কমিশনের, কেন জানেন?

    আদালতে কী জানাল পর্ষদ?

    বিচারপতি কমিশনকে প্রশ্ন করেন (Calcutta HC on SSC), ‘সবাইকে সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছে?’ এর উত্তরে কমিশন জানায়, ‘হ্যাঁ, কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার ক্ষেত্রে সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছে। কর্ম শিক্ষায় ৫৮৫ শূন্যপদের মধ্যে ৫১৪ জনকে সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছে এবং শারীরশিক্ষায় ৮২৪ শূন্যপদের মধ্যে  ৭৬৬ জনকে সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছে।’ এরপর বিচারপতি মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা কি নিয়োগ পত্র দিয়েছেন?’ এর উত্তরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী কোয়েলি ভট্টাচার্য বলেন,  ‘না, আপনি মৌখিক নির্দেশে নিয়োগপত্র দিতে বারণ করেছিলেন, তাই পর্ষদ কোনও নিয়োগপত্র দেয়নি।’

    আজ আদালতে (Calcutta HC on SSC) মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করার অধিকার রাজ্যের নেই। এরপর অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় সওয়াল করেন, প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি তৈরি হলে রাজ্য অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করতে পারে। এতে রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন ‘আপনাদের যা ইচ্ছা করুন, আমি শুধু ছাত্রদের শিক্ষা নিয়ে চিন্তিত।’ এরপর অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন যে ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক জমানাতে শিক্ষার অবক্ষয় হয়েছে। একটা সরকার ইংরেজি বন্ধ করে দিয়েছিল, এটা খুব বড় ভুল ছিল।’ আর এই কথাতে সহমত প্রকাশ করে জানালেন বিচারপতি বসু, ‘হ্যাঁ, এটা বড় ভুল।’

    এরপর শূন্যপদ নিয়ে রাজ্যের অবস্থান জানতে চেয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় রাজ্যকে। আগামী ২৮ শে নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ও ৩০ নভেম্বর হবে এই মামলার  পরবর্তী শুনানি হবে জানানো হয়।

  • Suvendu Adhikari: আজ বাঁকুড়ায় সভা শুভেন্দুর, আদালতের নির্দেশে নিরাপত্তায় সিআরপিএফ

    Suvendu Adhikari: আজ বাঁকুড়ায় সভা শুভেন্দুর, আদালতের নির্দেশে নিরাপত্তায় সিআরপিএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য প্রশসানের অনুমতি না মিললেও হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে আজ, মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারীর সভা হচ্ছে বাঁকুড়ার রাইপুরে। আদালতের নির্দেশেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে রাইপুরে সভা করবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। । প্রথমে শুধুমাত্র সভার কথা বলা হলেও পরে কর্মসূচীতে বদল আনা হয়েছে। সভার আগে হবে মিছিলও।

    আজকের কর্মসূচি

    হাই কোর্টের অনুমতি পাওয়ার পর আজ, মঙ্গলবার বেলা  ২ টোয় শুভেন্দু অধিকারী বাঁকুড়ায় রাইপুরের থানা গোড়া বাস স্ট্যান্ডে যাবেন। সেখান থেকে দলের কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে মিছিলে হাঁটবেন তিনি। মিছিল করে তিনি যাবেন দেড় কিলোমিটার দূরে রাইপুর ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে। মিছিলে হাঁটার পথে রাস্তায় থাকা পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু ও সিধু কানহুর মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন তিনি। ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে মিছিল শেষ করে তিনি দলীয় সভা করবেন।  বিজেপির তরফে স্বাধীনতা সংগ্রামী আদিবাসী নেতা বিরসা মুন্ডার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাইপুরে ওই সভার আয়োজন করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে করুচিকর মন্তব্য, অখিল গিরির পদত্যাগের দাবিতে রাজভবন অভিযান শুভেন্দুদের

    আদালতের নির্দেশ

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভায় পুলিশের সঙ্গে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সোমবার এমনই নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। পুলিশের দাবি, অন্যত্র গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা জনিত ডিউটি থাকার কারণে ওই নির্দিষ্ট দিনে বিজেপির সভার জন্য প্রয়োজনীয় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা সম্ভব নয়। তার উপর রাইপুর থানা মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা ভুক্ত হওয়ায় পর্যাপ্ত বাহিনী মোতায়েন ছাড়া সভার জন্য ছাড়পত্র দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সভার জন্য অন্য কোনও দিন এবং জায়গা ঠিক করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এরপরই, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, বাঁকুড়ার রাইপুরে ওই সভায় পুলিশ কম থাকলে সিআরপিএফ নিরাপত্তা দেবে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। কত বাহিনী প্রয়োজন রাইপুর থানার সঙ্গে কথা বলে সিআরপিএফ-কে তা ঠিক করতে হবে। রাজ্যের বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও আজ থাকছেন ঝাড়গ্রামে। জেলার গোপীবল্লভপুরে সভা করবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এছাড়া আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় সভা করার পাশাপাশি তফসিলি উপজাতি সমাজের কোনও পরিবারের সঙ্গে এদিন মধ্যাহ্নভোজও সারতে পারেন তিনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: ‘কমিশনের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই কেন?’ নিয়োগ মামলায় প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার

    SSC Scam: ‘কমিশনের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই কেন?’ নিয়োগ মামলায় প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতিরিক্ত শূন্যপদ মামলায় কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) অস্বস্তিতে স্কুল শিক্ষা কমিশন। মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “রাজ্য এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) অবস্থান যদি এক না হয় তাহলে কমিশন ভেঙে দেওয়া হোক।” আজ অতিরিক্ত শূন্যপদ মামলায় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ক্ষোভ উগরে দেন কমিশনের প্রতি (SSC Scam)। কমিশনের তরফে আবেদন করা হয়েছিল, যেসব অযোগ্যরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের চাকরি বহাল রেখে শূন্যপদের সংখ্যা বাড়ানো হোক। কিন্তু এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই বিচারপতি বিশ্বজিৎ এদিন বলেন বেআইনি ভাবে নিযুক্ত করা অযোগ্যদের বরদাস্ত করা হবে না।

    রাজ্য ও কমিশনের আলাদা অবস্থান

    হাইকোর্টের নির্দেশে গত ১৯ মে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, বিভিন্ন শূন্যপদে নিয়োগের জন্য ৬৮২১ টি অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছে। গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি থেকে নবম-দ্বাদশ, শারীরশিক্ষা-কর্মশিক্ষা বিভিন্ন ক্ষেত্রেই যোগ্য কিন্তু বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের জন্যই এই পদ তৈরি করা। অর্থাৎ যেসব যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তাদের নিয়োগ করা হবে। কিন্তু অন্যদিকে কমিশনের তরফে অবৈধ চাকরি পাওয়াদের তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে, পুনর্বহালের জন্য অতিরিক্ত শূন্যপদ করার আবেদন করা হয়েছিল (SSC Scam)। আজ শুনানিতে এই বলা হয়েছে, কমিশনের এমন আবেদনের সঙ্গে রাজ্য সরকারের কোনও যোগ নেই, ফলে এরপরেই বিচারপতি প্রশ্ন করেছেন যে, রাজ্য সরকারের কি স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপর কোনও নিয়ন্ত্রণে নেই? কমিশনের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপের কথা ভাবছে রাজ্য, প্রশ্ন বিচারপতির।

    আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে রাজ্যের কাছে জবাব তলব করেছে হাইকোর্ট। আর কমিশনের উপর নিয়ন্ত্রণ বা থাকায় কমিশন ভেঙে দেওয়ার কথা বলেন বিচারপতি। রাজ্য কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, সেটাই জানতে চেয়েছেন বিচারপতি (SSC Scam)।

    কী এই মামলা?

    কর্মশিক্ষায় ৭৫০টি ও শারীর শিক্ষায় ৮৫০টি সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরির কথা জানানো হয়েছিল কমিশনের তরফে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পর মামলাকারীরা জানান, কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষায় এমন ৬০ জন চাকরি করেন, যাঁদের প্রাপ্ত নম্বর মামলাকারীদের থেকে কম। সেই নিয়েই মামলা চলছিল। তবে এদিন কমিশনের ওই আবেদন পত্র দেখানো হতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় ফের এই মামলার শুনানি আছে (SSC Scam)।

    স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে কেন এমন আবেদন করা হয়েছে?

    কমিশনের দাবি, যাঁদের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তাঁদের তিন বছর চাকরি হয়ে গিয়েছে। তাঁদের কাজ নিয়ে কোনও প্রশ্ন ওঠেনি, অভিযোগও নেই। তাই তাঁদের চাকরি রেখেই নতুন নিয়োগের কথা বলছে কমিশন। কমিশন আরও জানিয়েছে, এই চাকরির সঙ্গে রাজ্যের কোনও সম্পর্ক নেই। তাই রাজ্য সরকারের অন্য কোনও বিভাগে তাঁদের চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। তবে এই আবেদন প্রত্যাহার করা যেতে পারে বলে জানা গিয়েছে, সূত্রের খবর (SSC Scam)।

  • Akhil Giri: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিল গিরির মন্তব্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে! আদালতে কী বলল রাজ্য?

    Akhil Giri: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিল গিরির মন্তব্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে! আদালতে কী বলল রাজ্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি যে মন্তব্য করেছেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অখিল-মন্তব্যের বিরুদ্ধে করা জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে এমনটাই জানাল রাজ্য সরকার। দেশের রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে রামনগরের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। তাঁর দাবি ছিল, রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে মন্তব্য, সংবিধানের অবমাননা। সংবিধানের উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত ব্যক্তির প্রসঙ্গে যে ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে অপরাধের সামিল। যিনি মন্তব্য করেছেন তিনি একজন রাজ্যের মন্ত্রী। তার এই মন্তব্য আদিবাসী সমাজকেও আঘাত করেছে। তার এই মন্তব্য নিয়ে রাজ্য সরকার কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। শুধুমাত্র এক লাইনে অ্যাপোলজি চেয়ে খান্ত থেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী আদালত উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

    আরও পড়ুন: রাজস্থানে নতুন রেল লাইনে বিস্ফোরণ, তদন্তে এনআইএ

    মামলার শুনানি

    সেই মামলারই শুনানি ছিল বুধবার। বুধবার শুনানি চলাকালীন আদালতে রাজ্য জানিয়েছে, অখিলের মন্তব্যে বিরুদ্ধে যে সব স্মারক লিপি জমা পড়েছে তার প্রেক্ষিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ-ও বলা হয়েছে, এ নিয়ে নির্দিষ্ট করে এফআইআর হয়নি। কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। একটা ডেপুটেশন জমা পড়েছে। তার ভিত্তিতে অনুসন্ধান চলছে। বুধবার আদলতের কাছে এক দিন সময় চেয়েছেন অখিলের আইনজীবী। বৃহস্পতিবার ফের হতে চলেছে ওই মামলার শুনানি। প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর পরিবারকে নিশানা করতে গিয়ে গত শনিবার বিতর্কিত মন্তব্য করেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি। বাদ পড়েননি রাষ্ট্রপতি দৌপদী মুর্মুও। অখিল গিরি বলেন, “আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। তোমার রাষ্ট্রপতিকে কেমন দেখতে বাবা?”

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিকর মন্তব্য, অখিল গিরির পদত্যাগের দাবিতে রাজভবন অভিযান শুভেন্দুদের

    অখিল গিরির সমালোচনা

    এই প্রসঙ্গে শাসকদলকে নিশানা করেছেন বিজেপি। ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় অখিল গিরির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দিল্লির নর্থ অ্যাভিনিউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীও মেনে নিয়েছেন অখিল গিরি অন্যায় করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা রাষ্ট্রপতিকে সন্মান করি। সর্বোচ্চ সম্মানীয় ব্যক্তি। অখিলের এমন মন্তব্য করা ঠিক হয়নি। অখিল এটা অন্যায় করেছে। আমি সমালোচনা করছি।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিজেদের হাইকোর্ট ভাবে!  তোপ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    SSC Scam: মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিজেদের হাইকোর্ট ভাবে! তোপ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিজেদেরকে হাইকোর্ট মনে করে না কি? নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন তিনি। পর্ষদের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলবও করেন বিচারপতি। যদিও পরে সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করেন তিনি।

    কী হয়েছিল

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, ২৮ অক্টোবরের মধ্যে প্রিয়াঙ্কা সাউ, নামে আদালতে আবেদনকারী এক চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র দিতে হবে। কিন্তু তা হয়নি। তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয় ১৪ নভেম্বর। মঙ্গলবার বিচারপতিকে সেকথা জানান প্রিয়াঙ্কার আইনজীবী। এর পরই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের উদ্দেশে তীব্র ভর্ৎসনা করে বিচারপতি বলেন, কেন ২৮ অক্টোবরের মধ্যে প্রিয়াঙ্কাকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি? এদিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে তা জানতে চান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, ‘যদি সময়ে চাকরি না দিতে পারে, তা হলে আদালতে এসে জানানো উচিত ছিল। কেন পর্ষদ নিয়োগপত্র দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করেনি আদালতে?’ এ প্রসঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতিকে এজলাসে তলবও করেন তিনি। পরে পর্ষদের তরফে জানানো হয় যে, ২৮ অক্টোবর এসএসসি নিযোগ সুপারিশপত্রের হার্ড কপি হাতে পায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তাই ২৮ অক্টোবর প্রিয়াঙ্কা সাউকে নিয়োগপত্র দেওয়া যায়নি। একথা জানার পর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতির হাজিরার নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: জামিন হল না পার্থ-সুবীরেশ সহ ধৃত ৭ জনের! এসএসসি কাণ্ডে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ

    প্রিয়াঙ্কার অভিযোগ

    প্রিয়াঙ্কা সাউয়ের অভিযোগ ছিল, তার থেকে কম নম্বর প্রাপ্তরা নিয়োগ পেলেও তিনি পাননি। পর্ষদের দফতরে অভিযোগ জানাতে গেলে কর্ণপাত করেননি কোনও আধিকারিক। তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন প্রিয়াঙ্কা। আদালতের তরফে এদিন বিচারপতি পর্ষদের কাজে উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, ‘রাজ্যের একাধিক শিক্ষা সংক্রান্ত অফিসার জেলে। তারপরেও এই বোর্ডের দৃষ্টিভঙ্গি, আচরণ পরীক্ষার্থী বিরোধী। বোর্ডের বহু কর্তা ছাত্রবিরোধী কাজ করছেন। যা কখনওই কাম্য নয়’।

    সিটের প্রধানকে তলব

    নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের সিটের প্রধানকেও তলব করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আজ দুপুর ২টোয় সিটের প্রধানকে তলব করেছেন তিনি। ‘ভুয়ো নিয়োগের প্রকৃত সংখ্যা কত?’ সিবিআইয়ের কাছে জানতে চাইলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share