Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Manik Bhattacharya: হদিশ মিলল সিবিআই-এর হাজিরা এড়ানো ‘নিখোঁজ’ মানিকের! কোথায় তিনি?

    Manik Bhattacharya: হদিশ মিলল সিবিআই-এর হাজিরা এড়ানো ‘নিখোঁজ’ মানিকের! কোথায় তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই (CBI) দফতরে হাজিরা দিলেন না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। সিবিআই সূত্রে খবর, মানিককে গতকাল রাত ৮টার মধ্যে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কিন্তু তিনি সেখানে উপস্থিত হননি। ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে যে, কোথায় মানিক ভট্টাচার্য? এরপর তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে জানা যায়, তিনি দিল্লিতে রয়েছেন। আজ, বুধবার সুপ্রিম কোর্টে তাঁর মামলার শুনানি রয়েছে, তাই তিনি দিল্লিতে।

    গতকাল রাত ৮ টা পেরিয়ে গেলেও নিজাম প্যালেসে দেখা যায়নি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Recruitment Scam) অভিযুক্ত মনিক ভট্টাচার্যকে। তবে সেখানে উপস্থিত হন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতির আইনজীবী। সিবিআই সূত্রে খবর, তিনি রাত ৮টা ১৫ মিনিট নাগাদ সেখানে দুই পাতার চিঠি নিয়ে এসেছিলেন। চিঠিতে মানিক জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টে আজ দুপুর ২টোয় শুনানি আছে। তাই তিনি দিল্লিতে আছেন। আর এই শুনানির ফলেই হাজিরা দিতে যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে একদিনের রক্ষাকবচ দিয়েছে বলেও চিঠিতে সিবিআই-কে জানান মানিক ভট্টাচার্য। তাই আজ পর্যন্ত মানিকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না সিবিআই। ফলে আপাতত সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচই এখন মানিক ভট্টাচার্যের ঢাল।

    আরও পড়ুন: রাত ৮টার মধ্যে মানিককে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের, আজই কি গ্রেফতার?

    সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আজ সুপ্রিম কোর্টে মানিক ভট্টাচার্যের স্পেশ্যাল লিভ পিটিশনের শুনানি রয়েছে। সেই মামলার জন্যই তিনি সরাসরি আইনি পরামর্শ নিতে দিল্লিতে এসেছেন বলে জানা গিয়েছে।

    প্রসঙ্গত, গতকাল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওএমআর শিট মামলায় (OMR Sheet Case) সিবিআই(CBI) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি সিবিআই-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। তিনি আরও নির্দেশ দিয়ে বলেন, পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান যদি তদন্তে সাহায্য না করেন, তবে সিবিআই তাঁকে হেফাজতে নিতে পারবে। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় যে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি।

    উল্লেখ্য, সূত্রের খবর অনুযায়ী, গতকাল হাই কোর্টের নির্দেশে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরা দেওয়ার নোটিস নিয়ে মানিক ভট্টাচার্যের যাদবপুরের বাড়িতেও গিয়েছিন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন যাদবপুর থানার পাঁচ জন আধিকারিক ও পুলিশকর্মী। কিন্তু সেখানে পৌঁছে জানতে পারেন, তিনি কোথায়, তা বাড়ির লোকেরাও জানে না। তিনি গতকাল সকালেই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গিয়েছিলেন। এরপর পুলিশ মানিক ভট্টাচার্যর সঙ্গে মোবাইলেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। কিন্তু দেখা যায়, তাঁর মোবাইল সুইচড অফ। ফলে এরপরে যাদবপুর থানায় গিয়ে জেনারেল ডায়েরি করে কলকাতা পুলিশের তরফে এসি জানান, তাঁরা মানিকবাবুর সন্ধান পাননি এবং এই তথ্য হাই কোর্টকে জানানো হবে। আগামী ১ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে হাই কোর্টে রিপোর্ট দেবে সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Coal Smuggling Case: স্বস্তি জিতেন্দ্রর, কয়লা পাচার কাণ্ডে সিআইডি তদন্তে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    Coal Smuggling Case: স্বস্তি জিতেন্দ্রর, কয়লা পাচার কাণ্ডে সিআইডি তদন্তে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লাপাচার কাণ্ডে (Coal Smuggling Scam) আদালতে (Calcutta High Court) স্বস্তি পেলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তাঁর বিরুদ্ধে সিআইডি (CID) তদন্তে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মুহূর্তে আসানসোলের প্রাক্তন মেয়রের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবে না রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা। আজ মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা। আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানায়, একই অপরাধের ক্ষেত্রে দুটি সমান্তরাল তদন্ত চলতে পারে না। 

    এর আগেই কয়লা পাচার মামলায় তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে সিবিআই এবং ইডি। একই মামলায় সমান্তরালভাবে তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডি। ওই মামলায় জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে (Jitendra Tiwari) সমন পাঠিয়েছিল সিআইডি। এরপরেই সিআইডি তলবের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতা। আদালতে তাঁর আইনজীবী সওয়াল করে বলেন, “কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যখন তদন্ত করছে, তারপরেও কীভাবে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি তদন্ত করতে পারে?” এই প্রসঙ্গে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেন, “কয়লা পাচার মামলায় সিআইডিকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হলে, সেটা সমান্তরাল তদন্ত প্রক্রিয়ায় সায় দেওয়া হবে এবং সিবিআইয়ের তদন্তে বাধা দেওয়া হবে।”

    আরও পড়ুন: কয়লা পাচার কেলেঙ্কারিতে লালার সহযোগীদের বিরুদ্ধে জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা   
      
    এদিন শুনানি চলাকালীন সরকার পক্ষের আইনজীবী দাবি করেন, বিজেপি নেতাকে শুধু জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ডেকে পাঠিয়েছিল রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা। গ্রেফতার করার কোনও পরিকল্পনা ছিল না আধিকারিকদের। তদন্তে সহযোগিতা করলে গেফতার করার প্রয়োজন পড়বে না। এদিন জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে সাক্ষী হিসেবে ডেকে পাঠানোর নোটিসের উপরও স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। ভারতীয় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬০ নম্বর ধারায় পাঠানো গত ১০ সেপ্টেম্বরের নোটিসের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল আদালত। 

    আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, “একই অপরাধের ক্ষেত্রে দুটি সমান্তরাল তদন্ত চলতে পারে না। দু’টি সমান্তরাল তদন্ত প্রক্রিয়া মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।” রাজ্যের আইনজীবীকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “যে মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআই চার্জশিট দাখিল করেছে সেই মামলায় রাজ্য হস্তক্ষেপ করতে পারে কি?” সরকারি আইনজীবী পাল্টা দাবি করেন, রাজ্য আগে কয়লা পাচার মামলার তদন্ত শুরু করেছে। পরে সিবিআই এসে এই মামলার তদন্ত শুরু করেছে। এতে রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। জিতেন্দ্র তিওয়ারির আইনজীবীর দাবি,কয়লাপাচার মামলা শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন। বৃহত্তর তদন্ত চলাকালীন সিআইডি এই তদন্ত করতে পারে না। আদালত জানায়, কয়লাপাচার কাণ্ডে দ্বিতীয় কোনও তদন্তকারী সংস্থার প্রয়োজন নেই বলেই মনে করছে আদালত। 

    আরও পড়ুন: এবার দুধের কন্টেনারে কয়লা, জামুরিয়ায় বিরল পাচারে তাজ্জব পুলিশ

    জিতেন্দ্র সিআইডির সমন পাওয়ার পর বলেছিলেন, “সাক্ষী হিসাবে যদি আমাদের কাছে জানতে চান, তা হলে নিশ্চয়ই আমরা জানিয়ে দেব। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মেটাতেই তলব করা হয়েছে। বিজেপির সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদের কাছেই সব তথ্য পাওয়া, তাদের সাক্ষী হিসাবে ডাকবে না। সকলেই বুঝতে পারছেন কী হচ্ছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • DA Case: ডিএ মামলায় ফের ধাক্কা রাজ্যের! রিভিউ পিটিশন খারিজ করল হাইকোর্ট

    DA Case: ডিএ মামলায় ফের ধাক্কা রাজ্যের! রিভিউ পিটিশন খারিজ করল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে ফের ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। ডিএ (DA) মামলায় রাজ্যের আর্জি খারিজ হয়ে গেল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta Highcourt)। সরকারি কর্মীদের পক্ষেই রায় দিল আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ হাইকোর্টের পূর্ব নির্দেশই বহাল রাখল। 

    বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, মহার্ঘ ভাতা (DA Case) সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য। এটা সরকারের তরফে দেওয়া কোনও অনুদান নয়। তাই বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল,সেটাই বহাল রাখছে আদালত। দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে সরকারি কর্মীদের। প্রায় ৬ বছর ধরে সরকারি কর্মী এবং সরকারের মধ্যে এই মামলা চলছে। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে রাজ্যের সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি লড়াই চালিয়ে আসছে। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হওয়ার পর চলতি বছরের ২০ মে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটাতে হবে রাজ্য সরকারকে। যার জেরে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দিতে হবে। কিন্ত সেই সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে অগাস্ট মাসে। তবু ডিএ না মেলায় হাই কোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়। এরপর রাজ্যের তরফে আদালতের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়।

    আরও পড়ুন: ১০ দিন ধরে শুনানি হচ্ছে, এটা চলতে পারে না, হিজাব বিতর্কে সুপ্রিম কোর্ট

    বৃহস্পতিবার এ প্রসঙ্গে রায় দিতে গিয়ে আদালত জানায়, রাজ্য সরকারের আবেদনের কোনও  যুক্তি নেই। তাই আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি গ্রহণ করা যাচ্ছে না। প্রসঙ্গত, হাইকোর্টে আগেই রাজ্য সরকার মেনে নিয়েছিল মহার্ঘ্য ভাতা সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য অধিকার। তাই তহবিলে টাকা নেই বলে উঁচু হারে ডিএ দেওয়া যাচ্ছে না। রাজ্যের এই যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। এবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে রাজ্য। ডিএ দেওয়া নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা আপাতত বিচারাধীন রেখেছে কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী ৭ নভেম্বর আদালত অবমাননার মামলাটির শুনানি হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Bolpur Primary Teacher: নোংরা রাজনীতির বিরোধিতা করায় বদলি, বোলপুরের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে আদালতে শিক্ষিকা

    Bolpur Primary Teacher: নোংরা রাজনীতির বিরোধিতা করায় বদলি, বোলপুরের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে আদালতে শিক্ষিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনৈতিক কাজে বাধা দেওয়া৷ আর এই অপরাধেই অন্যায়ভাবে বদলি করা হল, বোলপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকাকে। এই অভিযোগে বোলপুর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার আদালতের দ্বারস্থ হলেন প্রাথমিক শিক্ষিকা (Primary teacher complaints in Calcutta HC against councillor of Bolpur)।        

    শিক্ষিকা আদালতে দাবি করেছেন, বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়াতেই বদলি করা হচ্ছে তাঁকে ৷ অতীতে অনুষ্ঠানের পরে বিদ্যালয় নোংরা করার অভিযোগ উঠেছিল এই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। পরে আর অনুষ্ঠানের অনুমতি দেন নি ওই শিক্ষিকা। আর তাতেই বদলির নির্দেশ বলে অভিযোগ। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে বিচারাধীন রয়েছে মামলাটি। বিচারপতি শিক্ষিকার বক্তব্য শোনার পর নির্দেশ দেন, বীরভূমের হাসপাতালে নয়, শিক্ষিকার শারীরিক অবস্থার পরীক্ষা করতে হবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। পরবর্তী শুনানি হবে ডিসেম্বরে ৷   

    আরও পড়ুন: বন্দরে আটক ২০০ কোটি টাকার হেরোইন আসছিল তৃণমূল নেতার জন্য? 
     
    জানা গিয়েছে,  ২০১৪ সালে ২১ জানুয়ারি নানুরের সাওতা কিরণশশী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসাবে যোগদান করেন ঋতুপর্ণা ঘোষ । ২০১৫ সালে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। ২০১৭ সালে বাড়ির কাছে বদলির জন্য আবেদন করেন। ২০১৮ সালে মঞ্জুর হয় সেই আবেদন। বোলপুরের রবীন্দ্র শিক্ষা নিকেতন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয় তাঁকে। ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর টিচার-ইন-চার্জ হিসাবে ওই বিদ্যালয়ে যোগ দেন তিনি। ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি ফের বোলপুরের যাদবপুর নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে অস্থায়ী প্রাথমিক শিক্ষক হিসাবে বদলির নোটিস পান। শিক্ষিকার দাবি এই স্কুলটি তাঁর বাড়ি থেকে অনেক দূরে। ১৯ এপ্রিল থেকে তাঁর বেতনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষিকা। 

    আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলায় বীরভূমের চার ব্যাংক আধিকারিককে তলব সিবিআইয়ের

    এর আগেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনীতির শিকার হতে হয়েছে বহু শিক্ষককে। স্কুল থেকে কলেজ রাজনীতির গ্রাস থেকে বাদ যাননি কেউই। রাজ্যের শাসক দলের অন্যতম দুর্গ বীরভূম। শাসক দলের নেতাদের দাদাগিরির খবর বার বার সামনে এসেছে। প্রাথমিক শিক্ষিকার অভিযোগে আরও একবার প্রমাণিত হল সেই একই কথা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Manik Bhattacharya: রাত ৮টার মধ্যে মানিককে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের, আজই কি গ্রেফতার?

    Manik Bhattacharya: রাত ৮টার মধ্যে মানিককে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের, আজই কি গ্রেফতার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) আজই সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হবে। নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি ওএমআর শিট মামলায় (OMR Sheet Case) সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দেন। তিনি সিবিআইকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, অপসারিত চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। মঙ্গলবার রাত ৮টার মধ্যে সিবিআই দফতরে যেতে বলা হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যকে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের আরও নির্দেশ দেন, পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তদন্তে সাহায্য না করলে সিবিআই তাঁকে হেফাজতে নিতে পারে। 

    আরও পড়ুন: ‘মানিক ইজ টেকিং মানি…’, অভিযোগ পেয়েও চেপে গিয়েছিলেন পার্থ! দাবি ইডির    

    প্রাথমিক টেট মামলায় সময়ের আগেই কেন ওএমআর শিট নষ্ট করা হল, সেই প্রশ্ন উঠেছে। সদুত্তর দিতে পারেননি তৎকালীন চেয়্যারম্যান মানিক ভট্টাচার্য। সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই এ দিন মানিককে সিবিআই দফতরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তে সহযোগিতা না করলে, প্রয়োজনে মানিককে সিবিআই গ্রেফতারও করতে পারে বলে অনুমতি দিয়েছে কলকাতা উচ্চ আদালত।  

    ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ওএমআর শিট নষ্ট করায় অ্যাড হক কমিটির কী ভূমিকা ছিল, তা জানতেই মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করবে সিবিআই। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানতে চায় মানিক ভট্টাচার্যকে কেন ওই পদে নিয়োগ করা হয়েছিল, কী ভাবে তাঁকে বাছাই করা হয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: ‘মানিক ইজ টেকিং মানি…’, অভিযোগ পেয়েও চেপে গিয়েছিলেন পার্থ! দাবি ইডির

    প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে আগেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মামলা আদালতে ওঠার পরেই চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয়েছিল মানিককে। তদন্তের স্বার্থে বিধায়ক এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তির খতিয়ান হলফনামা আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান মানিকবাবু। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখে।   

    এক মাসের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। ১ নভেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে সেই রিপোর্ট। বিচারপতি এ দিন মন্তব্য করেন, “সিবিআই আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে এটা শুধু আদালতই চায় না, নাগরিক সমাজও তাদের ওপরে ভরসা রাখবে বলে আশা করি।” 

    ইডি (Enforcement Directorate) নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্তের যে চার্জশিট আদালতে পেশ করেছে, তাতে মানিক ভট্টাচার্যের নাম ছিল। গত বুধবার ইডি দফতরে তলব করা হয়েছিল মানিকবাবুকে। প্রায় ৬ ঘণ্টার জেরা চলে। তবে মানিক ভট্টাচার্যের উত্তরে খুব একটা সন্তুষ্ট হননি গোয়েন্দারা। আর আজ মানিকবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • SSC Scam: ‘‘যাঁরা বেআইনি চাকরি পেয়েছেন, পদত্যাগ করুন নইলে…’’, নির্দেশ হাইকোর্টের

    SSC Scam: ‘‘যাঁরা বেআইনি চাকরি পেয়েছেন, পদত্যাগ করুন নইলে…’’, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে ফরেনসিক রিপোর্ট পেশ করল সিবিআই (CBI)। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ নিয়ে চারটি রিপোর্ট পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এতদিন শুধু অভিযোগ ছিল যে, নম্বর অদল-বদল করা হয়েছে। কিন্তু ফরেনসিক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ‘হার্ড ডিস্কে থাকা উত্তরপত্র ও এসএসসির সার্ভারে থাকা উত্তরপত্রে নম্বর মিলছে না। হার্ডডিস্কে দেখা গিয়েছে কেউ ‘০’ বা ‘১’ নম্বর পেয়েছেন, কিন্তু এসএসসি সার্ভারে থাকা উত্তরপত্রে তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ‘৫০’ কিংবা ‘৫৭’। গ্রুপ সি-তে ৩ হাজার ৪৮১ জনের নম্বর এবং গ্রুপ ডি-তে ২ হাজার ৮২৩ জনের নম্বর বদল হয়েছে। আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, এই সংক্রান্ত ৩টি হার্ড ডিস্ক উদ্ধার হয়েছে’।

    আরও পড়ুন: হদিশ মিলল সিবিআই-এর হাজিরা এড়ানো ‘নিখোঁজ’ মানিকের! কোথায় তিনি?

    সিবিআই দাবি করেছে, নবম ও দশমের নিয়োগ মামলায় ৯০৭ জনের ওএমআর শিট জালিয়াতি করা হয়েছে। সাদা খাতা জমা দিয়েছে এমন প্রার্থীদের নামের পাশেও বসেছে ৫৩ নম্বর। এসএসসি-র সার্ভারে সেই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সুবীরেশ ভট্টাচার্য সেই সময় চেয়ারম্যান ছিলেন। সিবিআই জানিয়েছে, ধৃতরা মুখ খুলতে চাননি। কারণ তাঁরা জানেন সিবিআই থার্ড ডিগ্রি ব্যবহার করে না। এমনকী একজন ভয়েস স্যাম্পেল দিতেও রাজি হননি। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি এই নিয়োগ দুর্নীতিতে যে শিক্ষা দফতরও জড়িয়ে, সিবিআই রিপোর্টে তার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এই রিপোর্ট সামনে আসার পরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি শকড!’ ওদিকে, সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ‘আমি স্পিচলেস!’

    আরও পড়ুন: রাত ৮টার মধ্যে মানিককে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের, আজই কি গ্রেফতার?

    সিবিআই-এর কথা শোনার পর বিচারপতি কড়া ভাষায় বলেন, “যাঁরা বেআইনি চাকরি পেয়েছেন তাঁরা নিজেরা খুব ভালো মতন জানেন। তাঁদের অনুরোধ করব, চাকরি থেকে পদত্যাগ করুন। তা না হলে কড়া পদক্ষেপ করবে আদালত। যাঁরা পদত্যাগ করবেন না তাঁরা কোনও দিন সরকারি চাকরিতে আবেদনও করতে পারবেন না। বেআইনি চাকরি প্রাপকদের আলাদা সার্ভার ডেটা তৈরি করবে সিবিআই বা অন্য কেউ।” বিচারপতি আরও বলেন,”সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে হেফাজতে নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করুক সিবিআই। আমি এসএসসি ল-ইনচার্জ থাকার সময় সুবীরেশ ভট্টাচার্যের সঙ্গে কাজ করেছি। আমি জানতাম তিনি জেন্টলম্যান। এখন সিবিআই তদন্তে যখন সামনে আসছে তাঁর সময়কালে  এতো অনিয়ম। বেআইনি চাকরি হয়েছে। আমার স্থির বিশ্বাস সুবীরেশ ভট্টাচার্য কোনও বড় প্রভাবশালী অঙ্গুলিহেলনে এই কাজ করেছেন। সেই প্রভাবশালীদের নাম জানাক সুবীরেশ ভট্টাচার্য।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Justice Dipankar Dutta: সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হচ্ছেন বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত?

    Justice Dipankar Dutta: সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হচ্ছেন বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বম্বে হাইকোর্টের (Bomby High Court) প্রধান বিচারপতি (Chief Justice) দীপঙ্কর দত্ত (Dipankar Dutta) সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি হতে চলেছেন। কারণ তাঁর পদোন্নতির জন্য সুপারিশ করেছে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। গত ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের (U U Lalit) নেতৃ্ত্বে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম (Collegium) এক বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয় ও সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বম্বে হাইকোর্টে নিযুক্ত হওয়ার আগে দীর্ঘদিন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। তিনি ২০০৬ সালের ২২ জুন এই দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এরপর ২০২০ সালের ২৮ এপ্রিল বম্বে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। এবার কলেজিয়াম তাঁকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি করার সুপারিশ করল।

    আরও পড়ুন: রাত ৮টার মধ্যে মানিককে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের, আজই কি গ্রেফতার?

    বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের জন্ম ১৯৬৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি। ১৯৮৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (University of Calcutta) থেকে তিনি এলএলবি ডিগ্রি (LLB Degree) নেন। সেই বছরের ১৬ নভেম্বরে তিনি আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি প্রয়াত সলিল কুমার দত্তের ছেলে এবং বিচারপতি অমিতাভ রায়ের শ্যালক, যিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ছিলেন।

    এছাড়াও তিনি ২০০২-এর মে থেকে ২০০৪-এর জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র স্ট্যান্ডিং কাউন্সেল হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। তার আগে তিনি ১৯৯৮ সাল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাউন্সেল ছিলেন। এরপর ২০০৬ সালে কলকাতা হাই কোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। ২০২০ সাল পর্যন্ত সেই দায়িত্ব সামলানোর পর বম্বে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। আবার তিনি ১৯৯-৯৭ থেকে ১৯৯৯-২০০০ সাল পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ ল-এ গেস্ট লেকচারার ছিলেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • DA Case: ডিএ মামলার শুনানি বৃহষ্পতিবার, তার আগে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য আদালতের

    DA Case: ডিএ মামলার শুনানি বৃহষ্পতিবার, তার আগে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিছিয়ে দেওয়া হল হাইকোর্টে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (DA) মামলার শুনানি। কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জানানো হয়েছিল এই মামলার শুনানি হবে ৭ সেপ্টেম্বর, বুধবার। কিন্তু তা পিছিয়ে দেওয়া হল । আগামিকাল দুপুর দুটোয় এই মামলার শুনানি হতে চলেছে।

    গত ২০ মে আদালত রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল, সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ তিন মাসের মধ্যে মিটিয়ে দিতে হবে। কিন্তু সেই সময় পেরিয়ে গেলেও রাজ্যের তরফে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বরং রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। গত ১২ অগাস্ট, শুক্রবার সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি (Review Petition) জানায় সরকার। আজ সেই শুনানি ছিল। তবে পিটিশনের কপি সকল মামলাকারীদের দেওয়া হয়নি বলে মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়। পদ্ধতিগত ত্রুটি শুধরে মামলাকারীদের পিটিশনের কপি দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। তাই বুধবার নয়, এই মামলার শুনানি হবে আগামীকাল।

    শুনানির দিন পিছিয়ে গেলেও আজ এক গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। অ্যাডভোকেট জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে আদালতের মন্তব্য, রায় পুনর্বিবেচনার সুযোগ খুব কম। ফলে সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মেটানোর যে নির্দেশ হাইকোর্ট মে মাসে দিয়েছিল, তা নিয়ে আদালত কী রায় দেয়, সেদিকে নজর সকলেরই।

    আরও পড়ুন: বকেয়া নেই সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা! পুজো অনুদান মামলায় দাবি রাজ্যের

    এরমধ্যেই মঙ্গলবার দুর্গাপুজো অনুদান সংক্রান্ত মামলায় রাজ্য সরকার দাবি করেছে, রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের কোনও ডিএ বকেয়া নেই। যদিও রাজ্যের এই দাবি মিথ্যা বলে দাবি করেছেন সরকারি কর্মচারীরা। রাজ্যের ৪৩ হাজার দুর্গাপুজো কমিটিকে দুর্গা পুজো উপলক্ষে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। মামলাকারীদের দাবি, যেখানে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বাকি রয়েছে, সেখানে পুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়া ঠিক নয়। এই প্রেক্ষিতে ডিএ মামলায় আদালতের রায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এদিন রাজ্যের পুনর্বিবেচনা আর্জির শুনানির পর রাজ্যের বিরুদ্ধে দায়ের করা আদালত অবমাননার শুনানি হবে। 

    প্রায় কয়েক মাস ধরেই রাজ্যে সরকারি কর্মচারীরা তাঁদের অধিকারের টাকা পাওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। গত ২০ মে তে হাইকোর্ট থেকে নির্দেশ দেওয়া হলেও কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই রাজ্য সরকারের। ফলে এত মাস অপেক্ষার পর আগামীকালের শুনানির দিকে তাকিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bengal Pending DA Case: কর্মচারীদের কোনও ডিএ পাওনা নেই, হাইকোর্টে জানাল রাজ্য সরকার

    Bengal Pending DA Case: কর্মচারীদের কোনও ডিএ পাওনা নেই, হাইকোর্টে জানাল রাজ্য সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহার্ঘ ভাতা (DA Case) বাকি রাজ্য সরকারের কর্মীদের। এই দাবি আজকের নয়। যদিও রাজ্য সরকার একই সঙ্গে দাবি করে আসছে কোনও ডিএ পাওয়া নেই কর্মচারীদের। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে (State Government) সেই দাবিই আরও একবার করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালিত তৃণমূল সরকার। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর বেঞ্চে বকেয়া ডিএ মামলার শুনানিতে, রাজ্য সরকারের হয়ে সে কথাই বললেন অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। 

    আরও পড়ুন: বকেয়া নেই সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা! পুজো অনুদান মামলায় দাবি রাজ্যের

    ডিএ নিয়ে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই মামলার শুনানির ছিল আজ। শুনানিতে রাজ্যের এজি বলেন, “সরকারি কর্মীদের কোনও ডিএ বকেয়া নেই। পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনেই ধাপে ধাপে বকেয়া সব ডিএ মিটিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।”   

    মামলাকারীদের দাবি, কেন্দ্রের হারে ডিএ দেয়নি রাজ্য সরকার। আর তাতেই বকেয়া রয়েছে ডিএ। তবে এদিন এজি বলেন, “রাজ্য সরকার ২০০৯ সালের পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনেই ডিএ দিয়েছে। পরে ২০১৮-১৯ সালে ডিএ নিয়ে ষষ্ঠ, সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ করা হয়েছিল তা রাজ্য সরকার মানেনি। তাহলে কেন সেই হারে ডিএ দেওয়া হবে?”

    আরও পড়ুন: বিদ্যুৎকর্মীদের বকেয়া ডিএ-র টাকা তুলতে বিদ্যুতের দাম বাড়াল রাজ্য? 

    মামলাকারীরা আরও দাবি করেন, দিল্লির বঙ্গ ভবন ও চেন্নাইতে রাজ্য সরকারের কর্মীরা কেন্দ্রীয় হারে বেতন পান। তাহলে এ রাজ্যের কর্মীরা কেন সেই হারে বেতন পাবেন না? এর উত্তরে এজি বলেন, “দিল্লি এবং চেন্নাইতে রাজ্য সরকারের কর্মচারীরা অল ইন্ডিয়া প্রাইস ইনডেক্স ১৯৮১ অনুযায়ী ডিএ পেয়ে থাকেন। তাই তাঁরা কেন্দ্রীয় হারে পান। রাজ্যের কর্মীদের পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ডিএ দেওয়া হয়েছে।” 

    এর আগেও পুজোর অনুদান দেওয়া নিয়ে মামলার শুনানিতেও রাজ্যের তরফের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকারের কর্মীদের কোনও ডিএ পাওনা নেই। এদিনের শুনানিতে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন বলেন, “ডিএ-র নাম শুনলেই সরকারি কর্মচারীরা তৎপর হয়ে ওঠেন। ফাইল না চাইতেই হাতে পেয়ে যাচ্ছি। তাই মামলার শুনানি দ্রুত শেষ করতে চাই। যাতে অন্য মামলার ক্ষেত্রেও কর্মীদের মধ্যে এই উন্মাদনা বজায় থাকে।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামীকাল, শুক্রবার।  

    গত ২০ মে ডিএ মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে, তিন মাসের মধ্যে স্যাট (স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল)-এর রায় কার্যকর করতে হবে। অর্থাৎ বকেয়া মহার্ঘভাতা মিটিয়ে দিতে হবে তিন মাসের মধ্যে। বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত ও বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন তাঁদের রায় জানিয়েছিলেন, মহার্ঘ ভাতা পাওয়া রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মৌলিক অধিকার। তাঁরা সরকারের মেরুদণ্ড। তাই আইনি অধিকার হিসাবেই তাঁদের প্রাপ্য ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Primary TET Scam: মানিকের অপসারণ বহাল, এখনই চাকরি পাবেন না ২৬৯ জন, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Primary TET Scam: মানিকের অপসারণ বহাল, এখনই চাকরি পাবেন না ২৬৯ জন, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্ষেপে টেট কেলেঙ্কারির (TET Scam) তদন্ত করবে সিবিআই (CBI)। আগেই এই রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) সিঙ্গল বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায় বহাল রাখল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও। শুধু তাই নয়, যে ২৬৯ জনের চাকরি খোয়া গিয়েছিল, তাঁদেরও এখনই পুনর্বহাল করা যাবে না বলেও রায় দিয়েছে ওই বেঞ্চ। শুক্রবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench) এই মামলায় বহাল রাখল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের (Single Bench) রায়ই। পর্ষদ সভাপতির পদ থেকে মানিক ভট্টাচার্যকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশও সমর্থন করেছে ডিভিশন বেঞ্চ।
    প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেতে গেলে বসতে হয় টেট পরীক্ষায়। ২০১৪ সালে জারি হয়েছিল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি। পরের বছর ১১ অক্টোবর ওই পরীক্ষা হয়। ফল প্রকাশ হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। প্রকাশিত হয় মেধাতালিকা। পরের বছর ডিসেম্বরে ফের বের হয় মেধাতালিকা। পরীক্ষায় বসেছিলেন ২৩ লক্ষ কর্মপ্রার্থী। নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন ৪২ হাজার। এই দ্বিতীয় তালিকা বেআইনি বলে আদালতে জানিয়েছিলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং সুদীপ্ত দাশগুপ্ত। পরে ২৬৯ জনের চাকরি বাতিল করে হাইকোর্ট। 
    ওই নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছিল বলে সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছিল। যে ২৭৩ জনকে অতিরিক্ত এক নম্বর দেওয়া হয়েছিল, তার কারণ কী জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি। সেই সংক্রান্ত নথিও চেয়ে পাঠানো হয়। যদিও কর্তৃপক্ষ তা দিতে ব্যর্থ হয়। ওই ২৭৩ জনকে কেন অতিরিক্ত এক নম্বর দেওয়া হয়েছিল, তার কারণও দর্শাতে পারেনি বোর্ড। আদালতে হাজির করতে পারেনি ওএমআর শিটও। তার পরেই মানিককে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। এদিন ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সিঙ্গল বেঞ্চের রায় যথাযথ। বেআইনি নিয়োগের তদন্তের ভার যে সিবিআইকে দেওয়া হয়েছিল, এদিন তাও বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতে মানিক জানিয়েছিলেন অযথা তাঁর নাম নেওয়া হচ্ছে, কলঙ্ক লেপন করা হচ্ছে যা সংবিধানের ২১ নম্বর ধারার পরিপন্থী।

    আরও পড়ুন : টেট মামলায় আদালতে হাজিরা কেষ্ট কন্যার, উঠল ‘গরু চোর’ স্লোগান

    ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, পুরো পরিস্থিতি বিচার করেই রায় দিয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চ। বিচার করলেই হবে না, রায়টাকে কার্যকরও করতে হবে। এদিনও ২৭৩ জন চাকরি প্রার্থীকে কেন অতিরিক্ত এক নম্বর দেওয়া হয়েছে, তারও ব্যাখ্যা দিতে পারেনি বোর্ড। আদালত জানায়, এ রকম একজন ব্যক্তি (মানিক ভট্টাচার্য) অতিরিক্ত কোনও সুবিধা দাবি করতে পারেন না। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই ২৭৩ জনকে চাকরিতে পুনর্বহালও করা যাবে না। আদালতের নির্দেশ, কেলেঙ্কারির তদন্ত করবে সিবিআই। এই সংস্থাই তদন্ত করবে আর্থিক কেলেঙ্কারিরও। আদালতের নজরদারিতেই হবে তদন্ত। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে হস্তক্ষেপ করা হবে না। যে ২৭৩ জনকে অতিরিক্ত এক নম্বর দেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে ২৬৯ জনের কোনও দাবিই মান্যতা পাবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share