Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • TET Scam: ২০১৪ বনাম ২০১৭! দুই আন্দোলনের বিক্ষোভে উত্তাল করুণাময়ী, পর্ষদ চত্বরে জারি ১৪৪ ধারা

    TET Scam: ২০১৪ বনাম ২০১৭! দুই আন্দোলনের বিক্ষোভে উত্তাল করুণাময়ী, পর্ষদ চত্বরে জারি ১৪৪ ধারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের মাঝেই (TET Scam) প্রাথমিক পর্ষদ চত্বরে পুলিশকে ১৪৪ ধারা কার্যকরের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ৪ নভেম্বর পর্যন্ত হাইকোর্টের অন্তর্বতী নির্দেশ বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে আদালতের তরফে। বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাথমিক পর্ষদ অফিসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কর্মীদের অফিসে নিরাপদে ঢোকা-বেরোনো নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

    অন্যদিকে সল্টলেকের করুণাময়ীতে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের (TET Scam) আজ চতুর্থ দিন। অনশনের ৫৬ ঘণ্টা, ধর্নার ৭৭ ঘণ্টা পার। কিন্তু এখনও নিজেদের দাবিতে অনড় ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ নন-ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা। আবার এদিন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের পাশাপাশি বিক্ষোভে বসেছেন ২০১৭-র প্রাথমিক টেট চাকরিপ্রার্থীরাও। তাঁরা আজ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে যেতে চাইলে তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ ও তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও শুরু হয়। ফলে করুণাময়ী যাওয়ার রাস্তায় বসে পড়েই বিক্ষোভ শুরু করেন ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণরা।

    আরও পড়ুন: ইডির তলবে শেষ পর্যন্ত হাজিরা দিতেই হল তাপস মণ্ডলকে, চলছে জেরা

    এর আগেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, ২০১৪ টেট উত্তীর্ণদের আন্দোলন অবৈধ। তাঁদের আবার পদ্ধতি মেনে আবেদন ও ইন্টারভিউয়ে বসতে হবে। অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁরা দু’বার ইন্টারভিউ দিয়েছেন, ফের ইন্টারভিউ দিতে নারাজ। ফলে এই দাবি নিয়েই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রায় তিনদিন ধরে তাঁরা অনশনে বসায় একাধিক আন্দোলনকারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবুও তাঁরা তাঁদের দাবিতে অনড়। তবে আজ আন্দোলনের এক অন্য দৃশ্যই দেখা গেল। দুদিন ধরে তাঁরা মুখে কিছু তোলেননি, আবার আজ তাঁদের রাস্তায় লাশের মত সাদা চাদরে ঢেকে শুয়ে থাকতে দেখা গেল। সাদা কাপড় গায়ে দিয়ে শুয়ে নিজেরাই বলছেন, তাঁরা জীবন্ত লাশ!

    আবার ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণ ও প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত প্রার্থীরা ২০১৪-এর উত্তীর্ণদের আন্দোলনের বিরোধিতা করে দাবি করেছেন, তাঁদের সঙ্গে ২০১৪ সালের চাকরিপ্রার্থীদের একসঙ্গে পরীক্ষা হলে তাঁরা বঞ্চিত হবেন। ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণ আন্দোলনকারীদের যুক্তি, ২০১৪-র টেট প্রার্থীরা দু’বার ইন্টারভিউ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। তাহলে ফের কেন তাদের সুযোগ দেওয়া হবে?  ফলে এই দুপক্ষের আন্দোলনের জেরে করুণাময়ী সহ পুরো রাজ্য উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আবার এই দুই আন্দোলনের ফলে যাতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কর্মীদের কাজকর্মে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে, সেটা নিশ্চিত করতেই নির্দিষ্ট এলাকায় বহাল থাকা ১৪৪ ধারা কার্যকরে পুলিশকে ছাড় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।

  • Primary TET: ফের আইনি গেরোয় প্রাথমিকে নিয়োগ, বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা

    Primary TET: ফের আইনি গেরোয় প্রাথমিকে নিয়োগ, বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিকে (Primary TET Notification) চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ চাকরিপ্রার্থীরা। মামলাকারীদের দাবি, বিএড উত্তীর্ণদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া যাবে না। সোমবার হবে মামলার শুনানি।

    গত ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ডিএলএড, বিএড ডিগ্রিধারীরা আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করতে পারবেন ডিএলএডের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়ারাও। ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরাও আবেদন করতে পারবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। আবেদনের শেষ তারিখ ২১ অক্টোবর।

    আরও পড়ুন: ‘কিংপিন’ মানিকের আমলেই ৫৮ হাজার বেআইনি চাকরি, চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির 

    মামলাকারীদের দাবি, বিএড ডিগ্রি থাকলে প্রাথমিক টেটে আবেদন করা যাবে পর্ষদের বিজ্ঞপ্তির এই অংশ বাতিল করতে হবে। মামলাটি উঠেছে বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। তিনি মামলা দেখে বলেন, “এতো মহা মুশকিল। পর্ষদের বিরুদ্ধে শুধু মামলা হচ্ছে।” 

    নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে শূন্যপদের সংখ্যা উল্লেখ করা না হলেও তিনদিন আগেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ১১ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের কথা জানায়। আগামী ১১ ডিসেম্বর টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। 

    মামলাকারীরা তাঁদের সপক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন, রাজস্থান হাইকোর্টেও প্রাথমিক নিয়োগে একই ইস্যুতে একটি মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় রাজ্য সরকারের ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে স্থগিত করে দেয় রাজস্থান হাইকোর্ট। যদিও সেই মামলার এখনও কোনও সুরাহা হয়নি।

    অন্যদিকে নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদে গান্ধী মূর্তির নীচে চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না-অবস্থানের মেয়াদ বাড়াতে নারাজ হাইকোর্ট। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০১৪-র প্রাথমিকের প্রায় ৫০ জন চাকরিপ্রার্থী ২ মাসের জন্য ধর্না চালিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্য। গত ৬ সেপ্টেম্বর অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি চেয়ে নতুন করে পুলিশের কাছে আবেদন করার জন্য চাকরিপ্রার্থীদের নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। ৮ সেপ্টেম্বর আবেদন জানান চাকরিপ্রার্থীরা। ১৩ সেপ্টেম্বর অনুমতি দেয় পুলিশ। ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে পাঁচদিনের জন্য অবস্থান বিক্ষোভে বসেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০১৪-র প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীরা। কিন্তু বিক্ষোভের সময়সীমা বাড়ানোর আনেদন মঞ্জুর করল না আদালত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

       

  • Calcutta High Court: মোমিনপুর কাণ্ডে সিট গঠনের নির্দেশ, এনআইএ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: মোমিনপুর কাণ্ডে সিট গঠনের নির্দেশ, এনআইএ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোমিনপুর-একবালপুর ঘটনায় (Mominpur Ekbalpur Violence Case) সিট (SIT) গঠন করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন থেকে মোমিনপুর-একবালপুর জুড়ে অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য আদালতের দারস্থ হয়ে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার শুনানি শেষে বুধবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল তথা সিট (SIT) গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং কলকাতা পুলিশের কমিশনারের নেতৃত্বে এই সিট গঠন করা হবে। এছাড়াও আদালত থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার তদন্তভার এনআইএ-কে দেওয়া হবে কি না তার সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র।

    মোমিনপুরের ঘটনার পরেই পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছিল রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। মোমিনপুরে তাণ্ডবের বিরুদ্ধে দু’টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে উচ্চ আদালতে (Calcutta High Court)। সেই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে এমন নির্দেশ দেওয়া হল। বলা হয়েছে, রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের নেতৃত্বে সিট গঠন করা হবে। উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত চালাতে হবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। কারা তাণ্ডব চালিয়েছে তা ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিটের আধিকারিকদের। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। সংরক্ষণ করতে হবে ভিডিও ফুটেজ। এছাড়াও জানানো হয়েছে, এই ঘটনার জেরে যদি কেউ ঘরছাড়া হয়ে থাকে তবে তাঁদের ঘরে ফেরানোর দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্য সরকারকে। এই হিংসার ঘটনায় যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিন পুলিশের কাছে ডিভিশন বেঞ্চ আরও জানতে চায়, যে এফআইআরগুলি হয়েছে তার ভিত্তিতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টেও রক্ষা মিলল না! আগামী কয়েকদিন ইডির হেফাজতেই মানিক ভট্টাচার্য

    আবার এদিন এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের পদক্ষেপ নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার জন্যও আবেদন করা হলেও এদিন হাইকোর্ট (Calcutta High Court) থেকে জানানো হয়েছে, আপাতত, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। আবার অন্যদিকে আদালত থেকে প্রশ্ন করা হয় যে, এই ঘটনায় যে বিস্ফোরণের অভিযোগ উঠেছে, তার ব্যাপারে কেন্দ্রকে সঠিক পদ্ধতিতে জানানো হয়েছে কিনা। এর উত্তরে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, সেদিনই বেলা ১টায় কেন্দ্রকে ইমেল করে বিস্ফোরণের কথা জানানো হয়েছে। এরপরেই বিচারপতি জানান যে, তবে সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে কেন্দ্রকেই ১৫ দিনের মধ্যে জানাতে হবে যে, এই ঘটনার তদন্তভার তাঁরা এনআইএ-কে (NIA) দিতে চায় কি না। এবিষয়ে আদালত কোনও হস্তক্ষেপ করবে না।

    এছাড়াও হাইকোর্ট থেকে জানানো হয়েছে, ছুটির পর আদালত খোলার ১৫ দিনের মধ্যে এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যকে রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে। সেখানে ওই এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে রাজ্য কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা বিশদে জানাতে হবে আদালতকে (Calcutta High Court)।

  • Mominpur clash: ভোট বাক্সের রাজনীতি! মোমিনপুরের ঘটনায় চুপ কেন অভিষেক? প্রশ্ন অমিত মালব্যর

    Mominpur clash: ভোট বাক্সের রাজনীতি! মোমিনপুরের ঘটনায় চুপ কেন অভিষেক? প্রশ্ন অমিত মালব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোমিনপুর হিংসায় (Mominpur clash) ভোট বাক্সের রাজনীতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। বিজেপি (BJP) আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য ট্যুইট করে এ নিয়ে খোঁচা দিয়েছন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন এত বড় ঘটনা যেখানে তিন জন আইপিএস অফিসার আক্রান্ত, আহত একাধিক পুলিশ কর্মী সেখানে কেন চুপ রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর ভাইপো?  ভোটব্যাঙ্ক সুরক্ষিত রাখতে তাঁরা কোনও গোষ্ঠীকে আড়াল করছেন? 

    প্রসঙ্গত, গত ১৩ই সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন আক্রান্ত হয়েছিলেন এক পুলিশকর্তা। সেই সময় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসএসকেএমে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি, তাঁর সঙ্গে দেখা করার পর এসএসকেএম চত্বরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন যে পুলিশ অনেক সংযত থেকেছে। তিনি থাকলে বিজেপি কর্মীদের মাথায় গুলি করতেন। তাহলে এখন প্রকৃত দোষীদের মাথায় গুলি করার কথা বলছেন না কেন অভিষেক ? প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এমনকি ওই ঘটনায় আক্রান্ত  সিএমআরআই-তে চিকিৎসাধীন অফিসারদের সঙ্গে দেখাও করতে যাননি কেউ। তবে কী নিজের গা বাঁচিয়ে চলছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? 

    আরও পড়ুন: একবালপুর-মোমিনপুর কাণ্ডের জেরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি, জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

    উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশে রাজ্যের পাঠানো রিপোর্ট বিশ্লেষণের পর মোমিনপুর হিংসায় NIA-তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।  শুক্রবার রাতে ট্যুইট করে একথা জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। মোমিনপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া মামলার শুনানিতে বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নেতৃত্বে রেখে সিট গঠন করে। কারা এই হামলায় যুক্ত তা খুঁজে বার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে বলে আদালত। রাজ্যের তরফে জানানো হয়, এই ঘটনার রিপোর্ট নিয়ম মেনে কেন্দ্রকে পাঠিয়েছে তারা। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে মোমিনপুরে NIA তদন্ত প্রয়োজন কি না তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের তরফে জানানো হল, NIA তদন্ত হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Primary Teacher Recruitment: মামলার পথে ১৪০০ চাকরি প্রার্থী! প্রাথমিক নিয়োগে অতীতে এত আবেদন জমা পড়েনি

    Primary Teacher Recruitment: মামলার পথে ১৪০০ চাকরি প্রার্থী! প্রাথমিক নিয়োগে অতীতে এত আবেদন জমা পড়েনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি চাই, চাকরি! পশ্চিমবঙ্গের বেকার যুবক-যুবতীদের এটাই যেন এখন একমাত্র স্লোগান। টেট পাস করে মেরিট লিস্টে নাম থাকা সত্ত্বেও অনেকে চাকরি থেকে বঞ্চিত। আবার পাস না করেও চাকরি করছেন অনেকে। যোগ্য চাকরি প্রার্থীরা দিনের পর দিন ধর্না দিয়েছেন। আবেদন জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের কাছে। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। এবার তাই মামলার পথ বেছে নিলেন ১৪০০ চাকরি প্রার্থী। আরও ২০০০ চাকরি প্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন। প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় একদিনে কলকাতা হাইকোর্টে এক সঙ্গে এত আবেদন অতীতে জমা পড়েনি। তাই এটা এক নজিরবিহীন ঘটনা।

    আরও পড়ুন: ফের আইনি গেরোয় প্রাথমিকে নিয়োগ, বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা

    যাঁরা নতুন করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকেই ২০১৪ সালে প্রাইমারি টেট (Primary TET) পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই এই পরীক্ষায় যাঁরা বসেছিলেন, তাঁদের দু’বার নিয়োগও হয়েছে। ২০১৬ সালের পরীক্ষায় নিয়োগ হয়েছে চার বছর পর পর অর্থাৎ ২০২০ সালে। তবে মজার ব্যাপার হল, ২০২২ শেষ হতে চলল, কিন্তু ২০২০ প্রাইমারি টেট পরীক্ষার্থীরা এখনও চাকরি পাননি। আর সেই কারণেই এত সংখ্যক চাকরি প্রার্থী একসঙ্গে সুবিচারের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছেন।

    সব কিছু ঠিক থাকলে মঙ্গলবার অনিরুদ্ধ রায়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে। তবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২০২০ সালে প্রাথমিকে ১৬৫০০ পদ নিয়োগের পর শূন্য থাকা ৩৯২৯টি আসনও দ্রুত পূরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, বিচারপতি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, মেধা ও যোগ্যতার বিচারেই চাকরি দিতে হবে ৭ নভেম্বরের মধ্যে। ১১ নভেম্বর বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে হবে আদালতকে।

    আরও পড়ুন: টেট নিয়োগ ঘিরে ফের মামলা কলকাতা হাইকোর্টে, আইনি জটিলতায় থেমে যাবে না তো প্রক্রিয়া?

    এই রায়ের পরেই শ’য়ে শ’য়ে মামলা হচেছ কলকাতা হাইকোর্টে। চাকরি প্রার্থীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ‘আমার কাছে প্রায় হাজার তিনেক আবেদন এসেছে। ইতিমধ্যে ১৪০০ মামলা দায়ের হয়েছে। আদলত অনুমতি দিলে বাকি মামলাও দায়ের করা হবে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Primary TET: টেট নিয়োগ ঘিরে ফের মামলা কলকাতা হাইকোর্টে, আইনি জটিলতায় থেমে যাবে না তো প্রক্রিয়া?

    Primary TET: টেট নিয়োগ ঘিরে ফের মামলা কলকাতা হাইকোর্টে, আইনি জটিলতায় থেমে যাবে না তো প্রক্রিয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:প্রাথমিক নিয়োগের (Primary TET) বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে ফের মামলা কলকাতা হাইকোর্টে। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। গত মাসের ২৯ তারিখ এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। আর সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে ফের মামলা দায়ের করা হল কলকাতা হাইকোর্টে। একাধিক চাকরিপ্রার্থী এই মামলা করেছে বলে জানা যাচ্ছে। মামলাকারীদের দাবি, বিজ্ঞপ্তির যে অংশে উল্লেখ রয়েছে যে,  প্রশিক্ষণরতরা টেট দিতে পারবে, তা খারিজ করতে হবে।

    এর আগেই বৃহস্পতিবার বিএড ডিগ্রিধারীদের টেট-এ (Primary TET) বসতে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। ফলে পর্ষদের নানা সিদ্ধান্ত বা বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে একের পর এক মামলা দায়ের করায় ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে যে, টেটের নিয়োগ প্রক্রিয়া ঠিকভাবে হবে তো? বিজ্ঞপ্তি জারি করার পরে গতকাল যে মামলা দায়ের করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক স্কুলে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষকের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ডিএলএড-এর পাশাপাশি বিএড যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। আর এই নিয়েই আপত্তি তুলে হাইকোর্টে মামলা করেন কয়েক জন টেট পরীক্ষার্থীরা।

    আরও পড়ুন: ফের আইনি গেরোয় প্রাথমিকে নিয়োগ, বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা

    আর আজ যেকারণে নতুন করে মামলা দায়ের করা হয়েছে, তা হল প্রশিক্ষণরতরা কেন টেটে বসার সুযোগ পাবেন, এই দাবি নিয়েই নতুন মামলা। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় (Primary TET) অংশগ্রহণ করতে পারবেন ২০২০-২০২২ শিক্ষাবর্ষের ডিএলএড বা ডিএড এবং বিএড-এর পার্ট- ১ পরীক্ষা যারা দিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তির এই অংশকেই চ্যালেঞ্জ করেই নতুন মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীদের দাবি, যেখানে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থী রয়েছে, সেখানে কেন প্রশিক্ষণরত প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়া হবে?

    আগামী সোমবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে। ফলে মামলা (Primary TET) কোন দিকে গড়ায় সেদিকেই নজর সবার। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে একের পর এক মামলাতে জটিলতা আরও বেশি বাড়ছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এমনকি ফের আটকে যাবে না তো নিয়োগ? তা নিয়েও আশঙ্কা ঘনিয়ে আসছে।  

  • Calcutta High Court: মোমিনপুর নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ হাইকোর্টের, দেওয়া হল মামলা দায়ের করার অনুমতি

    Calcutta High Court: মোমিনপুর নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ হাইকোর্টের, দেওয়া হল মামলা দায়ের করার অনুমতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে মোমিনপুর-একবালপুরের ঘটনা নিয়ে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন থেকে একবালপুর ও মোমিনপুর জুড়ে যে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হলেন আইনজীবী সু্স্মিতা দত্ত। আবার এই ঘটনায় মামলা দায়ের করার অনুমতি দেয় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবারই এই গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে আদালতে শুনানির আর্জি জানানো হয়। যদিও এদিনই শুনানির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। তবে বুধবার শুনানি হতে পারে বলে আদালত সূত্রে খবর। এই ঘটনার পর থেকেই রাজ্য পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে বারবার। কলকাতা পুলিশ এই পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে গতকাল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় সেনা মোতায়েনের দাবি করেছিলেন। আর তারপরেই হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলার (Calcutta High Court) খবর শোনা যায়। এরপর আজ আবার এই ঘটনায় মামলা দায়ের করার অনুমতি দিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।

    আরও পড়ুন: একবালপুর-মোমিনপুর কাণ্ডের জেরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি, জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

    একবালপুর-মোমিনপুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। ঘটনায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির পর থেকেই রাজ্য বিজেপি ট্যুইটারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগেন ও এর পাশাপাশি পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ আনেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। গতকাল উত্তেজনাপূর্ণ এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার আগে চিংড়িহাটায় তাঁকে আটকও করা হয়। সন্ধ্যার পর লালবাজার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় সুকান্তকে। ফলে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।

    অন্যদিকে জানা গিয়েছে, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে একবালপুর থানা এলাকায় তিনদিনের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এলাকায় আর যাতে আইন শৃঙ্খলার অবনতি না হয় তাই বাড়তি বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে এলাকায়। এবার আরও কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা পুলিশ৷ শেষমেশ জারি হল ১৪৪ ধারা। তবে ঘটনার এতদিন পর এই পদক্ষেপ নেওয়ার পরে কটাক্ষের শিকার হতে হচ্ছে প্রশাসন সহ পুলিশকে। এলাকার মানুষ থানায় অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কেন পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি, এই নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে এতকিছুর পরে একবালপুর-মোমিনপুরের কাণ্ড শেষ পর্যন্ত গড়াল আদালত (Calcutta High Court) পর্যন্ত।

  • Mominpur Ekbalpur: মোমিনপুর-একবালপুর কাণ্ডে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের

    Mominpur Ekbalpur: মোমিনপুর-একবালপুর কাণ্ডে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোমিনপুর ও একবালপুর (Mominpur Ekbalpur) এলাকায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ সংক্রান্ত মামলায় (Ekbalpur Mominpur Case) বেলা ২টোর মধ্যে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে সরব হয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দল। এবারে বুধবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিচারপতিও। এই ধরনের হিংসাত্মক ঘটনায় এনআইএ-কে (NIA) কেন জানানো হয়নি, সেই প্রশ্ন তোলে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।

    মোমিনপুর-একবালপুর (Mominpur Ekbalpur) ঘটনার জেরে গতকাল আদালতের দ্বারস্থ হন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। এর পাশাপাশি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়। ফলে এইসব মামলার শুনানি হয় আজ। তখনই মোমিনপুর সংঘর্ষ সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্ন তোলে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। প্রথমেই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এদিন কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে কটাক্ষ করে বলেন, এলাকা থেকে যে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে, রাজ্য পুলিশ সে ব্যাপারে কী তদন্ত করেছে বা অন্যান্য কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তা জানাতে হবে আদালতকে। এর পাশাপাশি প্রশ্ন করা হয়েছে, বোমাবাজি হওয়া সত্ত্বেও কেন এখনও পর্যন্ত এনআইএ-র ধারায় মামলা রুজু করা হয়নি? ফলে এইসব প্রশ্ন করে পুলিশ এবং রাজ্য সরকারের থেকে জবাব চায় আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আজ বেলা ২টোর সময়।

    এই ঘটনার জল (Mominpur Ekbalpur) আদালত পর্যন্ত গড়ালে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট। এই রিপোর্টে জানাতে হবে, জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, ক্ষতিপূরণ নিয়ে কী চিন্তাভাবনা করেছে রাজ্য এবং সেই এলাকার শান্তি, সম্প্রীতি ফেরাতে কী করা হচ্ছে? এখানেই শেষ নয়, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে তলবেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে আদালত। নির্দেশ না মানলে ডাকা হতে পারে তাঁকেও, এমনই তথ্য জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: একবালপুর-মোমিনপুর কাণ্ডের জেরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি, জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

    প্রসঙ্গত, মোমিনপুর-একবালপুর (Mominpur Ekbalpur) ঘটনায় জোড়া মামলা দায়ের করা হয়। এক হলেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দও ও অপরজন নবেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আদালতে আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত বলেন, “৮ তারিখ থেকে ঝামেলা শুরু হয়েছে। বস্তিতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি ঘটনার দিন গিয়েছিলাম আক্রান্ত এলাকায়। ময়ুরভঞ্জ এলাকায় যে বস্তি রয়েছে, সেখানে কোনও পুলিশের নিরাপত্তা ছিল না। শুধুমাত্র কয়েকজন লাঠি হাতে পুলিশ সেখানে ছিলেন।” অপর পিটিশনার নবেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, “কার্নিভালের জন্য রেড রোডে বিরাট আয়োজন করা হল কার্নিভালের। তারই পাশে এই পরিস্থিতি, তবুও পুলিশ কিছু করতে পারল না?”

    এছাড়াও পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ঘটনায় এপর্যন্ত ৪২ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আরও ৩৫ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। নোটিস পাঠিয়ে ৪১ জনকে সতর্ক করা হয়েছে। অশান্তির ছবি ছড়ানোর জন্য ৮০টি ভিন্ন ভিন্ন মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারাও। ফলে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে বলে দাবি করেছে প্রশাসন।

  • DA Case: কেন্দ্রের ডিএ বৃদ্ধিতে ফের পিছলো রাজ্য, ব্যবধান বেড়ে দাঁড়াল ৩৫%

    DA Case: কেন্দ্রের ডিএ বৃদ্ধিতে ফের পিছলো রাজ্য, ব্যবধান বেড়ে দাঁড়াল ৩৫%

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর এনে দিয়েছে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ ৩৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হল ৩৮ শতাংশ। অর্থাৎ একদিকে যেমন ৪ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার, অন্যদিকে তেমনি রাজ্য সরকার ডিএ-এর (DA Case) দৌঁড়ে অনেকটা পিছিয়ে গেল। এর ফলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতনের ব্যবধান আরও বাড়ল। ডিএ-ব্যবধান বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৫ শতাংশ।

    এর আগেই ডিএ (DA Case) মামলায় রাজ্যের আর্জি খারিজ হয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ফলে অস্বস্তিতে রয়েছে রাজ্য সরকার। সেদিন বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছিল, মহার্ঘ ভাতা (DA Case) সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য। এটা সরকারের তরফে দেওয়া কোনও অনুদান নয়। তাই বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তাতেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি রাজ্য সরকার।  

    আরও পড়ুন: প্রাক-পুজো উপহার! কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়াল মোদির মন্ত্রিসভা

    এবারে কেন্দ্রের তরফে নতুন ডিএ ঘোষণার পরে রাজ্যের বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠনগুলোও আইনি লড়াইয়ের সঙ্গে সঙ্গে পথে নেমে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কর্মী সংগঠনগুলি জানিয়েছে, সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় কেন্দ্র ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে নতুন হারে ডিএ দিতে শুরু করে। তার পরে জুলাই ও জানুয়ারি, বছরে দু’বার রীতি মেনে ডিএ বাড়াতে থাকে তারা। বুধবার কেন্দ্র যে-ডিএ ঘোষণা করেছে, তা কার্যকর হবে গত জুলাই থেকে। ফলে এখন কেন্দ্রীয় কর্মীদের ডিএ-র পরিমাণ বেড়ে হচ্ছে ৩৮%। বাংলায় ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় ২০২১-এর ১ জানুয়ারি মাত্র ৩% ডিএ চালু হওয়ায় বাস্তবে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সেই ব্যবধান বেড়ে দাঁড়াল ৩৫ শতাংশে।   

    কর্মী সংগঠন থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, কয়েক বছর ধরে সর্বনিম্নের বেতনে চাকরি করা কর্মচারীদের অনেক টাকার লোকসানও হচ্ছে। যারা গ্রুপ ডি-তে কাজ করেন তাঁদের প্রায় ৭০০০ টাকাকর মত লোকসান হচ্ছে ও যাঁরা গ্রুপ সি-তে চাকরি করেন তাঁদের প্রায় ১০০০০ টাকা লোকসান হচ্ছে।

    মামলাকারী কর্মী সংগঠন কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেছেন, আদালত ডিএ (DA Case) মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেও রাজ্য সরকার এই বিষয়কে এড়িয়ে চলেছে। তবে তাঁরা এই রাজ্য সরকারের থেকে ডিএ আদায় করেই ছাড়বে ও দরকার পড়লে আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি রাস্তায় আন্দোলনো বসবেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল অভিযোগ করেছেন, “রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা চরম আর্থিক বঞ্চনার শিকার। প্রতারণা করছে তৃণমূল সরকার। পুজোর ছুটির পরে ফের রাস্তায় নামব আমরা।’’ তবে এই নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেখাননি রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের সর্বশেষ রায়ের পরে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ নেবে সেটার অপেক্ষায় রাজ্যের সরকারি কর্মচারী।  

  • Primary TET: পুজোর আগেই টেট উত্তীর্ণ আরও ৬৫ জনকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Primary TET: পুজোর আগেই টেট উত্তীর্ণ আরও ৬৫ জনকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যমিক নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশে পুজোর আগে আবারও নিয়োগ। প্রাথমিক টেট (Primary Tet) উত্তীর্ণ আরও ৬৫ জনকে পুজোর আগেই নিয়োগের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। সোমবার একটি মামলায় এই রায় দান করেন তিনি। বিচারপতির নির্দেশে পুজোর আগে মোট ২৫২ জন চাকরি পেতে চলেছেন।  

    আরও পড়ুন: রাজ্যে বাড়ছে নাবালিকা বিয়ে, কন্যাশ্রীর সাফল্য কি শুধুই বিজ্ঞাপনে?  

    ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে প্রশ্ন ভুল থাকার কারণে বহু চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ আটকে যায়। অভিযোগ ছিল, আদালত ভুল প্রশ্নের জন্য ১ নম্বর বরাদ্দ করার নির্দেশ দিলেও, বহুদিন সেই নম্বর দেওয়া হয়নি। চলতি বছরের গোড়ায় সেই নম্বর দেওয়া হলেও বাড়তি নম্বর পেয়ে যারা টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন তাদের নিয়োগ না করারও অভিযোগ ছিল। এই চাকরি প্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হন। এই ধরণের ৩টি মামলায় আগেই ১৮৭ জনকে পুজোর আগে নিয়োগপত্র দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ১৯ সেপ্টেম্বর আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র ভবনে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশ মতো গত সপ্তাহে তাদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। এর পর সোমবার আরও ৬৫ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আর এই নিয়ে পুজোর আগে চাকরি পাচ্ছেন মোট ২৫২ জন।  

    আরও পড়ুন: ভুল প্রশ্নের জের! ২৩ টেট পরীক্ষার্থীকে দ্রুত চাকরি দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এদিন বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে চাকরির অপেক্ষায় রয়েছেন এই যোগ্য প্রার্থীরা। ফলে পুজোর আগেই তাদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিতে হবে।” আদালতের নির্দেশ, শূন্য পদ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর। এবং সেই পদে ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে সংশ্লিষ্ট টেট উত্তীর্ণদের। আদালতের এই রায়ে খুশিতে ভেসেছেন চাকরি প্রার্থীরা। বিচারপতির তরফে এটা পুজোর উপহার বলে মন্তব্য করেছেন বেশ কয়েকজন মামলাকারী।    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share