Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • DA Case: ডিএ মামলার শুনানি বৃহষ্পতিবার, তার আগে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য আদালতের

    DA Case: ডিএ মামলার শুনানি বৃহষ্পতিবার, তার আগে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিছিয়ে দেওয়া হল হাইকোর্টে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (DA) মামলার শুনানি। কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জানানো হয়েছিল এই মামলার শুনানি হবে ৭ সেপ্টেম্বর, বুধবার। কিন্তু তা পিছিয়ে দেওয়া হল । আগামিকাল দুপুর দুটোয় এই মামলার শুনানি হতে চলেছে।

    গত ২০ মে আদালত রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল, সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ তিন মাসের মধ্যে মিটিয়ে দিতে হবে। কিন্তু সেই সময় পেরিয়ে গেলেও রাজ্যের তরফে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বরং রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। গত ১২ অগাস্ট, শুক্রবার সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি (Review Petition) জানায় সরকার। আজ সেই শুনানি ছিল। তবে পিটিশনের কপি সকল মামলাকারীদের দেওয়া হয়নি বলে মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়। পদ্ধতিগত ত্রুটি শুধরে মামলাকারীদের পিটিশনের কপি দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। তাই বুধবার নয়, এই মামলার শুনানি হবে আগামীকাল।

    শুনানির দিন পিছিয়ে গেলেও আজ এক গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। অ্যাডভোকেট জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে আদালতের মন্তব্য, রায় পুনর্বিবেচনার সুযোগ খুব কম। ফলে সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মেটানোর যে নির্দেশ হাইকোর্ট মে মাসে দিয়েছিল, তা নিয়ে আদালত কী রায় দেয়, সেদিকে নজর সকলেরই।

    আরও পড়ুন: বকেয়া নেই সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা! পুজো অনুদান মামলায় দাবি রাজ্যের

    এরমধ্যেই মঙ্গলবার দুর্গাপুজো অনুদান সংক্রান্ত মামলায় রাজ্য সরকার দাবি করেছে, রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের কোনও ডিএ বকেয়া নেই। যদিও রাজ্যের এই দাবি মিথ্যা বলে দাবি করেছেন সরকারি কর্মচারীরা। রাজ্যের ৪৩ হাজার দুর্গাপুজো কমিটিকে দুর্গা পুজো উপলক্ষে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। মামলাকারীদের দাবি, যেখানে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বাকি রয়েছে, সেখানে পুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়া ঠিক নয়। এই প্রেক্ষিতে ডিএ মামলায় আদালতের রায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এদিন রাজ্যের পুনর্বিবেচনা আর্জির শুনানির পর রাজ্যের বিরুদ্ধে দায়ের করা আদালত অবমাননার শুনানি হবে। 

    প্রায় কয়েক মাস ধরেই রাজ্যে সরকারি কর্মচারীরা তাঁদের অধিকারের টাকা পাওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। গত ২০ মে তে হাইকোর্ট থেকে নির্দেশ দেওয়া হলেও কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই রাজ্য সরকারের। ফলে এত মাস অপেক্ষার পর আগামীকালের শুনানির দিকে তাকিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bengal Pending DA Case: কর্মচারীদের কোনও ডিএ পাওনা নেই, হাইকোর্টে জানাল রাজ্য সরকার

    Bengal Pending DA Case: কর্মচারীদের কোনও ডিএ পাওনা নেই, হাইকোর্টে জানাল রাজ্য সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহার্ঘ ভাতা (DA Case) বাকি রাজ্য সরকারের কর্মীদের। এই দাবি আজকের নয়। যদিও রাজ্য সরকার একই সঙ্গে দাবি করে আসছে কোনও ডিএ পাওয়া নেই কর্মচারীদের। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে (State Government) সেই দাবিই আরও একবার করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালিত তৃণমূল সরকার। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর বেঞ্চে বকেয়া ডিএ মামলার শুনানিতে, রাজ্য সরকারের হয়ে সে কথাই বললেন অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। 

    আরও পড়ুন: বকেয়া নেই সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা! পুজো অনুদান মামলায় দাবি রাজ্যের

    ডিএ নিয়ে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই মামলার শুনানির ছিল আজ। শুনানিতে রাজ্যের এজি বলেন, “সরকারি কর্মীদের কোনও ডিএ বকেয়া নেই। পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনেই ধাপে ধাপে বকেয়া সব ডিএ মিটিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।”   

    মামলাকারীদের দাবি, কেন্দ্রের হারে ডিএ দেয়নি রাজ্য সরকার। আর তাতেই বকেয়া রয়েছে ডিএ। তবে এদিন এজি বলেন, “রাজ্য সরকার ২০০৯ সালের পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনেই ডিএ দিয়েছে। পরে ২০১৮-১৯ সালে ডিএ নিয়ে ষষ্ঠ, সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ করা হয়েছিল তা রাজ্য সরকার মানেনি। তাহলে কেন সেই হারে ডিএ দেওয়া হবে?”

    আরও পড়ুন: বিদ্যুৎকর্মীদের বকেয়া ডিএ-র টাকা তুলতে বিদ্যুতের দাম বাড়াল রাজ্য? 

    মামলাকারীরা আরও দাবি করেন, দিল্লির বঙ্গ ভবন ও চেন্নাইতে রাজ্য সরকারের কর্মীরা কেন্দ্রীয় হারে বেতন পান। তাহলে এ রাজ্যের কর্মীরা কেন সেই হারে বেতন পাবেন না? এর উত্তরে এজি বলেন, “দিল্লি এবং চেন্নাইতে রাজ্য সরকারের কর্মচারীরা অল ইন্ডিয়া প্রাইস ইনডেক্স ১৯৮১ অনুযায়ী ডিএ পেয়ে থাকেন। তাই তাঁরা কেন্দ্রীয় হারে পান। রাজ্যের কর্মীদের পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ডিএ দেওয়া হয়েছে।” 

    এর আগেও পুজোর অনুদান দেওয়া নিয়ে মামলার শুনানিতেও রাজ্যের তরফের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকারের কর্মীদের কোনও ডিএ পাওনা নেই। এদিনের শুনানিতে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন বলেন, “ডিএ-র নাম শুনলেই সরকারি কর্মচারীরা তৎপর হয়ে ওঠেন। ফাইল না চাইতেই হাতে পেয়ে যাচ্ছি। তাই মামলার শুনানি দ্রুত শেষ করতে চাই। যাতে অন্য মামলার ক্ষেত্রেও কর্মীদের মধ্যে এই উন্মাদনা বজায় থাকে।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামীকাল, শুক্রবার।  

    গত ২০ মে ডিএ মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে, তিন মাসের মধ্যে স্যাট (স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল)-এর রায় কার্যকর করতে হবে। অর্থাৎ বকেয়া মহার্ঘভাতা মিটিয়ে দিতে হবে তিন মাসের মধ্যে। বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত ও বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন তাঁদের রায় জানিয়েছিলেন, মহার্ঘ ভাতা পাওয়া রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মৌলিক অধিকার। তাঁরা সরকারের মেরুদণ্ড। তাই আইনি অধিকার হিসাবেই তাঁদের প্রাপ্য ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Primary TET Scam: মানিকের অপসারণ বহাল, এখনই চাকরি পাবেন না ২৬৯ জন, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Primary TET Scam: মানিকের অপসারণ বহাল, এখনই চাকরি পাবেন না ২৬৯ জন, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্ষেপে টেট কেলেঙ্কারির (TET Scam) তদন্ত করবে সিবিআই (CBI)। আগেই এই রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) সিঙ্গল বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায় বহাল রাখল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও। শুধু তাই নয়, যে ২৬৯ জনের চাকরি খোয়া গিয়েছিল, তাঁদেরও এখনই পুনর্বহাল করা যাবে না বলেও রায় দিয়েছে ওই বেঞ্চ। শুক্রবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench) এই মামলায় বহাল রাখল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের (Single Bench) রায়ই। পর্ষদ সভাপতির পদ থেকে মানিক ভট্টাচার্যকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশও সমর্থন করেছে ডিভিশন বেঞ্চ।
    প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেতে গেলে বসতে হয় টেট পরীক্ষায়। ২০১৪ সালে জারি হয়েছিল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি। পরের বছর ১১ অক্টোবর ওই পরীক্ষা হয়। ফল প্রকাশ হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। প্রকাশিত হয় মেধাতালিকা। পরের বছর ডিসেম্বরে ফের বের হয় মেধাতালিকা। পরীক্ষায় বসেছিলেন ২৩ লক্ষ কর্মপ্রার্থী। নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন ৪২ হাজার। এই দ্বিতীয় তালিকা বেআইনি বলে আদালতে জানিয়েছিলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং সুদীপ্ত দাশগুপ্ত। পরে ২৬৯ জনের চাকরি বাতিল করে হাইকোর্ট। 
    ওই নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছিল বলে সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছিল। যে ২৭৩ জনকে অতিরিক্ত এক নম্বর দেওয়া হয়েছিল, তার কারণ কী জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি। সেই সংক্রান্ত নথিও চেয়ে পাঠানো হয়। যদিও কর্তৃপক্ষ তা দিতে ব্যর্থ হয়। ওই ২৭৩ জনকে কেন অতিরিক্ত এক নম্বর দেওয়া হয়েছিল, তার কারণও দর্শাতে পারেনি বোর্ড। আদালতে হাজির করতে পারেনি ওএমআর শিটও। তার পরেই মানিককে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। এদিন ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সিঙ্গল বেঞ্চের রায় যথাযথ। বেআইনি নিয়োগের তদন্তের ভার যে সিবিআইকে দেওয়া হয়েছিল, এদিন তাও বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতে মানিক জানিয়েছিলেন অযথা তাঁর নাম নেওয়া হচ্ছে, কলঙ্ক লেপন করা হচ্ছে যা সংবিধানের ২১ নম্বর ধারার পরিপন্থী।

    আরও পড়ুন : টেট মামলায় আদালতে হাজিরা কেষ্ট কন্যার, উঠল ‘গরু চোর’ স্লোগান

    ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, পুরো পরিস্থিতি বিচার করেই রায় দিয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চ। বিচার করলেই হবে না, রায়টাকে কার্যকরও করতে হবে। এদিনও ২৭৩ জন চাকরি প্রার্থীকে কেন অতিরিক্ত এক নম্বর দেওয়া হয়েছে, তারও ব্যাখ্যা দিতে পারেনি বোর্ড। আদালত জানায়, এ রকম একজন ব্যক্তি (মানিক ভট্টাচার্য) অতিরিক্ত কোনও সুবিধা দাবি করতে পারেন না। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই ২৭৩ জনকে চাকরিতে পুনর্বহালও করা যাবে না। আদালতের নির্দেশ, কেলেঙ্কারির তদন্ত করবে সিবিআই। এই সংস্থাই তদন্ত করবে আর্থিক কেলেঙ্কারিরও। আদালতের নজরদারিতেই হবে তদন্ত। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে হস্তক্ষেপ করা হবে না। যে ২৭৩ জনকে অতিরিক্ত এক নম্বর দেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে ২৬৯ জনের কোনও দাবিই মান্যতা পাবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • High Court on TET Exam: ভুল প্রশ্নের জের! ২৩ টেট পরীক্ষার্থীকে দ্রুত চাকরি দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

    High Court on TET Exam: ভুল প্রশ্নের জের! ২৩ টেট পরীক্ষার্থীকে দ্রুত চাকরি দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক দিবসে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ফের রায় কলকাতা হাইকোর্টের। ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় (2014 TET Case) প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল। ছয়টি ভুল প্রশ্নের কারণে টেট-এ পাস মার্ক না পাওয়ার অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ২৩ টেট পরীক্ষার্থী। ওই ২৩ পরীক্ষার্থীকে আগামী  ২৩ দিনের মধ্যে শিক্ষক পদে নিয়োগের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijeet Ganguly)।

    আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রসন্নর চার দিনের সিবিআই হেফাজত
     
    প্রসঙ্গত, আগেই এই মামলায় বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশে ভুল প্রশ্ন থাকায় বাড়তি ৬ নম্বর দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু বাড়তি নম্বর পেয়েও অনেকেই চাকরি পাননি বলে অভিযোগ। টেট-এর প্রশ্নপত্রের ভুল নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলায় বিশ্বভারতীর বিশেষ কমিটি জানায়, ছটি প্রশ্নই ভুল। কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরই ২০১৮ সালের শেষের দিকে এই কেসে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় অতিরিক্ত ছয় নম্বর করে দেওয়া হবে বলে জানান। কিন্তু মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, অতিরিক্ত ৬ নম্বর পাওয়ার পরেও চাকরি মেলেনি। 

    আরও পড়ুন: চারদিনের সফরে ভারতে শেখ হাসিনা, মোদির সঙ্গে বৈঠকে নজরে জলবণ্টন

    মামলাকারীদের কথায়, যোগ্যতামান ভিন্ন থাকায় ২০২০ সালে চাকরি পাননি তাঁরা। আগেরদিনের শুনানিতে পর্ষদের কাছে এই বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন শুনানি শেষে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, আদলতের নির্দেশের পর ৬ নম্বর দেওয়া হয়েছিল, সেই নম্বর দেওয়াতে যাঁরা পাশ করেছেন এমন ২৩ জনকে চাকরি দিতে হবে। ভবিষ্যতে শূন্যপদ তৈরি হলেই তাঁদের চাকরি দেওয়ার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দেন বিচারপতি। তিনি আরও বলেন, এই ২৩ জন ছয় বছর ধরে বঞ্চিত। আর সময় দেওয়া যাবে না। ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এই প্রক্রিয়া শেষ করার কথাও বলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টে অতিরিক্ত ৯ জন বিচারপতি নিয়োগ কেন্দ্রের

    Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টে অতিরিক্ত ৯ জন বিচারপতি নিয়োগ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতির অভাবে ঝুলে রয়েছে মামলা। দীর্ঘায়িত হচ্ছে বিচার প্রক্রিয়া। এবার সেই সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হল কেন্দ্র (Centre)। কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ৯জন অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)।

    দেশের প্রাচীনতন হাইকোর্ট কলকাতা হাইকোর্ট। ১৮৬১ সালের হাইকোর্ট আইন বলে ১৮৬২ সালের ১ জুলাই স্থাপিত হয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সময় এই আদালতের নাম ছিল হাইকোর্ট অফ জুডিকেচার অ্যাট ফোর্ট উইলিয়াম। বর্তমানে সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ কলকাতা হাইকোর্টের অন্তর্ভুক্ত। আন্দামান ও নিকোবরের রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ারে কলকাতা হাইকোর্টের একটি সার্কিট বেঞ্চ রয়েছে। ১৮৭২ সালে স্যার বার্নেস পিকক কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হন। হাইকোর্টের প্রথম ভারতীয় বিচারক ছিলেন শম্ভুনাথ পণ্ডিত। হাইকোর্টের প্রথম প্রধান বিচারপতি ছিলেন রমেশ চন্দ্র মিত্র। প্রথম পূ্র্ণ মেয়াদের ভারতীয় প্রধান বিচারপতি ছিলেন ফণীভূষণ চক্রবর্তী।

    বরাবরই কলকাতা হাইকোর্টের ওপর মামলার চাপ পাহাড় প্রমাণ। বিচারপতি থাকার কথা ৭২ জন। অথচ রয়েছেন মাত্র ৪৬ জন। শূন্য পদের সংখ্যা ২৬। অতিরিক্ত এই ৯ জনের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ায় শূন্যপদের সংখ্যা কমে দাঁড়াল ১৭। স্বাভাবিক ভাবেই বিলম্বিত হচ্ছে বিচার প্রক্রিয়া। সেই সমস্যা মেটাতে অতিরিক্ত ৯ জন বিচারপতি নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করল মোদি সরকার। যাঁদের নিয়োগ করা হল, তাঁরা হলেন, বিশ্বরূপ চৌধুরী, পার্থ সারথি সেন, প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, উদয় কুমার, অজয় কুমার গুপ্ত, সুপ্রতিম ভট্টাচার্য, পার্থ সারথি চ্যাটার্জি, অপূর্ব সিনহা রায় এবং মহম্মদ শাব্বার রাশিদি। সিনিয়রিটির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়েছে এঁদের। 

    আরও পড়ুন : পুরুলিয়া সূচকাণ্ডে মা, প্রেমিকের ফাঁসির সাজা রদ করে যাবজ্জীবন দিল হাইকোর্ট

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Calcutta High Court: বকেয়া ডিএ না মিটিয়ে পুজোয় অনুদান! দুর্নীতিকে আড়াল নাকি নজরে পঞ্চায়েত?

    Calcutta High Court: বকেয়া ডিএ না মিটিয়ে পুজোয় অনুদান! দুর্নীতিকে আড়াল নাকি নজরে পঞ্চায়েত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া রয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘভাতা বা ডিএ (Dearness Allowance)। ২০ মে সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ তিন মাসের মধ্যে রাজ্যকে মেটানোর নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই সময়সীমার আড়াই মাসের মাথায় নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার (West Bengal Govt.)।

    ডিএ (DA) নিয়ে টালবাহানার এই আবহে দুর্গোৎসবের (Durga Puja 2022) দেড়মাস আগে রাজ্যের ৪৩ হাজার পুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এহেন সরকারি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে তিনটি মামলা। শুক্রবার ওই মামলার শুনানি হতে পারে বলে একটি সূত্রের খবর। 

    গত বছর পুজো কমিটিগুলিকে দেওয়া হয়েছিল ৫০ হাজার করে টাকা। এবার অনুদানের পরিমাণ বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬০ হাজার। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ বিলেও ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কেবল অনুদান বাবদ যে টাকা দেওয়া হবে পুজো কমিটিগুলিকে, তার পরিমাণ ২৪০ কোটি ৫৫ লাখ ২০ হাজার টাকা।

    সরকারের এহেন ‘অনুদান’-এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। মামলাকারীদের প্রশ্ন, আদালতের নির্দেশ মেনে সরকারি কর্মীদের ডিএ না দিয়ে পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন? কেন বিদ্যুৎ বিলে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত? যেখানে বহু মানুষ এখনও খাবার, বিশুদ্ধ জল, বিদ্যুৎ, ওষুধ পাচ্ছেন না, সেখানে কেন এই খয়রাতি? কোন বৃহত্তর স্বার্থে লাগবে এই অনুদান?

    আরও পড়ুন : কল্যাণী এইমস মামলায় বিপাকে সিআইডি, তদন্ত চালাতে লাগবে কেন্দ্রের অনুমতি, জানাল হাইকোর্ট

    প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ-র ফারাক ৩১ শতাংশ। পুজো কমিটিগুলিকে সরকারি অনুদানের সিদ্ধান্তে সোচ্চার হয়েছেন বিরোধীরা। বিরোধীরা বলছেন, এই গরু চুরির টাকায় পুজোর অনুদান দেওয়া হচ্ছে। এই চুরির টাকায় কতজন মানুষ পুজো করবে বা দেখতে আসবেন, তা ঈশ্বরই জানেন।

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, আগামী বছর রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (West Bengal Panchayat Elections)। সেই কারণে দরাজ হস্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata)। অন্য একটি কারণও রয়েছে। সেটি হল, এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি, গরু এবং কয়লা পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছে দলের হেভিওয়েট দুই নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তার জেরে মুখ পুড়েছে তৃণমূল সরকারের (TMC Government)। সেদিক থেকে রাজ্যবাসীর অভিমুখ ঘোরাতেই অনুদানের সিদ্ধান্ত বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • PIL: বাম-বিজেপি নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে নয়া মোড়! কী হল আদালতে?

    PIL: বাম-বিজেপি নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে নয়া মোড়! কী হল আদালতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস-সহ রাজ্যের সমস্ত বিরোধী দলের প্রথম সারির ১৭ জন নেতার নামে সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলায় সবরকম সহোযোগিতার আশ্বাস দিলেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমের আইনজীবী। মঙ্গলবার মামলার শুনানির সময় সিপিএমের দুই নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য এবং মহম্মদ সেলিমের আইনজীবীরা জানান, তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন তাঁদের মক্কেলরা। কিন্তু তদন্ত করাতে হবে যে কোনও নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন সংস্থাকে দিয়ে। আইনজীবীরা এদিন স্পষ্টই জানান, মামলায় সবরকম সহযোগিতা করবেন তাঁরা। তবে মামলার নথি আদান প্রদানের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়ায় শুনানিপর্ব পিছিয়ে দেওয়া হয়। আগামী মঙ্গলবার ৩০ অগাস্ট ফের এই মামলার শুনানি হবে।

    এর আগে শাসকদলের ১৯ জন নেতামন্ত্রীর নামে সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি মামলা হয়েছিল। যে মামলায় ইডিকে পার্টি করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। তারই পাল্টা বিরোধীদের ১৭ নেতার বিরুদ্ধে অস্বাভাবিক সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। গত সপ্তাহেই কলকাতা হাইকোর্টে জনৈক সুজিত গুপ্ত এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। আদালতে মামলাকারী জানান, ১৭ জন বিজেপি বিধায়ক-সাংসদ এবং অন্যান্য দলের নেতার আয় ও সম্পত্তি বৃদ্ধি নজরে রাখা উচিত। কারও কারও সম্পত্তি দ্বিগুণ বেড়েছে বলেও উল্লেখ করেন মামলাকারী।

    আরও পড়ুন: ভিনরাজ্য থেকে আসা ইমাম ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক! অসমে কেন এই নয়া নিয়ম

    এই মামলায় নাম রয়েছে তৃণমূলের কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী ও তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীও। এছাড়া রয়েছে, বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের নামও। নাম রয়েছে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজকুমার ওরাওঁ, কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী, আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল, বিজেপি নেতা শীলভদ্র দত্ত, বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য, বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা, বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি, বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ সিনহার (রাহুল সিনহা)। নাম রয়েছে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা আব্দুল মান্নান, সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম ও সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের।

  • Supreme Court: অসাংবিধানিক! ১৯৮৮ সালের বেনামি লেনদেন আইনের একটি ধারা বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: অসাংবিধানিক! ১৯৮৮ সালের বেনামি লেনদেন আইনের একটি ধারা বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ সালের আগে বেনামি সম্পত্তির লেনদেন (Benami Transaction) করলে, আর কোনও শাস্তি পাবেন না অপরাধী। এমনকি কোনও জরিমানাও করা যাবে না তাঁকে। মঙ্গলবার এমনই নিদান দিল দেশের শীর্ষ আদালত। বেনামি লেনদেনের সাজা দেওয়ার জন্য ভারতীয় আইনের যে ধারা লাগু করা হত, তাকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে ঘোষণা করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ভারতীয় সংবিধানে বেনামি লেনদেন সংক্রান্ত আইন তৈরি হয়েছিল ১৯৮৮ সালে। ১৯৮৮ সালের বেনামি লেনদেন (প্রতিরোধ) আইনের ৩(২) ধারায় এই ধরনের অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া হত। এদিন সম্পূর্ণ ধারাটিকেই ‘অসাংবিধানিক’ বলে মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। 

    আরও পড়ুন: শিন্ডে বনাম উদ্ধবের লড়াই পৌঁছল সাংবিধানিক বেঞ্চে

    ১৯৮৮ সালের আইনের (Benami Law) ৩(২) ধারা অনুযায়ী, বেনামি লেনদেনকারীকে সর্বোচ্চ ৩ বছর পর্যন্ত জেল বা জরিমানা অথবা জেল ও জরিমানা উভয় শাস্তি দেওয়ার বিধান ছিল। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এমভি রামানার নেতৃত্বাধীন ৩ বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, আইনটি ভারতীয় সংবিধানের ২০(১) অনুচ্ছেদের বিরোধী এবং অযৌক্তিক। ২০১৬ সংশোধন করা হয় এই আইন। কিন্তু ২০১৬ সালের আগের কোনও মামলায় সংশোধনী আইনকে ব্যবহার করা যাবে না বলে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের আবেদন মেনে ফিফার নিয়মকে মান্যতা শীর্ষ আদালতের! সিওএ বাতিলের নির্দেশ

    কলকাতা হাইকোর্টের একটি রায়ের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের দায়ের করা আবেদনের ভিত্তিতে এই মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টের ৩ বিচারপতির বেঞ্চ। একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৬ সালের বেনামি লেনদেন প্রতিরোধ সংশোধনী আইনটিকে প্রয়োগ না করার নির্দেশ দেয়। কারণ মামলাটি ২০১১ সালে কেনা সম্পত্তির ওপর ভিত্তি করে ছিল। হাইকোর্টের বক্তব্য ছিল, ২০১১ সালের কেনা সম্পত্তির মামলার ক্ষেত্রে ২০১৬ সালের সংশোধনী আইন প্রয়োগ করা যাবে না।  হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্র। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রমনা, বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারি এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চে। শীর্ষ আদালতের তিন বিচারপতির বেঞ্চ কলকাতা হাই কোর্টের পক্ষেই রায় দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Birbhum: বীরভূমে পাথরবোঝাই লরি থেকে তোলাবাজি বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Birbhum: বীরভূমে পাথরবোঝাই লরি থেকে তোলাবাজি বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমে (Birbhum) পাথর বোঝাই লরি থেকে তোলাবাজির অভিযোগ ওঠে মাঝেমাঝেই। ভুয়ো সরকারি বিল ছাপিয়ে টাকা তোলার অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court)। এই ইস্যুতে এবার রাজ্যকে চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। অবৈধ ভাবে টাকা তোলা বন্ধ করতে রাজ্যকে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। পরবর্তী শুনানিতে ইডি সহ সবপক্ষের আইনজীবীকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ১ নভেম্বর। 

    বীরভূমে পাথরবোঝাই লরি থেকে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে সম্প্রতি কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন বীরভূমের এক বাসিন্দা। মামলাকারীর দাবি, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতি কিউবিক মিটারে ১৩০ টাকা করে রাজস্ব আদায় করবে সরকার। এই টাকা গ্রিপ চালানের মাধ্যমে খাদানের লিজ হোল্ডারের কাছ থেকে আদায় করার নিয়ম রয়েছে। অভিযোগ, এই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নলহাটি-মুরারই-সহ বীরভূমের একাধিক খাদান এলাকায় বেআইনিভাবে সরকারি বিল ছাপিয়ে টাকা তোলা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: রাজীব ভট্টাচার্য কি কেষ্টর ‘বেনামি’, কার চিকিৎসার জন্য ৬৬ লাখ দিয়েছিলেন? তদন্তে ইডি-সিবিআই

    এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। মামলার শুনানিতে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে, বেআইনিভাবে সরকারের নাম ভাঙিয়ে কোনওরকম তোলাবাজি করা চলবে না। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল উচ্চ আদালত।

    প্রসঙ্গত, বাংলার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই মামলা তাৎপর্যপূর্ণ। দুর্নীতির অভিযোগে এখন হাজতে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। দাপুটে তৃণমূল নেতা গ্রেফতারের পর থেকেই নড়ে চড়ে বসেছে প্রশাসন। কখনও অবৈধ বালি খাদান বন্ধ হচ্ছে, আবার কখনও পাথরের ক্র্যাশার, খাদান বন্ধ করার নিদান আসছে। এ সময়ই সামনে এল ভুয়ো বিল ছাপিয়ে পাথরবোঝাই লরি থেকে তোলা তোলার অভিযোগ।

     

  • Pending DA Case: ডিএ মামলায় রাজ্য সরকারের রিভিউ পিটিশন শেষ পর্যন্ত গ্রহণ করল আদালত

    Pending DA Case: ডিএ মামলায় রাজ্য সরকারের রিভিউ পিটিশন শেষ পর্যন্ত গ্রহণ করল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ (Pending DA) মিটিয়ে দিতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই নির্দেশ পুনবির্বেচনার আর্জি জানিয়ে মামলা করেছিল রাজ্য সরকার (State Govt.)। মঙ্গলবার সেই মামলা গ্রহণ করল হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডরের ডিভিশন বেঞ্চ। চলতি মাসের ২৯ তারিখে হবে শুনানি।

    গত মে মাসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়েছিল, আগামী তিন মাসের মধ্যে সরকারি কর্মীদের বকেয়া সমস্ত মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দিতে হবে। যদিও এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি রাজ্য সরকারকে। অনেকেই ভেবেছিলেন, রায় পুনর্বিবেচনা আর্জি জানাতে পারে রাজ্য সরকার। কর্মীদের একাংশের সেই ভাবনাই সত্যি হল। বৃহস্পতিবার অনলাইনে রিভিউ পিটিশন জমা দেওযার কাজ শেষ করেছে রাজ্য সরকার। যদিও এ ব্যাপারে নোটিশ দেওয়া হয়নি মামলাকারীদের। রিভিউ পিটিশনের আবেদন গ্রহণ হলেই সেই নোটিশ যাবে বলে আদালত সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন : আদালতে স্বস্তি শুভেন্দুর! বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে আনা জনস্বার্থ মামলা খারিজ করল হাইকোর্ট

    প্রসঙ্গত, পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সরকারি কর্মীরা বকেয়া ৩২ শতাংশ ডিএ মেটানোর দাবি জানিয়ে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে মামলা করে কর্মচারীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজ। এ নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াই চলে। শেষমেশ স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল কর্মীদের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। যদিও হাইকোর্টে ধাক্কা খায় রাজ্য। স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ বহাল রাখে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। চলতি মাসের ১১ তারিখে সেই রায় পুনর্বিবেচনের আর্জি জানানো হয়। এদিন তা গ্রহণ করে কলকাতা হাইকোর্ট।

    প্রসঙ্গত, বকেয়া মেটানোর জন্য তিন মাসের যে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, তা শেষ হচ্ছে ১৯ অগাস্ট। নবান্ন সূত্রে খবর, ৩৪ শতাংশ হারে ডিএ মেটাতে গেলে রাজ্যের খরচ হবে ২৩ হাজার কোটি টাকা। এই মুহূর্তে এই বিপুল পরিমাণ অর্থের জোগান নেই। তাই এ ব্যাপারে কী করা যায়, তা নিয়ে আইনি পরামর্শ নিচ্ছিল রাজ্য। কিস্তিতে কিংবা পিএফের সঙ্গে ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনাও করা হচ্ছিল। শেষমেশ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য।  

    আরও পড়ুন : হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট, রক্ষাকবচের জন্য ছুটছেন মন্ত্রী পার্থ, কিন্তু পাবেন কি?

LinkedIn
Share