Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Tapan Dutta: তৃণমূল নেতা তপন দত্ত খুনে সিবিআই হাইকোর্টের, ফাঁসতে পারেন কারা?

    Tapan Dutta: তৃণমূল নেতা তপন দত্ত খুনে সিবিআই হাইকোর্টের, ফাঁসতে পারেন কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ বালির তৃণমূল (tmc) নেতা তপন দত্ত (tapan dutta) খুনে সিবিআই (cbi) তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta highcourt)। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নির্দেশ, এরপর থেকে তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাবে সিবিআই। তাঁর আরও নির্দেশ, যেখানে তদন্ত করা প্রয়োজন, সেখানে ফের তদন্ত করবে সিবিআই। আদালতের নির্দেশ যারপরনাই খুশি নিহত তপনের স্ত্রী প্রতিমা দত্ত। তিনি বলেন, ১২ বছর পর সিবিআই পেলাম। আমার মনে হল এই প্রশাসনের মুখে থাপ্পড় মারতে পারলাম। 

    আরও পড়ুন : এবার কয়লা পাচারকাণ্ডে তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লাকে তলব সিবিআইয়ের

    জলাভূমি ভরাটের প্রতিবাদ করায় ২০১১ সালের ৬ মে খুন হন বালির তৃণমূল নেতা তপন দত্ত। ঘটনায় নাম জড়ায় তৃণমূলের স্থানীয় নেতাকর্মী সহ ১৩ জনের। ওই বছরই ৩৪ বছরের বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে রাজ্যের তখতে এসেছে তৃণমূলের সরকার। স্বাভাবিকভাবেই দলীয় নেতা খুনে শোরগোল গোটা রাজ্যে। প্রথমে বালি থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও, পরে তদন্তভার গিয়ে বর্তায় সিআইডির ওপর। তার পর কেটে গিয়েছে প্রায় এক যুগ। তার পরেও কিনারা হয়নি তপন খুনের। এদিন প্রতিমা বলেন, সিবিআইয়ের প্রতি আস্থা রয়েছে। ঘরে বন্দি থাকি। অপরাধীরা বাইরে ঘুরে বেড়ায়।

    আরও পড়ুন : একুশের ভোটে বনগাঁ দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী আদতে বাংলাদেশি নাগরিক? বলছে হাইকোর্টের রায়

    তপন খুনের সাত দিনের মাথায় রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ২০১১ সালের ৩০ অগাস্ট মামলার চার্জশিট পেশ করে সিআইডি। চার্জশিটেও নাম ছিল হাওড়ার একাধিক তৃণমূল নেতার। ওই বছরেরই ২৬ সেপ্টেম্বর সিআইডি আদালতে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করে। সেখানে কোনও কারণ না দেখিয়েই বাদ দেওয়া হয় ন’জনের নাম। এঁরা প্রত্যেকেই হাওড়ার তৃণমূল নেতা। ২০১৪-র ডিসেম্বরে তথ্যপ্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস পেয়ে যান চার্জশিটে নাম থাকা বাকি পাঁচ অভিযুক্তও। প্রতিমার দাবি, খুনের ঘটনায় হাওড়ার তৃণমূল নেতা (তথা রাজ্যের মন্ত্রী) অরূপ রায়, কল্যাণ বসু, ষষ্ঠী গায়েন-সহ তৃণমূলের একাধিক নেতা ও বিধায়ক জড়িত রয়েছেন। প্রথম চার্জশিটে অরূপের নাম ছিল বলেও জানান তিনি। এদিন হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পরে প্রতিমা বলেন, আশা করছি, এবার ন্যায়বিচার হবে। অপরাধীরা শাস্তি পাবে।

    প্রথম থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছিলেন প্রতিমা। ওই দাবিতে মামলা নিম্ন আদালত, কলকাতা হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট ঘুরে ফের কলকাতা হাইকোর্টে আসে। এদিন বিচারপতি বলেন, হাওড়া আদালত নয়, এরপর থেকে এই মামলার শুনানি হবে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে। সিআইডির কাছে মামলা সংক্রান্ত যেসব নথি, তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, তা সিবিআইকে দিতে হবে। তদন্তে কোনও খামতি থাকলে তাও ফের করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

     

  • SSC Recruitment Scam: এসএসসি দুর্নীতিতে কোটি কোটি টাকার লেনদেন! গেছে কার পকেটে? তদন্তে ইডি

    SSC Recruitment Scam: এসএসসি দুর্নীতিতে কোটি কোটি টাকার লেনদেন! গেছে কার পকেটে? তদন্তে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  একা রামে রক্ষে নেই, সুগ্রীব দোসর!

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Teachers recruitment scam) মামলা তদন্ত করে দেখছে সিবিআই (CBI)। এই প্রেক্ষিতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) থেকে শুরু করে বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে (Paresh Adhikary) দফায় দফায় দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তারা। তাঁর মেয়ে অঙ্কিতাকে শিক্ষকতার চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার এসএসসি কাণ্ডে (SSC scam) তদন্তে ময়দানে নামতে চলেছে আরেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) বা ইডি। ফলে, তৃণমূলের কপালে চিন্তার ভাঁজ আরও যে বাড়তে চলেছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

    কিন্তু, ইডি কেন তদন্ত করছে? জানা গিয়েছে, রাজ্যের শিক্ষক দুর্নীতিকাণ্ডে একের পর এক যে চাঞ্চল্যকর তথ্য ও নথি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে একটা বিষয় নিশ্চিত। তা হল, এই ঘটনায় কোটি কোটি টাকার বেআইনি লেনদেন হয়েছে। অন্তত এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা। সেই টাকা কার কার কাছে পৌঁছেছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে ইডির সদর দফতর থেকে কলকাতায় সিবিআই (CBI) দফতরে ইমেল করা হয়। তাতে সিবিআইয়ের কাছে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় (SSC Recruitment Scam) দায়ের করা ৪টি এফআইআরের কপি ও অন্যান্য নথি চাওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তদন্তে যা যা উঠে এসেছে তা সিবিআইয়ের কাছে রিপোর্ট আকারে চেয়েছে ইডি। একইসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় যাবতীয় নথি চাওয়া হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, দু-একদিনের মধ্যেই সব নথি দেওয়া হবে ইডিকে। ইতিমধ্যেই, দুই মন্ত্রী এবং এসএসসি-র নিয়োগ কমিটির আধিকারিকদের সম্পত্তির তথ্য খতিয়ে দেখা শুরু করেছে সিবিআই। এবার অর্থের তছরূপ নিয়ে তদন্ত শুরু করবে ইডি (ED)। 

  • Birbhum: সিআইডি নয়, বীরভূমে জোড়া বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্ত করবে এনআইএ, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Birbhum: সিআইডি নয়, বীরভূমে জোড়া বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্ত করবে এনআইএ, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বীরভূমে জোড়া বিস্ফোরণে এনআইএ (NIA) তদন্তের নির্দেশ আদালতের। বিস্ফোরণ সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্র কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে দিতে সিআইডিকে (West Bengal CID) নির্দেশও দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চ। ঘটনায় ফের একবার মুখ পুড়ল রাজ্য সরকারের (Mamata Government)।

    সিবিআই থেকে ইডি বা এনআইএ – রাজ্যে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনার তদন্তের দায়ভার পড়ছে কেন্দ্রীয় এই সব এজেন্সির হাতে। বছর তিনেক আগে এক মাসের ব্যবধানে বীরভূমে ঘটে যাওয়া জোড়া বিস্ফোরণের তদন্তভার এবার হাইকোর্টের নির্দেশে বর্তাল এনআইএ-র ওপর।

    বিস্ফোরণের প্রথম ঘটনাটি ঘটে ২০১৯ সালের ২৯ অগাস্ট, বীরভূমের সদাইপুরের রেঙ্গুনি গ্রামে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে উড়ে যায় জনৈক হাইতুন্নেশা খাতুনের গোয়ালঘরের চাল। এই ঘটনার জেরে বাতাসে লেগে থাকা বারুদের গন্ধ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই বিস্ফোরণের দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে। এবার ঘটনাস্থল বীরভূমের লোকপুরের গাংপুর। ২০ সেপ্টেম্বর স্থানীয় বাসিন্দা বাবলু মণ্ডলের বাড়ির টিনের চাল উড়ে যায়। পুলিশের হাত ঘুরে দুই বিস্ফোরণের তদন্তভার যায় সিআইডির(CID) হাতে। আদালতের নির্দেশে পরে যে দায়িত্ব বর্তায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র হাতে।

    তদন্তভার পাওয়ার পরেও তদন্তের কাজ বিশেষ না এগনোয় রাজ্যকেই দুষতে থাকে এনআইএ। দ্বারস্থ হয় বিশেষ আদালতের। এরপর নথি দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয় বিশেষ আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সেই মামলায়ই এই নির্দেশ দেয় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের ডিভিশন বেঞ্চ। নির্দেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের মন্তব্য, আইন অনুযায়ী এই ধরনের ঘটনা ঘটলে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা, এনআইএ-কে একটা প্রাথমিক রিপোর্ট পাঠায়। সেই রিপোর্ট বিবেচনা করে তদন্ত করা বা না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু এই দুই ঘটনার ক্ষেত্রে সেই রিপোর্ট পাঠানো হয়নি। যেহেতু রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার চেয়ে এনআইএ-র বিস্তৃতি আরও বেশি, সেজন্য ন্যায়-বিচারের স্বার্থে দুই মামলার তদন্তভার দেওয়া হল এনআইএ-কে।

     

  • Kaliachak: কালিয়াচকে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করাচ্ছে পুলিশ! সিবিআই, এনআইএ-কে যৌথ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Kaliachak: কালিয়াচকে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করাচ্ছে পুলিশ! সিবিআই, এনআইএ-কে যৌথ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  মালদার (Malda) কালিয়াচকের (Kaliachak) ধর্মান্তরনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta high court)। এই মামলায় সিবিআই (CBI) এবং এনআইএ-কে (NIA) যৌথভাবে তদন্ত করবে এবং আদালতকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেবে।

    সম্প্রতি, কালিয়াচকে কয়েকটি গরিব হিন্দু পরিবারকে ধর্ম পরিবর্তনের (forceful conversion) জন্য ক্রমাগত চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। বলপূর্বক ধর্মান্তরণের প্রতিবাদে ধর্নায় বসেন ওই হিন্দু পরিবারগুলির মহিলা ও শিশুরা। পরিবারগুলির অভিযোগ, তাদের পরিবারের পুরুষ সদস্যদের গ্রেফতার করে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। ওই এলাকায় আগেও দুই হিন্দু পরিবারকে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁদের অভিযোগ, কালিয়াচক থানার আইসি-ই তাঁদের ধর্ম পরিবর্তন করতে চাপ দিচ্ছেন।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট করে ধর্মান্তরণের বিরুদ্ধে সরব হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানান, কালিয়াচক থানার পুলিশ জোর করে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে। অভিযোগের নিশানায় ছিলেন কালিয়াচক থানার আইসি। অভিযোগ, ধর্ম পরিবর্তন না করলে পুরুষদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। আরও অভিযোগ, এর আগেও ২ জনকে চাপ দিয়ে ধর্মান্তকরণ করা হয়েছে।

    একজন সরকারি আধিকারিকের এহেন আচরণে যারপরনাই বিস্মিত বিজেপি নেতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুকান্ত লেখেন, গণতান্ত্রিক দেশ ভারতবর্ষ সংবিধান অনুসারে চলে। সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদ ভারতের প্রত্যেকটি নাগরিককে তাঁর ধর্ম পালনের স্বাধীনতা দিয়েছে। সেই স্বাধীনতা রক্ষা করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের অর্থাৎ ক্ষমতায় বসে থাকা সরকারের। সেখানে একজন সরকারি পুলিশ অফিসার যিনি থানার ইন্সপেক্টর তিনি কীভাবে ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য কোনও মানুষকে চাপ দিতে পারেন? এটা পুরোপুরি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

    পশ্চিম বাংলায় ধর্মীয় স্বাধীনতাও বিপন্ন হওয়ায় ক্ষুব্ধ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি লেখেন,  পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে চাকরি নেই, শিল্প নেই, সুশাসন নেই, বাক্ স্বাধীনতাও নেই। এছাড়াও নানা সমস্যা রয়েছে। এর পরেই তাঁর প্রশ্ন, তাই বলে সাধারণ মানুষের ধর্ম পালনের স্বাধীনতাটুকুও থাকবে না? তাঁর আশঙ্কা, তৃতীয়বার ক্ষমতালাভের পর কিছু নিষিদ্ধ গোষ্ঠী ক্ষমতার অলিন্দে থেকে মুখোশের আড়ালে তাদের স্বার্থ কায়েম করতে চাইছে না তো?

    হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষাও দাবি করেন সুকান্ত। তিনি লেখেন, সরকারকে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে হবে। এই পরিবারগুলোর অভিযোগ প্রশাসনকে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। তার পরেও সরকার কোনও পদক্ষেপ না করলে ভবিষ্যতে পথে নেমে এর প্রতিবাদ করবে বিজেপি।

    থানার আইসি-র নেতৃত্বে জোর করে ধর্মান্তরণের ঘটনায় আলোড়ন পড়ে যায়। জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই বিচারপতি নির্দেশ দেন, সিবিআই ও এনআইএ যৌথ তদন্ত করবে অভিযোগের ভিত্তিতে। আগামী ২১ জুনের মধ্যে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকেই তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। 

     

  • SSC: ক্যান্সার আক্রান্তকে চাকরির প্রস্তাব কলকাতা হাইকোর্টের

    SSC: ক্যান্সার আক্রান্তকে চাকরির প্রস্তাব কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যান্সার আক্রান্ত একজন এসএসসি চাকরিপ্রার্থীকে কাজে নিয়োগ করা যায় কি না তা দেখার জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান এবং রাজ্য শিক্ষা দফতরকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।  বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এ নিয়ে নিজে মামলা রুজু করেন।

    বিচারপতি ক্যান্সার আক্রান্ত ওই চাকরিপ্রার্থীকে জানান তাঁর নাম ওয়েটিং লিস্টে আছেন। ওয়েটিং লিস্টে নাম থাকা ব্যক্তি আদৌ চাকরি পাবে কি না, কেউ জানে না। আপনি এখনও অপেক্ষা করছেন কেন? অন্য কোনও পরীক্ষা দিয়ে চাকরির চেষ্টা করছেন না কেন?

    তিনি জানান, তাঁর চিকিসার জন্য ১২ লাখ টাকা প্রয়োজন। তাঁর থেকে অনেক অযোগ্য ব্যাক্তি চাকরি পেলেও তিনি এসএসসিতে চাকরি পাননি। তিনি অন্যত্র চাকরি করবেন না। 

    এরপরই বিচারপতি রাজ্য শিক্ষা দফতরকে ওই নির্দেশ দেন।

  • TMC: একুশের ভোটে বনগাঁ দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী আদতে বাংলাদেশি নাগরিক? বলছে হাইকোর্টের রায়

    TMC: একুশের ভোটে বনগাঁ দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী আদতে বাংলাদেশি নাগরিক? বলছে হাইকোর্টের রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এপারের ভোটে লড়ছে ওপার বাংলার নাগরিক! 

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনেই এমন কাণ্ড ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকে বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আলো রানী সরকার। 

    তবে, বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের কাছে দু’হাজার ভোটে হেরে যান তিনি। এরপরই বিতর্কের সূত্রপাত। নির্বাচনী ফলাফল মানতে রাজি হননি ভোটে হেরে যাওয়া আলো রানী। দাবি করতে থাকেন যে তিনিই জিতেছেন। তাঁর আরও দাবি যে, তাঁকে চুরি করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

    যেমন ভাবা তেমন কাজ। ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। আর এতেই কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ে। তখনই জানা যায়, আলো রানী সরকার আদতে বাংলাদেশের বাসিন্দা! তাঁর নাম রয়েছে বাংলাদেশের ভোটার তালিকায়!

    জানা গিয়েছে, ওপার বাংলার বরিশাল জেলায় জন্ম আলো রানীর। তাঁর ভাই-মা সহ পরিবার এখনও বরিশালের পিরোজপুরের বাসিন্দা। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশের বাসিন্দা চিকিৎসক হরেন্দ্রনাথ সরকারের সঙ্গে আলো রানীর বিয়ে হয়। 

    নির্বাচনের সময় তৃণমূল প্রার্থী আলো রানীর দাবি ছিল, তাঁর জন্ম হুগলির বৈদ্যবাটিতে, বিয়ের পর তাঁর নাম কোনওভাবে বাংলাদেশের ভোটার কার্ডে উঠে যায়। তিনি প্রত্যাহার করার আবেদন জানিয়েছেন। যদিও এই মর্মে কোনও প্রামাণ্য নথিই তিনি জমা করতে পারেননি আদালতে। 

    এই প্রেক্ষিতে, কলকাতা হাইকোর্ট তৃণমূল প্রার্থী আলো রানী সরকারের আবেদন খারিজ করে দিল। খারিজের কারণ হিসেবে বিচারপতি জানিয়েছেন, “আলো রানী সরকারের নাম রয়েছে বাংলাদেশের ভোটার তালিকায়।”

    অর্থাৎ, এরাজ্যের তো নয়ই, এমনকী এদেশের বাসিন্দাও নন তিনি। তাহলে, কোন জাদুমন্ত্রে তিনি এরাজ্যের ভোটার হলেন? শুধু তাই নয়, কী করে ভোটে প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পেলেন? আর কী করেই বা সেই যোগ্যতা অর্জন করলেন? 

    হাইকোর্ট তার রায়ে জানিয়েছে, ভারতীয় জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, আলো রানী সরকারের বাংলায় তো বটেই, ভারতের কোনও প্রান্তে কোনও নির্বাচনেই প্রার্থী হওয়ার কোনও যোগ্যতা নেই।

    গোটা বিষয়টি ট্যুইট করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন তুলেছেন, যে রাজনৈতিক দল একজন বাংলাদেশিকে নির্বাচনে প্রার্থী করতে পারে, সে রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হবে না কেন?

    [tw]


    [/tw]

  • Paresh Adhikary: আরও বিপাকে পরেশ অধিকারী, মন্ত্রীকে হাজিরার ‘ডেডলাইন’ হাইকোর্টের

    Paresh Adhikary: আরও বিপাকে পরেশ অধিকারী, মন্ত্রীকে হাজিরার ‘ডেডলাইন’ হাইকোর্টের

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC recruitment scam) মামলায় আরও বিপাকে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikary)। 

    গত মঙ্গলবার, অর্থাৎ ১৭ মে রাত ৮টায় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) হাজির না হওয়ায় বৃহস্পতিবার আদালত অবমাননার (contempt of court) মামলায় কড়া নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। আজ রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে শেষ সুযোগ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High court)। এদিনই বিকেল ৩টার মধ্যে সিবিআই (CBI) অফিসে হাজির হতে হবে মন্ত্রীকে। যদি তিনি সেটা না করেন, তাহলে বিকেল ৩টের পর আদালত পরবর্তী নির্দেশ দেবে। এদিকে, আদালত যখন পরেশ অধিকারীকে নিয়ে বেজায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে, তখন তাঁর আইনজীবী ছুটতে ছুটতে এসে জানান, পরেশ অধিকারী কোচবিহারে আছেন।

    আরও পড়ুন: কলকাতা না এসে মেয়েকে নিয়ে নামলেন বর্ধমান স্টেশনে, হাইকোর্টে ফের ধাক্কা খেলেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী

    মঙ্গলবার রাতেই মন্ত্রীকে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, মন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে ইমেল পাঠিয়ে মঙ্গলবার রাত আটটার মধ্যে হাজির হতে বলেছিল সিবিআই। কিন্তু রাজ্যে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আসেননি। উল্টে জানা যায়, মেয়ে অঙ্কিতাকে নিয়ে পদাতিক এক্সপ্রেসে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মন্ত্রী। তবে, শিয়ালদহ স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দিলেও মাঝপথ থেকে মেয়েকে নিয়ে ‘উধাও’ হয়ে যান পরেশ। তিনি যে কলকাতায় না এসে বর্ধমানেই ট্রেন থেকে নেমে গিয়েছেন, সেই ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল৷ সেই খবরে সিলমোহরও পড়ে। বর্ধমান স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে মেয়ে অঙ্কিতার সঙ্গে মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর ছবিও মিলেছে৷ কিন্তু এবার হাই কোর্টের চরম হুঁশিয়ারির মুখে পড়লেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।

    স্কুল সার্ভিস কমিশন (School service commission) নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় নাম জড়িয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে৷ ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে পরেশ অধিকারী ২০১৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। অভিযোগ, বাম জমানার খাদ্যমন্ত্রী শাসকদলে যোগ দেওয়ার পরই মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর (Ankita Adhikary) নাম উঠে যায় এসএসসি নিয়োগের মেধাতালিকায়। অভিযোগ, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে বেআইনিভাবে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে।

    বর্তমানে অঙ্কিতা মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। মামলাকারীদের দাবি, পার্সোনালিটি টেস্টে না বসেও এবং মেধাতালিকায় নাম না থেকেও অঙ্কিতা চাকরি পেয়েছেন। প্রভাব খাটিয়ে মেয়েকে স্কুল শিক্ষিকার চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট৷ অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হলেই সিবিআই পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবে বলেও জানান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ 

    আরও পড়ুন: নথি নষ্টের আশঙ্কায় “সিল” এসএসসি দফতর, নিরাপত্তায় সিআরপিএফ, মধ্যরাতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    সিঙ্গল বেঞ্চের দেওয়া নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বুধবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরেশ অধিকারী। কিন্তু মামলা শুনবে না বলে জানিয়ে দেয় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। পরে প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারী এবং মেয়ে অঙ্কিতার মামলার শুনানির জন্য বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চকে নির্দিষ্ট করেছেন প্রধান বিচারপতি। মন্ত্রী ও রাজ্যের আবেদন সবটাই শুনবেন বিচারপতি তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। আজই শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

  • SSC Recruitment Scam: নথি নষ্টের আশঙ্কায় “সিল” এসএসসি দফতর, নিরাপত্তায় সিআরপিএফ, মধ্যরাতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    SSC Recruitment Scam: নথি নষ্টের আশঙ্কায় “সিল” এসএসসি দফতর, নিরাপত্তায় সিআরপিএফ, মধ্যরাতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নজিরবিহীন! মধ্যরাতে হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) নির্দেশে “সিল” করে দেওয়া হল স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service commission) দফতর। গোটা ভবন মুড়ে ফেলা হল কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC frecruitment scam) নাটকীয় মোড় নিল বুধবার মধ্যরাতে।

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Teachers Recruitment scam) মামলায় সাড়ে তিন ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব সেরে বুধবার রাত ৯টা নাগাদ নিজাম প্যালেস থেকে বের হন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তার মধ্যেই, আচমকা এসএসসি (SSC) চেয়ারম্যান পদে রদবদল ঘটে। হঠাৎই চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা দেন সিদ্ধার্থ মজুমদার। দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ৪ মাসের মধ্যেই। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই এসএসসি-র চেয়ারম্যান হিসেবে আইএএস অফিসার শুভ্র চক্রবর্তীকে নিয়োগ করে রাজ্য সরকার।

    এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের আশঙ্কা এই পরিস্থিতির মাঝেই গুরুত্বপূর্ণ নথি সরিয়ে ফেলা হতে পারে। আদালতের কাছে তাঁদের আর্জি অবিলম্বে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং এসএসসির দফতরে সিআরপিএফ মোতায়েন করা হোক। চাকরিপ্রার্থীদের এই আবেদনে সাড়া দিয়ে এ দিন রাতারাতি রাত সাড়ে দশটায় বেনজিরভাবে হাইকোর্টে শুরু হয় শুনানি।

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) এজলাসে শুনানি শুরু হয়। নিজের চেম্বার থেকেই মামলা শোনেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মামলাকারীরা জানান, কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার ইস্তফা দিয়েছেন। যিনি মঙ্গলবারই রাজ্যের শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার চাকরি ‘দুর্নীতিতে’ নম্বর জানিয়েছেন। অধ্যাপক মজুমদার ইস্তফা দেওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    অবিলম্বে সিআরপিএফ মোতায়েন করে নথি সংরক্ষণের আবেদন করেন এসএসসির (SSC) চাকরিপ্রার্থীরা। ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানিতে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেন, কমিশনের হাতে থাকা হার্ড ডিস্ক-সহ নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি সংরক্ষণ করা হোক।  পাঁচ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য বা তাঁদের লোকজন নথি নষ্ট করতে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত।

    এরপরই প্রায় মধ্যরাতে বিশেষ নির্দেশ দেয় আদালত। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ শুনে একের পর এক কড়া নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বলেন, বুধবার রাত সাড়ে বারোটা থেকে CRPF’এর নিরাপত্তায় মোড়া থাকবে SSC সদর দফতর আচার্য সদন। বৃহস্পতিবার দুপুর একটা অবধি কোনও সরকারি আধিকারিক, কোনও কর্মী এসএসসি-র অফিসে ঢুকতে পারবেন না কেউ। চেয়ারম্যানের পদত্যাগের পর থেকে কে বা কারা দফতরে ঢুকেছে তার সিসি ফুটেজ কাল বেলা ১২টার মধ্যে পেশের নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট। 

    সূত্রের খবর, হাইকোর্টের সেই নির্দেশের পর বিচারপতির চেম্বার থেকেই সিআরপিএফের (CRPF) অফিসে ফোন করা হয়। আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত কথা বলেন।

     

     

  • Paresh Adhikary: কলকাতা না এসে মেয়েকে নিয়ে নামলেন বর্ধমান স্টেশনে, হাইকোর্টে ফের ধাক্কা খেলেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী

    Paresh Adhikary: কলকাতা না এসে মেয়েকে নিয়ে নামলেন বর্ধমান স্টেশনে, হাইকোর্টে ফের ধাক্কা খেলেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি (SSC) শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার সিঙ্গল বেঞ্চের দেওয়া নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বুধবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikary) । কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চে বড় ধাক্কা খেলেন মন্ত্রী। পরেশ অধিকারীর মামলা শুনবে না বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলা থেকে অব্যাহতি চাইল বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ।

    গতকাল, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর মেয়ের চাকরিতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। অভিযোগ, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে বেআইনিভাবে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। বর্তমানে অঙ্কিতা মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। মামলাকারীদের দাবি, পার্সোনালিটি টেস্টে না বসেও এবং মেধাতালিকায় নাম না থেকেও অঙ্কিতা চাকরি পেয়েছেন। এই ঘটনায় মঙ্গলবার সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।  এই অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার জেরেই পরেশকে সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেয় আদালত।

    আরও পড়ুন: আজই হয় হাজিরা সিবিআইয়ে নয়তো হেফাজত, গ্রেফতারি এড়াতে ডিভিশন বেঞ্চে মন্ত্রী পার্থ

    নির্দেশকে চ্যালেঞ্চ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান পরেশ অধিকারী। সিবিআই-জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিচারপতি টন্ডনের বেঞ্চের দ্বারস্থ হন তিনি। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মামলা থেকে অব্যাহতি চান বিচারপতি টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ।  বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) সিঙ্গল বেঞ্চ বলেছিল, মঙ্গলবার রাত আটটার মধ্যে নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) হাজিরা দিতে হবে পরেশ অধিকারীকে। কিন্তু, কলকাতায় না থাকায় সেই হাজিরা দেননি রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। সেই সময় তিনি কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন।

    এদিকে, পরেশের কলকাতায় আসা নিয়েও তৈরি হয় ধোঁয়াশা। গতকাল আদালত যখন রায় দিচ্ছিল, সেই সময় মেখলিগঞ্জে ছিলেন পরেশ। নির্দেশ পাওয়া মাত্রই তিনি মেয়ে অঙ্কিতাকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে রাত পৌনে ৮টার পদাতিক এক্সপ্রেসে চড়ে রওনা হন কলকাতার উদ্দেশে। কিন্তু, বুধবার সকালে দেখা যায়, পদাতিক এক্সপ্রেস নির্ধারিত সময়ে কলকাতায় পৌঁছলেও, তাতে নেই মন্ত্রী পরেশ অধিকারী ও তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা। আজ সকাল ৬টা ৪৫-এ শিয়ালদা স্টেশনের ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছয় পদাতিক এক্সপ্রেস। ট্রেন অ্যাটেন্ড্যান্ট জানান, এইচ-১ কামরার নম্বর সি কুপে ছিলেন পরেশ অধিকারী ও তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী।

    ট্রেনের অ্যাটেন্ড্যান্ট দাবি করেন, মাঝপথেই  ট্রেন থেকে নেমে যান মন্ত্রী ও তাঁর কন্যা। পরে, জানা জায়, বর্ধমান স্টেশনে নেমে যান তাঁরা। স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে সেই ছবি। জানা গিয়েছে, ভোর ৪: ৫২ মিনিটে বর্ধমান স্টেশনের ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এসে থামে পদাতিক এক্সপ্রেস৷ মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর সঙ্গে ভোর ৪: ৫৬ মিনিট নাগাদ দেখা যায় পরেশ অধিকারীকে৷ এরপর ভোর ৫:০৪ মিনিট নাগাদ বর্ধমান স্টেশন চত্বর থেকে একটি সাদা স্করপিও গাড়িতে করে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় পরেশ অধিকারীকে৷

    আরও পড়ুন: “সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে কোনও ভুল নেই”, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বহাল সিবিআই তদন্ত

  • SSC Scam: মন্ত্রীই সর্বেসর্বা, ‘অবৈধ’ প্যানেলেও সম্মতি দিয়েছিলেন, তদন্ত কমিটিকে লিখিত বয়ান শিক্ষাসচিবের

    SSC Scam: মন্ত্রীই সর্বেসর্বা, ‘অবৈধ’ প্যানেলেও সম্মতি দিয়েছিলেন, তদন্ত কমিটিকে লিখিত বয়ান শিক্ষাসচিবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) বা এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment scam) তদন্তে সিবিআইয়ের (CBI) সামনে গিয়ে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) জানিয়ে এসেছেন, নিয়োগের অনিয়মের ব্যাপারে তাঁর কিছু জানা ছিল না। যিনি এসব জানতেন, তিনি হলেন শিক্ষাসচিব মনীশ জৈন (Manish Jain)। মাধ্যম গতকালই জানিয়েছিল, শিক্ষাসচিব তদন্ত কমিটির সামনে কী বলেছেন তাও জানানো হবে। মাধ্যম জেনেছে, শিক্ষাসচিবও তদন্ত কমিটির সামনে গিয়েছিলেন। তিনি সেখানে লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি নন, নিয়োগ প্রক্রিয়ার সর্বেসর্বা ছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই। সব সিদ্ধান্তে তিনিই সিলমোহর দিয়েছিলেন। বরং তাঁর (মনীশবাবুর) কোনও ক্ষমতাই ছিল না।

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (Teachers Recruitment scam) তদন্তে বর্তমান শিক্ষাসচিব যাবতীয় দায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপর চাপিয়ে দেওয়াতে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহলে অনেকেই নানা ব্যাখ্যা দিতে শুরু করেছেন। অনেকের মতে, হাইকোর্টের সামনে অনিয়মের অভিযোগ স্পষ্ট। সিবিআই সক্রিয়। ফলে পিঠ বাঁচাতে মন্ত্রী বা আমলা কেউই আর দায় নিতে রাজি নন। একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে নিজেরা মুক্তি পেতে চাইছেন। অন্যদিকে তৃণমূলের অন্দরের চোরাস্ত্রোতের খবর যাঁরা রাখেন, তাঁরা জানাচ্ছেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সরকারের প্রভাবশালীরা এখন বলির পাঁঠা খুঁজছেন। সর্বোচ্চ স্তরের ইঙ্গিত না থাকলে বর্তমান শিক্ষাসচিব কখনই লিখিতভাবে তদন্ত কমিটির সামনে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর উপর সব দায় চাপিয়ে দিতেন না।

    আরও পড়ুন: তিনি ‘অজ্ঞ’, সব জানেন শিক্ষাসচিব, সিবিআইকে জানিয়ে এলেন পার্থ

    কোথায়, কী বলেছেন মনীশ জৈন?

    বিকাশ ভবনের খবর, ২০১৬ সালের ৮ অগাস্ট গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগের জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিজ্ঞাপন বেরিয়েছিল। ২০১৭ সালের ১৯ ফ্রেব্রুয়ারি তার লিখিত পরীক্ষা হয়। স্কুলে গ্রুপ-ডি পদে যোগ দিতে ১১ লক্ষ ৩০ হাজার পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। ২০১৭ সালের ৬ নভেম্বর কমিশনের ওয়েবসাইটে প্যানেল প্রকাশিত হয়। সেখানে ৩৯২৪ জনের নাম নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত করা হয়। ওয়েটিং লিস্টে রাখা হয় ৯৮৪৭ জনকে। 

    কোনও পরীক্ষার প্যানেল সাধারণত এক বছর ভ্যালিড থাকে। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাতকারণে গ্রুপ-ডির প্যানেল ২০১৯-এর ৪ মে পর্যন্ত সরকারিভাবে ভ্যালিড ছিল। কিন্তু তার পরেও নিয়োগ চলতে থাকে। এ সব নানা গরমিল নিয়েই আদালতে মামলা হয়। আদালত বিচারপতি রণজিৎ বাগের নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি করে দেয়। তদন্ত করে দেখতে বলে পুরো বিষয়টিকে। গত ২০২০ সালের ১১ এপ্রিল বিচারপতি বাগ তাঁর ৬৮ পাতার মূল রিপোর্টটি কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জমা করেন। সেই রিপোর্ট দেখেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের  (Justice Abhijit Gangyopadhyay) রায় বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ। শুরু হয় সিবিআই তদন্ত।

    সূত্রের খবর, বিচারপতি রণজিৎ বাগ কমিটির (Ranjit Bag Committee) কাছেই লিখিতভাবে শিক্ষাসচিব মনীশ জৈন জানিয়ে দেন, নিয়োগের ব্যাপারে সমস্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৎকালীন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর হাতে সিদ্ধান্তগ্রহণের কোনও ক্ষমতাই ছিল না। শুধু তাই নয় গ্রুপ-ডি নিয়োগের প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও যে মাথায় প্রশাসনিক কমিটি বসিয়ে নিয়োগ চালিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাও বাগ কমিটিকে জানিয়ে দেন মনীশ জৈন। সেই সিদ্ধান্তও যে পার্থবাবুই নিয়েছিলেন তাও স্পষ্ট করে দেন স্কুল শিক্ষাসচিব। বিচারপতি বাগ হাইকোর্টে জমা দেওয়া রিপোর্টের ৫৬-৫৭ পাতায় শিক্ষা সচিবের দেওয়া বয়ান ও নথির কথা উল্লেখ করেছেন। কমিটির মতেও নিয়োগের ব্যাপারে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই ছিলেন সর্বেসর্বা।

    কী বলেছেন মনীশ জৈন?

    বাগ কমিটির রিপোর্টের ৫৬-৫৭ পাতায় বলা হয়েছে, স্কুল শিক্ষাসচিব মন্ত্রী পরিষদের কার্য পরিচালনা এবং সিদ্ধান্তগ্রহণের নানা ফাইলের নোটশিট পেশ করেছেন। শিক্ষাসচিব জানিয়েছেন, সংবিধানের ১৬৬(৩) ধারা মেনে রাজ্য মন্ত্রিসভার কার্য পরিচালনার জন্য ‘রুলস অব বিজনেস’ তৈরি হয়। সেই রুলস অব বিজনেস-এর ১৯ ধারায় বলা রয়েছে, কোনও মন্ত্রী স্ট্যান্ডিং অর্ডার দিয়ে ঘোষণা করবেন দফতর পরিচালনার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয় তাঁর নজরে আনতে হবে। সেই নির্দেশিকা প্রকাশ হলে দফতরের আমলারা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে স্বাধীন থাকেন। শুধুমাত্র মন্ত্রীর উল্লেখিত বিষয়গুলি ছাড়া সব সিদ্ধান্ত আমলারাই নিতে পারেন। 

    আরও পড়ুন: এসএসসি মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিস, শান্তিপ্রসাদের বাড়িতে সিবিআই

    কিন্তু তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আমলাদের কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা দেননি। ফলে নিয়োগ সংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত মন্ত্রীমশাই নিয়েছেন বলে অকপটে জানিয়ে দিয়েছেন মনীষ জৈন। কেবল তাই নয়, পার্থবাবু যখন নিয়োগ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ততদিনে গ্রপ-সি এবং গ্রুপ-ডি নিয়োগের প্যানেলের ভ্যালিডিটি শেষ হয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ অবৈধ প্যানেল থেকে নিয়োগ করার জন্য পার্থবাবু নির্দেশ দিয়েছিলেন বলেও মনীশ জৈন বাগ কমিটিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। তারই পরিণতিতে সিবিআই (CBI) তদন্ত। সেই তদন্তের মুখোমুখি হয়ে পার্থবাবুর বয়ান, তিনি অজ্ঞ, সব জানেন মনীশ জৈন।   

LinkedIn
Share