Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Paresh Adhikary: এফআইআর হতেই বিমান ধরে সোজা কলকাতায় পরেশ, হাজিরা দিলেন নিজাম প্যালেসে

    Paresh Adhikary: এফআইআর হতেই বিমান ধরে সোজা কলকাতায় পরেশ, হাজিরা দিলেন নিজাম প্যালেসে

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: একেই বলে ঠেলার নাম বাবাজি। গত দুদিন ধরে পরেশ অধিকারী কোথায় আছেন, তা জানতে পারছিল না কেউ-ই। আদালতের নির্দেশে সিবিআই-হাজিরার ফরমান সত্ত্বেও এড়িয়ে যাচ্ছিলেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। 

    কিন্তু, আদালত কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিতেই পট-পরিবর্তন। বাগডোগরা থেকে সোজা বিমান ধরে কলকাতায় এলেন এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ড মামলায় অভিযুক্ত পরেশ অধিকারী। বিকেল চারটে নাগাদ বাগডোগরা বিমানবন্দরে দেখা যায় মন্ত্রীকে। বলেন, ‘কিছু বলব না। কলকাতা যাচ্ছি।’ বিকেল ৫.৫৫ মিনিটে বাগডোগরা থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। তবে সঙ্গে ছিলেন না কন্যা অঙ্কিতা। সোজা যান সিবিআই দফতরে।

    আরও পড়ুন: আরও বিপাকে পরেশ অধিকারী, মন্ত্রীকে হাজিরার ‘ডেডলাইন’ হাইকোর্টের

    এদিন সকালে পরেশকে হাজিরা দেওয়ার ডেডলাইন বেঁধে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় নির্দেশ দেন, দুপুর তিনটের মধ্য়ে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হবে পরেশকে। কিন্তু, মন্ত্রীর আইনজীবী দাবি করেন, পরেশ রয়েছেন কোচবিহারে। বিকেল পাঁচটায় বাগডোগরা থেকে কলকাতাগামী বিমানে উঠবেন তিনি। সাড়ে ৬টা নাগাদ পৌঁছাবেন। বিচারপতির নির্দেশ, ‘মন্ত্রী বিমানবন্দরে নামলে তাঁকে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের প্রহরায় সোজা নিজাম প্যালেসে নিয়ে যেতে হবে। আর যদি বিমানবন্দরে না নামেন তাহলে তা আদালত অবমাননা বলে গন্য হবে।’

    এদিকে, দুপুর তিনটের ডেডলাইন পার হওয়ার পরও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হাজিরা না দেওয়ায় বাধ্য হয়েই কড়া পদক্ষেপ নিতে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনে কন্যা-সহ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। 

    আরও পড়ুন: কলকাতা না এসে মেয়েকে নিয়ে নামলেন বর্ধমান স্টেশনে, হাইকোর্টে ফের ধাক্কা খেলেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী

    এর আগে, গত মঙ্গলবার রাতেই তাঁকে সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু, তখন কোচবিহারে থাকায় তা পারেননি মন্ত্রী পরেশ অধিকারী ও তাঁর কন্যা অঙ্কিতা। ওই রাতেই মন্ত্রী ও তাঁর কন্যা উত্তরবঙ্গ থেকে পদাতিক এক্সপ্রেসে উঠতে দেখা যায়। তাঁদের গন্তব্য ছিল অবশ্যই কলকাতা। কিন্তু বুধবার সকালে ট্রেন কলকাতায় পৌঁছলেও দেখা মেলেনি তাঁদের। যদিও বর্ধমান স্টেশনে তাঁদের দেখা যায়। এরপর কলকাতায় দেখা যায়নি মন্ত্রী ও তাঁর কন্যাকে।

    অন্তরালে থেকেই সিঙ্গলবেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলার আবেদন করেন পরেশ অধিকারী। যাদিও তা খারিজ হয়ে যায়। এরপরই আজ বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ ছিল যে, আজ বিকেল ৩টের মধ্যে পরেশ অধিকারীকে সিবিআই দফতরে যেতে হবে। বেকায়দায় পড়েছেন বুঝে অন্তরাল থেকে বেরিয়ে এসে হাজিরা দিতেই মনস্থির করেন পরেশ। 

  • Cbi on Bhadu Sheikh murder: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে খুন হন ভাদু শেখ, বলছে সিবিআই রিপোর্ট

    Cbi on Bhadu Sheikh murder: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে খুন হন ভাদু শেখ, বলছে সিবিআই রিপোর্ট

    কলকাতা: বখরার টাকার ভাগ বাঁটোয়ারার পরিণতিতেই বগটুইয়ের(bogtui) ঘটনা ঘটেছিল। সিবিআইয়ের (CBI) প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পর অন্তত এমনই মনে করছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High court)। সেই কারণেই স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনেও (bhadu sheikh murder) সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

    ২১ মার্চ রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ খুন হন রামপুরহাটের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূলের ভাদু শেখ। এর ঘণ্টা দুয়েক পরেই বগটুই গ্রামে কার্যত তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয় ৯ জনকে। ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করে রাজ্য সরকার (West Bengal government)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) নির্দেশে তারাপীঠ থেকে সিট গ্রেফতার করে তৃণমূলের তৎকালীন ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে (Anarul Hossain)। যদিও আনারুলের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আত্মসমর্পণ করেছেন তিনি।

    বগটুইকাণ্ডের তদন্তে সিবিআই দাবি করেন বিরোধীরা। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সিবিআই তদন্তের (CBI investigation) নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টও। ৮ এপ্রিল সিবিআই প্রাথমিক রিপোর্ট দেয়। সেই রিপোর্ট থেকেই জানা যায়, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কাজিয়ার জেরে ঘটে বগটুইয়ের ঘটনা। ওই রাতে ভাদু শেখ খুনের পরেই শুরু হয় বদলা নেওয়ার পালা। যার জেরে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে লাশ হয়ে যান ৯ জন। এর পরেই ভাদু শেখ খুনেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। ভাদু শেখ খুনের নেপথ্যে যে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বখরা সংক্রান্ত কোনও বিবাদ রয়েছে, তা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। একই দাবি জানিয়েছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এদিন সিবিআইয়ের কাছ থেকে প্রাথমিক রিপোর্ট পেয়ে আদালতও মনে করছে, বখরা সংক্রান্ত গন্ডগোলের জেরেই বগটুইকাণ্ড। সেই কারণেই ভাদু শেখ খুনেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ।

LinkedIn
Share