Tag: Canada

Canada

  • Canada: খালিস্তানি হামলার আশঙ্কা, কানাডার মন্দিরে ভারতীয় দূতাবাসের অনুষ্ঠান বাতিল

    Canada: খালিস্তানি হামলার আশঙ্কা, কানাডার মন্দিরে ভারতীয় দূতাবাসের অনুষ্ঠান বাতিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার (Canada) ব্রাম্পটনের মন্দিরে সম্প্রতি হামলা হয়েছে। এই আবহে সেখানকার ত্রিবেণী মন্দিরে ভারতীয় দূতাবাস (Indian Consulate) আয়োজিত একটি অনুষ্ঠান বাতিল করা হল। আশঙ্কা করা হচ্ছে ফের একবার সেখানে বিক্ষোভ দেখাতে পারে খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠনগুলি। এছাড়া সেখানে ছড়াতে পারে হিংসাও। সমাজ মাধ্যমে এনিয়ে অনেকেই সরব হয়েছেন কানাডার  (Canada) আইন-শৃঙ্খলার এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি নিয়ে।

    ৩ নভেম্বর হামলা হয় কানাডার (Canada) ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরে 

    প্রসঙ্গত, গত ৩ নভেম্বর উগ্র খালিস্তানি সমর্থকরা কানাডার ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দির চত্বরে ঢুকে পড়ে। সেখানে উপস্থিত জনতার ওপর মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। সেই সময় ভারতীয় দূতাবাসের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয় যে এর পরের কনস্যুলেট (Indian Consulate) শিবিরগুলির আয়োজন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেই করা হবে। তাঁরাই নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করবেন। এরপর গত সপ্তাহে ভারতের হাইকমিশন (India in Canada) কনস্যুলেট প্রোগ্রামগুলিকে বাতিল করে। কারণ হিসেবে তারা জানায়, কানাডার (Canada) নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ওই অনুষ্ঠানগুলিতে ন্যূনতম নিরাপত্তাও দিতে পারবে না বলে জানিয়েছে।

    ১৭ নভেম্বরের অনুষ্ঠান বাতিল 

    প্রসঙ্গত, আগামী ১৭ নভেম্বর ত্রিবেণী মন্দিরে ভারতীয় কনস্যুলেটের (Indian Consulate) লাইফ সার্টিফিকেটের ওপর একটি অনুষ্ঠান ছিল। কিন্তু সেখানকার স্থানীয় গোয়েন্দা বিভাগ জানিয়েছে, ওই অনুষ্ঠানে হামলা হতে পারে। এরপরে মন্দির কমিটি এই অনুষ্ঠান করতে না পারার জন্য সকলের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। ওই মন্দির কমিটির তরফ থেকে যে বিবৃতি জারি করা হয়েছে সেখানে জানানো হয়েছে, হিন্দুরা এখন সেই দেশের মন্দিরে (Canada) আসতেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এজন্য মন্দির কমিটি দুঃখ প্রকাশ করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hindu Sabha Temple: মন্দিরে হামলা, ট্রুডোর বিরুদ্ধে কানাডার কোর্টে আবেদন ভারতীয় আইনজীবীর

    Hindu Sabha Temple: মন্দিরে হামলা, ট্রুডোর বিরুদ্ধে কানাডার কোর্টে আবেদন ভারতীয় আইনজীবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও গাড্ডায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিনীত জিন্দল কানাডার সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করেছেন। পিটিশনে ব্রাম্পটনে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হিন্দু মন্দিরে আক্রমণের (Hindu Sabha Temple) সঙ্গে জড়িত সকলের, বিশেষ করে খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।

    কানাডায় পিটিশন দায়ের (Hindu Sabha Temple)

    জিন্দল কানাডার প্রধান বিচারপতি রিচার্ড ওয়াগনারের কাছে ডিজিটালি এই পিটিশন জমা দেন। পিটিশনে হিন্দু ভক্ত ও হিন্দু সভা মন্দিরে আক্রমণের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পিটিশনে জিন্দল কানাডিয়ান সুপ্রিম কোর্টকে এই ঘটনার তদন্তের তত্ত্বাবধান করার আহ্বান জানান। বিশেষ করে পিল পুলিশের কর্মকর্তাদের আচরণ এবং ‘শিখস ফর জাস্টিসে’র মতো খালিস্তানপন্থী গোষ্ঠীর কার্যকলাপের ওপর নজরদারি করতে, যারা হিংসায় ইন্ধন জোগানোয় দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। পিটিশনে এমন পদক্ষেপের আহ্বান জানানো হয় যাতে অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনা হয়। কানাডার হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনাস্থলগুলিতে যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়ার আবেদনও করা হয়েছে পিটিশনে। জিন্দল এও উল্লেখ করেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনাস্থলগুলির (Hindu Sabha Temple) ওপর ক্রমবর্ধমান হিংসার ঘটনায় ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় জরুরি হস্তক্ষেপের প্রয়োজন।

    কী বলছেন আইনজীবী

    সংবাদ মাধ্যমে (Justin Trudeau) সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ওই আইনজীবী বলেন, “বর্তমান জাস্টিন ট্রুডো সরকারের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের খালিস্তানপন্থী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার অনুরোধের কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হচ্ছে, তাও এখন সুপরিচিত। ৩ নভেম্বর, খালিস্তানপন্থীরা হিন্দু সভা মন্দিরে হামলা চালায়। ভক্তদের মারধরও করা হয়। এই ঘটনার সময় পিল পুলিশের (এই অঞ্চলেই ঘটনাটি ঘটেছিল) কর্মকর্তারাও হিন্দু ভক্তদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছিল (এ সংক্রান্ত ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল, যার সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। এরপর থেকে কানাডায় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্র-সহ সব দিক থেকেই হিন্দুরা হামলার শিকার হচ্ছে। এই মুহূর্তে কানাডায় আমাদের হিন্দু ভাইয়েরা প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছে।’’

    ট্রুডো সরকারের মদত!

    তিনি বলেন, “খালিস্তান টাইগার ফোর্স এবং শিখস ফর জাস্টিসের মতো খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠনগুলি ট্রুডো সরকারের মদত পাচ্ছে বলে অভিযোগ। তার জেরে হিন্দু যুবকদের মিথ্যে হিংসা ও ঘৃণার মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছে খালিস্তানপন্থী ওই সংগঠনের সদস্যরা।” জিন্দল বলেন, “আমি এই পদক্ষেপটি নিচ্ছি যাতে কানাডার সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমে একটি বার্তা পৌঁছে দেওয়া যায় এবং সেখানে বসবাসকারী প্রতিটি হিন্দুর জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষার আহ্বান জানানো যায়।” জিন্দলের আশা, কানাডার বিচার ব্যবস্থা সঠিক বিচার করবে। তাঁর পিটিশনটিও গৃহীত হবে। কানাডায় হিন্দুদের বিরুদ্ধে হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।

    হামলার ভিডিও ফুটেজ

    গত ৩ নভেম্বর কানাডার ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরের (Hindu Sabha Temple) বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ করছিলেন বেশ কয়েকজন খালিস্তানপন্থী। প্রত্যক্ষদর্শী ও হিন্দু-কানাডিয়ান ফাউন্ডেশনের শেয়ার করা ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা গিয়েছে, খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীরা খালিস্তানের ঝান্ডার ডান্ডা নিয়ে মন্দির উপস্থিত হিন্দু ভক্তদের মারধর করে। খালিস্তানপন্থীদের এই ভিড়ে কানাডা পুলিশের এক কর্মীকেও দেখা গিয়েছে খালিস্তানপন্থী ঝান্ডা হাতে (যদিও কানাডা পুলিশের দাবি, ওই কর্মী তখন ডিউটিতে ছিলেন না)। জানা গিয়েছে, মন্দির কর্তৃপক্ষ এবং ভারতীয় কনস্যুলেটের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ভক্তরা সেখানে জড়ো হয়েছিলেন। আচমকাই তাঁদের ওপর হামলা করে খালিস্তানপন্থীরা। তাদের মারের হাত থেকে রেহাই পাননি মহিলা, শিশু এবং প্রবীণরাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, কীভাবে উগ্রপন্থীরা অনুষ্ঠানটি বিঘ্নিত করছে। কীভাবেই তারা উপস্থিত ভক্তদের মারধর করছে।

    আরও পড়ুন: কুর্সি যাচ্ছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর, জিতছে বিজেপি, ইঙ্গিত জনমত সমীক্ষায়

    তীব্র নিন্দা ভারতের

    কানাডার ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ভারত। কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষকে সে দেশে ভারতীয় নাগরিক ও ধর্মীয় কাঠামোগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বানও জানিয়েছিল ভারত। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা হিন্দু সভা মন্দিরে চরমপন্থী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের করা উস্কানিমূলক হিংসার নিন্দা করছি। আমরা কানাডা সরকারকে অনুরোধ করছি এমন আক্রমণ থেকে যেন (Justin Trudeau) সে দেশের সব উপাসনালয়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয় (Hindu Sabha Temple)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

       

  • Khaistani Leader Arrested: ভারতে আগেই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’! নিজ্জর-ঘনিষ্ঠ খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নেতা গ্রেফতার কানাডায়

    Khaistani Leader Arrested: ভারতে আগেই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’! নিজ্জর-ঘনিষ্ঠ খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নেতা গ্রেফতার কানাডায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু মন্দিরে হামলা, দূতাবাসে হামলা, এতদিন কোনও পদক্ষেপ করেনি কানাডা প্রশাসন (Khaistani Leader Arrested)। এখন আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসায় চাপে কি ট্রুডোর সরকার (Canada)? ট্রাম্প-মোদি সখ্যতার কথা ভালই জানেন কানাডার প্রেসিডেন্ট জাস্টিন ট্রুডো। তাই কি এখন মোদিকে তুষ্ট করতেই একের পর এক খলিস্তানি জঙ্গি নেতাকে গ্রেফতার করছে কানাডা পুলিশ। রবিবার, কানাডিয়ান পুলিশ ভারতের অন্যতম মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধী ও খালিস্তানি সন্ত্রাসী তথা নিজ্জর-ঘনিষ্ঠ অর্শদীপ সিং ওরফে অর্শ ডাল্লাকে গ্রেফতার করেছে। ২৭ বা ২৮ অক্টোবর কানাডার মিল্টন শহরে একটি গুলি চালনার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে কানাডার হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনায় শনিবার ইন্দ্রজিৎ গোসাল নামে এক আততায়ীকে গ্রেফতার করে কানাডা পুলিশ। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই ইন্দ্রজিৎ খালিস্তানি উগ্রপন্থী গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের ঘনিষ্ঠ। 

    ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ অর্শ ডাল্লা

    ভারতীয় নিরাপত্তা (Khaistani Leader Arrested) সংস্থার সূত্রে খবর, অনেক দিন ধরেই ডাল্লাকে খোঁজা হচ্ছিল। এমনকি, ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ঘোষণাও করা হয়েছিল। এত দিন কানাডায় লুকিয়ে ছিল সে। রবিবার সেই খালিস্তানপন্থী সন্ত্রাসী অর্শদীপ সিং ওরফে অর্শ ডাল্লাকে গ্রেফতার করল কানাডা পুলিশ। গত মাসে মিলটন শহরে একটি গুলিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। তদন্তকারীদের সন্দেহ, সেই ঘটনায় যোগ ছিল অর্শদীপের। আততায়ীদের আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছিল ডাল্লা-ই। সেই মামলাতেই রবিবার গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রে গ্রেফতারির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। কানাডায় স্ত্রীকে নিয়ে বাস করে অর্শদীপ। তার গ্রেফতারির বিষয়টির উপর গভীর ভাবে নজর রাখছে ভারত। এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে, সে বিষয়ে কানাডার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগও রাখা হচ্ছে বলে খবর। অর্শদীপ ছিল খালিস্তানি টাইগার ফোর্সের ভারপ্রাপ্ত প্রধান। নিহত সন্ত্রাসী হরদীপ সিং নিজ্জরের উত্তরসূরি হিসাবেও দেখা হয় তাকে।

    আরও পড়ুন: খনিজ সম্পদেও ‘আত্মনির্ভর ভারত’! নিলামে প্রথম বিক্রি টাংস্টেন-কোবাল্ট

    দিল্লিতে কানাডা দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ

    অন্যদিকে, কানাডায় হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রকারী ইন্দ্রজিৎ গোসাল নামে এক আততায়ীকে গ্রেফতার করেও মুক্তি দেয় কানাডা পুলিশ। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই ইন্দ্রজিৎ খালিস্তানি উগ্রপন্থী গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের ঘনিষ্ঠ। মনে করা হচ্ছে, পান্নুনের প্রভাবেই কানাডা পুলিশ মুক্তি দেয় তাঁকে। এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে ট্রুডোর প্রশাসন। এর প্রতিবাদে দিল্লিতে কানাডা হাই কমিশনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে শত শত মানুষ। হিন্দু-শিখ গ্লোবাল ফোরামের ব্যানারে বহু মানুষ মিছিল করে হাই কমিশনে পৌঁছানোর চেষ্টা করে। তাঁরা কানাডায় হিন্দু মন্দিরে হামলার প্রতিবাদ জানায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Canada: মন্দিরে হামলা, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খালিস্তানপন্থী দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল কানাডা পুলিশ

    Canada: মন্দিরে হামলা, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খালিস্তানপন্থী দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল কানাডা পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার (Canada) মন্দিরে হামলার ঘটনায় ধৃত আরও এক খালিস্তানপন্থী (Khalistan) দুষ্কৃতী। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করল পুলিশ। গত ৩ নভেম্বর ব্রাম্পটনের গোর রোডের মন্দিরে ভক্তদের উপর হামলা করার অভিযোগ উঠেছিল জঙ্গি সংগঠন খালিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে। একই ভাবে মন্দিরের বাইরে ভারতীয় উপদূতাবাসের একটি শিবিরেও হামলা চালানো হয়েছিল। জানা গিয়েছে ধৃত ব্যক্তি ওই জঙ্গি সংগঠনের সমন্বয়ক।

    আক্রমণ, হামলা ও বিক্ষোভের উদ্যোক্তা গোসাল (Canada)!

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম ইন্দ্রজিৎ সিংহ গোসাল। ৩৫ বছরের এই যুবক ব্রাম্পটনের বাসিন্দা। তিনি খালিস্তানপন্থী (Khalistan) শিখ ফর জাস্টিস সংগঠনের সমন্বয়ক। কানাডা (Canada) পুলিশের তদন্তকারী দল (সিট) ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করে। এখান থেকেই শনাক্ত করা গিয়েছে ওই অভিযুক্তকে। ৮ নভেম্বর তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং এরপর তাকে ওই দিনই আদালতে তোলা হয়। ওই দেশের একটি সংবাদ মাধ্যম দাবি করে, ধৃত ব্যক্তি শিখ ফর জাস্টিসের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ চালাত। ৩ নভেম্বর মন্দিরের ভক্তদের উপর আক্রমণ এবং বাইরে বিক্ষোভের উদ্যোক্তাদের মধ্যে এই অভিযুক্ত ছিল। একই ভাবে ধৃত দাবি করে, খালিস্তানপন্থী হওয়ার জন্য তাকে টার্গেট করা হয়েছিল আগেও এবং বাড়িতে ঢুকে গুলি চালিয়ে হামলা করা হয়েছিল।

    ভারত সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

    মন্দিরে হামালাকাণ্ডে ধৃত গোসাল কানাডার (Canada) এক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়াছে, “আমাদের লক্ষ্য কোনও হিন্দু নয়। ভারত সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। এটা কোনও ভাবেই হিন্দু এবং শিখদের যুদ্ধ নয়।” উল্লেখ্য কানাডা পুলিশ গত বৃহস্পতিবার মন্দিরে হামলার অভিযোগে রণেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছিল। রণেন্দ্রলালের বয়স ছিল ৫৭। হিংসা এবং উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত এই ব্যক্তি।

    আরও পড়ুনঃ “গ্লোবাল সুপারপাওয়ারের তালিকায় নাম থাকা উচিত ভারতের”, দাবি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের

    ঘটনা কী ঘটেছিল?

    ব্রাম্পটনে (Canada) হিন্দু সভা মন্দিরে পুজো দিতে হাজির হয়েছিলেন বেশ কিছু ভক্ত। উল্লেখ্য সেই সময় মন্দিরের সামনে ভারতে ১৯৮৪ সালের শিখ (Khalistan) বিরোধী দাঙ্গার প্রতিবাদে অবস্থান-বিক্ষোভে বসে ছিল খালিস্থানপন্থী বেশ কিছু সমর্থক। হাতে ছিল খালিস্তান জঙ্গির পতাকা এবং লাঠি। ভক্তরা মন্দিরে ঢুকতে গেলে তাঁদের বাধা দেয় ওই খালিস্তানপন্থীরা। এরপর চড়াও হয়ে আক্রমণ করে ভক্তদের উপর। এতে আহত হন বেশ কিছু মহিলা-শিশু ভক্ত সহ পুরুষরাও। একই ভাবে মন্দিরের বাইরে ছিল ভারতীয় দূতাবাসের উপকেন্দ্র। অভিযোগ সেখানেও চলে হামলা। ঘটনার নিন্দা করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জার্স্টিন ট্রুডো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Justin Trudeau: “কানাডায় খালিস্তানপন্থীরা রয়েছেন, মজুত যাবতীয় উপাদানও”, শেষমেশ স্বীকার ট্রুডোর

    Justin Trudeau: “কানাডায় খালিস্তানপন্থীরা রয়েছেন, মজুত যাবতীয় উপাদানও”, শেষমেশ স্বীকার ট্রুডোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় খালিস্তানপন্থীদের যাবতীয় উপাদান মজুত রয়েছে। রয়েছেন খালিস্তানপন্থীরাও। শেষমেশ স্বীকার করে নিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। এও জানিয়ে দিলেন, এরা (খালিস্তানপন্থীরা) পুরো শিখ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করে (Justin Trudeau) না। ওটাওয়ার পার্লামেন্ট হিলে দীপাবলি উদযাপনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে এই ‘বিলম্বিত বোধদয়ে’র কথা ব্যক্ত করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।

    জান কবুল ট্রুডোর (Justin Trudeau)

    খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুন হন কানাডার মাটিতে। বছরখানেক আগের সেই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন ট্রুডো। তার জেরে ভারত-কানাডার সম্পর্কে অবনতি হয়। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদ মাধ্যমে সম্প্রচারিত বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বার্তা কানাডায় ব্লক করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ট্রুডো বলেন, “কানাডায় অনেক খালিস্তানপন্থী রয়েছেন। খালিস্তানপন্থীদের যাবতীয় উপাদানও মজুত রয়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে শিখ সম্প্রদায় বলতে সেটি বোঝায় না। মোদি সরকারেরও অনেক সমর্থক রয়েছেন কানাডায়। কিন্তু তাঁরা সার্বিকভাবে কানাডায় বসবাসকারী হিন্দুদের প্রতিনিধিত্ব করেন না।” সোমবারও প্রায় একই কথা কানাডার পার্লামেন্টে বলেছিলেন ট্রুডো। যে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে নিজ্জর খুনে ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন তিনি, সেই পার্লামেন্টে দাঁড়িয়েই ট্রুডো সোমবার বলেছিলেন, খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা কানাডায় শিখদের প্রতিনিধিত্ব করে না।

    আরও পড়ুন: অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়ের পাঁচ বছর পূর্তি, জেনে নিন পুরো কাহিনি

    ট্রুডোর দেশে ভোট 

    যেহেতু কানাডায় বসবাসকারী শিখদের একটা অংশ খালিস্তানপন্থী এবং শিখদের একটা বড় অংশ ট্রুডোর সমর্থক, তাই ব্যালেন্স করার চেষ্টা করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কানাডায় বসবাসকারী সব হিন্দু মোদি সরকারের সমর্থক নন।” শিখদের সমর্থনেই এখনও কোনওক্রমে টিকে রয়েছে সংখ্যালঘু ট্রুডো সরকার। এদিকে খালিস্তানপন্থীদের ‘প্রশ্রয়’ দেওয়ায় নিজের দল লিবারেল পার্টির অন্দরেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে ট্রুডোর নেতৃত্ব। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই ব্যালেন্স করে চলার চেষ্টা করলেন ট্রুডো। আগামী বছর কানাডায় সাধারণ নির্বাচন। নানা জনমত সমীক্ষায় প্রকাশ, ওই নির্বাচনে হারতে চলেছেন ট্রুডো। কূটনৈতিক মহলের মতে, ভোট-বৈতরণী পার হতেই কানাডার প্রধানমন্ত্রীর গলায় এক দিকে যেমন শোনা গিয়েছে সে দেশে খালিস্তানপন্থীদের উপস্থিতির কথা, তেমনি অন্যদিকে শোনা গিয়েছে (Justin Trudeau) প্রচ্ছন্ন মোদি বিরোধিতার সুরও (Justin Trudeau)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Donald Trump: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী ট্রাম্প, সমস্যায় পড়তে পারেন কানাডার ট্রুডো

    Donald Trump: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী ট্রাম্প, সমস্যায় পড়তে পারেন কানাডার ট্রুডো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, কারও পৌষমাস, তো কারও সর্বনাশ! চার বছর বাদে নতুন বছরের তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ হোয়াইট হাউসে ফিরছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তাঁর এই প্রত্যাবর্তনের খবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নৌকার পালে সুপবন বয়ে আনলেও, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পক্ষে ভালো নাও হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লক্ষ্যই হল, আমেরিকা ও তার দোসরদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের গাঁটছড়ার বন্ধন পোক্ত করা।

    বিপাকে পড়তে পারে ট্রুডোর দেশ (Donald Trump)

    ট্রাম্প ফের মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে বসছেন। এতে আদতে বিপাকে পড়বে ট্রুডোর দেশ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ট্রাম্প জমানায় দেখা দিতে পারে বাণিজ্য বিরোধ। যার জেরে ভয়ঙ্কর মন্দার মুখে পড়তে পারে কানাডা। কারণ কানাডার রফতানির ৭৫ শতাংশই যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। মার্কিন সীমান্ত পেরিয়ে হাজার হাজার মানুষ উত্তরে (Donald Trump) কানাডার দিকে আসতে পারেন। সেক্ষেত্রেও বিপদে পড়বে ট্রুডোর দেশ।

    ধরাশায়ী হতে পারেন ট্রুডো

    আগামী বছর সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা কানাডায়। বিভিন্ন জনমত সমীক্ষার ফল বলছে, কনজারভেটিভ প্রতিপক্ষের কাছে ধরাশায়ী হতে পারেন ট্রুডো। তাঁর দল লিবারেল পার্টির অবস্থাও হতে পারে করুণ। গত কয়েক বছরে কানাডার ধীর গতির অর্থনীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের দ্রুত বৃদ্ধি চলে এসেছে খবরের শিরোনামে। যার জেরে চিন ও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বৈচিত্রকরণের প্রচেষ্টা ব্যাহত হয়েছে।

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ট্রাম্প-ট্রুডোর সম্পর্ক অহি-নকুলের। ২০২২ সালে ট্রাম্প ট্রুডোকে ‘একজন চরম বামপন্থী উন্মাদ’ বলে অভিহিত করেছিলেন। কারণ ট্রুডো সীমান্ত অতিক্রম করা ট্রাক চালকদের জন্য কোভিড টিকাকরণ বাধ্যতামূলক করেছিলেন। ২০১৮ সালের জুন মাসে, কেবেকে অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলন থেকে বেরিয়ে চলে এসেছিলেন ট্রাম্প। ট্রুডোকে তিনি ‘খুবই অসৎ ও দুর্বল’ বলে অভিহিত করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘সেই ব্যক্তি কোথায়?’’ ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে ঘুম উড়েছে বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূসের!

    ২০১৫ সাল থেকে কানাডার কুর্সিতে রয়েছেন ট্রুডো। ট্রাম্প জিততেই ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ নেমে পড়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। বুধবার ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, “দুই দেশের মধ্যের বন্ধুত্ব বিশ্বে ঈর্ষণীয়।” ট্রুডো যখন আমেরিকা-কানাডার সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে প্রাণপাত করছেন, তখন নিশ্চিন্তে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। কারণ মার্কিন প্রদেশে যিনি প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হয়েছেন, তিনি আসলে তাঁর ‘বন্ধু’ (Donald Trump)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Canada Relation: কানাডাভূমে শক্তি প্রদর্শন হিন্দুদের, প্রতিবাদে শামিল শিখরাও

    India Canada Relation: কানাডাভূমে শক্তি প্রদর্শন হিন্দুদের, প্রতিবাদে শামিল শিখরাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডাভূমে শক্তি প্রদর্শন হিন্দুদের! রবিবার কানাডার ব্রাম্পটনে হিন্দু সভা মন্দিরে হামলা চালায় (India Canada Relation) খালিস্তানপন্থীরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার হাজার হাজার ভারতীয় বংশোদ্ভূত মানুষ পথে নামেন। এদিনের (Justin Trudeau) প্রতিবাদ মিছিলে বেশ কিছু শিখকেও হাঁটতে দেখা গিয়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকার যে খালিস্তানিদের তোল্লাই দিচ্ছে, তার বিরুদ্ধেই একজোট হয়েছেন কানাডার ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিন্দু ও শিখরা।

    হিন্দু জাগরণ! (India Canada Relation)

    এদিন প্রতিবাদীদের একদল যখন রাস্তা অবরোধ করছিলেন, তখন অন্যদল খালিস্তানপন্থীদের আক্রমণের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছিলেন। এদিনের এই প্রতিবাদ-যাত্রার আয়োজক ছিল উত্তর আমেরিকার হিন্দুদের সংগঠন কোয়ালিশন অফ হিন্দুজ ইন নর্থ আমেরিকা। এই প্রতিবাদ মিছিলের লক্ষ্যই ছিল, খালিস্তানিদের অযৌক্তিক সহিংসতার মোকাবিলায় ঐক্য ও সাহসিকতার বার্তা দেওয়া। কানাডার সাংবাদিক ড্যানিয়েল বোর্ডম্যান বলেন, “এটি হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য এক ধরনের (India Canada Relation) জাগরণ। আগে কখনও হাজারে হাজারে হিন্দু এমনভাবে পথে নেমে প্রতিবাদ করেনি। খালিস্তানপন্থীরা সীমা অতিক্রম করেছে। আর হিন্দুরা সংগঠিত হয়ে সাড়া দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব করেছে।” তিনি জানান, এদিন সব সম্প্রদায়ের মানুষই খালিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’’, কানাডায় হিন্দু মন্দিরে হামলা প্রসঙ্গে কড়া প্রতিক্রিয়া জয়শঙ্করের

    পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ

    এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “আমি হিন্দু সভা মন্দিরে ছিলাম। যেখানে হাজার হাজার হিন্দুদের পাশাপাশি শিখ, ইহুদি, খ্রিস্টান এবং ইরানি সম্প্রদায়ের মানুষ মন্দিরে খালিস্তানপন্থীদের আক্রমণ ও পিল পুলিশের ব্যর্থতার প্রেক্ষিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি সমর্থন জানাতে এসেছিলেন।” সাংবাদিক মোচা বেজিরগান জানান, খালিস্তানপন্থীদের আক্রমণ ও সরকারের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ বৃদ্ধি পায়। সড়ক অবরোধ ও যানবাহন ভাঙচুরের মাধ্যমে অশান্ত হয়ে ওঠে ব্রাম্পটন। এদিনের প্রতিবাদে হিন্দু এবং শিখ উভয় সম্প্রদায়ের মানুষই অংশগ্রহণ করেন। পিল পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগানও দেন তাঁরা। পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও তোলেন প্রতিবাদীরা।

    ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক প্রতিবাদী বলেন, “শিখরা আমাদের ভাই। খালিস্তানপন্থীরা শিখ নয়। আমার শিখ বন্ধু ও ভাইয়েরা আছেন এবং তাঁরা হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে এই ঘৃণার সঙ্গে যুক্ত নয়। আমি চাই (Justin Trudeau) কানাডাবাসী এটি জানুক।” তিনি বলেন, “একটি মন্দিরে আক্রমণ করা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নয়। আমরা একত্র এবং ঐক্যবদ্ধ (India Canada Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: ‘‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’’, কানাডায় হিন্দু মন্দিরে হামলা প্রসঙ্গে কড়া প্রতিক্রিয়া জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’’, কানাডায় হিন্দু মন্দিরে হামলা প্রসঙ্গে কড়া প্রতিক্রিয়া জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার ব্রাম্পটনে হিন্দু মন্দিরে হামলার (Attack On Hindu Temple) ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেন (S Jaishankar) ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “সোমবারের ঘটনাটি দেখিয়ে দিচ্ছে যে, কানাডায় চরমপন্থী শক্তির জন্য রাজনৈতিক সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে।”

    ভারতের উদ্বেগ (S Jaishankar)

    অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “কানাডায় হিন্দু মন্দিরে যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।” তিনি বলেন, “আপনারা আমাদের সরকারি মুখপাত্রের বিবৃতি এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রীর গতকালের উদ্বেগের প্রকাশ নিশ্চয়ই দেখেছেন। এতে বোঝা উচিত যে আমরা এই বিষয়ে কতটা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    জয়শঙ্করের বক্তৃতায় উঠে এসেছে ভারত এবং কানাডার মধ্যে হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যা মামলার নিয়ে কূটনৈতিক বিরোধের প্রসঙ্গও। জয়শঙ্কর বলেন, “কানাডা নির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়াই অভিযোগ করেছে। তাই ভারতের কাছে এই অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়।” ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “আমায় আপনারা তিনটি মন্তব্য করার সুযোগ দিন। এক, কানাডা প্রায়ই কোনও নির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়াই অভিযোগ করে থাকে। দ্বিতীয়ত, যখন আমরা কানাডার দিকে তাকাই, তখন আমাদের কাছে এটা অত্যন্ত অগ্রহণযোগ্য যে তারা আমাদের কূটনীতিকদের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে। তৃতীয়ত, মন্দিরে আক্রমণের ঘটনাগুলি এবং তাদের ভিডিওগুলি দেখুন। আজকের দিনে, কানাডায় রাজনৈতিক পরিসরে যে পরিমাণ জায়গা চরমপন্থী শক্তিরা পাচ্ছে, তা ভিডিওগুলি থেকেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।” তিনি বলেন, “ভারত স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। তবে স্বাধীনতার অপব্যবহার করা উচিত নয়। ভারত এই বিষয়টি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আলোচনাও করেছে।”

    আরও পড়ুন: “কংগ্রেস ও জোটসঙ্গীরা ঝাড়খণ্ডকে গরিব করে রেখেছে”, তোপ মোদির

    প্রসঙ্গত, হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনার নিন্দা করে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “কানাডায় হিন্দু মন্দিরে ইচ্ছাকৃত এই হামলার তীব্র নিন্দা করছি। আমাদের কূটনীতিকদেরও কাপুরুষের মতো ভয় দেখানোর চেষ্টা হয়েছে। এই ধরনের হিংসা ভারতের সঙ্কল্পকে দুর্বল করতে পারবে না।” এই ঘটনার বিরুদ্ধে কানাডা সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

    বিবৃতি জারি করা হয়েছে বিদেশমন্ত্রকের তরফেও। মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “গতকাল (রবিবার) অন্টারিওর ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরে (Attack On Hindu Temple) চরমপন্থী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার নিন্দা করছি (S Jaishankar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Indresh Kumar: “কানাডা সরকারের উচিত কড়া ব্যবস্থা নেওয়া”, মন্দিরে হামলা প্রসঙ্গে বললেন ইন্দ্রেশ

    Indresh Kumar: “কানাডা সরকারের উচিত কড়া ব্যবস্থা নেওয়া”, মন্দিরে হামলা প্রসঙ্গে বললেন ইন্দ্রেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কানাডা সরকারের উচিত সমস্ত ধর্মীয় স্থানগুলির সুরক্ষার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া, যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।” সোমবার এমনই মন্তব্য করলেন আরএসএসের প্রবীণ নেতা ইন্দ্রেশ কুমার (Indresh Kumar)।  কানাডার ব্রাম্পটনের হিন্দু মন্দিরে আক্রমণের (Attack On Hindu Temple) নিন্দা করেন ইন্দ্রেশ। ঘটনাটিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ ও ‘অমানবিক’ আখ্যা দেন তিনি।

    কী বললেন ইন্দ্রেশ? (Indresh Kumar)

    এর পরেই ইন্দ্রেশ বলেন, “কানাডার সরকারের উচিত সমস্ত ধর্মীয় স্থানের সুরক্ষার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া, যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে আরএসএসের এই নেতা বলেন, “বিশ্বের যে কোনও জায়গায় বসবাসকারী শিখ সম্প্রদায় এই ঘটনার নিন্দা করবে।” ইন্দ্রেশ বলেন, “কানাডার মন্দিরে আক্রমণটি দুর্ভাগ্যজনক এবং অমানবিক। আমি নিশ্চিত যে কেবলমাত্র ভারতের শিখ সম্প্রদায়ই নয়, বরং গোটা বিশ্ব এই ঘটনার নিন্দা করবে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ করবে। তিনি বলেন, ধর্মের সুরক্ষার জন্যই খালসার সৃষ্টি হয়েছিল, ধর্মের ক্ষতি করার জন্য নয়।”

    আরও পড়ুন: নয়াদিল্লির চাপে পড়েই কি ‘বিদ্রোহী’ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করল কানাডা?

    ঝান্ডার ডান্ডা দিয়ে মার পুণ্যার্থীদের

    রবিবার কানাডার একটি হিন্দু মন্দিরে হামলা চালায় খালিস্তানপন্থীরা। মন্দিরে যাওয়া পুণ্যার্থীদেরও রেয়াত করেনি তারা। ঝান্ডার ডান্ডা দিয়ে তাঁদের বেধড়ক মারধর করতে থাকে বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার ভিডিও-ও ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, খালিস্তানপন্থীদের ঝান্ডা হাতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে একদল মানুষ। এদের (Indresh Kumar) মধ্যে কানাডার এক পুলিশকর্মীও ছিলেন। পরে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। কানাডা পুলিশের মুখপাত্র রিচার্ড জানান, ভিডিওটি কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। বিক্ষোভের সময় ওই পুলিশ কর্মী কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন না। কানাডার সম্প্রদায় সুরক্ষা ও পুলিশ আইন অনুসারে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ওই দিন ওই মন্দিরে ঠিক কী ঘটেছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এর পর থেকে বিক্ষোভ যাতে শান্তিপূর্ণ থাকে, তা নিশ্চিত করতে আরও বেশি সংখ্যক পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হবে।

    প্রসঙ্গত, কানাডার ওই মন্দিরে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিদেশ মন্ত্রকের তরফেও ঘটনার (Attack On Hindu Temple) কড়া সমালোচনা করা হয়েছে (Indresh Kumar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Canada Relation: নয়াদিল্লির চাপে পড়েই কি ‘বিদ্রোহী’ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করল কানাডা?

    India Canada Relation: নয়াদিল্লির চাপে পড়েই কি ‘বিদ্রোহী’ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করল কানাডা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় (Canada) হিন্দু মন্দিরের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন খালিস্তানপন্থীরা। বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন এক পুলিশ কর্মীও। খালিস্তানপন্থীদের হলুদ পতাকা হাতে বিক্ষোভ-আন্দোলনে দেখা গিয়েছে তাঁকে (India Canada Relation)। হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনায় কানাডা প্রশাসনের তীব্র নিন্দা করেছে ভারত।

    পুলিশ কর্মী সাসপেন্ড (India Canada Relation)

    প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টির অন্দরেও বিষয়টি নিয়ে জোরদার চর্চা হয়েছে। ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়ে ওই পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করেছে কানাডা প্রশাসন। সাসপেন্ডেড পুলিশ কর্মীর নাম হরিন্দর সোহি। কানাডার পিল অঞ্চলে সার্জেন্ট পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। সোহিকে সাসপেন্ড করার কথা জানিয়েছেন পিল অঞ্চলের পুলিশের মুখপাত্র রিচার্ড চিন।

    মন্দিরে হামলায় ছিলেন ওই পুলিশ কর্মীও!

    রবিবার ব্রাম্পটনে হিন্দু সভা মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন কয়েকজন পুণ্যার্থী। ওই সময় মন্দিরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কয়েকজন খালিস্তানপন্থী। বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল খালিস্তানপন্থী সংগঠনের ঝান্ডা, লাঠি। অভিযোগ, ভক্তরা মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করতেই তাঁদের ওপর হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। মারধর করা হয় পুণ্যার্থীদের। এই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। তাতে দেখা গিয়েছে সোহিকে। খালিস্তানপন্থী পতাকা হাতে (India Canada Relation) তিনিও ছিলেন বিক্ষোভকারীদের মধ্যে।

    আরও পড়ুন: কানাডায় হিন্দু মন্দিরে ‘ইচ্ছাকৃত’ হামলার তীব্র নিন্দা করলেন প্রধানমন্ত্রী, ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান

    ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায়। হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় নয়াদিল্লি। এর পরেই চাপে পড়ে যায় ট্রুডো সরকার। কানাডা পুলিশের মুখপাত্র রিচার্ড জানান, ভিডিওটি কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। বিক্ষোভের সময় তিনি কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন না। কানাডার সম্প্রদায় সুরক্ষা ও পুলিশ আইন অনুসারে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ওই দিন ওই মন্দিরে ঠিক কী ঘটেছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এর পর থেকে বিক্ষোভ যাতে শান্তিপূর্ণ থাকে, তা নিশ্চিত করতে আরও বেশি সংখ্যক পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে পিল রিজিওনাল পুলিশ।

    ব্রাম্পটনের মেয়র প্যাট্রিক ব্রাউন বলেন, “প্রার্থনাস্থলের সামনে যাতে বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ হয়, তা নিয়ে সিটি কাউন্সিলে শীঘ্রই প্রস্তাব পেশ করা হবে। শহরের সলিসিটরদের বিষয়টি পর্যালোচনা করতেও বলা হয়েছে।” আগামী সিটি কাউন্সিলের বৈঠকে (Canada) এ সংক্রান্ত আইনি ধারার বৈধতা নিয়ে আলোচনা হবে বলেও জানান তিনি (India Canada Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share