Tag: Canada

Canada

  • Justin Trudeau: মুখ পুড়ল ট্রুডোর! নিজ্জর হত্যায় ভারত-যোগের প্রমাণ নেই, বলছে কানাডার রিপোর্টই

    Justin Trudeau: মুখ পুড়ল ট্রুডোর! নিজ্জর হত্যায় ভারত-যোগের প্রমাণ নেই, বলছে কানাডার রিপোর্টই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ ছাড়াই নিজ্জর খুনে ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। এবার নিজের দেশের রিপোর্টেই জানা গেল ট্রুডোর দাবি ভিত্তিহীন। স্বাভাবিকভাবেই মুখ পুড়ল কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রীর। কানাডার রিপোর্টেই সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নিজ্জর হত্যায় (Nijjars Killing) কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের যোগের নির্দিষ্ট প্রমাণ নেই।

    নিজ্জর খুনে কানাডার অভিযোগ (Justin Trudeau)

    ২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার সারেতে একটি গুরুদ্বারের বাইরে খুন হন খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং পুরী নিজ্জর। ওই ঘটনায় ভারতীয় এজেন্টের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন ট্রুডো। কেবল দাবি করাই নয়, কানাডার সংসদেও এমন দাবি করেছিলেন তিনি। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ পত্রপাঠ খারিজ করেছিল ভারত। নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, নিজ্জর খুনে ভারতের কোনও হাত নেই। এবার কানাডা কমিশনের নয়া রিপোর্টেও জানিয়ে দেওয়া হল, খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জর খুনে ভারতের হাতই নেই। মঙ্গলবার ‘পাবলিক ইনকোয়ারি ইনটু ফরেন ইন্টারফেয়ারেন্স ইন ফেডারেল ইলেক্টোরাল প্রসেসেস অ্যান্ড ডেমোক্র্যাটিক ইনস্টিটিউশনস’ শীর্ষক রিপোর্টেই এ কথা জানানো হয়েছে।

    ভারত-কানাডা সম্পর্কের অবনতি

    খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জর খুনের জেরে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ছ’জন ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করে কানাডা। পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে ভারতও বহিষ্কার করে কানাডার ছ’জন কূটনীতিককে। নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের জেরে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভারত-কানাডার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। পরবর্তীকালে দুই দেশের সম্পর্কের আরও অবনতি হয়। ১২৩ পাতার ওই রিপোর্টে কমিশনার মেরি জোসি হোগ বলেন (Justin Trudeau), “বিভ্রান্তিমূলক তথ্যকে এখানে একটি প্রতিশোধমূলক কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, যা রাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থী সিদ্ধান্তগুলির জন্য হুমকির কারণ হতে পারে।” অর্থাৎ ভারতের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে কমিশনের রিপোর্টে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যায় সন্দেহভাজন ভারতীয় জড়িত থাকার বিষয়ে কানাডার সংসদে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের পরে পাল্টা ভারতের তরফে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার করা হয়েছে। তবে রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে বিদেশের যোগ নেই (Nijjars Killing)।

    কী বলছে কমিশনের রিপোর্ট

    জানা গিয়েছে, কানাডার নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং সে দেশের গণতান্ত্রিক সংগঠনগুলির ওপর বিদেশিদের হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্ত করছিল ওই কমিশন। সেই কমিশনের রিপোর্টেই বলা হয়েছে, নিজ্জর খুনে কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের ভূমিকা রয়েছে বলে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অথচ কানাডার প্রধানমন্ত্রী ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলার পরে পরেই গত মে মাসে নিজ্জর খুনের অভিযোগে চারজন ভারতীয় এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে গ্রেফতার করে কানাডা পুলিশ। চলতি মাসেই জামিন পান তাঁরা। এঁরা হলেন করণ ব্রার, আমনদীপ সিং, কমলপ্রীত সিং এবং করণপ্রীত সিং। অবশ্য জামিন মিললেও, জেলমুক্তি হয়নি তাঁদের। জানা গিয়েছে, পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত বন্দিদশা ঘুঁচবে না ওই চার অভিযুক্তের (Justin Trudeau)। ঘরে-বাইরে অসন্তোষের জেরে ইতিমধ্যেই কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ট্রুডো। তবে এখনও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এমতাবস্থায় প্রকাশ্যে এল কমিশনের রিপোর্ট। যে রিপোর্টের জেরে আদতে মুখ পুড়ল স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর।

    উপযুক্ত জবাব দিয়েছিল ভারতের বিদেশমন্ত্রক

    গত অক্টোবরেই কানাডা সরকার অভিযোগ করেছিল, বিচ্ছিন্নতাবাদী খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে খুনের ঘটনায় ভারত জড়িত। কিন্তু বুধবার সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানান, এই বিষয়ে তাঁদের কাছে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। আছে কেবল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রাপ্ত কিছু ধারণা। সেই সব সম্ভাবনার কথা ভারতকে জানানো হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন ট্রুডো। ট্রুডোর ওই স্বীকারোক্তির পরে পরেই বিবৃতি দেয় বিদেশমন্ত্রক। কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে তোপ (Nijjars Killing) দেগে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মন্ত্রক জানায়, তারা যা বলে আসছিল, তা-ই অবশেষে সত্যি হল (Justin Trudeau)। সেই সময় বিদেশমন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল (Justin Trudeau), অভিযোগের প্রেক্ষিতে কানাডা আমাদের কাছে কোনও প্রমাণ দেয়নি। তার পরেই কানাডার প্রধানমন্ত্রীর রুক্ষ আচরণের নিন্দা করে নয়াদিল্লির তরফে বলা হয়, ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে যে প্রভাব পড়েছে, তার দায় কেবল ট্রুডোর।

    নিজ্জরকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা

    ২০২০ সালে খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জরকে সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণা করে ভারত। এর ঠিক তিন বছর পর খুন হন খালিস্তানপন্থী ওই নেতা। তার পরেই ভারতকে কাঠগড়ায় তোলেন ট্রুডো স্বয়ং। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর এহেন অভিযোগের ভিত্তিতে দলের মধ্যেই সমালোচনার শিকার হন ট্রুডো। তিনি যতই ভারতকে নিশানা করেছেন, ততই তাঁর দলের মধ্যেই মাথাচাড়া দিয়েছে বিদ্রোহ। যার জেরে তাঁকে সরতে হয় প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে। চলতি বছরের শেষের দিকে কানাডায় সাধারণ নির্বাচন। এই নির্বাচনে ট্রুডোকে সামনে রেখে লড়তে রাজি নয় তাঁর দল। সেটাও ট্রুডোকে সরিয়ে দেওয়ার একটা বড় কারণ। এমতাবস্থায় ট্রুডোর মুখোশ খুলে দিল তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট (Nijjars Killing)।

    এর পর ফের প্রার্থী হলে আদৌ জিততে পারবেন তো কানাডার প্রধানমন্ত্রী (Justin Trudeau)?

  • India Canada Relation: কানাডার নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ, পত্রপাট খারিজ করল ভারত

    India Canada Relation: কানাডার নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ, পত্রপাট খারিজ করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার সাধারণ নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ ভারতের বিরুদ্ধে (India Canada Relation)। খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকে কেন্দ্র করে এমনিতেই ভারত-কানাডা সম্পর্ক তলানিতে (Election Meddling)। তার পর এমনতর অভিযোগ করায় কানাডাকে মোক্ষম জবাব দিল ভারত।

    কানাডার দাবি (India Canada Relation)

    কানাডার বিদেশি হস্তক্ষেপ কমিশনের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, কানাডার নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ কমিশন একটি রিপোর্টে দাবি করেছে, কানাডার নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপের নিরিখে চিনের পরেই সব চেয়ে সক্রিয় দেশ হল ভারত। সেই অভিযোগ খারিজ করে দিল নয়াদিল্লি।

    পাল্টা দাবি ভারতের

    ভারতের পাল্টা দাবি, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে কানাডা। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা একটি রিপোর্টে দেখেছি যেখানে ভারতের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কানাডাই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে লাগাতার হস্তক্ষেপ করছে। অবৈধ অভিবাসন এবং সংগঠিত অপরাধের পরিবেশ তৈরি করছে।’ ওই রিপোর্টে ‘ভারতের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ খারিজ করছি। আশা করছি, অবৈধ অভিবাসনে উৎসাহ দেওয়া বন্ধ হবে।’

    প্রসঙ্গত, কানাডিয়ান কমিশন ১২৩-পৃষ্ঠার রিপোর্টে উল্লেখ করেছে যে চিনের পর ভারত কানাডার নির্বাচনে হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সর্বাধিক জড়িত দেশ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, “ভারত কানাডায় নির্বাচনী বিদেশি হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সর্বাধিক সক্রিয় দেশ। গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের মতো, ভারতও বিশ্ব মঞ্চে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। কানাডা এবং ভারত কয়েক দশক ধরে একসঙ্গে কাজ করেছে, তবে এই সম্পর্কের কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো দীর্ঘদিনের এবং এগুলো ভারতের বিদেশি হস্তক্ষেপ কার্যকলাপকে প্রভাবিত করে (India Canada Relation)।”

    গত মে মাসে প্রাথমিক রিপোর্টে চিনকে নিশানা করেছিল কানাডা। জানিয়েছিল, কানাডার বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে হস্তক্ষেপ করছে চিন। কিন্তু চূড়ান্ত রিপোর্টে তারা জানিয়েছে, কানাডার নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়ে দ্বিতীয় সক্রিয় দেশ ভারত। কানাডার বিদেশি হস্তক্ষেপ কমিশনের নেতৃত্ব দিয়েছেন কমিশনার মারি জোস হগ। তদন্তে তিনি লিখেছেন, ‘চিনের মতো ভারত কূটনৈতিক অফিসার ও প্রক্সি এজেন্টদের (Election Meddling) মাধ্যমে হস্তক্ষেপ করেছে।’ ওই রিপোর্টে রাশিয়া, পাকিস্তান এবং ইরানকেও কানাডায় বিদেশি হস্তক্ষেপের তালিকায় রাখা হয়েছে (India Canada Relation)

  • Chandra Arya: কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত চন্দ্র আর্য, মসনদে কি এবার ‘গর্বিত হিন্দু’?

    Chandra Arya: কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত চন্দ্র আর্য, মসনদে কি এবার ‘গর্বিত হিন্দু’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম হিন্দু প্রধানমন্ত্রী (Canada PM Race) কি পেতে চলেছে কানাডা? কারণ, জাস্টিন ট্রুডোর ইস্তফার পর তাঁরই দল লিবারেল পার্টির পরিবহণমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা আনন্দের নাম ঘোরাফেরা করছিলই। এবার সেই দৌড়ে অবতীর্ণ হলেন আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত তথা নিজেকে ‘গর্বিত হিন্দু’ বলে পরিচয় দেওয়া চন্দ্র আর্য।

    সম্প্রতি ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান সংসদ সদস্য চন্দ্র আর্য (Chandra Arya) ঘোষণা করেছেন যে, তিনি লিবারেল পার্টির তরফে কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। রাজতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে কানাডাকে সার্বভৌম প্রজাতান্ত্রিক গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন চন্দ্র আর্য। ইতিমধ্যেই কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। যদিও পরবর্তী কেউ দায়িত্ব না নেওয়া পর্যন্ত তিনিই সবকিছু সামলাবেন।

    চন্দ্রের প্রতিশ্রুতি 

    পেশায় ইঞ্জিনিয়র ও কানাডার নেপিয়ানের সাংসদ চন্দ্র আর্য (Chandra Arya) । ভারতের কর্নাটকে জন্ম তাঁর। বৃহস্পতিবার এক্স পোস্টে তিনি জানান, কানাডাকে সার্বভৌম প্রজাতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চান তিনি। বিবৃতিতে চন্দ্র লেখেন, কানাডাবাসীর কাছে নিজের ভবিষ্যৎ নিজেই রচনা করার সুযোগ এসেছে। চন্দ্রের দাবি, তাঁর মন্ত্রিসভায় সংরক্ষণের ভিত্তিতে নয়, মেধার ভিত্তিতে আসন বণ্টন হবে। তাঁর প্রতিশ্রুতি, তিনি কানাডা পুনর্গঠনের জন্য একটি ‘ছোট এবং আরও দক্ষ’ সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আরও একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই কানাডিয়ান সাংসদ। তার মধ্যে অন্যতম অবসর গ্রহণের বয়স বাড়ানো। নাগরিকত্বের উপর ভিত্তি করে কর ব্যবস্থার প্রবর্তন ও প্যালেস্তাইনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। 

    কানাডার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার বার্তা

    ২০১৫ সালে প্রথম সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন চন্দ্র আর্য। প্রজন্মের পর প্রজন্ম কানাডায় বেশকিছু সমস্যা চলে আসছে, যেগুলির সমাধান আজও হয়নি বলে দাবি তাঁর। ক্ষমতায় এলে সেগুলিই আগে নিরসনের ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন চন্দ্র আর্য। কানাডার অর্থনীতিকেও ঘুরে দাঁড় করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ। তাঁর কথায়, “কানাডার মধ্যবিত্তরা জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কাজই করে চলেছে। এমনকী মরণকালেও তাদের দরিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। কঠোর হলেও সিদ্ধান্ত আমাদের এখনই নিতে হবে। অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে আমার কাছে উপায় রয়েছে। সেগুলি বাস্তবায়ন করতে আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।” কানাডাবাসীর কাছে সমর্থনের জন্য আহ্বানও জানান চন্দ্র আর্য।

    কর্নাটক থেকে কানাডা

    চন্দ্র আর্য (Chandra Arya)  কর্নাটকের সিরা তহশিলের দ্বারলু গ্রাম থেকে উঠে এসেছেন। তিনি ধরওয়াদের কৌশালি ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ থেকে এমবিএ করেন। ভারত থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জনের পর ২০ বছর আগে তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে কানাডায় চলে যান। রাজনীতিতে প্রবেশের আগে, তিনি প্রযুক্তি ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করেছেন। পরে ব্যবসা শুরু করেন। প্রথমে অটোয়ায় একটি দু-কামরার বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকতে শুরু করেন চন্দ্র। প্রথমে একজন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ শুরু করেন, তারপর ছোট ছোট শিল্প প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। পরে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন চন্দ্র। এরপর কানাডায় তিনি একটি ব্যাঙ্কে বিনিয়োগ পরামর্শক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। রাজনীতিতে আসার আগে, তিনি একটি ছোট প্রযুক্তিগত প্রতিরক্ষা সংস্থার এক্সিকিউটিভ হিসেবে ছয় বছর কাটান। ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো কানাডার পার্লামেন্টে নির্বাচিত হন চন্দ্র। ২০১৯ সালে পুনরায় নির্বাচিত হন তিনি।

    মাতৃভাষা নিয়ে গর্বিত চন্দ্র

    ২০২২ সালে কানাডার সংসদে তাঁর মাতৃভাষা কন্নড়ে বক্তৃতা দেওয়ার সময় চন্দ্র আর্য গর্বের সঙ্গে নিজের সাংস্কৃতিক শিকড়ের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। বলেছিলেন, “আমি কানাডিয়ান পার্লামেন্টে আমার মাতৃভাষা কন্নড় ভাষায় কথা বললাম। এই সুন্দর ভাষার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এবং প্রায় ৫ কোটি মানুষ এই ভাষায় কথা বলেন। ভারতের বাইরে বিশ্বের কোনও সংসদে এই প্রথম কন্নড় ভাষায় কথা বলা হচ্ছে।” 

    কানাডায় গর্বিত হিন্দু চন্দ্র

    কানাডার হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি তাঁর সমর্থনের কথা বারবার প্রকাশ্যে জানিয়েছেন চন্দ্র আর্য (Chandra Arya)। গতবছর নভেম্বর মাসে, চন্দ্র কানাডার পার্লামেন্টের সামনে একটি গৈরিক পতাকা উত্তোলন করেন, যাতে ‘ওম’ প্রতীক ছিল। তিনি হিন্দু হেরিটেজ মাস উদযাপন করেন এবং কানাডার রাজনৈতিক পরিসরে হিন্দু কানাডিয়ানদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান জানান। কানাডায় একের পর এক হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন চন্দ্র। এরপরই  নিষিদ্ধ খালিস্তানপন্থী সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (এসএফজে)-এর প্রধান গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের হুমকির মুখে পড়েন তিনি। কানাডায় খালিস্তানি উগ্রবাদের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন চন্দ্র। খালিস্তানি কট্টরপন্থীরা কানাডার বিভিন্ন অংশে ভারতবিরোধী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: যুক্তরাষ্ট্রে মিশবে কানাডা, গ্রিনল্যান্ড! আমেরিকার সীমানা বাড়াতে চান ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

    Donald Trump: যুক্তরাষ্ট্রে মিশবে কানাডা, গ্রিনল্যান্ড! আমেরিকার সীমানা বাড়াতে চান ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত বাড়ানোর অ্যাজেন্ডা শুরু করে দিলেন আমেরিকার হবু প্রেসিন্ডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ২০ জানুয়ারি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। তার আগেই তিনি শুরু করে দিলেন ‘কাজ’! তাঁর দাবি, কানাডা (Canada) হতে চলেছে আমেরিকার ৫১তম স্টেট (প্রদেশ)। কেবল মুখের কথাই নয়, এ সংক্রান্ত ম্যাপও শেয়ার করে দিয়েছেন ট্রাম্প।

    কানাডা আমেরিকারই! (Donald Trump)

    সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে দুটি ম্যাপ শেয়ার করেছেন ট্রাম্প। একটিতে তিনি দেখিয়েছেন, কানাডা আমেরিকারই অন্তর্গত আর একটি স্টেট। প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার পর কানাডা দখলে তিনি অর্থনৈতিক বাহিনী পাঠাবেন বলেও দাবি করেছেন সাংবাদিক সম্মেলনে। তাঁর প্রতিশ্রুতি, তিনি মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে ‘আমেরিকার উপসাগর’ রাখবেন এবং নেটো মিত্রদের কাছ থেকে অনেক বেশি প্রতিরক্ষা ব্যয় দাবি করবেন। তিনি বলেন, “কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র এক সঙ্গে হলে, সেটা সত্যিই অসাধারণ কিছু হবে।” হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আপনি যদি সেই কৃত্রিমভাবে আঁকা লাইনটি (মার্কিন-কানাডা সীমান্ত) সরিয়ে দেন এবং দেখেন এটি কেমন দেখায়, তবে এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও অনেক ভালো হবে।” ট্রাম্প কানাডিয়ান পণ্য ও দেশের সামরিক সাহায্যের জন্য আমেরিকার ব্যয়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন। বলেন, “ওয়াশিংটন তার থেকে কোনও উপকার পায় না।” এই প্রথম নয়। গতমাসেও কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত করার জোর সওয়াল করেছিলেন ট্রাম্প। এমনকি, তিনি সেই সময়ে ট্রুডোকে ‘কানাডার গভর্নর’ বলেও অভিহিত করেছিলেন।

    পানামা খাল পুনরুদ্ধার!

    প্রেস কনফারেন্সে ট্রাম্প পানামা খাল পুনরুদ্ধার ও ডেনমার্ক থেকে গ্রিনল্যান্ড অধিকার করার কথাও (Canada) বলেন। সীমান্ত বাড়ানোর অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টিও উড়িয়ে দেননি তিনি। হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্যই আমাদের প্রয়োজন মধ্য আমেরিকার বাণিজ্য পথ এবং ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল অধিকার করা। পানামা খাল আমাদের সামরিক উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল।” প্রসঙ্গত, নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরেই ট্রাম্প (Donald Trump) পানামা খাল সংযুক্ত করার ইচ্ছে পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন। পানামা খাল দিয়ে যাওয়া মার্কিন জাহাজগুলি থেকে অন্যায়ভাবে ফি আদায় করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি। ট্রাম্প জানান, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার মাঝখান দিয়ে প্রশান্ত ও আটলান্টিক মহাসাগরকে যুক্ত করা এই গুরুত্বপূর্ণ খালটি পরিচালনার কাজে চিনের কোনও খবরদারি তিনি বরদাস্ত করবেন না। পানামা প্রশাসন এই খালটির পরিচালন ব্যবস্থা সুরক্ষিত করতে না পারলে আমেরিকা সেটির নিয়ন্ত্রণভার নিজের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প।

    পানামা খালের গুরুত্ব

    সমুদ্রপথে সারা বিশ্বের মোট পণ্য পরিবহণের প্রায় ৫ শতাংশ ক্ষেত্রে পানামা খাল ব্যবহার করা হয়। আমেরিকা ছাড়াও পানামা খাল মূলত ব্যবহার করে চিন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। এই খাল ব্যবহার করলে দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণ উপকূল ঘুরে যেতে হয় না বলে সাশ্রয় হয় সময় ও জ্বালানি। নিজের সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছিলেন, আমাদের নৌবাহিনী এবং বাণিজ্যের প্রতি অত্যন্ত অন্যায় ও অবিবেচক আচরণ করা হচ্ছে। পানামা যে ফি নিচ্ছে, তা হাস্যকর (Canada)। আমাদের দেশকে নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার। ট্রাম্প বলেছিলেন, এই চ্যানেলটি চালাবে শুধুমাত্র পানামা, চিন বা অন্য কেউ নয়। পানামা যদি কাজটা সুরক্ষিত, দক্ষ ও নির্ভরযোগ্যভাবে করতে না পারে, তাহলে আমরা দাবি করব, বিনা প্রশ্নে পানামা খাল সম্পূর্ণভাবে আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হোক।   

    মেক্সিকো উপসাগরের নাম বদল!

    এদিন ট্রাম্প বলেন, “আমরা মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে আমেরিকার উপসাগর রাখব, যা একটি সুন্দর নাম। এটি অনেক অঞ্চলের ধারণা দেয়। আমেরিকার উপসাগর। কী সুন্দর একটি নাম এবং এটি যথার্থও।” নেটো সদস্যদের তাদের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের পাঁচ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করা উচিত বলেও মনে করেন ট্রাম্প। বলেন, “আমি মনে করি, নেটোর ৫ শতাংশ থাকা উচিত। তারা সবাই এটা করতে পারে (Canada)। ২ শতাংশ না হয়ে তাদের উচিত ৫ শতাংশে পৌঁছানো (Donald Trump)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Justin Trudeau: ঘরে-বাইরে সমালোচনার জের, আজই পদত্যাগ করছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো?

    Justin Trudeau: ঘরে-বাইরে সমালোচনার জের, আজই পদত্যাগ করছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদত্যাগ করতে চলেছেন কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)! কানাডার একটি সংবাদপত্রের দাবি, আজ, সোমবারই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতে পারেন তিনি। নিতান্তই যদি তা না হয়, তবে চলতি সপ্তাহে বুধবারের আগেই লিবারাল পার্টির নেতা হিসেবে পদত্যাগ করবেন ট্রুডো। সংবাদপত্র ‘দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেল’ এমনতর দাবি করলেও, প্রধানমন্ত্রীর দফতর কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।

    মুখ রক্ষা করার চেষ্টা ট্রুডোর! (Justin Trudeau)

    দলীয় সদস্যপদ ছাড়ার পরেও তিনি প্রধানমন্ত্রী থেকে যাবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, চলতি বছর অক্টোবরে কানাডায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হওয়ার কথা। বিভিন্ন সংস্থার করা সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, ওই নির্বাচনে ট্রুডোর দলের পরাজয় এক প্রকার অবশ্যম্ভাবী। হারতে পারেন ট্রুডো স্বয়ংও। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই আগেভাগে পদত্যাগ করে মুখ রক্ষা করতে চাইছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। কানাডার সংসদের বহু সাংসদ ট্রুডোর অপসারণ চাইছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিন, চাইছেন তাঁর দলের সাংসদরাও। এমতাবস্থায় ট্রুডোর কাছে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়া ছাড়া আর কোনও পথ খোলা নেই বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    প্রধানমন্ত্রী পদে ৯ বছর

    ২০১৩ সালে লিবারাল পার্টির নেতা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ট্রুডো। গত ৯ বছর ধরে তিনি রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পদে। নানা কারণে বর্তমানে তাঁর জনপ্রিয়তা এখন তলানিতে। তাঁর আন্তর্জাতিক নীতি নিয়েও দেশের মধ্যেই সমালোচিত হয়েছেন তিনি। আগামী নির্বাচনে ট্রুডোর (Justin Trudeau) দল গোহারা হারবে বলে বিভিন্ন নির্বাচনী সমীক্ষায় ইঙ্গিত মিলেছে। আগামী নির্বাচনে কানাডায় কনজারভেটিভ পার্টি ক্ষমতায় আসছে বলেও জানিয়েছে ওই সমীক্ষা। এহেন পরিস্থিতিতে কিছুদিন আগে হঠাৎই পদত্যাগ করেন কানাডার উপমুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। তার পর থেকে দেশের অভ্যন্তরে ট্রুডো-বিদ্বেষ বাড়ছে বই কমছে না।

    আরও পড়ুন: সাধুর ভিড়ে মহাকুম্ভে হানা দিতে পারে জঙ্গিরা, কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা

    সমস্যা মেটানোর যে কোনও চেষ্টা ট্রুডো করেননি, তা নয়। মন্ত্রিসভায় রদবদল করেছেন তিনি। তার পরেও অব্যাহত রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাওয়ার চাপ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ট্রুডো পদত্যাগ করলে এগিয়ে আনা হতে পারে সাধারণ নির্বাচন। ততদিন কে চালাবেন দেশ, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবর। ভারত বিরোধিতার খেসারত কি ট্রুডোকে (Justin Trudeau) গদি হারিয়েই দিতে হবে? প্রশ্নটা কিন্তু উঠছেই (Canada)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Anita Anand: ট্রুডোর পরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার অনিতা আনন্দ, চেনেন তাঁকে?

    Anita Anand: ট্রুডোর পরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার অনিতা আনন্দ, চেনেন তাঁকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত বিদ্বেষ এবং ‘খালিস্তানপন্থী-প্রেমী’ সাজাই ‘কাল’ হয়েছিল কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর। তার জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতে হয়েছে তাঁকে। সোমবারই পদত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেছন লিবারেল পার্টির এই নেতা। গত ৯ বছর ধরে কানাডায় রাজ করছিলেন ট্রুডো। সোমবার রাতে অবসান ঘটল তার।

    তালিকায় অনিতা আনন্দ (Anita Anand)

    কানাডার সম্ভাব্য নয়া প্রধানমন্ত্রী কে, তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এই তালিকায় ওপরের দিকে রয়েছেন ট্রুডো সরকারের পরিবহণমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা আনন্দ (Anita Anand)। তিনি যদি ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হন, তাহলে তা হবে আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূতের বিশ্বজয়। প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। কানাডার সংসদীয় রীতি অনুসারে, এই পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন দল পরবর্তী নেতা নির্বাচনের জন্য ৯০ দিন সময় পাবে। এই তিন মাস কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালাবেন তিনি। সোমবারই তিনি জানিয়েছিলেন, আগামী ২৪ মার্চের মধ্যে তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচন করবে তাঁর দল লিবারেল পার্টি। এই ক’দিন স্থগিত থাকবে সংসদের অধিবেশন।

    কে এই অনিতা আনন্দ?

    ট্রুডো পদত্যাগ করতেই উত্তরসূরি বাছাই করতে কোমর কষে নেমে পড়েছে লিবারেল পার্টি। সেখানেই সামনের সারিতে রয়েছেন অনিতা (Anita Anand)। পরিবহণ দফতর সামলানো ছাড়াও নানা সময় জনসেবা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, কোষাগার বোর্ডের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। অনিতার জন্ম নোভা স্কোটিয়া প্রদেশের কেন্টভিলে। অনিতার বাবা তামিল, নাম এসভি (অ্যান্ডি) আনন্দ। মায়ের নাম সরোজ ডি রাম। পেশায় দুজনেই ছিলেন চিকিৎসক। অনিতার দুই বোন রয়েছেন। তাঁদের নাম গীতা ও সোনিয়া। 

    ঈর্ষনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা

    বছর সাতান্নর অনিতা (Anita Anand) অক্সফোর্ডের প্রাক্তনী। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা ঈর্ষনীয়। স্থানীয় কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলায় স্নাতক। এর পর, অক্সফোর্ড থেকে আইনশাস্ত্রে স্নাতক। ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক। পরে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে স্নাতকোত্তর লাভ করেন তিনি। রাজনীতিতে আসার আগে অধ্যাপনা করতেন অনিতা। সম্মানীয় ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে অধ্যাপনা করেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ভারত-বিরোধিতাই হল কাল! কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা ট্রুডোর, এগিয়ে আসছে নির্বাচন?

    রাজনৈতিক উত্থান

    ২০১৯ সালে রাজনীতির জগতে পা রাখার পরে পরেই দ্রুত দলে উত্থান ঘটতে থাকে অনিতার (Anita Anand)। সেই বছর ওকভিলের সাংসদ নির্বাচিত হন পলিটিক্যাল স্টাডিজের এই ছাত্রী। সাংসদ হওয়ার পরেই ঠাঁই হয় ট্রুডোর মন্ত্রিসভায়। তার জেরেই সটান চলে আসেন ট্রুডো মন্ত্রিসভায়। যুদ্ধের সময় ইউক্রেনকে ত্রাণ ও অন্যান্য সাহায্য পাঠানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, অনিতা ছাড়াও কানাডার (Canada) পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন মেলাইন জলি, ক্রিস্টিয়া, ফ্রিল্যান্ড, মার্ক কার্নি, ফ্রাঙ্কেইস-ফিলিপ শ্যাম্পেন প্রমুখ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Justin Trudeau: ভারত-বিরোধিতাই হল কাল! কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা ট্রুডোর, এগিয়ে আসছে নির্বাচন?

    Justin Trudeau: ভারত-বিরোধিতাই হল কাল! কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা ট্রুডোর, এগিয়ে আসছে নির্বাচন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী তথা লিবারেল পার্টির নেতা পদে ইস্তফা দিলেন জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগই করলেন ট্রুডো। সোমবার রাজধানী অটোয়ায় তাঁর বাসভবন রিডো কটেজের বাইরে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে ইস্তফার কথা জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী। দল নতুন নেতা নির্বাচিত না করা পর্যন্ত আপাতত তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাবেন, জানিয়েছেন ট্রুডো।

    কী বললেন ট্রুডো? (Justin Trudeau)

    তিনি বলেন, “কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে চাই। আমার এই ইচ্ছের কথা আমি দল ও গভর্নরকে জানিয়েছি। দল নতুন নেতা নির্বাচন করার পর দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দেব।” তিনি বলেন, “এই বছরের শেষের দিকে নির্বাচন হবে। তা না হওয়া পর্যন্ত দল ও কানাডার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য একজন নতুন নেতা খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এজন্য আমি ২৪ মার্চ পর্যন্ত সংসদ স্থগিত করছি।”

    প্রধানমন্ত্রী পদে ৯ বছর

    গত ৯ বছর ধরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন ট্রুডো। এই পর্বে তাঁর দল লিবারেল পার্টির নেতাও ছিলেন তিনি। খালিস্তানপন্থীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখার অভিযোগ ওঠে ট্রুডোর দলের অন্দরেই। তা নিয়ে ভারতের সঙ্গেও দূরত্ব তৈরি হয় ট্রুডোর দেশের। কানাডার আন্তর্জাতিক নীতি নিয়েও দল এবং বিরোধীদের প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েন ট্রুডো। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, তারই খেসারত দিতে হল ট্রুডোকে (Justin Trudeau)। কানাডার সংসদীয় রীতি অনুসারে, এই পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন দল পরবর্তী নেতা নির্বাচনের জন্য ৯০ দিন সময় পাবে।

    আরও পড়ুন: মোদিকে বিদায়ী চিঠি বাইডেনের! দুই দেশের সম্পর্ককে শক্ত করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    চলতি বছরের শেষের দিকে কানাডায় সংসদ নির্বাচন। ২০২৩ সালেই বিভিন্ন নির্বাচনী সমীক্ষায় ইঙ্গিত মিলেছিল কানাডার সিংহভাগ বাসিন্দাই ট্রুডোকে পছন্দ করছেন না। ট্রুডোর ভারত বিরোধিতার পর দলেও তাঁর বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত হচ্ছিল ক্ষোভের আগুন। সমীক্ষা বলছে, আগামী নির্বাচনে কানাডায় ধরাশায়ী হবে ট্রুডোর দল। গোহারা হারবেন স্বয়ং ট্রুডো। ক্ষমতায় আসতে পারে কনজারভেটিভ পার্টি। পরাজয়ের আঁচ পেয়ে কিছুদিন আগেই পদত্যাগ করেন কানাডার উপ-প্রধানমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। তার পর থেকে দিন যত গিয়েছে, ততই বেড়েছে ট্রুডো বিরোধীদের সংখ্যা। মন্ত্রিসভায় রদবদল করেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেননি ট্রুডো। রাজনৈতিক মহলের মতে (Canada), নিতান্তই নিরুপায় হয়ে পদত্যাগ করলেন ট্রুডো (Justin Trudeau)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Justin Trudeau: পরিবর্তনের অপেক্ষায় কানাডা! পতনের পথে জাস্টিন ট্রুডোর সরকার

    Justin Trudeau: পরিবর্তনের অপেক্ষায় কানাডা! পতনের পথে জাস্টিন ট্রুডোর সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় (Canada) ট্রুডোর একদা ‘বন্ধু’ বলে পরিচিত রাজনৈতিক শিবির নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টিও (এনডিপি) সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছে। ট্রুডো সরকারের (Justin Trudeau) বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এনডিপির নেতা জগমিত সিং। আগামী বছরের ২৭ জানুয়ারি কানাডার পার্লামেন্ট বসছে। সেই সময়েই এই অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে।

    নতুন সরকারের অপেক্ষায় কানাডা

    সমাজমাধ্যমে এনডিপি নেতা লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হল সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করা, ক্ষমতাবানদের জন্য নয়। এই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন ট্রুডো।” ট্রুডোর সরকারকে (Justin Trudeau) ভেঙে দিয়ে কানাডাবাসীকে নতুন সরকার বেছে নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। কানাডার পার্লামেন্টের হাউস অফ কমনসে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই ট্রুডোর লিবারেল পার্টির। সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে অন্য দলের সমর্থন প্রয়োজন তাদের। হাউস অফ কমন্‌সে মোট জনপ্রতিনিধির সংখ্যা ৩৩৮। কিন্তু লিবারেলের রয়েছে ১৫৩ আসন। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় এনডিপির সাহায্য নিতে হয় তাদের। হাউস অফ কমন্‌সে এনডিপির রয়েছে ২৫ জন জনপ্রতিনিধি। ফলে সেই সমর্থন না পেলে ট্রুডোর দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখা কঠিন হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন অনেকে। ট্রুডোর সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে ২০২৫ সালের নির্বাচনের আগে আস্থা ভোটে পরাজয়। 

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী মোদির ঐতিহাসিক সফর! ভারত কুয়েতের মধ্যে ৪টি মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত

    আন্তর্জাতিক স্তরে ট্রুডোর বিরোধিতা

    আন্তর্জাতিক স্তরেও ট্রুডোর (Justin Trudeau)  বিরুদ্ধে বিরোধিতা বাড়ছে। ভারত সরকারের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি হয়েছে, এবং হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ট্রুডোকে ‘দুর্বল’ এবং ‘বামপন্থী উন্মাদ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাকি বিরোধী দলগুলি জগমিতের সঙ্গে থাকলে ভেঙে যেতে পারে ট্রুডোর সরকার। সরকারের মেয়াদ পূরণের আগেই হতে পারে নির্বাচন। সম্প্রতি কানাডার শাসক শিবির লিবারেল পার্টির অন্দরেও ট্রুডোর ইস্তফার দাবি উঠে আসতে শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Donald Trump: চিন-কানাডার পণ্যে চড়া আমদানি শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

    Donald Trump: চিন-কানাডার পণ্যে চড়া আমদানি শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কা ছিলই। শেষমেশ সত্যিই হল। প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার আগেই বড় ঘোষণা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাবী (এখনও শপথ নেননি) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়ে দিলেন তাঁর আগামী বাণিজ্য-নীতির কথা। তিনি বলেন, “২০ জানুয়ারি, আমার প্রথম এক্সিকিউটিভ নির্দেশগুলোর একটি হিসেবে, আমি সমস্ত প্রয়োজনীয় নথিতে স্বাক্ষর করব, যা মেক্সিকো এবং কানাডা (Tariffs On China Canada) থেকে আমেরিকায় প্রবেশ করা সমস্ত পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে।”

    শুল্ক আরোপ (Donald Trump)

    তিনি যে মেক্সিকো, কানাডা এবং চিন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ব্যাপক শুল্ক আরোপ করবেন, সেই ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন। সোমবার রীতিমতো ঘোষণাই করে দিলেন। নিজের ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে একাধিক পোস্টে ট্রাম্প জানান, ‘তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারদের থেকে আমদানিকৃত সব পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করবেন।’ অন্য একটি পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘অতিরিক্ত শুল্কের বাইরে তিনি চিনের ওপরও ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন।’ তিনি বলেন, “ফেন্টানিল পাচার মোকাবিলায় ব্যর্থতার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই শুল্ক আরোপ করা হবে।”

    ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি

    প্রসঙ্গত, শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে তিনি মিত্র এবং প্রতিপক্ষ উভয়ের উপরই ব্যাপক শুল্ক আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এদিন সেই সংক্রান্ত ঘোষণাটিই করলেন ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া দিতে দেরি করেনি চিন ও কানাডা। দুই দেশই জানিয়েছে, আমেরিকার সঙ্গে তাদের প্রত্যেকের বাণিজ্যিক সহযোগিতা ‘মিউচুয়ালি বেনিফিসিয়াল’। চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ জানান, কেউই বাণিজ্য যুদ্ধে জয়ী হবে না। ফেন্টানিল পাচার রোধে চিনের প্রচেষ্টার পক্ষে সাফাইও গেয়েছেন তিনি। লিউ বলেন, “চিন বিশ্বাস করে, চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা প্রকৃতিগতভাবে মিউচুয়ালি বেনিফিসিয়াল।”       

    কানাডা জানিয়েছে, এটি আমেরিকার জ্বালানি সরবরাহের জন্য অপরিহার্য এবং এই (Donald Trump) সম্পর্ক আমেরিকার শ্রমিকদের জন্যও উপকারী। কানাডার উপ প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা অবশ্যই নতুন প্রশাসনের সঙ্গে এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাব।”

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গ্রেফতার নিপীড়িত হিন্দুদের মুখ চিন্ময় প্রভু

    উল্লেখ্য যে, এর আগের দফায় হোয়াইট হাউসে থাকাকালীন, ট্রাম্প চিনের সঙ্গে সর্বাত্মক বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছিলেন। শত শত বিলিয়ন ডলারের চিনা পণ্যের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ করেছিলেন। সেই সময় তিনি যুক্তি হিসেবে (Tariffs On China Canada) উল্লেখ করেছিলেন অন্যায্য বাণিজ্য প্রথা, মেধাস্বত্ব চুরি এবং বাণিজ্য ঘাটতির কথা (Donald Trump)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: নিজ্জর খুনের ঘটনা জানতেন না মোদি-জয়শঙ্কর-ডোভাল, দিল্লির চাপে ‘ঢোঁক গিলল’ ট্রুডো সরকার

    PM Modi: নিজ্জর খুনের ঘটনা জানতেন না মোদি-জয়শঙ্কর-ডোভাল, দিল্লির চাপে ‘ঢোঁক গিলল’ ট্রুডো সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নিজ্জর খুনের ঘটনায় কানাডার (Canada) সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় যে জঙ্গি হত্যার ষড়যন্ত্রের কথা নাকি জানতেন খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। এবার চাপে পড়ে সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত রিপোর্টকে খারিজ করল সে দেশের সরকার। প্রসঙ্গত, কানাডার সংবাদমাধ্যমে এমন খবর সামনে আসতেই নয়া দিল্লির তরফে প্রবলভাবে বিরোধ করা হয়। ঠিক এই পরিস্থিতিতে, শুক্রবারে জাস্টিন ট্রুডো সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিয়েছে। শুক্রবার ট্রুডো সরকার বলেছে, ‘‘খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী হরদীপ সিংহ নিজ্জর হত্যা-সহ কানাডায় কোনও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বা তার সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের যুক্ত করার কোনও প্রমাণ নেই।’’

    ১৩ অক্টোবর কানাডার বিবৃতিতে বলা হয় নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে জড়িত রয়েছেন কূটনীতিক সঞ্জয় কুমার বর্মা

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর কানাডা সরকারের তরফ থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয় এবং সেখানে জানানো হয়, নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন সে দেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জয় কুমার বর্মা। এর পরে সঞ্জয় সহ কয়েকজনকে দেশে ফিরিয়ে আনে ভারত সরকার। একই সঙ্গে কানাডার কয়েকজন কূটনীতিককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বহিষ্কার করে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। এর পাশাপাশি কানাডার আসন্ন পার্লামেন্ট নির্বাচনে খালিস্তানি গোষ্ঠীগুলির সমর্থন পাওয়ার জন্য জাস্টিন ট্রুডোর সরকার এমন বিতর্ক তৈরি করছে বলেও জানা কেন্দ্র।

    দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেল’-এর প্রতিবেদনে

    খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যা নিয়ে চলতি সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম জড়ানোর চেষ্টা হয়। কানাডার সংবাদপত্র ‘দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেল’-এর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, নিজ্জরকে খুনের পরিকল্পনার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সবটাই জানতেন। এর পাশাপাশি ষড়যন্ত্রের কথা জানতেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও। তবে এর স্বপক্ষে কোনও যুক্তি অবশ্য দিতে পারেনি কানাডার ওই সংবাদমাধ্যম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share