Tag: Canada

Canada

  • Sikhs For Justice: দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য কানাডা! কীভাবে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠল?

    Sikhs For Justice: দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য কানাডা! কীভাবে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডা (Canada)। বর্তমানে দেশটা হয়ে দাঁড়িয়েছে দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য। কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর জমানায় যা আরও বেড়েছে বলেও দাবি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের। দুষ্কৃতীদের এই স্বর্গরাজ্যেই ঘাঁটি গেড়েছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (Sikhs For Justice)। ভারতে নিষিদ্ধ খালিস্তানপন্থী এই জঙ্গি সংগঠনের চাঁই গুরুপন্ত সিং পান্নুন। তাঁকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ তোলা হয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে। এই পান্নুনের সংগঠনের ট্রুডোর অফিসের ওঠাবসা চলছে বছর তিনেক ধরে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ কথা কবুলও করেছেন পান্নুন। ট্রুডো মন্ত্রিসভা সংখ্যালঘু। সেই সরকার টিকে আছে জোড়াতালি দিয়ে, শিখদের সমর্থন নিয়ে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই সুড়ঙ্গ দিয়েই ট্রুডোর অফিসের লোকজনের সঙ্গে দহরম মহরম করছেন শিখস ফর জাস্টিসের লোকজন।

    খুলল ট্রুডো সরকারের মুখোশ (Sikhs For Justice)

    এই সংগঠনেরই নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর খুন হয় গত জুনে, কানাডা-ভূমে। ওই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে ট্রুডো সরকার। প্রমাণ চায় ভারত। প্রমাণ দিতে পারেনি ট্রুডো সরকার। তবে ট্রুডো সরকারের এই দোষারোপের পর ভারত-কানাডা সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। ‘বিকশিত ভারত’ পাশ থেকে সরে যাওয়ায় প্রমাদ গোণে ট্রুডো সরকার। ভারত-কানাডার ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক মেরামত করতে উদ্যোগী হন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো স্বয়ং। সম্প্রতি ট্রুডো প্রকাশ্যে কবুল করেন, নিজ্জর খুনে ভারতকে দোষারোপ করার সময় তাঁর কাছে কোনও প্রমাণ ছিল না। তার পরেই খুলে যায় ট্রুডো সরকারের মুখোশ।

    খালিস্তান-প্রীতি

    ট্রুডো সরকারের খালিস্তান-প্রীতি (Sikhs For Justice) নিয়ে সরব হয়েছেন সে দেশের বিরোধীরাও। তাঁদের দাবি, খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নিজ্জর খুনে অনাবশ্যক উত্তেজনা তৈরি করে ট্রুডো সরকার অন্যান্য বিষয়ে তাদের অকর্মণ্যতাকে আড়াল করতে চাইছে। কানাডার পিপলস পার্টির নেতা ম্যাক্সিম বার্নিয়ার বলেন, “নিজ্জর একজন বিদেশি সন্ত্রাসবাদী। তার পরেও তাঁকে ২০০৭ সালে জোর করে কানাডার নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।” তাঁর দাবি, ট্রুডো সরকারের উচিত প্রশাসনিক ভ্রান্তি দূর করে মরণোত্তরভাবে নিজ্জরের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া। বার্নিয়ার বলেন, “কানাডা সরকারের উচিত একজন জঙ্গির মৃত্যু নিয়ে এত জটিলতা তৈরি না করে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে মতভেদ মিটিয়ে ফেলা। কারণ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি কানাডার পক্ষেও গুরুত্বপূর্ণ।”

    নাৎসি-যোগ

    ২০১৮ সালে ট্রুডো সরকার চারজন রাশিয়ার কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছিল। রাশিয়া তৎকালীন কানাডিয়ান বিদেশমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের নাৎসি-যোগ প্রকাশ করার পরে আরও তিনজনের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিল। ‘গ্লোব অ্যান্ড মেইল’ ও অন্যান্য কানাডিয়ান মিডিয়ার দাবি, ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড প্রায় দু’দশক ধরে জানতেন, তাঁর মামাবাড়ির দাদুর সঙ্গে নাৎসি যোগ ছিল। সেই সময় ফ্রিল্যান্ড রাশিয়াকে বিভ্রান্তি ছড়ানোর ও কানাডিয়ান গণতন্ত্রকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছিলেন।ফ্রিল্যান্ডের অফিসের (Canada) দাবি ছিল, ফ্রিল্যান্ডের দাদুর সঙ্গে নাৎসিদের যোগ কোনওকালেই ছিল না। তবে লিবারেল পার্টি লিডারের দাদুর সঙ্গে যে নাৎসিদের সত্যিই যোগ রয়েছে, এটা রাশিয়া সরকারের মিথ্যে প্রচার নয়, তার স্বপক্ষে যথেষ্ঠ প্রমাণ ছিল। তার পরেও ফ্রিল্যান্ডের পাশে দাঁড়িয়েছে ট্রুডো সরকার, শাস্তি দিয়েছে রাশিয়ান কূটনীতিকদের।

    ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের দাদু

    ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের দাদু মাইখাইলো চমিয়াক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান মিলিটারি গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তিনি একটি প্রমিনেন্ট ইউক্রেনিয়ান পাবলিকেশনের এডিটর ছিলেন। এই পাবলিকেশন হিটলারকে নিয়ে হইচই করেছিল, প্রচার করেছিল তীব্র ইহুদি বিদ্বেষ। এই সংবাদপত্রের মাধ্যমেই নাৎসিদের প্রোপাগান্ডা চলত, ছড়ানো হত নাৎসিদের মতাদর্শ, হোয়াইটওয়াশ করা হত হলোকাস্টকে। যুদ্ধ শেষে চমিয়াক সপরিবারে ঢুকে পড়েন কানাডায়। সেই থেকে তাঁরা রয়েছেন ট্রুডোর দেশে, যোগাযোগও রয়েছে নাৎসিদের সঙ্গে।

    আরও পড়ুন: সোমবার পর্যন্ত সময়সীমা মমতাকে, না মানলে মঙ্গলে সর্বাত্মক ধর্মঘট, ঘোষণা ডাক্তারদের

    নাৎসি-প্রীতি

    ট্রুডোর নাৎসি-প্রীতিও প্রকাশ্যে আসে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। সেই সময় কানাডিয়ান হাউস অফ কমন্স দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রবীণ ইয়ারোস্লাভ হুঙ্কাকে সংবর্ধনা দেয় (Sikhs For Justice)। যদিও জানানো হয়নি হুঙ্কা নাৎসিদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি এসএস ইউনিটের সদস্য ছিলেন ১৯৪৩ সালে। ট্রুডোর নাৎসি-প্রীতির পর ইদানিং প্রকাশ্যে এসেছে তাঁর শিখস ফর জাস্টিস-প্রেমের কথা। যা নিয়ে ভারতের সঙ্গে কানাডার অশান্তির সূত্রপাত। যা নিয়ে ভারত-কানাডার বন্ধুত্বের সম্পর্কে ইতি।

    কানাডায় খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠনের বাড়বাড়ন্ত 

    পান্নুনের নেতৃত্বাধীন শিখস ফর জাস্টিস (Sikhs For Justice) ছাড়াও আরও অন্তত তিনটি খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠন লালিত-পালিত হচ্ছে ট্রুডো সরকারের জল-হাওয়ায়। এদের মধ্যে রয়েছে বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল। খালিস্তান আন্দোলনে নিবেদিত প্রাণ এই সংগঠন একাধিক জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। খালিস্তানপন্থীদের এই সংগঠনই এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান কনিষ্কয় বম্বিং করেছিল। যার জেরে মৃত্যু হয়েছিল ৩০০ জনেরও বেশি মানুষের।

    ১৯৮৪ সালে (Canada) ব্রিটেনে জন্ম হয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল শিখ ইয়ুথ ফেডারেশনের। এই সংগঠনেরও শাখা রয়েছে কানাডায়। কানাডার মাটিতে লালিত হয়েছে প্রয়াত নিজ্জরের সংগঠন খালিস্তান টাইগার ফোর্স। ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসমূলক কার্জকর্মে লিপ্ত তারাও। এদেরই প্রধান মুখ ছিল নিজ্জর। কখনও হিন্দু মন্দিরে (Sikhs For Justice) হামলা, কখনও ভারত-বিরোধী স্লোগান দেওয়া, কখনও আবার হিন্দুদের কানাডা ছেড়ে চলে যাওয়ার আওয়াজ তুলেছে এই সংগঠন। তার পরেও মুখে কুলুপ এঁটেছেন ট্রুডো। আসলে শিখ সমর্থন না থাকলে যে পড়ে যাবে (Canada) তাঁর সরকার!

    অতএব…।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India-Canada Relation: ভারতের সঙ্গে সু-সম্পর্কের দাবি, কানাডার অভ্যন্তরে চড়ছে ট্রুডো-বিরোধী সুর

    India-Canada Relation: ভারতের সঙ্গে সু-সম্পর্কের দাবি, কানাডার অভ্যন্তরে চড়ছে ট্রুডো-বিরোধী সুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অভ্যন্তরে (India-Canada Relation) তীব্র সমালোচনার মুখে পড়লেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। ভারতের সঙ্গে কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্রমশ তলানিতে ঠেকেছে। এই আবহে ট্রুডোর বিপক্ষে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ, কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়ের পোয়ালিয়েভ্রে। তাঁর দাবি, চিনের সহায়তায় দুটি নির্বাচন জিতেছেন ট্রুডো। ভারত সরকারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে বিভ্রান্তিকর প্রচার করছেন কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।

    চিনের সঙ্গে ট্রুডোর সম্পর্ক

    সম্প্রতি ট্রুডো অভিযোগ করেছিলেন যে, কনজারভেটিভ পার্টির সাংসদরা বিদেশি শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক রাখছেন। এই অভিযোগের জবাবে পোয়ালিয়েভ্রে বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি জানতে চেয়েছিলাম, কোন কোন এমপি বিদেশি শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক রাখছেন, প্রকাশ করতে। কিন্তু উনি তাঁদের নাম বলতে পারেননি। মিথ্যা প্রচার করাই ওনার লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাস্তবে লিবারেল পার্টি তথা ট্রুডোর দল সর্বদা চিনের সহায়তা নিয়ে চলে। তাঁরা চিনের সাহায্যেই দুটো নির্বাচন জিতেছে। এইবিষয়টি সামনে আসতেই নানা রকম মিথ্যা দাবি করছেন ট্রুডো।”

    ভারতের বিরুদ্ধে প্রমাণ কই?

    পোয়ালিয়েভ্রে আরও জানান নিজ্জর হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে ভারতের যুক্ত থাকার যে দাবি ট্রুডো এনেছিলেন তারও কোনও প্রমাণ তিনি দিতে পারেননি। প্রসঙ্গত, বুধবার তদন্ত কমিশনের কাছে জমা দেওয়া বিবৃতিতে ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নিজেই জানিয়েছিলেন, গত বছর সেপ্টেম্বরে ভারতের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলার সময়ে তাঁর কাছে শুধুমাত্র গোয়েন্দাসূত্রে পাওয়া খবর ছিল, হাতে-কলমে কোনও তথ্যপ্রমাণ ছিল না। পোয়ালিয়েভ্রে বলেন, “আমি ১৪ অক্টোবর ন্যাশনাল সিকিউরিটি এবং ইন্টেলিজেন্স উপদেষ্টা নাথালি ড্রুইন, গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার ডেপুটি মন্ত্রী ডেভিড মরিসন, এবং সিএসআইএস পরিচালক ড্যানিয়েল রজার্সের কাছ থেকে ব্রিফিং পেয়েছিলাম ভারতের হস্তক্ষেপ সম্পর্কে। কিন্তু ট্রুডোর দল তখনও কোনও বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করেনি।” পোয়ালিয়েভ্রে বলেন, “যদি ট্রুডোর কাছে ভারতের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ থাকে, তবে তিনি তা জনসমক্ষে প্রকাশ করুন। কিন্তু তিনি তা করবেন না, কারণ তিনি এগুলো তৈরি করছেন।”

    ট্রুডো সরকারের অপপ্রচার

    পোয়ালিয়েভ্রে ছাড়াও পিপলস পার্টি অব কানাডার নেতা ম্যাক্সিম বার্নিয়ার বৃহস্পতিবার বলেছেন, রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (RCMP) এবং লিবারেল সরকার ভারতের (India-Canada Relation) বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে, তা অত্যন্ত গুরুতর। কিন্তু ভারতীয় কূটনীতিকদের বিপক্ষে এখনও কোনও প্রমাণ পেশ করতে পারেনি ট্রুডোর সরকার। আসলে ট্রুডো এবং লিবারেল পার্টি তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগ থেকে নজর ঘোরাতেই এই সব মিথ্যা দাবি তুলছেন। বার্নিয়ার আরও দাবি করেন যে, গত বছর নিহত খলিস্তানি সন্ত্রাসী হরদীপ সিং নিজ্জর কানাডিয়ান ছিলেন না। বার্নিয়ার বলেন, “একটি ভুল ধারণা ভেঙে দেওয়া উচিত। সত্য হল, এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর আসলে একজন বিদেশি সন্ত্রাসবাদী। যিনি ১৯৯৭ সাল থেকে একাধিকবার ভুয়া নথি ব্যবহার করে কানাডায় আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন। তাঁর আবেদনগুলি প্রত্যাখ্যাত হলেও, তাকে এই দেশে থাকতে দেওয়া হয়েছিল এবং ২০০৭ সালে তাঁকে কোনওভাবে নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়।”

    ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক কাম্য

    বার্নিয়ার বলেন, এই পরিস্থিতি কানাডার দীর্ঘদিনের ভুলের ফল, যেখানে বিদেশিদের এবং তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তিনি ভারতের (India-Canada Relation) সঙ্গে ফের সু-সম্পর্ক স্থাপন করার আহ্বান জানান। বার্নিয়ার দাবি করেন, গুরুত্বপূর্ণ মিত্রের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করা উচিত নয়। এই পরিস্থিতির সমাধান খুঁজতে ভারতের সরকারের সঙ্গে শীঘ্রই কথা বলা উচিত। বিশ্বের একটি ক্রমবর্ধমান শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করা কখনওই কাম্য নয়।

    আরও পড়ুন: উচ্ছ্বাস ইজরায়েলে, হামাস প্রধান সিনওয়ারের মৃত্যু নিশ্চিত ডিএনএ পরীক্ষায়

    দিল্লির দাবি

    ইতিমধ্যেই নিজ্জর হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে ট্রুডো সরকারের অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক লাভের জন্য ভারতকে অপমান করার একটি ইচ্ছাকৃত অপপ্রচার’ বলে জানিয়েছে সাউথ ব্লক। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের অভিযোগ, কানাডার আসন্ন পার্লামেন্ট নির্বাচনে কট্টরপন্থী খলিস্তানি গোষ্ঠীগুলির সমর্থন পাওয়ার জন্য ট্রুডো সরকার নতুন করে নিজ্জর বিতর্ক সামনে নিয়ে আসছে। খলিস্তানি নেতা নিজ্জরকে ২০২০ সালে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে ঘোষণা করেছিল ভারত। তিন বছর পর ২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের সারের একটি গুরুদ্বারের সামনে তাঁকে হত্যা করা হয়। এর পরে নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতের ‘ভূমিকা’ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন ট্রুডো।  তার পর থেকেই দু’দেশের সম্পর্কে চিড় ধরে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Canada Row: পান্নুন খুনের চেষ্টার ষড়যন্ত্রের তদন্তে মার্কিন মুলুকে ভারতীয় তদন্ত কমিটি

    India Canada Row: পান্নুন খুনের চেষ্টার ষড়যন্ত্রের তদন্তে মার্কিন মুলুকে ভারতীয় তদন্ত কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানপন্থী জঙ্গি গুরুপতওয়ান্ত সিং পান্নুনকে (Gupatwant Singh Pannun) হত্যার চেষ্টার ষড়যন্ত্রের তদন্ত করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গেল ভারতীয় তদন্ত কমিটি (India Canada Row)। আজ, মঙ্গলবার আমেরিকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে ওই তদন্ত কমিটি। ভারত ও কানাডার মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যে ভারতীয় তদন্ত কমিটির আমেরিকা সফর নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।

    কী বলছেন মার্কিন কর্তারা (India Canada Row)

    মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভারতীয় তদন্ত কমিটি, যা নির্দিষ্ট কিছু সংঘবদ্ধ অপরাধীর কার্যকলাপ তদন্ত করতে গঠন করা হয়েছিল, তারা সক্রিয়ভাবে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। ওই ব্যক্তি গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের অভিযোগপত্রে ভারতীয় সরকারি কর্মী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিলেন। সেই ব্যক্তি নিউ ইয়র্ক সিটিতে একজন মার্কিন নাগরিককে হত্যার পরিকল্পনা পরিচালনা করেছিলেন। এই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছিল। বিবৃতিতে (India Canada Row) বলা হয়েছে, তদন্ত কমিটি ১৫ অক্টোবর ওয়াশিংটন, ডিসিতে যাবে। তদন্তের অংশ হিসেবে মামলাটি নিয়ে আলোচনা করতেই তারা সেখানে যাবে। মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সে দেশে মামলার অগ্রগতির আপডেট পেতেও তারা সেখানে যাবে। ভারত আমেরিকাকে জানিয়েছে, তারা অভিযুক্ত সরকারি কর্মীর অন্যান্য সংযোগের বিষয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার, তা-ও নেবে।

    অপরাধমূলক কার্যকলাপের তথ্য

    এদিকে, রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ কমিশনার মাইক ডুহেমের দাবি, তাদের কাছে ভারত সরকারের এজেন্টদের দ্বারা পরিচালিত নানা অপরাধমূলক কার্যকলাপের তথ্য রয়েছে। তিনি বলেন, “গত কয়েক বছরে ও সাম্প্রতিক কালে কানাডায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি সফলভাবে তদন্ত করেছে। এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যক্তিকে হত্যা, তোলাবাজি-সহ অন্যান্য অপরাধমূলক কাজে সরাসরি জড়িত থাকার জন্য অভিযুক্ত করেছে। পান্নুনকাণ্ডে ইতিমধ্যেই ভারতীয় নাগরিক নিখিল গুপ্তাকে চেক প্রজাতন্ত্র থেকে প্রত্যর্পণ করে মার্কিন মুলুকে নিয়ে গিয়েছে নিউ ইয়র্ক পুলিশ।

    আরও পড়ুন: এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তানে পৌঁছলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর

    প্রসঙ্গত, মার্কিন নাগরিক তথা খালিস্তানপন্থী নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ছক কষার অভিযোগে চেক প্রজাতন্ত্রে গ্রেফতার করা হয়েছিল নিখিলকে। প্রায় এক বছর পরে চেক পুলিশ তাঁকে তুলে দেয় মার্কিন বিচার বিভাগের কাছে। পান্নুন হত্যার চেষ্টার মামলায় নিখিলকে আদালতে পেশ করা হয়। সেই মামলায় (Gupatwant Singh Pannun) নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন নিখিল (India Canada Row)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ram Mandir: মার্কিন মুলুকে পালিত ভারতীয় দিবস, প্যারেডে নজর কাড়ল রাম মন্দিরের ট্যাবলো

    Ram Mandir: মার্কিন মুলুকে পালিত ভারতীয় দিবস, প্যারেডে নজর কাড়ল রাম মন্দিরের ট্যাবলো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুষ্ঠানের নাম ‘ইন্ডিয়া ডে প্যারেড’ (India Day Parade)। আর সেখানে রাম মন্দির (Ram Mandir) থাকবে না, তা হয় নাকি? হয়নিও। মার্কিন মুলুকে ‘ইন্ডিয়া ডে প্যারেড’-এ সবার নজর কাড়ল রাম মন্দিরের ট্যাবলো। বিদেশে এভাবেই উদযাপিত হল ৪২তম বার্ষিক ‘ইন্ডিয়া ডে প্যারেড’। প্যারেড হয় ম্যাডিসন অ্যাভেনিউতে। প্যারেডে অংশ নেন হাজার হাজার মানুষ। যা দেখতে ভিড় জমে যায় রাস্তার দুধারে।

    রাম মন্দিরের ট্যাবলো (Ram Mandir)

    প্যারেডের পরতে পরতে তুলে ধরা হয়েছে ভারতীয় সংস্কৃতির চিত্র। জাতীয় পতাকার পাশাপাশি বাজানো হয়েছে ঢোল। প্রবাসী ভারতীয় ও তাদের শেকড়ের মধ্যে গভীর সম্পর্ক স্থাপনের যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছিল এই প্যারেডে। সেখানেই নজর কাড়ে রাম মন্দিরের ট্যাবলো। ট্যাবলোটি ছিল ১৮ ফুট লম্বা, চওড়ায় ৯ ফুট। উচ্চতা ৮ ফুট। ভারতে তৈরি এই ট্যাবলো পাঠানো হয়েছিল মার্কিন মুলুকে। প্রসঙ্গত, রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিতর্কের অবসান শেষে অযোধ্যায় গড়ে ওঠে রাম মন্দির। গত ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় মন্দিরের। গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হন রামলালা। তার পর থেকে অযোধ্যার এই মন্দির তামাম বিশ্বের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। নিউ ইয়র্কে দাঁড়িয়ে সেই মন্দিরই (হোক না রেপ্লিকা) দর্শন করলেন মার্কিন নাগরিকরাও।

    কী বলছে ভিএইচপি

    প্যারেডে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) ট্যাবলো প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেছিলেন আমেরিকার বিশ্ব হিন্দু পরিষদ কর্তৃপক্ষ। তাদের বক্তব্য, হিন্দুদের ধর্মীয় স্থান উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে ট্যাবলোয়। উদ্দেশ্য, ভারত ও হিন্দুদের দেবতার মহিমা তুলে ধরা। অনুষ্ঠানের আয়োজক ‘দ্য ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনস’ জানিয়েছে, এই প্যারেড ভারতের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র তুলে ধরে। জানা গিয়েছে, সপ্তাহান্তের এই প্যারেডে হাজির ছিল ৪০টি ফ্লোট, ৫০টি মার্চিং গ্রুপ এবং ৩০টি মার্চিং ব্যান্ড। প্যারেডে পা মিলিয়েছেন অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠী, সোনাক্ষী সিন‍্‍হা, বিজেপি অভিনেতা-সাংসদ মনোজ তিওয়ারিও। অনুষ্ঠানে ছিলেন স্বামী অবধেশানন্দ গিরিও।

    আরও পড়ুন: ভূস্বর্গে একলা লড়ার সিদ্ধান্ত বিজেপির, প্রচারে মোদি, শাহ, নাড্ডা, সিংহ

    কানাডায় তাণ্ডব খালিস্তানপন্থীদের

    আমেরিকায় ইন্ডিয়া ডে প্যারেড নির্বিঘ্নে উদযাপিত হলেও, কানাডায় কার্যত তাণ্ডব চালায় খালিস্তান পন্থীরা। ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে টরন্টোয় আয়োজন করা হয়েছিল শোভাযাত্রার। অভিযোগ, এই শোভাযাত্রায় হামলা চালায় খালিস্তানপন্থীরা। ছুরি দিয়ে ফালাফালা করে দেওয়া হয় ভারতের জাতীয় পতাকা (India Day Parade)। প্রবাসী ভারতীয়দের হুমকি দিয়ে (Ram Mandir) ‘গো ব্যাক টু ইন্ডিয়া’ স্লোগানও দেয় দুষ্কৃতীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian students died in abroad: গত পাঁচ বছরে বিদেশে ভারতীয় পড়ুয়ার প্রাণহানির সংখ্যা ৬৩৩! শীর্ষে কানাডা

    Indian students died in abroad: গত পাঁচ বছরে বিদেশে ভারতীয় পড়ুয়ার প্রাণহানির সংখ্যা ৬৩৩! শীর্ষে কানাডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কত স্বপ্ন নিয়ে বিদেশে পড়তে যায় ছাত্র-ছাত্রীরা। বছরে হাজার হাজার শিক্ষার্থী বিদেশে পাড়ি দেয় স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে। অনেক সময় স্বপ্নপূরণ হয়, আবার বহু সময় অধরা থেকে যায় স্বপ্ন। কিন্তু সেই স্বপ্নকে ছাপিয়ে সরকারি তথ্যে বিদেশে ভারতীয় পড়ুয়াদের যে মৃত্যুর খবর (Indian students died in abroad) তুলে ধরা হয়েছে, তা উদ্বেগ বাড়িয়েছে কেন্দ্র সরকারের। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিগত পাঁচ বছরে বিদেশে পড়তে যাওয়া ৬৩৩ জন ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে কানাডা (Canada)। সেখানে মৃত্যু সংখ্যা ১৭২। শুক্রবার লোকসভায় মোদি সরকারের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং এই তথ্য তুলে ধরেছেন।  

    রিপোর্টে কী বলা হয়েছে? 

    প্রকাশিত রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, প্রাকৃতিক দুর্ঘটনা ছাড়াও এই মৃত্যুর (Indian students died in abroad) পিছনে অনেকগুলি কারণ আছে। জানা গিয়েছে, ৬৩৩টি মৃত্যুর ঘটনার মধ্যে ১০৮টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ৫৮টি ব্রিটেনে, ৫৭টি অস্ট্রেলিয়ায়, ২৪টি জার্মানিতে  এবং ৩৭টি রাশিয়ায় ঘটেছে। এছাড়াও হামলার কারণে ১৯জন ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে কানাডা থেকে ৯টি ও মার্কিন মুলুক থেকে ৬টি মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। 

    বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর মন্তব্য 

    এ ঘটনা প্রসঙ্গে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং জানিয়েছেন, “মন্ত্রকের কাছে উপলব্ধ তথ্য অনুসারে, প্রাকৃতিক কারণ, দুর্ঘটনা এবং চিকিৎসা পরিস্থিতি সহ বিভিন্ন কারণে গত পাঁচ বছরে বিদেশে ভারতীয় ছাত্রদের মৃত্যুর (Indian students died in abroad) ৬৩৩টি ঘটনা ঘটেছে। বিদেশে ভারতীয় পড়ুয়াদের নিরাপত্তা প্রদান করা ভারত সরকারের শীর্ষ অগ্রাধিকারগুলির মধ্যে একটি। বিদেশে ভারতীয় মিশন/পোস্টগুলি বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নথিভুক্ত ভারতীয় পড়ুয়াদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখে।” এছাড়াও কীর্তি বর্ধন সিং জানিয়েছেন, গত তিন বছরে মোট ৪৮ জন ভারতীয় পড়ুয়াকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরানো হয়েছে। তবে কেন এই কঠিন পদক্ষেপ তা সেদেশের প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। তবে অ-অনুমোদিত কর্মসংস্থান, বহিষ্কার এবং স্থগিতাদেশ, ঐচ্ছিক ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ কর্মসংস্থানের রিপোর্ট তৈরির ব্যর্থতা ছাত্রদের দেশে ফেরত পাঠানোর সম্ভাব্য কারণ। অনেক সময় ভিসা জটিলতার ফলেও একজন পড়ুয়ার ভিসা বাতিল হতে পারে, এবং শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাসিত হতে পারেন।

    আরও পড়ুন: মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়ে প্রতিদিন দুঃস্থ মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিচ্ছেন নয়ডার এই যুবক!

    উল্লেখ্য, প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী বর্তমানে কমপক্ষে ৮৫৮০ জন ভারতীয় শিক্ষার্থী চীনে, ৭৩০০ জন নিউজিল্যান্ডে, ২১৩৪ জন নেপালে, ২০০০ জন সিঙ্গাপুরে, ১৫৩২ জন জাপানে এবং ১০২০ জন ইরানে অধ্যয়নরত রয়েছে। অন্তত ১৪ জন ভারতীয় ছাত্র প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে পড়াশোনা করছে। আর যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে রয়েছে ২৫১০ জন ভারতীয় পড়ুয়া। ফলে এসকল পড়ুয়াদের নিয়েও আশঙ্কার মেঘ জমছে সরকারের মনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hindu Temple Vandalized: ফের হিন্দু মন্দির ভাঙচুর! কড়া পদক্ষেপে করুক কানাডা, দাবি ভারতের

    Hindu Temple Vandalized: ফের হিন্দু মন্দির ভাঙচুর! কড়া পদক্ষেপে করুক কানাডা, দাবি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় এডমন্টের বিএপিএস স্বামীনারায়ণ মন্দিরে (BAPS Swaminarayan Mandir) ভাঙচুর চালানো এবং ভারত-বিরোধী স্লোগান লেখার কড়া ভাষায় নিন্দা করল দিল্লি। এ নিয়ে কানাডা সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়েছে। যদিও বিষয়টি (Hindu Temple Vandalized) নিয়ে এখনও নীরব জাস্টিন ট্রুডো সরকার।

    ভারত-বিরোধী স্লোগান

    ফের কানাডায় হিন্দু মন্দিরের ভাঙচুর চালানোর ঘটনায় অভিযোগের তির খালিস্তানিদের বিরুদ্ধে। জানা যাচ্ছে, এডমন্টের বিএপিএস স্বামীনারায়ণ মন্দিরের (BAPS Swaminarayan Mandir) একাধিক জিনিসপত্র নষ্ট করা হয়। মন্দিরের দেওয়ালে লেখা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও আর্য হিন্দু সন্ত্রাসবাদী ও কানাডার শত্রু।’ এই লেখা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে ভারত ও কানাডা দুই দেশেই। চন্দ্র আর্য হলেন কানাডার ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ। এই নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল। 

    ভারতের প্রতিক্রিয়া

    বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল বলেন, “এডমন্ট এলাকায় মন্দিরের ওপর হামলার ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা করছি। দিল্লির তরফে কানাডা সরকারকে বলা হচ্ছে তাঁরা যেন এই ঘটনার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেন। আমরা দেখতে চাই যে স্থানীয় প্রশাসন এই ঘটনার বিরুদ্ধে দ্রুত ও শক্তিশালী কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে। আবারও কানাডায় হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে এবং কোন উদ্দেশ্য নিয়ে কারা করছে তা বুঝতে কারোরই অসুবিধা হচ্ছে না। তবে সাম্প্রতিকতম এই ঘটনাগুলির বিরুদ্ধে কানাডা সরকার সেভাবে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এই উগ্রবাদীদের সমর্থন করে কানাডা সরকার নিজের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।”

    ঘটনার নিন্দা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে কানাডায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের শাখা সংগঠন। দ্রুত হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে সেদেশের সরকারের কাছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সংগঠনের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে এই ঘটনার সমালোচনা করে বলা হয়, ‘এডমন্টনে মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনা ও মন্দিরের বাইরে ভারত বিরোধী স্লোগানের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানানো হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এদেশে শান্তিপ্রিয় হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। মাথাচাড়া দিয়েছে হিন্দু বিরোধী চরমপন্থী মতাদর্শ। এদেশের সরকারকে এই ধরনের কার্যকলাপ বিরোধী কঠোর পদক্ষেপের করার আর্জি জানানো হচ্ছে।’

    আরও পড়ুন: ভারতকে ন্যাটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির মতো মর্যাদা দেওয়ার দাবি, বিল পেশ মার্কিন সেনেটে

    ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদকে নিশানা

    এর আগেও একাধিকবার কানাডার মন্দিরে হিন্দু ও ভারত বিরোধী আক্রমণ করে স্লোগান লেখা হয়েছে। গত বছরেও একাধিকবার কানাডার হিন্দু মন্দির ভাঙচুর (Hindu Temple Vandalized) ও মন্দিরের বাইরে ভারত বিরোধী স্লোগান লিখে দেওয়ার ঘটনা সামনে এসেছিল। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই অভিযোগের তির ছিল খলিস্তানিদের দিকে। শিখস ফর জাস্টিসের প্রধান পান্নুনের রোষের মুখে পড়েন কানাডার ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ চন্দ্র আর্যও।

    গোটা ঘটনা নিজেই এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়ে এই সাংসদের অভিযোগ, ‘এডমন্টনের স্বামীনারায়ণ মন্দিরের বিকৃতি নিয়ে কড়া নিন্দা করেছিলেন। কানাডায় খালিস্তান সমর্থকদের ঘৃণা ও হিংসা ছড়ানোর ঘটনার বিরোধিতা করেছিলাম। এর পরই একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছে শিখস ফর জাস্টিসের প্রধান গুরুপতবন্ত সিং পান্নুন। সেখানে আমাকে এবং আমার হিন্দু-কানাডিয়ান বন্ধুদের এখনই ভারতে ফিরে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। কারণ আমরা নাকি কানাডার মূল্যবোধ ও সনদের বিরুদ্ধে কাজ করি। যা একদমই সত্য নয়। আমরা কানাডার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সব সময়ই ইতিবাচক অবদান রেখেছি।’  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chandra Arya: “আমাদের দেশকে দূষিত করছে খালিস্তানপন্থী জঙ্গিরা”, তোপ কানাডার সাংসদের

    Chandra Arya: “আমাদের দেশকে দূষিত করছে খালিস্তানপন্থী জঙ্গিরা”, তোপ কানাডার সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কানাডা আমাদের দেশ। আমাদের এই দেশকে দূষিত করছে খালিস্তানপন্থী জঙ্গিরা (Gurpatwant Singh Pannun)।” বুধবার এই ভাষায়ই খালিস্তানপন্থী জঙ্গিদের আক্রমণ শানালেন কানাডার সাংসদ চন্দ্র আর্য (Chandra Arya)। কানাডার মাটিতে দীর্ঘদিন ধরেই তিলে তিলে বাড়ছে খালিস্তানি জঙ্গিদের ভিড়। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে খালিস্তানপন্থী জঙ্গি গুরুপন্ত সিং পান্নুন।

    কী বললেন কানাডার সাংসদ?(Chandra Arya)

    খালিস্তানপন্থী জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ায় তলানিতে ঠেকেছে ভারত-কানাডা সম্পর্ক। তবে কিছুই করার নেই জাস্টিন ট্রুডো সরকারের। কারণ খালিস্তানপন্থী কয়েকজন সাংসদের সমর্থনে কোনওক্রমে টিকে রয়েছে ট্রুডো সরকার। এহেন অবস্থায় কানাডার সাংসদের বক্তব্যে খানিকটা হলেও, ধাক্কা খেল ট্রুডো সরকার। আর্য বলেন, “বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমরা হিন্দুরা আমাদের সুন্দর দেশ কানাডায় এসেছি। সাউথ এশিয়ার সব দেশ থেকে, আফ্রিকার বহু দেশ থেকে, ক্যারিবিয়ান থেকে এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আমরা এখানে এসেছি। কানাডা আমাদের দেশ।”

    কানাডা ছেড়ে চলে যেতে বলছে পান্নুন!

    সম্প্রতি একটি ভিডিওয় ‘শিখস ফর জাস্টিসে’র প্রধান গুরুপন্ত সিং পান্নুন আর্য (Chandra Arya) এবং অন্য হিন্দু বংশোদ্ভুত কানাডিয়ানদের কানাডা ছেড়ে ভারতে ফিরে যেতে বলেছে। আর্য এবং তাঁর সমর্থকদের পান্নুন এও বলেছে, আপনারা কানাডা ছেড়ে চলে যান। কারণ তিনি (আর্য) কানাডা বিরোধী কাজকর্মে লিপ্ত। কানাডার মূল্যবোধ এবং চার্টার অফ রাইটসের বিরুদ্ধাচরণ করছেন তিনি। আর্য ভারতের মাস্টারদের স্বার্থেও কাজ করছেন বলে ভিডিওয় অভিযোগ পান্নুনের। সাংসদদের কাছে আর্যের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার দাবিও জানিয়েছে শিখস ফর জাস্টিসের প্রধান।

    আরও পড়ুন: মোদির প্রকল্প চালু না করেও স্পর্ধা দেখাচ্ছেন? তৃণমূলকে নিশানা নির্মলার

    শুধু তাই নয়, আর্যকে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়ার অনুরোধও সে করেছে কানাডিয়ান পার্লামেন্টের কাছে। পান্নুন বলে, কানাডার কাছে আমরা যে বিশ্বাসযোগ্য, দশকের পর দশক ধরে আমরা খালিস্তানপন্থীরা তা প্রমাণ করেছি।

    এই ভিডিওর প্রেক্ষিতেই খালিস্তানপন্থীদের নিশানা করেছেন কানাডিয়ান সাংসদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি কানাডাকে তাঁর দেশ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “কানাডার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আমরা নিরন্তর সদর্থক অবদান রেখে চলেছি। আমাদের হিন্দু সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের সুদীর্ঘ ইতিহাসের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা কানাডায় বহুধা সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছি।” এর পরেই কানাডার এই সাংসদ বলেন, “আমাদের দেশকে দূষিত করছে খালিস্তানপন্থী জঙ্গিরা। স্বাধীনতার যে অধিকার (Gurpatwant Singh Pannun) কানাডিয়ান চার্টার অফ রাইটস দিয়েছে, তার অপব্যবহার করছে (Chandra Arya)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Drone Spy Scandal: অলিম্পিক্সে ড্রোন স্পাই কেলেঙ্কারিতে আটক কানাডা ফুটবল দলের সদস্য

    Drone Spy Scandal: অলিম্পিক্সে ড্রোন স্পাই কেলেঙ্কারিতে আটক কানাডা ফুটবল দলের সদস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারই নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়ে অলিম্পিক্সে মেয়েদের ফুটবলে অভিযান শুরু করবে কানাডা। আর তার জন্যই ফ্রান্সের সেন্ট–এঁতিয়েনে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত নিউজিল্যান্ডের মহিলা ফুটবল দল। আর এই প্রস্তুতির সময়ই ঘটে বিপত্তি। জানা গিয়েছে, এই অনুশীলনে গত সোমবার বিনা অনুমতিতে কানাডিয়ান ফুটবলের এক ‘সাপোর্ট স্টাফ’ ড্রোন (Drone Spy Scandal) চালিয়ে নিউজিল্যান্ডের অনুশীলন রেকর্ড করেছিলেন। এবার সেই আচরণের পরিপ্রেক্ষিতেই পুলিশের হাতে আটক হল ওই কানাডা ফুটবল দলের সদস্য (Canada football team member)। 

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Drone Spy Scandal) 

    এ প্রসঙ্গে নিউজিল্যান্ড অলিম্পিক্স কমিটির (NZOC) বিবৃতিতে বলা হয়, ”প্র্যাকটিস চলাকালীন নিউজিল্যান্ডের মহিলা ফুটবল দলকে রেকর্ড করার জন্য একটি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল। যিনি ড্রোন চালিয়েছেন, তাঁকে কানাডা মহিলা ফুটবল দলের সাপোর্ট স্টাফ সদস্য (Canada football team member) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঘটনার পরেই তাঁকে ধরিয়ে দিতে দলের সদস্যরা তৎক্ষনাত ঘটনাটি পুলিশকে জানিয়েছেন।” নিউজিল্যান্ড অলিম্পিক কমিটি বলেছে যে, তারা এই পরিস্থিতি দেখে গভীরভাবে হতাশ হয়েছে। একইসঙ্গে নিউজিল্যান্ড আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘটনাটির সম্পূর্ণ পর্যালোচনার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেছে।

    আরও পড়ুন: ‘দু’দুবার, আমাকে ফিজিক্যালি অ্যাসল্ট করতে চায়’, বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    ফরাসি প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য 

    অন্যদিকে এই ঘটনার প্রসঙ্গে, ফরাসি প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল জানিয়েছেন, ‘ফরাসি নিরাপত্তা বাহিনী ড্রোন ওড়ানোর ওপর নজর রাখছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই ছবি তোলার জন্য পর্যটকদের দ্বারাও অনেক সময় ড্রোন পরিচালিত হয়। তাই মানুষকে মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ যে, ড্রোন (Drone Spy Scandal) ওড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।’   
    যদিও এ প্রসঙ্গে কানাডা দল ক্ষমা চেয়ে স্বীকার করেছে যে, তাদের দলের ‘অনুমোদনহীন’ এক সদস্য নিউজিল্যান্ড দলের অনুশীলন রেকর্ড করতে ড্রোন (Drone Spy Scandal) চালিয়েছেন। কানাডা অলিম্পিক্স কমিটির (COC) বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কানাডিয়ান অলিম্পিক্স কমিটি ন্যায্য খেলার পক্ষে এবং আমরাও বিস্মিত ও হতাশ। নিউজিল্যান্ড ফুটবল, খেলোয়াড়েরা ও নিউজিল্যান্ড অলিম্পিক্স কমিটির কাছে আমরা ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • UEFA Euro 2024: ইউরোয় ফরাসি দুর্গ ভাঙল স্প্যানিশ আর্মাডা, মেসির গোলে কোপা ফাইনালে আর্জেন্টিনা 

    UEFA Euro 2024: ইউরোয় ফরাসি দুর্গ ভাঙল স্প্যানিশ আর্মাডা, মেসির গোলে কোপা ফাইনালে আর্জেন্টিনা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউরো কাপে (Euro Cup 2024) ফুল ফোটাচ্ছে স্পেন। এর আগে স্পেন বনাম জার্মানি কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচকে অনেকে এবারের ইউরোর সেরা ম্যাচ বলছিলেন। স্পেন বনাম ফ্রান্স (Spain vs France) সেমিফাইনাল উত্তেজনায় আর রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের মেজাজ সেই ম্যাচকেও ছাপিয়ে গেল। প্রথমে গোল করে এগিয়ে গিয়েও শেষরক্ষা হল না ফরাসি দলের। ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে ফাইনালে চলে গেল স্পেন। অন্যদিকে অনুরাগীদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে কোপা আমেরিকায় (Copa America 2024) গোল পেলেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)।  কানাডার বিরুদ্ধে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে গোল পেলেন আধুনিক ফুটবলের শ্রেষ্ঠ তারকা। কানাডাকে ২-০ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনালে পৌঁছে গেল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা (Argentina vs Canada)। ফাইনালে উরুগুয়ে বনাম কলম্বিয়া ম্যাচের বিজয়ীর সঙ্গে খেলবে আর্জেন্টিনা। 

    ফ্রান্স-স্পেন টক্কর (Euro Cup 2024)

    ইউরোয়  (Euro Cup 2024) প্রথমবার ফিল্ড গোল ফ্রান্সের। পালটা দিতে নজির গড়া গোল স্পেনের। মঙ্গলবার রাতে এমন হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জমে উঠল ইউরো সেমিফাইনাল। ৯০ মিনিটের দুরন্ত ম্যাচ শেষে জয়ের হাসি স্পেনের মুখে। টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল ফ্রান্স। সেই সঙ্গে পেলের রেকর্ড ভেঙে কনিষ্ঠতম ফুটবলার হিসাবে কোনো টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে নামার নজির গড়লেন স্পেনের লামিন ইয়ামাল। ইউরোর ইতিহাসে কনিষ্ঠতম হিসাবে গোলও করলেন তরুণ স্প্যানিশ তারকা। সেমিফাইনালের মরণবাঁচন ম্যাচে মাস্ক খুলে মাঠে নেমেই দুরন্ত পারফরম্যান্স ফরাসি তারকার। তাঁর দুরন্ত ক্রসে মাথা ছুঁইয়েই টুর্নামেন্টে ‘প্রথম’ গোল করল ফ্রান্স। ৯ মিনিটে কোলো মুয়ানির গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। তবে গোল খাওয়ার পরে দুরন্ত কামব্যাক স্পেনের, নেপথ্যে সেই রেকর্ড গড়া ইয়ামাল।

    ম্যাচের বয়স ২১ মিনিট গড়াতেই বক্সের বাইরে থেকে চোখধাঁধানো শট নেন ১৬ বছর বয়সি তারকা। গোলকিপারের মাথার পাশ দিয়ে জালে জড়িয়ে যায় বল। চার মিনিট পরে ফ্রান্সকে দ্বিতীয় ধাক্কা দেয় স্পেন। জেসুস নাভাসের কাছ থেকে বল পান ড্যানি অলমো। বল নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে গোল লক্ষ্য করে শট মারেন। বল বাঁচানোর চেষ্টা করেন ফ্রান্সের জুলস কুন্ডে। কিন্তু বল তাঁর পায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়। প্রথমে কুন্ডের আত্মঘাতী গোল দিলেও পরে অলমোর নামেই সেই গোল দেওয়া হয়। ০-১ পিছিয়ে থেকে চার মিনিটের ঝড়ে ২-১ এগিয়ে যায় স্পেন। কিন্তু লড়াই চালিয়ে গেলেও আর গোলমুখ খুলতে পারেনি ফ্রান্স।

    দাপট আর্জেন্টিনার (Copa America 2024)

    রেকর্ড সংখ্যক সপ্তমবার কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্টে (Copa America 2024) খেলছেন তিনি। যে নজির বিশ্বের আর কোনও ফুটবলারের নেই। তবে ভক্ত-অনুরাগীদের আক্ষেপ ছিল, এবারের কোপা আমেরিকায় (Copa America 2024) এখনও পর্যন্ত কোনও গোল পাননি প্রিয় নায়ক। অবশেষে চলতি কোপা আমেরিকায় প্রথম গোল করলেন লিয়োনেল মেসি। তাঁর আর্জেন্টিনাও কানাডাকে হারিয়ে পৌঁছে গেল প্রতিযোগিতার ফাইনালে। বুধবার সেমিফাইনালে বিশ্বচ্যাম্পিয়নেরা জিতল ২-০ ব্যবধানে। আর্জেন্টিনার অপর গোলদাতা জুলিয়ান অ্যালভারেজ। ফুটবলপ্রেমীদের চমকে দিয়ে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে উঠেছিল কানাডা। তাদের স্বপ্নের দৌড় থেমে গেল বিশ্বজয়ীদের সামনে।

    দলগত শক্তির নিরিখে এগিয়ে থেকেই মাঠে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। ৮০ হাজার ১০২ জন দর্শকের সামনে আর্জেন্টিনার সঙ্গে কানাডা সমানে সমানে লড়াই করলেন। তবু বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের রুখতে পারলেন না। প্রথম মিনিট ৮-১০ প্রতিপক্ষকে মেপে নেওয়ার পর ধীরে ধীরে মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের বাকি সময়টা নিজেদের মতো করে মেসিরা নিয়ন্ত্রণ করলেন খেলার গতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Goldy Brar: কুখ্যাত গ্যাংস্টার গোল্ডির খোঁজে ১০ লাখি ইনাম ঘোষণা এনআইএ-র

    Goldy Brar: কুখ্যাত গ্যাংস্টার গোল্ডির খোঁজে ১০ লাখি ইনাম ঘোষণা এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুখ্যাত গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার (Goldy Brar) ও আর এক দুষ্কৃতীর মাথার দাম ১০ লাখ টাকা ঘোষণা করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, সংক্ষেপে এনআইএ। শুক্রবার এনআইএর তরফে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। কানাডায় ঘাঁটি গেড়ে থাকা গোল্ডির খোঁজ দিলেই মিলবে নগদ পুরস্কার।

    গোল্ডির খোঁজে পুরস্কার

    চলতি বছরের ৮ মার্চ গোল্ডি ও তার ওই সাগরেদ চণ্ডীগড়ে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন করেছিল বলে অভিযোগ। তার পরেই গোল্ডি পালিয়ে যায় কানাডায়। ইউএপিএ-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয় পাঞ্জাবের আদেশনগরের বাসিন্দা গোল্ডির (Goldy Brar) বিরুদ্ধে। গোল্ডির সাগরেদ গুরপ্রীত সিং ওরফে গোল্ডি ধিঁলোর খোঁজেও হন্যে এনআইএর আধিকারিকরা। তাদের টিকি ছুঁতে না পারায় শেষমেশ ঘোষণা করা হল ১০ লাখি ইনাম।

    গোল্ডি-খালিস্তানপন্থী যোগ!

    পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা খুনেও অভিযুক্ত গোল্ডি। মাসখানেক আগে গুজব ছড়ায় আমেরিকায় গুলি করে খুন করা হয়েছে কুখ্যাত পাঞ্জাবি গ্যাংস্টার গোল্ডিকে। যদিও পরে জানা যায়, খবরটি নিছকই ভুয়ো। এই গোল্ডির বিরুদ্ধের অভিনেতা সলমান খানকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। ভারতের অনুরোধে গোল্ডির বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিশ জারি করেছিল ইন্টারপোল। কানাডার ‘মোস্ট ওয়ান্টেডে’র তালিকায়ও নাম রয়েছে গোল্ডির। ভারতের দাবি, গোল্ডির সঙ্গে যোগ রয়েছে খালিস্তানপন্থী জঙ্গিদের।

    আর পড়ুন: বিপাকে কেজরিওয়াল, তিনদিনের সিবিআই হেফাজতে আপ সুপ্রিমো

    পঞ্জাবের এক পুলিশ কর্মীর ছেলে গোল্ডির প্রকৃত নাম সতিন্দরজিৎ সিং। সে প্রথমে স্থানীয় অপরাধী বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। পরে জড়িয়ে পড়ে বড় ধরনের অপরাধ চক্রের সঙ্গে। আরও পরে নিজেই বনে যায় গ্যাংস্টার। গোয়েন্দাদের দাবি, কানাডা থেকে গোল্ডিই তোলাবাজি ও অস্ত্র পাচারের কারবার নিয়ন্ত্রণ করত। সিধু মুসেওয়ালা খুনের পর গোল্ডি দাবি করে, মুসেওয়ালাকে খুনের নির্দেশ দিয়েছিল সে-ই। কারণ মুসেওয়ালা লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সহযোগী ভিকি মিদুখেরার হত্যায় জড়িত ছিল। এহেন গোল্ডির খোঁজেই ঘোষণা করা হয়েছে ইনাম।

    এনআইএর তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে দুজনকে গ্রেফতারে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে, তাদের খোঁজ যিনি দেবেন, তাঁর পরিচয় গোপন রাখা হবে। ওই দুজনের তথ্য জানাতে হবে এনআইএর সদর দফতরের ফোন নম্বর – ০১১-২৪৩৬৮৮০০, হোয়াটসঅ্যাপ/ টেলিগ্রাম: ৯১-৮৫৮৫৯৩১১০০, ইমেল আইডি: ডিও.এনআইএ@গভ.ইন-এ (Goldy Brar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share