Tag: Canada

Canada

  • Canada: কানাডায় রামমন্দিরের দেওয়ালে মোদির বিরুদ্ধে স্লোগান লিখল দুষ্কৃতীরা

    Canada: কানাডায় রামমন্দিরের দেওয়ালে মোদির বিরুদ্ধে স্লোগান লিখল দুষ্কৃতীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার কানাডার (Canada) মিসিসাগায় একটি রাম মন্দিরের দেওয়ালে  ভারত-বিরোধী স্লোগান লেখার অভিযোগ উঠল অজ্ঞাত পরিচিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি বিবিসি-র তথ্যচিত্র অনুযায়ী দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সন্ত্রাসী ঘোষণা করার কথাও লেখা হয়েছে সেখানে। যে তিনটি স্লোগান রামমন্দিরের দেওয়ালে নজরে পড়ছে, সেগুলি হল ‘মোদিকে সন্ত্রাসী ঘোষণা কর’, ‘সন্ত ভিন্দ্রাওয়ালা হলেন শহীদ’ এবং ‘হিন্দুস্তান মুর্দাবাদ’।

    প্রতিবাদে সরব সব মহল

    ব্রাম্পটনের মেয়র এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ট্যুইট করেছেন

    <

    এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ট্যুইট করা হয়েছে ভারতের কনস্যুলেট জেনারেলের পক্ষ থেকে। ট্যুইটে লেখা হয়েছে,  মিসিসাগায় রাম মন্দিরের দেওয়ালে ভারত-বিরোধী স্লোগান লেখার ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। আমরা এখানকার কর্তৃপক্ষকে ঘটনার তদন্ত করতে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

    তবে জানা যাচ্ছে, কানাডায় (Canada)  মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে সেদেশে। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে, ব্র্যাম্পটনে শ্রী গৌরী শঙ্কর মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে। কানাডার ভারতীয় বংশোদ্ভূত সংসদ সদস্য চন্দ্র আর্য, ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সেখানকার পার্লামেন্টে বিষয়টি উত্থাপন করেন।

    <My statement in Canadian parliament today on the recent hate crime on Gouri Shankar Hindu Mandir in Brampton pic.twitter.com/8RX92dYjxQ

    — Chandra Arya (@AryaCanada) February 1, 2023

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • S Jaishankar: “আমেরিকা করলেও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেনি কানাডা”, ক্ষোভ জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “আমেরিকা করলেও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেনি কানাডা”, ক্ষোভ জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে আমেরিকা। করছে তদন্তও। তবে এ ব্যাপারে কোনও পদক্ষপ করছে না কানাডার জাস্টিন ট্রুডোর সরকার।” সোমবার এমনই মন্তব্য করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। গত কয়েক মাসে কানাডা ও আমেরিকায় ভারতীয় হাইকমিশনে হামলা চালিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। হামলা চালানো হয়েছে হিন্দু মন্দিরেও। তার পরেই বাইডেন সরকার পদক্ষেপ করলেও, করেনি ট্রুডো সরকার। সোমবার এ নিয়ে মুখ খুলেছেন জয়শঙ্কর। ভারত-কানাডা সম্পর্ক এবং খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী সমস্যা নিয়েও সোচ্চার হয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী।

    কী বললেন জয়শঙ্কর?

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “আমাদের রাষ্ট্রদূতদের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তাঁদের প্রাণহানির ঝুঁকি ছিল। তাই আমরা কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিলাম। এখন অবশ্য ভিসা দেওয়া ব্যবস্থা প্রায় স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। আসলে বাক স্বাধীনতার নামে কূটনীতিকদের ভয় দেখানো যায় না।” তিনি বলেন, “এটা বাক স্বাধীনতার অপব্যবহার বলে আমি মনে করি।  হাইকমিশনারদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। তাঁদের কোনও নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে না। ভারতের পতাকা নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমার প্রশ্ন হল, এটাকে কী বাক স্বাধীনতা বলা যায়?”

    বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে

    তিনি বলেন, “আমেরিকায়ও একই ধরনের হামলা হয়েছিল। সেই দেশে এই ঘটনার তদন্ত চলছে। যদি কানাডা কোনও পদক্ষেপ না করে, তবে সেটাকে একটা বার্তা হিসেবেই পড়তে হবে। যারা আমাদের কূটনীতিকদের হুমকি দিয়েছে, যারা তাঁদের বিরুদ্ধে পোস্টার সাঁটিয়েছে, সেই সব বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে।”

    আরও পড়ুুন: কেষ্ট গড়ে ধাক্কা খেল শাসক দল, তৃণমূলের যুব নেতা যোগ দিলেন বিজেপিতে

    জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা আশা করি, সানফ্রান্সিসকোয় যেসব কালপ্রিট আমাদের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়েছিল, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হবে। আমরা আশা করি লন্ডনে আমাদের হাইকমিশনে যারা হামলা চালিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা এও আশা করি, কানাডায় যারা আমাদের কূটনীতিকদের হুমকি দিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    প্রসঙ্গত, গত বছর ১৯ মার্চ লন্ডনের ভারতীয় হাইকমিশনে হামলা চালিয়েছিল খালিস্তানপন্থী দুষ্কৃতীরা। ওই বছরেরই জুলাই মাসে সান সানফ্রান্সিসকোয় ভারতীয় দূতাবাসে হামলা হয়েছিল। আর সেপ্টেম্বরে কানাডায় ভারতীয় কূটনীতিকদের হুমকি দিয়েছিল (S Jaishankar) বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: গত ৬ বছরে কানাডায় ৯১ ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে, লোকসভায় জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: গত ৬ বছরে কানাডায় ৯১ ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে, লোকসভায় জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ছ’বছরে বিদেশে পড়তে গিয়ে সব মিলিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪০৩ ছাত্রের। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে কানাডা। যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে দুর্ঘটনায়, কয়েকজনের মেডিক্যাল কন্ডিশনের কারণ এবং কয়েকজনের ন্যাচারাল কারণে।

    কানাডায় মৃত্যু ৯১ জন ছাত্রের

    জানা গিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত কানাডায় মৃত্যু হয়েছে ৯১ জন ছাত্রের। তার পরেই রয়েছে ব্রিটেন। এখানে মৃত্যু হয়েছে ৪৮ জনের। শুক্রবার লোকসভায় এই তথ্য জানালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভিন দেশে পড়তে যাওয়া ভারতীয় ছাত্রদের কল্যাণই রয়েছে সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায়।” জয়শঙ্কর বলেন, “মন্ত্রকের তরফে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ৪০৩ জন ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বিদেশে পড়তে গিয়ে। ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত এই ছাত্রদের মৃত্যু হয়েছে।”

    কী বললেন বিদেশমন্ত্রী?

    বিদেশমন্ত্রী জানান, বিদেশে পড়তে গিয়ে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, সেগুলির সমাধানই আশু লক্ষ্য সরকারের। এই ছ’বছরে যেসব পড়ুয়ার বিভুঁইয়ে মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের তালিকাও দিয়েছেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি জানান, কানাডায় মৃত্যু হয়েছে ৯১ জনের, ব্রিটেনে মৃত্যু হয়েছে ৪৮ জনের। রাশিয়ায় পড়তে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৪০ জন। আমেরিকায় মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। অস্ট্রেলিয়ায় মারা গিয়েছেন ৩৫ জন। ইউক্রেনে মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। আর জার্মানিতে মারা গিয়েছেন ২০ জন। সাইপ্রাসে মারা গিয়েছেন ১৪ জন ভারতীয়। ফিলিপিন্স ও ইটালিতে মারা গিয়েছেন ১০ জন করে। কাতার, কিরঘিস্তান এবং চিনে মৃত্যু হয়েছে ৯ জন করে ভারতীয়ের।

    আরও পড়ুুন: “আব কি বার ৪০০ পার…”! খাড়্গের মুখে বিজেপির স্লোগান শুনে কী করলেন মোদি?

    বিদেশ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ভি মুরলীধরণ বলেন, “প্যালেস্তাইনের প্রতি ভারতের নীতি দীর্ঘ মেয়াদি এবং একই রয়েছে।” তিনি বলেন, “ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের সমাধান হোক আলোচনার মাধ্যমে। প্যালেস্তাইন একটি সার্বভৌম, স্বাধীন রাষ্ট্র হোক। নির্দিষ্ট সীমান্তও তৈরি হোক। পড়শি দুই দেশই থাকুক শান্তিতে।” তিনি জানান, অক্টোবরের সাত তারিখে হামাস যে ইজরায়েলের ওপর হামলা চালিয়েছে এবং তাতে যে বহু নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তার প্রতিবাদ করেছে ভারত। মন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “প্রতিবেশী দুই দেশের দ্বন্দ্বের অবসানে শান্তিপূর্ণ সমাধান ও আলাপ-আলোচনা ও কূটনৈতিক স্তরে কথাবার্তা চলুক।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Canada: ভারত মাতা মন্দিরের পর কানাডার ‘খালিস্তান গড়ে’ বসছে ৫৫ ফুট হনুমানজির মূর্তি

    Canada: ভারত মাতা মন্দিরের পর কানাডার ‘খালিস্তান গড়ে’ বসছে ৫৫ ফুট হনুমানজির মূর্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় হরদীপ সিং নিজ্জর খুনের জেরে ঘটেছিল ভারত-কানাডা সম্পর্কের অবনতি। তবে সম্পর্কে সুসময় বোধহয় ফিরছে। খুব শীঘ্রই কানাডায় (Canada) বসতে চলেছে ৫৫ ফুট উঁচু হনুমানজির মূর্তি। আগামী বছরের এপ্রিলে ওই মূর্তি বসবে। রাজস্থানের ভাস্কর নরেশ কুমায়ত তৈরি করছেন মূর্তিটি। খরচ জোগাবে স্থানীয় মন্দির কর্তৃপক্ষ। কানাডার ব্রাম্পটনে রয়েছে হিন্দু সভা মন্দির। ২৩ এপ্রিল হনুমান জয়ন্তী। এদিনই একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন হবে নরেশের হাতে গড়া ওই মূর্তির।

    খালিস্তানপন্থী কার্যকলাপ

    ব্রাম্পটন এলাকাটি গ্রেটার টরন্টো এরিয়ার অন্তর্ভুক্ত। এলাকাটি সম্প্রতি পরিচিতি পেয়েছে খালিস্তানপন্থীদের কার্যকলাপ বেড়ে যাওয়ায়। দীপাবলি পালনকে কেন্দ্র করে দীপান্বিতা অমাবস্যার দিন স্থানীয় হিন্দুদের সঙ্গে খালিস্তানপন্থীদের মধ্যে উত্তেজনাও ছড়িয়েছিল (Canada)। তার আগে ভারত মাতা মন্দির চত্বরে ভারতীয় কূটনীতিক ও গৌরী শঙ্কর মন্দিরের গায়ে ভারত বিরোধী স্লোগান লেখাকে কেন্দ্র করেও উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। কানাডার এই হনুমানজির মূর্তিই শুধু নয়, রাজস্থানের নরেশের রয়েছে আরও একাধিক উল্লেখযোগ্য কীর্তি। বিশ্বের ৮০টি দেশে ২০০-র বেশি স্থাপত্যকীর্তি ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর।

    নরেশের কীর্তি 

    কানাডারই ‘ভয়েস অফ বেদাস’ মন্দিরে রয়েছে নরেশেরই গড়া ৫০ ফুটের হনুমানজির একটি স্ট্যাচু। সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্টে দিল্লিতে ৭৫ ফুট উঁচু সমুদ্র মন্থনের যে ম্যুরাল রয়েছে, সেটিও নরেশেরই তৈরি। স্বামী বিবেকানন্দ, ডঃ সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ইন্দিরা গান্ধী, মহাত্মা গান্ধী, মার্টিন লুথার কিং এবং নেলসন ম্যান্ডেলার মূর্তিও তৈরি করেছেন রাজস্থানের এই শিল্পী। রাজস্থানের নাথওয়াড়ায় শোভা পাচ্ছে তাঁর তৈরি ৩৬৯ ফুটের শিবের স্ট্যাচু। এই মূর্তির নাম লেখা হয়েছে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে। হিমাচল প্রদেশের সোলানের ১৫৬ ফুটের হনমানজির মূর্তিটিও তৈরি নরেশের হাতে।

    আরও পড়ুুন: সংসদের বাইরে গায়ে আগুন লাগানোর ছক কষেছিল লোকসভাকাণ্ডে ধৃত সাগর!

    লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে ঠাঁই করে নিয়েছে নরেশের এই কীর্তি। শিমলার জাকু মন্দিরে রয়েছে নরেশেরই হাতে গড়া ১০৮ ফুটের হনুমানজির মূর্তি। কেবল স্বদেশ নয়, রাজস্থানের এই শিল্পীর ভাস্কর্য শোভা পাচ্ছে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ড, সিসিলিস, মরিশাস, দুবাই, ওমান এবং রাশিয়ায়ও। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকুলামে রয়েছে ১৮০ ফুট হনুমানজির মূর্তি। এটিরও (Canada) রূপদান করেছেন নরেশ। প্রসঙ্গত, কানাডায় খুন হন নিজ্জর। অভিযোগের আঙুল ওঠে ভারতের দিকে। তার পরেই অবনতি হয় ভারত-কানাডা সম্পর্কে।

    ভারত-কানাডা তলিয়ে যাওয়া সম্পর্কে সুদিন ফিরছে নরেশের হাত ধরে?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • India Canada Relation: কানাডাবাসীর জন্য ফের ই-ভিসা পরিষেবা চালু করল ভারত, বার্তা ট্রুডোকে!

    India Canada Relation: কানাডাবাসীর জন্য ফের ই-ভিসা পরিষেবা চালু করল ভারত, বার্তা ট্রুডোকে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র দু’ মাসের মধ্যেই কানাডাবাসীর জন্য ই-ভিসা পরিষেবা চালু করল ভারত (India Canada Relationship)। কানাডায় শিখ নেতা খুনের পর তলানিতে ঠেকে ভারত-কানাডা সম্পর্ক। তার জেরে ২১ সেপ্টেম্বর কানাডার নাগরিকদের ই-ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল নয়াদিল্লি। পরে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, ২৬ অক্টোবর থেকে কানাডার নাগরিকদের ‘এন্ট্রি ভিসা’, ‘বিজনেস ভিসা’, ‘মেডিকেল ভিসা’ ও ‘কনফারেন্স ভিসা’ দেওয়া হবে। কানাডায় ভারতের রাষ্ট্রদূত সঞ্জয়কুমার বর্মা বলেছিলেন, “কেবল চারটি ক্ষেত্রে ফের ভিসা দেওয়া চালু হয়েছে।” তবে বুধবার থেকে সব নাগরিককেই ই-ভিসা পরিষেবা দেওয়ার কথা জানাল ভারত। এই ভিসা ফের চালু হলে ভারত ভ্রমণ করতে পারবেন কানাডার নাগরিকরা।

    কানাডাকে বার্তা

    এদিকে, বুধবার সন্ধ্যায় উদ্বোধন হবে ভার্চুয়ালি জি২০ বৈঠকের। বৈঠকে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং উপস্থিত থাকবেন না। তবে যোগ (India Canada Relation) দেবেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে গরহাজির থাকবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। যদিও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ওই ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেবেন বলে নিশ্চিত করেছে সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়। এহেন আবহে ই-ভিসা পরিষেবা চালু করে নয়াদিল্লি কানাডাকে বার্তা দিতে চাইছে বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।

    ভারত-কানাডা সম্পর্ক

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জুন মাসে কানাডায় খুন হন ‘খালিস্তান টাইগার ফোর্সে’র প্রধান হরদীপ সিং নিজ্জর। তিনি কানাডার সারের গুরু নানক শিখ গুরুদ্বার সাহিবের প্রধান ছিলেন। গুরুদ্বার চত্বরের মধ্যেই গুলি করে খুন করা হয় তাঁকে। ওই ঘটনায় ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে কানাডা। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী সংসদে নিজ্জর খুনে ভারতের হাত রয়েছে বলে দাবি করেন। ট্রুডোর দাবিকে অবাস্তব ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নস্যাৎ করে নয়াদিল্লি। কানাডার অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণও চায় ভারত। কানাডার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তলানিতে ঠেকে ভারত-কানাডা সম্পর্ক।

    আরও পড়ুুন: ধর্মতলায় ‘শাহি’ সমাবেশ নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির দুয়ারে রাজ্য

    কানাডা থেকে গম আমদানি কমিয়ে দেয় ভারত। বিপাকে পড়েন কানাডার কৃষকরা। কারণ কানাডা থেকে সব চেয়ে বেশি গম আমদানি করে ভারত। তার জেরে ফসলের উচ্চমূল্য পান কানাডার কৃষকরা। আমদানি কমাতেই কানাডায় কমে যায় গমের দাম। তার পরেই সুর নরম করে কানাডা। ই-ভিসা পরিষেবা ফের চালু করে ভারত কানাডাকে বার্তা পাঠাল বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের (India Canada Relation)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khardah: খড়দায় বসে বিদেশি নাগরিকদের অ্যাকাউন্ট সাফ! কোটি কোটি টাকার প্রতারণা

    Khardah: খড়দায় বসে বিদেশি নাগরিকদের অ্যাকাউন্ট সাফ! কোটি কোটি টাকার প্রতারণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খড়দায় (Khardah) বসে বিদেশের অ্যাকাউন্ট সাফ করে দিত প্রতারকরা। মূলত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার নাগরিকদের অ্যাকাউন্ট সাফ করার অভিযোগ উঠেছে এই প্রতারকদের বিরুদ্ধে। মূলত, প্রতারণা জগতের মাস্টার মাইন্ড হিসেবে পরিচিত জামতারা গ্যাং। পুলিশকে ঘোল খাইয়ে বহু মানুষের অ্যাকাউন্ট সাফ করার অনেক ঘটনা রয়েছে এই গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে। জামতা়ড়া গ্যাংকে টেক্কা দেওয়ার মতো গ্যাং তৈরি হয়ে গিয়েছিল খড়দায়। পুলিশ টের পর্যন্ত পায়নি। করোনার সময় এই গ্যাং মার্কিন মুলুকে সব থেকে বেশি প্রতারণা করেছিল। গত চার বছর ধরে সক্রিয় ছিল এই প্রতারণা চক্র। সবমিলিয়ে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার প্রতারণা হয়েছে বলে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ভয়েস চেঞ্জার, অডি গাড়ি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। দেরাদুনের পাঁচ তারা একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিটকয়েন এবং হাওলার মাধ্যমে ওই টাকা যেত বলে পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে।

    কীভাবে প্রতারণা করত? (Khardah)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারকরা মূলত ভয়েস চেঞ্জারের মাধ্যমে বিদেশীদের সঙ্গে  কথা বলত। তাঁদের কম্পিউটারের অ্যান্টি ভাইরাসের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে, নতুন করে অ্যান্টি ভাইরাস দেওয়ার জন্য তারা লিংক পাঠাত। সেই লিংকে ক্লিক করলেই অ্যাকাউন্টের ডিটেলস চলে আসত প্রতারকদের কাছে। এরপর খড়দায় (Khardah) বসেই কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিত প্রতারকরা। আমেরিকা এবং কানাডার ৭০-৮০ জন প্রবীণ নাগরিকের প্রতারিত হওয়ার হদিশ মিলেছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে পুলিশ কমিশনারেটের কর্তাদের আশঙ্কা। কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে দেরাদুন থেকে ৬ জনকে গ্রেফতার করে বারাকপুর সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা।

    কীভাবে হদিশ মিলল প্রতারকদের?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৮ অক্টোবর একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে খড়দহ থানা এলাকার বলরাম হাসপাতালের কাছে একটি কল সেন্টারে হানা দেয় খড়দা থানার পুলিশ। সৈয়দ শাহাবাজ হাসান নামে এক প্রতারকের বাড়িতে চলত এই কল সেন্টার। সেখানে খড়দা,(Khardah) টিটাগড়ের পাশাপাশি কলকাতার গড়ফার একজনেক হদিশ পাওয়া গিয়েছে। তদন্তে নেমে প্রথমে গ্রেফতার করা হয় ১০ জনকে। এরপর এই কেসের তদন্তভার কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগকে দেওয়া হয়। তারপর তদন্তে নেমে ২৫ অক্টোবর গোয়েন্দা বিভাগ আরবাজ হাসান নামে একজনকে সল্টলেকের একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই আন্তর্জাতিক প্রতারণা চক্রের হদিশ পায়। এরপর গত তিনদিন আগে উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনের  একটি পাঁচ তারা হোটেল থেকে আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, সৈয়দ শাহাবাজ হাসান, সোনু জয়সওয়াল, কৃষ্ণ কুমার সিং, অনীশ ঠাকুর, ফরহাদ হাসান ও হর্ষ দিনানি। এই ছয়জনকে শনিবার ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়ে পাঠানো হচ্ছে বারাকপুর আদালতে।

    কী বললেন বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তা?

    বারাকপুরের গোয়েন্দা প্রধান শ্রীহরি পান্ডে এক সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, গত ১৮ই অক্টোবর খড়দার (Khardah) একটি কলসেন্টারে হানা দিয়ে পুলিশ প্রচারণা চক্রের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। একটি অডি গাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার প্রবীণ ব্যক্তিদের থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। ২০১৯ সাল থেকে এই কল সেন্টার কাজ করে। এই চক্র দীর্ঘ চার বছর ধরে এরা খড়দা থেকে চালাচ্ছিল। এই চক্রের সঙ্গে আর কেউ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khalistani Terrorists Threat: “১৯ নভেম্বর এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে চড়বেন না”, হুমকি খালিস্তানপন্থী জঙ্গি পান্নুনের

    Khalistani Terrorists Threat: “১৯ নভেম্বর এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে চড়বেন না”, হুমকি খালিস্তানপন্থী জঙ্গি পান্নুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সব শিখদের বলছি আগামী ১৯ নভেম্বর এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে চড়বেন না। ওই দিন বিশ্বজুড়ে অবরোধ হবে। ১৯ নভেম্বর এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে করে যাতায়াত করবেন না, নাহলে আপনার প্রাণের ঝুঁকি থাকতে পারে।” ভারতকে এই হুমকি-বার্তা দিয়েছে খালিস্তানপন্থী জঙ্গি গুরুপতওয়ান্ত সিং পান্নুন (Khalistani Terrorists Threat)।

    পান্নুনের হুমকি

    তাঁর দাবি, ১৯ নভেম্বর দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ থাকবে এবং এই বিমানবন্দরের নামও বদলে দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ১৯ তারিখেই রয়েছে আইসিসি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ। খেলা হবে আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হুমকি দিয়েছিলেন এই খালিস্তানপন্থী জঙ্গি। ভারতে নিষিদ্ধ ‘শিখস ফর জাস্টিসে’র প্রধান পান্নুন ১০ অক্টোবর বলেছিলেন, ‘ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ থেকে ভারত যেন শিক্ষা নেয়, নাহলে একই অবস্থা হবে এ দেশেরও।’ ভাইরাল হওয়া ওই দিনের ভিডিওয় পান্নুনকে বলতে শোনা যায়, ‘বেআইনিভাবে অধিকৃত পঞ্জাব থেকে প্যালেস্তাইনের জনগণ জেগে উঠেছে। তাঁরা প্রত্যাঘাত শানাবেন। হিংসা শুধুই হিংসার জন্ম দেয়।’ সেদিন আঙুল উঁচিয়ে গুলি ছোড়ার মতো ভঙ্গি করতেও দেখা যায় খালিস্তানপন্থী এই জঙ্গিকে (Khalistani Terrorists Threat)।

    ঘোষিত অপরাধী পান্নুন

    পঞ্জাবের অমৃতসরে জন্ম পান্নুনের। পরে চলে যায় আমেরিকায়। গ্রহণ করে মার্কিন নাগরিকত্ব। বর্তমানে সে রয়েছে কানাডায়। ২০১৯ সাল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের এই নেতা চলে আসে এনআইএর স্ক্যানারে। তার বিরুদ্ধে পঞ্জাবে হামলা চালানোর জন্য অর্থ সংগ্রহ করা, তরুণদের সন্ত্রাসবাদে দীক্ষিত করা সহ নানা অভিযোগ রয়েছে। ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি পান্নুনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করে এনআইএ আদালত। গত বছর তাকে ঘোষণা করা হয় ঘোষিত অপরাধী।

    প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুন কানাডায় প্রকাশ্যে খুন হয় খালিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর। ওই ঘটনায় ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তার পর থেকেই বাড়বাড়ন্ত পান্নুনের (Khalistani Terrorists Threat)।

    আরও পড়ুুন: ভোটের মুখে মাওবাদীদের হাতে খুন ছত্তিশগড়ের বিজেপি নেতা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

      

     

  • Nijjar Killing: নিজ্জর খুনে হাত রয়েছে বেজিংয়ের! দাবি চিনা বংশোদ্ভূত ইউটিউবারের

    Nijjar Killing: নিজ্জর খুনে হাত রয়েছে বেজিংয়ের! দাবি চিনা বংশোদ্ভূত ইউটিউবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর (Nijjar Killing) খুনে হাত রয়েছে চিনের। অন্তত এমনই দাবি করলেন জেনিফার জেং নামে এক ইউটিউবার। তাঁর দাবি, ভারতের সঙ্গে পশ্চিমী বিশ্বের সম্পর্ক খারাপ করতেই এ কাজ করেছে ড্রাগনের দেশ।

    কাঠগড়ায় চিনা কমিউনিস্ট পার্টি

    তিনি বলেন, “তাইওয়ান নিয়ে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সামরিক নীতি মেনেই চিনা কমিউনিস্ট পার্টি (CCP) একাজ করছে। যাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সম্পর্কের সূতো ছিঁড়ে যায়।” চিনে জন্ম এই সাংবাদিকের। তিনি সমাজকর্মীও। বর্তমানে আমেরিকায় থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এক্সে যে ভিডিও তিনি পোস্ট করেছেন, তাতে বলেছেন, “কানাডায় খুন হওয়া নিজ্জর সিংয়ের হত্যাকাণ্ড সিসিপি (CCP) থেকেই হয়েছে। এটি অনুমান করা হচ্ছে যে এই হত্যাকাণ্ড সিসিপির এজেন্টের মাধ্যমেই করা হয়েছে।”

    ভারত-কানাডা সম্পর্ক

    জুনের ১৮ তারিখে কানাডার কলম্বিয়া প্রদেশে খুন হয় নিজ্জর। তার প্রভাব পড়ে ভারত-কানাডা সম্পর্কে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সংসদে দাবি করেন, নিজ্জর খুনের নেপথ্যে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাত থাকতে পারে। মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি নিজ্জরকে তিনি কলমিস্ত্রি বলেও দাবি করেন। ট্রুডোর অভিযোগ নস্যাৎ করে দেয় ভারত। জানিয়ে দেয়, নিজ্জর খুনে ভারতের হাত রয়েছে এমন প্রমাণ পেলে তা যেন ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়। নয়াদিল্লিতে থাকা কানাডার রাষ্ট্রদূতদের সংখ্যা কমানোর নির্দেশও দেয় ভারত। কমিয়ে দেয় কানাডা থেকে ডাল রফতানির পরিমাণও। সব মিলিয়ে গাড্ডায় পড়ে ট্রুডো সরকার।   

    ভারতকে বিপাকে ফেলতে (Nijjar Killing) ‘ফাইভ আইজ অ্যালায়েন্সে’ দরবার করে কানাডা। যদিও আমেরিকা, ব্রিটেন সহ ওই জোটের চার দেশ কানাডার পাশে দাঁড়ায়নি। কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যাবাদী আখ্যা দেয় শ্রীলঙ্কাও। বিশ্বের বৃহৎ শক্তিধর দেশগুলি পাশে না দাঁড়ানোয় এবং এশিয়ায় সেভাবে কাউকে পাশে না পেয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে কার্যত এক ঘরে হয়ে পড়ে কানাডা। এর পরেই সুর নরম করে ট্রুডোর দেশ। তারা জানিয়ে দেয়, ভারতের সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রাখতে তারা  আগ্রহী।

    আরও পড়ুুন: আলিপুরদুয়ার সমবায়ে দুর্নীতির তদন্তে নেমে ‘প্রাণভোমরা’ হাতে এল সিবিআইয়ের, কী তা জানেন?

    এমতাবস্থায় কার্যত হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন এই ইউটিউবার। দিন কয়েক আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, ভারতের সঙ্গে পশ্চিমী বিশ্বের সম্পর্ক খারাপ করতে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির তরফে পদস্থ অফিসারদের পাঠানো হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানেই তৈরি হয় ব্লু প্রিন্ট (Nijjar Killing)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • India Canada Relationship: ‘ভারতের সঙ্গে ব্যক্তিগত কূটনীতি চাই’, সুর আরও নরম করে বলল কানাডা

    India Canada Relationship: ‘ভারতের সঙ্গে ব্যক্তিগত কূটনীতি চাই’, সুর আরও নরম করে বলল কানাডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেই বোধহয় বলে ঠেলার নাম মধুসূদন! খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনের জেরে ভারতের সঙ্গে কানাডার (India Canada Relationship) সম্পর্ক গিয়ে ঠেকেছে তলানিতে। বিশ্বরাজনীতিতেও ক্রমেই একঘরে হয়ে পড়ছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সেই কারণেই দিন কয়েক আগে সুর নরম করে ট্রুডো সরকার। তার পরেও কানাডাকে চাপে রাখে ভারত।

    ভারতের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠক চায় কানাডা!

    নয়াদিল্লিতে থাকা সে দেশের রাষ্ট্রদূতের সংখ্যা কমাতে বলে মোদি সরকার। তার পরেই আরও টোন ডাউন করল কানাডা সরকার। জানিয়ে দিল, ভারতের সঙ্গে ব্যক্তিগত কূটনীতি চালানোর কথা। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যক্তিগত কূটনীতির কথা বলে প্রকৃতপক্ষে নয়াদিল্লির সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠকে বসে সমস্যা মেটাতে চাইছে অটোয়া। কানাডার বিদেশমন্ত্রী মেলানি জোলি বলেন, “আমরা ব্যক্তিগত স্তরে ভারতের সঙ্গে কথা চালিয়ে যাব। কারণ আমরা মনে করি, কূটনৈতিক আলোচনা ব্যক্তিগত স্তরে হলে সেটা সব চেয়ে বেশি ফলপ্রসূ হয়।” মঙ্গলবারই নয়াদিল্লির সঙ্গে সুসম্পর্কের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন কানাডার (India Canada Relationship) প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো স্বয়ং।

    কী বলেছিলেন ট্রুডো?

    তিনি বলেছিলেন, “বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে ভারত। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারত এখন উদীয়মান শক্তি। কানাডা চায় তাদের সঙ্গে আরও নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় পরিস্থিতি নিয়ে গত বছর আমাদের বৈঠকও হয়েছে।” তিনি এও বলেছিলেন, “ভারতের সঙ্গে সংঘাত আর বাড়াতে চাই না আমরা। কানাডা দায়িত্ব সহকারে ও গঠনমূলকভাবে নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাবে।”

    আরও পড়ুুন: উত্তরবঙ্গ ভাসছে, রাজভবন অভিযানে ব্যস্ত তৃণমূলের নেতারা, তোপ সুকান্তর

    প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় একটি গুরুদ্বারের সামনে ভারত থেকে পলাতক খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরকে গুলি করে খুন করে দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। তার পরেই ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে কানাডা। সে দেশের সংসদে দাঁড়িয়ে স্বয়ং ট্রুডো বলেন, “কানাডার নাগরিক হরদীপ সিং নিজ্জরের মৃত্যুতে ভারতের ভূমিকা থাকতে পারে।” ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি নিজ্জরকে তিনি কলের মিস্ত্রি বলেও অভিহিত করেন। এর পরেই ভারত-কানাডা সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। কানাডার মিথ্যে ও মনগড়া অভিযোগের ভিত্তিতে কড়া জবাব দেয় ভারত। যার জেরে ক্রমেই সুর নরম করে চলেছে ট্রুডো সরকার (India Canada Relationship)। এদিকে, দিন কয়েক আগে অটোয়ায় লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরে হামলার ঘটনায় খালিস্তানপন্থী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে কানাডা প্রশাসন। যদিও গোপন রাখা হয়েছে তার পরিচয়। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Canada Row: ‘৪০ জন কূটনীতিককে সরাও, নাহলে…’, সংঘাতের আবহে কানাডাকে বলল ভারত

    India Canada Row: ‘৪০ জন কূটনীতিককে সরাও, নাহলে…’, সংঘাতের আবহে কানাডাকে বলল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গদি বাঁচাতে নিজ্জর খুনে ভারতকে দুষেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। পরে অবশ্য সুর নরম করে কানাডা সরকার (India Canada Row)। যদিও তার আগেই বিশ্বরাজনীতিতে একঘরে হয়ে পড়েছেন ট্রুডো। সদস্য হওয়া সত্ত্বেও পাশে পাননি ‘ফাইভ আইজ’-এর বাকি চার সদস্যকে। ট্রুডোর বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছে শ্রীলঙ্কাও। 

    কানাডাকে হুঁশিয়ারি ভারতের

    এহেন আবহে কানাডাকাণ্ডে কড়া পদক্ষেপ করল ভারত। কূটনীতিকদের সংখ্যা কমাতে ট্রুডো সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে ভারত। তা না হলে কনস্যুলেট বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। কানাডায় ভারতীয় কূটনীতিকের সংখ্যা ৩০। অথচ নয়াদিল্লির দূতাবাসে কানাডিয়ান কূটনীতিকের সংখ্যা এর প্রায় তিনগুণ। এই সংখ্যাই কমাতে বলেছে ভারত। 

    কী বলছে বিদেশ মন্ত্রক?

    বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, “কানাডায় (India Canada Row) ভারতের যে সংখ্যক কূটনীতিক রয়েছেন, সেই তুলনায় নয়াদিল্লিতে কানাডার কূটনীতিকের সংখ্যা ঢের বেশি। তাই দু’ দেশের মধ্যে সমতা রাখা উচিত। সেই কারণেই ভারত থেকে প্রায় ৪০ জন কানাডার কূটনীতিককে সরানোর কথা বলা হয়েছে।”

    জুন মাসে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশে খুন হন খালিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর। এই খালিস্তানপন্থী নেতা খুনে ভারতের হাত থাকতে পারে বলে সম্প্রতি সে দেশের পার্লামেন্টে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। শুধু তাই নয়, খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নিজ্জরকে কলমিস্ত্রি বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। কানাডা সরকারের অভিযোগ খারিজ করে দেয় নয়াদিল্লি। তার জেরে কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে ভারত-কানাডার। অভিযোগের স্বপক্ষে ট্রুডো সরকারকে প্রমাণও দিতে বলে ভারত।

    আরও পড়ুুন: ‘‘দেশে বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে’’, বিহারের জাতিগত সমীক্ষা নিয়ে বিরোধীদের তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    এমতাবস্থায় কানাডায় (India Canada Row) বসবাসকারী হিন্দু ও শিখ ধর্মাবলম্বীদের সে দেশ ছাড়ার হুমকি দিয়েছে খালিস্তানপন্থী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। তার পরেই ভারত-কানাডা সম্পর্ক গিয়ে ঠেকেছে তলানিতে। দিন কয়েক আগে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। পরে ওয়াশিংটনে তিনি বলেন, “বাধ্যবাধকতা ছিল। আমাদের কূটনীতিক, দূতাবাসের ওপর হিংসার প্রচার করা হচ্ছিল। কীভাবে ওঁরা দফতরে গিয়ে ভিসা দেওয়ার কাজ করবেন। এটা আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্ন। ভিয়েনা চুক্তির প্রশ্ন। ভিয়েনা চুক্তি অনুযায়ী আমাদের কূটনীতিক, দূতাবাসকে নিরাপত্তা দিতে হবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share