Tag: Canada

Canada

  • Khalistani Terrorist: জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ শুরু এনআইএ-র, বাজেয়াপ্ত পান্নুর জমিজমা

    Khalistani Terrorist: জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ শুরু এনআইএ-র, বাজেয়াপ্ত পান্নুর জমিজমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মসূত্রে তিনি ভারতীয়। পরে অবশ্য নাগরিকত্ব নিয়েছেন আমেরিকার। কানাডায় গিয়ে ইন্ধন জোগাচ্ছেন খালিস্তানি আন্দোলনে। এহেন খালিস্তানপন্থী জঙ্গি (Khalistani Terrorist) গুরুপাতয়ান্ত সিং পান্নুর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)।

    বাজেয়াপ্ত পান্নুর জমি

    বুধবার এনআইএ যে মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি ও বিচ্ছন্নতাবাদীর তালিকা প্রকাশ করেছিল, তার ওপরের দিকে নাম রয়েছে ‘শিখস ফর জাস্টিসে’র প্রধান পান্নুর। তাঁর নামে ২২টি অপরাধমূলক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে আবার তিনটি অভিযোগ রয়েছে দেশদ্রোহিতার। শনিবার পান্নুর চণ্ডীগড়ের বাড়িতে হানা দেয় এনআইএ। পঞ্জাবের অমৃতসরে তাঁর নামে থাকা জমিও বাজেয়াপ্ত করা হয়। এনআইএ জানিয়েছে, অমৃতসরের খানকটে ৪৬টি জমি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। চণ্ডীগড়ে তাঁর নামে থাকা জমিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    পান্নুর হুমকি 

    জুন মাসে কানাডায় খুন হন খালিস্তানপন্থী মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি (Khalistani Terrorist) হরদীপ সিং নিজ্জর। সেই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে কানাডা। দিন কয়েক আগে সংসদে দাঁড়িয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সরাসরি ভারতকেই নিশানা করেন। তার জেরে অক্সিজেন পেয়ে যায় কানাডায় ঘাঁটি গেড়ে থাকা খালিস্তানপন্থীরা। কানাডায় বসবাসকারী হিন্দুদের হুমকি দেয় পান্নু। ভিডিও-বার্তায় বলে, “ইন্দো-কানাডিয়ানরা দেশে ফিরে যাও। তোমাদের গন্তব্য ভারত, কানাডা নয়। খালিস্তানপন্থীরা বরাবারই কানাডার প্রতি বিশ্বাসভাজন থেকেছে। তারা সর্বদা কানাডার পক্ষ নিয়েছে। তারা আইন-শৃঙ্খলা ও সংবিধান মেনে চলেছে।” এর পাশাপাশি পান্নু ২৯ অক্টোবর কানাডিয়ান শিখদের ভ্যাঙ্কুভারে জড়ো হওয়ার আবেদন জানিয়েছে। সেখানে ইন্ডিয়ান হাইকমিশনার সঞ্জয় কুমার ভার্মা নিজ্জর খুনে জড়িত কিনা তা নিয়ে ভোটাভুটি হবে।

    আরও পড়ুুন: পাকিস্তানে গিয়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেয় নিজ্জর, ছক ভারতে হামলারও, চাঞ্চল্যকর তথ্য গোয়েন্দাদের

    এনআইএ জানিয়েছে, পান্নুর সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’ তরুণদের মগজধোলাই করছে। তাদের দিয়ে জঙ্গি (Khalistani Terrorist) কার্যকলাপ করাচ্ছে। পান্নুই ‘শিখস ফর জাস্টিসে’র মূল চালিকাশক্তি। সংগঠনকে নিয়ন্ত্রণ করে সে-ই। ২০১৯ সালের ১০ জুলাই ভারত সরকার পান্নুর সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ২০২০ সালের জুলাই মাসে পান্নুকে জঙ্গি ঘোষণা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ২০২১ সালে তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় ওয়ারেন্ট জারি করে এনআইএ কোর্ট।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Canada: নিজ্জরের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক হত কানাডার গোয়েন্দাদের! চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি নিহত জঙ্গির ছেলের

    Canada: নিজ্জরের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক হত কানাডার গোয়েন্দাদের! চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি নিহত জঙ্গির ছেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডা (Canada) শুধুমাত্র যে খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরকে আশ্রয় দিয়েছিল এমনটাই নয়। সে দেশের গোয়েন্দারা নাকি নিয়মিত বৈঠকও করত এই খালিস্থানি জঙ্গির সঙ্গে। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে কানাডার সংবাদ মাধ্যমগুলির সৌজন্যে। অর্থাৎ এতদিন ধরে ভারত যা দাবি করছিল তা সত্য বলে প্রমাণিত হল। পাকিস্তানের মতো কানাডা যে জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে, ভারতের এই দাবি এবার সিলমোহর পেল। নিজ্জরের নিরাপত্তার দায়িত্বভারও গ্রহণ করেছিল সে দেশের গোয়েন্দারা, একথা যে অন্য কেউ বলছে তা নয় নিহত খালিস্থানি জঙ্গি নিজ্জরের ছেলে এই স্বীকারোক্তি দিচ্ছেন।  ভারতের এই দাবি সত্য প্রমাণ হওয়ার পরে কানাডা (Canada) প্রশাসনের কাছে কি আর কোনও উত্তর রইল? এমনটাই প্রশ্ন ওয়াকিবহাল মহলের।

    কী বলছে নিজ্জরের ছেলে 

    প্রসঙ্গত, খালিস্থানপন্থী নিজ্জর চলতি বছরের ১৮ জুন শিখ গুরুদোয়ারার সামনে গুলিবিদ্ধ হন। নিজ্জরের ছেলে বলরাজ সিং নিজ্জর সে দেশের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর বাবা সাপ্তাহিকভাবে বৈঠক করতেন কানাডার (Canada) গোয়েন্দাদের সঙ্গে। কখনও কখনও এই বৈঠক সপ্তাহে একবার হতো বা দুইবার হতো। শুধু তাই নয় বলরাজ সিং এও জানিয়েছেন যে কানাডার গোয়েন্দাদের সঙ্গে তাঁর বাবা শেষবারের মতো বৈঠকও  হয়েছে, মৃত্যুর দু’দিন আগে। বলরাজের কথায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এই ঘন ঘন বৈঠক শুরু হয়। নিহত খালিস্তানি জঙ্গি নিজ্জরের  ছেলে আরও জানিয়েছেন, কানাডার (Canada) গোয়েন্দারা তাঁর বাবাকে বাড়িতে থাকতেই পরামর্শ দিয়েছিলেন।

    জনসমর্থন হারানো ট্রুডো খালিস্তানি জঙ্গিদের প্রশ্রয় কেন দিচ্ছে

    কানাডার (Canada) একাধিক সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট বলছে, সে দেশে জনসমর্থ হারিয়েছেন ট্রুডো। যে কোনও সময়ই ভোট হলে তাঁরা পরাজয় নিশ্চিত বলেও জানাচ্ছেন সমীক্ষকরা। এহেন পরিস্থিতিতে ক্ষমতা ধরে রাখতেই কি শিখ উগ্রবাদীদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন ট্রুডো? এমন প্রশ্নও শোনা যাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহলে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justin Trudeau: জঙ্গি খুনে ভারতকে দুষে বিপাকে ট্রুডো, প্রধানমন্ত্রী পদে তাঁকে চাইছেন না সিংহভাগ কানাডাবাসীই!

    Justin Trudeau: জঙ্গি খুনে ভারতকে দুষে বিপাকে ট্রুডো, প্রধানমন্ত্রী পদে তাঁকে চাইছেন না সিংহভাগ কানাডাবাসীই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানি জঙ্গি হত্যায় ভারতের হাত রয়েছে বলে বিপাকে কানাডার জাস্টিন ট্রুডোর (Justin Trudeau) সরকার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত-কানাডা সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। তার জেরে আরও গাড্ডায় ট্রুডো সরকার! সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে,  বর্তমানে দেশের ৪০ শতাংশ ভোটার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছেন কনজার্ভেটিভ পার্টির নেতা পিরি পয়লিভারকে। তাঁর পেছনে রয়েছেন ট্রুডো। আইপিএসওএস নামের এক সংস্থার করা সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য। ২০২৫ সালে কানাডায় হবে সাধারণ নির্বাচন। কনজার্ভেটিভ পার্টির নেতাদেরও দাবি, ওই নির্বাচনে দেশের রাশ তাঁদের হাতে আসার চান্স সব চেয়ে বেশি।

    পিরি পয়লিভারকে প্রধানমন্ত্রী চান সিংহভাগ মানুষ 

    সমীক্ষায় যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ৪০ শতাংশ পিরিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইলেও, ট্রুডোকে (Justin Trudeau) ওই পদে দেখতে চেয়েছেন মাত্র ৩১ শতাংশ মানুষ। ২২ শতাংশ মানুষ প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চেয়েছেন এনডিপি (NDP) নেতা জগমিত সিংহকে। খালিস্তানিদের প্রতি সংবেদনশীল জগমিত। তাঁর দল রয়েছে ট্রুডোর সরকারে। তবে এই তিনজনের মধ্যে পিরিই সেরা বলে মনে করেছেন সিংহভাগ কানাডাবাসী। তাঁদের মতে, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য এবং বাসস্থান এই তিন ক্ষেত্রেই পিরির পরিকল্পনাও সেরা।

    জঙ্গি খুনে ভারতকে দুষছেন ট্রুডো

    গত জুন মাসে প্রকাশ্যে খুন হন খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর। এই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে ট্রুডো সরকার। যদিও অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ চায় ভারত। প্রমাণ চেয়েছেন পিরিও। তিনি বলেন, “আমি মনে করি সমস্ত ঘটনাটা প্রধানমন্ত্রীর খুলে বলা প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই যেসব প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তা আমাদের জানা প্রয়োজন। যাতে করে কানাডাবাসী ঠিকঠাক বিচার-বিবেচনা করতে পারেন।” তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী কিছুই প্রমাণ করতে পারেননি। তিনি কেবল একটি বিবৃতি দিয়েছেন।”

    আরও পড়ুুন: মুখ পুড়েছে চিনের! অরুণাচল প্রদেশের তিন ক্রীড়াবিদকে ভিসা দিল না বেজিং, ক্ষোভ ভারতের

    সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, কিউবেক ছাড়া কানাডার সব প্রদেশেই ট্রুডোর (Justin Trudeau) চেয়ে প্রধামন্ত্রিত্বের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন পিরি। অন্টারিওর ৪২ শতাংশ মানুষ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চান পিরিকে। আর ট্রুডোকে ওই পদে চান ৩৮ শতাংশ মানুষ। প্রসঙ্গত, লিবারেল পার্টির নেতা তথা প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর নেতৃত্বে কানাডায় চলছে জোট সরকার। এই সরকারে রয়েছে খালিস্তানিদের প্রতি সংবেদনশীল এনডিপি। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলের মতে, তাই জোট রাজনীতির বাধ্যবাধকতার কারণে এবং নিজের গদি বাঁচাতে জঙ্গি খুনে ভারতকে দুষছেন ট্রুডো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khalistani Terrorist: নিজ্জর খুনে প্রমাণ দিতে ব্যর্থ, রাজনৈতিক কারণেই কি ভারতকে নিশানা ট্রুডোর?

    Khalistani Terrorist: নিজ্জর খুনে প্রমাণ দিতে ব্যর্থ, রাজনৈতিক কারণেই কি ভারতকে নিশানা ট্রুডোর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় খুন হয়েছেন খালিস্তানি জঙ্গি (Khalistani Terrorist) ‘খালিস্তান টাইগার ফোর্সে’র প্রধান হরদীপ সিং নিজ্জর। জুন মাসের ওই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে জাস্টিন ট্রুডোর দেশে ঘাঁটি গেড়ে থাকা খালিস্তানপন্থীরা। খালিস্তানিদের সুরে সুর মিলিয়ে ভারতকে দুষছে কানাডার ট্রুডো সরকারও।

    প্রমাণ চাইল ভারত

    নিজ্জর খুনে যে ভারতের হাত রয়েছে, এবার ট্রুডো সরকারের সেই অভিযোগের প্রমাণ চাইল ভারত। নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে কানাডা প্রশাসনকে তদন্তে সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছিল ভারত। যদিও সে ব্যাপারে টুঁ শব্দটি করেনি ট্রুডো সরকার। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, “আমরা কানাডা সরকারকে নির্দিষ্ট তথ্য (নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে) দিতে (Khalistani Terrorist) বলেছিলাম। এখনও কোনও নির্দিষ্ট তথ্য তারা দেয়নি।” তিনি বলেন, “কানাডার মাটিতে ভারত বিরোধী যেসব জঙ্গি কার্যকলাপ হচ্ছে, তার প্রমাণ আমরা কানাডা সরকারকে শেয়ার করেছি। কিন্তু কানাডা তা করছে না। তারা অভিযোগ করছে, তার ওপর ভিত্তি করে ব্যবস্থাও নিচ্ছে। অথচ প্রমাণ দিতে পারছে না। কানাডা সরকারের রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণেই বোধহয় এটা হচ্ছে।”

    কানাডার রাজনীতিতে শিখদের ভূমিকা 

    প্রসঙ্গত, কানাডায় শিখ ধর্মাবলম্বী মানুষ রয়েছেন দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২ শতাংশ। ট্রুডো সরকার গঠনে এঁদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। সে দেশের ‘হাউস অফ কমনসে’ শিখ সাংসদ রয়েছেন ১৮ জন। তাই কানাডার কোনও রাজনৈতিক দলই শিখদের ক্ষোভের কারণ হতে পারে, এমন পদক্ষেপ করে না। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলের মতে, এই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়েছে খালিস্তানপন্থীরা। সেই কারণেই কানাডায় গিয়ে ঘাঁটি গাড়ছে একের পর এক খালিস্তানি জঙ্গি। ইন্ধন জোগাচ্ছে ভারত বিরোধী আন্দোলনে। যে কারণে মাঝে মধ্যেই ভারতের পঞ্জাবে মাথাচাড়া দিচ্ছে খালিস্তানি আন্দোলন।

    আরও পড়ুুন: পান্নুর হুমকি হিন্দুদের, খালিস্তানি জঙ্গি দমনের সাহস দেখাতে পারবেন কি ট্রুডো?

    বুধবার (Khalistani Terrorist) এনআইএ-র তরফে কানাডা সরকারকে ৪৩ জন বিচ্ছিন্নতাবাদীর নাম পাঠানো হয়। অভিযোগ, তার পরেই নয়াদিল্লির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে ট্রুডো সরকার। এর প্রেক্ষিতে দিন কয়েক আগে অরিন্দম  বাগচি এক ট্যুইট-বার্তায় বলেছিলেন, “এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী ও উগ্রপন্থীদের ওপর থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা। যারা ভারতের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি একটা হুমকি, তাদের কানাডায় আশ্রয় দেওয়া চলছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Modi Govt: কোনও জঙ্গিকে প্রচারের জায়গা দেবেন না! চ্যানেলগুলিকে নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    Modi Govt: কোনও জঙ্গিকে প্রচারের জায়গা দেবেন না! চ্যানেলগুলিকে নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাস দমনে সদা সক্রিয় মোদি সরকার। এতদিন  জঙ্গিদের মোকাবিলা করে সন্ত্রাস রোখার চেষ্টা করেছে সরকার। এবার শুধু হাতে না মেরে জঙ্গিদের পাতে মারার সিদ্ধান্ত নিল সরকার। কোনওরকম জঙ্গি-কার্যকলাপ যাতে প্রচার না পায় তা দেখতে টিভি চ্যানেলগুলিকে নির্দেশ দিল দিল্লি।  বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর), গুরুতর অপরাধ বা সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে অভিযুক্ত বা সরকারের নিষিদ্ধ করা কোনও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের, টেলিভিশন চ্যানেলগুলিতে আমন্ত্রণ না জানানোর নির্দেশ দিল কেন্দ্র।

    নির্দেশিকায় কী বলা হয়েছে

    কানডার সঙ্গে কুটনৈতিক দ্বন্দ্বের মধ্যেই, এবার টেলিভিশন চ্যানেলগুলিকে নির্দেশিকা পাঠাল কেন্দ্রীয় সরকার (centre’s advisory to tv channels)। সেই নির্দেশে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও জঙ্গিকে যেন কথা বলার জন্য যেন জায়গা করে দেওয়া না হয় (platform to terrorists)। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকার সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবে না। কিন্তু, টিভি চ্যানেলগুলিকে কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ১৯৯৫-এর বিধানগুলি মেনে চলতে হবে। 

    আরও পড়ুন: কানাডায় খালিস্তানি জঙ্গি হত্যার দায় স্বীকার করল গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই গোষ্ঠী

    কানাডা ইস্যুর পরই পদক্ষেপ

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে জারি করা ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “মন্ত্রকের নজরে এসেছে, এমন এক বিদেশি ব্যক্তিকে এক টেলিভিশন চ্যানেলে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, যার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ-সহ গুরুতর অপরাধের মামলা রয়েছে এবং সে এমন একটি সংস্থার সদস্য, যে সংস্থা ভারতে নিষিদ্ধ। ওই ব্যক্তি দেশের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা, ভারতের নিরাপত্তা, একটি বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং দেশের জনশৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটানোর মতো ক্ষতিকারক বেশ কিছু মন্তব্য করেছিলেন। টেলিভিশন চ্যানেলগুলিকে, গুরুতর অপরাধ বা সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ রয়েছে এবং আইনত নিষিদ্ধ সংস্থাগুলির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশ এবং তাদের মতামত প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার উপদেশ দেওয়া হচ্ছে।”


    প্রসঙ্গত, একটি নিউজ চ্যানেলে সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা গুরপতবন্ত সিং পান্নুকে আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছিল। গুরপতবন্ত সিং পান্নু, খালিস্তানি আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে। ভারত সরকারের ওয়ান্টেড টেরোরিস্টের তালিকায় তার নাম রয়েছে। তারপরই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যদিও ওই নির্দেশিকায় পান্নু কিংবা কানাডার নাম উল্লেখ করা হয়নি। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Canada: ‘‘পাকিস্তানের মতোই জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য কানাডা’’, খালিস্তান ইস্যুতে কড়া বিবৃতি ভারতের

    Canada: ‘‘পাকিস্তানের মতোই জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য কানাডা’’, খালিস্তান ইস্যুতে কড়া বিবৃতি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের মতোই জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে কানাডা। সম্প্রতি, ভারত-কানাডা (Canada) কূটনৈতিক বিবাদ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এরই মধ্যে এমন মন্তব্য করতে শোনা গেল ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচীকে। খালিস্থানপন্থী সন্ত্রাসবাদীর খুনের ঘটনায় কানাডার প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির পিছনে যে রাজনীতি কাজ করছে তাও এদিন বুঝিয়ে দেন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই খালিস্থানপন্থী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারের খুনের ঘটনায় ভারতের যোগ রয়েছে বলে সে দেশের সংসদে অভিযোগ আনেন কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

    পাকিস্তানকেও কড়া বার্তা 

    অন্যদিকে, এদিন পাকিস্তানকেও কড়া ভাষায় জবাব দিয়েছেন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী। প্রসঙ্গত, বুধবারই পাকিস্তানের তরফে অভিযোগ আনে যে ভারত এখন দেশের বাইরে তাদের গুপ্তচর সংস্থার র’কে ব্যবহার করে হত্যালীলা চালাচ্ছে।  শুধু তাই নয়, ২০২১ সালের জুন মাসে লাহোর হামলায় নাকি ভারতের জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি পাকিস্তানের। এদিন এই পরিপ্রেক্ষিতে অরিন্দম বাগচী বলেন, সারা বিশ্বের দেশগুলির মধ্যে পাকিস্তানের বিশ্বাসযোগ্যতা একেবারে শেষের দিকে।  প্রসঙ্গত হরদীপ সিং নিজ্জারের খুনের ঘটনায় ভারত যে যুক্ত তার কোনও প্রমাণ এখনও পর্যন্ত কানাডা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। কানাডার (Canada) মাটিকে ব্যবহার করে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ চলছে তার নির্দিষ্ট প্রমাণ ভারতের কাছে রয়েছে এবং তা পুরো সরকারের হাতে তুলেও দেওয়া হয়েছে। এমনটাই জানা গিয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের সূত্রে।

    কী বললেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র 

    ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানান, খালিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারের হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই পাকিস্তান থেকে কানাডার খালিস্তানি চরমপন্থীদের টাকার জোগান দেওয়া হচ্ছে। এতে আরও গুরুতর সমস্যার সৃষ্টি করছে। অরিন্দম বাগচী আরও জানান, ভারতের বিরুদ্ধে কানাডা (Canada) যে অভিযোগ করেছে তা রাজনৈতিকভাবে কিছুটা কুসংস্কারের দ্বারা পরিচালিত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, ‘‘পাকিস্তানের মাটি থেকে কানাডার খালিস্তানি চরমপন্থীদের আর্থিক জোগান অনেক বেশি গুরুতর সমস্যা৷’’ জানা গিয়েছে ইতিমধ্যে ভারতের তরফ থেকে কানাডা সরকারকে জানানো হয়েছে পারস্পরিক কূটনৈতিক ভারসাম্য রাখার বিষয়ে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India-Canada Relations: মোদি-জয়শঙ্কর বৈঠক! ভারতীয়দের কানাডা যাত্রা নিয়ে পরামর্শ নয়াদিল্লির

    India-Canada Relations: মোদি-জয়শঙ্কর বৈঠক! ভারতীয়দের কানাডা যাত্রা নিয়ে পরামর্শ নয়াদিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের (India-Canada Relations) অবনতি। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে এবার ভারতীয় নাগরিকদের কানাডা যাত্রার ক্ষেত্রে বিশেষ অ্যাডভাইজরি জারি করল নয়াদিল্লি। একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে পর্যটকদের জন্য। ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রী এবং অন্যান্য নাগরিকদের জন্য কানাডা যাত্রার ক্ষেত্রে একটি অ্যাডভাইসরি জারি করেছে বিদেশ মন্ত্রক। কূটনৈতিক সংঘাতের এই আবহে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে একান্তে বৈঠক করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা নিয়ে মোদির সঙ্গে আলোচনা হয় জয়শঙ্করের। 

    প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশে সতর্কবার্তা

    বুধবার দিল্লির তরফে কানাডাবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশে সতর্কবার্তা জারি করা হয়। বিদেশমন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়, ‘কানাডায় এই মুহূর্তে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ এবং রাজনৈতিক মদতপুষ্ট হিংসা এবং অপরাধের বৃদ্ধি চোখে পড়ছে। যে সমস্ত ভারতীয় ওখানে রয়েছেন অথবা যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, সকলকে সতর্ক করা হচ্ছে। সম্প্রতি ভারতীয় কূটনীতিক এবং কিছু সম্প্রদায়ের মানুষকে বেছে বেছে নিশানা করা হয়েছে,যাঁরা ভারতবিরোধী কার্যকলাপের সমর্থক নন। তাই ভারতীয়দের এই মুহূর্ত কানাডা যাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত’। কানাডার যে অংশগুলিতে ভারতীয়দের উপর হিংসা বা হামলা হচ্ছে, সেখানে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

    ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে পরামর্শ

    কানাডা নিবাসী ভারতীয়দের জন্যও সাবধানবাণী দিয়েছে নয়াদিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের অ্যাডভাইসরিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশন এবং কনসুলেট জেনারেল সেখানে বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবে। তাঁদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিয়ে ভারত তৎপর।’ কানাডায় পড়তে যাওয়া ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রীদের সতর্ক থাকতে বলেছে কেন্দ্র। পাশাপাশি উপদ্রুত এলাকায় আশপাশের পরিস্থিতিতে নজর রাখতে বলা হচ্ছে।কানাডা নিবাসী ভারতীয় পড়ুয়াদের অবিলম্বে কানাডায় ভারতীয় হাইকমিশনে তাঁদের নাম, ফোন নম্বর রেজিস্টার করতে বলা হয়েছে। ওটাওয়ায় ভারতীয় হাইকমিশন, টরন্টো এবং ভ্যানকুভারে কনসুলেট জেনারেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে নাম নথিভুক্ত করতে বলা হচ্ছে পড়ুয়াদের।

    আরও পড়ুুন: ‘‘প্ররোচনার উদ্দেশ্য ছিল না’’, ভারত চাপ দিতেই খালিস্তান নিয়ে সুর বদল কানাডার

    কানাডার সতর্কবার্তা

    ভারতে থাকা নিজেদের নাগরিকদের উদ্দেশেও সতর্কবার্তা জারি করেছে কানাডা সরকার। কানাডা সরকারের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় সে দেশের নাগরিকদের জন্য। তাতে বলা হয়, ‘ভারতে থাকলে এই মুহূর্তে সতর্ক হয়ে যান, কারণ দেশজুড়ে সন্ত্রাসী হামলার সম্ভাবনা রয়েছে। এই মুহূর্তে ভারতে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে। সর্বদা সতর্ক থাকুন। খবরে চোখ রাখুন, প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলুন।’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Canada: ‘‘প্ররোচনার উদ্দেশ্য ছিল না’’, ভারত চাপ দিতেই খালিস্তান নিয়ে সুর বদল কানাডার

    Canada: ‘‘প্ররোচনার উদ্দেশ্য ছিল না’’, ভারত চাপ দিতেই খালিস্তান নিয়ে সুর বদল কানাডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানি জঙ্গি মৃত্যু ইস্যুতে এবার সুর নরম করল কানাডা (Canada)। ভারতের কড়া বার্তার পর উল্টো কথা বললেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। খালিস্তানি জঙ্গি খুনে ভারতের দিকে আঙুল তুলেছিলেন তিনি। এবার নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন ট্রুডো। জানালেন, কোনও ‘উসকানি’ দেওয়ার জন্য এই মন্তব্য করেননি তিনি।

    উল্টো সুর ট্রুডোর গলায়

    সোমবার কানাডার (Canada) বিদেশমন্ত্রী ভারতের এক শীর্ষ কূটনীতিবিদকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেন। শুধু তাই নয়, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দাবি করেছিলেন, খালিস্তানপন্থি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জার মৃত্যুতে ভারতের সম্ভাব্য যোগ থাকতে পারে। কিন্তু, এরপর ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই কিছুটা কোণঠাসা হয়ে ট্রুডোর দাবি, তিনি ভারতকে প্ররোচনা দিতে চাননি বা ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি চাননি। তবে নিজের ভোটব্যাঙ্ককে পুরোপুরি চটানোরও সাহস দেখাতে পারেননি কানাডার প্রধানমন্ত্রী। ট্রুডো বলেন, “অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত ভারত সরকারের। আমরা সেটাই করছি। আমরা কোনও প্ররোচনা দিচ্ছি না বা (সংঘাত) বাড়াতে চাই না। পুরো বিষয়টি যাতে স্পষ্ট হয়ে যায়, সেজন্য আমরা ভারত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চাই। একেবারে সঠিক পদ্ধতি মেনে পুরো বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই আমরা।”

    আরও পড়ুন: ‘‘অভিযোগ অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন’’! খালিস্তানি জঙ্গির মৃত্যু নিয়ে কানাডার দাবি খারিজ ভারতের

    কী নিয়ে সম্পর্কের অবনতি

    উল্লেখ্য, চলতি বছর ১৯ জুন কানাডায় (Canada) একটি গুরুদ্বারের সামনে গুলিতে কার্যত ঝাঁঝরা হয়ে যায় হরদীপ সিং নিজ্জরের দেহ। এর পিছনে ভারতের যোগ রয়েছে বলে দাবি করেছিল কানাডা। এক হিন্দু পুরোহিত, সাধারণ হিন্দু ও শিখ নাগরিকদের খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল হরদীপ। তার বিরুদ্ধে এনআইএ চারটি মামলা রুজু করেছে। মাথার দাম ১০ লাখ টাকা। কানাডায় খালিস্তানি সংগঠনের অন্যতম প্রথমসারির নেতা ছিল হরদীপ। সম্প্রতি এই ঘটনার জন্য এক ভারতীয় কূটনীতিবিদকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেয় কানাডা। এই ঘটনার পর চুপ করে বসে থাকেনি ভারত। খলিস্তানি ভোটব্যাঙ্ককে প্রসন্ন রাখতে ট্রুডোরা যে কাজ করার চেষ্টা করছেন, সেটার মুখোশ খুলে দেয় নয়াদিল্লি। ভারতে কর্মরত কানাডার রাষ্ট্রদূতকে সাউথ ব্লকে ডেকে পাঠানো হয়। এরপরেই কানাডার শীর্ষ আধিকারিককে বরখাস্ত করার বিষয়টি সামনে আসে। অবশেষে ভারতের চাপে আসল সত্যি সামনে আনার কথা বলল কানাডা। 

  • India To Trudeau: খালিস্তান ইস্যুতে পাল্টা জবাব দিল্লির! কানাডার শীর্ষ কূটনীতিককে বহিষ্কার ভারতের

    India To Trudeau: খালিস্তান ইস্যুতে পাল্টা জবাব দিল্লির! কানাডার শীর্ষ কূটনীতিককে বহিষ্কার ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে নিযুক্ত কানাডার আধিকারিককে বরখাস্ত করল বিদেশ মন্ত্রক। ভারতের কূটনীতিককে বহিষ্কারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই পদক্ষেপ করল নয়াদিল্লি। ৫ দিনের মধ্যে ওই কূটনীতিককে ভারত থেকে চলে যেতে বলা হয়েছে। ওই কূটনীতিক ভারতের অভ্যন্তরে বেশ কিছু কাজে হস্তক্ষেপ করছিলেন বলে অভিযোগ। দাবি, ভারত-বিরোধী কার্যকলাপেও যুক্ত ছিলেন ওই কুটনীতিক।

    কেন বরখাস্ত করা হল?

    খালিস্তানি জঙ্গি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যা মামলায় ভারতের যোগ থাকার অভিযোগ তুলেছে কানাডা সরকার। একইসঙ্গে কানাডার ভারতীয় শীর্ষ কূটনৈতিককে বরখাস্ত করেছে ট্রুডো প্রশাসন। এরই জবাব দিল ভারত, মনে করছে কুটনীতিক মহল। মঙ্গলবার সকালে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে কানাডার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠানো হয়। দিল্লির সাউথ ব্লকে কানাডার রাষ্ট্রদূত হাজির হলে সে দেশের এক শীর্ষ আধিকারিককে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।

    ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি অফিসিয়াল বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ভারতে নিযুক্ত কানাডার এক শীর্ষ আধিকারিককে বরখাস্ত করা হচ্ছে। আগামী পাঁচদিনের মধ্যে দেশ ছাড়তে হবে তাঁকে। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাচ্ছে কানাডার কূটনীতিকরা। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। দেশবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গেও জড়িত এই কূটনৈতিকরা। ফলে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘অভিযোগ অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন’’! খালিস্তানি জঙ্গির মৃত্যু নিয়ে কানাডার দাবি খারিজ ভারতের

    দেশ সবার আগে

    এই ইস্যুতে এবার মোদি সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ খালিস্তানি জঙ্গি মৃত্যু ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সব সময় বিশ্বাস করে যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের দেশের লড়াই আপসহীন হতে হবে। বিশেষ করে যখন সন্ত্রাস ভারতের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য এবং অখণ্ডতাকে হুমকির মুখে ফেলছে। আমাদের দেশের স্বার্থ এবং উদ্বেগ সর্বদা সর্বাগ্রে রাখতে হবে।’ সম্প্রতি অপারেশন ব্লু স্টারের ৩৯তম বার্ষীকি উপলক্ষে কানাডার ব্র্যাম্পটনে ‘শোভাযাত্রা’ বের করেছিল খালিস্তানপন্থীরা। সেই প্যারেডে ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকাণ্ডের ট্যাবলো প্রদর্শিত হয়েছিল। যা নিয়ে ভারত সরকারের তরফে কড়া ভাষায় বার্তা দেওয়া হয়েছিল কানাডাকে। তবে কানাডা সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে দাবি করেছিল, সেই ঘটনা নাকি জাতিবিদ্বেষী নয়। এরপর থেকেই ক্রমে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে ভারত-কানাডার সম্পর্ক। গতকাল, নিজ্জরের হত্যায় ভারতের ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন খোদ কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, যাকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেয় ভারত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India To Trudeau: ‘‘অভিযোগ অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন’’! খালিস্তানি জঙ্গির মৃত্যু নিয়ে কানাডার দাবি খারিজ ভারতের

    India To Trudeau: ‘‘অভিযোগ অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন’’! খালিস্তানি জঙ্গির মৃত্যু নিয়ে কানাডার দাবি খারিজ ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘কানাডা সরকারের (India To Trudeau) অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যায় ভারতের কোনও যোগ নেই।’’ বিদেশ মন্ত্রকের তরফে অফিসিয়াল বিবৃতি দিয়ে এই কথা ঘোষণা করা হল। কানাডা (Canada) থেকে ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করা এবং খলিস্তানি জঙ্গি যোগের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, ‘‘কানাডার সংসদে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বক্তব্য আমরা শুনেছি। কানাডার বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যও আমরা শুনেছি। আমরা এই সব অভিযোগই খণ্ডন করছি। কানাডায় কোনও হিংসার ঘটনার সঙ্গে ভারত সরকারের যোগ থাকার অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। এর আগেও কানাডার প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তখনও আমরা তা খণ্ডন করেছিলাম।’’

    কী বলল বিদেশমন্ত্রক

    গত জুন মাসে হরদীপ সিং নিজ্জর নামক এক খলিস্তানি জঙ্গিকে হত্যার ঘটনায় নাকি যুক্ত ছিলেন এক ভারতীয় কূটনীতিক বলে সংসদে দাঁড়িয়ে এমনটাই মন্তব্য করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (India To Trudeau)। এরপর কানাডার বিদেশমন্ত্রী মেলানিয়া জোলি ভারতের শীর্ষ কূটনীতিককে কানাডা থেকে বহিষ্কার করেন। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, এই ধরনের প্রমাণ ছাড়া তোলা অভিযোগ খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী এবং চরমপন্থীদের থেকে মনোযোগ সরাতেই তৈরি করা হচ্ছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘‘কানাডার প্রধানমন্ত্রী তাঁদের সংসদে দাঁড়িয়ে যে অভিযোগ করেছেন তা প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং ইচ্ছাকৃত।’’ বিদেশমন্ত্রকের এক কর্তা জানান, ভারতের কূটনীতিককে বহিষ্কার করা কানাডার সঠিক পদক্ষেপ হয়নি। এর প্রত্যুত্তর দেবে দিল্লি। সেক্ষেত্রে, একই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে ভারতও।

    আরও পড়ুন: প্রসঙ্গ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, এবার মোদি-স্তুতি শোনা গেল পুতিনের গলায়ও

    ব্যবস্থা নিক কানাডা সরকার, দাবি ভারতের

    বিদেশ মন্ত্রকের (India To Trudeau) তরফে প্রকাশিত অফিসিয়াল বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘‘আমরা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এখানে আইনের ভূমিকা সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। কোনও তথ্য প্রমাণ ছাড়া এই ধরনের অভিযোগগুলি খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী এবং চরমপন্থীদের থেকে ফোকাস সরিয়ে নিতে তৈরি করা হচ্ছে। যাদের কানাডায় আশ্রয় দেওয়া হয়েছে এবং ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে যারা ক্রমাগত হুমকি দিয়ে চলেছে, তাদের থেকে নজর সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে কানাডিয়ান সরকারের নিষ্ক্রিয়তা উদ্বেগজনক। কানাডিয়ান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা প্রকাশ্যে এই ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছে যা গভীর উদ্বেগের বিষয়।’’ 

    কানাডা সরকারকে নিশানা করে হুমকির সুরেই বিদেশ মন্ত্রক বলে, ‘‘কানাডায় খুন, মানব পাচার এবং সংগঠিত অপরাধ সহ বিভিন্ন বেআইনি কার্যকলাপ নতুন নয়। এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে ভারত সরকারকে যুক্ত করার প্রচেষ্টা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। কানাডা সরকারকে ভারত-বিরোধী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে দ্রুত এবং কার্যকরী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share