Tag: cbi

cbi

  • Partha Chatterjee: প্রাথমিক টেটে অযোগ্যদের তালিকা আমলাকে পাঠান স্বয়ং পার্থই, দাবি সিবিআইয়ের

    Partha Chatterjee: প্রাথমিক টেটে অযোগ্যদের তালিকা আমলাকে পাঠান স্বয়ং পার্থই, দাবি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা (TET) আমলাকে পাঠান স্বয়ং তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ঠিক এমনটাই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। বিকাশ ভবনে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হওয়া গুরুত্বপূর্ণ নথি দেখার পর এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারী অফিসারদের হাতে। এই তথ্যের উপর নির্ভর করে তাঁকে মঙ্গলবার প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী অফিসাররা।

    তালিকাভুক্তদের অনেকেই অযোগ্য (Partha Chatterjee)

    গত জুন মাসে বিকাশ ভবনে টানা অভিযান চালায় সিবিআই। সেখানে ২০১৪ সালের অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) সঙ্গে টেট (TET) দুর্নীতির প্রত্যক্ষ যোগসূত্র রয়েছে। বিকাশ ভবনের গুদামঘর থেকে উদ্ধার হয় বস্তাভর্তি নথিপত্র। তার মধ্যে ছিল, প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষার টেট প্রার্থীদের তালিকা। মোট ৭৫৩ জনের একটি তালিকা পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে ওই বছর ৩১০ জনের চাকরি হয়েছিল। সিবিআইয়ের দাবি, ওই তালিকাভুক্তদের অনেকেই অযোগ্য। বাজেয়াপ্ত নথি ঘেঁটে জানা গিয়েছে, পার্থ অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের তালিকা পাঠিয়েছিলেন এক সরকারি আমলাকে। ওই তালিকা থেকে কয়েক জনের চাকরি হয়। এই নথির মধ্যে প্রভাবশালী কয়েকজনের নাম পাওয়া গিয়েছে বলে খবর।

    ২০২২ সালে গুদামটি সিল করেছিল সিবিআই

    শিক্ষা দফতরের বিভিন্ন কাগজপত্র রাখার জন্য ব্যবহৃত ওই গুদামটি ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিল করেছিল সিবিআই। এই গুদামে তল্লাশি চালিয়ে বহু নথি উদ্ধার করেছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষার টেট সংক্রান্ত জরুরি তথ্য ছাড়াও সেই নথিতে ছিল পরীক্ষার্থী এবং চাকরি প্রাপ্তদের নামের তালিকাও।

    আরও পড়ুনঃ ১৮ অক্টোবর সিঙ্গুরে রতন টাটার ছবি নিয়ে মৌন মিছিলের ডাক শুভেন্দুর

    নাকতলার বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন পার্থ

    ২০২২ সালের ২২ জুলাই তারিখে দক্ষিণ কলকাতার নাকতলার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ এবং তল্লাশির পর বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয় তৎকালীন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee)। এরপর এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তৎকালীন এই মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতাকেও গ্রেফতার করেছিল। যদিও আলাদা করে সিবিআই নিজেদের হেফাজতে নেয়নি পার্থকে। বর্তমানে, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে, পার্থর বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলায় জামিনের আবেদন শুনানি শেষ হয়েছে। রায়দান আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে হাইকোর্টে।         

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডে ধৃত সিভিক ছাড়া আর কে কে জড়িত? তদন্ত চলছে, শীর্ষ আদালতে জানালো সিবিআই

    RG Kar Case: ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডে ধৃত সিভিক ছাড়া আর কে কে জড়িত? তদন্ত চলছে, শীর্ষ আদালতে জানালো সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতলে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ধৃত সিভিক ছাড়া আর কেউ জড়িত কিনা, এই বিষয়ে জানতে তদন্ত চলছে। কার্যত সুপ্রিমকোর্টে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারেরা। উল্লেখ্য, আগেই সিবিআই (CBI), ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে সঞ্জয় রায়ের নামই চার্জশিটে উল্লেখ করেছে। কিন্তু গত ৯ অগাস্টের পর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে এই খুনের মামলায় একাধিক ব্যক্তির ষড়যন্ত্র ছিল বলে বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসকরা মতামত দিয়েছিলেন। তারপর থেকেই সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।

    তদন্তের গতিপ্রকৃতির রিপোর্ট পড়েন প্রধান বিচারপতি (RG Kar Case)

    মঙ্গলবার ফের একবার চিকিৎসক তরুণীর হত্যা মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। এদিন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি মনোজ মিশ্র, বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় এই শুনানি। আবার আরজি কর মামলায়, গত ৭ অক্টোবর সিবিআই প্রথম চার্জশিট জমা দিয়েছিল শিয়ালদা আদালতে। এই চার্জশিটে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে নাম দেওয়া হয় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম। সেইসঙ্গে শিটে নাম দেওয়া প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের নামও। এদিন সুপ্রিম কোর্টে এই চার্জশিটের কথার ফের উল্লেখ করা হয়। সেই সঙ্গে চার্জশিটের কপিও জমা করা হয় দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। খুনের পিছনে আরও কারা কারা যুক্ত রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে বিশেষ রিপোর্ট দেন সলিসেটার জেনারেল তুষার মেহতা। সেই রিপোর্ট প্রধান বিচারপতি এদিন পড়েন।

    আরও পড়ুনঃ রাজ্যের আপত্তি খারিজ, ‘দ্রোহের কার্নিভাল’-কে অনুমতি হাইকোর্টের

    নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছে সিবিআই

    এদিন শুনানি চলার সময়, প্রধান বিচারপতি সিভিক নিয়োগ নিয়ে রাজ্যকে কড়া প্রশ্ন করেছেন। তিনি বলেন, ‘সিভিক ভলান্টিয়ারদের কে নিয়োগ করে? কী ভাবে নিয়োগ হয় তাঁদের? এখন রাজ্যে কত জন সিভিক ভলান্টিয়ার আছেন?’’ উত্তরে রাজ্য জানায় সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ করে থাকে। হাসপাতালের সুরক্ষার প্রসঙ্গে বলেন, “ইন্টিগ্রেটেড হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ১ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। সব হাসপাতালে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় নিশ্চিত করতে হবে রাজ্যকে।” অপর দিকে নির্যাতিতার (RG Kar Case) পরিবারের সঙ্গে তদন্তকারী অফিসাররা (CBI) নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বলে জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে একজন নোডাল অফিসারও নিয়োগ করা হয়েছে।….

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: পার্থকে জেরা করতে জেলে সিবিআই, পুজোর পর ফের সক্রিয় কেন্দ্রীয় সংস্থা

    CBI: পার্থকে জেরা করতে জেলে সিবিআই, পুজোর পর ফের সক্রিয় কেন্দ্রীয় সংস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chaterjee) জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে গেল সিবিআই। পুজোর আগে সিবিআই (CBI) আদালতের থেকে এ ব্যাপারে অনুমতি পেয়েছিল। পুজো মিটতেই তৎপরতা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। মঙ্গলবারই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে যায় সিবিআই।

    আদালতে মিলল অনুমতি (CBI)

    বর্তমানে এসএসসি মামলাতে ইডি হেফাজতে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সিবিআই অন্য মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করলেও পার্থকে নিজেদের হেফাজতে চায়নি। বরং জেলে গিয়ে তাঁকে জেরা করতে চেয়েছে। সেই অনুমতি পাওয়ার পরই সিবিআই (CBI) তৎপর হয়। পার্থের পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত অয়নক শীলকেও গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তাঁকেও অবশ্য নিজেদের হেফাজতে চায়নি কেন্দ্রীয় সংস্থা। প্রসঙ্গত, গত ১ অক্টোবর বিশেষ সিবিআই আদালতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে হাজির করানো হয়। তার পর তাঁকে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারের আবেদন জানায় সিবিআই। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। তার পরেই পার্থকে গ্রেফতার করে সিবিআই। জেলে গিয়ে পার্থকে জেরার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছিল আদালত।

    আরও পড়ুন: ‘‘যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিতে চায় না মমতার পুলিশ’’, সরব শুভেন্দু

    চাপ বাড়াচ্ছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর ওপর

    প্রসঙ্গত, প্রায় আড়াই বছর আগে, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ২০২২ সালের ২২ জুলাই দক্ষিণ কলকাতার নাকতলায় পার্থর বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। দীর্ঘ তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। পার্থর ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি। দীর্ঘ তল্লাশিতে দু’জায়গা থেকে প্রচুর নগদ, সোনা, বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করেছিল তারা।সোনাদানা, ফ্ল্যাট-বাড়ি মিলিয়ে কম করে ৬০ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-ও পরবর্তী সময়ে পার্থ-অর্পিতাকে গ্রেফতার করে। অন্য দিকে, কলকাতা হাইকোর্টে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থর জামিনের মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। তবে রায়দান স্থগিত রেখেছে হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। ইডির মামলায় জামিনের যে আর্জি করা হয়েছিল পার্থর তরফে তা এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ১৭ অক্টোবর। তার আগে সিবিআই কার্যত চাপ বাড়াচ্ছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর ওপর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ধর্ষণ করে খুন মাত্র ২৮ মিনিটে! সঞ্জয়ের সেদিনের বিশদ গতিবিধি সিবিআইয়ের চার্জশিটে

    RG Kar: ধর্ষণ করে খুন মাত্র ২৮ মিনিটে! সঞ্জয়ের সেদিনের বিশদ গতিবিধি সিবিআইয়ের চার্জশিটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডের (RG Kar) দিন ধৃত সঞ্জয় রায়ের গতিবিধির সমস্তটাই ধরা পড়ল সিবিআইয়ের চার্জশিটে। মঙ্গলবারই নিম্ন আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আরজি কর-কাণ্ডে ৪৫ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছে। সেখানেই উল্লেখ রয়েছে, মাত্র ২৮ মিনিটের মধ্যে গোটা কাণ্ড ঘটায় সঞ্জয়। গত ৯ অগাস্ট ভোর ৪ টে ০৩ মিনিট থেকে ভোর ৪ টে ৩১ মিনিট—এই ২৮ মিনিটে ওই ঘটনা ঘটায় ধৃত সিভিক। ৮ অগাস্ট দুপুর থেকে সঞ্জয়ের গতিবিধির প্রতিটি মুহূর্তের বিবরণ রয়েছে চার্জশিটে। সিবিআইয়ের দেওয়া চার্জশিটে (CBI) কোনওভাবেই নির্যাতিতার নাম উল্লেখ করা হয়নি, তাঁকে ভিকটিম (V) বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সর্বত্রই ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম উল্লেখ রয়েছে।

    ৮ অগাস্ট দুপুরে কোথায় কোথায় গিয়েছিল সঞ্জয়?

    সিবিআইয়ের চার্জশিট (RG Kar) অনুযায়ী সঞ্জয় রায়ের গতিবিধির ১৬ ঘণ্টা ধরে বর্ণনা রয়েছে। ঘটনার দিন দুপুরে অর্থাৎ ৮ অগাস্ট কলকাতা পুলিশের ৪ নম্বর ব্যাটালিয়ানের ব্যারাক থেকে সঞ্জয় বের হয়েছিল। সঙ্গে থাকা আর এক সিভিক ভলান্টিয়ারের এক আত্মীয় ভর্তি ছিল আরজি করে। তাঁকেই দেখতে গিয়েছিল সঞ্জয় এবং তার বন্ধু। এরপরে তারা দুপুর ২ টো ৪৫ নাগাদ পৌঁছায় এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের শোভাবাজার শাখায়। এক এএসআইয়ের নগদ টাকা জমা দিতে গিয়েছিল তারা। চার্জশিটে সিবিআই (CBI) জানিয়েছে, ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে যাওয়াতে সঞ্জয় সেই টাকা জমা দিতে পারেনি। ব্যাঙ্কে কাজ না হওয়ায় দুজনে মিলে মদ কেনে। তারপর সঞ্জয় চলে যায় আরজি করে। অন্য সিভিক ফিরে যায় ব্যারাকে।

    ৮ অগাস্ট রাতে সঞ্জয় যায় যৌনপল্লিতে

    চার্জশিটে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, (RG Kar) ৮ অগাস্ট রাত ১০টা ৪৫ নাগাদ সঞ্জয়ের অনুরোধে ব্যারাক থেকে তার বন্ধু সিভিকটি ফের পৌঁছায়  আরজি করে। এরপরে তারা দুজন মিলে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে রাতের খাবার ও মদ কেনে। এরপর চেতলার একটি যৌনপল্লিতে যায় তারা। নিজেদের চার্জশিটে সিবিআই লিখছে, ওই যৌনপল্লির একটি বাড়িতে ঢোকে সঞ্জয় রায় ও তার বন্ধু। তবে আরজি করের ধর্ষণ-খুনে অভিযুক্ত সঞ্জয় কোনও যৌনকর্মীর সঙ্গে ঘরে ঢোকেনি। শুধু বিয়ার খেয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে। কিন্তু সঞ্জয়ের বন্ধু এক যৌনকর্মীর সঙ্গে ঘরে ঢুকে ছিল বলেই জানা গিয়েছে।

    ভোরে সঞ্জয়কে আরজি করে (RG Kar) ছেড়ে দেয় তার বন্ধু

    চেতলার ওই যৌনপল্লি থেকে বের হয়ে দুই সিভিক ভলান্টিয়ার ৯ অগাস্ট ভোর তিনটে কুড়ি নাগাদ আরজি করে পৌঁছায়। সিবিআই চার্জশিট অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে সঞ্জয়কে আরজি করে নামিয়ে দিয়ে চলে যায় তার বন্ধু। সঞ্জয় ট্রমা কেয়ার সেন্টারের দোতলায় সোজা উঠে যায়। জনৈক শুভ দে-র অস্ত্রোপচারের বিষয়ে খোঁজ নিতে যায়, তবে কাউকে দেখতে পায়নি সে। তার পরে সে চলে যায় ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের পাঁচতলায়। সেখান থেকে নেমে আসে চারতলায়। ভোর ৪টে ৩ মিনিটে চেস্ট মেডিসিনের সেমিনার রুমে ঢোকে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। সেখানেই একা শুয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। ধর্ষণ এবং খুনের পরে ভোর ৪ টে ৩১ মিনিটে সেমিনার রুম থেকে বেরিয়ে যায় অভিযুক্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নির্যাতিতাকে ধর্ষণ! চার্জশিটে উল্লেখ করল সিবিআই

    CBI: সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নির্যাতিতাকে ধর্ষণ! চার্জশিটে উল্লেখ করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar) শিয়ালদা কোর্টে প্রথম চার্জশিট পেশ করে সিবিআই (CBI)। চার্জশিটে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ই তরুণী চিকিৎসককে মত্ত অবস্থায় ধর্ষণ ও খুন করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। চার্জশিটে মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে সঞ্জয় রায়ের। অভিযুক্ত সিভিকের ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে একাধিক ধারা যুক্ত করা হয়েছে।

    সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নির্যাতিতাকে ধর্ষণ! (CBI)

    সিবিআই (CBI) এফআইআর করেছিল ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ (ধর্ষণ) এবং ১০৩ (১) খুনের ধারায়। তবে চার্জশিট দিল ৬৪ (ধর্ষণ), ৬৬ (ধর্ষণ করতে গিয়ে কাউকে হত্যা বা তাকে মৃতপ্রায় (vegetative state) করলে, সেই ধারায়। সেই সঙ্গে দেওয়া হল ১০৩ (১) খুনের ধারা। চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি সেমিনার রুমে পৌঁছে নির্যাতিতাকে দেখে। তারপরেই ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাধা পেয়ে আঘাত করে যার ফলে নির্যাতিতা মৃতপ্রায়, সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে। সেই অবস্থায় ধর্ষণ করা হয়। অর্থাৎ সিবিআই গণধর্ষনের কোনও ধারা যুক্ত করল না এক্ষেত্রে। ঘটনাস্থলে আর কারও উপস্থিত থাকা এবং খুন-ধর্ষণ কাণ্ডে সিভিক ছাড়া আর কারও যোগ খারিজ এই চার্জশিট অনুযায়ী। অভিযুক্তের বিকৃত যৌন প্রবৃত্তি এবং মানসিক বিকৃতি আছে, সেটাও উল্লেখ সিবিআই চার্জশিটে। মোট ১২৮ জনের বয়ান রেকর্ড করার কথা উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। 

    আরও পড়ুন: বীরভূমের খনিতে বিস্ফোরণ, মুখ বোজাতে সেই ‘টাকার খেলা’ মমতার! বিজেপি চাইল এনআইএ

    ধারা অনুযায়ী কী সাজা হতে পারে ধৃত সিভিকের?

    সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, ভারতীয় ন্যায় সুরক্ষা সংহিতা ৬৪ নম্বর ধারা অর্থাৎ ধর্ষণ। ভারতীয় ন্যায় সুরক্ষা সংহিতার ৬৬ নম্বর ধারা অর্থাৎ ধর্ষণের জেরে খুন। এই ধারা প্রমাণিত হলে কুড়ি বছরের কারাবাস বা জেলে স্বাভাবিক মৃত্যু পর্যন্ত কারাবাস কিংবা মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। ভারতীয় ন্যায় সুরক্ষা সংহিতার ১০৩ (১) ধারা অর্থাৎ খুন। এই ধারা প্রমাণিত হলে আমৃত্যু কারাবাস কিংবা মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার যায় সিবিআই-এর হাতে। মামলার দায়ভার নেওয়ার ৫৫ দিনের মাথায় এবার শিয়ালদা কোর্টে চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। চার্জশিটটি ২১৩ পাতার। সেখানে ২০০জন সাক্ষীর কথা উল্লেখ করেছে সিবিআই। সেই সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের কথা উঠে আসছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: সিভিক সঞ্জয়ই খুন-ধর্ষণ করেছে, ৫৫ দিনের মাথায় কোর্টে চার্জশিট দিল সিবিআই

    CBI: সিভিক সঞ্জয়ই খুন-ধর্ষণ করেছে, ৫৫ দিনের মাথায় কোর্টে চার্জশিট দিল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তদন্তভার হাতে পাওয়ার ৫৫ দিনের মাথায় প্রথম চার্জশিট দিল সিবিআই (CBI)। চার্জশিটে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ই তরুণী চিকিৎসককে মত্ত অবস্থায় ধর্ষণ ও খুন করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। চার্জশিটে নাম রয়েছে সঞ্জয় রায়ের। পুজোর মুখে কোর্টে সিবিআইয়ের চার্জশিট দেওয়া নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    সন্দীপ-টালা থানার প্রাক্তন ওসি প্রমাণ লোপাটে অভিযুক্ত! (CBI)

    সূত্রের খবর, চার্জশিটের মূল অংশটি প্রায় ২১৩ পাতার। ২০০ জন সাক্ষীর কথাও উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে। সেই সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের কথা উঠে আসছে। সিবিআইয়ের (CBI) দাবি, সেই মূলত খুন ও ধর্ষণের সঙ্গে যুক্ত। তথ্য প্রমাণ লোপাটে যড়যন্ত্র করার অভিযোগ ওঠে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে। এই দু’জনকেও পরবর্তীতে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁর সঙ্গে এই দুই অভিযুক্তের কথাও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, তাতে লেখা হয় এই দুই ব্যক্তিও এ ঘটনাকে লঘু করার চেষ্টা করেছেন, তথ্য-প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছেন। প্রসঙ্গত, গত ৯ অগাস্ট আরজি করে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে খুন-ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে চেস্ট মেডিসিনের এক চিকিৎসক ছাত্রীর। যা নিয়ে এখনও আন্দোলনে জুনিয়র ডাক্তাররা। শুরুতেই এ মামলার তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছিল সঞ্জয় রায় নামে এই সিভিক ভলান্টিয়ারকে। যদিও শুরু থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল কলকাতা পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে। পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। এবার তদন্তভার হাতে নেওয়ার ৫৫ দিনের মাথায় শিয়ালদা কোর্টে চার্জশিট জমা দিল সিবিআই।

    আরও পড়ুন: জয়নগরে জুনিয়র-সিনিয়র জাক্তার থেকে আইনজীবীর প্রতিনিধিরা, সিবিআই চাইছে পরিবার

    কবে দায়িত্ব নিয়েছিল সিবিআই?

    কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের মামলার তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। গত ৯ অগাস্ট সকালে আরজি কর মেডিক্যালের এমারজেন্সি বিল্ডিংয়ের চেস্ট মেডিসিন বিভাগে উদ্ধার হয় স্নাতকোত্তর পড়ুয়া ৩১ বছর বয়সী তরুণী চিকিৎসকের দেহ। এর পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে আদালতে জনস্বার্থ মামলা হয়। ১৩ অগাস্ট ঘটনার ৫ দিন পর সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তদন্তভার হাতে নিয়ে সিভিক সঞ্জয় রায়কে হেফাজতে নিয়ে জেরা করে সিবিআই। এবার চার্জশিট পেশ করা হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jaynagar: জয়নগরে জুনিয়র-সিনিয়র জাক্তার থেকে আইনজীবীর প্রতিনিধিরা, সিবিআই চাইছে পরিবার

    Jaynagar: জয়নগরে জুনিয়র-সিনিয়র জাক্তার থেকে আইনজীবীর প্রতিনিধিরা, সিবিআই চাইছে পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) জয়নগরের (Jaynagar) কুলতলি এলাকা। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।  তার দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছেন। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় গোটা এলাকা। ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশ ফাঁড়িতে। আরজি করের মতো এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যবাসী। এই ঘটনায় বিচারের দাবিতে পথে নেমেছে গোটা গ্রাম। আরজি করের প্রতিবাদী চিকিৎসকরা থেকে শুরু করে আইনজীবীরা পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। সিবিআই তদন্ত চাইল জয়নগরের নিহত বালিকার পরিবারও।

    সিবিআই তদন্ত চাইছে নিহত বালিকার পরিবার (Jaynagar)

    মেয়ের ধর্ষণ ও মৃত্যুর অভিযোগের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চাইল জয়নগরের (Jaynagar) নিহত বালিকার পরিবার। এইন প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করতে পারে পরিবার। মেয়ের নির্মম পরিণতির সঙ্গে আরজি কর কাণ্ডের তুলনা টেনে এনে বালিকার পরিবার জানিয়েছে, রাজ্য পুলিশের ওপর তাঁদের কোনও আস্থা নেই। প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চলছে। এই কারণে, সিবিআই চাই। রবিবার, নাবালিকার ময়না তদন্তও কেন্দ্রীয় কোনও সংস্থায় করতে চেয়ে হাইকোর্টে তারা আবেদন জানায়। আদালত কল্যাণী এইমসের চিকিৎসকদের দিয়ে ময়না তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। সোমবার কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে সেই প্রক্রিয়া চলছে। এবার পরিবারের তরফে ওই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা দায়ের করা হতে পারে বলেও উঠে আসছে। রবিবারের শুনানিতেও তারা সেই ইঙ্গিত দিয়েছে। সেই মতো প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন পরিবারের আইনজীবী।

    আরও পড়ুন: ধর্মতলায় আমরণ অনশন জুনিয়র ডাক্তারদের, এবার যোগ দিলেন আরজি করের অনিকেত

    নির্যাতিতার বাড়িতে চিকিৎসকদের প্রতিনিধিদল

    জয়নগরে (Jaynagar) নির্যাতিতার বাড়িতে যায় জুনিয়র চিকিৎসদের প্রতিনিধিদল। সেই দলে ছিলেন আরজি কাণ্ডে আন্দোলন করা জুনিয়র ডাক্তাররা। পাঁচ জন ডাক্তারের মধ্যে ছিলেন কিঞ্জল নন্দ, দেবাশিস হালদার প্রমুখ। আরজি কর ইস্যুতেই তাঁরা রাস্তায় নেমে ন্যায় বিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিন মৃত নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। সেই সঙ্গে পাশে থাকার বার্তাও দেন। জুনিয়র ডাক্তারদের পাশাপাশি সিনিয়র ডাক্তাররাও নির্যাতিতা পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। রবিবার দুপুরে নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন আরজি কর হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকদের একটি দল। পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর কিছুক্ষণের জন্য কৃপাখালী এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভেও শামিল হন তাঁরা। আর সেখান থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা।

     নির্যাতিতার বাড়িতে আইনজীবীর প্রতিনিধিদল

    নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীরা। রবিবার দুপুরে নির্যাতিতার পরিবারের (Jaynagar) সঙ্গে দেখা করতে যান কলকাতার হাইকোর্ট এবং বারুইপুর আদালতের আইনজীবীরা। পরিবারের সদস্যদের সব রকম আইনি সাহায্যের আশ্বাস দেন তাঁরা। সেই সঙ্গে, আরও বেশ কিছু বিষয়ে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কয়েক ঘণ্টা কথা বলেন তাঁরা। এই নারকীয় ঘটনার প্রধান অভিযুক্তের যাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া যায়, সেই প্রসঙ্গেও আলোচনা করেন আইনজীবীরা। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর রাজ্যের আইনজীবী অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য গৌতম চট্টোপাধ্যায়  বলেন, “এই ঘটনা খুবই নিন্দনীয়। ঘটনা প্রসঙ্গে কোনও কথা বলার ভাষা নেই আমাদের। দশ বছরের ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তর যাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় আইনিভাবে আমরা সব রকম ব্যবস্থা করব। পরিবারের সঙ্গে আমরা দেখা করে কথা বলেছি। আইনি সমস্ত রকম সাহায্য আমরা করব। পুলিশ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে এই ঘটনায়। পরিবারের অভিযোগ পাওয়ার পর তারা তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিলে এই দিনটি দেখতে হত না পরিবারের সদস্যদের। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। রাজ্যের নারীদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ পুলিশ প্রশাসন। জয়নগর কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবার যাতে সুবিচার পায় আমরা আইনজীবীদের পক্ষ থেকে সব রকম সাহায্য করব।” উল্লেখ্য, শনিবার বারুইপুর আদালতে জয়নগরের প্রধান অভিযুক্তকে পেশ করা হলে, আদালতের কোনও আইনজীবী তার পক্ষে সওয়াল করেননি।

    থমথমে এলাকা

    এদিকে সোমবারও থমথমে রয়েছে কুলতলি (Jaynagar) থানার কৃপাখালীর হালদারপাড়া গ্রাম। রয়েছে চাপা উত্তেজনা। পরিস্থিতি সামলাতে রয়েছে প্রচুর পুলিশ। এলাকার মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। যদিও মহিষমারি হাট এলাকা এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খুলেছেন, লোকজন আসছে। এই মহীশমারি হাটের পাশেই মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। সেখানেও মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশের ভূমিকা ভালো নয়। সমস্ত ঘটনার তদন্ত হওয়া দরকার। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: আরজি করে আর্থিক দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার সন্দীপ ঘনিষ্ঠ টিএমসিপি নেতা আশিস পান্ডে

    RG Kar: আরজি করে আর্থিক দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার সন্দীপ ঘনিষ্ঠ টিএমসিপি নেতা আশিস পান্ডে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় আরও একজনকে গ্রেফতার করল সিবিআই। ধৃত ব্যক্তি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রভাবশালী নেতা-চিকিৎসক আশিস পান্ডে। তিনি সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। এর আগে সিবিআই (CBI) দফতরে একদিন হাজিরাও দিতে হয়েছিল তাঁকে। রাজ্য সরকারি হাসপাতালগুলিতে থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা, সেখানেও ওই আশিসের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর তাঁকে সিবিআই (CBI) দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। সেসময় জুনিয়র ডাক্তাররা আশিসকে তাড়াও করে।

    মাথায় হাত ছিল শ্রীরামপুরের বিধায়কের (RG Kar)

    শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের (RG Kar) ছত্রছায়াতে থেকেই আরজি করের প্রভাবশালী হয়ে উঠেছিল আশিস। হাসপাতালগুলিতে সিন্ডিকেট চালানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। শাসক দলের অন্দরের খবর, আশিসের মাথার উপর হাত ছিল অনেকজনেরই। অনেকে আবার এও বলেন, সন্দীপ তো আশিসের ঘনিষ্ঠ ছিলই, এর পাশাপাশি শ্রীরামপুরের বিধায়ক তথা রোগী কল্যাণ সমিতির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়ের হাতও ছিল আশিসের মাথায়।

    একাধিক অভিযোগ

    শাসক দলের এই ছাত্রনেতা গ্রেফতার (RG Kar) হতেই তাঁর নানা অপকীর্তি সামনে আসতে শুরু করেছে। হাসপাতালে হস্টেলগুলিতে দাদাগিরি চালানো, প্রাক্তন ছাত্রদের ইউনিয়ন রুমে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া, এর পাশাপাশি ফেস্টের নামে অবৈধভাবে টাকাও তুলত আশিস। বেআইনিভাবে কোয়ার্টারগুলিতে হাউস স্টাফও বসাতেন তিনি। এছাড়া ওষুধ, মেডিক্যাল বর্জ্য, চিকিৎসার সরঞ্জাম নিয়ে যে সমস্ত দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাতেও আশিস যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ।

    ক্ষোভ শান্তনুরও 

    রাজ্যসভায় তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেনও আশিসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। প্রসঙ্গত, আরজি করের প্রতিবাদ জানানোয়, শান্তনুকে আগেই পদ থেকে ছেঁটেছে তৃণমূল। চিকিৎসক শান্তনুর মেয়েও আরজি করের (RG Kar) ছাত্রী। শান্তনু বলেন, ‘‘এই আশিস আমার মেয়েকে মধ্যরাতে ফোন করে মানসিক নির্যাতন করেছিল। সেই অডিও রেকর্ডও আমার কাছে রয়েছে। হাসপাতাল চত্বরে আমার মেয়েকে প্রকাশ্যে হুমকিও দিয়েছিল এই পাণ্ডা।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: শরীরে অন্তত ২৪টি আঘাত! গণপ্রহারের মতোই মারা হয়েছিল আরজি করের নির্যাতিতাকে 

    RG Kar Incident: শরীরে অন্তত ২৪টি আঘাত! গণপ্রহারের মতোই মারা হয়েছিল আরজি করের নির্যাতিতাকে 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণপিটুনির ঘটনায় শরীর জুড়ে যে রকম আঘাতের চিহ্ন থাকে, তেমনই অজস্র ক্ষতচিহ্ন ছিল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ (RG Kar Incident) হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক-পড়ুয়ার দেহে। যা কারও ‘একার পক্ষে করা সম্ভব নয়’ বলে অনুমান সিবিআই আধিকারিকদের। একই সঙ্গে তাঁদের অনুমান, দেহ যেখানে মিলেছিল সেই সেমিনার কক্ষের সমস্ত কিছুই ছিল পরিপাটিভাবে সাজানো। যা এরকম ভয়ঙ্কর ঘটনার সঙ্গে বড়ই বেমানান।

    খুন করাই উদ্দেশ্য

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, চিকিৎসক পড়ুয়াকে খুন করাই আততায়ী বা আততায়ীদের মূল উদ্দেশ্য ছিল বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। তদন্তে ইচ্ছাকৃত ধোঁয়াশা সৃষ্টি করতেই ধর্ষণের ঘটনাটি সামনে আনা হয়েছে, এমনই ধারণা সিবিআই-এর। তরুণী চিকিৎসকের দেহে কমপক্ষে ২৪টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত এবং সুরতহাল (ইনকোয়েস্ট) রিপোর্টে একাধিক ফাঁকফোকর আছে। এরকম ঘটনার তদন্তের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, এমন তথ্য সম্পূর্ণভাবে দেওয়া হয়নি। তারপরও যা তথ্যপ্রমাণ মিলেছে, সেগুলির ফরেন্সিক টেস্ট করা হয়েছে। খুঁটিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছে সেইসব তথ্যপ্রমাণ। আর তা থেকেই অনুমান করা হচ্ছে যে গণপিটুনির মতোই বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল নির্যাতিতাকে (RG Kar Incident)।

    ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ফাঁক

    আপাত ভাবে মৃতদেহের সামনের অংশে ১৫টি গুরুতর বাহ্যিক জখমের চিহ্ন মিলেছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।। মৃতদেহ ব্যবচ্ছেদের পরে ন’টি গুরুতর অভ্যন্তরীণ আঘাতের চিহ্নও পাওয়া গিয়েছে। অথচ দেহের পিছনের অংশের আঘাতের উল্লেখ ময়না তদন্ত এবং সুরতহাল রিপোর্টে নেই। তদন্তকারী এক অফিসারের কথায়, “বার বার প্রবল ভাবে মৃতার গলা টিপে ‘থাইরয়েড কার্টিলেজ’ গুরুতর জখম করার আভাস মিলছে। সাংঘাতিক বল প্রয়োগ করে ওই তরুণীর মুখ, নাকও চেপে ধরা হয়। এবং তার পরে দেহের উপরের অংশে আঘাত করা হয়। তখনই চোখ ও মুখের ভিতরে রক্তপাত হয়েছে।” এভাবে মারধর কারুর একার পক্ষে সম্ভব নয় বলেই অভিমত তদন্তকারী অফিসারদের।

    আরও পড়ুন: ‘রোগী-ডাক্তার একই পক্ষ, বিপক্ষ সরকার’! বিচারের দাবিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা

    অন্যত্র খুন করে দেহ সেমিনার হলে!

    সিবিআই আধিকারিকরা (CBI) প্রাথমিকভাবে মনে করছেন যে তদন্তের নজর ঘোরানোর জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্ষণের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। আদতে তরুণী চিকিৎসককে (RG Kar Incident) খুন করার লক্ষ্য ছিল। তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি, আর জি করের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের সেমিনার কক্ষটির ‘ক্রাইম সিন’ বা অপরাধের ঘটনাস্থলও চিকিৎসক-পড়ুয়ার দেহের আঘাতের চিহ্নের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। প্রশ্ন উঠছে, ওই রকম প্রবল আক্রমণের পরেও কী ভাবে সেমিনার কক্ষের জিনিসপত্র ওলটপালট হয়নি! এমনকি মৃতার মাথার পিছনে মোবাইল, ল্যাপটপ, ডায়েরির একটি পাতা ও ভাঙা চশমাও সুচারু ভাবে সাজিয়ে রাখা ছিল বলে অভিযোগ। অন্যত্র খুন করে দেহ সেমিনার হলে সাজিয়ে রাখার বিষয়টিও তাই উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘দেবীপক্ষ চলে এল, অসুর নিধন হবেই’, আরজি কর-কাণ্ডে বললেন নির্যাতিতার মা

    RG Kar Incident: ‘দেবীপক্ষ চলে এল, অসুর নিধন হবেই’, আরজি কর-কাণ্ডে বললেন নির্যাতিতার মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন বছর আগে তার কথাতেই বাড়িতে দুর্গাপুজো শুরু হয়েছিল। আর এখন সে নেই। পুজোর সুর এবার বড়ই বিষাদের আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার (RG Kar Incident) মায়ের কাছে। পুজোর ঠিক দুই মাস আগে তাঁর গৌরী চলে গিয়েছে। এখনও বিচারের আশায় দিন গুনছেন তাঁরা। মহালয়ার দিন সকালে তাই অশ্রুসজল চোখেই বিচারের অপেক্ষায় তিলোত্তমার মা। বললেন, “দেবীপক্ষের শুরু, বিচারের লড়াইও শুরু। অসুর নিধন হবেই।”

    মহালয়ার ভোরটা হাসপাতালেই কাটত

    দেবীপক্ষের শুরুতে মেয়ের সঙ্গে পুজোর স্মৃতি ভাগ করে নিলেন নির্যাতিতার (RG Kar Incident) মা। বললেন,”কোনও কোনও বার মহালয়ার ভোরটা ওর হাসপাতালেই কাটত। কোনও কোনও বার ভোরে মহালয়া শুনেই বেরিয়ে যেত। তিন বছর আগে মেয়ে হঠাৎ বলল, মা চলো না, বাড়িতে দুর্গাপুজো করি! ধমক দিয়ে বলেছিলাম, পাগল হয়েছিস? দুর্গাপুজোয় প্রচুর খাটনি মা! মেয়ে বলেছিল, তুমি চিন্তা কোরো না। দু’জনে মিলে করলে ঠিক হয়ে যাবে। তুমি ভোগ রান্না করবে আর আমি পুজোর দিকটা সব সামলে নেব। সেই শুরু। পর পর দু’বার কী ভালোভাবে যে আমাদের বাড়ির পুজোটা হয়ে গেল, বলে বোঝাতে পারব না। গ্যারাজেই প্রতিমা পাতা হল। বাড়ির সামনে প্যান্ডেল। প্রতিদিন লোকজন খেত। আত্মীয়েরা সব চলে আসত মেয়ের ডাকে। ওর মতো মিশুকে মেয়ে হয় না। ওর মধ্যে এমনই মায়া যে কেউ ওর কথা ফেলতে পারত না।”

    আরও পড়ুন: বন্যার জন্য মমতা দায়ী করেছিলেন কেন্দ্রকে, বৈরিতা ভুলে মোদিই রাজ্যকে দিলেন ৪৬৮ কোটি টাকা!

    অঞ্জলি দিয়েই রোগীর বাড়ি

    মানুষকে ভালোবাসার চেয়ে বড় পুজো হয় না, এই বিশ্বাসই আশ্রয় ছিল তিলোত্তমার (RG Kar Incident)। অঞ্জলি দিতে বসেও রোগীর ডাক এলে উঠে যেত মেয়ে, বলছেন নির্যাতিতার মা। তাঁর কথায়, “প্রতিমা বিসর্জন না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের পুজো বলতে ছিল বাড়ি। সকলকে নিয়ে আনন্দ। বিসর্জনের পরে একটু মন খারাপ থাকত ওর। আবার ব্যস্ত হয়ে যেত নিজের কাজে। বলত, মা অনেকে এই পুজোর সময়ে খুব কষ্ট পান। ডাক্তারেরা থাকেন না অনেকেই এই সময়ে। তাই পুজোতেও রোগীর ডাক এলে উঠে যেত।” এখন কেউ ফোন করে মেয়ের নাম ধরে কথা বলতে চাইলে বুকটা কেঁপে ওঠে মায়ের। তাঁর কথায়, “যে নামের আগে ডিগ্রি পাওয়ার জন্য এত লড়াই করল মেয়েটা, সেই নামটাই এখন মুছে গিয়েছে। লোকে ওকে অভয়া, তিলোত্তমা বলে ডাকছে। আমার মেয়ের নামটাই মুছে গিয়েছে। এখন শুধুই অপেক্ষা। অসুর নিধনের।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share