Tag: Chhattisgarh

Chhattisgarh

  • Christian Conversion Racket: খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করতে গিয়ে পুলিশের জালে জন থমাস

    Christian Conversion Racket: খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করতে গিয়ে পুলিশের জালে জন থমাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার সামনে এল খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত (Christian Conversion Racket) করার উদ্বেগজনক ঘটনা। রবিবার উত্তেজনা ছড়ায় ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) কাওরধার আদর্শ নগর এলাকায়। অভিযোগ, দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষদের বিশ্বাস, নিরাময় ও দানের নাম করে খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে। এই ঘটনা উপজাতি ও বঞ্চিত অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। খ্রিস্টান মিশনারিদের এহেন কার্যকলাপে নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

    গোপনে ধর্মান্তরিত (Christian Conversion Racket)

    স্থানীয়দের অভিযোগ, একটি বেসরকারি স্কুলের পরিচালক জন থমাস। তিনি ওই স্কুলের চত্বর ব্যবহার করে গোপনে ধর্মান্তরিত করছিলেন। হিন্দু সংগঠনের প্রায় ২৫ জন সদস্য পাশের একটি বাড়িতে হানা দেন। তাঁরাই থমাসের বিরুদ্ধে দরিদ্র বাসিন্দাদের জোর করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ তোলেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কাওরধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পুষ্পেন্দ্র বাঘেল জানান, অভিযোগে বলা হয়েছে যে প্রার্থনা সভার ছদ্মবেশে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছিল। পরে জন থমাসকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং আরও ২৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

    স্থানীয়দের অভিযোগ

    স্থানীয় বাসিন্দা পুসাইয়া বাঈ ও পদ্মিনী চন্দ্রবংশী অভিযোগ করেন, জন থমাস অসুস্থ ও দরিদ্র গ্রামবাসীদের নজরে রাখতেন। পরে নিরাময় ও আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁদের স্কুলে নিয়ে যেতেন। ওখানে ভূত তাড়ানোর রীতিনীতি ও অদ্ভুত আওয়াজে আশপাশের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পদ্মিনী বলেন, “শিশুরা বাইরে বেরোতে ভয় পেত। সব কিছু আমাদের চোখের সামনেই ঘটছিল, অথচ বহুবার অভিযোগ করেও প্রশাসন (Christian Conversion Racket) কিছু করেনি।”

    প্রসঙ্গত, গ্রামীণ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে কাজ করা একাধিক খ্রিস্টান মিশনারি সংস্থার বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ উঠেছে যে তারা সমাজের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মানুষদের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে ধর্মান্তরিত করছে। অর্থনৈতিক সাহায্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং মাঝে মাঝে সম্পত্তির টোপ দিয়ে, তারা মানুষকে এমনভাবে ধর্মান্তরিত করছে, যাতে তাদের সম্মতি থাকে না। এই ধরনের কাজকর্ম চলে (Chhattisgarh) মানবিক সহায়তার মুখোশ পরে। স্থানীয়রা জন থমাসের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ এবং প্রতারণামূলক ধর্মান্তর প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে আরও বৃহৎ অভিযানের দাবি জানিয়েছেন (Christian Conversion Racket)।

  • Nambala keshav Rao Encounter: মাথার দাম ছিল ১ কোটি! ছত্তিশগড়ে খতম শীর্ষ মাও-কমান্ডার কেশব রাও, নিহত আরও ৩০

    Nambala keshav Rao Encounter: মাথার দাম ছিল ১ কোটি! ছত্তিশগড়ে খতম শীর্ষ মাও-কমান্ডার কেশব রাও, নিহত আরও ৩০

    মাধ্যম ডেস্কঃ ছত্তিশগড়ে গুলির লড়াইতে নিকেশ মাওবাদী নেতা কেশব রাও (Nambala keshav Rao Encounter)। জানা গিয়েছে তাঁর মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা। গোপন সূত্রে গোয়েন্দাদের তথ্যে খবর পেয়ে আবুঝমাড়ের জঙ্গলে অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। এরপর সেনাবাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। গুলি-পাল্টাগুলির বিনিময়ে ওই কুখ্যাত মাওবাদী নেতার মৃত্যু হয়েছে। ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) পুলিশ প্রশাসন এবং কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ উদ্যোগের এই সাফল্যে বিরাট খুশি প্রকাশ করেছে ওয়াকিবহাল মহল।

    ৩০ জন মাওবাদী খতম (Nambala keshav Rao Encounter)!

    বুধবার সকালে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইতে কুখ্যাত মাওবাদী নেতার মৃত্যু (Nambala keshav Rao Encounter) হয়েছে। এই নাম্বালা কেশব রাওকে বাসবরাজের বলেও ডাকা হতো। ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মারা পড়েছেন। তাঁর উপর ছিল সংগঠনের গুরু দায়িত্ব। একই ভাবে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের গুলির লড়াইতে মারা পড়ে আরও ৩০ জন মাওবাদীকে। প্রাথমিক ভাবে খবর পেয়ে আবুঝমাড়ের জঙ্গলে অভিযান চালায় বাহিনী। যদিও সরকারি (Chhattisgarh) ভাবে এখনও এই মাও নেতার মৃত্যুর খবর স্বীকার করা হয়নি।

    ১৯৭০ সালে যুক্ত হন কেশব

    নাম্বালা কেশব রাও (Nambala keshav Rao Encounter) ওরফে বাসরাজ ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মাওবাদি)-র জেনারেল সেক্রেটারি। ১৯৭০ সালের নকশাল আন্দোলনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। এরপর থেকেই পুলিশ তাঁর নাম হিটলিস্টে রাখে। অবশেষে ছত্তিশগড়ের জেলা রিজার্ভ গার্ডের হাতে নিহত হতে হয় তাঁকে। নানা সন্ত্রাস এবং ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। প্রশাসনের এই সাফল্যে উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা (Chhattisgarh) বলেন, “মোট ২৬ জনের বেশি মাওবাদী এনকাউন্টারে মারা পড়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে পুলিশ রীতিমতো তাল্লাশি চালাচ্ছিল। অভিযানের সময় একজন পুলিশ এবং এক সেনা-জওয়ান গুলিতে আহত হয়েছেন।”

    ২০২৬ সালের মধ্যেই ভারত হবে মাওবাদী মুক্ত

    উল্লেখ্য, গত দুসপ্তাহ আগে তেলঙ্গানা সীমান্তবর্তী কারেগুট্টা পাহাড়ের কাছে বিজাপুর জেলার (Chhattisgarh) জঙ্গলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১৫ জন নকশাল নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। ১৯ মে থেকেই মাওবাদী দমন অভিযানে জোরকদমে অভিযান চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি সরকার গঠনের পর থেকেই মাওবাদীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে রাজ্যের বিষ্ণুদেও সাইয়ের সরকার। লাল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ইতিমধ্যে বড় ঘোষণা করেছেন। তিনি বার্তা দিয়েছিলেন, “২০২৬ সালের মধ্যে ভারতকে মাওবাদী মুক্ত করা হবে। লাল সন্ত্রাস সর্বাত্মক ভাবে শেষ করা হবে।”

  • Anti Maoist Operation: ‘অপারেশন সঙ্কল্পে’ বড়সড় সাফল্য বাহিনীর, খতম ৩১ মাওবাদী

    Anti Maoist Operation: ‘অপারেশন সঙ্কল্পে’ বড়সড় সাফল্য বাহিনীর, খতম ৩১ মাওবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সঙ্কল্পে’ (Anti Maoist Operation) বড়সড় সাফল্য পেল ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। পুলিশের দাবি, অভিযানে এখনও পর্যন্ত নিকেশ হয়েছে অন্তত ৩১ জন মাওবাদী (Bijapur)।

    ‘অপারেশন সঙ্কল্প’ (Anti Maoist Operation)

    পুলিশ জানিয়েছে, ছত্তিশগড়-তেলঙ্গানা সীমানায় চলছে ‘অপারেশন সঙ্কল্প’। তাতেই মিলেছে ৩১ জন নিকেশ হওয়ার খবর। এই অভিযান সম্পর্কে অবশ্য বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি ছত্তিশগড় পুলিশের তরফে। প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে, ছত্তিশগড়-তেলঙ্গানা সীমানায় কারেগুট্টা পাহাড়ের আশপাশের ঘন জঙ্গলে অপারেশন চলাকালীনই মৃত্যু হয় ওই মাওবাদীদের। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ্যে আনবেন বিজাপুরের পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র যাদব।

    ২০ জনকে শনাক্ত

    পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ৩১ জন মাওবাদীর মধ্যে ২০ জনকে ইতিমধ্যেই শনাক্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ও অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া শেষ করার পরে ১১ জনের দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে তাদের পরিবারের হাতে। বাকিদের দেহ শনাক্তকরণের কাজ চলছে। ২১ এপ্রিল শুরু হয়েছে ‘অপারেশন সঙ্কল্প’। নিরাপত্তাবাহিনীর একাধিক ইউনিট – ছত্তিশগড় পুলিশের জেলা রিজার্ভ গার্ড, বাস্তার ফাইটার্স, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স, সিআরপিএফ এবং কোবরা ইউনিট এই অভিযানে অংশ নিয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ২৮ হাজার জওয়ান ঘিরে রেখেছে এই জঙ্গল। জঙ্গলে প্রায় ৫০০ জন মাওবাদী রয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ৪০০টিরও বেশি আইইডি, প্রায় ৪০টি আগ্নেয়াস্ত্র, প্রায় ২ টন বিস্ফোরক। পুলিশের দাবি, মাওবাদীদের ঘাঁটি (Anti Maoist Operation) চিহ্নিত করে একের পর এক সফল অভিযানের মাধ্যমে ধ্বংস করা হচ্ছে তাদের ঘাঁটি ও অস্ত্রভান্ডার।

    প্রসঙ্গত, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যেই মাওবাদমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর পর থেকেই ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ডের মতো মাও-অধ্যুষিত রাজ্যগুলিতে ব্যাপক গতি পেয়েছে মাওবাদী অভিযান। জানা গিয়েছে, কারেগুট্টা পাহাড়ি এলাকাটি মাওবাদীদের অন্যতম শক্তঘাঁটি। এই এলাকা থেকে মাওবাদীদের নিশ্চিহ্ন করতে এলাকা ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তাবাহিনী। এখনও (Bijapur) পর্যন্ত ওই এলাকায় চালানো হয়েছে ৩৫টি অভিযান (Anti Maoist Operation)।

  • Operation Sankalp: সীমান্তপারে জঙ্গি-নিধনে ‘অপারেশন সিঁদুর’, দেশে ‘অপারেশন সঙ্কল্পে’ খতম অন্তত ২৬ মাওবাদী

    Operation Sankalp: সীমান্তপারে জঙ্গি-নিধনে ‘অপারেশন সিঁদুর’, দেশে ‘অপারেশন সঙ্কল্পে’ খতম অন্তত ২৬ মাওবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি-ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে  ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়েছে ভারতীয় ফৌজ। সীমান্তপার সন্ত্রাস যেমন এক হাতে দমন করা হচ্ছে, ঠিক একইভাবে, দেশের ভেতর মাওবাদীদের দমন করতে চলছে  ‘অপারেশন সঙ্কল্প’ (Operation Sankalp)। আর এই অভিযানে খতম অন্তত ২৬ মাওবাদী গেরিলা (Maoists Killed)। ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশনের বিজাপুর জেলা এবং পড়শি রাজ্য তেলঙ্গানার সীমানায় পাহাড়-জঙ্গলঘেরা এলাকায় যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হয়েছে ওই মাওবাদীরা। গত ১৮ দিন ধরে ওই এলাকায় ধারাবাহিক সংঘর্ষ চলছে। নিহত মাওবাদীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র এবং বিস্ফোরকও উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সিআরপিএফের এক আধিকারিক বলেন, “চার মহিলা-সহ মোট ২৬ জন মাওবাদী এই অভিযানে নিহত হয়েছে। প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক, অস্ত্র তৈরির ফ্যাক্টরি ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।” জানা গিয়েছে, এই অপারেশন চালানোর জন্য ১৯ এপ্রিল থেকে সিআরপিএফের ডিরেক্টর জেনারেল জিপি সিং রায়পুর ও জগদলপুরে ঘাঁটি গেড়েছিলেন।

    অপারেশন সঙ্কল্প (Operation Sankalp)

    দিন কুড়ি আগে ওই জঙ্গলে ৫০০-রও বেশি মাওবাদী জড়ো হয়েছে বলে খবর পায় যৌথবাহিনী। তার পরেই শুরু হয় ‘অপারেশন সঙ্কল্প’। জঙ্গলটি ঘিরে রেখেছে প্রায় ২৪ হাজার আধাসেনা ও পুলিশ। সিআরপিএফের জঙ্গলযুদ্ধ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডো বাহিনী কোবরা-র পাশাপাশি ছত্তিশগড়ের সশস্ত্র পুলিশ, বস্তার ফাইটার্স ও ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড বাহিনী, মহারাষ্ট্র পুলিশের সি-৬০, তেলঙ্গানা পুলিশের মাওবাদী দমন বাহিনীও রয়েছে এই অভিযানে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ-র এক নম্বর ব্যাটেলিয়নের ঘাঁটি রেগুট্টা এবং দুর্গামগুট্টার ঘন জঙ্গলে ঘেরা পাহাড় ঘিরে গত ২১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ‘অপারেশন সঙ্কল্প’ নামের ওই অভিযান সংহত করা হচ্ছে (Operation Sankalp)।

    বাহিনীর জাঁতাকলে আটকে ৫০০

    ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুর থেকে প্রায় সাড়ে চারশো কিলোমিটার দূরে বস্তার ডিভিশনের ওই দুর্গম এলাকায় মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাও বাহিনীর জাঁতাকলে আটকে পড়েছেন বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। এই দলেই রয়েছে তেলঙ্গানা রাজ্য কমিটি ও দণ্ডকারণ্য বিশেষ জোনাল কমিটির অধিকাংশ গেরিলা কমান্ডার। এই পরিস্থিতিতে নজরদারির কাজে হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে মাওবাদীদের (Maoists Killed) নিশ্চিহ্ন করার কথা ঘোষণা করেছেন। সেই লক্ষ্যেই ‘অপারেশন সঙ্কল্প’ ছত্রিশগড় সরকারের (Operation Sankalp)।

  • Anti Naxal Operation: ছত্তিশগড়ে এক হাজার মাওবাদীকে ঘিরে রেখেছে ২০ হাজার জওয়ান, খতম অন্তত ৫

    Anti Naxal Operation: ছত্তিশগড়ে এক হাজার মাওবাদীকে ঘিরে রেখেছে ২০ হাজার জওয়ান, খতম অন্তত ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ইতিহাসে সব চেয়ে বড় মাওবাদী বিরোধী অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর ঘেরাটোপে এক হাজারেরও বেশি মাওবাদী (Anti Naxal Operation)। সূত্রের খবর, ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজাপুরে ওই মাওবাদীদের ঘিরে রেখেছেন ২০ হাজারেরও বেশি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। ছত্তিশগড়, তেলঙ্গানা ও মহারাষ্ট্রের নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযানে এখনও পর্যন্ত অন্তত পাঁচজন মাওবাদী নিকেশ হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দেশ থেকে মাওবাদীদের নির্মূল করতে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ। তার পর থেকেই মাও-দমনে চালানো হচ্ছে ব্যাপক অভিযান। দিন দুই আগে সেরকমই একটি অভিযানে নামে নিরাপত্তা বাহিনী। বাহিনীর ঘেরাটোপে হাজারেরও বেশি মাওবাদী। এঁদের মধ্যে রয়েছেন মোস্ট ওয়ান্টেড কমান্ডার হিদমা এবং ব্যাটেলিয়নের প্রধান দেবও।

    মাওবাদীদের পালানোর পথ বন্ধ (Anti Naxal Operation)

    সূত্র মারফত গোয়েন্দারা জানতে পারেন বিজাপুরের একটি জঙ্গলে জড়ো হয়েছেন হাজারেরও বেশি মাওবাদী। এর পরেই যৌথ অভিযানে নামে ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র এবং তেলঙ্গানার নিরাপত্তা বাহিনী। এই বাহিনীতে রয়েছে জেলা রিজার্ভ গার্ড, বাস্তার ফাইটার্স, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স, রাজ্য পুলিশের সমস্ত ইউনিট, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স এবং তাদের অভিজাত কমান্ডো ব্যাটেলিয়ন কোবরা। মাওবাদীদের পালানোর পথ বন্ধ করতে নিরাপত্তা বাহিনী ছত্তিশগড়-তেলঙ্গানা সীমান্ত বরাবর অবস্থিত কারেগুট্টা পাহাড়কে ঘিরে রেখেছে। ঘন জঙ্গল ও পাহাড়ের সারি দ্বারা বেষ্টিত এই এলাকাটি মাওবাদীদের ১ নম্বর ব্যাটেনিয়নের ঘাঁটি। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে মাওবাদীরা একটি প্রেস বিবৃতি মারফত গ্রামবাসীদের পাহাড়ে প্রবেশ করতে না করে। তারা জানিয়ে দেয়, এই এলাকায় প্রচুর পরিমাণে আইইডি পুঁতে রাখা হয়েছে।

    দেশকে মাওবাদীমুক্ত করার শপথ

    প্রসঙ্গত, দেশকে মাওবাদীমুক্ত করতে দ্বিমুখী কৌশল নিয়েছে কেন্দ্র (Anti Naxal Operation)। একদিকে যেমন মাও-দমনে জোর দেওয়া হচ্ছে, তেমনি অন্যদিকে তাদের আত্মসমর্পণেও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের ভালো প্যাকেজও দেওয়া হচ্ছে সরকারের তরফে। তার জেরেই মিলছে একের পর এক সাফল্য। চলতি বছর এ পর্যন্ত শুধু ছত্তিশগড়েই (Chhattisgarh) খতম হয়েছে ১৫০ মাওবাদী। উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, “২০২৬ সালের ৩১ মার্চের আগেই আমরা দেশ থেকে নকশালবাদের সম্পূর্ণ নির্মূল করব, যাতে এর কারণে দেশের কোনও নাগরিকের প্রাণহানি না হয় (Anti Naxal Operation)।”

  • Amit Shah: ছত্তিশগড়ে ফের আত্মসমর্পণ ২২ নকশালের, কী বললেন শাহ?

    Amit Shah: ছত্তিশগড়ে ফের আত্মসমর্পণ ২২ নকশালের, কী বললেন শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাজ হয়েছে ‘শাহি দাওয়াই’য়ে! ফের আত্মসমর্পণ করলেন ২২ জন নকশাল। শুক্রবার ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) সুকমায় আত্মসমর্পণ করেন তাঁরা। দৃশ্যতই খুশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ফের একবার নকশালদের অস্ত্র ত্যাগ করার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নকশালবাদের অবসান ঘটানোর জন্য মোদি সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

    কী বললেন শাহ (Amit Shah)

    এক্স হ্যান্ডেলে শাহ লেখেন, “ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় বিভিন্ন অভিযানে কোবরা কমান্ডো ও রাজ্য পুলিশ আধুনিক অস্ত্র ও বিস্ফোরক সামগ্রী-সহ ২২ জন নকশালকে গ্রেফতার করেছে। সুকমার বাদেসেট্টি পঞ্চায়েতে ১১ জন নকশাল আত্মসমর্পণ করেছে, যার ফলে এই পঞ্চায়েত সম্পূর্ণ নকশালমুক্ত হয়েছে।” তিনি বলেন, “আমি নকশালদের প্রতি আবেদন জানাই, তাঁরা যত শীঘ্র সম্ভব অস্ত্র সমর্পণ করুন এবং মোদি সরকারের আত্মসমর্পণ নীতি গ্রহণ করে মূলধারায় ফিরে আসুন। ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের আগেই আমরা দেশকে নকশালবাদের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

    ২২ জন নকশালের আত্মসমর্পণ

    এদিকে, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেব সাই বলেন, আত্মসমর্পণকারী নকশালদের পুনর্বাসনের জন্য নিয়ম অনুযায়ী সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হবে। সুকমা জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে ৪০ লক্ষ টাকার পুরস্কারপ্রাপ্ত ১১ জন-সহ মোট ২২ জন নকশাল আত্মসমর্পণ করেছে। তিনি জানান, এটি আনন্দের বিষয় যে মাওবাদীরা এখন মূলস্রোতের সমাজে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। আত্মসমর্পণকারী নকশালদের পুনর্বাসনে নিয়ম অনুসারে সবরকম সাহায্য করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজির সংকল্প অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে দেশ ও রাজ্য থেকে লাল সন্ত্রাসের সম্পূর্ণ উচ্ছেদ নিশ্চিত (Amit Shah)।

    ছত্তিশগড় বিজেপির প্রধান কিরণ সিং দেব বলেন, রাজ্যের বস্তার জেলা শান্তির দিকে এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেন, “বস্তার জেলা ধীরে ধীরে শান্তির পথে এগোচ্ছে। পূর্বে দুর্গম ছিল এমন অনেক সরকারি কল্যাণমূলক প্রকল্প ও উন্নয়নমূলক উদ্যোগ এখন জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছতে পারছে। সকলের উচিত মূলস্রোতের সঙ্গে যুক্ত হওয়া।”

    এর আগে আজ, সুকমায় পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট (এসপি) কিরণ গঙ্গারাম চবানের উপস্থিতিতে ৯ জন মহিলা-সহ (Chhattisgarh) মোট ২২ জন নকশাল আত্মসমর্পণ করেন (Amit Shah)।

  • Maoists Surrender: মাওবাদীদের ‘ভাই’ সম্বোধন শাহের, আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই আত্মসমর্পণ তিন কমান্ডার-সহ ২৬ জনের

    Maoists Surrender: মাওবাদীদের ‘ভাই’ সম্বোধন শাহের, আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই আত্মসমর্পণ তিন কমান্ডার-সহ ২৬ জনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নকশাল ভাইদের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা অস্ত্রসমর্পণ করে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসুন।” শনিবার ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) এক সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মাওবাদীদের (Maoists Surrender) উদ্দেশে এই বার্তাই দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছিলেন, “একজন মাওবাদীর মৃত্যু হলেও, আমরা আনন্দিত হই না।” শাহের এই ভাই সম্বোধনের পর আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই আত্মসমর্পণ করলেন ২৬ জন মাওবাদী। সোমবার ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশনের দান্তেওয়াড়া জেলার তিন মাওবাদী কমান্ডার-সহ আত্মসমর্পণ করলেন ২৬ জন গেরিলা। কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের কাছে আত্মসমর্পণ করেন তাঁরা।

    মাওবাদী কমান্ডারের মাথার দাম (Maoists Surrender)

    পুলিশ জানিয়েছে, তিন মাওবাদী কমান্ডারের মাথার দাম ছিল সাড়ে চার লাখ টাকা। দান্তেওয়াড়ার পুলিশ সুপার গৌরব রাই বলেন, “অন্তর্দ্বন্দ্ব ও নাশকতার আদর্শের প্রতি মোহভঙ্গের কারণেই এঁরা আত্মসমর্পণ করে সমাজের মূল স্রোতে শামিল হচ্ছেন।” তিনি জানান, নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএর বস্তার ডিভিশনে সক্রিয় বিভিন্ন দলমের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন আত্মসমর্পণকারী ২৬ নেতা-কর্মী। পুলিশ জানিয়েছে, আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীরা জনমিলিশিয়া, বিপ্লবী পার্টি কমিটি, জনতানা সরকার, দণ্ডকারণ্য আদিবাসী কিষান মজদুর সংগঠন এবং চেতনা নাট্যমণ্ডলীর মতো শাখা সংগঠনগুলির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। তাঁর দাবি, এঁদের আত্মসমর্পণ নিরাপত্তা বাহিনীকে বাড়তি মনোবল জোগাবে। তিনি বলেন, “আমাদের গ্রাম, আমাদের পুলিশ প্রচার কর্মসূচির ফলেই এই সাফল্য।”

    মাওবাদীমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা

    এদিন যাঁরা আত্মসমর্পণ (Maoists Surrender) করেছেন তাঁদের মধ্যে রাজেশ কাশ্যপ আমদই অঞ্চলের জনমিলিশিয়া কমান্ডার হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ৩ লাখ টাকা। জনতানা সরকার স্কোয়াডের প্রধান কোসা মাদভি ও সিএনএমের নেতা ছোটু কুঞ্জামের মাথার দাম ছিল যথাক্রমে এক লাখ ও ৫০ হাজার টাকা। ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদীমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছত্তিশগড়ে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পরে মাওবিরোধী অভিযান আরও গতি পেয়েছে। গত বছর বস্তার অঞ্চলে মাওদমন অভিযানে মৃত্যু হয়েছিল ২৮৭ জনের। গ্রেফতার করা হয়েছে হাজারেরও বেশি জনকে। সে বছর আত্মসমর্পন করেছিলেন ৮৩৭ জন। চলতি বছরে মাত্র তিন মাসে খতম হয়েছেন ১৩০ জন মাওবাদী। এতেই চাপে পড়ে গিয়েছে মাওবাদীরা। এদিকে, সরকার ডাক দিয়েছে ঘরে ফেরার (Chhattisgarh)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে ঘরে ফিরছেন মাও-গেরিলারা (Maoists Surrender)।

  • Chhattisgarh: মাথার দাম ছিল ২৫ লক্ষ, দান্তেওয়াড়ায় খতম করা হল শীর্ষ মাওবাদী নেত্রীকে

    Chhattisgarh: মাথার দাম ছিল ২৫ লক্ষ, দান্তেওয়াড়ায় খতম করা হল শীর্ষ মাওবাদী নেত্রীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাথার দাম ছিল ২৫ লক্ষ, দান্তেওয়াড়ায় খতম করা হল শীর্ষ মাও নেত্রী। প্রসঙ্গত, গতকাল রবিবার ৫০ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করে। প্রশাসনের তরফে তখনই জানানো হয়েছিল, হয় অস্ত্র ছাড়ো নয় মরো। এবার সোমবার সকালেই এনরাউন্টারে খতম করা হল ওই মাও নেত্রীকে (Chhattisgarh)। প্রসঙ্গত, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা আজ ৩১ মার্চ একটি মহিলা মাওবাদী নেত্রী দেহ উদ্ধার করেন। তাঁর সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে ইনসাস রাইফেল সমেত গোলা-বারুদ। এর পাশাপাশি প্রাত্যহিক ব্যবহারের অন্যান্য জিনিসপত্রও উদ্ধার (Chhattisgarh) করা হয়েছে।

    অনেক নাম নিয়ে ঘোরাফেরা করতেন ওই মাওবাদী নেত্রী

    দান্তেরওয়ার থেকে উদ্ধার হওয়া (Chhattisgarh) ওই মহিলা মাওবাদী নেত্রীর নাম রেনুকা ওরফে বানু ওরফে চৈতি ওরফে সরস্বতী। এই এতগুলি নাম নিয়ে তিনি ঘোরাফেরা করতেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর বাড়ি অন্ধ্রপ্রদেশে কদভেন্দি জেলাতে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত আজ সকালেই এই এনকাউন্টার শুরু হয়। এখানেই খতম করা হয় ওই মাওবাদী নেত্রীকে (Maoist)। জানা যাচ্ছে, রেনুকা মাওবাদীদের মিডিয়া ইনচার্জ ছিলেন। রেনুকা দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটির একজন সদস্যও ছিলেন তিনি।

    রবিবার পঞ্চাশ জনেরও বেশি মাওবাদী আত্মসমর্পণ করে

    প্রসঙ্গত, রবিবার পঞ্চাশ জনেরও বেশি মাওবাদী আত্মসমর্পণ করে ছত্তিশগড়ে। সে রাজ্যের বিজাপুর জেলার পুলিশের কাছে এই আত্মসমর্পণ করে মাওবাদীরা। এ নিয়ে জেলার পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র যাদব সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘মাওবাদী দমনে আমরা সফল হয়েই চলেছি। হয় তারা আত্মসমর্পণ করুক, নয়তো তাদের গ্রেফতার করা হবে অথবা খতম করা হবে।’’ এই আবহে তাদের (মাওবাদী) সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অমিত শাহ।

    এটা খুবই আনন্দের মুহূর্ত, সমাজমাধ্যমে পোস্ট অমিত শাহের

    মাওবাদীদের আত্মসমর্পণ নিয়েই সামনে এসেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের একটি সমাজ মাধ্যমের পোস্ট। যেখানে তিনি লিখছেন, ‘‘এটা খুবই আনন্দের মুহূর্ত যে ৫০ জনেরও বেশি মাওবাদী (Chhattisgarh) আজকে আত্মসমর্পণ করেছে বিজাপুর জেলায়। তারা হিংসার পথকে ছেড়েছে। আমি এদের প্রত্যেককে স্বাগত জানাতে চাই। তারা হিংসার পথ এবং অস্ত্র- দুটোকেই ছেড়েছে।’’

  • Chhattisgarh: হয় অস্ত্র ছাড়ো নয় মরো! ছত্তিশগড়ে আত্মসমপর্ণ ৫০ মাওবাদীর, সিদ্ধান্তকে স্বাগত শাহের

    Chhattisgarh: হয় অস্ত্র ছাড়ো নয় মরো! ছত্তিশগড়ে আত্মসমপর্ণ ৫০ মাওবাদীর, সিদ্ধান্তকে স্বাগত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) মাওবাদী দমন অভিযানে ব্যাপক সাফল্যের পরেই রবিবার পঞ্চাশ জনেরও বেশি মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছে। সে রাজ্যের বিজাপুর জেলার পুলিশের কাছে এই আত্মসমর্পণ করে মাওবাদীরা। এ নিয়ে জেলার পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র যাদব সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘মাওবাদী দমনে আমরা সফল হয়েই চলেছি। হয় তারা আত্মসমর্পণ করুক, নয়তো তাদের গ্রেফতার করা হবে অথবা খতম করা হবে।’’ এই আবহে তাদের (মাওবাদী) সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অমিত শাহ।

    এটা খুবই আনন্দের মুহূর্ত, সমাজমাধ্যমে পোস্ট অমিত শাহের

    এ নিয়েই সামনে এসেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের একটি সমাজ মাধ্যমের পোস্ট। যেখানে তিনি লিখছেন, ‘‘এটা খুবই আনন্দের মুহূর্ত যে ৫০ জনেরও বেশি মাওবাদী (Chhattisgarh) আজকে আত্মসমর্পণ করেছে বিজাপুর জেলায়। তারা হিংসার পথকে ছেড়েছে। আমি এদের প্রত্যেককে স্বাগত জানাতে চাই। তারা হিংসার পথ এবং অস্ত্র- দুটোকেই ছেড়েছে।’’

    ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদী মুক্ত হবে দেশ

    তিনি এক্ষেত্রে বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীতি খুবই পরিষ্কার। যে সমস্ত মাওবাদী (Chhattisgarh) উন্নয়নের পথকে বেছে নেবে এবং অস্ত্র পরিত্যাগ করবে, তাদেরকে নতুনভাবে সমাজের স্রোতে ফিরিয়ে আনা হবে।’’ একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবেদন জানিয়েছেন তাদের উদ্দেশে, যারা এখনও পর্যন্ত অস্ত্র পরিত্যাগ করেনি। ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদীকে দেশ থেকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হবে।

    কী বলছেন ছত্তিশগড়ের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা?

    এ নিয়ে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা জানিয়েছেন, সরকার সর্বদা বল প্রয়োগ করে মাওবাদী দমনে বিশ্বাস রাখছে না। উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, যারা এই (সশস্ত্র) পথে আছে তারা সেই পথ ছেড়ে দিক। চলতি বছরে ১৩৩ জন মাওবাদীকে মূল স্রোতে ফেরানো গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ছত্তিশগড় সরকারের পরিসংখ্যান বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ২৮০০ থেকে ২৯০০ মাওবাদী (Maoists) হয় আত্মসমর্পণ করেছে, নয় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে অথবা খতম করা হয়েছে।

  • Maoist Encounter in Bastar: ছত্তিসগড়়ে ফের মাওবাদী দমনে বড় সাফল্য যৌথবাহিনীর, ১ পুলিশ কর্মী সহ হত ২৩

    Maoist Encounter in Bastar: ছত্তিসগড়়ে ফের মাওবাদী দমনে বড় সাফল্য যৌথবাহিনীর, ১ পুলিশ কর্মী সহ হত ২৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিসগড়়ে ফের মাওবাদী দমন (Maoist Encounter in Bastar) অভিযানে বড় সাফল্য পেল যৌথবাহিনী। বৃহস্পতিবার সকালে বিজাপুর এবং কাঁকের জেলায় দু’টি পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২২ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। ছত্তিসগড়় পুলিশ জানিয়েছে, পাল্টা হামলায় নিরাপত্তাবাহিনীর এক জন সদস্যেরও মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত আরও দুই। এখনও দু’পক্ষের গুলির লড়াই চলছে।

    কোথায় কোথায় অভিযান

    বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে বিজাপুর ও দান্তেওয়াড়া জেলার সীমানায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, ছত্তিসগড় (Chhattisgarh Encounter) পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এ দিন সকালে গঙ্গালুর থানা এলাকায় মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে (Maoist Encounter in Bastar) নামেন। গঙ্গালুর থানা বিজাপুর জেলায়। প্রথম থেকে এলাকা ঘিরে চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়। পুলিশ দেখেই এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা মাওবাদীরা। তাদের গুলিতে মারা যান ছত্তিসগড় ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের এক পুলিশ কর্মী। এখনও পর্যন্ত বীজাপুরের জঙ্গল থেকে সংঘর্ষে নিহত ১৮ মাওবাদীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে মাওবাদীদের ব্যবহৃত রাইফেল ও বিস্ফোরক। এখনও গুলির লড়াই বন্ধ হয়নি। কাঙ্কেরের জঙ্গল থেকে পাওয়া গিয়েছে আরও চার মাওবাদীর দেহ। সূত্রের মতে, নিরাপত্তা বাহিনী মাওবাদীদের শীর্ষ নেতাদের একটি দলকে বনাঞ্চলে ঘিরে ফেলেছে এবং দিনের শেষে মৃতদেহের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখনও তল্লাশি অভিযান চলছে।

    মাওবাদী দমনে পরপর অভিযান

    বস্তার (Maoist Encounter in Bastar) ডিভিশনের অন্তর্গত বিজাপুর এবং কাঁকের জেলার অবুঝমাঢ়ের জঙ্গলে গত কয়েক মাসে নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-এর সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপল্‌স লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিজাপুরে সিআরপিএফ এবং ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৩১ জন মাওবাদী গেরিলা নিহত হয়েছিলেন। গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ছত্তিসগড়, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা আন্তঃরাজ্য অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। ইতিমধ্যেই সংঘর্ষে দুশোর বেশি মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে ওই তিন রাজ্যে। নিহতদের তালিকায় রয়েছেন মাওবাদী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়রাম ওরফে চলপতি। আত্মসমর্পণ করেছেন নিহত মাওবাদী নেতা মাল্লোজুলা কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজির ভ্রাতৃবধূ বিমলা। তাঁর স্বামী মাল্লোজুলা বেণুগোপাল রাও ওরফে ভূপতি ওরফে বিবেক ওরফে সোনু নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।

    মাওবাদী-মুক্ত দেশ গঠনের দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যেই দেশ থেকে মাওবাদীদের (Maoist Encounter in Bastar) একেবারে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। চলতি বছরে ছত্তিসগড়ের বিভিন্ন এলাকায় মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে বড় সাফল্য পেয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের আগেই আমরা দেশ থেকে নকশালবাদকে নির্মূল করব। যাতে তাঁদের জন্য দেশের কোনও নাগরিককে প্রাণ হারাতে না হয়। এই জন্য আমি আমার সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করছি।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ মতোই বিভিন্ন রাজ্যে মাওবাদী দমনে অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী। এদিনের অভিযানও তারই অঙ্গ।

LinkedIn
Share