Tag: Chhattisgarh

Chhattisgarh

  • Maoists Surrender: সরকারি নীতিতেই মিলল সাফল্য! ছত্তিশগড়ে ফের আত্মসমর্পণ এক ঝাঁক মাওবাদীর

    Maoists Surrender: সরকারি নীতিতেই মিলল সাফল্য! ছত্তিশগড়ে ফের আত্মসমর্পণ এক ঝাঁক মাওবাদীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার সাফল্যের মুখ দেখল ‘মাও-দমন অভিযান’। তবে এবার আর অভিযান চালানো হয়নি। তার আগেই আত্মসমর্পণ করলেন ১৯ জন মাওবাদী (Maoists Surrender)। ১৭ মার্চ ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজাপুর জেলায় ঘটে আত্মসর্পণের এই ঘটনা। এদিন যাঁরা আত্মসমর্পণ করেছেন, তাঁদের সম্মিলিত পুরস্কার মূল্য ছিল ২৯ লাখ টাকা। জানা গিয়েছে, পুলিশ ও সেন্ট্রাল রিজার্ভের কর্তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন ওই মাওবাদীরা।

    আত্মসমর্পণকারী মাওবাদী (Maoists Surrender)

    আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের মধ্যে কয়েকজন এসিএম, পিপিসিএমের সদস্য হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। অন্যরা পিপল লিবারেশন গেরিলা আর্মি এবং নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত মিলিশিয়া গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। তাঁদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং রাজ্য সরকারের আত্মসমর্পণ ও পুনর্বাসন নীতির অধীনে তাদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে। এর আগে ১৩ মার্চ বিজাপুর জেলায়ই ১৭ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছিলেন। তারই কয়েকদিন পর ফের ঘটল আত্মসমর্পণের ঘটনা (Maoists Surrender)। আত্মসমর্পণকারীদের মাথার সম্মিলিত পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল ৪০ লাখ টাকা।

    প্রসঙ্গত, রবিবার তেলঙ্গনায়ও আত্মসমর্পণ করেছেন ৬০ জনেরও বেশি মাওবাদী। এঁদের মধ্যে ছত্তিশগড়ের এসিএম পদমর্যাদার এক মাওবাদীও ছিলেন। ১২ মার্চ ছত্তিশগড়ের বর্তমান রাজ্য সরকার মূলধারায় যোগদানকারীদের জন্য একটি নতুন আত্মসমর্পণ ও পুনর্বাসন নীতি ঘোষণা করার পর থেকেই সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে দলে দলে আত্মসমর্পণ করছেন মাওবাদীরা।

    আত্মসমর্পণকারীদের সরকারি সাহায্য

    নয়া নীতির মাধ্যমে আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের আর্থিক সহায়তা, শিক্ষা, নিরাপত্তা, পুনর্বাসন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে রাজ্য সরকার নিশ্চিত করতে চায় যে, যারা হিংসার পথ ত্যাগ করছে, তারা মর্যাদার সঙ্গে জীবন যাপন করতে পারে। উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মাও মাওবাদীদের কাছে অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “মাওবাদীদের কাছে আমাদের আবেদন হল, তারা যেন অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসে।”

    উল্লেখ্য, ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) সাম্প্রতিক সময়ে মাওবাদী ক্যাডারদের আত্মসমর্পণের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অস্ত্র সমর্পণ করেছেন বহু উচ্চপদস্থ মাওবাদী নেতা (Maoists Surrender)।

  • CRPF: সিআরপিএফের স্কুলে যাচ্ছে বাড়ির বাচ্চারা, খুশি ছত্তিশগড়ের মাও-অধ্যুষিত এলাকার বাসিন্দারা

    CRPF: সিআরপিএফের স্কুলে যাচ্ছে বাড়ির বাচ্চারা, খুশি ছত্তিশগড়ের মাও-অধ্যুষিত এলাকার বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেন্ট্রাল রিসার্ভ পুলিশ ফোর্স বা সিআরপিএফ (CRPF) ছত্তিশগড়ের সুকমা-বিজাপুর জেলার তেকালগুডেম নামক জায়গাতে স্কুল তৈরি করেছে। এই অঞ্চল একদা মাওবাদী অধ্যুষিত ছিল। কিন্তু ক্রমশই সেখানে মাওবাদীরা কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। অনেক বছর ধরেই মাওবাদীরা এই অঞ্চলে যেকোনও ধরনের পরিকাঠামো নির্মাণ তথাপি স্কুল নির্মাণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যারাই এই কাজগুলো করতে যেত তাদেরই প্রাণ বিপন্ন হয়ে উঠত। কিন্তু বর্তমানে সে সমস্যা মিটেছে। সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (CRPF) ওই অঞ্চলে স্কুল তৈরি করেছে। পরিচালনায় বাহিনীর ১৫০ নম্বর ব্যাটালিয়ন।

    কী বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    ওই অঞ্চলের একজন স্থানীয় বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে জানান যে, আমাদের গ্রামে আগে কখনও স্কুল (CRPF) ছিল না এবং মাওবাদীরা এই অঞ্চলের দাপিয়ে বেড়াত। যে কোনও রকমের স্কুল তৈরিতেও তারা বাধা দিত। যদি কেউ স্কুল তৈরি করতে চেয়েছে, এমন কয়েকজনকে তারা হত্যাও করেছে। কিন্তু আমরা এখন ধন্যবাদ জানাতে চাই সিআরপিএফ-কে (Chhattisgarh)। আমাদের কাছে এখন স্কুল আছে। আমাদের বাচ্চারা এখন স্কুলে যেতে প্রতিনিয়ত এবং তারা সেখানে খাবার পাবে।

    কী বললেন জেলার পুলিশ সুপার?

    সিআরপিএফ (CRPF) জওয়ানদের প্রচেষ্টাতেই তৈরি হয় এই স্কুল এবং সেখানে সহযোগিতা করে জেলা পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন। এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলার পুলিশ সুপার কিরণ গঙ্গারাম চৌহান বলেন, ‘‘যে মাওবাদী মুক্ত অভিযান চলছে সুকমা জেলাতে, সেই অভিযানেরই অন্যতম অংশ হল নতুনভাবে স্কুল তৈরি করা। সিআরপিএফ জেলা পুলিশ এবং প্রশাসনের সহায়তায় আমরা বেশ কিছু স্কুল এখানে তৈরি করতে পেরেছি এবং বাড়ির ছোট ছোট বাচ্চারা সেখানে যাচ্ছে। তারা খাবার, বই এবং খেলার নানা সামগ্রী পাচ্ছে। ২০২৪ সাল থেকে এই উদ্যোগ শুরু হয়েছে এবং গ্রামের মানুষজন প্রশাসনকে যথেষ্ট বিশ্বাস করছে।’’ প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ এ দেশে মাওবাদীদের শেষ দিন হতে চলেছে (Chhattisgarh)। তার আগেই দেশ থেকে নির্মূল করা হবে মাওবাদীদের। গত বছরই এনকাউন্টারে খতম হয়েছে ২০৭ জন মাওবাদী।

  • Chhattisgarh Urban Bodies Election: ছত্তিশগড়ে পুরনির্বাচনে বিজেপির জয়জয়কার, রায়গড়ে মেয়র হলেন চাওয়ালা জীবর্ধন

    Chhattisgarh Urban Bodies Election: ছত্তিশগড়ে পুরনির্বাচনে বিজেপির জয়জয়কার, রায়গড়ে মেয়র হলেন চাওয়ালা জীবর্ধন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের রং এখন গেরুয়া। ছত্তিশগড়ে স্থানীয় নির্বাচনেও (Chhattisgarh Urban Bodies Election) বিরাট জয় পেল বিজেপি। শনিবার সমস্ত মেয়র পদেই জয় পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও রাই ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এটা ছত্তিশগড় বিজেপির জন্য একটা ঐতিহাসিক দিন। ছত্তিশগড় পুরসভার নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীরা ১০টা আসনেই জয় পেয়েছে। বিপুল মার্জিনে জয় পেয়েছেন তারা। কংগ্রেস একটা আসনেও জিততে পারেনি। বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপর ভরসা রাখার জন্য সমস্ত ভোটারদের ধন্য়বাদ জানান তিনি।

    নাড্ডার শুভেচ্ছা

    ভোটের ফল ঘোষণার পরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ছত্তিশগড়ে বিজেপির সভাপতি ও ছত্তিশগড়ে মুখ্য়মন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এই বিপুল বিজয়ের জন্য। জেপি নাড্ডা এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, এই ঐতিহাসিক জয় হল মানুষের আস্থা জনকল্যাণমুখী স্কিম ও আদিবাসী কল্যাণে নিয়োজিত স্কিমগুলির উপর। ডাবল ইঞ্জিন সরকার এই স্কিমগুলি প্রয়োগ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গাইডেন্সে এই কর্মকাণ্ড চলছে। কার্যত ছত্তিশগড় থেকে ধুয়ে মুছে যাচ্ছে কংগ্রেস। একের পর এক ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। এবার পুরসভাগুলির ভোটেও বিজেপিরই জয় জয়কার।

    চা-ওয়ালা থেকে মেয়র

    একজন চাওয়ালার দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে বসার নজির আগেই দেখেছে দেশ। এবার এক চা বিক্রেতাকে মেয়রও হতে দেখল ছত্তিশগড়। নির্বাচনী লড়াইয়ে কংগ্রেসকে ‘নাকের জলে, চোখের জলে’ করে রায়গড় শহরের মেয়র হলেন বিজেপি নেতা জীবর্ধন চৌহান। তাঁর এই সাফল্য এখন মুখে মুখে ফিরছে। শূন্য থেকে শুরু করে শীর্ষে উঠে চৌহান হয়ে উঠেছেন নয়া অনুপ্রেরণা। এই ঘটনার পর স্থানীয় বিধায়ক ওপি চৌধুরী বলেন, ‘এই জয় ঐতিহাসিক জয়।’ জয়ের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে চৌহান বলেন, “যেদিন আমি খবর পেয়েছিলাম একজন চাওয়ালাকে মেয়র পদের জন্য মনোনীত করা হয়েছে, সেদিন বিশ্বাস করতে পারিনি। দীর্ঘ বছর ধরে আমি সংঘের সঙ্গে যুক্ত। অবশেষে এই সাফল্যে আমার অত্যন্ত আনন্দিত। আমি সংঘ, বিজেপি ও বিধায়ক ওপি সিংকে ধন্যবাদ জানাই, যারা আমার মতো একজন গরিব মানুষকে এই পদের যোগ্য বলে মনে করেছেন ও আমায় লড়াইয়ের সুযোগ দিয়েছেন।”

  • BJP: ১৩ মাস আগেই গঠিত হয় সরকার, বিজেপি জমানায় ছত্তিশগড়ে খতম ৩০০ মাওবাদী, গ্রেফতার ১,১০০

    BJP: ১৩ মাস আগেই গঠিত হয় সরকার, বিজেপি জমানায় ছত্তিশগড়ে খতম ৩০০ মাওবাদী, গ্রেফতার ১,১০০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদী (Maoists) দমন অভিযানের তীব্রতা আরও বাড়াল সরকার। মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নিরাপত্তাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে ছত্তিশগড়ের বিজেপি (BJP) সরকার। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগেই বার্তা দিয়েছিলেন, ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যেই দেশকে মাওবাদী মুক্ত করা হবে। এই কারণেই গত কয়েক মাস ধরে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে বাহিনীর অভিযান আরও জোরদার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

    মাওবাদ দমনে বড় সাফল্য

    প্রসঙ্গত, রবিবারই বস্তারের জঙ্গলে প্রশিক্ষিত কমান্ডোদের একটি বাহিনী অভিযানে যায়। দলটিতে ছিলেন ৬০০ জন কমান্ডো। সেই অভিযানেই দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় বলে জানা গিয়েছে। সেই সংঘর্ষে ৩১ জন মাওবাদী নিহত হন। শহিদ হন বাহিনীর দুই জওয়ানও। রবিবারের মাওবাদী দমনের ওই অভিযানকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ‘বড় সাফল্য’ বলে দাবি করেন। এ বছরে এখনও পর্যন্ত ৮১ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।

    ১৩ মাসে হত ৩৫৮ মাওবাদী

    ছত্তিশগড় রাজ্য প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিগত ১৩ মাসে ছত্তিশগড়ে বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৫৮ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। গ্রেফতার করা হয়েছে ১,১৭৭ জন মাওবাদীকে। আত্মসমর্পণ করেছেন ৯৮৫ মাওবাদী। এটাকেই মাওবাদ দমনে বড় সাফল্য বলে মনে করছে রাজ্য প্রশাসন। প্রতিনিয়ত অভিযানের গতি বাড়ছে। আরও বেশি ধারালো করা হচ্ছে মাওবাদ বিরোধী অভিযান। মাওবাদীদের নিকেশ করতে একেবারে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে চাইছে বাহিনী।

    বিজেপি (BJP) সরকার ক্ষমতায় আসতেই শুরু জোরালো অভিযান

    ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ছত্তিশগড়ে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবিরের (BJP) মুখ্যমন্ত্রী হন বিষ্ণু দেও সাই। তিনি রাজ্যের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই মাওবাদীদের বিরুদ্ধে বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন, এমনটাই খবর সূত্রের। ঠিক এই কারণেই গত এক বছরের মধ্যে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানের গতি আরও জোরালো হয়েছে। ২০২৪ সালে ২১৯ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রের দাবি।

  • Maoists Death: ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে খতম ৩১ মাওবাদী, চলছে অভিযান

    Maoists Death: ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে খতম ৩১ মাওবাদী, চলছে অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদী দমনে ফের বড়সড় সাফল্য পেল যৌথবাহিনী। রবিবার সকালে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজাপুর জেলায় যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হন ৩১ জন মাওবাদী (Maoists Death)। শহিদ হয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যও। জখমও হয়েছেন দুজন। সপ্তাহখানেক আগেই এই বিজাপুরেই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে নিকেশ হয়েছিল অন্তত ১৮ জন মাওবাদী। এদিন দুপুর পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, মাওবাদীদের খোঁজে চলছে অভিযান।

    পুলিশের বক্তব্য (Maoists Death)

    ছত্তিশগড় পুলিশের এক কর্তা বলেন, “শুক্রবার বিজাপুরের জঙ্গল এলাকায় মাওবাদীদের পশ্চিম বস্তার ডিভিশনের সদস্যদের উপস্থিতি সম্পর্ক খবর মেলে সূত্র মারফত। তার পরেই ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে সিআরপিএফ, ছত্তিশগড় সশস্ত্র পুলিশ এবং কোবরা ইউনিটের সদস্যরা। শনিবার রাত থেকে শুরু হয় গুলির লড়াই। রবিবার সকালে উদ্ধার হয় ৩১ জন মাওবাদীর দেহ।” চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে বস্তার ডিভিশনজুড়ে নতুন করে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। বিজাপুর ও সুকমার পাশাপাশি নারায়ণপুর, দান্তেওয়াড়া, জগদলপুর, কাঁকের এবং কোন্ডাগাঁও জেলার পাহাড় জঙ্গলেও চলছে তল্লাশি অভিযান। তার জেরেই হচ্ছে এনকাউন্টার। নিকেশ হচ্ছেন একের পর এক মাওবাদী। যাঁদের অনেকেরই মাথার দাম কোটি টাকা।

    মাও গেরিলাদের সমাজের মূল স্রোতে ফেরানোর চেষ্টা

    মাও-দমন অভিযান চালানোর পাশাপাশি চলছে মাও গেরিলাদের সমাজের মূল স্রোতে শামিল করানোর প্রয়াস (Maoists Death)। প্রশাসনের এই প্রচারে সাড়া দিয়ে ইতিমধ্যেই আত্মসমর্পণ করেছেন গান্ধী তাঁতি ওরফে কমলেশ এবং মাইনু ওরফে হেমলাল কোররাম, রঞ্জিত লেকামি ওরফে অর্জুন এবং তাঁর স্ত্রী কোসি ওরফে কাজলের মতো মাওবাদীরা।

    নতুন বছরের প্রথম থেকে এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে এনকাউন্টারে ছত্তিশগড়ে নিকেশ হয়েছে প্রায় ৬০ জন মাওবাদী। এর মধ্যে ৩৪ জনই বস্তারের। মাওবাদীদের আক্রমণে শহিদ হয়েছেন ১১জন জওয়ান এবং একজন সাধারণ নাগরিক। এদিকে, নকশাল-মুক্ত ঘোষণা করা হল কর্ণাটককে। তার আগে আত্মসমর্পণ করেছেন শেষ মাওবাদী। চিক্কমাগালুরু জেলায় আত্মসমর্পণ করেছেন ওই মাওবাদী। পুলিশ সুপার বিক্রম আমাথে বলেন, “এই আত্মসমর্পণের সঙ্গে সঙ্গে এখন সম্পূর্ণ নকশাল-মুক্ত হল কর্ণাটক।”

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ এ দেশে মাওবাদীদের শেষ দিন হতে চলেছে (Chhattisgarh)। তার আগেই দেশ থেকে নির্মূল করা হবে মাওবাদীদের। গত বছরই এনকাউন্টারে খতম হয়েছে ২০৭ জন মাওবাদী (Maoists Death)।

  • Maoist Guerrilla Killed: মাও দমনে ফের সাফল্য, ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে খতম ১

    Maoist Guerrilla Killed: মাও দমনে ফের সাফল্য, ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে খতম ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাও দমনে ফের মিলল সাফল্য। সোমবার, বসন্ত পঞ্চমীর দিন দুপুরে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বস্তার ডিভিশনের কাঁকের জেলায় গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল মাওবাদীদের (Maoist Guerrilla Killed) সশস্ত্র শাখা পিএলজিএর এক সদস্যের। এ নিয়ে গত মাসের অভিযানে বস্তার ডিভিশনে সিপিআই মাওবাদীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রামচন্দ্র রেড্ডি ওরফে চলপতি-সহ মোট ৩৪ জন গেরিলা খতম হল। শনিবারই রাতে কাঁকেরের পাশের জেলা বিজাপুরে এনকাউন্টারে নিকেশ হয়েছিলেন আট মাওবাদী।

    মাও দমনে অভিযান (Maoist Guerrilla Killed)

    এদিন উত্তর বস্তার ও মাঢ় ডিভিশনের সীমানায় অবুঝমারের জঙ্গলের দুর্গম এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী বিএসএফ, ছত্তিশগড় সশস্ত্র পুলিশ ও ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড বাহিনীর যৌথ অভিযানে এই সাফল্য মিলেছে বলে দাবি পুলিশের। গত ৩ জানুয়ারি থেকে বস্তার ডিভিশনজুড়ে নতুন করে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। বিজাপুর ও সুকমার পাশাপাশি মাও অধ্যুষিত নারায়ণপুর, দন্তেওয়াড়া, জগদলপুর, কাঁকের এবং কোন্ডাগাঁও জেলার পাহাড়-জঙ্গলেও চলছে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি অভিযান।

    পুলিশ কর্তার বক্তব্য

    অভিযানের পাশাপাশি মাওবাদীদের সমাজের মূল স্রোতে ফেরার জন্য ধারাবাহিক প্রচারও চালানো হচ্ছে। প্রশাসনের সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইতিমধ্যেই আত্মসমর্পণ করেছেন গান্ধী তাঁতি ওরফে কমলেশ, মাইনু ওরফে হেমলাল কোররাম, রঞ্জিত লেকামি ওরফে অর্জুন এবং তাঁর স্ত্রী কোসি ওরফে (Maoist Guerrilla Killed) কাজল। ছত্তিশগড় পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “বেশ কয়েকজন মাওবাদী খতম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জখমও হয়েছেন অল্প কয়েকজন। মাওবাদীদের খোঁজে জারি রয়েছে তল্লাশি অভিযান।”

    প্রসঙ্গত, নতুন বছরের প্রথম থেকে এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে এনকাউন্টারে ছত্তিশগড়ে নিকেশ হয়েছে ৫০ জন মাওবাদী। এর মধ্যে ৩৪ জনই বস্তারের। মাওবাদীদের আক্রমণে শহিদ হয়েছেন ৯জন জওয়ান এবং একজন সাধারণ নাগরিক। এদিকে, নকশাল-মুক্ত ঘোষণা করা হল কর্ণাটককে। তার আগে আত্মসমর্পণ করেছেন শেষ মাওবাদী। চিক্কমাগালুরু জেলায় আত্মসমর্পণ করেছেন ওই মাওবাদী। পুলিশ সুপার বিক্রম আমাথে বলেন, “এই আত্মসমর্পণের সঙ্গে সঙ্গে এখন সম্পূর্ণ নকশাল-মুক্ত হল কর্ণাটক।”

    প্রসঙ্গত, শুক্রবারই নিঃশর্তে শৃঙ্গেরিতে এসপি আমাথের কাছে আত্মসমর্পণ করেন বছর চুয়াল্লিশের কোটেহোল্ডা রবীন্দ্র (Chhattisgarh)। তিনি ‘এ’ ক্যাটেগরির নকশাল (Maoist Guerrilla Killed)।

  • Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ের চিলকাপল্লী গ্রামে স্বাধীনতার পরে প্রথম পৌঁছল বিদ্যুতের আলো

    Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ের চিলকাপল্লী গ্রামে স্বাধীনতার পরে প্রথম পৌঁছল বিদ্যুতের আলো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড় (Chhattisgarh) রাজ্যের চিলকাপল্লী গ্রাম। স্বাধীনতার পর এই গ্রামে প্রথম পৌঁছল বিদ্যুৎ। জেলা সদর শহর বিজাপুর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই গ্রামে খুশিতে মেতেছেন বাসিন্দারা। প্রসঙ্গত, চিলকাপল্লী হল ষষ্ঠ গ্রাম বিজাপুর জেলার, যেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছল। ছত্তিশগড় রাজ্যের কর্মসূচি ‘নিয়াজ নেলানার’ প্রকল্প অনুযায়ী এই বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। বিজাপুরের জেলাশাসক সম্বিত মিশ্র এ নিয়ে নিজের খুশি প্রকাশ করেন। তিনি জানান, আরও অনেক গ্রামে পৌঁছে যাবে বিদ্যুতের আলো।

    কী বললেন জেলাশাসক?

    সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সম্বিত মিশ্র বলেন, ‘‘এটা সত্যিই খুব আনন্দের যে চিলকাপল্লী (Chilkapalli) গ্রামে গত ২৩ জানুয়ারি বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছেছে। এটা হল বিজাপুরের (Chhattisgarh) ষষ্ঠ গ্রাম। যেখানে আমরা বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছে দিতে পেরেছি। আমরা আশাবাদী আগামী কয়েক মাসের ভিতরে আরও অনেক গ্রামে আমরা বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দিতে সক্ষম হব।’’ প্রসঙ্গত, নিয়ত নিলানা প্রকল্প চালু করেছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাঁই। এই প্রকল্পে লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে যে উপজাতি অধ্যুষিত প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ পরিষেবা সঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় যা কিছু সুবিধা সেই সবকিছুকে পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রত্যন্ত গ্রামগুলিকে একটি আদর্শ গ্রাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করাও লক্ষ্য এই কর্মসূচির। এই প্রকল্পের আওতায় বিদ্যুৎ পরিষেবার সঙ্গে সঙ্গে পানীয় জল, রাস্তা, ব্রিজ, স্কুল- এই সব কিছুই গড়ে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, চিলকাপল্লীর (Chhattisgarh) বাসিন্দারা বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছানোয় খুশিতে মেতে ওঠেন। তাঁদের মতে, এটি উন্নয়নের একটি বড় ধাপ।

    কী বলছেন গ্রামের বাসিন্দারা?

    গ্রামের একজন উপজাতি মহিলা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘আগে আমাদের গ্রামে কোনও বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। কিন্তু বর্তমানে নতুন সংযোগ এসেছে। এর ফলে আমরা রান্না করতে পারব এবং আমাদের ছেলেরা রাত্রিবেলায় পড়াশোনা করতে পারবে।’’ অন্য আর একজন বাসিন্দা বলেন, ‘‘বর্তমানে আমাদের গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে। আমরা এখন টিভি দেখতে পাচ্ছি। রান্না করতে পারছি এবং রাত্রিবেলায়ও আমরা বাইরে বেরোতে পারছি।’’ এ নিয়ে ছত্তিশগড় রাজ্যের বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মচারী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘প্রত্যন্ত গ্রাম চিলকাপল্লীতে (Chhattisgarh) বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়ে যাওয়া যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল কিন্তু আমরা তিন চার মাসের প্রচেষ্টায় তা করতে সমর্থ হয়েছি।’’ প্রসঙ্গত, এই গ্রাম নকশাল অধ্যুষিত এলাকা বলে পরিচিত। বর্তমানে এখানে উন্নয়ন যেমন পৌঁছে যাচ্ছে, তেমনই সিআরপিএফ জওয়ানরাও নজরদারি চালাচ্ছেন।

  • Republic Day 2025: রচিত হল ইতিহাস, প্রথমবার প্রজাতন্ত্র দিবসে পুলওয়ামার ত্রাল, মাও-দূর্গে উড়ল তেরঙ্গা

    Republic Day 2025: রচিত হল ইতিহাস, প্রথমবার প্রজাতন্ত্র দিবসে পুলওয়ামার ত্রাল, মাও-দূর্গে উড়ল তেরঙ্গা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭৬তম সাধারণতন্ত্র দিবসে রচিত হল ইতিহাস। স্বাধীনতার পর থেকে এই প্রথমবার জাতীয় পতাকা (National Flag) উড়ল জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামার ত্রালে। রবিবার সাধারণতন্ত্র দিবসে (Republic Day 2025) ত্রালের ট্রায়াল চকে উড়ল তেরঙ্গা ঝান্ডা। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর গাওয়া হয় জাতীয় সঙ্গীত। ‘ভারত মাতা কী জয়’ ধ্বনিতে মুখরিত হয় ত্রালের আকাশ-বাতাস। সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে স্থানীয় বাসিন্দাদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তত হাজার খানেক মানুষ। এর সিংহভাগই তরুণ।

    তরুণ প্রজন্মের উপস্থিতি (Republic Day 2025)

    বিশেষজ্ঞদের মতে, তরুণ প্রজন্মের উপস্থিতি ঐক্যবদ্ধ ও উন্নত ভবিষ্যতের জন্য তাদের আশা-আকাঙ্খা প্রকাশ করছে। এই ত্রাল এক সময় প্রায়ই খবরের শিরোনামে আসত অশান্তির কারণে। এদিন সেখানেই মেঘমুক্ত আকাশে পতপত করে উড়তে থাকে ভারতের গর্বের প্রতীক তেরঙ্গা ঝান্ডা (Republic Day 2025)। রাষ্ট্রীয় রাইফেলস, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং সিআরপিএফের উদ্যোগে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে উদযাপিত হয় সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এদিনের অনুষ্ঠান স্থানীয় সম্প্রদায় ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় ও বিশ্বাসের প্রতিফলন। নয়া কাশ্মীরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটি পদক্ষেপ।

    পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসার দিনই পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় শহিদ হন সিআরপিএফের ৪০ জন জওয়ান। সেনা কনভয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা। সেই ত্রালই সাক্ষী রইল দিন বদলের। প্রথমবার জাতীয় পতাকা উড়ল ত্রালের আকাশে।

    এদিন সন্ধেয় গান্ডারবল জেলার গুরুত্বপূর্ণ বিল্ডিংগুলি সাজানো হয়েছিল তেরঙ্গা আলোকমালায় (Republic Day 2025)। গান্ডারবল মিনি সেক্রেটারিয়েট এবং দুদারহামা ব্রিজ জাতীয় পতাকার উজ্জ্বল রঙে রাঙানো হয়। লালচকের প্রতীকী ঘণ্টাঘরও ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে তেরঙ্গা আলোয় সাজানো হয়েছিল (National Flag)।

    কী বললেন উপমুখ্যমন্ত্রী?

    জম্মু-কাশ্মীরের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুরিন্দর চৌধুরী শ্রীনগরের বখশি স্টেডিয়ামে ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তিনি বলেন, “এটি আমার জন্য গর্বের বিষয়। আজ আমি জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণ এবং মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাকে ধন্যবাদ জানাই, যিনি আমায় এই বখশি স্টেডিয়ামে তেরঙ্গা উত্তোলনের সুযোগ দিয়েছেন। আমরা এই সংবিধানের অধীনে জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের দাবি জানিয়েছি। বিশেষ মর্যাদার বিষয়ে, এটি আমাদের দাবি ছিল এবং চিরকাল থাকবে।”

    তেরঙ্গা উড়ল ছত্তিশগড়েও

    এই যদি জম্মু-কাশ্মীরের ছবিটা হয়, তাহলে প্রায় একই ছবি দেখা গিয়েছে একদা মাও- অধ্যুষিত ছত্তিশগড়েও। এদিন সেখানকার বিভিন্ন জায়গায়ও উড়েছে তেরঙ্গা ঝান্ডা। বিজাপুর, সুকমা, কাঁকের এবং নারায়ণপুর জেলার ২৬টি প্রান্তিক গ্রামে উত্তোলন করা হয়েছে জাতীয় পতাকা। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর এই প্রথম এই সব এলাকায় উড়ল তেরঙ্গা ঝান্ডা। ওই গ্রামগুলি এক সময় মাওবাদীদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল।

    সুকমা জেলার তুমালপাড় গ্রামে, ৭৪তম ব্যাটালিয়নের সিআরপিএফের কমান্ড্যান্ট নেতৃত্বে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করা হয়। এই গ্রামটি একসময় মাওবাদী বিদ্রোহের কেন্দ্রস্থল ছিল। মাওবাদীদের দমন করে শিবির স্থাপন করে নিরাপত্তা বাহিনী। তার পরেই স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে (National Flag)।

    মাও ঘাঁটিতেই উড়ল জাতীয় পতাকা

    একই দৃশ্য দেখা গিয়েছে, সুকমার গোমগুডা, দান্তেওয়াড়ার গোডামের ফুন্দারি এবং বিজাপুরের কোন্ডাপল্লি গ্রামেও (Republic Day 2025)। এক সময় এই গ্রামগুলিও মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। এই জায়গায়গুলিতেও এবারই প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করা হয়। এই গ্রামগুলিতে সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে প্রচুর গ্রামবাসী অংশ নেন। এই সব অঞ্চলে যখন মাওবাদীদের রমরমা ছিল, তখন স্বাধীনতা দিবস ও প্রজাতন্ত্র দিবস বয়কট করার কথা ঘোষণা করত মাওবাদীরা। বনপার্টির ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত্র গ্রামবাসীরা পালন করতে পারতেন না এই দুই জাতীয় উৎসব। মোদি জমানায় মাও দমনে কোমর বেঁধে নামে প্রশাসন। ধীরে ধীরে কোণঠাসা হয়ে পড়ে মাওবাদীরা। সম্প্রতি ১৬ জন মাওবাদীকে নিকেশ করে নিরাপত্তাবাহিনী। তার পরেই এবার উড়ল তেরঙ্গা ঝান্ডা (Republic Day 2025)।

    মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা

    এলাকার পরিবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই রবিবার মাওবাদী হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলিতে তেরঙ্গা উত্তোলন হওয়ায় খুশি প্রকাশ করেন। এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটি বিকাশমান ছত্তিশগড়ের নতুন বস্তার, পরিবর্তিত বস্তার।” ট্যুইট-বার্তায় তিনি আরও বলেন, “আজ প্রজাতন্ত্র দিবসের এই শুভ দিনে, স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো বিজাপুর, নারায়ণপুর, সুকমা এবং কাঁকেরের ২৬টি মাওবাদী-প্রভাবিত গ্রামে তেরঙ্গা উত্তোলন করা হয়েছে। এটি এক অনন্য আনন্দ এবং আধ্যাত্মিক তৃপ্তির বিষয় (National Flag)। প্রজাতন্ত্র দিবস গর্বের সঙ্গে উদযাপিত হয়েছে (Republic Day 2025)।”

  • Naxalism: বাহিনীর গুলিতে খতম ১৪ মাওবাদী, ‘‘শেষ নিঃশ্বাস নিচ্ছে নকশালরা’’, মন্তব্য শাহের

    Naxalism: বাহিনীর গুলিতে খতম ১৪ মাওবাদী, ‘‘শেষ নিঃশ্বাস নিচ্ছে নকশালরা’’, মন্তব্য শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশা-ছত্তিশগড় সীমানায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে রাতভর গুলির লড়াই মাওবাদীদের। নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিকেশ হল ১৪ মাওবাদী (Naxalism)। জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে একজনের মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র। জানা গিয়েছে, মৃত মাওবাদীদের তালিকায় রয়েছে সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য মনোজ ও স্পেশাল জোনাল কমিটির সদস্য গুড্ডুও। এই মনোজেরই মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা ও গুড্ডুর মাথার দাম ছিল ২৫ লাখ টাকা। এই ঘটনার পরেই এক্স মাধ্যমে পোস্ট করেন অমিত শাহ। সমাজমাধ্যমে তাঁর মন্তব্য, ‘‘শেষ নিঃশ্বাস নিচ্ছে নকশালরা।’’

    এক্স হ্যান্ডলে শুভেচ্ছা জানালেন অমিত শাহ (Amit Shah) 

    এই অভিযানকে (Naxalism) মাওবাদীদের বিরুদ্ধে বড় সাফল্য বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘‘আমাদের নিরাপত্তাবাহিনী মাওবাদীমুক্ত ভারত গড়তে আরও একটা বড় সাফল্য পেল। সিআরপিএফ, ওড়িশার এসওজি, ছত্তিশগড় পুলিশের যৌথ অভিযানে ওড়িশা-ছত্তিশগড় সীমানায় ১৪ মাওবাদী নিহত হয়েছে। শেষ নিঃশ্বাস নিচ্ছে নকশালরা।’’

    কয়েকদিন ধরেই চলছে অভিযান (Naxalism)

    প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিন ধরেই মাওবাদী (Naxalism) দমনে আন্তঃরাজ্য অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এই অভিযান। সিআরপিএফ এবং পুলিশের যৌথবাহনী মিলে এই অভিযান চালাচ্ছে বলে খবর। সোমবার ওড়িশার নওপাড়া এবং ছত্তিশগড় গরিয়াবন্দের সীমানায় মাওবাদীদের জড়ো হওয়ার খবর গোপন সূত্রে পায় বাহিনী। এরপরে সোমবার রাতেই তল্লাশি অভিযানের সময় বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে মাওবাদীরা। তখন মাওবাদীদের ঘিরে ফেলে পাল্টা জবাব দেয় যৌথবাহিনীও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chhattisgarh: প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ছত্তিশগড়ের বাইগারা, কী বলছেন ‘পিছিয়ে পড়া’রা?

    Chhattisgarh: প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ছত্তিশগড়ের বাইগারা, কী বলছেন ‘পিছিয়ে পড়া’রা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৬ জানুয়ারি নয়াদিল্লির কর্তব্য পথে প্রজাতন্ত্র দিবস (Republic Day) উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রস্তুত বাইগা সম্প্রদায়ের ৬ প্রতিনিধি। এঁরা ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিশেষভাবে দুর্বল আদিবাসী গোষ্ঠীগুলির একটি। যে ছ’জন, এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন, তাঁরা প্রত্যেকেই কবিরধাম জেলার বাসিন্দা।

    রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নৈশভোজ (Chhattisgarh)

    প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন জগতিন বাই বাইগা ও তাঁর স্বামী ফুল সিং বাইগা। এঁরা পানডারিয়া ব্লকের কাডওয়ানি পঞ্চায়েতের পাটপারি গ্রামের বাসিন্দা। আমন্ত্রণ পেয়েছেন বালি বাই বাইগা ও তাঁর স্বামী সোনু রাম বাইগা, তিতরি বাই বাইগা ও তাঁর স্বামী বুধ সিং বাইগা। এঁরা টেলিয়াপানি গ্রামের বাসিন্দা। এই প্রথম তাঁরা দেশের রাজধানীতে যাবেন। সেখানে এঁরা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আয়োজিত নৈশভোজেও যোগ দেবেন। তাঁরা রাষ্ট্রপতি ভবন, সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন এবং অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন করবেন।

    গ্রামে এসেছে আলো

    কবীরধামের দুর্গম অঞ্চলে বসবাসকারী এই গ্রামবাসীরা (Chhattisgarh) ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বিদ্যুতের সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। তবে, জেলা কালেক্টর গোপাল ভার্মা ছত্তিসগড় রাজ্য নবীকরণযোগ্য শক্তি উন্নয়ন সংস্থার কর্তাদের নির্দেশ দেন, পাটপারি গ্রামের ২৫টি বাড়িতে দ্রুত বৈদ্যুতিকীকরণের কাজ সম্পন্ন করতে। তার পরেই শুরু হয় কাজ। তড়িঘড়ি প্রতিটি বাড়িতে ৩০০ মেগাওয়াট সোলার হোম লাইটিং সিস্টেম ইনস্টল করা হয়। গ্রামবাসীরা প্রথমবারের মতো বিদ্যুতের সুবিধা পান। এই বিদ্যুত ব্যবহারের জন্য তাঁদের পয়সা দিতে হয় না।

    আরও পড়ুন: গোধরা হত্যাকাণ্ড মামলার আপিলের শুনানি ১৩ ফেব্রুয়ারি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    গ্রামে উন্নয়ন ও রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ পেয়ে যারপরনাই উচ্ছ্বসিত গ্রামবাসীরা। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর আমন্ত্রণ পেয়েছেন জগতিন বাই। তিনি বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতিকে দেখার কথা আমরা কখনও স্বপ্নেও ভাবিনি। আমাদের গ্রাম ছিল অন্ধকারে ঢাকা। এখন তা আলোকিত হয়ে উঠেছে। এ সবই সরকার ও কালেক্টর স্যারের কারণে।’’ রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ডাক পেয়েছেন তিতরি বাইও। তিনি বলেন, ‘‘এটি আমাদের জীবনের (Republic Day) সবচেয়ে বড় সুযোগ। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করা এবং প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে অংশ নেওয়া আমাদের এবং আমাদের গ্রামের জন্য গর্বের (Chhattisgarh)।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share