Tag: Chhattisgarh

Chhattisgarh

  • Maoists Attack: ছত্তিশগড়ে মাওবাদী হামলা! আইইডি বিস্ফোরণে উড়ে গেল পুলিশের গাড়ি

    Maoists Attack: ছত্তিশগড়ে মাওবাদী হামলা! আইইডি বিস্ফোরণে উড়ে গেল পুলিশের গাড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় আধাসেনা এবং পুলিশের যৌথবাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানের মধ্যেই ছত্তিশগড়ে প্রত্যাঘাত করল মাওবাদীরা। সোমবার বস্তার ডিভিশনের বীজাপুর জেলার কুটরু রোডে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি গাড়ি উড়িয়ে দিল নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)- র (Maoists Attack) সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)। প্রাথমিক খবরে জানা গিয়েছে, ওই হামলায় অন্তত ন’জন জওয়ান শহিদ হয়েছেন। গুরুতর জখম বেশ কয়েক জন। জানা গিয়েছে, আইইডি বিস্ফোরণের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। যাঁরা শহিদ হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৮ জন ডিআরজি জওয়ান, অন্যজন গাড়িটির চালক। 

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Maoists Attack)

    জানা গিয়েছে, এদিন সকালে জওয়ানরা (Maoists Attack) একটি যৌথ অভিযান থেকে ফিরছিলেন। মাওবাদীদের খোঁজেই চালানো হয়েছিল যৌথ অভিযান। নারায়ণপুর, বীজাপুর, দান্তেওয়াডার পুলিশের সঙ্গে একযোগে তাঁরা এই যৌথ অভিযান চালাচ্ছিলেন। অভিযান থেকে ফেরার সময়ই কুটরু রোডে এই আইইডি বিস্ফোরণ হয়। বস্তারের পুলিশের আইজি জানিয়েছেন, বিস্ফোরকের সঙ্গে ধাক্কা লাগতেই গাড়িটি বিস্ফোরণের শিকার হয়েছে। জানা গিয়েছে, এদিকে, মাওবাদী অধ্যুষিত আবুজমাইয়ের জঙ্গলে চলছে ফোর্স বনাম মাওবাদীদের লড়াই। নারায়ণপুর, দান্তেওয়াড়ার সীমান্তে ওই সংঘাত চলছে। জানা গিয়েছে, এই মাওবাদী হামলায় একটি গাড়ি উড়িয়ে দেওয়া হয়। এর আগে, ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ৪ মাওবাদীকে নিকেশ করা হয়। সেই ঘটনার বদলা নিতেই মাওবাদীরা বীজাপুরের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। 

    আরও পড়ুন: বন্দি বিনিময় দুই দেশের, ভারতের ৯৫ জন, বাংলাদেশের ৯০ মৎস্যজীবী ফিরছেন ঘরে

    গত সপ্তাহে বীজাপুর জেলারই ফরসেগঢ়ে ‘পুলিশের চর’ ঘোষণা করে স্থানীয় বিজেপি নেতা কুদিয়াম মাঢ়ো (৩৫)-কে খুন করেছিল মাওবাদীরা। ঘটনাচক্রে শনিবার থেকেই বীজাপুর লাগোয়া নারায়ণপুর-দান্তেওয়াড়া সীমানায় দক্ষিণ আবুজমাইয়ের জঙ্গলে মাওবাদী (Maoists Attack) দমন অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। দু’তরফের গুলির লড়াইয়ে ‘ডিস্ট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড’ বাহিনীর এক জওয়ান এবং পাঁচ মাওবাদী গত দু’দিনের লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন। তার পরেই সোমবার ল্যান্ডমাইন হামলা চালাল মাওবাদীরা। উল্লেখ্য, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, দেশকে মাওবাদী শূন্য করতে ডেডলাইন বেঁধে দেন। সেই মতো ছত্তিশগড় থেকে শুরু করে একাধিক জায়গায় অভিযানে নামে ফোর্স। নিরাপত্তা বাহিনীর এই ক্রমাগত অভিযানের মাঝেই সোমবার কুটরু রোডে ডিআরজির গাড়িতে মাওবাদী হামলার ঘটনা ঘটল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maoists Killed: ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে খতম ৪ মাওবাদী, শহিদ এক ডিআরজি হেড কনস্টেবল

    Maoists Killed: ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে খতম ৪ মাওবাদী, শহিদ এক ডিআরজি হেড কনস্টেবল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের শুরুতেই ফের মাওবাদীদের (Maoists Killed) সঙ্গে পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে চলল তুমুল গুলির লড়াই। রাতভর দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে খতম হয়েছে ৪ মাওবাদী। অন্যদিকে, অভিযান চলাকালীন গুলিতে আহত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক জওয়ানের। সান্নু করম নামের ওই পুলিশ কর্মী ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের (ডিআরজি) হেড কনস্টেবল পদে ছিলেন। নিহত মাওবাদীদের কাছ থেকে একে ৪৭-এর মতো আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার গভীর রাতে ছত্তিশগড়ের দন্তেওয়াড়া এবং নারায়ণপুর জেলার সীমানায় দক্ষিণ আবুজমাড়ের জঙ্গলে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Maoists Killed)

    ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়াড়া ও নারায়ণপুর জেলার সীমান্তবর্তী আবুজমাড়ের জঙ্গলে শনিবার রাত থেকে নিরাপত্তা বাহিনী ও মাওবাদীদের (Maoists Killed) মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। নিরাপত্তা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ৪ জানুয়ারি নারায়ণপুর, দান্তেওয়াড়া, জগদলপুর, কোন্ডাগাঁও জেলা থেকে ডিআরজি এবং এসটিএফ-এর যৌথ দল আবুজমাড়ের উদ্দেশে রওনা দেয়। শনিবার থেকেই নিরাপত্তা বাহিনী এবং মাওবাদীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয় পক্ষের মধ্যে যথেষ্ট গুলি বিনিময় হয়। বস্তার রেঞ্জ পুলিশের মহাপরিদর্শক সুন্দররাজ পি জানান, “জঙ্গলে তল্লাশি অভিযানের সময় এখনও পর্যন্ত ৪ জন মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতদেহের কাছ থেকে মিলেছে একে-৪৭ এবং এসএলআর-এর মতো স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র। একজন জওয়ান শহিদ হন।”

    আরও পড়ুন: বন্দি বিনিময় দুই দেশের, ভারতের ৯৫ জন, বাংলাদেশের ৯০ মৎস্যজীবী ফিরছেন ঘরে

    নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশংসা

    অন্যদিকে, নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া পদক্ষেপের প্রশংসা করে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই জোর দিয়েছিলেন যে, মাওবাদীদের (Maoists Killed) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। তিনি বলেন, “আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী দৃঢ়ভাবে মাওবাদীদের সঙ্গে লড়াই করেছে। ডাবল ইঞ্জিন সরকারও আমাদের উপকার করছে। যে অফিসার শহিদ হয়েছেন তার জন্য আমি শান্তি কামনা করছি।” পাশাপাশি হেড কনস্টেবল সান্নু করমের খবরে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ডেপুটি সিএম বিজয় শর্মা বলেছেন, “এনকাউন্টারে ডিআরজি জওয়ান হেড কনস্টেবল সান্নু করমজির শহিদ হওয়ার দুঃখজনক খবর পাওয়া গিয়েছে। তার সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না। মাওবাদীদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই শেষ পর্যন্ত চলবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে ‘ঘর ওয়াপসি’, খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত ৬৫১ পরিবার ফিরল হিন্দু ধর্মে

    Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে ‘ঘর ওয়াপসি’, খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত ৬৫১ পরিবার ফিরল হিন্দু ধর্মে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) হিন্দু ধর্মে ঘর ওয়াপসি হল ৬৫১টি পরিবারের। জানা গিয়েছে, এই পরিবারগুলিকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়। পরে স্থানীয় বিজেপি নেতা প্রবাল প্রতাপ সিংয়ের উদ্যোগে, তাঁদেরকে ফের হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। জানা গিয়েছে, প্রবাল প্রতাপ সিংয়ের পরিবার বিগত ২ দশক ধরে হাজারেরও বেশি ধর্মান্তরিত হওয়া হিন্দু পরিবারকে পুনরায় সনাতন ধর্মে ফিরিয়ে এনেছেন। প্রসঙ্গত, এই ধর্মান্তরিত হওয়া হিন্দু পরিবারগুলিকে পুনরায় সনাতন ধর্মে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য প্রবাল প্রতাপ সিং, ছত্তিশগড়ের শক্তি নামক স্থানে এক ব্যাপক হিন্দু সম্মেলনের আয়োজন করেন। সেখানে অসংখ্য হিন্দু সাধু সন্ন্যাসীরা অংশগ্রহণ করেন। ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলে সাধ্বী প্রজ্ঞাও।

    পা ধুইয়ে দেন বিজেপি নেতা প্রবাল প্রতাপ সিং 

    এই অনুষ্ঠানে প্রবাল প্রতাপ সিং, ওই ৬৫১ পরিবারের সদস্যদের পায়ে জল দিয়ে, নিজে হাতে তা ধুয়ে দেন। এভাবেই তিনি ফের সনাতন ধর্মে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন এই পরিবারগুলিকে। প্রসঙ্গত, এই অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র যে ধর্মান্তরিত হিন্দু পরিবারগুলিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় তা নয়, এর পাশাপাশি ছত্তিশগড় জুড়ে (Chhattisgarh) যে সমস্ত হিন্দুদেরকে টার্গেট বানানো হয়েছে খ্রিস্টান করার জন্য, তাঁদেরকেও এদিন হাজির করেছিলেন ওই বিজেপি নেতা।

    কী বললেন বিজেপি নেতা প্রবাল প্রতাপ সিং? 

    প্রবাল প্রতাপ সিং (Chhattisgarh) এরপর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘মেকি ধর্মনিরপেক্ষ হিন্দুদের কাছ থেকে, সনাতন ধর্ম নানা রকমের বাধা ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। ধর্মান্তকরণের উদ্দেশ্য নিয়ে যাঁরা চলেন, সেই খ্রিস্টানরা আমাদের হিন্দু সমাজে বসতি গড়ে তুলেছেন। তাঁরা নানারকমের প্রতারণামূলক ফাঁদ পেতে আমাদের হিন্দুধর্মের (Hinduism) সদস্যদের ধর্মান্তকরণ  করছেন। এ যেন ঠিক জঙ্গিদের স্লিপার সেলের কাজ মনে হচ্ছে। এখন সময় এসেছে তাঁদের প্রকৃত চরিত্রকে জনগণের সামনে উন্মোচিত করার এবং তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chhattisgarh: রাজ্যে ঘাঁটি গেড়ে থাকা ৮৫০ অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে তাড়িয়ে দিল ছত্তিশগড় সরকার

    Chhattisgarh: রাজ্যে ঘাঁটি গেড়ে থাকা ৮৫০ অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে তাড়িয়ে দিল ছত্তিশগড় সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বস্তার থেকে ৫০০ এবং কাওয়ার্ধা থেকে ৩৫০ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে (Bangladeshi Infiltrators) ফেরত পাঠানো হয়েছে। একথা জানিয়েছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজয় শর্মা। অবৈধ জবরদখল প্রবণতার জন্য বাংলাদেশি মুসলমানদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু দিন ধরে তোলপাড় চলছে ছত্তিশগড়ে। ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে আদিবাসী অধ্যুষিত জেলায় অবৈধ বাংলাদেশি অনিয়ন্ত্রিত অনুপ্রবেশের কারণে বন্‌ধ পালিত হয়েছিল। যা বিরাট প্রভাব ফেলেছিল এই রাজ্যের রাজনীতিতে।

    সরকার দুর্বল মনোভাব দেখাবে না (Chhattisgarh)

    ৯ ডিসেম্বর ভিলাইতে একটি বিশেষ জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজয় শর্মা বলেন, “রাজ্য থেকে প্রায় ৮৫০ জন অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের (Bangladeshi Infiltrators) বিতাড়িত করেছি। কোন্ডাগাঁও থেকে ৪৬ জন অনুপ্রবেশকারী বর্তমানে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে। আরও অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করতে সরকার ব্যাপক ভাবে কাজ করছে। দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলগুলির সঙ্গে কোনও রকম সরকার দুর্বল মনোভাব দেখাবে না।”

    আদিবাসী সামজের বন্‌ধ

    ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) বেশ কয়েকমাস ধরে বাংলাদেশি মুসলমানদের অবৈধ অনুপ্রবেশ (Bangladeshi Infiltrators) এবং এলাকা দখলের বিরুদ্ধে তীব্র ভাবে সরব হয়েছে স্থানীয় জনজাতিরা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার বন্‌ধ ডেকেছিল স্থানীয় আদিবাসীরা। সেখানে দোকান, বাজার, স্কুল, কলেজ সব বন্ধ রাখা হয়েছিল। কেবলমাত্র জরুরি পরিষেবা চালু রাখা হয়েছিল। এখানকার আদিবাসী সমাজের বক্তব্য হল, “বাংলাদেশে অস্থিরতার কারণে চোরা পথে ভারতে ঢুকে ওরা (বাংলাদেশি) এখানকার জায়গা দখল করছে। শহর, গ্রামের সর্বত্র তারা নিজেদের বসতি গড়ে আমাদের জামি জায়গা দখল করে নিচ্ছে। অবিলম্বে তাদের ভারত থেকে বিতাড়িত করতে হবে। এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ও জনবিন্যাসকে বদলে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।”

    অপর দিকে, মাওবাদীদের বিরুদ্ধে ছত্তিশগড়ে ব্যাপক অভিযান চলছে। বস্তার আইজি সুন্দর রাজ পি-এর মতে, বস্তার এবং কোন্ডাগাঁও উভয় জেলাকেই কয়েক দশকের বিদ্রোহের পর মাওবাদীমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি একটি বিবৃতিতে বলেছিলেন, “রাজ্যের অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন প্রচেষ্টা, তীব্র নিরাপত্তা অভিযান এক সঙ্গে চলছে। এই অঞ্চলে মাওবাদীদের কার্যকলাপকে উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল করে দেওয়া হয়েছে, যা একটি ঐতিহাসিক দিক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chhattisgarh: মাও-মুক্ত ছত্তিশগড়ের গ্রাম, বিজলির আলোয় ঘুঁচল ‘আঁধার’

    Chhattisgarh: মাও-মুক্ত ছত্তিশগড়ের গ্রাম, বিজলির আলোয় ঘুঁচল ‘আঁধার’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদী গন (Maoist Clearance), ইলেকট্রিসিটি অন! চুম্বকে এই হল খবর। ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) একটি প্রত্যন্ত গ্রাম, এক বছর আগেও যেখানে সড়কপথে পৌঁছানো অসম্ভব ছিল, গোটা গ্রাম ছিল মাওবাদীদের নিয়ন্ত্রণে, সেখানে প্রথমবার বিজলি বাতি জ্বলল ঘরে ঘরে। ২৮শে নভেম্বর প্রথমবারের মতো বিদ্যুৎ সংযোগ পেল এই গ্রাম। রাতের ‘আঁধার’ দূর হওয়ায় যারপরনাই খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।

    মাও দখলমুক্ত গ্রাম (Chhattisgarh)

    বীজাপুর জেলার সদর দফতর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ছুটওয়াহি গ্রাম। এই সময় এই গ্রাম শাসন করত মাওবাদীরা। নকশাল অভিযান চালিয়ে মুক্ত করা হয় গ্রাম। তার পরে গ্রামে বয়ে যায় উন্নয়নের জোয়ার। দেওয়া হয় বিদ্যুৎ সংযোগও। বনপার্টি (মাওবাদীদের এই নামেই ডাকেন স্থানীয়রা) যাতে ফের গ্রামের দখল নিতে না পারে, তাই স্থাপন করা হয়েছে নিরাপত্তা শিবির।

    কী বলছে প্রশাসন

    বীজাপুরের জেলা কালেক্টর সম্বিত মিশ্র বলেন, “স্বাধীনতার পর প্রথমবার আমরা গ্রামবাসীদের বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পেরেছি। এটা সম্ভব হয়েছে বীজাপুরে নয়া নিরাপত্তা শিবির স্থাপনের ফলে। এসব এলাকায় যাতায়াতও সুগম হয়েছে।” তিনি বলেন, “আমাদের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে যেসব গ্রামে আমরা নিরাপত্তা শিবিরের মাধ্যমে পৌঁছাতে পারছি, সেখানে যত দ্রুত সম্ভব মৌলিক পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া। আগামী বছরের মধ্যে আমরা এই সম্প্রদায়গুলোর জন্য সড়ক সংযোগও স্থাপন করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছি।” তিনি বলেন (Chhattisgarh), “নিয়াদ নেলনার প্রকল্পের অধীনে বিদ্যুৎ সরবরাহের পাশাপাশি, আমরা জল জীবন মিশনের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহ, মোবাইল টাওয়ার, স্কুল, আঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র স্থাপন এবং সরকারি রেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করছি।”

    আরও পড়ুন: জাল নথির চক্র ফাঁস! পার্ক স্ট্রিটের হোটেল থেকে গ্রেফতার বাংলাদেশি

    প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “বীজাপুরের ১০০টিরও বেশি গ্রামে এখনও বিদ্যুৎ (Maoist Clearance) সংযোগ নেই। নিরাপত্তা বাহিনী মাওবাদীদের উপস্থিতি সাফ করে যখন এগিয়ে যাবে, তখন প্রশাসন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামবাসীদের জন্য বিদ্যুৎ এবং অন্যান্য সুবিধা দিতে পারবে।” প্রসঙ্গত, চলতি বছর ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) নিরাপত্তা বাহিনী ২১০ জন মাওবাদীকে নিকেশ করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Chhattisgarh: ১১ মাসে ২১০ জনের বেশি মাওবাদী নিকেশ, বাহিনীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিষ্ণু দেও সাই

    Chhattisgarh: ১১ মাসে ২১০ জনের বেশি মাওবাদী নিকেশ, বাহিনীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিষ্ণু দেও সাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১১ মাসে ২১০ জনের বেশি মাওবাদী নিকেশ, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই (Vishnu Deo Sai)। দেশের মধ্যে গড়ে ওঠা দেশ-বিরোধী শক্তিকে কড়া হাতে দমন করতে সেনাকর্মীদের সাহসিকতাকে বিশেষ ভাবে জোর দিয়েছেন তিনি। নিরাপত্তা এবং সুরক্ষাকে দৃঢ় করে নাগরিক জীবনকে নিরাপদ করাই যে রাজ্যের বিজেপি সরকারের প্রধান লক্ষ্য, সেই কথাও এদিন নিজের ভাষণে উল্লেখ করলেন এই মুখ্যমন্ত্রী।

    ‘বাহিনীর ক্যাম্পে সময় কাটিয়েছি আমি’ (Chhattisgarh)

    গত ২৪ নভেম্বর, রবিবার ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) মাওবাদী দমনে সেনা জওয়ান এবং স্থানীয় প্রশাসনের কৃতিত্বকে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু (Vishnu Deo Sai)। নাগরিক সমাজের কাছে ভয়ের বাতাবরণকে মুক্ত করার উপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, “রাজ্যে সরকার গঠনের পর থেকেই নিরাপত্তা বাহিনী মাওবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ভাবে লড়াই করে যাচ্ছেন। মাওবাদী এবং নকশালদের নির্মূল করাই আমাদের প্রধান এবং একমাত্র লক্ষ্য। আমি নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে সময় কাটাতে চেয়েছিলাম। তাঁরা ঠিক কোন পরিস্থিতি এবং কতটা ঝুঁকির মধ্যে অপারেশন করেন, সেই দিকে নজর রাখতে চেয়েছিলাম। এরপর আমি একটি বাহিনীর ক্যাম্পে সময় কাটিয়েছি। সেখানে আমি একটি বৃক্ষের চারা গাছও রোপণ করেছিলাম। আমার অভিজ্ঞতা অত্যন্ত অভিনব ছিল। আমি তাঁদের স্যালুট জানাই, গত ১১ মাসে ২১০ জনের বেশি মাওবাদীকে খতম করেছে বাহিনী।”

    আরও পড়ুনঃ ‘‘মতাদর্শ আলাদা হতে পারে, দেশের স্বার্থ সবার ঊর্ধ্বে’’, বললেন লোকসভার অধ্যক্ষ

    মাওবাদী দমনে জিরো টলারেন্স নীতি

    উল্লেখ্য গত ২২ নভেম্বর শুক্রবার, সুকমা (Chhattisgarh) জেলায় একটি সেনা অভিযানে কমপক্ষে ১০ জন মাওবাদীকে নির্মূল করা হয়েছে। সেনা কর্মীদের এই কাজেও ব্যাপক ভাবে প্রশংসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই (Vishnu Deo Sai)। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বলেন, “নিরাপত্তা বাহিনীর কাজ অত্যন্ত প্রশংসারযোগ্য। রাজ্য সরকার মাওবাদী দমনে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। বস্তার অঞ্চলের উন্নয়ন, শান্তি এবং সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা আমাদের সরকারের অগ্রাধিকার।” উল্লেখ্য আবার গত ২০ নভেম্বর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাওবাদী দমনের অগ্রগতির পর্যালোচনা করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তিনি তারপর আশা প্রকাশ করে বলেন, “আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে রাজ্যজুড়ে চলা লাল সন্ত্রাস মুক্ত হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chhattisgarh Waqf Board: শুক্রবারের ‘খুতবা’ দিতে হলে আগাম অনুমতি নিতে হবে, ছত্তিশগড়ের মসজিদগুলিকে নির্দেশ

    Chhattisgarh Waqf Board: শুক্রবারের ‘খুতবা’ দিতে হলে আগাম অনুমতি নিতে হবে, ছত্তিশগড়ের মসজিদগুলিকে নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নজিরবিহীন নির্দেশ ছত্তিশগড় ওয়াকফ বোর্ডের (Chhattisgarh Waqf Board)! তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, শুক্রবার নমাজ আদায়ের সময় দেওয়া সমস্ত ধর্মীয় বক্তব্যের আগাম অনুমোদন করাতে হবে (BJP)। রাজনৈতিক অশান্তি এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত বলেও জানিয়ে দিয়েছে ওয়াকফ বোর্ড। বোর্ডের চেয়ারম্যান সলিম রাজ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেন, “মসজিদে দেওয়া ভাষণ হওয়া উচিত কেবল ইসলামি শিক্ষার ওপর ভিত্তি করে। বক্তৃতায় রাজনৈতিক বিষয় এড়িয়ে চলা উচিত।”

    কী বলছেন ওয়াকফ বোর্ড প্রধান? (Chhattisgarh Waqf Board)

    গত মাসেই ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছেন সলিম। তিনি রাজ্যে বিজেপি-র সংখ্যালঘু শাখার প্রধানও। হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। সলিম বলেন, “ধর্মীয় স্থানগুলোকে রাজনৈতিক আড্ডায় পরিণত করা উচিত নয়। রাজনীতি রাজনীতিবিদদের জন্য, আর খুতবা (ধর্মীয় বক্তব্য) শুধুমাত্র ইসলাম ও আল্লাহ্-র বার্তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত।”

    সরকার বিরোধী বক্তব্য

    জানা গিয়েছে, বোর্ড ৩ হাজার ৮০০টি মসজিদে এই নির্দেশ কার্যকর করার পরিকল্পনা করেছে। এটি শুরু হবে এই শুক্রবার থেকেই। সলিম জানান, এই পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছে কিছু মসজিদে সরকার-বিরোধী বক্তব্যের অভিযোগ পাওয়ার পরে। এই অভিযোগ এসেছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি থেকে। সলিমের এই নির্দেশের কড়া সমালোচনা করেছে বিরোধী দলগুলি। এআইএমআইএমের পাশাপাশি কংগ্রেসও রয়েছে সমালোচকদের মধ্যে। এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি সলিমের এই সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক বলে অভিহিত করেছেন।

    তাঁর দাবি, এটি (Chhattisgarh Waqf Board) সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করে, যা ধর্মীয় স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়। তিনি বলেন, “ওয়াকফ বোর্ডের খুতবার আগে (Chhattisgarh Waqf Board) অনুমোদন নেওয়ার আইনি কোনও ক্ষমতা নেই। থাকলেও এটি অসাংবিধানিক হবে।” সমালোচনা করেছে কংগ্রেসও। তাদের বক্তব্য, এটি বাকস্বাধীনতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ। দলের মুখপাত্র সুশীল আনন্দ শুক্লা বলেন, “ওয়াকফ বোর্ড সম্পত্তি পরিচালনা করে। কিন্তু মসজিদে প্রদত্ত খুতবার বিষয়বস্তু নির্ধারণের কোনও ক্ষমতা তাদের নেই।”

    আরও পড়ুন: ‘‘এক দশকে দেশের ২৫ কোটি মানুষের দারিদ্রতা দূর করা গিয়েছে’’, জি২০ সম্মেলনে বললেন মোদি

    বিজেপির মুখপাত্র তৌকির রাজার বক্তব্য, ধর্মীয় স্থানে অবাধ রাজনৈতিক বক্তব্য উত্তেজনা বাড়াতে পারে। কাশ্মীরের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “সেখানে ফতোয়া হিংসকে উৎসাহিত করেছে, যার ফলে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ওপর আক্রমণ হয়েছে।” তিনি বলেন, “আমরা নিশ্চিত করছি যে (BJP) মসজিদগুলি যেন রাষ্ট্রবিরোধী বা বিতর্কিত কার্যক্রমে ব্যবহৃত না হয় (Chhattisgarh Waqf Board)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • Chhattisgarh: ‘দ্য সবরমতি রিপোর্ট’ ছবিকে করমুক্ত ঘোষণা করলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই

    Chhattisgarh: ‘দ্য সবরমতি রিপোর্ট’ ছবিকে করমুক্ত ঘোষণা করলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোধরায় করসেবক ভর্তি ট্রেন জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হিন্দি সিনেমা ‘দ্য সবরমতি রিপোর্ট’-কে ছত্তিশগড় (Chhattisgarh) সরকার করমুক্ত হিসেবে ঘোষণা করল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত একটি সরকারি বিবৃতি দিয়ে একথা জানানো হয়েছে।

     ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী কী বললেন? (Chhattisgarh)

    ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই ‘দ্য সবরমতি রিপোর্ট’ ছবিকে করমুক্ত করার কথা ঘোষণা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই সিনেমাটি দেখা উচিত। কারণ কেবলমাত্র অতীতের অধ্যয়নই আমাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যত সম্পর্কে আরও ভালো দিক নির্দেশনা দিতে পারে। সিনেমাটিতে সংবেদনশীলতার সঙ্গে বেদনাদায়ক ঘটনাটি উপস্থাপন করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “এই সিনেমাটি অত্যন্ত প্রশংসনীয়।  ইতিহাসের ভয়ঙ্কর সত্যকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সিনেমাটিতে বাস্তব ঘটনাটি তুলে ধরা হয়েছে।” প্রসঙ্গত, এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত বিক্রান্ত ম্যাসি অভিনীত ‘দ্য সবরমতি রিপোর্ট’-এর প্রশংসা করেছিলেন। এই সিনেমাটি ২০০২ সালের গোধরা ট্রেন-কোচ পোড়ানোর ঘটনার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত। প্রধানমন্ত্রী একজন এক্স ব্যবহারকারীকে উত্তর দিয়েছিলেন, যিনি সিনেমাটির প্রশংসা করেছিলেন। তাঁকে ছবিটির ট্রেলারের একটি ভিডিও দিয়ে ট্যাগ করেছিলেন। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “ভালো বলেছেন। এটা ভালো যে এই সত্য বেরিয়ে আসছে এবং সেটাও সাধারণ মানুষ দেখতে পাচ্ছে। একটি জাল বর্ণনা শুধুমাত্র একটি সীমিত সময়ের জন্য চলতে পারে। অবশেষে, সত্য সবসময় বেরিয়ে আসবে!”  

    আরও পড়ুন: ২৫ হাজার কার্ডের নম্বর এক! রাজ্যে বিপুল ডুপ্লিকেট ভোটার কার্ড আবিষ্কার কমিশনের

    একতা কাপুর কী বললেন?

    সিনেমাটি ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গোধরা স্টেশন (গুজরাট) এর কাছে সবরমতি এক্সপ্রেসের এস-৬ কোচ পোড়ানোর ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। অযোধ্যা থেকে ফিরে আসা কমপক্ষে ৫৯ হিন্দু ধর্মাবলম্বী এই ঘটনায় পুড়ে মারা গিয়েছিলেন, যার ফলে দাঙ্গা শুরু হয়েছিল। মর্মান্তিক ঘটনার সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ধীরাজ সারনা পরিচালনা করেছেন। শোভা কাপুর, একতা আর কাপুর, অমুল ভি মোহন এবং আনশুল মোহন প্রযোজনা করেছেন এই সিনেমাটি। ট্রেলার লঞ্চ ইভেন্টের সময় চলচ্চিত্র নির্মাতা একতা কাপুর ‘দ্য সবরমতি রিপোর্ট’  (The Sabarmati Report) সম্পর্কে কথা বলেছেন এবং কেন তিনি গল্পটি মানুষের কাছে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। একতা বলেন, “সিনেমাটিতে মর্মান্তিক ঘটনা এবং এর উৎপত্তি সম্পর্কে অজানা তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে ফের বড় সাফল্য বাহিনীর, বস্তারের অবুঝমাড় জঙ্গলে খতম ৫ মাওবাদী

    Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে ফের বড় সাফল্য বাহিনীর, বস্তারের অবুঝমাড় জঙ্গলে খতম ৫ মাওবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) মাওবাদী দমন অভিযানে ফের বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। শনিবার সকালেই বস্তারের অবুঝমাড় জঙ্গলে জওয়ানদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ মাওবাদীর। নিহত মাওবাদীদের (Maoists) কাছ থেকে ৫টি স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তবে গুলির লড়াইয়ের জখম হয়েছেন দুই জওয়ানও। জানা গিয়েছে, বর্তমানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে রায়পুরে। প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরের ৪ তারিখে বস্তারের জঙ্গলেই বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় ৩১ মাওবাদী। গত ১ বছরে এই জঙ্গলে ১৯৭ জন মাওবাদী খতম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    প্রথমেই এলাকা ঘিরে ফেলেন জওয়ানরা

    গোপন সূত্র মারফত, ওই জঙ্গলে (Chhattisgarh) মাওবাদীদের উপস্থিতির খবর পায় বাহিনী। সেই মতো শনিবার সকাল থেকেই অভিযান শুরু হয়। প্রথমেই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেন জওয়ানরা। জানা যায়, এই সময়ই (সকাল ৮টা নাগাদ) গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দিতে আরম্ভ করে নিরাপত্তা বাহিনীও। এই গুলির লড়াইয়েই ৫ মাওবাদী খতম হয়। অন্যদিকে, মাওবাদীদের (Maoists) ছোড়া গুলিতে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের (ডিআরজি) দুই জওয়ান জখম হন। তাঁদের কপ্টারে করে রায়পুরে নিয়ে যাওয়া হয়।

    আরও পড়ুনঃ সিঁদুর সরিয়ে মহিলাদের কপালে ক্রস, বিহারে ধর্মান্তকরণের অভিযোগে গ্রেফতার ৩ মিশনারি

    কী বলছেন বস্তার রেঞ্জের আইজিপি পি সুন্দররাজ?

    বস্তার রেঞ্জের (Chhattisgarh) আইজিপি পি সুন্দররাজ এনিয়ে বলেন, ‘‘তল্লাশি অভিযান এখনও চলছে। মাঝে মাঝে জঙ্গলের ভিতর থেকে মাওবাদীরা গুলি চালাচ্ছে।’’ (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) তিনি সংবাদমাধ্যমকে আরও জানিয়েছেন, কাঙ্কের ও অবুঝমাড়ের উত্তরে জঙ্গলে মাওবাদীদের (Chhattisgarh) উপস্থিতি নিয়ে তাঁরা গোপন সূত্রে তথ্য পান। তারপরই অপারেশনে নামে ডিআরজি, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং বিএসএফ।

    টানা চার ঘণ্টা গুলির লড়াই চলার পরই মাওবাদীরা পিছু হঠতে থাকে

    জানা গিয়েছে, টানা চার ঘণ্টা গুলির লড়াই চলার পরই মাওবাদীরা পিছু হঠতে থাকে। তারপরেই সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় পাঁচজন মাওবাদীর দেহ। প্রসঙ্গত, অবুঝমাড়ের ওই জঙ্গলের আয়তন গোয়ার থেকেও বড়। একসময় এই ঘন জঙ্গল এলাকা মাওবাদীদের দুর্গ ছিল। এর অনেকটা অংশ বিজাপুর, দান্তেওয়াড়া এবং কাঙ্কের ও মহারাষ্ট্রর মধ্যে পড়ে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ghar Wapsi: ছত্তিশগড়ে ‘ঘর ওয়াপসি’, অন্য ধর্ম ত্যাগ করে ৩৫০ জন ফিরলেন সনাতন ধর্মে

    Ghar Wapsi: ছত্তিশগড়ে ‘ঘর ওয়াপসি’, অন্য ধর্ম ত্যাগ করে ৩৫০ জন ফিরলেন সনাতন ধর্মে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে অন্যান্য ধর্ম ত্যাগ করে ৩৫০ জন ব্যক্তি সনাতন ধর্মে ফিরে এসেছেন। উল্লেখ্য তাঁদের ধর্মান্তরিত করার জন্য বিভ্রান্ত করা হয়েছিল। সাময়িক ভাবে নিজের শেকড় থেকে বিছিন্ন হলেও সনাতন ধর্মের আধ্যাত্মিক শিকড়ের কারণে ‘ঘর ওয়াপসি’ (Ghar Wapsi) হয়েছেন। 

    ‘বাঁচো এবং বাঁচতে দাও’(Ghar Wapsi)

    রায়পুরের বিটি গ্রাউন্ডে রবিবার একটি সন্ত প্রবুদ্ধ জন সম্মলেনের আয়োজন করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে দক্ষিণ ভারতের বিশিষ্ট ধর্মগুরু উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ধর্মগুরু এবং সন্ত সমাজের নেতারা ক্রমবর্ধমান হিন্দুধর্মের উপর বিধর্মী কূচক্রীদের আগ্রাসনের কথা তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে ধর্মান্তকরণ এবং হিন্দু ধর্মের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই কর্মযজ্ঞে ৩০০ জন সাধক সনাতন ধর্মের সেবায় দীক্ষা গ্রহণ করেন। অপরদিকে একই ভাবে আরও ৩৫০ জন, যাঁরা আগে অন্যধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন, তাঁরাও ‘ঘর ওয়াপসি’ করেন, অর্থাৎ পুনরায় আবার সনাতন ধর্ম (Ghar Wapsi) গ্রহণ করেন। এদিন অনুষ্ঠানে ধর্মগুরুরা বলেন, ‘বাঁচো এবং বাঁচতে দাও।’

    আরও পড়ুনঃ মহারাষ্ট্রের ভোটে প্রভাব ফেলছে অনুপ্রবেশকারী মুসলমানরা! বলছে সমীক্ষা

    হিন্দু ধর্মের পুনঃজাগরণ

    উল্লেখ্য, এই রাজ্যে ‘ঘর ওয়াপসি’ অনুষ্ঠানের ঘটনা আগেও হয়েছে। ছত্তিশগড়ের কাঙ্কের জেলার রামনগরে এই মাসের শুরুতে আরও একটি অনুষ্ঠান হয়েছিল। সেখানে ৩ নভেম্বর মা ভুবনেশ্বরী জনকল্যাণ সমিতি আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে প্রায় ১১টি পরিবার হিন্দু ধর্মে ফিরে আসেন। একই ভাবে বলরামপুর জেলার কান্ডারি গ্রামে বনবাসী রামকথা এবং মহাযজ্ঞের সমাপনী অনুষ্ঠানে ৫০টির বেশি পরিবারের শত শত লোক সনাতন ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। এই কর্মকাণ্ডের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আচার্য সদানন্দজি মহারাজ। তিনি এই অনুষ্ঠানে শ্রীরামের জীবনীর উপর আধ্যাত্মিক দর্শন সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। জানা গিয়েছে, মিথ্যা প্রলোভন, অসত্য কথন এবং দুর্বলতার সুযোগে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়। সম্প্রতি এই ঘটনাগুলিতে হিন্দুধর্মের যে পুনঃজাগরণ (Ghar Wapsi) ঘটেছে তা নিয়ে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share