Tag: Child health

Child health

  • Adeno Virus: খুদেদের মধ্যে ক্রমশ বাড়ছে অ্যাডিনো-সংক্রমণ! হাসপাতাল পরিদর্শনে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন

    Adeno Virus: খুদেদের মধ্যে ক্রমশ বাড়ছে অ্যাডিনো-সংক্রমণ! হাসপাতাল পরিদর্শনে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিডের পর স্বাস্থ্য দফতরের সামনে নয়া উদ্বেগ অ্যাডিনো ভাইরাস। বিশেষত শিশুদের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে বাড়ছে দুশ্চিন্তা। কলকাতা সহ একাধিক জেলাতেও অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ অতিরিক্ত মাত্রায় ছড়াচ্ছে। চিকিৎসা করাতে আসা শিশুদের মধ্যে কেউ ১৫ দিন, কেউ এক মাস, কেউ আবার দেড় মাস ধরে ভুগছে সর্দি, কাশি ও জ্বরে। কারও আবার শ্বাসকষ্ট রয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা। এইরকম পরিস্থিতিতে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সচেতনতা। তাই নতুন এই ভাইরাসের উপসর্গ কী এবং পরিস্থিতি ঠিক কতটা উদ্বেগজনক তার সঠিক মূল্যায়ন করতে আগ্রহী রাজ্য সরকার।

    শিশু সুরক্ষা কমিশনের পরিদর্শন

    সোমবার রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্য  যশোবন্তী শ্রীমানি অ্যাডিনো ভাইরাসের চিকিৎসা চলা হাসপাতালগুলির পরিস্থিতি ঠিক কী রকম , তা জানতে  বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফে  প্রথম পরিদর্শন করা হয় ফুলবাগানের বিসি রায় শিশু হাসপাতালে। বিসি রায় হাসপাতালের পাশাপাশি, সেখান থেকে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা। কমিশনের তরফ থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হয়, অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে তারা কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, কত সংখ্যক শিশু ভর্তি রয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে, কত জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে হাসপাতালের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সন্তোষজনক বলেই মনে করছে কমিশন। 

    আরও পড়ুন: নয়া উদ্বেগের নাম অ্যাডিনো ভাইরাস! শিশুর খাদ্য তালিকায় রাখুন রসুন, নিম, কাঁচা হলুদ

    সচেতনতা প্রচার

    হাসপাতালের তরফে রোগীর বিভিন্ন স্টেজ ভাগ করে আলাদা আলাদা ভাবে চিকিৎসা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়াও কমিশনের তরফে সচেতনতামূলক প্রচারের জন্য কী কী করণীয় তা সম্পর্কেও হাসপাতালকে জিজ্ঞাসা করা হয়। কমিশন প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে বাড়ির বড়দের কারও ঠাণ্ডা জ্বর সর্দি-কাশি থাকলে বাড়ির শিশুকে তার থেকে দূরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। শরীর খারাপ থাকলে স্কুলে পাঠানো বন্ধ করতে হবে। জ্বরের সঙ্গে বমি, পাতলা পায়খানা, শ্বাসকষ্ট, খিদে কমে যাওয়া এই লক্ষণ থাকলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। শিশুর তিন থেকে পাঁচ দিনের জ্বর হলেও হাসপাতালে নিতে হবে। এছাড়া জনবহুল এলাকায় গেলে মাক্স ব্যবহার করাতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Child Growth: সন্তানের বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত? মেনে চলুন এই তালিকা

    Child Growth: সন্তানের বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত? মেনে চলুন এই তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাচ্চাদের (Children) বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত থাকেন অনেক বাবা-মা। তাঁদের সন্তানটি লম্বা (Height) হবে তো! এই ভয় অনেককেই তাড়া করে বেড়ায়। এক্ষেত্রে সবসময়ই বিশেষজ্ঞরা খাওয়া-দাওয়ার ওপর জোর দেন। পুষ্টিকর খাবার খেলে বাচ্চাদের বৃদ্ধি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়। কিছু পরিবেশগত, জিনগত বিষয়ের ওপরেও নির্ভর করে কে কতটা লম্বা হবে। জীবনযাপনেরও অনেকটাই প্রভাব আছে এর ওপর। ভালো খাদ্যাভ্যাস অনেকটাই বাচ্চাদের লম্বা হতে সাহায্য করে। লম্বা হওয়ার জন্যে কিছু আসনেরও পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। জেনে নিন। 

    আরও পড়ুনঃ হঠাতই ওজন কমছে বা বাড়ছে! হতে পারে আপনি অজানা রোগে আক্রান্ত
     
    ১। দেওয়ালে পেট ঠেসে রেখে দাঁড়িয়ে আঙুল দিয়ে ওপরে ওঠার চেষ্টা করতে হবে। আস্তে আস্তে যতটা সম্ভব পায়ের আঙুলের ওপর দাঁড়াতে হবে। শরীরকে যতটা সম্ভব টানটান করতে হবে। পাঁচ- সাত মিনিট এই আসনটি করান আপনার বাচ্চাটিকে।  

    ২। দেওয়ালে পেছন করে দাঁড়াতে হবে। পা দুটিকে ফাঁকা করে হাঁটু খানিকটা শিথিল করে রাখতে হবে। এবার দুই হাত দিয়ে দেওয়াল ছুঁতে হবে। এরপর নীচু হয়ে পায়ের পাতা ছোঁয়ার চেষ্টা করতে হবে। এই আসনটিও ৫-৭ মিনিট করান আপনার সন্তানকে।

    ৩। স্কোয়াট পজিশনে শ্বাস নিন এবং শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে লাফান। 

    ৪। এরপর ভুজনাসন করুন।

    ৫। তারপর এক পা এবং দুই পায়ে যথাক্রমে পবন মুক্তাসন করুন। 

    বিশেষজ্ঞদের মতে শুধু খাদ্যই নয় বাচ্চাদের প্রকৃতির সংস্পর্শেও রাখতে হবে। তাহলেই তাদের প্রকৃত বৃদ্ধি হবে। বাচ্চার বৃদ্ধির জন্যে মুক্ত বাতাস, সূর্যালোক খুব জরুরি।  

    আরও পড়ুনঃ রোজ খান এই খাবারগুলো, থামিয়ে রাখুন ত্বকের বয়স

    এবার জেনে নিন কী কী খাওয়াবেন আপনার খুদেটিকে।

    ১। বাচ্চাদের দুধ, ঘি এবং চিনি খাওয়ানো জরুরি।

    ২। সকালের খাবারে পোহা, সবজি দিয়ে দেশী ঘি-র উপমা বানিয়ে দিতে পারেন।

    ৩। গরমকালে তরমুজসহ নানা ফল দিন।

    ৪। দুপুরের খাবারে দিতে পারেন, স্যালাড, আলুর পরোটা, মুগডাল, বাটার মিল্ক, ছাতু, লাড্ডু।

    ৫। বিকেলে খিদে পেলে দিতে পারেন ছোলা, কিসমিস বা ডাবের জল।
     
    ৬। রাতে দিন রুটি, মেশানো সবজি, পনির এবং বিভিন্ন সবজি দিয়ে তৈরি স্যুপ।

    ৭। খেয়াল রাখবেন, আপনার সন্তান যেন বেশি না খেয়ে ফেলে। খাওয়ার পরেই যেন শুতে না যায়। খেয়ে খানিকটা সময় পেরোলে তবেই বিছানায় যাওয়া উচিত। 

    ৮। সন্ধ্যে ৬.৩০-৭ টার মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে নিতে হবে।

    ৯। সঠিক বৃদ্ধি হতে পর্যাপ্ত ঘুম দরকার বাচ্চাদের। 

    * ওপরের সব মতামত বিশেষজ্ঞদের। 

LinkedIn
Share