Tag: China

China

  • Sri Lanka: ভারতের পাশেই শ্রীলঙ্কা, বন্দরে নোঙর করতে দিল না চিনা জাহাজ

    Sri Lanka: ভারতের পাশেই শ্রীলঙ্কা, বন্দরে নোঙর করতে দিল না চিনা জাহাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন ইস্যুতে ভারতের পাশেই শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। এবার নিজেদের বন্দরে একটি চিনা জাহাজকে ঢোকার অনুমতি দিল না শ্রীলঙ্কা। এর পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বিদেশমন্ত্রী আলি সবরি সোমবারই স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের নিরাপত্তার বিষয়টি তাঁদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা, নিয়ম মেনে বন্ধু রাষ্ট্র ভারত এবং মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি সঙ্গে আলোচনা করেই ওই চিনা জাহাজকে নোঙর করতে দেওয়া হয়নি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার এই অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    চিনা আবেদন খারিজ শ্রীলঙ্কার

    প্রসঙ্গত, ‘শি ইয়ান-৬’ নামে একটি জাহাজ শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বন্দরকে পোতাশ্রয় হিসেবে ব্যবহার করার জন্য আবেদন জানিয়েছিল চিন। কিন্তু সেই আবেদনকে খারিজ করে শ্রীলঙ্কার  প্রশাসন। এ নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার বিদেশ মন্ত্রী আলি সবরি বলেন, ‘‘বেশ কিছুটা সময় ধরেই বিষয়টি নিয়ে কথাবার্তা চলছে। ভারত নিজের উদ্বেগের কথাও জানিয়েছে। কিন্তু আমরা একটা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর বা এসওপি তৈরি করেছি। ভারত-সহ আমাদের একাধিক বন্ধুরাষ্ট্রের সঙ্গে ওই এসওপি তৈরির সময় কথা বলা হয়। এই এসওপি মেনে ভেসেল নোঙর করলে আমাদের সমস্যা নেই। না মানলে সমস্যা রয়েছে।’’

    বন্ধু রাষ্ট্রের পাশেই শ্রীলঙ্কা

    আর্থিক সংকটে থাকাকালীন শ্রীলঙ্কাকে (Sri Lanka) প্রভূত সাহায্য করেছিল ভারত। সেসময় থেকেই কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশ জোরালো হয় দুই দেশের। তাই স্বাভাবিবভাবেই দুর্দিনের বন্ধুকে ভোলেনি শ্রীলঙ্কা। চিনা জাহাজকে নোঙর করতে না দেওয়া তারই প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত ২০২২ সালে ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’নামের একটি চিনা গুপ্তচর জাহাজ শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বন্দরে নোঙর করেছিল। সেই সময় ভারতে তরফ থেকে কড়া বার্তা সামনে আসে বিদেশমন্ত্রীদের জয়শঙ্কর স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন, ‘‘আমাদের আশপাশে যা ঘটছে, বিশেষত তার সঙ্গে যদি আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িয়ে থাকে তা হলে নিশ্চয়ই সেটা নিয়ে আমাদের মাথা ঘামাতে হবে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • G20: ‘‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্থিতিশীল’’, জিনপিংয়ের অনুপস্থিতি ইস্যুতে জানাল চিন

    G20: ‘‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্থিতিশীল’’, জিনপিংয়ের অনুপস্থিতি ইস্যুতে জানাল চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি ২০ (G20) শীর্ষ সম্মেলনে আসছেন না চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সে কথা আগেই জানিয়েছে চিন। এবার এ নিয়ে বিতর্ক এড়াতে বিবৃতি দিতে শোনা গেল চিনের বিদেশ দফতরের মুখপাত্রকে। চিনের দাবি, ভারতের সঙ্গে কিছু বিষয়ে তাদের মতবিরোধ হয়তো রয়েছে, কিন্তু সম্পর্ক স্থিতিশীল। নয়াদিল্লিতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন শুরু হওয়ার ঠিক আগে এমনই বিবৃতি দিলেন চিনের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র। প্রসঙ্গত বুধবারের সাংবাদিক সম্মেলনে জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনে চিনের প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় সে দেশের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র মাও নিংকে। উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘সামগ্রিক ভাবে ভারত-চিন সম্পর্ক স্থিতিশীল। বিভিন্ন স্তরে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ও যোগাযোগ চলছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং জি ২০ (G20) বৈঠকে যোগ দেবেন।’’

    জিনপিংয়ের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসের প্রতিক্রিয়া

    মঙ্গলবারও চিনা প্রেসিডেন্টের জি ২০ সফরে না আসার প্রসঙ্গ ওঠে হোয়াইট হাউসের সাংবাদিক সম্মেলনে। আমেরিকার নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালিভান এই প্রসঙ্গ তোলেন। ভারত-চিনের সীমান্ত সংঘাত জি ২০ সম্মেলনে প্রভাব ফেলবে কিনা, সেই উত্তরে সালিভানের মন্তব্য, “বিষয়টি চিনের উপর নির্ভর করছে। যদি চিন (সম্মেলনে) আসতে চায় এবং পণ্ড করার ভূমিকা নিতে চায়, সেই বিকল্পও তাদের হাতেই রয়েছে।”

    চিনা প্রেসিডেন্টের কাজে অখুশি কমিউনিস্ট নেতারা? 

    জানা যাচ্ছে, মাসখানেক আগে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির বর্তমান এবং অবসরপ্রাপ্ত নেতাদের একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় বেইদাইহের একটি সমুদ্রতীরবর্তী রিসর্টে। এই সম্মেলনের সমস্ত কিছুই গোপন থাকে। তবে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, কমিউনিস্ট পার্টির একদল প্রাক্তন শীর্ষ নেতার কাছ থেকে ধমক খেয়েছেন শি জিনপিং। চিনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নন সে দেশের প্রাক্তন কমিউনিস্ট নেতারা। তাঁদের বার্তা হল, দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক অস্থিরতা যদি এই ভাবেই চলতে থাকে, তবে কমিউনিস্ট পার্টি জনসমর্থন হারাতে পারে। যা শাসকের কাছে হুমকির কারণ হয়ে যেতে পারে। প্রসঙ্গত, বহির্বিশ্বের নানা দেশের সঙ্গে চিনের সম্পর্কের অত্যন্ত অবনতি হয়েছে এবং বাণিজ্যে মন্দা দেখা দিয়েছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগও হ্রাস পেয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sunderban: চিন ও সিঙ্গাপুরে ব্যাপক কদর সুন্দরবনের ফিমেল কাঁকড়ার! কেন জানেন?

    Sunderban: চিন ও সিঙ্গাপুরে ব্যাপক কদর সুন্দরবনের ফিমেল কাঁকড়ার! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশের মাটিতে বেড়েছে বাংলার কাঁকড়ার চাহিদা। চিন, হংকং, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ম্যালয়েশিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশেই বেড়েছে সুন্দরবনের (Sunderban) মেল ও ফিমেল গ্রেড কাঁকড়ার চাহিদা। শুধু তাই নয়, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যেও এই কাঁকড়া রফতানি হচ্ছে বাংলা তথা পৃথিবীর বৃহত্তম দ্বীপ সুন্দরবন থেকেই। ২০২০ ও ২১  সালে কোভিডের জন্য এর চাহিদা অনেক কমে গিয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি ঠিক হতেই আবার আমদানি-রফতানি বাড়ছে। 

    মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েই জীবিকা নির্বাহ

    সুন্দরবনের ঘন জঙ্গল, গভীর নদী ও মোহনা এখানকার মৎস্যজীবীদের অনেক সময় ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কুমির ও বাঘ ছাড়া বিষাক্ত সাপের কামড় তো আছেই। অনেক সময় মৎস্যজীবীদের এসব কারণে মৃত্যুও হয়। সুন্দরবনের (Sunderban) বেশিরভাগ মানুষই মৎস্যজীবী। তাই তাঁদের এসবের মধ্যেও জীবিকা চালিয়ে যেতে হয়। মৎস্যজীবী ছাড়াও মধু এবং কাঠ সংগ্রহ মানুষের প্রধান জীবিকা।  এখানকার আরও একটি জনপ্রিয় জিনিস হল কাঁকড়া। মৎস্যজীবীরা নদীনালায় সূতলি ফেলে এই কাঁকড়া ধরেন এবং সেগুলি পাইকারি দরে বিক্রি করেন। আড়ৎ থেকে পাইকারিরা নিয়ে চলে যান কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গায়। কলকাতা থেকে সেগুলি আবার চলে যাচ্ছে বিদেশের মাটিতে।

    স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীরা কী জানিয়েছেন ?

    স্থানীয় কাঁকড়া ব্যবসায়ী ও কাঁকড়ার আড়ৎদার সুজয় মণ্ডল ও জগদীশ বর্মন জানিয়েছেন, সুন্দরবনের কাঁকড়ার মতো সুস্বাদু কাঁকড়া পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া যায় না। বিশেষ করে সিঙ্গাপুর ও চিনে এর বিরাট চাহিদা। এই কাঁকড়ার দুরকম প্রজাতি আছে। এক মেল ও অন্যটি হল ফিমেল। ফিমেল গ্রেড কাঁকড়ার জনপ্রিয়তা বেশি। কারণ এর মধ্যে মাংসের পরিমাণ বেশি থাকে। তাছাড়াও কলকাতার কিছু চাইনিজ রেস্তোরাঁয় এর খুব চাহিদা রয়েছে।  

    এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, এই কাঁকড়ার দাম কেমন ?

    এই কাঁকড়াগুলিকে বাজারে গ্রেড হিসাবে বিক্রি করা হয়। এখানে ২ প্রকার কাঁকড়া পাওয়া যায়, মেল ও ফিমেল। এই ফিমেল কাঁকড়ার ৫ টি গ্রেড আছে ও মেল কাঁকড়ার ৩ টি গ্রেড আছে। গ্রেড হিসাবে বাজারে (Sunderban) এই কাঁকড়ার দাম ওঠে। ১০০ গ্রাম থেকে শুরু করে ১৮০ গ্রাম পর্যন্ত ফিমেল কাঁকড়ার গ্রেড শুরু হয় অর্থাৎ গ্রেড ১,২,৩,৪,৫ পর্যন্ত। এই ফিমেল কাঁকড়ার দাম ওঠে ১৪০০ টাকা প্রতি কেজি পর্যন্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • G20: যুদ্ধ শব্দে আপত্তি রাশিয়া ও চিনের! জি-২০ তে যৌথ বিবৃতি দেওয়া গেলনা

    G20: যুদ্ধ শব্দে আপত্তি রাশিয়া ও চিনের! জি-২০ তে যৌথ বিবৃতি দেওয়া গেলনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে বড় ২০টি অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত জি-২০ (G20) দেশগুলির অর্থমন্ত্রীরা শনিবার যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করতে ব্যর্থ হল। এদিন বেঙ্গালুরুতে জি-২০ অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির অর্থমন্ত্রীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই ধরনের বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতি দেওয়ার নিয়ম থাকে। তবে এই ক্ষেত্রে তা হল না। কারণ যৌথ বিবৃতিতে অধিকাংশ দেশই ইউক্রেন যুদ্ধের সমালোচনা করার পক্ষে সায় দেয়। তবে রাশিয়া ও চিন এর বিরোধিতা করে। এই আবহে শেষ পর্যন্ত অর্থমন্ত্রীদের বৈঠক শেষে কোনও যৌথ বিবৃতি প্রকাশই করা গেল না। অবশেষে বৈঠকের সভাপতিত্ব করা ভারত একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে  বৈঠকে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

    গত বছর ইন্দোনেশিয়াতেও জটিলতা তৈরি হয় যৌথ বিবৃতি নিয়ে

    উল্লেখ্য, এর আগে গতবছর ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত জি-২০ (G20)  শীর্ষ সম্মেলনেও যৌথ বিবৃতি নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছিল। সেখানেও বিবৃতিতে ইউক্রেন যুদ্ধের উল্লেখ নিয়ে আপত্তি ছিল রাশিয়ার। পরবর্তীতে ভারতের মধ্যস্থতায় বিবৃতির ‘ভাষায়’ বদল আনা হয়। তাতে সন্তুষ্ট হয়েই রাশিয়া যৌথ বিবৃতিতে সায় দিয়েছিল। তবে বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত ২০টি দেশের অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নরদের বৈঠকের পর কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি যৌথ বিবৃতি জটিলতা সংক্রান্ত। পাশাপাশি এর থেকে প্রকাশ্যে চলে এসেছে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে এই গোষ্ঠীর ২০টি দেশের মতভেদের বিষয়টি।

    অর্থমন্ত্রী কী বলছেন

    এই আবহে অর্থমন্ত্রী জানান, এই বৈঠকের যৌথ বিবৃতিতে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে দু’টি অনুচ্ছেদ ছিল। ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ সম্মেলনে যে ভাষায় ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল, এই ক্ষেত্রেও তাই ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে ভারতীয় অর্থমন্ত্রী জানান, সেই যৌথ বিবৃতি নিয়ে আপত্তি ছিল চিন ও রাশিয়ার। তিনি বলেন, ‘তারা (চিন ও রাশিয়া) চায়নি যে ওই দুই অনুচ্ছেদ যৌথ বিবৃতিতে থাকুক। তাঁদের বক্তব্য ছিল, অর্থমন্ত্রীদের কাজ অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা। বিশ্ব রাজনীতির মধ্যে না ঢোকাই উচিত।’ 
    সূত্র মারফত জানা গেছে, যৌথ বিবৃতি নিয়ে আলোচনায় বাধা সৃষ্টি করেছিল রাশিয়া। তাদের দাবি ছিল, পশ্চিমা বিশ্ব তাদের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তার সমালোচনা করতে হবে। অর্থ মন্ত্রকের সচিব অজয় শেঠ এই বিষয়ে বলেন, ‘শুধুমাত্র যুদ্ধ শব্দটিকে বাদ দিতে বলা হয়নি রাশিয়া ও চিনের তরফে। ইউক্রেন যুদ্ধ সংক্রান্ত পুরো দুটো প্যারাগ্রাফ সরাতে বলে তারা। এদিকে গোষ্ঠীর বাকি ১৮টি দেশেরই মনে হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় প্রভাব পড়েছে। তো যৌথ বিবৃতিতে যুদ্ধের উল্লেখ থাকা উচিত।’

     জি-২০ (G20)  এর সভাপতি হিসেবে ভারতের বিবৃতিতে কী বলা হল

    ‘বেশিরভাগ সদস্যই ইউক্রেনের যুদ্ধের তীব্র নিন্দা করেছেন। প্রায় সকল সদস্যই জোর দিয়ে বলেছেন যে এই যুদ্ধের কারণে বিপুল দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আম জনতাকে। পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতিকে ভঙ্গুর করে তুলেছে এই যুদ্ধ। মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি, সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত করেছে এই যুদ্ধ। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই যুদ্ধ। তাছাড়া সকল দেশেই আর্থিক স্থিতিশীলতার ঝুঁকি বেড়েছে এর কারণে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • China: বেলুনের মাধ্যমে গুপ্তচরবৃত্তি চিনের! গুলি করে নামাল আমেরিকা

    China: বেলুনের মাধ্যমে গুপ্তচরবৃত্তি চিনের! গুলি করে নামাল আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুপ্তচরের ভূমিকায় বেলুন! আমেরিকার ‘স্পর্শকাতর’ সামরিক কেন্দ্রগুলির উপর এভাবেই  নজরদারি চালানোর অভিযোগ উঠল চিনের (China) বিরুদ্ধে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছে আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। যদিও বেজিং আমেরিকার এই দাবি মানতে চায়নি। শনিবার সন্দেহজনক এই বেলুনটিকে গুলি করে নামিয়েছে আমেরিকা। বেলুনটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করেছে তারা আটলান্টিক মহাসাগর থেকে।

    পেন্টাগনের দাবি

    গত বৃহস্পতিবারই পেন্টাগন বিবৃতি দিয়ে জানায়, বেলুনের মাধ্যমে ‘গুপ্তচরবৃত্তি’ চালাচ্ছে চিন (China)। আমেরিকার সামরিক কার্যকলাপকে বেলুনের মাধ্যমে নজরবন্দী করার অভিযোগ তোলে তারা চিনের বিরুদ্ধে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তখনই বলেছিলেন বেলুনটির ‘উপযুক্ত ব্যবস্থা’ করা হবে।

    অভিযোগ অস্বীকার চিনের  (China)

    চিন  (China) অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, আবহাওয়া সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার কারণেই এই বেলুনটি ব্যবহার করা হচ্ছে। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, এই বেলুনটি হাওয়ার বেগেই আমেরিকায় ঢুকে পড়ে। চিন অবশ্য দুঃখপ্রকাশ করেছে এই ঘটনায়। পাশাপাশি তারা এ-ও জানায়, এমন ঘটনা আর ঘটবে না।

    বেলুনটিকে কোথায় প্রথম দেখা যায়

    বেলুনটিকে প্রথমে উত্তর-পশ্চিম আমেরিকায় উড়তে দেখা গিয়েছিল বলেই জানা গিয়েছে। আমেরিক প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন সেটিকে গুলি করে নামানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু বেলুনটির মধ্যে কোনও তেজস্ক্রিয় পদার্থ থাকলে বিপত্তি ঘটার আশঙ্কা ছিল। পরে দক্ষিণ ক্যারোলিনা উপকূলের কাছে বেলুনটিকে গুলি করে নামানো হয়।

    কী বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট

    বেলুন ধ্বংস করার পর বাইডেন বলেন, ‘‘আমরা সফল ভাবে বেলুনটি নামাতে পেরেছি। আমি আমাদের বিমান আধিকারিকদের এর জন্য অভিনন্দন জানাতে চাই।’’

    বেলুনটি গুলি করে নামানোর সময়ের ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা গিয়েছে, কী ভাবে নীল আকাশের বুকে সাদা বেলুন গুলি লেগে ফেটে গিয়েছে। সাদা ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে চারপাশে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • BF 7 Variant: ডিসেম্বর মাসে চিনে করোনা আক্রান্ত ২৫ কোটি! চাঞ্চল্যকর দাবি জনপ্রিয় সংবাদ সংস্থার

    BF 7 Variant: ডিসেম্বর মাসে চিনে করোনা আক্রান্ত ২৫ কোটি! চাঞ্চল্যকর দাবি জনপ্রিয় সংবাদ সংস্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার যেন ২০২০ সালের সেই পুরনো চিনকে দেখা যাচ্ছে। যেখানে মৃত্যু মিছিল চলছে। করোনা রোগীর চাপে হাসপাতাল গুলিতে বেড নেই। ওমিক্রনের সাবভ্যারিয়েন্ট BF 7 এর দাপট শুরু হয়েছে সারা চিন জুড়ে। সমগ্র দেশে সংকটজনক এবং উদ্বেগ জনক পরিস্থিতি। চিনের এই উদ্বেগজনক করোনা পরিস্থিতির জন্য বিভিন্ন মহল থেকে নানা রকম কারণের ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে চিনের তৈরি ভ্যাকসিন গুণগত মানে বিশ্বের অন্যান্য ভ্যাকসিনের থেকে অনেক বেশি পিছিয়ে এবং মাত্র ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ কার্যকরী এই ভ্যাকসিন, বিশ্বের অন্যান্য ভ্যাকসিনের সাপেক্ষে। আবার অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন যে চিনে ৩৫ মাস ধরে চলেছে লকডাউন। এরফলে চিনা নাগরিকদের মধ্যে ন্যাচারাল ইমিউনিটি তৈরি হয়নি যার ফলে এই অবস্থা চলছে। সরকারি হিসাব বলছে যে প্রতিদিন ১০ লক্ষ করে মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন এবং গড়ে ৫০০০ হাজার করে মানুষের মৃত্যু ঘটছে সে দেশে। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যম সরকারি এই পরিসংখ্যানকে মানতে নারাজ।

    কী বলছে গণমাধ্যম?

    রেডিও ফ্রি এশিয়া (Radio Free Asia) নামের একটি গণমাধ্যম চঞ্চল্যকর দাবি করছে যে সরকারি নথি ফাঁস হয়েছে এবং ১ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ কোটি মানুষ! ওই গণমাধ্যমের আরও দাবি যে সরকার তথ্য গোপন করছে এবং তারা আনুষ্ঠানিকভাবে সামনে আনছে অন্য কিছু ডেটা। যেমন ২০ ডিসেম্বর সরকারিভাবে জানানো হয়েছে যে নতুন ভাবে করোনা হয়েছে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ।

    সে দেশের সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ( South China Morning Post) সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, যে , ওমিক্রনের BF 7 এই সাব ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ক্ষমতা অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের থেকে অনেক বেশি এবং একজন BF 7 আক্রান্ত ব্যক্তি  ১০ থেকে ১৮ জনকে সংক্রামিত করতে পারেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • China Moon Base: ২০২৮ সালের মধ্যেই চাঁদে থাকার জায়গা তৈরি করে ফেলবে চিন?

    China Moon Base: ২০২৮ সালের মধ্যেই চাঁদে থাকার জায়গা তৈরি করে ফেলবে চিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৮ সালের মধ্যে চাঁদে থাকার জায়গা তৈরি করার পরিকল্পনা করছে চিন (China Moon Base)। উদ্দেশ্য, আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসার’ একাধিপত্য কমানো। ঠান্ডা যুদ্ধের সময় থেকেই মহাকাশের দখল নিয়ে রাশিয়া এবং আমেরিকার মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। প্রথম মহাকাশচারী রাশিয়া পাঠিয়েছিল তো চাঁদে প্রথম মানুষ পাঠিয়েছিল আমেরিকা। নাসার গবেষণার অন্ত নেই। ভিনগ্রহ প্রাণীর অস্তিত্ব আছে কিনা, পৃথিবীর মতো আর কোনও গ্রহ রয়েছে কিনা, মঙ্গলের লাল মাটিতে কী রয়েছে, বছরভর এই নিয়ে গবেষণা চালান নাসার বিজ্ঞানীরা।

    বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ হিসেবে পিছিয়ে নেই ড্রাগনের দেশও। চিন ছিল প্রথম দেশ, যারা ২০১৯ সালে চাঁদের দুই পৃষ্ঠেই রোভার চালাতে সক্ষম হয়েছিল। লুনার নমুনা সংগ্রহও করে এনেছিল চিন। চাঁদের দক্ষিণ প্রান্তেই বেস বা থাকার জায়গা (China Moon Base) তৈরি করতে চায় চিন। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এখানে জলের সন্ধানও পাওয়া যেতে পারে। বর্তমানে নাসার বিজ্ঞানীরাও চাঁদের দক্ষিণ পৃষ্ঠের রহস্য উন্মোচনে গবেষণারত।

    চিনের লুনার এক্সপ্লোরেশন প্রোগ্রামের চিফ ডিজাইনার কী বলছেন ?

    চাঁদের দক্ষিণপৃষ্ঠকে কেন্দ্র করে একটি আন্তর্জাতিক রিসার্চ সেন্টার তৈরির পরিকল্পনা করছে চিন। সেদেশের সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, চাঁদে থাকার (China Moon Base) এই জায়গা পারমাণবিক শক্তির সাহায্যে গড়ে উঠবে। চিনের সরকারি টিভি চ্যানেল সিসিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লুনার এক্সপ্লোরেশন প্রোগ্রামের চিফ ডিজাইনার উ উইরান বলেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে আমরা চাঁদে মানুষ পাঠাতে সক্ষম হব। চাঁদের বেস ক্যাম্প পারমাণবিক শক্তির সাহায্যে গড়ে উঠলে তার স্থায়িত্ব বাড়বে।

    মহাকাশ গবেষণা খাতে চিন এবং আমেরিকা এই দুই দেশই হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে। মহাবিশ্বের বিভিন্ন সম্পদ আবিষ্কার এবং রহস্যভেদ করাই এই মিশনগুলির উদ্দেশ্য থাকে। মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে নাসা। নাসার পাঠানো রোভার লাল গ্রহ থেকে প্রতিনিয়ত তথ্য পাঠিয়ে চলেছে।

    আরও পড়ুন: “জিনপিং পদত্যাগ করুন”, বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে চিন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Covid Variant: শীতের শুরুতেই ফের মাথাচাড়া করোনার নতুন প্রজাতির, জেনে নিন এর লক্ষণ

    Covid Variant: শীতের শুরুতেই ফের মাথাচাড়া করোনার নতুন প্রজাতির, জেনে নিন এর লক্ষণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছু দিন আগেই চিনের মঙ্গোলিয়ায় করোনা ভাইরাসের নতুন একটি প্রজাতির খোঁজ মিলেছে। চিকিৎসকদের মতে, ওমিক্রনের বিএ.৫.১.৭ (Omicron BA 5.1.7) এবং বিএফ.৭ প্রজাতির ভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষমতা অন্যান্য প্রজাতির তুলনায় অনেক গুণ বেশি। তাই করোনা টিকা নেওয়ার পর বা এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পর শরীরে যে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে, তা নতুন এই প্রজাতিটিকে ঠেকানোর জন্য যথেষ্ট নয় বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    উল্লেখ্য, কিছু দিন আগেই ‘ওমিক্রন স্পন’ বা বিএ.৫.১.৭ এবং বিএফ.৭ নামক একটি নতুন প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যেই চিনের বেশ কিছু জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি এবং ফ্রান্সের ক্ষেত্রেও সংক্রমণের হার বেশ দ্রুত। দেশের মধ্যে গুজরাতেও এক জনের দেহে এই প্রজাতিটির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।

    অত্যধিক সংক্রমণযোগ্য নতুন এই বিএফ.৭ নামক ওমিক্রন ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বুকে ব্যাথা থেকে শুরু করে ঘ্রাণ ও শ্রবণে অসুবিধে দেখা যায়।

    বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অভিযোজনের ফলে সৃষ্টি হওয়া এই নতুন প্রজাতির ওমিক্রন ভাইরাসটি মানব দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ফাঁকি দিতে এবং উপস্থিত অ্যান্টিবডিকে টেক্কা দিতে সিদ্ধহস্ত।

    সবচেয়ে নতুন এই বিএফ.৭ নামক ওমিক্রন ভাইরাসের লক্ষণগুলি কী কী?

    এখন পর্যন্ত, বিশ্বব্যাপী রিপোর্ট করা বিএফ.৭ সাবভেরিয়েন্টের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

    • একটানা কাশি
    • শুনতে অসুবিধা হওয়া
    • বুক ব্যাথা
    • কাঁপুনি দিয়ে জ্বর
    • ঘ্রাণশক্তির পরিবর্তন

    উৎসবের মরসুমে সংক্রমণ বাড়বে কি?

    করোনার বিধি-নিষেধে ছাড় এবং মানুষের লাগামছাড়া মনোভাব, নতুন করে সংক্রমণের ভয় উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। চিকিৎসকরা আরও এক বার মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, সংখ্যাটি এক হলেও নতুন প্রজাতিটি কিন্তু দেশে ঢুকে পড়েছে। তার উপর শীতকাল আসছে। এটি এমনিই ফ্লুয়ের সময়। তাই অতিরিক্ত সাবধানতা থাকতেই হবে। করোনা পরিস্থিতি বাড়লেও একটি সময় পর তা আবার আগের পর্যায়ে ফিরে আসবে। তাই সব কিছু বন্ধ করে ঘরে বসে থাকা কোনও সমাধান হতে পারে না। এ ক্ষেত্রে সচেতনতা গড়ে তোলাই একমাত্র হাতিয়ার বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Chip: সরকারি কম্পিউটারে এএমডি-ইন্টেলের চিপ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি চিনে

    Chip: সরকারি কম্পিউটারে এএমডি-ইন্টেলের চিপ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি চিনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজেদের সরকারি কম্পিউটার ও সার্ভারে এএমডি ও ইন্টেলের মতো মার্কিন চিপ (Chip) কোম্পানির প্রসেসর ব্যবহারের ক্ষেত্রে নয়া নির্দেশিকা জারি চিনের। মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ও বিদেশে তৈরি ডেটাবেস সফটওয়্যারের পরিবর্তে স্থানীয় পণ্য ব্যবহারের নির্দেশনাও রয়েছে বেজিংয়ের জারি করা ওই নির্দেশিকায়।

    জারি নির্দেশিকা (Chip)

    চিন সরকারের তরফে জারি করা ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এখন থেকে চিনের বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে অবশ্যই এএমডি ও ইন্টেলের চিপের (Chip) বদলে ব্যবহার করতে হবে নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য স্থানীয় পণ্য। নির্দেশিকায় কোন কোন চিপ ব্যবহার করা যাবে তার একটি তালিকাও দেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে ১৮টি প্রসেসর। এর মধ্যে রয়েছে হুয়াওয়ে ও চিনের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি ফিটিয়ামের বানানো চিপ। উল্লেখ্য যে, উভয় কোম্পানিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ।

    নির্ভরযোগ্য প্রসেসর ও অপারেটিং সিস্টেম

    জানা গিয়েছে, চিনের সরকারি বডি ও অর্গানাইজেশনগুলিকে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছিল ২৬ ডিসেম্বর। সেটি কার্যকর করা হয়েছে সম্প্রতি। টাউনশিপ লেভেলে থাকা সরকারি সংস্থাগুলির প্রয়োজন নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য প্রসেসর ও অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা।   

    চিনের শিল্পমন্ত্রক গত ডিসেম্বরে জারি করা বিবৃতিতে তিনটি আলাদা আলাদা সিপিইউ, অপারেটিং সিস্টেমস এবং কেন্দ্রীভূত ডেটাবেসের লিস্ট দিয়েছিল। পাবলিকেশন ডেটের তিন বছর পর্যন্ত এগুলি নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য বলে বলা হয়েছিল। এগুলি সবই চিনে তৈরি। মার্কিন পণ্যের পরিবর্তে এগুলি ব্যবহার করার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। দ্য স্টেট কাউন্সিল ইফর্মেশন অফিস, যারা চিনা মন্ত্রিসভার কাউন্সিলের হয়ে মিডিয়া হ্যান্ডেল করে, নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তারা মুখে কুলুপ এঁটেছে।

    আরও পড়ুুন: ফের প্রার্থিতালিকা প্রকাশ বিজেপির, তালিকায় রয়েছেন ‘রাম’, কঙ্গনাও

    জানা গিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা জারির পর থেকে চিনের সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রিগুলি বিদেশি প্রযুক্তি নির্ভরতা কমাতে শুরু করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে বেজিংয়ে সেমিকন্ডাক্টর ইক্যুইপমেন্ট ও প্রযুক্তি রফতানির ওপর নিয়ন্ত্রণ জারি করেছিল। তার পরেই ফুলেফেঁপে উঠতে থাকে চিনের দেশীয় চিপ ইক্যুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং ফার্মগুলি। বাড়তে থাকে তাদের রোজগারও (Chip)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Made In India: পিছিয়ে পড়ছে চিন, বিশ্ববাজারে বিপুল পরিমাণ খেলনা রফতানি করছে ভারত

    Made In India: পিছিয়ে পড়ছে চিন, বিশ্ববাজারে বিপুল পরিমাণ খেলনা রফতানি করছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, “কারও সর্বনাশ, তো কারও পৌষ মাস।” বহুল প্রচলিত এই প্রবাদ বাক্যটি কিঞ্চিৎ সংধোধন করে বলাই যায়, “চিনের সর্বনাশ, ভারতের পৌষ মাস।” ভনিতা ছেড়ে ফেরা যাক কাজের কথায়। এতদিন বিশ্ববাজারে (Made In India) একচেটিয়া রাজ করছিল চিনে খেলনা। সেই বাজারে গুঁড়ি মেরে থাবা বসাচ্ছিল ভারত।

    বিশ্ব বাজার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ভারত (Made In India)

    বর্তমানে চিনকে টপকে বিশ্ব বাজার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ভারতে তৈরি খেলনা। ১৫ অর্থবর্ষ থেকে ২৩ অর্থবর্ষ – এই সময়সীমার মধ্যে বিশ্বে ভারতের খেলনা রফতানির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৯ শতাংশ। আমদানি কমে গিয়েছে ৫২ শতাংশ। ভারতে খেলনা বিক্রি করতে গেলে ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্সের অনুমোদন প্রয়োজন। তাছাড়া বেসিক কাস্টমস ডিউটি বাড়ানো হয়েছে ৭০ শতাংশ। তার জেরেই পিছিয়ে পড়ছে চিন, চুটিয়ে ব্যবসা করছে ভারতীয় খেলনা কোম্পানিগুলি। মুনাফা ভালো হওয়ায় ভারতে দিন দিন বাড়ছে খেলনা কারখানাও।

    কমেছে চিন নির্ভরতা 

    খেলনাশিল্প সূত্রে খবর, স্পিন মাস্টা, হাসব্রো, ম্যাট্টেলের গ্লোবাল ব্যান্ড খেলনা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি সোর্সিংয়ের জন্য নির্ভর করত ইটালিয়ান মেজর ড্রিম প্লাস্ট, মাইক্রোপ্লাস্ট এবং ইনকাসের। এতদিন এরা চায়না খেলনার ওপর নির্ভর করত। বর্তমানে চিন-প্রীতি ছেড়ে ভারতীয় খেলনার প্রতি আগ্রহী হচ্ছে তারা। চিনে খেলনার ওপর এতদিন নির্ভর করত ভারতও (Made In India)। বর্তমানে চিন নির্ভরতা কমেছে ৮০ শতাংশ। চেন্নাই ভিত্তিক ফানস্কুলের মুখ্য কার্য নির্বাহী আধিকারিক আর জেসওয়ান্ত বলেন, “বিআইএস চিনা ক্ষমতার অনুমোদন দেবে বলে আমি মনে করি না। চিন থেকে খেলনা আমদানি কমেছে। দেশীয় খেলনার উৎপাদন বাড়ায় কমেছে আমদানি।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালির মডেল এবার মুর্শিদাবাদে, জমি হাতানোয় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    ১০ বছর আগেও ভারত থেকে সোর্সিং হত দৈবাৎ। আর এখন অনেক কোম্পানিই ভারতে সেটআপ তৈরি করেছে।” কেবল খেলনা নয়, ফানস্কুল এমআরএফ নামের টায়ারও উৎপাদন করে। এই কোম্পানিই এখন ভারতে তৈরি খেলনা পাঠাচ্ছে হাসব্রো, স্পিন মাস্টার, ফ্লেয়ার, আর্লি লার্নিং সেন্টার এবং ড্রুমন্ড পার্ক গেমসকে। দিল্লি ভিত্তিক আমদানি-রফতানিকারী সংস্থা আরপি অ্যাসোসিয়েটসের মালিক পবন গুপ্তা বলেন, “ভারতে খেলনা উৎপাদন বাড়ছে। অনেকে ভারতে তাঁদের সেটআপ তৈরি করেছেন। বহু ক্রেতা যারা এতদিন চিন থেকে সোর্সিং করত, তারা এখন চিনের থেকে মুখ ফিরিয়ে অন্য দেশের দিকে তাকাচ্ছে। এদের মধ্যে ভারতও রয়েছে।” তিনি বলেন, “এই তালিকায় মাইক্রোপ্লাস্ট, ড্রিম প্লাস্ট এবং ইনকাসের মতো অনেক বড় বড় কোম্পানিও রয়েছে (Made In India)

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

     

LinkedIn
Share