Tag: China

China

  • S Jaishankar: ভারতীয় পণ্যের ওপর আরোপিত উচ্চ মার্কিন শুল্কের তীব্র বিরোধিতা শি জিনপিংয়ের

    S Jaishankar: ভারতীয় পণ্যের ওপর আরোপিত উচ্চ মার্কিন শুল্কের তীব্র বিরোধিতা শি জিনপিংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিশ্ব একটি সমষ্টি হিসেবে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য স্থিতিশীল ও পূর্বানুমানযোগ্য পরিবেশ খুঁজছে। তবে একই সময়ে এটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা যেন ন্যায়সঙ্গত ও স্বচ্ছ হয় এবং সবার উপকারে লাগে।” ভার্চুয়াল ‘ব্রিকস’ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়ে সোমবার কথাগুলি বলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ভারত ও অন্য কয়েকটি দেশের পণ্যের ওপর চড়া হারে শুল্ক (US Tariffs) আরোপের কারণে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঠিক সেই সময় জয়শঙ্করের এই কথাগুলি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    জয়শঙ্করের বক্তব্য (S Jaishankar)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতিনিধি হিসেবে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং অন্য রাষ্ট্রনেতারা। এই সম্মেলনেই জয়শঙ্কর বলেন, “ভারতের বিশ্বাস, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে খোলা, ন্যায়সঙ্গত, স্বচ্ছ এবং বৈষম্যহীন রেখে সংরক্ষণ করা উচিত হবে।” তিনি বলেন, “যখন একাধিক ব্যাঘাত ঘটে, তখন আমাদের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত এই ধরনের ঝুঁকির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। এর মানে হল আরও দৃঢ়, নির্ভরযোগ্য, অতিরিক্ত নিরাপত্তা-সহ এবং স্বল্প সরবরাহ শৃঙ্খলা তৈরি করা।”  প্রসঙ্গত, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা ভার্চুয়াল ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন মার্কিন শুল্ক এবং বাণিজ্য নীতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য। কারণ এগুলিই বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছে।জয়শঙ্কর বলেন, “গঠনমূলক ও সহযোগিতামূলক পন্থার মাধ্যমে বিশ্বকে একটি মজবুত বাণিজ্য ক্ষেত্রে উন্নীত করতে হবে। ব্যাঘাত সৃষ্টি করা এবং লেনদেন জটিল করা কোনও সাহায্য করবে না। বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলিকে অ-বাণিজ্যিক বিষয়গুলির সঙ্গে যোগ করলেও সুবিধা হবে না।”

    ভারতের বক্তব্য

    জয়শঙ্কর ব্রিকসের সদস্য দেশগুলিকে নিজেদের বাণিজ্য নীতি পুনঃপর্যালোচনা করে সদস্য দেশগুলির মধ্যে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “ভারতের প্রসঙ্গে বলতে গেলে আমাদের সবচেয়ে বড় ঘাটতি রয়েছে কিছু ব্রিকস অংশীদারের সঙ্গে। আমরা দ্রুত সমাধানের জন্য চাপ দিচ্ছি। আমরা আশা করি, আজকের সভা থেকে এই উপলব্ধিটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হিসেবে সামনে আসবে।” ভারতের বিদেশমন্ত্রীর এই মন্তব্য (US Tariffs) ভারতের সঙ্গে চিনের বাড়তে থাকা বাণিজ্য ঘাটতির প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি (S Jaishankar) বলেন, “ভারত দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে এটি সংরক্ষণ ও বিকাশ করা উচিত। শুধু তাই নয়, আজকের বিশ্ব পরিস্থিতি প্রকৃত উদ্বেগের কারণ।” কোভিড অতিমারি, ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রবাহে অস্থিরতা এবং চরম জলবায়ু ঘটনা, এসবই গত কয়েক বছরে বিশ্বের প্রধান চ্যালেঞ্জের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন জয়শঙ্কর। বলেন, “এই চ্যালেঞ্জগুলির মুখে বহুপাক্ষিক ব্যবস্থা বিশ্বকে ব্যর্থ করতে দেখা যাচ্ছে। এতগুলি গুরুতর সমস্যা অবহেলিত থেকে যাওয়ায় বিশ্বব্যবস্থার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে।”

    চিন-ভারত কাছাকাছি

    এদিকে, বৈরিতা ভুলে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারতের আরও কাছাকাছি চলে এসেছে চিন। ভারতীয় পণ্যের ওপর আরোপিত উচ্চ মার্কিন শুল্কের তীব্র বিরোধিতা করেছে বেজিং। সোমবার চিনের রাষ্ট্রদূত শু ফেইহং বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসনের ভারতের ওপর আরোপিত ৫০ শতাংশ অন্যায় শুল্কের তীব্র বিরোধিতা করে চিন। তাই ভারত ও চিনের উচিত এই চ্যালেঞ্জ এক সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা (US Tariffs)।” দুই পড়শি দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে চিনা রাষ্ট্রদূত বলেন, “ভারত ও চিন উভয়ই সন্ত্রাসবাদের শিকার। এই (S Jaishankar) চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বেজিং নয়াদিল্লি-সহ ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটির সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।” জাপানের বিরুদ্ধে চিনের বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার পর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করার জন্য শুল্ককে এক ধরনের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। দু’টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদীয়মান অর্থনীতির দেশ ভারত ও চিনের এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় একে অন্যের সঙ্গে সহযোগিতা করা উচিত।”

    নীতি পরিবর্তন ভারতের

    ভারতীয় পণ্যের ওপর ট্রাম্প প্রশাসন উচ্চ শুল্কহার চড়ানোর পর নীতি পরিবর্তন করেছে ভারত। প্রতিবেশী দেশ চিনের সঙ্গে পুরানো তিক্ততা ভুলে এখন সম্পর্কের উন্নতি করতে উদ্যোগী হয়েছে নয়াদিল্লি। চিন অ্যাপ-সহ তার অনেক পণ্যের জন্য খোলা হচ্ছে ভারতের দুয়ার। এর পাশাপাশি রাশিয়া এবং অন্যান্য দেশের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ওপরও দ্রুত কাজ করা হচ্ছে (US Tariffs)। এক কথায়, ভারতীয় পণ্যের ওপর চড়া মার্কিন শুল্কের কারণে যে ক্ষতি হচ্ছে, তা পূরণের জন্য এখন সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ করছে কেন্দ্রীয় সরকার (S Jaishankar)।

  • China: মোদি-ম্যাজিকেই বাজিমাত! পাকিস্তানের বহু প্রতীক্ষিত প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়াল চিন

    China: মোদি-ম্যাজিকেই বাজিমাত! পাকিস্তানের বহু প্রতীক্ষিত প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়াল চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি-ম্যাজিকেই বাজিমাত! এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চিনে (China) গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও। পড়শি দুই দেশের দুই প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পরপরই ‘দুঃসংবাদ’ পেল পাকিস্তান। তারা জানল, পাকিস্তানের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়িয়েছে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের দেশ। চিনের এই সিদ্ধান্তের জেরে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার জোগাড় ইসলামাবাদের।

    এমএল-১ প্রজেক্ট (China)

    প্রায় এক দশক ধরে টাকার অভাবে আটকে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি থেকে পেশোয়ার যাওয়ার রেল উন্নয়নের কাজ। নাম এমএল-১ প্রজেক্ট। বর্তমানে এই পথে একটি রেলরুট রয়েছে। তবে বাণিজ্যিক পণ্য সরবরাহের মতো কাজে তা ব্যবহারের অযোগ্য। তাই খাইবার পাখতুন প্রদেশ হয়ে যাওয়া ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার পথের উন্নয়নের জন্য চিনের কাছ থেকে ঋণ চেয়েছিল শাহবাজ শরিফের সরকার। পাকিস্তানে রেল নেটওয়ার্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে অর্থায়ন করার প্রকল্প এমএল-১ থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়ে এসেছে চিন। বস্তুত, দুই বন্ধুর স্বপ্নের চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপেক) প্রকল্পের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ার কথা ছিল এই রেল নেটওয়ার্ক প্রকল্পটি। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনাও হয়েছে দুই দেশের মধ্যে।

    বিশ বাঁও জলে পাকিস্তান

    প্রত্যাশিতভাবেই চিন হাত তুলে নেওয়ায় আপাতত বিশ বাঁও জলে পাকিস্তানের এই প্রকল্পের কাজ। এমএল-১ প্রকল্প থেকে চিন সরে যাওয়ার পর এখন ওই প্রকল্পে টাকা ঢালার জন্য এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) দ্বারস্থ হয়েছে ইসলামাবাদ। এমএল-১ প্রকল্পের করাচি-রোহরি রেল যোগাযোগ উন্নত করতে এডিবির কাছ থেকে ২০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ চেয়েছে অর্থনৈতিকভাবে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তান। এমএল-১ প্রকল্পে এডিবির হস্তক্ষেপ করার অর্থ পাকিস্তান প্রথমবারের জন্য একটি বহুপাক্ষিক ঋণদাতাকে এমন একটি প্রকল্পে প্রবেশাধিকার দিচ্ছে, যা এক সময় চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের মূল প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত হত।

    পাকিস্তানের পরিকাঠামো পরিকল্পনায় বড় ধাক্কা

    কিছু দিন আগেই চিনের হাইপ্রোফাইল সামরিক প্যারেডে অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং আর্মি চিফ ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। তাঁরা সাক্ষাৎ করেছিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও। তাঁরাই এখন বুঝতে পেরেছেন, এমএল-১ রেলওয়ে প্রকল্পের ২ মার্কিন বিলিয়ন ডলারের তহবিল দেবে না। জিনপিং সরকারের এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের পরিকাঠামো পরিকল্পনার জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা ইসলামাবাদকে জরুরি ভিত্তিতে এডিবির কাছ থেকে অর্থ জোগাড়ে বাধ্য করছে, যাতে সিপেক করিডরের দ্বিতীয় পর্যায়টা অন্তত রক্ষা করা যায় (Pakistan)। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে, বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতে ইতিমধ্যেই কোটি কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে চিন। সেই প্রকল্পগুলির আর্থিক কার্যকারিতা নিয়ে বেজিংয়ের উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান আর্থিক সংকট এবং ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে ইসলামাবাদের অনীহা দেখেও এমএল-১ প্রকল্পে এখন আর টাকা ঢালতে চাইছে না চিনা সরকার।

    অর্থনৈতিক করিডরের বিরোধিতা ভারতের

    প্রথম থেকেই এই অর্থনৈতিক করিডরের বিরোধিতা করেছে ভারত। কারণ সিপেকের একটা অংশ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই অংশটি ভারতের বলেই দাবি করে আসছে নয়াদিল্লি। তাই চিনের এই প্রকল্প ভারতের সার্বভৌমত্বে আঘাত বলেই মনে করে বিদেশমন্ত্রক। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সিপেক থেকে এখনও পুরোপুরি সরে দাঁড়ায়নি বেজিং। তবে ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত বদলালেও বদলাতে পারে (Pakistan)। আপাতত এই প্রকল্পের অংশ এমএল-১ রেল উন্নয়ন প্রকল্পে যে তারা টাকা ঢালতে নারাজ সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছে চিন (China)। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, দেশের বাইরে বিনিয়োগ নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করছে চিন। কারণ কিছু ক্ষেত্রে চিন নিজেই মুখোমুখি হয়েছে অর্থনৈতিক প্রতিকূলতার। পকেট বাঁচাতে তাই আপাতত প্রচণ্ড ঝুঁকির মুখে থাকা বিদেশি প্রকল্পগুলির প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে চিন। শোনা যাচ্ছে, ঋণ পরিশোধ করতে পারবে না, এমন দেশগুলিতে মোটা অঙ্কের টাকা লগ্নি থেকেও সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিনপিংয়ের সরকার। আর সে ক্ষেত্রে ভিখিরি পাকিস্তানকে যে সাহায্য না করার তালিকায় চিন প্রথমে রাখবে, তা বলাই বাহুল্য (China)।

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সম্প্রতি চিনে আয়োজিত এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন মোদি-সহ বিশ্বের বিভিন্ন নেতা। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পার্শ্ববৈঠক করেছিলেন জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। সেখানে (Pakistan) খানিকটা উপেক্ষিতই হন পাক প্রধানমন্ত্রী। এহেন আবহে চিনের এমএল-১ প্রকল্প থেকে চিনের সরে আসার সিদ্ধান্তকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে (China)।

  • PM Modi: “ওঁর অনুভূতিকে অনুভব করি”, ট্রাম্পের ‘‘বন্ধু’’ মন্তব্যের ছোট্ট প্রতিক্রিয়া মোদির

    PM Modi: “ওঁর অনুভূতিকে অনুভব করি”, ট্রাম্পের ‘‘বন্ধু’’ মন্তব্যের ছোট্ট প্রতিক্রিয়া মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় পণ্যের ওপর দু’দফায় ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ট্রাম্পের এই চড়া শুল্কনীতির জেরে এক অক্ষে চলে আসে ভারত-রাশিয়া ও চিন। এতেই প্রমাদ গোনে ট্রাম্প প্রশাসন। ঘরে-বাইরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারপরেই তিনি বলেন, “আমি সব সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) বন্ধু। নরেন্দ্র মোদি আমার বিশেষ বন্ধু। সব সময় বিশেষই থাকবেন। আমি তাঁকে খুব পছন্দ করি।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “নরেন্দ্র মোদি আমার বিশেষ বন্ধু। সব সময় বিশেষ থাকবেন। আমি তাঁকে খুব পছন্দ করি। কিন্তু এই মুহূর্তে তিনি যা করছেন, সেটা ঠিক নয়। ভারত ও আমেরিকার মধ্যে একটা বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।” ট্রাম্পের এহেন মন্তব্যের জেরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, তিনি ট্রাম্পের অনুভূতিকে অনুভব করেন।

    মোদির ট্যুইট বার্তা (PM Modi)

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য এল এমন একটা সময়ে, যখন ট্রাম্প বলেন, তিনি সর্বদা মোদির বন্ধু থাকবেন। অথচ এর ঠিক একদিন আগেই তিনি দাবি করেছিলেন, ‘আমেরিকা ভারতকে সব চেয়ে গভীর, অন্ধকার চিনের হাতে হারিয়ে ফেলেছে।’ প্রত্যুত্তরে ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনুভূতি ও আমাদের সম্পর্কের ইতিবাচক মূল্যায়নের গভীর প্রশংসা করি এবং সম্পূর্ণভাবে অনুভব করি। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি অত্যন্ত ইতিবাচক এবং ভবিষ্যৎমুখী সামগ্রিক ও বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব রয়েছে।” তবে প্রধানমন্ত্রী যখন বললেন যে তিনি ট্রাম্পের অনুভূতির “প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন”, তখন তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে তার বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করতে এড়িয়ে গিয়েছেন। যার অর্থ হল, এই সম্পর্কের উত্তাপ শিথিল করতে হলে পেছনের দিকে কিছু কাজ করতে হবে।

    ইতিবাচক বাক্য বিনিময়

    দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে ইতিবাচক (PM Modi) এই বাক্য বিনিময় এই ধারণাকে জোরালো করে যে, ট্রাম্প ও তাঁর আধিকারিকদের ভারতবিরোধী উত্তেজক মন্তব্যের ঝড় সত্ত্বেও দুই দেশের সম্পর্ক মেরামত করার দরজা এখনও খোলা রয়েছে। ট্রাম্প ও তাঁর আধিকারিকরা একাধিকবার ভারত বিরোধী মন্তব্য (Donald Trump) করলেও, ভারত সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করেনি, করেনি কোনও পদক্ষেপও। ট্রাম্পের সমালোচনাও করেনি। যদিও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে অপরিশোধিত তেল কেনায় ভারতের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ভারতের কৃষি ও দুগ্ধ খাত আমেরিকার জন্য খোলার বিষয়ে অনিচ্ছা প্রকাশ করায় আটকে গিয়েছে দুই দেশের বাণিজ্য চুক্তি, যা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে সম্পর্কের শীতলতা। শুক্রবারও ট্রাম্প ভারতকে নিশানা করে জানান, যখন তিনি চিনে অনুষ্ঠিত এসসিও (SCO) শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদির উপস্থিতির বিষয়টি উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তিয়ানজিনে হাসিমুখে একে অন্যের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ছবি প্রদর্শন করার পর আরও বিব্রত বোধ করেন ট্রাম্প।

    ট্রাম্পের বক্তব্য

    এর পরেই মোদি, পুতিন ও শি জিনপিংকে এক (PM Modi) সঙ্গে হাঁটতে দেখা যাচ্ছে এমন একটি ছবি পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প লেখেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে আমরা ভারত ও রাশিয়াকে হারিয়েছি সবচেয়ে গাঢ়, অন্ধকার চিনের কাছে। তারা যেন এক সঙ্গে দীর্ঘ ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ কাটায়!’ এরই কয়েক ঘণ্টা পরে ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করেন। তিনি জানান, সম্পর্কটি এখনও ‘বিশেষ’ এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে শক্তিশালী বন্ধন বজায় রেখেছেন। ট্রাম্প (Donald Trump) বলেন, “আমি সর্বদা (প্রধানমন্ত্রী) মোদির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখব। তিনি একজন মহান প্রধানমন্ত্রী। আমি সর্বদা বন্ধু থাকব। তবে আমি ঠিক এই বিশেষ মুহূর্তে তিনি যা করছেন তা পছন্দ করি না। কিন্তু ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। চিন্তার কিছু নেই। মাঝে মাঝে আমাদের মতবিরোধ হয় (PM Modi)।”

    ট্রাম্পের ভোল বদল

    সম্প্রতি ট্রাম্প ও তাঁর সহকারীরা ভারতের ব্যাপারে আরও সংযত ভাষা ব্যবহার করেছেন। অথচ গোটা সপ্তাহটা ধরে ভারতের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। ভারতকে “ক্রেমলিনের লন্ড্রোম্যাট”ও বলা হয়েছিল, রাশিয়া ইউক্রেন সংঘর্ষকে বলা হয়েছিল “মোদি যুদ্ধ”। গত সপ্তাহেই ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা ও ভারতের সম্পর্ক খুব ভালো। যদিও তিনি এই সম্পর্ককে “একতরফা” হিসেবে উল্লেখ করেছেন বাণিজ্য অসমতার কারণে। আমেরিকার ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টও (Donald Trump) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কের শক্তি এবং স্থায়ীত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় দিনের শেষে, দু’টি মহান দেশ এটি সমাধান করবে (PM Modi)।”

  • Donald Trump: ‘সবসময় মোদির বন্ধু’! চিনের কাছে ভারত, রাশিয়াকে হারিয়ে ফেললাম বলার পর ফের ডিগবাজি ট্রাম্পের

    Donald Trump: ‘সবসময় মোদির বন্ধু’! চিনের কাছে ভারত, রাশিয়াকে হারিয়ে ফেললাম বলার পর ফের ডিগবাজি ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ডিগবাজি ট্রাম্পের। ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এইভাবেই তিনি ভারত ও রাশিয়াকে চাপে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ট্রাম্পের এই শুল্কনীতির জবাবে ভারত, চিন ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। এরপর ট্রাম্প জানালেন, তিনি সবসময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বন্ধু। একইসঙ্গে শুক্রবারে তিনি সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করে লেখেন, “চিনের কাছে হয়ত ভারত ও রাশিয়াকে হারিয়ে ফেললাম।”

    কী লিখলেন, কী বললেন ট্রাম্প (Donald Trump)?

    নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশাল’-এ পোস্ট করে ট্রাম্প লেখেন, “দেখে মনে হচ্ছে ভারত ও রাশিয়াকে চিনের কাছে হারিয়ে ফেললাম। তাদের দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ কামনা করি।” ট্রাম্পের এই মন্তব্য ঘিরে হইচই পড়ে যায়। পরে, হোয়াইট হাউসে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে নিজের আগের বক্তব্যের ব্যাখ্যা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ফের একবার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে নয়াদিল্লিকে নিয়ে তিনি বলেন, “আমার মনে হয় না আমরা ভারতকে হারিয়ে ফেলেছি। আমি খুব আশাহত যে ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে এত তেল কিনছে। আমি সে কথা জানিয়েছি। আমরা ভারতের উপরে চড়া শুল্ক বসিয়েছি, ৫০ শতাংশ শুল্ক। আপনারা জানেন, মোদির সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভালো। কয়েক মাস আগে তিনি এখানে এসেছিলেন। আমরা রোজ গার্ডেনে গিয়ে সাংবাদিক বৈঠকও করেছিলাম।” ট্রাম্প (Donald Trump) আরও বলেন, “নরেন্দ্র মোদি আমার বিশেষ বন্ধু। সবসময় বিশেষ থাকবেন। আমি তাঁকে খুব পছন্দ করি। কিন্তু এই মুহূর্তে তিনি যা করছেন, সেটা ঠিক নয়। ভারত (India) ও আমেরিকার মধ্যে একটা বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।”

    ভারত-চিন-রাশিয়ার জোট

    আমেরিকা যখন ভারতের ওপর শুল্ক আরোপ করে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে, ঠিক সেই সময় ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে চিন ও রাশিয়া। সম্প্রতি, সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের সামিটে অংশ নিতে চিনের তিয়ানজিনে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Donald Trump) এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানে তাঁরা চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিন রাষ্ট্রনেতার এই সাক্ষাৎ ও আলোচনা বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। অনেকেই মনে করছেন, এই বৈঠকের মাধ্যমে ভারত, চিন ও রাশিয়া একত্রে একটি ত্রি-শক্তির মঞ্চ তৈরি করছে, যার ফলে আমেরিকা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কিছুটা একঘরে হয়ে পড়ছে।

  • Putin: “ভারত বা চিনের সঙ্গে এভাবে কথা বলা যায় না”, ট্রাম্পকে সতর্ক করলেন পুতিন

    Putin: “ভারত বা চিনের সঙ্গে এভাবে কথা বলা যায় না”, ট্রাম্পকে সতর্ক করলেন পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত বা চিনের সঙ্গে এভাবে কথা বলা যায় না।” ওয়াশিংটনকে ঠিক এই ভাষায়ই সতর্ক করে দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Putin)। শুধু তাই নয়, শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞার (Trumps Tariff Pressure) মাধ্যমে ভারত ও চিনকে জোর করে চাপে ফেলার চেষ্টা  না করার পরামর্শও তিনি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিন্ডেন্টকে।

    বৃহত্তম শক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা! (Putin)

    চিনে আয়োজিত এসসিও শীর্ষ সম্মেলন ও একটি সামরিক কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণের পর সাংবাদিক বৈঠকে অংশ নিয়ে পুতিন বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসন অর্থনৈতিক চাপকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে এশিয়ার দু’টি বৃহত্তম শক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে।” ভারত ও চিনকে অংশীদার আখ্যা দিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি ছিল এই দেশগুলির নেতৃত্বকে দুর্বল করার প্রচেষ্টা।” তিনি বলেন, “আপনারা ভারতের মতো দেশ পেয়েছেন যেখানে দেড় বিলিয়ন মানুষ, চিন, যাদের শক্তিশালী অর্থনীতি আছে, তবে তাদেরও নিজেদের ঘরোয়া রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও আইন রয়েছে। যখন কেউ আপনাকে বলে যে তারা আপনাকে শাস্তি দেবে, তখন ভাবতে হবে — এত বড় দেশের নেতৃত্ব কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে?”

    কী বললেন পুতিন?

    পুতিন (Putin) বলেন, “ইতিহাস এই দুই দেশের রাজনৈতিক ক্ষেত্রের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। তাদের ইতিহাসেও কঠিন সময় ছিল, যেমন ঔপনিবেশিক শাসন, দীর্ঘ সময় ধরে সার্বভৌমত্বের ওপর চাপ। যদি তাদের মধ্যে কেউ দুর্বলতা দেখায়, তবে তার রাজনৈতিক জীবন শেষ হয়ে যাবে। তাই এই বিষয়গুলি তার আচরণকে প্রভাবিত করে।” এর পরেই রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “ওয়াশিংটনের কথাবার্তা এখনও পুরোনো মানসিকতার প্রতিধ্বনি। ঔপনিবেশিকতার যুগ এখন শেষ। তাদের বুঝতে হবে, অংশীদারদের সঙ্গে কথোপকথনে এই ধরনের শব্দ তারা ব্যবহার করতে পারে না।” তিনি বলেন, “অবশেষে সব কিছু মিটে যাবে। প্রতিটি বিষয় তার নিজের জায়গায় বসবে এবং আমরা আবারও স্বাভাবিক রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনা দেখতে পাব (Trumps Tariff Pressure)।”

    প্রসঙ্গত, পুতিনের (Putin) এই মন্তব্য করেছেন এমন একটা সময়ে যখন ভারত রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনার কারণে মার্কিন জরিমানার মুখে পড়ছে। আর চিন ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে।

     

  • PM Modi: ‘‘চিন-ভারত বন্ধুত্বে স্বার্থ জড়িত ২৮০ কোটি মানুষের’’, জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর বললেন মোদি

    PM Modi: ‘‘চিন-ভারত বন্ধুত্বে স্বার্থ জড়িত ২৮০ কোটি মানুষের’’, জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসসিও (SCO) সম্মেলনে যোগ দিতে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে চিন সফরে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দীর্ঘ ১০ মাস পর এই সফরে মুখোমুখি বৈঠকে মিলিত হলেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। রবিবার, নির্ধারিত সময়ের কিছু আগেই শুরু হওয়া এই বৈঠক চলে প্রায় এক ঘণ্টা। বৈঠকে পারস্পরিক বিশ্বাস, সম্মান, সংবেদনশীলতা ও সহযোগিতার ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। জবাবে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার আহ্বান জানান।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

    বৈঠকের সূচনায় মোদি (PM Modi) বলেন, “গত বছর কাজানে আমাদের মধ্যে অত্যন্ত যুক্তিপূর্ণ ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছিল। সেই আলোচনা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ইতিবাচক দিশায় এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। সীমান্তে সেনা প্রত্যাহারের পর পরিস্থিতি শান্ত ও স্থিতিশীল রয়েছে। সীমান্ত ইস্যুতে দুই দেশের প্রতিনিধিরাও পারস্পরিক বোঝাপড়ায় পৌঁছেছেন। নতুন করে কৈলাস-মানসসরোবর যাত্রাও চালু হয়েছে।” তিনি (PM Modi) আরও বলেন, ভারত ও চিনের মধ্যে শিগগিরই সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হবে। তাঁর কথায়, “ভারত ও চিনের বন্ধুত্ব কেবল দুই দেশেরই নয়, সমগ্র মানবজাতির কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশের মিলিয়ে ২৮০ কোটির বেশি মানুষের স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে এই সম্পর্কে।”

    চিনা প্রেসিডেন্টের (Jinping) বক্তব্য কী?

    প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, “বিশ্বজুড়ে নানা পরিবর্তন ঘটছে। এই প্রেক্ষাপটে চিন ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আমরা বিশ্বের দুই প্রাচীন সভ্যতা, দুই বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ, এবং গ্লোবাল সাউথের প্রধান দুই অংশীদার। আমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব থাকা উচিত। আমরা যেন ভালো প্রতিবেশীর মতো পাশে থাকি।” তিনি আরও বলেন, “ড্রাগন ও এলিফ্যান্টকে আরও ঘনিষ্ঠ হতে হবে।”

    সম্পর্কের ৭৫ বছর

    চলতি বছর ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৭৫তম বর্ষপূর্তি। এই উপলক্ষে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় ও স্থায়ী করে তুলতে কূটনৈতিক স্তরে জোর দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন শি জিনপিং। তাঁর মতে, এশিয়ায় শান্তি ও গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ভারত ও চিনকে (Jinping) একসঙ্গে পথ চলতে হবে।

  • Trumps Tariffs: মার্কিন শুল্ক-গুঁতো, হারানো সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে চাইছেন ভারত-চিন!

    Trumps Tariffs: মার্কিন শুল্ক-গুঁতো, হারানো সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে চাইছেন ভারত-চিন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার থেকেই ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্কহার (Trumps Tariffs) প্রযোজ্য হয়েছে আমেরিকার। এমতাবস্থায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চিন (India China) পৌঁছেছেন এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকার এই চড়া শুল্ক হার ভারতের রফতানি খাত এবং উচ্চভিলাষী প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে স্থায়ী ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে। চিনের ওপরও চড়া শুল্ক চাপিয়েছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এটি এমন একটি সময়ে করেছেন, যখন চিনের ধীরগতির অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। প্রত্যাশিতভাবেই মোদি-জিনপিং সম্পর্কে নয়া মোড় দেখা দিতে পারে। সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ভারত-চিন সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। ট্রাম্পের শুল্ক-গুঁতোর ধাক্কায় দুই দেশই এবার আরও কাছাকাছি আসতে চলেছে বলে ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।

     ভারত ও চিন অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশ (Trumps Tariffs) 

    সাম্প্রতিক এক সম্পাদকীয়তে চ্যাথাম হাউসের চিয়েটিগজ বাজপাই ও ইউ জিয়ে লিখেছেন, “ভারত কখনওই চিনের বিরুদ্ধে সেই প্রতিরক্ষার প্রাচীর হতে যাচ্ছিল না, যেটি পশ্চিমী বিশ্ব (বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ভেবেছিল। তাই মোদির (India China) চিন সফর একটি সম্ভাব্য মোড় ঘোরার ইঙ্গিত দিচ্ছে।” ভারত ও চিন অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশ। চিন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং ভারত চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। তবে ভারতের প্রবৃদ্ধি যদি ৬ শতাংশের ওপরে থাকে, এবং দেশটির ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থনীতি ও ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার স্টক মার্কেটে পৌঁছয়, তাহলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (IMF) পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০২৮ সালের মধ্যেই ভারত পরিণত হবে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে।

    সম্পর্ক অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং

    বেজিং-ভিত্তিক উসায়া অ্যাডভাইসরির প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ এক্সিকিউটিভ কিয়ান লিউ বলেন, “তামাম বিশ্ব এখন পর্যন্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের ওপর মনোযোগ দিয়েছে। তবে এখন সময় এসেছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ, চিন ও ভারত, কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারে তার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার (Trumps Tariffs)।” যদিও এ সম্পর্ক অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। কারণ দুই দেশের মধ্যে অমীমাংসিত ও দীর্ঘস্থায়ী সীমান্ত বিরোধ রয়েছে। ২০২০ সালের জুন মাসে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এটি গত চার দশকের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত। এর জেরে বাতিল করা হয় দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট, ভিসা ও চিনা বিনিয়োগ স্থগিত থাকে। ফলে পরিকাঠামো প্রকল্পের গতি ধীর হয়ে যায়, এবং ভারত ২০০–রও বেশি চিনা অ্যাপ, যার মধ্যে টিকটকও ছিল, নিষিদ্ধ করে (India China)।

    ভারত–চিন সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান

    আইআইএসএসের দক্ষিণ ও মধ্য এশীয় প্রতিরক্ষা, কৌশল ও কূটনীতি বিষয়ক প্রবীণ গবেষক অঁতোয়ান লেভেস্ক বলেন, “দুই দেশের আলোচনা প্রয়োজন, যাতে অন্য শক্তিগুলির প্রত্যাশা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কারণ এশিয়ার বৃহত্তর স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে ভারত–চিন সম্পর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান (Trumps Tariffs)।” সীমান্তের পাশাপাশি দুই দেশের বিরোধ রয়েছে আরও কয়েকটি বিষয়ে। এর মধ্যে রয়েছে তিব্বত, দালাই লামা, এবং যৌথ নদীর ওপর চিনের পরিকল্পিত বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্পও। তবে ট্রাম্পের শুল্ক-সংঘাতের জেরে আপাতত দুই দেশই এসব বিরোধ এক পাশে সরিয়ে রেখে নতুন করে সব শুরু করতে চাইছে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে যে সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালু হবে, ভিসা সংক্রান্ত কিছু ছাড় দেওয়া হতে পারে এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক চুক্তিও আসতে পারে।

    অবস্থান বদলেছে ভারত

    বর্তমান প্রেক্ষিতে অবস্থান বদলেছে ভারত। গবেষণা সংস্থা এশিয়া ডিকোডেডের  প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান অর্থনীতিবিদ প্রিয়াঙ্কা কিশোর বলেন, “মনে রাখবেন, একসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত এক জোট চিনকে চাপে রাখতে।” কিন্তু বর্তমানে আমেরিকার অবস্থান নিয়ে ভারত সম্পূর্ণ বিভ্রান্ত। কিশোরের মতে, তাই এটি একটি বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপ এবং মাল্টিপোলার বিশ্বদৃষ্টিভঙ্গিকে আরও শক্তিশালী করে, যেটি ভারত ও চিন উভয় দেশই বিশ্বাস করে (Trumps Tariffs)।

    এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী

    চিনে আয়োজিত দু’দিনের এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এর সদস্য দেশগুলির মধ্যে রয়েছে চিন, ভারত, ইরান, পাকিস্তান এবং রাশিয়া। আগে ভারত এই সংস্থার গুরুত্বকে খাটো করে দেখেছে। কারণ, বছরের পর বছর ধরে এটি উল্লেখযোগ্য কোনও ফল প্রসব করতে পারেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওয়াশিংটনের সঙ্গে দিল্লির সম্পর্কের অবনতিই ভারতকে এসসিওর গুরুত্ব নতুন করে আবিষ্কার করতে বাধ্য করেছে। এদিকে, ট্রাম্পের শুল্ক সংঘাতের মধ্যে চিন বৈশ্বিক দক্ষিণের সংহতির প্রতীকী (India China) দিকটিকেও মূল্য দেবে। স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের স্বার্থেই ক্রমেই কাছাকাছি আসছে নরেন্দ্র মোদির ভারত ও শি জিনপিংয়ের চিন (Trumps Tariffs)।

  • Indian Economy: বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে ভারত! ২০৩৮ সালের মধ্যে উত্থান, দাবি রিপোর্টে

    Indian Economy: বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে ভারত! ২০৩৮ সালের মধ্যে উত্থান, দাবি রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে (Indian Economy) পরিণত হতে পারে ভারত। ‘আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং’ (ইওয়াই) নামে একটি বেসরকারি সংস্থার রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। ট্রাম্প (Donald Trump) বলেছিলেন ‘ডেড ইকোনমি’ (Dead Economy), সেই ভারতের অর্থনীতি নিয়ে এবার বড় দাবি করল ‘আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং’। তাদের দাবি, ২০৩৮ সালের মধ্যে ভারতের অর্থনীতির মোট মূল্য হবে ৩৪.২০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    ভারতের শক্তি কী

    সংস্থার প্রধান নীতি উপদেষ্টা ডি কে শ্রীবাস্তব বলেন, “ভারতের শক্তি হল, তার তরুণ এবং দক্ষ কর্মী এবং শক্তিশালী সঞ্চয় ও বিনিয়োগের হার। গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগুলিতে স্থিতিস্থাপকতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে, ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশ বিকশিত ভারত হওয়ার যে লক্ষ্যে তার অনেক কাছে পৌঁছে যাবে।” সংস্থার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, উচ্চ সঞ্চয় ও বিনিয়োগের হার এবং ক্রমহ্রাসমান সরকারি ঋণের কারণে আগামী ১৩ বছরের মধ্যে ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে (Indian Economy) খুব সহজেই পৌঁছতে পারে। এই মুহূর্তে ভারতের অর্থনীতির মোট মূল্য ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার পেরিয়ে গিয়েছে। বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় জাপানকে টপক ভারত এখন চতুর্থ স্থানে। একমাত্র আমেরিকা, চিন এবং জার্মানিই ভারতের চেয়ে এগিয়ে।

    কতটা এগোবে ভারত

    ‘আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং’-এর রিপোর্ট আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) অনুমানের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ভারতের সবচেয়ে বড় শক্তি হল এর জনসংখ্যা। ২০২৫ সালে ভারতের গড় বয়স মাত্র ২৮.৮ বছর। সঞ্চয় হারের দিক থেকেও ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে (Indian Economy) রয়েছে। সরকারের ঋণ-জিডিপি অনুপাত ২০২৪ সালে ৮১.৩ শতাংশ থেকে কমে ২০৩০ সালের মধ্যে ৭৫.৮ শতাংশে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে তার সমকক্ষ দেশগুলিতে ঋণের মাত্রা বাড়ছে। আইএমএফের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের অর্থনীতি ২০.৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাতে পারে।

    ভারতের এই উত্থানের কারণ

    ভারতীয় অর্থনীতির (Indian Economy) এ-হেন উত্থানের নেপথ্যে একাধিক যুক্তি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট সমীক্ষক সংস্থা। তাদের দাবি, বর্তমানে এ দেশের জনগণের গড় বয়স ২৮.৮ বছরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই অবস্থায় আমজনতার আর্থিক সঞ্চয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে লগ্নি করছেন তাঁরা, যা দেশের আর্থিক বৃদ্ধির সূচককে ক্রমশ উপরের দিকে উঠতে সাহায্য করছে। দ্বিতীয়ত, গত কয়েক বছরে সরকারি ঋণ এবং মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপির (গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট) অনুপাত বেশ অনেকটাই কমেছে। গত বছর (পড়ুন ২০২৪) এই সূচক দাঁড়িয়েছিল ৮১.৩ শতাংশে। ২০৩০ সালের মধ্যে সেটা ৭৫.৮ শতাংশে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ‘ইওয়াই ইকোনমিক’। এর জেরে আর্থিক শক্তির নিরিখে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশে পরিণত হওয়া ভারতের পক্ষে সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ‘অগস্ট-২০২৫’ শীর্ষক আর্থিক রিপোর্টে ‘আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার’ বা আইএমএফ-কে (IMF) উদ্ধৃত করেছে সংশ্লিষ্ট সমীক্ষক সংস্থা। সেখানে বলা হয়েছে, ২০২৮-’৩০ সালের মধ্যে ভারত ও আমেরিকার আর্থিক বৃদ্ধির হার যদি ৬.৫ এবং ২.১ শতাংশে স্থির থাকে, তা হলে ২০৩৮ সালের মধ্যে ক্রয়ক্ষমতার নিরিখে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাপিয়ে যাবে নয়াদিল্লি। অর্থাৎ, পিপিপি-র (পড়ুন পারচেজ়িং পাওয়ার প্যারিটি) দিক দিয়ে একে উঠে আসবে ভারত।

  • PM Modi: ভারত ও চিন আনতে পারে বিশ্বের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, জাপানে বললেন মোদি

    PM Modi: ভারত ও চিন আনতে পারে বিশ্বের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, জাপানে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের (China) সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এই সম্পর্ক আঞ্চলিক শান্তি ও সম্প্রীতির ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এর পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতিতেও এটি স্থিতিশীলতা আনবে—শুক্রবার জাপানে এই মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভূ-রাজনীতিতে যখন আমেরিকা ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, সেই প্রেক্ষাপটে জাপান সফরে চিন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

    জাপান সফরে মোদি (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে দুই দিনের জাপান সফরে রয়েছেন। সেখানে প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও ব্যবসা সংক্রান্ত একাধিক চুক্তি স্বাক্ষর করবেন বলেই জানা গেছে। একই সঙ্গে, জাপানের বিখ্যাত ই-টেন শিনকানসেন বুলেট ট্রেন ভারতে আনার বিষয়েও আলোচনা চলছে। শনিবার, ৩০ অগাস্ট তিনি জাপান সফর শেষে চিন (PM Modi) সফরে যাবেন (PM Modi)। সেখানে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি।

    চিন সফর ও ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

    এই SCO বৈঠকটি ২৫তম এবং এটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, যখন বিশ্বজুড়ে একাধিক সংঘাত চলছে—রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজা-ইজরায়েল সংঘাত, ও আমেরিকার শুল্ক নীতি তার মধ্যে অন্যতম। SCO-তে চিন (China) , রাশিয়া, ইরান, পাকিস্তান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান সদস্য দেশ হিসেবে রয়েছে। শুক্রবার জাপানে এক সংবাদমাধ্যমকে মোদি (PM Modi) বলেন, “চিনের (PM Modi) রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে আমি এই বৈঠকে অংশ নিতে যাচ্ছি। গত বছর চিনা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আমার সাক্ষাতের পর ভারত-চিন সম্পর্ক অনেকটাই স্থিতিশীল ও ইতিবাচক অগ্রগতি পেয়েছে।” কূটনৈতিক মহলের অভিমত, যে ভাবে মার্কিন শুল্কনীতির বিরুদ্ধে মোদি রুখে দাঁড়িয়েছেন, তাতে সীমান্ত সংঘাত মেটাতে দর কষাকষির ক্ষেত্রে কিছুটা সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছেন তিনি। কারণ, ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী মোদির ভূয়সী প্রশংসা করেছে জার্মানি ও ফ্রান্স। শুধু তা-ই নয়, এই বছরই ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি করতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ)। এই পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লিকে দলে টানতে হলে সীমান্তে সমঝোতা করা ছাড়া বেজিঙের কাছে দ্বিতীয় রাস্তা খোলা নেই।

  • PM Modi China Visit: চিন সফরে যাবেন মোদি, সাত বছরের সীমান্ত উত্তেজনার পর নতুন কূটনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা?

    PM Modi China Visit: চিন সফরে যাবেন মোদি, সাত বছরের সীমান্ত উত্তেজনার পর নতুন কূটনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত বছর পরে আবার চিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi Visit China)। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) সম্মেলনের ফাঁকে ৩১ অগাস্ট চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ড্রাগনভূমির বন্দর শহর তিয়ানজিনে ওই বৈঠক হবে। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে মেগা অভ্যর্থনা জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বেজিং। মার্কিন শুল্কযুদ্ধের আবহে একে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    এই সফর কেন তাৎপর্যপূর্ণ

    ২০১৭ সালের ডোকলাম এবং ২০২০ সালের গালওয়ান সংঘর্ষের পর ভারত-চিন সম্পর্ক (India-China Relation) কার্যত থেমে গিয়েছিল। সীমান্ত থেকে সেনা সরানো নিয়ে বহু দফার আলোচনা হলেও সেভাবে অগ্রগতি হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে, মোদির তিয়ানজিন সফর এবং সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO)-এর সম্মেলনে যোগদান কূটনৈতিকভাবে বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মোদির সম্ভাব্য বৈঠকে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়গুলো আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    বিশ্ব রাজনীতির পটভূমিতে মোদি-জিনপিং বৈঠক

    এই সফরের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল আন্তর্জাতিক চাপ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ভারতের রফতানির উপর ৫০% ট্যারিফ বসিয়েছে, যার ফলে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। এছাড়াও, রাশিয়ার কাছ থেকে ছাড়মূল্যে তেল কেনা নিয়ে ওয়াশিংটনের অসন্তোষ ভারতকে চাপে ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতে, চিনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করে ভারত কৌশলগতভাবে বিকল্প পথ তৈরি করতে চায়। ভারত ও চিন প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও একে অপরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করেন, এ বারের এসসিও বৈঠকে ‘রুশ ভারত চিন ত্রিশক্তি’ বা রিচ ট্রয়িকার (রাশিয়া-ইন্ডিয়া-চায়না ট্রয়িকা) পুনরুজ্জীবনের সম্ভাবনা রয়েছে।

    সীমান্ত সমস্যা মোকাবিলা

    প্রধানমন্ত্রী মোদি ও প্রেসিডেন্ট জিনপিং-এর (PM Modi Visit China) মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠককে কেন্দ্র করেও পারদ চড়তে শুরু করেছে। সীমান্ত সংঘাত মেটাতে দু’তরফে একাধিক সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, সীমান্তে সৈন্য প্রত্যাহার, বাণিজ্য এবং ভিসা নীতিকে শিথিল করার ব্যাপারে বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মোদি ও জিনপিং। কূটনৈতিক মহলের অভিমত, যে ভাবে মার্কিন শুল্কনীতির বিরুদ্ধে মোদি রুখে দাঁড়িয়েছেন, তাতে সীমান্ত সংঘাত মেটাতে দর কষাকষির ক্ষেত্রে কিছুটা সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছেন তিনি। কারণ, ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী মোদির ভূয়সী প্রশংসা করেছে জার্মানি ও ফ্রান্স। শুধু তা-ই নয়, এই বছরই ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি করতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ)। এই পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লিকে দলে টানতে হলে সীমান্তে সমঝোতা করা ছাড়া বেজিঙের কাছে দ্বিতীয় রাস্তা খোলা নেই।

    ভারতের সুবিধা

    আন্তর্জাতিক মহলের মতে, এসসিওর অনেক কিছুই অস্পষ্ট। কিছু ক্ষেত্রে চিনের অর্থনীতি বেশি পরিমাণে আমেরিকার উপরে নির্ভরশীল। ভারতের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা এলেও ইউরোপের ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। ফ্রান্স, জার্মানি বা ইটালির বাজার পাওয়া বেজিঙের পক্ষে কঠিন। সব মিলিয়ে সমঝোতায় অনেক কিছুই আদায় করার সুযোগ পাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi Visit China)। গত বছর রাশিয়ার কাজানে ‘ব্রিকস’ সম্মেলনে পুতিন ও জিনপিঙের সঙ্গে এক মঞ্চে ছিলেন মোদি। ওই সময় থেকে চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করেন তিনি। প্রায় ১০ মাস পর ফের সেই ছবি প্রত্যক্ষ করবে বিশ্ব।

    মোদি-শি বৈঠকে সম্পর্কে নতুন মোড়

    বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সীমান্ত সমস্যা রাতারাতি মিটে যাবে এমন আশা করা যায় না। তবে দীর্ঘ সময় পর দুই শীর্ষনেতার মুখোমুখি বৈঠক অন্তত নতুন করে আস্থা গড়ার সুযোগ তৈরি করতে পারে। সীমান্তে নতুন চিন্তা অথবা সংঘর্ষ প্রতিরোধে যৌথ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মতো উদ্যোগ ভবিষ্যতের সম্পর্কের ভিত শক্ত করতে পারে। ভারত-চিন সম্পর্কের (India-China Relation) উষ্ণতা এশিয়ার শক্তির ভারসাম্য বদলে দিতে পারে। দক্ষিণ চিন সাগরের উত্তেজনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং মার্কিন-চিন দ্বন্দ্বের মধ্যে যদি দিল্লি ও বেজিং সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে, তবে তা গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য ইতিবাচক হবে। পাশাপাশি এসসিও (SCO) ও ব্রিকস (BRICS)-এর মতো সংগঠনগুলিকেও এই সম্পর্ক নতুন প্রাসঙ্গিকতা দিতে পারে।

LinkedIn
Share