Tag: China

China

  • S Jaishankar: গত ৬ বছরে কানাডায় ৯১ ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে, লোকসভায় জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: গত ৬ বছরে কানাডায় ৯১ ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে, লোকসভায় জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ছ’বছরে বিদেশে পড়তে গিয়ে সব মিলিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪০৩ ছাত্রের। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে কানাডা। যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে দুর্ঘটনায়, কয়েকজনের মেডিক্যাল কন্ডিশনের কারণ এবং কয়েকজনের ন্যাচারাল কারণে।

    কানাডায় মৃত্যু ৯১ জন ছাত্রের

    জানা গিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত কানাডায় মৃত্যু হয়েছে ৯১ জন ছাত্রের। তার পরেই রয়েছে ব্রিটেন। এখানে মৃত্যু হয়েছে ৪৮ জনের। শুক্রবার লোকসভায় এই তথ্য জানালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভিন দেশে পড়তে যাওয়া ভারতীয় ছাত্রদের কল্যাণই রয়েছে সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায়।” জয়শঙ্কর বলেন, “মন্ত্রকের তরফে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ৪০৩ জন ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বিদেশে পড়তে গিয়ে। ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত এই ছাত্রদের মৃত্যু হয়েছে।”

    কী বললেন বিদেশমন্ত্রী?

    বিদেশমন্ত্রী জানান, বিদেশে পড়তে গিয়ে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, সেগুলির সমাধানই আশু লক্ষ্য সরকারের। এই ছ’বছরে যেসব পড়ুয়ার বিভুঁইয়ে মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের তালিকাও দিয়েছেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি জানান, কানাডায় মৃত্যু হয়েছে ৯১ জনের, ব্রিটেনে মৃত্যু হয়েছে ৪৮ জনের। রাশিয়ায় পড়তে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৪০ জন। আমেরিকায় মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। অস্ট্রেলিয়ায় মারা গিয়েছেন ৩৫ জন। ইউক্রেনে মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। আর জার্মানিতে মারা গিয়েছেন ২০ জন। সাইপ্রাসে মারা গিয়েছেন ১৪ জন ভারতীয়। ফিলিপিন্স ও ইটালিতে মারা গিয়েছেন ১০ জন করে। কাতার, কিরঘিস্তান এবং চিনে মৃত্যু হয়েছে ৯ জন করে ভারতীয়ের।

    আরও পড়ুুন: “আব কি বার ৪০০ পার…”! খাড়্গের মুখে বিজেপির স্লোগান শুনে কী করলেন মোদি?

    বিদেশ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ভি মুরলীধরণ বলেন, “প্যালেস্তাইনের প্রতি ভারতের নীতি দীর্ঘ মেয়াদি এবং একই রয়েছে।” তিনি বলেন, “ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের সমাধান হোক আলোচনার মাধ্যমে। প্যালেস্তাইন একটি সার্বভৌম, স্বাধীন রাষ্ট্র হোক। নির্দিষ্ট সীমান্তও তৈরি হোক। পড়শি দুই দেশই থাকুক শান্তিতে।” তিনি জানান, অক্টোবরের সাত তারিখে হামাস যে ইজরায়েলের ওপর হামলা চালিয়েছে এবং তাতে যে বহু নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তার প্রতিবাদ করেছে ভারত। মন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “প্রতিবেশী দুই দেশের দ্বন্দ্বের অবসানে শান্তিপূর্ণ সমাধান ও আলাপ-আলোচনা ও কূটনৈতিক স্তরে কথাবার্তা চলুক।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • LAC Situation: ‘‘আমাদের এলাকা এটা’’, চিনা সেনাদের যোগ্য জবাব দিলেন লাদাখের মেষপালকরা

    LAC Situation: ‘‘আমাদের এলাকা এটা’’, চিনা সেনাদের যোগ্য জবাব দিলেন লাদাখের মেষপালকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার ভারতীয় ভূখণ্ডে অস্ত্র নিয়ে চিনা সেনাদের ঘুরে বেড়ানোর ভিডিও ভাইরাল হল৷ লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে ভেড়া চরাতে গিয়েছিলেন এক দল রাখাল। ভেড়া চরাতে গিয়ে চিনের সেনার সামনে পড়েন তাঁরা। চিনের সেনারা তাঁদের সেই জায়গা থেকে চলে যেতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু এই রাখাল দল ভয় না পেয়ে জানিয়ে দেয়, এটা তাঁদের দেশ ভারতের জায়গা। এখান থেকে তাঁরা সরবে না। এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। লাদাখের ওই রাখালদের সাহসিকতায় মুগ্ধ নেটিজেনরা।

    কী ঘটেছিল

    সম্প্রতি একটি ভিডও-য় দেখা যায়, লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন চুসুল এলাকায় চিনা সেনাদের সঙ্গে মেষপালকদের চরম কথাকাটাকাটি হচ্ছে। গত ২ জানুয়ারির ঘটনা। লাদাখ অটোনমাস হিল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের বিরোধী দলনেতা তথা কাউন্সিলর শেরিং নামগিয়াল একটি ৬.৫০ মিনিটের ভিডিও শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে একটা কমব্যাট গাড়িতে চেপে ৬-৮জন চিনা সেনা এসেছে। সেখানে তারা বার বার সাইরেন বাজিয়ে ভেড়া, ছাগলদের ভয় পাইয়ে দিচ্ছে। তবে চিনা সেনার এই ধমকিতে গুটিয়ে যায়নি মেষপালকরা। তাঁরা সাহসিকতার সঙ্গে বলেন, “আমাদের এলাকা এটা। এখান থেকে যাব না।” এমনকী কয়েকটা পাথরও তারা ছুঁড়ে দেন। মেষপালকরা জানিয়ে দেন, এটা ভারতের এলাকা। এখান থেকে যাব না। উত্তপ্ত কথাবার্তার পরে চিনের সেনারা এলাকা ছেড়ে চলে যায়।

    চিনের ঘৃণ্য আচরণ

    লাদাখ অঞ্চলে চিন এ ধরনের তৎপরতা আগেও চালিয়েছে। পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) চিনা সেনাদের ঘৃণ্য কার্যকলাপ প্রকাশ্যে এসেছে বারবার। গত কয়েক বছর ধরেই লাদাখের পরিস্থিতি দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে। পূর্ব লাদাখে চিন সীমান্তে ভারতীয় এবং চিনা সেনার হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছিল। তার পর থেকেই ওই এলাকায় সেনার নজরদারি কয়েক দিন বেড়েছে। এই পরিস্থিতির জেরে ওই উপত্যকা এলাকায় পশুদের চরাতে নিয়ে যাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরিস্থিতি এখন শান্ত থাকায় সেখানে গিয়েছিলেন ওই রাখালরা। এ বিষয়ে আর্মি চিফ জেনারেল মনোজ পাণ্ডে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেছেন, “এক বছরের বেশি সময় ধরে ওই এলাকায় কোনও সমস্যা দেখা যায়নি। সেনা স্তরে আমাদের কতাবার্তা অনেকটাই সফল হয়েছে। কূটনৈতিক এই আলোচনা বজায় থাকবে আগামী দিনে। পরিস্থিতি স্টেবল থাকলেও এলাকা সেনসিটিভ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Maldives: ‘‘ভারতই মিত্র দেশ’’, যৌথ বিবৃতি জারি মলদ্বীপের দুই প্রধান দলের

    Maldives: ‘‘ভারতই মিত্র দেশ’’, যৌথ বিবৃতি জারি মলদ্বীপের দুই প্রধান দলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে ভারত ছিল তাদের ‘‘পরম মিত্র’’ দেশ। চিনপন্থী নেতা মহম্মদ মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর তলানিতে ঠেকে ভারত-মলদ্বীপ (Maldives) সম্পর্ক। পুরানো বন্ধু-দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে এবার সুর চড়াল দ্বীপরাষ্ট্রের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল মলদ্বিভিয়ান ডেমক্রেটিক পার্টি ও ডেমোক্র্যাটস। যৌথ বিবৃতিতে এই দুই বিরোধী দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারত মলদ্বীপের দীর্ঘদিনের পরম মিত্র।

    পরম মিত্র ভারত

    ভারত-মলদ্বীপের সম্পর্ক আক্ষরিক অর্থেই ছিল পরম মিত্রের মতো। গত নির্বাচনে মলদ্বীপের ক্ষমতায় আসে মুইজ্জু সরকার। তার পর থেকেই চড়তে থাকে মলদ্বীপ-চিনের সখ্যের পারা। প্রত্যাশিতভাবেই আলগা হতে থাকে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের বাঁধন। এই বাঁধন ছিন্ন হয়ে যায় সম্প্রতি একটি ঘটনাকে ঘিরে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করেন মলদ্বীপের তিন মন্ত্রী। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে সাসপেন্ড করা হয় ওই মন্ত্রীদের। তার পরেও অবশ্য উন্নতি হয়নি নয়াদিল্লি-মালের সম্পর্কের।

    চিনা চর জাহাজকে স্বাগত

    সম্পর্কের এই আবহে ঘৃতাহুতি দেয় চিনা চর জাহাজকে মুইজ্জু সরকারের (Maldives) স্বাগত জানানোকে কেন্দ্র করে। ভারত মহাসাগরে নোঙর করবে জাহাজটি। এরই কিছুদিন আগে চিন সফরে গিয়ে বেজিংকে বন্ধু বলে ঘোষণা করেছিলেন মুইজ্জু স্বয়ং। চিনপন্থী মুইজ্জু সরকারের ভারত-বিরোধী এহেন অবস্থান মেনে নেয়নি মলদ্বীপের বিরোধী দলগুলি। দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ভারতকেই পুরানো বন্ধু বলে উল্লেখ করে যৌথ বিবৃতি দেয়। মুইজ্জু সরকার চিনা গুপ্তচর জাহাজকে স্বাগত জানানোয়ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ওই দুই রাজনৈতিক দল।

    আরও পড়ুুন: বকেয়া ডিএ, চলছে আমরণ অনশন, রাজ্যপালকে হস্তক্ষেপের আর্জি শুভেন্দুর

    দ্বীপরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের একটি প্রথা ছিল, যিনি প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হবেন, তিনি প্রথমে সফর করবেন পরম মিত্র দেশ ভারতে। সেই প্রথা ভেঙে মুইজ্জু সফর করেন তুরস্কে। এনিয়েও ক্ষুব্ধ বিরোধীরা। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্তমান প্রশাসন ভারত-বিরোধী অবস্থান নিচ্ছে। তবে এমডিপি এবং দ্য ডেমোক্র্যাটস বিশ্বাস করে, দেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নতিতে দীর্ঘ পুরানো মিত্র দেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে। নয়াদিল্লি-মালে সম্পর্কের উন্নতিতে এদিন বারংবার জোর দিয়েছেন এমডিপির চেয়ারপার্সন ফৈয়জ ইসমাইল, পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার আহমেদ সালিম, ডেমক্র্যাটস পার্টির প্রেসিডেন্ট হাসান লতিফ এবং পার্লামেন্টারি গ্রুপ লিডার আলি আজিম (Maldives)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Maldives: চিনা চর জাহাজকে স্বাগত জানাল মলদ্বীপ, ভারতকে চাপে রাখার কৌশল বেজিংয়ের!

    Maldives: চিনা চর জাহাজকে স্বাগত জানাল মলদ্বীপ, ভারতকে চাপে রাখার কৌশল বেজিংয়ের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভারতকে চাপে রাখার কৌশল চিনের! এবার অবশ্য শ্রীলঙ্কা নয়, চিনা গুপ্তচর জাহাজ ঘাঁটি গাড়তে চলছে নয়া বন্ধু মলদ্বীপের (Maldives) রাজধানী মালেতে। ‘শিয়াং ইয়াং হং ৩’ নামের ওই গুপ্তচর জাহাজটি ইতিমধ্যেই দক্ষিণ চিন সাগর থেকে মলাক্কা প্রণালী পেরিয়ে ইন্দোনেশিয়ার জাভা ও সুমাত্রা দ্বীপপুঞ্জের মধ্যবর্তী সুন্দা প্রণালীতে পৌঁছে গিয়েছে।

    ভারত মহাসাগরে আসছে চিনা চর জাহাজ

    ৮ ফেব্রুয়ারি সেটি মলদ্বীপের রাজধানী মালেতে পৌঁছবে বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর। তবে চিনা চর জাহাজটি যে সামরিক উদ্দেশ্যে ভারত মহাসাগরে নোঙর করতে চলেছে, তা নিশ্চিত করা হয়েছে মলদ্বীপের চিনপন্থী মহম্মদ মুইজ্জু সরকারের তরফে। দ্বীপরাষ্ট্রের তরফে জানানো হয়েছে, চিনা গুপ্তচর জাহাজটি মলদ্বীপের জলভাগে কোনও গবেষণা করবে না। এর আগে শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে ঘাঁটি গেড়েছিল চিনা চর জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’। এ নিয়ে ভারত-শ্রীলঙ্কা মন কষাকষি হয়। তার পরেই চিনা গুপ্তচর জাহাজটিকে বন্দর ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়। ‘শিয়াং ইয়াং হং ৩’-ও হাম্বানটোটায় নোঙর করতে চেয়েছিল।

    শ্রীলঙ্কায়ও নোঙর করেছিল চিনা গুপ্তচর

    শ্রীলঙ্কার আপত্তিতে (Maldives) জাহাজটি ভিড়তে পারেনি হাম্বানটোটা বন্দরে। তবে ‘হাই ইয়াং ২৪ হাও’ এবং ‘শি ইয়ান ৬’ চিনের এই দুটি গুপ্তচর জাহাজ নোঙর করেছিল হাম্বানটোটায়। পরবর্তীকালে ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে চিনা গুপ্তচর জাহাজকে সে দেশের বন্দরে পা রাখতে দেয়নি শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহের সরকার। মলদ্বীপের প্রশাসনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই জাহাজটি এলে মলদ্বীপের সঙ্গে তার সঙ্গী দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত হবে। বন্ধু দেশ থেকে আসা জাহাজকে স্বাগত জানানোটা এ দেশের শতাব্দী-প্রাচীন একটি ঐতিহ্য।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালির সেই তৃণমূল নেতার বাড়িতে ইডির হানা, শাহজাহান কোথায়?

    দীর্ঘদিন ধরে ভারত ছিল মলদ্বীপের পরম মিত্র দেশ। গত নির্বাচনে দেশের রশি যায় চিনপন্থী মুইজ্জুর হাতে। তার পর থেকে তিনি একের পর এক ভারত-বিরোধী পদক্ষেপ করছেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করেন মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রী। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে শেষমেশ সাসপেন্ড করা হয় ওই তিনজনকে। তাতে অবশ্য উন্নতি হয়নি নয়াদিল্লি-মালে (Maldives) সম্পর্কের। কারণ সেই চিনপন্থী মুইজ্জু। তাঁর এই চিন-প্রেমে যারপরনাই ক্ষুব্ধ ভারত। এহেন আবহে চিনা চর জাহাজকে স্বাগত জানাল মুইজ্জু সরকার (Maldives)। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতকে চাপে রাখতে মলদ্বীপকে দিয়ে চর জাহাজকে স্বাগত জানানোর কৌশল আসলে বেজিংয়েরই ব্রেন চাইল্ড।   

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Maldives India Row: ভারতীয় বিমান ব্যবহারে না মুইজ্জু সরকারের, মলদ্বীপে বেঘোরে মৃত্যু কিশোরের

    Maldives India Row: ভারতীয় বিমান ব্যবহারে না মুইজ্জু সরকারের, মলদ্বীপে বেঘোরে মৃত্যু কিশোরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মলদ্বীপের চিনপন্থী প্রেসিডেন্টের একগুঁয়ে মনোভাবের বলি কিশোর! শনিবার দ্বীপরাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে বছর চোদ্দর ওই কিশোরের (Maldives India Row)। তাকে এয়ারলিফ্টের জন্য ভারতের দেওয়া ডর্নিয়ার বিমান ব্যবহার করার অনুমতি দেয়নি মহম্মদ মুইজু প্রশাসন। তার জেরেই অসুস্থ ওই কিশোরটির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।

    মুইজ্জু সরকার

    গত নির্বাচনে দ্বীপরাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসে চিনপন্থী মুইজ্জুর সরকার। তার পর থেকে পরম মিত্র ভারতের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হতে শুরু করে মলদ্বীপের। দুই দেশের সম্পর্ক যখন প্রায় তলানিতে, তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে বসে মলদ্বীপের তিন জুনিয়র মন্ত্রী। তার পরে ভারত-মলদ্বীপের সম্পর্কে আক্ষরিক অর্থেই ফাটল ধরে। বিশ্ব নেতা মোদিকে কক্ষাট করায় ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে যায় মুইজ্জু প্রশাসন। বাধ্য হয়ে (Maldives India Row) সাসপেন্ড করে অভিযুক্ত তিন মন্ত্রীকে। তার পরেও অবশ্য উন্নতি হয়নি দুই দেশের সম্পর্কের। এহেন আবহে অসুস্থ বালককে ভারতীয় বিমান ব্যবহারের অনুমতি না দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে মুইজ্জুর সরকার।

    বেঘোরে মৃত্যু কিশোরের

    জানা গিয়েছে, ওই কিশোরের ব্রেন টিউমার ছিল। স্ট্রোক হওয়ার পর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে। তার পরিবারের তরফে বাড়ি গাফ আলিফ ভিলিংগিলি থেকে রাজধানী মলে নিয়ে যাওয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের অনুরোধ করা হয়। অভিযোগ, অসুস্থ কিশোরের পরিবারের অনুরোধে কান দেয়নি মুইজ্জু সরকার। যার জেরে কার্যত বেঘোরে মৃত্যু হয় ওই কিশোরের। ঘটনার জেরে শোকে মুহ্যমান মৃতের পরিবার। কান্না সামলে কোনওরকমে ওই কিশোরের বাবা বলেন, “ছেলের স্ট্রোকের পরেই আমরা তাকে মালেতে নিয়ে যাওয়ার জন্য আইল্যান্ড অ্যাভিয়েশনকে কল করেছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের কলের উত্তর দেয়নি।”

    আরও পড়ুুন: বাঙালি শিল্পীর কণ্ঠে গাওয়া, নজরুলের লেখা ‘রাম বন্দনা’ ট্যুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মেডিক্যাল ইভাকুয়েশনের দায়িত্বে থাকা সংস্থা আসান্ধা কোম্পানি লিমিটেডের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গভীর দুঃখের সঙ্গে আমরা জানাচ্ছি কিশোরটির অকাল প্রয়াণ দুর্ভাগ্যজনক। ১৮ জানুয়ারি ছেলেটিকে জরুরি ভিত্তিতে মেডিকেল ইভাকুয়েশন দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও শেষ রক্ষা হয়নি। আসান্ধা কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট ও স্টাফেরা শোকন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাচ্ছে। তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে আমরাও আল্লার কাছে কিশোরটির আত্মার শান্তি কামনা করি (Maldives India Row)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Taiwan: চিনের মুখে ঝামা ঘষে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী লাই

    Taiwan: চিনের মুখে ঝামা ঘষে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী লাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলেন তাইওয়ানের (Taiwan) লাই চিং-তে। তিনি ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির প্রার্থী। শনিবার নির্বাচন শেষে ভোট গণনা শুরু হয় তাইওয়ানে। গণনা শুরু হতেই স্পষ্ট হয়ে যায় প্রেসিডেন্ট পদে জিততে চলেছেন চিং-তে।

    চিন বিরোধী লাই

    গণনা শেষে দেখা গেল, তিনিই জয়ী হয়েছেন। নির্বাচন না করতে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল চিন। ড্রাগনের দেশের সেই হুমকি উড়িয়েই হয় নির্বাচন। জয়ী হন চিং-তে। বর্তমানে তিনি দ্বীপরাষ্ট্রটির উপরাষ্ট্রপতি। তিনি বরাবরই তাইওয়ানের (Taiwan) পৃথক পরিচিতির পক্ষে সওয়াল করে আসছেন। চিন যে তাইওয়ানকে তাদের দেশের অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করে, তাকেও ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চিং-তে-র দুই প্রতিদ্বন্দ্বীই গোহারা হেরেছেন। এঁরা হলেন, তাইওয়ানের বৃহত্তম বিরোধী পার্টি কেএমটির হৌ ইউ-ই এবং তাইপেইয়ের ভূতপূর্ব মেয়র তাইওয়ান পিপলস পার্টির কো ওয়েন-জে।

    ‘বিপজ্জনক বিচ্ছিন্নতাবাদী’

    চিং-তে-কে বিপজ্জনক বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে তোপ দেগেছে চিন। বেজিং এও বলেছিল, তাইওয়ানের ফর্মাল স্বাধীনতার দিকে এগনো মানে যুদ্ধের জন্ম দেওয়া। চিং-তের সঙ্গে কোনও প্রকার আলোচনা করতেও অস্বীকার করেছিল তারা। এহেন আবহেও তাইওয়ানের প্রত্যেক নাগরিককে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন চিং-তে। নির্বাচনের আগে তিনি বলেছিলেন, “প্রতিটি ভোট মূল্যবান। কেননা এই গণতন্ত্র অনেক কষ্টে অর্জন করেছে তাইওয়ান।” উপরাষ্ট্রপতি এও বলেছিলেন, “দেশে শান্তি বজায় রাখতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাইওয়ান প্রণালী বরাবর স্থিতাবস্থাও বজায় রাখব। রক্ষা করব দ্বীপরাষ্ট্রের নিরাপত্তা।”

    আরও পড়ুুন: “রাম বোধ হয় বিপিএল ছিলেন”! তৃণমূল সাংসদের মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক

    প্রসঙ্গত, তাইওয়ানে প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। তাইওয়ানের এই নির্বাচন ঘিরে আমেরিকা ও চিনের হুমকি-পাল্টা হুমকি শুরু হয়ে গিয়েছিল অনেক আগেই। বেজিং জানিয়ে দিয়েছিল, তাইওয়ানের নির্বাচনে ওয়াশিংটন প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করলে তার পরিণাম খারাপ হবে। চিনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ মাধ্যম জানিয়ে দিয়েছিল, এক চিন নীতি থেকে কোনও অবস্থায়ই সরে আসবে না বেজিং। আমেরিকাও জানিয়ে দিয়েছিল, কোনও অবস্থায়ই চিনের হুমকির কাছে মাথা নোয়াবে না তারা। পেন্টাগনের এক আধিকারিক বলেছিলেন, “ভোটে যে পক্ষই জয়ী হোক না কেন, আমেরিকার তাইওয়ান (Taiwan) নীতিতে কোনও পরিবর্তন হবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Bhutan Election: ব্যর্থ চিন! ভুটানের নয়া প্রধানমন্ত্রী ‘ভারতের বন্ধু’ শেরিং তোবগে, শুভেচ্ছা মোদির

    Bhutan Election: ব্যর্থ চিন! ভুটানের নয়া প্রধানমন্ত্রী ‘ভারতের বন্ধু’ শেরিং তোবগে, শুভেচ্ছা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুটানের ভোটে (Bhutan Election) জয়ী হল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি)। ভুটানে দ্বিতীয় দফার সংসদীয় নির্বাচনে ৪৭টি আসনের মধ্যে ৩০টি আসনে জিতেছে শেরিং তোবগের দল। ‘ভারত বন্ধু’ বলে পরিচিত শেরিং তোগবে। তিনিই পাহাড় ঘেরা ছোট্ট দেশে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় খুশি ভারতীয় কূটনীতিবিদরা। ইতিমধ্যেই শেরিং তোবগেকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)।

    বিপুল ভোটে জয়লাভ

    মঙ্গলবার ভুটানে দ্বিতীয় তথা চূড়ান্ত দফার সংসদীয় নির্বাচন (Bhutan Election) হয়েছিল। মোট ৪৭টি আসনের মধ্যে ৩০টিতে জিতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়েছে শেরিংয়ের দল পিডিপি। গত বছর গঠিত হওয়া চিন পন্থী নতুন দল ‘ভুটান টেন্ড্রেল পার্টি’ (বিটিপি) বাকি ১৭টিতে জিতে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি’তে বিরোধী শক্তি হয়েছে। সঙ্গত, ভুটানের সাধারণ নির্বাচন দু’টি পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দু’টি দল দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে অংশ নেয়। নভেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রথম পর্যায়ের নির্বাচনে পিডিপি ৪২ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়েছিল। বিটিপির ঝুলিতে গিয়েছিল প্রায় ২০ শতাংশ।বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিংয়ের দল ‘ড্রুক নয়ামরুপ সোগপা’ (ডিএনটি) ২০১৮-র ভোটে ৩০টি আসনে জিতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেলেও নভেম্বরের নির্বাচনে ১৫ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: মৃত্যুর পরও পারভেজ মুশারফকে মৃত্যুদণ্ড পাক শীর্ষ আদালতের

    ভারতের বন্ধু শেরিং

    প্রসঙ্গত, পিডিপি নেতা শেরিং ২০১৩-১৮ ভুটানের প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন। তার সময় ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক কূটনীতি এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছিল। ২০১৮ সালে ভারতেও এসেছিলেন শেরিং। দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে। ভুটানের ভোটে (Bhutan Election) নাক গলানোর কম চেষ্টা করেনি চিন। ভারত বন্ধুদের হারানোর চেষ্টাও করলেও সফল হয়নি বেজিং।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বুধবার ভোটে জয়ের জন্য অভিনন্দনবার্তা পাঠিয়েছেন শেরিংকে। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, ‘‘আমার বন্ধু শেরিং তোগবে এবং তাঁর দল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টিকে সংসদীয় নির্বাচনে জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানাই। এর ফলে ভারত-ভুটান দ্বিপাক্ষিক মৈত্রী এবং সহযোগিতা আরও নিবিড় হবে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Maldives Row: ভ্রমণ বাতিল করছেন ভারতীয়রা, এবার চিনকে পর্যটক পাঠানোর অনুরোধ মলদ্বীপের

    India Maldives Row: ভ্রমণ বাতিল করছেন ভারতীয়রা, এবার চিনকে পর্যটক পাঠানোর অনুরোধ মলদ্বীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করে বিপাকে মলদ্বীপ সরকার। প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করায় হাজার হাজার ভারতীয় পর্যটক বয়কট করতে শুরু করেন দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপকে (India Maldives Row)। বিমান-হোটেলের টিকিট বাতিল করতে থাকেন শ’য়ে শ’য়ে ভারতীয় পর্যটক। নিত্যদিন সেই সংখ্যার লেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী। যার জেরে পর্যটন ব্যবসা ভয়ঙ্করভাবে মার খাবে বলে ইঙ্গিত পেয়ে যায় মলদ্বীপ সরকার।

    চিনা প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ

    ঠেলায় পড়ে মলদ্বীপের চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে অনুরোধ জানালেন আরও বেশি করে পর্যটক পাঠানোর। বর্তমানে পাঁচ দিনের চিন সফরে রয়েছেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। সেখানেই পর্যটক-ভিক্ষে করেছেন মুইজ্জু। কেবল তাই নয়, মলদ্বীপে বিশেষ পর্যটন অঞ্চল গড়ার জন্য চিনের সঙ্গে ৫ কোটি ডলারের একটি চুক্তিও স্বাক্ষর করেন মুইজ্জু। মঙ্গলবার ফুজিয়ান প্রদেশের একটি বিজনেস ফোরামে বক্তৃতা (India Maldives Row) দেন মুইজ্জু। তিনি বলেন, “প্রাক অতিমারি পর্বে চিন আমাদের প্রধান বাণিজ্য সহযোগী ছিল। আমরা আবার সেই পরিস্থিতিতে ফিরতে চাই।” এর পরেই মলদ্বীপে আরও বেশি করে চিনা পর্যটকরা যাতে যান, সেই আবদার করেন দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। 

    বিপাকে মলদ্বীপ সরকার

    সম্প্রতি কেন্দ্রশাসিত লাক্ষাদ্বীপ সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সফরের কিছু ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সমাজমাধ্যমে। অভিযোগ, এর পরেই মলদ্বীপের তিন জুনিয়র মন্ত্রী মরিয়ম শিউনা, মালশা শরিফ এবং মাহজুম মাজিদ কয়েকটি ছবিতে প্রধানমন্ত্রীকে পুতুল ও জোকার বলে মন্তব্য করেন। ভারত-ইজরায়েল সম্পর্ক নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়। এর পরেই আক্ষরিক অর্থে মলদ্বীপ বয়কটের হিড়িক পড়ে যায়। দলে দলে ভারতীয় পর্যটক মলদ্বীপ ভ্রমণের সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেন। মলদ্বীপ বয়কটের ডাকও দেন ভারতীয় পর্যটকরা। বিপাকে পড়ে যায় মলদ্বীপ সরকার।

    আরও পড়ুুন: বছরে মিলবে ১২ হাজার টাকা! মহিলা কৃষকদের নগদ বৃদ্ধির ভাবনা কেন্দ্রের

    ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়ে মুইজ্জু সরকার। বাধ্য হয়ে সাসপেন্ড করা হয় অভিযুক্ত তিন মন্ত্রীকে। যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি তোলেন মলদ্বীপেরই দুই প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলি ও মহম্মদ নাসির। তাঁরা সাফ জানিয়ে দেন, ভারত মলদ্বীপের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এমন মন্তব্য বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে (India Maldives Row)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Maldives row: “ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ককে শ্রদ্ধা করি”, মলদ্বীপকাণ্ডে জানাল চিন

    India Maldives row: “ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ককে শ্রদ্ধা করি”, মলদ্বীপকাণ্ডে জানাল চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ককে শ্রদ্ধা করি।” মলদ্বীপকাণ্ডে (India Maldives row) এবার জানিয়ে দিল কমিউনিস্ট পার্টি শাসিত চিন। ভারত বিরোধিতা করার জন্য মলদ্বীপকে চিনের তরফে কোনও উসকানিও দেওয়া হয়নি বলে সাফ জানিয়ে দিল বেজিং।

    ঘটনার নেপথ্যে চিনা উসকানি?

    ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করায় ব্যাপক হইচই হয় দেশজুড়ে। যেহেতু মলদ্বীপের নয়া প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু চিনপন্থী হিসেবেই পরিচিত, তাই অনেকের ধারণা চিনের তরফে উসকানি পেয়েই ভারতের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রী। এই ঘটনায় (India Maldives row) সোমবার দায় ঝেড়ে ফেলল ড্রাগনের দেশ। কিছুদিন আগেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিল একদলীয় চিনের সরকারি দৈনিক ‘গ্লোবাল টাইমস’। সেই গ্লোবাল টাইমসেই এদিন বলা হয়েছে, আমরা মলদ্বীপকে সমান স্তরের সহযোগী ভাবি এবং তাদের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করি।

    চিন সফরে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট

    বর্তমানে চিন সফরে গিয়েছেন মুইজ্জু। ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের সম্পর্কের যাতে আর অবনতি না হয়, সেই কারণেই বেজিং ভারতকে বার্তা দিল বলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা। কারণ, মলদ্বীপে শিক্ষা-সহ নানা ধরনের উন্নতিতে দ্বীপরাষ্ট্রকে সহযোগিতা করছে ভারত। গত সেপ্টেম্বরে মলদ্বীপে ক্ষমতায় আসেন মুইজ্জু। তার পর থেকে ভারত-বিরোধী নানা পদক্ষেপ করেছেন মলদ্বীপের চিনপন্থী এই শাসক। এহেন আবহে সম্প্রতি লাক্ষাদ্বীপে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সফরের কয়েকটি ছবি এবং ভিডিও তিনি পোস্ট করেছিলেন সমাজমাধ্যমে। সেই ছবি এবং ভিডিও ভাইরালও হয়।

    আরও পড়ুুন: বালু ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে হবে! সিদ্ধান্ত কোর কমিটির বৈঠকে

    অভিযোগ, মলদ্বীপের তিন মন্ত্রী মরিয়ম শিউনা, মালশা শরিফ এবং মাহজুম মাজিদ কিছু ছবিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ‘পুতুল’ ও ‘জোকার’ বলে মন্তব্য করেন। আপত্তিকর মন্তব্য করা হয় ভারত-ইজরায়েল সম্পর্ক নিয়েও। ঘটনার জেরে সাসপেন্ড করা হয় ওই তিন জুনিয়র মন্ত্রীকে। মলদ্বীপ ভ্রমণ বাতিল করতে থাকেন ভারতীয় পর্যটকরা। চাপে পড়ে যায় দ্বীপরাষ্ট্র। কারণ মলদ্বীপে ফি বছর যত পর্যটক আসেন, তার সিংহভাগই ভারতীয়। মুইজ্জুর বিরোধীরা তড়িঘড়ি জানিয়ে দেন, মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রীর মন্তব্য তাঁদেরই, মলদ্বীপের সাধারণ মানুষের নয়। এমতাবস্থায় মলদ্বীপকাণ্ড নিয়ে হাত ধুয়ে ফেলল চিনের শি জিনপিং সরকার। জানিয়ে দিল, “ভারত-মলদ্বীপের বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ককে আমরা শ্রদ্ধা করি। ভারতের সঙ্গ ছাড়তে চিন কখনওই বলেনি মলদ্বীপকে (India Maldives row)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India China Relation: সীমান্তে উত্তেজনা নিরসনে সমাধান সূত্র খুঁজছে ভারত-চিন, জানাল বিদেশমন্ত্রক

    India China Relation: সীমান্তে উত্তেজনা নিরসনে সমাধান সূত্র খুঁজছে ভারত-চিন, জানাল বিদেশমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভারত যে বরাবরই সুসম্পর্ক চায়, তা নানা সময় বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে চিনের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনাও চালিয়ে যাচ্ছে ভারত (India China Relation)।

    কী বলল বিদেশমন্ত্রক?

    বৃহস্পতিবার ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রাজিন্দর জয়সওয়াল বলেন, “পড়শি দেশ চিনের ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান সুবিদিত। এটা এমন একটা সম্পর্ক, যেটা স্বাভাবিক নয়। কিন্তু আমরা দুই দেশই আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। মিলিটারির পাশাপাশি কূটনৈতিক আলোচনাও হয়েছে গত অক্টোবর ও নভেম্বরে। আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে কোনও সমাধান সূত্রে পৌঁছানো যায়।” জয়সওয়াল বলেন (India China Relation), “অক্টোবর মাসে দুই দেশের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। আলাপ-আলোচনা এবং নেগোসিয়েশন নিয়ে মিলিটারি ও কূনৈতিক মেকানিজম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে তারা যাবতীয় যা করার, তা করবে বলে প্রতিশ্রুত হয়েছে।”

    শান্তি বজায় রাখতে চায় দুই দেশই

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “ভারত ও চিনের মধ্যে ২০তম ওয়ার্কিং মেকানিজম ফর কনসাল্টেশন অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন অন ইন্ডিয়া-চায়না বর্ডার অ্যাফেয়ার্স বৈঠকটি হয়েছে। এটা কূটনৈতিক স্তরের বৈঠক। আমাদের ইস্ট এশিয়ার জয়েন্ট সেক্রেটারিও অংশ নিয়েছিলেন ওই বৈঠকে। তাঁদের মধ্যে ভালো আলোচনা হয়েছে। আলোচনা হয়েছে গঠনমূলক, মুক্তভাবে। সীমান্তে যা সমস্যা আছে, তা মেটাতে দু পক্ষই যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেগুলির বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুই দেশই যে সীমান্তে উত্তেজনা কমিয়ে শান্তি বজায় রাখতে চায়, সে বিষয়ে সহমত পোষণ করেছে। সীমান্তে একটা স্থিতাবস্থা বজায় রাখতেও সম্মত হয়েছে দুই দেশ। কোনও অবাঞ্ছিত ঘটনাও যাতে না ঘটে, সেই বিষয়েও একমত হয়েছে ভারত এবং চিন।”

    আরও পড়ুুন: বাম মুখে ‘রাম’ নাম! প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ চিনের সরকারি দৈনিক

    তিনি বলেন, “সেই কারণেই দুই দেশই কথাবার্তা চালিয়ে যেতে রাজি হয়েছে। মিলিটারি এবং কূটনৈতিক দুই চ্যানেলেই আলোচনা চলবে। কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে সিনিয়র কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকও হবে।” ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত-চিন সীমান্তের পশ্চিমাঞ্চলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে দুই দেশই (India China Relation)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share