Tag: China

China

  • PM Modi: বাম মুখে ‘রাম’ নাম! প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ চিনের সরকারি দৈনিক

    PM Modi: বাম মুখে ‘রাম’ নাম! প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ চিনের সরকারি দৈনিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ঘোরতর দক্ষিণপন্থী। আর তাঁর প্রশস্তি গাওয়া হয়েছে যে দেশে, সেই দেশটি কট্টর বামপন্থী। আসলে উন্নয়নের বোধহয় কোনও পন্থা নেই! কেবল তাই নয়, ভারতের প্রতিবেশী এই দেশটি সদা সর্বদা ব্যস্ত ভারতেরই ক্ষতি করতে। ফেরা যাক আসল কথায়।

    চিনের প্রতিবেদনে মোদি-স্তুতি

    ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) প্রশংসা করে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে চিনের পত্রিকা ‘গ্লোবাল টাইমসে’ (Global Times)। প্রতিবেদনটিতে মোদির অর্থনৈতিক, সামাজিক শাসন ও বিদেশনীতির ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জমানায় অর্থনৈতিক, সামাজিক শাসন ও বিদেশনীতির ক্ষেত্রে ভারতের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভারত কৌশলগতভাবে আরও আত্মবিশ্বাসী ও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ভারত তাদের নিজস্ব একটি ব্যাখ্যাও তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।

    মোদির সাফল্য

    লাল পার্টির দেশ চিনে সংবাদপত্রও রয়েছে রাষ্ট্রের অধীনে। প্রতিবেদনটি যিনি লিখেছেন, তিনি সাংহাইয়ের ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের ডিরেক্টর ঝাং জিয়াডং। প্রতিবেদনটিতে (Global Times) গত চার বছরে ভারতের উল্লেযোগ্য সাফল্যগুলি তুলে ধরা হয়েছে। ভারতের শক্তপোক্ত অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, শাসন ব্যবস্থার উন্নতি এবং চিন-সহ আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রতি মনোভাবের পরিবর্তনেরও ভূসয়ী প্রশংসা করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনটিতে। প্রতিবেদক লিখেছেন (PM Modi), “চিন ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা নিয়ে আলোচনা করার সময় ভারতীয় প্রতিনিধিরা আগে প্রাথমিকভাবে বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা কমাতে চিনের পদক্ষেপের ওপর দৃষ্টি দিতেন। কিন্তু এখন তারা ভারতের রফতানি সম্ভাবনার ওপর বেশি জোর দিচ্ছেন।”

    আরও পড়ুুন: “ক’জন ভিআইপি রয়েছেন? কী কী সুবিধা পাচ্ছেন?’’ এসএসকেএমের জবাব তলব হাইকোর্টের

    ঝাং জিয়াডং লিখেছেন, “রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক রাজনীতির ভারতীয় বৈশিষ্ট্য তুলে ধরার জন্য পশ্চিমের সঙ্গে তার গণতান্ত্রিক ঐক্যমত্যের ওপর জোর দেওয়া থেকে সরে এসেছে ভারত। বর্তমানে গণতান্ত্রিক রাজনীতির ভারতীয় উৎসের ওপর বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে।” প্রতিবেদক লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় বসার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, রাশিয়া ও অন্যান্য দেশ এবং আঞ্চলিক সংস্থাগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ককে উন্নীত করে বহু সংখ্যাবদ্ধ কৌশলের পক্ষে সওয়াল করছেন তিনি (PM Modi)। ভারতের বহু ভারসাম্য থেকে বহু সারিবদ্ধতায় স্থানান্তরিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে মাত্র ১০ বছরেরও কম সময়ে। (এই সময়টাই মোদির আমল।) আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ইতিহাসে এমন পরিবর্তনের গতি খুব কমই দেখা যায়।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • IPL 2024: স্বাগত নয় চিনা কোম্পানি! আইপিএলের স্পনসরশিপে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত বিসিসিআই-এর

    IPL 2024: স্বাগত নয় চিনা কোম্পানি! আইপিএলের স্পনসরশিপে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত বিসিসিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন আইপিএল (IPL 2024) টুর্নামেন্টের জন্য টাইটেল স্পনসর খুঁজছে বিসিসিআই। সূত্রের খবর, আবেদনকারীদের জন্য শর্ত বেশ কড়া রেখেছে ভারতীয় ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা। তার মধ্যে আবার চিনভিত্তিক সংস্থাগুলোকে স্পনসরশিপ দেওয়া নিয়ে দ্বিধা রয়েছে বিসিসিআইয়ের। ভারত-বিরোধী কোনও দেশের, কোনও সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হতে নারাজ ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। শোনা যাচ্ছে, আইপিএলের চিনা স্পনসরদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের ব্যবস্থা নিতে চলেছে জয় শাহরা।

    কেন ব্রাত্য চিন

    বিগত কয়েকবছর ধরে চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক একেবারেই ভালো নয়। ইতিপূর্বে চিনের ফোন প্রস্তুতকারক সংস্থা ভিভো আইপিএল (IPL 2024) টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পনসর ছিল। কিন্তু সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে পারদ চড়তেই ভিভোকে পাঁচ বছরের চুক্তি কেটে বেরিয়ে যেতে হয়। সেই সময় টাটা গ্রুপ আইপিএল আয়োজকদের পাশে থাকায় বিপদের সময়ে সমস্যা থেকে রক্ষা পায় ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা। সেই কারণেই এবার নিলামে অংশগ্রহণের শর্তে জানানো হয়েছে, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক নেই এমন কোনও অঞ্চলের সংস্থার আবেদন এই নিলামে গ্রাহ্য হবে না। 

    আরও পড়ুন: আসছে বেঙ্গল প্রিমিয়ার লিগ! নেপথ্যে সৌরভ, থাকতে পারে কলকাতা, মুম্বই, লখনউ

    নিলামে অংশ নিলে মানতে হবে নানা শর্ত

    সম্প্রতি এক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, বিসিসিআই আইপিএল (IPL 2024) টুর্নামেন্টে টাইটেল স্পনসরের জন্য একটা টেন্ডার বের করেছে। সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, যে সকল দেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নেই, তাদের এই টেন্ডার নিয়ে মাথা ঘামানোরও দরকার নেই। এবার আইপিএল-এ স্পনসরশিপ পেতে হলে  নিলামে অংশগ্রহণকারী সংস্থাকে বিস্তারিত জানাতে হবে। অংশগ্রহণকারী সংস্থার মূল কোম্পানি কী, শেয়ার হোল্ডার কারা, সংস্থার সুবিধাভোগী কারা- সবই বিস্তারিত জানাতে হবে। শুধু তাতেই হবে না। অংশগ্রহণকারী সংস্থা কোনও অ্যাপভিত্তিক খেলা, খেলার পোশাক তৈরি, ক্রিপটোকারেন্সি, বেটিং, জুয়া, মদ প্রস্তুতের সঙ্গে যুক্ত থাকলে নিলামে বাতিল ঘোষিত হবে। বিসিসিআই চাইছে পাঁচ বছরের জন্য, ২০২৮ সাল পর্যন্ত এই চুক্তি করতে। নিলাম প্রক্রিয়া চলবে জানুয়ারির মাঝামাঝি, ১৩-১৪ তারিখ পর্যন্ত। নিলামে আমন্ত্রণপত্র ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত কেনা যাবে। টাইটেল স্পনসরশিপের বেস প্রাইস প্রতি বছরে ৩৬০ কোটি টাকা। এরপর যে সংস্থা যতটা ভালো দর হাঁকতে পারবে, তারাই শেষ পর্যন্ত এই টেন্ডারের দাবিদার হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • China: আত্মহত্যা না খুন! চিনের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাং-এর মৃত্যু নিয়ে প্রশ্নের মুখে প্রেসিডেন্ট জিনপিং

    China: আত্মহত্যা না খুন! চিনের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাং-এর মৃত্যু নিয়ে প্রশ্নের মুখে প্রেসিডেন্ট জিনপিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাসখানেকেরও বেশি সময় ধরে জনসমক্ষে দেখা যায়নি চিনের (China) প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাংকে (Qin Gang)। ২৫ জুন বেজিংয়ে শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম এবং রাশিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কিন গ্যাং। তারপর থেকেই তাঁকে আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, চিনের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাংয়ের মৃত্যুসংবাদ। অথচ, তাঁর মৃত্যু হয়েছে মাস পাঁচেক আগে। গত জুলাইয়ের শেষ দিকে বেজিংয়ের হাসপাতালে কিন শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। কী ভাবে এই মৃত্যু, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। অনেকেই দাবি করছেন, প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন। অনেকে আবার মনে করছেন, অত্যাচার করে তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে। আসলে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping ) কী করছেন তা গোপনই থেকে যাচ্ছেয তাঁর স্বৈরাচারী মনোভাব বারবার সামনে এলেও, প্রমাণ আড়াল করা হচ্ছে, মত বিশেষজ্ঞদের।

    কে ছিলেন কিন গ্যাং

    গ্যাং ছিলেন চিনের রাজনীতিতে উদীয়মান নক্ষত্র। সারা জাগিয়ে শুরু করেও কেন এভাবে পতন, তা নিয়ে ইতিমধ্যে বিশ্ব জুড়ে শুরু হয়েছে ময়নাতদন্ত। চিনের রাজনীতিতে বিতর্কিত এবং বর্ণময় চরিত্র এই কিন গ্যাং। তিনি কমিউনিস্ট পার্টির দাপুটে রাজনীতিবিদ ছিলেন। মাস ছয়েক সামলেছেন বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব। গত জুলাই মাসে কিনকে বিদেশমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত করেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল। অপসারণের পরেই কিনের মৃত্যু হয়। গত ২৫ জুলাই প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইকে (Wang Yi) ফের মন্ত্রকের দায়িত্বে ফিরিয়ে আনা হয়। সেই সময়ে চিনা প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছিল, অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কিন গ্যাং। যদিও পরে সরকারি নথিপত্র-সহ সমস্ত জায়গা থেকেই সরিয়ে নেওয়া হয় এই কথা। তারপর থেকেই চিনা প্রশাসন থেকে মুছে ফেলা হচ্ছে কিন গ্যাংয়ের অস্তিত্ব।

    কী করেন কিন

    দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল একটি রিপোর্টে কিনের পরকীয়ার কথা উল্লেখ করেছিল। আমেরিকায় চিনের রাষ্ট্রদূতের ভূমিকা পালন করেছিলেন কিন। সেই সুবাদে দীর্ঘ দিন আমেরিকায় ছিলেন তিনি। অভিযোগ, তখনই তাঁর সঙ্গে এক মার্কিন তরুণীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিনের এই পরকীয়া সম্পর্কের কথা সামনে আসতেই বিপদে পড়েন জিনপিং ঘনিষ্ঠ কিন। মনে করা হয় তিনি তাঁর প্রেমিকার কাছে চিন সরকারের গোপনীয় তথ্য ফাঁস করে দিচ্ছেন। কিনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছিল। জুলাই মাসে কিনকে বিদেশ মন্ত্রক থেকে সরিয়ে দেন জিনপিং। তার পর আর তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপরই তাঁর মৃত্যু হয়। 

     লি খেচিয়াং-এর মৃত্যু

    গত অক্টোবর মাসে মারা যান চিনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লি খেচিয়াং। দশ বছর ধরে চিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। বর্তমান প্রেসিডেন্ট তথা কমিউনিস্ট পার্টির আজীবন সদস্য শি জিনপিংয়ের সঙ্গে লি খেচিয়াংয়ের সম্পর্কে ফাটল দেখা দিতেই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অবসর নেন খেচিয়াং। এরপর সাংহাইতে আচমকাই সুইমিং পুলে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তাঁর মৃত্যুও রহস্যাবৃত।

    আরও পড়ুন: করাচিতে গুলিতে নিকেশ কাশ্মীর হামলার মাথা, ২৬/১১-এর ষড়যন্ত্রীর শরীরে বিষক্রিয়া

    লি স্যাংফু নিখোঁজ

    লি স্যাংফু হলেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বিরোধী লবির সদস্য। চিনের সঙ্গে আফ্রিকার শান্তি ও সুরক্ষা ফোরামের একটি বৈঠক হয়েছিল বেজিংয়ে, সেটা ছিল ২৯ অগাস্ট। তখনই শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে (Chinese Defence Minister)। লি পার্টির স্টেট কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। সম্প্রতি সেখান থেকে তাঁকে অপসারিত করা হয়েছে। তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখনও তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি।

    প্রশ্নের মুখে প্রেসিডেন্ট

    এক এক করে কীভাবে গায়েব হয়ে যাচ্ছেন চিনা মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা? সত্যিই কি তাঁরা নিখোঁজ? নাকি চিনা কমিউনিস্ট শাসনে তাঁদের গোপনে হত্যা করা হচ্ছে? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, চিনে নিরঙ্কুশ আনুগত্য নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাঁর আমলেই ধীরে ধীরে নিচের দিকে নামতে শুরু করেছে অর্থনীতির গ্রাফ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও তাইওয়ান ইস্য়ুতে সংঘাতে জড়িয়েছেন তিনি। ওয়াকিবহাল মহল সূত্রে খবর, এহেন পরিস্থিতিতে প্রশাসনকে দুর্নীতিমুক্ত করার নামে দলের মধ্যে থাকা রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের এক এক করে নির্মূল করছেন চিনা প্রেসিডেন্ট। লি ও কিন বারবার তাঁর একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন। অনেকেরই অনুমান সেই কারণে দু’জনকে গুম খুন করে থাকতে পারেন জিনপিং।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • China Based Facebook: নির্বাচনের আগে ছড়ানো হচ্ছে ‘ভুয়ো তথ্য’! বহু চিনা অ্যাকাউন্ট সরাল মেটা

    China Based Facebook: নির্বাচনের আগে ছড়ানো হচ্ছে ‘ভুয়ো তথ্য’! বহু চিনা অ্যাকাউন্ট সরাল মেটা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরেই হতে চলেছে বিশ্বের দু’দুটি গণতান্ত্রিক দেশে সাধারণ নির্বাচন। একটি বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারত, আর অন্যটি বিশ্বের প্রবীণতম গণতান্ত্রিক দেশ আমেরিকা। সাধারণ নির্বাচনের আগে দুই দেশেই জনমত গঠনে বিরূপ প্রভাব ফেলছিল চিন ভিত্তিক ফেসবুক (China Based Facebook)। ভারতে এরকমই কিছু ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সরিয়ে দিল মেটা। এই অ্যাকাউন্টগুলির সবগুলি জাল। সেগুলি ভারতবাসীকে বিপথেও চালিত করছিল বলে অভিযোগ।

    শতাধিক ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ

    দিন কয়েক আগেই ভারত শতাধিক চিনা ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে খবর। এই ওয়েবসাইটগুলির মুখ ভারতীয়। যদিও সেগুলির মালিক চিনা। ওয়েবসাইটগুলির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লুটে নিচ্ছিল তারা। এবার বন্ধ করা হল ৪ হাজার ৭৮৯টি ফেক ও মিসলিডিং ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। জানা গিয়েছে, এই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে ভুল ও মিথ্যে তথ্য পরিবেশন করা হচ্ছিল। ভারত ও আমেরিকার বিভিন্ন সংবেদনশীল (China Based Facebook) ইস্যু নিয়ে মিথ্যে তথ্য ছড়াচ্ছিল তারা। ভারত-মার্কিন সম্পর্ক নিয়েও গালগল্প ছড়ানো হচ্ছিল। বিকৃত করে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল ভারতীয় রাজনীতির বিভিন্ন খবর।

    তৃতীয় বৃহত্তম ডিসেপটিভ নেটওয়ার্ক

    সম্প্রতি একটি রিপোর্টে মেটা জানিয়েছে, বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ডিসেপটিভ নেটওয়ার্ক রয়েছে চিনে। মেটার পরিভাষায় এদের আচরণ হল ‘কোঅর্ডিনেটেড ইনঅথেনটিক বিহেভিয়ার’। চিনের আগে রয়েছে আরও দুই দেশ। একটি হল রাশিয়া, অন্যটি হল ইরান। মেটার রিপোর্টে বলা হয়েছে, আমরা ১৩টি অ্যাকাউন্ট সরিয়ে দিয়েছি। ৭টি গ্রুপও সরিয়ে দিয়েছি। এরা ভারত ও তিব্বতকে টার্গেট করেছিল। টার্গেট করেছিল আমেরিকাকেও। সন্দেহজনক লোকজন ফেসবুকে এই নেটওয়ার্কগুলি অপারেট করত। এরা এক্স হ্যান্ডেলও চালাত। সাংবাদিক, আইনজীবী এবং মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দিয়ে এগুলি চালাত। এই অঞ্চলে ‘কোঅর্ডিনেটেড ইনঅথেনটিক বিহেভিয়ার’ করছিল ওরা।

    আরও পড়ুুন: “এই জয় আমার নয়, টিম স্পিরিটের”, বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠকে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    অন্তর্তদন্তে আমরা এসব জানতে পেরেছি। মেটা জানিয়েছে, ফেসবুকে ১৩টি অ্যাকাউন্ট এবং ইনস্টাগ্রামে ৭টি গ্রুপ যুক্ত রয়েছে কোঅর্ডিনেটেড ইনঅথেনটিক বিহেভিয়ারে। এই গ্রুপগুলিতে প্রায় ১৪০০ অ্যাকাউন্ট রয়েছে। জানা গিয়েছে, ইংরেজি, হিন্দি এবং চিনা ভাষায় বিভিন্ন আঞ্চলিক সংবাদ পরিবেশন করা হত এই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে। খাবার, সংস্কৃতি এবং তিব্বত ও অরুণাচল প্রদেশের বিভিন্ন খবরও পরিবেশন করা হত (China Based Facebook)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • India GDP: ভয় পাচ্ছে চিন! ২০৩০ সালেই বিশ্ব অর্থনীতিতে তৃতীয় স্থান পেতে চলেছে ভারত?

    India GDP: ভয় পাচ্ছে চিন! ২০৩০ সালেই বিশ্ব অর্থনীতিতে তৃতীয় স্থান পেতে চলেছে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আাগামী ৭ বছরের মধ্যেই বিশ্বের তৃতীয় অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে ভারত (India GDP)। এমনই দাবি করেছে মার্কিন মূল্যায়ন সংস্থা এস অ্য়ান্ড পি গ্লোবাল (S&P)। চলতি অর্থবর্ষে এদেশের জিডিপি ৬.৪ শতাংশে পৌঁছবে। ২০২৬-এ তা আরও বেড়ে দাঁড়াবে ৭ শতাংশ। এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে আমেরিকার ওই মূল্যায়ন সংস্থা। একই সঙ্গে আরেকটি মার্কিন মূল্যায়ন সংস্থা মুডিজ-এর (Moody’s) রিপোর্ট বলছে, চিনের (China) অর্থনৈতিক অবস্থা মোটেই ভাল নয়। তারা বিশ্ব অর্থনীতিতে চিনের রেটিং “স্টেবল” থেকে নামিয়ে “নেগেটিভ” করেছে।

    উৎপাদনশীল দেশ ভারত

    বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারত। নয়াদিল্লির সামনে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন, জার্মানি ও জাপানের মতো সুপার পাওয়ার দেশ। এস অ্য়ান্ড পি গ্লোবালের (S&P) তরফে জানানো হয়েছে, এতদিন পর্যন্ত ভারতের অর্থনীতি ছিল পরিষেবামূলক। এবার সেখানেই বড় পরিবর্তন এসেছে। ধীরে ধীরে উৎপাদনশীল দেশে পরিণত হচ্ছে ভারত। যা অর্থনীতির দিক থেকে ভারতকে শক্তিশালী করছে। কয়েক বছরের মধ্যেই চিনের মতোই বিশ্বের অন্যতম বড় উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হবে ভারত। 

    ভারতের মার্কেট

    ঘরোয়া বাজারে ব্যবসায় প্রভূত লাভের কথাও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের সর্বাধিক জনবহুল দেশ হল ভারত (India GDP)। ফলে দেশীয় মার্কেটে বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী বিক্রির সুযোগ থাকছে। মার্কিন সংস্থার দাবি, জনবহুল দেশে সব সময়ই উদ্যোগপতিরা বেশি বিনিয়োগ করতে চান। কারণ সেখানে লোকসানের সম্ভাবনা প্রায় থাকে না বললেই চলে। মার্কিন গবেষকরা জানিয়েছেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে ভারতের অর্থনীতির চাকা আরও দ্রুত গতিতে দৌড়বে। ফলে ২০৩০-এর মধ্যেই ভারত সারা বিশ্বে তৃতীয় অর্থনীতির দেশ হিসেবে নিজের জায়গা পাকা করবে।

    আরও পড়ুন: ‘‘দাদা আপনার বয়স হয়েছে’’! সৌগতকে ফের খোঁচা শাহের, কেন জানেন?

    চিনের বিপদ

    ভারত (India GDP) যেখানে এগিয়ে চলেছে, বিশ্ববিখ্যাত রেটিং এজেন্সি মুডিজ সেখানে চিন (China) ও তার প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের জন্য বিপদের ঘণ্টা বাজিয়েছে।  সংস্থার সর্বশেষ রিপোর্ট, চিনের অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে স্থিতিশীল থেকে নেতিবাচক দিকে স্থানান্তর করেছে। উল্লেখ্য যে, চিন ইতিমধ্যেই তার ক্রমহ্রাসমান অর্থনৈতিক বৃদ্ধি নিয়ে অত্যন্ত চিন্তিত। এছাড়াও, সেখানকার রিয়েল এস্টেট সেক্টরও ক্রমাগত ভেঙে পড়ছে। এই পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হওয়ারও কোনও সম্ভাবনা নেই, বলে মত সংস্থার বিশেষজ্ঞদের। এমন পরিস্থিতিতে, মুডিজ (Moody’s) চিনকে সামগ্রিকভাবে ‘এ-১’ রেটিং দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, চিনের প্রপার্টি সেক্টর সমগ্র অর্থনীতির অনুপাতে ২০২১ সালে আগের চেয়ে ক্রমশ ছোট হবে। এর ফলেই ধাক্কা খাবে সে দেশের অর্থনীতি। অন্যদিকে, ভারতের ক্রমবর্ধমান জিডিপি চিনকে ভয় ধরাতে বাধ্য। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chinese Websites: জালিয়াতি রুখতে পদক্ষেপ কেন্দ্রের, ভারতে নিষিদ্ধ হচ্ছে শতাধিক চিনা ওয়েবসাইট

    Chinese Websites: জালিয়াতি রুখতে পদক্ষেপ কেন্দ্রের, ভারতে নিষিদ্ধ হচ্ছে শতাধিক চিনা ওয়েবসাইট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়েবসাইট খুলে দিব্যি চলছিল জালিয়াতি কারবার। চিনে বসেই ভারত থেকে লুটে নেওয়া হচ্ছিল কোটি কোটি টাকা (Chinese Websites)। সর্বস্বান্ত হয়ে পথে বসেছিলেন সাধারণ মানুষ। ভারত থেকে অবৈধভাবে লুটে নেওয়া টাকায় ফুলেফেঁপে উঠছিলেন ওয়েবসাইটগুলির চিনা মালিকরা। ঘটনাটি নজরে আসতেই দুর্নীতির মূলে কুঠারাঘাত করল কেন্দ্র।

    ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু

    ড্রাগনের দেশের লুটেরাদের খপ্পর থেকে দেশবাসীকে বাঁচাতে ১০০টিরও বেশি বিনিয়োগ কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করল নয়াদিল্লি। জানা গিয়েছে, এই বিনিয়োগ কেলেঙ্কারির সাইটগুলির মুখ ভারতীয়। তবে হাত ফের হয়ে লুটে নেওয়া অর্থ পৌঁছে যায় ওয়েবসাইগুলির (Chinese Websites) চিনা মালিকদের কাছে। এই সাইটগুলি ব্লক করতে ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কেন্দ্রের মতে, এই অ্যাপগুলি ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করছিল।

    অনলাইন প্রতারণা থেকে বাঁচতে কী করবেন? 

    কীভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন এই জালিয়াতি থেকে? প্রথমত, বিশ্বস্ত অ্যাপ ছাড়া অপরিচিত কোনও অ্যাপ ব্যবহার করবেন না। কেন্দ্রীয় সাইবার নিরাপত্তা সার্ট-ইন সংস্থার ‘ফ্রড অ্যালার্ট’, এসসিএসএপি-র ‘এমসেফ’ বা ‘অ্যান্টি-ফিশিং অ্যাপ’ ইনস্টল করুন। এই অ্যাপগুলি আপনাকে নিয়মিত সতর্ক করবে। দ্বিতীয়ত, ব্যক্তিগত তথ্য যত সম্ভব কম শেয়ার করুন। ফোন নম্বর, ইমেল অ্যাড্রেস এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মতো বিষয় শেয়ার করবেন না।

    তৃতীয়ত, সন্দেহজনক কোনও ইমেল এবং মেসেজ যেগুলো আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চায়, সেসব ইমেল ও মেসেজ এড়িয়ে চলুন। চতুর্থত, বিশ্বস্ত সোর্স যেমন, অফিসিয়াল অ্যাপ স্টোরগুলি থেকেই ডাউনলোড করুন। আনভেরিফায়েড ওয়েবসাইটগুলি কখনওই ডাউনলোড করবেন না। পঞ্চমত, সফ্টওয়্যার আপডেট নিয়মিত মেনটেন করুন। এটা আপনার নিরাপত্তা বাড়াতে সাহায্য করবে। সর্বোপরি, উপযুক্ত ভেরিফিকেশন না করে কখনওই অনলাইনে কাউকে পেমেন্ট করবেন না (Chinese Websites)। 

    আরও পড়ুুন: মমতা-নীতীশদের অনুপস্থিতির জের! শরিক-ঘোঁটে ভেস্তে গেল ইন্ডি-জোটের বৈঠক?

    প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে ভারত সরকার ২৫০টির মতো চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে। এই অ্যাপগুলি ভারতের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষার পক্ষে ক্ষতিকর ছিল। এবার নিষিদ্ধ করা হচ্ছে আরও শতাধিক চিনা অ্যাপ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • China Outbreak: চিনে বাড়ছে সংক্রমণ, ভারতে হাসপাতাল ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে রাজ্যগুলিকে চিঠি কেন্দ্রের  

    China Outbreak: চিনে বাড়ছে সংক্রমণ, ভারতে হাসপাতাল ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে রাজ্যগুলিকে চিঠি কেন্দ্রের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনে (China Outbreak) ফের লাগাম ছাড়া করোনা সংক্রমণ। জিরো কোভিড নীতি শিথিল করতেই বাড়বাড়ন্ত সংক্রমণের। এখনই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে সে দেশে মৃত্যু হতে পারে অন্তত ২১ লক্ষ মানুষের। চিনের করোনা সংক্রমণ নিয়ে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে আমেরিকার তরফেও।

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবের চিঠি

    এমতাবস্থায় করোনা সংক্রমণ নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের ওপর নজরদারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনা সংক্রমিতদের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ওপর জোর দেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ চিঠিতে বলেছেন, সম্প্রতিই জাপান, আমেরিকা, রিপাবলিক অব কোরিয়া, ব্রাজিল ও চিনে যে হারে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে, সেই বিষয়টি মাথায় রেখে আইএনএসএসিওজি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিত করতে জিনোম সিকোয়েন্সিং করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

    কী বলেছে কেন্দ্র

    স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে বলা হয়েছে হাসপাতাল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে প্রস্তুতি কী রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে (China Outbreak)। হাসপাতালে বেড, জরুরি ওষুধপত্র, মেডিক্যাল অক্সিজেন, অ্যান্টিবায়োটিক্স, টেস্টিং কিটস, পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট ইত্যাদি ব্যবস্থা কেমন রয়েছে, সে ব্যাপারেও খোঁজখবর নিতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক ‘অপারেশনাল গাইডলাইনস ফর রিভাইজড সারভিলিয়েন্স স্ট্র্যাটেজি ইন দ্য কনটেক্সট অফ কোভিড ১৯’ কার্যকর করার পরামর্শও দিয়েছে। চলতি বছরের প্রথম দিকে যে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছিল ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো সমস্যা এবং তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: পাকিস্তান যেন হিন্দুদের বধ্যভূমি, ফের ভাঙা হল মন্দির

    জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জনস্বাস্থ্যের দিকে জোর দিতে ওয়ান হেলথ জাতীয় সার্বিক স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার। এক্ষেত্রে অতিমারির সময় দেশে যেভাবে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়ন হয়েছে, সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে দাবি করা হয়, প্রাথমিক, মাঝারি ও সর্বোচ্চ স্তরে, পর্যায়ক্রমে স্বাস্থ্য পরিষেবা শক্তিশালী করার দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে। জরুরি পরিস্থিতির মোকাবিলায় ভারত যে প্রস্তুত, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আশ্বাস, অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা সহ শ্বাসযন্ত্রের যে ধরনের সংক্রমণ চিনা প্রশাসনের চিন্তা বাড়াচ্ছে, তাতে ভারতের চিন্তার কোনও কারণ নেই। তবে ঢিলেমি দেওয়ার জায়গাও নেই (China Outbreak)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mysterious Pneumonia: করোনার পর ফের মহামারি? চিনে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করল অজানা নিউমোনিয়া

    Mysterious Pneumonia: করোনার পর ফের মহামারি? চিনে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করল অজানা নিউমোনিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার থেকেও ভয়ঙ্কর কোনও মহামারি কি ফের একবার থাবা বসাতে চলেছে? এমনই আশঙ্কা দানা বাঁধতে শুরু করেছে। সম্প্রতি, চিনে ছড়িয়ে পড়েছে এক রহস্যময় সংক্রমণ (Mysterious Pneumonia)। নিউমেনিয়ার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভিড় করছেন রোগীরা। এই ভাইরাসে বেশিরভাগ আক্রান্ত হচ্ছে চিনের স্কুল পড়ুয়ারা। ভাইরাসের প্রকোপ এতটাই বেশি যে ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিনের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষগুলিকে। চিনের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, এই রহস্যময় নিউমোনিয়া (Mysterious Pneumonia) রোগ মূলত বেজিং এবং লিয়াওনিং প্রদেশে স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেই ছড়িয়েছে। বেশ কয়েকটি স্কুলে শিক্ষকরাও আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি ওই চিনা সংবাদমাধ্যমগুলির।

    রহস্যময় নিউমোনিয়ার লক্ষণ

    চিনের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, রহস্যময় এই নিউমোনিয়ার (Mysterious Pneumonia) লক্ষণগুলি হল— প্রবল জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসে প্রদাহ এবং গায়ে-হাতে-পায়ে ব্যথা। অর্থাৎ কিনা করোনার সঙ্গে উপসর্গগুলির বেশ খানিকটা মিল রয়েছে। তবে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ খানিকটা কম বলেই জানা যাচ্ছে। স্কুলছাত্রদের মধ্যে সংক্রমণের প্রকোপ এতটাই বেশি হয়েছে যে একাধিক জায়গায় ক্লাস বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

    সংক্রমণের ওপর রিপোর্ট তৈরি করা সংস্থা কী বলছে?

    প্রোমেড নামের একটি সংস্থা রয়েছে। যারা বিশ্বের বিভিন্ন সংক্রমণগুলির ওপরে রিপোর্ট তৈরি করে এবং নজরদারি চালায়। এই সংস্থা শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসকে ‘অজানা নিউমোনিয়া’ (Mysterious Pneumonia) নাম দিয়েছে। প্রসঙ্গত, এই সংস্থা করোনা ভাইরাস মহামারি রূপ ধারণ করার আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরেই কোভিড ভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক করেছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, অজানা নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত শিশুদের শরীরের জ্বর হচ্ছে এবং তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই অজানা রোগের বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে৷ হু চিনের কাছে এই অজানা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো সংক্রমণের বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেছে৷

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Niti Aayog Report: ফের এক গোল চিনকে! স্কুল শিক্ষায় বেজিংকে পিছনে ফেলল মোদির ভারত?

    Niti Aayog Report: ফের এক গোল চিনকে! স্কুল শিক্ষায় বেজিংকে পিছনে ফেলল মোদির ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল শিক্ষায় চিনকে পিছনে ফেলে দিল ভারত। বর্তমানে ভারতে স্কুলের সংখ্যা চিনের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি (Niti Aayog Report)। সরকারি নীতির কারণে চিনে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক আন্তর্জাতিক ও বেসরকারি স্কুল। সেগুলিকে সচল রাখতে একটিকে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে অন্যটির সঙ্গে। কেউ কেউ আবার পাততাড়ি গুটিয়ে চলে যাচ্ছে।

    পাততাড়ি গোটাচ্ছে স্কুল

    জিনপিং সরকারের কঠোর নিয়ম, অতিমারি-উত্তর কালে অর্থনৈতিক মন্দা ও বিদেশি পড়ুয়ার সংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকায় সে দেশের স্কুলগুলির দশা বেহাল। স্কুল শিক্ষার বিষয়ে নীতি আয়োগের সর্বশেষ রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে এসব তথ্য। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন থেকেও জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে এক লক্ষ ৮০ হাজারের কাছাকাছি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল। চিনা শিক্ষা ব্যবস্থার এক তৃতীয়াংশই ছিল এই প্রতিষ্ঠানগুলি। প্রতিষ্ঠানগুলিতে পড়াশোনা করত ৫ কোটি ৬ লক্ষ ছাত্রছাত্রী। এই স্কুলগুলির সিংহভাগই হয় ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে, নয়তো একটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্যটিকে।

    হা-পড়ুয়া দশা 

    কোভিড অতিমারি পরিস্থিতিতে চিন ছেড়েছেন বহু বিদেশি। চিন-তাইওয়ান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার জেরেও জিনপিংয়ের দেশ ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে থিতু হয়েছেন অনেকে। এসব কারণেও চিনে কমেছে বিদেশির সংখ্যা। যার প্রভাব পড়েছে ড্রাগনের দেশের বেসরকারি স্কুলগুলিতে। কারণ এই স্কুলগুলিতেই পড়ত তাঁদের ছেলেমেয়েরা (Niti Aayog Report)। নীতি আয়োগের রিপোর্টে এও জানা গিয়েছে, সংখ্যাতত্ত্বের নিরিখে চিনকে পিছনে ফেললেও, ভারতের বহু অঙ্গরাজ্যের স্কুলগুলিরও হা-পড়ুয়া দশা। অনেক রাজ্যে ৫০ শতাংশেরও বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬০ জনেরও কম শিক্ষার্থী রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘তৃণমূল বলে কিছু নেই, পুলিশও কন্ট্রোলে নেই’’! থানায় যুবকের মৃত্যুতে বিস্ফোরক দিলীপ

    এর কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, দুর্বল পরিকাঠামো, প্রধান শিক্ষক কিংবা অধ্যক্ষের অভাব সহ নানা সমস্যায় জর্জরিত এই স্কুলগুলি। সেই কারণেই কমেছে পড়ুয়ার সংখ্যা। সমস্যার সমাধানে স্কুলগুলির একটিকে অন্যটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে নীতি আয়োগ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এভাবে দূর করা যেতে পারে হা-পড়ুয়া দশা। জাতীয় শিক্ষা নীতির সুপারিশ মেনে রাজ্যগুলিকে বড় দ্বাদশ শ্রেণির স্কুল তৈরির পরামর্শও দেওয়া হয়েছে (Niti Aayog Report)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arunachal Pradesh: অরুণাচলে চিন সীমান্তে আধ্যাত্মিক পরিকাঠামো গড়ছে ভারত, বিষয়টা কী?

    Arunachal Pradesh: অরুণাচলে চিন সীমান্তে আধ্যাত্মিক পরিকাঠামো গড়ছে ভারত, বিষয়টা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই অরুণাচল প্রদেশকে (Arunachal Pradesh) চিনের অন্তর্ভুক্ত বলে দাবি করে মানচিত্রের নয়া সংস্করণ প্রকাশ করেছিল বেজিং। তবে অরুণাচল প্রদেশ যে ভারতেই অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে, নানা সময় চিনকে সে বার্তা দিয়েছে ভারত। এবার চিন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছেই আধ্যাত্মিক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে ভারত। 

    তাওয়াংয়ে ‘শস্ত্র পূজা’

    দিন কয়েক আগে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে ‘শস্ত্র পূজা’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সেদিন তিনি তাওয়াং যুদ্ধের স্মৃতিসৌধও পরিদর্শন করেন। শ্রদ্ধা জানান চিন-ভারত যুদ্ধের শহিদদের। এই তাওয়াংয়েই রয়েছে লেজেন্ডারি ছুমি গিস্তে। এখানে রয়েছে ১০৮ পবিত্র জলপ্রপাতও। এটিকেই কাজে লাগাতে চাইছে অরুণাচল প্রদেশ সরকার এবং সেনাবাহিনী। তাদের ধারণা, জায়গাটির ভোল বদল করতে পারলে অভাব হবে না পর্যটকের। ফলে সমঝে দেওয়া যাবে চিনকেও।

    পবিত্র প্রপাত

    চিনের তরফে অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) দখলের চেষ্টার খামতি নেই। গত ডিসেম্বরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার অদূরে নজরদারি কেন্দ্র গড়তে চেয়েছিল চিনের লালফৌজ। যদিও শেষমেশ আর তা দিনের আলো দেখেনি। এর পরেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অঞ্চলে যাতায়াত বাড়িয়ে দেয় ভারত। লালফৌজের কার্যকলাপ যাতে নজরে পড়ে তাই এই উদ্যোগ। সেই উদ্যোগেরই অংশ হিসেবে এবার পবিত্র ১০৮ জলপ্রপাতের কাছে আধ্যাত্মিক পরিকাঠামো গড়ছে ভারত।

    আরও পড়ুুন: খোদ এসএসকেএমে ভুল চিকিৎসার শিকার মুখ্যমন্ত্রী! সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?

    তিব্বতি উপাখ্যানে পবিত্র ১০৮ জলপ্রপাত খুব গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে রয়েছে। এই জলপ্রপাতকে ঘিরে ছড়িয়ে রয়েছে নানা কাহিনি। তিব্বতিদের বিশ্বাস, এই প্রপাতের জলের নানা ক্ষমতা রয়েছে। নানা রোগের উপশমে ব্যবহার করা হয় এই জল। বছরের এক বিশেষ সময়ে এখানে আসেন বৌদ্ধ তীর্থযাত্রীরা। উত্তর-পূর্ব ভারতের বহু মানুষও আসেন এই সময়। প্রার্থনা জানানোর পাশাপাশি তাঁরা সবাই সংগ্রহ করেন পবিত্র প্রপাতের জল। আধ্যাত্মিক পরিকাঠামোর উন্নয়ন হলে, বছরভর এখানে ঢল নামবে পর্যটকের।

    স্থানীয় বাসিন্দাদেরও বিশ্বাস, এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হলে সারা বছরই আসতে থাকবেন পর্যটকরা। তাওয়াং শহর থেকে এখানে বেড়াতে এসেছিলেন সোনম সেরিং। তিনি বলেন, “জায়গাটার ভোল ক্রমেই বদলাচ্ছে। এখানে এখন মন্দির, গুম্ফা মায় লামাদেরও দেখতে পাচ্ছি। দীর্ঘদিন ধরে এই জায়গাটি দেখার ইচ্ছে ছিল। শেষমেশ তা পূরণ হওয়ায় আমি খুশি।” অসমের গুয়াহাটি থেকে এসেছিলেন (Arunachal Pradesh) পর্যটক রাজু তামাং। তিনি বলেন, “এই পবিত্র প্রপাতের বিষয়ে নানা কাহিনি শুনেছিলাম। চিন সীমান্তের কাছের এই পবিত্রভূমে আসতে পেরে আমি ধন্য। পবিত্র প্রপাতের জল সংগ্রহ করেছি আমিও।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share