Tag: China

China

  • German ambassador on China: অরুণাচল প্রদেশে চিনের দাবি ঔদ্ধত্যের পরিচয়, মত জার্মান রাষ্ট্রদূতের

    German ambassador on China: অরুণাচল প্রদেশে চিনের দাবি ঔদ্ধত্যের পরিচয়, মত জার্মান রাষ্ট্রদূতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জার্মান রাষ্ট্রদূত (German ambassador) ফিলিপ অ্যাকারম্যান (Philipp Ackermann) মঙ্গলবার বলেন, অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) উপর চিনের (China) দাবি ঔদ্ধত্যপূর্ণ এবং চিনের ভারতের উত্তর সীমান্ত লঙ্ঘন গ্রহণযোগ্য নয়। এটি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।    

    এই মাসের শুরুতে নয়াদিল্লিতে কাজের দায়িত্ব পেয়েছেন অ্যাকারম্যান। দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। ২৪ অগাস্ট রাষ্টসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বৈঠকে অংশ নিতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে ভোটাভুটি হয়। সেই ভোটাভুটিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দেয় ভারত। ভারতের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করে অ্যাকারম্যান বলেন, “রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia-Ukraine) ইস্যুতে ভারত এবং ইউরোপ সবসময় একমত না হলেও, এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য।”

    আরও পড়ুন: মুখ থুবড়ে পড়েছে চিনের ‘জিরো কোভিড নীতি’, ফের লকডাউনে জিনপিং- এর দেশ

    তিনি আরও বলেন, “আমরা ভারতের উত্তরের সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ওয়াকি বহাল। চিন দাবি করছে অরুণাচল প্রদেশ চিনের অবিচ্ছেদ্দ অংশ। এটা ঔদ্ধত্য। আমরা পরিষ্কার বুঝতে পারছি সীমান্ত পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল এবং এসব মেনে নেওয়া যায় না।”  

    রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণকে, ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির পোল্যান্ড আক্রমণের সঙ্গে তুলনা করেছেন অ্যাকারম্যান। 

    তিনি বলেন, “রাশিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে যেই ব্যবহার করছে, সেই একই রকম ব্যবহার চিন ভারতের সঙ্গে করছে। এটা আশা করি ভারতও স্বীকার করবে।”

    আরও পড়ুন: চিন সীমান্তে নিখোঁজ ভারতীয় পর্বতারোহী! নিছকই কি দুর্ঘটনা?

    তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বার্লিন সফরেও সময়ও আমরা বলেছিলাম অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েই নিজেদের মতামত রেখেছে ভারত। আমরা বিশ্বাস করি ভারত আন্তর্জাতিক আইন এবং তার সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা বোঝে। তবে সব ক্ষেত্রে আমরা এক মত হতে পারি না একথাও সত্যি।”

    তিনি বলেন, “একে অপরের সীমান্ত রেখাকে সম্মান করবে সেটাই আন্তর্জাতিক আইনের দস্তুর।”  

    অ্যাকারম্যান তাইওয়ানের পরিস্থিতিসহ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতি জার্মানির ক্রমবর্ধমান আগ্রহের বিষয়েও এদিন কথা বলেন। মোদির দুবারে জার্মানি সফরে ভারত-জার্মান সম্পর্কের যে অনেকটাই উন্নতি হয়েছে এদিন রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য থেকে তা স্পষ্ট। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • War games: চিন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ-মহড়া ভারতের, চিন্তায় আমেরিকা

    War games: চিন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ-মহড়া ভারতের, চিন্তায় আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত যেন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু। ভারতকে নিয়ে চলছে দড়ি টানাটানি খেলা। পৃথিবীর সব শক্তিধর দেশই নিজের দলে রাখতে চাইছে ভারতকে। তাই রাশিয়ায় চিনের সঙ্গে সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণের ভারতের সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র (USA)। 

    বৃহস্পতিবার থেকে পূর্বাঞ্চলে সপ্তাহব্যাপী যৌথ সামরিক মহড়ার (War Games) আয়োজন করেছে রাশিয়া (Russia)৷ চিন (China), ভারতসহ সোভিয়েত ইউনিয়নের কয়েকটি দেশ অংশ নিচ্ছে এই সামরিক মহড়ায়৷ 

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রথম রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিল ভারত!

    ভস্তক ২০২২ নামের এই সামরিক মহড়ায় ৫০ হাজারের বেশি সৈন্য অংশ নেবেন৷ ১৪০টি যুদ্ধ বিমান এবং ৬০ টি যুদ্ধ জাহাজ ব্যবহার করা হবে এই মহড়ায়৷ তবে ২০১৮  সালে শেষবার অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই মহড়া। প্রায় তিন লক্ষ সেনা অংশ নিয়েছিলেন৷ সেই সময় প্রায় ১ হাজার যুদ্ধ বিমান এবং ৩৬ হাজার ট্যাঙ্ক ছিল৷   

    ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পরেই ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তারপর থেকেই দুই দেশের যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ রাখা হয়েছে। বার বার আলোচনায় বসেও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। এই অবস্থায় কী করে এই দুই দেশকে একসঙ্গে মহড়ায় রাজী করাল রাশিয়া, তা নিয়ে অবাক হয়েছেন অনেকেই। 

    আরও পড়ুন: চিনের অমানবিকতা! উইঘোর বাসিন্দাদের উপর নির্মম বেজিং, দাবি রাষ্ট্রপুঞ্জে

    সংশ্লিষ্ট মহলের অনুমান, কোণঠাসা অবস্থায় দুই পুরোনো বন্ধুকে পাশে পেতে চাইছে রাশিয়া। ইউক্রেনে হামলা চালানোর পরে অধিকাংশ দেশগুলি রাশিয়ার নিন্দা করলেও, প্রকাশ্যে মস্কোর পাশে দাঁড়িয়েছে চিন (China)। প্রবল চাপ সত্বেও রাশিয়ার নিন্দা করেনি ভারত। আর সে কারণেই ভারত এবং চিনের মধ্যে সমস্ত বিবাদ মিটিয়ে দিতে চাইছেন পুতিন, যেন প্রয়োজন পড়লে দুই দেশই রাশিয়ার পাশে দাঁড়াতে পারে। 

    অন্যদিকে ভারতকে নিজেদের প্রতিরক্ষা অংশীদার করতে চাইছে আমেরিকা। ইউক্রেনের যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার ওপর আরোপিত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো যাতে খর্ব না হয় তার জন্যে দিল্লিকে অনুরোধ করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন-রাশিয়া অশান্তির মধ্যে ভারতীয়  সেনার এই রাশিয়া সফরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউজ। এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে এই মহড়া আয়োজন। ভারত-চীনের অংশগ্রহণ এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিষয়টিকে বাইডেন প্রশাসন গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ করছে বলেও জানিয়েছে ওয়াশিংটন।

    তবে মহড়ার জন্যে সেনার ছোট দল রাশিয়ায় পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে ভারত সরকার। সেনার তিন বিভাগেই মহড়া চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে ভারতের তরফ থেকে সামরিক বিমান বা যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হবে না। সেনার তিন বিভাগ থেকে প্রতিনিধিদের পাঠানো হবে। স্থলসেনার তরফে গোর্খা রেজিমেন্টকে পাঠানো হচ্ছে সামরিক মহড়ায়। সবমিলিয়ে ভারতের তরফ থেকে ৭৫ জনের একটি দল রাশিয়ায় যাবে।  

    কূটনৈতিক দিক দিয়ে বরাবরই নিরপেক্ষ থেকেছে ভারত। কিছুদিন পরেই আরণাচলপ্রদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশগ্রহণ করবে। চিনের আপত্তিকে পাত্তা না দিয়েই হবে এই মহড়া।

    সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক মহলে সবচেয়ে বেশি দর ভারতের। সব দেশই চাইছে ভারতের বন্ধুত্বের হাত। শেষ হাসি কে হাসবে তা সময় বলবে। কিন্তু এই অবধি সব দেশের সঙ্গেই বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে ভারত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • India-China-US: চিন সীমান্তের কাছে ভারত-মার্কিন সেনা মহড়া! বেজিংয়ের আপত্তি উড়িয়ে দিল দিল্লি

    India-China-US: চিন সীমান্তের কাছে ভারত-মার্কিন সেনা মহড়া! বেজিংয়ের আপত্তি উড়িয়ে দিল দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের (China) সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই হিমালয় পর্বতে যৌথ সামরিক মহড়া চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা (US) ও ভারত (India)। এতে আপত্তি জানিয়েছিল বেজিং। কিন্তু তাকে আমল দিতে নারাজ দিল্লি। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে চিনের সমালোচনা করে বলা হয়,   ভারত স্বাভাবিক ভাবে অবৈধ, অনুচিত কোনও কাজ করে না। সেনা প্রশিক্ষণের স্বার্থে এই মহড়া জরুরি।  

    আগামী ১৪ থেকে ৩১ অক্টোবর ভারত-চিন সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে মহড়া চালাবে আমেরিকা ও ভারতের সেনা। উত্তরাখণ্ডের আউলিতে অনুষ্ঠিত এই মহড়া নিয়ে আপত্তি তুলেছিল চিন।  হিমালয় পর্বতের দক্ষিণ ঢালে অবস্থিত এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় আউলিতে মহড়া চালাবে দিল্লি ও ওয়াশিংটন। তাতেই বাধা দিয়েছিল বেজিং। চিনের দাবি, সীমান্তে কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ চায় না তারা। যদিও ভারতের তরফে বৃহস্পতিবার জানিয়ে দেওয়া হয়, মহড়া চলবে। এটা সীমান্ত সমস্যা মোকাবিলা নয় একটা আনুষ্ঠানিক মহড়া, বলে জানান ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী (arindam bagchi)। তিনি বলেন, “এই মহড়াকে অন্য রং দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এটা কোনও চুক্তিকেই আঘাত করবে না। ভারত শান্তি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। দিল্লি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয় না।”

    আরও পড়ুন: চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরে তৃতীয় দেশের অন্তর্ভুক্তি! কড়া সমালোচনা ভারতের

    আউলি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে প্রায় ৯৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি ভারত ও চিনকে বিভক্ত করেছে। ১৯৬২ সালে চিন-ভারত যুদ্ধের পর থেকে দুই দেশ এই এলাকার মালিকানা দাবি করে আসছে।  

    চিন-তাইওয়ান দ্বন্দ্ব নিয়েও মুখ খোলেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী। তিনি দুপক্ষকেই সংযত হতে বললেন। পাশাপাশি আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা যাতে বজায় থাকে তার জন্য নজর রাখার কথা বললেন দুই দেশকেই। প্রসঙ্গত জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবারও তাইওয়ান প্রণালীতে চিনা নৌবাহিনীর ৬ টি জাহাজ ঢুকে পড়েছে। এমনকি ২১ টি চিনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ান প্রণালীর ওপর ঘুরে বেড়াচ্ছে। চিন তাইওয়ান যুদ্ধ আবহে ইতিমধ্যেই ব্যাপক উদ্বেগ বেড়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • India At UNSC: চিনের দ্বিচারিতা নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে সরব ভারত! জানেন কী বললেন রুচিরা কম্বোজ?

    India At UNSC: চিনের দ্বিচারিতা নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে সরব ভারত! জানেন কী বললেন রুচিরা কম্বোজ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে চিনকে একহাত নিল ভারত। সোমবার নিরাপত্তা পরিষদের ওই বৈঠকে নয়াদিল্লি স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে, একতরফা ভাবে সীমান্তে স্থিতাবস্থা বদলের চেষ্টা আঞ্চলিক নিরাপত্তায় বড়সড় ধাক্কা দেবে। এদিন ‘যৌথ নিরাপত্তা’ ও ‘বিশ্ব শান্তি’ নিয়ে  বৈঠকে বসে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (UNSC)। সন্ত্রাস বিরোধী লড়াইয়ে চিনের নীতি তুলে ধরে ভারতের তরফে আক্রমণ শানানো হয়। পাশাপাশি বলপূর্বক অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব খণ্ডন করার প্রসঙ্গ তুলেও চিনকে তোপ দাগে ভারত। অবশ্য কোনও ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ভারতীয় দূত রুচিরা কম্বোজ চিনের নাম উল্লেখ করেননি। 

    প্রসঙ্গত, চলতি মাসে নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির পদে রয়েছে চিন। এদিনের বৈঠকও তাদেরই উদ্যোগ। কিন্তু আলোচনায় বেজিংকে কোণঠাসা করে দেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের প্রতিনিধি রুচিরা। তিনি বলেন, ’যেকোনও দেশ যদি জবরদস্তিমূলক বা একতরফা পদক্ষেপের মাধ্যমে বল প্রয়োগ করে স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করতে চায়, তাহলে তা সাধারণ নিরাপত্তার অবমাননা। সাধারণ নিরাপত্তা তখনই সম্ভব যখন দেশগুলি একে অপরের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করবে।  যেমন তারা আশা করে যে তাদের নিজস্ব সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা হবে, তেমনই তাদেরকেও অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব মানতে হবে।”

    আরও পড়ুন: ভারতের হাতে আসছে আমেরিকার হানাদার ড্রোন ‘এমকিউ-৯ রিপার’! জানেন এর ক্ষমতা?

    সন্ত্রাসবাদ থেকে সীমান্ত বিবাদ ইস্যুতে এদিন বেজিংয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে ভারত। রুচিরা কম্বোজের কথায়, “সাধারণ নিরাপত্তা তখনই সম্ভব যখন দেশগুলো অন্যদের সাথে স্বাক্ষরিত দ্বিপাক্ষিক বা বহুপাক্ষিক চুক্তিগুলোকে সম্মান করবে। উভয়পক্ষ দ্বারা গৃহীত সেইসব ব্যবস্থাকে বাতিল করার জন্য একতরফা পদক্ষেপ করবে না। সাধারণ নিরাপত্তা তখনই সম্ভব যখন সন্ত্রাসবাদের মতো হুমকির বিরুদ্ধে সব দেশ একসঙ্গে রুখে দাঁড়াবে এবং এই ইস্যুতে দ্বিচারিতা করবে না।” উল্লেখ্য, গালওয়ান সংঘর্ষের (Galwan clash) সময় থেকেই লাদাখে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে ১৬ দফা আলোচনা হলেও জোট খোলেনি। সীমান্ত বিবাদ মেটাতে সেই অর্থে বড় কোনও সাফল্যও মেলেনি। সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মঞ্চে ভারত আবদুল রউফ আজহারকে বিশ্বসন্ত্রাসবাদী তকমা দেওয়ার আর্জি জানায়। তার বিরোধিতা করে চিন। 

  • China Visa: ভারতীয় পড়ুয়ারা ফের ভিসা পাবেন, বড় ঘোষণা বেজিং-এর

    China Visa: ভারতীয় পড়ুয়ারা ফের ভিসা পাবেন, বড় ঘোষণা বেজিং-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ দুবছর পর ভারতীয় পড়ুয়াদের (Indian Students) ভিসা (Visa) দেওয়ার ঘোষণা করেছে জিনপিং (Xi Jingping) সরকার। করোনার কারণে ২০২০ সাল থেকে স্টুডেন্ট ভিসা এবং বাণিজ্যিক ভিসার ওপর বিধিনিষেধ জারি করেছিল চিন (China)। অবশেষে উঠল সেই বিধিনিষেধ। চিনের বিদেশমন্ত্রকের এশিয়া বিষয়ক বিভাগের কাউন্সেলর জি রং ট্যুইট করে জানিয়েছেন, “ভারতীয় ছাত্রদের আন্তরিক অভিনন্দন। আপনাদের ধৈর্য সার্থক হয়েছে। আমি সত্যিই এই আনন্দ সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই। চিনে আপনাদের স্বাগত।” ট্যুইটে নয়া দিল্লির চিনা দূতবাসকে উদ্ধৃত করে ছাত্রছাত্রী, ব্যবসায়ী ও চিনে কর্মরত পরিবারদের পুনরায় ভিসা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন রং।  

    আরও পড়ুন: ভারত-চিন সম্পর্ক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, স্পষ্ট করলেন জয়শঙ্কর           
     

    জানা গিয়েছে, যেসব ছাত্ররা চিনে গিয়ে দীর্ঘমেয়াদী পড়াশুনো করতে চান, তাদের এক্স-১ ভিসা দেওয়া হবে। নতুন করে যাঁরা চিনে গিয়ে পড়াশুনো শুরু করতে চান, অথবা নিজের ফেলে আসা পড়াশুনো শেষ করতে চান, তাদের জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য। ভিসা নিয়ে কড়াকড়ির  কারণে চিনে পাঠরত ২৩ হাজারের বেশি ডাক্তারি পড়ুয়া এতদিন ক্যাম্পাসে ফিরতে পারছিলেন না। যেসব পড়ুয়ারা চিনে ফিরে যেতে চান, ভারতের তরফে তাদের তালিকা চিনের কাছে পাঠানো হয়েছিল। বিগত কয়েক সপ্তাহে শ্রীলঙ্কা, রাশিয়া ও পাকিস্তান থেকে পড়ুয়ারা চাটার্ড বিমানে চিনে পৌঁছেছেন।  

    আরও পড়ুন: ঋণের টোপ দিয়ে টাকা-তথ্য হাতিয়ে চিনে পাচার, দেশজুড়ে গ্রেফতার ২২

    সোমবার, দিল্লির চিনা দূতাবাসের ওয়েবসাইটেও ভিসা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বলা হয়েছে করোনা বিধির কারণে ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত ছিল, তা আবার চালু করা হচ্ছে। ফলে নতুন ও পুরোনো সকল ছাত্রছাত্রীরাই সেদেশে পড়তে যেতে পারবেন। তবে ভিসা পেতে হলে নতুন ছাত্রছাত্রীদের চিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিশন লেটার জমা দিতে হবে। অন্যদিকে পুরনো ছাত্রছাত্রীদের চিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জারি করা ‘সার্টিফিকেট অব রিটার্নিং টু ক্যাম্পাস’ জমা দিতে হবে।  

    সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, পুরনো ১ হাজারেরও বেশি ভারতীয় ছাত্রছাত্রী চিনে ফিরে গিয়ে নিজের পড়াশুনো শেষ করতে চান। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সার্টিফিকেট পেলেই তার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এতদিন দুই দেশের মধ্যে সরাসরি কোনও বিমান ছিল না। সম্প্রতি চাটার্ড বিমানে এক ব্যবসায়ী ও তাঁর পরিবার চিনা শহর হ্যাংজুতে অবতরণ করেছেন। জুলাই মাসেই চিনে কর্মরত ভারতীয়দের পরিবারকে সেদেশে ফিরে আসার অনুমতি দিয়েছিল বেজিং। ঘুরপথে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে তাদের সেদেশে ফিরতে হয়েছিল।  

  • India China Relation: ভারত-চিন সম্পর্ক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, স্পষ্ট করলেন জয়শঙ্কর

    India China Relation: ভারত-চিন সম্পর্ক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, স্পষ্ট করলেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন (China) সীমান্ত চুক্তি (Border Pacts) উপেক্ষা করেছে। গালওয়ান উপত্যকায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। আর এতেই দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে। ব্রাজিলের সাও পাওলোতে ভারতীয়দের একটি অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। 

    আরও পড়ুন: ঋণের টোপ দিয়ে টাকা-তথ্য হাতিয়ে চিনে পাচার, দেশজুড়ে গ্রেফতার ২২
     
    জয়শঙ্কর বলেন, “১৯৯০ সালে চিনের সঙ্গে ভারতের যে চুক্তি হয়েছিল তা মানছে না চিন। সেই সময়ের চুক্তিতে সীমান্ত এলাকায় প্রচুর সৈন্যের জমায়েত না করার কথা হয়েছিল। কিন্তু পুরনো সেই চুক্তির শর্ত উপেক্ষা করছে  বেজিং। গালওয়ান উপত্যকায় কী ঘটছে – তা এখন সকলেই জানা। এই সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি।” 

    ভারত ও চিনের মধ্যে বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এস জয়শঙ্কর বলেন, “এটি একমুখী সম্পর্ক হতে পারে না। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য পারস্পরিক শ্রদ্ধা থাকা জরুরি। চিন আমাদের প্রতিবেশী। প্রত্যেকেই তাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চায়। কিন্তু এই অনুভূতি দুই দেশের তরফেই থাকা উচিৎ। কিছু শর্ত আছে। আপনি আমাকে সম্মান করলে, তবেই আমি আপনাকে সম্মান করতে পারব।” তিনি আরও বলেন, “ভারত এই দৃষ্টিকোন থেকেই চিনসহ অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রস্তুত। কিন্তু চিন সম্পূর্ণ উল্টোপথে হাঁটছে। সেখানে চিন নিজের শর্ত আরোপ করছে। ভারতের শর্ত উপেক্ষা করছে।”

    আরও পড়ুন: ভারত, চিন, রাশিয়া সামরিক মহড়া! কী ভাবছে আন্তর্জাতিক মহল
     
    ফিঙ্গার এরিয়া, গালওয়ান উপত্যকা, হট স্প্রিংস এবং কংরুং নালা সহ একাধিক এলাকায় চীনা সেনাবাহিনী সীমালঙ্ঘন করায় ২০২০ সালের এপ্রিল-মে থেকে ভারত-চিন সম্পর্কে ফাটল ধরে। ২০২০ সালের জুনে গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সৈন্যদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়। বিদেশমন্ত্রী বলেন, “যেকোনও সম্পর্কই দ্বিমুখী। একটি দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক একমুখী হতে পারে না। আমাদের সেই পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং পারস্পরিক সংবেদনশীলতা প্রয়োজন। ভারত-চিন সম্পর্ক যে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, এটা আর লুকোনোর বিষয় না।”  
      
    অন্যদিকে এস জয়শঙ্কর ভারত ও ব্রাজিলের মধ্যে সম্পর্কে আরও যাতে উন্নত হয় তার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন দুই দেশের সদিচ্ছা, ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার কারণেই ভারত ও ব্রাজিলের মধ্যে সুসম্পর্ক অব্যহত রয়েছে।  

    এই সফরে বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি তিন দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তেমনই জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। প্যারাগুয়েতে ভারতে একটি দূতাবাসও উদ্বোধন করবেন বিদেশমন্ত্রী।

     

     

     

     

  • Loan Apps: ঋণের টোপ দিয়ে টাকা-তথ্য হাতিয়ে চিনে পাচার, দেশজুড়ে গ্রেফতার ২২

    Loan Apps: ঋণের টোপ দিয়ে টাকা-তথ্য হাতিয়ে চিনে পাচার, দেশজুড়ে গ্রেফতার ২২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঋণ (loan) দেওয়ার টোপ দিয়ে ফাঁদে ফেলা হত শিকার। এক বার ফাঁদে পড়লেই কেল্লাফতে। ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়ে শুরু হত ব্ল্যাকমেইলিং। ঋণ নেওয়া ব্যক্তির ছবি বিকৃত করে পর্ন সাইটে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে হাতানো হত মোটা অঙ্কের টাকা। সেই তথ্য এবং টাকা পাচার হত ড্রাগনের দেশ চিনে। এভাবে ৫০০ কোটি টাকা তোলাবাজির অভিযোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২২ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। একশোটিরও বেশি লোন অ্যাপের (Loan App) মাধ্যমে উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌ থেকে দুষ্কৃতীরা কারবার চালাচ্ছিল বলে জেনেছে পুলিশ। প্রতারণা চক্রের নেপথ্যে কয়েকজন চিনা (China) নাগরিক রয়েছে। চক্রের শেকড় কত গভীরে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    সম্প্রতি একে একে প্রতারণার শ খানেক অভিযোগ পায় দিল্লি পুলিশ। তার পরেই শুরু হয় তদন্ত। চক্রের পর্দাফাঁস করেন তদন্তকারীরা। তাঁরা জেনেছেন, মূলত লোন অ্যাপের মাধ্যমেই ফাঁসানো হত গ্রাহকদের। এই অ্যাপের মাধ্যমে চড়া সুদে ঋণ মিলত। তবে অনায়াসে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঋণ মিলত। ঋণ দেওয়ার সময় গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিত প্রতারকরা। সুদ সমেত আসল ফিরিয়ে দেওয়ার পরেই তারা ধারণ করত স্বমূর্তি। ছবি বিকৃত করে সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে হাতানো হত কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। এভাবেই জালিয়াতি করা হয় ৫০০ কোটি টাকা। হাওয়ালা ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে সেই টাকা পাঠানো হয় চিনে।

    আরও পড়ুন : প্রতারণা রুখতে বিশেষ অ্যানালেটিক উইং রাখার পথে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলি

    পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লি, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ সহ নানা রাজ্যে জাল বিছিয়েছিল প্রতারকরা। প্রতারকরা মূলত যে লোন অ্যাপগুলি ব্যবহার করত সেগুলি হল ক্যাশ পোর্ট, রুপি ওয়ে, লোন কিউব, ওয়াও রুপি, স্মার্ট ওয়ালেট, জায়ান্ট ওয়ালেট, হাই রুপি, সুইফট রুপি, ওয়ালেটউইন, ফিশক্লাব, ইয়েহক্যাশ, ইম লোন, গ্রোটি, ম্যাজিক ব্যালেন্স, ইয়োক্যাশ, ফরচুন ট্রি, সুপারকয়েন এবং রেড ম্যাজিক। অভিযানে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৫১টি মোবাইল, ২৫টি হার্ড ডিস্ক, ৯টি ল্যাপটপ, ১৯টি ডেবিট কার্ড, ৩টি গাড়ি এবং নগদ ৪ লক্ষ টাকা। এদিন যে বাইশজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের জেরা করে চিনা চক্রের নাগাল পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন : আন্তর্জাতিক জঙ্গির ঢাল চিন! আব্দুল রউফ আজহারকে নিষিদ্ধ করতে বাধ সাধল বেজিং

     

  • Wargames: ভারত, চিন, রাশিয়া সামরিক মহড়া! কী ভাবছে আন্তর্জাতিক মহল

    Wargames: ভারত, চিন, রাশিয়া সামরিক মহড়া! কী ভাবছে আন্তর্জাতিক মহল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-চিন (China) সীমান্তে সংঘাত লেগেই রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে  চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে একসঙ্গে যৌথ মহড়ায় (Military Exercise) অংশ নিতে চলেছে ভারত (India) এবং চিনের সেনাবাহিনী। রাশিয়ার মাটিতে আরও তিনটি দেশের সঙ্গে এই মহড়া চালানো হবে বলে জানিয়েছে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে রাশিয়ায় এই সামরিক মহড়ার আয়োজনও আন্তর্জাতিক মহলে গুরুত্ব বাড়িয়েছে।

    চিনা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই মহড়ার সঙ্গে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কোনও সম্পর্ক নেই। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি করতেই এহেন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভারত এবং চিন ছাড়াও রাশিয়া (Russia), বেলারুশ এবং তাজিকিস্তান এই মহড়ায় অংশ নেবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “অংশগ্রহণকারী দেশগুলির সেনাবাহিনীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই এই মহড়ার আয়োজন করা হচ্ছে। কৌশলগত ক্ষেত্রেও অংশগ্রহণকারী দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে সাহায্য করবে এই মহড়া। তাছাড়াও জাতীয় নিরাপত্তাজনিত সমস্যা সমাধানে দক্ষতা বাড়াবে এই মহড়া।” 

    আরও পড়ুন: শীঘ্রই আসছে রাশিয়ার প্রতিনিধি দল! সুখোই নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় জোড়

    রাশিয়ার তরফে জুলাই মাসে একটি বিবৃতিতে সামরিক মহড়ার কথা ঘোষণা করেছিল। সেখানে ১৩টি দেশ অংশ নেবে বলে জানানো হয়েছিল। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তবে জানা গিয়েছে, পূর্ব রাশিয়ার সাইবেরিয়ার বেশ কিছু অঞ্চলকে এই সামরিক মহড়ার জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই অঞ্চলটি চিনের সীমান্ত থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। জানা গিয়েছে, এই ড্রিলে বায়ু সেনা, দূরপাল্লার সামরিক যুদ্ধ সামগ্রীর অনুশীলন হবে। এর সঙ্গে সাম্প্রতিক পরুস্থিতির কোনও সম্পর্ক নেই।

    ভারত এই সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু ঘোষণা করেনি। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আগেও চিন ও ভারত নিজেদের দেশের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে একাধিক সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণ করেছে। ২০২০ সালের মে মাসে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পরেই ভারত-চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তারপর থেকেই দুই দেশের যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ রাখা হয়েছে। 

  • Chinese Spy Ship: ভারত আমেরিকার উদ্বেগ সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কার বন্দরে চিনা ‘গুপ্তচর জাহাজ’

    Chinese Spy Ship: ভারত আমেরিকার উদ্বেগ সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কার বন্দরে চিনা ‘গুপ্তচর জাহাজ’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) ও আমেরিকার (America) উদ্বেগ সত্ত্বেও শেষমেশ মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) হামবানটোটা (Hambantota) বন্দরে এসে ভিড়ল চিনা গুপ্তচর জাহাজ (Chinese Spy Ship)। ইয়ান ওয়াং-৫ নামের ওই জাহাজ না পাঠাতে চিনকে (China) অনুরোধ করেছিল কলম্বোও। সেসব আপত্তি-উদ্বেগ অগ্রাহ্য করেই হামবানটোটা বন্দরে নোঙর করেছে ওই চিনা গুপ্তচর জাহাজ।

    দিন কয়েক আগে চিনের ওই জাহাজটি যাত্রা করে শ্রীলঙ্কা অভিমুখে। তখনই আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। জাহাজটি যাতে হামবানটোটা বন্দরে না নোঙর করে, সেজন্য ড্রাগনের দেশকে আবেদন করেছিল শ্রীলঙ্কাও। সেসব কান না তুলেই শ্রীলঙ্কা অভিমুখে যাত্রা করতে শুরু করে ইউয়ান ওয়াং-৫ নামের ওই জাহাজটি। ১৪ নটিক্যাল গতিতে সেটি ধেয়ে আসতে থাকে হাম্বানটোটা বন্দর অভিমুখে।  জানা গিয়েছে, এই গুপ্তচর জাহাজটি চিনের মহাকাশ ও উপগ্রহ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়। যেহেতু জাহাজটি শি জিন পিংয়ের দেশের মহাকাশ ও উপগ্রহ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়, তাই আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। নয়াদিল্লির আশঙ্কা, অত্যাধুনিক এই জাহাজের মাধ্যমে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ওপর নজরদারি চালাতে পারে বেজিং। ভারতের এই আপত্তির পরে পরেই শ্রীলঙ্কার তরফেও চিনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাদের বন্দরে ওই জাহাজ যেন নোঙর না করে। তার পরেও জাহাজ আসে হামবানটোটায়। করে নোঙরও।

    আরও পড়ুন : বন্দরে ভেড়েনি চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, দাবি শ্রীলঙ্কা বন্দর কর্তৃপক্ষের

    জানা গিয়েছে, চিনা এই গুপ্তচর জাহাজ যে কোনও উপগ্রহের ওপরও নজরদারি চালাতে পারে। আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হদিশও দিতে পারে এই জাহাজ। ওড়িশা উপকূলের কাছে ভারতের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার যাবতীয় তথ্য এই জাহাজ হস্তগত করে চিনে নিয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা ভারতের। যদিও চিনের দাবি, গবেষণা ও সমীক্ষার কাজেই ব্যবহার করা হয় জাহাজটি। তবে পেন্টাগন জানিয়েছে, চিনের ওই জাহাজটি নিয়ন্ত্রিত হয় চিনা পিপলস আর্মির স্ট্র্যাটেজিক সাপোর্ট ফোর্সের দ্বারা।

    এদিকে, এই গুপ্তচর জাহাজ শ্রীলঙ্কা এসে পৌঁছানোর আগেই মঙ্গলবার ভারতের তরফে কলম্বোকে উপহার হিসেবে পাঠানো হয় একটি ডর্নিয়ার বিমান। মূলত মাদক পাচার ও জলসীমান্তে নজরদারি চালাতেই কলম্বোকে এই উপহার দিয়েছে নয়াদিল্লি। শ্রীলঙ্কার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হস্তান্তরিত করা হয় বিমান। দ্বীপরাষ্ট্রের নয়া প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহে ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, সামুদ্রিক নজরদারিতে আমাদের বিমানবাহিনী, নৌবাহিনীর সঙ্গে ভারতীয় নৌবাহিনীর পারস্পরিক সহযোগিতার যাত্রা শুরু হল। প্রসঙ্গত, শ্রীলঙ্কা বায়ুসেনার মাত্র ১৫ জন এই বিশেষ নজরদারি বিমানটি চালাতে পারবেন। মাস চারেক ধরে তাঁদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে ভারতে।

    আরও পড়ুন : চিনা ঋণের ফাঁদ থেকে সাবধান! সতর্কবার্তা বাংলাদেশি মন্ত্রীর

  • Bangladesh: চিনা ঋণের ফাঁদ থেকে সাবধান! সতর্কবার্তা বাংলাদেশি মন্ত্রীর

    Bangladesh: চিনা ঋণের ফাঁদ থেকে সাবধান! সতর্কবার্তা বাংলাদেশি মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্বালানির দাম (Fuel Price) লাগামছাড়া। তার জেরে প্রতিবাদে মুখর হয়েছে ভারতের (India) প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ (Bangladesh)। দেশের বিভিন্ন পেট্রল পাম্পে চলছে বিক্ষোভ প্রদর্শন। উঠেছে দাম কমানোর দাবিও। আর্থিক সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে শেখ হাসিনার দেশ দ্বারস্থ হয়েছে আইএমএফের (IMF)। বাংলাদেশকে ঋণ দিতেও রাজি হয়েছে আইএমএফ। করোনা (Covid 19) সঙ্কট মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ২ হাজার ৮৪৫ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা ঋণ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এমতাবস্থায় চিনের মাধ্যমে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলিকে সতর্ক করলেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী এএইচএম মুস্তাফা কামাল। কিছুদিন আগেই ঢাকা সফরে এসে হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। তার পরেই কামালের এই ‘সতর্কতা’ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

    আরও পড়ুন :দেশভাগ যন্ত্রণার! এক হোক ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ, চান হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী

    কামাল বলেন, বিশ্বজুড়েই বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি। তাই এই সময় ঋণ নিলে উন্নয়নের গতি কমে গিয়ে চাপ পড়বে বাজারে। এর পরেই শ্রীলঙ্কার প্রসঙ্গ টানেন তিনি। চিনের কাছেও পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ঋণ নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। চিনা ঋণের ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র। বাধ্য হয়েছিল নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করতে। কামাল বলেন, অন্য গরিব দেশগুলিকে ঋণ দিয়ে আরও চাপে ফেলার আগেই আগামী দিনের অবস্থা কী হবে, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে চিনকে। তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির এই হালের জন্য সবাই দায়ী করছে চিনকে। আর এই দায় অস্বীকারও করতে পারে না চিন। কামাল বলেন, শ্রীলঙ্কার এই সঙ্কট দেখার পরে আমাদেরও বেশি এবং ভালো করে চিন্তাভাবনা করতে হচ্ছে। কারণ কোনও দেশকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও প্রকল্প ভালো করে খুঁটিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে চিনকে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। কারণ এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

    আরও পড়ুন : চরম বিদ্যুৎ সংকটে বাংলাদেশ! নিয়মিত লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত

    প্রসঙ্গত, গত মাসেই আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ। এই জন্যই জ্বালানি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভর্তুকি তুলে নেওয়ার জন্য শর্ত দিয়েছে আন্তর্জাতিক ওই সংস্থা। তার পরেই জ্বালানির দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ সরকার। যার প্রতিবাদে শুরু হয়েছে দেশজুড়ে বিক্ষোভ।

     

LinkedIn
Share