Tag: China

China

  • Indian Army: ভারতীয় সেনার নয়া রণকৌশল, চিনকে কুপোকাত করতে মান্দারিন ভাষা শিক্ষা

    Indian Army: ভারতীয় সেনার নয়া রণকৌশল, চিনকে কুপোকাত করতে মান্দারিন ভাষা শিক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অধিকাংশ চিনা (China) নাগরিকের ভাষা মান্দারিন (Mandarin)। তাই সেই ভাষায় দক্ষ হয়ে উঠতে চাইছে ভারতীয় সেনা। সূত্রের দাবি, চিন সীমান্তের অবস্থা মাথায় রেখে ভারতীয় সেনা (Indian Army) অফিসারদের মান্দারিনে দক্ষ করে তোলা হচ্ছে। মোটের উপরে বাহিনীতে মান্দারিন জানা জওয়ান-অফিসারের সংখ্যা বাড়ানোই সেনার লক্ষ্য।     

    ইতিমধ্যেই ভারতীয় সেনার বিভিন্ন স্তরের কমিশনড অফিসাররা ইতিমধ্যেই মান্দারিন ভাষা ভাল রপ্ত করে ফেলেছেন। সেনার নর্দার্ন, ইস্টার্ন এবং সেন্ট্রাল কমান্ডের ভাষা-শিক্ষার স্কুলগুলিতে মান্দারিনের নানা রকম কোর্সের শিক্ষা চলছে। মান্দারিন লেখা পড়তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাও ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি টেরিটোরিয়াল আর্মিতেও মান্দারিন জানা জওয়ান ও অফিসারদের নিয়োগের ক্ষেত্রে সম্প্রতি প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র জোগাড় করে ফেলেছে সেনা।

    আরও পড়ুন: ডিআরডিওর মুকুটে নয়া পালক! অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলের সফল পরীক্ষা    

    সূত্রের মতে, ভবিষ্যতে দুদেশে মধ্যের সম্পর্কের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। সেনা বাহিনীর দাবি, দুই দেশের বাহিনীর কোর কমান্ডার পর্যায়ে আলোচনা, ফ্ল্যাগ মিটিং, বর্ডার পার্সোনেল মিটিং বা যৌথ সামরিক মহড়ার ক্ষেত্রে ভাষাটি জানা থাকলে সুবিধা হবে। মতের আদান-প্রদান সহজ হবে। চিনের সেনা বাহিনী যখন তাদের কোনও সিদ্ধান্ত জানাবে, তখন ভারতীয় অফিসারদের পক্ষে তার অর্থ আরও ভাল করে বোঝা সম্ভব হবে। আবার ভারতের অফিসাররাও চিনকে তাঁদের বক্তব্য বুঝিয়ে বলতে পারবেন। সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যত রণকৌশল তৈরি আরও সহজ হবে।  

    আরও পড়ুন: ভয়াবহ ধসে মণিপুরে মৃত ৯ সেনা-সহ ১০ জন, চলছে উদ্ধারকাজ

    সেনা বাহিনীকে মান্দারিনে দক্ষ করে তুলতে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রীয় রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়, গুজরাট কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিব নাদার বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতাপত্র সাক্ষর করেছে ভারতীয় সেনা। সূত্রের খবর, মধ্যপ্রদেশের পচমঢ়ীতে সেনার ট্রেনিং স্কুল এবং দিল্লির স্কুল অব ফরেন ল্যাঙ্গোয়েজেস-এ চাকরি বাড়িয়ে তাদেরও এই প্রয়াসে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেনা। সেনারা মান্দারিন ভাষা রপ্ত করতে পারছেন কি না, দিল্লির লাঙ্গমা স্কুল অব ল্যাঙ্গোয়েজেসের মতো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তা পরীক্ষা করেও দেখা হচ্ছে।    

     

  • India Population: জনসংখ্যার নিরিখে চিনকেও ছাপিয়ে যাবে ভারত, বলছে রিপোর্ট

    India Population: জনসংখ্যার নিরিখে চিনকেও ছাপিয়ে যাবে ভারত, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনসংখ্যার (Population) নিরিখে আর কিছু দিনেই চিনকে ছাপিয়ে যাবে ভারত। বিশ্বের সব চেয়ে জনবহুল দেশ হতে চলেছে ভারত (India)। সোমবার এমনই দাবি করা হয়েছে একটি রিপোর্টে। 

    আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে চিনের (China) থেকেও বেশি জনসংখ্যা হবে ভারতের। সোমবার রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) প্রকাশিত ‘দ্য ওয়ার্লড পপুলেশন প্রসপেকট্স ২০২২’ নামের এক রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই বছর নভেম্বরেই ৮০০ কোটিতে দাঁড়াবে বিশ্বের জনসংখ্যা। ভারতের পাশাপাশি গোটা পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেশি। রাষ্ট্রসংঘের এই রিপোর্ট চিন্তা বাড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের। বিশেষজ্ঞদের মতে, অর্থনীতির বৃদ্ধি দ্রুত হলেও, জনসংখ্যার বৃদ্ধিতে চাপে পড়তে পারে ভারত। 

    আরও পড়ুন: মোদি-দলাই শুভেচ্ছা বিনিময়, ক্ষুব্ধ চিন, জবাব দিল ভারত 

    রাষ্ট্রসংঘের একটি রিপোর্ট বলছে, এ বছরের নভেম্বরে বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়াবে। ১৯৫০-এর পর থেকে গোটা বিশ্বের জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার কিছুটা কমে গিয়েছিল। ২০২০-তে তা এক শতাংশের নীচে নেমে যায়। কিন্তু নতুন এই রিপোর্ট বলছে, ২০৩০-এর মধ্যে জনসংখ্যা ছাড়াবে ৮৫০ কোটি। ২০৫০-এ তা গিয়ে হবে ৯৭০ কোটি। 

    আরও পড়ুন: চিন থেকে উদ্ধার ৬০ লক্ষ বছরের পুরনো জায়েন্ট পান্ডার জীবাশ্ম    

    পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সবচেয়ে জনবহুল। এখনও চিনের জনসংখ্যা বিশ্বে মধ্যে সবচেয়ে বেশি। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৬ শতাংশের বসবাস এ অঞ্চলেই। তারপরেই রয়েছে ভারত। রিপোর্ট অনুযায়ী, এশিয়া ও আফ্রিকার কিছু অঞ্চলেই জনসংখ্যা বৃদ্ধি হবে সবচেয়ে বেশি। ভারত ছাড়াও সে তালিকায় রয়েছে, কঙ্গো, মিশর, পাকিস্তান, নাইজিরিয়া, ইথিয়োপিয়া এবং তানজানিয়া।      

    গতকাল ছিল ১১ জুলাই, বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। এদিনই এই রিপোর্ট প্রকাশ করে রাষ্ট্রসংঘ। রাষ্ট্রসংঘের তরফে এই বিশেষ দিনের উদযাপনের কথা বলা হয় ১৯৮৯ সালে যখন সারা বিশ্বের জনসংখ্যা পেরিয়ে যায় ৫০০ কোটি। তিন দশকের বেশি সময় ধরে সারা বিশ্বে পালিত হয়ে চলেছে এই দিন। এই বছর সারা পৃথিবীর জনসংখ্যা হতে চলেছে ৮০০ কোটি। প্রসঙ্গত ২০১১ সালে সারা বিশ্বের জনসংখ্যা ছুঁয়েছিল ৭০০ কোটি। 
      
     

  • India-China conflict: পূর্ব লাদাখে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চিনের যুদ্ধবিমান

    India-China conflict: পূর্ব লাদাখে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চিনের যুদ্ধবিমান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার লাদাখ সীমান্তে চিন সেনাবাহিনীর অনুপ্রবেশের চেষ্টা। জুনের শেষ সপ্তাহেই পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার(LAC) খুব কাছে চলে আসে চিনা যুদ্ধবিমান। ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) রাডারে তা ধরা পড়তেই সতর্কতা জারি হয় সর্বত্র। এই পরিস্থিতিতে চিনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে সরকারি স্তরে আলোচনা হয়েছে। এই ধরনের কোনও ঘটনা যাতে আগামী দিনে না ঘটে তা নিয়েও চিনকে সতর্ক করেছে ভারত।

    সূত্রের খবর, বিভিন্ন সময় চিনের সেনাবাহিনীর তরফে ভারতীয় সেনাকে প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত কয়েকমাসে সরাসরি আকাশসীমা লঙ্ঘনের এরকম ঘটনা এই প্রথম বলেই জানা গেছে। এমনিতে পূর্ব লাদাখে (Ladakh) নিজেদের দখলে থাকা এলাকায় চিনা বিমানবাহিনী বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁদের সক্রিয়তা বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। মহড়া চলাকালীন বিমানবাহিনীর তরফে বেশ কিছু সমরাস্ত্রেরও ব্যাপক ব্যবহার করা হচ্ছে। ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়, পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখা হয়েছে। এর আগে ২০২০ সালেও ভারত চিনের আগ্রাসনের কড়া জবাদ দিয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী, এই বিষয় নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কথা হয়েছে।  তাই গোটা বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষের বৈঠকে আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনা তুলে ধরে আলোচনা করেছে দুপক্ষের আধিকারিকেরা। যদিও তার পর থেকে চিনের তরফে ভারত সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলে এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটানো হয়নি বলেই জানা গেছে।

    আরও পড়ুন: শিবসেনার তির-ধনুক প্রতীক কেউ কেড়ে নিতে পারবেন না, সাফ জানালেন উদ্ধব

    সীমান্ত বিবাদ নিয়ে এখনও নিজেদের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে দুই দেশ। তার মধ্যেই এই চিনা সক্রিয়তার কথা সামনে আসতে নড়েচড়ে বসেছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর ভারত-চিন সম্পর্ক কার্যত তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। দফায় দফায় আলোচনার পর কিছু জায়গা থেকে সেনা সরিয়ে সাময়িক ভাবে স্থিতাবস্থা ফেরানো হলেও মাঝে মাঝে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উত্তেজনা তৈরি হয়। সম্প্রতি বালিতে জি-২০ ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে বৈঠকে অংশ নিতে গিয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী জানিয়ে দেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি বজায় রাখতে চায় ভারত। তবে, আগ্রাসনের চেষ্টা হলে ভারত তার যোগ্য জবাব দেবে।

  • G7 Summit: চিনকে রুখতে বিশেষ পরিকল্পনা জি-৭ গোষ্ঠীর, কী সেই মাস্টার প্ল্যান?

    G7 Summit: চিনকে রুখতে বিশেষ পরিকল্পনা জি-৭ গোষ্ঠীর, কী সেই মাস্টার প্ল্যান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বে চিনের ক্রমবর্ধমান আধিপত্য (China) রুখতে এবার উদ্যোগী হল জি-৭ (G-7)। ভারত সহ উন্নয়নশীল দেশগুলিতে (Developing Countries) ৬০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার সাহায্যের সিদ্ধান্ত নিল আমেরিকার (USA) পাশাপাশি ইউরোপের ৬টি দেশ নিয়ে গঠিত “গ্রুপ অফ সেভেন”।

    জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি হল— জাপান, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের পাশাপাশি এবারের জি-৭ সম্মেলনে আর্জন্টিনা, ইন্দোনেশিয়া, সেনেগাল এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল অতিথি দেশ হিসেবে। সেখানেই অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি কথা ওঠে বিশ্বব্যাপী চিনা আধিপত্য নিয়েও।

     

    উন্নয়নমূলক নানা প্রকল্পে অর্থ সাহায্যের নামে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে দেদার ঋণ দেয় চিন। পরে আদায় করতে থাকে চড়া হারে সুদ। যার জেরে আক্ষরিক অর্থেই পথে বসতে হয় ঋণ নেওয়া ওই দেশগুলিকে। যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ শ্রীলঙ্কা। দেশটির পরিকাঠামো উন্নয়নমূলক নানা খাতে মোটা অঙ্কের অর্থ সাহায্য করে শি জিনপিংয়ের সরকার। পরে সুদ দিতে গিয়ে নাভিশ্বাস হওয়ার জোগাড় দেশটির। শেষমেশ নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা সরকার। চিনা ঋণের ফাঁদে পড়েছে ভারতের আরও এক প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানও।

    আরও পড়ুন : জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিতে মিউনিখে মোদি

    চিনের এই বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI)-এর পাল্টা ব্যবস্থা কী করা যায় তা নিয়ে জার্মানির মিউনিখ শহরে আলোচনা হয়েছে বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশগুলির সংগঠন জি-৭ এর শীর্ষ সম্মেলনে।  নয়া এই পরিকল্পনার নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য পার্টনারশিপ ফর গ্লোবাল ইনফ্রাস্ট্রাকটার অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট’। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, এই পরিকল্পনা সবার জন্য সুফল বয়ে আনবে। তিন বলেন, আজ জি-৭ এর সদস্যভুক্ত দেশগুলি চালু করল দ্য পার্টনারশিপ ফর গ্লোবাল ইনফ্রাস্ট্রাকটার অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট। এক ট্যুইট বর্তায় তিনি বলেন, সব মিলিয়ে ২০২৭ সালের মধ্যে জি-৭ এর তরফে আমরা প্রায় ৬০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করব। 

    এর মধ্যে ৩ কোটি ডলার প্রাথমিকভাবে বরাদ্দ করা হয়েছে ভারতের জন্য। জানা গিয়েছে, এই বরাদ্দ হবে অমনিভোর এগ্রিটেক ও জলবায়ু স্থায়িত্ব তহবিলে। মূল লক্ষ্য, ভারতে কৃষি, খাদ্য ব্যবস্থা, জলবায়ু এবং গ্রামীণ অর্থনীতির ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা। পাশাপাশি, ভারতে যে সংস্থাগুলি খাদ্য নিরাপত্তা এবং জলবায়ু স্থিতিশীলতা ও জলবায়ু অভিযোজন নিয়ে কাজ করে, তাতেও বিনিয়োগ করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

    আরও পড়ুন : “শান্তি ভিক্ষা চাইবে না ভারত”, চিন-পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    বর্তমানে, এশিয়া মহাদেশের ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভারত অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে রেখেছে। চিন হোক বা আমেরিকা, সকলেই ভারতের এই সক্ষমতা সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। ভারতীয় মহাসাগর অঞ্চলে চিনের আধিপত্যকে বাগে আনতে গেলে, ভারতকে পাশে পাওয়াটা যে অত্যন্ত জরুরি তা বিলক্ষণ জানেন বাইডেন। সদ্যসমাপ্ত জি-৭ বৈঠকে তার উদাহরণও প্রত্যক্ষ করেছে বিশ্ববাসী, যখন কিছুটা দূরে আলাপচারিতায় মগ্ন মোদিকে দেখে নিজে হেঁটে এসে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাঁধে পিছন থেকে হাত রাখলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    তবে, এই বরাদ্দ কোনও অনুদান নয়, তাও মনে করিয়ে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বাইডেন বলেন, আমি এটা স্পষ্ট করে দিতে চাই যে এই পার্টনারশিপ ফর গ্লোবাল ইনফ্রাস্ট্রাকটার অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোনও সাহায্য কিংবা অনুদান নয়। এর সুফল পাবেন সবাই। এর মধ্যে রয়েছেন আমেরিকার বাসিন্দারাও।

    নয়া এই পরিকল্পনায় ড্রাগনকে ঠেকানো যায় কিনা, এখন সেটাই দেখার!

     

  • India on PoK: চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরে তৃতীয় দেশের অন্তর্ভুক্তি! কড়া সমালোচনা ভারতের

    India on PoK: চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরে তৃতীয় দেশের অন্তর্ভুক্তি! কড়া সমালোচনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ,তা সম্প্রতি জানিয়ে দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। এবার এই ভূখণ্ডে কোটি কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মীয়মাণ চিনপাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরে (CPEC) তৃতীয় কোনও দেশকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়াসের তীব্র নিন্দা করল বিদেশ মন্ত্রক। মঙ্গলবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রক চিন ও পাকিস্তানের কড়া নিন্দা করে এই ধরনের গতিবিধিকে ‘স্বাভাবিক ভাবে অবৈধ, অনুচিত এবং গ্রহণযোগ্য নয়’ বলে অভিহিত করেছে।

    [tw]


    [/tw]

    শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় সিপিইসি-র আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং সমন্বয় সম্পর্কিত বৈঠক। ভার্চুয়াল মাধ্যমে আয়োজিত এই বৈঠকে অংশগ্রহণকারী চিন ও পাকিস্তান এই অর্থনৈতিক করিডোরের অংশ হতে অন্য দেশগুলোকেও  আমন্ত্রণ জানায়। মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি (External Affairs Ministry Spokesperson Arindam Bagchi বলেন, ”ওই করিডোরে যা হচ্ছে তা একেবারেই বেআইনি, অবৈধ ও অগ্রহণযোগ্য। ভারত এর বিরুদ্ধে যথাযোগ্য পদক্ষেপ করবে।”

    আরও পড়ুন: একদা কাশ্মীর ছিল শারদা দেশ! জানেন কি এই শক্তি পীঠের মাহাত্ম্য?

    ২০১৩-য় শুরু হওয়া এই অর্থনৈতিক করিডোর পাকিস্তানের গদর বন্দরের সঙ্গে চিনের শিনঝিয়াং প্রদেশকে যুক্ত করেছে। এই করিডোর পাক অধিকৃত কাশ্মীর হয়ে যাওয়ায়, তা নিয়ে স্বভাবতই শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছে ভারত। দিল্লির বিরোধিতা সত্ত্বেও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে অর্থনৈতিক করিডর বানাচ্ছে চিন। করিডোর তাঁদের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে বলে মন্তব্য করেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। পাকিস্তানের রাস্তা, রেলপথ ও শক্তি পরিবহন পরিকাঠামো গড়ে তোলাই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছে বেজিং। 

    আরও পড়ুন: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই! জানুন কী বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘‘সিপিইসি-তে তৃতীয় দেশের অন্তর্ভুক্তির আমন্ত্রণ সংক্রান্ত খবর আমরা দেখেছি। যে কোনও দেশের তরফে এই সংক্রান্ত পদক্ষেপ ভারতের অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব সরাসরি লঙ্ঘনের প্রয়াস হিসাবেই দেখা হবে।’’

  • ED:  শাওমির পর এবার ভিভো, ইডি-র নজরে চিনা মোবাইল সংস্থা, দেশজুড়ে তল্লাশি

    ED: শাওমির পর এবার ভিভো, ইডি-র নজরে চিনা মোবাইল সংস্থা, দেশজুড়ে তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে চিনা (China) ফোন প্রস্তুতকারক সংস্থা VIVO-র বিরুদ্ধে অভিযান চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, সংক্ষেপে ইডি (ED)। আর্থিক লেনদেনে কারচুপির অভিযোগে বিখ্যাত ওই চিনা মোবাইল সংস্থার (Chinese mobile company) অন্তত ৪০ ঠিকানায় তল্লাশি চালাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চিনা সংস্থাগুলির আর্থিক লেনদেনের ওপর বেশ কিছুদিন ধরেই বাড়তি নজর দিচ্ছে সরকার। সেই কারণেই এদিনের তল্লাশি বলে ইডি সূত্রের খবর।

    কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, দিল্লি, হরিয়ানা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ওই চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থার বেশ কয়েকটি কারখানা ও শোরুম রয়েছে। সেগুলিতেও চালানো হয়েছে তল্লাশি অভিযান। সংস্থার লেনদেন ও মালিকানা সংক্রান্ত বিষয়গুলিতে কোনওরকম অনিয়ম রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতেই মূলত এই তল্লাশি অভিযান বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার।  

    আরও পড়ুন : “শান্তি ভিক্ষা চাইবে না ভারত”, চিন-পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, এই চিনা স্মার্টফোন কোম্পানির বিরুদ্ধে একাধিক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি আরও এক চিনা সংস্থার বিরুদ্ধেও ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছে ইডি। সংস্থাটি এদেশে একটি ব্র্যান্ডেড মোবাইল ফোন বিক্রি করে। তাদেরই একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ৫ হাজার ৫৫১ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। বেআইনিভাবে টাকা সরানোর অভিযোগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই এই সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিলেন ইডির গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার আতসকাচের তলায় রয়েছে আরও এক চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থা।

    আরও পড়ুন : ২ বছর পর ভারতীয়দের জন্য কোভিড ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলল চিন 

    ২০২০ সালে ভারত-চিন সীমান্তে হয় সেনা সংঘর্ষ। তার পর থেকেই দেশে চিনা সংস্থাগুলির কার্যকলাপের ওপর নজর রাখছে দিল্লি। ২০০ চিনা অ্যাপকে ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। চিনা ঋণদানের অ্যাপগুলির ওপরও নজর রয়েছে কেন্দ্রের।

    আরও পড়ুন : পারমাণবিক অস্ত্রসম্ভার বাড়াচ্ছে চিন, ভারত, পাকিস্তানের হাতে কত? 

  • Ajit Doval: “শান্তি ভিক্ষা চাইবে না ভারত”, চিন-পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    Ajit Doval: “শান্তি ভিক্ষা চাইবে না ভারত”, চিন-পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তি ভিক্ষা করবে না ভারত (India)। পাকিস্তানের (Pakistan) পাশাপাশি চিনকেও (China) কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA) অজিত ডোভাল (Ajit Doval)। তিনি বলেছেন, শান্তির জন্য কোনও অবস্থাতেই ভারত আর পাকিস্তানের মুখাপেক্ষী হবে না। সতর্ক করার পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশের সামনে বন্ধুত্বের হাতও বাড়িয়েছেন ডোভাল। তিনি বলেছেন, “প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে ভারত সব সময় প্রস্তুত। কিন্তু জঙ্গিদের মদত কখনওই বরদাস্ত করা হবে না। শান্তি ভিক্ষার কোনও প্রশ্নই নেই। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ভারত সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণে তৈরি। সময় মতো যোগ্য জবাবও দেওয়া হবে।”

    আরও পড়ুন: “গণতন্ত্রে প্রতিবাদ গ্রহণযোগ্য, তবে হিংসা বরদাস্ত নয়”, হুঁশিয়ারি ডোভালের

    ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় (Pulwama) সেনা কনভয়ে জঙ্গি হামলার পর কাশ্মীরের ‘মুড’ অনেকটাই বদলে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন ডোভাল। তিন বছর আগে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হামলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) চল্লিশের বেশি জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। পরে ভারতীয় সেনা পাল্টা জবাব দিয়েছিল পাকিস্তানকে। এই প্রসঙ্গে টেনে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেছেন, “পাকিস্তানের জঙ্গি কার্যকলাপকে এখন আর কেউ সমর্থন করে না। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) মানুষও শান্তি চায়। বনধে কাশ্মীরে কোনও প্রভাব না পড়াটা তার বড় উদাহরণ। এটা ঠিক, এখনও কিছু যুবককে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা চলছে, কিন্তু আমরা তাদের বোঝানোর আপ্রাণ চেষ্টা করব।”

    পাকিস্তানের পাশাপাশি চিনকেও কড়া বার্তা দিয়েছেন অজিত ডোভাল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, “সীমান্ত অতিক্রম করলে কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবে না। নিজেদের সীমায় থাকলে ভারত সকলের বন্ধু। না হলে কঠিন পদক্ষেপ নিতে ভারতও প্রস্তুত।’ 

    চিনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত বিবাদ (Border Dispute) নতুন নয়। তবে সম্প্রতি তা নতুন করে মাথা চাড়া দিয়েছে। প্যাংগংয়ের হৃদের (Pangong Tso) কাছে নতুন সেতু তৈরি করছে চিন। এই প্রসঙ্গে ডোভালের বক্তব্য, “চিনের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে আমাদের এই টানাপড়েন দীর্ঘদিনের। তবে ভারত অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে। বার বার বৈঠক হয়েছে। এর পরেও যদি সীমা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে, তাহলে ভারত নিজের মতো করেই জবাব দেবে।”

  • BRICS: ব্রিকসে বাধা পাকিস্তানকে, ভারতের পাশে দাঁড়াল চিনও

    BRICS: ব্রিকসে বাধা পাকিস্তানকে, ভারতের পাশে দাঁড়াল চিনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের (China) সহযোগিতায় ব্রিকস(BRICS) সামিটে পাকিস্তানের (Pakistan) উপস্থিতি আটকে দিল ভারত (India)। বহু চেষ্টা করেও শেহবাজ শরিফের দেশ ঢুকতে পারল না ব্রিকসে। যদিও আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিল আলজিরিয়া, আর্জেন্টিনা, মিশর, ইন্দোনেশিয়ার মতো ১৩টি দেশ। ঘটনাটিকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে মোদি সরকারের জয় হিসেবেই দেখছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। কূটনৈতিক মহলের বক্তব্য, পাকিস্তানকে আটকাতে প্রথম থেকেই সক্রিয় ছিল ভারত। তাতে সাফল্য মিলল কারণ চিনও তার সব চেয়ে কাছের বন্ধু পাকিস্তানের হাত ছেড়ে ভারতের সঙ্গে সহমত হয়েছে। ঘটনায় প্রত্যাশিতভাবেই হতাশ ইসলামাবাদ।  

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে জি-২০, পাকিস্তানের পরে এবার আপত্তি চিনেরও

    ভারত, চিন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং রাশিয়াকে নিয়ে গঠিত হয়েছে ব্রিকস। জুনের ২৪ তারিখে শীর্ষ পর্যায়ের ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন ব্রিকসের সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিরা। ওই বৈঠকের আগে আগে চিনে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত দেখা করেন চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে। প্রকাশ্যে বলা হয়েছিল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য ওই বৈঠক। সূত্রের খবর, দ্বিপাক্ষিক অন্যান্য আলোচনার পাশাপাশি ব্রিকসে পাকিস্তানের আমন্ত্রণের বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যায় সেখানেই।

    আরও পড়ুন : বন্দরের ফাঁদে ফেলেই শ্রীলঙ্কাকে ডোবাল চিন?

    কূটনৈতিক মহলের মতে, ব্রিকস বৈঠকে যে দেশগুলি যোগ দিয়েছে, তাদের বাজার ক্রমশ প্রসারিত হচ্ছে। এদিকে, শ্রীলঙ্কার মতোই দেউলিয়া হওয়ার পথে পাক অর্থনীতি। পাকিস্তানকে বাদ দেওয়ার পর সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে বলা হয়, ব্রিকসের মঞ্চে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক একটি উচ্চ পর্যায়ের কথোপকথন আমরা নজর করেছি। তাতে অনেক উন্নয়নশীল দেশ যোগ দিয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, একটি দেশ পাকিস্তানকে ওই মঞ্চে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে বাধা দিয়েছে। বিবৃতির লক্ষ্য যে ভারত, তা স্পষ্ট। এর জবাবে চিন সরকার যা বলেছে, তাতে আক্ষরিক অর্থেই হতাশ হওয়ার কথা পাকিস্তানের। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিঝিয়াং ভারতের পক্ষ নিয়ে সাফ জানিয়ে দেয়, এ ব্যাপারে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা ব্রিকসভুক্ত রাষ্ট্রগুলির আলোচনার মাধ্যমে।

    চিনের এই বিবৃতিতে যথেষ্ট হতাশ পাক সরকার। ইমরান খানের বিদায়ের পর দেশের অর্থনীতির হাল ধরতে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ পাকিস্তানের নয়া সরকার। যার জেরে ক্রমেই পিছিয়ে যাচ্ছে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের কাজ। দৃশ্যতই পাকিস্তানকে একটি বার্তা দেওয়ার প্রয়োজন ছিল শি জিন পিংয়ের দেশের তরফে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারতের পক্ষ নিয়ে সেই কাজটিই করে দেখাল ড্রাগনের দেশ।

     

  • Sri Lanka: বন্দরের ফাঁদে ফেলেই শ্রীলঙ্কাকে ডোবাল চিন?

    Sri Lanka: বন্দরের ফাঁদে ফেলেই শ্রীলঙ্কাকে ডোবাল চিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) গভীর সমুদ্রবন্দর হামবানটোটার (Hambantota Port) নিয়ন্ত্রণ রয়েছে চিনের (China) হাতে। এ সংক্রান্ত চুক্তিটি স্বাক্ষর হয় বছর পাঁচেক আগে। কেবল বাণিজ্যিক কাজেই চিন বন্দরটি ব্যবহার করবে এই আশ্বাস দেওয়ার পরেই সম্পাদন হয় চুক্তি।

    এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে জাহাজ চলাচলের প্রধান কেন্দ্র ভারত মহাসাগরে শ্রীলঙ্কার হামবানটোটা বন্দর। বাণিজ্যিক কারণে তাই দুই মহাদেশের কাছেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ শ্রীলঙ্কার এই বন্দরটি। এই বন্দরেরই নিয়ন্ত্রণ চলে এল চিনের হাতে।

    আরও পড়ুন : অশান্তির আগুনে পুড়ল শ্রীলঙ্কা প্রেসিডেন্টের পৈতৃক বাড়ি, বিক্ষোভ হঠাতে গুলি

    হামবানটোটা বন্দরের কাজ শুরু হয় ২০০৮ সালে। শ্রীলঙ্কাকে এজন্য ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেয় ড্রাগনের দেশ। বন্দর গড়তে যৌথভাবে কাজ শুরু করে চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি ও সাইনো হাইড্রো কর্পোরেশন। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়ে যায় ২০১০ সালে। ঠিক তার পরের বছর নভেম্বরে শুরু হয় বাণিজ্যিক কাজকর্ম। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শেষ হয় ২০১৫ সালে। সব মিলিয়ে খরচ হয় ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার। ঋণের আসল ও সুদ বাবদ চিনকে ১৭০ কোটি মার্কিন ডলার দিতে হয়েছিল শ্রীলঙ্কাকে। ঋণের এই বিপুল বোঝার ভার কমাতে বন্দরটি চিনকে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দিয়ে দেয় শ্রীলঙ্কা সরকার। চুক্তি স্বাক্ষর হয় ২০১৭ সালে।

    আরও পড়ুন : আর্থিক সঙ্কটে পড়ে নিজেদের ঋণখেলাপি ঘোষণা করল শ্রীলঙ্কা

    বন্দরের উন্নতিকল্পে চায়না মার্চেন্ট পোর্টস হোল্ডিং কোম্পানি বন্দরের ৮৫ শতাংশ স্টেক অধিগ্রহণের বিনিময়ে ১১২ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে রাজি হয়। বন্দরের বাকি স্টেক থাকে শ্রীলঙ্কা বন্দর কর্তৃপক্ষের হাতে। তার পরেও ফি বছর শ্রীলঙ্কা সরকারকে মোটা অঙ্কের টাকা চিনকে দিতে হয় বন্দর গড়তে নেওয়া ঋণের সুদ বাবদ। যার জেরে ক্রমেই ঋণের ফাঁদে ডুবতে থাকতে দ্বীপরাষ্ট্র।

    যদিও পোর্টের ওয়েবসাইটে বন্দরে নানা সুযোগ সুবিধার কথা বলা হয়েছে, তা সত্ত্বেও সেখানে অনেক কিছুই মেলে না বলে অভিযোগ। সেই কারণেই প্রধান জাহাজ কোম্পানিগুলি ওই বন্দর এড়িয়ে চলছে বলেও সূত্রের খবর।

     

  • Abdul Rehman Makki: শীর্ষ লস্কর নেতা মাক্কিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণায় বাধা চিনের

    Abdul Rehman Makki: শীর্ষ লস্কর নেতা মাক্কিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণায় বাধা চিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানি (Pakistan) জঙ্গিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি (Terrorist) ঘোষণায় বাধা হয়ে দাঁড়াল চিন (China)। প্রত্যাশিতভাবেই প্রতিবেশী এই দুই দেশের দূরত্ব এক লপ্তে বেড়ে গেল বেশ খানিকটা। এর আগেও একাধিকবার ভারতের (India) প্রস্তাবে বাধা দিয়েছে ড্রাগনের দেশ। তবে এবার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ভারত ও আমেরিকার (US) তরফে। তাতেও বাধার প্রাচীর তুলে দিল চিন।

    লস্কর-ই-তৈবার প্রধান, ২৬/১১ মুম্বই হামলার চাঁই হাফিজ সইদের আত্মীয় আবদুল রহমান মাক্কি (Abdul Rehman Makki)।  এই মাক্কিকে আগেই জঙ্গি ঘোষণা করেছে আমেরিকা। সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে রাষ্ট্রসংঘে মাক্কিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণার প্রস্তাব জমা দেয় জো বাইডেনের দেশ। প্রস্তাব দেওয়া হয় রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আইসিস ও আলকায়দা নিষেধাজ্ঞা কমিটিকে। একেবারে শেষ মুহূর্তে গিয়ে ভেটো প্রয়োগ করে শি জিন পিংয়ের দেশ।  

    আরও পড়ুন : বুমেরাং হচ্ছে চিনা ঋণের ফাঁদ?

    এর আগেও একাধিকবার পাকিস্তানি জঙ্গিদের আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণায় ভারতের প্রস্তাবে বাধা দিয়েছে চিন। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাষ্ট্রসংঘে কূটনৈতিকভাবে জয়ী হয় ভারত। দিল্লির আবেদন মেনে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের মাসুদ আজাহারকে জঙ্গি ঘোষণা করে রাষ্ট্রপুঞ্জ। প্রযুক্তিগত কারণ দেখিয়ে রাষ্ট্রসংঘে পনেরটি দেশের মধ্যে স্থায়ী সদস্য হিসেবে একমাত্র চিনই তাতে ভেটো দেয়। ২০০৯ সালে ভারত প্রথম ওই প্রস্তাব জমা দেয়। ২০১৬ সালে আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের সঙ্গে মিলে ফের প্রস্তাব দেয় ভারত। মাসুদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করে তাকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়। ২০১৭ সালে ফের প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়। এই দফায়ও ভেটো প্রয়োগ করে চিন। এরপর আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স একটি খসড়া জমা দিয়ে গ্রেফতারের দাবি জানায় মাসুদকে। এই সময় কেবল আমেরিকাই মাক্কিকে বিশেষ জঙ্গি বলে উল্লেখ করে।

    আরও পড়ুন : জঙ্গি দমনে কঠোর এনআইএ, উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি

    ২০২০ সালে পাকিস্তানের সন্ত্রাস দমন আদালত মাক্কিকে দোষী সাব্যস্ত করে। সন্ত্রাসবাদমূলক কাজকর্ম, সন্ত্রাসে আর্থিক মদত জোগানোর দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাকে। সম্প্রতি গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে গোটা বিশ্বে যখন সমালোচিত হচ্ছিল ভারত, তখন নয়াদিল্লির সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছিল চিন। মাক্কিকে জঙ্গি ঘোষণার প্রশ্নে ফের যোজন দূরত্ব তৈরি হল প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে।  

     

LinkedIn
Share