Tag: China

China

  • Wheat Export Ban: গম-ইস্যুতে ভারতের পাশে দাঁড়াল ড্রাগনের দেশ!

    Wheat Export Ban: গম-ইস্যুতে ভারতের পাশে দাঁড়াল ড্রাগনের দেশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপ্রত্যাশিত! 

    গম রফতানি বন্ধ (Wheat Export Ban) নিয়ে ভারতের (India) সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাল চিন (China)। সম্প্রতি বিশ্ববাজারে গম রফতানি বন্ধ (Wheat export ban) করে দিয়েছে ভারত। প্রতিবেশী দেশটির এই সিদ্ধান্তকেই সমর্থন করেছে ড্রাগনের দেশ।

    ভারত গম রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতেই বিবৃতি জারি করে জার্মানি। বলা হয়, ভারতের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করছে জি-৭ (G-7) রাষ্ট্রগুলি। ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করে চিন বলেছে, ভারত নিজেরাই খাদ্য সঙ্কটে থাকে। তবে পশ্চিমের কোনও দেশ যদি ভারতের মতো বিশ্ব খাদ্য সঙ্কটের (world food crisis) মুখে পড়ে গম (wheat) রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করত, তাহলে কি প্রশ্ন উঠত না? চিনা কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসের (Global Times) একটি প্রতিবেদনে জি-৭ দেশগুলিকে ভারতের সমালোচনা না করে নিজেদেরই খাদ্য সঙ্কটের মোকাবিলায় এগিয়ে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

    ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতকে দোষারোপ করলে খাদ্যসঙ্কট মিটে যাবে না। প্রতিবেদনে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, আজ জি-৭ দেশগুলি ভারতের কাছে আবেদন করছে যাতে গম রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি না করা হয়। তাহলে এই দেশগুলি খাদ্য সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে নিজেরা কেন গম রফতানি বাড়াচ্ছে না?  

    গালওয়ান উপত্যকায় (Galwan valley) সংঘর্ষের জেরে ভারত-চিনের সম্পর্কে (India China relation) ফাটল ধরেছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই ফাটল ক্রমেই হয়েছে চওড়া। যার প্রভাব পড়েছে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কে। কূটনৈতিক স্তরে আলাপ-আলোচনার পরেও মেরামত হয়নি সম্পর্কের ফাটল। এই আবহে ভারতের বন্ধু দেশ রাশিয়ার (Russia) সঙ্গে সখ্যতা বেড়েছে ড্রাগনের দেশের। আবার পাকিস্তানের সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে চিন। যা নিঃসন্দেহে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সাউথ ব্লকের। সব মিলিয়ে ভারতকে নিরন্তর কোণঠাসা করার ছক কষে চলেছে কমিউনিস্ট শাসিত দেশটি। এই পরিস্থিতিতেই ভারতের হয়ে গলা ফাটাল চিনা সরকার।  

    মার্চ ও এপ্রিলে দাবদাহের কারণে দেশে গমের ফলন কম হয়েছে। প্রত্যাশিতভাবেই বেড়েছে দাম। দেশবাসীর চাহিদা পূরণে গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নরেন্দ্র মোদির (Modi) সরকার। স্বভাবতই রুষ্ট হয়েছে জি-৭ ভুক্ত দেশগুলি। নিন্দা করা হয়েছে ভারতের সিদ্ধান্তকে। এহেন আবহে ভারতের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত পোষণ করে জি-৭ ভুক্ত দেশগুলিকে একহাত নিলে শি জিনপিংয়ের সরকার।

    আরও পড়ুন : ভারতকে ধন্যবাদ , মোদি-বন্দনা শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রীর মুখে

  • Padma Bridge: পদ্মা সেতু বাংলাদেশ-চিনের যৌথ প্রকল্প? বেজিংয়ের দাবি ওড়াল ঢাকা

    Padma Bridge: পদ্মা সেতু বাংলাদেশ-চিনের যৌথ প্রকল্প? বেজিংয়ের দাবি ওড়াল ঢাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদ্মা সেতুর (Padma Multi Purpose Bridge) সাফল্যে বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানাল ভারত (India)। শনিবার পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। রবিবার সকাল ৬টা থেকে থেকে জনসাধারণের জন্যে তা উন্মুক্ত হবে। বহু বছর ধরে এই সেতু বাংলাদেশের স্বপ্ন। এই সেতু চালু হলেই ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে বাংলাদেশের দক্ষিণের ২১টি জেলার মানুষের। সেই সঙ্গে ঢাকা এবং কলকাতার মধ্যেও দূরত্ব কমবে। ওই এলাকার অর্থনীতি চাঙ্গা হবে।

    ভারতীয় হাই কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব এবং দূরদৃষ্টিই পদ্মা সেতুর সাফল্য এনে দিয়েছে। বাংলাদেশ এই প্রকল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের ওপর আস্থা রেখেছি।” 

    আরও পড়ুন: সন্দেহ নয়, একে অপরের প্রতি আস্থা রাখুন, ভারতকে বার্তা চিনের

    ৬.১৫ কিলোমিটার লম্বা এই সেতুটি দোতলা। নীচের তলায় চলবে ট্রেন এবং ওপরের তলায় বাস ও অন্যান্য গাড়ি। প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা হয়েছে এই সেতু। ৪২টি পিলারের ওপর থাকা সেতুটি দৈর্ঘের হিসেবে বিশ্বে ১২২তম স্থানে রয়েছে। পিলারগুলি আছে জলের নীচে ১২৮ মিটার গভীর পর্যন্ত। পৃথিবীর অন্য কোনও দেশে কোনও সেতুর পিলার এত গভীরে নেই।  

    এর আগে চিন দাবি করেছিল যে, বাংলাদেশ এবং চিনের যৌথ প্রকল্প পদ্মা সেতু। চিনের এই দাবিকে ভুয়ো বলে দাবি করেছে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক। ১৭ জুন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, “কিছু মহল দাবি করছে পদ্মা সেতু বিদেশি অর্থ সাহায্যে তৈরি এবং এই সেতুকে চিনের বিআরআইয়ের (Belt and Road Initiative) অংশ হিসেবে দেখানোর চেষ্টার বিষয়টি বিদেশমন্ত্রকের নজরে এসেছে। মন্ত্রকের তরফে জানানো হচ্ছে, পদ্মা বহুমুখী সেতু পুরোপুরি বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নির্মিত এবং এতে কোনও দ্বিপক্ষীয় বা বহুপক্ষীয় অর্থ সাহায্য নেই। বাংলাদেশি এবং বিদেশি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলি এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিল।” 

    আরও পড়ুন: এবার বাংলাদেশকেও হুমকি চিঠি আল কায়দার!

    নিজে টোল ট্যাক্স দিয়ে এদিন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার গলায় শোনা গেল সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রচুর বাধা-বিপত্তি, প্রতিকূলতা পেরিয়ে পদ্মা সেতুর স্বপ্নপূরণ হয়েছে। বহু ভুয়ো খবর রটেছে এই সেতু নির্মাণের বিষয়ে। টেকেনি। নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু তৈরি করেছে বাংলাদেশ।”  

     

  • Visa Suspension: চিনা নাগরিকদের পর্যটক ভিসা বাতিল করল ভারত, ২০ এপ্রিল থেকে নির্দেশ কার্যকর

    Visa Suspension: চিনা নাগরিকদের পর্যটক ভিসা বাতিল করল ভারত, ২০ এপ্রিল থেকে নির্দেশ কার্যকর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিসা না মেলায় চিনে (China) যেতে না পারার ফলে সেদেশে  আগে থেকে পাঠরত ভারতীয় পড়ুয়াদের (Indian students) ক্ষতি হচ্ছে। তাঁদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে। এই নিয়ে চিনকে বারবার বলেও লাভ হয়নি। এবার পাল্টা পদক্ষেপ করল ভারত (India)। চিনা নাগরিকদের (Chinese Citizens) পর্যটক ভিসা (Tourist Visa) বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি (New Delhi)। 

    আগামী ২০ এপ্রিল থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হচ্ছে। সবকটি সদস্য রাষ্ট্রগুলিকে ভারতের এই সিদ্ধান্তর কথা জানিয়ে দিয়েছে অসামরিক বিমান চলাচলের আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইএটিএ (‌‌IATA)।
     
    চিনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে (chinese university) পড়াশোনা করে প্রায় ২২ হাজার ভারতীয় ছাত্র। ২০২০ সালের প্রথমে কোভিড সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ওই পড়ুয়াদের ভারতে পাঠিয়ে দেয় চিন। এর পর থেকে তাঁদের আর সেদেশে ফিরতে দেওয়া হয়নি। ফলে এই পড়ুয়াদের শিক্ষা থমকে যাচ্ছে। তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় ঘেরা। তার পরিপ্রেক্ষিতেই ভারতের এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। 

    আইএটিএ একটি নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, ‘‌চিনের নাগরিকদের যে পর্যটন ভিসা ইস্যু করা হয়েছে, তা বাতিল করা হয়েছে।’‌ তাই এখন থেকে নেপাল, ভুটান, ভারত, মলদ্বীপের নাগরিকরাই শুধু ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন। ভারত যাঁদের রেসিডেনশিয়াল পারমিট দিয়েছে,নয়তো ভিসা বা ই–ভিসা দিয়েছে, যাঁদের ওভারসিজ সিটিজেন অফ ইন্ডিয়া কার্ড (‌OCI card)‌ রয়েছে বা ভারতীয় বংশোদ্ভুত (PIO) বা কূটনৈতিক ছাড়পত্র রয়েছে,তাঁরাই ভারতগামী বিমান চাপতে পারবেন।

    আইএটিএ এ-ও বলেছে, যেসব চিনা নাগরিককে ১০ বছরের পর্যটন ভিসা দিয়েছিল ভারত,তাঁদের ভিসাও বাতিল করা হয়েছে। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি (Arindam Bagchi) জানান, ৮ ফেব্রুয়ারি চিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ভারতীয় পড়ুয়াদের সে দেশ ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি দেখছে তারা। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনও সদুত্তর দেয়নি। ভারত এখনও আর্জি জানাচ্ছে, পড়ুয়াদের কথা ভেবে যেন সুযোগ দেওয়া হয়। তিনি এ-ও জানিয়েছেন, গত সেপ্টেম্বরে দুশানবেতে একটি বৈঠকের সময় এই নিয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। 

    সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) সম্মেলনের ফাঁকে তাজিকস্তানের রাজধানী শহরে দুই বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু, তারপরও সমস্যা একচুলও মেটেনি। আর, সেই কারণেই যে বাধ্য হয়ে এই কঠোর সিদ্ধান্ত, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে ভারত। তবে, চিন বাদে নতুন করে অন্য কোনও দেশের নাগরিকদের পর্যটক ভিসা বাতিল করা হয়নি।

     

  • China: ভারতীয় পডুয়াদের দু’বছর পর চিনে ফেরাতে উদ্যোগী হল বেজিং

    China: ভারতীয় পডুয়াদের দু’বছর পর চিনে ফেরাতে উদ্যোগী হল বেজিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  কোভিড বিধিনিষেধের কারণে চিনে পাঠরত ভারতীয় ছাত্ররা দেশে দু’বছর ধরে আটকা পড়ে আছেন। তাঁদের একাংশকে চিনে ফেরার জন্য অনুমতি দিতে চলেছে সে দেশের সরকার। ভিসা এবং বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার জন্য ভারতীয় পড়ুয়ারা চিনে ফিরতে পারছিলেন না।

    চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, ‘‘চিনে যে সব ভারতীয় ছাত্ররা পড়াশুনার জন্য এসেছিলেন। তাঁরা ফিরতে পারছিলেন না। তাঁদের সমস্যাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয় চিন। তাই অন্যান্য দেশের পডুয়াদের সঙ্গে তাঁরাও যাতে ফিরতে পারেন সে বিষয়টিকে যথেষ্ট অগ্রাধিকার দিয়ে দেখা হচ্ছে।’’তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতীয় ছাত্রদের প্রত্যাবর্তনের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। যাঁরা ফিরে আসবেন ভারতকে তার তালিকা দিতে হবে।’’

    তথ্য অনুযায়ী ২৩ হাজারেরও বেশি ভারতীয় পডুয়া চিনে পড়তে গিয়েছিলেন। এঁদের অধিকাংশ ডাক্তারি পড়ুয়া। ২০১৯ সালে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে  পড়ায় তাঁদের একাংশ দেশে ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ায় চিন একাধিক বিধিনিষেধ জারি করে। ফলে তাঁরা আর চিনে ফিরতে পারেননি। তার পর থেকে তাঁরা চিনে ফেরার মরিয়া চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বিমান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার ফলে শুধু মাত্র অনলাইন ক্লাস করতে হচ্ছিল। অন্যদিকে কিছুদিন আগেই চিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ইউজিসি। অনলাইন পাঠক্রমের ডিগ্রি ভারতে মান্যতা পাবে না এমন‌ই ঘোষনা করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরী কমিশন। এক‌ই সময় চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠকে উঠে আসে এই প্রসঙ্গ। এমনকি চিনা পর্যটকদের ভিসাও বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। তারপরই শেষমেষ ভারতের চাপে পড়ে ভারতীয় পড়ুয়াদের বিষয়ে সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ করল চিন। ফলে পড়াশোনা মাঝপথে ফেলে চিন থেকে যাঁরা ফিরে এসেছিলেন এবার সেই সব ছাত্রদেরই আবার দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে উদ্যোগী হয়েছে চিন।

  • Indian Army Chief on China: ‘সমাধান নয়, সীমান্ত ইস্যুকে জিইয়ে রাখতে চায় চিন’, বললেন সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে

    Indian Army Chief on China: ‘সমাধান নয়, সীমান্ত ইস্যুকে জিইয়ে রাখতে চায় চিন’, বললেন সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  লাদাখ সীমান্তে সংঘাত মেটাতে চিনের কতটা ইচ্ছা রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। তিনি জানান, ভারত চাইছে সীমান্তে শান্তি ও স্বস্তি ফিরে আসুক । তিনি বলেন,”তবে এটা কোনও মতেই এক তরফা হতে পারে না।” এই বিষয়ে তিনি কার্যত বেজিংয়ের দিকেই আঙুল তুলেছেন।

    চিন ইস্যুতে মনোজ পাণ্ডে বলেন,”মূল সমস্যা হচ্ছে সীমান্ত ইস্যুর সমাধান। কিন্তু চিনের উদ্দেশ্য হল সীমান্ত সমস্যাকে বাঁচিয়ে রাখা। যাতে সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় থাকে, তার চেষ্টা করে ভারত। কিন্তু অন্যদিক থেকে সাহায্য পাওয়া যায় না।” ২০২০ সালের মে মাস থেকে লাদাখের পূর্ব প্রান্তে চিনের আগ্রাসন ভারতের মাথা ব্যথার মূল কারণ। এই ঘটনার তিন বছর কেটে গেছে কিন্তু লাদাখে সীমান্ত রেখা নিয়ে বিবাদের সমাধান সূত্র এখনও মেলেনি। 

    গত এপ্রিলে সেনার দায়িত্ব নেন মনোজ। সেনাপ্রধানের দায়িত্বভার গ্রহণ করার আগে সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান পদে ছিলেন মনোজ পাণ্ডে। ছিলেন জেনারেল অফিসার কমান্ডিং-ইন-চিফ (জিওসি-ইন-সি) পদে। এই কমান্ডই সিকিম ও অরুণাচলে ভারত-চিন সীমান্তের রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত। তাই চিনের সীমান্ত সম্পর্কে তাঁর ধারণা স্বচ্ছ। ২ বছর আগে এই মে মাসেই লাদাখে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের অংশে পা রেখেছিল চিনা ফৌজ। যার মোক্ষম জবাব দিয়ে ভারত স্পষ্ট করেছিল নিজের অবস্থান। গোগরা, ডেপসাং, ডেমচকে সংঘাতের রেশ দেখা গিয়েছিল। লাদাখ সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে এরপর থেকে দুই পক্ষের সেনার মধ্যে শান্তি আলোচনা চলেছে। এখনও তা অব্যাহত। 

    এদিন পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। তিনি বলেন, ‘স্টেটাস কো পাল্টাতে দেওয়া হবে না’। পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট করেন যে, দেশের অংশের একচুলও জমি ভারতীয় সেনা ছাড়তে রাজি নয়। সেই বিষয়টিও চিন সীমান্তে নিশ্চিত করা হচ্ছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারি চালানো হয় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায়। পর্যাপ্ত সেনাও রয়েছে সীমান্তে। কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে তার মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত ভারতীয় সেনা। এদিন মনোজ বলেন,”কয়েকটি এলাকা নিয়ে চিনের সঙ্গে মতপার্থক্য এখনও রয়ে গিয়েছে। তবে সেই জায়গার সমাধান সূত্র বের করতে আমরা চিনের সঙ্গে কথা চালিয়ে যাব। আলোচনা চলছে। আর এর মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হয়।” 

  • Bird Flu:  চিনে চার বছরের শিশু আক্রান্ত বার্ড-ফ্লু-এ, মানবদেহে  অ্যাভিয়ন ফ্লু-র এইচ৩এন৮ প্রজাতির সংক্রমণ এই প্রথম

    Bird Flu: চিনে চার বছরের শিশু আক্রান্ত বার্ড-ফ্লু-এ, মানবদেহে অ্যাভিয়ন ফ্লু-র এইচ৩এন৮ প্রজাতির সংক্রমণ এই প্রথম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:করোনা-আবহেই আবার বার্ড-ফ্লু। মানবদেহে অ্যাভিয়ন ফ্লু-র এইচ৩এন৮ প্রজাতির প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ল চিনে। আক্রান্ত হয়েছে চার বছরের এক শিশু। চিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক দাবি করেছে, দ্রুত এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি অনেকটাই কম। তবে এ বিষয়ে সতর্ক প্রশাসন।

    চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, মধ্য হেনান প্রদেশে চার বছরের একটি শিশু জ্বরে আক্রান্ত হয়। শারীরিক পরীক্ষার পর জানা যায়, শিশুটি অ্যাভিয়ান ফ্লু-তে আক্রান্ত। জ্বর এবং অন্যান্য উপসর্গ থাকায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ওই শিশুর বাড়িতে মুরগি এবং হাঁসের খামার রয়েছে, বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন। সেখান থেকেই সরাসরি সংক্রমণ হয়েছে বলে অনুমান। 

    স্বাস্থ্য কমিশনের পরামর্শ, মৃত এবং অসুস্থ পাখির কাছে যেন নাগরিকরা না যান। যদি কোনও রকম উপসর্গ ধরা পড়ে তা হলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করাতে হবে। বার্ড ফ্লু সাধারণত পাখি এবং হাঁস বা মুরগির হয়। মানবদেহে এই ফ্লু-র সংক্রমণের ঘটনা বিরল।

    ২০০২-এ উত্তর আমেরিকায় এই প্রজাতির সংক্রমণ ধরা পড়ে বুনো হাঁসের দেহে। ঘোড়া, কুকুর এবং সিল মাছের দেহেও এই ভাইরাস পাওয়া যায়। ২০১২-তে আমেরিকার উত্তর-পূর্ব উপকূলে ১৬০টি সিল মাছের মৃত্যু হয়েছিল। তখন দাবি করা হয়, এইচ৩এন৮-এর সংক্রমণেই মৃত্যু হয় সিল মাছগুলির। ১৯৯৭ এবং ২০১৩ সালে বার্ড ফ্লু-র দু’টি প্রজাতি এইচ৫এন১ এবং এইচ৭এন৯ সংক্রমণ ছড়িয়েছিল।

  • China Demands: পাকিস্তানে নিজেদের সেনা চৌকি চায় চিন

    China Demands: পাকিস্তানে নিজেদের সেনা চৌকি চায় চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলামাবাদ (Islamabad), করাচি-সহ পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে বসবাসকারী চিনা (China) নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে সে দেশে নিজেদের সেনা ঘাঁটি গড়তে চায় চিন। ইসলামাবাদের কূটনৈতিক সূত্রে খবর, বহুদিন ধরেই চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর নির্মাণের স্বার্থে সেখানে সেনা চৌকি করতে চায় চিন। সেজন্য পাকিস্তানের আইনসভায় অনুরোধও করেছে তারা। সম্প্রতি করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গি হামলার পর সেই দাবি আরও জোরালো হয়েছে। 

    জঙ্গি হামলার ভয়ে পাকিস্তান (Pakistan) ছেড়ে চলে গিয়েছেন চিনা শিক্ষকরা।গত এপ্রিল মাসে করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় তিন চিনা শিক্ষকের। তারপর থেকেই আতঙ্কে রয়েছেন সেখানকার শিক্ষকেরা। হামলার পর কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটে কর্মরত সমস্ত চিনা শিক্ষকদের দেশে ফেরত আসার নির্দেশ দিয়েছে বেজিং। ২০১৩ সালে চিনের সিচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয় ও পাকিস্তানের করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয় কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট। উদ্দেশ্য পাকিস্তানিদের মান্দারিন ভাষার শিক্ষা দেওয়া ও দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও মজবুত করা। এই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বালোচ-জঙ্গিদের হামলা,পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর চিনের আস্থায় বড় ধাক্কা দিয়েছে। 

    ২০১৫-তে স্বাক্ষর হওয়া মউয়ের ভিত্তিতে চিন-পাকিস্তানের মধ্যে অর্থনৈতিক করিডর বা সিপিইসি (CPEC projects) নির্মাণকার্যও শুরু হয়েছে। চিনের প্রস্তাবিত ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ নীতির উপর ভিত্তি করে, তাদের অর্থ সাহায্যেই এই করিডর তৈরি হচ্ছে। পাকিস্তানের গদর পোর্ট থেকে চিনের শিনজিং প্রদেশ পর্যন্ত মোট ২,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথটি তৈরি করা হচ্ছে। এই করিডর নিয়ে প্রথম থেকেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আসছেন বালোচিস্তান-সহ গিলগিট-বালতিস্তান ও পিওকে-র নাগরিকরা। বলোচদের অভিযোগ, পেশিশক্তির জোরে তাঁদের বাসভূমি কেড়ে নিয়ে এই করিডর তৈরি করছে পাকিস্তান। যাতে পূর্ণ মদত দিচ্ছে চিন৷ তাই চিনা নাগরিকদের সেখানে ভালভাবে থাকতে দেওয়া হবে না। পাকিস্তান ছেড়ে চিনা নাগরিকদের চলে যেতে বলেছে বালোচ-জঙ্গি গোষ্ঠী। জঙ্গি নাশকতার আতঙ্ক সব সময় তাড়া করছে সিপিইসি কর্তাদের। তাই পাকিস্তানে নিজেদের সেনা-ঘাঁটি গড়তে উদ্যত চিন। এজন্য পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে ক্রমাগত চাপ দিচ্ছে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, বলে অভিমত , রাজনৈতিক মহলের।

     

  • China Taiwan Conflict: তাইওয়ানে পা রাখলেন ন্যান্সি, সমরসজ্জা শুরু চিন আমেরিকার?

    China Taiwan Conflict: তাইওয়ানে পা রাখলেন ন্যান্সি, সমরসজ্জা শুরু চিন আমেরিকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুড়িটিওর বেশি যুদ্ধ বিমান (Fighter Jet) উড়ে গেল তাইওয়ান (Taiwan) এয়ার ডিফেন্স জোনের দিকে। মঙ্গলবার রাতে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির (Nancy Pelosi) নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলের সদস্যরা পা রাখেন তাইওয়ানে। তার পরেই শুরু হয়ে গিয়েছে যুদ্ধ-সাজ।  

    ন্যান্সির সফরসূচিতে তাইওয়ানের নাম ছিল না। তবে তিনি যে তাইওয়ান যেতে পারেন, তা একপ্রকার নিশ্চিতই ছিল। তা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় চিনা প্রেসিডেন্টের। তখনই জিন পিং তাঁকে এই বলে সতর্ক করে দেন যে, যাঁরা আগুন নিয়ে খেলবেন, তাঁরা ধ্বংস হয়ে যাবেন। চুপ করে থাকেননি বাইডেনও। তিনিও জানিয়ে দেন, তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকার নীতিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি।

    আরও পড়ুন : চিনা হুমকি, তাইওয়ানে মহড়া শুরু যুদ্ধের

    এহেন আবহে তাওয়ানে পা রাখেন ন্যান্সি। তার পরেই উড়ে যায় চিনা যুদ্ধ বিমান।তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ট্যুইটবার্তায় জানিয়েওছেন সে কথা। পশ্চিমী কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের দাবি, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট সামরিক অভিযান শুরু করতে চলেছে শি জিনপিংয়ের সরকার।

    এদিকে একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে তাইপেই বিমানবন্দরে পেলোসি ও তাঁর সঙ্গীদের স্বাগত জানাচ্ছেন তাই-সরকারের প্রতিনিধিরা। তাইওয়ানে পা রাখার পর একগুচ্ছ ট্যুইট করেন পেলোসি। লেখেন, তাইওয়ানের মজবুত গণতন্ত্রের প্রতি সম্মান ও সমর্থন জানাতে আমেরিকা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই আমাদের প্রতিনিধি দলের এই সফর। মুক্ত ও উদার ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গঠনের লক্ষ্যে তাইওয়ানের প্রতি সমর্থন জানাতেই তাদের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করব আমরা। এদিকে, পেলোসির সফরের আগে তাইওয়ানের জলসীমা অভিমুখে রওনা দেয় চার মার্কিন রণতরী।এর মধ্যে রয়েছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস রোনাল্ড রেগনও।

    তাইওয়ান-চিনের বিবাদ বহু পুরানো। চিন তাইওয়ানকে তার প্রদেশ বলে মনে করে। আর তাইওয়ান নিজেকে স্বাধীন একটি দেশ বলে মনে করে। চিনের মূল ভূখণ্ডে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি ও কুওমিনতাঙের মধ্যে শুরু হয় যুদ্ধ। ১৯৪০ সালে মাও সে তুংয়ের নেতৃত্ব কমিউনিস্টরা কুওমিনতাংকে পরাস্ত করে। এর পরেই কুওমিনতাঙের অনুগামীরা চলে আসেন তাইওয়ানে। ওই বছরই চিনের নামকরণ করা হয় পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না। আর তাইওয়ানের নাম হয় রিপাবলিক অফ চায়না। এর পর তাইওয়ানের নিজস্ব সরকার গঠিত হয়। তৈরি হয় সংবিধানও। বিশ্বের মাত্র ১৩টি দেশ তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার করে।  

    তাইওয়ানের শাসক দল ডেমক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির সাংসদ ওয়াং টিংউ বলেন, কে তাইওয়ান আসবে আর আমেরিকা কীভাবে তাইওয়ানের সঙ্গে আচরণ করবে, তা বেজিং ঠিক করতে পারে না।    

    আরও পড়ুন : ভারতে আছড়ে পড়তে চলেছে চিনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ! দাবি মার্কিন সংস্থার

  • Chinese Spy Ship: ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কা অভিমুখে চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ

    Chinese Spy Ship: ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কা অভিমুখে চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপত্তি জানিয়েছিল ভারত (India)। আবেদন করেছিল দ্বীপরাষ্ট্র (Island State) শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। সেসব আবেদন-আপত্তি কানে না তুলেই শ্রীলঙ্কা অভিমুখে যাত্রা অব্যাহত চিনের (China) গুপ্তচর জাহাজের (Spy Ship)। সূত্রের খবর, ইউয়ান ওয়াং-৫ নামের ওই জাহাজটি ১৪ নটিক্যাল গতিতে শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরের দিকে ধেয়ে আসছে। এই গুপ্তচর জাহাজটি চিনের মহাকাশ ও উপগ্রহ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়।

    যেহেতু জাহাজটি শি জিন পিংয়ের দেশের মহাকাশ ও উপগ্রহ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়, তাই আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। নয়াদিল্লির ধারণা, অত্যাধুনিক এই জাহাজের মাধ্যমে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ওপর নজরদারি চালাতে পারে ড্রাগনের দেশ। ভারতের এই আপত্তির পরে পরেই শ্রীলঙ্কার তরফেও চিনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাদের বন্দরে যেন ওই জাহাজ নোঙর না করে।

    আরও পড়ুন : চিনের কাছে ঋণ নিয়ে চরম বোকামির কাজ করেছে শ্রীলঙ্কা, দাবি সিআইএ প্রধানের

    সূত্রের খবর, ২৩ হাজার টনের জাহাজটি ইন্দোনেশিয়ার উপকূল থেকে পশ্চিম দিকে যাত্রা করছে। ১১ অগাস্ট সকালে ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ন’ টা নাগাদ জাহাজটি শ্রীলঙ্কা উপকূলের হাম্বানটোটা বন্দরে নোঙর করবে। ১৭ অগাস্ট পর্যন্ত সেখানেই থাকার কথা। শ্রীলঙ্কার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে কলম্বোর চিনা দূতাবাসকে জানিয়ে দেওয়া হয় জাহাজের নোঙর করাটা যাতে পিছিয়ে দেওয়া হয়। এই প্রেক্ষিতে দ্বীপরাষ্ট্রর তরফে বলা হয়, বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন আছে।

    আরও পড়ুন : ভারত-শ্রীলঙ্কা সামুদ্রিক সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে তৎপর উপকূল রক্ষী বাহিনী

    এদিকে, ভারতের নাম না করে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, চিন ও শ্রীলঙ্কার সহযোগিতার সিদ্ধান্ত দুই দেশই নিয়েছে সচেতনভাবে। এতে দু দেশেরই স্বার্থ রয়েছে। এটা তৃতীয় কোনও পক্ষকে লক্ষ্য করে নয়। তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কা স্বাধীন একটি দেশ। নিজের উন্নয়নের স্বার্থে তারা অন্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলবে, সেই সম্পর্ককে এগিয়েও নিয়ে যাবে। চিনা বিদেশ মন্ত্রকে ওই মুখপাত্র বলেন, চিন তৃতীয় পার্টিকে অনুরোধ করছে চিনের বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারকে যুক্তি দিয়ে বিচার করতে। চিন এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যে লেনাদেনা মধ্যে ঢুকে বিঘ্ন না ঘটানোই ভাল।

     

  • China Ban on India: ২ বছর পর ভারতীয়দের জন্য কোভিড ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলল চিন

    China Ban on India: ২ বছর পর ভারতীয়দের জন্য কোভিড ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলল চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা (Coronavirus) অতিমারির জেরে বন্ধ করা হয়েছিল কোভিড (Covid-19) ভিসা। দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে জারি ছিল এই নিষেধাজ্ঞা। ২ বছর পর তা তুলে নেওয়া হল। চিনা (China) সরকার সে দেশে কর্মরত ভারতীয় (Indian) ও তাঁদের পরিবারকে ফের ভিসা (Visa) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার জেরে চিনে কর্মরত ভারতীয়রা যোগ দিতে পারছিলেন না কর্মক্ষেত্রে। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় এবার পারবেন।

    সোমবার ভারতে চিনা দূতাবাসের (Chinese Embassy) তরফে জারি করা এক বিবৃতিতেই এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির আগে চিনে পড়াশোনা করতেন প্রচুর ভারতীয় ছাত্রছাত্রী। চাকরি সূত্রেও বাস করতেন অনেকে। করোনা অতিমারির জেরে এঁরা ফিরে এসেছিলেন ভারতে। ফের চিনে পুরানো জায়গায় ফিরতে চাইছেন তাঁরা। এনিয়ে তাঁরা বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (S Jaishankar) সঙ্গেও যোগাযোগ করেন। চিনে গিয়ে ফের পড়াশোনার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন তাঁরা। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি এবং আগ্রহী ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ড্রাগনের দেশ।

    আরও পড়ুন : পারমাণবিক অস্ত্রসম্ভার বাড়াচ্ছে চিন, ভারত, পাকিস্তানের হাতে কত?

    সম্প্রতি চিনা দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, স্থায়ীভাবে চিনে বসবাসের অনুমতিপ্রাপ্ত বিদেশিদের পরিবার এবার থেকে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। কর্মসূত্রে চিনে গিয়ে সেখানকার মহিলাদের বিয়ে করেছিলেন অনেক ভারতীয়। করোনা পরিস্থিতির জেরে ভারতীয়দের ফিরতে হয়েছিল দেশে। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় এবার এই ভারতীয়রাও ফিরতে পারবেন চিনে। চিনের প্রচুর নাগরিকও কর্মসূত্রে ভারতে এসেছিলেন। অতিমারি পরিস্থিতিতে আটকে পড়েছিলেন তাঁরাও। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় এবার তাঁরাও ফিরতে পারবেন স্বদেশে। চিনা দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, পর্যটন ভিসা (Tourist visa) এখনই দেওয়া হচ্ছে না।

    আরও পড়ুন : এখন শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করতে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে চাইছে চিন!

    চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দীর্ঘ আলোচনার পর চিনা সরকার ফাইনাল ইয়ারের বেশ কিছু ভারতীয় ছাত্রছাত্রীকে চিনে ফেরার অনুমতি দিয়েছিল। সেই সময়ই ভারতীয় দূতাবাসকে চিনে ফিরতে ইচ্ছুক পড়ুয়াদের তথ্য সংগ্রহের কথা বলেছিল। সেই তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষেই উঠল নিষেধাজ্ঞা।

    প্রসঙ্গত, একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ২৩ হাজারেরও বেশি ভারতীয় ছাত্রছাত্রী চিনে পড়াশোনা করেন। এঁদের সিংহভাগই সে দেশের বিভিন্ন কলেজে পড়াশোনা করেন চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে। অতিমারি পরিস্থিতিতে দেশে ফেরেন তাঁরা। পঠনপাঠন চলছিল অনলাইনে। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া এবার তাঁরাই চিনে গিয়ে ক্লাস করতে পারবেন অফলাইনে।

     

LinkedIn
Share