Tag: China

China

  • US: চিনা আগ্রাসন রুখতে ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার করতে চাইছে আমেরিকা!

    US: চিনা আগ্রাসন রুখতে ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার করতে চাইছে আমেরিকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) সঙ্গে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গাঁটছড়া আরও জোরদার করতে চাইছে আমেরিকা (US)। ক্রমেই বাড়ছে চিনা (China) আগ্রাসন। ড্রাগনের দেশের এই বাড়বাড়ন্ত রুখতেই ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গাঁটছড়া আরও পোক্ত করতে চাইছে জো বাইডেনের (Joe Biden) সরকার। ইউএস ন্যাশনাল ডিফেন্স স্ট্র্যাটেজি ২০২২ প্রকাশিত হয়েছে বৃহস্পতিবার। তা থেকেই জানা গিয়েছে বাইডেন প্রশাসনের এই মনোভাবের কথা।

    কিছুদিন আগেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছিলেন, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হওয়ার প্রচেষ্টা গেম চেঞ্জার হতে চলেছে। কয়েকদিন আগেই মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতকে প্রযুক্তিগত সাহায্য করার অনুমতি দিয়েছেন তিনি। যদি সেই সরঞ্জামটি তৈরি হয়, তবে তা ভারতেই নির্মাণ করা হবে।

    প্রসঙ্গত, রাজনাথের এই দাবির আগে আগেই পাকিস্তানকে (Pakistan) এফ-১৬ ফাইটার জেট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল বাইডেন সরকার। ঘটনার জেরে ততক্ষণাৎ আপত্তির কথা জানিয়ে দেয় নয়াদিল্লি। বিশেষজ্ঞদের মতে, তার পর থেকে ভারতের ক্ষোভ প্রশমনে উদ্যোগী হয়েছে হোয়াইট হাউস। আমেরিকার (US) ওই স্ট্র্যাটেজিতে বলা হয়েছে, চিনা আগ্রাসন রুখতে দফতর (মার্কিন প্রতিরক্ষা) ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গাঁটছড়া আরও শক্ত করবে। এভাবে ভারত মহাসাগর অঞ্চলে শান্তি এবং অবাধ যাতায়াত নিশ্চিত করবে।

    আরও পড়ুন: অগ্নি প্রাইমের সফল উৎক্ষেপণ, পাল্লায় চিন, পাকিস্তান!

    চিন এবং রাশিয়া দুটি দেশই যে আমেরিকার পক্ষে সমান বিপজ্জনক, তাও জানা গিয়েছে ওই স্ট্র্যাটেজি থেকে। এতে বলা হয়েছে, চিন সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে। আর রাশিয়া দেশ এবং বিদেশের জন্য মার্কিন জাতীয় স্বার্থের পক্ষে হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রকাশিত ওই স্ট্র্যাটেজিতে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জটি হল চিনের জবরদস্তিমূলক এবং ক্রমবর্ধমান আক্রমণাত্মক প্রচেষ্টা। ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে ওই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চিন। আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে তার অনুকূলে আনতেই এটা করছে ড্রাগনের দেশ। দফতর তার সহযোগী এবং সঙ্গীদের সমর্থন করবে মার্কিন নীতি ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Xi Jinping: চিনকে প্রয়োজন গোটা বিশ্বের, তৃতীয়বার দেশের সর্বাধিনায়ক হয়েই ঘোষণা জিনপিংয়ের

    Xi Jinping: চিনকে প্রয়োজন গোটা বিশ্বের, তৃতীয়বার দেশের সর্বাধিনায়ক হয়েই ঘোষণা জিনপিংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনকে (China) প্রয়োজন বিশ্বের। তৃতীয়বারের জন্য চিনের সর্বাধিনায়ক হওয়ার পর একথাই জানালেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। মাও জে দংয়ের পর তিনিই একমাত্র নেতা যিনি পর পর তিনবার চিনা কমিউনিস্ট পার্টির (CCP) সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়লেন। শনিবারই দেশের প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। যার অর্থ, আগামী পাঁচ বছর কেবল দেশ নয়, দলেরও সর্বেসর্বা তিনিই।

    চিনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি এদিন জিনপিংকে (Xi Jinping) আগামী পাঁচ বছরের জন্য সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত করেন। তাঁর বয়স ৬৯। অথচ চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদকের পদে অবসর নেওয়ার বয়স ৬৮ বছর। ইতিমধ্যেই টানা ১০ বছর সাধারণ সম্পাদক থাকার মেয়াদ পূর্ণ করে ফেলেছেন শি জিনপিং। এদিন ফের নির্বাচিত হলেন। পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি এদিন পলিটব্যুরোর ২৫ জন সদস্যকেও বেছে নিয়েছে। এঁরাই নির্বাচিত করবেন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যদের। নির্বাচিত হওয়ার পর জিনপিংয়ের সহযোগী হিসেবে রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন এঁরা। প্রসঙ্গত, এবার পলিটব্যুরোয় কোনও মহিলা প্রতিনিধি নেই। গতবার সাকুল্যে ছিলেন একজন। তিনি অবসর নেওয়ার পর আর কেউ নেই। পার্টির গত পঁচিশ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটল।

    আরও পড়ুন: অগ্নি প্রাইমের সফল উৎক্ষেপণ, পাল্লায় চিন, পাকিস্তান!

    তৃতীয়বারের জন্য কর্তৃত্ব পেয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দেন জিনপিং (Xi Jinping)। বলেন, চিনকে প্রয়োজন গোটা বিশ্বের। চিনা প্রেসিডেন্ট বলেন, বিশ্ব ছাড়া চিন উন্নতি করতে পারে না। আবার চিনকেও প্রয়োজন বিশ্বের। তিনি বলেন, চল্লিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে লাগাতার প্রচেষ্টার সুফল মিলেছে। আমরা দুটো মিরাক্যাল ঘটাতে পেরেছি। এক, দ্রুত অর্থনৈতিক বিকাশ এবং দীর্ঘ মেয়াদি সামাজিক স্থায়িত্ব। তিনি বলেন, পার্টি এবং আমাদের লোকজন যে বিশ্বাস করে আমার ওপর দায়িত্ব অর্পণ করেছেন, কঠোর পরিশ্রম করে আমি তার মর্যাদা রাখব। প্রসঙ্গত, পার্টি এবং দেশ বাদেও সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের প্রধানও নির্বাচিত হয়েছেন শি জিনপিং।

    পার্টি কংগ্রেস শুরু হওয়ার আগে জিনপিংকে (Xi Jinping) বিশ্বাসঘাতক একনায়ক বলে দেগে দিয়ে পোস্টার পড়েছিল চিনের বিভিন্ন এলাকায়। তবে তা যে কোনও কাজে আসেনি জিনপিংকে ফের সর্বাধিনায়ক ঘোষণা করাই তার তার প্রমাণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India China: ‘আড়াই বছর অত্যন্ত কঠিন ছিল…’ ভারত-চিন সম্পর্কের হাল হকিকত জানালেন জয়শঙ্কর

    India China: ‘আড়াই বছর অত্যন্ত কঠিন ছিল…’ ভারত-চিন সম্পর্কের হাল হকিকত জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই প্রতিবেশীর সম্পর্ক যেমন হওয়া উচিত, ভারত-চিন (India China) সম্পর্ক কখনওই তেমন ছিল না। তবে গত কয়েক বছরে এই সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে। ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে বলতে গিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, কঠিন সময় ছিল আড়াই বছর। মঙ্গলবার সিডনিতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে একথা বলেন তিনি। তবে প্রতিবেশীদের যেহেতু মিলেমিশে থাকতেই হয়, তাই চিনের সঙ্গে আলোচনার পথ খোলা রাখা হয়েছে বলেও জানান জয়শঙ্কর। ভারত (India) অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক ও কোয়াড সদস্য হিসেবে সদস্য দেশগুলির সুরক্ষা প্রসঙ্গে শি জিনপিংয়ের দেশের প্রসঙ্গ টানেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, গত আড়াই বছরে ভারত-চিন (India China) সম্পর্ক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে ঝরেছে রক্তও। চল্লিশ বছর পর সীমান্তে রক্ত ঝরেছে। আমাদের ২০ জন সৈন্যকে হারাতে হয়েছে।

    প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে গত প্রায় আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে বিরোধ চলছে ভারত-চিনের (India China)। সেই সূত্র ধরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, তার পরেও আমাদের দেশের তরফে চিনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছে। সংঘর্ষের পরের দিন সকালেও আমি চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইকে ফোন করি। চিনের দিক থেকে আর যেন কোনও সামরিক পদক্ষেপ না করা হয়, তা নিশ্চিত করতে আবেদনও করি। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, কূটনীতি হচ্ছে দুই দেশের কথা চালাচালি। এটা কেবল চিনের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রেই নয়, অন্য দেশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তাঁর প্রশ্ন, যদি কূটনীতিকরা পরস্পরের মধ্যে কথাবার্তা না বলেন, তা কী ধরণের কূটনীতি তাঁরা করবেন? তাঁর মতে, দিনের শেষে প্রতিবেশী দেশগুলির মিলেমিশে থাকাই শ্রেয়।

    আরও পড়ুন : মৌলবাদী শক্তিগুলি স্বাধীনতার অপব্যবহার করছে, কানাডার খালিস্থান সমর্থকদের প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর

    গত কয়েক বছর ধরে ভারত-চিন (India China) সম্পর্ক যে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তা আগেও একবার বলেছিলেন জয়শঙ্কর। অগাস্টে ব্যাংককে একটি অনুষ্ঠনে যোগ দিতে গিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেছিলেন, ভারত-চিন সম্পর্ক খুবই কঠিন পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষত, বেজিং সীমান্তে যা করেছে, তার পর। তিনি এও বলেছিলেন, যদি দুটি প্রতিবেশী দেশ হাত না মেলায় তাহলে এশিয়ান সেঞ্চুরি হবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • China: বেজিংয়ের রাজপথ ছয়লাপ ‘বিশ্বাসঘাতক একনায়ক’ লেখা ব্যানারে, নিশানায় কে?   

    China: বেজিংয়ের রাজপথ ছয়লাপ ‘বিশ্বাসঘাতক একনায়ক’ লেখা ব্যানারে, নিশানায় কে?   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেজিংয়ের রাজপথ ছয়লাপ ‘বিশ্বাসঘাতক একনায়ক’ লেখা ব্যানারে। ঘটনায় এটা স্পষ্ট যে ২০তম কংগ্রেসে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে পুননির্মাণের আগে চিনের (China) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping) যথেষ্ঠ চাপে রয়েছেন। দিন কয়েক আগে শি জিনপিংকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল বলে খবর ছড়িয়েছিল। পরে অবশ্য তাঁকে প্রকাশ্যে দেখা যায়। চিনের সর্বাধিনায়কের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতক একনায়ক লেখা ব্যানার পড়ায় অস্বস্তিতে পার্টি। যদিও ব্যানারের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তড়িঘড়ি সরিয়ে নেওয়া সেগুলি।

    চিনের রাজধানী বেজিংয়ের এক সাংবাদিকের করা ট্যুইট থেকে জানা গিয়েছে, কোনও কোনও ব্যানারে চিনের জিরো কোভিড পলিসির বিরোধিতা করা হয়েছে। লেখা হয়েছে, আমরা কোভিড পরীক্ষা চাই না, খাবার চাই। লকডাউন চাই না, স্বাধীনতা চাই। আবার কোনও কোনও ব্যানারে লেখা হয়েছে, বিশ্বাসঘাতক একনায়ক (Dictatorial Traitor)। জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ব্যানারের ছবি ছড়িয়ে পড়তেই দ্রুত খুলে নেওয়া হয় সেগুলি। হেইডিয়ান জেলায় ব্যানারের নীচে রাস্তার ওপর থেকে ধোঁয়া উঠতেও দেখা গিয়েছে। সেখানে জনতা স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে এই বলে যে স্কুলে ধর্মঘট করা যাক, ধর্মঘট করা যাক কাজেও, বিশ্বাসঘাতক একনায়ক শি জিনপিংকে সরানো যাক।

    আরও পড়ুন: ‘আড়াই বছর অত্যন্ত কঠিন ছিল…’ ভারত-চিন সম্পর্কের হাল হকিকত জানালেন জয়শঙ্কর

    প্রসঙ্গত, বেজিংয়ের জিরো কোভিড পলিসির কারণে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, কোয়ারেন্টাইন এবং পরপর লকডাউনের ওপর ব্যাংক করে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে জিন পিং সরকার। যদিও চিনা সরকারের দাবি, কোভিড প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে এটি দারুণ কার্যকর হয়েছে। প্রসঙ্গত, চিনা নাগরিকরা আশা করেছিলেন যে ২০ তম কংগ্রেসের পরে জিরো কোভিড নীতি শেষ হবে। প্রসঙ্গত, চিনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার একটি সম্পাদকীয়তে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে একটি লেখা প্রকাশিত হতেই  তাঁদের নিরাশ হতে হয়। চিনের কড়া কোভিড নীতির কারণে থমকে গিয়েছে অর্থনৈতিক উন্নতি। জিনপিংয়ের আমলে মার খেয়েছে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা। এই ব্যানার-আন্দোলনের পর জিন পিংয়ের পদ থাকে কিনা, এখন সেটাই দেখার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Xi Jinping: পার্টি কংগ্রেসে হংকং, তাইওয়ান তাস খেললেন শি জিনপিং, কেন জানেন?

    Xi Jinping: পার্টি কংগ্রেসে হংকং, তাইওয়ান তাস খেললেন শি জিনপিং, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁকে একনায়ক বিশ্বাসঘাতক বলে দেগে দিয়েছেন চিনের (China) বাসিন্দারা। পরিস্থিতি যে বিশেষ সুবিধার নয়, তা বোধহয় আঁচ করতে পেরেছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। তাই পার্টি কংগ্রেসের উদ্বোধনী ভাষণে চিনা প্রেসিডেন্ট বলেন, হংকংয়ের পরিস্থিতির ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। তাইওয়ানে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ এবং তৃতীয় শক্তির হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না।

    প্রতি পাঁচ বছরে একবার বসে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি (CCP) কংগ্রেস। এবারের পার্টি কংগ্রেসে উপস্থিত রয়েছেন প্রায় ২৩০০ দলীয় প্রতিনিধি। বেজিংয়ের গ্রেট হলে জড়ো হয়েছেন তাঁরা। এর মধ্যেই যখন ঢুকলেন শি জিনপিং (Xi Jinping), তখন কার্যত হাততালির বন্যা। রবিবার থেকে শুরু হয়েছে চিনের ২০তম পার্টি কংগ্রেস। পর পর দুটো টার্মে চিনের কমিউনিস্ট পার্টি ও প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন শি জিনপিং। আগামী পাঁচ বছরের জন্যও ফের ওই পদে ফিরতে চলেছেন তিনি।

    এদিন বক্তৃতা দিতে উঠে হংক ও তাইওয়ান তাস খেলে দেন শি জিনপিং (Xi Jinping)। বলেন, হট্টগোলের রাজনীতি থেকে সুশাসনের পথে ফিরেছে হংকং। স্বশাসিত তাইওয়ানে বিচ্ছিন্নতাবাদ ও বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। দেশজুড়ে চলা দুর্নীতির বিরুদ্ধেও এদিন সুর চড়িয়েছেন তিনি। বলেন, দেশজুড়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। যা মানুষ ও দেশের সেনাবাহিনীকে বিপন্মুক্ত করেছে। তাইওয়ানের দাবি যে চিন ছাড়ছে না, এদিন তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছিন শি জিনপিং। তিনি বলেন, তাইওয়ান সমস্যার সমাধান করা চিনা জনগণের ওপর নির্ভর করে। চিন কখনওই শক্তি প্রয়োগের দাবি পরিত্যাগ করবে না।

    আরও পড়ুন: মুখ থুবড়ে পড়েছে চিনের ‘জিরো কোভিড নীতি’, ফের লকডাউনে জিনপিং- এর দেশ

    চিনা প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে একটি শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলনের চেষ্টা চালিয়ে যাব। তবে প্রয়োজনে শক্তির ব্যবহার করব না, এমন প্রতিশ্রুতি দেব না। চিনা নাগরিকদের সুরক্ষার জন্যই যে কড়া কোভিড নীতি লাগু করা হয়েছে, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন চিনের সর্বাধিনায়ক। সরকারের কোভিড নীতিতে আমজনতার হাঁসফাঁস দশা হলেও, শি জিনপিং (Xi Jinping) বলেন, নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে এবং তাঁদের সুস্বাস্থ্য যাতে বজায় থাকে তাই এই নীতি নেওয়া হয়েছে। এতে ফলও মিলেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। মহামারি আপাতত নিয়ন্ত্রণেও বলে জানান তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India Abstained: উইঘুরদের মানবাধিকার লঙ্ঘন, রাষ্ট্রসংঘে চিনের বিরুদ্ধে গেল না ভারত

    India Abstained: উইঘুরদের মানবাধিকার লঙ্ঘন, রাষ্ট্রসংঘে চিনের বিরুদ্ধে গেল না ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের জিনজিয়াং (Xinjiang) অঞ্চলে উইঘুর (Uighur) মুসলিমদের মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। এই অভিযোগ বহুদিন ধরেই ছিল। এই বিষয়ে সম্প্রতি বিতর্কের প্রস্তাব দেয় রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদ। চিন (China) বিরোধী এই খসড়া প্রস্তাবে ভোটাভুটি থেকে নিজেকে দূরে রাখল ভারত। ৪৭ সদস্যের পরিষদে খসড়া প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয় ১৭ টি দেশ। বিপক্ষে ভোট দেয় চিন-সহ ১৯টি দেশ। অন্যদিকে, ভারত, ব্রাজিল, মেক্সিকো এবং ইউক্রেন-সহ ১১টি দেশ এই প্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকল। বেশ কয়েকটি মানবাধিকার গোষ্ঠী দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে উত্তর-পশ্চিম চিনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ করে আসছে। খসড়া প্রস্তাবটি পেশ করেছিল কানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, ব্রিটেন, আমেরিকার মতো দেশগুলির সম্মিলিত গ্রুপ। তুরস্ক-সহ বিভিন্ন রাষ্ট্র প্রস্তাবটির সহ-প্রস্তাবক ছিল। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলির অভিযোগ ছিল, শিক্ষাদানের নামে বেজিং জিনজিয়াং অঞ্চলে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করেছে চিন প্রশাসন। সেই ক্যাম্পে ইচ্ছার বিরুদ্ধে অন্তত ১০ লক্ষ উইঘুর সম্প্রদায়ের মানুষকে আটক করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকায় ‘টক্কর’ পাকিস্তানকে, আটারিতে উড়বে ভারতের উচ্চতম তেরঙা

    এর আগে রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টেও এক ভয়ঙ্কর দাবি করা হয়। ৪৯ পাতার সেই রিপোর্টে বলা হয়, “জিনজিয়াং প্রদেশে চরমপন্থা এবং সন্ত্রাসদমনের নামে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। ধর্ষণ, পুরুষদের জোর করে নির্বীজকরণের মতো ঘটনা ঘটেছে সেখানে। এমনকী, হঠাৎই নিজের বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছেন অনেকে। পরে যাদের আর কোনও খোঁজ মেলেনি। উইঘুর এবং অন্যান্য মুসলিম গোষ্ঠীর সদস্যদের সাধারণ নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। জোর করে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা হচ্ছে তাদের।”

    এই দিনের ভোটাভুটি নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী হিউম্যান রাইটস ওয়াচ চাইনার ডিরেক্টর সোফি রিচার্ডসন। তিনি বলেন, “ইতিহাসে এই প্রথমবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের শীর্ষ মানবাধিকার সংস্থা চিনের জিনজিয়াং প্রদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিতর্কের প্রস্তাব বিবেচনা করল। যদিও প্রস্তাবটি গ্রহণ করেনি কাউন্সিল। তবে, এই ভোটাভুটি থেকে স্পষ্ট চিনের ব্যাপক অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে ইচ্ছুক দেশের সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে।”     

    সোফি রিচার্ডসন আরও জানিয়েছেন, সম্প্রতি রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রাক্তন হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের প্রতিবেদনেই চিনের অত্যাচারের কথা স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। নয়া হাইকমিশনার ভলকার তুর্ককে এই প্রতিবেদনের বিষয়ে মানবাধিকার পরিষদকে জানানোর জন্য অনুরোধ করছেন তাঁরা। পাশাপাশি ওই প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করার জন্য এবং চিনকে এই অপরাধের জন্য জবাবদিহি করতে বাধ্য করার জন্য আন্তর্জাতিক মহলকে আহ্বানও জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ চায়না।   

  • India in Sri Lanka: দেনার দায়ে ডুবতে বসা শ্রীলঙ্কায় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি ভারতের

    India in Sri Lanka: দেনার দায়ে ডুবতে বসা শ্রীলঙ্কায় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিপন্ন প্রতিবেশীর পাশে দাঁড়াল ভারত (India)। দেনার দায়ে আকণ্ঠ নিমজ্জিত শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। প্রতিবেশী দেশটিকে কীভাবে ঋণের ফাঁস থেকে উদ্ধার করা যায়, সে ব্যাপারে মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার সঙ্গে কথা বলেছে মোদির (Modi) ভারত। কেবল তাই নয়, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের মাধ্যমে দেনার দায়ে ডুবতে বসা শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নয়াদিল্লি।

    চড়া সুদে শি জিনপিংয়ের দেশ থেকে ঋণ নিয়েছিল দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। ফি মাসে কেবল সুদ বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা মেটাতে গিয়ে আক্ষরিক অর্থেই সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা প্রশাসন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের দিকে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার তলানিতে ঠেকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় আমদানি। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। জনরোষের আগাম আঁচ পেয়ে রাতের অন্ধকারে স্ত্রীকে নিয়ে দেশ ছেড়ে পালান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষ। প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে প্রেসিডেন্ট ভবন, প্রধানমন্ত্রীর দফতর সহ নানা সরকারি ভবনের দখল নেয় জনতা। তার পরেই বিদেশ থেকে মেইল করে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন গোতাবায়া। জরুরি ভিত্তিতে সাংসদের ভোটে নয়া প্রেসিডেন্ট হন দেশের ছ বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে।

    তার পর থেকে এ পর্যন্ত আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়নি শ্রীলঙ্কার।এমতাবস্থায় দ্বীপবাসীদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিল ভারত। কলম্বোয় ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, সেপ্টেম্বরের ১৬ তারিখে শ্রীলঙ্কার আধিকারিকদের সঙ্গে ঋণ শোধ নিয়ে প্রথম দফার বৈঠক হয়েছে। হাইকমিশন জানিয়েছে, আলোচনা হয়েছে আন্তরিক পরিবেশে। শ্রীলঙ্কা যাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার থেকে সাহায্য পেতে পারে, তার ব্যবস্থাও করার চেষ্টা চলছে।

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের পর এবার ইরাকের ওপর নজর চিনের?

    ভারতীয় হাইকমিশনের তরফে এও জানানো হয়েছে, শুক্রবার আন্তর্জাতিক ঋণদানকারী সংস্থার কাছে শ্রীলঙ্কা একটি প্রেজেন্টেশন করবে। তুলে ধরবে তার ঋণ সমস্যার কথা। সেই ঋণ কীভাবে শোধ করা হবে, তা নিয়েও করা হবে পরিকল্পনা। হাইকমিশন এও জানিয়েছে, নয়াদিল্লি কলম্বোকে সমর্থন জুগিয়েই যাবে। গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কয়েকটি ক্ষেত্রে ভারত দীর্ঘমেয়াদি ইনভেস্টমেন্টও করবে। এভাবেই ভারত রূপায়ণ করবে তার ‘নেবারহুড ফার্স্ট’ নীতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Indian Navy Chief: ভারত মহাসাগরে চিন শক্তিশালী প্রতিপক্ষ, তবে আমরাও প্রস্তুত, বললেন নৌসেনা প্রধান

    Indian Navy Chief: ভারত মহাসাগরে চিন শক্তিশালী প্রতিপক্ষ, তবে আমরাও প্রস্তুত, বললেন নৌসেনা প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত মহাসাগরে (Indian Ocean) চিন (China) শক্তিশালী প্রতিপক্ষ (Formidable Challenge), তবে আমরাও প্রস্তুত। মঙ্গলবার একথা বললেন নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল (Navy Chief Admiral) আর হরি কুমার। তিনি জানান, সীমান্তে ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জ চিন। কেবল স্থলপথ নয়, জলপথেও তারা ক্রমেই ভারতের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সীমান্তে সন্ত্রাসবাদের বাড়বাড়ন্তও দেশের নিরাপত্তার পক্ষে হুমকি স্বরূপ বলেও জানান নৌসেনা প্রধান।

    এদিন নৌসেনা প্রধান বলেন, চিন কেবল যে স্থলপথেই আমাদের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাই নয়, জলসীমায়ও তারা ক্রমেই শক্তি বাড়াচ্ছে। তিনি বলেন, ভারত মহাসাগরে তারাও আমাদের শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। ভারতের নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার বলেন, সীমান্তে প্রতিদিনই প্রতিযোগিতা বাড়ছে। কখনও কখনও তা ছাড়িয়ে যাচ্ছে টেস্টিং লিমিটও। তিনি বলেন, সম্মুখসমর না হলেও, সম্ভাব্য প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে একটা যুদ্ধের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

    কেবল চিন নয়, ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানও যে ক্রমেই সামরিক সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে, সেদিকেও নজর রয়েছে বলেও জানিয়েছেন নৌসেনা প্রধান। তিনি জানান, অর্থনৈতিক সমস্যা থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তান তার সেনা বাহিনীতে আধুনিকীকরণ করে চলেছে। অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার বলেন, আমাদের পশ্চিম দিকে রয়েছে পাকিস্তান। অর্থনৈতিক নানা বাধা থাকা সত্ত্বেও তারা ক্রমেই সেনাবাহিনীতে আধুনিকীকরণ করে চলেছে। বিশেষত নৌসেনায়। এই সব সামরিক চ্যালেঞ্জ ছাড়াও রয়েছে সীমান্তে সন্ত্রাসবাদের বিপদ। তিনি জানান, সন্ত্রাসবাদ এখনও দেশের নিরাপত্তার পক্ষে সব চেয়ে বড় হুমকি। নৌসেনা প্রধান বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলাচ্ছে সন্ত্রাসবাদের আকার, আকৃতি-প্রকৃতি। এই সমস্ত অদৃশ্য শত্রু এক ধাপ করে এগিয়ে রয়েছে। যারা প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে সন্ত্রাসবাদের ধরণ, হাতিয়ার করছে প্রযুক্তিগত কৌশলকে। এগুলোর মোকাবিলা করতে হবে আমাদের।

    আরও পড়ুন : পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ দেওয়ার মার্কিন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ভারত

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রবল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিস্তান। মৃতের সংখ্যা পার হয়ে গিয়েছে হাজার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়ি। ভয়াল এই বন্যার আগেই দেউলিয়া হওয়ার জোগাড় হয়েছিল সে দেশের অর্থনীতির। সেই আবহেও সেনায় আধুনিকীকরণ হবে বলে নানা সময় জানিয়েছিলেন সে দেশের সেনা কর্তারা। আমেরিকা থেকে কয়েকশো কোটি টাকার এফ ১৬ বিমানের যন্ত্রাংশও কিনেছে। এদিন কৌশলে নৌসেনা প্রধান সেই বিষয়টিরই উল্লেখ করলেন বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Joe Biden on Taiwan: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভ্রুকুটি! চিন হামলা করলে তাইওয়ানের হয়ে লড়বে মার্কিন ফৌজ, হুঁশিয়ারি বাইডেনের

    Joe Biden on Taiwan: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভ্রুকুটি! চিন হামলা করলে তাইওয়ানের হয়ে লড়বে মার্কিন ফৌজ, হুঁশিয়ারি বাইডেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন দিন সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে বিশ্বের দুই শক্তিধর দেশ চিন (China) এবং আমেরিকার (USA)। আর এর মাঝেই চিনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন (US President Joe Biden)। বাইডেন বলেন, “চিন তাইওয়ান আক্রমণ করলে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে (Taiwan) রক্ষা করবে।” চিন বহুদিন ধরেই তাইওয়ানের ওপর নিজের অধিকার দাবি করে আসছে। এই বিষয়ে রবিবার এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন, “যদি তাইওয়ানের ওপর অপ্রত্যাশিত কোনো হামলা আসে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের পাশে থাকবে।” সত্যিই কী বিশ্বের দুই শক্তিধর দেশ এবার সম্মুখ সমরে? এটাই কী তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বাভাস? এখন এই চিন্তাই ভাবাচ্ছে রাজনৈতিক মহলকে। যদিও এই সাক্ষাৎকার সম্প্রচারিত হওয়ার পরই হোয়াইট হাউজ জানায়, তাইওয়ান নিয়ে মার্কিন নীতিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি।

    আরও পড়ুন: এবার আস্তিন গুটিয়ে চিনের পাল্টা মহড়ায় নামল তাইওয়ানও

    চিনের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ান। বহুদিন ধরেই দ্বীপরাষ্ট্রটিকে নিজের অংশ বলে দাবি করে আসছে জিংপিং- এর দেশ। ওয়াশিংটন এই ইস্যুতে বরাবরই কূটনৈতিক অবস্থান নিয়েছে। এ বিষয়ে এর আগে সরাসরি ঢুকতে চায়নি যুক্তরাষ্ট্র। দ্বীপদেশটির সঙ্গে ওয়াশিংটনের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে তাইওয়ানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তাইওয়ান রিলেশনস অ্যাক্ট অনুসারে ওয়াশিংটন তাইওয়ানে অস্ত্র বিক্রি করে। এ মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা খাতে ১১০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করতে সম্মত হয়েছে। আমেরিকা চায় তাইওয়ানের সমস্যাটির শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হোক।  

    সম্প্রতি, মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি সহ বেশ কয়েকজন আধিকারিক তাইওয়ান সফর করেন। এর পরেই মার্কিন-চিন সম্পর্কে আরও অবনতি হয়েছে। মার্কিন প্রতিনিধিদের তাইওয়ান থেকে ফিরে যাওয়ার পরেই সামরিক অনুশীলন শুরু করে চিন।

    আরও পড়ুন: তাইওয়ানের ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থার শীর্ষ আধিকারিকের মৃত্যু, রহস্য  

    সম্প্রতি তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি বিল মার্কিন সেনেটে পাশ হয়েছে। এই বিল অনুমোদন পাওয়ার পরেই চিন অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। চিনের বিদেশ মন্ত্রক আমেরিকার বিরুদ্ধে বিবৃতি জারি করে বলে, ‘এক চিন নীতি’- র অবমাননা করেছে আমেরিকা। চিনের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমেরিকার হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না। 

    এই মুহূর্তে চিনের শি জিনপিংয়ের সরকার সমুদ্রে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে এবং আশেপাশের এলাকায় ফাইটার প্লেন উড়িয়ে তাইওয়ানকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। আর এর মাঝেই তাইওয়ানের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন বাইডেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SCO Summit: এসসিও সম্মেলনে মোদি-শরিফ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়, জানুন কে কি বললেন

    SCO Summit: এসসিও সম্মেলনে মোদি-শরিফ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়, জানুন কে কি বললেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আঞ্চলিক শক্তিগুলির যোগাযোগ আরও মজবুত হবে যদি এক দেশ থেকে অন্য দেশে পূর্ণ পরিবহণের অধিকার (Transit Trade Access) থাকে। সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের, সংক্ষেপে এসসিও (SCO) সম্মেলনে যোগ দিয়ে একথা বললেন ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। পাকিস্তান (Pakistan) ভারতকে স্থলপথে পরিবহণ করতে বাধা দিচ্ছে। তার জেরে ভারত স্থলপথে আফগানিস্তান ও সেন্ট্রাল এশিয়ায় ব্যবসা করতে পারছে না বলেও অভিযোগ করেন মোদি।

    এদিন ভাষণ দিতে গিয়ে মোদি ইউরেশিয়ান অঞ্চলে বিভিন্ন দেশগুলির মধ্যে আরও সহযোগিতা গড়ে তোলার আহ্বান জানান। বিশ্বজুড়ে করোনা পরিস্থিতি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে গোটা বিশ্বে যে জ্বালানি এবং খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে এদিন তাও জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আগামী বছরের মাঝামাঝি সময় ভারতে হবে এসসিও সম্মেলন। তার আগেই উৎপাদনের ওপর ভারত যে জোর দিচ্ছে, তারও উল্লেখ করেন মোদি। ভারত যে একটা ম্যানুফ্যাকচারিং হাব এবং দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ, এদিন বিশ্বনেতাদের সেটাও জানিয়ে দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এর পরেই মোদি বলেন, সদস্য দেশগুলির মধ্যে বিশ্বাস গড়ে তুলতে এবং প্রাণবন্ত, বৈচিত্রপূর্ণ সাপ্লাই চেন সচল রাখতে এসসিওর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, এজন্য পারস্পরিক সংযোগ রক্ষা জরুরি। সেজন্য আমাদের প্রত্যেককে দিতে হবে পরিবহণের পূর্ণ অধিকার।

    আরও পড়ুন : ‘‘এটা যুদ্ধের সময় নয়, বন্ধু…’’, পুতিনকে যখন এই কথা বললেন মোদি

    এদিন সম্মেলনের বাইরে মোদির সঙ্গে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের কোনও বাক্য বিনিময় হয়নি। যদিও মোদি দাঁড়িয়েছিলেন শি জিনপিংয়ের ঠিক পাশেই।এসসিও সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে প্রথমেই ভারতেক ধন্যবাদ জানান চিনা প্রেসিডেন্ট। আগামী বছর যেহেতু ভারত হবে আয়োজক দেশ, তাই ভারতের প্রতি চিনের পূর্ণ সমর্থনের প্রতিশ্রুতিও দেন শি জিনপিং। এদিন বক্তৃতা দিয়ে গিয়ে জিনপিং এবং শরিফ দুজনেই সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে সুর চড়ান। সন্ত্রাসবাদ দমনে যে যৌথভাবে লড়াই করতে হবে, তাও জানিয়ে দেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানই। ভাষণে শরিফ মোদির পরিবহণের পূর্ণ অধিকার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, যদি আঞ্চলিক শক্তিগুলির সংযোগ থাকে, তাহলে পরিবহণের পূর্ণ অধিকার চলে আসবে আপনা থেকেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share