Tag: China

China

  • India China Relation: ভারতের বাড়া ভাতে ছাই দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    India China Relation: ভারতের বাড়া ভাতে ছাই দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    মুখে মিষ্টতা। আর আস্তিনে লুকনো বাঘনখ! এভাবেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে চিন! অন্তত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা তেমনই। এভাবেই তারা ক্রমশ কবজা করতে চাইছে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ অরুণাচলপ্রদেশকে। আজ দ্বিতীয় কিস্তি…

     

    অরুণাচলপ্রদেশে ড্রাগনের থাবা-২

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডোক যখন রেস্তোরাঁ চালিয়ে সমাজের মূলস্রোতে ফেরার চেষ্টা করছেন এবং পুলিশও যথন তাঁর ওপর নজরদারি চালানো বন্ধ করে দিয়েছে, তখন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে নাগা গোষ্ঠীকে দায়িত্ব দিল চিন (India China Relation)। ঠিক এক বছর আগে এনএসসিএন-এর দুজন প্রবীণ কর্তা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বলে অনুমান (Arunachal Pradesh)। এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ) দক্ষিণ-পূর্ব অরুণাচলপ্রদেশের তিরাপ, চাংলাং এবং লংডিং জেলাগুলোতে সক্রিয়। এই জেলাগুলি নাগাল্যান্ড লাগোয়া। আইবির এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “ডোকের সঙ্গে যোগাযোগকারী এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর দুই কর্তা ছিলেন সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের দূত। তাঁদের দায়িত্ব ছিল ডোক নতুন একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী গঠন করতে আগ্রহী কিনা তা জেনে নেওয়া।

    চিনের জঙ্গি-যোগ! (India China Relation)

    এনএসসিএন-এর দুটি গোষ্ঠী— এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ) এবং এনএসসিএন (ইসাক-মুইভাহ)। দুই গোষ্ঠীই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে চিনের সঙ্গে। অতীতে চিন নাগা গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয়, প্রশিক্ষণ এবং এমনকি অস্ত্র দিয়েও সাহায্য করেছিল। এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর প্রায় পুরো নেতৃত্ব এবং বেশিরভাগ সদস্য মায়ানমারের উত্তরের সাগাইং এবং পশ্চিমের কাচিন রাজ্যের শিবিরগুলোয় রয়েছে (India China Relation)। এসব এলাকা এখন কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স অর্গানাইজেশন (কেআইও)-এর নিয়ন্ত্রণে, যার সশস্ত্র শাখা কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) মায়ানমারের শাসক সেনাবাহিনীর কাছ থেকে কাচিনের বড় অংশ দখল করেছে। কেআইও-এর সঙ্গে চিনের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। চিন তাদের অর্থায়ন করছে এবং কৌশলগত পরামর্শ দিচ্ছে। কেআইও চেয়ারম্যান জেনারেল এন’বান লা গত (Arunachal Pradesh) ডিসেম্বরের শুরুতে চিনে গিয়ে মায়ানমারের জাতিগত সংঘাত নিয়ে আলোচনা করেছেন বলেও খবর।

    নয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী

    আইবির ধারণা, বেজিংয়ের ইঙ্গিতেই কেআইও এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর নেতৃত্বকে ডোকের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি নয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী গঠন করতে বলা হয়েছিল। ডোক প্রথমে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। কারণ তাঁর আগের গোষ্ঠী এনএলসিটিতে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তিনি জানতেন যে পর্যাপ্ত সম্পদ, অস্ত্র, এবং বাহ্যিক সহায়তা ছাড়া একটি গোষ্ঠী টিকিয়ে রাখা শুধু মুশকিলই নয়, তাকে কার্যকর করাও অসম্ভব।

    ডোককে আশ্বাস চিনের

    ডোককে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে এবার অর্থ, অস্ত্র এবং নিরাপদ আশ্রয়ের অভাব হবে না। এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর কর্তারা তাঁকে এও বলেছিলেন যে, তাঁর কাজ হবে কেবল লোকজন নিয়োগ করা। অর্থ, প্রশিক্ষণ, অস্ত্র এবং নিরাপদ আশ্রয় সরবরাহ করবে তারা (India China Relation)। ডোককে সাহায্য করার জন্য এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর আরও দুই সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

    ভারতের বাঁধ নির্মাণে বাধা দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন! (প্রথম পর্ব)

    চিনের লোভনীয় প্রস্তাবে সাড়া

    চিনের এই লোভনীয় প্রস্তাব পেয়ে আর না করতে পারেননি ডোক। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন করে উদ্যোগী হন তিনি। এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ) তাকে প্রাথমিকভাবে সাহায্য করে। ডোক কীভাবে সম্ভাব্য নিয়োগপ্রাপ্তদের চিহ্নিত করা, গোপনে যোগাযোগ করা এবং তাদের মনোভাব পরিবর্তন করে নিয়োগ করতে হয়, তা শিখে নেন।

    হাওয়ালা চ্যানেলের মাধ্যমে ফান্ডিং!

    গোয়েন্দারা জেনেছেন, নাগা গোষ্ঠীর সদস্যরা হাওয়ালা চ্যানেলের মাধ্যমে বড় অঙ্কের অর্থ ডোকের কাছে পাঠায়। চার মাস পর ডোক ইটানগর ও আশপাশ এলাকার প্রায় আটজন যুবককে সংগঠনে নিয়োগ করতে সক্ষম হন। দরিদ্র পরিবারের এই আধা-শিক্ষিত বা স্কুলছুট যুবকদের ইটানগরের (Arunachal Pradesh) শহরতলির দুটি বাড়িতে রাখা হয় এবং তাদের মাসিক ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

    ডোকের নয়া দল

    ওই বছরেরই অক্টোবরের গোড়ার দিকে, ডোক ২০ জন সদস্যের একটি দল গড়ে তোলেন। তাঁরা সকলেই লংডিং জেলায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাঁরা ভারত-মায়ানমারের অরক্ষিত সীমানা পেরিয়ে কাচিনে ঢোকে। কাচিনের একটি শিবিরে ডোক দেখা করেন এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর নেতৃত্বের সঙ্গে। কাচিনের এই শিবিরটি, যা চাংরাং হি এলাকায় অবস্থিত বলে মনে করা হচ্ছে, ইউটিএর অস্থায়ী সদর দফতর হয়ে উঠেছে। এই গোষ্ঠী ডোককে নেতা করে আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয়েছে (India China Relation)।

    চলছে প্রশিক্ষণ

    এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর সদস্যরা বর্তমানে ইউটিএ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। চিন কেআইএ এবং এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর মাধ্যমে ইউটিএ-কে অ্যাসল্ট রাইফেল, গ্রেনেড লঞ্চার এবং অন্যান্য অস্ত্র সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কয়েকদিন আগে ইউটিএ প্রধান ডোক একটি ছোট ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। তাতে তিনি দাবি করেছিলেন, যে এটি একটি ইউটিএ ক্যাম্প। ভিডিওতে একটি মাঝারি আকারের মিলিট্যান্ট ক্যাম্প দেখা যাচ্ছে, যা একটি পাতলা জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, প্রায় দু’ডজন রাইফেল, যেগুলো সবই চিনে তৈরি। ক্যাম্পে কিছু কর্মীকে ছদ্মবেশী পোশাক পরে থাকতেও দেখা গিয়েছে। রয়েছে কয়েকটি অস্থায়ী কাঠামোও। তবে সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা কর্তারা, যাঁরা ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা জানান, ভিডিওতে দেখানো ক্যাম্পটি (Arunachal Pradesh) আসলে এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ) এর, যেখানে ইউটিএ-র কর্মীরা সাময়িকভাবে থাকতে পারে (India China Relation)।

    কী বলছে সেনাবাহিনী?

    সেনাবাহিনীর ২ মাউন্টেন ডিভিশনের এক প্রবীণ কর্তা বলেন, “সর্বোচ্চ, ক্যাম্পের একটি-দুটি অস্থায়ী কাঠামো ইউটিএ কর্মীদের থাকার জন্য ব্যবহার করা হতে পারে। এটি একটি সুপ্রতিষ্ঠিত ক্যাম্প, যা অন্তত কয়েক বছর আগে নির্মিত। ভিডিওয় যেসব উন্নতমানের অস্ত্রশস্ত্র দেখা যাচ্ছে, ইউটিএর কাছে তা নেই।” তাঁর মতে, ক্যাম্পটি অসমের ডিব্রুগড়ে অবস্থিত। আইবির এক কর্তা বলেন, “ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে ইউটিএ-কে প্রচারের আলোয় আনতে এবং নিজেদের একটি শক্তিশালী ও উন্নত অস্ত্রে সজ্জিত সশস্ত্র দল হিসেবে তুলে (Arunachal Pradesh) ধরতে। এর উদ্দেশ্য নতুন সদস্যদের আকর্ষণ করা এবং চাঁদা আদায়ের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করা (India China Relation)।

    চলবে…

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China Relation: ভারতের বাঁধ নির্মাণে বাধা দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    India China Relation: ভারতের বাঁধ নির্মাণে বাধা দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    মুখে মিষ্টতা। আর আস্তিনে লুকনো বাঘনখ! এভাবেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে চিন! অন্তত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা তেমনই। জঙ্গি গোষ্ঠী তৈরি করে জিইয়ে রাখতে চাইছে অশান্তি। এভাবেই তারা ক্রমশ কবজা করতে চাইছে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ অরুণাচলপ্রদেশকে। আজ  প্রথম কিস্তি…

                                                                                             অরুণাচলপ্রদেশে ড্রাগনের থাবা ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখে মিষ্টতা। আর আস্তিনে লুকনো বাঘনখ! এভাবেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে চিন (India China Relation)! অন্তত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা তেমনই। দুই দেশে শীর্ষ নেতৃত্ব যখন একের পর এক বৈঠক করে ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করছে, ঠিক তখনই অরুণাচলপ্রদেশে (Arunachal Pradesh) থাবা বসাচ্ছে ড্রাগনের দেশ! এক সময় চিন তাদের দেশের মানচিত্রে ঢুকিয়ে নিয়েছিল অরুণাচল প্রদেশের বেশ কিছু গ্রামকে।

    অশান্তি জিইয়ে রাখতে চাইছে চিন! (India China Relation)

    এবার উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে স্থায়ী অশান্তি জিইয়ে রাখতে নয়া উগ্রপন্থী সংগঠন সৃষ্টি করেছে বেজিং। নাম দেওয়া হয়েছে, ইউনাইটেড টানি আর্মি, সংক্ষেপে ইউটিএ। এই জঙ্গি সংগঠনের প্রধান উদ্দ্যেশ্যই হল হিমালয়ের কোলের রাজ্যে বিশেষত সিয়াং নদীতে নির্মীয়মান বৃহৎ বাঁধ প্রকল্পগুলিকে বাধা দেওয়া। এই সিয়াং নদী উৎপন্ন হয়েছে চিনের অধিকৃত তিব্বত  থেকে। বেজিংয়ের অভিপ্রায় শুধু ভারতের পরিকল্পিত ৫৭ হাজার মেগাওয়াটের বেশি পরিচ্ছন্ন শক্তি উৎপাদনের উদ্যোগ ব্যাহত করা নয়, বরং ভারতের সেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলিকেও নস্যাৎ করা যা চিনের সম্ভাব্য ‘জল যুদ্ধের’ বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য নেওয়া হচ্ছে।

    ইউটিএর জন্ম

    প্রথমে লুকিয়ে চুরিয়ে সংগঠন গড়েছে ইউটিএ। ২০২৪ সালের বড়দিনের প্রাক্কালে বিবৃতি জারি করে নিজেদের উপস্থিতি ঘোষণা করে এই জঙ্গি সংগঠন। ওই বিবৃতিতে সিয়াং আপার মাল্টিপারপাস প্রকল্প (এসইউএমপি)-সহ বৃহৎ বাঁধ নির্মাণের বিরোধিতা করা হয়েছে। এসইউএমপি প্রকল্পটি ভারতের (India China Relation) জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি চিনের যারলুং জ্যাংবো নদীতে নির্মীয়মান বৃহৎ জলবিদ্যুৎ এবং জল সংরক্ষণ প্রকল্পগুলির বিপদ রোধ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

    ব্রহ্মপুত্র

    এই নদী মাউন্ট কৈলাসের কাছে চিন অধিকৃত তিব্বত থেকে উৎপন্ন হয়ে তিব্বতী মালভূমি জুড়ে হাজার কিলোমিটারেরও বেশি পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়েছে। পরে নামচা বারোয়ার কাছে একটি গভীর বাঁক নিয়ে অরুণাচলপ্রদেশে (Arunachal Pradesh)  প্রবেশ করেছে। সেখানে এর নাম হয়েছে সিয়াং। সিয়াং নদী তারপর দিবাং এবং লোহিত নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে অসমে ব্রহ্মপুত্র নাম নিয়েছে। চিন যারলুং জ্যাংবো নদীতে যে বৃহৎ বাঁধ নির্মাণ করছে, (বিশেষত নদীর ঘুরন্ত অংশ নামচা বারোয়ার ঘোড়ার নালের বাঁক-এ বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ নির্মাণের সাম্প্রতিক ঘোষণা), তা নদীর স্বাভাবিক প্রবাহকে বিঘ্নিত করবে।

    চিনের ব্যয়

    চিনের এই মেগা প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে শুখা মরসুমে ভারতে জল সরবরাহ বন্ধ করে খরা সৃষ্টি করতে পারে চিন। আর ঠিক উল্টোটা হবে বর্ষাকালে। বিশাল পরিমাণে জল ছেড়ে বন্যা সৃষ্টি করতে পারে ভারতে। এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে এসইউএমপি, যা চিনের (India China Relation) সঙ্গে এমন ‘জল যুদ্ধ’ প্রতিরোধ করবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার পাশাপাশি সিয়াং নদীতে নির্মীয়মান বৃহৎ বাঁধ প্রকল্পগুলিকে বাধা দিতেই চিন জন্ম দিয়েছে ইউটিএর। অরুণাচল প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মামা নাটুং বলেন, “ইউটিএ (UTA) হল ন্যাশনাল লিবারেশন কাউন্সিল অব তানিল্যান্ড (NLCT)-এর নয়া রূপ। ২০১০ সালের শেষের দিকে অরুণাচল প্রদেশ পুলিশ নিষ্ক্রিয় করেছিল এনএলসিটিকে।”

    এনএলসিটি

    এনএলসিটি একটি (Arunachal Pradesh) ছোটো উগ্রপন্থী দল, যার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল খাপলাং-ইউং আউং গোষ্ঠীভুক্ত ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অব নাগাল্যান্ড (NSCN-KYA)-এর। তাদের অস্ত্রাগারে ছিল কিছু দেশীয় রাইফেল এবং কয়েকটি (India China Relation) পুরানো পিস্তল। ২০০৫ সালে গঠিত এনএলসিটিতে, এক ডজনের কিছু বেশি সদস্য ছিল। তানি জনগণের জন্য একটি পৃথক জাতি গড়ে তোলার যে দাবি তুলেছিল, তাকে সমর্থন করেনি স্থানীয় জনগণই। তানি জনগণ হলেন আদি, নিয়িশি, গালো, আপাতানি এবং তাগিন সম্প্রদায়ের মানুষ, যাঁরা অরুণাচল প্রদেশের কেন্দ্রীয় ও উত্তরাঞ্চলে বসবাস করেন। রাজ্যের জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশই হলেন এঁরা।

    আরও পড়ুন: ফের একবার ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

    তোলা আদায়

    এই এনএলসিটি সাধারণত ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারদের কাছ থেকে তোলা আদায় করত। কয়েকটি অপহরণের ক্ষেত্রেও নাম জড়িয়েছিল এদের। তবে লাগাতার পুলিশি অভিযানের জেরে ২০১০ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে দুরমুশ হয়ে যায় সংগঠনের কোমর। এনএলসিটি-র চেয়ারম্যান, অ্যান্থনি ডোক এবং বেশিরভাগ সদস্য হয় গ্রেফতার হয়েছিলেন, নয়তো নিজেরাই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। জেল খেটে বেরিয়ে ডোক অরুণাচলপ্রদেশের (Arunachal Pradesh) রাজধানী ইটানগরে একটি রেস্তোরাঁ খোলেন। পুলিশ কয়েক মাস ধরে তাঁর ওপর নজরদারি করেছিল। পরে যখন দেখা গেল ডোক সাধারণ জীবনযাপন করতে শুরু করেছেন, এবং সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে প্রাণপণ চেষ্টা করছেন, তখন তাঁর ওপর নজরদারি বন্ধ করে দেয় পুলিশ (India China Relation)।

    চলবে…

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • HMPV: চিনে দাপট শুরু করা নয়া ভাইরাস চিনবেন কীভাবে? সতর্ক থাকতে হবে কতখানি?

    HMPV: চিনে দাপট শুরু করা নয়া ভাইরাস চিনবেন কীভাবে? সতর্ক থাকতে হবে কতখানি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আতঙ্ক ফের জাঁকিয়ে বসতে শুরু করেছে। বছর পাঁচেক আগে এমনই শীতে দানা বেঁধেছিল মহামারি। কয়েক মাসে গোটা বিশ্ব আক্রমণের কবলে পড়েছিল! সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হতে চলছে কি? এমন চিন্তায় অনেকেই। করোনা মহামারির স্মৃতি এখনও টাটকা। চিন থেকেই গোটা বিশ্বে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই চিনেই আবার আরেক ভাইরাসের দাপট শুরু হয়েছে। আক্রান্তদের মৃত্যুর খবরও জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, ভারতেও দুই শিশুর শরীরে এই ভাইরাসের (HMPV) অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। আর তার জেরেই আতঙ্ক বাড়ছে।

    নতুন চিনা ভাইরাসের উপসর্গ কী

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, চিনের এই ভাইরাসের পোশাকি নাম হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (HMPV)। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, এই রোগে সর্দি-কাশি, জ্বরের মতোই উপসর্গ দেখা দেবে। আবার শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাও হতে পারে‌। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মতোই এই ভাইরাসেও শরীর মারাত্মক দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি বমি, পেটব্যথার মতো উপসর্গও দেখা দিচ্ছে।

    কাদের ঝুঁকি বেশি? (HMPV)

    চিনের এই ভাইরাসে বিপদ বাড়ছে শিশুদের। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। তাই এই রোগের প্রকোপে পড়ার ঝুঁকিও বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, প্রথমে সাধারণ সর্দি-কাশি-জ্বর মনে হলেও কয়েক দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। বিশেষত শিশুদের শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা বেশি দেখা দিচ্ছে। তাদের শরীরে ভাইরাসের প্রভাব বেশি পড়ছে। ফলে, শিশুদের জন্য বাড়তি বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।

    কীভাবে সতর্ক থাকবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, শিশুদের পাশপাশি বড়দেরও বাড়তি সতর্কতা জরুরি। সর্দি-কাশি-জ্বর যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। পরিবারের কেউ জ্বর কিংবা সর্দিতে ভুগলে, তাঁর আলাদা থাকাই উচিত বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ কারণ, এই ভাইরাস (HMPV) হাঁচির মাধ্যমেই সংক্রমণ ছড়ায়। তাই রোগীকে আইসোলেশনে রাখা দরকার বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। পাশপাশি বাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে‌ চলতে হবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাত পরিষ্কার রাখা, পরিশ্রুত জল খাওয়ার দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি।

    করোনা ভাইরাসের মতোই মহামারির আশঙ্কা রয়েছে কি? (HMPV)

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনই এই ভাইরাসকে করোনা ভাইরাসের মতো মারণ আতঙ্কের তকমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এই ভাইরাসের চিকিৎসা রয়েছে। কয়েক বছর আগেও এই ভাইরাস সক্রিয় হয়েছিল। চিকিৎসা করে রোগ নিরাময় সম্ভব হয়েছে। তাই এখনই আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তবে সাবধানতা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই ভাইরাস সক্রিয় হয়ে নতুনভাবে প্রকাশিত হয়। যা আগের থেকেও বিপজ্জনক হতে পারে। তাই সচেতনতা ও সতর্কতা জরুরি। আতঙ্ক নয়। সচেতনতাই পারবে এই রোগের মোকাবিল করতে।‌

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Earthquake Hits Tibet: তিব্বতে ভূমিকম্পে মৃত অন্তত ৫৩, হতাহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা

    Earthquake Hits Tibet: তিব্বতে ভূমিকম্পে মৃত অন্তত ৫৩, হতাহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের ভোরে তখনও ঘুম ভাঙেনি সকলের। তার মাঝেই প্রবল তীব্রতায় কেঁপে ওঠে নেপাল, তিব্বত, ভারত এবং চিনের বেশকিছু অংশ। তিব্বতই ভূমিকম্পের উৎসস্থল। তিব্বতের (Earthquake Hits Tibet) ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত ৫৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৬২ জনকে। ভূমিকম্পের ধাক্কা কাটিয়ে শুরু হয়েছে উদ্ধারের চেষ্টা। হতাহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

    ভূমিকম্পে প্রভাবিত অন্তত আট লক্ষ!

    মঙ্গলবার সকালে ৭.১ তীব্রতার জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তিব্বত (Earthquake Hits Tibet)। যার প্রভাব পড়ে নেপাল, ভুটান এবং ভারতেও। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শিগাতসের এই ভূমিকম্পে প্রভাবিত হয়েছেন অন্তত আট লক্ষ মানুষ। ভূমিকম্পের উৎসস্থল তিব্বতের তিংরি প্রদেশে। এই অঞ্চলটিকে এভারেস্টের উত্তরের প্রবেশদ্বার হিসাবে দেখা হয়।  এমনিতেই এই অঞ্চলটি ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা বলে চিহ্নিত। শিগাতসের ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে গত পাঁচ বছরে তিন বা তার বেশি মাত্রার ২৯টি ভূমিকম্প হয়েছে। তবে মঙ্গলবার সকালের মতো তীব্রতা কোনওটিরই ছিল না। এদিন প্রথম কম্পন অনুভূত হয় সকাল সাড়ে ছ’ টা নাগাদ। তীব্রতা ছিল ৭.১, উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০কিলোমিটার গভীরে। তারপর বারবার কেঁপে ওঠে ভূপৃষ্ঠ। 

    ৪০টিরও বেশি কম্পন অনুভূত

    সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’ জানিয়েছে, প্রথম ভূমিকম্পের পর ৪০টিরও বেশি ‘আফটারশক’ অনুভূত হয়েছে ওই অঞ্চলে। তার মধ্যে ১৬টি কম্পনের মাত্রা ছিল ৩-এর বেশি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রকাশিত ভিডিওয় দেখা গিয়েছে রাস্তার ধারে দোকান ভেঙে পড়েছে। ধ্বংসাবশেষ ছড়িয় ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে রাস্তার উপর। ভিডিওটি তিব্বতের লাৎসে শহরের কাছে। সাধারণত এই ধরনের জোরালো মাত্রার কোনও ভূমিকম্পের জেরে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। চিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা জিনহুয়া জানিয়েছে, সরকারি আধিকারিকরা ভূমিকম্পের জেরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাপ জানার চেষ্টা করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলির হতাহতের সংখ্যা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন।

    তিব্বতে (Earthquake Hits Tibet) ভূমিকম্পের উৎসস্থল থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু। সেখানেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। প্রাণ ভয়ে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন কাঠমান্ডুর বাসিন্দারা। প্রভাব পড়েছে এভারেস্টের পাদদেশে অবস্থিত নেপালের সোলুখুম্বু জেলাতেও। সেখানকার মুখ্য জেলা আধিকারিক অনোজ রাজ ঘিমিরে রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সোলুখুম্বুতে জোরালো কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। নেপালের স্থানীয় পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছে। ভুটানের রাজধানী থিম্পু এবং উত্তরপূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে, বিশেষ করে বিহার, উত্তরবঙ্গ, সিকিমের মতো জায়গাগুলিতে কম্পন অনুভূত হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • ISRO: মহাকাশে ফলবে বরবটি! অঙ্কুরোদ্গম করে বিশ্বকে তাক লাগাল ইসরো

    ISRO: মহাকাশে ফলবে বরবটি! অঙ্কুরোদ্গম করে বিশ্বকে তাক লাগাল ইসরো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে ফলবে বরবটি (Cowpea Seeds Germinate)! অন্তত এমনই আশা ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানীদের। আশার কারণ, অঙ্কুরিত হয়েছে বরবটির বীজ। দিন কয়েকের মধ্যে গজাবে নতুন পাতাও। তাতেই আশার আলো দেখছেন বিজ্ঞানীরা। মহাকাশে প্রাণের সন্ধান চলছে বহু দিন ধরেই। মহাকাশে কীভাবে উদ্ভিদ ও প্রাণীরা বেঁচে থাকতে পারে, তার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টাও চলছে। সেই চেষ্টায়ই মিলল সাফল্য। অঙ্কুরোদ্গম হল বরবটির বীজে।

    মহাকাশে বরবটির বীজ (ISRO)

    জানা গিয়েছে, গত ৩০ ডিসেম্বর পিএসএলভি সি-৬০ রকেটে করে স্পেডেক্স মহাকাশযানের সঙ্গে আটটি বরবটির বীজ মহাকাশে পাঠিয়েছিলেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানীরা। সেই বীজই অঙ্কুরিত হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে ইসরো জানিয়েছে, বরবটির বীজ অঙ্কুরিত হতে চার দিন সময় লাগে। সেই হিসেবে শনিবার অঙ্কুর বেরিয়েছে ওই বীজগুলির। শীঘ্রই কচি পাতাও ফুটবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, সংস্থার এই সাফল্য তাঁদের কমপ্যাক্ট রিসার্চ মডিউল ফর অরবাইটাল প্ল্যান্ট স্টাডিজ মিশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের আশা, এর ফলে মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিস্থিতিতে উদ্ভিদের অঙ্কুরোদ্গম ও বৃদ্ধি সংক্রান্ত গবেষণা আরও সমৃদ্ধ হবে।

    ইসরোর সাফল্য

    জানা গিয়েছে, বরবটির বীজ (ISRO) পাঠানোর পর থেকে প্রতি মুহূর্তের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছিল। হাই রেজলিউশন সম্পন্ন ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল নজরদারির জন্য। অক্সিজেনের মাত্রা, কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ এবং তাপমাত্রার ওঠাপড়ার হিসেব রাখতেও পেলোডে বসানো হয়েছিল অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। তাতেই দেখা গিয়েছে বীজের অঙ্কুরোদ্গম। 

    আরও পড়ুন: “গ্রামীণ ভারতে নতুন শক্তি জোগাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    ইসরোর এই সাফল্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীর বাইরে অন্যত্র উপনিবেশ গড়ার ক্ষেত্রে এটি যেমন সহায়ক হবে, তেমনি দীর্ঘমেয়াদি অভিযানের ক্ষেত্রে খাদ্যের জোগান অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রেও এই গবেষণা ফলদায়ক হয়ে উঠবে। মহাকাশ অভিযানে আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের মতো দেশকে ভারত যে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোল দিতে পারে, তা আরও একবার প্রমাণ করে দিল ইসরো। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে (Cowpea Seeds Germinate) মহাকাশ যান পাঠিয়ে তামাম বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল ইসরো (ISRO)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • China Virus Outbreak: চিনে ফের নতুন ভাইরাসের হানা! হাসপাতালে ভিড়ের ভিডিও ভাইরাল

    China Virus Outbreak: চিনে ফের নতুন ভাইরাসের হানা! হাসপাতালে ভিড়ের ভিডিও ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার পর ফের চিনে ছড়াচ্ছে নতুন ভাইরাস (China Virus Outbreak)। নাম হিউম্য়ান মেটানিউমোভাইরাস (Human Metapneumovirus)।  জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই চিনের বিভিন্ন প্রদেশের হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়েছে। শ্মশানেও লাইন পড়ছে মৃতদেহ সৎকারের জন্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিয়োও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে হাসপাতালে মাস্ক পরা অসুস্থ মানুষদের ব্য়াপক ভিড় দেখা যাচ্ছে।

    হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস

    চিনে ছড়িয়ে পড়া এই নতুন ভাইরাস (China Virus Outbreak) সম্পর্কে যেটুকু তথ্য জানা গিয়েছে, তা হল হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি সংক্রমণের উপসর্গও অনেকটা ফ্লুয়ের মতো। করোনার ক্ষেত্রে যেমন জ্বর, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা থেকে শারীরিক দুর্বলতার মতো নানা উপসর্গ ছিল, এই ভাইরাস সংক্রমণেও প্রায় একই ধরনের উপসর্গ দেখা গিয়েছে। শিশুরাও নিউমোনিয়া ও ‘হোয়াইট লাংস’-র মতো সংক্রমণে ভুগছে। কোভিডের সঙ্গে এইচএমপিভি-র অনেক ক্ষেত্রেই মিল রয়েছে। এটিও হাঁচি-কাশির মাধ্যমে সংক্রমিত ব্যক্তির থেকে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। রোগীর ব্যবহৃত জিনিসের সংস্পর্শে এলেও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

    দ্রুত ছড়াচ্ছে সংক্রমণ

    ২০২০ সালের গোড়া থেকে বিশ্ব জুড়ে হু হু করে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেরই অনুমান, কোভিড অতিমারির উৎস চিনের উহান শহর। একইভাবে মেটানিউমোভাইরাসও চিনে (China Virus Outbreak) দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ছে। বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, নতুন করে কোভিড সংক্রমণ যেমন শুরু হয়েছে, তেমনই এইচএমপিভি, ইনফ্লুয়েঞ্জা এ-র মতো ভাইরাসে আক্রান্তও বাড়ছে। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, চিনের বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীদের থিকথিকে ভিড়। ওই ভিডিওগুলিতে দাবি করা হচ্ছে যে, রোগীদের প্রায় প্রত্যেকেই হিউম্যান মেটাপনিউমোনিয়া (এইচএমপিভি)-তে আক্রান্ত। চিনের তরফেও আনুষ্ঠানিক ভাবে এই বিষয়ে মুখ খোলা হয়নি। তবে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স চিনের রোগ প্রতিরোধক সংস্থাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে যে, চিনে নিউমোনিয়া রোগ এবং তার অজানা উৎস সম্পর্কে একটি রুটিন নজরদারি চালানো হচ্ছে। শীতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ে বলেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে চিনের ওই সংস্থাটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Beats China: তেলের চাহিদা বৃদ্ধিতে এবার বিশ্ববাজারে চিনকে ছাপিয়ে গেল ভারত

    India Beats China: তেলের চাহিদা বৃদ্ধিতে এবার বিশ্ববাজারে চিনকে ছাপিয়ে গেল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী তেলের চাহিদার নিরিখে এতদিন চিন বিশ্ববাজারে সব থেকে এগিয়ে ছিল। ২০২৪ সাল শেষে তেলের চাহিদার ভিত্তিতে চিনকে ছাড়়িয়ে গেল ভারত (India Beats China)। S&P গ্লোবাল কমোডিটি ইনসাইটস অনুসারে, এই প্রবণতাটি ২০২৫ সাল পর্যন্ত চলবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর এটা জ্বালানি বাজারে ভারতের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।

    তেলের চাহিদার নিরিখে নেতৃত্ব দেবে ভারত (India Beats China)

    এসএন্ডপি গ্লোবাল কমোডিটি ইনসাইটসের ম্যাক্রো এবং তেল (Oil) চাহিদা গবেষণার গ্লোবাল হেড কাং উ বলেন, “এই অঞ্চলে ভবিষ্যতের তেলের চাহিদা বৃদ্ধির জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য অংশকে তেলের চাহিদার নিরিখে নেতৃত্ব দেবে ভারত।” এসএন্ডপি গ্লোবাল ডেটা প্রকাশ করেছে। সেই ডেটা অনুযায়ী, ভারতে (India Beats China) তেলের চাহিদা ২০২৪ সালের প্রথম ১০ মাসে প্রতিদিন ১৮০,০০০ ব্যারেল (বছরের ৩.২ শতাংশ) বেড়েছে। চিনের প্রতিদিন ১৪৮,০০০ ব্যারেলের বৃদ্ধিকে ছাড়িয়ে গিয়েছে (বছরে ০.৯ শতাংশ)। ২০২৫ এর দিকে তাকিয়ে, ভারতের তেলের চাহিদা বৃদ্ধি ৩.২ শতাংশে অনুমান করা হয়েছে, যা চিনের ১.৭ শতাংশের প্রায় দ্বিগুণ। শুধু তাই নয়, ২০২৫ সালে ভারতে পরিশোধন ক্ষমতা উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    দক্ষিণ এশিয়ার তেল গবেষণার প্রধান কী বললেন?

    নীতিনির্ধারক এবং শোধনাকারীরা অপরিশোধিত আমদানির উত্স সম্প্রসারিত করে কয়েকটি তেল সরবরাহকারীর (India Beats China) ওপর নির্ভরতা কমানোর প্রচেষ্টা বাড়িয়ে তুলছে। S&P গ্লোবাল কমোডিটি ইনসাইটসের দক্ষিণ এশিয়ার তেল গবেষণার প্রধান অভিষেক রঞ্জন বলেন, “সাম্প্রতিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ আফ্রিকা এবং লাতিন আমেরিকা থেকে অপরিশোধিত তেল আনতে সাহায্য করবে। কিন্তু, বেশি ভলিউমের বৃদ্ধি সামগ্রিক অপরিশোধিত বাজারের ওপর নির্ভর করবে”। ভারত বর্তমানে তার অপরিশোধিত তেলের ৪০ শতাংশেরও বেশি আমদানি করে, যা মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা, উত্তর আমেরিকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে শেল অয়েল, শেল গ্যাস এবং কয়লা বেড মিথেন পর্যন্ত অনুসন্ধানের সুযোগ আরও প্রসারিত করা। এই মাসের শুরুতে, রাজ্যসভা ১৯৪৮ সালের অয়েল ফিল্ডস (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন সংশোধন করে একটি বিল পাস করেছে, তেল এবং গ্যাস ছাড়াও শেল তেল, শেল গ্যাস এবং কয়লা বেড মিথেন অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ প্রসারিত করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • China Frustration: চিনে একের পর এক হত্যা,  সরকারের প্রতি ক্রোধ এবং হতাশার প্রতিফলন

    China Frustration: চিনে একের পর এক হত্যা, সরকারের প্রতি ক্রোধ এবং হতাশার প্রতিফলন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালে চিনে (China Frustration) একের পর এক গণহত্যার ঘটনায় সে দেশের জনগণের মধ্যে ক্রোধ ও হতাশা বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি একটি খুনের ঘটনার পর “চিনা জনগণ অত্যন্ত কষ্টে আছে,” এমন একটি লেখা সে দেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। সেই পোস্টে ছিল সতর্কবার্তা, “এমন হামলা আরও বেড়ে যাবে।” আরেকটি পোস্টে লেখা হয়েছিল, “এই দুঃখজনক ঘটনা সমাজের অন্ধকার দিককে ফুটিয়ে তুলছে।”

    চিনে হতাশার ছবি

    চিনের জনগণের মধ্যে সম্প্রতি “সমাজের প্রতি প্রতিশোধ নেওয়ার” মনোভাব বেড়ে গিয়েছে। ২০২৪ সালে সে দেশে ঘটে যাওয়া একের পর এক হত্যার ঘটনা তার প্রমাণ। চিনে যদিও এ ধরনের হামলা বিরল, তবে বিশাল জনসংখ্যার দেশের জন্য এটি অস্বাভাবিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডেভিড শ্যাক। তবে, এসব হামলা সাধারণত তরঙ্গের মতো আক্রমণ করে, প্রায়ই এক ধরনের কপি-ক্যাট হামলা, যা জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্দেশ্যে করা হয়। ২০২৪ সালে এরকম একাধিক ঘটনা ঘটেছে। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে প্রতি বছর ৩ থেকে ৫টি হামলা ঘটেছিল, যেখানে অপরাধীরা পথচারী বা অপরিচিত ব্যক্তিদের উপর হামলা করেছিল। কিন্তু ২০২৪ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯টি।

    রক্তাক্ত নভেম্বর

    বিশেষ করে নভেম্বর মাসটি চিনে ছিল অত্যন্ত রক্তাক্ত। ১১ নভেম্বর ঝুহাই শহরে এক ৬২ বছর বয়সী ব্যক্তি একটি গাড়ি দিয়ে বাইরে স্টেডিয়ামে ব্যায়ামরত মানুষের মধ্যে আঘাত হানে, যার ফলে ৩৫ জন মারা যায়। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী ডিভোর্সি। বিচ্ছেদের কারণে অসন্তুষ্ট ছিল, তাই এই ঘটনা ঘটান। তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে চাংদে শহরে এক ব্যক্তি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গাড়ি চালিয়ে ৩০ জন শিশুকে আহত করে। আর্থিক ক্ষতি ও পারিবারিক সমস্যার জেরেই এই ঘটনা ঘটান তিনি।

    অর্থনৈতিক মন্দাই কারণ

    চিনের এই সহিংস হামলাগুলির মূল কারণ হিসেবে দেশের অর্থনৈতিক মন্দাকেই চিহ্নিত করা হচ্ছে। উচ্চ বেকারত্ব, বিপুল পরিমাণ দেনা এবং রিয়েল এস্টেট সঙ্কট চিনের জনগণের মধ্যে হতাশা তৈরি করছে। বড় শহরের পাশের এলাকায় বহু অসমাপ্ত আবাসিক প্রকল্পে মানুষ বসবাস করছে, যেগুলোর নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অর্থনীতির সঙ্কটের কারণে চিনের জনগণের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গির একটি বড় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে, যার মধ্যে ব্যক্তিগত ভবিষ্যৎ নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আগে যেখানে চিনা জনগণ সমাজে বৈষম্যকে নিজেদের ব্যর্থতা হিসেবে দেখত, এখন তারা এটিকে একটি “অন্যায় অর্থনৈতিক ব্যবস্থা” হিসেবে চিহ্নিত করছে।

    চিনে বিকল্পের অভাব

    চিনের জনগণের মানসিক চাপ ক্রমাগত বেড়ে যাচ্ছে। বিকল্পের অভাব এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যেখানে মানুষজনের তাঁদের ক্ষোভ বা হতাশা প্রকাশ করার কোনও উপায় নেই। যদিও কিছু দেশে মানুষ নিজেদের অভিযোগ বা সমস্যা জানাতে মিডিয়ার কাছে যেতে পারে, চিনে তা-ও সম্ভব নয়। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া বা দুর্বল বিচার ব্যবস্থা এমন ব্যক্তিদের সহায়তা করতে পারে না। মানসিক স্বাস্থ্যসেবা এবং শারীরিক এবং মানসিক চাপের মোকাবিলা করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা না থাকার কারণে, চিনা জনগণ এমন একটি অবস্থা অনুভব করছে যা তাঁদের সহিংস আক্রমণের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘বাবার প্রয়াণে শোক জ্ঞাপনের জন্য বসেনি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক’’, কংগ্রেসকে তোপ প্রণব কন্যার

    সম্ভাব্য পরিণতি 

    চিনে এমন হামলা এখন অল্প সংখ্যক মানুষের দ্বারা ঘটলেও, বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে যদি পরিস্থিতি এরকমই চলতে থাকে, তবে এটি সমাজে আরও বিশৃঙ্খলা এবং অস্থিরতার সৃষ্টি করতে পারে। সরকারি কর্মকর্তারা পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন হলেও, এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কার্যকর কোনও ব্যবস্থা দেখা যায়নি, শুধুমাত্র নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য আরও নজরদারি এবং পুলিশি প্রতিক্রিয়া শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে চিন একটি নতুন ধরনের সামাজিক অস্থিরতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যা ভবিষ্যতে আরও আক্রমণ এবং প্রতিবাদে পরিণত হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh 2025: ১৪০০ বছর আগেও কুম্ভমেলায় এসেছিলেন চিনা পর্যটক!

    Mahakumbh 2025: ১৪০০ বছর আগেও কুম্ভমেলায় এসেছিলেন চিনা পর্যটক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজকে তীর্থরাজ (Mahakumbh 2025) বলা হয়। ১৪০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এটি চিনাদেরও কাঙ্খিত গন্তব্য হয়ে উঠেছে (Prayagraj)। এই স্থায়ী সম্পর্কের শুরু ৭ম শতকে, যখন খ্যাতনামা চিনা পর্যটক হিউয়েন সাং এই অঞ্চলে আসেন এবং এর সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও সমৃদ্ধির প্রশংসা করেন। প্রায় ১৬ বছর ধরে ভারতবর্ষ ঘুরে দেখেন তিনি।

    “সি-ইউ-কি” (Mahakumbh 2025) 

    তাঁর বই “সি-ইউ-কি”-তে হিউয়েন সাং বিশেষভাবে ৬৪৪ খ্রিষ্টাব্দে রাজা হর্ষবর্ধনের শাসনকালের প্রশংসা করেছেন। এই বইতে প্রয়াগরাজের প্রচুর শস্য, অনুকূল আবহাওয়া এবং স্বাস্থ্যকর সুবিধাগুলির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি ফলদায়ক গাছগুলির উপস্থিতি এবং এই অঞ্চলের সামগ্রিক আকর্ষণও উল্লেখ করেন। চিনা পর্যটকের শহরের নম্রতা, বুদ্ধিবৃত্তিক সাধনা এবং প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক জীবন সম্পর্কে প্রশংসা আজও প্রাসঙ্গিক।

    প্রয়াগরাজের ঐতিহাসিক গুরুত্ব

    প্রয়াগরাজের (Mahakumbh 2025) ঐতিহাসিক গুরুত্ব আরও স্পষ্ট হয়েছে হিউয়েন সাংয়ের বর্ণনায়, যেখানে তিনি শহরের বিশাল ধর্মীয় উৎসবের কথা বলেছেন। তাঁর বর্ণনা থেকেই জানা যায়, সেখানে ৫ লাখেরও বেশি মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। এর মধ্যে ছিলেন উপমহাদেশের বিভিন্ন কোণ থেকে আসা রাজা ও শাসকরাও। গঙ্গা ও যমুনা নদীর মধ্যে শহরের কৌশলগত অবস্থান, এর আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে এর গুরুত্ব তৈরিতে করতে সহায়ক ছিল।

    হিউয়েন সাং যে সব মন্দিরে গিয়েছিলেন, তার মধ্যে একটি হল পাটালপুরী মন্দির। এই মন্দির গুরুত্বপূর্ণ তার অলৌকিক বিস্ময়গুলির জন্য। হিউয়েন সাং উল্লেখ করেছেন যে ভক্তরা বিশ্বাস করতেন, মন্দিরে একটি মুদ্রা দান করা মানে হাজার মুদ্রা দান করা। মন্দিরের উঠোনে রয়েছে একটি পবিত্র গাছ, অক্ষয়বট। বিশ্বাস করা হয়, যে এর নীচে স্নান করলে পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

    আরও পড়ুন: বিগ্রহ সরিয়ে ওড়ানো হয়েছিল ইসলামি পতাকা, দখলমুক্ত গঙ্গা মন্দির

    এছাড়াও গঙ্গা, যমুনা ও পৌরাণিক সরস্বতী নদীর মিলনস্থলে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত উপস্থিত হন। হিউয়েন সাং লিখেছেন, ধনী তীর্থযাত্রীরা সঙ্গমে স্নান করে তাদের ধন-সম্পদ দান করে চলে যেতেন। এই প্রাচীন প্রথা আজও বহমান, এবং মহাকুম্ভ মেলা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সমাবেশ (Prayagraj) হিসেবে অনুষ্ঠিত হয় (Mahakumbh 2025)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Kailash Mansarovar Yatra: ডোভালের বৈঠকে গলল বরফ, ফের শুরু হতে চলেছে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা

    Kailash Mansarovar Yatra: ডোভালের বৈঠকে গলল বরফ, ফের শুরু হতে চলেছে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শুরু হতে চলেছে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা (Kailash Mansarovar Yatra)। ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে চিনা অনুপ্রবেশের পর সামরিক সংঘাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক (India China Relation)। সেই সম্পর্ক পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ভারত ও চিন ঐক্যমত্যে পৌঁছতে বুধবার ছ’দফা চুক্তি করেছে। সীমান্ত পেরিয়ে নদীর সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং নাথুলা সীমান্ত দিয়ে বাণিজ্য ফের চালু করার বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বেজিংয়ে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও চিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-র মধ্যে বৈঠক শেষে এই ঘোষণা করা হয়।

    কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা

    কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা অত্যন্ত পবিত্র বলে বিবেচিত হয়। হিন্দু, জৈন এবং বৌদ্ধরাও কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা করেন। তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে অবস্থিত কৈলাস পর্বত দর্শন করে আনন্দ লাভ করেন পুণ্যার্থীরা। হিন্দুদের বিশ্বাস, এই কৈলাসই মহাদেবের বাসস্থান। ২০২০ সালের আগে ফি বছর কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রায় যেতেন পুণ্যার্থীরা। ২০২০ সালে করোনা অতিমারির কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয় তীর্থযাত্রা। পরে করোনা-পর্ব চুকে গেলেও, চিনের টালবাহানায় আর শুরু হয়নি যাত্রা। সম্প্রতি সেই যাত্রাই ফের চালু হতে চলেছে বলে খবর। তবে কবে থেকে যাত্রা শুরু হবে, তা জানানো হয়নি (Kailash Mansarovar Yatra) চিন কিংবা ভারতের বিবৃতিতে (India China Relation)।

    আরও পড়ুন: অসম-বাংলায় স্লিপার সেল তৈরির ছক? মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার ২ জঙ্গি

    কী বলছে বিদেশমন্ত্রক

    তবে, ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশেষ প্রতিনিধিরা সীমান্ত পেরিয়ে সহযোগিতা ও বিনিময়ের জন্য ইতিবাচক নির্দেশ দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় চালু করা, সীমান্ত পেরিয়ে নদীর তথ্য শেয়ারিং এবং সীমান্ত বাণিজ্য। ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে, বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, দুই দেশের বিশেষ প্রতিনিধি (ডোভাল এবং ওয়াং) সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন (Kailash Mansarovar Yatra)। ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সামগ্রিক উন্নয়নকে উৎসাহিত করতেই এর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা জোর দিয়েছেন যে সীমান্তে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি নিশ্চিত করা প্রয়োজন, যাতে সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়গুলি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্বাভাবিক উন্নয়নে বাধা না হয়ে দাঁড়ায়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share