Tag: China

China

  • Xi Jinping: ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় ভোজে আমন্ত্রণ ব্রাজিলের, তাই কি ব্রিকস সম্মেলন এড়াচ্ছেন জিনপিং?

    Xi Jinping: ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় ভোজে আমন্ত্রণ ব্রাজিলের, তাই কি ব্রিকস সম্মেলন এড়াচ্ছেন জিনপিং?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই প্রথম ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। আগামী সপ্তাহে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে হবে ব্রিকস সম্মেলন (BRICS Summit)। এই সম্মলেনেই যোগ দিচ্ছেন না চিনা প্রেসিডেন্ট। ব্রাজিলে এবার হবে সপ্তদশ ব্রিকস সম্মেলন। দু’দিনের এই সম্মেলন শুরু হবে ৬ জুলাই। তবে প্রেসিডেন্ট যোগ না দিলেও, চিনের তরফে ওই সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং।

    ব্রিকসে থাকছেন না চিনা প্রেসিডেন্ট (Xi Jinping)

    জানা গিয়েছে, বেজিংয়ের (চিনের রাজধানী) তরফে ব্রাজিল সরকারকে জানানো হয়েছে অন্য কর্মসূচি থাকায় এবার ব্রিকস সম্মলেন উপস্থিত থাকতে পারবেন না স্বয়ং চিনা প্রেসিডেন্ট। তাঁর বদলে ওই সম্মেলনে যোগ দেবেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে জি-২০ সম্মেলনের আয়োজক দেশ ছিল ভারত। সেবারও প্রেসিডেন্টের পরিবর্তে ভারতে এসেছিলেন চিনের প্রধানমন্ত্রী। মাস সাতেকের মধ্যেই ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার সঙ্গে দু’বার বৈঠক হয়েছে চিনা প্রেসিডেন্টের। একবার গত নভেম্বরে ব্রাসিলিয়ায় রাষ্ট্রীয় সফরের সময় এবং চলতি বছরের মে মাসে ফের বেজিংয়ে চায়না-সেলাক ফোরামের সময়। সূত্রের খবর, ব্রিকস সম্মলেন চিনা প্রেসিডেন্টের যোগ না দেওয়ার এটাও একটা কারণ। প্রসঙ্গত, করোনা অতিমারি পর্বে ২০২০ এবং ২০২১ সালে ব্রিকস সম্মেলনে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়েছিলেন শি জিনপিং। এ ছাড়া আরও কোনও ব্রিকস সম্মেলনে অনুপস্থিত থাকেননি তিনি।

    চিনের বক্তব্য

    চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন ব্রাজিলের সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার (Xi Jinping) দিতে গিয়ে বলেন, “শি জিনপিংয়ের সম্মেলনে অংশগ্রহণ সংক্রান্ত তথ্য উপযুক্ত সময়ে প্রকাশ করা হবে। চিন ব্রাজিলের ব্রিকস সম্মেলনের সভাপতিত্বকে সমর্থন করে এবং সদস্য দেশগুলির মধ্যে আরও গভীর সহযোগিতা বজায় রাখতে চায়।” তবে চিনা প্রেসিডেন্ট সম্মেলনে থকছেন না জেনে ক্ষুব্ধ ব্রাজিল প্রশাসনের কর্তারা। সে দেশের একটি প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা মে মাসে বেজিং সফর করেছিলেন সদিচ্ছা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে। তিনি আশা করেছিলেন শি-ও পাল্টা সফরে আসবেন।

    মোদিকে ভোজে আমন্ত্রণ জানানোয় গোঁসা চিনের!

    সূত্রের খবর (BRICS Summit), ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের পর রাষ্ট্রীয় ভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। অনেকের ধারণা, এতে চিনা প্রেসিডেন্টের গুরুত্ব কিছুটা খাটো হতে পারে। সেই কারণেই তিনি নিজে না গিয়ে ব্রিকস সম্মেলনে পাঠাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীকে। ব্রাজিলে আয়োজিত ব্রিকস সম্মেলনে চিনা প্রেসিডেন্ট যে যোগ দেবেন না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল সেই ফেব্রুয়ারি মাসেই। যখন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলার শীর্ষ বিদেশনীতি উপদেষ্টা সেলসো আমোরিম বেজিংয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে (Xi Jinping) বৈঠকে এই বিষয়টি উত্থাপন করেন। সেই সময় আমোরিম চিনা প্রেসিডেন্টের উপস্থিতির গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং ওয়াং ই-কে মনে করিয়ে দেন যে, চিনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও নিজের দেশে বড় ধরনের ভূমিকম্প সত্ত্বেও ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত প্রথম ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। আমোরিম বলেন, “বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে শি জিনপিংয়ের অংশগ্রহণ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (BRICS Summit) প্যারিস চুক্তি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার মতো আন্তর্জাতিক নিয়ম ভঙ্গের ঘটনা ঘটছে।”

    যোগ দিচ্ছেন না পুতিনও!

    কেবল চিনা প্রেসিডেন্ট নন, ব্রিকস সম্মেলনে সশরীরে যোগ দিচ্ছেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। এর নেপথ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানার ঝুঁকি। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে পুতিনের অবস্থান বরাবরই আগ্রাসী (Xi Jinping) ও দৃঢ়। যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে ইজরায়েল-ইরাকও। বিশ্বজুড়ে এই টানাপোড়েনের মধ্যেই আয়োজিত হচ্ছে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যে সম্মেলনের গুরুত্ব অপরিসীম। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক আদালত। অভিযোগ, ইউক্রেন আগ্রাসনের সময় সেখানকার শিশুদের অবৈধভাবে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই অভিযোগেই আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে ব্রাজিলের দায়িত্ব পুতিন (BRICS Summit) সে দেশে পা রাখলেই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। সেই কারণেই ব্রিকস সম্মেলনে ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট (Xi Jinping)।

    ব্রিকস হল একটি আন্তঃসরকারি সংস্থা। এটি গঠিত হয়েছে পাঁচটি প্রধান উদীয়মান অর্থনীতির দেশ নিয়ে। এর সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই গোষ্ঠীর লক্ষ্য হল অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্র-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার সদস্যদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কলেবরে বেড়েছে (BRICS Summit) ব্রিকস। নয়া সদস্য হয়েছে ইরান, মিশর, ইথিওপিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (Xi Jinping)।

  • Tesla: ভারতে খুলছে টেসলার প্রথম শোরুম? জানুন কবে, কেথায়

    Tesla: ভারতে খুলছে টেসলার প্রথম শোরুম? জানুন কবে, কেথায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে প্রবেশের জন্য ইভি জায়ান্ট টেসলা (Tesla) তার রিটেল বিক্রয় কেন্দ্র শুরু করতে দুটি জায়গা নির্বাচন করেছিল – মুম্বই (Mumbai) এবং দিল্লি। তবে শেষমেশ আগামী মাসেই মুম্বইয়ে খুলতে চলেছে ভারতে টেসলার প্রথম শোরুম।

    মাস্ক-মোদি বৈঠক (Tesla)

    গত ফেব্রুয়ারি মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল বিশ্বের সব চেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের। তার পরেই কোম্পানিটি ভারতে চাকরির জন্য আবেদনপত্র চাওয়া শুরু করে। সেই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর এবার খুলতে চলেছে ভারতে এই বিশ্বখ্যাত কোম্পানির প্রথম শোরুম। পরে খোলা হবে নয়াদিল্লিতে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গাড়ি বাজার। ভারতে ব্র্যান্ডের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে এর বিক্রি বাড়াতে পারে। ইউরোপ এবং চিনে অবশ্য বিক্রি কমেছে এই গাড়ির।

    টেসলার দাম কত 

    ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টেসলা ভারতীয় বাজারে রিয়ার হুইল ড্রাইভ কনফিগারেশন-সহ মডেল ওয়াই চালু করবে। জানা গিয়েছে, এই ইভি টেসলার চিনের কারখানা থেকে আমদানি করা হবে। ট্যাক্স ছাড়াই টেসলা মডেল ওয়াইয়ের দাম হতে পারে ভারতীয় মুদ্রায় ৪৮.৪৮ লাখ টাকারও বেশি। তবে বাজারে ব্রান্ডের অবস্থান এবং এর মার্জিন বিবেচনা করে চূড়ান্ত দাম পরিবর্তিত হতে পারে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, গাড়িটি যদি উচ্চ মূল্যের ট্যাগ নিয়ে বাজারে ঢোকে, তাহলে এটি অটোমেকারের বিক্রির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

    জুলাই মাসে মুম্বইতে প্রথম শোরুম খোলার পরে নয়াদিল্লিতে একটি নতুন শোরুম করবে টেসলা। ডিলারশিপগুলি চিন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং নেদারল্যান্ডস থেকে সুপারচার্জার উপাদান, গাড়ির আনুষাঙ্গিক খুচরো যন্ত্রাংশ এবং পণ্য আমদানি করেছে (Tesla)।

    প্রসঙ্গত, আমদানি কর এবং স্থানীয় উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিরোধের জেরে কয়েক বছরের বিলম্বের পর এবার ভারতের বাজারে প্রবেশ করতে চলেছে টেসলা। চলতি (Mumbai) বছরের ফেব্রুয়ারিতে মাস্ক-মোদির বৈঠকের পরেই অগ্রগতি ঘটে এই প্রকল্পের (Tesla)।

  • Rare Earth Metals: বিরল ধাতু রফতানিতে নিষধাজ্ঞা চিনের, দেশে প্রভাব পড়তে পারে বৈদ্যুতিক যানবাহনের উৎপাদনে

    Rare Earth Metals: বিরল ধাতু রফতানিতে নিষধাজ্ঞা চিনের, দেশে প্রভাব পড়তে পারে বৈদ্যুতিক যানবাহনের উৎপাদনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে বৈদ্যুতিক যানবাহনের (Rare Earth Metals) চাহিদা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ভারতবর্ষেও সড়কে এখন বৈদ্যুতিক যানবাহন দেখা যায়। পরিবেশবান্ধব এই যানবাহন কিনতেই গ্রাহকদের আগ্রহ বেশি থাকে, কারণ এই ধরনের যানবাহনগুলি খরচ-সাশ্রয়ীও হয়। কিন্তু বর্তমানে ভারতের অন্যতম প্রতিবেশী দেশ চিন বিরল ধাতু রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই ধাতুগুলির মধ্যে অন্যতম হল নিওডিয়ামিয়াম। এই ধাতু অত্যন্ত শক্তিশালী চুম্বক তৈরি করতে সক্ষম। এই ধাতু থেকে তৈরি চুম্বকগুলি বৈদ্যুতিক যেকোনও যানবাহনের জন্যই অপরিহার্য। বিশেষত ওই যানবাহনগুলির মোটর তৈরি করতে কাজে লাগে এই চুম্বক। যা বৈদ্যুতিক যানবাহনগুলিকে টেকসই করতেও অনেকটাই কাজে লাগে।

    বিরল ধাতু (Rare Earth Metals)

    বর্তমানে পৃথিবীর এই বিরল ধাতুগুলি সম্পর্কে আমাদের প্রথমেই জানা উচিত, এগুলি আসলে খুব বেশি বিরল নয়। যতটা পরিমাণ তামা পৃথিবীতে পাওয়া যায়, তার চেয়েও বেশি এই ধাতুগুলি পাওয়া যায়। তবে ১৭টি ধাতব উপাদানকে বিরল ধাতুর স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সাধারণভাবে এই ধাতুগুলিকে তামা বা লোহার মতো ঘনীভূত অবস্থায় পাওয়া যায় না। এ কারণেই এগুলোকে বিরল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই ধাতুগুলিকে নিষ্কাশন এবং পরিশোধন করতে হয়, যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং পরিবেশের দিক থেকে ক্ষতিকারকও বটে। ঠিক সেই কারণেই এগুলোকে বিরল (Rare Earth Metals) বলা হয়।

    চিন পরিবেশের নিয়ম মানেনা (Rare Earth Metals)

    আমাদের প্রতিবেশী দেশ চিন এসবের কিছু অবশ্য তোয়াক্কা করে না। তারা পরিবেশগত কোনও নিয়ম-কানুন মানে না। এজন্যই চীনের উত্তর-পশ্চিম প্রদেশে, যেখানে জনসংখ্যা কম, সেখানেই এই ধরনের ধাতুগুলির নিষ্কাশনের কাজ করা হয়। আমাদের দেশ ভারতবর্ষে (India) সেরিয়াম, ইট্রিয়াম, ল্যান্থানাম-এর মতো ধাতুগুলি রয়েছে এবং তা আধুনিক প্রযুক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ধাতব বাজারে বর্তমানে চিনের আধিপত্য বিস্তার করে রয়েছে। যেমন, বিশ্বব্যাপী চাহিদাসম্পন্ন টারবিয়াম এবং লুটেটিয়াম এই দুই ধাতুর ৯৮ শতাংশ সরবরাহ করে বেজিং। এলইডি তৈরির জন্য এই দুইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

    বন্ধ হতে চলেছে নিওডিয়ামিয়ামের আমদানি

    অন্যদিকে, বৈদ্যুতিক যানবাহন বা বায়ু টারবাইনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো নিওডিয়ামিয়াম। এই নিওডিয়ামিয়াম থেকে তৈরি চুম্বকগুলি যে গাড়িতে ব্যবহার করা হয়, সেই মোটরগুলি ১০ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই কারণেই অনেকেই এই ধাতব উপাদান ব্যবহার করতে চান। জানা গিয়েছে, ভারত (India) বর্তমানে চিন থেকে বৈদ্যুতিক যানবাহনের জন্য প্রায় বারোশো কোটি টাকার নিওডিয়ামিয়াম চুম্বক আমদানি করত এতদিন। এবার সেটিই বন্ধ হতে চলেছে।

  • China: “কোভিডের থেকেও ভয়ঙ্কর কিছু ঘটতে পারে,” সতর্ক করলেন চিন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ

    China: “কোভিডের থেকেও ভয়ঙ্কর কিছু ঘটতে পারে,” সতর্ক করলেন চিন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক না থাকলে কোভিডের (Covid) থেকেও খারাপ কিছু ঘটতে পারে।” এমনই সতর্ক বার্তা দিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চিন (China) বিষয়ক এক বিশেষজ্ঞ। সম্প্রতি আমেরিকায় একটি বিষাক্ত ছত্রাক পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে চিনা বিজ্ঞানী দম্পতিকে। তার প্রেক্ষিতেই কথাগুলি বলেন ওই বিশেষজ্ঞ। অভিযোগ, বছর তেত্রিশের ইউনকিং জিয়ান ও তাঁর স্বামী ঝুনইয়ং লিউ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘ফিউসারিয়াম গ্রামিনিয়ারাম’ নামক একটি ছত্রাক পাচার করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। এই ছত্রাকটি “হেড ব্লাইট” নামক এক ধরণের রোগ সৃষ্টি করে, যা গম, যব, ভুট্টা এবং ধানের ফসলকে আক্রান্ত করে (China)।

    দম্পতি ধৃত (China)

    বর্তমানে এক মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করছেন জিয়ান। তাঁকেই ছত্রাকটি পাঠান বিজ্ঞানী লিউ। তার পরেই দুজনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, চোরাচালান, মিথ্যা বিবৃতি এবং ভিসা জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে। মার্কিন বিচার বিভাগের তরফে এই ঘটনাকে ‘কৃষি সন্ত্রাস’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি, আমেরিকাকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। মার্কিন বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি করোনা ভাইরাসের চেয়েও বেশি বিপজ্জনক হতে পারে। যদি এই ঘটনার পরেও আমেরিকা চিনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন না করে, তবে এর পরিণতি হতে পারে অত্যন্ত মারাত্মক ও ধ্বংসাত্মক। ‘চায়না ইজ গোয়িং টু ওয়ার’ বইয়ের লেখক গর্ডন জি চ্যাংয়ের মতে, এই বিপদের একমাত্র প্রতিকার হল চিনের (China) সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা। এই ছত্রাকটি কোভিড-১৯ এর চেয়েও বেশি বিপজ্জনক। এতে আমেরিকার ভয়ঙ্কর ক্ষতি হতে পারে।

    যুদ্ধ ঘোষণার সমান

    চ্যাং বলেন, “এই কাজ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সমান।” তিনি বলেন, “২০১৯ সালের মে মাসে চিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পিপলস ডেইলি একটি সম্পাদকীয় প্রকাশ করে, যেখানে আমেরিকার বিরুদ্ধে ‘জনযুদ্ধ’ ঘোষণা করা হয়। চিনা কমিউনিস্ট পার্টির জন্য এই ধরনের শব্দচয়ন কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” চ্যাং বলেন, “চিন আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মানসিকতা নিয়ে এগোচ্ছে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (China) বারবার যুদ্ধের কথা বলছেন এবং পুরো চিনা সমাজকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করছেন। আমরা হয়তো সামরিকভাবে শক্তিশালী, কিন্তু (Covid) আত্মরক্ষায় আমরা যতটা দৃঢ় হওয়া উচিত, ততটা নই।”

  • Mineral Diplomacy: কমবে চিনের দাপট! খনিজ কূটনীতিতে মধ্য এশিয়ার ৫ দেশের সঙ্গে চুক্তি ভারতের

    Mineral Diplomacy: কমবে চিনের দাপট! খনিজ কূটনীতিতে মধ্য এশিয়ার ৫ দেশের সঙ্গে চুক্তি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে চলছে চতুর্থ ইন্ডিয়া-সেন্ট্রাল এশিয়া ডায়লগ (Mineral Diplomacy)। এখানেই খনিজ কূটনীতিতে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে—একটি কৌশলগত চুক্তিতে এবার থেকে পাঁচটি মধ্য এশীয় দেশ কাজাখস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান এবং ভারত একসঙ্গে খনিজ উত্তোলনের কাজ করবে।

    এবার কমবে চিনের দাপট

    প্রসঙ্গত, এই অঞ্চলের বেশিরভাগ খনিজ-সমৃদ্ধ এলাকায় (Mineral Diplomacy) এতদিন চিনের দাপট ছিল। ভারতের এই কূটনৈতিক পদক্ষেপে এবার চিনের একাধিপত্য কিছুটা হলেও কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এই খনিজসমূহ পৃথিবীর অন্যতম বিরল খনিজের মধ্যে পড়ে। এগুলির উত্তোলন থেকে শুরু করে শোধন পর্যন্ত— সবকিছুই এতদিন নিয়ন্ত্রণ করত চিন (Central Asia)। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে পৃথিবীর ছয়টি বিরল খনিজের উপর নিজেদের প্রভাব আরও জোরদার করার কথা ঘোষণা করে চীন, যার মধ্যে ছিল চুম্বকও।

    সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়(Mineral Diplomacy)

    সম্প্রতি খনিজ উত্তোলন নিয়ে নয়াদিল্লিতে একটি উচ্চপর্যায়ের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের খনিজ মন্ত্রক এই সেমিনারের আয়োজন করে এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি. কিষণ রেড্ডি এই সেমিনারের উদ্বোধন করেন। এই অনুষ্ঠানে ২০০-র বেশি স্টেকহোল্ডার অংশ নেয়, যাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাও ছিল। উল্লেখযোগ্য যে, এই জটিল খনিজগুলো (Central Asia) শুধুমাত্র কোনও বস্তুর উৎস নয় বরং এগুলি ভারতের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির অন্যতম মূল উপাদান।

    ভারতের সঙ্গে মধ্য এশিয়ার অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে

    ভারতের বিভিন্ন সংস্থা এই খনিজ (Mineral Diplomacy) ব্যবহার করবে বিদ্যুৎ, সৌরশক্তি, সেমিকন্ডাক্টর, এরোস্পেস ইত্যাদি ক্ষেত্রে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এর ফলে প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে ভারত আরও শক্তিশালী হবে। প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়া-সেন্ট্রাল এশিয়া ডায়লগে সমস্ত দেশের বিদেশমন্ত্রকের প্রতিনিধিরাই জোর দিয়েছেন ভারতের সঙ্গে মধ্য এশিয়ার অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার ওপর। পাশাপাশি, ভারতের সঙ্গে এই দেশগুলির ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার বিস্তার, ব্যাংকিং সহযোগিতা, বিনিয়োগ, ব্যবসা ও পর্যটনের প্রসার নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

  • BRICS: চাপ বাড়ল পাকিস্তানের! পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করল ‘বন্ধু’ চিন, ইরান

    BRICS: চাপ বাড়ল পাকিস্তানের! পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করল ‘বন্ধু’ চিন, ইরান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসের মদতদাতা পাকিস্তানের মুখোশ বিশ্বের দরবারে খুলে দিতে ঘুরছে ভারতের প্রতিনিধি দল (BRICS)। এই আবহে বিশ্বমঞ্চে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ল পাকিস্তান। ব্রিকসের অন্তর্ভুক্ত ১০টি দেশেরই সংসদীয় ফোরাম পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দা করল। একইসঙ্গে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জিরো টলারেন্স নীতিতে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর কথাও বলা হল। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ১০ দেশের এই সংসদীয় ফোরামে পাকিস্তানের বন্ধু দেশ চিন ও ইরানও রয়েছে।

    কোন কোন দেশ রয়েছে (BRICS)?

    প্রসঙ্গত, ব্রাজিলের (BRICS) ব্রাসিলিয়ায় ৪ ও ৫ জুন ব্রিকস অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির বার্ষিক সংসদীয় ফোরামের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। যোগ দেয় ভারত, ব্রাজিল, রাশিয়া, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, মিশর, ইথিওপিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া। সম্মেলনের প্রতিনিধিরা ২ দিন ধরে নানা ইস্যুতে আলোচনা করেন। ভারতের তরফে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার নেতৃত্বে একটি সংসদীয় দল এই সম্মেলনে যোগদান করে। ব্রিকসের এই সম্মেলনে ভারতীয় দলের নেতৃত্বে ছিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।

    নিজের বক্তব্যে কী বললেন ওম বিড়লা

    ওম বিড়লা তাঁর ভাষণে বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদ আজ একটি বিশ্বব্যাপী সঙ্কটে পরিণত হয়েছে, যা কেবল আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমেই মোকাবিলা করা যেতে পারে।’’ সন্ত্রাস ইস্যুতে তিনি চারটি বড় পদক্ষেপের কথা বলেছেন নিজের বক্তব্যে। এর মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর অর্থায়ন বন্ধ করা, গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানের প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও মসৃণ করা, প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ করা এবং তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা বাড়ানো (BRICS)।

    ১০ দেশের সংসদের প্রতিনিধিরা একটি যৌথ বিবৃতি দেন

    সম্মেলনের একেবারে শেষে ১০ দেশের সংসদের প্রতিনিধিরা একটি যৌথ বিবৃতি দেন। সেখানেই পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করা হয়। লোকসভা সচিবালয় এনিয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে। সেখানে জানানো হয়েছে সম্মেলনের যৌথ ঘোষণায় ভারতের পহেলগাঁও হামলার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে এবং ব্রিকসভুক্ত সব দেশের সংসদগুলিও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একযোগে কাজ করতে সম্মত হয়েছে (Pahalgam Terror Attack)। ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, সন্ত্রাসবাদ ছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বিশ্ব বাণিজ্য, আন্তঃসংসদীয় সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার মতো বিষয় নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।

  • CPEC: পাক অধিকৃত গিলগিট-বালটিস্তানে নজিরবিহীন গণবিপ্লব, হাইওয়ে অবরোধ, মুখে কুলুপ চিনের

    CPEC: পাক অধিকৃত গিলগিট-বালটিস্তানে নজিরবিহীন গণবিপ্লব, হাইওয়ে অবরোধ, মুখে কুলুপ চিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত গিলগিট-বালটিস্তানে (POK) নজিরবিহীন গণবিপ্লব। বিপাকে ইসলামাবাদ ও বেজিং। টানা তিনদিন ধরে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারাকোরাম হাইওয়ে সম্পূর্ণভাবে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন আন্দোলনকারীরা (Gilgit Baltistan)। ফলে সীমান্তপথে বন্ধ হয়ে গিয়েছে যান চলাচল। সমস্যার মুখে চিনের বিপুল বিনিয়োগ (CPEC)।

    আন্দোলনের মূল কারণ (CPEC)

    এই হাইওয়েটি পাকিস্তানকে চিনের জিনজিয়াং প্রদেশের সঙ্গে খুনজেরাব পাস হয়ে যুক্ত করে এবং এটি এখন বিক্ষোভ ও প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে উঠেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী, শ্রমিক এবং সাধারণ মানুষ পাকিস্তানের অর্থনৈতিক দমননীতি, প্রশাসনিক অবহেলা এবং সেনাবাহিনীর শোষণের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। এটি শুরু হয়েছিল সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার প্রতিবাদে। বর্তমানে তা পরিণত হয়েছে পাকিস্তানের অঞ্চল দখলের বিরুদ্ধে এক বিদ্রোহে। এই আন্দোলনের মূল কারণ ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে খুনজেরাব পাস দিয়ে সীমান্ত বাণিজ্য হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়া। এর ফলে গিলগিট-বালটিস্তানের শত শত ব্যবসায়ী বেকার হয়ে পড়েছেন। প্রায় ২০০টি পণ্যবাহী কনটেনার সাস্ট ড্রাই পোর্টে পচে যাচ্ছে। ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের জীবন-জীবিকা। কর্মহীনতার হার বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে, আর সেই সঙ্গে বেড়েছে জনরোষও।

    অর্থনীতি ধ্বংস

    এলাকার অর্থনীতি ধ্বংস করার জন্য বিক্ষোভকারীরা সরাসরি পাকিস্তানের ফেডারেল বোর্ড অব রেভিনিউ এবং কাস্টমস বিভাগকে দায়ী করেছে। একজন বিক্ষোভকারী বলেন, “মূলভূমি পাকিস্তানের ব্যবসায়ীরা কর ছাড় পায়, অথচ গিলগিট-বালটিস্তানে আমাদের ওপর কর চাপানো হয়, আমাদের উপেক্ষা করা হয়, শোষণ করা হয়, সংসদে কোনও প্রতিনিধিত্ব না থাকা সত্ত্বেও (CPEC)।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, জিনজিয়াং থেকে গওদর পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বাণিজ্য করিডর তৈরির যে স্বপ্ন চিন দেখত, তা যেন অতিকায় এক প্রশ্নের মুখে। কারাকোরাম হাইওয়ে, যেটিকে চিন-পাকিস্তান ইকনমিক করিডর বা সিপিইসির “মেরুদণ্ড” বলা হয়, এখন পরিণত হয়েছে এক চাপে থাকা জায়গায়। এই বিক্ষোভ যদি চলতে থাকে, তাহলে বহু বিলিয়ন ডলারের সিপিইসি প্রকল্প এক মারাত্মক লজিস্টিক সংকটে পড়বে। বালুচিস্তানে বিদ্রোহীদের হামলার জেরে চিনা বিনিয়োগ এখন ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

    অস্থিরতায় অস্থির চিন

    এই অস্থিরতা চিনের কাছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার এবং স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা পাওয়ার সামর্থ্য নিয়ে বড় ধরনের সন্দেহ তৈরি করতে পারে। যদিও চিন এখনও মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে, তবে নিঃসন্দেহে তারা পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে (Gilgit Baltistan)। জানা গিয়েছে, গিলগিট-বাল্টিস্তানের গুলমাত নগরে অবস্থান বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন সমাজের নানা স্তরের মানুষ। বিক্ষোভকারীরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তান ও চিনের সংযোগকারী হাইওয়েটি যান চলাচলের জন্য বন্ধ থাকবে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন হুনজা, গিলগিট এবং অন্যান্য সংলগ্ন শহর থেকে আসা ব্যবসায়ী, পণ্ডিত এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা (CPEC)।

    ব্যাপক বিক্ষোভ

    গিলগিট-বালটিস্তানে প্রস্তাবিত একটি বিলের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হওয়ার এক মাস পরেই এই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা তাঁদের জমির অবৈধ দখলের বিরোধিতা করে ‘কাবজে পার কাবজা নামঞ্জুর’ (আমরা বারবার দখল প্রত্যাখ্যান করি) স্লোগান দেন। শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ শুরু হওয়ার পর থেকে কারাকোরাম হাইওয়েতে আটকে পড়েছেন হাজার হাজার যাত্রী এবং পর্যটক। রাস্তার দু’পাশে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে যানবাহন। বিক্ষোভকারীরা বলেন, “ফেডারেল বোর্ড অফ রেভিনিউ এবং কাস্টমস বিভাগের নীতি স্থানীয়দের অর্থনৈতিকভাবে হত্যা করেছে, যার ফলে পরিবহণকারী, দোকানদার, শ্রমিক, কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স এজেন্ট, হোটেল মালিক এবং ছোট ব্যবসায়ীরা মাসের পর মাস বেকার হয়ে পড়েছেন। কারণ তাঁরা চিনের সঙ্গে বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল।”

    কোনওভাবেই বাণিজ্য পুনরায় শুরু হবে না

    বিক্ষোভকারীদের সাফ কথা, কোনওভাবেই বাণিজ্য পুনরায় শুরু হবে না। আটকে থাকা পণ্যবাহী যানও ছাড়া হবে না। হাইওয়ে খোলা হবে না। তাঁদের একমাত্র দাবি, অ্যামনেস্টি স্কিমের মাধ্যমে পণ্য ছাড় এবং আইনসম্মত বাণিজ্য পুনরায় চালু করতে দিতে হবে। এই আন্দোলন শান্তিপূর্ণ (CPEC)। গিলগিট-বালটিস্তান সরকার এই দাবিগুলির বৈধতা স্বীকার করলেও দায় চাপিয়ে দিয়েছে ইসলামাবাদের কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন ফেডারেল সরকার রহস্যজনকভাবে চুপ করে রয়েছে, যা ক্ষোভ আরও উসকে দিচ্ছে (Gilgit Baltistan)।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই হাইওয়ে অবরোধ কোনও হঠাৎ ঘটনার ফল নয়। এটা বহু বছরের জমে থাকা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, পাকিস্তান সেনাবাহিনী নির্বিচারে জমি দখল, প্রাকৃতিক সম্পদ লুটপাট এবং জনকল্যাণ উপেক্ষা করেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি ও এপ্রিল মাসের আগের বিক্ষোভগুলিতে গমের ভর্তুকি কমানো, বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও পৈতৃক জমি দখলের ইস্যু তুলেও কোনও গুরুত্ব পায়নি (Gilgit Baltistan)। তাই এবার হাইওয়ে অবরোধ (CPEC)।

  • BJP: “তিনি কি চিন বা পাকিস্তানের পেইড এজেন্ট?” রাহুলের ‘সারেন্ডার’ মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন বিজেপির

    BJP: “তিনি কি চিন বা পাকিস্তানের পেইড এজেন্ট?” রাহুলের ‘সারেন্ডার’ মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) যেভাবে কথা বলছেন, যেভাবে বারবার প্রশ্ন তুলছেন, তাতে আমি নিশ্চিতভাবে সন্দেহ করছি – তিনি কি চিন বা পাকিস্তানের কোনও পেইড এজেন্ট?” মঙ্গলবার এমনই প্রশ্ন তুলে দিলেন বিজেপির (BJP) জাতীয় মুখপাত্র তথা সাংসদ সম্বিত পাত্র। সম্প্রতি রাহুল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব ও অপারেশন সিঁদুরের পরিচালনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সম্বিত। ভারত-বিরোধী মনোভাব প্রচারের অভিযোগে রাহুলকে কাঠগড়ায়ও তোলেন তিনি।

    রাহুল গান্ধীর অভিযোগ (BJP)

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের একটি সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল অভিযোগ করেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক উত্তেজনার সময় মোদি তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ফোনকলের পর আত্মসমর্পণ করেন।’ তাঁর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রবল প্রতিক্রিয়া জানায় বিজেপি। সম্বিত বলেন, “রাহুল ভারতীয় সেনাবাহিনীকে অপমান করছেন এবং একটি সফল সামরিক অভিযানের গুরুত্ব খাটো করছেন।” তাঁর দাবি, রাহুল কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে ভারত মাতার অবমাননা করছেন। তিনি যা বলছেন, তাতে দেশের সম্মান ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, গান্ধী এবং তাঁর পরিবারকে ডোকলাম ইস্যুতে ভারত-চিন অচলাবস্থার সময় চিনা তাঁবুর নীচে ভারতের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ধরা হয়েছিল।

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    রাহুলের ‘আত্মসমর্পণ’ শব্দ ব্যবহারের প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সম্বিত বলেন, “নিজ দেশের বিষয়ে কথা বলার সময় কোনও সভ্য রাজনীতিবিদ বা বিরোধী দলনেতা কখনও আত্মসমর্পণ শব্দটি ব্যবহার করেন না। যিনি জন্মভূমির জন্য এমন শব্দ ব্যবহার করেন, তিনি রাজনীতির উপযুক্ত নন।” তিনি জানান (BJP), ২১ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার বদলা নেওয়া হয়েছিল অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে, যার ফলে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ৯টি জঙ্গি লঞ্চপ্যাড এবং ১১টি এয়ার বেস ধ্বংস করা হয়। সম্বিত বলেন, “তা সত্ত্বেও রাহুল গান্ধী ‘ভারতবর্ষ’কে আত্মসমর্পণকারী বলে উল্লেখ করেছেন এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে উপহাস করেছেন।” তিনি বলেন, “ভারত কখনওই আত্মসমর্পণ করে না, ভারতবর্ষ কখনও সন্ত্রাসের কাছে মাথা নত করেনি (Rahul Gandhi)।”

    শেহজাদ পুনাওয়ালার বক্তব্য

    সম্বিত বলেন, “আগের ইউপিএ সরকার পাকিস্তানের প্রতি নরম মনোভাব পোষণ করত। সেই সময় ছিল যখন আপনারা (কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার) শুধু পাকিস্তানের সঙ্গে ‘ডসিয়ার-ডসিয়ার’ খেলতেন। এখন আর ডসিয়ার নয়, শুধু ‘ডোজ’ দেওয়া হয়।” রাহুলকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির আর এক মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা। তিনি বলেন, “তিনি (রাহুল গান্ধী) পাকিস্তানি প্রচারের নেতা। রাহুল ফের বুঝিয়ে দিয়েছেন যে ‘লিডার অফ অপজিশন’ শব্দের মানে এখন পাকিস্তানি প্রচারের নেতা।” পুনাওয়াল্লা বলেন, “যে ধরনের প্রচার পাকিস্তানও করতে পারেনি, তা এখন করছেন রাহুল গান্ধী। রাহুল গান্ধীর বিদেশি জিনিসের প্রতি বিশেষ আসক্তি – সেটা প্রোপাগান্ডা হোক বা কোনও নেতা।” ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে বিদেশি মধ্যস্থতার দাবি খারিজ করে দিয়ে পুনাওয়ালা রাহুলকে তাঁর নিজের দলের প্রবীণ নেতাদের কথা শোনার আহ্বান জানান (BJP)।

    শশী, মনীশ, সলমনের কথা তো বিশ্বাস করুন!

    তিনি বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধী ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস যা বলেছেন, বিদেশ মন্ত্রণালয় যা বলেছে — অন্তত (Rahul Gandhi) সেটুকু তো বিশ্বাস করুন। যদি তাঁদের না-ই বিশ্বাস করেন, তাহলে অন্তত শশী (থারুর), মনীশ (তেওয়ারি) আর সলমন (খুরশিদ) যাঁরা বলেছেন যে কোনও মধ্যস্থতা হয়নি, ভারত ফোন করেনি, বরং পাকিস্তানের ডিজিএমও-ই ভারতের কাছে পৌঁছেছিল — অন্তত তাদের কথা শুনুন।’’ তাঁর দাবি, পাকিস্তান ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছে যে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ তারা ভারতের কাছে ‘পরাজিত’ হয়েছে এবং এখন তারা ভারতের কাছে সংঘর্ষ বিরতির আবেদন জানাচ্ছে।

    চিফ অফ ডিফেন্সের বক্তব্য

    সম্প্রতি চিফ অফ ডিফেন্স অনিল চৌহান বলেছিলেন, “যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতিটা আসল নয়। আসল হল, লক্ষ্যপূরণ হয়েছে কি না।” তিনি জানান, ভারতীয় সেনা প্রাথমিক ত্রুটি শুধরে নিয়ে প্রতিপক্ষের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে সমর্থ হয়। কোনও কোনও মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে, পাক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাফালের মতো যুদ্ধ বিমানও (BJP)।

    চৌহান এমনতর দাবি করলেও, রাহুল ধারাবাহিকভাবে সরকারের সাফল্যের দাবিকে একের পর এক প্রশ্ন তুলে বিদ্ধ করে গিয়েছেন। বিরোধী নেতাদের মধ্যে এই ব্যাপারে কংগ্রেস নেতা ব্যতিক্রম। তিনিই একমাত্র সেনার ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট জানতে চেয়েছেন। ফলে সরকারের সঙ্গে তাঁর বিরোধ (Rahul Gandhi) অনেক দূর গড়িয়ে গিয়েছে। সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি জানিয়ে তিনিই প্রথম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দেন (BJP)।

  • Himanta Biswa Sarma: পাকিস্তানের মিথ্যে হুমকির বেলুন ফাটিয়ে দিলেন হিমন্ত, ইসলামাবাদকে দিলেন ভূগোলের পাঠ

    Himanta Biswa Sarma: পাকিস্তানের মিথ্যে হুমকির বেলুন ফাটিয়ে দিলেন হিমন্ত, ইসলামাবাদকে দিলেন ভূগোলের পাঠ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করে দেয় ভারত। তার পরেই বন্ধু দেশ চিনকে পাশে টেনে ব্রহ্মপুত্রের জল বন্ধের হুঁশিয়ারি দেয় পাকিস্তান (Pakistan)। শাহবাজ শরিফের দেশের ওই হুঁশিয়ারিতে যে ভারত আদৌ ভীত নয়, ওই হুঁশিয়ারি যে নিছকই ফাঁকা বুলি, তা সাফ জানিয়ে দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)।

    পাকিস্তানের বেলুন ফুটো (Himanta Biswa Sarma)

    রীতিমতো তথ্য দিয়ে তিনি জানিয়ে দিলেন, চিন যদি ব্রহ্মপুত্র নদে বাঁধ দেয় বা জল বন্ধ করে দেয়, তাহলে অসুবিধা তো দূর, বরং সুবিধাই হবে ভারতের। ২ জুন এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে পাকিস্তানকে বাস্তবের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লেখেন, “যদি চিন ব্রহ্মপুত্রের জল ভারতকে দেওয়া বন্ধ করে দেয়? পাকিস্তানের নয়া আতঙ্ক কল্পনার জবাব— ভারত যখন পুরনো সিন্ধু জলচুক্তি থেকে সরে এসেছে, তখন পাকিস্তান তার মিত্র চিনের নাম করে আর একটি মিথ্যা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে – যদি চিন ভারতের দিকে ব্রহ্মপুত্রের জল বন্ধ করে দেয়?’ এই মিথ্যাটিকে আমরা ভয় দিয়ে নয়, বরং তথ্য দিয়ে ভেঙে দিই— ব্রহ্মপুত্র এমন একটি নদ যা ভারতে ‘বাড়ে’, ছোট হয় না। চিন ব্রহ্মপুত্রের মোট প্রবাহের মাত্র ৩০–৩৫ শতাংশ জল সরবরাহ করে, সেটিও প্রধানত হিমবাহ গলে যাওয়া ও সীমিত তিব্বতি বৃষ্টিপাত থেকে।”

    ব্রহ্মপুত্রের জল

    তিনি জানান, ব্রহ্মপুত্রের বাকি ৬৫–৭০ শতাংশ জল ভারতে তৈরি হয়, মূলত অরুণাচলপ্রদেশ, অসম, নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ে প্রচণ্ড বর্ষণের ফলে। এছাড়া সুবনসিরি, লোহিত, কামেং, মানাস, ধানসিরি, জিয়া-ভরালী, কপিলি ও খাসি, গারো ও জয়ন্তিয়া পাহাড় থেকে আসা নদী যেমন কৃষ্ণাই, দিগারু ও কুলসি ভারতের মধ্যে ব্রহ্মপুত্রকে প্রবাহিত রাখতে বড় অবদান রাখে। এভাবে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা স্পষ্টভাবে বোঝান যে, চিন জল বন্ধ করলেও ব্রহ্মপুত্র ভারতের ভিতরেই বয়ে চলে এবং শক্তিশালী থাকে। পাকিস্তানের আতঙ্ক-সৃষ্টির প্রচেষ্টাকে তিনি তথ্য দিয়ে খণ্ডন করে দেন (Himanta Biswa Sarma)। ব্রহ্মপুত্রের উৎস তিব্বতের মালভূমি। ভারতীয় উপমহাদেশ, দেশের উত্তর-পূর্ব অংশকে কৃষিকাজের জল জোগায়, পানীয় জল জোগায়, বাস্তুতন্ত্র বজায় রাখে। তিব্বতের দক্ষিণ-পশ্চিমের চেমাইয়ুংদাং হিমবাহ থেকে এর উৎপত্তি। তিব্বতে ব্রহ্মপুত্র পরিচিত ইয়ারলুং সাংপো নামে। অরুণাচলপ্রদেশে এর নাম হয়েছে দিহাং। সমস্ত উপনদী সঙ্গমে এসে মিশলে নাম হয় ব্রহ্মপুত্র। বাংলাদেশে এই নদেরই নাম যমুনা। শেষে এই নদী এসে মিশেছে সুন্দরবনের কাছে গঙ্গায়, যা থেকে তৈরি হয়েছে সুন্দরবন ব-দ্বীপ (Pakistan)।

    অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “চুটিংয়ে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে জলের স্রোত ২০০০-৩০০০ কিউবিক মিটার প্রতি সেকেন্ডে। অসমের সমতল গুয়াহাটিতে তা-ই ফুলেফেঁপে হয় ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার কিউসেক। ব্রহ্মপুত্রের উজানের ওপর ভারত নির্ভরশীল নয়। ব্রহ্মপুত্র ভারতের বৃষ্টিনির্ভর নদী ব্যবস্থার মধ্যে পড়ে, সেটি ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের পরেই শক্তিশালী হয়েছে। এই সত্যটা পাকিস্তানের জানা দরকার। আর চিন যদি জলের স্রোত বন্ধ করার কথা ভাবে (চিন অবশ্য এখনও এমন কথা বলেনি), তাতে ভারত উপকৃতই হবে। প্রতিবছর বন্যা হবে না অসমে, যাতে লাখ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হন, জীবনজীবিকা নষ্ট হয় প্রতি বছর। অন্যদিকে, পাকিস্তান ৭৪ বছর ধরে সিন্ধু জলচুক্তির সুবিধা নিয়ে এসেছে। এখন ভারত নিজের সার্বভৌমিক ক্ষমতা দাবি করায় আতঙ্কিত। ওদের মনে করিয়ে দিই, ব্রহ্মপুত্রকে কোনও একপক্ষ নিয়ন্ত্রণ করে না। আমাদের ভূগোল, বর্ষা এবং সভ্যতা তাকে নিয়ন্ত্রণ করে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের ভয় পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ এবং ভারত এখন তার জলসম্পদ সম্পর্কে স্বাধীন ও সার্বভৌম সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম (Himanta Biswa Sarma)।” অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তান সিন্ধু জলচুক্তির অধীনে ৭৪ বছর ধরে যে অগ্রাধিকারমূলক জলপ্রবাহের সুবিধা ভোগ করে এসেছে, এখন ভারত যখন বৈধভাবে তার সার্বভৌম অধিকার পুনরুদ্ধার করেছে, তখন শত্রুর মতো আচরণ করা প্রতিবেশী দেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

    নাকের জলে চোখের জলে পাকিস্তান

    স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর আমলে স্বাক্ষরিত হওয়া সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করার পর নাকের জলে চোখের জলে হওয়ার জোগাড় পাকিস্তানের। একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সিন্ধুর শাখানদীগুলির জলপ্রবাহ কমে যাওয়ায় পাঞ্জাব প্রদেশে ব্যাপক জলসংকট দেখা দিয়েছে। চাষের জন্য প্রয়োজনীয় জলও মিলছে না (Pakistan)। গুরুতর এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাহবাজের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইহসান আফজল রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ভারত যদি পাকিস্তানের জল বন্ধ করতে পারে, তাহলে চিনও ভারতের সঙ্গে একই কাজ করতে পারে। মনে হয় সেটা একেবারেই ভালো কাজ হবে না। এমনটা চলতে থাকলে পৃথিবীজুড়ে এক নয়া যুদ্ধ শুরু হবে (Himanta Biswa Sarma)।

  • Kailashahar Airport: লালমনিরহাটে বেজিং-ঢাকার যুদ্ধ ঘাঁটি! পাল্টা ত্রিপুরার কৈলাশহর বিমানবন্দরকে সাজাচ্ছে দিল্লি

    Kailashahar Airport: লালমনিরহাটে বেজিং-ঢাকার যুদ্ধ ঘাঁটি! পাল্টা ত্রিপুরার কৈলাশহর বিমানবন্দরকে সাজাচ্ছে দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের লালমনিরহাটে বিমানঘাঁটি গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে চিন। সূত্রের খবর, এই আবহে এলাকা তদারকিও করেন চিনা আধিকারিকরা। যার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ত্রিপুরার পরিত্যক্ত বিমানঘাঁটি কৈলাশহরকে (Kailashahar Airport) নতুনভাবে সাজাতে শুরু করেছে ভারত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের লালমনিরহাটে একটি বিমানঘাঁটি ছিল। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পরে পাকিস্তানি বায়ুসেনা এবং একাত্তরের স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ বিমানবাহিনী সেটি ব্যবহার করত বলে জানা যায়। পরে সম্প্রতি, ২০১৯ সালে বাংলাদেশ এ্যারোস্পেস এবং এভিয়েশন ইউনিভার্সিটিকে ক্যাম্পাস গড়তে জমি দেওয়া হয়। এখন সেখানেই নতুন বিমানঘাঁটি গড়ে তুলতে চাইছে ইউনূস সরকার। পাশে রয়েছে চিন।

    চিকেন নেক থেকে কুড়ি কিমির মধ্যে লালমনিরহাট

    জানা যাচ্ছে, লালমনিরহাটের যে বিমানঘাঁটি বেজিং ব্যবহার করতে চায় তা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে কুড়ি কিলোমিটারেরও কম দূরে অবস্থিত। এই অংশ সামরিক ও কূটনৈতিক (Kailashahar Airport) দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উত্তরবঙ্গের এই অংশ শিলিগুড়ি করিডর বা চিকেন নামে পরিচিত। এখান থেকেই অনতিদূরে গড়ে তোলা হচ্ছে লালমনিরহাট বিমানবন্দর। প্রসঙ্গত, দেশের এই অংশকে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বারও বলা হয়। তাই কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল চিকেন নেক। জানা যায়, লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি তৈরি হয় ১৯৩১ সালে। মায়ানমারে (তৎকালীন বর্মা) সামরিক অভিযানের সময় এই বিমানঘাঁটি ব্যবহার করে ব্রিটিশ সেনা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই বিমানঘাঁটির তাৎপর্য কমতে শুরু করে। একসময় অসামারিক বিমান পরিবহণের কথাও ভাবা হয়েছিল অতীতে। সেই মতো ১৯৫৮ সালে অসামরিক বিমান চলাচল শুরু করে পাকিস্তান। তবে তা দীর্ঘমেয়াদী হয়নি। এরপর ধীরে ধীরে প্রাসঙ্গিকতা হারায় লালমনিরহাট।

    ত্রিপুরার উনাকোটি জেলায় অবস্থিত কৈলাশহর বিমানবন্দর (Kailashahar Airport)

    লালমনিরহাটে চিন-বাংলাদেশের পরিকল্পনার পাল্টা পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে নয়াদিল্লিও। জানা গিয়েছে, ত্রিপুরার পুরনো বিমানবন্দর কৈলাশহর, এটিকে ফের একবার নতুনভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এই বিমানবন্দরের অবস্থান কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হল কৈলাশহর। আবার শিলিগুড়ি করিডর থেকেও খুব বেশি দূরে নয়। এই বিমানবন্দরটি ত্রিপুরার উনাকোটি জেলায় অবস্থিত। ইতিমধ্যে ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, এটিকে নতুনভাবে গড়ার কাজে হাত লাগিয়েছে।

    ২৬ মে বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা

    গত ২৬ মে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার উত্তরপূর্ব আঞ্চলিকের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এম রাজু কিশোর, আগরতলার বিমানবন্দরের ডিরেক্টর কেসি মিনাকে সঙ্গে নিয়ে কৈলাশহর বিমানবন্দরটি পরিদর্শন করেন। একইসঙ্গে কেসি মিনা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, রাজ্য সরকারের অনুরোধ এবং অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের নির্দেশেই এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার উত্তরপূর্বের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কৈলাশহর বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন। সেখানে তাঁরা পরিকাঠামো, জমি, বিমানবন্দরের দৃশ্যমানতা- এই সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখেন।

    একাত্তরের যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল কৈলাশহর বিমানবন্দর

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ত্রিপুরার উনাকোটি জেলায় অবস্থিত কৈলাশহর বিমানবন্দরটি (Kailashahar Airport) প্রায় ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অচল হয়ে পড়ে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় ভারতীয় বিমানবাহিনীর অভিযান এবং নজরদারি পরিকল্পনা করার সময় এই বিমানবন্দরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। তবে তারপরে এটি বন্ধ হয়ে যায়। পরিণত হয় পরিত্যক্ত বিমানবন্দরে। জানা যায়, একাত্তরের যুদ্ধের সময় (1971 War Base), এই বিমানবন্দর থেকেই ভারতীয় বিমান বাহিনী অপারেশনাল কমান্ডের অধীনে বাংলাদেশ বা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে অভিযান চালিয়েছিল।

    দিল্লির বার্তা বেজিং ও ঢাকাকে

    কৈলাশহর বিমানবন্দর নতুনভাবে গড়ে তোলা হলে উত্তর পূর্ব ভারতের পরিবহণ ক্ষমতাও বাড়বে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এর পাশাপাশি, যে কোনও ধরনের রসদের যোগানও খুব দ্রুত হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ত্রিপুরাতে শুধুমাত্র একটি প্রধান বিমানবন্দর রয়েছে সেটি আগরতলা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কৈলাশহর বিমানবন্দর (1971 War Base) গড়ে উঠলে আগরতলার সঙ্গেও দ্রুত সংযোগ তৈরি হবে। প্রসঙ্গত, লালমনিরহাট বিমানবন্দর ভারতীয় ভূখণ্ডের খুব কাছাকাছি হওয়ায় বিশেষজ্ঞ মনে করছেন পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে কৈলাশহরকে সাজাতে শুরু করেছে নয়া দিল্লি। এখানে ঢাকা এবং বেজিং-কে বার্তা দেওয়া হল যে লালমনিরহাটে তাদের কার্যকলাপের ওপর ভারত শুধু পর্যবেক্ষণ করছে না বরং তার পাল্টা হিসেবে পদক্ষেপও করতে শুরু করেছে।

LinkedIn
Share