Tag: China

China

  • US Defence Intelligence: নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনে না ভারত, বলছে মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট

    US Defence Intelligence: নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনে না ভারত, বলছে মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা ও ভারতের (India) ‘অপারেশন সিঁদুরে’র পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি চলছে। একটি মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ভারত এখন পাকিস্তানকে (US Defence Intelligence) কেবল একটি গৌণ নিরাপত্তাজনিত সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করে।

    ওয়ার্ল্ডওয়াইড থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট (US Defence Intelligence)

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার “২০২৫ ওয়ার্ল্ডওয়াইড থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট” রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত চিনকে তার প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখে। সাম্প্রতিক সামরিক সংঘাত সত্ত্বেও পাকিস্তানকে একটি গৌণ নিরাপত্তা সমস্যা হিসেবে দেখে ভারত সরকার। এটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য একটি বিষয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনের প্রভাব মোকাবিলা ও বৈশ্বিক নেতৃত্বে ভূমিকা জোরদারে ভারত, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এই উদ্দেশ্যে ভারত যৌথ মহড়া, প্রশিক্ষণ, অস্ত্র বিক্রি ও তথ্য আদান-প্রদান করছে। রিপোর্টটি জানিয়েছে, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর দু’টি বিতর্কিত জায়গা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ভারত ও চিন চুক্তিতে পৌঁছালেও সীমান্ত নির্ধারণ সংক্রান্ত দীর্ঘমেয়াদী বিরোধের মীমাংসা এখনও হয়নি। তবে, এই পদক্ষেপ ২০২০ সালে বেড়ে যাওয়ায় উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত করেছে (US Defence Intelligence)।

    প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট

    প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার (DIA) রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত ২০২৫ সালেও “মেড ইন ইন্ডিয়া” উদ্যোগ চালিয়ে যাবে, যাতে দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্প গড়ে তোলা যায়, সরবরাহ ব্যবস্থার উদ্বেগগুলি হ্রাস করা যায় এবং সামরিক ক্ষেত্রে আধুনিকীকরণ করা যায়। রিপোর্টে পরমাণু সক্ষম অগ্নি-প্রাইম মধ্য-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং অগ্নি-৫ এর মাল্টিপল ইন্ডিপেন্ডেটলি টার্গেটেবল রি-এন্ট্রি ভেহিক্যাল প্রযুক্তির পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে।

    মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভারত ২০২৫ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে। কারণ ভারত রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ককে অর্থনৈতিক এবং প্রতিরক্ষা লক্ষ্য অর্জনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। মোদি সরকারের অধীনে ভারত রাশিয়ায় তৈরি সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় কিছুটা কমালেও, রাশিয়ায় তৈরি ট্যাংক এবং যুদ্ধবিমানের বড় মজুদ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এখনও রাশিয়ার খুচরো যন্ত্রাংশের ওপর নির্ভর করে (US Defence Intelligence)।

    রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত পাকিস্তানকে একটি গৌণ নিরাপত্তাজনিত সমস্যা হিসেবে দেখে, কিন্তু পাকিস্তান ভারতকে অস্তিত্বের হুমকি বলে মনে করে। রিপোর্টে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, ভারতীয় প্রচলিত সেনা শক্তির ভারসাম্যহীনতা মোকাবিলার জন্য পাকিস্তান তার সামরিক আধুনিকীকরণ চালিয়ে যাবে, যার মধ্যে থাকবে (India) যুদ্ধক্ষেত্র উপযোগী পারমাণবিক অস্ত্রের বিকাশ। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, “পাকিস্তান প্রায় নিশ্চিতভাবেই বিদেশি সরবরাহকারী ও মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র সামগ্রী সংগ্রহ করেছে (US Defence Intelligence)।”

  • India Bangladesh Relation: বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকুন ইউনূস, চাইছে চিন-পাকিস্তান! নেপথ্যে কি শুধু ভারত-বিরোধিতা?

    India Bangladesh Relation: বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকুন ইউনূস, চাইছে চিন-পাকিস্তান! নেপথ্যে কি শুধু ভারত-বিরোধিতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে গিয়েছে বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের (Md Yunus)। আন্দোলনের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা। তারপর ক্ষমতার রাশ যায় ইউনূসের হাতে। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, ইউনূসের মূল দায়িত্ব হল বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করা, যাতে একটি গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসতে পারে। কিন্তু নির্বাচন করাতে ইউনূসের কোনও হেলদোল দেখা যাচ্ছে না। তাই স্বয়ং সেনাপ্রধান ইউনূসকে আল্টিমেটাম দিয়ে দিয়েছেন।

    তুরুপের তাস ইউনূসই! (India Bangladesh Relation)

    তবে ইউনূসের বক্তব্য থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার, সেটা হল ২০২৬ সালের কোনও এক সময় সাধারণ নির্বাচন হতে পারে বাংলাদেশে। এই যে লম্বা সময়, সেটাকে তিনি পাকিস্তান ও চিনের মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ দেশের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার কাজে লাগাতে চাইছেন। ভারতকে চাপে রাখতে চিন এবং পাকিস্তানও বাংলাদেশের সঙ্গে স্থায়ী সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী। হাসিনা জমানায় বিশেষ পাত্তা পায়নি চিন ও পাকিস্তান। তারাই এখন ইউনূসের কট্টর সমর্থক। এর প্রধান কারণ এই দুই দেশই গণতান্ত্রিক পরিচয়ের জন্য বিশ্বে পরিচিত নয়। ইউনূসকে সমর্থনের নেপথ্যে রয়েছে তাদের কৌশলগত ও আদর্শগত দুই প্রকার কারণই। এই দুই দেশই চায়, বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকুন ইউনূস। কারণ বিশ্বমঞ্চে নরেন্দ্র মোদির ভারতের উত্থান ঠেকাতে, স্বৈরচারীশাসনকে উৎসাহিত করতে এবং বাংলাদেশে ইসালামপন্থী শক্তিগুলিকে শক্তিশালী করতে ইউনূসই হতে পারেন তাঁদের তুরুপের তাস।

    চিনের উদ্দেশ্য

    চিনের কাছে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু। ইতিমধ্যেই শি জিনপিংয়ের দেশ বাংলাদেশের পরিকাঠামো উন্নয়নে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পে মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশে কোনও নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এলে এই সব প্রকল্প নিয়ে ফের আলোচনার পথে যেতে পারে। ইউনূস ক্ষমতায় থাকলে সে প্রশ্নই নেই। তাছাড়া চিনের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত প্রকল্পে ইউনূস কোনও প্রতিরোধও গড়ে তুলবেন না। তাই চিনা বিনিয়োগ যে আপাতত জলে যাবে না, সে ব্যাপারে নিশ্চিন্তে ড্রাগনের দেশের কমিউনিস্ট সরকার। চিন বরাবরই তার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে গণতান্ত্রিক সক্রিয়তা বিস্তারের বিরোধিতা করে এসেছে। সেদিক থেকেও ইউনূস তাঁদের কাছে ঢের বেশি নিরাপদ বাংলাদেশের অন্যান্য নেতা-নেত্রীর চেয়ে।

    পাকিস্তানের লক্ষ্য

    চিন যেমন লগ্নি বাঁচাতে সমর্থন করছে ইউনূসকে (Md Yunus), পাকিস্তানের ক্ষেত্রে তেমনটা নয়। তাদের মূল উদ্দেশ্য ভারতের বিরুদ্ধে মৌলবাদী শক্তিকে লালন-পালনের কৌশলগত গভীরতা অর্জন। হাসিনা জমানায় বাংলাদেশে মাথাচাড়া দিতে পারেনি ইসলামপন্থীরা। জঙ্গিদের বিরুদ্ধেও কঠোর অবস্থান নিয়েছিল তাঁর সরকার। নিয়ন্ত্রণ করেছিল পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কার্যকলাপও। ইউনূসের আমলে এসব কিছুই নেই। তাই তারা চাইছে, ভারতের সঙ্গে দূরত্ব রচনা করুক বাংলাদেশ, ঘনিষ্ঠ হোক শাহবাজ শরিফের দেশের সঙ্গে। পাকিস্তান চায় বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকুক ইউনূসের মতো এমন একজন নেতা, যিনি একই সঙ্গে নমনীয় এবং ভারত-বান্ধব নন। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হামলার পর পাকিস্তানে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। নয়াদিল্লির এই গুঁতোয় সিঁদুরে মেঘ দেখছে ইসলামাবাদ। ভারত ঘোষণা করে দিয়েছে পাকিস্তান কিংবা তার পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত যে কোনও জঙ্গি হামলাকে যুদ্ধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এবং সেক্ষেত্রে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে। মোদি সরকারের এহেন ঘোষণায় অশনি সঙ্কেত দেখছে শাহবাজ শরিফের দেশ (India Bangladesh Relation)। তাই তারাও চাইছে, এই ঘোর বিপদের দিনে ইউনূসের মতো কাউকে একজনকে পাশে পেতে। সেই কারণেই বাংলাদেশে নির্বাচন হোক, চাইছে না পাকিস্তানও।

    কী বলছেন পর্যবেক্ষকরা?

    পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ নীতির মূল কথাই হল, হাজারো ক্ষতের মাধ্যমে রক্তাক্ত করো ভারতকে। বাংলাদেশে মৌলবাদ মাথাচাড়া দেওয়ায় সেই কাজটিই আরও অনায়াস হয়েছে পাক জঙ্গিদের কাছে। বাংলাদেশের পর্যবেক্ষকদের মতে, ইউনূস সরকারের আমলে সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হল ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলি বিশেষ করে জামাত-ই-ইসলামির (জেইআই) রাজনীতিতে ফিরে আসা। হাসিনার আমলে জামাতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকার এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। তারপরেই (Md Yunus) রমরমা জামাতের। এটি একটি বিপজ্জনক আদর্শগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত। হাসিনার অনুপস্থিতির সুযোগে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন যেমন হিজবুত তাহরির ফের প্রকাশ্যে কাজকর্ম শুরু করেছে। আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (আল-কায়দা দ্বারা প্রাণিত একটি সংগঠন)-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত চরমপন্থী আলেম মুফতি জসিমউদ্দিন রহমানিকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে ইউনূস জমানায়। এসব ঘটনা থেকেই প্রমাণ হয় যে, ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার হয় এই উগ্র শক্তিগুলিকে দমন করতে অনিচ্ছুক, নয়তো সম্পূর্ণভাবে অক্ষম (India Bangladesh Relation)।

    জামাতের প্রভাব

    জামাতের প্রভাব কেবল রাস্তার উগ্রপন্থার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, ইউনূস প্রশাসনের অধীনে এটি রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরেও ঢুকে পড়েছে। ফার্স্টপোস্টের এক প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে যে, জামাতের ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবির (আইসিএস) হাসিনার অপসারণের নেপথ্যে ছাত্র আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়তেই সংখ্যালঘুদের ওপর হামলায়ও তারা জড়িত ছিল বলে অভিযোগ। জেইআইয়ের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক প্রভাবকে অনেকেই বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্র ভেঙে একটি ইসলামি ধর্মতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে একটি ধাপ হিসেবে দেখছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইউনূসের অধীনে প্রস্তাবিত সংবিধান সংশোধন এই লক্ষ্যেই পরিচালিত হতে পারে। নির্বাচিত জনমতের কোনও ভিত্তি ছাড়াই ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশের আইন ও শাসন কাঠামো পুনর্লিখনের জন্য বিভিন্ন কমিটি গঠন করেছে। সমালোচকদের মতে, এটি ধর্মীয় রক্ষণশীলতাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার একটি পরিকল্পিত পদক্ষেপ (India Bangladesh Relation)।

    সিঁদুরে মেঘ

    ইউনূস সরকার ক্রমশ জঙ্গি সংগঠনগুলির হাতের পুতুলে পরিণত হওয়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও। বিএনপির প্রবীণ নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির বলেন, “একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও সমন্বিত চক্রান্ত জাতীয় নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে নাগরিকদের মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।” তিনি বলেন, “গণতন্ত্রের জন্য অসংখ্য ছাত্র ও সাধারণ মানুষ যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তা একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল। কিন্তু বর্তমানে রাজনৈতিক পরিবেশ অশনি সংকেতপূর্ণ ও অনিশ্চিত (Md Yunus)।”

    গণতান্ত্রিক গতি-প্রবাহকে দমন করা!

    মনে রাখতে হবে, বেজিং এবং ইসলামাবাদ উভয়েই গণতান্ত্রিক কার্যকলাপ ও নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে তাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসেবে দেখে। সংস্কার এবং জাতীয় ঐকমত্যের অজুহাতে ইউনূসের নির্বাচন বিলম্বিত করার কৌশলটি ক্ষমতা সংহত করার লক্ষ্যে অন্যান্য স্বৈরাচারী শাসকদের ব্যবহৃত পদ্ধতির অনুরূপ। চিন ও পাকিস্তানের ইউনূসকে ক্ষমতায় দেখতে চাওয়ার কারণ হয়তো এক নয়। কিন্তু একটি বিষয়ে দুই দেশই একমত, সেটি হল এই অঞ্চলে গণতান্ত্রিক গতি-প্রবাহকে দমন করা যেখানে ভারতের গণতান্ত্রিক মডেলের প্রভাব দিন দিন বাড়ছে বিশ্বের দরবারে (India Bangladesh Relation)।

    ভারত হল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী, দীর্ঘদিনের মিত্রও। তবে নির্বাচিত সরকার উৎখাত হওয়ার পর ভারত অপেক্ষায় রয়েছে সে দেশে একটি নির্বাচিত সরকার আসার। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যদি পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে বাংলাদেশ, তাহলে এটি দক্ষিণ এশিয়ায় কৌশলগত ভারসাম্য বদলে দিতে পারে। বাংলাদেশ পরিণত হতে পারে ভারতের বিরুদ্ধে কার্যকলাপ (Md Yunus) চালানোর একটি ঘাঁটিতে। বঙ্গোপসাগরে চিনের প্রভাব বিস্তার করার একটি করিডর হিসেবেও কাজ করতে পারে ইউনূসের দেশ (India Bangladesh Relation)।

  • China: নেপথ্যে চিন, লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি সক্রিয় করছে বাংলাদেশ! ভারতের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে কি?

    China: নেপথ্যে চিন, লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি সক্রিয় করছে বাংলাদেশ! ভারতের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে জব্দ করতে চিনের (China) সঙ্গে সখ্যতা গড়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশের লালমনিরহাট (Lalmonirhat) জেলায় একটি বিমানঘাঁটি নির্মাণ করছে চিন। বাংলাদেশের এই জেলাটি ভারতের ‘চিকেন’স নেক’ থেকে ১২ থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে। পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলারও খুব কাছে ওই বিমানঘাঁটি। কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত সংবেদনশীল এই এলাকা। এহেন পরিস্থিতিতে চিনকে এই এলাকায় বিমানঘাঁটি নির্মাণের অনুমতি দিয়ে ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ। জানা গিয়েছে, চিনা কর্তারা সম্প্রতি লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি পরিদর্শন করেছেন। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও বাংলাদেশি বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে চিনা কর্তাদের সফরের খবর পেয়েছে।

    ব্রিটিশ আমলে তৈরি (China)

    লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি বাংলাদেশের রংপুরে অবস্থিত। এটি নির্মিত হয়েছিল ১৯৩১ সালে। ব্রিটিশ সরকার একটি সামরিক ঘাঁটি হিসেবে এটি নির্মাণ করেছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্র বাহিনী পূর্ব ফ্রন্টে তাদের অভিযানের জন্য এটিকে ব্যবহার করেছিল একটি ফরওয়ার্ড বিমানঘাঁটি হিসেবে। এটি মিত্রবাহিনীর জন্য একটি ফরওয়ার্ড বিমানঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হত। এই বাহিনীই পূর্ব ফ্রন্টে জাপানি বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছিল।

    অসামরিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার চেষ্টা

    তবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই বিমানঘাঁটিকে (China) একটি অসামরিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার চেষ্টা করেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস চিনকে এটিকে অসামরিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার জন্য অনুরোধ করেছেন (Lalmonirhat)। গত মাসে চিন সফরে গিয়ে তিনি এই বিষয়টি তুলে ধরেন। সেই সময় তিনি বিতর্কিত একটি মন্তব্যও করেছিলেন। ইউনূস বলেছিলেন, “বাংলাদেশ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য সহ সমগ্র অঞ্চলের সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক।” বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন হলেও, দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে প্রায় নিষ্ক্রিয় রয়েছে এই বিমানঘাঁটিটি। চিনের সাহায্যে এটাকেই এখন বিমানবন্দরে উন্নীত করতে চাইছে ইউনূস সরকার। কেবল এটিই নয়, ব্রিটিশ আমলের আরও পাঁচটি বিমানবন্দরকে পুনরুজ্জীবিতও করতে চাইছে তারা।

    এয়ারবেসের রাশ

    ১ হাজার ১৬৬ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এই এয়ারবেসে ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ রানওয়ে রয়েছে। রয়েছে একটি বিশাল টারম্যাকও। এটি দীর্ঘদিন ব্যবহার করা হয়নি। তবে এটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোগত সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা যেতে পারে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর এই এয়ারবেসের রাশ চলে যায় পাকিস্তানের হাতে। ১৯৫৮ সালে কিছু সময়ের জন্য এটিকে ফের অসামরিক ব্যবহারের জন্য চালু করা হয়। তার পর এটি আবার পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসন কালে এই বিমানঘাঁটির একটি অংশ বাংলাদেশ অ্যারোস্পেস অ্যান্ড অ্যাভিয়েশন ইউনিভার্সিটি তৈরির জন্য বরাদ্দ করা হয়। বর্তমানে এটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অধীনে পরিচালিত হয়। এই উন্নয়ন সত্ত্বেও বিমানঘাঁটির সামরিক ও কৌশলগত সম্ভাবনা সাম্প্রতিক পুনরুজ্জীবনের প্রস্তাবের আগে পর্যন্ত অনাবিষ্কৃতই থেকে গিয়েছিল। শিলিগুড়ি করিডরের কৌশলগত গুরুত্বকে অবহেলা করা যায় না। এটি একটি সংকীর্ণ এলাকা। তাই যে কোনও ব্যাঘাত ঘটলেই ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে (Lalmonirhat)।

    কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এর ফলে চিন (China) ভারতের সামরিক চলাচলের উপর নজরদারি করতে পারে বা শিলিগুড়ি করিডরের কাছে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। চিনের এই ধরনের কাজকর্মের ফলে দুর্বল হয়ে যেতে পারে ভারতের গোপন সামরিক তৎপরতা এবং গতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষমতা। বিশেষ করে লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বরাবর চিন-ভারতের মধ্যে চলা সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে। অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের চিন-তাইওয়ান স্টাডিজের গবেষক কল্পিত মানকিকার বলেন, “একটি বিষয় নিশ্চিত যে চিনের ওই অঞ্চলের জন্য সুস্পষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। এতদিন সেই পরিকল্পনাগুলি হয়তো নিষ্ক্রিয় ছিল কারণ বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের স্বার্থের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন। কিন্তু এখন, সরকার পরিবর্তনের পর এবং মহম্মদ ইউনূসের খোলাখুলি প্রস্তাব যে বাংলাদেশ ভারতের বিরুদ্ধে একটি ‘ফাউন্টেনহেড’ হতে পারে। এটা যে চিনের জন্য একটি অত্যন্ত লোভনীয় একটি প্রস্তাব হয়ে উঠবে, তা বলাই বাহুল্য।”

    তিনি বলেন, “আমরা এখনও জানি না প্রকল্পটির জন্য চিনের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা কী। তবে এটি ভারতের বাকি অংশ থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অসামরিক (China) ও সামরিক চলাচল নজরদারির কাজে ব্যবহৃত হতে পারে।” প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ি করিডরের স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হলে তা শুধু ভারতের ভৌগোলিক অখণ্ডতার জন্যই নয়, বরং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারতের (Lalmonirhat) অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপরও গভীর প্রভাব পড়তে পারে। বস্তুত, এই অঞ্চলটি ইতিমধ্যে জাতিগত ও বিচ্ছিন্নতাবাদী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি (China)।

  • China: অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানকে স্যাটেলাইট তথ্য দিয়ে সাহায্য করে চিন, বলছে রিপোর্ট

    China: অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানকে স্যাটেলাইট তথ্য দিয়ে সাহায্য করে চিন, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে চিন (China) সরাসরি পাকিস্তানকে সাহায্য করেছে। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত-পাক যুদ্ধে পাকিস্তানকে কৃত্রিম উপগ্রহের নজরদারির মারফত সহায়তা প্রদান করেছে বেজিং। রেডার পুনঃস্থাপনের ক্ষেত্রেও ইসলামাবাদকে বেজিং সাহায্য করেছে বলে অভিযোগ।

    রাজস্থানের আন্তর্জাতিক সীমান্তের উপর বেজিঙের উপগ্রহকে পাক খেতে দেখা গিয়েছে

    ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সীমান্তে ভারতীয় সেনার (India Pakistan War) গতিবিধির ওপর নজর রাখতে একাধিক ‘গুপ্তচর’ উপগ্রহকে কাজে লাগায় চিন (China)। এভাবেই তারা সেই তথ্য পাঠিয়ে দিতে থাকে রাওয়ালপিন্ডির সেনা সদর দফতরে। তবে চিনের এত সাহায্য়ের পরেও শেষ রক্ষা হয়নি। সাফল্যের সঙ্গে প্রত্যাঘাত চালায় দিল্লি। এদিকে একাধিক পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ভারতীয় সেনার গতিবিধির ওপর নজরদারি শুরু করে চিনা উপগ্রহ। কীভাবে সামনে এল বিষয়টি? প্রথম বার এটি নজরে আসে ওপেন-সোর্স ইনটেলিজেন্স বা ও এসআইএনটির গোয়েন্দাদের। তাঁরাই জানিয়েছেন, অপারেশন সিঁদুরের আবহে বহু বার রাজস্থানের আন্তর্জাতিক সীমান্তের উপর বেজিঙের উপগ্রহকে পাক খেতে দেখা গিয়েছে।

    ভারতের ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ দূর্দান্ত কাজ করায় ব্যর্থ হয় পাকিস্তান

    আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য হল, পাকিস্তানের ফৌজ যখন (India Pakistan War) রাজস্থানে ড্রোন দিয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা চালাচ্ছিল, তখনই ওই এলাকার ওপর নজরদারি চালায় চিনের উপগ্রহ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেজিঙের সাহায্য নিয়ে ওই হামলা পরিচালনা করছিলেন রাওয়ালপিন্ডির পাক সেনা অফিসাররা। তবে ভারতের ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ (এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) দুর্দান্তভাবে কাজ করায় সেগুলি শূন্যেই ধ্বংস হয়ে যায়।

    ইসলামাবাদকে সুবিধা করে দিতেই মাঠে নামে চিন

    বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে চিনের ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’ বা পিএলএর কাছে রয়েছে নজরদারি এবং অনুসন্ধানমূলক কাজ ভালো ভাবে করতে সক্ষম একগুচ্ছ কৃত্রিম উপগ্রহ। সূত্রের খবর মিলেছে, ভারত-পাক যুদ্ধে ইসলামাবাদকে সুবিধা করে দিতেই সেগুলির বড় অংশকে কাজে লাগায় চিন। এক কথায় ভারতের বিরুদ্ধে ছায়া যুদ্ধ চালায় বেজিং। বিশ্লেষকদের মতে, ভারতীয় সেনা বাহিনীর যুদ্ধকৌশল, এয়ার ডিফেন্স সার্ভিস ব্যবহারের পদ্ধতি ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহই ছিল চিনা উপগ্রহগুলির মূল উদ্দেশ্য।

    নিজেদের উপগ্রহগুলিকে আরও উন্নত করার প্রতিশ্রুতি পাকিস্তানকে দিয়েছে চিন

    পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমগুলি তাদের প্রতিবেদনে আরও দাবি করেছে, ‘পাকিস্তান রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট-১’ (পিআরএসএস-১) এবং পাকস্যাট-এমএম১ নামের আরও দুটি কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্য় পাচ্ছিল পাকিস্তান। এগুলির নিয়ন্ত্রণও রয়েছে চিনের হাতেই। সূত্রের খবর, ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্সকে ধ্বংস করতে ভবিষ্যতে এই ধরনের উপগ্রহগুলিকে আরও উন্নত করার প্রতিশ্রুতি পাকিস্তানকে দিয়েছে চিন।

    পাকিস্তানকে উপগ্রহভিত্তিক যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছে চিন

    আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য এই যে পশ্চিম সীমান্তে ভারতকে ব্যস্ত রাখতে ইতিমধ্যেই পাক ফৌজকে উপগ্রহভিত্তিক যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছে চিন। সূত্রের খবর, পহেলগাঁওয়ের হামলার সময় নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলতে ভারতে নিষিদ্ধ চিনা অ্যাপগুলি ব্যবহার করেছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় চিনের সঙ্গে সংঘাতের সময় সংশ্লিষ্ট অ্যাপগুলিকে নিষিদ্ধ করে নয়াদিল্লি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই অ্যাপগুলিতে তথ্য গোপনের পন্থা (এনক্রিপশন) অনেক বেশি শক্তিশালী এবং আধুনিক। এগুলিকে হ্যাক করা খুবই কঠিন।

    কেন পাকিস্তানকে সাহায্য করছে চিন

    পাকিস্তানকে সাহায্য করার পিছনে জড়িয়ে রয়েছে চিনের নিজস্ব স্বার্থ। বেজিং আশঙ্কা করছে, অরুণাচল প্রদেশ বা লাদাখের সীমান্ত সংঘাতকে কেন্দ্র করে ভারতের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ের ময়দানে নামতে হবে তাদেরকেও। তাই পাকিস্তানের সঙ্গে এই ‘যুদ্ধে’ ব্যবহার হওয়া নয়াদিল্লি আক্রমণ পদ্ধতি বুঝে নিতেই নিজেদের ‘গুপ্তচর’ উপগ্রহগুলিকে কাজে লাগায় তারা। একইসঙ্গে এই যুদ্ধে ইসলামাবাদকে বিক্রি করা অস্ত্রগুলির শক্তি পরীক্ষার ওপরেও নজর রেখেছিল বেজিং (China)। তবে সেখানে অবশ্য় একেবারে ফেল করেছে চিন। চিনা হাতিয়ার ‘ডাহা ফেল’ করায় পাকিস্তানের সামনেও মুখ পুড়েছে চিনের।

    চিনের বিক্রি করা অস্ত্রের ৬০ শতাংশই পাকিস্তান কিনেছে

    চিনের বিক্রি করা অস্ত্রের ৬০ শতাংশই পাকিস্তান কিনেছে বলে জানা গিয়েছে। সংঘাত চলাকালীন ড্রোন হামলা চালিয়ে পাক পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোরের ‘এয়ার ডিফেন্স’কে উড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। এখানেই মোতায়েন ছিল চিনের তৈরি ‘এইচকিউ-৯পি’ নামের একটি এয়ার ডিফেন্স। এ ছাড়াও চিনের জেএফ-১৭ নামের দু’টি লড়াকু জেটকে ধ্বংস করে নয়াদিল্লি।

    চিনের সংবাদমাধ্যমে ভুয়ো খবর ছাপা হয় রাফাল নিয়ে

    ভারতীয় বিমানবাহিনীর রাফাল লড়াকু জেটকে ইসলামাবাদ ধ্বংস করেছে বলে খবর প্রকাশ করে চিন (China)। সেদেশের সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইমস’- এ প্রকাশিত হয় এই খবর। এর পরেই ‘গ্লোবাল টাইমস’কে সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য ‘ফ্যাক্ট চেক’ পাঠায় কেন্দ্রীয় সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো বা পিআইবি। তখন বাধ্য হয়ে ভুল খবর প্রকাশ করার কথা স্বীকার করে নেয় চিনের এই সরকারি সংবাদমাধ্যম। এই আবহে রাফালকে ধ্বংস করতে বেজিঙের জে-১০সি লড়াকু জেট ব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তাঁর বক্তব্য খারিজ করে দেয় চিন।

  • PM Modi: ৭৭ কোটি মার্কিন ডলার! ইউনূসের চিন-প্রীতির জন্য ব্যাপক ক্ষতির মুখে বাংলাদেশ

    PM Modi: ৭৭ কোটি মার্কিন ডলার! ইউনূসের চিন-প্রীতির জন্য ব্যাপক ক্ষতির মুখে বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগে কলকাতা দখলের হুমকি দিয়েছিলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) এক মৌলবী। তার আগে চিনের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ভারতকে চমকাতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। ইউনূসের বাংলাদেশকে সবক শেখাতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। তার মধ্যে রয়েছে রেডিমেড পোশাক-সহ বেশ কিছু পণ্য স্থলপথে বাংলাদেশ থেকে আমদানির ওপর ভারতের নিষেধাজ্ঞা জারিও। এই বিষয়ে (PM Modi) দেশের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রক শনিবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। কেবলমাত্র মুম্বইয়ের নভাশেভা ও কলকাতা সমুদ্র বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে রেডিমেড পোশাক আমদানি করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী। বাংলাদেশ থেকে রেডিমেড পোশাক আমদানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় পেট্রাপোল সীমান্তে বাণিজ্যে প্রভাব পড়েছে। বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন প্রায় ১৫টি পণ্য বোঝাই ট্রাক বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসে। সেটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

    রেডিমেড পোশাক আমদানি বন্ধের নির্দেশিকা (PM Modi)

    রেডিমেড পোশাক আমদানি বন্ধের নির্দেশিকা জারি হওয়ায় প্রভাব পড়েছে পেট্রাপোল স্থল বন্দরে। সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে পোশাক আমদানিতে যেমন খরচ বাড়বে, তেমনি সময়ও বেশি লাগবে। পেট্রাপোল এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রদীপ দে বলেন, “পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে রেডিমেড পোশাক আমদানি বন্ধ হওয়ায় সমস্যায় পড়বেন বাংলাদেশের রফতানিকারীরা।” বাংলাদেশের রফতানিকারীদেরও দাবি, ভারতের এই নিষেধাজ্ঞার জেরে দেশের রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বেনাপোল বন্দর সূত্রে খবর, সেখানে রেডিমেড পোশাক বোঝাই ৩৬টি ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। এগুলি ভারতে রফতানি করতে না পারলে বিরাট ক্ষতির মুখে পড়বেন বাংলাদেশের রফতানিকারীরা।

    গড়ে ৫০ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি

    বাংলাদেশ প্রতি বছর গড়ে ৫০ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি করে ভারতে। বাংলাদেশ রেডিমেড ও রফতানিকারী সমিতির প্রাক্তন পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, “এখন বাংলাদেশের পোশাক ভারতে পৌঁছতে আগের চেয়ে বেশি সময় লাগবে। এতে খরচও বাড়বে। ভারতে পোশাক রফতানিও কমে যাবে।” তিনি বলেন, “বিশ্ব বাণিজ্য যখন নানা সমস্যায় জর্জরিত, তখন এমন সিদ্ধান্তে ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে।” রুবেল বলেন, “ভারত বাংলাদেশের বড় ক্রেতা দেশ। সেখানে ক্রমেই বাংলাদেশের রেডিমেড পোশাকের বাজার বিস্তার লাভ করছিল। এখন ভারতের এই সিদ্ধান্ত নতুন করে আমাদের জন্য উদ্বেগের (Bangladesh) কারণ হয়ে দাঁড়াল। ভারতের এই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তে ভুটান বা নেপালের ট্রানজিট পণ্য প্রভাবিত না হলেও, সামগ্রিকভাবে ব্যবসায়িক সম্পর্কের ওপর এটি একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে (PM Modi)।” রফতানিকারীরা জানান, শুধু রেডিমেড পোশাকই নয়, ফলমূল, কার্বনেটেড বেভারেজ, প্লাস্টিক ও পিভিসি পণ্য, কাঠের আসবাবপত্র-সহ বেশ কিছু পণ্যের ওপরও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় স্থলবন্দরগুলিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় সার্বিকভাবে ব্যবসা ও আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা থাকছেই।

    বাংলাদেশকে পাল্টা চাল ভারতের

    যেসব পোশাকের বার্ষিক মূল্য ৬১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৫২,৭৭,৩৩,৩৭,৫০০ টাকা), সেগুলি এখন কেবলমাত্র কলকাতা ও নভাশেভা সমুদ্রবন্দর দিয়ে পরিবহণ করা যাবে, যার ফলে বাংলাদেশ প্রবেশাধিকার হারাল গুরুত্বপূর্ণ স্থল বাণিজ্য পথগুলিতে। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশের ইউনূস সরকার ভারতীয় পণ্যের ওপর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়েছে। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ পাঁচটি গুরুত্বপূ্র্ণ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় সুতা আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। একই সঙ্গে চাল রফতানির ওপরও কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। তামাক, মাছ, গুঁড়ো দুধ-সহ আরও অনেক ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়।

    বাংলাদেশের ক্ষতির পরিমাণ 

    গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের মতে, বাংলাদেশের বেশ কিছু আমদানির ওপর ভারতের পাল্টা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের ফলে দেশটি বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৭৭ কোটি মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬,৫৮১ কোটি টাকা, বা ৯,৩৬৭ কোটি বাংলাদেশি টাকা)। এটি দ্বিপাক্ষিক (Bangladesh) আমদানির প্রায় ৪২ শতাংশ। গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ জানিয়েছে (PM Modi), ভারতের সাম্প্রতিক বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞাগুলি মোটেই ইচ্ছে মতো বা অকারণে নয়। তাদের মতে, এই নিষেধাজ্ঞাগুলি মনে হচ্ছে ভারতের তরফে বাংলাদেশের প্রতি প্রতিক্রিয়া। কারণ ঢাকা ভারতের বহু পণ্যের আমদানি সীমিত করেছে এবং কূটনৈতিকভাবে চিনের দিকে ঝুঁকেছে। প্রসঙ্গত, ভারতের অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন/ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট এবং পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ি শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল ও ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য ইত্যাদি রফতানি করা যাবে না।

    চিনের মতো ভারতে আগ্রাসন শুরু বাংলাদেশেরও!

    এদিকে, চিনের মতো ভারতে আগ্রাসন শুরু করেছে বাংলাদেশও! ‘গ্রেটার বাংলা’, ‘সুলতানেট বাংলা’ নাম দিয়ে এখন বাংলাদেশের কিছু চক্র মানচিত্রে ভারতের একাধিক রাজ্যকে নিজেদের বলে দাবি করছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য, এমনকি বিহার-ঝাড়খণ্ডকেও এই কাল্পনিক মানচিত্রে ঢুকিয়ে দিচ্ছে তারা। ভারতের বিদেশনীতি বিশ্লেষক রবিন্দর সচদেব বলেন, “বাংলাদেশ যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে ভারতের তরফে এখনই (Bangladesh) কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া একান্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে (PM Modi)।”

  • UN: চলতি বছরে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ছাপিয়ে যাবে আমেরিকা, চিন, ইউরোপকেও! বলছে রাষ্ট্রসংঘ

    UN: চলতি বছরে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ছাপিয়ে যাবে আমেরিকা, চিন, ইউরোপকেও! বলছে রাষ্ট্রসংঘ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি জমানায় অশ্বমেধের ঘোড়ার মতো ছুটে চলেছে ভারতীয় অর্থনীতির (India) চাকা! বিশ্ব অর্থনীতির নড়বড়ে অবস্থা। অথচ ভারতের অর্থনীতি সম্পর্কে আশার বাণী শুনিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ (UN)। জানিয়ে দিয়েছে, ভারত চলতি বছরেও বিশ্বের দ্রুততম বৃদ্ধির প্রধান অর্থনীতি হিসেবে নিজের জায়গা ধরে রাখতে সক্ষম হবে। রাষ্ট্রসংঘের আশা, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের বৃদ্ধির হার হবে ৬.৩ শতাংশ।

    কী বলছে রাষ্ট্রসংঘ? (UN)

    রাষ্ট্রসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক বিভাগের গ্লোবাল ইকোনমিক মনিটরিং শাখা, অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ এবং নীতি বিভাগের সিনিয়র অর্থনৈতিক বিষয়ক কর্তা ইঙ্গো পিটারলে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “ভারত দ্রুত বর্ধনশীল বৃহৎ অর্থনীতির একটি। এটি শক্তিশালী বেসরকারি খরচ ও সরকারি বিনিয়োগের দ্বারা পরিচালিত।” যদিও ২০২৫ সালে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬.৩ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতি একটি অনিশ্চিত সন্ধিক্ষণে রয়েছে, যার লক্ষণ ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য উত্তেজনা এবং ক্রমবর্ধমান নীতিগত অনিশ্চয়তা। সাম্প্রতিক শুল্ক বৃদ্ধি – কার্যকর মার্কিন শুল্ক হারকে তীব্রভাবে বাড়িয়েছে – উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত এবং আর্থিক অস্থিরতা বৃদ্ধির হুমকি দিচ্ছে।

    বৃদ্ধির অনুমান

    চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বৃদ্ধির অনুমান ৬.৬ শতাংশ থেকে সামান্য সংশোধিত হলেও, ভারত এখনও অন্যান্য বৃহৎ অর্থনীতির তুলনায় এগিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। পরের বছর ভারতের অর্থনীতি ৬.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও এটি আগের প্রত্যাশার চেয়ে সামান্য কম। প্রসঙ্গত, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য উত্তেজনা এবং নীতিগত অনিশ্চয়তার দিকে ইঙ্গিত করে রাষ্ট্রসংঘ (UN) বলেছে, বিশ্ব অর্থনীতি একটি অনিশ্চিত মুহূর্তে রয়েছে। অনেক দেশ এখন আগের অনুমানের চেয়ে ধীর গতিতে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    বিশ্বের অন্যান্য বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের সঙ্গে তুলনা করলে ভারতের পরিসংখ্যান চিত্তাকর্ষক বলেই মনে হচ্ছে। যেখানে আমেরিকার প্রবৃদ্ধি ১.৬ শতাংশ, চিনের প্রবৃদ্ধি ৪.৬ শতাংশ, জাপানের প্রবৃদ্ধি ০.৭ শতাংশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন মাত্র ১ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে, সেখানে ভারত এদের চেয়ে (India) এগিয়ে রয়েছে ঢের বেশি। জার্মানির প্রবৃদ্ধি -০.১ শতাংশ দেখা যেতে পারে বলেও অনুমান রাষ্ট্রসংঘের (UN)।

  • Teesta Prahar: বাংলাদেশের বুকে কাঁপুনি! পূর্ব সীমান্তেও প্রস্তুত, চিকেন নেকে ভারতীয় সেনার ‘তিস্তা প্রহার’

    Teesta Prahar: বাংলাদেশের বুকে কাঁপুনি! পূর্ব সীমান্তেও প্রস্তুত, চিকেন নেকে ভারতীয় সেনার ‘তিস্তা প্রহার’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম সীমান্তে যে সময় অপারেশন সিঁদুর-এর মাধ্যমে পাকিস্তানের বুকে কাঁপুনি ধরাচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনা, ঠিক সেই সময়ই (৮-১০ মে) বাংলাদেশ সীমান্তে ব্যাপক সামরিক মহড়া সেরে রাখল ভারতীয় স্থলসেনা (Indian Army)। উত্তরবঙ্গে তিন দিন ধরে চলল ভারতীয় সামরিক বাহিনীর ‘তিস্তা প্রহার’ (Teesta Prahar)। শিলিগুড়ির অদূরে চিকেন নেক এলাকার আশেপাশেই এই মহড়া দেয় ভারতীয় স্থলসেনা। ওদলাবাড়ির (Odlabari) সাওগাঁ বস্তির অদূরে তিস্তা ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে চলল মহড়া। তত্ত্বাবধানে সেনার ছিল ইস্টার্ন কমান্ড।

    কেন এই মহড়া

    উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে আপাতত যুদ্ধবিরতি চললেও, পূর্ব সীমান্তেও ভারতীয় সেনাবাহিনী যে আক্রমণ রুখে দিতে একেবারে প্রস্তুত তারই ঝলক দেখা গেল তিস্তা প্রহার-এ (Teesta Prahar)। তাহলে লক্ষ্য কি ঢাকা? পাকিস্তানের সমর্থনে বেশ লম্ফঝম্প করছিল বাংলাদেশ। এমনকি, হুমকি দেওয়া হয়েছে যে ভারত-পাক যুদ্ধ হলে চিনের সাহায্যে সেভেন সিস্টার্স দখল করা হবে। তারই জবাব দিল ভারত, এমনই অনুমান বিশ্লেষকদের। এমনিতে, পাকিস্তানের শোচনীয় অবস্থা দেখে সুর পাল্টেছে ইউনূসরা। হিন্দুদের সুরক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, পাকিস্তান যদি এতটা পর্যুদস্ত না হত, বা পাকিস্তান যদি ভারতের সঙ্গে পাল্লা দিত। তাহলে কি বাংলাদেশ এমন চুপ থাকত? বাংলাদেশ হায়নার মতো আচরণ করতে না কে বলতে পারে? সাতপাঁচ ভেবেই কি সামরিক মহড়া? ঘুরিয়ে বাংলাদেশকে বার্তা দিল ভারত, অভিমত কূটনৈতিক মহলে।

    কী কী হল মহড়ায়

    পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ আবহে উদ্বেগ বেড়েছিল ‘চিকেন নেক’ বা শিলিগুড়ি করিডর নিয়ে। ভারত-পাক সংঘাতের সুযোগ নিয়ে চিনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারত (সেভেন সিস্টার) দখলের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে ভারতীয় সেনার শক্তি দেখে নিয়েছে বিশ্ব। ইসলামাবাদকে যোগ্য জবাব দেওয়ার পাশাপাশি পরোক্ষে বার্তা দেওয়া হয়েছে চিন-বাংলাদেশকেও। দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে পূর্ব সীমান্তেও যে জওয়ানরা জবাব দিতে সর্বদা প্রস্তুত তারই ঝলক দেখা গেল তিস্তা ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে। তিনদিনের এই ‘তিস্তা প্রহার’ মহড়ায় ভারতীয় সেনার ইনফ্যানট্রি, আর্টিলারি, আর্মার্ড কোর, আর্মি অ্যাভিয়েশন, ইঞ্জিনিয়ার্স এবং সিগনাল কোর অংশগ্রহণ করেছিল। ভারতীয় সেনার অস্ত্রভান্ডারে সদ্য নিয়োজিত ‘নেক্সট জেনারেশন’ অস্ত্রশস্ত্র, মিলিটারি প্ল্যাটফর্ম এবং যুদ্ধক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির সঠিক প্রয়োগের মতো গুরুত্ব দিয়ে তিনদিনের মহড়ায় তুলে ধরা হয়। এছাড়াও প্রতিকূল আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে দ্রুততার সঙ্গে বাহিনীর প্রতিটি বিভাগের মধ্যে নিখুঁত সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করতে কীভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয় সেই প্রক্রিয়াতেও শান দেওয়া হয়েছে। মহড়ার একটি উল্লেখযোগ্য দিক ছিল ভারতীয় সেনার অস্ত্রভান্ডারে সদ্য নিয়োজিত ‘নেক্সট জেনারেশন’ অস্ত্রশস্ত্র। মহড়ায় এই যুদ্ধাস্ত্রের ব্যবহার, যুদ্ধক্ষেত্রে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার ও আধুনিকীকরণের উপর জোর দেওয়া হয়। বিভিন্ন দুর্গম জায়গাতেও প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করতে কীভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে সেই প্রক্রিয়াতেও শান দেওয়া হয়।

    ঢাকার বুকে কাঁপুনি

    তিনদিনের ‘তিস্তা প্রহার’ (Teesta Prahar)মহড়া শেষে সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের তরফে প্রেস বার্তায় দাবি করা হয়েছে, যে কোনও যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারতীয় সেনা একশো শতাংশ প্রস্তুত। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে বাহিনীর বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে একেবারে নিখুঁত সমন্বয় সাধনের জন্য এই মহড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই জানিয়েছে সেনা। ভারতীয় সেনার এই মহড়ায় ঢাকার বুকে কাঁপুনি ধরাতে পারে।

    আকাশকুসুম স্বপ্ন নয়

    সম্প্রতি চিন সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। সেখানে তিনি বলেন, “ভারতের পূর্ব প্রান্তের সাতটি রাজ্য, যাদের সেভেন সিস্টার্স বলা হয়, ওই বিরাট অঞ্চল কিন্তু পাহাড় আর স্থলভাগে ঘেরা। সমুদ্রপথে যোগাযোগ করার উপায়ই নেই তাদের। বাংলাদেশই হল সমুদ্রপথের রাজা। তাই ওই এলাকায় চিনা অর্থনীতির বিস্তার ঘটতেই পারে।” এই মন্তব্যের ইঙ্গিত অত্যন্ত স্পষ্ট যে, ভারতের ৭ রাজ্য (সেভেন সিস্টার)কে ভেঙে ফেলতে চায় বাংলাদেশ। এই একই ইচ্ছা চিনের। বাংলাদেশের মুখে এমন মন্তব্যে দুয়ে দুয়ে চার করতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি দিল্লির। কড়া জবাব হিসাবে ভারতের মাটি ব্যবহার করে বাংলাদেশের ব্যবসার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, কয়েকদিন আগেই ভারত-পাক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ওপার বাংলার অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলুর রহমান বলেন, দিল্লি-ইসলামাবাদের মধ্যে যুদ্ধ লাগলে নাকি ঢাকার উচিত ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলো দখল করে নেওয়া। আর এর জন্য তারা হাত মেলাবে চিনের সঙ্গে। পড়শি দেশের এই আকাশকুসুম স্বপ্ন যে কোনও দিনই সফল হবে না তা বুঝিয়ে দিল ‘তিস্তা প্রহার’ মহড়া।

  • Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে অপপ্রচার! চিন-তুরস্কের সোশ্যাল হ্যান্ডল নিষিদ্ধ করল ভারত, কোপ বাংলাদেশের ৬টিতেও

    Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে অপপ্রচার! চিন-তুরস্কের সোশ্যাল হ্যান্ডল নিষিদ্ধ করল ভারত, কোপ বাংলাদেশের ৬টিতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের পর এবার চিনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল স্ট্রাইক করল ভারত। ভারতীয় সেনা এবং অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে, চিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস (Global Times) এবং শিনহুয়া সংবাদ সংস্থার এক্স হ্যান্ডেল নিষিদ্ধ করা হয়েছে ভারতে। এর আগেও বেজিংয়ে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের তরফে গ্লোবাল টাইমস-কে সতর্ক করে বলা হয়েছিল, ভুল তথ্য ছড়ানোর আগে যাচাই করে নিতে। বেশকিছু পাকিস্তান সমর্থিত প্রচারমাধ্যম লাগাতার অপারেশন সিঁদুর নিয়ে জনগনের সামনে ভুল তথ্য পরিবেশন করছে এবং জনমানসে ভুল ধারণা তৈরি করছে বলে অভিযোগ। চিনের প্রচারমাধ্যমের সঙ্গেই তুরস্কের প্রচারমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড-এর এক্স হ্যান্ডেলও নিষিদ্ধ হয়েছে ভারতে।

    কেন নিষিদ্ধ

    ‘গ্লোবাল টাইমস’ ভারতীয় সেনার অভিযান ‘অপরেশন সিঁদুর’ নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। পহেলগাঁওয়ে ২৬ জন ভারতীয় নাগরিককে হত্যার পর পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে হামলা চালিয়েছে ভারত। এই হামলা নিয়েই চিনা মিডিয়ার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ করেছে দিল্লি। ‘গ্লোবাল টাইমস’-এর মতোই অভিযুক্ত সংবাদসংস্থা ‘শিনহুয়া’র এক্স হ্যান্ডল। সেটিকেও ভুল তথ্য পরিবেশনের অভিযোগে ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

    চিনের ‘ইগো হার্ট’ 

    চলতি সপ্তাহের শুরুতে বেজিংয়ের ভারতীয় দূতাবাস নিন্দা করেছিল গ্লোবাল টাইমসের বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন নিয়ে। পাশাপাশি তাদের সম্প্রচার নিয়ে সতর্কও করা হয়েছিল। দূতাবাসের বার্তায় বলা হয়, “প্রিয় গ্লোবালটাইমস আমাদের সুপারিশ হল বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করার আগে তথ্য যাচাই করুন এবং তথ্যের উৎসগুলি যাচাই করুন।” পাশাপাশি দূতাবাসের এক্স হ্যান্ডেলে আরও জানানো হয়, পাকিস্তানের প্রতি সহানুভূতিশীল একাধিক সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে ভারতীয় বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কিত ভিত্তিহীন দাবি প্রচার করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সঙ্গে চিনের বন্ধুত্বের কথা এখন আট থেকে আশি সকলেরই জানা। ভারতের সঙ্গে সংঘাতের আবহে একাধিক চিনা অস্ত্র নিয়ে মাঠে নেমেছিল পাকিস্তান। তবে সেসবই ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে ভারত। তাতেই চিনের ‘ইগো হার্ট’ হয়েছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ। তাই এমন প্রচার বলে মনে করা হচ্ছে।

    নিষিদ্ধ বাংলাদেশের ৬টি ইউটিউব চ্যানেল

    এদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের অনুরোধে ভারতে ছয়টি বাংলাদেশি ইউটিউব চ্যানেলও নিষিদ্ধ করেছে ইউচিউব। সেগুলি হল— যমুনা টিভি, একাত্তর টিভি, বাংলাভিশন এবং মোহনা টিভির ইউটিউব চ্যানেল। সময় টিভি ও ডিবিসি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলের সম্প্রচারও ভারত থেকে বন্ধ করা হয়েছে। চ্যালেনগুলি ওপেন করা হলে বলা হচ্ছে, ভারতে এগুলি দেখা যাবে না। জাতীয় নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার উদ্দেশে প্রদর্শন বন্ধ রাখা হয়েছে। এর আগে পাকিস্তানের বহু অভিনেতা ও নেটপ্রভাবীদের ইউটিউব চ্যানেল ভারতে ব্লক করা হয়।

  • Ajit Doval: যুদ্ধ ভারতের পছন্দ নয়, সন্ত্রাস প্রতিরোধে পদক্ষেপ করতেই হত, চিনকে সাফ জানালেন দোভাল

    Ajit Doval: যুদ্ধ ভারতের পছন্দ নয়, সন্ত্রাস প্রতিরোধে পদক্ষেপ করতেই হত, চিনকে সাফ জানালেন দোভাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে চিন পাকিস্তানকে সবদিক থেকে সমর্থনের কথা বলছে, অন্যদিকে আবার ভারতের কাছে আবার পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার নিন্দাও করছে। প্রসঙ্গত, শনিবার ভারত-পাকিস্তানের সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণা হয়। এর ঠিক ঘণ্টা খানেক বাদেই পাকিস্তান তা লঙ্ঘন করে। তারপরেই ময়দানে নামে চিন। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল (Ajit Doval) এবং পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইশাক দারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন বলে জানা যায়। জানা গিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে (Ajit Doval) ফোন করে চিনা বিদেশমন্ত্রী পহেলগাঁও জঙ্গি হানার নিন্দা করেন। একইসঙ্গে যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাঁরা রয়েছেন বলেই ভরসা জোগানোর চেষ্টা করেন। এই আবহে চিনের দ্বিচারিতার সামনে কোনওভাবেই মাথা নত করেনি ভারত। অজিত দোভাল (Ajit Doval) সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ভারত কখনও যুদ্ধ করতে চায় না। যুদ্ধ কারও স্বার্থেই ভালো নয়। তবে ২২ এপ্রিলের পহেলগাঁও জঙ্গি হানায় অনেক ভারতীয়দের প্রাণহানি হয়েছিল। ভারতকে সন্ত্রাস প্রতিরোধে পদক্ষেপ করতেই হত।

    চিনের চিরমিত্র পাকিস্তান

    এদিকে চিন (China) তাদের চিরমিত্র পাকিস্তানকে জানিয়েছে, তারা পাকিস্তানের স্বাধীনতা, সীমান্ত ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে ইসলামাবাদের পাশে রয়েছে সবসময়। চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই নিজের বিবৃতিতে বলেন, “ভারত ও পাকিস্তান সবসময় প্রতিবেশী থাকবে। আলোচনার মাধ্যমে সংঘর্ষ বিরতি কার্যকর করতে চিন সবসময় পাশে আছে।” চিন আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, দুই দেশ অনুরোধ করা হয়েছে তারা যেন আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে সমস্যার সমাধান করে নেয়। পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপ না হয়, তার চেষ্টা করে।

    যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন পাকিস্তানের

    এদিকে, যুদ্ধবিরতির মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কাশ্মীর। শনিবার সন্ধ্যায় জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় পাকিস্তানি ড্রোন উড়তে দেখা যায়। বারামুল্লা ও অনন্তনাগ এলাকায় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করে একটি আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকেল (UAV) নামিয়ে ফেলা হয়। এই আবহে কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এক্স -এ লেখেন, “এ কেমন যুদ্ধবিরতি?” এরপরেই বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেন, “পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। আমাদের বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন ভবিষ্যতে কোনওরকম অনুপ্রবেশ বা উস্কানি হলে কড়া জবাব দেওয়া হয়।”

  • Bangladesh: বিপাকে পড়ে ঢোঁক গিলল বাংলাদেশ, দূরত্ব বাড়াল ফজলুরের সঙ্গে

    Bangladesh: বিপাকে পড়ে ঢোঁক গিলল বাংলাদেশ, দূরত্ব বাড়াল ফজলুরের সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ ঢোঁকই গিলল বাংলাদেশ (Bangladesh)! সে দেশের বিদেশমন্ত্রকের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল (Indias Northeast), ফজলুর রহমানের বক্তব্য মতামতের প্রতিফলন। এটি কোনওভাবেই বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি বা নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। মন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সরকারি নীতি ও কূটনৈতিক অবস্থানের সঙ্গে এই বিবৃতি সম্পূর্ণ বেমানান। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মন্তব্যগুলি তাঁর (ফজলুর রহমানের) ব্যক্তিগত মতামত। বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান কিংবা নীতিকে প্রতিফলিত করে না। এমন পরিস্থিতিতে সরকার এমন বক্তব্যের কোনও প্রকার সমর্থন বা স্বীকৃতি দেয় না এবং কোনওভাবেই এই ধরনের বাকপটুত্বকে সমর্থন করে না।” বাংলাদেশের কূটনৈতিক অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা, পারস্পরিক সম্মান এবং সকল রাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতিমালায় বাংলাদেশ অবিচলিতভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    ফজলুরের বক্তব্য (Bangladesh)

    প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৬ জন হিন্দু সহ ২৭ পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এছাড়া, এক জঙ্গির হাত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় গুলি করে খুন করা হয় স্থানীয় এক মুসলমান ঘোড়চালককে। এর পরেই বেড়েছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা। সৃষ্টি হয়েছে সংঘাতের আবহ। এমতাবস্থায় চিনের সাহায্য নিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশ দখলের ডাক দেন বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের সহযোগী ফজলুর। তিনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধান ও জাতীয় স্বাধীন কমিশনের বর্তমান চেয়ারপার্সন। তিনি বর্তমানে ইউনূসের মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে তিনি লেখেন, “ভারত পাকিস্তানকে আক্রমণ করলে, বাংলাদেশের উচিত হবে উত্তর-পূর্ব ভারতের সাত রাজ্য দখল করে নেওয়া। এ ব্যাপারে যৌথ সামরিক ব্যবস্থা নিয়ে চিনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন বলে মনে করি (Bangladesh)।”

    চিনা আগ্রাসনে ইন্ধন!

    প্রসঙ্গত, চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত রয়েছে ভারতের। এই আবহে কিছু দিন আগে চিন সফরে গিয়ে প্রায় একই রকম মন্তব্য করেছিলেন ইউনূস। তাঁর ওই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়। প্রশ্ন ওঠে, ভারতের বিরুদ্ধে কি তাহলে চিনা আগ্রাসনে ইন্ধন জোগাচ্ছে ইউনূস সরকার? এর ঠিক পর পরই ভারতের মাটির ওপর দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। যার জেরে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ সরকার। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, বস্তুত (Indias Northeast) তার পরেই ঢোঁক গিলতে বাধ্য হয় ইউনূস সরকার (Bangladesh)।

LinkedIn
Share