Tag: China

China

  • DeepSeek: বিপদে ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা! চিনা ‘ডিপসিক’-কে নিষিদ্ধ করেছে ভারত সহ বহু দেশ

    DeepSeek: বিপদে ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা! চিনা ‘ডিপসিক’-কে নিষিদ্ধ করেছে ভারত সহ বহু দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মপ্রকাশেই সারা পৃথিবী জুড়ে হইচই ফেলে দিয়েছিল চিনা স্টার্ট আপ এআই সংস্থা ডিপসিক (DeepSeek)। কম দামে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা জেনারেটিভ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) মডেল ‘ডিপসিক-আর১’ তৈরি করে বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছে সংস্থাটি। তবে, এর মধ্যেই বিভিন্ন দেশের সরকারি নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া নেমে এসেছে ‘ডিপসিক-আর১’-এর উপর। তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থে এই চিনা স্টার্ট আপ সংস্থাটির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করছে বেশ কয়েকটি দেশের সরকার। সেই তালিকায় রয়েছে ভারতও।

    কেন নিষিদ্ধ ডিপসিক

    তাইওয়ান, অস্ট্রেলিয়া-সহ বেশ কয়েকটি দেশ মনে করছে চিনা স্টার্ট আপ সংস্থার তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অ্যাপটি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে ইটালি, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ডসের মতো দেশের গোপনীয়তা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলি ডিপসিক অ্যাপের তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

    ভারতের আশঙ্কা

    ভারতও দেশের সরকারি তথ্য সুরক্ষিত রাখার জন্য চ্যাটজিপিটি, ডিপসিকের মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন অ্যাপ্লিকেশনগুলি ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণ জারি করেছে। এই ধরনের অ্যাপ্লিকেশনগুলিকে তাদের অধীনে থাকা অফিসের কম্পিউটার বা অন্য যন্ত্রে ব্যবহার না করার নির্দেশিকা জারি করেছে অর্থ মন্ত্রক। এই অ্যাপগুলি থেকে সরকারি নথি ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা করছে দিল্লি। অর্থ মন্ত্রকের অধীনে থাকা সব অফিসের কর্মীদের এ বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। গত ২৯ জানুয়ারি এই মর্মে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। মন্ত্রকের আশঙ্কা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যে কোনও অ্যাপ অফিসের যন্ত্রে ব্যবহার করা হলে সরকারি গোপন নথি এবং তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই অ্যাপগুলি গোপনীয় তথ্য এবং নথির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

    প্রথম বন্ধকরে ইটালি

    ডিপসিককে নিষিদ্ধ করার কথা প্রথম ঘোষণা করেছিল ইটালি। ইটালিতে গুগ্‌ল প্লে স্টোর ও অ্যাপ স্টোরগুলি থেকে চিনা স্টার্ট অ্যাপের চ্যাটবট অ্যাপটি দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দেশটির তথ্য সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ (ডিপিএ) ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণের পদ্ধতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পরই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে দেশের সরকার। চিনা সংস্থাটি কীভাবে ব্যবহারকারীর তথ্য স‌ংরক্ষণ বা পরিচালনা করে, সে সম্পর্কে তথ্য চাওয়া হয়। তথ্য ব্যবস্থাপনা ও গোপনীয়তা নীতি নিয়ে কারণ দর্শানোর জন্য ডিপসিককে ২০ দিন সময়ও দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষের দাবি, ডিপসিকের প্রাথমিক ব্যাখ্যা যথেষ্ট ছিল না।

    জাতীয় তথ্য নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তাইওয়ান

    ডিপসিকের (DeepSeek) চ্যাটবটকে ‘জাতীয় তথ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি’ উল্লেখ করে তাইওয়ানের ডিজিটাল বিষয়ক মন্ত্রণালয় সরকারি সংস্থাগুলিকে এই এআইয়ের ব্যবহার করতে নিষেধ করেছে। তাইওয়ান সরকারের জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ডিপসিকের মালিকানা একটি চিনা সংস্থার হাতে রয়েছে। সরকারি মন্ত্রক এই সংস্থাটির কৃত্রিম মেধার সাহায্য নিলে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি তথ্য পড়শি দেশে পাচার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছে তাইওয়ান সরকার। সমস্ত সরকারি দফতর, স্কুল-কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-সহ যাবতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে।

    অস্ট্রেলিয়ার সমস্ত সরকারি সিস্টেমে বন্ধ

    নিরাপত্তার কারণে অস্ট্রেলিয়ায় সরকারি কর্মীদের বেজিঙের স্টার্টআপের এই এআই প্ল্যাটফর্মটি ইনস্টল এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সমস্ত সরকারি সিস্টেম থেকে ওই অ্যাপ্লিকেশন এবং ওয়েব পরিষেবা সরিয়ে দিতে বাধ্যতামূলক ভাবে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। রয়টার্স জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র সরকারি মহলে জারি করা হয়েছে। দেশের বেসরকারি নাগরিকদের জন্য এই বিধিনিষেধ প্রযোজ্য নয়।

    চিন্তিত আমেরিকাও

    ডিপসিকের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলিকে ইতিমধ্যেই আতশকাচের নীচে ফেলে দেখছে আমেরিকাও। নৌবাহিনীর তরফে একটি ইমেলে জানানো হয়েছে, সেনার প্রতিটি সদস্যকে ডিপসিকের সমস্ত রকম পরিষেবা ব্যবহার না করার উপর কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নৌবাহিনী তাদের কর্মীদের ব্যক্তিগত ব্যবহারের ক্ষেত্রেও এই নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে। তাঁদের আশঙ্কা, ডিপসিকের মাধ্যমে গোপনীয় তথ্য চিন করায়ত্ত করতে পারে। এ ছাড়া সেনাকর্তারা খতিয়ে দেখছেন অ্যাপটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করছে কি না।

    ভারতের উদ্যো

    বেশিরভাগ দেশ এআই সরকারি সংস্থায় নিষিদ্ধ করায়, ভারতও সেই পথেই হেঁটেছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন ওপেনএআই-এর সিইও স্যাম অলটম্যান। ভারতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে পরিকাঠামো নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে বলে খবর। বৈঠকের পরে অশ্বিনী বৈষ্ণব এক্স হ্যান্ডলে জানান,  ‘এআই ভিত্তিক পরিকাঠামোর অঙ্গ— জিপিইউ, মডেল এবং অ্যাপ নিয়ে আমাদের নীতি বিষয়ে স্যাম অলটম্যানের সঙ্গে দারুণ আলোচনা হল। এই তিনটি ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে কাজের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।’ এরপরই ডিপসিকের বিষয়ে ভারতের সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়।

  • India China Relation: ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ গলছে, চালু হচ্ছে কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা!

    India China Relation: ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ গলছে, চালু হচ্ছে কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই গলছে ভারত-চিন সম্পর্কের (India China Relation) বরফ। সীমান্ত সংঘাত-পর্ব এখন অতীত। উন্নতি হয়েছে ভারত-চিনের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়ায়। তাই পাঁচ বছর পর ফের কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা (Kailash Mansarovar Yatra) নতুন করে শুরু করতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। হিন্দুদের কাছে কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা অতি পবিত্র একটি তীর্থযাত্রা। এই তীর্থযাত্রা নিয়ে আগে থেকে যে চুক্তি রয়েছে দুই দেশের মধ্যে, সেই অনুযায়ীই সব কিছু হবে বলে জানিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। কেবল এই তীর্থযাত্রা নয়, ভারত ও চিনের মধ্যে ফের সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু করা নিয়েও একপ্রস্ত আলোচনা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে।

     

    বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠক (India China Relation)

     

    সম্প্রতি ভারত ও চিনের মধ্যে বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন হয়েছিল। দুদিনের ওই বৈঠকে যোগ দিতে বেজিং গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। ওই বৈঠকেই দুই দেশ একাধিক বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে বলে খবর। গত অক্টোবরে কাজানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে বৈঠক হয়। তারই রেশ ধরে আলোচনা হয় বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠকে। সেই বৈঠকেই কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা নতুন করে শুরু করতে সম্মত হয়েছে পড়শি দুই দেশ।

     

    কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা

     

    কৈলাশ-মানস সরোবর হিন্দু এবং বৌদ্ধ উভয় সম্প্রদায়ের কাছেই অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি তীর্থস্থান (India China Relation)। হিন্দুদের বিশ্বাস, কৈলাশ পর্বত ভগবান শিবের বাসস্থান। আর মানস সরোবর সৃষ্টি করেছিলেন স্বয়ং ব্রহ্মা। বৌদ্ধদের কাছেও মানস সরোবর অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি তীর্থস্থান। ২০২০ সালে অতিমারির কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা। সেই যাত্রাই ফের চালু করতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।

    তীর্থযাত্রা শুরু হওয়ার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা ফের চালুর বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ভারত ও চিন। করোনা অতিমারি পর্বে এবং পরবর্তী কালে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের জেরে গত পাঁচ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল (Kailash Mansarovar Yatra)। নতুন করে তা চালু করতে ফের উদ্যোগী হয়েছে দুই দেশই (India China Relation)।

  • India-China Relationship: ডোভালের পর চিন সফরে বিক্রম মিস্রি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনায় বিদেশ সচিব

    India-China Relationship: ডোভালের পর চিন সফরে বিক্রম মিস্রি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনায় বিদেশ সচিব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে শান্তি ও সুস্থিতি বজায় রাখতে দুই দিনের চিন সফরে যাচ্ছেন ভারতের (India-China Relationship) বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি। আগামী ২৬ জানুয়ারি চিনে যাবেন বিক্রম। দু’দিনের সফরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন তিনি। কূটনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ভারতের বিদেশসচিবের চিন সফর খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক-সহ একাধিক দিক থেকে দুই দেশের সম্পর্ক মজবুতির চেষ্টায় আলোচনা হতে পারে। 

    কেন এই সফর তাৎপর্যপূর্ণ (India-China Relationship)

    ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসার প্রথম দিনেই ওয়াশিংটনে কোয়াডের বৈঠক করেন। ওই বৈঠক শেষে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক (India-China Relationship) থেকে নাম না করে চিনকে বার্তা দেওয়া হয়। জানানো হয় যে, কেউ যদি ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্বাভাবিক অবস্থার বিঘ্ন ঘটায়, তবে তা বরদাস্ত করা হবে না। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ওই বৈঠকের পর জানিয়ে দেন যে, বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে বিশ্বের ভালর জন্য কাজ করবে কোয়াড। তিনি জানান, ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বে যথেষ্ট আগ্রহী আমেরিকার নতুন সরকার। যদিও আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্ব মানেই বেজিংয়ের সঙ্গে সংঘাত জিইয়ে রাখা নয়। মিস্রির সফরে চিনকে সেই বার্তাই দিতে আগ্রহী দিল্লি। 

    ঐক্যমতে পৌঁছনোই লক্ষ্য

    মাসখানেক আগেই চিন সফরে গিয়েছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। চিনের বিদেশমন্ত্রী (India-China Relationship) তথা বৈদেশিক নীতি সংক্রান্ত কমিশনের প্রধান ওয়াং ইর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সীমান্তে শান্তি ও সুস্থিতি বজায় রাখতে এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কার্যকর করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়। সেই আবহে ভারতের বিদেশসচিব বিক্রমের চিন সফর নিয়ে কৌতূহল নানা মহলে। সীমান্ত-সহ নানা বিষয় নিয়ে ভারত-চিনের বিরোধ বহু দিনের। ২০২০ সালের পর থেকে বিরোধ চরমে ওঠে। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পূর্ব লাদাখের বিভিন্ন এলাকায় অনুপ্রবেশের অভিযোগ উঠেছিল চিনা ফৌজের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি বেশ কিছু অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারে ঐক্যমত হলেও ডেপসাং ও ডেমচক নিয়ে উদ্বেগ এখনও পুরোপুরি কাটেনি। এর মাঝেই বিদেশ সচিবের বেজিং সফরকে  মোদি সরকার আসলে সমতা বিধানের রাস্তা হিসাবেই দেখতে চাইছে।

    ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি চায় বেজিং

    মিস্রি চিনের উপ-বিদেশমন্ত্রী সান ওয়েডংয়ের সঙ্গে আলোচনা (India-China Relationship) করবেন বলে আশা করা হচ্ছে, যিনি এলএসি নিয়ে অচলাবস্থার শুরুতে ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। এশিয়ার প্রতিবেশীদের সঙ্গে চিনের সম্পর্কের দায়িত্বে রয়েছেন সান। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, সাম্প্রতিক আলোচনায় চিনা পক্ষ ভিসা বিধিনিষেধ শিথিল করা এবং সরাসরি বিমান চলাচল পুনরায় শুরু করার জন্য চাপ দিচ্ছে, তবে ভারতীয় পক্ষ জাতীয় সুরক্ষার উদ্বেগকে প্রধান ইস্যু হিসেবে বিবেচনা করে প্রক্রিয়াটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ভিসা ও ফ্লাইটের উপর চিনের চাপ মূলত বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে, বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের মতো শীর্ষ চিনা নেতারা ক্রমাগত সীমান্ত ইস্যুটিকে সামগ্রিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে তার ‘উপযুক্ত স্থানে’ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়াও দুই দেশে সাংবাদিকদের পারস্পরিক পোস্টিংও চায় চিন। তবে, ভারত সীমান্ত সমস্যা নিষ্পত্তির জন্য একটি ‘পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য কাঠামোর’ উপর জোর দিয়েছে। উভয় পক্ষ কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু করা, আন্তঃসীমান্ত নদী এবং সীমান্ত বাণিজ্যের তথ্য বিনিময়ের মতো আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতার উপরও জোর দিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: বাড়াবাড়ি নয়! চিনকে কড়া বার্তা কোয়াডের, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসতেই বৈঠকে জয়শঙ্কররা

    S Jaishankar: বাড়াবাড়ি নয়! চিনকে কড়া বার্তা কোয়াডের, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসতেই বৈঠকে জয়শঙ্কররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত একাধিপত্যকে মেনে নেবে না আমেরিকা। ক্ষমতায় এসেই কোয়াডের (Quad Meetings) সঙ্গে সুর মিলিয়ে চিনকে কড়া বার্তা দিল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। সরাসরি চিনের নাম না করা হলেও ভারত, জাপান, আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার চতুর্দেশীয় অক্ষ বা কোয়াডের বিদেশমন্ত্রীরা যৌথ বিবৃতিতে বেজিংকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে, শক্তিপ্রয়োগ করে বা জোরজবরদস্তি করে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একতরফা কোনও স্বাভাবিক অবস্থার বিঘ্ন ঘটনার চেষ্টা করা হলে সেটা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। বৈঠক শেষে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) জানান, কোয়াডের বৈঠকের পর স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে, যে বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে বিশ্বের ভালোর জন্য কাজ করবে কোয়াড।

    কোয়াডকে গুরুত্ব ট্রাম্পের

    কূটনৈতিক সূত্রের খবর, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) যখন আমেরিকা যাত্রা করেন, তখনও নয়াদিল্লির উদ্বেগ ছিল চিন-বিরোধী এই কোয়াড অক্ষটিকে কতটা গুরুত্ব দেবেন ট্রাম্প। তবে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই ট্রাম্প প্রশাসন স্পষ্ট করে দেয় তাদের মনোভাব। প্রথম দিন দায়িত্ব নিয়েই আমেরিকার নতুন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো চতুর্দেশীয় অক্ষ কোয়াডের গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলির বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের কথা জানিয়ে দেয়। অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পেনি ওয়ং জানিয়েছেন, ট্রাম্পের শপথের পরপরই কোয়াড গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই বৈঠক প্রমাণ করে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা রয়েছে ‘সমমনস্ক বন্ধুদের’। তাঁর বক্তব্য, “কোয়াডভুক্ত সমস্ত রাষ্ট্রের সামগ্রিক দায়বদ্ধতা এটাই প্রমাণ করে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যখন ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা প্রয়োজন, সেখানে প্রত্যেকেই লৌহ সংকল্পে আবদ্ধ।”

    চিন নয়, ভারতই ভরকেন্দ্র

    চিন নয় বরং ভারতকেই যে এশিয়ার প্রধান ভরকেন্দ্র হিসাবে দেখছে আমেরিকার নতুন জমানা, তার ইঙ্গিত মিলেছে প্রথম দিনই। ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে জয়শঙ্করকে আসন দেওয়া হয়েছিল একেবারে প্রথম সারিতে, যাকে ইতিবাচক সংকেত হিসাবেই দেখা হচ্ছে। তাঁর দু’টি সারি পিছনেই বসেন জাপানের বিদেশমন্ত্রী তাকেশি আইওয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পেনি ওয়ং, অর্থাৎ কোয়াডের আর দুই সদস্য। অর্থাৎ কোয়াডভুক্ত রাষ্ট্রগুলিকে প্রথম দিকেই রেখেছে আমেরিকার নতুন প্রশাসন। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও (S Jaishankar) জানিয়েছেন, কোয়াডের বৈঠক থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে যে এই অনিশ্চিত দুনিয়ায় বিশ্বের ভালোর জন্য কাজ করবে কোয়াড। 

    ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল মুক্ত রাখার বার্তা

    ওয়াশিংটনে কোয়াড সদস্য দেশগুলির মধ্যে প্রায় ঘণ্টাখানেকের বৈঠকের পরে ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কোয়াডের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের যে বৈঠক হল, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা থেকেই প্রমাণিত হচ্ছে যে বন্ধু রাষ্ট্রগুলির ক্ষেত্রে (আমেরিকার) বৈদেশিক নীতি কতটা অগ্রাধিকার পায়। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল যাতে মুক্ত, স্থিতিশীল এবং সমৃদ্ধশালী থাকে, তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    কোয়াড বৈঠক (Quad Meetings) প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “আরও বৃহাদাকারে ভাবনাচিন্তা করা, নিজেদের পদক্ষেপকে আরও দৃঢ় করা এবং আমাদের সমন্বয় আরও মজবুত করার বিষয়ে একমত হয়েছি (আমরা)। আজ যে বৈঠক হল, সেটা থেকে স্পষ্ট বার্তা গেল যে এই অনিশ্চিত এবং অস্থির দুনিয়ায় কোয়াড বিশ্বের ভালোর জন্য একটি শক্তি হয়ে থাকবে।”

    আরও পড়ুন: ভারত-মার্কিন সম্পর্কের নয়া সমীকরণ! ট্রাম্পের শপথের সময় সামনের সারিতে জয়শঙ্কর

    কোয়াড বৈঠকে যৌথ বিবৃতি

    ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানের পরই কোয়াড বৈঠক নিয়ে কূটনৈতিক মহলের মত, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের বাড়বাড়ন্ত, আগ্রাসন রুখতে গঠিত কোয়াডের উপর আমেরিকা যে আগের সরকারের মতোই জোর দেবে, সেই বার্তাটা দেওয়া হল। কোয়াডের বিদেশমন্ত্রীদের যৌথ বিবৃতিতেও সেই বিষয়টা উঠে এসেছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আগামীদিনে কোয়াডের কাজকর্মকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা মুখিয়ে আছি। ভারত যে পরবর্তী কোয়াড নেতাদের সম্মেলেনের আয়োজন করবে (২০২৫ সালেই হবে), সেটার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার মধ্যেই আমরা নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাব।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China Relation: চিনা মদতেই ইউটিএ-র হুমকি! উপেক্ষা করা উচিত নয়, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা

    India China Relation: চিনা মদতেই ইউটিএ-র হুমকি! উপেক্ষা করা উচিত নয়, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা

    মুখে মিষ্টতা। আর আস্তিনে লুকনো বাঘনখ! এভাবেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে চিন! অন্তত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা তেমনই। এভাবেই তারা ক্রমশ কবজা করতে চাইছে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ অরুণাচলপ্রদেশকে। আজ তৃতীয় তথা শেষ কিস্তি…

     

                                                                                      অরুণাচলপ্রদেশে ড্রাগনের থাবা-৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউটিএ (UTA) যে হুমকি দিচ্ছে, তাকে উপেক্ষা করা (India China Relation) উচিত নয়। বলছেন দ্য অরুণাচল টাইমসের প্রবীণ সাংবাদিক তথা বিশ্লেষক বেঙ্গিয়া আজুম। তিনি বলেন, “ইউটিএ জনগণের মধ্যে সিএপিএফ এবং রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েনের বিরুদ্ধে অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে ক্ষুব্ধ যুবকদের নিজেদের দলে টানার চেষ্টা করবে।” আজুম বলেন, “ইউটিএ গঠনের (Arunachal Pradesh) ঘোষণা হয়েছিল এমন একটা সময়ে যখন এনএইচপিসি (NHPC)-র কর্তাদের জন্য নিরাপত্তা দিতে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী এবং রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। এনএইচপিসি সিউম্প (SUMP)-এর জন্য প্রি-ফিজিবিলিটি স্টাডি পরিচালনা করছে। ওপরের সিয়াং, সিয়াং এবং পূর্ব সিয়াং জেলাগুলির জনগণ, যারা এই প্রকল্প দ্বারা প্রভাবিত হবে, তারা অসন্তুষ্ট। ইউটিএ তাদের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে দলে টানতে পারে। লাভ করতে পারে স্থানীয় সমর্থনও।

    উপমুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য (India China Relation)

    ইউটিএ রাজ্যে মেগা ড্যাম নির্মাণের বিরোধিতা করার পাশাপাশি আর একটা আবেগজনিত ইস্যু সমর্থন করেছে, যা রাজ্যের অনেক মানুষকে উত্তেজিত করেছে। যেসব আদিবাসী মহিলা অ-আদিবাসী পুরুষদের বিয়ে করেছেন, তাঁদের সন্তানদের তফসিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়া। রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী চৌনা মেইন বলেন, “যদিও এনএলসিটি (NLCT) কোনও প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি, তবুও এদের হুমকি উপেক্ষা করা ঠিক নয়।” তিনি বলেন, “এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যুগে মানুষ সহজেই বিভ্রান্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে ইউটিএ গুরুতর হুমকি তৈরি করতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে সচেতন এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে (Arunachal Pradesh)।”

     এই সিরিজের প্রথম দুই কিস্তি…

    ভারতের বাঁধ নির্মাণে বাধা দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন! (প্রথম কিস্তি)

    ভারতের বাড়া ভাতে ছাই দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন! (দ্বিতীয় কিস্তি)

    টিক টিক টাইম বোমা

    এদিকে, নামচা বারওয়ায় চিনের প্রস্তাবিত মেগা ড্যাম ভারতের জন্য একটি টিক টিক টাইম বোমার মতো। মানোহর পার্রিকর ইনস্টিটিউট অফ ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালাইসিসের একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, চিন যে ইয়ারলুং সাংপো নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণ করছে, সেগুলি এত বড় যে স্টোরেজ ড্যাম হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। চিন এই বাঁধগুলি সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করতে পারে। এতে বিপাকে পড়বে ভারত। গরমের সময় জলের জন্য হা-পিত্যেশ করতে হবে। আর বর্ষায় বানের জলে ভেসে যাবে অরুণাচল প্রদেশ এবং অসম।

    বড় স্টোরেজ ড্যাম

    সিউম্প-এর পরিকল্পনায় সিয়াং নদীর ওপর একটি বড় স্টোরেজ ড্যাম নির্মাণের কথা রয়েছে। এটি চিনের (India China Relation) পক্ষ থেকে ইয়ারলুং সাংপো নদীর জল অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার বিরুদ্ধে ভারতের বীমা হিসেবে কাজ করবে। যদি চীন ইয়ারলুং সাংপো নদীর জলের প্রবাহ কমিয়ে দেয়, তবে সিউম্প জলাধার থেকে জল ছেড়ে সিয়াং এবং ব্রহ্মপুত্রের প্রবাহ বজায় রাখা সম্ভব হবে। একইভাবে, চিন যদি অতিরিক্ত জল ছেড়ে দেয়, তবে সিউম্প জলাধার অতিরিক্ত জল ধরে রাখতে পারবে এবং অরুণাচল প্রদেশ ও নামনি অসমে বন্যা প্রতিরোধ করতে পারবে (Arunachal Pradesh)। নামচা বারওয়ার প্রস্তাবিত মেগা ড্যাম ছাড়াও, চিন ইতিমধ্যে ইয়ারলুং সাংপোর উঁচু জায়গায় ২০১০ সালে ঝাংমু ড্যাম নির্মাণ করেছে। জিয়েক্সু, জিয়াচা এবং দাগু নামে আরও তিনটি বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। যদিও চিনের দাবি, এগুলি সবই ‘রান অফ দ্য রিভার’ প্রকল্প এবং এগুলি ইয়ারলুং সাংপো নদীর জলের প্রবাহে কোনও প্রভাব ফেলবে না, তবে বেজিংয়ের দাবিকে অবিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

    জলযুদ্ধের বিরুদ্ধে সতর্কতা নিতে হবে

    প্রবীণ রাজনীতিবিদ নিনং এরিং, যিনি ইউপিএ -২ সরকারের সময় সংখ্যালঘু বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন এবং বর্তমানে পূর্ব সিয়াং জেলার পাসিঘাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক, বলেন, চিনকে কখনওই বিশ্বাস করা যায় না। আপনি কখনওই জানবেন না তারা (চিন) ভারতের ক্ষতি করার জন্য কী করবে। আমাদের অবশ্যই চিনের সম্ভাব্য জলযুদ্ধের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সতর্কতা নিতে হবে। এটা ঠিক যে এই সুরক্ষাগুলোকেই, যেমন সিউম্প, চিন বিপথে চালিত করতে চায়। গোয়েন্দা সংস্থাগুলির বিশ্বাস, চিন ইউটিএ সৃষ্টি করেছে যাতে সিউম্প এবং অন্যান্য বড় বাঁধের বিরুদ্ধে বিরোধিতা উসকে দেওয়া যায়। এই বাঁধগুলি সেই রাজ্যে নির্মাণ করা হচ্ছে, যে রাজ্য চিন অধিকৃত তিব্বত এবং মায়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত শেয়ার করে (Arunachal Pradesh)।

    বিরোধিতার জিগির 

    চিন গোপনে অরুণাচলপ্রদেশ ও অসমের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মাধ্যমে অরুণাচলপ্রদেশে বড় বাঁধগুলির বিরুদ্ধে বিরোধিতার জিগির জাগিয়ে রেখেছে। যেসব পরিবেশবিদ ও নাগরিক গোষ্ঠী যারা অরুণাচলপ্রদেশে (India China Relation) এই বৃহৎ বাঁধগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও আন্দোলন করছে, তাঁরা চিনের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংস্থা থেকে সমর্থন মায় আর্থিক সহায়তা পেয়েছে বলেও অনুমান।

    ড্রাগনের লক্ষ্য

    চিনের উদ্দেশ্য হল, তিব্বতি মালভূমি থেকে ভারতের দিকে প্রবাহিত হওয়া ইয়ারলুং ত্সাংপো নদীকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা। কিন্তু অরুণাচলপ্রদেশে প্রস্তাবিত বৃহৎ বাঁধগুলো সেই অস্ত্রকে নিষ্ক্রিয় করে বেজিংয়ের কুটিল উদ্দেশ্যকে ব্যর্থ করে দিচ্ছে। তাই চিন নাগরিক গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে অরুণাচল প্রদেশে বৃহৎ বাঁধগুলির বিরুদ্ধে (Arunachal Pradesh) বিরোধিতা উসকে দিচ্ছে (India China Relation)।

    শেষ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China Relation: ভারতের বাড়া ভাতে ছাই দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    India China Relation: ভারতের বাড়া ভাতে ছাই দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    মুখে মিষ্টতা। আর আস্তিনে লুকনো বাঘনখ! এভাবেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে চিন! অন্তত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা তেমনই। এভাবেই তারা ক্রমশ কবজা করতে চাইছে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ অরুণাচলপ্রদেশকে। আজ দ্বিতীয় কিস্তি…

     

    অরুণাচলপ্রদেশে ড্রাগনের থাবা-২

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডোক যখন রেস্তোরাঁ চালিয়ে সমাজের মূলস্রোতে ফেরার চেষ্টা করছেন এবং পুলিশও যথন তাঁর ওপর নজরদারি চালানো বন্ধ করে দিয়েছে, তখন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে নাগা গোষ্ঠীকে দায়িত্ব দিল চিন (India China Relation)। ঠিক এক বছর আগে এনএসসিএন-এর দুজন প্রবীণ কর্তা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বলে অনুমান (Arunachal Pradesh)। এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ) দক্ষিণ-পূর্ব অরুণাচলপ্রদেশের তিরাপ, চাংলাং এবং লংডিং জেলাগুলোতে সক্রিয়। এই জেলাগুলি নাগাল্যান্ড লাগোয়া। আইবির এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “ডোকের সঙ্গে যোগাযোগকারী এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর দুই কর্তা ছিলেন সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের দূত। তাঁদের দায়িত্ব ছিল ডোক নতুন একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী গঠন করতে আগ্রহী কিনা তা জেনে নেওয়া।

    চিনের জঙ্গি-যোগ! (India China Relation)

    এনএসসিএন-এর দুটি গোষ্ঠী— এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ) এবং এনএসসিএন (ইসাক-মুইভাহ)। দুই গোষ্ঠীই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে চিনের সঙ্গে। অতীতে চিন নাগা গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয়, প্রশিক্ষণ এবং এমনকি অস্ত্র দিয়েও সাহায্য করেছিল। এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর প্রায় পুরো নেতৃত্ব এবং বেশিরভাগ সদস্য মায়ানমারের উত্তরের সাগাইং এবং পশ্চিমের কাচিন রাজ্যের শিবিরগুলোয় রয়েছে (India China Relation)। এসব এলাকা এখন কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স অর্গানাইজেশন (কেআইও)-এর নিয়ন্ত্রণে, যার সশস্ত্র শাখা কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) মায়ানমারের শাসক সেনাবাহিনীর কাছ থেকে কাচিনের বড় অংশ দখল করেছে। কেআইও-এর সঙ্গে চিনের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। চিন তাদের অর্থায়ন করছে এবং কৌশলগত পরামর্শ দিচ্ছে। কেআইও চেয়ারম্যান জেনারেল এন’বান লা গত (Arunachal Pradesh) ডিসেম্বরের শুরুতে চিনে গিয়ে মায়ানমারের জাতিগত সংঘাত নিয়ে আলোচনা করেছেন বলেও খবর।

    নয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী

    আইবির ধারণা, বেজিংয়ের ইঙ্গিতেই কেআইও এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর নেতৃত্বকে ডোকের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি নয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী গঠন করতে বলা হয়েছিল। ডোক প্রথমে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। কারণ তাঁর আগের গোষ্ঠী এনএলসিটিতে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তিনি জানতেন যে পর্যাপ্ত সম্পদ, অস্ত্র, এবং বাহ্যিক সহায়তা ছাড়া একটি গোষ্ঠী টিকিয়ে রাখা শুধু মুশকিলই নয়, তাকে কার্যকর করাও অসম্ভব।

    ডোককে আশ্বাস চিনের

    ডোককে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে এবার অর্থ, অস্ত্র এবং নিরাপদ আশ্রয়ের অভাব হবে না। এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর কর্তারা তাঁকে এও বলেছিলেন যে, তাঁর কাজ হবে কেবল লোকজন নিয়োগ করা। অর্থ, প্রশিক্ষণ, অস্ত্র এবং নিরাপদ আশ্রয় সরবরাহ করবে তারা (India China Relation)। ডোককে সাহায্য করার জন্য এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর আরও দুই সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

    ভারতের বাঁধ নির্মাণে বাধা দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন! (প্রথম পর্ব)

    চিনের লোভনীয় প্রস্তাবে সাড়া

    চিনের এই লোভনীয় প্রস্তাব পেয়ে আর না করতে পারেননি ডোক। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন করে উদ্যোগী হন তিনি। এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ) তাকে প্রাথমিকভাবে সাহায্য করে। ডোক কীভাবে সম্ভাব্য নিয়োগপ্রাপ্তদের চিহ্নিত করা, গোপনে যোগাযোগ করা এবং তাদের মনোভাব পরিবর্তন করে নিয়োগ করতে হয়, তা শিখে নেন।

    হাওয়ালা চ্যানেলের মাধ্যমে ফান্ডিং!

    গোয়েন্দারা জেনেছেন, নাগা গোষ্ঠীর সদস্যরা হাওয়ালা চ্যানেলের মাধ্যমে বড় অঙ্কের অর্থ ডোকের কাছে পাঠায়। চার মাস পর ডোক ইটানগর ও আশপাশ এলাকার প্রায় আটজন যুবককে সংগঠনে নিয়োগ করতে সক্ষম হন। দরিদ্র পরিবারের এই আধা-শিক্ষিত বা স্কুলছুট যুবকদের ইটানগরের (Arunachal Pradesh) শহরতলির দুটি বাড়িতে রাখা হয় এবং তাদের মাসিক ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

    ডোকের নয়া দল

    ওই বছরেরই অক্টোবরের গোড়ার দিকে, ডোক ২০ জন সদস্যের একটি দল গড়ে তোলেন। তাঁরা সকলেই লংডিং জেলায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাঁরা ভারত-মায়ানমারের অরক্ষিত সীমানা পেরিয়ে কাচিনে ঢোকে। কাচিনের একটি শিবিরে ডোক দেখা করেন এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর নেতৃত্বের সঙ্গে। কাচিনের এই শিবিরটি, যা চাংরাং হি এলাকায় অবস্থিত বলে মনে করা হচ্ছে, ইউটিএর অস্থায়ী সদর দফতর হয়ে উঠেছে। এই গোষ্ঠী ডোককে নেতা করে আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয়েছে (India China Relation)।

    চলছে প্রশিক্ষণ

    এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর সদস্যরা বর্তমানে ইউটিএ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। চিন কেআইএ এবং এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর মাধ্যমে ইউটিএ-কে অ্যাসল্ট রাইফেল, গ্রেনেড লঞ্চার এবং অন্যান্য অস্ত্র সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কয়েকদিন আগে ইউটিএ প্রধান ডোক একটি ছোট ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। তাতে তিনি দাবি করেছিলেন, যে এটি একটি ইউটিএ ক্যাম্প। ভিডিওতে একটি মাঝারি আকারের মিলিট্যান্ট ক্যাম্প দেখা যাচ্ছে, যা একটি পাতলা জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, প্রায় দু’ডজন রাইফেল, যেগুলো সবই চিনে তৈরি। ক্যাম্পে কিছু কর্মীকে ছদ্মবেশী পোশাক পরে থাকতেও দেখা গিয়েছে। রয়েছে কয়েকটি অস্থায়ী কাঠামোও। তবে সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা কর্তারা, যাঁরা ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা জানান, ভিডিওতে দেখানো ক্যাম্পটি (Arunachal Pradesh) আসলে এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ) এর, যেখানে ইউটিএ-র কর্মীরা সাময়িকভাবে থাকতে পারে (India China Relation)।

    কী বলছে সেনাবাহিনী?

    সেনাবাহিনীর ২ মাউন্টেন ডিভিশনের এক প্রবীণ কর্তা বলেন, “সর্বোচ্চ, ক্যাম্পের একটি-দুটি অস্থায়ী কাঠামো ইউটিএ কর্মীদের থাকার জন্য ব্যবহার করা হতে পারে। এটি একটি সুপ্রতিষ্ঠিত ক্যাম্প, যা অন্তত কয়েক বছর আগে নির্মিত। ভিডিওয় যেসব উন্নতমানের অস্ত্রশস্ত্র দেখা যাচ্ছে, ইউটিএর কাছে তা নেই।” তাঁর মতে, ক্যাম্পটি অসমের ডিব্রুগড়ে অবস্থিত। আইবির এক কর্তা বলেন, “ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে ইউটিএ-কে প্রচারের আলোয় আনতে এবং নিজেদের একটি শক্তিশালী ও উন্নত অস্ত্রে সজ্জিত সশস্ত্র দল হিসেবে তুলে (Arunachal Pradesh) ধরতে। এর উদ্দেশ্য নতুন সদস্যদের আকর্ষণ করা এবং চাঁদা আদায়ের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করা (India China Relation)।

    চলবে…

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China Relation: ভারতের বাঁধ নির্মাণে বাধা দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    India China Relation: ভারতের বাঁধ নির্মাণে বাধা দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    মুখে মিষ্টতা। আর আস্তিনে লুকনো বাঘনখ! এভাবেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে চিন! অন্তত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা তেমনই। জঙ্গি গোষ্ঠী তৈরি করে জিইয়ে রাখতে চাইছে অশান্তি। এভাবেই তারা ক্রমশ কবজা করতে চাইছে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ অরুণাচলপ্রদেশকে। আজ  প্রথম কিস্তি…

                                                                                             অরুণাচলপ্রদেশে ড্রাগনের থাবা ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখে মিষ্টতা। আর আস্তিনে লুকনো বাঘনখ! এভাবেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে চিন (India China Relation)! অন্তত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা তেমনই। দুই দেশে শীর্ষ নেতৃত্ব যখন একের পর এক বৈঠক করে ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করছে, ঠিক তখনই অরুণাচলপ্রদেশে (Arunachal Pradesh) থাবা বসাচ্ছে ড্রাগনের দেশ! এক সময় চিন তাদের দেশের মানচিত্রে ঢুকিয়ে নিয়েছিল অরুণাচল প্রদেশের বেশ কিছু গ্রামকে।

    অশান্তি জিইয়ে রাখতে চাইছে চিন! (India China Relation)

    এবার উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে স্থায়ী অশান্তি জিইয়ে রাখতে নয়া উগ্রপন্থী সংগঠন সৃষ্টি করেছে বেজিং। নাম দেওয়া হয়েছে, ইউনাইটেড টানি আর্মি, সংক্ষেপে ইউটিএ। এই জঙ্গি সংগঠনের প্রধান উদ্দ্যেশ্যই হল হিমালয়ের কোলের রাজ্যে বিশেষত সিয়াং নদীতে নির্মীয়মান বৃহৎ বাঁধ প্রকল্পগুলিকে বাধা দেওয়া। এই সিয়াং নদী উৎপন্ন হয়েছে চিনের অধিকৃত তিব্বত  থেকে। বেজিংয়ের অভিপ্রায় শুধু ভারতের পরিকল্পিত ৫৭ হাজার মেগাওয়াটের বেশি পরিচ্ছন্ন শক্তি উৎপাদনের উদ্যোগ ব্যাহত করা নয়, বরং ভারতের সেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলিকেও নস্যাৎ করা যা চিনের সম্ভাব্য ‘জল যুদ্ধের’ বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য নেওয়া হচ্ছে।

    ইউটিএর জন্ম

    প্রথমে লুকিয়ে চুরিয়ে সংগঠন গড়েছে ইউটিএ। ২০২৪ সালের বড়দিনের প্রাক্কালে বিবৃতি জারি করে নিজেদের উপস্থিতি ঘোষণা করে এই জঙ্গি সংগঠন। ওই বিবৃতিতে সিয়াং আপার মাল্টিপারপাস প্রকল্প (এসইউএমপি)-সহ বৃহৎ বাঁধ নির্মাণের বিরোধিতা করা হয়েছে। এসইউএমপি প্রকল্পটি ভারতের (India China Relation) জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি চিনের যারলুং জ্যাংবো নদীতে নির্মীয়মান বৃহৎ জলবিদ্যুৎ এবং জল সংরক্ষণ প্রকল্পগুলির বিপদ রোধ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

    ব্রহ্মপুত্র

    এই নদী মাউন্ট কৈলাসের কাছে চিন অধিকৃত তিব্বত থেকে উৎপন্ন হয়ে তিব্বতী মালভূমি জুড়ে হাজার কিলোমিটারেরও বেশি পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়েছে। পরে নামচা বারোয়ার কাছে একটি গভীর বাঁক নিয়ে অরুণাচলপ্রদেশে (Arunachal Pradesh)  প্রবেশ করেছে। সেখানে এর নাম হয়েছে সিয়াং। সিয়াং নদী তারপর দিবাং এবং লোহিত নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে অসমে ব্রহ্মপুত্র নাম নিয়েছে। চিন যারলুং জ্যাংবো নদীতে যে বৃহৎ বাঁধ নির্মাণ করছে, (বিশেষত নদীর ঘুরন্ত অংশ নামচা বারোয়ার ঘোড়ার নালের বাঁক-এ বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ নির্মাণের সাম্প্রতিক ঘোষণা), তা নদীর স্বাভাবিক প্রবাহকে বিঘ্নিত করবে।

    চিনের ব্যয়

    চিনের এই মেগা প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে শুখা মরসুমে ভারতে জল সরবরাহ বন্ধ করে খরা সৃষ্টি করতে পারে চিন। আর ঠিক উল্টোটা হবে বর্ষাকালে। বিশাল পরিমাণে জল ছেড়ে বন্যা সৃষ্টি করতে পারে ভারতে। এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে এসইউএমপি, যা চিনের (India China Relation) সঙ্গে এমন ‘জল যুদ্ধ’ প্রতিরোধ করবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার পাশাপাশি সিয়াং নদীতে নির্মীয়মান বৃহৎ বাঁধ প্রকল্পগুলিকে বাধা দিতেই চিন জন্ম দিয়েছে ইউটিএর। অরুণাচল প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মামা নাটুং বলেন, “ইউটিএ (UTA) হল ন্যাশনাল লিবারেশন কাউন্সিল অব তানিল্যান্ড (NLCT)-এর নয়া রূপ। ২০১০ সালের শেষের দিকে অরুণাচল প্রদেশ পুলিশ নিষ্ক্রিয় করেছিল এনএলসিটিকে।”

    এনএলসিটি

    এনএলসিটি একটি (Arunachal Pradesh) ছোটো উগ্রপন্থী দল, যার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল খাপলাং-ইউং আউং গোষ্ঠীভুক্ত ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অব নাগাল্যান্ড (NSCN-KYA)-এর। তাদের অস্ত্রাগারে ছিল কিছু দেশীয় রাইফেল এবং কয়েকটি (India China Relation) পুরানো পিস্তল। ২০০৫ সালে গঠিত এনএলসিটিতে, এক ডজনের কিছু বেশি সদস্য ছিল। তানি জনগণের জন্য একটি পৃথক জাতি গড়ে তোলার যে দাবি তুলেছিল, তাকে সমর্থন করেনি স্থানীয় জনগণই। তানি জনগণ হলেন আদি, নিয়িশি, গালো, আপাতানি এবং তাগিন সম্প্রদায়ের মানুষ, যাঁরা অরুণাচল প্রদেশের কেন্দ্রীয় ও উত্তরাঞ্চলে বসবাস করেন। রাজ্যের জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশই হলেন এঁরা।

    আরও পড়ুন: ফের একবার ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

    তোলা আদায়

    এই এনএলসিটি সাধারণত ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারদের কাছ থেকে তোলা আদায় করত। কয়েকটি অপহরণের ক্ষেত্রেও নাম জড়িয়েছিল এদের। তবে লাগাতার পুলিশি অভিযানের জেরে ২০১০ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে দুরমুশ হয়ে যায় সংগঠনের কোমর। এনএলসিটি-র চেয়ারম্যান, অ্যান্থনি ডোক এবং বেশিরভাগ সদস্য হয় গ্রেফতার হয়েছিলেন, নয়তো নিজেরাই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। জেল খেটে বেরিয়ে ডোক অরুণাচলপ্রদেশের (Arunachal Pradesh) রাজধানী ইটানগরে একটি রেস্তোরাঁ খোলেন। পুলিশ কয়েক মাস ধরে তাঁর ওপর নজরদারি করেছিল। পরে যখন দেখা গেল ডোক সাধারণ জীবনযাপন করতে শুরু করেছেন, এবং সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে প্রাণপণ চেষ্টা করছেন, তখন তাঁর ওপর নজরদারি বন্ধ করে দেয় পুলিশ (India China Relation)।

    চলবে…

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • HMPV: চিনে দাপট শুরু করা নয়া ভাইরাস চিনবেন কীভাবে? সতর্ক থাকতে হবে কতখানি?

    HMPV: চিনে দাপট শুরু করা নয়া ভাইরাস চিনবেন কীভাবে? সতর্ক থাকতে হবে কতখানি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আতঙ্ক ফের জাঁকিয়ে বসতে শুরু করেছে। বছর পাঁচেক আগে এমনই শীতে দানা বেঁধেছিল মহামারি। কয়েক মাসে গোটা বিশ্ব আক্রমণের কবলে পড়েছিল! সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হতে চলছে কি? এমন চিন্তায় অনেকেই। করোনা মহামারির স্মৃতি এখনও টাটকা। চিন থেকেই গোটা বিশ্বে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই চিনেই আবার আরেক ভাইরাসের দাপট শুরু হয়েছে। আক্রান্তদের মৃত্যুর খবরও জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, ভারতেও দুই শিশুর শরীরে এই ভাইরাসের (HMPV) অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। আর তার জেরেই আতঙ্ক বাড়ছে।

    নতুন চিনা ভাইরাসের উপসর্গ কী

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, চিনের এই ভাইরাসের পোশাকি নাম হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (HMPV)। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, এই রোগে সর্দি-কাশি, জ্বরের মতোই উপসর্গ দেখা দেবে। আবার শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাও হতে পারে‌। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মতোই এই ভাইরাসেও শরীর মারাত্মক দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি বমি, পেটব্যথার মতো উপসর্গও দেখা দিচ্ছে।

    কাদের ঝুঁকি বেশি? (HMPV)

    চিনের এই ভাইরাসে বিপদ বাড়ছে শিশুদের। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। তাই এই রোগের প্রকোপে পড়ার ঝুঁকিও বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, প্রথমে সাধারণ সর্দি-কাশি-জ্বর মনে হলেও কয়েক দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। বিশেষত শিশুদের শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা বেশি দেখা দিচ্ছে। তাদের শরীরে ভাইরাসের প্রভাব বেশি পড়ছে। ফলে, শিশুদের জন্য বাড়তি বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।

    কীভাবে সতর্ক থাকবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, শিশুদের পাশপাশি বড়দেরও বাড়তি সতর্কতা জরুরি। সর্দি-কাশি-জ্বর যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। পরিবারের কেউ জ্বর কিংবা সর্দিতে ভুগলে, তাঁর আলাদা থাকাই উচিত বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ কারণ, এই ভাইরাস (HMPV) হাঁচির মাধ্যমেই সংক্রমণ ছড়ায়। তাই রোগীকে আইসোলেশনে রাখা দরকার বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। পাশপাশি বাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে‌ চলতে হবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাত পরিষ্কার রাখা, পরিশ্রুত জল খাওয়ার দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি।

    করোনা ভাইরাসের মতোই মহামারির আশঙ্কা রয়েছে কি? (HMPV)

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনই এই ভাইরাসকে করোনা ভাইরাসের মতো মারণ আতঙ্কের তকমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এই ভাইরাসের চিকিৎসা রয়েছে। কয়েক বছর আগেও এই ভাইরাস সক্রিয় হয়েছিল। চিকিৎসা করে রোগ নিরাময় সম্ভব হয়েছে। তাই এখনই আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তবে সাবধানতা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই ভাইরাস সক্রিয় হয়ে নতুনভাবে প্রকাশিত হয়। যা আগের থেকেও বিপজ্জনক হতে পারে। তাই সচেতনতা ও সতর্কতা জরুরি। আতঙ্ক নয়। সচেতনতাই পারবে এই রোগের মোকাবিল করতে।‌

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Earthquake Hits Tibet: তিব্বতে ভূমিকম্পে মৃত অন্তত ৫৩, হতাহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা

    Earthquake Hits Tibet: তিব্বতে ভূমিকম্পে মৃত অন্তত ৫৩, হতাহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের ভোরে তখনও ঘুম ভাঙেনি সকলের। তার মাঝেই প্রবল তীব্রতায় কেঁপে ওঠে নেপাল, তিব্বত, ভারত এবং চিনের বেশকিছু অংশ। তিব্বতই ভূমিকম্পের উৎসস্থল। তিব্বতের (Earthquake Hits Tibet) ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত ৫৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৬২ জনকে। ভূমিকম্পের ধাক্কা কাটিয়ে শুরু হয়েছে উদ্ধারের চেষ্টা। হতাহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

    ভূমিকম্পে প্রভাবিত অন্তত আট লক্ষ!

    মঙ্গলবার সকালে ৭.১ তীব্রতার জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তিব্বত (Earthquake Hits Tibet)। যার প্রভাব পড়ে নেপাল, ভুটান এবং ভারতেও। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শিগাতসের এই ভূমিকম্পে প্রভাবিত হয়েছেন অন্তত আট লক্ষ মানুষ। ভূমিকম্পের উৎসস্থল তিব্বতের তিংরি প্রদেশে। এই অঞ্চলটিকে এভারেস্টের উত্তরের প্রবেশদ্বার হিসাবে দেখা হয়।  এমনিতেই এই অঞ্চলটি ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা বলে চিহ্নিত। শিগাতসের ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে গত পাঁচ বছরে তিন বা তার বেশি মাত্রার ২৯টি ভূমিকম্প হয়েছে। তবে মঙ্গলবার সকালের মতো তীব্রতা কোনওটিরই ছিল না। এদিন প্রথম কম্পন অনুভূত হয় সকাল সাড়ে ছ’ টা নাগাদ। তীব্রতা ছিল ৭.১, উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০কিলোমিটার গভীরে। তারপর বারবার কেঁপে ওঠে ভূপৃষ্ঠ। 

    ৪০টিরও বেশি কম্পন অনুভূত

    সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’ জানিয়েছে, প্রথম ভূমিকম্পের পর ৪০টিরও বেশি ‘আফটারশক’ অনুভূত হয়েছে ওই অঞ্চলে। তার মধ্যে ১৬টি কম্পনের মাত্রা ছিল ৩-এর বেশি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রকাশিত ভিডিওয় দেখা গিয়েছে রাস্তার ধারে দোকান ভেঙে পড়েছে। ধ্বংসাবশেষ ছড়িয় ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে রাস্তার উপর। ভিডিওটি তিব্বতের লাৎসে শহরের কাছে। সাধারণত এই ধরনের জোরালো মাত্রার কোনও ভূমিকম্পের জেরে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। চিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা জিনহুয়া জানিয়েছে, সরকারি আধিকারিকরা ভূমিকম্পের জেরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাপ জানার চেষ্টা করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলির হতাহতের সংখ্যা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন।

    তিব্বতে (Earthquake Hits Tibet) ভূমিকম্পের উৎসস্থল থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু। সেখানেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। প্রাণ ভয়ে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন কাঠমান্ডুর বাসিন্দারা। প্রভাব পড়েছে এভারেস্টের পাদদেশে অবস্থিত নেপালের সোলুখুম্বু জেলাতেও। সেখানকার মুখ্য জেলা আধিকারিক অনোজ রাজ ঘিমিরে রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সোলুখুম্বুতে জোরালো কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। নেপালের স্থানীয় পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছে। ভুটানের রাজধানী থিম্পু এবং উত্তরপূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে, বিশেষ করে বিহার, উত্তরবঙ্গ, সিকিমের মতো জায়গাগুলিতে কম্পন অনুভূত হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • ISRO: মহাকাশে ফলবে বরবটি! অঙ্কুরোদ্গম করে বিশ্বকে তাক লাগাল ইসরো

    ISRO: মহাকাশে ফলবে বরবটি! অঙ্কুরোদ্গম করে বিশ্বকে তাক লাগাল ইসরো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে ফলবে বরবটি (Cowpea Seeds Germinate)! অন্তত এমনই আশা ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানীদের। আশার কারণ, অঙ্কুরিত হয়েছে বরবটির বীজ। দিন কয়েকের মধ্যে গজাবে নতুন পাতাও। তাতেই আশার আলো দেখছেন বিজ্ঞানীরা। মহাকাশে প্রাণের সন্ধান চলছে বহু দিন ধরেই। মহাকাশে কীভাবে উদ্ভিদ ও প্রাণীরা বেঁচে থাকতে পারে, তার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টাও চলছে। সেই চেষ্টায়ই মিলল সাফল্য। অঙ্কুরোদ্গম হল বরবটির বীজে।

    মহাকাশে বরবটির বীজ (ISRO)

    জানা গিয়েছে, গত ৩০ ডিসেম্বর পিএসএলভি সি-৬০ রকেটে করে স্পেডেক্স মহাকাশযানের সঙ্গে আটটি বরবটির বীজ মহাকাশে পাঠিয়েছিলেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানীরা। সেই বীজই অঙ্কুরিত হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে ইসরো জানিয়েছে, বরবটির বীজ অঙ্কুরিত হতে চার দিন সময় লাগে। সেই হিসেবে শনিবার অঙ্কুর বেরিয়েছে ওই বীজগুলির। শীঘ্রই কচি পাতাও ফুটবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, সংস্থার এই সাফল্য তাঁদের কমপ্যাক্ট রিসার্চ মডিউল ফর অরবাইটাল প্ল্যান্ট স্টাডিজ মিশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের আশা, এর ফলে মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিস্থিতিতে উদ্ভিদের অঙ্কুরোদ্গম ও বৃদ্ধি সংক্রান্ত গবেষণা আরও সমৃদ্ধ হবে।

    ইসরোর সাফল্য

    জানা গিয়েছে, বরবটির বীজ (ISRO) পাঠানোর পর থেকে প্রতি মুহূর্তের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছিল। হাই রেজলিউশন সম্পন্ন ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল নজরদারির জন্য। অক্সিজেনের মাত্রা, কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ এবং তাপমাত্রার ওঠাপড়ার হিসেব রাখতেও পেলোডে বসানো হয়েছিল অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। তাতেই দেখা গিয়েছে বীজের অঙ্কুরোদ্গম। 

    আরও পড়ুন: “গ্রামীণ ভারতে নতুন শক্তি জোগাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    ইসরোর এই সাফল্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীর বাইরে অন্যত্র উপনিবেশ গড়ার ক্ষেত্রে এটি যেমন সহায়ক হবে, তেমনি দীর্ঘমেয়াদি অভিযানের ক্ষেত্রে খাদ্যের জোগান অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রেও এই গবেষণা ফলদায়ক হয়ে উঠবে। মহাকাশ অভিযানে আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের মতো দেশকে ভারত যে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোল দিতে পারে, তা আরও একবার প্রমাণ করে দিল ইসরো। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে (Cowpea Seeds Germinate) মহাকাশ যান পাঠিয়ে তামাম বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল ইসরো (ISRO)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share