Tag: congress

congress

  • PM Modi: “গায়ের রংয়ের ভিত্তিতে অপমান হজম করব না”, পিত্রোদার মন্তব্যকে কটাক্ষ মোদির

    PM Modi: “গায়ের রংয়ের ভিত্তিতে অপমান হজম করব না”, পিত্রোদার মন্তব্যকে কটাক্ষ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গায়ের রংয়ের ভিত্তিতে অপমান হজম করবে না ভারত।” বুধবার কংগ্রেসের ওভারসিজ নেতা শ্যাম পিত্রোদার মন্তব্যের জবাব এই ভাষায়ই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকেও আক্রমণ শানান তিনি। বলেন, “আমি এখন বুঝতে পেরেছি কী কারণে জাতীয় পার্টি (কংগ্রেস) প্রেসিডেন্ট পদে দ্রৌপদী মুর্মুকে রুখতে চেয়েছিল। কারণ তাঁর গায়ের রং কালো।”

    মোদির নিশানায় পিত্রোদা (Sam Pitroda)

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আমাদের দেশের লোকজন কী মানুষের ক্ষমতা কিংবা প্রতিভা যাচাই করবেন গায়ের রংয়ের ভিত্তিতে? গায়ের রং নিয়ে খেলার অধিকার শাহজাদাকে (রাহুল) কে দিল?” প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পিত্রোদা বলেছিলেন, “পূর্ব ভারতের মানুষের সঙ্গে চিনাদের সাদৃশ্য রয়েছে, আর দক্ষিণ ভারতের লোকজন আফ্রিকানদের মতো দেখতে।” কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্যেই এদিন কার্যত জ্বলে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “আজ আমি ভীষণ রেগে রয়েছি। আমায় যদি কেউ গালি দেয়, আমি রাগ করি না। সেটা আমি সহ্য করে নিই। কিন্তু শাহজাদার দর্শন আমায় এমন আঘাত করেছে যে, আমি এখন ভীষণ রেগে রয়েছি।”

    কী বললেন মোদি?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি জেনেছি, শাহজাদার ফিলোজফার এবং গাইড কাকু (পিত্রোদা) থাকেন আমেরিকায়। তিনি একটি বড় রহস্য ফাঁস করেছেন। যাঁদের গায়ের রং কালো, তাঁরা আফ্রিকা থেকে এসেছেন।” এই প্রথম নয়, এর আগেও বিতর্কিত মন্তব্য করে দলকে বিপাকে ফেলেছেন পিত্রোদা। কখনও উত্তরাধিকার ট্যাক্স, কখনও আবার রাম মন্দির এবং রাম জন্মভূমি নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছেন। নির্বাচনের মুখে এবং ভোট চলাকালীন একের পর এক ‘বালখিল্য’ মন্তব্য করায় পিত্রোদার মন্তব্য একান্তই তাঁর নিজস্ব বলে দূরত্ব রচনা করেছে কংগ্রেস।

    আরও পড়ুুন: “সুপ্রিম কোর্টে আমার নাম নিয়ে দুই গালে চড় খেয়ে এসেছে”, তোপ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    এদিকে, পিত্রোদার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিনা, তা বিবেচনা করছেন বলে জানিয়েছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ। তাঁর মতে, পিত্রোদার এহেন মন্তব্য বর্ণবাদী এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচায়ক। তিনি বলেন, “উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষের মধ্যে (PM Modi) ঐক্য রয়েছে। তাঁরা ভারতীয়, ভারতীয়দের সঙ্গেই একাত্মতা বোধ করেন।” কংগ্রেসের ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল পলিশি’রও এদিন কড়া সমালোচনা করেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Radhika Khera: “ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রায় আমায় অফার করা হয়েছিল মদ”, তোপ কংগ্রেসত্যাগী নেত্রীর

    Radhika Khera: “ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রায় আমায় অফার করা হয়েছিল মদ”, তোপ কংগ্রেসত্যাগী নেত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই কংগ্রেস ছেড়েছিলেন এআইসিসির মুখপাত্র রাধিকা খেরা (Radhika Khera)। সোমবারই তোপ দাগলেন পুরনো দলের বিরুদ্ধে। দলের হিন্দু বিরোধী আদর্শ অনুসরণ না করায় দলীয় নেতৃত্ব তাঁকে ধমক দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রাধিকার। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে যে ‘ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রা’ হয়েছিল, সেই যাত্রায় শামিল হয়েছিলেন রাধিকাও। সেই সময় তাঁকে মদ্যপান করতে বলা হয়েছিল।

    রাধিকার অভিযোগ (Radhika Khera)

    সদ্য কংগ্রেস-ত্যাগী রাধিকা বলেন, “রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রা’র সময় ছত্তিশগড় কংগ্রেসের মিডিয়া চেয়ারম্যান সুশীল আনন্দ সুখা আমায় মদ অফার করেছিলেন। সেই সময় তিনি এবং দলের পাঁচ-ছ’জন মদ্যপ অবস্থায় আমার ঘরের দরজায় করাঘাত করেছিলেন। আমি বিষয়টি শচিন পাইলট এবং জয়রাম রমেশকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু কিছুই হয়নি।” তাঁর (Radhika Khera) দাবি, কংগ্রেসের হিন্দুত্ব-বিরোধী আদর্শ অনুসরণ করতে অস্বীকার করেছিলেন তিনি।

    ‘আমায় ঘরবন্দি করে রাখা হয়েছিল’

    রাধিকা বলেন, “৩০ তারিখ সন্ধ্যায় আমি কংগ্রেসের রাজ্য অফিসে সুশীলের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। আমায় দেখেই গালাগালি দিতে শুরু করেন তিনি। চড়া গলায় কথা বলতে থাকেন। তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গরা আমায় ঘরবন্দি করে ফেলেন। তিনি এবং তাঁর দুই রাজ্য মুখপাত্র আমায় গালাগালি দিতে থাকেন। আমি আর্ত চিৎকার করি। কিন্তু কেউই দরজা খোলেননি। উল্টে আমায় মারধর করা হয়। আমি কংগ্রেসের মহামন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাই। কিন্তু কেউই আমার অভিযোগকে পাত্তা দেননি।”

    আরও পড়ুুন: ভোটের মধ্যেই ‘ভাইপো’কে দলীয় উত্তরসূরীর পদ থেকে সরালেন ‘পিসি’!

    গত ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরে বিগ্রহের প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন রাধিকা। বলেন, “কংগ্রেসের গায়ে যে হিন্দুত্ব-বিরোধী তকমা সেঁটে দেওয়া হয়েছিল, তা আমি কখনওই বিশ্বাস করতাম না। তবে সেদিন(২২ জানুয়ারি) সত্যটা প্রকাশ্যে আসে।” তিনি বলেন, “আমি সব সময় শুনতাম যে কংগ্রেস রামের বিরোধী, সনাতন ধর্ম বিরোধী এবং হিন্দু বিরোধী। কিন্তু আমি কখনও এটা বিশ্বাস করতাম না। কারণ মহাত্মা গান্ধী প্রত্যেকটা বৈঠক শুরুর আগে গাইতেন ‘রঘুপতি রাঘব রাজা রাম’। ঠাকুমার সঙ্গে রাম মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠান দেখে ফেরার পর আমি কংগ্রেসের আসল চেহারাটা দেখতে পাই। আমি কেন অযোধ্যায় গিয়েছিলাম, জিজ্ঞাসা করা হয়। আমায় ধমকও দেওয়া হয় (Radhika Khera)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajnath Singh: “ক্ষমতায় এলেই এক দেশ, এক নির্বাচন চালু করবে এনডিএ”, আশ্বাস রাজনাথের

    Rajnath Singh: “ক্ষমতায় এলেই এক দেশ, এক নির্বাচন চালু করবে এনডিএ”, আশ্বাস রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এক দেশ, এক ভোটের পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে সওয়াল করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে বিরোধীদের বাধায় এতদিন তা কার্যকর হয়নি। এবার বিজেপি ক্ষমতায় এসেই এক দেশ, এক ভোট চালু করবে।” কথাগুলি বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ (Rajnath Singh)। অন্ধ্রপ্রদেশের কাদাপা জেলার জামলামাদগু এলাকায় এক নির্বাচনী জনসভায় ওয়াইএসআর কংগ্রেস সরকারকে নিশানা করেন তিনি। বলেন, “দুর্নীতির নিরন্তর অনুশীলন করায় রাজ্যের ঋণের বহর ১৩.৫ লাখ কোটি টাকা।”

    কী বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী? (Rajnath Singh)

    ওয়াইএসআরসিপিকে আক্রমণ শানিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “আইন-শৃঙ্খলার অবনতির কারণে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দলের ওপর রাজ্যবাসী বিরক্ত। যদি এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসে, তাহলে অন্ধ্রপ্রদেশ দুর্নীতিমুক্ত হবে।” রাজনাথ (Rajnath Singh) বলেন, “অন্ধ্রপ্রদেশে লোকসভার পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচনও হচ্ছে। আমাদের দায়বদ্ধতা হল এক দেশ, এক নির্বাচন চালু করা। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই দেশে চালু হয়ে যাবে এই ব্যবস্থা। এতে সময়ের পাশাপাশি বাঁচবে মানব শ্রমও।”

    কংগ্রেসকে নিশানা রাজনাথের

    প্রত্যাশিতভাবেই এদিন কংগ্রেসকেও আক্রমণ শানিয়েছেন রাজনাথ। বলেন, “যেভাবে পৃথিবী থেকে হারিয়ে গিয়েছিল ডাইনোসোর, তেমনি করেই দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যাপট থেকে হারিয়ে গেল গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। দশ বছর পরে যদি কোনও বাচ্চাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, সে পাল্টা জিজ্ঞাসা করবে কংগ্রেস দলটা কী।” কংগ্রেস প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমহা রাওকে অশ্রদ্ধা করে বলেও অনুযোগ করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। বলেন, “কংগ্রেস ভূতপূর্ব প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমহা রাওকে কোনওদিন সম্মান দেয়নি। তবে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার তাঁকে সম্মান করে। দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ভারতরত্ন পুরস্কারে ভূষিত করেছে তাঁকে।”

    আরও পড়ুুন: “মোদি সরকারের আমলেই সব চেয়ে বেশি চাকরি হয়েছে”, দাবি অর্থনীতিবিদের

    মোদি জমানায় যে দেশের আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন রাজনাথ। বলেন, “ভারতীয় অর্থনীতির চাকা দ্রুত গড়াচ্ছে। নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রিত্বে অচিরেই আমরা বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকার পঞ্চম থেকে তৃতীয় স্থানে চলে আসব।” মোদি সরকারের আমলেই যে দেশের ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার ওপরে উঠে এসেছে, তাও স্মরণ করিয়ে দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। মোদির কুশলী পদক্ষেপের জন্যই যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সাড়ে চার ঘণ্টার জন্য বন্ধ ছিল, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন রাজনাথ (Rajnath Singh)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Rajnath Singh: “আগুন নিয়ে খেলছে কংগ্রেস”, বিস্ফোরক রাজনাথ

    Rajnath Singh: “আগুন নিয়ে খেলছে কংগ্রেস”, বিস্ফোরক রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আগুন নিয়ে খেলছে কংগ্রেস। নির্বাচনে লাভের কড়ি ঘরে তুলতে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করছে তারা।” রবিবার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ (Rajnath Singh)। তবে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর কোনও ‘আগুন’ নেই বলেও মনে করেন তিনি।

    উত্তেজনার সৃষ্টি করতে চাইছে কংগ্রেস! (Rajnath Singh)

    রাজনাথ বলেন, “নির্বাচনে ফয়দা তুলতে কংগ্রেস ধর্মীয় লাইনে উত্তেজনার সৃষ্টি করতে চাইছে। কংগ্রেস সামাজিক ঐক্য বিঘ্নিত করতে চায়। তারা মুসলমান সম্প্রদায়কে দেখে ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে। তাদের জন্য আমার একটা সাজেশন রয়েছে, সেটা হল কেবল সরকার গড়তেই রাজনীতি করা উচিত নয়। রাজনীতির লক্ষ্য হওয়া উচিত দেশ গঠন।” এর পরেই কংগ্রসের প্রাক্তন সভাপতিকে নিশানা করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “রাহুল গান্ধীর কোনও আগুন নেই, তবে কংগ্রেস আগুন নিয়ে খেলছে। কংগ্রেস একটা ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি করতে চাইছে। তারা হিন্দু-মুসলমান তাস খেলতে চাইছে।” তিনি বলেন, “ওদের (কংগ্রেসের) কোনও ইস্যু নেই। ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণির ভিত্তিতে সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করে সরকার গড়তে চাইছে। তারা চিরকাল এটাই করে এসেছে।”

    উত্তরাধিকার ট্যাক্স!

    ক্ষমতায় এলে আমেরিকার ধাঁচে কংগ্রেস যে এ দেশেও উত্তরাধিকার ট্যাক্স চালু করবে, এদিন সেই বিষয়টিকেও হাতিয়ার করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh)। বলেন, “আর্জেন্টিনা এবং ভেনেজুয়েলা এটা (উত্তরাধিকার ট্যাক্স) চালু করেছিল। দুই দেশই ভয়ঙ্কর পরিণতির সম্মুখীন হয়েছিল। এটা চালু হলে লগ্নিকারীরা ভারতে বিনিয়োগে আগ্রহ হারাবেন।”

    আরও পড়ুুন: বায়ুসেনার কনভয়ে জঙ্গি হামলা, ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ, শহিদ জওয়ান

    চলতি লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিই যে ক্ষমতায় ফিরছে, এদিন সে প্রত্যয়ও শোনা গিয়েছে রাজনাথের গলায়। তিনি বলেন, “বিজেপি একাই ৩৭০টি আসনে জিতবে। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ ৪০০ আসনের গণ্ডি ছাড়াবে।” তিনি জানান, এই যে আসন বিজেপি জিতবে বলা হচ্ছে, তা মানুষের মুখের কথায় বিশ্বাস করে বলা হচ্ছে না, তৃণমূলস্তরে সমীক্ষা চালিয়েই এই দাবি করা হচ্ছে। রাজনাথ বলেন, “উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও আমাদের আসন বাড়বে। তামিলনাড়ুতেও আমরা কিছু আসন পাব। কেরলে এবার আমরা খাতা খুলব। অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গনায়ও আমরা ভালো সংখ্যক আসন পাব (Rajnath Singh)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Arvinder Singh Lovely: কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন অরবিন্দর, কেন জানেন?

    Arvinder Singh Lovely: কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন অরবিন্দর, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের সভাপতি পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন দিন কয়েক আগে। এবার পুরোপুরি দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন দিল্লির প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি অরবিন্দর সিং লাভলি (Arvinder Singh Lovely)। শনিবার তিনি হাতে তুলে নেন পদ্ম আঁকা ঝান্ডা। অরবিন্দর যে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন, সে জল্পনা ছিলই। কেবল তিনিই নন, দিল্লি কংগ্রেসের আরও কয়েকজন পদাধিকারি পদ্ম শিবিরে নাম লেখাতে পারেন বলেও জল্পনা।

    বিজেপিতে যোগ অরবিন্দরের (Arvinder Singh Lovely)

    এঁরা প্রত্যেকেই আম আদমি পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের জোটের বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওড়ে এবং দিল্লির বিজেপি সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবের উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন তিনি (Arvinder Singh Lovely)। এদিন অরবিন্দরের সঙ্গেই পদ্ম পার্টিতে নাম লেখান প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক রাজকুমার চহ্বান, নসিব সিংহ এবং নীরজ বাসোয়া। দিল্লির প্রাক্তন যুব কংগ্রেস সভাপতি অমিত মল্লিকও যোগ দেন বিজেপিতে।

    কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী ছিলেন

    ২০০৩ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দিল্লিতে শীলা দীক্ষিতের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী ছিলেন অরবিন্দর। ২০১৭ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অরবিন্দর। বছর দেড়েকের মধ্যেই ফের ফেরেন হাত শিবিরে। তারপর এবার আবারও ফিরে গেলেন গেরুয়া শিবিরে। চলতি বছর এপ্রিলের শেষেই কংগ্রেস ও আপের জোট এবং কংগ্রেসের তরফে কানহাইয়া কুমারের মতো অপরিচিতদের দিল্লিতে প্রার্থী করা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে চিঠি দেন অরবিন্দর। তার পরেই ইস্তফা দেন কংগ্রেস সভাপতির পদে।

    আরও পড়ুুন: পেঁয়াজ রফতানিতে উঠল নিষেধাজ্ঞা, আরোপ হল ন্যূনতম রফতানি মূল্য

    দিল্লিতে লোকসভা আসন রয়েছে সাতটি। ২৫ মে নির্বাচন হবে এক দফায়। আপের সঙ্গে জোট গড়ে এখানে লড়ছে কংগ্রেস। আপ প্রার্থী দিয়েছে চারটি আসনে। আর কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে তিনটি কেন্দ্রে। আপের সঙ্গে এই জোট নিয়েও অসন্তুষ্ট ছিলেন দিল্লির কংগ্রেস নেতাদের একাংশ। তার জেরেই ঘর ভাঙছে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির (Arvinder Singh Lovely)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “কংগ্রেস শেষ হচ্ছে আর পাকিস্তান কাঁদছে”, কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির

    PM Modi: “কংগ্রেস শেষ হচ্ছে আর পাকিস্তান কাঁদছে”, কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রাক্তন মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী (Fawad Chowdhury) রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) প্রশংসা ও তাঁকে সমর্থন করেন। গুজরাটের আনন্দের জনসভা থেকে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বললেন, “কংগ্রেস ও পাকিস্তানের মধ্যে যে “গলায় গলায় ভাব” তা জনসমক্ষে চলে এসেছে। জনসভাকে সম্বোধন করার সময় প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)  বলেন, “পাকিস্তানি নেতৃত্ব চাইছে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসুক। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে কংগ্রেস ভারতে কমজোর হচ্ছে। পাকিস্তান (Pakistan) চাইছে রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হোক।”

    গুজরাটের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী 

    এদের কংগ্রেসকে (INC) তুলধোনা করার সময় প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) মুখে ছিল হাসি। তিনি বলেন, “কাকতালীয় ব্যাপার কংগ্রেস (Congress) শেষ হচ্ছে আর পাকিস্তান কাঁদছে। পাকিস্তানের মন্ত্রীরা কংগ্রেসের জন্য প্রার্থনা করছেন। তাঁরা ভাবছে যুবরাজ কবে ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসবে। আমরা সকলেই জানি কংগ্রেস কতটা পাকিস্তানপ্রেমী।”কংগ্রেসকে তুলোধোনা করার পাশাপাশি নিজের (PM Modi সরকারের) কৃতিত্ব জনসমক্ষে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, আগে যখন কংগ্রেসের সরকার ছিল তখন জঙ্গি হামলা হলে পাকিস্তানকে শুধু ডোজিয়ার দেওয়া হত। আর ভাষণ দেওয়ার সময় বলা হত কড়া নিন্দা করছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হত না। এখন শুধু নিন্দা হয় না। আমাদের সময়ে আমরা সন্ত্রাসবাদীদের ঘরে ঢুকে তাদের নিকেশ করি।”

    আরও পড়ুন: ভোটবঙ্গে ফের শহরে প্রধান নরেন্দ্র মোদি! রাত্রিবাস রাজভবনে

    ইমরান ক্যাবিনেটের মন্ত্রী ছিলেন ফাওয়াদ 

    প্রসঙ্গত একটি সর্বভারতীয় বৈদ্যুতিন মাধ্যমে যে খবর সম্প্রচারিত হয় তাতে দেখা যায় পাকিস্তানের মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী ভারতের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কথা বলতে গিয়ে ভারতের বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। রাহুল গান্ধী সম্পর্কে তার মতামত জানতে চাওয়া হলে পাকিস্তানের মন্ত্রী বলেন, “তিনি রাহুল গান্ধী কেন, যে কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যিনি সঠিক ইস্যুতে কথা বলেন তাঁকে সমর্থন করবেন।” পাকিস্তানি মন্ত্রীর বক্তব্য ইতিমধ্যেই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান, “অমিত মালব্যর নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন চৌধুরী ফাওয়াদ হোসেন যিনি ইমরান খানের(Imran Khan) ক্যাবিনেটে তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন তিনি রাহুল গান্ধীকে প্রোমোট করছেন। তাহলে কী কংগ্রেস এবার পাকিস্তানে নির্বাচনের লড়ার চিন্তা ভাবনা করছে। কংগ্রেসের এবারের মেনিফেস্টোতে মুসলিম লিগের ছোঁয়া রয়েছে। কংগ্রেসের সঙ্গে পাকিস্তানের বোঝাপড়া প্রকাশ্যে চলে এসছে।”

    কংগ্রেসের বিড়ম্বনা বাড়ল 

    প্রসঙ্গত স্বাধীনতার সময় থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের (India vs Pakistan) যে শত্রুতা তৈরি হয়েছে তা আজও অব্যাহত। চারটি লড়াইয়ে পাকিস্তান হারার পরেও ভারত যতই উদার হওয়ার চেষ্টা করুক না কেন পাকিস্তানের তরফ থেকে অশান্তি বন্ধ করার কোন ইঙ্গিত নেই। এমতাবস্থায় কংগ্রেস নেতাকে পাকিস্তানের নেতারা সমর্থন করলে জনসমক্ষে কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধীর ছবি আরও খারাপ হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) এবং বিজেপিকে কোনঠাসা করতে গিয়ে পাকিস্তানি নেতারা কংগ্রেসকে সমর্থন করে উল্টে কংগ্রেসের বিড়ম্বনা বাড়াচ্ছেন এমনটাই মনে করছে দেশের একটা বড় অংশের মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Adhir Chowdhury: বিজেপিকে ভোট দিতে বললেন অধীর! ভিডিও নিয়ে তোলপাড়, তৃণমূলের কারসাজি বলছে কংগ্রেস

    Adhir Chowdhury: বিজেপিকে ভোট দিতে বললেন অধীর! ভিডিও নিয়ে তোলপাড়, তৃণমূলের কারসাজি বলছে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মুখে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুর লোকসভার কংগ্রেসের প্রার্থী অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। এমনই একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। আর বিষয়টি সামনে আসতেই রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন অধীর? (Adhir Chowdhury)

    মঙ্গলবার জঙ্গিপুরের কংগ্রেস প্রার্থী মোর্তাজা হোসেনের সমর্থনে সভা করতে গিয়েছিলেন অধীর (Adhir Chowdhury)। সেই সভায় ছিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক তথা মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের বাম প্রার্থী মহম্মদ সেলিমও। একটি ভিডিও (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম) সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে অধীরকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “তৃণমূলকে ভোট দেওয়া মানে, তার থেকে ভাল বিজেপিকে ভোট দিয়ে জেতানো।” কয়েক সেকেন্ডের সেই ভিডিও তৃণমূল নেতারা শেয়ার করেছেন। এই প্রসঙ্গে এক সিপিএম নেতার কথায়, “ওই কথার পরে অধীর বলেছেন, বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থীকে জেতাতে হবে। কিন্তু, তৃণমূল একটি অংশই তুলে ধরে অপপ্রচার করছে। তবে, ভোটের মুখে অধীরের মুখে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আবেদন নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের কর্মী থেকে সাধারণ মানুষের কাছে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    তৃণমূলের কারসাজি

    এই বক্তব্য নিয়ে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অধীর চৌধুরীর (Adhir Chowdhury) কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে, প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, “যে ভিডিও সমাজ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে তা তৃণমূল তৈরি করেছে। এরকম কথা অধীর চৌধুরী বলেননি। আসলে ওই ভিডিও কারসাজি করে তৃণমূল বাজারে ছেড়েছে। তৃণমূল মুর্শিদাবাদ জেলায় তিনটি আসনেই হারবে বলে ভয় পেয়েছে। তাই এই সব করছে। সাধারণ মানুষ সব জানেন, অধীরের বিরুদ্ধে এই ধরনের অপপ্রচার সাধারণ মানুষ মেনে নেবে না। তৃণমূল থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। অধীরের জনপ্রিয়তার কাছে তৃণমূল ধারে কাছে যেতে পারছে না। তাই, এসব কুৎসা করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “মাতৃশক্তির বিষয়ে বিজেপির অবস্থান স্পষ্ট”, প্রোজ্জ্বলকাণ্ডে বললেন শাহ

    Amit Shah: “মাতৃশক্তির বিষয়ে বিজেপির অবস্থান স্পষ্ট”, প্রোজ্জ্বলকাণ্ডে বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দেশের মাতৃশক্তির বিষয়ে বিজেপির অবস্থান খুব স্পষ্ট।” মঙ্গলবার অসমের গুয়াহাটিতে কথাগুলি বললেন বিদায়ী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার নাতি প্রোজ্জ্বল রেভান্নার (Prajwal Revanna) যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসায় হইচই পড়েছে দেশজুড়ে। সেই প্রসঙ্গেই এদিন মুখ খোলেন শাহ। তিনি বলেন, “আমি কংগ্রেস এবং প্রিয়ঙ্কাজি যিনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন, তাঁদের বলতে চাই, ওখানে কাদের সরকার রয়েছে? কংগ্রেসের সরকার রয়েছে। কেন তাঁরা এখনও পর্যন্ত ব্যবস্থা নেননি? এটা যেহেতু রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার বিষয়, তাই কেন তারা এতদিন ব্যবস্থা নেয়নি? এটা যেহেতু রাজ্যের বিষয়, তাই আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি না।”

    কী বললেন শাহ?

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “এই অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক। দেবগৌড়া ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর জনতা দল সেকুলার দলীয় কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক।” তিনি বলেন, “এটা খুবই গুরুতর একটি অভিযোগ। আমরা এ জিনিস বরদাস্ত করব না। তবে কংগ্রেসকে আমরা জিজ্ঞাসা করতে চাই, ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও তারা কেন এখনও ব্যবস্থা নেয়নি? অথচ প্রিয়ঙ্কাজি জেডিএস নেতার যৌন কেলেঙ্কারি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কাঠগড়ায় তুলতে কসুর করেননি।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “যে তদন্ত শুরু হয়েছে আমরা তাকে সমর্থন করি এবং আমাদের জোটসঙ্গী জেডিএসও বলেছে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। আজ, মঙ্গলবারই কোর কমিটির বৈঠকে বসছে তারা। সেখানেই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করা হবে।”

    সাসপেন্ড প্রোজ্জ্বল  

    এদিকে, এদিনই কোর কমিটির বৈঠকে দেবগৌড়ার পুত্র এইচডি কুমারস্বামী প্রোজ্জ্বলকে (Prajwal Revanna) সাসপেন্ড করার কথা জানান। প্রোজ্জ্বলকে নোটিশ পাঠিয়ে জবাবও তলব করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। যদিও, সূত্রের খবর, ভিডিওর কথা ফাঁস হতেই দেশ ছেড়েছেন প্রোজ্জ্বল। জানা গিয়েছে, তিনি বেঙ্গালুরু থেকে ফ্রাঙ্কফুর্টের বিমান ধরেন। এদিন জেডিএসের কোর কমিটির প্রেসিডেন্ট জিটি দেবগৌড়া সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “আমরা প্রোজ্জ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে সিট-এর তদন্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা ঠিক করেছিলাম যে, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি (দেবগৌড়া)-কে বলব তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত রেভান্নাকে সাসপেন্ড করতে।”

    প্রসঙ্গত, কর্নাটকের এক বিজেপি নেতার দাবি, তাঁর কাছে থাকা একটি পেন ড্রাইভে ৩ হাজারটি অশ্লীল ভিডিও রয়েছে। তাতে প্রোজ্জ্বলের (Prajwal Revanna) যৌন কেলেঙ্কারির প্রমাণ রয়েছে। ওই ভিডিও দেখিয়ে পরবর্তী সময়েও মহিলাদের যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে দেবগৌড়ার পৌত্রের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুুন: “লাঠি, ইট দিয়ে হামলা চালায় তৃণমূল”, বললেন প্রচারে গিয়ে আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: সম্পদের পুনর্বণ্টন, সম্পত্তি কর, কংগ্রেসকে একেবারে ধুয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: সম্পদের পুনর্বণ্টন, সম্পত্তি কর, কংগ্রেসকে একেবারে ধুয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদির (PM Modi) নিশানায় ফের কংগ্রেস। সম্পদের পুনর্বণ্টণের যে প্রতিশ্রুতি কংগ্রেস দিয়েছে নির্বাচনী ইস্তাহারে (পোশাকি নাম ‘ন্যায়পত্র’), তাকে আরও একবার প্রধানমন্ত্রী বিদ্ধ করলেন সমালোচনার তিরে। প্রধানমন্ত্রীর ভাষায়, “(এগুলি) সমাধানের ছদ্মবেশে ভয়ঙ্কর সব সমস্যা।”

    সম্পদের পুনর্বণ্টন (PM Modi)

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনি যদি জানেন যে সম্পদের পুনর্বণ্টনের নামে সরকার আপনার কষ্টার্জিত অর্থ কেড়ে নেবে, তাহলে কি আপনি দিনরাত পরিশ্রম করবেন?” কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে ‘যুবরাজ’ সম্বোধন করে তিনি বলেন, “বিরোধীদের এই জাতীয় কার্যকলাপ পৃথিবী জ্বালাও নীতির উদাহরণ।” তাঁর মতে, সম্পদ করের এই আইডিয়া স্টার্টআপকে হত্যা করবে। এটি প্রকৃতপক্ষে বিরোধীদের ভোটব্যাঙ্ককে খুশি করার একটি পদ্ধতি। এই জাতীয় আইডিয়া সমাজে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করবে বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি মনে করি না এগুলি কোনও সমাধান। কল্পনাপ্রসূতও কোনও সমাধান এগুলি নয়।” তার পরেই তিনি বলেন, “এগুলি হল সমাধানের ছদ্মবেশে ভয়ঙ্কর সব সমস্যা।”

    ‘বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা যদি প্রকৃতই মানুষের শ্রীবৃদ্ধি কামনা করি, তাহলে আমাদের প্রথমেই সরাতে হবে বাধাগুলি, তাঁদের ক্ষমতায়ন করতে হবে। এটি তাঁদের উদ্যোগ-শক্তিকে প্রকাশ করে। যেমনটা আমরা দেখেছি দেশের টু কিংবা থ্রি-টায়ার শহরগুলিতে। একঝাঁক স্টার্টআপ ও স্পোর্টস স্টার বিকশিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে।” সম্পদ কর এবং সম্পদের পুনর্বণ্টন যে কখনওই সাফল্যের মুখ দেখেনি, সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “এগুলি দারিদ্র দূর করতে পারে না। এগুলি বিলি করা হয়েছিল যাতে প্রত্যেকেই সমানভাবে গরিব থাকে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গরিবরা দারিদ্রের জ্বালায় জর্জরিত, সম্পদ তৈরি থেমে গিয়েছিল, দারিদ্র হয়ে উঠেছিল সর্বজনীন। এই নীতি অনৈক্যের বীজ বপন করেছিল, রুদ্ধ করে দিয়েছিল সাম্যের লক্ষ্যে পৌঁছানোর সমস্ত রাস্তা। দেশের মধ্যে তারা প্রোথিত করেছিল বিদ্বেষের বীজ, নড়বড়ে করে তুলেছিল অর্থনীতির ভিত।”

    “মাওবাদী চিন্তাভাবনা”

    গত সপ্তাহেই আমেরিকার ধাঁচে এদেশেও উত্তরাধিকার ট্যাক্স চালুর বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করার কথা বলেছিলেন কংগ্রেসের ওভারসিজ নেতা শ্যাম পিত্রোদা। তিনি বলেছিলেন, “আমেরিকায় উত্তরাধিকার ট্যাক্স রয়েছে। কারও যদি ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পদ থাকে, তাহলে তাঁর মৃত্যুর পর ৫৫ শতাংশ সম্পদ নিয়ে নেবে সরকার, বাকি ৪৫ শতাংশ পাবেন মৃতের উত্তরাধিকারীরা।” এদিন তাঁকেও আক্রমণ শানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “কংগ্রেসের প্রস্তাব এক্স-রে-র মতো অথবা সম্পদ পুনর্বণ্টনের জন্য আর্থ-সমাজিক সার্ভে।” প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “মাওবাদী চিন্তাভাবনা এবং দর্শনের পরিষ্কার উদাহরণ। এটা দেখে দুঃখ হচ্ছে যে কংগ্রেস এবং তার যুবরাজ এমন মাওবাদী দৃষ্টিভঙ্গি বহন করে চলেছেন, যা আদতে বিপর্যয় ডেকে আনবে। আপনারা হয়ত শুনেছেন, যুবরাজ বলছেন আমরা এক্স-রে করব। এই এক্স-রে কিছুই নয়, প্রত্যেকের বাড়িতে রেইড করবে। কৃষকের বাড়িতে রেইড করে তারা জানতে চাইবে, তাঁদের কত জমিজমা রয়েছে। সাধারণ মানুষের বাড়িতে রেইড করতে গিয়ে তারা দেখবে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে তাঁরা কত সম্পদ করেছেন। তারা আমাদের বাড়ির মা-বোনেদের গয়নাও রেইড করবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সংবিধান প্রতিটি সংখ্যালঘুর সম্পত্তি রক্ষা করে। এর অর্থ হল, কংগ্রেস যখন সম্পদের পুনর্বণ্টনের কথা বলে, তখন তা সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে বর্তায় না, ওয়াকফ সম্পত্তি পুনর্বণ্টনের কথা তারা বলে না, তাদের শ্যেন দৃষ্টি কেবল অন্য সম্প্রদায়ের (পড়ুন সংখ্যাগুরুদের) সম্পত্তির ওপর। এভাবে তারা দেশে অনৈক্যে বীজ বপন করবে।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘রাজনীতির জন্য নষ্ট হয়ে গিয়েছে কলকাতা’’, বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ মোদির

    ভারতের মর্যাদাহানি

    বিজেপি গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক বলে লাগাতার প্রচার করে চলেছেন বিরোধীরা। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিরোধীরা ক্ষমতায় আসতে পারছেন না। তাই বিশ্বমঞ্চে তারা ভারতের মর্যাদাহানি করতে শুরু করেছে।” তিনি বলেন, “তাঁরা (বিরোধীরা) আমাদের নাগরিকদের সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলছেন, আমাদের গণতন্ত্র, আমাদের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মিথ্যা রটাচ্ছেন। ভারতে নির্বাচনী স্বৈরাচার কখনওই আসবে না, যদি না যুবরাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্ষমতায় চলে আসেন। এর কারণ তাঁকে নির্বাচনে লড়াই করতে হবে। আর তাঁর কথায় ভরসা করে ভারতবাসী নষ্ট হতে দেবেন না তাঁদের গণতন্ত্রকে।” পাবলিক সেক্টর, প্রাইভেট সেক্টর এবং এন্টারপ্রেনিয়রশিপ এই তিন ক্ষেত্রে ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় দেশবাসী তাঁর দশ বছরের রাজত্বকালকে মনে রাখবেন বলেও আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী। তাঁর জমানায় যে ভারতের প্রতি বিশ্ব নেতাদের সম্ভ্রম বাড়ছে, তাও মনে করিয়ে দেন তিনি (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Congress: ভোটের মধ্যেই ফের ধাক্কা কংগ্রেসে, ইন্দোরের প্রার্থী এবার পদ্মশিবিরে

    Congress: ভোটের মধ্যেই ফের ধাক্কা কংগ্রেসে, ইন্দোরের প্রার্থী এবার পদ্মশিবিরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছিলেন কংগ্রেসের (Congress) প্রার্থী।  কিন্তু ভোটের ১৫ দিনে আগেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যোগ দিলেন বিজেপিতে (BJP)। লোকসভা ভোটের মরসুমে ফের ধাক্কা খেল কংগ্রেস (Congress )। ইন্দোরের কংগ্রেস প্রার্থী অক্ষয় কান্তি বাম গ্রেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেন। তবে এর ফলে বিজেপির (BJP) প্রার্থী বদল হচ্ছে না। বিজেপির শঙ্কর লালবানি ওই কেন্দ্র থেকে বিদায়ী সাংসদ। তিনি এবারও টিকিট পেয়েছেন।  তিনিই প্রার্থী থাকছেন।

    কী ঘটল এদিন (Congress) ?

    কংগ্রেস প্রার্থীর ডিগবাজিতে সুরাটের (Surat) মত এই কেন্দ্রেও বিজেপির প্রার্থী সহজ জয় পেতে চলেছে এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের। ইন্দোরে (Indore) অক্ষয়ের প্রধান প্রতিপক্ষ ছিলেন শংকর। সবটা ঠিকঠাকই চলছিল। সপ্তাহের প্রথম দিনেই বদলে যায় ইন্দোরের রাজনৈতিক মানচিত্র। বিজেপি বিধায়ক রমেশ মেন্দোলাকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন অক্ষয় কান্তি বাম। এর পরেই ইন্দোরের বিজেপি বিধায়ক কৈলাশ বিজয় বর্গীয়ের হাত ধরে তিনি যোগদান করেন গেরুয়া শিবিরে। সেই ছবি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন কৈলাশ। একুশের বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত বঙ্গ বিজেপির প্রভারী ছিলেন তিনি। দলত্যাগী কংগ্রেস (Congress) প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে ছবি পোস্ট করে বিজয় বর্গীয় লেখেন, “ লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ইন্দোর কেন্দ্রের প্রার্থী অক্ষয় কান্তি বাম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা ও মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব ও  রাজ্য সভাপতি ভি ডি শর্মার নেতৃত্বে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁকে দলে স্বাগত জানাই।”

    কেন দলত্যাগ

    কিন্তু টিকিট পেয়েও হঠাৎ কেন কংগ্রেস ছেড়ে দিলেন অক্ষয়? কেন কংগ্রেসের (Congress) হয়ে লড়লেন না? সূত্রের খবর গত বছর মধ্যপ্রদেশের একটি কেন্দ্র থেকে বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট পেয়েছিলেন অক্ষয়। সেখানে তাঁর জয়ের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু তাঁকে প্রার্থী করেনি কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনে মন রক্ষার্থে টিকিট দেওয়া হয়। তাঁর প্রতিপক্ষ বিজেপি প্রার্থী বিদায়ী সাংসদ এবং এবার প্রবল মোদি ঝড় রয়েছে। তাই নিজের জয়ের বিষয়ে যথেষ্ট সংশয় ছিল অক্ষয়ের। সে কারণেই তিনি লোকসভা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন। এখন দেখার এই কেন্দ্রে কংগ্রস কী পদক্ষেপ নেয়। মনে করা হচ্ছে সুরাটের মত ইন্দোরেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যেতে পারে বিজেপি।

    কংগ্রেসের সমস্যা

    ১৩ই মে চতুর্থ দফায় ভোট রয়েছে এই কেন্দ্রে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নাকি অন্য কাউকে সমর্থন করে কংগ্রেস (Congress) সেতা এখন দেখার। কেউ বিকল্প প্রার্থী হলেও কতটা দাগ কাটতে পারবে বিরোধী প্রার্থী তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। হতে পারে সুরাটের মত এখানেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই জয়ী হয়ে গেল বিজেপি।

    আরও পড়ুনঃ “আভি তো পিএসসি, মিউনিসিপ্যালিটি, ফায়ার ব্রিগেড বাকি হ্যায়”, তোপ শুভেন্দুর

    অক্ষয়ের পরিচয়

    অক্ষয় কান্তি বাম কংগ্রেসের (Congress) যুব নেতা ছিলেন। ৪৫ বছর বয়সী অক্ষয় একজন সফল ব্যবসায়ী। তিনি অহিল্যা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর এবং পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিষয়ে এমবিএ করেছেন। রাজস্থানের শ্রীধর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেছেন। তিনি ২৩ বছর বয়সে ২০০৩ সালে ইন্দোর ইন্সটিটিউট অফ ল, ২০০৬ সালে ইন্দোর নার্সিং কলেজ এবং ২০১৯ সালে আইডলিক ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠা করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share