Tag: congress

congress

  • Lok Sabha Elections 2024: “ওয়েনাড়ে জিততে কংগ্রেস নিষিদ্ধ পিএফআইয়ের সাহায্য নিচ্ছে”, তোপ মোদির

    Lok Sabha Elections 2024: “ওয়েনাড়ে জিততে কংগ্রেস নিষিদ্ধ পিএফআইয়ের সাহায্য নিচ্ছে”, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওয়েনাড় কেন্দ্রে জিততে কংগ্রেস নিষিদ্ধ পিএফআইয়ের সাহায্য নিচ্ছে।” রবিবার কর্নাটকের বেলগাভির জনসভায় এমনই অভিযোগ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Lok Sabha Elections 2024)। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর রাজা-মহারাজাদের নিয়ে সমালোচনারও জবাব দিয়েছেন তিনি। তুষ্টিকরণের রাজনীতির কারণে কংগ্রেস নবাব, নিজাম, সুলতান ও বাদশাহদের সম্পর্কে নীরব বলেও অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর।

    কংগ্রেসকে নিশানা মোদির (Lok Sabha Elections 2024)

    উত্তরাধিকার ট্যাক্স ইস্যুতেও কংগ্রেসকে একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী। কর্নাটকে কংগ্রেস সরকার যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ, তাও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশবাসীর যাতে সম্পদ বাড়ে, বিজেপি নিরন্তর সেই চেষ্টা করে চলেছে। আর কংগ্রেসের শাহজাদা (রাহুল গান্ধী) ও তাঁর বোন (প্রিয়ঙ্কা গান্ধী) দু’জনেই ঘোষণা করেছেন, তাঁরা যদি ক্ষমতায় আসেন তাহলে দেশের ওপর এক্স-রে করবেন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন (Lok Sabha Elections 2024), “তাঁরা আপনার সম্পত্তি, ব্যাঙ্ক লকার, জমি, গাড়ি, স্ত্রীধন এবং মহিলাদের গয়না, সোনা মায় মঙ্গলসূত্রের ওপরও এক্স-রে করবেন। এই লোকগুলো প্রত্যেকের বাড়িতে হানা দেবে, আপনার সম্পত্তি কেড়ে নেবে। সম্পদ কেড়ে নিয়ে তারা একে পুনর্বন্টন করবে। তারা এটা বিলিয়ে দেবে তাদের, যারা তাদের প্রিয় ভোটব্যাঙ্ক। আপনারা কি আপনাদের সম্পদ এভাবে লুট হতে দেবেন?”

    ‘তুষ্টিকরণের রাজনীতি করছে কংগ্রেস’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি কংগ্রেসকে এই বলে সতর্ক করতে চাই যে, এসব ধান্ধা ছাড়ুন। যতদিন মোদি বেঁচে রয়েছে, আমি এটা হতে দেব না।” তিনি বলেন, “কংগ্রেস যে ইতিহাস লিখিয়েছে, স্বাধীনতা সংগ্রামের যে কাহিনি বর্ণনা করেছে, তা করা হয়েছে তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে, ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে। এমনকী আজও কংগ্রেসের শাহজাদা সেই পাপ বয়ে বেড়াচ্ছেন। আপনারা বোধহয় কংগ্রেসের শাহজাদার সাম্প্রতিক বিবৃতি শুনে থাকবেন। তিনি বলেছেন, ভারতের রাজা-মহারাজারা দমন-পীড়ন করতেন।”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তিনি(রাহুল গান্ধী) তাঁদের (রাজা-মহারাজাদের) বিরুদ্ধে দেশের গরিবদের জমি এবং সম্পদ কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন। কংগ্রেসের শাহজাদা ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ এবং কিত্তুর রানি ছান্নাম্মাদের মতো মহান ব্যক্তিত্বকে অপমান করেছেন। যাঁদের সুশাসন ও দেশপ্রেম আজও আমাদের প্রাণিত করে।” এর পরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কিন্তু শাহজাদা নবাব, নিজাম, সুলতান এবং বাদশাহদের দমন-পীড়ন নিয়ে একটি কথাও বলেননি। ঔরঙ্গজেবের দমন-পীড়নের কথা বোধহয় কংগ্রেসের মনে নেই। এই ঔরঙ্গজেবই হাজার হাজার হিন্দু মন্দির ধ্বংস করেছিলেন। যেসব রাজনৈতিক দল ঔরঙ্গজেবের প্রশংসা করে, কংগ্রেস তাদের সঙ্গেই মাখামাখি করে। তারা (কংগ্রেস) একবারও তাদের কথা বলে না, যারা আমাদের তীর্থক্ষেত্রগুলি ধ্বংস করেছিল, সেগুলিতে লুটপাট চালিয়েছিল, মানুষ খুন করেছিল (Lok Sabha Elections 2024), করেছিল গোহত্যাও।”

    আরও পড়ুুন: আজমল কাসভকে ফাঁসিতে লটকানোর নেপথ্য নায়ককেই প্রার্থী করল বিজেপি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Delhi Congress: দিল্লি কংগ্রেস সভাপতি পদে ইস্তফা লাভলির, গাড্ডায় সোনিয়ার দল

    Delhi Congress: দিল্লি কংগ্রেস সভাপতি পদে ইস্তফা লাভলির, গাড্ডায় সোনিয়ার দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে আরও গাড্ডায় কংগ্রেস (Delhi Congress)। দিল্লি কংগ্রেস সভাপতি পদে ইস্তফা দিলেন অরবিন্দর সিং লাভলি। নির্বাচনের মুখে পদ ছাড়ার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন অরবিন্দর। বলেন, “দুর্নীতির অভিযোগে জেলে রয়েছেন আম আদমি পার্টির কয়েকজন মন্ত্রী। তা সত্ত্বেও কেজরিওয়ালের দলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনের জন্যই এটা করছে। দলের নিচুতলার কর্মীরা এতে অসন্তুষ্ট।” কংগ্রেসের প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে লেখা চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “যেহেতু তিনি দিল্লির কংগ্রেস কর্মীদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারেননি, তাই পার্টির শহর ইউনিটের প্রধান থাকার আর কোনও কারণ তিনি খুঁজে পাচ্ছেন না।”

    কী বললেন অরবিন্দর? (Delhi Congress)

    অরবিন্দর জানান (Delhi Congress), দিল্লি কংগ্রেস ইউনিট এমন একটা পার্টির সঙ্গে মাখামাখি করতে চায়নি, যারা দুর্নীতিতে ভরপুর, মিথ্যার বেসাতি করে, কংগ্রেসের দিকে কেলেঙ্কারির অভিযোগ তোলে। তা সত্ত্বেও দল দিল্লিতে আপের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে। তাঁর আরও অভিযোগ, পার্টি লোকসভা নির্বাচনের টিকিট দিয়েছেন এমন কয়েকজনকে, যাঁরা কংগ্রেসের দিল্লি ইউনিটে আগন্তুক। এ প্রসঙ্গে তিনি উত্তর-পশ্চিম দিল্লির প্রার্থী উদিত রাজ এবং উত্তর-পূর্ব দিল্লির প্রার্থী কানাহাইয়া কুমারের প্রসঙ্গের উল্লেখ করেন। সূত্রের খবর, উদিত ও কানহাইয়াকে প্রার্থী করায় ক্ষোভে ফুঁসছেন দিল্লি কংগ্রেসের নিচুতলার কর্মীরা। পরিস্থিতি এমনই পর্যায়ে গিয়েছে যে, দিল্লির অনেক নেতাই হয় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন, নয়ত নয়া দল গঠন করতে চাইছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, যদি তা হয়, তাহলে নির্বাচনের আগেই দুরমুশ হয়ে যাবে দিল্লি কংগ্রেসের মেরুদণ্ড।

    আরও পড়ুুন: আজমল কাসভকে ফাঁসিতে লটকানোর নেপথ্য নায়ককেই প্রার্থী করল বিজেপি

    ওগরালেন এক রাশ ক্ষোভ

    দিন কয়েক আগে আপ সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রশংসা করেছিলেন কানহাইয়া কুমার। এদিন তাঁকেও নিশানা করেন অরবিন্দর। বলেন, “এই জাতীয় নিচুমনের চিন্তাভাবনা এবং তথ্যগতভাবে ভুল বিবৃতি কংগ্রেসের দিল্লি ইউনিট মেনে নেবে না। কারণ দলের স্থানীয় কর্মীরা আপের সঙ্গে জোট মেনে নিতে পারছেন না। দিল্লির উন্নয়ন নিয়ে আপ যে মিথ্যা প্রচার করছে, তাও বিশ্বাস করেন না তাঁরা।” কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্বেও যে তিনি বিরক্ত, এদিন তাও জানিয়েছেন অরবিন্দর।  তিনি বলেন, “ডিপিসিসি প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমায় নিয়োগ করা হলেও, এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক (দিল্লি ইনচার্জ) আমায় কোনও সিনিয়র নেতাকে নিয়োগ করতে দেননি। আমায় প্রতিবন্ধী করে রাখা হয়েছিল।” প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট থেকে দিল্লি কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট ছিলেন অরবিন্দর (Delhi Congress)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Elections 2024: “প্রথম দু’দফার ফল হতে চলেছে ২-০”, মহারাষ্ট্রে বললেন মোদি

    Lok Sabha Elections 2024: “প্রথম দু’দফার ফল হতে চলেছে ২-০”, মহারাষ্ট্রে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম দু’দফার ফল হতে চলেছে ২-০। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সব আসন পাবে। শূন্য হাতে ফিরতে হবে ইন্ডিয়া ব্লককে। শনিবার নির্বাচনের ফলের যে ভবিষ্যদ্বাণী করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, এই হল তার নির্যাস (Lok Sabha Elections 2024)। মহারাষ্ট্রের কোলাপুরে বিজেপি আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই নিশানা করেন ইন্ডিয়া ব্লককে। তিনি বলেন, “কোলাপুরকে মহারাষ্ট্রের ফুটবল হাব বলা হয়। ফুটবল স্থানীয় যুবকদের ভীষণ প্রিয়। গত দু’দফার নির্বাচনের ফল যদি আমি ফুটবলের ভাষায় প্রকাশ করি, তাহলে বলতে হয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ ২-০-তে লিড করছে।”

    ইন্ডি জোটকে নিশানা মোদির (Lok Sabha Elections 2024)

    বিরোধীরা দেশবিরোধী এবং তুষ্টিকরণের রাজনীতি (Lok Sabha Elections 2024) করছেন বলেও এদিন অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “ডিএমকে, কংগ্রেসের কাছে যাদের গুরুত্ব খানিক বেশি, তারা সনাতন ধর্মকে গালাগাল দিচ্ছে। তারা সনাতন ধর্মকে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া বলছে। আর ইন্ডি জোট তাদের মহারাষ্ট্রে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। যারা সনাতন ধর্মকে ধ্বংস করার কথা বলে, তাদের সম্মানিত করছে। এসব দেখলে বালাসাহেব (ঠাকরে) অবশ্যই দুঃখিত হতেন।”

    উদ্ধব-শিবিরকেও আক্রমণ

    শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে শিবিরকেও এদিন নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “ওরা (উদ্ধব ঠাকরে শিবির) ডিএমকের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করছে।” প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনায় উঠে এসেছে ইন্ডিয়া ব্লক এবং মহা বিকাশ আগাড়ির প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করতে গিয়ে তারা ঔরঙ্গজেবের অনুগামীদের সঙ্গেও জোট করছে। সিএএ প্রত্যহারের যে প্রতিশ্রুতি বিরোধীরা দিয়েছেন, এদিন তাকেও একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী। অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েও না যাওয়ায়ও এদিন বিরোধীদের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “তারা (মন্দির কর্তৃপক্ষ) সব কিছু ভুলে গিয়েছিলেন (রাম মন্দির নিয়ে কংগ্রেসের অবস্থান)। কংগ্রেসের দুয়ারে গিয়ে ২২ জানুয়ারি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তারা তা পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে। কেউ যদি ভগবান রামকেই প্রত্যাখ্যান করেন, তাহলে আপনি কী করবেন?”

    আরও পড়ুুন: “অভিষেক এইট ফেল”, বিস্ফোরক দাবি ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি প্রার্থী ববির

    কংগ্রেসের ইস্তাহারে (পোশাকি নাম ‘ন্যায়পত্র’) সম্পদের পুনর্বণ্টনের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তাকেও কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “এই দল (কংগ্রেস) চিরকাল বাবাসাহেবকে (সংবিধান রচয়িতা, ভীম রাও আম্বেডকর) অশ্রদ্ধা করে আসছে। এখন তারা দলিত ও বঞ্চিতদের জন্য সংরক্ষণও কেড়ে নিতে চাইছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Amit Shah: দেশ কি শরিয়া আইনে শাসিত হবে? তোষণ ইস্যুতে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ শাহের

    Amit Shah: দেশ কি শরিয়া আইনে শাসিত হবে? তোষণ ইস্যুতে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের প্রকাশিত ইস্তেহারে তোষণ ছাড়া আর কিছুই নেই। শুক্রবারই এ নিয়ে কংগ্রেসকে তোপ দাগলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর প্রশ্ন দেশ কি শরিয়া আইনে শাসিত হবে? সাংবাদিকদের শাহ বলেন, ‘‘কংগ্রেসের ইস্তাহার বলছে পার্সোনাল ল’য়ের কথা। যা এই দেশকে বিভাজিত করছে। প্রথমত আমি ভোটারদের কাছে আবেদন জানাতে চাই যে আপনারা নির্বাচিত করুন সেই রকম একটি রাজনৈতিক দলকে, যারা নিজেদের কথাতে সবসময় স্থির থাকে এবং দেশকে একটি নিরাপদ ভবিষ্যত দিতে পারে, দেশকে সমৃদ্ধশালী বানাতে পারে। গরিবদের উন্নয়নের জন্য কাজ করে।’’

    জনগণের ভরসা বিজেপিই

    এদিন শাহ (Amit Shah) আরও বলেন, ‘‘কংগ্রেসের ইস্তাহার প্রকাশিত হওয়ার পরে জনগণ বিজেপির উপরেই ভরসা রাখছে। তার কারণ কংগ্রেসের ইস্তাহারে তাদের পুরনো অভ্যাস দেখা গিয়েছে এবং তা তোষণ নীতি। কংগ্রেসের ইস্তাহার মুসলিম পার্সোনাল ল’য়ের কথা বলছে। আমি রাহুল গান্ধীর কাছে জানতে চাই এই দেশ কি শরিয়া অনুযায়ী শাসিত হবে?’’

    আমাদের সংবিধান একটি ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান

    শাহের (Amit Shah) কথায়, ‘‘আমাদের সংবিধান একটি ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান। যে কোনও নির্দিষ্ট ধর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়ে ওঠেনি। অমিত শাহ বলেন বিজেপি পরিস্কার ভাবে জানিয়েছে, ইস্তাহারে ঘোষণা করেছে যে এদেশে ইউনিফর্ম সিভিল কোড আসবেই।’’ ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, তৃতীয়বারে মোদি সরকার ক্ষমতায় এলে ”এক দেশ এক আইন অর্থাৎ ইউনিফর্ম সিভিল কোড আনা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। এদিন  তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা তিন তালাককে রোধ করেছি। পার্সোনাল ল’ এ দেশে (Amit Shah) বাস্তবায়িত হতে পারে না। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আমি বলছি এবং দেখতে পাচ্ছি নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিচ্ছেন।’’

    আরও পড়ুন: আগ্নেয়াস্ত্র, বিষ্ফোরক উদ্ধারে নামানো হল রোবট, এনএসজি কমান্ডো, আরও চাপে শাহজাহান

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: মনমোহনের পুরানো ভিডিও শেয়ার করে কংগ্রেসকে আক্রমণ শানাল বিজেপি

    BJP: মনমোহনের পুরানো ভিডিও শেয়ার করে কংগ্রেসকে আক্রমণ শানাল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীকে ‘ন্যায়পত্র’ (কংগ্রেসের ইস্তাহার) নিয়ে বোঝাবেন বলে সময় চেয়ে দু’পাতার একটা চিঠি লিখেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। তার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই কংগ্রেসকে নিশানা করল বিজেপি (BJP)। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের করা একটি মন্তব্যের ভিডিও প্রকাশ্যে নিয়ে এল মোদি-শাহ-নাড্ডার দল।

    বিজেপির ‘সিংহ-বাণ’! (BJP)

    ভিডিওটি ২০০৯ সালের এপ্রিল মাসের। তাতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, “সংখ্যালঘুরা, বিশেষত মুসলমান সংখ্যালঘুরা, তাঁরা যদি গরিব হন, তাহলে দেশের সম্পদের ওপর তাঁদের দাবি সর্বাগ্রে।” সম্পদের পুনর্বণ্টনের যে পরিকল্পনার কথা ইস্তাহারে জানিয়েছে কংগ্রেস, তার প্রেক্ষিতেই বিজেপির এই ‘সিংহ-বাণ’। ভিডিওটি (যার সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম) শেয়ার করে ট্যুইট-বার্তায় বিজেপি বলেছে, “লোকসভা  নির্বাচন চলাকালীন মনমোহন সিংহ আবারও তুলেছেন তাঁর সেই বক্তব্য জাতীয় সম্পদের ক্ষেত্রে বিশেষত দরিদ্র মুসলমানদের অগ্রাধিকার থাকা উচিত। তিনি বলেছিলেন যে তিনি তাঁর আগের মন্তব্যে অনড়, যে দেশীয় সম্পদের ওপর প্রথম অধিকার থাকা উচিত মুসলমানদের।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    সম্প্রতি (BJP) কংগ্রেস নেতা শ্যাম পিত্রোদা বলেছিলেন, “আমেরিকার ধাঁচে  এদেশেও চালু করা যেতে পারে কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর পর তাঁর সম্পত্তির ৪৫ শতাংশ হয়ে যাবে দেশের। বাকিটা তাঁর উত্তরসূরীদের।” কংগ্রেস নেতার এহেন মন্তব্যকে হাতিয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। সম্প্রতি এক জনসভায় তিনি অভিযোগ করেছিলেন, মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ কেড়ে নিতে চায় কংগ্রেস। সেই অর্থ অনুপ্রবেশকারী ও বড় পরিবারগুলিকে ভাগ করে দিতে চায় তারা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এর অর্থ হল, তারা সম্পদ সংগ্রহ করবে, আর বিলি করবে তাদের যারা অনুপ্রবেশকারী, অনেক ছেলেমেয়ে আছে। আপনি কি চান আপনার কষ্টার্জিত অর্থ অনুপ্রবেশকারীদের বিলি করা হোক? আপনি কি এটা মেনে নেবেন?  কংগ্রেসের ইস্তাহারে কিন্তু এমনটাই বলা হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: “পরের জন্মে বাংলায় জন্মগ্রহণ করব,” কর্মীদের উচ্ছ্বাস দেখে আপ্লুত মোদি

    এই ইস্যুতে কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন বিজেপি প্রেসিডেন্ট জেপি নাড্ডাও। তাঁর অভিযোগ, এভাবে কংগ্রেস তফশিলি জাতি-উপজাতি এবং অন্যান্য পিছড়েবর্গদের অধিকার কেড়ে নিয়ে মুসলমানদের দিতে চাইছে। কংগ্রেসের এটাই লুকোনো অ্যাজেন্ডা। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তুষ্টিকরণের রাজনীতির অভিযোগ বরাবর করে এসেছে বিজেপি। এবারও তার অন্যথা হয়নি। নাড্ডা বলেন, “তফশিলি জাতি-উপজাতির মানুষ যে সংরক্ষণের সুবিধা ভোগ করেন, মুসলমানদের তা পাইয়ে দিতে (BJP) এভাবে গ্রাউন্ডওয়ার্ক করছে কংগ্রেস।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Murshidabad: ভোটের মুখে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে হাতের একাংশ উড়ল তৃণমূল কর্মীর, শোরগোল

    Murshidabad: ভোটের মুখে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে হাতের একাংশ উড়ল তৃণমূল কর্মীর, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে হাতের একাংশ উড়ল এক যুবকের। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞা থানার মোনাইকান্দারা গ্রামে। এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজনই রাতের অন্ধকারে বোমা বাঁধার কাজ করছিল। সেই বোমা ফেটেই এই বিপত্তি হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞা থানা এলাকার মোনাইকান্দারা গ্রামের বেশ কয়েকজন যুবক স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় পিছনের জঙ্গলে সকেট বোমা বাঁধার কাজ করছিল। তাদের সঙ্গে ছিল বাইরে থেকে আসা ২ বোমা কারিগর। অতিরিক্ত গরম ও তীব্রতা বাড়াতে নির্দিষ্ট মাত্রার থেকেও বেশি পরিমাণ বারুদ ব্যবহার করাতে ব্যাপক শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে, দাবি পুলিশ সূত্রের। বিস্ফোরণের জেরে দুজন জখম হন। এরমধ্যে একজনের হাতের একাংশ উড়ে যায়। গুরুতর জখম হলেন আরও এক জন। সকালে স্থানীয়রা হাতের কয়েকটি আঙুল ছিন্নভিন্ন অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে। মোনাই কান্দারা গ্রামের বাসিন্দা জিন্নাত আলি শেখ নামক ১৯ বছর বয়সী এক যুবকের হাতের বেশ কয়েকটি আঙুল উড়ে গেছে বলে স্থানীয়দের দাবি। এই জিন্নাত কলেজ পড়ুয়া। বিস্ফোরণের শব্দে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। ঘিরে রাখা হয় গোটা এলাকা। সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের ঘটনাস্থলে যেতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি বিস্ফোরণের পরেই আহতদের নিয়ে এলাকা থেকে গা ঢাকা দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। শাসক দলের মদতেই চলছিল এই কারবার। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে গ্রামে যায় পুলিশ। বোমার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়।

    আরও পড়ুন: “মিটিং সেরে ফেরার পথে অস্ত্র নিয়ে হামলা চালাল দলেরই কর্মীরা”, গুরুতর আহত তৃণমূল কর্মী

    জখম যুবকের পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    আহত জিন্নাত আলির এক আত্মীয় বলেন ‘ খাওয়া দাওয়া করে জিন্নাত বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। তার কিছুক্ষণ পরে প্রচন্ড শব্দ হয়। খবর পাই বোমা বিস্ফোরণে অনেকে আহত হয়েছে। জিন্নাতের হাত উড়ে গেছে। আমরা গিয়ে কাউকে দেখতে পাইনি। কোথায় আছে, কারা নিয়ে গেছে কিচ্ছু জানি না। কলেজে পড়া একটা ছেলেকে প্রলোভন দিয়ে এরকম খারাপ কাজে যারা যুক্ত করেছে তাদেরকে গ্রেফতার করুক পুলিশ”।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    কংগ্রেস নেতা আজাদ মল্লিক বলেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালানোর জন্য বোমা তৈরি করছিল। এরপরই বিস্ফোরণ হয়েছে। আমরা দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। আর তৃণমূলের যে নেতার নির্দেশে বোমা বাঁধার কাজ হচ্ছিল, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। অন্যদিকে, বিজেপি নেত্রী অনামিকা ঘোষ বলেন, ভোটে গন্ডগোল করার জন্য বোমা তৈরি করা হচ্ছিল। আমরা দোষীদের শাস্তি দাবি করছি। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দেখছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sarbananda Sonowal: “বিজেপি জমানায় ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য বহুগুণ বেড়েছে”, দাবি সোনোয়ালের

    Sarbananda Sonowal: “বিজেপি জমানায় ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য বহুগুণ বেড়েছে”, দাবি সোনোয়ালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিজেপি জমানায় ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বহুগুণ বেড়েছে।” বুধবার এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল (Sarbananda Sonowal)। এদিন অসমের শিলচরে বিজেপির একটি নির্বাচনী প্রচার সভায় যোগ দিয়েছিলেন সর্বানন্দ। শিলচর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী পরিমল শুক্লাবৈদ্যর সমর্থনে আয়োজন করা হয়েছিল এই জনসভার।

    কী বললেন সোনোয়াল? (Sarbananda Sonowal)

    এই সভায়ই সোনোয়াল বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক স্বাস্থ্যকর। উত্তর-পূর্ব ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভারত সরকার ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতি গ্রহণ করেছে। তাই এই অঞ্চলে স্থায়ী একটি ট্রান্স-শিপমেন্ট উন্নত ব্যবস্থা গড়ে উঠছে। ভুটান থেকে আসা জিনিসপত্রও আসামের মাধ্যমে বাংলাদেশে রফতানি করা যাচ্ছে।” ভারত-বাংলাদেশ ঐতিহাসিক গটবন্ধনের জেরে যে অসমের বরাক উপত্যকা উপকৃত হচ্ছে, তাও মনে করিয়ে দেন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি (Sarbananda Sonowal) বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য করতে গিয়ে যাতে সময়, অর্থ এবং ভ্রমণের খরচ অপচয় না হয়, তাই বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার কালাদান মাল্টামোডাল প্রজেক্টের কাজ করে চলেছে। এই প্রকল্পে কাজ শেষ হলে কলকাতার সঙ্গে দূরত্ব কমবে বরাক উপত্যকার। মায়ানমার এবং মিজোরামের মধ্যে দিয়েই গড়ে উঠবে যোগাযোগ ব্যবস্থা। যার জেরে কলকাতা থেকে বরাক উপত্যকার দূরত্ব কমবে।”

    কংগ্রেসকে তোপ মন্ত্রীর

    সোনোয়াল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারাক নদীকে জাতীয় জলপথ ঘোষণা করেছেন। এ পথেও ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য হবে অনায়াস।” কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী বলেন, “যোগাযোগ ব্যবস্থা সুগম করতে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার ১০ হাজার কোটিরও বেশি টাকা লগ্নি করেছে। এটা করা হয়েছে বারাক উপত্যকায় যাতায়াতের যে সড়ক যোগাযোগ রয়েছে, তার উন্নয়ন করতে। এই কাজ শেষ হলে এই অঞ্চলে পরিবহন বেড়ে যাবে এক লপ্তে বহুগুণ।” তিনি বলেন, “কংগ্রেস জমানায় এটা উপেক্ষিত ছিল। অথচ এটা একটা বাণিজ্যিক হাব হতে পারত। সুগম হতে পারত ভারতের সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্য।”

    আরও পড়ুুন: “মমতা রোহিঙ্গা নন তো?” মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া আক্রমণ করলেন অভিজিৎ

    মোদি সরকারে প্রশংসার পাশাপাশি সোনোয়াল এদিন আক্রমণ শানিয়েছেন কংগ্রেসকেও। অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেসের ছ’দশকের অপশাসনে বারাক উপত্যকার মানুষ প্রচুর কষ্ট ভোগ করেছেন। কংগ্রেস সরকারের উদাসীনতার কারণে এই উপত্যকার মানুষকে অনেক কিছুই সহ্য করতে হয়েছে। কংগ্রেসের এই অপশাসন জন্ম দিয়েছে দুর্নীতির, স্বজন-পোষণ এবং বঞ্চনার (Sarbananda Sonowal)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • BJP: শ্যাম পিত্রোদার ‘উত্তরাধিকার কর’ মন্তব্য ঘিরে উত্তাল রাজনীতি, কংগ্রেসকে তুলোধনা বিজেপির

    BJP: শ্যাম পিত্রোদার ‘উত্তরাধিকার কর’ মন্তব্য ঘিরে উত্তাল রাজনীতি, কংগ্রেসকে তুলোধনা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের ইস্তাহারে (পোশাকি নাম ‘ন্যায়পত্র’) সম্পদের পুনর্বণ্টনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। আর ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেস চেয়ারপার্সন শ্যাম পিত্রোদা (Sam Pitroda) সওয়াল করলেন আমেরিকার মতো ভারতেও চালু হোক উত্তরাধিকার কর। তার পরেই বিজেপি (BJP) তাক করেছে পিত্রোদাকে। পিত্রোদার মন্তব্য একান্তই তাঁর নিজস্ব বলে জানিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস।

    পিত্রোদার মন্তব্য

    সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কংগ্রেসের ইস্তাহার-প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে পিত্রোদা (Sam Pitroda) বলেছিলেন, “সম্পদের পুনর্বণ্টনের যে নীতির কথা বলা হয়েছে ইস্তাহারে, তা ধনীদের জন্য নয়, সাধারণ মানুষের জন্য।” আমেরিকায় চালু উত্তরাধিকার ট্যাক্স ব্যবস্থা সম্পর্কে বলতে গিয়ে পিত্রোদা বলেন, “কারও যদি ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিমাণ সম্পদ থাকে, তাহলে তাঁর মৃত্যুর পর তার মাত্র ৪৫ শতাংশ পেতে পারেন তাঁর উত্তরসূরীরা। বাকি ৫৫ শতাংশ সম্পদ চলে আসবে সরকারের দখলে। এটি একটি সুন্দর আইন। এই আইন আপনাকে বলছে, জীবদ্দশায় আপনি খেটে যে সম্পদ তৈরি করলেন, আপনার মৃত্যুর পর সেই সম্পদের কিছুটা অংশ সাধারণ মানুষের জন্য রেখে গেলেন। তবে পুরোটা নয়, অর্ধেকটা। আমার কাছে বিষয়টা খুব সুন্দর মনে হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: ২জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারিতে ‘সুপ্রিম’ রায়ে পরিবর্তন চেয়ে শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র

    বিজেপির (BJP) নিশানায় কংগ্রেস

    পিত্রোদার (Sam Pitroda) মন্তব্যে দেশজুড়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। সম্পদ হরণকারীদের (কংগ্রেস) সম্পর্কে পদ্ম-পার্টি (BJP) সতর্ক করে দিয়েছে দেশবাসীকে। ট্যুইট-বার্তায় বিজেপির মুখপাত্র জয়বীর সেরগিল বলেন, “কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া = অর্থ হারানো + সম্পদ + যাবতীয় জিনিসপত্র! ভোটাররা সাবধান, এখানে আছে সম্পদ হরণকারীরা।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও নিশানা করেছেন পিত্রোদার মন্তব্যকে। বলেন, “কংগ্রেসের উচিত ইস্তাহারে যে অর্থনৈতিক সার্ভে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তা উইথড্র করা।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “শ্যাম পিত্রোদার মন্তব্যে কংগ্রেসের স্বরূপ প্রকাশ্যে চলে এসেছে। যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিষয়টি তুলেছিলেন, তখন রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিলেন। আমি আশা করি, ইস্তাহার থেকে কংগ্রেস এটা তুলে নেবে।” বিজেপির তরফে ট্যুইট-বার্তায় শেহজাদ পুন্নাওয়ালা বলেন, “ঘটনাচক্রে, গান্ধীরা বিপুল পরিমাণ সম্পদ করেছেন তাঁদের ছেলেমেয়ে এবং নাতি-নাতনিদের জন্য। কিন্তু তাঁরাই আপনার কষ্টার্জিত সম্পদ কেড়ে নিতে চাইছে (BJP)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Hanuman Chalisa: “কংগ্রেস আমলে হনুমান চালিশা শোনাও অপরাধ ছিল”, তোপ মোদির

    Hanuman Chalisa: “কংগ্রেস আমলে হনুমান চালিশা শোনাও অপরাধ ছিল”, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস আমলে হনুমান চালিশা শোনাও অপরাধ বলে গণ্য হত।” মঙ্গলবার, হনুমান জয়ন্তীতে (Hanuman Chalisa) রাজস্থানের টঙ্ক কেন্দ্রের এক জনসভায় এই ভাষাতেই কংগ্রেসকে আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    মোদির নিশানায় কংগ্রেস (Hanuman Chalisa)

    রবিবারই রাজস্থানের বাঁসওয়াড়ায় গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির ইস্তাহারকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “দেশে যাদের সন্তানের সংখ্যা বেশি এবং যারা অনুপ্রবেশকারী, কংগ্রেস তাদের সম্পদ বিলিয়ে দেবে।” প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের জেরে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। নির্বাচন কমিশনের কাছে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’।

    নিশানায় কংগ্রেসের ইস্তাহার

    কংগ্রেসের ইস্তাহারের (Hanuman Chalisa) প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তাদের ইস্তাহারেই লেখা রয়েছে যে তারা সম্পত্তির সমীক্ষা চালাবে। তাদের নেতাই বক্তৃতায় বলছেন, সম্পত্তির এক্স-রে করা হবে। কিন্তু মোদি যখন সে কথা ফাঁস করে দিচ্ছে, তখন আপনাদের গোপন অ্যাজেন্ডা বেরিয়ে পড়েছে। আর আপনারা এখন থরথর করে কাঁপছেন।” তিনি বলেন, “আমি আপনাদের সামনে এই সত্যটা তুলে ধরতে চাই যে কংগ্রেস আপনাদের সম্পত্তি কেড়ে নেওয়ার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র করছে। নির্বাচিত কিছু লোকের হাতে সেই সম্পত্তি তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।”

    আরও পড়ুুন: পালাতে পারে বিদেশে, সন্দেশখালির শাহজাহানের ভাইয়ের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ ইডির

    এর পরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস জমানায় মানুষ নিজের ধর্ম, বিশ্বাস নিয়ে থাকতে পারতেন না। সেই আমলে হনুমান চালিশা শোনাও অপরাধ বলে গণ্য হত।” তিনি বলেন, “দু’তিন দিন আগে আমি কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্কের তোষণমূলক রাজনীতির পর্দা ফাঁস করে দিয়েছি। এতেই কংগ্রেস ও তাদের ইন্ডি জোট প্রচণ্ড রেগে গিয়েছে। তারা এতটাই রেগে গিয়েছে যে, তারা এখন সব সময় মোদিকেই অপমান করছে।” তাঁর দাবি, এই সত্য ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ভয় পেয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। রাজনৈতিক কৌশল লুকোতে চাইছে তারা (Hanuman Chalisa)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok sabha elections 2024: ‘ইন্ডি’ জোটকে ‘ঝগড়ুটে জোট’ আখ্যা বিজেপির, কেন জানেন?

    Lok sabha elections 2024: ‘ইন্ডি’ জোটকে ‘ঝগড়ুটে জোট’ আখ্যা বিজেপির, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ইন্ডি’ জোটে যে ফাটল ধরেছে, তার প্রমাণ মিলছিল ঢের আগেই। ‘ইন্ডি’ জোটের অন্দরে সাম্প্রতিক এক ঘটনার উল্লেখ করে রবিবার জোটকে একহাত নিল (Lok sabha elections 2024) বিজেপি। দিন কয়েক আগে ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে সমাবেশ হচ্ছিল ইন্ডি জোটের। সেখানে আচমকাই হাতাহাতি শুরু হয় লালু প্রসাদ যাদবের দল আরজেডি এবং কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে।

    রবিশঙ্করের নিশানায় ‘ইন্ডি’ (Lok sabha elections 2024)

    ‘ঘরোয়া এই দ্বন্দ্বে’র উল্লেখ করে ‘ইন্ডি’ জোটকে নিশানা করেন বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, “ওঁরা নিজেদের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি করছেন।” ‘ইন্ডি’ জোটকে তিনি ‘ঝগড়ুটে জোট’ বলেও দেগে দিয়েছেন। রবিশঙ্কর বলেন, “আজ রাঁচিতে ইন্ডি জোটের দুই শরিক কংগ্রেস এবং আরজেডি কর্মীরা নিজেদের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি করছেন। আমরা অনেক আগেই বলেছিলাম যে এই জোট ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে গঠন করা হয়েছে। ওদের মধ্যে (আরজেডি এবং কংগ্রেস) মাঝে-মধ্যেই সংঘর্ষ হচ্ছে। লোকজন জখম হচ্ছেন। ওঁদের মধ্যে ঐক্য কোথায়? ওঁরা নিজেরাই যখন ঐক্যবদ্ধ নন, তখন কীভাবে দেশকে এক সুতোয় বেঁধে রাখবেন?”

    ‘মোদিকেই ফের প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চাইছে দেশ’

    ‘ইন্ডি’ জোটকে নিশানা করে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বলেন, “দুর্নীতির অভিযোগে ওঁদের অনেকেই জেলবন্দি। দেশ নরেন্দ্র মোদিকেই ফের প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চাইছে। তারা চাইছে একটা স্থায়ী সরকার। এই যখন দেশবাসীর ইচ্ছে, তখন কী এহেন ঝগড়ুটে একটা জোট দেশ চালাতে পারবে?”

    আরও পড়ুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় বাতিল ২৩ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি

    রবিবার ‘ইন্ডি’ জোটকে নিশানা করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও। তিনি বলেন, “‘ঘমণ্ডিয়া’ (উদ্ধত) পার্টিগুলোর নেতারা হয় জেলে নয় বেলে(জামিনে) রয়েছে।” তিনি বলেন, “বিজেপিই দেশের একমাত্র রাজনৈতিক দল, গণতন্ত্রের প্রতি যার শ্রদ্ধা রয়েছে। এই দলই সাধারণ পরিবার থেকে লোকজন আনে, তাঁদের নেতা বানায়।” নাড্ডা বলেন, “অন্য দিকে, ইন্ডিয়া নামে রয়েছে ঘমণ্ডিয়া জোট। আর বিজেপিতে গণতন্ত্র রয়েছে। এই দল সাধারণ পরিবার থেকে নেতা তুলে আনে।”

    বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, “ফারুক আবদুল্লা-ওমর আবদুল্লা, মুফতি মহম্মদ সঈদ-মেহবুবা মুফতি, চৌটালা পরিবার, মূলায়ম-অখিলেশ-ডিম্পল যাদব পরিবার, লালু-রাবড়ি-তেজস্বী-তেজপ্রতাপ যাদবের পরিবার – এসবই পরিবার সর্বস্ব রাজনীতির উদাহরণ (Lok sabha elections 2024)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share