Tag: congress

congress

  • Nadia: ভোটের মুখে স্ত্রী-সন্তানের সামনেই তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন, শোরগোল

    Nadia: ভোটের মুখে স্ত্রী-সন্তানের সামনেই তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখেই আট বছরের সন্তান ও স্ত্রীর সামনেই নদিয়ার (Nadia) নাকাশিপাড়ায় তৃণমূল কর্মীকে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম জাহিদুল শেখ। তিনি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সাগিরা বিবির স্বামী। তিনিও স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন। এই ঘটনায় পুলিশ কয়েকজনকে আটক করেছে। ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, লোকসভা ভোটের আগে এই খুনের ঘটনায় যথেষ্ট আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নাকাশিপাড়ার (Nadia) তৃণমূল কর্মী নিজেদের গাড়িতে ইদের বাজার করতে গিয়েছিলেন। গাড়িতে চালক ছাড়া আর তিন জন অর্থাৎ জাহিদুল ও তাঁর স্ত্রী- পুত্র ছিলেন। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা মাঝ রাস্তায় প্রথমে বোমাবাজি, পরে খেজুর গাছের গুড়ি রাস্তায় ফেলে তাঁদের গাড়ি আটকায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গাড়ির মধ্যে ধারাল অস্ত্র নিয়ে ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতীরা। গাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে বার করে এনে তাঁকে কোপাতে থাকে বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন জাহিদুল। অভিযোগ, তারপরও তাঁকে আরও কোপানো হয়। আট বছরের সন্তানের সামনেই এসব চলতে থাকে। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁর স্ত্রী। ধারাল অস্ত্রের আঘাত তাঁর শরীরেও পড়ে। আক্রান্ত হয় আট বছরের ছোট সন্তানও। স্থানীয় বাসিন্দারাই আর্তনাদ শুনতে পেয়ে ছুটে আসেন। আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় বেথুয়াডহরি হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকিরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

    আরও পড়ুন: “মহিলা-তরুণদের কাছে যান”, ভিডিও-বার্তায় বঙ্গ বিজেপিকে নির্দেশ মোদির

    পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    এ বিষয়ে মৃত জাহিদুল শেখের ভাইপো বাসির শেখ বলেন, আমার কাকা এবং তার পরিবারকে নিয়ে যখন ঈদের বাজার করে বেথুয়া থেকে বাড়ি ফিরছিল, ঠিক তখনই তাদেরকে রাস্তা আটকানো হয় এবং বোমাবাজি করা হয়। পরবর্তীকালে এলোপাথাড়ি কোপায় দুষ্কৃতীরা। তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটালো সেই সম্পর্কে আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sanjay Nirupam: কংগ্রেস থেকে ছ’বছরের জন্য বহিষ্কার সঞ্জয় নিরুপম, যোগ দিচ্ছেন শিন্ডে-শিবিরে?

    Sanjay Nirupam: কংগ্রেস থেকে ছ’বছরের জন্য বহিষ্কার সঞ্জয় নিরুপম, যোগ দিচ্ছেন শিন্ডে-শিবিরে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে দল থেকে বহিষ্কার করা হল মুম্বই কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সঞ্জয় নিরুপম (Sanjay Nirupam)। ছ’বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে তাঁকে। লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রের তারকা প্রচারক তালিকা থেকে আগেই বাদ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। এবার করা হল বহিষ্কার। মুম্বইয়ে আসন সমঝোতা নিয়ে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনার আচরণে ক্ষুব্ধ নিরুপম প্রকাশ্যে দলবিরোধী মন্তব্য করেছিলেন। তার জেরেই বহিষ্কার করা হল তাঁকে।

    কংগ্রেসের প্রার্থী হওয়া নিয়ে অশান্তি! (Sanjay Nirupam) 

    মুম্বইয়ের একটি আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন নিরুপম (Sanjay Nirupam)। আপত্তি জানায় উদ্ধবের দল। তার পরেই উদ্ধবের বিরুদ্ধে খাদ্য দুর্নীতির অভিযোগে সরব হন তিনি। এর পরেই পদক্ষেপ করেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রথম জীবনে বালাসাহেব ঠাকরের শিবসেনা দল করতেন নিরুপম। পরে যোগ দেন কংগ্রেসে। প্রথমে রাজ্যসভা ও ২০০৯ সালে মুম্বই উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ হন তিনি। ২০১৪ ও তার পরের লোকসভা নির্বাচনে গোহারা হারেন নিরুপম। তার পরেও দলে তাঁর গুরুত্ব বিশেষ কমছিল না। দিন কয়েক আগে প্রকাশ্যে দলীয় অবস্থানের বিরুদ্ধে গিয়ে মন্তব্য করায় বহিষ্কার করা হয় তাঁকে।

    শিন্ডে শিবিরে যোগ দিচ্ছেন নিরুপম?

    জানা গিয়েছে, কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে খবর পেয়েই শিন্ডে শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নিরুপম। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, শিন্ডে শিবিরেই যোগ দিচ্ছেন নিরুপম। যদিও এ ব্যাপারে তিনি নিজে কিছু বলেননি। মুম্বইয়ের একটি আসন থেকে শিন্ডের দল নিরুপমকে টিকিট দেবে বলেও জল্পনা ছড়িয়েছে। জল্পনার কারণও রয়েছে, কারণ মুম্বইয়ের ওই আসনে এখনও কোনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি শিন্ডে শিবির (Sanjay Nirupam)।

    আরও পড়ুুন: কেন বিজেপিতে? ‘কৈফিয়ত’ দিলেন অভিজিৎ, কী লিখলেন জানেন?

    প্রসঙ্গত, উনিশের লোকসভা নির্বাচনে উত্তর-পশ্চিম মুম্বই কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন নিরুপম। সেবার তিনি পরাস্ত করেছিলেন শিন্ডে শিবিরের প্রার্থীকে। এবার সেই শিন্ডে শিবিরেই নাম লেখাচ্ছেন তিনি। কংগ্রেসের প্রচারকের তালিকা থেকে বাদ পড়ার পরেও গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিকে একহাত নিয়েছিলেন নিরুপম। বলেছিলেন, “নিজেকে বাঁচানোর জন্য নিজের কর্মশক্তি ব্যবহার করা উচিত ওদের (কংগ্রেসের)। কারণ চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখে রয়েছে কংগ্রেস। আমি দলকে যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলাম, সেটার মেয়াদ আজ (বুধবার) শেষ হল। আগামিকাল (বৃহস্পতিবার) আমার পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে করব (Sanjay Nirupam)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Vijender Singh: অলিম্পিক্সে পদক জয়ী প্রথম ভারতীয় বক্সার বিজেন্দ্র কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে

    Vijender Singh: অলিম্পিক্সে পদক জয়ী প্রথম ভারতীয় বক্সার বিজেন্দ্র কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসের ১৯ তারিখে শুরু হচ্ছে দেশের প্রথম দফার লোকসভা ভোট। তার আগে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন অলিম্পিক্সের পদক জয়ী প্রথম ভারতীয় বক্সার বিজেন্দ্র সিং। বুধবারই দিল্লিতে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওড়ের হাত ধরে তিনি পদ্ম শিবিরে সামিল হন। বিজেপিতে যোগ দিয়ে বিজেন্দ্র সিং (Vijender Singh) বলেন, ‘‘দেশ এবং দেশবাসী স্বার্থে কাজ করতে চাই, তাই এমন সিদ্ধান্ত।’’ প্রসঙ্গত ২০০৮ সালের অলিম্পিক্স অনুষ্ঠিত হয়েছিল বেজিংয়ে। সেখানেই ব্রোঞ্জ পদক জেতেন বক্সার বিজেন্দ্র সিং। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে তিনি কংগ্রেসের যোগ দিয়েছিলেন।

    ২০১০ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কার পান বিজেন্দ্র

    হরিয়ানার বাসিন্দা বিজেন্দ্র সিংকে (Vijender Singh) দক্ষিণ দিল্লিতে প্রার্থী করে কংগ্রেস। ২০১৯-এর নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে তার ভরাডুবি হয়। তৃতীয় স্থানে নেমে যান তিনি। বিজেপির রমেশ বিধুরি, আম আদ আদমি পার্টির রাঘব চাড্ডার পরে তৃতীয় স্থানে নেমে যান বিজেন্দ্র সিং। তিনি রাজীব গান্ধী খেলরত্ন পুরস্কারও লাভ করেছেন। ২০১০ সালেই তিনি পান পদ্মশ্রী পুরস্কার। কংগ্রেস সূত্রে খবর মিলেছিল, ২০২৪ সালে নির্বাচনে মথুরা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হেমা মালিনীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল বিজেন্দ্রর। কিন্তু এদিন সেই সমস্ত পরিকল্পনাতে জল ঢেলে দিলেন বিজেন্দ্র নিজেই।

    কী বললেন বিজেন্দ্র সিং?

    বিজেপিতে যোগ দিয়ে বিজেন্দ্র (Vijender Singh) বলেন, ‘‘হ্যাঁ, আমি ২০১৯ সালে কংগ্রেসের হয়ে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলাম। পরাজিত হয়েছিলাম। আমি চাই দেখের উন্নয়নের জন্য কিছু করতে। তাই ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মানুষের ভালো করতে চাই আমি।’’কুস্তিগীরদের আন্দোলন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই বক্সার বলেন, ‘‘আমি সর্বদা ভুলকে ভুল এবং সঠিককে সঠিক বলে এসেছি। এখনও তাই করব। ভারতীয় জনতা পার্টিতে থাকলে আমি দেশের খেলোয়াড়দের আরও উন্নতি করতে পারব।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Congress News: পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল কংগ্রেস

    Congress News: পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল কংগ্রেস। বেশ কয়েকটি রাজ্যের প্রার্থীদের নাম মঙ্গলবার ঘোষণা করে হাত শিবির। কংগ্রেসের (Congress News) ঘোষণা করার প্রার্থী তালিকায় দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম রয়েছে। এই আসন থেকে হাত চিহ্নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মুণিশ তামাং। ওড়িশারও বেশ কয়েকটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে শতাব্দীপ্রাচীন দলটি।

    দার্জিলিং আসন ২০০৯ থেকেই বিজেপির দখলে

    এদিন পশ্চিমবঙ্গের  দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করল কংগ্রেস। ২০০৯ সাল থেকেই এই কেন্দ্রটি বিজেপির দখলে রয়েছে। সে বছর জয়লাভ করেন এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী যশবন্ত সিং। ২০১৪ সালে ওই কেন্দ্রে জয়ী হন সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। ২০১৯ সালে দার্জিলিং কেন্দ্র থেকে জয়ী হন রাজু বিস্ত। ২০২৪ সালে রাজু বিস্তের ওপরেই ভরসা রেখেছে গেরুয়া শিবির। বেশিরভাগ সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, দার্জিলিং আসনে বিজেপির জয় নিশ্চিত। তৃণমূল কংগ্রেস লোকসভা ভোটের ময়দানে দার্জিলিং কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে গোপাল লামাকে। এবার সেই আসনে প্রার্থী দিল কংগ্রেস (Congress News)। রাজ্যে বাম কংগ্রেসের জোট রয়েছে, তাই স্বাভাবিকভাবে দার্জিলিং আসনে বামফ্রন্টের কোনও প্রার্থী থাকবে না।

    দার্জিলিঙে কংগ্রেসের প্রার্থী জট

    এদিন মোট ১৭ আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন কংগ্রেসের নেতৃত্ব। যদিও দার্জিলিং আসন নিয়ে জট কম হয়নি। একদা গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা এবং পরবর্তীকালে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা বিনয় তামাং কংগ্রেসের যোগদান করেন টিকিটের দাবিতে। প্রার্থী ঘোষণায় (Congress News) দেরি হওয়াতেও তিনি ক্ষোভ উগরে দেন দলের বিরুদ্ধে। এরই মাঝে দেখা গেল মুণিশ তামাং কংগ্রেসে যোগ দিয়ে টিকিট পেলেন। আগেই বিনয় তামাং হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, মুণিশ তামাং টিকিট পেলে তিনি দল ছাড়বেন। এখন দেখার তিনি দল ছাড়েন কিনা।

     

    আরও পড়ুুন: ভোট লুটেরারা হুঁশিয়ার!!! বাংলার সব বুথেই ওয়েব কাস্টিং, এআই প্রযুক্তি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: কচ্ছতিভু ইস্যুতে কংগ্রেসের পর ডিএমকে-কে নিশানা মোদির, সরব জয়শঙ্করও

    PM Modi: কচ্ছতিভু ইস্যুতে কংগ্রেসের পর ডিএমকে-কে নিশানা মোদির, সরব জয়শঙ্করও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস এবং ডিএমকে একজোট হয়ে এই কাজ (কচ্ছতিভু দ্বীপ হস্তান্তর) করেছিল।” রবিবার কংগ্রেসকে নিশানার পর সোমবার ডিএমকে-কে আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ইন্দিরা জমানায় কচ্ছতিভু দ্বীপ তুলে দেওয়া হয়েছিল শ্রীলঙ্কার হাতে। তার পর থেকে ওই অঞ্চলে মাছ ধরতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হন তামিল মৎস্যজীবীরা। সম্প্রতি ওই দ্বীপটি শ্রীলঙ্কার হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তার পরেই কংগ্রেসকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী।

    মোদির নিশানায় ডিএমকে (PM Modi)

    এদিন আক্রমণ শানালেন ডিএমকে-কে। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “সব কিছু এক দিকে সরিয়ে রাখলাম। কিন্তু তামিলনাড়ুর স্বার্থেও ডিএমকে কোনও পদক্ষেপ করেনি। কচ্ছতিভু নিয়ে যে নয়া তথ্যগুলি উঠে আসছে, তাতে ডিএমকের দ্বিচারিতার মুখোশ খুলে পড়ছে। কংগ্রেস এবং ডিএমকে একজোট হয়ে এই কাজ করেছিল। তারা কেবলমাত্র নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করে। আর কারও জন্য ওদের কোনও চিন্তা নেই। কচ্ছতিভু নিয়ে তাদের নির্মম সিদ্ধান্ত আমাদের গরিব মৎস্যজীবীদের ওপর প্রভাব ফেলেছে।”

    আক্রমণ শানালেন জয়শঙ্করও

    কচ্ছতিভু দ্বীপ হস্তান্তর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) মতো কংগ্রেস এবং ডিএমকে-কে তাক করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও। তিনি বলেন, “১৯৭৪ সালে ভারত ও শ্রীলঙ্কা একটি সমঝোতা করেছিল। একটি সামুদ্রিক সীমানা তৈরি করা হয়েছিল সেই সময়। আর ভারতের অংশ কচ্ছতিভু দ্বীপকে সীমানার ওপ্রান্তে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।” তিনি বলেন, “কংগ্রেস এবং ডিএমকে এই কচ্ছতিভু মামলা নিয়ে কোনও দায়িত্বই নিতে চায়নি। আমরা জানি এই কাণ্ড কে ঘটিয়েছিলেন। কেইবা বিষয়টি চেপে দিয়েছিলেন।”

    তিনি বলেন, “গত ২০ বছরে ৬ হাজার ১৮৪ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী শ্রীলঙ্কায় আটক হয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে ১ হাজার ১৭৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীর নৌকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার উদ্যোগী হয়ে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের ছাড়িয়ে নিয়ে এসেছে। গত পাঁচ বছর ধরে কচ্ছতিভু দ্বীপের বিষয়টি একাধিকবার আলোচনা হয়েছে সংসদে।” বিদেশমন্ত্রী বলেন, “কচ্ছতিভু কংগ্রেসের কাছে নিছকই একটা ছোট্ট দ্বীপ। তারা এর গুরুত্বই বুঝতে পারেনি (PM Modi)।”

    আরও পড়ুুন: “যাঁরা এটা নিয়ে নাচানাচি করছেন, তাঁদের পস্তাতে হবে”, কাকে খোঁচা মোদির?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Congress: কংগ্রেসের বকেয়া আয়কর আদায়ে ভোটের মধ্যে কঠোর পদক্ষেপ নয়, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

    Congress: কংগ্রেসের বকেয়া আয়কর আদায়ে ভোটের মধ্যে কঠোর পদক্ষেপ নয়, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে স্বস্তিতে কংগ্রেস (Congress)। ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বকেয়া আয়কর আদায়ে এখনই কোনও কড়া পদক্ষেপ করা হবে না বলে সুপ্রিম কোর্টে জানিয়ে দিল আয়কর দফতর। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আয়কর দফতরের পক্ষে সওয়াল করেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা।

    কী বললেন সলিসিটর জেনারেল?

    তিনিই জানান, কংগ্রেসের বকেয়া ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার আয়কর উদ্ধার করতে লোকসভা নির্বাচনের আগে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে চায় না আয়কর দফতর। তিনি বলেন, “২০২৪ সালে তাদের (কংগ্রেস) ২০ শতাংশ আয়কর দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তার পর ১৩৫ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। পরে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা চাওয়া হয়। এখন গোটা বিষয়টি নির্বাচনের পরবর্তী সময়ের জন্য তোলা রইল। ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা কোনও পদক্ষেপ করব না।”

    নোটিশ সোনিয়ার দলকে

    শুক্রবারই ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা চেয়ে আয়কর দফতর নোটিশ পাঠিয়েছিল সোনিয়া গান্ধীর দলকে। এর পর চব্বিশ ঘণ্টাও কাটেনি ফের দু’টি নোটিশ পায় গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। তার পরেই কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে ‘কর সন্ত্রাসে’র অভিযোগে সরব হয় কংগ্রেস (Congress)। বকেয়া আয়কর বাবদ ৩ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে, জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হয় কংগ্রেস।

    সোমবার শুনানির জন্য মামলাটি ওঠে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিভি নাগরত্নের বেঞ্চে। কংগ্রেসের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। আদালতে তিনি বলেন, “আমরা কোনও লাভজনক সংস্থা নই। আমরা একটি রাজনৈতিক দল।” প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হবে ৪ জুন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৪ জুলাই। তাই ততদিন পর্যন্ত স্বস্তিতেই রইল কংগ্রেস।

    আরও পড়ুুন: আরও এক বছর সস্তায় মিলবে গ্যাস, ভর্তুকি কত জানেন?

    কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ, পর পর কয়েকটি অর্থবর্ষে নির্বাচনী বন্ড বা অন্য খাতে যা আয় করেছে, তাতে কর ফাঁকি দিয়েছে কংগ্রেস। সোনিয়ার দলকে নোটিশ পাঠিয়ে সেই টাকাই চেয়েছিল আয়কর দফতর। জরিমানা-সহ ওই টাকা দিতে গেলে নির্বাচনের আগে বিপাকে পড়তে হত গ্রান্ড ওল্ড পার্টিকে। কারণ, ক্ষয়িষ্ণু দল হওয়ায় কংগ্রেসের (Congress) রোজগার আঞ্চলিক দল তৃণমূলের চেয়েও কম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Congress: আরও দু’টি আয়কর নোটিশ কংগ্রেসকে, গাড্ডায় সোনিয়ার দল

    Congress: আরও দু’টি আয়কর নোটিশ কংগ্রেসকে, গাড্ডায় সোনিয়ার দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও দু’টি আয়কর নোটিশ পেল কংগ্রেস (Congress)। শনিবার এমনই দাবি করা হয়েছে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির তরফে। কংগ্রেসের দাবি, ২০১৪-’১৫ ও তার পরের অর্থবর্ষের জন্য আয়কর দফতর জরিমানা ধার্য করেছে ১ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। এর আগে ১৯৯৪-’৯৫ অর্থবর্ষ এবং ২০১৭-’১৮ থেকে ২০২০-’২১ অর্থবর্ষের জন্যও নোটিশ পাঠিয়েছিল আয়কর দফতর। সব মিলিয়ে কংগ্রেসকে জরিমানা বাবদ আয়কর দফতরে দিতে হবে ৩ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা।

    সোনিয়া গান্ধীর দলকে নোটিশ (Congress)

    বৃহস্পতিবারই ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা চেয়ে আয়কর দফতর নোটিশ পাঠিয়েছিল সোনিয়া গান্ধীর দলকে (Congress)। তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই ফের পাঠানো হল নোটিশ। কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেন, “শনিবার কংগ্রেসের দফতরে আবারও দু’টি আয়কর নোটিশ এসে পৌঁছেছে।” প্রসঙ্গত, শনিবারই কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন, কংগ্রেসকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। বিরোধী নেতাদের জেলে ভরে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে বিজেপি কোটি কোটি টাকা চাঁদা পকেটে পুরে ভোট বৈতরণী পার হতে চাইছে মোদি সরকার।

    অশনি সঙ্কেত দেখছে কংগ্রেস

    তার পরে পরেই আয়কর দফতরের তরফে ফের নোটিশ পাঠানোয় অশনি সঙ্কেত দেখছে কংগ্রেস। শুক্রবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ‘কর সন্ত্রাসে’র অভিযোগ এনেছিলেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁরা নিশানা করেছিলেন বিজেপিকে। বলেছিলেন, কর সন্ত্রাস চালাচ্ছে মোদি সরকার।

    জানা গিয়েছে, প্রায় দশ বছরের ফাইল বের করে কংগ্রেসকে নোটিশ পাঠিয়েছে আয়কর দফতর। সেই নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে রিঅ্যাসেসমেন্ট দাবি করে মামলা করা হয়েছিল কংগ্রেসের তরফে। বৃহস্পতিবার সেই মামলা খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। তার পরেই ফের পাঠানো হয় নোটিশ। আয়কর বিভাগের একটি সূত্রের দাবি, পর পর কয়েক বছরে নির্বাচনী বন্ড বা অন্যান্য খাতে কংগ্রেস যে অর্থ আয় করেছে, তাতে কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের (Congress) কাছে সেই টাকাই চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ধার্য করা হয়েছে জরিমানাও।

    আরও পড়ুুন: “এটা পরিবার বাঁচাও, দুর্নীতি লুকাও সমাবেশ”, ‘ইন্ডি’ জোটকে নিশানা বিজেপির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “শ্রীলঙ্কাকে কচ্ছতিভু দ্বীপ দিয়েছিল কংগ্রেস, ওদের বিশ্বাস নেই”, তোপ মোদির

    PM Modi: “শ্রীলঙ্কাকে কচ্ছতিভু দ্বীপ দিয়েছিল কংগ্রেস, ওদের বিশ্বাস নেই”, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেসকে বিশ্বাস করবেন না। ওরা শ্রীলঙ্কার হাতে তুলে দিয়েছিল কচ্ছতিভু দ্বীপ।” রবিবার বোমা ফাটালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “চোখ খুলে দেওয়া ও চমকে ওঠার মতো বিষয়। নয়া তথ্য উঠে এসেছে। তাতে ফাঁস হয়ে গিয়েছে, দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে কচ্ছতিভু দান করে দেওয়া হয়েছিল। এতে প্রত্যেক ভারতীয় ক্ষুব্ধ। মানুষ বুঝে গিয়েছে, আমরা কখনও কংগ্রেসকে ভরসা করতে পারব না।”

    আরটিআইয়ে কী জানা গেল? (PM Modi)

    তামিলনাড়ুর বিজেপি প্রধান কে আন্নামালাই তথ্য জানার অধিকার আইনে জানতে চেয়েছিলেন, কীভাবে শ্রীলঙ্কার হাতে ‘মা ভারতীর’ অংশ কচ্ছতিভু দ্বীপ তুলে দিয়েছিলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করার পর তিনি জানতে পারেন, ১৯৭৪ সালে ইন্দো-শ্রীলঙ্কা সামুদ্রিক চুক্তির মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার হাতে ১৬৩ একরের কচ্ছতিভু দ্বীপ তুলে দিয়েছিল ইন্দিরা গান্ধী সরকার। সেই সময় ভারত সরকারের তরফে বলা হয়েছিল, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। তথ্য জানার অধিকার আইনে দ্বীপ হস্তান্তরের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর কংগ্রেসকে তোপ দেগেছেন প্রধানমন্ত্রী।

    কচ্ছতিভু দ্বীপ

    তথ্য জানার অধিকার আইনে জানা গিয়েছে, ১৯৬০ সালে ভারতের তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল এসম সি সেতালবাদ জানিয়েছিলেন, কচ্ছতিভু দ্বীপের বিষয়টি (PM Modi) নিয়ে দিনের আলোর মতো স্বচ্ছতা না থাকলেও, ওই দ্বীপের ওপর ভারতের বেশি অধিকার আছে। ভারতের হাতেই কচ্ছতিভু দ্বীপ রাখার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন সেতালবাদ। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তৎকালীন যুগ্ম সচিব কে কৃষ্ণ রাও জানিয়েছিলেন, কচ্ছতিভু দ্বীপ নিয়ে শ্রীলঙ্কা যে দাবি করছে, সেটার মজবুত ভিত্তি আছে। তবে কচ্ছতিভু দ্বীপে মাছ ধরার অধিকার পওয়ার জন্য ভারতের হাতে আইনি সুযোগ আছে বলেও সওয়াল করেছিলেন কে কৃষ্ণ রাও। যদিও এখনও কচ্ছতিভু দ্বীপ অঞ্চলে মাছ ধরতে গেলে তামিল মৎস্যজীবীদের ধরপাকড় করে (PM Modi) শ্রীলঙ্কা। অথচ ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলে নির্বিঘ্নে মাছ ধরতে পারতেন তামিল মৎস্যজীবীরা। 

    আরও পড়ুুন: অনুব্রতের গড়ে বিজেপির প্রার্থী প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধর, প্রধান ইস্যু ‘ল অ্যান্ড অর্ডার’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: “২০২৬ এর মধ্যে অসম কংগ্রেসে হিন্দু থাকবেন না”, বললেন হিমন্ত

    Himanta Biswa Sarma: “২০২৬ এর মধ্যে অসম কংগ্রেসে হিন্দু থাকবেন না”, বললেন হিমন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “২০২৬ সালের মধ্যে অসম কংগ্রেসে কোনও হিন্দু থাকবেন না।” লোকসভা নির্বাচনের প্রক্কালে কথাগুলি বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। শনিবার গুয়াহাটিতে রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে গিয়েছিলেন হিমন্ত। লোকসভা নির্বাচনে দলের প্রস্তুতি কেমন, তা খতিয়ে দেখতেই সদর দফতরে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। পরে নিশানা করেন কংগ্রেসকে।

    কী বললেন হিমন্ত? (Himanta Biswa Sarma)

    হিমন্ত বলেন, “২০২৬ সালের মধ্যে অসমে কোনও হিন্দু কংগ্রেসে থাকবেন না। আর ২০৩২ সালের মধ্যে প্রায় সব মুসলমানও কংগ্রেস ছেড়ে দেবেন। রাজীব ভবনে মহানগর বিজেপির শাখা খুলব আমরা। আগামিকাল (আজ, রবিবার) অনেক কংগ্রেস নেতা বিজেপিতে যোগ দেবেন।” তিনি বলেন, “গুয়াহাটিতে রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে ১২৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রভারিষদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। এদিনই কংগ্রেসের তিনজন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বাকি কয়েকজন যোগ দেবেন রবিবার। আমি মাজুলিতে যাব। পয়লা এপ্রিল সেখানে সাইকেল মিছিল দিয়ে আমি লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করব।”

    ‘মুসলমান সমাজ সংস্কার করার চেষ্টা’

    মুসলমানদের উন্নয়নে যে তাঁর সরকার কাজ করছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma)। বলেন, “মুসলমানদের সমাজ সংস্কার করার চেষ্টা আমি করছি। অনেক মুসলমান যুবক আমায় সমর্থন করছেন। সেটা আপনারা ফেসবুকেই দেখতে পাবেন। তাঁরা একে স্বাগতও জানাচ্ছেন। কেউই এখনও এর বিরোধিতা করেননি।” লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জোড়হাট কেন্দ্রে জয়ী হবে বলেও আশাবাদী হিমন্ত। বলেন, “একটা অংশ আমার বিরুদ্ধে বিরূপ পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। কিন্তু আসল সত্যটা সম্পূর্ণ ভিন্ন।”

    কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ

    এদিকে, শনিবারই কংগ্রেস ছেড়ে তিন নেতা যোগ দিলেন অসম বিজেপিতে। এঁরা হলেন অসম প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মানস বোরা, গৌরব গগৈ এবং অসম প্রদেশ কংগ্রেসের আর এক সাধারণ সম্পাদক গৌরব সোমানি। দলীয় নেতৃত্বকে পাঠানো ইস্তফাপত্রে মানস লিখেছেন, “আমি মনে করি নতুন সুযোগ কাজে লাগানোর এটাই আমার কাছে সেরা সুযোগ। এলাকাবাসী এবং রাজ্যের কল্যাণেই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” ইস্তফাপত্রে সোমানি আবার দুষেছেন (Himanta Biswa Sarma) দলের রাজ্য নেতৃত্বকেই।

    আরও পড়ুুন: “গোপাল ভাঁড়কে খুন করেছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র”, দাবি মন্ত্রীর, মামলার হুমকি রানিমার

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Election Commission: ভোট প্রচারে বিশ্বকাপের ছবি! ইউসুফের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ কমিশনের

    Election Commission: ভোট প্রচারে বিশ্বকাপের ছবি! ইউসুফের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ের ছবি ব্যবহার। আর তাতেই বিতর্কে জড়ালেন বহরমপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ( Election Commission) কাছে প্রার্থীর বিরুদ্ধে নালিশ জানায় বিরোধীরা। এবার সেই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপও নিতে দেখা গেল কমিশনকে। বিশ্বকাপের ছবি ভোটের প্রচারে ব্যবহার করা যাবে না, এ কথা সাফ জানিয়েছে কমিশন।

    সচিন তেন্ডুলকরের ছবি ব্যবহারেরও অভিযোগ

    উল্লেখ্য, অধীর-গড় বলেই পরিচিত বহরমপুর। সেখানে তৃণমূলের বাজি ভারতীয় ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। অন্যদিকে বিজেপিও নামিয়েছে জবরদস্ত প্রার্থী ডাক্তার নির্মলকুমার সাহাকে। বেশ কয়েকটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, বিজেপি ৩১ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জিততে চলেছে ওই কেন্দ্র। অন্যদিকে ৩১ শতাংশ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকবে তৃণমূল। বহরমপুরের রবিনহুড অধীরের তৃতীয় স্থানে নেমে আসার প্রবল সম্ভাবনা। এই আবহে বহরমপুরে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সব দলই। সম্প্রতি, ইউসুফের নির্বাচনী প্রচারের একটি ফ্লেক্সে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ের বিভিন্ন মুহূর্ত তুলে ধরা হয়। বিশ্বকাপ ( Election Commission) হাতে ইউসুফের ছবি দেখা যায়, সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে ইউসুফের ছবিও দেখা যায়।

    ব্যক্তিগত স্বার্থ পূরণের উদ্দেশেই বিশ্বকাপের ছবি ব্যবহার!

    আর এই ফ্লেক্সকে নিয়েই তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল বিরোধীরা। অভিযোগ জানানো হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের কাছে। বলা হয়, ব্যক্তিগত স্বার্থ পূরণের উদ্দেশেই বিশ্বকাপের ছবি ব্যবহার করছেন ইউসুফ পাঠান। সঙ্গে এটাও বলা হয়েছিল, ভারতরত্ন সচিন তেন্ডুলকরের নাম ও ছবি ব্যবহার করে সাধারণ ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই অভিযোগ পাওয়া মাত্রই সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপও করেছিল কমিশন ( Election Commission)। জেলাশাসকের থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছিল। আর এবার কমিশনের থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, কোনওভাবেই বিশ্বকাপের ওই ধরনের ছবি আর ব্যবহার করা যাবে না নির্বাচনী প্রচারে।

    ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে নিজের ইমেজ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন ইউসুফ!

    তবে পাল্টা বিবৃতি দিয়েছেন ইউসুফ পাঠানও। তাঁরও বক্তব্য, বিশ্বকাপের সঙ্গে তাঁর ছবি রয়েছে কারণ তিনি বিশ্বকাপ জিতেছেন। তবে ওয়াকিবহাল মহল বলছে, ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে নিজের ইমেজ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন ইউসুফ। কারণ বিশ্বকাপ জয় একার কৃতিত্ব নয়, তা দলগত প্রয়াস। ইউসুফকে এও বলতে শোনা গিয়েছে, তিনি নাকি পরিশ্রম করে এটা অর্জন করেছেন। প্রসঙ্গত নির্বাচন কমিশনে হাজার হাজার অভিযোগ জমা পড়লেও বহরমপুর কেন্দ্র নিয়ে এমন অভিযোগ প্রায় নতুনই। এমন অভিযোগ সাধারণত দেখা যায় না, এমনটাই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেদের। খেলোয়াড়দের ছবি ব্যবহার নিয়ে এইরকম অভিযোগ আগে আসেনি কমিশনের কাছে। এটা নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ বলা যায় নাকি, সেই  বিষয়ে জানার জন্য দিল্লিতে রিপোর্ট পাঠায় সিইও দফতর। তারপরেই এমন নির্দেশ দেয় কমিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share