Tag: congress

congress

  • IT Notice: ১৭০০ কোটি টাকা জরিমানা চেয়ে কংগ্রেসকে আয়কর দফতরের নোটিস

    IT Notice: ১৭০০ কোটি টাকা জরিমানা চেয়ে কংগ্রেসকে আয়কর দফতরের নোটিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে আরও বিপাকে জাতীয় কংগ্রেস (Congress)। রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খড়্গের দলের কাছে ১৭০০ কোটি টাকা চেয়ে নোটিস পাঠাল আয়কর দফতর (IT Notice)। কেন্দ্রীয় সংস্থাটির একটি সূত্র জানাচ্ছে, ২০১৭-১৮ থেকে ২০২০-২১ অর্থবর্ষ পর্যন্ত আয়কর সংক্রান্ত রিটার্ন পর্যালোচনা করেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। বকেয়া কর, তার সুদ এবং জরিমানার অঙ্ক মিলিয়েই ১,৭০০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে বলে ওই সূত্রের দাবি। 

    কী বলছে আয়কর দফতর

    কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে আয়কর বিভাগ (IT Notice)। তাদের দেওয়া আয়করের পুনঃমূল্যায়ন করা হচ্ছে। ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬ এবং ২০১৬-১৭ বছরগুলির জন্য আয়কর পুনর্মূল্যায়ন সংক্রান্ত আয়কর বিভাগের আদেশকে প্রথমে দিল্লি হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিল কংগ্রেস। ২২ মার্চ, কংগ্রেসের এই আবেদন খারিজ করে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত ভার্মা এবং বিচারপতি পুরুষৈন্দ্র কুমার কৌরবের বেঞ্চ জানিয়েছিল, এই বিষয়ে তারা হস্তক্ষেপ করতে চায় না। এরপরই আয়কর বিভাগ জানিয়েছে, জরিমানা এবং সুদ-সহ কংগ্রেসকে ১৭০০ কোটি টাকা দিতে হবে। আয়কর আইনের ১৩(১) ধারা লঙ্ঘনের প্রমাণ মেলার পরেই পদক্ষেপ করা হয়েছে। 

    আদালতে কংগ্রেসের দাবি খারিজ

    এর আগে, বকেয়া কর হিসাবে কংগ্রেসকে  ২০১৮-১৯ মূল্যায়ন বর্ষের জন্য ১০৫ কোটি টাকা দেওয়ার নোটিস দিয়েছিল আয়কর দফতর (IT Notice)। সেই নোটিসে স্থগিতাদেশ চেয়েও দিল্লি হাইকোর্ট থেকে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল কংগ্রেসকে। বিচারপতিরা জানিয়েছিলেন ইনকাম ট্যাক্স আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশে নাক গলানোর প্রয়োজন বোধ করছেন না তাঁরা। এর আগে ১৪ লক্ষ টাকা হিসাবের গরমিলের অভিযোগে কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে ১৩৫ কোটি টাকা জরিমানা ও সুদ কেটে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: ‘কংগ্রেসকে প্রত্যাখ্যান করেছে ১৪০ কোটি ভারতীয়’, আইনজীবীদের চিঠির পর তোপ মোদির

    লোকসভা ভোটে যাতে কংগ্রেস প্রচার, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অর্থ খরচ করতে না পারে, তার জন্যই প্রথমে কংগ্রেসকে আয়কর দফতরের নোটিস ও তার পরে কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে এর আগে অভিযোগ তুলেছেন সনিয়া, রাহুল ও খড়্গে। যদিও কংগ্রেসের এই দাবিকে গুরুত্ব দেয়নি আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • PM Modi: ‘কংগ্রেসকে প্রত্যাখ্যান করেছে ১৪০ কোটি ভারতীয়’, আইনজীবীদের চিঠির পর তোপ মোদির

    PM Modi: ‘কংগ্রেসকে প্রত্যাখ্যান করেছে ১৪০ কোটি ভারতীয়’, আইনজীবীদের চিঠির পর তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে লেখা আইনজীবীদের চিঠির প্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বিচার ব্য়বস্থার পবিত্রতা নিয়ে আশঙ্কাপ্রকাশ করে দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি লেখেন দেশের ৬০০ জন আইনজীবী। এর জবাব দিতে গিয়েই কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করে সোশ্য়াল মিডিয়া হ্যান্ডেল ‘এক্স’-এ মোদি লিখলেন, ‘১৪০ কোটি ভারতীয় যে ওদের প্রত্যাখ্যান করছে, এতে আশ্চর্য কিছু নেই।’ সবাইকে নিজেদের মতো করে ভাবে কংগ্রেস দাবি প্রধানমন্ত্রীর।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল ‘এক্স’-এ একটি পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেখানে তিনি লেখেন, ‘কদর্য ভাষায় গালিগালাজ করে ভয় দেখিয়ে কাউকে কিছু করতে বাধ্য করা কংগ্রেসের সংস্কৃতি। পাঁচ দশক আগে, ওরাই একেবারে নিবেদিত বিচারব্যবস্থার ডাক দিয়েছিল। লজ্জাহীন ভাবে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য বাকিদের সবটুকু চায় ওরা। কিন্তু দেশের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতে নারাজ। ১৪০ কোটি ভারতীয় যে ওদের প্রত্যাখ্যান করছে, এতে আশ্চর্য কিছু নেই।’ 

    আইনজীবীদের চিঠি

    মোদির (PM Modi) সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের কিছুক্ষণ আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি দেন দেশের নানা প্রান্তের প্রায় ৬০০ জন আইনজীবী। দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে দেওয়া চিঠিতে স্বাক্ষর রয়েছে আইনজীবী হরিশ সালভে এবং সুপ্রিম কোর্টের বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মনন কুমার মিশ্ররও। চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে যে, স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। আদালতের সিদ্ধান্তে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে দেশের বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, যে সমস্ত মামলায় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত, সেই সব মামলাতেই এই ধরনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: নাইট শিবিরে বদলি, চিন্নাস্বামীতে আজ কলকাতার সামনে বেঙ্গালুরু

    কিরেণ রিজিজুর উত্তর

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং অরুণাচল ওয়েস্টের প্রার্থী, কিরেণ রিজিজু এই নিয়ে গত কালই সরব হন। সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘কংগ্রেসই ভারতীয় সংবিধানকে শিকেয় তুলে একেবারে নিবেদিত বিচারব্যবস্থার ভাবনা এনেছিল। কংগ্রেস এবং বামপন্থীরা চায়, আদালত এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলি যেন শুধু তাদের স্বার্থ রক্ষা করে। না হলেই তারা সেই প্রতিষ্ঠানগুলিকেই আক্রমণ করতে শুরু করে দেয়।’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Savitri Jindal: বিজেপিতে যোগ! কংগ্রেস ছাড়লেন দেশের ধনীতম মহিলা সাবিত্রী জিন্দাল

    Savitri Jindal: বিজেপিতে যোগ! কংগ্রেস ছাড়লেন দেশের ধনীতম মহিলা সাবিত্রী জিন্দাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ধনীতম মহিলা সাবিত্রী জিন্দাল (Savitri Jindal) কংগ্রেস ছাড়লেন। প্রায় আড়াই লক্ষ কোটি টাকার মালকিন তাঁর ছেলের মতোই বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বল মনে করা হচ্ছে। লোকসভা ভোটের আগে মা ও ছেলের দল ত্যাগ কংগ্রেসের কাছে একটা বড় ধাক্কা। সাবিত্রী জানান মানুষের কথা শুনেই তিনি কংগ্রেস ছাড়ছেন। 

    কেন দল ত্যাগ

    বুধবার গভীর রাতে এক্সবার্তায় সাবিত্রী (Savitri Jindal) লেখেন, ‘আমি গত ১০ বছর বিধায়করূপে হিসারের মানুষের সেবা করেছি। মন্ত্রীরূপে রাজ্যের মানুষের জন্য নিঃস্বার্থ সেবা করেছি। হিসারের মানুষই আমার পরিবার। সেই পরিবারেরই পরামর্শে আজ আমি কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ ত্যাগ করছি।’ ১০ বছরের কংগ্রেস বিধায়ক সাবিত্রী জিন্দালের দলত্যাগ লোকসভা নির্বাচনের আগে হাত শিবিরের কাছে একটা বড় ধাক্কা। সূত্রের খবর, শীঘ্রই সাবিত্রী বিজেপিতে যোগ দেবেন।  উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই সাবিত্রীর পুত্র তথা ২০০৪-১৪ সাল পর্যন্ত কুরুক্ষেত্র কেন্দ্রের কংগ্রেস সাংসদ নবীন জিন্দালও দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এবার তিনি বিজেপির টিকিটে কুরুক্ষেত্র থেকেই প্রার্থী হয়েছেন।

    সাবিত্রীর পরিচয়

    সাবিত্রীর (Savitri Jindal) স্বামী ছিলেন দেশের ইস্পাত সাম্রাজ্যের একচ্ছত্র অধিপতি ওমপ্রকাশ জিন্দল। ২০০৫ সালে কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল শিল্পপতি ওমপ্রকাশের। দুর্ঘটনায় ওমপ্রকাশের অকস্মাৎ মৃত্যুর পর বসায়িক সাম্রাজ্যের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন সাবিত্রী। স্বামীর অকালপ্রয়াণের পর ভেঙে পড়েননি তিনি। ওপি গোষ্ঠীর দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নেন। যে বয়সে নিশ্চিন্তে সংসার করেন বেশির ভাগ মহিলা, সেই বয়সে ব্যবসার খুঁটিনাটি শিখতে হয়েছিল তাঁকে। তখন সাবিত্রীর বয়স ছিল ৫৫। সাবিত্রী বর্তমানে ওপি জিন্দল গোষ্ঠীর চেয়ারপার্সন এমিরেটা। গত দু’বছরে তাঁর হাত ধরেই এই গোষ্ঠীর রমরমা বেড়েছে।

    আরও পড়ুন: ভোটের সময় তাপপ্রবাহ! সতর্ক থাকার জন্য বিশেষ নির্দেশিকা নির্বাচন কমিশনের

    অসমের তিনসুকিয়া জেলার বাসিন্দা সাবিত্রীর জন্ম ১৯৫০ সালের ২০ মার্চ। সত্তরের দশকে ওমপ্রকাশের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। ব্যবসার পাশাপাশি স্বামীর মতো রাজনীতির আঙিনায়ও পা রাখেন সাবিত্রী। ২০০৫ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁর কেন্দ্র থেকেই নির্বাচনে দাঁড়ান। কংগ্রেসের টিকিটে সেই কেন্দ্রে জয়ী হয়ে পা রাখেন হরিয়ানা বিধানসভায়। পরের বিধানসভা নির্বাচনে আবার জয়। ২০১৩ সালে হরিয়ানার ক্যাবিনেট মন্ত্রীও হয়েছিলেন সাবিত্রী। কিন্তু এবার হরিয়ানার মানুষের ইচ্ছাতেই কংগ্রেস ত্যাগ করলেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: লোকসভা ভোটের আগে পাঞ্জাবে ‘রামধাক্কা’, আপ ছেড়ে বিজেপিতে সাংসদ, বিধায়ক

    Lok Sabha Elections 2024: লোকসভা ভোটের আগে পাঞ্জাবে ‘রামধাক্কা’, আপ ছেড়ে বিজেপিতে সাংসদ, বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বরাজ্যে ‘রামধাক্কা’ খেল আম আদমি পার্টি। তাও আবার লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2024) মুখে। পাঞ্জাবের সবেধন নীলমণি সাংসদ আপের সুশীল কুমার রিঙ্কু (জলন্ধরের সাংসদ) হাতে তুলে নিলেন গেরুয়া ঝান্ডা। তিনি একা নন, জলন্ধর পশ্চিমের বিধায়ক আপের শীতল অঙ্গুরালও যোগ দিয়েছেন পদ্ম শিবিরে। আপ ছেড়ে সাংসদ ও বিধায়কের পদ্ম শিবিরে যোগদানের অনুষ্ঠান হয় দিল্লিতে, বুধবার।

    আপ সরকারের প্রতি মোহভঙ্গ! (Lok Sabha Elections 2024)

    গত বিধানসভা নির্বাচনে পাঞ্জাবের কংগ্রেস সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতায় আসে আপ। সেই প্রথম দিল্লির বাইরে রাজত্ব পায় আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2024) মুখে এক সাংসদ ও এক বিধায়কের বিজেপি শিবিরে যোগ দেওয়ার ঘটনাটিকে পাঞ্চাবের আপ সরকারের প্রতি মোহভঙ্গ হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওদে সুশীল ও শীতলকে স্বাগত জানান গেরুয়া শিবিরে। বিজেপিতে যোগদানের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির পাঞ্জাব রাজ্য সভাপতি সুনীল কুমার জাখর ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী।

    বিজেপিতে আপ সাংসদও

    পাঞ্জাব থেকে আপের একমাত্র সাংসদ ছিলেন সুশীল। অংসদীয় আচরণের জন্য সংসদের বাদল অধিবেশনে সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে। আপের আগে কংগ্রেসেই ছিলেন সুশীল। তিনি কংগ্রেসের তিনবারের কাউন্সিলরও ছিলেন। জলন্ধর পশ্চিমের বিধায়কও হয়েছিলেন ‘হাত’ প্রতীকে লড়ে। ২০২৩ সালে যোগ দেন আম আদমি পার্টিতে। জলন্ধর লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়ে সংসদে পা রাখেন আপের প্রতিনিধি হয়ে।

    আরও পড়ুুন: কেজরিওয়ালের জামিনের আবেদন খারিজ দিল্লি হাইকোর্টে, অতঃ কিম?

    পাঞ্জাবের আপ সরকারের প্রতি মোহভঙ্গ হওয়ায়ই যে তিনি বিজেপি শিবিরে যোগ দিয়েছেন, দ্ব্যর্থহীনভাবে তা জানিয়ে দিয়েছেন সুশীল। তিনি বলেন, “উপনির্বাচনে যেসব প্রতিশ্রুতি আমরা দিয়েছিলাম, তা পূরণ করতে পারিনি। কারণ আমার সরকার আমায় সাহায্য করেনি। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাজের ধরন আমায় মুগ্ধ করেছে। জলন্ধরের উন্নয়ন সংক্রান্ত যে কোনও কাজ নিয়ে আমি কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়েছি। কেন্দ্র তা অনুমোদন করেছে। আমি কোন পার্টির তা বিচার করেনি। আদমপুর বিমানবন্দরেও বিমান ওঠানামা শুরু হয়েছে।”

    তিনি বলেন, “জলন্ধরে বন্দে ভারত ট্রেন থামছে। আদমপুর ও জলন্ধরে রেলওয়ে ওভারব্রিজ চাই। কেন্দ্রের সাহায্যে এটাও করব। আমার নিজের কোনও লোভ নেই। কিন্তু জলন্ধরবাসীর জন্য আমার অনেক কিছু চাওয়ার আছে (Lok Sabha Elections 2024)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok sabha Election 2024: লোকসভা ভোটে খরচ হতে পারে ১.২০ লাখ কোটি টাকারও বেশি, বলছে রিপোর্ট

    Lok sabha Election 2024: লোকসভা ভোটে খরচ হতে পারে ১.২০ লাখ কোটি টাকারও বেশি, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট (Lok sabha Election 2024) মানেই শুধু খরচ আর খরচ। গত ১৬ মার্চ ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে কমিশন। এরমধ্যে প্রচার পর্বও শুরু করে দিয়েছে সব রাজনৈতিক দলগুলি। অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন করতে মোটা টাকা অর্থ ব্যয় হয় কমিশনেরও। পরিসংখ্যান বলছে, স্বাধীন ভারতে যখন প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল (১৯৫১ ডিসেম্বর) সেবার নির্বাচন কমিশনের খরচ হয় প্রায় ১০.৫ কোটি টাকা। সময় যত এগোতে থাকে প্রতি বছরই নির্বাচনের খরচের বহরও বাড়তে থাকে। একটি রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে খরচ হতে পারে ১.২০ লাখ কোটি টাকারও (Lok sabha Election 2024) বেশি।

    সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলিতে খরচ

    সেন্টার ফর মিডিয়া স্টাজিজ নামের একটি সংস্থার অনুমান, এবারের সাধারণ নির্বাচনে ১.২০ লাখ কোটি টাকারও বেশি খরচ হতে চলেছে। বিশ্বের সব থেকে বৃহত্তম গণতন্ত্রের নির্বাচন বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক ব্যয়বহুল ভোট হতে চলেছে। গবেষণায় (Lok sabha Election 2024) দেখা যাচ্ছে, প্রতি পাঁচ বছরে নির্বাচনী ব্যয় দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। ২০১৯ সালের নির্বাচনে ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে অনুমান করা হয়েছিল। তার আগে ২০১৪ সালে ১৬তম লোকসভা নির্বাচনে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছিল বলে জানা যায় কমিশনের সাইট থেকে।

    কেন এত ব্যয় বহুল নির্বাচন 

    ক্ষমতায় আসতে রাজনৈতিক দলগুলি এবং প্রার্থীরা জলের মতো অর্থ ব্যয় করা হয়। নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের ব্যয়ের বিষয়ে বিধি নিষেধ জারি করলেও রাজনৈতিক দলগুলির ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, আর এসব কারণেই ভারতে লোকসভা নির্বাচনে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খরচ হয়। হিসাব বলছে, গত কয়েক বছর ভারতের লোকসভা ভোটে যা খরচ হয়েছে তা বিশ্বের একাধিক দেশের জিডিপির সমান। লোকসভা নির্বাচনে যে কোনও দলের প্রার্থীর জন্য ৯৫ লাখ টাকা সীমা নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ একজন প্রার্থী (Lok sabha Election 2024) নির্বাচনী প্রচারে ৯৫ লাখ টাকার বেশি খরচ করতে পারবেন না।

    দলের খরচ কত?

    অ্যাসোসিয়েশন ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (ADR) এর রিপোর্ট অনুসারে, গত নির্বাচনে সাতটি জাতীয় দল ৫,৫৪৪ কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করেছিল। এর মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ৪,০৫৭ কোটি টাকা। কংগ্রেস ১,১৬৭ কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করে। হিসাব বলছে, ২০১৯ সালে, বিজেপি ১,১৪২ কোটি টাকা খরচ করেছিল। কংগ্রেস ৬২৬ কোটি টাকারও বেশি খরচ করেছে। ২০১৯ সালে, বিজেপি ৩০৩টি আসন জিতেছিল। এই হিসাব অনুযায়ী, এক একটি আসন জিততে গেরুয়া শিবির গড়ে ৪.৪ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। কংগ্রেসের ঘরে যায় মাত্র ৫২টি আসন। সেই হিসেবে একটি আসন জেতার জন্য গড়ে তাদের খরচ হয়েছে ১২ কোটি টাকার বেশি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: পাঞ্জাবে ‘একলা চলো নীতি’ বিজেপির, চতুর্মুখী লড়াই ১৩ কেন্দ্রেই

    Lok Sabha Elections 2024: পাঞ্জাবে ‘একলা চলো নীতি’ বিজেপির, চতুর্মুখী লড়াই ১৩ কেন্দ্রেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Elections 2024) পাঞ্জাবে ‘একলা চলো নীতি’ নিল বিজেপি। পঞ্চ নদের তীরের এই রাজ্যের ১৩টি আসনেই একা লড়বে পদ্ম শিবির। মঙ্গলবার বিজেপির তরফেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে একথা। শিরোমনি অকালি দল এনডিএতে ফিরবে বলে যে জল্পনা দিন কয়েক ধরে চলছিল, তাতেও জল ঢেলে দেওয়া হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফে। তাই পাঞ্জাবের ১৩টি আসনেই লড়াই হবে চতুর্মুখী।

    কী বলছে বিজেপি? (Lok Sabha Elections 2024)

    বিজেপির পাঞ্জাব ইউনিটের প্রধান সুনীল জাখর বলেন, “পাঞ্জাবের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে বিশেষত তরুণ ও কৃষকদের কথা মাথায় রেখে একা প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি যে কাজ করছে, তা কারও কাছেই গোপন নয়। বিজেপি পাঞ্জাবের জন্য যে উন্নয়নই করুক না কেন, কর্তারপুর করিডর খুলে দেওয়া হোক বা রাজ্যের কৃষকদের কাছ থেকে শস্য সংগ্রহ করা…সবটাই সাধারণ মানুষ জানেন।”

    ‘সবার সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত’ 

    সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিও-বার্তায় তিনি বলেন, “জনকল্যাণের জন্য দলটি তার এজেন্ডাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।” পাঞ্জাবের মানুষ, রাজ্য বিজেপির নেতা ও তৃণমূল স্তরের কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত (Lok Sabha Elections 2024) নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। পাঞ্জাবে লোকসভার আসন রয়েছে ১৩টি। উনিশের নির্বাচনে এর মধ্যে ৮টিতে জিতেছিল কংগ্রেস। ২টি করে আসন গিয়েছিল বিজেপি ও শিরোমণি অকালি দলের ঝুলিতে। একটি আসনে জয়ী হয়েছিলেন আপ প্রার্থী। বিজেপি একলা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে চতুর্মুখী লড়াই হবে পাঞ্জাবের সব আসনে। ‘ইন্ডি’ জোটের দুই শরিক কংগ্রেস এবং আপ আলাদা আলাদা করে প্রার্থী দেবে বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল। এনডিএ শিবিরে যোগ না দেওয়ায় প্রার্থী দেবে শিরোমণি অকালি দলও। ময়দানে বিজেপির প্রার্থী তো রয়েইছেন।

    বিজেপির প্রার্থী ডিসকোয়ালিফায়েড এমএলএ

    এদিকে, হিমাচল প্রদেশে বিধানসভার উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন কংগ্রেসের ডিসকোয়ালিফায়েড এমএলএ। শনিবারই এঁরা দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এঁরা হলেন, সুধীর শর্মা, রবি ঠাকুর, ইঁদের দত্ত লখনপাল, চেতন্যা শর্মা, দেবিন্দার কুমার ভুট্টো এবং রাজিন্দর রানা (Lok Sabha Elections 2024)।

    আরও পড়ুুন: দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় এবার জেলে পাঠানো হল কবিতাকে

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: মন্দিরে পুজো দিয়ে হোলি খেলে চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন বিজেপি প্রার্থী কার্তিক পাল

    Raiganj: মন্দিরে পুজো দিয়ে হোলি খেলে চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন বিজেপি প্রার্থী কার্তিক পাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে আর বেশি দেরি নেই। স্বাভাবিকভাবেই দলের তরফে নাম ঘোষণা হতেই রঙের উৎসবের দিনেই জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়লেন রায়গঞ্জ (Raiganj) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কার্তিক পাল। দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন কর্মী-সমর্থকরা। মন্দিরে পুজো দিয়ে দিনভর চুটিয়ে জনসংযোগ করেন বিজেপি প্রার্থী। মঙ্গলবার দলীয় কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সঙ্গে হোলি খেলায় মেতে ওঠেন বিজেপি প্রার্থী।

    কে এই কার্তিক পাল? (Raiganj)

    রবিবার রাতেই দিল্লি থেকে রায়গঞ্জ (Raiganj) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে কার্তিক পালের নাম ঘোষণা করা হয়। বিদায়ী সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীকে দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রে টিকিট দেওয়া হয়েছে। ফলে, রায়গঞ্জে তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর বিরুদ্ধে ভোট যুদ্ধে সামিল কার্তিকবাবু। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কার্তিকবাবু ভূমিপুত্র। একসময় তিনি পুরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন তিনি এলাকায় প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ করেছিলেন। ২০১৯ সালের পর তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এলাকায় তাঁর নিবিড় জনসংযোগ রয়েছে। এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয়। ফলে, কার্তিকবাবু প্রার্থী হওয়াতে শুধু বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা খুশি হয়েছেন তা নয়, সাধারণ মানুষও বেজায় খুশি।

    আরও পড়ুন: চন্দ্রনাথের বাড়িতে উদ্ধার ৪১ লাখ, চলতি সপ্তাহেই মন্ত্রীকে তলব ইডির

    দোল ও হোলিতে চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন বিজেপি প্রার্থী

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার কালিয়াগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বয়রা কালী মন্দিরে পুজো দেন বিজেপি প্রার্থী। এরপরেই জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার ও দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে প্রচারে বেরিয়ে পড়েন কার্তিক পাল। মাড়োয়ারি পট্টিতে দোল উৎসবে সামিল হন তিনি। তারপর  কালিয়াগঞ্জের শ্রীকলোনিতে অবস্থিত প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রায়গঞ্জের সাংসদ প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির মূর্তিতে মাল্যদান করেন। দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সাহেবঘাটা এলাকায় এক নাবালিকার সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জানান। সেখান থেকে রাধিকাপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের সমাধিস্থলেও মাল্যদান করেন। পাশাপাশি পরিবারের লোকেদের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। মঙ্গলবার শেঠ কলোনি, মহেন্দ্রগঞ্জ এলাকায় হোলি খেলার পাশাপাশি চুটিয়ে জনসংযোগ করেন বিজেপি প্রার্থী। পরে, কার্তিকবাবু বলেন, এই লোকসভায় তৃণমূল কোনও ফ্যাক্টর হবে না। আমার বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থীর সঙ্গে আমারপ মূল লড়াই হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: “আমেঠির মতো রাহুলের পরিণতি হবে এখানেও”, বললেন ওয়েনাড়ের বিজেপি প্রার্থী

    Lok Sabha Elections 2024: “আমেঠির মতো রাহুলের পরিণতি হবে এখানেও”, বললেন ওয়েনাড়ের বিজেপি প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমেঠির মতো রাহুলের পরিণতি হবে এখানেও।” সোমবার কথাগুলি বললেন কেরলের ওয়েনাড়ের বিজেপি প্রার্থী কে সুরেন্দ্রন। ওয়েনাড় লোকসভা (Lok Sabha Elections 2024) কেন্দ্রে রাহুলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কেরল বিজেপির এই রাজ্য সভাপতি। রাহুলকে হারানোর বিষয়ে আশাবাদী তিনি।

    আমেঠিতে হেরেছেন রাহুল (Lok Sabha Elections 2024)

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের আমেঠি ও কেরলের ওয়েনাড় এই দুই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। দীর্ঘদিন গান্ধী পরিবারের দখলে থাকা এই কেন্দ্রের রশি হাতছাড়া হয় গত লোকসভা নির্বাচনে। এই কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজেপির স্মৃতি ইরানির কাছে পরাস্ত হন রাহুল। চার লাখেরও বেশি ভোটে গান্ধী পরিবারের এই সদস্য জয়ী হন ওয়েনাড়ে। এবারও ওয়েনাড়েই প্রার্থী হয়েছেন (Lok Sabha Elections 2024) রাহুল।

    কী বলছেন ওয়েনাড়ের বিজেপি প্রার্থী? 

    তাঁর বিরুদ্ধে লড়ছেন সুরেন্দর। তিনি বলেন, “আমেঠিতে রাহুলের যে দশা হয়েছিল, সেই একই দশা হবে ওয়েনাড়েও।” ওয়েনাড়ে লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন ‘ইন্ডি’ জোটের শরিক সিপিআইয়ের প্রার্থী অ্যানে রাজাও। ত্রিমুখী এই লড়াইয়ে বাজিমাত করবে বিজেপিই। অন্তত এমনই আশা গেরুয়া শিবিরের। ওয়েনাড়ের বিজেপি প্রার্থী বলেন, “এই লোকসভা কেন্দ্রে উন্নয়ন সেভাবে হয়নি। এই কেন্দ্রের জন্য রাহুল কিছুই করেননি। গত লোকসভা নির্বাচনে আমেঠিতে তাঁর পরিণতি যা হয়েছিল, ওয়েনাড়েতেও তা-ই হবে।”

    আরও পড়ুুন: চন্দ্রনাথের বাড়িতে উদ্ধার ৪১ লাখ, চলতি সপ্তাহেই মন্ত্রীকে তলব ইডির

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে রাহুল পরাস্ত করেছিলেন সিপিআইয়ের পিপি সুনীরকে। হারিয়েছিলেন সাড়ে চার লাখেরও বেশি ভোটে। সেবার ওয়েনাড়ে বিজেপি নয়, প্রার্থী দিয়েছিল এনডিএর শরিক দল ভারত ধর্ম জন সেনা। এই দলের ঝুলিতে পড়েছিল মাত্রই ৭৮ হাজার ৮১৬ ভোট। এবার প্রার্থী দিয়েছে খোদ বিজেপিই। সুরেন্দ্রন বলেন, “কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আমার ওপর ভরসা করেছেন। তাঁরা আমায় ওয়েনাড়েতে লড়তে বলেছেন। ওয়েনাড়ের ভোটাররা নিশ্চয়ই প্রশ্ন করবেন, ইন্ডি জোটের শরিকরা কেন একই কেন্দ্রে সম্মুখ সমরে।” ওয়েনাড় কেন্দ্রটি পাহাড়ি এলাকায়। সেখানে রয়েছে নানা সমস্যা। তার মধ্যে একটি হল মানুষ এবং পশুর লড়াই। এই ইস্যুতেই কংগ্রেস কুপোকাত হয়ে যাবে বলেই আশাবাদী বিজেপি (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: অধীরগড়ে ভোটের মুখে  ৫০ হাজার কণ্ঠে গীতা পাঠ, জেলায় শোরগোল

    Murshidabad: অধীরগড়ে ভোটের মুখে ৫০ হাজার কণ্ঠে গীতা পাঠ, জেলায় শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অধীর চৌধুরীর খাসতালুক মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরে জনপ্রিয় চিকিৎসক নির্মল সাহাকে প্রার্থী করে মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছিল বিজেপি। এবার সেই বহরমপুরে লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে ৫০ হাজার লোক নিয়ে গীতা পাঠের আসর করল পদ্ম শিবির। কয়েক মাস আগেই কলকাতায় মহাসমারোহে বসেছিল লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের আসর। যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির তাবড় তাবড় সব নেতারা। এবার বহরমপুরে সেরকমই গীতাপাঠের সেই আয়োজন করা হল। জেলাস্তরের বিজেপি নেতারা সেখানে অংশগ্রহণ করেন।

    চৈতন্যদেবের জন্মতিথিতে ৫০ হাজার কণ্ঠে গীতা পাঠের আয়োজন (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুর শহরের ফরাসডাঙ্গা লাগোয়া এলাকায় রবিবার ৫০ হাজার কণ্ঠে গীতা পাঠের আয়োজন করা হয় চৈতন্যদেবের জন্মতিথি উপলক্ষে। উদ্যোক্তা স্বামী প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ। সূত্রের খবর, ব্রিগ্রেডের গীতা পাঠের অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন এই প্রদীপ্তানন্দ। এদিন অনুষ্ঠান শুরু হতেই জেলার সমস্ত প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ ঐতিহাসিক এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য আসেন। সুমন্ত গনাই নামে শক্তিপুরের বাসিন্দা বলেন, ব্রিগেডের অনুষ্ঠানে আমি গিয়েছিলাম। এদিনও আমি বহরমপুরে এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছি। এত মানুষ এসেছে, দেখে খবু ভাল লাগছে। গীতা পাঠে আগ্রহ বাড়ছে দেখে আমাদের বেশ ভাল লাগছে।

    আরও পড়ুন: শুভেন্দুর হাত ধরে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের ছেলে যোগ দিলেন বিজেপিতে

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    ভোটের মুখে গীতা পাঠ প্রসঙ্গে বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, কী বলব আর। আমি তো আর মানা করতে পারি না। গীতা পাঠের জন্য নির্বাচনের মরসুম বেছে নেওয়ার পিছনে রাজনৈতিক কারণ আছে। এটার মধ্য দিয়ে কী ভাল চাইছে জানি না। বহরমপুরে ওদের গীতা পাঠের অনুমতি কে দিল জানি না। আমাদের তো একটা মিটিং করতে দেওয়া হয় না। এমপি ল্যাডের কাজ সেটা করতে দেওয়া হয় না।আমরা যদি কোনও জায়গায় কাজ করি তাহলে সেখানে আমাদের নাম ঢেকে দেওয়া হয়। কিন্তু, নির্বাচনের সময় হঠাৎ করে গীতা পাঠের মাধ্যমে কি বার্তা দিতে চাইছে? আমার বাড়িতে গীতা আছে। সেই গীতা পাঠ আমি বাড়িতে করি। বহরমপুর সাংগঠনের জেলা বিজেপির সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, “গীতাপাঠের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। আমি অধীরবাবুকে আমন্ত্রণ করছি। উনি নিজেও আসুন। গীতা পাঠ সবার। গীতা পাঠ সব রাজনৈতিক দলের। অফিসিয়ালি ওনাকে কার্ড দিয়ে নিমন্ত্রণ করা হয়েছে। কিন্তু, তিনি আসবেন না। তিনি ভাবছেন গীতা পাঠে গেলে ওনার কিছু ভোট কমে যাবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: কাঁটাতারের ওপারের ভোটারদের অধিকারে সরব, লোকসভার প্রচারে নজর কাড়লেন শ্রীরূপা

    Malda: কাঁটাতারের ওপারের ভোটারদের অধিকারে সরব, লোকসভার প্রচারে নজর কাড়লেন শ্রীরূপা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদায় (Malda) অনেক ভোটার কাঁটাতারের ওপারে থেকে নির্বাচনে ভোট দিয়ে থাকেন। নিজেদের প্রার্থীদের কখনই চোখে দেখেননি তাঁরা। নিজেদের অভাব-অভিযোগের কথা বলতেও পারেননি কোনও দিন। দক্ষিণ মালদার বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র লোকসভা ভোটের প্রচার করলেন এই এলাকার মানুষদের উদ্দেশ্যে। প্রচারে নজর কাড়লেন সংবাদ মাধ্যমের। ইতিমধ্যে লোকসভার ভোটের প্রচারে মানুষের মন জয় করতে সবপক্ষ ময়দানে নেমে পড়েছে।

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী (Malda)?

    দক্ষিণ মালদার (Malda) বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র বলেন, “এই কাঁটাতারের ওপারের মানুষদের জীবনকে দুর্বিষহ করার জন্য একমাত্র দায়ী হল কংগ্রেস। আগের সাংসদেরা ভোটে জয়ী হয়ে এলাকার মানুষের কোনও খোঁজ নেননি। নেই স্বাস্থ্য কেন্দ্র, নেই কোনও স্কুল। মানুষকে পেট চালাতে কাঁটাতার পার করে আসতে হয়। এলাকার সাংসদ এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কোনও দিন মানুষের কথা ভাবেননি। মানুষ অভিযোগ কাকেই বা জানাবেন? জনপ্রতিনিধিদের কেউ চোখে দেখেননি সেইসব এলাকার মানুষজন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর মেলেনি। আইসিডি সেন্টার নেই। নেই জল জীবন মিশনের জল। স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও সবরকম সুবিধা থেকে বঞ্চিত তাঁরা।” কাঁটাতারের ওপারের জনগণের এইসকল বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন বিজেপি নেত্রী শ্রীরূপা।

    কোন এলাকায় প্রচার করলেন?

    কালিয়াচক (Malda) থানার অন্তর্গত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকায় কাঁটাতারে ঘেরা এই ভূখণ্ডের মধ্যে একশোর বেশি ভোটার এবং ৩০০ পরিবারে রয়েছে। কাঁটাতারের ওই পার থেকে এসে মানুষকে কাজ করতে হয়। নিয়মিত কাঁটা তারের সীমান্ত খোলা হয়, এরপর মানুষ এসে কাজ করেন। এই এলাকার ভারত ভূ-খণ্ডের মানুষের কাছে সরকারি কোনও প্রকল্পের সাহায্য পৌঁছায়নি বলে এলাকার মানুষ অভিযোগ করেন।

    কংগ্রেসের বক্তব্য

    কংগ্রেস জেলা (Malda) সভাপতি অর্জুন হালদার বলেন, “এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি বিধায়ক হিসাবে কী কাজ করছেন, আগে তার হিসাব দিন। আগে আয়নায় নিজের মুখ দেখা উচিত।” আবার তৃণমূল কগ্রেসের সহ-সভাপতি বলেন, “তিনি শহরের বিধায়ক, শহরের জন্য কী করেছেন আগে জানান। গ্রামে কী করেছেন? আমরাও তো বিরোধী দলে ছিলাম। সেই সময় সিপিএম শাসনে ছিল। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে, আবদার করে কাজ করাতাম। বিধায়ক হিসাবে উনি কী করেছেন, আমরাও জানতে চাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share