Tag: congress

congress

  • Rahul Gandhi: বীরভূমে ‘ন্যায় যাত্রায়’ আপত্তি পুলিশের, রাহুলের কর্মসূচি ঘিরে সংশয়!

    Rahul Gandhi: বীরভূমে ‘ন্যায় যাত্রায়’ আপত্তি পুলিশের, রাহুলের কর্মসূচি ঘিরে সংশয়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গ থেকেই রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ করতে বাধা দিয়েছিল মমতার পুলিশ। কোচবিহারে খুলে নেওয়া হয়েছিল মঞ্চ। মালদায় সরকারি গেস্ট হাউসে মধ্যাহ্ন ভোজনের অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। এবার দক্ষিণবঙ্গের বীরভূমে রাহুলের সেই ন্যায় যাত্রা কর্মসূচি ধাক্কা খেল। ২ ফেব্রুয়ারি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ ঢুকছে বীরভূমে। সে জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে জেলা কংগ্রেস। কিন্তু, ওই দিনই মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য রাহুলের যাত্রার অনুমোদন দিল না মমতার পুলিশ। এই অবস্থায় ২ তারিখ রাহুলের কর্মসূচি নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছে।

    রাহুলের (Rahul Gandhi) “ন্যায় যাত্রায়” আপত্তি পুলিশের

    মুর্শিদাবাদের পর ২ তারিখ রাহুলের (Rahul Gandhi) ন্যায় যাত্রা বীরভূমে ঢোকার কথা। জেলা কংগ্রেস সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম, এড়োয়ালি, আওগ্রাম, মাঝিপাড়া মোড় হয়ে বীরভূমের তারাপীঠ থানার বুধিগ্রামে তা পৌঁছনোর কথা। ন্যায় যাত্রার অনুমতি চেয়ে সাত দিন আগে প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজ্য পুলিশের ডিআইজি, আইজি-র কাছে সমস্ত রকম সহযোগিতা চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছিল। ২৯ জানুয়ারি জেলা পুলিশ সুপার এবং রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা সকাল সাড়ে নটা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত হওয়ার কথা। ওই দিনই মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। সেই কারণে প্রশাসনের কাছে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শুধুমাত্র র‍্যালির জন্য সমস্ত রকম সহযোগিতার জন্য আবেদন জানানো হয়। রাহুলের সফর ঘিরে সংশয় দেখা দিলেও জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। জেলায় প্রচারও শুরু হয়ে গিয়েছে। জায়গায় জায়গায় বিশেষ করে রামপুরহাট শহরের জনবহুল মোড়ে রাহুলের ন্যায় যাত্রার ফ্লেক্স টাঙানো হয়েছে। পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য কোনও রকম সভা বা মাইক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। র‍্যালি হলে মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে যাবে কী করে? কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়েছিল। আপত্তির কথা জানানো হয়েছে।

    জেলা কংগ্রেস সভাপতি কী বললেন?

    বীরভূম জেলা কংগ্রেস সভাপতি মিল্টন রশিদ বলেন, আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ন্যায় যাত্রার বার্তা জনগণের কাছে দিতে চাইছি। প্রশাসনের সঙ্গে কোনও রকম দ্বন্দ্বে আমরা যেতে চাই না। কর্মসূচি অনুযায়ী রাহুল গান্ধী শুধুমাত্র গাড়ি নিয়ে র‍্যালি করবেন। কোথাও কোথাও নেমে হয়তো মানুষের সঙ্গে হাত মেলাবেন। কিন্তু, কোনও পথসভা করার কর্মসূচি নেওয়া হয়নি। মাইকও ব্যবহার হবে না। যাত্রাপথে মাধ্যমিক পরীক্ষার কেন্দ্রের এক কিলোমিটার দূর থেকে কর্মীরা চুপচাপ থেকে কোনও রকম আওয়াজ না করে রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: মালদায় রাহুল গান্ধীর গাড়িতে পড়ল ইট, ভেঙে চুরমার পিছনের কাচ

    Rahul Gandhi: মালদায় রাহুল গান্ধীর গাড়িতে পড়ল ইট, ভেঙে চুরমার পিছনের কাচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় বিহার থেকে মালদায় প্রবেশ করছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বুধবার হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় দেওয়ানগঞ্জে জনরোষের মধ্যে পড়েন তিনি। এরপরই তাঁর গাড়িতে পড়ল ইট, ভেঙে চুরমার করা হল পিছনের কাচ। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। এই ঘটনার সমালোচনা করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, “বুঝে নিন কে ভাঙতে পারে?”। অপর দিকে আজই মালদায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ সভা রয়েছে। তাই মোদি-বিরোধী ‘ইন্ডি’ জোট কতটা সুরক্ষিত এই রাজ্যে, তা নিয়ে প্রশ্ন আরও জোরালো হল। আরও একবার প্রশ্ন উঠল, জোটের ভবিষ্যৎ কী?

    কী বললেন অধীররঞ্জন (Rahul Gandhi)?

    ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরি আগে থেকেই মমতার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। ৩১ জানুয়ারিতেই রাহুলের মধ্যাহ্ন ভোজনের জন্য ভালুকা রোডের গেস্ট হাউস চেয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্য প্রশাসন অনুমতি দেয়নি। আজ গাড়ির উইন্ড স্ক্রিন পুরোটাই ভেঙে গিয়েছে ইটের আঘাতে। রাহুল গান্ধীর কালো গাড়িতে সঙ্গী ছিলেন অধীরও। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “কে ইট মেরে গাড়ির কাচ ভাঙতে পারে, তা বুঝে নিন। বাংলায় রাহুলের (Rahul Gandhi) ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা কর্মসূচি প্রবেশের পর থেকেই নানান বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই রাজ্যের শাসক দল যত রকমের বিরোধিতা করা যায়, তা করে চলেছে। কোচবিহার থেকেই এই অসহযোগিতা চলছে।” তাঁর এই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য যে তৃণমূলকেই লক্ষ্য করে, তা রাজনৈতিক মহলের একাংশের মানুষ মনে করছেন।

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ

    রাহুলের (Rahul Gandhi) ন্যায় যাত্রাকে ঘিরে রাজ্যের তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে নানা অভিযোগ বঙ্গ কংগ্রেসের মুখে। রাজ্যের জেলায় জেলায় সরকারি একাধিক অতথিশালায় প্রশাসনের অধিকারিকরা সরকারি অনুষ্ঠানের জন্য রয়েছেন। কোথাও কোনও অতিথিশালা, স্টেডিয়াম দেওয়া হচ্ছে না রাহুলের জন্য। মুর্শিদাবাদে যাওয়ার পর যে স্টেডিয়ামের মধ্যে রাত্রিবাসের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে, তা এখনও মমতার সরকার অনুমতি দেয়নি। আগেও রাহুলের নামে পোস্টার, ফ্লেক্স, ব্যানার ছেঁড়া হয়েছে এই রাজ্যে। সবটা মিলিয়ে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের সংঘাত যে লোকসভার ভোটে মোদি বিরোধী জোটে প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলতে চলেছে, তা রাজনীতির বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন। এই অবস্থায় আসন সমঝোতা এবং সমন্বয় সম্ভব কিনা, তা রাহুলের গাড়ির কাচ ভাঙার পর থেকে আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। উল্লেখ্য কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ কিছুক্ষণের জন্য সাংবাদিক বৈঠক করলেও চুপ ছিলেন গাড়ির কাচ ভাঙার প্রসঙ্গে।  

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandigarh Mayor Election: ধরাশায়ী ইন্ডি জোট, চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে জিতল বিজেপি

    Chandigarh Mayor Election: ধরাশায়ী ইন্ডি জোট, চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে জিতল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে (Chandigarh Mayor Election) জয় পেল বিজেপি। আম আদমি পার্টির কুলদীপ কুমারকে পরাস্ত করলেন বিজেপি প্রার্থী মনোজ সোনকর। প্রসঙ্গত, আম আদমি পার্টির মেয়র নির্বাচনে জোট হয় কংগ্রেসেরও। প্রসঙ্গত, গতবছর থেকেই শুরু হয় ইন্ডি জোটের ভাবনা। তাতে আকারও দেন দেশের আঞ্চলিক দলগুলির নেতা নেত্রীরাও। সম্পন্ন হয় একাধিক বৈঠক। কিন্তু ইন্ডি জোট বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে প্রথমবার অবতীর্ণ হয় চণ্ডীগড়ের পুরনিগমের নির্বাচনে। এখানেও তারা মুখ থুবড়ে পড়ল।

    ভোটের ফলাফল

    প্রথমবার ইন্ডি জোটের (Chandigarh Mayor Election) সঙ্গে সরাসরি মোকাবিলা হয় বিজেপির। এবং তাতেই জয় পেলেন বিজেপি প্রার্থী। বিজেপি প্রার্থী মনোজ সোনকর ১৬ ভোট পান এবং আপ প্রার্থী কুলদীপ কুমারের ঝুলিতে যায় ১২ ভোট। প্রসঙ্গত, চণ্ডীগড়ে বিজেপির রয়েছে ১৪ জন কাউন্সিলর। আম আদমি পার্টির রয়েছে ১৩ জন কাউন্সিলর। কংগ্রেসের রয়েছে ৭ জন কাউন্সিলর। এদিন নির্বাচনে ৮টি ভোটকে বাতিল ঘোষণা করা হয়। বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে ভোট দেন চণ্ডীগড়ের বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন পুর প্রতিনিধি কিরণ খেরও।

    মুখ থুবড়ে পড়ল ইন্ডি জোট

    ইন্ডি জোটের ভরাডুবির সংকেত (Chandigarh Mayor Election) যেন রবিবার থেকেই মিলছে। জোটের প্রধান কারিগর ছিলেন নীতীশ কুমার। রবিবার তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে জোট ছাড়েন। যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। অন্যদিকে রাহুল গান্ধীর কর্মসূচি ঘিরেও অনৈক্য-এর ছবিটা স্পষ্ট হয়েছে। বর্তমানে কংগ্রেস নেতা পশ্চিমবঙ্গে থাকলেও, তাঁর পাশে দেখা যায়নি জোট শরিক কোনও তৃণমূল নেতাকে। এছাড়াও রাজ্যের কংগ্রেস ও তৃণমূল নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েই চলেছেন। রাজ্যে যে জোট হবে না তা ইতিমধ্যে স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মাঝেই বিজেপিকে রুখতে চণ্ডীগড়ে হাত মিলিয়ে লড়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইন্ডি জোট। পাটিগণিতের বিচারে তারা আশাবাদী ছিল। ইন্ডি জোট এও দাবি করতে থাকে আট বছর পরে চণ্ডীগড়ের পৌর নিগম (Chandigarh Mayor Election) বিজেপির হাতছাড়া হতে চলেছে। তবে সব হিসেব নিকেশ উল্টে জিতল বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: রাহুল আসার আগে অধীর গড়ে কংগ্রেসে ভাঙন, বিজেপিতে যোগদান

    Rahul Gandhi: রাহুল আসার আগে অধীর গড়ে কংগ্রেসে ভাঙন, বিজেপিতে যোগদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংসদ অধীর চৌধুরীর গড়ে বড়সড় ধাক্কা খেল কংগ্রেস। তাও আবার দলের সুপ্রিমো রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) জেলা সফরে আসার আগেই। কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখালেন কয়েকশো পরিবার। তারমধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছেন। লোকসভা ভোটের আগে অধীর গড়ে কংগ্রেসে ভাঙন নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ২ জন পঞ্চায়েত সদস্য সহ ৪০০টি পরিবার বিজেপি যোগদান (Rahul Gandhi)

    অধীর চৌধুরীর খাসতালুক মুর্শিদাবাদে ন্যায় যাত্রা করতে আসছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তার আগেই সোমবার হরিহরপাড়ায় কংগ্রেসে ধস নামে। এদিন হরিহরপাড়ার চোয়া গ্রামপঞ্চায়েতের পাঁচগাছি শিবনগর এলাকায় বিজেপির এই যোগদান কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। কংগ্রেসের ২ জন গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য আব্দুস সামাদ ও দিবস মণ্ডলের  সঙ্গে প্রায় ৪০০টি পরিবার এদিন হাত ছেড়ে পদ্মশিবিরে নাম লেখায়। সিপিএম ও কংগ্রেস থেকে এসেছে সেই পরিবারগুলি। বিজেপি নেতা তন্ময় বিশ্বাসের হাত ধরে এই যোগদান হয়। যোগদানকারীদের বক্তব্য, কংগ্রেস আমাদের গুরুত্ব দিচ্ছে না বলেই এই সিদ্ধান্ত।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপি নেতা তন্ময় বিশ্বাসও বলেন, এই যোগদানে লোকসভা ভোটের আগে কিছুটা হলেও আমাদের সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধি হল। এখানে তৃণমূল ছাড়া যে সে-ই দল করুন না কেন, তাদের কেউ নিরাপত্তা দিতে পারেনি। দলের নেতৃত্ব তাঁদের পাশে থাকেনি। মিথ্যা মামলায় পুলিশ ফাঁসালেও দল কোনও প্রতিবাদ করেনি। সিপিএমেরও একই অবস্থা। তবে আমাদের বিজেপির কাউকে কেস দেওয়া তো দূর, কেস দেওয়ার কথাও ভাবতে পারে না।

    কংগ্রেস নেতৃত্ব কী বললেন?

    কংগ্রেসের হরিহরপাড়া ব্লকের সভাপতি জাহাঙ্গির শেখ বলেন, কংগ্রেসের টিকিটে জিতে দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকা করল। এখন কংগ্রেসের নামে বদনাম করছে। আসলে নিজেদের স্বার্থের জন্য তারা দল ত্যাগ করেছে। এলাকার মানুষ ওদের ক্ষমা করবে না। আর ওদের দল ত্যাগের কারণে দলের কোনও ক্ষতি হবে না। কংগ্রেস সবসময় মানুষের পাশে থাকে। মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: সরকারি অতিথি নিবাসে রাহুলের মধ্যাহ্নভোজে মমতার পুলিশের না

    Rahul Gandhi: সরকারি অতিথি নিবাসে রাহুলের মধ্যাহ্নভোজে মমতার পুলিশের না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তৃণমূলের সঙ্গে জোট করতে চাইলেও জোটের বিপক্ষে কংগ্রেসের নীচুতলার কর্মীরা। রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ন্যায় যাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মমতার পুলিশ ও প্রশাসনের বার বার হেনস্থা হয়ে কংগ্রেস নেতা কর্মীরা রীতিমতো ক্ষুব্ধ। সেই ক্ষোভের প্রকাশ ঘটল জলপাইগুড়ি জেলায় কংগ্রেসের এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের কর্মসূচিতে। বাংলায় ইন্ডি জোট ঘেঁটে ঘ হয়ে গিয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের মনে করছে।

    তৃণমূলের সঙ্গে জোটে আপত্তির কথা জানিয়ে দিলেন কংগ্রেস কর্মীরা

    রবিবার সকালে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ কর্মসূচির আগে জলপাইগুড়ির কংগ্রেস অফিসে জয়রাম রমেশ সাংবাদিক বৈঠক করেন। এর কিছু আগে নীতীশ কুমার ‘ইন্ডি’ জোট ছেড়েছেন। এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে চলতি টানাপড়েন নিয়ে বলেন, “কখনও তৃণমূলের কেউ কোনও কথা বলে দেন, কখনও আমাদের দলের কেউ উত্তর দেন। কখনও আমাদের দলের কেউ বলেন, কখনও তৃণমূলের কেউ উত্তর দেন। গণতন্ত্রে এমনই চলে। ইন্ডি জোটে গণতন্ত্র আছে, এখানে একনায়কতন্ত্র নেই।” একই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবারও বলেননি তিনি ইন্ডি জোটে নেই। আবার বলছি, মমতা ইন্ডি জোটের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।”কিন্তু জলপাইগুড়িতে স্থানীয় কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের মনোভাব ছিল এর উল্টো। সাংবাদিক বৈঠক শেষ হওয়ার আগেই জয়রামের পাশ থেকে উঠে যান জেলা কংগ্রেস সভাপতি পিনাকী সেনগুপ্ত। পরে জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেসের সভাপতি পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন, “এটা (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইন্ডিয় জোটের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ) কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মতামত হতে পারে। তবে নীচুতলার কংগ্রেস কর্মীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনও দিন ক্ষমা করবে না।”

    স্থানীয় কংগ্রেস কর্মীরা কী বললেন?  

    কংগ্রেস কর্মীরা বলেন, একাধিক জায়গায় দলের ফ্লেক্স ছিড়ে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় জয়রামের সঙ্গে একমত হতে পারছি আমরা। কারণ, গত ২৫ জানুয়ারি কোচবিহারে যখন রাহুলের (Rahul Gandhi) ‘ন্যায় যাত্রা’ ঢোকে, তখন থেকেই তৃণমূল নানাভাবে কংগ্রেসের বিরোধিতা করে আসছে। ‘বাংলায় বিজেপিকে আটকাতে দিদিই একাই যথেষ্ট’- এমন লেখা পোস্টার নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। ব্যানার ছেড়া, কালো পতাকা দেখানো।

     সরকারি অতিথি নিবাসে মধাহ্নভোজে অনুমতি পেল না রাহুল (Rahul Gandhi)

    কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদায় ৩১ জানুয়ারি রাহুলের (Rahul Gandhi) কর্মসূচি রয়েছে। সেই মতো ওইদিন রাহুলের রতুয়া সেচ দফতরের অতিথি নিবাসে মধ্যাহ্ন ভোজনের আয়োজন করেছিলেন কংগ্রেস কর্মীরা। কিন্তু, মমতার পুলিশ তার অনুমতি দেয়নি। মুর্শিদাবাদে ১ ফেব্রুয়ারি  কর্মসূচি রয়েছে রাহুলের। সেখানেও কংগ্রেস কর্মীদের রাতে থাকার জন্য বহরমপুর স্টেডিয়াম চাওয়া হয়েছিল। মমতার প্রশাসন তাতেও আপত্তি জানিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে তৃণমূলের সঙ্গে ইন্ডি জোট নিয়ে কংগ্রেস কর্মীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rajya Sabha Election: ১৫টি রাজ্যের ৫৬টি রাজ্যসভার আসনে ভোট ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন

    Rajya Sabha Election: ১৫টি রাজ্যের ৫৬টি রাজ্যসভার আসনে ভোট ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের পাঁচ আসন সহ ১৫টি রাজ্যের রাজ্যসভার (Rajya Sabha Election) মোট ৫৬টি আসনে ভোট ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। এই ৫৬টি আসনের বর্তমান সাংসদের মধ্যে ৫০ জনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২ এপ্রিলেই। বাকি ৬ জনের মেয়াদ শেষ হবে ৩ এপ্রিল। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মোট ৫টি রাজ্যসভার আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশের ৩, বিহারের ৬, ছত্তিশগড়ের ১, গুজরাতের ৪, হরিয়ানার ১, হিমাচল প্রদেশের ১, কর্নাটকের ৪, মধ্যপ্রদেশের ৫, মহারাষ্ট্রের ৬, তেলঙ্গানার ৩, উত্তরপ্রদেশের ১০, উত্তরাখণ্ডের ১, ওড়িশার ৩ এবং রাজস্থানের ৩ আসনে ভোট হবে এই দফায়।

    নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তিতে কী জানালো (Rajya Sabha Election) ?

    নির্বাচন কমিশন সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, রাজ্যসভার (Rajya Sabha Electoin) শূন্য হতে চলা আসনগুলির জন্য ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ১৬ ফেব্রুয়ারি জমা পড়া মনোনয়নপত্রগুলিকে পরীক্ষা করে দেখা হবে এবং মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন ২০ ফেব্রুয়ারি। এরপর ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট গণনা ও ফলপ্রকাশ করা হবে। বাংলার ক্ষেত্রে রাজ্যসভার যে ৫ টি আসনের সাংসদদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে , তাঁরা হলেন নাদিমুল হক, আবিররঞ্জন বিশ্বাস, সুভাশিষ চক্রবর্তী, শান্তনু সেন ও অভিষেক মনু সিংহভি।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, ৪টি আসনের জন্য ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ায় রাজ্যসভার (Rajya Sabha Election) প্রার্থী ঘোষণা করা হতে পারে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে তৃণমূলের ৪ প্রার্থীর জয় নিশ্চিত। পঞ্চম আসনটি নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা রয়েছে। গতবার ওই আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থনে বিজয়ী হয়েছিলেন অভিষেক মনু সিংভি। এবার প্রধান বিরোধী দল বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা বাড়ায় তারা পঞ্চম আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    বিধানসভার সাপেক্ষে জয় কতটা নিশ্চিত?

    বিধানসভা সূত্রের খবর, বর্তমানে খাতায়কলমে তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ২১৬। এছাড়া অন্য দল থেকে আসা বিধায়ক মিলিয়ে সেই সংখ্যা ২২৫। সেক্ষেত্রে বিধায়কের সংখ্যার নিরিখে রাজ্যসভার (Rajya Sabha Election) চারটি আসনে তৃণমূল প্রার্থীর জয় নিশ্চিত। রাজ্যে বিজেপির যেহেতু ৬৭ জন বিধায়ক রয়েছে তাই একটি আসন বিজেপি প্রার্থী দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই প্রশ্ন উঠছে অভিষেক মনু সিংভিকে নিয়ে। গতবার কংগ্রেসের প্রার্থী সিংভিকে সমর্থন জানিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেস ফের তাঁকে প্রার্থী করবে কিনা বা সেক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেস কী অবস্থান নেবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    কংগ্রেসকে কী ভোট দেবে তৃণমূল?

    লোকসভা ভোটের আসন ভাগাভাগি নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি প্রদেশ কংগ্রেস। তৃণমূল ইতিমধ্যে দুটি আসন ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছে। আসন ভাগাভাগি নিয়ে প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে রাজ্যে এসেছিল এআইসিসি প্রতিনিধি দল। অবশ্য বঙ্গ কংগ্রেস জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যে কংগ্রেসে বাঁচিয়ে রাখতে হলে শাসকদলের হাত ধরলে চলবে না। তাই লোকসভা ভোটে যদি তৃণমূলের হাত না ধরে কংগ্রেস, তবে তার প্রভাব রাজ্যসভার (Rajya Sabha Election) ভোটে পড়তে পারে। যদিও অভিষেক মনু সিংভির সঙ্গে তৃণমূলের সস্পর্ক ভালো। আইনজীবী সিংভি তৃণমূল হয়ে মামলাও লড়েন। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠাতে গররাজি হবে না দল। আবার দলের একাংশের মতে, অন্য দলের প্রার্থীকে সমর্থন না করে নিজের প্রার্থীদের সমর্থন দেওয়া উচিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: রাহুলের ন্যায় যাত্রার দিনেই মমতার সভা, ইন্ডি জোট ফের প্রশ্নের মুখে

    Malda: রাহুলের ন্যায় যাত্রার দিনেই মমতার সভা, ইন্ডি জোট ফের প্রশ্নের মুখে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাস্তবের মাটিতে দেশে মোদি বিরোধী জোট কতটা সম্ভব, তা এই রাজ্যের রাজনীতির প্রবাহকে দেখলেই স্পষ্ট হয়। পাটনা, মুম্বই, বেঙ্গালুরু এবং দিল্লিতে একাধিকবার বৈঠক হলেও আসন নিয়ে ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে কোনও সমঝোতা হয়নি বললেই চলে। এদিকে রাম নামের ঢেউয়ে নীতীশ ফের এনডিএ জোটে বিজেপির হাত ধরে মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নিয়েছেন। সামনেই লোকসভার ভোট, জমি ছাড়তে নারাজ সব রাজনৈতিক দল। আগামী ৩১ তারিখ মালদায় রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা প্রবেশ করবে। অন্যদিকে ওই দিনেই মালদার (Malda) ডিএসএ ময়দানে পাল্টা সভা করছেন মমতা। ইন্ডি জোট প্রশ্নের মুখে আরও একবার। ফলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথায় ইন্ডি জোটের পিণ্ডি যে চটকে গিয়েছে, একথা আরও একবার প্রমাণ হল।

    কংগ্রেসের বক্তব্য (Malda)

    কংগ্রসের স্পষ্ট বক্তব্য, “আমাদের রাহুল গান্ধীর প্রোগ্রাম পূর্ব ঘোষিত। এই যাত্রাকে ভঙ্গ করতে মালদায় ওই দিনেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা সভা করছেন। ৩১ জানুয়ারি বিহারের কাঠিয়ার থেকে মালদার (Malda) হরিশচন্দ্রপুর, রতুয়া হয়ে ইংরেজবাজারে আসবেন রাহুল গান্ধী। তাঁর যাত্রা মালদার সুজাপুর থেকে ১ লা ফেব্রুয়ারিতে মুর্শিদাবাদে পৌঁছাবে। কিন্তু এই সময় ইংরেজবাজারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সভা করবেন।” জেলা কংগ্রেসের কার্যকারী সভাপতি কালীসাধন রায় বলেন, “তৃণমূল আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। প্রশাসনকে ব্যবহার করে আমাদের কর্মসূচিকে বানচাল করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    পালটা জেলা (Malda) তৃণমূলের সহ-সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, “বাংলায় কংগ্রেসের কোনও অস্তিত্ব নেই। মুখ্যমন্ত্রী নিজের প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। রাহুল গান্ধী তাঁর যাত্রা নিজের মতো করে করবেন। দুজনের সভা পাশপাশি চলবে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান আগেই ঠিক হয়েছে, তাঁর নিরাপত্তার জন্য এতোদিন সূচি প্রকাশ করা হয়নি। রাহুলের অনুষ্ঠানকে বানচাল করার কোনও ইচ্ছে নেই।”

    বিজেপির বক্তব্য

    মালদা (Malda) দক্ষিণের সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক আম্লান ভাদুবির সমালোচনা করে বলেন, “সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক থেকে তৃণমূল সরে যাচ্ছে। তাই কংগ্রেস এই কর্মসূচিকে ধরে সেই ভোট ব্যাঙ্ককে আবার পেতে চাইছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: ‘‘রাহুল গান্ধী বিজেপির সবথেকে বড় স্টার ক্যাম্পেনার’’, কটাক্ষ হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    Rahul Gandhi: ‘‘রাহুল গান্ধী বিজেপির সবথেকে বড় স্টার ক্যাম্পেনার’’, কটাক্ষ হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বিজেপির সব থেকে বড় স্টার ক্যাম্পেনার’’, একথা বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। কারণ হিসেবে তিনি জানান যে যেখানে যেখানে কংগ্রেসের এই নেতার পা পড়েছে সেখানেই বিজেপি জিতেছে। তিনি বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধী যে পথ দিয়ে হাঁটেন সেখান থেকেই কংগ্রেস নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়’’ তাঁর নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কোনও রকমের যোগ্যতা নেই। রবিবারই ডিব্রুগড়ে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এই তোপ দাগেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি আরও বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) যেখানেই যান তা বিজেপির পক্ষে ইতিবাচক হয়।’’

    রাহুল গান্ধীর অসমে কর্মসূচি, একাধিক কংগ্রেস নেতা বিজেপিতে যোগ দিলেন

    প্রসঙ্গত, জানুয়ারি মাসের ১৮ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ ছিল অসমে। সেখানেই একাধিক কংগ্রেসের নেতাকে যোগদান করতে দেখা যায়। অসমের বিজেপি সদর দফতরে এই নেতারা যোগদান করেন। যাঁর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে ছিলেন অসমের প্রাক্তন মন্ত্রী বিসমিতা গগৈ। রাজ্যের যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অঙ্কিতা দত্ত। অসমে বিজেপির রাজ্য সভাপতি ভবেশ কালিতা রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী পীযূষ হাজারিকা এবং পার্টির বিভিন্ন বিধায়করাও ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে চরমতম ব্যঙ্গ করেন পীযূষ হাজারিকা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রাকে কটাক্ষ করে বলেন যে অসম রাজ্যে বিপুল সফল হয়েছে রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা। যেখানে অজস্র বিরোধী নেতা বিজেপিতে যোগদান করেছেন।

    রাহুলের বিরুদ্ধে তোপ দলেরই প্রাক্তন যুব নেত্রীর

    প্রসঙ্গত, রাজ্য যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অঙ্কিতা দত্ত বিজেপিতে যোগদান করেছেন। কংগ্রেসে থাককালীন তিনি সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনেন। তখনই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে কংগ্রেস। তিনিও একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তাঁর পুরনো দলের বিরুদ্ধে। বিজেপিতে যোগদানের করে তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেসের বর্তমানে একটাই আদর্শ সেটা হচ্ছে রাহুল গান্ধীকে আবার ব্র্যান্ড হিসেবে প্রস্তুত করা।’’ রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেন যে নিচুতলার কংগ্রেস কর্মীদের সাথে রাহুল গান্ধী কথাই বলতে চান না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indi Alliance: ইন্ডি জোটের ফের দফারফা! উত্তরবঙ্গে টিম রাহুলের বাস আটকে দিল মমতার পুলিশ

    Indi Alliance: ইন্ডি জোটের ফের দফারফা! উত্তরবঙ্গে টিম রাহুলের বাস আটকে দিল মমতার পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) পিন্ডি চটকে যাওয়ার মতো অবস্থা! এর আগে কোচবিহারে রাহুল গান্ধীর জন্য সভামঞ্চ খুলে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল মমতার পুলিশের বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদে রাহুলের কর্মসূচিতে আসা কংগ্রেস কর্মীদের থাকার জন্য বহরমপুর স্টেডিয়াম চাওয়া হয়েছিল। মমতার প্রশাসন তা নাকচ করে দিয়েছে। এর সঙ্গে এবার জুড়ল জলপাইগুড়ির নাম। রাহুলের ন্যায় যাত্রাকে কেন্দ্র করে রবিবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল জলপাইগুড়ি। টিম রাহুলের বাস আটকে দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। আর এই অশান্তির মাঝেই শহরে পৌঁছলেন রাহুল গান্ধী। মমতার পুলিশের এহেন আচরণে চরম ক্ষুব্ধ প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Indi Alliance)

    জলপাইগুড়িতে রাহুলের ন্যায় যাত্রা কর্মসূচি রয়েছে। আর এদিন রাজ্য পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর পদে পরীক্ষা রয়েছে। জলপাইগুড়িতে একাধিক পরীক্ষার সেন্টার করা হয়েছে। শহর জুড়ে প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন রয়েছে। সাড়ে এগারোটায় বাগডোগরায় নেমেছেন রাহুল। এদিন সকালে জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর মোড়ে ন্যায় যাত্রার বাস ঢুকতেই বাধা দেয় পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন কংগ্রেস কর্মীরা। ফলে, কংগ্রেস কর্মীরা ন্যায় যাত্রায় যোগ দিতে বাধা পান বলে অভিযোগ। কংগ্রেস কর্মীদের বত্তব্য, পরিকল্পনামাফিক পুলিশ বাধা দিয়েছে। নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। এর আগে শনিবার ধূপগুড়ির একাধিক এলাকায়  রাহুল গান্ধীর একাধিক পোস্টার ছেঁড়া অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। বার বার এই ঘটনায় ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বাংলার মাটিতে কংগ্রেসকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে তৃণমূল রাজি নয়, তা আরও একবার পরিষ্কার হয়ে গেল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    ন্যায় যাত্রায় রাহুল

    এদিন বাগডোগরা বিমান বন্দরে নেমে রাহুল সোজা যান জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন পাহাড়পুরে। সেখানে জাতীয় সড়কের ধারে এক ধাবায় মধ্যাহ্নভোজন করেন কংগ্রেস সাংসদ। সেখান থেকে চলে যান জলপাইগুড়ি শহরের পিডব্লুডি মোড়ে। পিডব্লুডি মোড় থেকে পদযাত্রা শুরু করেন রাহুল। পোস্ট অফিস, থানা মোড় হয়ে কদমতলা মোড় পর্যন্ত পদযাত্রা করেন। এই কর্মসূচি শেষ করে সেখান থেকে অসম মোড়, ফাটাপুকুর, ফুলবাড়ি হয়ে রাহুল গান্ধী পৌঁছে যাবেন শিলিগুড়ি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indi Alliance: লোকসভায় কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও জোট নয়, মমতার মন্তব্যে ইন্ডি জোটের দফারফা

    Indi Alliance: লোকসভায় কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও জোট নয়, মমতার মন্তব্যে ইন্ডি জোটের দফারফা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডি জোট (Indi Alliance) গঠন করে বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াই করার স্বপ্ন দেখছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। সেই জোট এখনও ফলপ্রসূ হয়নি। তবে, গুয়াহাটিতে রাহুলের বক্তব্যের পরে বাংলায় কংগ্রেস-তৃণমূল জোট নিয়ে খানিকটা ‘ইতিবাচক’ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করেছিল। কিন্তু, বুধবার মমতার বক্তব্যের পরে স্পষ্ট যে, পশ্চিমবঙ্গে কোনও জোট বা আসন সমঝোতা হচ্ছে না। রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনেই প্রার্থী দিতে চলেছে তৃণমূল।

    তৃণমূলের সঙ্গে জোট নিয়ে রাহুল ঠিক কী বলেছিলেন? (Indi Alliance)

    মঙ্গলবার গুয়াহাটিতে রাহুল বলেছিলেন, তৃণমূলের সঙ্গে আসন বোঝাপড়ার প্রক্রিয়া রয়েছে, তা চলছে। তার ফলাফল আসবে। ওই বিষয়ে আমি এখানে কোনও মন্তব্য করব না। মমতাজির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত ও দলের সম্পর্ক খুবই ভালো। তবে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের কেউ কিছু বলে দেন। ওঁদের কেউ কিছু বলেন। এটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু, এতে আসন বোঝাপড়ায় কোনও বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।

    রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে কী বললেন মমতা?

    দুদিন আগে পার্ক সার্কাসের মঞ্চ থেকে মমতা ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) সমালোচনা করেছিলেন। কংগ্রেসের নাম না করে বলেছিলেন, “আমি বলেছিলাম, যে রাজ্যে, যে আঞ্চলিক দল শক্তিশালী, তারা সেই রাজ্যে লড়ুক। আর আপনারা ৩০০ আসনে একা লড়াই করুন। আমরা সাহায্য করব। বাকি আসনে আমরা লড়়াই করব। তারা বলছে, তাদের মর্জিমতো হবে।” বুধবার বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকে যাওয়ার আগে মমতাকে ওই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ মমতা জানিয়ে দেন, বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, “আমার কারও সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। আমার প্রস্তাব প্রথম দিনেই প্রত্যাখ্যান করেছে! আমার সঙ্গে কারও কোনও আলোচনা হয়নি। অ্যাবসলিউটলি মিথ্যা কথা!” তিনি আরও বলেন, “এই যে আমাদের রাজ্যে আসছে, আমাকে তো একবারও বলেনি!” মমতা বলতে চেয়েছেন রাহুলের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’র কথা। অসম থেকে রাহুল তাঁর যাত্রা নিয়ে বৃহস্পতিবারেই কোচবিহার দিয়ে বাংলায় প্রবেশ করবেন। তার এক দিন আগে মমতার কথায় স্পষ্ট যে, ইন্ডিয়া’র শরিক হিসেবে তৃণমূল ওই যাত্রায় অংশ নেবে না। দুদিন আগে মুর্শিদাবাদ জেলায় সব আসনে লড়াই করার জন্য দলীয় নেতাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আর অধীর চৌধুরীকে তিনি গুরুত্ব দিতে নারাজ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share