Tag: congress

congress

  • Congress: ‘ভ্যানিসিং পার্টি’! মিলিন্দকে নিয়ে ১২ জন বড় নেতার কংগ্রেস ত্যাগ ৫ বছরে

    Congress: ‘ভ্যানিসিং পার্টি’! মিলিন্দকে নিয়ে ১২ জন বড় নেতার কংগ্রেস ত্যাগ ৫ বছরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দরজায় কড়া নাড়ছে লোকসভা ভোট। তারই মাঝে ফের বড় ধাক্কা খেল বিরোধীদল কংগ্রেস (Congress)। আরও এক হেভিওয়েট নেতা এদিন দল ছাড়লেন। গত ৫ বছরে এই নিয়ে ১১ জন গুরুত্বপূর্ণ নেতা দল ছাড়লেন। এদিন কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিলেন মিলিন্দ দেওরা। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে মিলন্দ দেওরা জানান যে ৫৫ বছরের পারিবারিক সম্পর্ক তিনি শেষ করছেন কংগ্রেসের সঙ্গে। মহারাষ্ট্রের এই নেতা একনাথ শিণ্ডের নেতৃত্বাধীন শিব সেনাতে যোগ দিতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। মিলিন্দ দেওরার কংগ্রেস ছাড়ার জল্পনা বেশ কয়েকদিন ধরেই রটছিল। এদিন তা সত্যি হল।

    মিলিন্দ দেওরার বিবৃতি

    রাহুল গান্ধীর একদা অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই নেতা নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “আমার রাজনৈতিক কেরিয়ারের একটা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় শেষ হল আজ। আমি কংগ্রেসের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। দলের সঙ্গে আমার পরিবারের ৫৫ বছরের সম্পর্কের ইতি হল। এত বছর ধরে সমস্ত নেতা, সহকর্মী ও কার্যকর্তাকা যেভাবে আমায় অটুট সমর্থন জানিয়েছেন, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।” কংগ্রেসের (Congress) বর্ষীয়ান নেতা মুরলি দেওরার ছেলে মিলিন্দ দেওরা ২০০৪ এবং ২০০৯ সালে পরপর দুবার মুম্বই দক্ষিণ আসন থেকে নির্বাচিত সাংসদ ছিলেন। তবে ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে তিনি হেরে যান শিবসেনার কাছে। শোনা যাচ্ছে আজ রবিবার তিনি একনাথ শিণ্ডের শিবসেনায় যোগ দিতে পারেন।

    গত ৫ বছরে আরও ১১ জন হেভিওয়েট নেতার কংগ্রেস ত্যাগ

    ১) কপিল সিব্বাল:  ১৬ মে ২০২২ সালে কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কপিল সিব্বাল পরবর্তীকালে সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে তিনি রাজ্যসভায় নির্দল প্রার্থী হিসেবে জিতে আসেন।

    ২) গুলাম নবি আজাদ: জম্মু-কাশ্মীরের বর্ষীয়ান কংগ্রেস (Congress) নেতা গুলাম নবি আজাদও কংগ্রেস ছাড়েন গান্ধী-নেহেরু পরিবারের প্রতি বিদ্রোহ করে। জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন গোলাম নবি। ২০২২ সালে তিনি রাহুল গান্ধীকে অপরিণত আখ্যা দিয়ে কংগ্রেস ছাড়েন।

    ৩) হার্দিক প্যাটেল: গুজরাটের পাতিদার সমাজের মুখ হার্দিক প্যাটেলও ২০২২ সালের মে মাসে কংগ্রেস ত্যাগ করেন। একসময় প্যাটেল আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে বিজেপিতে যোগ দেন।

    ৪) অশ্বিনী কুমার: ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই কংগ্রেস ত্যাগ করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী কুমার।

    ৫) সুনীল জাখার: একসময় পাঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি থাকা এই নেতা ২০২২ সালেই কংগ্রেস ত্যাগ করেন। তৎকালীন কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী চিরঞ্জিত সিং ছান্নির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। পরবর্তীকালে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন।

    ৬) আরপিএন সিং: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরপিএন সিং কংগ্রেস (Congress) ত্যাগ করেন ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে। উত্তরপ্রদেশের এই নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন।

    ৭) জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া: জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া যিনি কংগ্রেসের ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলেন, ২০২০ সালে তিনি দলত্যাগ করেন। তৎকালীন মধ্যপ্রদেশের কমল নাথ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে দল ছাড়েন তিনি। এরপরেই মধ্যপ্রদেশে সে সময় সরকার গড়তে সক্ষম হয় বিজেপি।

    ৮) জিতিন প্রসাদ: রাহুল গান্ধীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতিন প্রসাদ ২০২১ সালেই বিজেপিতে যোগদান করেন।

    ৯) অমরিন্দর সিং: পাঞ্জাবের কংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং দল ছাড়েন ২০২২ সালে। পরবর্তীকালে তিনি গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন।

    ১০) অল্পেশ ঠাকুর:  কংগ্রেস নেতা অল্পেশ ঠাকুর ২০১৯ সালের জুলাই মাসে কংগ্রেস ত্যাগ করেন। বর্তমানে তিনি গুজরাটের গান্ধীনগর দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত বিধায়ক।

    ১১) অনিল অ্যান্টনি: কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা একে এন্টনির ছেলে গত বছরের জানুয়ারি মাসেই দল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: একই রাস্তার দু’বার শিলান্যাস! অধীর-তৃণমূল বিধায়ক দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    Murshidabad: একই রাস্তার দু’বার শিলান্যাস! অধীর-তৃণমূল বিধায়ক দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক রাস্তার দু’বার শিলান্যাস! এলাকার উন্নয়ন নিয়ে কংগ্রেসের সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরির মধ্যে দ্বৈরথের চিত্র দেখা গেল মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। কিন্তু এমন কাণ্ড কেন ঘটল! সামনেই আসন্ন লোকসভার ভোট। তাই কি এলাকার কাজ দেখিয়ে মানুষের কাছে উন্নয়নের ঢাক পেটানোর চেষ্টা চলছে? এলাকার মানুষ ঠিক এই ভাবেই বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করলেন।

    কোন রাস্তার শিলান্যস করা হয়েছিল (Murshidabad)?

    কংগ্রেস সাংসদ এবং তৃণমূল কংগ্রস বিধায়কের মধ্যে রাস্তার শিলান্যাস করা নিয়ে ‘উন্নয়ন-যুদ্ধে’ ব্যাপক শোরগোল পড়েছে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। এই জেলার বেলডাঙা-২ ব্লকের দাদপুর পঞ্চায়েতে ৬৩৫ মিটার লম্বা একটি রাস্তার দাবি ছিল অনেক দিন ধরেই। মারদিঘি থেকে অমরপুর পর্যন্ত রাস্তার শিলন্যাস করলেন কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরি। আনুমানিক খরচ হবে চার লক্ষ টাকা। একই রাস্তাকে ‘পথশ্রী’ প্রকল্পের অধীনে শিলান্যাস করেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরি।

    তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্য

    তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরি বলেন, “মরাদিঘি (Murshidabad) ও অমরপুরের বাসিন্দাদের অনেক দিনের দাবি মেনে ‘পথশ্রী’ প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তার অনুমোদন করিয়েছি। দু-চারদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।” প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে বিধায়ক আরও বলেন, “সাংসদকে বলতে চাই আপনি আপনার তহবিল থেকে আরও একটি রাস্তা তৈরি করে দিন। আর তা করতে পারলেই উন্নয়ন হবে।”

    কী বলেন অধীররঞ্জন?

    পাল্টা রাস্তার শিলান্যাসের ফিতে কেটে সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরি (Murshidabad) বলেন, “আমি সরকারি অনুমতি নিয়ে কাজ করছি। সরকারের পছন্দ না হলে কাজ বাতিল করে দিক।” রাস্তা তৈরি করতে গিয়ে যুদ্ধ কেন? প্রশ্ন করলে উত্তরে কংগ্রেস সাংসদ আরও বলেন, “বিধায়কের সঙ্গে তো আমি যুদ্ধে যেতে পারি না, তাই একসঙ্গে বসলে হয়তো কাজের বিষয়ে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তবে ওই রাস্তা আমি করবই।”

    এলাকার মানুষের বক্তব্য

    রাস্তাকে ঘিরে দুই দলের জনপ্রতিনিধিদের কার্যকলাপ সম্পর্কে স্থানীয় (Murshidabad) আলম মণ্ডল বলেন, “সামনেই ভোট, তাই উন্নয়ন নিয়ে মারামারি চলছে। ভোটের সময় ছাড়া তো আর কাউকে দেখা যায় না। আপাতত রাস্তাটা হলে ভালো আমাদের জন্য।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jhalda: ঝালদার পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়ল পুরভবনে, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Jhalda: ঝালদার পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়ল পুরভবনে, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশ মেনে ৮ ডিসেম্বর পুরুলিয়ার ঝালদা (Jhalda) পুরসভায় আস্থা ভোট হওয়ার কথা ছিল। জেলা শাসকের উপস্থিতিতে এই ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিংহ। সেই নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছিলেন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। এবার সেই ঝালদার পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়ল পুরভবনে।

    কারা অনাস্থা প্রস্তাব আনল? (Jhalda)

    তৃণমূলে যোগ দেওয়া ঝালদার (Jhalda) পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এবার অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন সাত পুরপ্রতিনিধি। সাত পুরপ্রতিনিধির সই করা অনাস্থা প্রস্তাবের চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে ঝালদার মহকুমাশাসক এবং পুরুলিয়ার জেলাশাসকের দফতরেও। সাতজনের মধ্যে শাসকদলের পাঁচ পুরপ্রতিনিধি। আর কংগ্রেসের দুই পুর প্রতিনিধি রয়েছেন। তপন কান্দু খুনে শাসক দলের একাংশ জড়িত রয়েছে বলে তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু অভিযোগ করেছিলেন। সেই পূর্ণিমাও এবার অনাস্থা প্রস্তাবে তৃণমূলের পুর প্রতিনিধিদের সঙ্গে হাত মেলানোয় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও এই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাননি পূর্ণিমা। তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য, যা বলার তা দলীয় নেতৃত্বই বলবেন। কংগ্রেসের পুরপ্রতিনিধি বিপ্লব কয়ালের বক্তব্য, সংখ্যালঘু হয়ে পড়ার পরে নৈতিকতার খাতিরে পুরপ্রধানের পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত ছিল। তিনি তা করেননি। হাই কোর্ট জানায়, আস্থা না থাকলে যা করণীয় সেটা পুরআইন অনুযায়ী করতে হবে। আমরাও সেটাই করেছি। অনাস্থাকারীদের অন্যতম ঝালদার প্রাক্তন তৃণমূল পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল বলেন, আলোচনা করেই পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে।

    পুরপ্রধান কী বললেন?

    অনাস্থা প্রসঙ্গে ঝালদা (Jhalda) পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায় বলেন, সাত জনের সই করা অনাস্থার একটি চিঠি পুরসভার অফিসে জমা পড়েছে বলে শুনেছি। এর বেশি কিছু আমি জানি না।

    পুর প্রধানকে সরাতে মামলা হয় আদালতে

    কংগ্রেস ও নির্দল জোটের সমর্থনে ঝালদা পুরসভায় শীলা পুরপ্রধান হলেও তাতে সিলমোহর দেয়নি রাজ্য সরকার। এনিয়ে আদালতে মামলা হয়। হাই কোর্ট জানিয়েছিল, ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত শীলার পুরপ্রধান পদে থাকতে সমস্যা নেই। ইতিমধ্যে শীলা ও চার কংগ্রেস পুরপ্রতিনিধি তৃণমূলে যেতেই সমীকরণ বদলায়। তৃণমূলের আদি পাঁচ পুরপ্রতিনিধি শীলাকে পুরপ্রধান হিসেবে মানতে নারাজ। শীলা সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছেন দাবি করে তৃণমূলের ওই পাঁচ পুরপ্রতিনিধি ও কংগ্রেসের দুই পুরপ্রতিনিধি তাঁকে পুরপ্রধান পদ থেকে সরাতে দু’টি পৃথক মামলা করেছিলেন। সেখানে সিঙ্গেল বেঞ্চের একটি রায়ের প্রেক্ষিতে ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার জানায়, পুরপ্রধানের প্রতি আস্থা না থাকলে পুরআইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Jhalda: ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ঝালদা পুরসভায় এখনই হচ্ছে না আস্থাভোট

    Jhalda: ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ঝালদা পুরসভায় এখনই হচ্ছে না আস্থাভোট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশ মেনে ৮ ডিসেম্বর পুরুলিয়ার ঝালদা (Jhalda) পুরসভায় আস্থা ভোট হওয়ার কথা ছিল। জেলা শাসকের উপস্থিতি এই ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিংহ। কিন্তু, বুধবার সেই নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নতুন নির্দেশ মেনে আগামী ৮ ডিসেম্বর পুরসভায় আস্থাভোট হচ্ছে না। 

    আস্থাভোট নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের কী পর্যবেক্ষণ? (Jhalda)

    ঝালদা (Jhalda) পুরসভার চেয়ারপার্সন শীলা চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণ চেয়ে জোড়া মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে। মামলা করেছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলার পূর্ণিমা কান্দুও। পাঁচজন তৃণমূল কাউন্সিলার এবং দু’জন কংগ্রেস কাউন্সিলার পৃথক ভাবে মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলাতেই বিচারপতি অমৃতা সিংহ নির্দেশ দিয়েছিলেন, আগামী ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ঝালদা পুরসভায় জেলাশাসকের উপস্থিতিতে আস্থাভোট করাতে হবে। আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে তা নিয়ে রিপোর্টও দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। বুধবার বিচারপতি সিংহের সেই নির্দেশকে খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। বেঞ্চ জানায়, চেয়ারপার্সন অপসারণের পৃথক এবং নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। চেয়ারপার্সনকে অপসারণের ক্ষেত্রে সেই নিয়মই মেনে চলতে হবে। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, আদালত এই বিষয়ে আস্থাভোট করানোর নির্দেশ দিতে পারে না। পুরসভায় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে। সে ক্ষেত্রে পুরসভা যদি মনে করে, আস্থাভোট করানো প্রয়োজন, তা হলে তা-ই হবে।

    প্রসঙ্গত, ঝালদা (Jhalda) পুরসভায় মোট ১২টি আসন। ৫টি করে আসন জেতে কংগ্রেস এবং তৃণমূল। নির্দল পায় ২টি আসন। কে পুরবোর্ড গঠন করবে সেই নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছে। ২০২২ সালে ২১ নভেম্বর আস্থাভোট হয় ঝালদা পুরসভায়। সেখানে নির্দলের সমর্থন নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে কংগ্রেস। তবে, কংগ্রেস বোর্ড গঠন করার আগেই মামলা হয় হাইকোর্টে। সেই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে এর আগে শীলা চট্টোপাধ্যায় ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। চেয়ারম্যানকে  সরাতে চেয়ে তৃণমূল ও কংগ্রেস দুই পক্ষই আদালতে যায়। তবে, এবার আস্থাভোট না করার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mizoram: কংগ্রেস, এমএনএফ-এর ভরাডুবি মিজোরামে, বাড়ছে বিজেপি, সরকার গড়ছে জেডপিএম

    Mizoram: কংগ্রেস, এমএনএফ-এর ভরাডুবি মিজোরামে, বাড়ছে বিজেপি, সরকার গড়ছে জেডপিএম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য মিজোরামে (Mizoram) চলছে ভোট গণনা। বিকাল ৪টা পর্যন্ত যে পরিসংখ্যান মিলেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ‘জোরাম পিপলস মুভমেন্ট’ বা জেডপিএম এখনও পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছে ২৭ আসনে। অন্যদিকে ‘মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ বা এমএনএফ এগিয়ে রয়েছে ১০টি আসনে। বিজেপি এগিয়ে ৩ আসনে, অন্যদিকে কংগ্রেস মাত্র ১ টি আসন পেয়েছে। ‘জোরাম পিপলস মুভমেন্ট’ বা জেডপিএম-এর প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রাক্তন আইপিএস অফিসার লালডুহোমার নেবেন মুখ্যমন্ত্রীর শপথ। সেখানকার সংবাদ মাধ্যম বলছে যে ইতিমধ্যে তিনি সরকার গঠনের দাবিও জানিয়েছেন। ৭৪ বছর বয়সী লালডুহোমার ছিলেন দুঁদে আইপিএস। ইন্দিরা গান্ধীর নিরাপত্তা বিষয়টিও তিনি দেখভাল করেন। ১৯৮৪ সালেই তিনি এই দল প্রতিষ্ঠা করেন।

    ভরাডুবি কংগ্রেসের

    ২০১৮ সালে সেখানে কংগ্রেস জোটের ভরাডুবি হয়। এরপর কংগ্রেস ২০১৮ সালের ফলাফলও চলতি বিধানসভা নির্বাচনে ধরে রাখতে পারল না। ২০১৮ সালেও কংগ্রেস পেয়েছিল ৪টি আসন। এবার তারা খুইয়েছে ৩টি আসন। দেশের হিন্দি বলয়ের রাজ্যগুলিতে গতকাল যে ধরনের বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে কংগ্রেস, সেই একই চিত্র বজায় থাকল উত্তর-পূর্ব ভারতেও। মিজোরাম (Mizoram)  বিধানসভায় মোট আসন রয়েছে ৪০টি। ম্যাজিক সংখ্যা হল ২১। সেটা অনেক আগেই পেরিয়ে গিয়েছে ‘জোরাম পিপলস মুভমেন্ট’ বা জেডপিএম।

    বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা পরাস্ত হয়েছেন

    তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মতোই সেখানে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা (Mizoram) পরাস্ত হয়েছেন। এমএনএফ পার্টির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। আইজল পূর্ব-১ কেন্দ্রে এদিন জেডপিএম প্রার্থীর পরাস্ত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমএনএফ-কে হারিয়ে সরকার গঠন করতে চলেছে ‘জোরাম পিপলস মুভমেন্ট’ বা জেডপিএম। অনেকটাই পিছনে পিছিয়ে রয়েছে (Mizoram) ‘মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট’। এদিন সকাল থেকে ভোট গণনা শুরু হতেই জোর টক্কর চলছিল জেডপিএম এবং এমএনএফ-এর মধ্যে। ভোট গণনা শুরু হতেই উভয় দল ছটি করে আসনে এগিয়ে যায়। এরপর থেকেই গতি বাড়তে থাকে জেডপিএম-এর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jhalda: ‘জেলাশাসকের উপস্থিতিতে অনাস্থা ভোট হবে ঝালদায়’, নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার

    Jhalda: ‘জেলাশাসকের উপস্থিতিতে অনাস্থা ভোট হবে ঝালদায়’, নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভা ভোট শেষ হওয়ার এতদিন পরও ঝালদা (Jhalda) পুরসভায় চেয়ারম্যান হিসেবে কে বসবে তা নিয়ে লড়াই চলছে। পুরসভায় বোর্ড গঠন এখনও আটকে রয়েছে আইনি জটে। পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান শীলা চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণ চেয়ে জোড়া মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্টে সেই মামলার শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা ঝালদা পুরসভার অনাস্থা ভোট নিয়ে এদিন দিনক্ষণও ঠিক করে দিয়েছেন।

    কী নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক? (Jhalda)  

    বিচারক অমৃত সিনহা নির্দেশ দিয়েছেন, ‘আস্থাভোট করাতে হবে ঝালদায় (Jhalda)। ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ঝালদা পুরসভায় অনাস্থা ভোট করতে হবে। জেলাশাসককেই এই ভোটের দায়িত্ব নিতে হবে। আস্থাভোট করানোর পর সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে জমা দিতে হবে। যতদিন না আস্থাভোট মিটছে, ততদিন যেমন পুরসভার কাজ চলছে তেমন চলবে।’ জানা গিয়েছে, বর্তমানে ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান শীলা চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অপসারণের দাবিতে গত ২৩ নভেম্বর জোড়া মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। পাঁচ জন তৃণমূল কাউন্সিলর এবং দু’জন কংগ্রেস কাউন্সিলর পৃথক ভাবে মামলা দায়ের করেছিলেন। বৃহস্পতিবার সেই মামলারই শুনানি ছিল।

    প্রসঙ্গত, ঝালদা (Jhalda) পুরসভায় মোট ১২টি আসন। ৫টি করে আসন জেতে কংগ্রেস এবং তৃণমূল। নির্দল পায় ২টি আসন। কে পুরবোর্ড গঠন করবে সেই নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছে। ২০২২ সালে ২১ নভেম্বর আস্থাভোট হয় ঝালদা পুরসভায়। সেখানে নির্দলের সমর্থন নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে কংগ্রেস। তবে, কংগ্রেস বোর্ড গঠন করার আগেই মামলা হয় হাইকোর্টে। সেই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। শেষ পর্যন্ত বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে শীলা চট্টোপাধ্যায় ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। কিন্তু, এবার শীলাকেই সরাতে চাইছে তৃণমূল ও কংগ্রেস দুই পক্ষই। তাই আস্থা ভোটের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: তৃণমূলে যোগদানকারীদের অস্বীকার বিধায়কের, শাসক দলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    South 24 Parganas: তৃণমূলে যোগদানকারীদের অস্বীকার বিধায়কের, শাসক দলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের দলীয় সভা থেকে যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দল থেকে আসা সমস্ত কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলছেন, সেখানেই বেসুরো দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার। বিরোধী দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া পঞ্চায়েত সদস্যদের মানতে রাজি নন তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর অবস্থানের জন্য দলের অঞ্চল নেতৃত্বের কাছে সমালোচিত হয়েছেন বিধায়ক। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    বিধায়কের বক্তব্যে সরব যোগদানকারীরা (South 24 Parganas)

    ব্লক সভাপতির হাত ধরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপির গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে যোগ দিয়েছিলেন আইএসএফ ও কংগ্রেসের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যরা। আর ব্লক নেতৃত্বের উদ্যোগে এই যোগদানকারীদের অস্বীকার করেন কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার। তিনি বলেন, শুধুমাত্র পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের জন্য প্রধানের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আইএসএফ ও কংগ্রেসের জয়ী মোট পাঁচজন সদস্য। কিন্তু, তাঁরা দলে যোগদান করেননি।

    অন্যদিকে বিধায়কের বক্তব্য নিয়ে সরব হয়েছেন সদ্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানকারী আইএসএফ ও কংগ্রেসের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যরা। তাঁরা বলেন, গত ১১ ই নভেম্বর সুন্দরবন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা সভানেত্রী পূর্ণিমা হাজারিকা ও কুলপি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রিয় হালদারের হাত ধরে গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আমরা দুজন আইএএফ এবং তিনজন কংগ্রেসের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করি। আমরা তৃণমূলে যোগদান করার পরই গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন বিধায়ক না মানলে হব? জেলা নেতৃত্ব তো আমাদের দলে নিয়েছে।

    কী বললেন দলের অঞ্চল সভাপতি?

    এই ঘটনায় তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) গাজিপুর অঞ্চল সভাপতি আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন, ব্লক সভাপতি ও জেলা মহিলা সভানেত্রী উপস্থিতিতে বিরোধীদের পাঁচজন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন। কিন্তু, কীভাবে বিধায়ক এই কথা বলতে পারেন তা তিনিই জানেন। যোগদানকারীরা তৃণমূলে রয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • National Herald case: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ৭৫১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    National Herald case: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ৭৫১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র মামলায় (National Herald case) ৭৫১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের তালিকায় রয়েছে ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র, এই সংবাদপত্রের প্রকাশনা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেড, ন্যাশনাল হেরাল্ডের পরিচালক সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়া। এর পাশাপাশি রয়েছে লখনউয়ের নেহরু ভবনও। জানা গিয়েছে, এই সংস্থার ৭৬ শতাংশ শেয়ারের মালিক রাহুল ও সোনিয়া গান্ধী। ইডি তদন্তে উঠে এসেছে যে অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেডের দখলে রয়েছে ৬৬১.৬৯ কোটি টাকার বেআইনি সম্পত্তি।

    সংবাদপত্র কংগ্রেস নেতাদের কাছে ঋণ নিয়েছিল

    প্রসঙ্গত, কংগ্রেস নেতা তথা দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে জানা যায়। মনমোহন সিং সরকারের আমলে ২০১৩ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald case) সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। ঠিক তার পরেই ২০১৪ সালে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হন। স্বামীর মতে, ‘‘অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেড নামের সংস্থা হল ন্যাশনাল হেরাল্ডের (National Herald case) প্রকাশনা সংস্থা। এই সংস্থার বাজারে ৯০ কোটি টাকার দেনা ছিল। এই দেনার বেশির ভাগই কংগ্রেসের কাছ থেকে নেওয়া।’’

    ২০১৫ সালেই তদন্তের নির্দেশ দেয় দিল্লির আদালত

    জওহরলাল নেহরু প্রতিষ্ঠিত সংবাদপত্রটি (National Herald case) ২০০৮ সালেই বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় এটি অধিগ্রহণ করে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। যার মধ্যে ছিলেন সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীও। এর ফলে ন্যাশনাল হেরাল্ডের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ইয়ং ইন্ডিয়ার দখলে চলে আসে। স্বভাবতই ন্যাশনাল হেরাল্ডের কংগ্রেস নেতাদের কাছে নেওয়া ৯০ কোটি টাকা ঋণের সেই বোঝাও চাপে ইয়ং ইন্ডিয়ার ওপর। ঠিক এই সময়ের মধ্যেই দেনার টাকা আর উদ্ধার করা সম্ভব নয়, এই যুক্তি দেখিয়ে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব ঋণের টাকা মকুব করে দেয়। এখানেই আপত্তি তোলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। স্বামীর যুক্তি ছিল, ‘‘কংগ্রেস রাজনৈতিক দল। কোনও রাজনৈতিক দলকে কর দিতে হয় না। আবার কোনও বাণিজ্যিক সংস্থাকে (National Herald case) কোনও রাজনৈতিক দলের ঋণ দেওয়াটা তাদের এক্তিয়ারের বাইরে।’’ ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রের মালিকানা হস্তান্তরের সময় কোনও লেনদেন হয়েছিল কিনা, সেই তদন্তের জন্য ২০১৫ সালের শুরুর দিকেই নির্দেশ দেয় দিল্লির মেট্রোপলিটন আদালত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদায় ‘গনি খান’ মিথ কি শেষ! লোকসভায় মৌসমকে চাইছে না তৃণমূলের বড় অংশ

    Malda: মালদায় ‘গনি খান’ মিথ কি শেষ! লোকসভায় মৌসমকে চাইছে না তৃণমূলের বড় অংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘গনি খান’ মিত কি ভাঙছে মালদায়! গনিখান চৌধুরীর ছবির উপর ভর করে একসময় এই জেলায় বাজিমাত করত কংগ্রেস। বাম আমলে গনি খান চৌধুরীর নামটাই ছিল কংগ্রেসের তুরুপের তাস। তাই এই পরিবারের সদস্যদের আলাদা গুরুত্ব ছিল সব সময়। সব রাজনৈতিক দলই আলাদা নজরে দেখত এই পরিবারের সদস্যদের। কয়েক বছর আগেই মালদার (Malda) বুকে কংগ্রেসে ব্যাপক ভাঙন ধরিয়ে হাজার হাজার অনুগামী নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন মৌসম বেনজির নূর। তিনি এখন রাজ্যসভার সদস্য। সামনে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে পার্টির প্রার্থী হওয়া নিয়ে দলের অন্দরে জোট চর্চা শুরু হয়েছে। দলের একটা বড় অংশের কর্মীরা মৌসমকে আর লোকসভার প্রার্থী করতে চাইছেন না। তারা রীতিমতো গণস্বাক্ষর করে রাজ্য নেতৃত্বের দ্বারস্থ হতে চলেছেন।

    কেন ক্ষোভ? (Malda)

    বেশ কয়েক বছর আগেই কংগ্রেস ছেড়ে মৌসম তৃণমূলে যোগ দেন। গত লোকসভা নির্বাচনে তিনি হেরে যান। তবে, তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাঁকে রাজ্যসভায় সাংসদ নির্বাচিত করা হয়। কিন্তু, সংসদ সদস্য হওয়ার পর থেকে মালদায় (Malda) দলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, বাড়ি গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হত। অনেক সময় ঠিক মতো করে কথাও বলতেন না নেত্রী। আপদে বিপদেও নেত্রীকে পাশে পাওয়া যায়নি। ফলে দলের মধ্যেই বেশ কয়েক বছর ধরে তাঁর বিরুদ্ধে চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। একসময় যারা মৌসুমের অনুগামী হিসেবে পরিচিত ছিলেন, তাঁরাও ধীরে ধীরে নেত্রীকে পাশে না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। কয়েক মাস পরেই হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। স্বাভাবিকভাবেই মৌসমকে নিয়ে ফের জেলার রাজনীতিতে চর্চা শুরু হয়েছে। কিন্তু, নিচুতলার কর্মীদের একটা বড় অংশ তাঁর থেকে সরে গেছে। তাই এবার লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে চাইছেন না। শুধুমাত্র গনি খান চৌধুরীর পরিবারের সদস্য বলে মৌসমকে যাতে প্রার্থী না করে রাজ্য নেতৃত্ব তাই একটা অংশ গণ স্বাক্ষর করে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে দরবার করতে চলেছেন। তাঁর পরিবর্তে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে দলের জেলার সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সিকে অনেকে চাইছেন।

    তৃণমূল নেত্রী মৌসম নূর কী বললেন?

    তৃণমূল নেত্রী মৌসম নূর বলেন, দলের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থাকতেই পারে। এটা নিয়ে চর্চার দরকার নেই। কিছু মানুষের মনে মান-অভিমান থাকতে পারে, সেটা মিটে যাবে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেকের নেতৃত্বে এখানে তৃণমূল ফের শক্তিশালী হবে।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    তৃণমূলের মালদার (Malda) জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, প্রার্থী ঠিক করার বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্ব করে।  এখানে আমাদের কিছু বলার নেই। আর এই নিয়ে কে কী দাবি করছে তা আমার জানা নেই। তাই, এই বিষয়ে আমার মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: ‘মমতা-সুজন-অধীর-অভিষেক-সেলিম’ এক ব্যানারে, হুগলিজুড়ে পোস্টারে চাঞ্চল্য

    Hooghly: ‘মমতা-সুজন-অধীর-অভিষেক-সেলিম’ এক ব্যানারে, হুগলিজুড়ে পোস্টারে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামান্য একটি রাজনৈতিক নেতাদের ছবি সহ ব্যানার। আর সেই ব্যানার নিয়ে তোলপাড়় হুগলি (Hooghly) জেলার রাজনীতি। জেলার একাধিক প্রান্তেই ওই ব্যানার কে বা কারা টাঙিয়েছে। আর সেই ব্যানারকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী রয়েছে ব্যানারে? (Hooghly)  

    লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে বিরোধীরা ইন্ডিয়া জোট গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তবে, সেই জোটের স্লোগান, ব্যানার, ফেস্টুন, প্রচারের ইস্যু কী হবে তা কিছুই ঠিক হয়নি। ব্যানারে কাদের ছবি ব্যবহার করা হবে, কাদের হবে না সেই বিষয়ে কোনও স্পষ্ট কোনও বার্তা নেই। এরমধ্যেই হুগলি (Hooghly)  জেলায় একটি ব্যানারে দেখা গেল, এক ফ্রেমের মধ্যে মমতা- অভিষেক-সনিয়া-রাহুল-সেলিম-সুজন সকলের মুখ একসঙ্গে শোভা পাচ্ছে ব্যানারে। বাংলার রাজনীতিতে এমন ছবি বিরল। তৃণমূল-বাম-কংগ্রেস সব দলের নেতাদের মুখ একসঙ্গে। এক ব্যানারে। শুধু তাই নয়, একই ব্যানারে লেখা রয়েছে ‘ইনক্লাব’, ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিও। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘ইন্ডিয়া’ জোটে সামিল হওয়ার ডাক দেওয়া হয়েছে সেখানে। হুগলি জেলার বিভিন্ন জায়গায় এমন ব্যানার লাগানো হয়েছে। চাঁপদানী, ভদ্রেশ্বর, পোলবা-সহ অনেক জায়গায় দেখা গিয়েছে মমতা-সেলিম- অধীরদের ছবি নিয়ে এই ব্যানার। কিন্তু কারা ছড়াল এসব? ব্যানার দেখে তা বোঝার উপায় নেই। কারণ, কোনও দল বা কোনও সংগঠনের নাম সেখানে উল্লেখ নেই। শুধু ইন্ডিয়ার সমর্থনে প্রচার করা হয়েছে।

    ব্যানার নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    কোনও রাজনৈতিক দলই ব্যানার লাগানোর দায় নিচ্ছে না। তৃণমূলের হুগলি (Hooghly) জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইন বলছেন, ইন্ডিয়া জোট শক্তিশালী হোক, এটা আমরা সবাই চাই। বিজেপিকে আটকাতে হলে ইন্ডিয়া জোটকে শক্তিশালী করতে হবে। তবে, এই পোস্টার বা ব্যানার কারা লাগাচ্ছে, সেটা আমাদের জানা নেই। আমাদের দলের কেউ করেনি এটা বলতে পারি। ইন্ডিয়া জোটের সমর্থনে এই পোস্টারের দায় নিতে নারাজ বামেরাও। সিপিএম জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলছেন, আমাদের নেতৃত্বের অনুমতি ছাড়া ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি, যেখানে এই ধরনের পোস্টার দেখবে, যেন সেগুলি ছিঁড়ে দেওয়া হয়। কংগ্রেসের হুগলি জেলা সহ সভাপতি দেবব্ৰত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ইন্ডিয়া জোট হওয়ার পর বিজেপি ভয় পেয়ে গিয়েছে। যাতে এই সমঝোতা ভেঙে যায়, সেই চেষ্টা করছে বিজেপি। সিপিএম ও কংগ্রেস কর্মীদের বিভ্রান্ত করে নিজেদের হাত শক্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগাচ্ছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এদিকে ব্যানার বিতর্কে বিজেপি আবার খোঁচা দিতে শুরু করেছে তৃণমূল-সিপিএম-কংগ্রেসকে। পদ্ম শিবিরের হুগলি (Hooghly)  সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলছেন, বেঙ্গালুরুতে যখন এদের শীর্ষ নেতৃত্বরা বৈঠক করেছিল, তখনই রাজ্যের মানুষের কাছে এদের আসল ছবি পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল। এদের দিল্লিতে একরকম মুখোশ, পশ্চিমবঙ্গে আরেকরকম মুখোশ। এই ব্যানার নিয়ে সাধারণ মানুষের এতটুকু মাথাব্যথা নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share