Tag: congress

congress

  • JP Nadda: “ছত্তিশগড়ে গ্রহণ চলছে, বিজেপিকে ক্ষমতায় আনুন”, রায়পুরের সভায় আবেদন নাড্ডার

    JP Nadda: “ছত্তিশগড়ে গ্রহণ চলছে, বিজেপিকে ক্ষমতায় আনুন”, রায়পুরের সভায় আবেদন নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ছত্তিশগড়ে পাঁচ বছর ধরে গ্রহণ চলছে।” রবিবার রায়পুরের জনসভায় এই ভাষায়ই কংগ্রেসকে আক্রমণ শানালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। ছত্তিশগড়ের কংগ্রেস সরকার আপাদমস্তক দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছে বলেও অভিযোগ বিজেপির এই শীর্ষ নেতার।

    ভূপেশ বাঘেলের দুর্নীতি…

    তিনি বলেন, “ভূপেশ বাঘেলের দুর্নীতি, অদক্ষতা এবং অবিশ্বাস আমরা চোখে দেখেছি। আমি অবিশ্বাস্য বলছি কারণ আপনি কি দেখেছেন একজন মুখ্যমন্ত্রীর সচিব বছরের পর বছর জেলে রয়েছেন? কপালে যদি দুর্নীতি লেখা থাকে, তাহলে তার চেয়ে বড় প্রমাণ আর কী প্রয়োজন হতে পারে!” উপস্থিত জনতার দিকে নাড্ডার প্রশ্ন, “এরকম দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের কি ক্ষমতায় থাকা উচিত?”

    প্রতিশ্রুতিভঙ্গ সরকারের

    ৯০ আসনের ছত্তিশগড় বিধানসভায় ভোট হবে দু’ দফায়। প্রথম দফার ভোট হবে ৭ নভেম্বর। দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে ওই মাসেরই ১৭ তারিখে। এদিনের জনসভায় নাড্ডার প্রশ্ন, “এই (কংগ্রেস) সরকার তরুণদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে কি না? মহিলারা কী প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে পাচ্ছেন? মদ কেলেঙ্কারি ঘটেছে কি না? ভূপেশ বাঘেল মদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই নিষেধাজ্ঞা জারি না করে তিনি কেলেঙ্করি করেছেন। সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি করেছেন তিনি। তিনি গরু এবং গোবরের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি করতে ছাড়ছেন না।”

    বিজেপিকে রাজ্যে ক্ষমতায় আনার আবেদন জানিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি (JP Nadda) বলেন, “গতকাল চন্দ্রগ্রহণ ছিল। ছত্তিশগড়েও গত পাঁচ বছর ধরে গ্রহণ চলছে। এখন সময় এসেছে এই গ্রহণ থেকে মুক্তি পাওয়ার। এরকম একটা দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকারই নেই।”

    আরও পড়ুুন: ‘বালুর সঙ্গে একাধিকবার ফোনে কথা! মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দুর্নীতি হয়েছে’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    প্রথম দফায় নির্বাচন হবে ২০টি বিধানসভা কেন্দ্রে। এদিনের সভায় ওই কেন্দ্রগুলিতে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যেতে নির্দেশ দেন দলীয় কর্মীদের। নাড্ডা (JP Nadda) বলেন, “আপনারা ভোটারদের ভোট দিতে উৎসাহিত করুন। তাঁরা আপনাদের ভোট দিন অথবা না দিন কিন্তু গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করুন। আপনারা তাঁদের ভোট দিতে অনুরোধ করুন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “রাজস্থানে ২৪ ঘণ্টা কুরসির খেলা চলতে থাকে”, কংগ্রেস সরকারকে নিশানা প্রধানমন্ত্রীর  

    PM Modi: “রাজস্থানে ২৪ ঘণ্টা কুরসির খেলা চলতে থাকে”, কংগ্রেস সরকারকে নিশানা প্রধানমন্ত্রীর  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গত পাঁচ বছরে কংগ্রেস সরকার এক কদমও এগোয়নি। এখানে চব্বিশ ঘণ্টা কুরসির খেলা চলতে থাকে।” ভোটমুখী রাজস্থানে গিয়ে সে রাজ্যের কংগ্রেস সরকারকে এই ভাষায়ই নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৃহস্পতিবার রাজস্থানের যোধপুরে সরকারি এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই হাতিয়ার করেন সে রাজ্যের কংগ্রেসের দুর্নীতিকে।

    লাল ডায়েরির প্রসঙ্গ

    তিনি বলেন, “লাল ডায়েরির কথা শুনেছেন? লোকে বলে যে ওই ডায়েরিতে কংগ্রেসের দুর্নীতির সব কথা লেখা রয়েছে। আমাকে বলুন, ডায়েরির গোপনীয়তা কি প্রকাশ্যে আসা উচিত নয়? …অসাধুদের কি শাস্তি দেওয়া উচিত নয়? …কংগ্রেস সরকার কি ডায়েরির গোপনীয়তা প্রকাশ্যে আসতে দেবে? সত্য প্রকাশ্যে আনতে গেলে আপনাদের বিজেপি সরকার গঠন করতে হবে।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “কেন্দ্রের বিজেপি সরকার রাজস্থানের উন্নয়নের জন্য তাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। কিন্তু এখানকার অবস্থা বেদনাদায়ক…দুর্নীতি ও হিংসার ক্ষেত্রে কংগ্রেস রাজস্থানকে দেশের শীর্ষে নিয়ে এসেছে। নারী ও দলিতদের প্রতি অত্যাচারের ক্ষেত্রে রাজস্থানকে এক নম্বরে পরিণত করেছে। কংগ্রেস মাদক ব্যবসাকে ছাড় দিয়েছে।”

    ‘স্বাস্থ্যই রয়েছে অগ্রাধিকারের তালিকায়’

    তিনি বলেন, “বিজেপি সরকারের কাছে আপনার স্বাস্থ্যই রয়েছে অগ্রাধিকারের তালিকায়। একদিকে আমরা আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অধীনে দরিদ্র পরিবারগুলিকে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা দিচ্ছি এবং অন্য দিকে আমরা রেকর্ড সংখ্যায় আধুনিক হাসপাতাল তৈরি করছি।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জনগণের প্রতি কংগ্রেসের কোনও আগ্রহ নেই। তারা কেবল ভালবাসে ভোটব্যাঙ্ক।” তিনি বলেন, “রাজস্থানকে উন্নয়নশীল দেশের ইঞ্জিন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বিজেপি। পর্যটনে রাজস্থানকে ১ নম্বর রাজ্য করার অঙ্গীকার করছে বিজেপি। বিজেপি যদি রাজস্থানে সরকার গড়ে, তাহলে পর্যটনে রাজ্যটি হবে এক নম্বর।”

    এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। সরকারি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “মোদির ওপর ওঁর অনেক ভরসা রয়েছে। সেজন্য ওঁর মনে হয়েছে, মোদি আসছেন, সব হয়ে যাবে। আমিও ওঁকে বলছি, আপনি বিশ্রাম করুন। এবার আমরা সামলে নেব।”

    আরও পড়ুুন: সাত লক্ষে টাইপিস্ট, ৪ লাখে ড্রাইভার! জানেন পুরসভায় চাকরি বিক্রির রেট?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • PM Modi: “কিছু শহুরে মাওবাদী এখন কংগ্রেস চালাচ্ছে”, ভোপালের জনসভায় তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: “কিছু শহুরে মাওবাদী এখন কংগ্রেস চালাচ্ছে”, ভোপালের জনসভায় তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস দেউলিয়া এবং মরচে পড়া লোহা। কিছু শহুরে মাওবাদী এখন দল চালাচ্ছে।” সোমবার মধ্যপ্রদেশের ভোপালে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর মতে, দেশজুড়ে নেতিবাচকতার ভাইরাস ছড়াচ্ছে কংগ্রেস। চলতি বছরই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে মধ্যপ্রদেশে। তার আগে বিজেপির তরফে আয়োজন করা হয়েছে ‘কার্যকর্তা মহাকুম্ভে’র।

    মোদির নিশানায় কংগ্রেস 

    এই মহাকুম্ভেই ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিশানা করেন কংগ্রেসকে। তিনি বলেন, “আমাকে বলুন, কংগ্রেস আপনাদের জন্য কী ভাল কাজ করেছে। এই দল এটা নিশ্চিত করেছে যে আপনি ও লোকেরা যাতে অনুন্নয়নে আটকে থাকেন, জীবিকার অভাবে দারিদ্র ও হতাশার মধ্যে ডুবে থাকেন।” এর পরেই তিনি বলেন, “কংগ্রেস দেউলিয়া ও মরচে পড়া লোহা। কিছু শহুরে মাওবাদী এখন দল চালাচ্ছে। আর বিজেপি সরকার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নীত করার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করছে।”

    ‘প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি কংগ্রেস’

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “কংগ্রেস ৫০ বছর আগে দারিদ্র দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তাতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।” তাঁর প্রশ্ন, “মধ্যপ্রদেশকে কি আপনারা আবার কংগ্রেস আমলের মতো অসুস্থ রাজ্যে পরিণত করতে চান? আপনাদের রাজ্যে আবার দুর্নীতিবাজদের লুটপাট দেখতে চান?” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মধ্যপ্রদেশের উন্নয়নকে বিজেপি সরকার অগ্রাধিকার দেবে। যদি বিজেপি ক্ষমতায় থাকে এবং মোদির নেতৃত্বে থাকে, তবে আপনাদের উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে।”

    আরও পড়ুুন: ইন্ডি জোটের অন্দরে ফের তাল ঠোকাঠুকি! রাঘবের মেগা বিয়েকে ঘিরে আপকে বিঁধল কংগ্রেস

    কংগ্রেসের পাশাপাশি এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আক্রমণ শানান বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ইন্ডিকে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যে দলটি একদিন সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিলের বিরোধিতা করতে চেয়েছিল, এবার কিন্তু আইনটির জন্য অপ্রতিরোধ্য সমর্থনের মুখে তাঁদের অন্য কোনও বিকল্প ছিল না।” তিনি বলেন, “কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন মহিলা সংরক্ষণ বিল কেন পাশ করেনি? অন্য জোটের শরিকদের বিপথে নিয়ে যাওয়ার জন্য অহংকারী জোটকে নেতৃত্ব দিতে চায় কংগ্রেস। এই দলের হতাশা স্পষ্ট এবং এখন তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করবে এবং যুবক ও মহিলাদের বিভ্রান্ত করবে। কংগ্রেস সেই দল যারা দ্রৌপদী মুর্মুকে দেশের রাষ্ট্রপতি হতে দেখতে চায়নি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raghav Chadha Marriage: ইন্ডি জোটের অন্দরে ফের তাল ঠোকাঠুকি! রাঘবের মেগা বিয়েকে ঘিরে আপকে বিঁধল কংগ্রেস

    Raghav Chadha Marriage: ইন্ডি জোটের অন্দরে ফের তাল ঠোকাঠুকি! রাঘবের মেগা বিয়েকে ঘিরে আপকে বিঁধল কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি আম আদমি পার্টির নেতা। অথচ বিয়ে করতে গিয়ে তিনি পরেছেন ১০ লাখি পোশাক! আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডার বিয়ে হয়েছে অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়ার সঙ্গে (Raghav Chadha Marriage)। এই মেগা বিয়েকে কেন্দ্র করে অশান্তি দেখা দিয়েছে ইন্ডি (INDI) জোটের অন্দরে। রাঘবকে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। ঘটনাচক্রে এই দুই দলই রয়েছে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ইন্ডিতে।

    অশান্তি ইন্ডি জোটে

    ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ধরাশায়ী করতে জোট বেঁধেছে পদ্ম-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’। এই ‘ইন্ডিয়া’র অন্দরেই নিত্য চলছে তাল ঠোকাঠুকি। জোটে থাকলেও, পঞ্জাবে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়বে বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন আপ নেতৃত্ব। এখানে যে কোনও আসন সমঝোতা হবে না, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কেজরিওয়ালের দলের তরফে। তার জেরে আপ-কংগ্রেস দু’ পক্ষেই চলছিল আস্তিন গোটানোর কাজ।

    কটাক্ষ-বাণ কংগ্রেসের

    রাঘব-পরিণীতির বিয়েকে (Raghav Chadha Marriage) কেন্দ্র করে হাতে অস্ত্র পেয়ে যায় কংগ্রেস। তার পরেই হাত শিবিরের পক্ষ থেকে নিক্ষেপ করা হয় কটাক্ষ-বাণ। আপ সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবত মানকে নিজের পোস্টে ট্যাগ করে কংগ্রেস বিধায়ক সুখপাল সিং খাইরারের প্রশ্ন, “এঁরা যদি আম আদমি হন, তবে খাস (ভিভিআইপি) কে?”  রাঘবের আয়কর রিটার্নের হিসাবও পোস্ট করেছেন সুখপাল। তিনি লিখেছেন, “একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে এত বিপুল খরচ করার জন্য মানুষের কাছে জবাবদিহি করা উচিত।” তবে সাত পাকে বাঁধা পড়ার জন্য রাঘব-পরিণীতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কংগ্রেস বিধায়ক।

    প্রসঙ্গত, রবিবার রাজস্থানের উদয়পুরের লীলা প্যালেসে বসেছিল রাঘব-পরিণীতির বিয়ের (Raghav Chadha Marriage) আসর। বিলাসবহুল বোটে চেপে বরযাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে গিয়েছিলেন রাঘব। হোটেলের যে লাক্সারি স্যুটে বর-কনে থাকছেন, রাত পিছু তার ভাড়া প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। এছাড়াও এই বিয়েতে বিস্তর খরচ হয়েছে বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: উপত্যকায় বড় নাশকতার ছক ফাঁস! কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার পাঁচ লস্কর জঙ্গি

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: ভোট পেতে কুলি সাজলেন রাহুল গান্ধী! সস্তার রাজনীতিতে চিঁড়ে ভিজবে কি?

    Rahul Gandhi: ভোট পেতে কুলি সাজলেন রাহুল গান্ধী! সস্তার রাজনীতিতে চিঁড়ে ভিজবে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুলির উর্দি গায়ে, মাথায় মোট নিয়ে গটগটিয়ে হেঁটে চলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বৃহস্পতিবার সকালে কংগ্রেসের ভরকেন্দ্র গান্ধী পরিবারের উত্তরসূরিকে এই পোশাকে দেখে দিল্লির আনন্দ বিহার রেলস্টেশনের যাত্রীরা ভেবেছিলেন রাজনীতিতে পানি না পেয়ে এবার হয়তো সিনেমায় নামলেন রাহুল! তাঁদের সেই ভুল ভাঙল অচিরেই। যখন শুনলেন কুলিদের সমস্যার কথা শুনতে কুলি সেজেছেন রাহুল।

    ভোট কুড়োতে নানা রূপে রাহুল

    বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিজেপিকে মাত দিতে চেষ্টার কসুর করছেন না রাহুল। নির্বাচনের আগে সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়োতে কখনও বাইক সারানোর কাজে লাগিয়েছেন হাত। কখনও আবার ট্রাক-চালকের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন। ভোট-বৈতরণী পার হতে হরিয়ানার সোনেপতে আবার খেতে নেমে চাষিদের সঙ্গে রুইয়েছিলেন ধানের চারাও। তাঁদেরই একজনের বাড়িতে সেরেছিলেন মধ্যাহ্নভোজও। এসবের আগে করেছিলেন ভারত জোড়ো যাত্রা। এক কথায়, নির্বাচনের আগে ‘আমি তোমাদেরই লোক’ গোছের একটা ভাবমূর্তি তৈরি করতে চাইছেন রাহুল (Rahul Gandhi)।

    মোদির তুঙ্গ জনপ্রিয়তায় সব ম্লান! 

    তবে এসব করে যে আদতে লাভের লাভ কিছু হবে, তা মানতে রাজি নয় কংগ্রেসেই একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদির পর্বত-প্রমাণ জনপ্রিয়তার কাছে এসবই বড্ড বেশি ম্লান। এই সস্তা রাজনীতি দিয়ে আর যাই হোক, নরেন্দ্র মোদির মোকাবিলা যে করা যায় না, তা বিলক্ষণ মানছেন তাঁরাও। এদিন সকালে ব্যস্ত রেল স্টেশনে কুলির পোশাকে রাহুলকে মোট বইতে দেখে খানিক হকচকিয়ে যান নিত্যযাত্রীরা। পরে ওঠে রাহুল গান্ধী জিন্দাবাদ ধ্বনি।

    এরকম শুটিং-মার্কা দৃশ্যে রাহুলকে অভিনয় করতে দেখে যারপরনাই খুশি কংগ্রেস। তবে নির্বাচনের আগে এতে যে আদতে ভোটারদের মন ভিজবে না, তা ভালোই জানে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের দাবি, রাজধানীর বুকে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজনের জাঁক চমকে দিয়েছে বিশ্বনেতাদেরও। তার ঠিক আগে আগেই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখেছে মোদির ভারত। রচনা করেছে ইতিহাস। তার পর থেকে আরও বেশি করে ভারতকে সমীহ করতে শুরু করেছে বিশ্বের বহু শক্তিধর দেশও। ভারতীয় অর্থনীতির রকেট-সম উত্থানেও চোখ কপালে উঠেছে তাদের। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকার দশম স্থানে থাকা ভারত মোদি জমানায় জায়গা করে নিয়েছে পঞ্চমে। এর ওপর রয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল।

    আরও পড়ুুন: নিন্দুকদের মুখে ঝামা ঘষে দিল এলআইসি! কেন্দ্রকে দিল লাভের কড়ি, পরিমাণ কত জানেন?

    লোকসভায় পাশ হওয়া এই বিল সংখ্যাতত্ত্বের নিরিখে রাজ্যসভায় পাশ হওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ, তিন তালাক রদ সহ একাধিক সাফল্যও রয়েছে মোদির ঝুলিতে। সম্প্রতি জাস্টিন ট্রুডোর কানাডাকে পাটকেল ছুড়ে প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি আদতেই সিংহপুরুষ। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এসবেরই প্রতিফলন পড়বে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে। রাহুলের (Rahul Gandhi) সস্তা প্রচার নয়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • BJP: ‘‘রাজনীতি করা বন্ধ করুন…’’! মহিলা বিলের কৃতিত্ব দাবি করায় সোনিয়াকে তোপ বিজেপির

    BJP: ‘‘রাজনীতি করা বন্ধ করুন…’’! মহিলা বিলের কৃতিত্ব দাবি করায় সোনিয়াকে তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের বিশেষ অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে পেশ হয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল। তার পরেই ক্রেডিট নিতে শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এই তালিকায় রয়েছে কংগ্রেসও। তাই বুধবার কংগ্রেসকে নিশানা করল বিজেপি (BJP)।

    প্রসঙ্গ গীতা মুখার্জি ও সুষমা স্বরাজ

    গেরুয়া শিবিরের সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বলেন, “যখন সোনিয়া গান্ধী ভাষণ দিচ্ছিলেন, আমি ভেবেছিলাম রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে তিনি বলবেন। কারণ তিনিই বিরোধীদের কণ্ঠস্বর। মহিলারা যাঁরা এই বিলের স্বপক্ষে গলা ফাটিয়েছিলেন তাঁরা হলেন বাংলার গীতা মুখোপাধ্যায় এবং বিজেপির সুষমা স্বরাজ। তাঁরা না থাকলে আমরা এই বিলটি দেখতে পেতাম না। কিন্তু সোনিয়া গান্ধী এঁদের কারও নামই উচ্চারণ করলেন না। এটা কী ধরনের রাজনীতি? তিনি (সোনিয়া) এই বিলের ক্রেডিট নিতে চাইলেন। কিন্তু এটা আপনাদের বিল নয়।”

    ‘বিল এনেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী’

    তিনি (BJP) বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র মোদি) এবং আমাদের দল এই বিলটি এনেছিল। এটাই সহ্য হচ্ছে না বিরোধীদের।” বিজেপি সাংসদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বারংবার বলেছেন এই হল সময়, এটাই উপযুক্ত সময়। এবং এটি (মহিলা সংরক্ষণ বিল) উপযুক্ত সময়েই নিয়ে আসা হয়েছে।” তিনি বলেন, “এই হাউসেই ২০১২ সালে যখন ভি নারায়ণস্বামী এসসি/এসটিদের জন্য কোটা বাড়ানোর বিল পেশ করছিলেন, তখন সমাজবাদী পার্টির যশবীর সিংহ তাঁর হাত থেকে বিলটি ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। এবং সেটিকে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলেছিলেন। এই সংসদে তখন সোনিয়া গান্ধীজি ম্যাডাম এগিয়ে এসে তাঁর জামার কলার ধরেছিলেন। সেই সময় আমি তাঁকে বলেছিলাম, আপনি আমাদের ডিক্টেটর নন, রানিও নন। আপনি হিংসায় ইন্ধন জোগাতে পারেন না। মুলায়ম সিংহ নিজেই বলেছিলেন, বিজেপি সাংসদরা না থাকলে সমাজবাদী পার্টির সাংসদরা বেঁচে ফিরতেন না। আপনি ওই সাংসদদের হত্যা করতে চেয়েছিলেন।”

    আরও পড়ুুন: “গার্হস্থ্য হিংসায় বাংলা এক নম্বরে”, তৃণমূল সরকারকে নিশানা অগ্নিমিত্রার

    ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা করেছে তৃণমূলও। মহিলা সংরক্ষণ বিল তাঁদের ভাবনা বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ শানান বিজেপির (BJP) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনি বলেন, “যমালয়ে জীবন্ত মানুষে এক বিধবা ভেবেছিলেন একাদশীর দিন খাবার খাবেন। তাই পাপ হয়েছিল। সেরকম তৃণমূল অনেক কিছুই ভাবে, করে না কিছুই।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indi Alliance: লেগেছে ঠোকাঠুকি, আগমনীর আগেই বিসর্জনের সুর ইন্ডি জোটে!

    Indi Alliance: লেগেছে ঠোকাঠুকি, আগমনীর আগেই বিসর্জনের সুর ইন্ডি জোটে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করতে জোট বেঁধেছিল পদ্ম-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের (Indi Alliance) নাম হয়েছিল ‘ইন্ডিয়া’। সেই জোটকে ‘ঘমন্ডিয়া’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার সেই জোটের অন্দরেই বেঁধেছে বড় গোল।

    কটাক্ষ সেলিমের

    দিন দুই আগে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের দিল্লির বাসভবনে সমন্বয় কমিটির বৈঠক বসেছিল ইন্ডি জোটের। কমিটির ১৪ নম্বর জায়গাটি ফাঁকা রাখা হয়েছিল সিপিএমের জন্য। যদিও সিপিএম জানিয়ে দিয়েছে, জোটে থাকলেও, তৃণমূল থাকায় সমন্বয় কমিটিতে থাকছে না তারা। ইডির তলব পাওয়ায় সমন্বয় কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে একটি চেয়ার ফাঁকা রাখা হয়েছিল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপোর জন্য। তাতেও বেজায় চটেছিল সিপিএম। করেছিল কড়া সমালোচনাও। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমের কটাক্ষ, “অভিষেক জেলে গেলেও পাকাপাকিভাবে আসন ফাঁকা থাকবে কি?”

    চোরেদের ধরার দাবি অধীরের

    ইন্ডি জোটে রয়েছে কংগ্রেস (Indi Alliance)। তবে অভিষেককে ইডির তলব প্রসঙ্গে বেসুরো বঙ্গ কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “এই তদন্তের দাবি পশ্চিমবঙ্গের বঞ্চিত, নিপীড়িত, নির্যাতিত মানুষ করেছে। আমরা চেয়েছি সিবিআই তদন্ত হোক, চোরেদের ধরা হোক, দুর্নীতিগ্রস্তদের ধরা হোক।” দিন কয়েক আগে কংগ্রেসের হাত থেকে তৃণমূল ঝালদা পুরসভার রাশ ‘কেড়ে’ নিয়েছে বলে অভিযোগ। নির্দল সহ কংগ্রেসের প্রতীকে জয়ী চার কাউন্সিলর যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। তার জেরে ওই পুরসভায় গরিষ্ঠতা হারায় কংগ্রেস। ইন্ডি জোটের শরিক তৃণমূলের এহেন ‘আগ্রাসনে’র জেরে যারপরনাই ক্ষুব্ধ বঙ্গ কংগ্রেস। যদিও হাইকমান্ডের নির্দেশ তারা মানছেন সাপের ছুঁচো গেলার মতো।

    আরও পড়ুুন: “কান্নাকাটির জন্য অনেক সময় পাবেন”, অধিবেশন শুরুর আগেই বিরোধীদের বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    প্রায় একই অবস্থা বঙ্গ সিপিএমেরও। তৃণমূল বিরোধিতাই যাদের রাজনীতির অভিমুখ, ঘাসফুলের সঙ্গে একাসনে বসতে তাদের যে আপত্তি থাকবে, তা বলাই বাহুল্য। বঙ্গ সিপিএমের সঙ্গে তৃণমূলের যেমন অহিনকুল সম্পর্ক, কেরল সিপিএমের ক্ষেত্রে আবার শত্রু হল কংগ্রেস (Indi Alliance)। তাই সে রাজ্যের সিপিএম চায় না কংগ্রেসের সঙ্গে বিশেষ মাখামাখি করুক দল। দুই রাজ্যের এহেন বাধ্যবাধকতায় সিপিএমের পলিটব্যুরোর সিদ্ধান্ত অনেকটা ধরি মাছ না ছুঁই পানির মতো। তাই পলিটব্যুরোর সিদ্ধান্ত,  জোটে থাকলেও, সমন্বয় কমিটিতে থাকবে না সিপিএম। জোটের অন্দরে অশান্তির চোরাস্রোত বয়ে যাওয়ায় ভোটমুখী মধ্যপ্রদেশে ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) যে প্রথম জনসভা হওয়ার কথা ছিল, তাও বাতিল হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী বোধহয় খুব একটা ভুল বলেননি!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • PM Modi: জন্মদিনের শুভেচ্ছা-বন্যায় ভাসলেন প্রধানমন্ত্রী, রাহুল, কেজরিওয়াল কে নেই তালিকায়?

    PM Modi: জন্মদিনের শুভেচ্ছা-বন্যায় ভাসলেন প্রধানমন্ত্রী, রাহুল, কেজরিওয়াল কে নেই তালিকায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ৭৩ বছর পূর্ণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সহ ইন্ডি জোটের নেতারা। প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও।

    ট্যুইট-বার্তা খাড়গের

    এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।” শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাহুল গান্ধীও।

    শুভেচ্ছা নীতীশ কুমারেরও 

    ট্যুইটারে প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জনতা দল ইউনাইটেড নেতা নীতীশ কুমারও। এই নীতীশ কুমারই বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসেছিলেন। বিজেপি বিরোধী সেই জোটের নাম হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ (INDIA)।

    ট্যুইট-বার্তায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। আমি তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।”

    এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার লিখেছেন, “নরেন্দ্র মোদিজিকে জন্মদিনের উষ্ণ শুভেচ্ছা। আপনার সুস্বাস্থ্য, সুখ এবং সমৃদ্ধি কামনা করি।”

    কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন, তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল সহ ইন্ডি জোটের প্রায় সব নেতাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi)। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিজেপির নেতারাও।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Opposition Meet: থাকবে না তৃণমূল, সিপিএম! প্রথম সমন্বয় বৈঠকের আগেই জোড়া ধাক্কা ‘ইন্ডি’ জোটে

    Opposition Meet: থাকবে না তৃণমূল, সিপিএম! প্রথম সমন্বয় বৈঠকের আগেই জোড়া ধাক্কা ‘ইন্ডি’ জোটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম সমন্বয় বৈঠকের (Opposition Meet) আগেই জোড়া ধাক্কা ‘ইন্ডি’ জোটে। আজ, বুধবার বিকেলে ‘ইন্ডি’ জোটের প্রথম সমন্বয় কমিটির বৈঠকে (Co-Ordination Committee) তৃণমূলের প্রতিনিধি থাকছে না। কারণ, সমন্বয় কমিটিতে তৃণমূল মনোনীত সদস্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে আজ সিজিও কমপ্লেক্সে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের সামনে হাজিরা দিতে হবে। অন্যদিকে, সিপিএমও যোগ দেবে না বলে জানা গিয়েছে।

    ইন্ডি জোটে মতভেদ প্রকট

    বিরোধী জোট সূত্রে খবর, দিল্লিতে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের (Sharad Pawar) বাসভবনে বসবে এই বৈঠক (Opposition Meet) । সূত্রের খবর, মূলত আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা হবে ১৪ সদস্যের বৈঠকে। তবে নিজেদের স্বার্থ ত্যাগ করে কোন দল কতটা সমঝোতা করে, তা নিয়েই আলোচনা রাজনৈতিক মহলে। জোট গঠনের সময়েই ঠিক হয়, প্রতিটি লোকসভা আসনে বিরোধী দলগুলির মধ্য়ে সবথেকে ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থী যে দলে থাকবে, তাঁকেই সেই আসনে প্রার্থী করা হবে। মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু ও বিহারে আসন ভাগাভাগি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেলেও, দিল্লি, পাঞ্জাব ও পশ্চিমবঙ্গ নিয়েই বেশি চিন্তিত ‘ইন্ডি’ জোট। সেখানে দলগুলির মধ্যে অনৈক্য প্রকট। 

    সিট শেয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে সমস্যা

    আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে আবার পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, পাঞ্জাবের মতো রাজ্যগুলিত কী রণকৌশল হবে, তা-ও এখনও পরিষ্কার নয়। কারণ, বিরোধীরা বিজেপিকে হটানোর জন্য আসন ভাগাভাগিতে সম্মত হলেও তৃণমূল, আপ, কংগ্রেস-সহ ‘ইন্ডি’-র প্রতিটি শরিক দলেরই রাজ্যভিত্তিক কিছু রাজনৈতিক বাধ্যবাধ্যকতা আছে। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ-দিল্লি-পাঞ্জাবের ৬২টি লোকসভা আসনে কী ভাবে আসন বিন্যাস হবে, তা স্থির করা ‘ইন্ডি’ জোটের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মানছেন একাধিক বিরোধী নেতা। আসন সমঝোতার পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে (Opposition Meet) বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারের পদ্ধতি নিয়েও সুবিস্তৃত আলোচনা হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। মানুষের কাছে কীভাবে পৌঁছানো যায়, যৌথ মিছিল, মানুষের দরজায় দরজায় ঘুরে প্রচার করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হবে। তবে প্রতিটি রাজ্যে প্রচারের ক্ষেত্রে আলাদা হবে এই নীতি। 

    আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজে গতি আনতে ‘স্পিড প্রোগ্রাম’! নয়া নির্দেশিকা রাজ্যপালের

    বাংলায় আসন ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব

    আজই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেরার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ফলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই বৈঠকে (Opposition Meet) যোগ দিতে পারবেন না। অভিষেকের বদলে তৃণমূলের তরফে অন্য কোনও সদস্যকে পাঠানো হবে না বলেই জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, সিপিআইএমের তরফে এখনও কোনও সদস্য়ের নাম পাঠানো হয়নি। আজকের বৈঠকে সিপিআইএমও অনুপস্থিত থাকবে। আগামী ১৬-১৭ সেপ্টেম্বর পলিটব্যুরোর বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকে ‘ইন্ডি’ জোটে দলের প্রতিনিধি কারা হবেন, তা ঠিক করা হবে। তবে, এদিনের বৈঠকে তৃণমূল ও সিপিএমের কোনও প্রতিনিধি না থাকার ফলে আসন রফা নিয়ে আলোচনা হলেও সেখানে বাংলায় আসন ভাগাভাগির ফর্মুলা কী হবে, তা নিয়ে দিশা পাওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করছেন জোটের সদস্য একাধিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri By Election: সকাল থেকেই লম্বা লাইন! কড়া নিরাপত্তায় ধূপগুড়ি বিধানসভায় চলছে উপনির্বাচন

    Dhupguri By Election: সকাল থেকেই লম্বা লাইন! কড়া নিরাপত্তায় ধূপগুড়ি বিধানসভায় চলছে উপনির্বাচন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্দিষ্ট সময় মেনেই ধূপগুড়িতে শুরু হল বিধানসভার উপনির্বাচন (Dhupguri By Election)। মঙ্গলবার ভোর থেকেই ভোটদাতাদের লম্বা লাইন দেখতে পাওয়া গিয়েছে। ভোটগ্রহণ চলবে  সন্ধ্যে সাড়ে ছটা পর্যন্ত। এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারায় শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ চলছে। পাহাড় লাগোয়া এই কেন্দ্রে লড়াই এবার ত্রিমুখী। লড়াইয়ে তৃণমূল, বিজেপি ও বাম-কংগ্রেস জোট। ধুপগুড়ি বিধানসভার উপনির্বাচনে মোট প্রার্থী সংখ্যা সাত জন যার মধ্যে পুরুষ পাঁচজন ও মহিলা দুইজন।

    শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ

    দু’টি ব্লক এবং একটি পুরসভায় ২৬০টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে মোট ২,৬৯,৪১৬ জন ভোটদাতা এদিন রায়দান করবেন। ভোটের কাজে মোট ১,০২৪ জন ভোটকর্মী নিযুক্ত থাকছেন বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা। এ ছাড়া অতিরিক্ত কর্মী মিলিয়ে মোট সংখ্যাটা প্রায় ১,২০০। ২০৫টি জায়গায় ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলি রয়েছে। সেখানে মোট ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া রাজ্য পুলিশের কর্মীরাও মোতায়েন আছেন। কিছু জায়গায় ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার পুলিশ রয়েছে। মোট ২৬০ টি বুথে মধ্যে ৭২ টি বুথকে স্পর্শ কাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।

    ভোটমেশিন বিকল

    ধূপগুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের তিনটি বুথের মধ্যে একটি বুথে দীর্ঘ ক্ষণ ভোটপর্ব বন্ধ রয়েছে, বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বুথের বাইরে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ভোটারেরা। সেখানে ইভিএম মেশিন অকেজো হয়ে পড়েছে। প্রথমে কয়েক জন ভোট দেওয়ার পরেই ওই মেশিন বিকল হয়ে যায় বলে অভিযোগ। ধূপগুড়ির ২৪৬ নং বুথে বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায় অভিযোগ জানিয়েছেন, পুলিশ বুথের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, তাদের ২০০ মিটার দূরে থাকার কথা। পুলিশকে দেখে ভোটারেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ বিজেপির। এ বিষয়ে কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাবেন বলেও জানিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী।

    অন্য রাজ্যেও ভোটগ্রহণ

    ধূপগুড়ি ছাড়াও এদিন ৬ রাজ্য় উত্তরপ্রদেশ (ঘোসি),পশ্চিমবঙ্গ (ধূপগুড়ি), ত্রিপুরা (ধনপুর, বক্সনগর), কেরল (পুথুপল্লী), উত্তরাখণ্ড (বাগেশ্বর), ঝাড়খণ্ড (ডুমরি)- ৭ বিধানসভা কেন্দ্রে উপ নির্বাচন। কেরলের পুথুপল্লীতেও জোরকদমে এগিয়ে চলছে উপনির্বাচন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share