Tag: congress

congress

  • Karnataka: কর্নাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, ডেপুটি শিবকুমার! ঘোষণা কংগ্রেস হাইকমান্ডের

    Karnataka: কর্নাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, ডেপুটি শিবকুমার! ঘোষণা কংগ্রেস হাইকমান্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচদিন পর কাটল জট। সব জল্পনার অবসান। কর্নাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী (Karnataka Chief Minister) হিসেবে শপথ নেবেন সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah)। টানা ৫ দিন দীর্ঘ আলোচনার পর বৃহস্পতিবার সকালে একথা ঘোষণা করল কংগ্রেসের হাই কমান্ড। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন ডি কে শিবকুমার (DK Shivakumar Deputy)।

    কর্নাটকে শপথগ্রহণ 

    শনিবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বেঙ্গালুরুতে (Karnataka) কংগ্রেস বিধায়ক দলের বৈঠক ডেকেছেন শিবকুমার। অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা সেই বৈঠকে অংশ নেবেন। সেই বৈঠকে মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

    হাতে-হাত রেখে চলার বার্তা

    বৃহস্পতিবার এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেনুগোপাল কংগ্রেস হাইকমান্ডের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বলেন, “উপমুখ্যমন্ত্রিত্বের পাশাপাশি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদেও বহাল থাকবেন শিবকুমার।’’  তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের একটি গণতান্ত্রিক দল, আমরা ঐক্যমত্যে বিশ্বাস করি, স্বৈরাচারে নয়।” শিবকুমার এদিন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের সঙ্গে তাঁর এবং সিদ্দারামাইয়ার ছবি ট্যুইট করেন। তিনি লেখেন, ‘‘কর্নাটকের (Karnataka) নিরাপদ ভবিষ্যৎ এবং আমাদের জনগণের কল্যাণই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আর এর নিশ্চয়তা দিতে আমরা ঐক্যবদ্ধ।’’ আগামী শনিবার নয়া সরকার শপথ নিতে পারে বলে কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে। ২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভায় এবার ১৩৫টি জিতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়েছে কংগ্রেস।

    আরও পড়ুন: কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কে? দু’পক্ষই রাজি ‘আড়াই-আড়াই’ ফর্মুলায়! ঘোষণা বৃহস্পতি-সন্ধ্যায়

    সিদ্দারামাইয়া এবং ডিকে শিবকুমার দুজনেই একসঙ্গে কাজ করার জন্য কথা দিয়েছেন। ‘দুজনে একসঙ্গে কাজ করে কর্নাটকের ভবিষ্যৎ এবং কর্নাটকবাসীর (Karnataka) ভবিষ্যৎ উন্নত করবেন। সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ’, এমনটাই ট্যুইট করেছেন ডিকে শিবকুমার। সিদ্দারামাইয়া বলেছেন, ‘আমাদের হাত সবসময়ে একসঙ্গে থাকবে কন্নড়দের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Karnataka: কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কে? দু’পক্ষই রাজি ‘আড়াই-আড়াই’ ফর্মুলায়! ঘোষণা বৃহস্পতি-সন্ধ্যায়

    Karnataka: কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কে? দু’পক্ষই রাজি ‘আড়াই-আড়াই’ ফর্মুলায়! ঘোষণা বৃহস্পতি-সন্ধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিদ্দারামাইয়া নাকি শিবকুমার, কর্নাটকের (Karnataka) নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কে শপথগ্রহণ করবেন তা নিয়ে টানা চারদিন আলোচনা চলেই যাচ্ছে হাত শিবিরে। দলের একটি সূত্রের খবর, ২০ মে অর্থাৎ আগামী শনিবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে পারবেন সিদ্দারামাইয়া। উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে বসতে পারেন শিবকুমার। বুধবার গভীর রাতে এমনই ঐকমত্যে পৌঁছেছেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। অচলাবস্থা কাটাতে বুধবার সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দলের সভাপতি খাড়্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল এবং রণদীপ সুরজেওয়ালা উপস্থিত ছিলেন। মধ্যরাত পর্যন্ত চলে সেই বৈঠক। সেখানেই না কি চূড়ান্ত হয় ফর্মুলা।

    আড়াই-আড়াই ফর্মুলা

    দলের একটি সূত্রে খবর, কর্নাটকের (Karnataka) অধিকাংশ কংগ্রেস বিধায়ক সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে চাইলেও শিবকুমার হাইকমান্ডকে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে। শুধু উপমুখ্যমন্ত্রী হয়ে থাকতে তিনি রাজি নন। পাঁচ বছরের সরকারের মেয়াদকাল যদি দু’ভাগে ভেঙে আড়াই বছর করে দু’জনকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়, তা হলে তিনি প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী হবেন। সরকার গঠন হওয়ার পর সিদ্দারামাইয়া মুখ্যমন্ত্রী হবেন, কিন্তু তিনি ২০২৫ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করে থাকবেন, তা মানতে রাজি ছিলেন না শিবকুমার। যদি তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা না হয়, তবে তিনি উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদেও বসতে রাজি নন বলে দাবি করেছিলেন শিবকুমার। সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র প্রদেশ সভাপতি এবং বিধায়ক পদে থাকবেন বলেও জানান তিনি। এরই মধ্যে, রবিবার গোপন ব্যালটে বিধায়কদের থেকে যে মত নেওয়া হয়েছিল, তাতে এগিয়ে ছিলেন সিদ্দারামাইয়া। আর তার ভিত্তিতেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকেই ফের একবার গদিতে বসাচ্ছেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে। সূত্রের খবর, দুই নেতাকেই ‘আড়াই বছরের’ ফর্মুলাতে রাজি করানো হয়েছে। অর্থাৎ, কংগ্রেস সরকারের মেয়াদের প্রথম আড়াই বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন সিদ্দারামাইয়া, আগামী আড়াই বছর মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসবেন শিবকুমার। 

    কর্নাটক নিয়ে নানা প্রশ্ন ১০ জনপথে

    কর্নাটকের (Karnataka) বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জেতার ৯৬ ঘণ্টা পরও মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ঠিক করে উঠতে পারেনি কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। বুধবার দিল্লিতে দফায় দফায় বৈঠকের পরও শতাব্দী প্রাচীন দল এখনও সরকারিভাবে শিলমোহর দিতে পারেনি, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া নাকি কর্নাটকের প্রদেশ সভাপতি ডিকে শিবকুমার, কাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে! ১০, জনপথের অন্দরে ঘুরছে নানা প্রশ্ন। তা হলে কি রাজস্থানের পাইলট-গেহলত বা মধ্যপ্রদেশের কমলনাথ-জ্যোতিরাদিত্য দ্বন্দ্বের মতোই অবস্থা হবে কর্নাটকেও? ৪৩ শতাংশ ভোট পেয়েও পাঁচ বছর কর্নাটকে শান্তিপূর্ণ ভাবে সরকার চালাতে পারবে না কংগ্রেস? 

    কর্নাটক নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক

    কংগ্রেস সূত্রে খবর, কর্নাটকের (Karnataka) রাজনীতির জট কাটাতে বুধবার খাড়্গে আলাদা আলাদা ভাবে সিদ্দারামাইয়া এবং শিবকুমারের সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রথমে শিবকুমারের সঙ্গে বৈঠক হয়। পঞ্চাশ মিনিট শিবকুমারের সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্দরামাইয়ার সঙ্গেও বৈঠক করেন খাড়্গে। তিনি একাই নন, রাহুল গান্ধীও বুধবার দশ জনপথে সিদ্দারামাইয়া এবং শিবকুমারের সঙ্গে আলাদা ভাবে বৈঠক করেছিলেন।

    আরও পড়ুুন: ‘পদ্ম-বার্তা’ পৌঁছে দিতে পথে বিজেপি, যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা গেরুয়া শিবিরের

    কর্নাটকের বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক

    মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন? এই আবহে কোনও কংগ্রেস নেতা কর্নাটক (Karnataka) নিয়ে মিডিয়ার সামনে বেফাঁস মন্তব্য করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে দল। শিবকুমার প্রকাশ্যে বলছেন, ‘দল যে দায়িত্ব দেবে, আমি পালন করব৷ আমি দায়িত্বশীল ব্যক্তি৷ দলকে পিছন থেকে ছুরি মারব না, ব্ল্যাকমেল করব না৷’ অন্যদিকে সিদ্দারামাইয়ার বক্তব্য, ‘আমার যা বলার ছিল, বলে দিয়েছি৷ জানি না কী হবে!’ এর মধ্যে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে নবনির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়কদের বৈঠক ডাকলেন ডিকে শিবকুমার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বেঙ্গালুরুর কুইন্স রোডে প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতর ইন্দিরা গান্ধী ভবনে ওই বৈঠক ডাকা হয়েছে। নবনির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়কদের পাশাপাশি বিধান পরিষদের সদস্য এবং কর্নাটক থেকে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় নির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়কদের ডাকা হয়েছে ওই বৈঠকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Congress: খাড়্গের বাসভবনে শিবকুমার, সিদ্দারামাইয়া, মুখ্যমন্ত্রিত্বের শিকে ছিঁড়বে কার কপালে?

    Congress: খাড়্গের বাসভবনে শিবকুমার, সিদ্দারামাইয়া, মুখ্যমন্ত্রিত্বের শিকে ছিঁড়বে কার কপালে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফল বেরিয়েছে শনিবার। তার পর এ পর্যন্তও কংগ্রেস (Congress) ঠিক করতে পারেনি কর্নাটকের কুর্সিতে কাকে বসানো ঠিক হবে। ২২৪টি আসন বিশিষ্ট কর্নাটক (Karnataka) বিধানসভার ১৩৫টির রাশ গিয়েছে কংগ্রেসের হাতে। তার পর থেকেই শোনা যাচ্ছে নানা গুঞ্জন। কংগ্রেসেরই একটি সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন সিদ্দারামাইয়া। অন্য একটি সূত্রের খবর, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর মুকুট উঠতে চলেছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমারের মাথায়।

    বিপাকে কংগ্রেস (Congress)…

    সোমবার দিল্লিতে যাওয়ার কথা থাকলেও, এদিন জন্মদিনের কথা বলে দিল্লি যাননি শিবকুমার। তবে মঙ্গলবার গিয়েছেন। কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খাড়্গের বাসভবনে গিয়ে প্রথমে দেখা করেন শিবকুমার। তার পরে পরেই সেখানে পৌঁছান সিদ্দারামাইয়া। এই সিদ্দারামাইয়া-ই দলের ওবিসি মুখ। এদিন শিবকুমার ও সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গে দেখা করার আগে খাড়্গে কথা বলে নেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। ঘণ্টা দেড়েক ধরে করেন রুদ্ধদ্বার বৈঠক। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের (Congress) সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সুরজওয়ালা এবং এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেণুগোপাল। খাড়্গের বাসভবনে ঢোকার আগে শিবকুমার কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। তখনই জানতে চাওয়া হয়, মুখ্যমন্ত্রিত্ব না পেলে পদত্যাগ করবেন কি না। শিবকুমার বলেন, মা বলতে আমি দলকেই বুঝি। দলই আমার কাছে মা। দলকে দাঁড় করিয়েছি আমরা। তাই পদত্যাগের প্রশ্নই ওঠে না।

    আরও পড়ুুন: মোদি সরকারের নবম বর্ষপূর্তিতে উদ্বোধন হচ্ছে নয়া সংসদ ভবনের!

    সিদ্দারামাইয়া ওবিসি জনগোষ্ঠীর নেতা। পুরনো মাইসুরু অঞ্চলের বরুণা কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। জিতেছেনও। জয়ী হয়েছেন শিবকুমারও। তিনি নিজের পুরানো কেন্দ্র বেঙ্গালুরু গ্রামীণ এলাকার কনকপুরায় হারিয়েছেন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি প্রার্থী আর অশোককে। তাই মুখ্যমন্ত্রীত্বের দৌড়ে রয়েছেন দুই নেতাই। কংগ্রেসের (Congress) একটি সূত্রের খবর, কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়ার দায়িত্ব সঁপে দেওয়া হয়েছে দলের হাইকমান্ডের হাতে। মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন যদি কার পাশে কতজন বিধায়ক রয়েছেন, সেই নিক্তিতে হয়, তাহলে কর্নাটকে সরকারি বাসভবন ‘অনুগ্রহে’র শিকে ছিঁড়তে চলেছে সিদ্দারামাইয়ার কপালেই। আর মুখ্যমন্ত্রিত্বের মানদণ্ড যদি আনুগত্য হয়, তাহলে কর্নাটকের রশি যেতে পারে শিবকুমারের হাতে। শিবকুমারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পথে অন্য একটি কাঁটাও রয়েছে। সেটি হল দুর্নীতির অভিযোগ। উল্টো দিকে সিদ্দারামাইয়ার ইমেজ ক্লিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Karnataka CM: মুখ্যমন্ত্রী পদে ভাসছে সিদ্দারামাইয়ার নাম, ক্ষোভ উগরে দিলেন শিবকুমার

    Karnataka CM: মুখ্যমন্ত্রী পদে ভাসছে সিদ্দারামাইয়ার নাম, ক্ষোভ উগরে দিলেন শিবকুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলকে জেতানোর কান্ডারি তিনি। তার পরেও কংগ্রেসের (Congress) অন্দরে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী (Karnataka CM) পদে সিদ্দারামাইয়ার নাম নিয়ে চর্চা হতেই গোঁসা হয়েছে কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমারের। সোমবার দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। যাত্রা এড়িয়েছেন। শিবকুমার বলেন, আমার পেটের গোলমাল হয়েছে। তাই আজ (সোমবার) দিল্লি যেতে পারছি না। তিনি বলেন, কংগ্রেসের ১৩৫ জন বিধায়ক রয়েছেন। আমার কোনও বিধায়ক নেই। মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার আমি দলের হাইকমান্ডের ওপর ছেড়ে দিয়েছি।

    কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী (Karnataka CM) পদ নিয়ে কোন্দল কংগ্রেসে…

    এদিন সকালের দিকে শিবকুমারই জানিয়েছিলেন হাইকমান্ড ডেকে পাঠানোয় তাঁকে এদিনই দিল্লি যেতে হবে। শিবকুমার বলেন, আজ আমার জন্মদিন। পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করব। পরে দিল্লি যাব। আমাদের ১৩৫ জন বিধায়ক রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগের প্রশ্নে প্রত্যেকেরই এক সুর। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দলের হাইকমান্ডের ওপর ছেড়ে দিয়েছি। আমার লক্ষ্য ছিল দলকে কর্নাটক উপহার দেওয়া। সেই কাজটা আমি করতে পেরেছি।

    শিবকুমার বলেন, কংগ্রেস হাইকমান্ড আমাকে ও সিদ্দারামাইয়াকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছেন (Karnataka CM)। সোনিয়া গান্ধী, খাড়্গে আমাকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে বসিয়েছেন। আমার নেতৃত্বে ১৩৫টি বিধায়ক পেয়েছে দল। যখন সব বিধায়ক আমাদের দল ছেড়ে দিয়েছিলেন, আমাদের সরকার পড়ে গিয়েছিল, তখনও আশা ছাড়িনি আমি। তিনি বলেন, আমি বলতে চাই না গত পাঁচ বছরে কী ঘটেছিল। শিবকুমার বলেন, আমি একা মানুষ। আমি একটা জিনিসে বিশ্বাস করি, যে কোনও একজন ব্যক্তির যদি সাহস থাকে তাহলে সে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেই। ২০১৯ সালে যখন আমাদের সব বিধায়ক দল ছেড়ে দেন, তখনও আশাহত হইনি আমি।

    আরও পড়ুুন: অভিষেকের গ্রেফতার হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা, কেন বললেন সুকান্ত?

    কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, সোনিয়া গান্ধী আমায় বলেছিলেন (Karnataka CM) তুমি যে আমাদের কর্নাটক উপহার দিতে পারবে, সে বিশ্বাস আমার আছে। আমি এখানে বসে রয়েছি। আমার সমস্ত দায়িত্ব পালন করেছি। আপনার (সোনিয়ার) ন্যূনতম সৌজন্য থাকা উচিত। অন্তত একটু কৃতজ্ঞতা। তাঁদের এটুকু সৌজন্য দেখানো উচিত ছিল, কর্নাটকে কংগ্রেসের এই জয়ের নেপথ্যে যিনি, তাঁর প্রতি। প্রসঙ্গত, একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তদন্ত চলছে শিবকুমারের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, সিদ্দারামাইয়ার ইমেজ ক্লিন। তাছাড়া তিনি দলের ওবিসি সম্প্রদায়ের মুখ। তাই মুখ্যমন্ত্রিত্বের পাল্লা ভারী তাঁর দিকেই। 

    কোন মন্ত্রবলে শিবকুমারের ক্ষোভ প্রশমিত করতে পারে দল, সেটাই দেখার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mallikarjun Kharge: বজরং দল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, খাড়্গের বিরুদ্ধে ১০০ কোটির মানহানি মামলা

    Mallikarjun Kharge: বজরং দল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, খাড়্গের বিরুদ্ধে ১০০ কোটির মানহানি মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি (Modi) পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার দায়ে লোকসভার সাংসদ পদ খুইয়েছেন কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধী। এবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের (Mallikarjun Kharge) বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করলেন পাঞ্জাবের সাংরুরের এক ব্যক্তি। সোমবার খাড়্গেকে তলব করেছে সাংরুরের আদালত। কর্নাটকে ক্ষমতায় এলে বজরং দলকে নিষিদ্ধ করা হবে, নির্বাচনী ইস্তেহারে এমনটাই জানিয়েছিল কংগ্রেস। শনিবার বের হয় কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের ফল। ২২৪ আসনের বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১১৩। ১৩৫টি আসনে জিতে ওই রাজ্যের রাশ হাতে নিতে চলেছে কংগ্রেস। এমতাবস্থায় গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির প্রেসিডেন্টকেই তলব করল আদালত।

    মল্লিকার্জুন খাড়্গের (Mallikarjun Kharge) বিরুদ্ধে অভিযোগ…

    কর্নাটকে কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহারে বলা হয়েছিল, ধর্ম, জাতের ভিত্তিতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘৃণা ছড়ানো ব্যক্তি এবং সংগঠনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে বদ্ধপরিকর কংগ্রেস (Mallikarjun Kharge)। ইস্তেহারে থাকা প্রতিশ্রুতি ব্যাখ্যা করে কংগ্রেস সভাপতি বলেছিলেন, কংগ্রেস জাতি ও ধর্মের ভিত্তিতে সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘৃণা ছড়ানো ব্যক্তি এবং সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে দৃঢ় এবং নির্ণায়ক পদক্ষেপ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

    হিন্দু সুরক্ষা পরিষদ বজরং দল হিন্দের প্রতিষ্ঠাতা হিতেশ ভরদ্বাজের দাবি, বজরং দলকে কংগ্রেস দেশবিরোধী সংগঠনের সঙ্গে তুলনা করেছে এবং কর্নাটকে ক্ষমতায় আসার পরে বজরং দলকে নিষিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। তিনি বলেন, ইস্তেহারের ১০ নম্বর পৃষ্ঠায় কংগ্রেস বজরং দলকে দেশবিরোধী সংগঠনের সঙ্গে তুলনা করেছে এবং নির্বাচনে জিতলে তাকে নিষিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘কেন্দ্রীয় পদ্ধতি অনুসরণ করে জন্ম-মৃত্যু নথিবদ্ধ করুন’, রাজ্যকে চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুব সংগঠন বজরং দল হিন্দু চরমপন্থী সংগঠন হিসেবেই পরিচিত। ভরদ্বাজের পাশাপাশি কংগ্রেসকে (Mallikarjun Kharge) হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মিলিন্দ পরান্দে। তিনি বলেন, হিন্দুদের প্রতি বিদ্বেষ থেকে যদি বজরং দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়, তাহলে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে। তিনি জানান, বজরং দল নিষিদ্ধ হওয়ার ভয় পায় না। প্রসঙ্গত, কর্নাটকে কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহারের কড়া সমালোচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। কর্নাটকে দলের প্রচারে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, কংগ্রেস আগে রামনামের ওপর বিধিনিষেধ জারি করতে সক্রিয় ছিল, এখন তারা জয় বজরংবলী স্লোগানদাতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চাইছে। এটি সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Karnataka Assembly: কর্নাটকে বিদ্যুতের দাম বাড়ল একলপ্তে ৭০ পয়সা, কংগ্রেস রাজত্বে কি দুঃসময়?

    Karnataka Assembly: কর্নাটকে বিদ্যুতের দাম বাড়ল একলপ্তে ৭০ পয়সা, কংগ্রেস রাজত্বে কি দুঃসময়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারই ফল প্রকাশ হয়েছে কর্নাটক বিধানসভা (Karnataka Assembly) নির্বাচনের। বিধানসভার ২২৪টি আসনের মধ্যে ১৩৬টিতে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস (Congress)। যদিও ম্যাজিক ফিগার ১১৩। কংগ্রেস জয়ী হলেও, এখনও মুখ্যমন্ত্রী পদে কে বসবেন, তা ঠিক হয়নি। শোনা যাচ্ছে, দলের ওবিসি নেতা সিদ্দারামাইয়েকই বসানো হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী পদে। সেক্ষেত্রে চটে যেতে পারেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমার। তাই ৩ জনকে উপমুখ্যমন্ত্রী করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে কংগ্রেসেরই একটি সূত্রের খবর।

    কর্নাটক বিধানসভা (Karnataka Assembly)…

    ক্ষমতায় আসতে চলেছে যে কংগ্রেস, সেই দলেরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আবহে কর্নাটকবাসীর জন্য এল আরও একটি খারাপ খবর। এক লপ্তে বিদ্যুতের দাম বাড়ল ইউনিট পিছু ৭০ পয়সা। গত এক দশকের মধ্যে সর্বাধিক। শনিবার ভোটের ফল বেরনোর পর পরই কর্নাটক (Karnataka Assembly) বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক কমিশনের তরফে ইউনিট পিছু ৭০ পয়সা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এক ধাক্কায় বিদ্যুতের দাম ৭০ পয়সা বাড়ায় মাথায় হাত মধ্যবিত্তের। কারণ এতদিন যে ব্যক্তি মাসে বিদ্যুতের বিল দিতেন ১৫০০ টাকা, নয়া হারে তাঁকে গুণতে হবে অতিরিক্ত ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।

    কর্নাটক বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যে বিদ্যুতের ইউনিট পিছু ৭০ পয়সা শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাবটি ১ এপ্রিল,২০২৩ সাল থেকেই কার্যকর করার কথা বলা হয়। কিন্তু এতদিন বিষয়টি প্রকাশ্যে আনা হয়নি। বিধানসভা (Karnataka Assembly) নির্বাচনের ফল প্রকাশের আগের দিন শুক্রবার এ ব্যাপারে সম্মতি দেয় কর্নাটক বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থাগুলি ইউনিট পিছু ১ টাকা ৩৯ পয়সা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিল।

    আরও পড়ুুন: মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন সিদ্দারামাইয়া? কর্নাটকে কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলাতে ৩ উপমুখ্যমন্ত্রী!

    কর্নাটক বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি কাঁচামালের দাম ও পরিবহণ খরচ বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মীদের ভাতা দেওয়ার খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই কারণেই বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম। কর্নাটক বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক কমিশনের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে রাজস্ব ঘাটতি হতে পারে ৪,৪৫৭.১২ কোটি টাকা। সেই ঘাটতি পূরণ করতেই সমস্ত ক্ষেত্রে বিদ্যুতের শুল্ক ইউনিট পিছু ৭০ পয়সা বাড়ানোয় সম্মতি দেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Karnataka Assembly: মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন সিদ্দারামাইয়া? কর্নাটকে কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলাতে ৩ উপমুখ্যমন্ত্রী!

    Karnataka Assembly: মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন সিদ্দারামাইয়া? কর্নাটকে কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলাতে ৩ উপমুখ্যমন্ত্রী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর কুমারকুরুপা রোডে রয়েছে ‘অনুগ্রহ’। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি ঠিকানা এই বাড়িই। কর্নাটক বিধানসভা (Karnataka Assembly) নির্বাচনে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস (Congress)। তার পরেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। অনুগ্রহের শিকে ছিঁড়বে কার ভাগ্যে?

    কর্নাটক বিধানসভা (Karnataka Assembly) নির্বাচন…

    কর্নাটক বিধানসভার আসন সংখ্যা ২২৪। তার মধ্যে ১৩৬টি আসনে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। ম্যাজিক সংখ্যা ১১৩। প্রত্যাশিতভাবেই ‘অনুগ্রহে’র অনুগ্রহ কে পাবেন, তা নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরেও শুরু হয়েছে জোর চর্চা। কর্নাটকে প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে রয়েছেন দুজন। একজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিদায়ী বিরোধী দলনেতা সিদ্দারামাইয়া এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার। সিদ্দারামাইয়ার পাশে রয়েছেন কর্নাটক (Karnataka Assembly) কংগ্রেসের সিংহভাগ নেতা এবং বিধায়ক। তবে দিল্লিতে এআইসিসির ক্ষমতার অলিন্দে তাঁর তেমন প্রভাব নেই। শিবকুমারের রয়েছে সাংগঠনিক দক্ষতা। গান্ধী পরিবারের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতাও সুবিদিত। শিবকুমার যখন জেলে ছিলেন, তখন দিল্লি থেকে কর্নাটক উড়ে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন সোনিয়া গান্ধী স্বয়ং।

    আরও পড়ুুন: কংগ্রেসের দখলে কর্নাটক, অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    সিদ্দারামাইয়া ওবিসি জনগোষ্ঠীর নেতা। পুরানো মাইসুরু অঞ্চলের বরুণা কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। জিতেওছেন। জয়ী হয়েছেন শিবকুমারও। তিনি নিজের পুরানো কেন্দ্র বেঙ্গালুরু গ্রামীণ এলাকার কনকপুরায় হারিয়েছেন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি প্রার্থী আর অশোককে। তাই মুখ্যমন্ত্রীত্বের দৌড়ে রয়েছেন দুই নেতাই। এমতাবস্থায় আজ, রবিবার বেঙ্গালুরুতে নব নির্বাচিত দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন (Karnataka Assembly) হবে না। মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়ার দায়িত্ব সঁপে দেওয়া হবে দলের হাইকমান্ডের হাতে। মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন যদি কার পাশে কতজন বিধায়ক রয়েছেন, সেই নিক্তিতে হয়, তাহলে ‘অনুগ্রহে’র শিকে ছিঁড়তে চলেছে সিদ্দারামাইয়ার কপালেই। আর মুখ্যমন্ত্রিত্বের মানদণ্ড যদি আনুগত্য হয়, তাহলে কর্নাটকের রশি যেতে পারে শিবকুমারের হাতে।

    কন্নড় রাজনীতিতে সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গে শিবকুমারের ঠান্ডা লড়াই সুবিদিত। তাই মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে চলছে জোর চর্চা। কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন ওবিসি সম্প্রদায়ের নেতা সিদ্দারামাইয়-ই। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামাল দিতে উপমুখ্যমন্ত্রী করা হচ্ছে ৩জনকে।

    সমস্যা মিটবে কি? প্রশ্ন সেটাই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Karnataka Assembly Election: কংগ্রেসের দখলে কর্নাটক, অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    Karnataka Assembly Election: কংগ্রেসের দখলে কর্নাটক, অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের (Congress) দখলে কর্নাটক (Karnataka)। রাজ্য বিধানসভার (Karnataka Assembly Election) মোট আসন সংখ্যা ২২৪। ম্যাজিক ফিগার ১১৩। শনিবার সন্ধে ৭টা পর্যন্ত খবরে জানা গিয়েছে, ২২৪টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস একাই পেয়েছে ১৩৬টি। গেরুয়া ঝুলিতে গিয়েছে ৬৪টি আসন। এইচডি কুমারস্বামীর জনতা দল সেক্যুলার জয়ী হয়েছে ২০টি আসনে। রবিবার বিকেলে বৈঠকে বসতে চলেছে কংগ্রেস। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে মন্ত্রিসভা নিয়ে।

    কর্নাটক বিধানসভার নির্বাচনের (Karnataka Assembly Election) ফল এক নজরে

    কংগ্রেস-১৩৬

    বিজেপি-৬৪

    জেডিএস-২০

    অন্যান্য-৪ 

    বিপুল জয়ের জন্য কংগ্রেসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কর্নাটকবাসীর প্রত্যাশা পূরণের জন্য কংগ্রেসকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন তিনি। এদিন বিকেলে ট্যুইট-বার্তায় প্রধানমন্ত্রী লেখেন, কর্নাটক নির্বাচনে যাঁরা আমাদের সমর্থন করেছেন, আমি তাঁদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি বিজেপি কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমেরও প্রশংসা করতে চাই। আগামী দিনে আমাদের আরও বেশি করে কর্নাটকের মানুষের সেবা করতে হবে। কর্নাটকের ফলের পরে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদির অধীন বিজেপি কর্নাটকের উন্নয়নের জন্য লড়বে।

    এদিন যাঁরা পরাজিত (Karnataka Assembly Election) হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সিটি রবি। চিকমাগলুর কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। এই আসনে চারবার বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। এবার হারলেন ৫ হাজার ৯২৬ ভোটে। এই আসনে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী।

    আরও পড়ুুন: উত্তর প্রদেশে ফের জয়জয়কার বিজেপির, পুরভোটে ব্যাপক ফল পদ্ম শিবিরের

    কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের ছেলে প্রিয়াঙ্ক খাড়্গে। গত বিধানসভা নির্বাচনেও জয়ী হয়েছিলেন তিনি। এবার প্রিয়াঙ্কর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ময়দানে ছিলেন বিজেপির মণিকান্ত রাঠোর এবং জেডিএসের সুভাষচন্দ্র রাঠোর। প্রিয়াঙ্ক জয়ী হয়েছেন ১৩ হাজার ভোটে। ধরাশায়ী হয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টারও উত্তর কর্নাটক (Karnataka Assembly Election) আসনে কংগ্রেসের টিকিটে লড়ছিলেন দলবদলু এই নেতা। বিজেপিতে লিঙ্গায়েত নেতাদের মধ্যে অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। টিকিট না পেয়ে দল বদলে যোগ দেন সোনিয়া গান্ধীর দলে। প্রার্থী হয়েছিলেন হুবলি-ধারওয়াড় সেন্ট্রালে। হেরেছেন ৩৪ হাজার ভোটে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Basavaraj Bommai: ‘‘লোকসভা ভোটে শক্তিশালী হয়ে ফিরব’’, কর্নাটকে ফলের পর প্রতিক্রিয়া বোম্মাইয়ের

    Basavaraj Bommai: ‘‘লোকসভা ভোটে শক্তিশালী হয়ে ফিরব’’, কর্নাটকে ফলের পর প্রতিক্রিয়া বোম্মাইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটক (Karnataka) বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পথে কংগ্রেস (Congress)। হার স্বীকার করে নিল বিজেপি (BJP)। শনিবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ কর্নাটকে কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ১৩০টি আসনে। বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৬৬টি আসনে। এইচডি কুমারস্বামীর জনতা দল (সেক্যুলার) এগিয়ে রয়েছে ২২টি আসনে। অন্যরা পেয়েছে ৬টি আসন। কর্নাটকের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির বাসবরাজ বোম্মাই (Basavaraj Bommai) বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপি কর্মীদের মরিয়া চেষ্টা সত্ত্বেও আমরা লক্ষ্যে পৌঁছতে পারিনি। পূর্ণাঙ্গ ফল প্রকাশিত হলে হারের কারণ পর্যবেক্ষণ করে দেখব আমরা। এই ফল মাথা পেতে নিচ্ছি। তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনে শক্তি বাড়িয়ে ফিরে আসব।

    বাসবরাজ বোম্মাইয়ের (Basavaraj Bommai) স্বীকারোক্তি… 

    কর্নাটক বিধানসভার আসন সংখ্যা ২২৪। সরকার গড়তে প্রয়োজন ১১৩টি আসন। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ ম্যাজিক সংখ্যার চেয়ে ১৭টি আসনে এগিয়ে ছিল কংগ্রেস। তার পরেই হার স্বীকার করে নেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী। কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার একাই কনকপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট পেয়েছেন ৭০ শতাংশ। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে কর্নাটক বিধানসভা (Basavaraj Bommai) নির্বাচনে বিজেপির জয় জরুরি ছিল। চলতি বছর বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে রাজস্থান সহ একাধিক রাজ্যে। সেই কারণেও জয় প্রয়োজন ছিল পদ্মশিবিরের। আবার কংগ্রেসের কাছেও কর্নাটক দখল জরুরি ছিল। প্রথমতঃ, লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্নাটকে দলের এই জয় নিঃসন্দেহে অক্সিজেন জোগাবে সোনিয়া গান্ধীর দলকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘দালালের মাধ্যমে শিক্ষকের চাকরি বিক্রি করেছেন পার্থ-মানিক’’! রায়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    দ্বিতীয়তঃ, দীর্ঘদিন পরে নির্বাচনের মাধ্যমে কংগ্রেসের রাশ গিয়েছে গান্ধী পরিবারের বাইরের কারও হাতে। বর্তমানে দলের রশি রয়েছে মল্লিকার্জুন খাড়্গের হাতে। কর্নাটক তাঁর নিজের রাজ্য। তাই এই জয় দলের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে প্রমাণ করার জন্যও তাঁর কাছে জরুরি ছিল। এর আগে হিমাচল প্রদেশে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। এবার বিজয় হল কর্নাটক। তবে লোকসভা নির্বাচনে সোনিয়া গান্ধীর দল কতটা হালে পানি পাবে, তা বলবে সময়। দেশজুড়ে প্রধানমন্ত্রীর যে তুঙ্গ জনপ্রিয়তা, সেই পানশি ভাসিয়েই বিজেপি অনায়াসে নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়ে যাবে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। এদিকে, এদিন বেলা ৩টে পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ৩৬টি আসনে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। এগিয়ে রয়েছে আরও ১০১টিতে। বিজেপি (Basavaraj Bommai) জয়ী হয়েছে ১৭টি আসনে। এগিয়ে রয়েছে ৪৫টিতে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Karnataka Assembly Election: কর্নাটকে চলছে ভোট গণনা, বিজেপি না কংগ্রেস, মসনদে কে? ফল আজই

    Karnataka Assembly Election: কর্নাটকে চলছে ভোট গণনা, বিজেপি না কংগ্রেস, মসনদে কে? ফল আজই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হল কর্নাটক বিধানসভা ভোটের গণনা। রাজ্যের ৩৬টি গণনাকেন্দ্রে চলছে ভোট গোনার কাজ। গত বুধবার বিধানসভা ভোটে মোট ৭৩.২ শতাংশ ভোট পড়েছিল। ২০১৮ সালেও ভোটের হার ছিল প্রায় একই। ভোট গণনার শুরুতে কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ১১২টি আসনে, বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৮৬টি আসনে ও জেডিএস এগিয়ে রয়েছে ১৮টি আসনে।

    ‘জাদু সংখ্যা’ ১১৩

    ২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভায় গরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ‘জাদু সংখ্যা’ ১১৩ কে ছুঁতে পারে তা জানতেই আগ্রহী রাজনৈতিক মহল। গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই, বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সিটি রবি, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার এবং ৩ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (কংগ্রেস), জগদীশ শেট্টার (কংগ্রেস) এবং এইচডি কুমারস্বামী (জেডি-এস)। ভোটগণনার শুরুতে কংগ্রেস এবং বিজেপির লড়াই চলছে জোরদার। কখনও পাল্লা ভারী হচ্ছে কংগ্রেসের দিকে তো কখনও বিজেপি। ভোটগণনা শুরু হতেই হনুমান মন্দিরে পুজো দিয়ে এসেছেন কর্নাটকের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী করা হোক, গণনার শুরুতে এমন দাবিই করেছেন তাঁর পুত্র ওয়াই সিদ্দারামাইয়া। কংগ্রেস নেতা বলেছেন, ‘‘বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে আমরা সব করতে রাজি…কর্নাটকের স্বার্থে আমার বাবাকে মুখ্যমন্ত্রী করা উচিত।’’

    ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা

    গত আড়াই দশক ধরেই ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখছে কর্নাটক। ক্ষমতাসীন বিজেপি, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার নেতৃত্বাধীন জেডিএস-এর মধ্যে। ২২৪টি আসনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়ী হবে বিজেপি, নিজেদের জয় নিয়ে একেবারে নিশ্চিত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই।

    গত ১০ মে ২২৪টি আসনে কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল (Karnataka Assembly Election 2023)। গণনার আগে গোটা রাজ্য কড়া নিরাপত্তার মোড়কে ঢাকা হয়েছে। বুথগুলির বাইরে রয়েছে পুলিশি পাহারা। ভোটের ফল ঘোষণার আগেই কড়া নিরাপত্তার পাহারা দেখা গিয়েছে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের বাড়ির বাইরে।


    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share