Tag: congress

congress

  • Rahul Gandhi: নামে রয়েছে আরও মামলা! সাংসদ পদ খুইয়েছেন, আর কী কী খোয়াতে পারেন রাহুল?

    Rahul Gandhi: নামে রয়েছে আরও মামলা! সাংসদ পদ খুইয়েছেন, আর কী কী খোয়াতে পারেন রাহুল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি (Modi) পদবি নিয়ে কটাক্ষের জেরে দোষী সাব্যস্ত করে রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) দু বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে গুজরাটের (Gujarat) সুরাটের একটি আদালত। তার জেরে খারিজ হয়ে গিয়েছে রাহুলের সাংসদ পদ। উচ্চ আদালতে আবেদন করার জন্য রাহুলকে ৩০ দিন সময়ও দিয়েছে আদালত। নিম্ন আদালতের রায় যদি উচ্চ আদালতেও বহাল থাকে তবে সরকারি বাংলো থেকেও বঞ্চিত হতে হবে এই কংগ্রেস নেতাকে। এদিকে, রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ায় তাঁর লোকসভা কেন্দ্র কেরালার ওয়েনাড আসনটি ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। নির্বাচন কমিশন চাইলে ওই আসনে উপনির্বাচন হতে পারে। তবে আগামী আট বছরের জন্য প্রার্থী হতে পারবেন না কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি।

    রাহুলের (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে মামলার খতিয়ান…

    রাহুলের (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে এই প্রথম নয়, এর আগেও দেশের বিভিন্ন রাজ্যে দায়ের হয়েছে একাধিক মামলা। মানহানির মামলায় ২০১৯ সালে পাটনার একটি আদালত থেকে জামিন পান রাহুল। সেখানেও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, জনসভায় দাঁড়িয়ে তিনি জনতাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, মোদি পদবি হলেই সেই ব্যক্তি চোর হয়? ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে নোটবন্দির সময় আমেদাবাদের জেলা সমবায় ব্যাঙ্ক বেআইনি নোট বদলিতে যুক্ত বলে অভিযোগ করেছিলেন রাহুল। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ওই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। আমেদাবাদের একটি আদালত জামিন দেয় কংগ্রেস নেতাকে।

    আরও পড়ুুন: শুভেন্দুর তোপ, মমতার আক্ষেপ! বগটুই নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি

    সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ খুনের ঘটনাকে বিজেপি-আরএসএস মতাদর্শের সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন রাহুল। তার জেরে আরএসএসের তরফে দায়ের করা হয় মানহানির মামলা। পরে মুম্বইয়ের একটি আদালত জামিন মঞ্জুর করে রাহুলের। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে অসমের বরপেটা সাঁতরায় ঢুকতে আরএসএস তাঁকে বাধা দিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন রাহুল (Rahul Gandhi)। ওই ঘটনার জেরে তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করে আরএসএস। ২০১৬ সালে গুয়াহাটির একটি আদালত ওই মামলায় জামিন দেয় রাহুলকে।

    রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বলেছিলেন, মহাত্মা গান্ধীকে খুন করেছিল আরএসএস। তার জেরে দায়ের হয় মামলা। সেই মামলায় জামিন মঞ্জুর করে মহারাষ্ট্রের ভিওয়ান্ডির একটি আদালত। রাহুলকে আদালতে স্বপক্ষ প্রমাণের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। রাহুলের বিরুদ্ধে রয়েছে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলাও। মামলাটি করেছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। ওই মামলায় জামিনে মুক্ত রয়েছেন রাহুল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Rahul Gandhi: আর সাংসদ নন রাহুল গান্ধী! লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করলেন স্পিকার ওম বিড়লা

    Rahul Gandhi: আর সাংসদ নন রাহুল গান্ধী! লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করলেন স্পিকার ওম বিড়লা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সাংসদ পদ খারিজ। শুক্রবার লোকসভা সচিবালয়ের তরফে জানানো হল এ খবর। মোদি (Modi) পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে দু বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয় রাহুলকে। তার জেরে বাতিল হল তাঁর সাংসদ পদ। রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।  প্রসঙ্গত, মোদি পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে বৃহস্পতিবারই কংগ্রেস (Congress) নেতাকে দু বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল গুজরাটের সুরাট জেলা আদালত। তার জেরে সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ ও জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী খারিজ করা হল রাহুলের সাংসদ পদ।

    রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বলেছিলেন…

    ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্নাটকের কোলারে কংগ্রেস আয়োজিত এক জনসভায় মোদি পদবি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছিলেন, সব চোরদের পদবি মোদি কেন। তার জেরে অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি নেতা তথা গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদি। বৃহস্পতিবার রাহুলের বিরুদ্ধে দায়ের করা ফৌজদারি মানহানি মামলায় রায় দেয় সুরাট আদালত। রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে দু বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি ১৫ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। উচ্চ আদালতে আবেদনের জন্য তাঁকে ৩০ দিনের সময়ও দেওয়া হয়েছে। এদিকে, সাজা ঘোষণার পরপরই জামিন পেয়ে যান রাহুল। আদালতের রায়কে স্বাগত জানান সুরাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দর্শনা জারদোশ। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধীর মন্তব্যে কেবল সুরাটেই নয়, গুজরাটের পুরো ওবিসি সম্প্রদায়ের মধ্যেই ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল।  

    আরও পড়ুুন: বিজেপির উদ্যোগে রমজান মাসেই বেরোবে মোদির ‘মন কি বাত’-এর উর্দু সংকলন

    প্রসঙ্গত, আইন অনুযায়ী, কোনও জনপ্রতিনিধি যদি দুই বা তার অধিক বছরের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন, তবে ততক্ষণাৎ তাঁর পদ খারিজ হয়ে যাবে। সেই যুক্তিতেই খারিজ হয়ে গিয়েছে রাহুলের সাংসদ পদ। ওই আইন অনুযায়ী, আগামী ৬ বছর রাহুল কোনও ভোটেও লড়তে পারবেন না।

    রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হতেই খেপে গিয়েছে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপপ্রয়োগের অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নেমেছে সোনিয়া গান্ধীর দল। এদিনই দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে ১২টি বিরোধী দলের নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে বাম, জেডি (ইউ) এবং ডিএমকের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন আম আদমি পার্টির প্রতিনিধিও। বৈঠক শেষে সংসদ ভবন থেকে মিছিল করে তাঁরা যান রাষ্ট্রপতি ভবনে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JP Nadda: ‘গণতন্ত্রের সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছেন রাহুল গান্ধী’, আক্রমণ নাড্ডার

    JP Nadda: ‘গণতন্ত্রের সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছেন রাহুল গান্ধী’, আক্রমণ নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণতন্ত্রের সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছেন তিনি। এভাবেই রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) আক্রমণ শানালেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। শনিবার তিনি বলেন, তাঁকে (রাহুল গান্ধীকে) গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে লক, স্টক এবং ব্যারেল প্যাকিং করে পাঠানো উচিত। চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিজেপির ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার ন্যাশনাল ইউথ পার্লামেন্ট। ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নাড্ডা। সেখানেই নিশানা করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে। বিজেপির সভাপতি বলেন, যাঁরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না, গণতন্ত্রে তাঁদের কোনও ঠাঁই নেই। তিনি বলেন, কংগ্রেস মানসিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে।

    নাড্ডার (JP Nadda) অভিযোগ…

    নাড্ডার (JP Nadda) অভিযোগ, রাহুল গান্ধী আমেরিকা এবং ইউরোপিয় দেশগুলিকে ভারতের অভ্যন্তরীণ  ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে উৎসাহিত করছেন। ভারতে গণতন্ত্র বিপন্ন বলে যে মন্তব্য তিনি করেছেন, তাতেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর পরেই তিনি বলেন, রাহুল গান্ধী গণতন্ত্রের সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করেছেন। বিজেপি সভাপতির প্রশ্ন, কী ধরনের বাক্য তিনি ব্যবহার করেছেন? বলেছেন, ভারতবাসী তাঁর কথা শোনেন না, কেবল সহ্য করেন। এর পরেই বিজেপির সভাপতি বলেন, এহেন লজ্জাজনক মন্তব্য করে রাহুল গান্ধী কেবল দেশকে অপমান করেননি, তিনি অপমান করেছেন দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকেও। দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে বিদেশি শক্তিকে হস্তক্ষেপ করতেও আহ্বান জানাচ্ছেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: ধৃত খলিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিংহের পিছনে পাক যোগ?

    শুক্রবারই একটি ভিডিও বার্তায় রাহুলের লন্ডন সফরের বক্তব্যকে হাতিয়ার করে বিজেপির সভাপতি (JP Nadda) বলেছিলেন, উনি (রাহুল গান্ধী) দেশবিরোধী স্থায়ী টুলকিট হয়ে উঠেছেন। রাহুল দেশের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন। ভিডিও বার্তায় নাড্ডা আরও বলেছিলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে কংগ্রেস দল দেশবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হচ্ছে। দেশবাসী তাদের বারবার প্রত্যাখ্যান করার পর রাহুল গান্ধী এখন দেশবিরোধী টুলকিটের স্থায়ী অংশ হয়ে উঠেছেন।

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সভায় গণতন্ত্রহীনতা নিয়ে বলতে গিয়ে রাহুল বলেছিলেন, ভারতে গণতন্ত্র বিপন্ন। তিনি আরও বলেছিলেন, এটি আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। এর সমাধান ভারতের অভ্যন্তর থেকেই আসতে চলেছে। এটা বাইরে থেকে আমদানি করা যায় না। রাহুল এও বলেছিলেন, ভারতে গণতন্ত্রের প্রভাব শুধু তার ভৌগোলিক সীমানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। যদি ভারতে গণতন্ত্র ভেঙে পড়ে, তাতে গোটা বিশ্বেরই ক্ষতি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: ‘দেশের কপালে কালো টিকা লাগাচ্ছেন এঁরা’, নাম না করে কংগ্রসকে নিশানা মোদির

    PM Modi: ‘দেশের কপালে কালো টিকা লাগাচ্ছেন এঁরা’, নাম না করে কংগ্রসকে নিশানা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে বর্তমানে অনেক শুভ কাজকর্ম হচ্ছে। তাই কিছু লোক দেশ মাতৃকার কপালে কালো টিকা লাগানোর দায়িত্ব নিয়েছেন। নাম না করে কংগ্রেসকে (Congress) এই ভাষায়ই আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ২০২৩-এ ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিশানা করেন কংগ্রেসকে। ভারতের (India) ওপর যাতে কারো নজর না লাগে তাই কালো টিকা পরাচ্ছেন তাঁরা। তিনি বলেন, একটা সময় ছিল, যখন বিশ্ব ভাবত ভারতের সময় এসেছে। তখন কথা হত কেবলই হতাশার। ভারতকে নীচে নামানো হত, ভাঙা হত নৈতিকতা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি কালো টিকা পরানোর ঐতিহ্য। সেই কাজই করার দায়িত্বই নিয়েছেন ওই লোকগুলো।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেন…

    ২০২৩ সালের প্রথম ৭৫ দিনে মোদি (PM Modi) সরকারের সাফল্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ গোটা বিশ্ব বলছে, এটা ভারতের সময়। বর্তমানে বিভিন্ন দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছে কোন দেশ আগে ভারতের হৃত প্রত্নবস্তু ফেরত দেবে, তা নিয়ে। তিনি বলেন, আগে প্রায়ই খবরের হেডলাইন হত কত লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। লোকেরা রাস্তাঘাটে তা নিয়ে বলাবলি করত। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হত। এসব এখন অতীত। এখন সংবাদের শিরোনাম হয় দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্তদের রাস্তা দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে আসা হয়। তিনি জানান, বর্তমানে বিরোধী দলের বহু নেতা তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: এভারেস্টে বরফের নীচে চাপা পড়ে আছে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া, দাবি বিজ্ঞানীদের

    ব্রিটেনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এদিন রাহুলের নাম না করে সেই প্রসঙ্গও তোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কিছু লোক আমাদের গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের সাফল্য হজম করতে পারছে না। সেই কারণে তারা আমাদের গণতন্ত্রকে আক্রমণ করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতদসত্ত্বেও ভারত তার লক্ষ্যে পৌঁছবে। কিছুদিন আগে ব্রিটেনে গিয়ে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাহুল। সেখানে তিনি ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, সকলে জানে ভারতের গণতন্ত্র আক্রমণের মুখে পড়ে কীভাবে বিপন্ন। আমি দেশের বিরোধী নেতা, কিন্তু বিরোধী পরসর খুঁজতে হাতড়ে বেড়াতে হচ্ছে। এর পরেই রাহুলের বিরুদ্ধে সুর চড়ায় বিজেপি। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • JP Nadda: ‘রাহুল গান্ধী দেশ-বিরোধী টুলকিটে পরিণত হয়েছেন’, কংগ্রেসকে নিশানা নাড্ডার

    JP Nadda: ‘রাহুল গান্ধী দেশ-বিরোধী টুলকিটে পরিণত হয়েছেন’, কংগ্রেসকে নিশানা নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক কংগ্রেস দলটা দেশবিরোধী কাজে জড়িয়ে পড়ছে। দেশবাসীর দ্বারা বারবার প্রত্যাখাত হয়ে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) এখন দেশবিরোধী টুলকিটের স্থায়ী অংশে পরিণত হয়েছেন। শুক্রবার এই ভাষায়ই কংগ্রেস (Congress) সাংসদ রাহুল গান্ধীকে নিশানা করলেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। লন্ডনে রাহুলের সাম্প্রতিক মন্তব্যের তীব্র সমালোচনাও করেন তিনি। রাহুলের এহেন মন্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার দাবিও জানান নাড্ডা।

    রাহুলের বক্তব্য…

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে ব্রিটেনে গিয়ে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাহুল। সেখানে তিনি ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, সকলে জানে ভারতের গণতন্ত্র আক্রমণের মুখে পড়ে কীভাবে বিপন্ন। আমি দেশের বিরোধী নেতা, কিন্তু বিরোধী পরসর খুঁজতে হাতড়ে বেড়াতে হচ্ছে। এর পরেই রাহুলের বিরুদ্ধে সুর চড়ায় বিজেপি। রাহুলের এই মন্তব্যের জেরে গত কয়েক দিন ধরে উত্তাল হয়েছে সংসদও। টুলকিট হল এমন একটি মাধ্যম যেখানে নিজের মতামত বা পরিকল্পনাকে লিখিত ও ভিডিও-র মাধ্যমে সহজে শেয়ার করা যায়। যা এক ধরনের মাইক্রো ওয়েবসাইট যেখানে কোনও একটি বিষয়ে ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক বক্তব্য বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

    বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি (JP Nadda) বলেন, রাহুলের মন্তব্য দেশের নির্বাচিত সরকার ও ১৩০ কোটি দেশবাসীকে অপমান করেছে। তাঁর প্রশ্ন, রাহুলের মন্তব্য দেশদ্রোহীদের হাত শক্ত করেনি? বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে রাহুল গান্ধী বলছেন ভারতে গণতন্ত্র শেষ হয়ে গিয়েছে। এবং দেশে গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারে ইউরোপ ও আমেরিকার সাহায্যও চেয়েছেন তিনি। এর থেকে লজ্জার আর কী হতে পারে! ভারত যে ক্রমেই শক্তিশালী একটি রাষ্ট্র হিসেবে নিজেকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছে, এদিন সেকথা মনে করিয়ে দিয়ে নাড্ডা (JP Nadda) বলেন, ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। জি-২০-র বৈঠক হচ্ছে এ দেশে। আর রাহুল গান্ধী বিদেশের মাটিতে গিয়ে দেশ ও সংসদের অপমান করছেন। পাকিস্তান ও গান্ধী পরিবার কেন এক সুরে কথা বলছে, এদিন সে প্রশ্নও তোলেন নাড্ডা। জর্জ সোরেস (মার্কিন ধনকুবের) এবং রাহুল গান্ধী কেন একই ভাষায় কথা বলেন? প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।

    আরও পড়ুুন: যত মত তত পথ! ‘‘উপাসনার অনেক পদ্ধতি, লক্ষ্য একটাই’’, বললেন মোহন ভাগবত

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

      

  • Himanta Biswa Sarma: ‘৬০০ মাদ্রাসা বন্ধ করেছি, বাকিগুলোও করব’, ঘোষণা অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

    Himanta Biswa Sarma: ‘৬০০ মাদ্রাসা বন্ধ করেছি, বাকিগুলোও করব’, ঘোষণা অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৬০০ মাদ্রাসা বন্ধ করেছি, বাকিগুলোও করব। বৃহস্পতিবার এমন মন্তব্য করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। কর্নাটকে বিজেপির (BJP) সভায় তিনি জানান, ধাপে ধাপে রাজ্যের সবকটি মাদ্রাসা (Madrasa) বন্ধ করা হবে। অসমের মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা অসমের সংস্কৃতি নষ্ট করছে। ওই মাদ্রাসাগুলির পরিবর্তে তিনি যে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় চান, এদিন তাও জানান হিমন্ত।

    হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma) বলেন…

    এদিন ভোটমুখী কর্নাটকে বিজেপি আয়োজিত সভায় যোগ দিয়েছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। বেলগাভিজ শিবাজি মহারাজ গার্ডেনে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে হিমন্ত বলেন, বাংলাদেশ থেকে যারা অসমে এসেছে, তারা অসমের সংস্কৃতি ও সভ্যতা নষ্ট করছে। এর পরেই তিনি বলেন, আমি ৬০০ মাদ্রাসা বন্ধ করেছি। আমি চাই বাকি মাদ্রাসাগুলোও বন্ধ করতে। কারণ আমরা মাদ্রাসা চাই না। আমরা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় চাই।

    গত বছরই হিমন্ত (Himanta Biswa Sarma) দাবি করেছিলেন, অসম জেহাদিদের হটবেডে পরিণত হয়েছে। আল কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলা পাঁচজন জেহাদি গ্রেফতার হওয়ার পর একথা বলেছিলেন তিনি। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে অন্ততঃ পক্ষে ছ জন জঙ্গি ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল। স্থানীয় যুবকদের জেহাদি মন্ত্রে দীক্ষিত করতেই তারা এ দেশে প্রবেশ করেছিল বলে দাবি গোয়েন্দা রিপোর্টে।

    কেন্দ্রের পূর্বতন কংগ্রেস সরকারের ব্যাপক সমালোচনার পাশাপাশি এদিন নরেন্দ্র মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন হিমন্ত। তিনি বলেন, এক সময় দিল্লির শাসকরা মন্দির ধ্বংসের কথা বলতেন। আর আজ, নরেন্দ্র মোদির শাসনে আমি মন্দির নির্মাণ নিয়ে কথা বলছি। তিনি বলেন, এটাই হল নতুন ভারত। কংগ্রেস এই নতুন ভারতকেই দুর্বল করতে চাইছে। হিমন্ত বলেন, কংগ্রেস নয়া মুঘলদের প্রতিনিধিত্ব করছে।

    আরও পড়ুুন: মিড ডে মিলের হিসেব খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় অডিট দল, ট্যুইট শুভেন্দুর

    এদিন কংগ্রেস ও বামপন্থীদের একযোগে নিশানা করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma)। তিনি বলেন, কংগ্রেস এবং কমিউনিস্টরা ভারতের ইতিহাসকে বাবর, ঔরঙ্গজেব এবং শাজাহানের ইতিহাস বলে দেখিয়েছে। আর আমি বলতে চাই, ভারতের ইতিহাস কেবল এঁদের সম্পর্কেই নয়, বরং ছত্রপতি শিবাজি, গুরু গোবিন্দ সিংহের সম্পর্কেও। হিমন্ত বলেন, ঔরঙ্গজেব সনাতন সংস্কৃতি নষ্টের চেষ্টা করেছিলেন। বহু মানুষকে জোর করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেছিলেন। প্রসঙ্গত, শিক্ষা ধর্মনিরপেক্ষ হওয়া উচিত এই যুক্তিতে রাজ্যের সব মাদ্রাসাকে সাধারণ স্কুলে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসম সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে জোর ধাক্কা কলকাতা পুলিশের, কৌস্তভের বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে জোর ধাক্কা কলকাতা পুলিশের, কৌস্তভের বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের দায়ের করা এফআইআর-এর তদন্তে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আদালত জানাল, ‘কোর্টের অনুমতি ছাড়া কৌস্তভের বিরুদ্ধে কোনও থানা পদক্ষেপ করতে পারবে না।’ কৌস্তভের দায়ের করা আবেদনের শুনানিতে বুধবার ৪ সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এছাড়াও মাঝরাতে কংগ্রেস নেতার বাড়ি গিয়ে গ্রেফতার করার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে আদালতে রিপোর্ট পেশ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা।

    হাইকোর্টে জোর ধাক্কা কলকাতা পুলিশের

    গত ৪ মার্চ কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের বড়তলা থানা। গভীর রাতে কৌস্তভের বাড়ি গিয়ে তাঁকে জেরা করে গ্রেফতার করেন পুলিশ আধিকারিকরা। গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়। কিন্তু সেদিনই বিকেলে আদালত থেকে মাত্র ১০০০ টাকার বন্ডে জামিন পান কৌস্তভ। এরপরেই পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন কৌস্তভ। সেই মামলায় আপাতত স্বস্তি পেলেন আইনজীবী। তবে অন্যদিকে চাপ বাড়ল রাজ্য পুলিশের। কারণ তদন্তর উপর স্থগিতাদেশ তো দিয়েছেই, এর পাশাপাশি পুলিশ কমিশনারকে পুলিশের অভিযান নিয়েও রিপোর্ট তলব করেছে আদালত।

    আরও পড়ুন: ইডি-র ডাকে সিজিও-তে কুন্তল-পত্নী, নিজামে সিবিআইয়ের জেরা ‘কালীঘাটের কাকু’-কে

    বিচারপতি মান্থা কী বলেছেন?

    এদিন মামলার শুনানিতে বুধবার বিচারপতি মান্থা বলেন, “কোনও নোটিশ না পাঠিয়ে নাগরিকের অধিকার ক্ষুণ্ণ করেছে পুলিশ। কীসের ভিত্তিতে মাঝরাতে কৌস্তভের বাড়িতে গিয়েছিল পুলিশ? সারা রাত তাঁর বাড়িতে থেকে পরদিন সকালে কীসের ভিত্তিতে গ্রেফতার? পুলিশের এই ভূমিকা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের বিরোধী। এক্ষেত্রে বড়তলা থানার ভূমিকা খতিয়ে দেখে ৩ সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিপিকে। আগামী ৪ সপ্তাহ কৌস্তভের বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর-এর তদন্তপ্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে।”

    এছাড়াও আদালত (Calcutta High Court) প্রাথমিক ভাবে মনে করছে, কৌস্তভ বাগচীকে হুমকি দেওয়ার আশঙ্কা থাকছে। ফলে আদালতের নির্দেশ, আগামী সোমবার সিআরপিএফ-কে জানাতে হবে, তারা নিরাপত্তা দিতে পারবে কি না। আপাতত ব্যারাকপুর পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে অন্তত পাঁচজন পুলিশের নিরাপত্তা দেওয়া হয় কৌস্তভের বাড়িতে। সশস্ত্র কনস্টেবলও দিতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Kaustav Bagchi: পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে আদালতে কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ

    Kaustav Bagchi: পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে আদালতে কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন কংগ্রেস (Congress) নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচি (Kaustav Bagchi)। ৩ মার্চ মধ্য রাতে তাঁর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। মঙ্গলবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলাটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে আদালত। বুধবার শুনানি হতে পারে এই মামলার।

    কৌস্তুভ বাগচির (Kaustav Bagchi) বিরুদ্ধে অভিযোগ…

    সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী হন কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। তার পরেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে কিছু মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, অধীরের কন্যার আত্মহত্যা ও তাঁর গাড়িচালকের মৃত্যু নিয়ে অনেক কথা তিনি জানেন। তিনি মুখ খুললে বিপদ হবে। এর পরেই পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করেন কৌস্তুভ (Kaustav Bagchi)। সেই সময় তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন আমলা দীপক ঘোষের একটি বইয়ের প্রসঙ্গ তুলে কৌস্তুভ মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যক্তি আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ। কৌস্তুভের মন্তব্য প্ররোচনামূলক বলে উল্লেখ করে বড়তলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এক তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ দায়ের হয় ৩ মার্চ রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ।  

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত শান্তনু-কুন্তলকে ছেঁটে ফেলল তৃণমূল, বহাল তবিয়তে মানিক, পার্থ

    ওই দিন মধ্য রাতে কৌস্তুভের ব্যারাকপুরের বাড়িতে হানা দেয় কলকাতার বড়তলা থানার পুলিশ। অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে পরের দিন সকালে গ্রেফতার করা হয় কংগ্রেসের এই আইনজীবী নেতাকে। গ্রেফতারির পর তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করে পুলিশ। বিনা কারণে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করেন কৌস্তুভ। ওই দিন বিকেলেই অবশ্য জামিন পান তিনি। ১০০০ টাকার বন্ডে কৌস্তুভকে জামিন দেন বিচারক। জামিন পাওয়ার পর মস্তক মুণ্ডন করেন এই কংগ্রেস নেতা। বলেন, যত দিন না মমতার সরকারকে উৎখাত করছি, ততদিন মাথায় চুল রাখব না।

    প্রসঙ্গত, ওই দিন কৌস্তুভের (Kaustav Bagchi) হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। কংগ্রেসের আইনজীবী নেতার জামিনের পক্ষে সওয়াল করে তিনি বলেন, পুলিশ মাঝরাতে বাড়ি চলে যাচ্ছে। এ বার তো বিচারকদের বাড়িও চলে যাবে। আগাম কোনও নোটিশ ছাড়াই পুলিশ কীভাবে কৌস্তুভকে গ্রেফতার করল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিকাশ। সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও পুলিশ মধ্যরাতে অভিযুক্তের বাড়ি গেল কীভাবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Parliament: জেপিসি নিয়ে বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে মুলতুবি সংসদ, একলা চলো নীতি তৃণমূলের

    Parliament: জেপিসি নিয়ে বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে মুলতুবি সংসদ, একলা চলো নীতি তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদানিকাণ্ডে বিরোধীদের যৌথ সংসদীয় কমিটি (JPC) গড়ার দাবিকে ঘিরে সরকার ও বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে উত্তপ্ত সংসদের (Parliament) দুই কক্ষ। মঙ্গলবার বিরোধীদের যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ার দাবির পাল্টা হাতিয়ার হিসেবে বিজেপি প্রয়োগ করে ইংল্যান্ডে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস (Congress) সাংসদ রাহুল গান্ধীর মোদি সরকারের সমালোচনাকে। তার জেরে দু পক্ষে ব্যাপক হইচই হয়। যার জেরে মুলতুবি হয়ে যায় সংসদ। কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী কয়েকটি দল যখন সংসদে হইহট্টগোল করছে, সেই সময় ওই একই দাবিতে সংসদ ভবনের বাইরে গান্ধী মূর্তির সামনে ধর্না দেন তৃণমূল সাংসদরা।

    উত্তপ্ত সংসদ (Parliament)…

    এদিন অধিবেশনে রাহুলকে নিশানা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল। তিনি বলেন, এক সংসদ সদস্য (পড়ুন রাহুল গান্ধী) যেভাবে বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলছেন, তাতে সংসদ (Parliament) চুপ থাকতে পারে না। রাহুলের ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানিয়েছে বিজেপি। দেশের সমস্ত সাংসদ যাতে রাহুলের মন্তব্যের নিন্দা করেন, সেই আবেদনও জানানো হয়েছে পদ্ম শিবিরের তরফে। পাল্টা কটাক্ষ করেছে কংগ্রেসও। বিজেপির উদ্দেশে সোনিয়া গান্ধীর দলের কটাক্ষ, গণতন্ত্রের হত্যাকারীর মুখে আজ এ কী কথা শুনি! এ নিয়ে দু পক্ষে হইহট্টগোলের জেরে মুলতুবি করে দেওয়া হয় সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সিপিএমকে সাফ করেছি, পিসি-ভাইপোকেও গ্যারাজ করব’’, নন্দীগ্রামে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    এদিকে, দ্বিতীয় দফার (Parliament) অধিবেশন শুরুর আগে বিরোধীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। এই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সাংসদরা। সংসদ চত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। কংগ্রেসের ডাকা ওই বৈঠকে সিপিএম, আরজেডি, জেডিইউ, শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে শিবির, এনসিপি সহ ১৬টি দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেস বিরোধী আম আদমি পার্টিও উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের ডাকা ওই বৈঠকে। এদিন সংসদ ভবন থেকে বিজয় চক পর্যন্ত মিছিল করেন বিরোধীরা। তাতে যোগ দেয় কংগ্রেস বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত বিআরএসও। তবে এখানেও তৃণমূলের কাউকে দেখা যায়নি। লোকসভার দলনেতা তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, বিরোধী ঐক্য যেন না থাকে, মোদির যেন সুবিধে হয়, এটাই করছে তৃণমূল। বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, বিরোধীদের কোনও ঐক্য নেই। কখনও হবেও না। মোদিই থাকবেন। ওরা নিজেদের ঘর বাঁচানোর চেষ্টা করছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kiran Reddy: ফের কংগ্রেস ছাড়লেন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে?

    Kiran Reddy: ফের কংগ্রেস ছাড়লেন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোর বিপদে কংগ্রেস (Congress)। ফের দল ছাড়লেন আরও একজন। তেলঙ্গানা গঠনের আগে অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) শেষ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কিরণ কুমার রেড্ডি (Kiran Reddy)। ২০১০ সাল থেকে টানা তিন বছর তিনি কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। সেই তিনিই ফের ছেড়ে দিলেন কংগ্রেস। ১১ মার্চ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে এক লাইনের একটি পদত্যাগপত্র পাঠান রেড্ডি। তাতে তিনি লেখেন, এই চিঠিটিকে জাতীয় কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফাপত্র হিসেবে গণ্য করা হোক। মাত্র পাঁচ বছর আগে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন রেড্ডি। পরে হয়েছিলেন অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি ছাড়লেন কংগ্রেস সঙ্গ।

    রাজ্য ভাগের বিরোধিতা করেন কিরণ রেড্ডি (Kiran Reddy)…

    ২০১৪ সালে একবার কংগ্রেস ছেড়েছিলেন রেড্ডি (Kiran Reddy)। তখন ইউপিএ সরকার অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যকে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ঠিক হয়, একটি রাজ্য হবে অন্ধ্রপ্রদেশ, অন্যটি হবে তেলঙ্গানা। কিরণ রেড্ডি রাজ্য ভাগের বিরোধিতা করেছিলেন। বিধানসভায় এ নিয়ে বিস্তর হইচইও করেছিলেন। ইউপিএ সরকারের রাজ্য ভাগের এই সিদ্ধান্তের বিস্তর মূল্য চোকাতে হয় কংগ্রেসকে। সেই সময় বেশ কয়েকজন নেতা কংগ্রেস ছেড়ে দেন। যার জেরে এ পর্যন্ত অন্ধ্রপ্রদেশে একটির বেশি লোকসভা আসন পায়নি সোনিয়া গান্ধীর দল।

    কংগ্রেস ছেড়ে রেড্ডি নিজেই গড়েন রাজনৈতিক দল। নাম দেন জয় সামাইক অন্ধ্র পার্টি। ২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দানে হাজির হয় রেড্ডির দল। যদিও গোহারা হারে। তার পর ২০১৮ সালে ফের কংগ্রেসে ফেরেন। তার আগে অবশ্য কংগ্রেসের সঙ্গে বিস্তর দর কষাকষি করেন। এহেন রেড্ডি ফের ছাড়লেন গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির সঙ্গ। জানা গিয়েছে, এক সময়ের দাপুটে কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী রেড্ডি শীঘ্রই নাম লেখাতে চলেছেন বিজেপিতে। তেলঙ্গনায় দারুণ শক্তিশালী হলেও, অন্ধ্রে বিজেপি এখনও বেশ দুর্বল। রাজনৈতিক মহলের মতে, কিরণ রেড্ডির হাত ধরে জগমোহন রেড্ডির রাজ্যে পদ্ম ফোটানোর কাজ শুরু করে দিল গেরুয়া শিবির। প্রসঙ্গত, কিরণ রেড্ডি (Kiran Reddy) ছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের ১৬তম মুখ্যমন্ত্রী। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তাঁর হাত ধরেই রাজ্যে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে পদ্ম শিবির।

    আরও পড়ুুন:মুকুলের বিধায়কপদ খারিজের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share