Tag: cpm

cpm

  • BJP: আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডিকাটার নিদান! নেত্রীকে সরিয়ে দিল তৃণমূল, জেলা জুড়ে বিক্ষোভে বিজেপি

    BJP: আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডিকাটার নিদান! নেত্রীকে সরিয়ে দিল তৃণমূল, জেলা জুড়ে বিক্ষোভে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বিজেপি (BJP) করার শাস্তি হিসেবে তিন আদিবাসী মহিলাকে দণ্ডি কাটার নিদান দিয়েছিলেন তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর  জেলার মহিলা সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। ৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় বালুরঘাট শহরে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ের আশপাশে থাকা লোকজন ও কয়েকজন তৃণমূল কর্মী এই অমানবিক ঘটনার সাক্ষী ছিলেন। আর দণ্ডি কাটার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ঘরে, বাইরে চাপে পড়ে যায় তৃণমূল নেতৃত্ব। খবর পৌঁছে যায় তৃণমূল সুপ্রিমোর কাছে। আর তড়িঘড়ি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নাম দিয়ে রবিবার বিকেলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রেস রিলিজ বের করা হয়। আর তাতে প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে সরিয়ে তাঁর ওই পদে স্নেহলতা হেমব্রম নামে এক আদিবাসীকে জেলা তৃণমূলের মহিলা সভানেত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। আদতে এই পদে একজন আদিবাসীকে নিয়ে এসে ওই অপকর্মের প্রায়শ্চিত করল তৃণমূল, এমনই মত রাজনৈতিক মহলের।

    দণ্ডিকাটার ঘটনা নিয়ে সরব আদিবাসী সমাজ?

    তপন ব্লকের গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের শনকৌর গ্রামের তিন আদিবাসী মহিলার বাড়ি। বিজেপি করার জন্য শাস্তি হিসেবে তাঁদের দণ্ডি কাটার নিদান দিয়েছিল তৃণমূলের মাতব্বররা। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে আদিবাসী সমাজ। ৮ টি আদিবাসী সংগঠনের যৌথ মঞ্চ রবিবার সকালে গ্রামে গিয়ে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গেও তাঁরা এদিন কথা বলেন। গ্রামবাসীরাও আদিবাসী সংগঠনের কাছে এই ঘটনার সুবিচার দাবি করেছেন। আদিবাসী যৌথ মঞ্চের সভাপতি সুনীল বাঘয়ার বলেন, আদিবাসী বলেই ওই ধরনের ঘটনা ঘটনো হয়েছিল। প্রশাসন কী করছে দেখব, তার পরই আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব। কারণ, এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।

    গ্রামে সিপিএমের প্রতিনিধিরা গিয়ে কী করলেন?

    রবিবার আদিবাসী সংগঠনের পাশাপাশি সিপিএমের এক প্রতিনিধি দল গ্রামে যায়। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন। সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য নন্দলাল হাঁসদা বলেন, আদিবাসী সমাজকে অপমানিত করা হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এই অমানবিক ঘটনার প্রতিবাদে আমরা মিছিল করব।

    দণ্ডি কাটার প্রতিবাদে কী করল বিজেপি (BJP)  ?

    দণ্ডি কাটা ঘটনার প্রতিবাদে বালুরঘাট থানার সামনে এদিন বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। বালুরঘাট থানা সহ জেলার আটটি থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বিজেপি (BJP)। বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, জোর করে তৃণমূল এই কাজ করেছে। আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এদিন সব থানায় বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। সোমবার জেলা শাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। সেখানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং সাংসদ দিলীপ ঘোষ থাকবেন।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    দলবদলুদের দণ্ডি কাটার শাস্তির নিদান নিয়ে জেলা জুড়়ে সবমহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃনাল সরকার বলেন, আমরা শনিবার ওই গ্রামে গিয়ে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। এই ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা জানিয়েছি। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত নেত্রীকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: সরকারি ধান বিক্রিতে যুব তৃণমূল নেতার এমন দুর্নীতি! কোথায় জানেন?

    Scam: সরকারি ধান বিক্রিতে যুব তৃণমূল নেতার এমন দুর্নীতি! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পুকুর খনন না করেই ১০০ দিনের প্রকল্পে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূলের এক মন্ত্রীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে। যদিও ইতিমধ্যেই আদালত টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এবার সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রিতে দুর্নীতিতে (Scam) নাম জড়াল যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির আজিম রহমান খানের বিরুদ্ধে। তিনি গোঘাটের শ্যামবাজার অঞ্চলের যুব তৃণমূলের নেতা।  গোঘাট- ২ পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সাহাবুদ্দিন খানের তিনি ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায়  পরিচিত। সেই কারণে এলাকায় তাঁর দাপটও রয়েছে। অন্যের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ধান বিক্রির অভিযোগ। লক্ষ লক্ষ টাকা কারচুপির (Scam)  অভিযোগ রয়েছে। প্রায় একাধিক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই টাকা অ্যাকাউন্টে ঢোকার পরেই টাকা তুলে দিতে চাপ দিচ্ছে বলে ওই যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। শুধুমাত্র শাসক দলের প্রভাব খাটিয়েই তিনি এধরনের দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ। প্রশ্ন হল, এলাকার  যাদের  সামান্য জমি  অথবা জমিই নেই, তাঁদের  বিঘার পর বিঘা জমি দেখিয়ে কিভাবে হাজার হাজার টাকা  অ্যাকাউন্টে ঢোকানো হল ? ইতিমধ্যেই অনেকেই প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। আরামবাগের মহকুমা শাসক সুভাশিনী -ই বলেন, ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে যুব তৃণমূলের নেতার বিরুদ্ধে? Scam

    সাধারন মানুষের কথা ভেবে রাজ্য সরকার সি পি সি – র মাধ্যমে সরকারি সহায়ক মূল্যে প্রতিটি ব্লক থেকে ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যুব তৃণমূলের দাপুটে নেতা হওয়ার সুবাদে এলাকার বহু সাধারণ মানুষের আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট জমা নিয়েছে ওই নেতা। আর সেই অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে লক্ষ লক্ষ টাকা। অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার পর ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে তৃণমূল নেতার কাছে টাকা পৌঁছে দিতে হয়েছে। এরকমভাবে গোঘাট এলাকায় ওই যুব তৃণমূল নেতা লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দা সুলতান খাঁ বলেন, আমার দুকাঠা জমি রয়েছে। আমি সরকারের কাছে কোনও ধান বিক্রি করিনি। ওই তৃণমূল নেতা আমার কাছে থেকে আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়ে যায়। দুদফায় আমার অ্যাকাউন্টে ৯০ হাজার টাকা ঢুকেছে। সব টাকা যুব তৃণমূল নেতাকে আমি দিয়ে দিয়েছি। অন্য এক বাসিন্দা বলেন, আমি কোনও ধান বিক্রি করিনি। আমার অ্যাকাউন্টে ৬০ হাজার টাকা ঢুকেছে। সব টাকা তৃণমূল নেতাকে দিয়ে দিয়েছি। যদিও বিরোধী দলের চক্রান্তে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আজিম রহমান খানের। তিনি বলেন, আমি কোনও দুর্নীতি (Scam)  করিনি। আমি সামান্য আলু ব্যবসায়ী। কাউকে আলু বীজ দিয়েছি। সে আমাকে টাকা দিয়েছে। সেটা নিয়ে বিরোধীরা আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

    বিজেপির রাজ্য সম্পাদক বিমান ঘোষ বলেন, গোটা রাজ্য জুড়েই দুর্নীতি (Scam) চলছে। এই দলে সবাই চোর। তাই, তৃণমূলের দুর্নীতি (Scam)  নিয়ে নতুন করে আমার কিছু বলার নেই। সিপিএম নেতা বাবলু রায় বলেন, শুধু ধান নয়, ১০০ দিনের কাজেও তৃণমূল নেতারা লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়েছে। সব জায়গায় দুর্নীতি (Scam)  করছে। আর এসব দুর্নীতির (Scam)  টাকা যাচ্ছে কালীঘাটে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: শৌচালয় তৈরির টাকা নিয়েও দুর্নীতি! কোথায় দেখে নিন

    Scam: শৌচালয় তৈরির টাকা নিয়েও দুর্নীতি! কোথায় দেখে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য তোলপাড় চলছে। এবার শৌচালয় দুর্নীতি সামনে এল। গরিব মানুষের বাড়িতে শৌচালয় তৈরির করার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল।  ঘটা করে পুরসভার পক্ষ থেকে মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে শৌচালয় তৈরির আশ্বাসও দিয়েছিল। উপভোক্তাদের কাছে থেকে ৮০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, বাস্তবে প্রতিশ্রুতিই সার। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ক্ষুব্ধ দুর্গাপুর পুরসভার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিরসা মুন্ডা কলোনির বাসিন্দারা। অনেকেই নিজেদের উদ্যোগে পয়সা খরচ করে শৌচালয় তৈরি করেছেন, সেখানেও পুরসভার পক্ষ থেকে নির্মল বাংলা প্রকল্পের স্ট্যাম্প লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর শৌচালয়ের জন্য আসা লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি (Scam) করা হয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলারকে অভিযোগ জানিয়েও কোন সুরাহা হয়নি। প্রাতঃকৃত্যের জন্য নর্দমায় একমাত্র ভরসা এলাকাবাসীর। তাঁদের দাবি, দ্রুত শৌচালয় নির্মাণ করে দিতে হবে।

     শৌচালয় দুর্নীতি নিয়ে কী চাইছেন এলাকাবাসী? Scam

    বহু বছর আগে রেলের জমিতে বিরসা মুন্ডা কলোনি গড়ে উঠেছে।  এলাকার অধিকাংশ পরিবারই দুঃস্থ। মাটি ও দরমা সহ টালি, টিনের চালের বাড়িঘর রয়েছে। ভোটার সংখ্যা প্রায় শতাধিক। ওই এলাকার বাসিন্দাদের প্রাতঃকৃত্যের জন্য একমাত্র ভরসা  এলাকার নর্দমা। ২০১৭ সালে মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্প আসায় এলাকাবাসী এক নতুন আশার আলো দেখানো হয়। তাঁরা জানতে পারেন, এলাকার প্রতিটি বাড়িতে সরকার থেকে শৌচালয় নির্মাণ করে দেওয়া হবে। সেই মত এই প্রকল্পে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার বাড়ি বাড়ি বেশকিছু নির্মাণ সামগ্রী মজুত করে। অভিযোগ, এলাকাবাসী উৎসাহিত হয়ে ঠিকাদারের কথা মত তাঁকে ৮০০ টাকার করে জমা দেন। এর পরেই ওই নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে এলাকা থেকে ওই ঠিকাদার উধাও হয়ে যায়। এমনিতেই এই প্রকল্পে সরকারের পক্ষ থেকে উপভোক্তাদের শৌচালয় তৈরির জন্য ১০  হাজার টাকা করে বরাদ্দ করা হয়। সেই টাকা নিয়ে ঠিকাদার কী করল? টাকা জমা দেওয়ার শৌচালয় তৈরি না হওয়ায় এখনও তাঁরা নতুন করে শৌচালয় করতে পারেননি। স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষী মণি সোরেন বলেন, আমাদের এই এলাকায় সকলেই দিনমজুর। তার মধ্যে খুব কষ্ট করে ৮০০ টাকা জোগাড় করে দিয়েছিলাম। কিন্তু, শৌচালয় আজও হয়নি। আমি শারীরীক সমস্যার কারণে ঠিকমতো হাঁটতে পারি না। নর্দমাতে প্রাতঃকৃত্য সারতে হয়, খুব সমস্যায় আছি আমরা। মনোজ সোরেন নামে অন্য এক বাসিন্দা বলেন, এলাকায় কয়েকটি শৌচালয় করেছিল। সেগুলো নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি করায় ভেঙে গিয়েছে। আর কিছু মানুষ শেষমেশ নিজেরা শৌচালয় তৈরি করে নেয়। তাঁদের ক্ষেত্রে শৌচালয়ে পাতলা টিনের দরজা লাগিয়ে মিশন নির্মল বাংলার স্ট্যাম্প দিয়ে ছবি তুলে নিয়ে চলে যায়। এভাবে সকলের টাকা ওরা আত্মসাৎ করে নেওয়া হয়। লক্ষ লক্ষ টাকার এই দুর্নীতির(Scam)   আমরা তদন্ত চাই।

    এলাকার তৃণমূল নেতা তথা  প্রাক্তন কাউন্সিলার শশাঙ্ক শেখর মণ্ডল বলেন, ওই এলাকায় সিপিএমের কাউন্সিলার থাকাকালীন এই দুর্নীতি (Scam) হয়েছে। এলাকাবাসী এই অভিযোগ আমাদের জানিয়েছিলেন। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। পশ্চিম বর্ধমান জেলার সিপিএমের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, ২০১২ এবং ১৭ তে পুরসভার বোর্ড ছিল তৃণমূলের। নিজেদের চুরি ঢাকতে এখন পাগলের প্রলাপ বলছে ওরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madan Mitra:  রাজ্য পুলিশকে একী বললেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র?

    Madan Mitra: রাজ্য পুলিশকে একী বললেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) । তিনি বেলঘরিয়ায় দলীয় সভায় প্রকাশ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তিনি বলেন, রাজ্যের পুলিশকে বলছি, আপনারা ভুলে যান তৃণমূল কংগ্রেস শাসকদলে রয়েছে। কয়েকদিন আগে রথতলায় ৫০টি মাইক বেঁধে সিপিএম সভা করল। আপনার চুপচাপ বসে বসে মজা দেখছিলেন। তবে, সব পুলিশ এক নয়। পুলিশের মধ্যে কিছু চড় রয়েছে। এরপর তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,  বিজেপি বাংলার বাজার গরম করলে কিভাবে ঠান্ডা করতে হয় তৃণমূলের কাছে সেই মন্ত্র আছে। প্রয়োজনে সেই মন্ত্র প্রয়োগ করা হবে।বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ জেনে রাখুন আমরা বাংলা চালাই। সিপিএম, বিজেপিকে আপনারা বাবা বলে ভাবলেও ওরা কিন্তু বাবা নয়। মুখ্যমন্ত্রী একধারে পুলিশমন্ত্রীও। শাসক দলের দাপুটে এই নেতার পুলিশ নিয়ে এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তাহলে কী বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ দলদাস হয়ে কাজ করছে না। কী কারণে পুলিশের বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্য কামারহাটির কালারফুল বয় (Madan Mitra) করলেন তা তিনি খোলসা করেননি। তবে, দলের অন্দরে এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিরোধীরা এটা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়নে। আসলে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার অর্থ মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি পরোক্ষে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন।

    কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচিকে একী বলেন তৃণমূল বিধায়ক? Madan Mitra

    সাগরদিঘিতে বিরোধীদের অশুভ আঁতাত হয়েছে বলে মদন মিত্র (Madan Mitra) বারবার সোচ্চার হয়েছেন। এবার বিরোধীদের অশুভ আঁতাতের বিরুদ্ধে কামারহাটিতে ধিক্কার মিছিল করা হয়। মিছিল শেষে সভা ছিল। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কামারহাটির বিধায়ক( Madan Mitra) বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএম মনে রাখবেন এই তিনজনকে বান্ডিলে প্যাক করে প্রয়োজনে দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গায় কি করে তর্পন করতে হয়, ন্যাড়া করতে হয় তা আমরা জানি। এরপর কৌস্তভ বাগচির নাম না করে তিনি বলেন, প্রকাশ্যে ন্যাড়া হয়ে   আমাদেরকে ভয় দেখাবেন না।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Hooghly: “ধরা পড়েছে মাফলার, এবার যাবে হাওয়াই চটি”, বলাগড়ের সভায় স্পষ্ট ইঙ্গিত শুভেন্দুর

    Hooghly: “ধরা পড়েছে মাফলার, এবার যাবে হাওয়াই চটি”, বলাগড়ের সভায় স্পষ্ট ইঙ্গিত শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। আজ হুগলির (Hooghly) বলাগড়ে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের প্রচারের জন্য বিজয় সংকল্প সভা হয়। এই সভায় যোগদান করেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “ধরা পড়েছে মাফলার, এবার যাবে হাওয়াই চটি।” কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতার হওয়ার কথা বলে মমতাকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি এবং ভবিষ্যতে কী হতে চলেছে, তাঁর স্পষ্ট ইঙ্গিত দেন।

    সভা থেকে কী বললেন (Hooghly)?

    বলাগড়ে (Hooghly) বিজেপির সভা থেকে শুভেন্দু তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “সবেমাত্র ভোর হয়েছে। অনেকে জেলে রয়েছেন। সন্ধ্যা এখনও বাকি। এসএসসি মামলায় গ্রেফতার অয়ন শীলের কাছ থেকে যে সব তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তা ডাউনলোড করা হয়েছে। পুর নিয়োগ, ফায়ার ব্রিগেড সার্ভিস, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে কীভাবে দুর্নীতি করা হয়েছে, তার তথ্য উদ্ধার হয়েছে। আমরা সারা দেশে ৫৪৩ সিটে লড়াই করছি। তৃণমূল লড়াই করছে বাংলায় ৪২, অসমে ১, মেঘালয়ে ১ এবং উত্তরপ্রদেশে ১ টি আসনে। সরকার গঠনে লাগবে ২৭২। ফলে তৃণমূলকে ভোট দেওয়া মানে ভোট নষ্ট করা, এটা আপনারা জেনে রাখুন। তোলামূল আগে জাতীয় দল ছিল। কিন্তু ত্রিপুরা-নাগাল্যান্ডে হারের পর আঞ্চলিক দলে পরিণত হয়েছে। বাংলার মেয়েকে প্রধানমন্ত্রী চাই, এই কথা প্রথমে বললেও এখন আর বলে না। গরুর গাড়িতে হেডলাইট এবং স্যান্ডো গেঞ্জিতে যেদিন বুক পকেট লাগবে, সেই দিন পিসি প্রধানমন্ত্রী হবেন।”

    আর কী বললেন?

    হুগলির (Hooghly) সভা থেকে মমতাকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, “যতই করো কান্নাকাটি, ধরা পড়েছে মাফলার, এবার যাবে হাওয়াই চটি। হাওয়াই চটির অবস্থা কী হতে পারে সকলেই দেখতে পারবেন।” আবার সিপিএমকে আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন, “এদের কোথাও অস্তিত্ব নেই। কেবলমাত্র ভোট কাটার জন্য দাঁড়িয়েছে। তৃণমূলকে সুবিধা দিতে সিপিএম কাজ করছে। ২০২১ সালের লোকসভা নির্বাচনে বলাগড়, তেলেনিপাড়া, চন্দননগর, আদি সপ্তগ্রামে আমাদের ভোট কেটে তৃণমূলকে জয়ী করে সুযোগ করে দিয়েছে। চোর ভাইপোর সঙ্গে মীনাক্ষী-শতরূপের জ্যাঠামশাই সীতারাম ইয়েচুরি পাটনা, দিল্লি, বেঙ্গালুরুতে কাটলেট খেয়েছেন। তাঁরা ইটিং মিটিং সেটিং করেন মাত্র। সিপিএমকে ভোট দিয়ে ভোট নষ্ট করবেন না। দেশটা যাতে ইউক্রেন না হয়, তাই শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রী দরকার। তাই মোদি সরকার আরও একবার দরকার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: তৃণমূলের পর এবার প্রার্থী ঘোষণা করল বামেরাও, কারা রয়েছেন তালিকায়?

    Lok Sabha Elections 2024: তৃণমূলের পর এবার প্রার্থী ঘোষণা করল বামেরাও, কারা রয়েছেন তালিকায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Elections 2024) বিজেপিকে ধরাশায়ী করতে হয়েছিল জোট গঠন। ‘ইন্ডি’ নামের সেই জোটকে এড়িয়েই একতরফাভাবে রাজ্যের ৪২টি আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে কংগ্রেস। আর বৃহস্পতিবারের বারবেলায় প্রথম দফার ১৬টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিল বামফ্রন্ট।

    প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা (Lok Sabha Elections 2024)

    এদিন বিকেলে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সাংবাদিক বৈঠক করে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। এদিন যে ১৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে, তার মধ্যে ১৩টিতে লড়বে সিপিএম। বাকি তিনটি আসনে লড়বেন বাম শরিকরা। তৃণমূলের পর বামেরাও প্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়ায় বাংলায় প্রশ্ন উঠছে জোটের ভবিষ্যৎ নিয়েই। লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Elections 2024) প্রথম দফায় ১৯৫জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে বিজেপি। তার পরেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে তৃণমূল। এদিন ১৬টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিল বামেরাও। যে জেলাগুলির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে সেগুলি হল, কোচবিহার, বালুরঘাট, জলপাইগুড়ি, কৃষ্ণনগর, আসানসোল, বর্ধমান পূর্ব, হুগলি, শ্রীরামপুর, দমদম, যাদবপুর, বাঁকুড়া, কলকাতা দক্ষিণ, হাওড়া সদর।

    তালিকায় কারা?

    দমদমে সুজন চক্রবর্তী, যাদবপুরে সৃজন ভট্টাচার্য, কলকাতা দক্ষিণে সায়রা শাহ হালিম, কৃষ্ণনগরে এসএম সাদি, আসানসোলে জাহানারা খান, হাওড়া সদরে সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান পূর্বে নীরব খাঁ, তমলুকে আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলিতে মনোদীপ ঘোষ, শ্রীরামপুরে দীপ্সিতা ধর, বাঁকুড়ায় নীলাঞ্জন দাশগুপ্ত, বিষ্ণুপুরে শীতল কৈবদ্য, জলপাইগুড়িতে দেবরাজ বর্মনকে প্রার্থী করেছে সিপিএম। বালুরঘাটে দাঁড় করানো হয়েছে আরএসপির জয়দেব সিদ্ধান্তকে। মেদিনীপুর আসনে লড়বেন সিপিআইয়ের বিপ্লব ভট্ট। কোচবিহারে প্রার্থী হচ্ছেন ফরওয়ার্ড ব্লকের নীতীশচন্দ্র রায়।

    আরও পড়ুুন: “ভারতের গণতন্ত্রে ঐতিহাসিক দিন”, এক দেশ এক ভোট প্রসঙ্গে বললেন শাহ

    বামেদের প্রথম দফার প্রার্থিতালিকায় মহিলা রয়েছেন তিনজন। যে ১৬ জনের নাম এদিন ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১৪জনেরই ‘হাতেখড়ি’ হচ্ছে লোকসভা নির্বাচনে। যদিও এঁদের মধ্যে কয়েকজন প্রার্থী হয়েছিলেন গত বিধানসভা নির্বাচনে। এদিকে, রাজ্যের ৮টি আসনে লড়াই করবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন আইএসএফ সুপ্রিমো নওসাদ সিদ্দিকি। আগে জানিয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারে তিনি স্বয়ং প্রার্থী হবেন তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। এদিন জানিয়ে দিলেন প্রার্থী হচ্ছেন না তিনি (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Nadia: অনুব্রতর হাল দেখেও শিক্ষা হয়নি! নিমপাতা দিয়ে ভোট করানোর হুমকি দিলেন মহুয়া

    Nadia: অনুব্রতর হাল দেখেও শিক্ষা হয়নি! নিমপাতা দিয়ে ভোট করানোর হুমকি দিলেন মহুয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল এখন তিহার জেলে রয়েছে। কিন্তু, তাঁর বুলি এখনও আওড়াচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। এক সময় ভোটের আগে বীরভূমে ‘নকুলদানা’, ‘গুড়-বাতাসা’ আর ‘চড়াম চড়াম’-এর দাওয়াই দিয়েছিলেন কেষ্ট। সেই বুলি এবার শোনা গেল নদিয়ার (Nadia) প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্রের মুখে।

    নিমপাতা-র দাওয়াই দিলেন মহুয়া (Nadia)

    সংসদ থেকে বহিষ্কৃত মহুয়ার ওপরে আস্থা রেখে তাঁকে ফের প্রার্থী করা হবে নদিয়ায় (Nadia) এসে ঘোষণা করে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দল এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা না করলেও মহুয়াই ফের কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছেন ধরে নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে জেলা তৃণমূল। মহুয়া বিভিন্ন এলাকায় কর্মিসভাও করছেন। প্রকাশ্যে আসা ওই অডিও ক্লিপে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘যে করেই হোক বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভোটটা এ বার করতে হবে। এ বার কিন্তু যেখানে মধু দিয়ে, যেখানে নিমপাতা দিয়ে ভোটটা করতে হবে। সিম্পল কথা। প্রশাসনিক ব্যাকআপ আপনারা হান্ড্রেট পারসেন্ট পাবেন। এই কথা আমি দিয়ে যাচ্ছি।’ আর, জেলা প্রশাসনের ‘ব্যাকআপ’ প্রসঙ্গে নদিয়ার জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির কিষাণ মোর্চার রাজ্য সভাপতি মহাদেব সরকার বলেন, “সংসদ থেকে বহিষ্কৃত হয়েও ওঁর শিক্ষা হয়নি। নিমপাতা বলতে উনি কী বোঝাতে চাইছেন সেটা সকলেই পরিষ্কার বুঝতে পারছে। আসলে জনমত বিপক্ষে রয়েছে বুঝতে পেরে এভাবে হুমকি দিচ্ছেন। উনি তো আসলে লেডি অনুব্রত!” তৃণমূলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যান রুকবানুর রহমানের দাবি, এমন কোনও অডিও ক্লিপের কথা আমাদের জানা নেই। যদি তেমন কিছু আমার কাছে আসে তা হলে বিষয়টি নিয়ে মহুয়ার সঙ্গে কথা বলব।”  সিপিএম নেতা সুমিত বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালির মহিলাদের দৈহিক গঠন ও বর্ণ নিয়ে মন্তব্য, বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক

    Sandeshkhali: সন্দেশখালির মহিলাদের দৈহিক গঠন ও বর্ণ নিয়ে মন্তব্য, বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পলাতক তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ শিবু হজরা এবং উত্তম সর্দারের নারী নির্যাতন, যৌনশোষণ এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে গ্রামের নারীসমাজ সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে আগেই প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন। কীভবে বাড়ির সুন্দরী, কমবয়সী মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে পার্টি অফিসে ‘ভোগ’ করা হত, সে কথা জানিয়ে স্পষ্টভাবে অভিযোগও করেছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে নির্যাতিতাদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে একই বিষয়ে অভিযোগ করেন এলাকার মহিলারা। কিন্তু এর মধ্যেই গ্রামবাসীদের পরিচয়, মহিলাদের দৈহিক গঠন এবং গায়ের বর্ণ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি করলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভাধিপতি তথা অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের কড়া সমালোচনা করেছে রাজ্যের বিরোধী দল।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক (Sandeshkhal)?

    তৃণমূল নেতা নারায়ণ গোস্বামী সন্দেশখালির (Sandeshkhali) প্রতিবাদী নারীদের সম্পর্কে বলেন, “একজন তফশিলি আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষকে গঠন এবং দেহের রং দিয়ে বোঝা যায়। মনে রাখবেন, একজন মানুষ কোন সম্প্রদায়ের, তা শরীরের গঠন এবং রং তথাকথিত আমরা যা বলি ফর্সা, শ্যামবর্ণ এই দেখেই কিন্তু বোঝা যায়। কিন্তু ক্যামেরার সামনে যে সব মহিলা এসেছেন, তাঁরা সকলেই ধবধবে ফর্সা। তাহলে কি তাঁরা তফশিলি জনজাতি বা আদিবাসী জনগোষ্ঠীর? যে মহিলারা সামনে এসেছেন, সকলে সিপিএমের মহিলা সংগঠনের সদস্য। যে বাচ্চাদের সামনে আনা হচ্ছে, সকলকে স্ক্রিপ্ট পড়িয়ে আনা হয়েছে। চিত্র পরিচালক এবং চিত্রনাট্যের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে সবটা। রাজ্যপালের সঙ্গে হিন্দিতে কথা বলতে দেখা গিয়েছে এক মহিলাকে। আবার সুকান্তের ধর্নামঞ্চে বোরখা পরা মহিলাকেও দেখা গিয়েছে। ওঁরা কি আদৌ সন্দেশখালির?”

    বিজেপির বক্তব্য

    তৃণমূল নেতার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “জাতীয় তফসিলি জাতি এবং উপজাতি কমিশনের কাছে অভিযোগ করব। ওঁকে গ্রেফতার করা উচিত। সন্দেশখালির অপকর্ম ধরা পড়ে গিয়েছে। রুচিহীন মন্তব্য করেছেন তিনি। জনজাতি পরিবারে জন্ম হলেই গায়ের রং কালো হতে হবে?” আবার সিপিএমের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “আদিবাসীদের পোশাক দিয়ে চেনে তৃণমূল।” পাশাপাশি আজ বৃহস্পতিবার তফশিলি জাতীয় কমিশনের ভাইস চেয়রাম্যান অরুণ হালদার সন্দেশখালিতে যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “সিপিএমের ফেলে যাওয়া চটিতে পা গলিয়েছেন মমতা”, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “সিপিএমের ফেলে যাওয়া চটিতে পা গলিয়েছেন মমতা”, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ব্যরাকপুরে আইনজীবী এবং কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচির বাড়িতে গণেশ পুজো উপলক্ষে যান। তিনি বলেন, “মূলত সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছি, কোনও রাজনৈতিকই কারণ নেই। তবে আমরা সংগ্রামী যৌথমঞ্চের পক্ষে থেকে একসঙ্গে দুর্নীতিগ্রস্থ পিসি-ভাইপোর বিরুদ্ধে লড়াই করছি।”

    ঠিক কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    ব্যরাকপুরে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এই দিন সাংবাদিকদের বলেন, “ব্যক্তিগত আমন্ত্রণে এসেছি কৌস্তভের বাড়িতে। তবে পিসি-ভাইপো যেখানে, কৌস্তভ নেই সেখানে। এখন কংগ্রেস, মমতা-অভিষেকের কাছে আত্ম সমর্পণ করেছে। তাই সেখানে কৌস্তভ নেই। বাকিটা তাঁকেই ঠিক করতে হবে। আগামী সময়ে বলবে কী হবে। চোরেদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মুখের মধ্যে অন্যতম মুখ হলেন কৌস্তভ। বাংলাকে বাঁচাতে হলে একমাত্র বিকল্প হল বিজেপি। সিপিএম-কংগ্রেস, তৃণমূলের সঙ্গে জোট করেছে। দেশে মোদির বিকল্প কিছুই নেই। মহারাষ্ট্রের কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নিজে কংগ্রেস ত্যাগ করেছেন। তিনিও বুঝতে পেড়েছেন বিকল্প একমাত্র বিজেপি। কৌস্তভকেও সিদ্ধান্ত নিতে হবে। রাজনৈতিক সৌজন্য এই রাজ্যে সিপিএম আগেই শেষ করে দিয়েছে, কিন্তু যে টুকু বাকি ছিল তৃণমূল এসে শেষ করে দিয়েছে। কৌস্তভ একজন রাষ্ট্রবাদী সৎ ছেলে এবং দেশপ্রেমী হিসাব পরিচিত।”

    আর কী বললেন?

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “দুর্নীতি গ্রস্থ এই সরকার সকলের ফোন ট্যাপ করে। হোয়াটসঅ্যাপ কল করতে হয় সকলকে। কথা বলা যায় না ইচ্ছে থকালেও। ‘চোর মমতা’র শাসনে রাজনৈতিক সৌজন্য বলে কিছু নেই। অন্য রাজ্যে এমন ঘটনা ঘটে না, কেবলমাত্র এই রাজ্যেই হয়ে থাকে। সিপিএমের ফেলে যাওয়া চটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পা গলিয়েছেন। সিপিএম যা শুরু করেছিল মুখ্যমন্ত্রী সেই বৃত্ত পূর্ণ করেছেন। এই কালচারের বদল ঘটা দরকার। সরকারের দুর্নীতিগ্রস্থ পরিবার তন্ত্রের বিরুদ্ধে সকলের সঙ্গে আমরা আছি। লক্ষ্য যেহেতু এক, তাই শুধু পুজোতে নয়, রাজনৈতিক মঞ্চেও একসঙ্গে কাজ করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “এটা সন্দেশখালি নয়, আদালত”, নথি না আনায় বিচারকের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পুলিশ

    Sandeshkhali: “এটা সন্দেশখালি নয়, আদালত”, নথি না আনায় বিচারকের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতে ভর্ৎসনা করা হল সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার তদন্তকারী আধিকারিককে। মূলত বসিরহাট আদালতে শুনানি হওয়ার কথা ছিল সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার ও বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার, বিজেপি নেতা বিকাশ সিং। আদালতে পেশ করার যথাযথ নথি পুলিশ না দিতে পারায় এদিনও সম্পূর্ণ হল না সন্দেশখালি কাণ্ডে ধৃতদের শুনানি। এরপরই সন্দেশখালি থানার তদন্তকারী আধিকারিক প্রশ্নের মুখে পড়েন। সকলের সামনেই তদন্তকারী আধিকারিকতে রীতিমতো বিচারক ধমক দেন। এই ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    তদন্তকারী আধিকারিককে কী বললেন বিচারক? (Sandeshkhali)

    রবিবার নিরাপদ সর্দারদের বসিরহাট আদালতে তোলার কথা ছিল। সেইমতো ধৃতদের আদালতে নিয়েও আসা হয়। কিন্তু কোর্ট লকআপে বসিয়ে রাখতে হয়। কারণ, আদালতে পুলিশ প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে আসতে পারেনি। সেই একই ঘটনা ঘটল সোমবারও। আদালতে পেশ করার যথাযথ নথি পুলিশ না দিতে পারায় এদিনও সম্পূর্ণ হল না সন্দেশখালির শুনানি। এরপরই সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার তদন্তকারী আধিকারিককে এদিন ভর্ৎসনা করেন বসিরহাট আদালতের বিচারক। ‘অপদার্থের মত কাজ’ বলে ভর্ৎসনা করেন বিচারক। ‘বেআইনিভাবে পেশ করা হচ্ছে অভিযুক্তদের। এটা সন্দেশখালি নয়, আদালত’। সন্দেশখালির পারদ তো চড়েই আছে। শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করছেন এলাকার বাসিন্দারা। আর এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। আইনজীবীদের তরফে রবিবারের ঘটনার রেশ টেনে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় বিচারকের। তাতে সন্দেশখালি থানার তদন্তকারী আধিকারিকদের ওপর ক্ষুব্ধ হন বিচারক। ধৃতদের আদালতে পেশ করা নিয়ে আইনজীবীদের পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে শোকজ করা হয় সন্দেশখালি থানার তদন্তকারী আধিকারিককে। সোমবারও শুনানি স্থগিত রাখা হয়। বিচারক পুলিশকে নির্দেশ দেন, আজকের মধ্যেই সন্দেশখালি সংক্রান্ত সমস্ত কেস ডায়েরি ও গ্রেফতারের যে কাগজপত্র তা জমা দিতে হবে আদালতে। তারপর সম্পূর্ণ শুনানি হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share