Tag: CRPF

CRPF

  • Maoists Attack: ‘কোবরা’র ট্রাকে আইইডি বিস্ফোরণ মাওবাদীদের, হত ২ জওয়ান

    Maoists Attack: ‘কোবরা’র ট্রাকে আইইডি বিস্ফোরণ মাওবাদীদের, হত ২ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাও দমনে কোমর কষে নেমেছে কেন্দ্র। তাতে সাফল্যও মিলেছে। গত কয়েক মাসে এনকাউন্টারে খতম হয়েছে বেশ কয়েকজন মাওবাদী। এমতাবস্থায় পাল্টা আঘাত হানল ‘বনপার্টি’। রবিবার আধাসামরিক বাহিনী ভর্তি একটি ট্রাকে হামলা চালায় মাওবাদীরা (Maoists Attack)। আইইডি বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া ট্রাকটি। শহিদ হন আধাসামরিক বাহিনীর দুজন।

    শহিদ দুই জওয়ান (Maoists Attack)

    ছত্তিশগড়ের সুকমার ঘটনা। বাহিনীর যে দুজন শহিদ হয়েছেন, তাঁরা সিআরপিএফের জওয়ান। মাও-বিরোধী কোবরা বাহিনীর সদস্য ছিলেন তাঁরা। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার দুপুর তিনটে নাগাদ সুকমার সিলগের ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে একটি ট্রাক ও বাইকে করে টেকুলাগুদেম গ্রামের দিকে রুটিন টহল দিতে বেরিয়েছিলেন তাঁরা। সেই সময় আইইডি বিস্ফোরণ ঘটে। শহিদ হন কোবরা বাহিনীর বিষ্ণু আর এবং শৈলেন্দ্র (Maoists Attack)।

    আইইডি-ই বড় বাধা

    পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে আরও বাহিনী। মাওবাদীদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। ছত্তিশগড়ের জঙ্গলে মাওবাদী দমনে সব চেয়ে বড় বাধা এই আইইডি, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। রাস্তার পাশের ঘন জঙ্গলের কোনও গাছে বেঁধে রাখা হয় এই বিস্ফোরক। পরে প্রশাসনের লোকজন দেখলেই ঘটানো হয় বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণ ঘটানো হয় দূরনিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে।

    সিআরপিএফের বিশেষ গেরিলা বাহিনী হল কোবরা। পুলিশ জানিয়েছে, সেনার ট্রাকটি চালাচ্ছিলেন বিষ্ণু। সঙ্গে ছিলেন শৈলেন্দ্র। বস্তার পুলিশের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “২০১ কোবরা ব্যাটেলিয়নের সদস্যরা বাইক ও ট্রাক নিয়ে যখন এগোচ্ছিলেন, তখনই ঘটে বিস্ফোরণ। যে জওয়ান ট্রাকটি চালাচ্ছিলেন তিনি এবং আরও এক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে।”

    আর পড়ুন: তৃতীয়বার সফল অবতরণ ‘পুষ্পকে’র, ইসরোর মুকুটে নয়া পালক

    গত মাসেই ছত্তিশগড়ের অবুঝমাড়ের জঙ্গলে মাওবাদী গেরিলা বাহিনীর সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াই হয়। বস্তার ডিভিশনের নারায়ণপুর জেলায় এই গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় আট মাওবাদীর। নিহত হন নিরাপত্তাবাহনীর এক জওয়ানও।

    ছত্তিশগড় বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে সে রাজ্যে নকশাল- বিরোধী অভিযানের গতি বেড়েছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যে নয়া সরকার গঠিত হওয়ার পর ৭২টি অভিযানে মাওবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি বিনিময় হয়েছে। খতম হয়েছে ১৩৬ জন। গ্রেফতার করা হয়েছে ৩৯২জন মাওবাদীকে। আত্মসমর্পন করেছে ৩৯৯জন (Maoists Attack)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Election 2024: বাংলার ৫৫ গণনাকেন্দ্রেই ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা! ভোটগণনাকে ঘিরে তৎপর কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: বাংলার ৫৫ গণনাকেন্দ্রেই ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা! ভোটগণনাকে ঘিরে তৎপর কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত দফায় রাজ্যের ৪২টি কেন্দ্রেই ভোট (Lok Sabha Election 2024) শেষ হয়েছে। এ বার ভোটগণনার পালা। আগামী ৪ জুন ভোটের ফল প্রকাশ। রাজ্যে বিভিন্ন দলের মোট ৫০৭ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে মঙ্গলবার। প্রতিবারের মতো এ বারেও গণনাকেন্দ্রগুলিতে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার বন্দোবস্ত (Counting Preparations) রাখছে নির্বাচন কমিশন। সিসি ক্যামেরায় ২৪ ঘণ্টা চলছে নজরদারি। গণনা কেন্দ্রগুলিতে থাকবেন মাইক্রো অবজার্ভার-সহ ২৫ হাজার গণনাকর্মী।   

    নিরাপত্তার দায়িত্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Counting Preparations) 

    কমিশন সূত্রে খবর, ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার মধ্যে প্রথম স্তরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। দ্বিতীয় স্তরে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী। আর শেষ স্তরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন স্থানীয় থানার পুলিশ আধিকারিকেরা। জানা গিয়েছে শুধু গণনাকেন্দ্রগুলিতেই নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হচ্ছে ৯২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    আরও পড়ুন: শরীরের পক্ষে ডিম কতটা স্বাস্থ্যকর? জেনে নিন এর কিছু উপকারিতা

    পোস্টাল ব্যালটের পর ইভিএমের ভোট গণনা 

    রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনে ভোট (Lok Sabha Election 2024) গণনার জন্য মোট ৫৫টি কাউন্টিং সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। ৪১৮টি গণনাকক্ষে থাকছে ৪,৯৪৪টি টেবিল। সর্বোচ্চ ২৩ রাউন্ড ভোটগণনা হতে পারে। আর সবচেয়ে কম ৯ রাউন্ড। গড়ে প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭ রাউন্ড করে ভোটগণনা হবে। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে তিন লক্ষেরও বেশি ভোটদাতা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন। আগে পোস্টাল ব্যালটের ভোট গ‌োনার পর ইভিএমের মাধ্যমে পড়া ভোটের গণনা শুরু হবে।
    উল্লেখ্য, এবছর নির্বাচন চলাকালীন অশান্তির খবর উঠে এসেছে বিভিন্ন জায়গা থেকে। কিছু কিছু এলাকায় ভোটে (Lok Sabha Election 2024) কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচন মিটে যাওয়ার পরও রাজ্যে অশান্তি অব্যাহত। এক বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগও উঠেছে। আর সেই আবহেই মঙ্গলবার নির্বাচনের ফলপ্রকাশ। তাই বিভিন্ন জায়গায় স্ট্রং রুম তৈরি করে ব্যালট বাক্স রাখা হয়েছে। চার পাশে রয়েছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ভোট মিটে গেলেও রাজ্যে থাকবে ৩২০ কোম্পানি বাহিনী, জানাল কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: ভোট মিটে গেলেও রাজ্যে থাকবে ৩২০ কোম্পানি বাহিনী, জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ বছর লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election 2024) এখনও পর্যন্ত নির্বিঘ্নেই কাটছে। ছোটখাটো কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া তেমন কোনও গণ্ডগোলের খবর সামনে আসেনি। সাত দফার মধ্যে বাকি রয়েছে আর দু দফা। তারপরেই এবারের মত শেষ হবে লোকসভা নির্বাচন। কিন্তু ভোট মটে গেলেও হিংসার আশঙ্কা রয়েছে। তাই ভোটের পরেও রাজ্যে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর আগামী ৪ জুন লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পরেও রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। 

    কমিশনের সিদ্ধান্ত 

    ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) ফল ঘোষণার পরেও আরও প্রায় ১৫ দিন এ রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। সিআইএসএফ, সিআরপিএফ, বিএসএফ এবং এসএসবি মিলিয়ে ৩২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যের বাছাই করা কিছু এলাকায় মোতায়ন রাখা হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সিআইএসএফ-এর কর্তা বলেন, ‘‘পরিস্থিতি অনুযায়ী ১৫ দিনের বেশিও রাখা হতে পারে বাহিনী (Central Force)। তা-ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: এ দেশেই রয়েছে ২১০০ বছর পুরনো বিশ্বের চতুর্থ প্রাচীনতম চালু বাঁধ, জানেন কি?

    ভোট পরবর্তী হিংসার আশঙ্কা

    গত বিধানসভা ভোটের পরে রাজ্য জুড়ে ভোট-পরবর্তী হিংসায় বিরোধী দলের দশ জনের বেশি সমর্থক-কর্মীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। আহত হন অনেকে। সে সময় অভিযোগের আঙুল উঠেছিল শাসকদল তৃণমূলের দিকে। মূলত সেই ঘটনাকে সামনে রেখেই তৈরি হয়েছে আশঙ্কা। পাশাপাশি বিভিন্ন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে এ বার লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) পরে এ রাজ্য সন্ত্রাসের ছবি ফিরে আসার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। আশঙ্কা, কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্য থেকে চলে গেলেই শুরু হতে পারে সংঘর্ষ। তাই সেই আশঙ্কা থেকেই ভোটের ফল ঘোষণার পরেও রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: বসিরহাট নিয়ে বাড়তি সতর্কতা কমিশনের! ভোটে রেকর্ড সংখ্যক বাহিনী থাকার সম্ভাবনা

    Lok Sabha Election 2024: বসিরহাট নিয়ে বাড়তি সতর্কতা কমিশনের! ভোটে রেকর্ড সংখ্যক বাহিনী থাকার সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এখন ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আবহ। ইতিমধ্যেই প্রথম তিন দফার ভোট শেষ হয়েছে। আজ অর্থাৎ সোমবার রয়েছে চতুর্থ দফার ভোট। প্রথম তিন দফার ভোটে সেরকম কোনো অশান্তির ছবি সামনে আসেনি। কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া ভোটকে কেন্দ্র করে কোন বড় ঘটনা ঘটেনি। অর্থাৎ যথাযথভাবে নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব পালন করেছে। উল্লেখ্য এবছর লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে হাইভোল্টেজ এলাকা ছিল সন্দেশখালি। বসিরহাট (Basirhat) লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত এই সন্দেশখালি তে ভোট রয়েছে সপ্তম দফায়। তাই এখন থেকেই আঁটো সাঁটো  নিরাপত্তার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

    রেকর্ড সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন 

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সপ্তম দফায় শুধুমাত্র বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রেই রেকর্ড সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন থাকবে। সঙ্গে বসিরহাট (Basirhat) লোকসভা কেন্দ্রের একাধিক যে দ্বীপ এলাকাগুলিতে ভোট (Lok Sabha Election 2024) রয়েছে, সেই এলাকাগুলিতে আগে থেকেই কিউআরটি মোতায়েন করা হবে।

    হাইভোল্টেজ সন্দেশখালি (Lok Sabha Election 2024)

     ১ জুন অর্থাৎ শেষ দফায় ভোট রয়েছে বসিরহাট কেন্দ্রে। সন্দেশখালির ঘটনার পর থেকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে এই কেন্দ্রের নিরাপত্তার বিষয়ে। অন্যদিকে ভোটের (Lok Sabha Election 2024) মরশুমে রবিবার সকালেও নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি এলাকা। এক তৃণমূল কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় উদ্বিগ্ন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলা শাসক তথা জেলার নির্বাচনী আধিকারিক থেকে। এই রিপোর্ট আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতরে পাঠাতে হবে জেলাশাসককে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘আসুন, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করি’’, চতুর্থ দফায় ভোট দানের আর্জি প্রধানমন্ত্রী মোদির

    অন্যদিকে আবার দ্বিতীয় দফার ভোট (Lok Sabha Election 2024) চলাকালীন সিবিআই-এর তল্লাশি অভিযান এবং এনএসজি কমান্ডোদের রোবট নামিয়ে অস্ত্র এবং বোমা উদ্ধারের ঘটনায় প্রথম থেকেই চিন্তায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। শুধুমাত্র দ্বিতীয় দফার নির্বাচন চলাকালীনই নয় তারপর একাধিক ঘটনা ঘটেছে সন্দেশখালিতে। একদিকে যেমন অস্ত্র উদ্ধার অন্যদিকে, একাধিক ভিডিয়ো সামনে এসেছে। যা নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। 
    এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে বসিরহাট (Basirhat) লোকসভা কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) হবে সেটাই পাখির চোখ নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের কাছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: ভোট মিটতেই রক্তাক্ত মণিপুর! পুলিশ ফাঁড়িতে কুকি জঙ্গিদের হানা, হত দুই জওয়ান

    Manipur Violence: ভোট মিটতেই রক্তাক্ত মণিপুর! পুলিশ ফাঁড়িতে কুকি জঙ্গিদের হানা, হত দুই জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটপর্ব মিটতেই ফের অশান্ত মণিপুর (Manipur Violence)। শুক্রবার গভীর রাতে বিষ্ণুপুর জেলার নারানসেনা জঙ্গিদের হামলায় নিহত হয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের দুই জওয়ান। দুই জওয়ান গুরুতর জখম হয়েছেন। এটিকে সন্ত্রাসবাদী হামলা বলেই মনে করা হচ্ছে। নতুন করে অশান্তি শুরু হতেই মণিপুর জুড়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। বিষ্ণুপুরে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।

    সেনা জঙ্গি  সংঘর্ষ

    পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত সওয়া ২টো নাগাদ কুকি জঙ্গিদের একটি দল স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র এবং গ্রেনেড নিয়ে নারানসেনা ফাঁড়িতে হামলা চালায়। হামলায় নিহত হয়েছেন সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) দুই সদস্য। বেশ কিছুক্ষণ ধরে গুলির লড়াই চলে। দুষ্কৃতীরা বোমা ছোড়ে আউটপোস্ট লক্ষ্য করে। শক্তিশালী বিস্ফোরণের আহত চারজন সিআরপিএফ জওয়ান (CRPF Jawan Killed)। তড়িঘড়ি তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে দুই জওয়ানকে বাঁচানো যায়নি। বাকি দুইজন গুরুতর আহত। বর্তমানে তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা নারানসিনায় নিযুক্ত সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) ১২৮ ব্যাটালিয়নের সাব-ইন্সপেক্টর এন সরকার এবং হেড কনস্টেবল অরূপ সাইনি। ইন্সপেক্টর যাদব দাস ও কনস্টেবল আফতাব দাস গুরুতর আহত হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, “দ্বিতীয় দফায় বিপুল জনসমর্থন পেতে চলেছে এনডিএ”, অভিমত মোদির

    জঙ্গিদের লক্ষ্য

    গত ডিসেম্বরে মোরেকে ফাঁড়িতে একই কায়দায় ভোররাতে হামলা চালিয়েছিল কুকি জঙ্গিরা। প্রসঙ্গত, শুক্রবার হিংসাদীর্ণ আউটার মণিপুর লোকসভা কেন্দ্রের একাংশে ভোট ছিল। চলতি মাসের গোড়া থেকে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এবং র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব) বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)-এর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই কয়েক জন জঙ্গি নিহতও হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মণিপুরের কুকি জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির সহায়তায় কেএনএফ জঙ্গিরা সীমান্ত এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশ করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এদিন জঙ্গিদের নিশানা ছিল পুলিশ ব্যারাক। প্রথমে জঙ্গিদের একটি দল গুলি চালায় নারানসিনা গ্রামের একটি পাহাড় থেকে উপত্যকা অঞ্চলের দিকে। হামলা হয় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর পোস্ট লক্ষ্য করে। উল্লেখ্য, মণিপুরে (Manipur Violence) গত বছর থেকে শুরু হয়ে হিংসার ধারা এখনও চলছে। এখনও পর্যন্ত হিংসার ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২০০-এরও বেশি মানুষ। গুরুতর আহত হয়েছেন কয়েক হাজার জন। বহু মানুষ ঘরছড়া। তাঁদের বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা করছে সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: সেই শীতলকুচিতে ভোট দিতে এসে পাথরে ক্ষতবিক্ষত ভোটারের চোখ! অভিযুক্ত তৃণমূল

    Lok Sabha Election 2024: সেই শীতলকুচিতে ভোট দিতে এসে পাথরে ক্ষতবিক্ষত ভোটারের চোখ! অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও শিরোনামে শীতলকুচি। গণতন্ত্রের ভোট (Lok Sabha Election 2024) উৎসবে রেহাই পেলেন না সাধারণ ভোটারও। লোকসভা ভোটের প্রথম দফায় ‘রক্তারক্তিকাণ্ড’ ঘটল। শীতলকুচিতে (Sitalkuchi) ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে আক্রান্ত ভোটার (Voter), পাথরে ক্ষতবিক্ষত হল চোখ। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। ভোট দিতে আসাই যেন কাল হল কোচবিহারের ওই বাসিন্দার।

    ঠিক কী ঘটেছিল (Lok Sabha Election 2024)?

    স্থানীয় জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে ভোট (Lok Sabha Election 2024) দিতে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন এক ভোটার। হঠাৎ অতর্কিতে হামলা হয়। দুষ্কৃতীদের আঘাতে চোখ ফেটে যায় ওই ভোটারের। এরপর যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে চিকিৎসকের কাছে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, ক্ষত গভীর। আপাতত ওই ব্যক্তির চোখে ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। ছেলের এই অবস্থা দেখে চোখে জল এসে গিয়েছে মায়ের। ভোট দিতে এসে এভাবে আক্রান্ত হতে হবে, ভাবেননি তাঁরা। আক্রান্ত ওই ব্যক্তি বলেন, ‘আমরা তো চাই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হোক। কিন্তু সেটা আর ওরা কোথায় হতে দিল! ভোট দিতে গিয়ে সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হয়, মার খায়!’

    আক্রান্ত ভোটারের বক্তব্য

    এই প্রসঙ্গে শীতলকুচির আক্রান্ত ভোটার বলেন, “আমি সকালবেলা ভোট (Lok Sabha Election 2024) দিতে গিয়েছিলাম। তখন ভোট কাউন্টার খোলেনি। আমি ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। কাউন্টার খোলার পর আমরা ভোট (Vote) দিই। বাড়ি ফেরার সময় পিছনে চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ শুনতে পাই। তৃণমূলের (TMC) লোকজন চিৎকার চেঁচামেচি করছিল। আওয়াজ শুনে পিছন ফিরে দেখি পাথর ছোড়াছুড়ি শুরু হয়েছে। সেই পাথর এসেই আমার চোখে লাগে।” তৃণমূলের লোকেরাই সেই পাথর মেরেছে বলে দাবি করেন আক্রান্ত ভোটার। এছাড়াও তিনি বলেন, “তাঁকে পুলিশ কিংবা কেন্দ্রীয় বাহিনী (CRPF) কেউ হাসপাতালে নিয়ে যায়নি।”

    বিধানসভা ভোটে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল

    প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এই কেন্দ্র। চলেছিল গুলি। আর সেখানেই এবার ভোটার লাইনে দাঁড়িয়ে আক্রান্ত হলেন ভোটার। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ভোটের মরশুমে এমন ঘটনায় হইচই পড়ে গেছে এলাকায়। কিন্তু এত বড় একটা ঘটনা ঘটল কীভাবে? কোথায় ছিলেন নিরাপত্তাকর্মীরা? কেন এগিয়ে এল না কেন্দ্রীয় বাহিনী? তা নিয়ে উঠছে বিস্তর প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: নির্বাচনের পরেও কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে, হিংসা রুখতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা কমিশনের

    Lok Sabha Election 2024: নির্বাচনের পরেও কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে, হিংসা রুখতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভোট (Lok Sabha Election 2024) চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে হিংসা ঠেকাতে তৎপর নির্বাচন কমিশন। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে একগুচ্ছ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সেই মতোই কাজ চলছে। কমিশন (Election Commission) সূত্রে খবর, ভোট পরবর্তী সময়েও বিভিন্ন জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথম দফার মতো নির্বাচনের দ্বিতীয় দফাতেও ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। প্রয়োজনে আরও বাহিনী আনা হবে।

    ভোট পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    আগামী শুক্রবার প্রথম দফায় আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি— রাজ্যের এই তিন আসনে ভোটগ্রহণ (Lok Sabha Election 2024)। কমিশন সূত্রে খবর, ভোট পরবর্তী হিংসা ঠেকাতে ওই তিন কেন্দ্রে দু’কোম্পানি করে মোট ৬ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন থাকবে। দু’কোম্পানির মধ্যে এক কোম্পানি করে বাহিনী স্ট্রংরুম পাহারা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হবে। ভোট পরবর্তী সময়ে যাতে প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বজায় থাকে, তা নিশ্চিত করবে আর এক কোম্পানি বাহিনী। দ্বিতীয় দফার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে সোমবার বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী দফতর। সেখানেই কমিশনের তরফে এই কথা জানানো হয়েছে।

     ১০০ শতাংশ বুথে বাহিনী

    কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় দফাতেও ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ভোট (Lok Sabha Election 2024) নেওয়া হবে রায়গঞ্জ, বালুরঘাট ও দার্জিলিং আসনে। কমিশন সূত্রের খবর, দক্ষিণ দিনাজপুর ৭৩ কোম্পানি ফোর্স থাকবে। একইভাবে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলায় ৬০ কোম্পানি, ইসলামপুর পুলিশ জেলায় ৫১ কোম্পানি, দার্জিলিং পুলিশ  জেলায় ৫১ কোম্পানি, শিলিগুড়ি পুলিশ  জেলায় ২১ কোম্পানি এবং কালিম্পং পুলিশ জেলায় ১৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। মোট ২৭২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে দ্বিতীয় দফা ভোটের পাহারায়।

    আরও পড়ুুন: বিজেপির ‘সঙ্কল্পপত্রে’ করা হয়েছে কোন কোন সঙ্কল্প, জানেন?

    আরও ফোর্স আসছে

    ইতিমধ্যেই প্রথম দফার আগে রাজ্যে এসেছে পৌঁছেছে ২৭৭ কোম্পানি। যার মধ্যে ২৬৩ কোম্পানি ব্যবহার করা হবে প্রথম দফায়। সংশ্লিষ্ট তিনটি কেন্দ্রে বাহিনীর রুটমার্চও শুরু হয়ে গেছে। দ্বিতীয় দফার জন্য রাজ্যে আরও অতিরিক্ত ২২ কোম্পানি ফোর্স আসছে। এর মধ্যে ৯ কোম্পানি আসবে সিকিম থেকে এবং ১৩ কোম্পানি আসবে মেঘালয় থেকে। কমিশন (Election Commission) সূত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত ২২ কোম্পানি ফোর্স আসার ফলে রাজ্যে দ্বিতীয় দফা ভোটের আগে মোট বাহিনীর সংখ্যা দাঁড়াবে ২৯৯ কোম্পানি। এর মধ্যে সরাসরি বুথ পাহারায় ব্যবহার করা হবে ২৭২ কোম্পানি। বাকি ২৭ কোম্পানির মধ্যে ৬ কোম্পানি ফোর্স থাকবে স্ট্রং রুম এবং পোস্ট পোল ভায়োলেন্স সামলাতে। বাকি ২১ কোম্পানি তৃতীয় দফার বিভিন্ন কেন্দ্রে পাঠানো হবে।

    চার জেলায় বাহিনী নেই

    প্রথম দফা পর্যন্ত রাজ্যের চার জেলায় আপাতত কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখছে না নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। ওই জেলাগুলিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে থাকবে রাজ্য পুলিশ। কমিশন সূত্রে খবর, আপাতত প্রথম দফার ভোটের আগে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া- এই চার জেলায় কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হচ্ছে না। সেইসব বাহিনীকে অন্যত্র সরানো হচ্ছে। কমিশনের যুক্তি, ওই জেলাগুলিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী আগেই রুটমার্চ করেছে। তাই তাদের অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যেহেতু একসঙ্গে বহু বুথে ভোট। ফলে সব মিলিয়ে হিসাব করেই বাহিনী রাখা হচ্ছে। আর ওই জেলাগুলিতে ভোটও দেরি আছে, তাই এই সিদ্ধান্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Central Force for Election: অবাঙালি জওয়ানদের কাছে হিট বাংলার সজনে ডাঁটা

    Central Force for Election: অবাঙালি জওয়ানদের কাছে হিট বাংলার সজনে ডাঁটা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ মাস থেকেই শুরু হবে লোকসভা নির্বাচন। আর লোকসভা নির্বাচনের (Central Force for Election) প্রায় এক মাস আগে থেকেই রাজ্যে এসে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিভিন্ন জেলায় ক্যাম্প করা হয়েছে তাঁদের। আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গে নির্বাচন। ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের জন্য প্রায় ৩ কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হয়েছে। সেখানে একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটশনে ক্যাম্প করে রয়েছেন তাঁরা। আর ক্যাম্পের রান্নাঘরে সিআরপিএফ জাওয়ানদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় জায়গায় করে নিয়েছে টাটকা তাজা সজনে ডাঁটা।

    সজনে ডাটার বিভিন্ন পদ

    বাঙালি এলাকায় যখন ডিউটি পড়েছে তখন বাঙালি খাবার থেকে কি আর দূরে থাকা যায়। নির্বাচনী ডিউটি (Central Force for Election) করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে বংলায়। আর বাঙালি এলাকায় যখন ডিউটি পড়েছে তখন বাঙালি খাবার থেকে কি আর দূরে থাকা যায়। তাই সজনে ডাঁটা, আলু, বেগুন ও বড়ি দিয়ে পাতলা ঝোল হোক কিংবা আলু, কাঁচকলা, উচ্ছে, বেগুন দিয়ে সজনে ডাঁটার শুক্তো অথবা সজনে ডাঁটার সর্ষে-পোস্ত বিভিন্ন স্বাদে জমিয়ে চলছে সজনে ডাটা খাওয়া।

    গরম পড়তেই সজনে ডাঁটার চাহিদাও রয়েছে বাংলায়

    গরমে টাটকা তাজা সবজির মধ্যে সজনে ডাঁটা অন্যতম। গরম পড়তেই সজনে ডাঁটার চাহিদাও রয়েছে (Central Force for Election) বাংলায়। আর সজনে ডাঁটার পুষ্টিগত গুণও নেহাত কম নয়। শরীর সতেজ এবং সুস্থ রাখতে তাই সজনে ডাঁটাকে আপন করে নিয়েছেন জওয়ানরাও। পাঞ্জাবের সুরিন্দর সিংই হোক বা ঝাড়খণ্ডের যশ পান্ডে অথবা বিহারের রাজেশ কুমার, রাজ্যের বাইরে থেকে আসা এই জাওয়ানদের কাছে সজনে ডাঁটার স্বাদ অবশ্য একেবারেই নতুন। তাই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটশনের সামনের বাজারে সকাল হলেই ভিড় জমিয়ে নানা শাক সবজি ব্যাগ ভর্তি করে কিনছেন তাঁরা। লাল শাক, বেগুন, পাট শাকের সঙ্গে বাজারের তালিকায় অবশ্যই থাকছে সজনে ডাঁটাও।

    ৮৬ জনের কোম্পানিতে রয়েছে, নাপিত-ধোপা-রাঁধুনিও

    প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ারে জওয়ানদের মধ্যে ২ জন রাঁধুনি, একজন সাফাইকর্মী, একজন ধোপা ও একজন নাপিত রয়েছেন (Central Force for Election)। সকলে মিলে ৮৬ জনের কোম্পানি। কোম্পানি কমান্ডান্ট  হিসেবে আছেন সুরিন্দর। আর কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই ক্যাম্পে রান্নার দায়িত্বে রয়েছেন  বিহারের বাসিন্দা রাজেশ কুমার। তাঁর হাতেই এখন বাংলার নিজস্ব সজনে ডাঁটা এবং অন্য শাকসবজি সুস্বাদু হয়ে উঠেছে। টাটকা রান্না করা সবজিতেই এখন মজেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই জওয়ানরা।

    কী বলছেন জনৈক জওয়ান

    রান্নার দায়িত্বে থাকা জওয়ান রাজেশ কুমার জানায়, “রোজ মেনু চার্ট মেনেই রান্না করা হয়। তবে আলিপুরদুয়ারে কিছুদিন ধরে সজনে ডাঁটা এবং বিভিন্ন ধরনের শাকও রান্না করছি। এগুলো খেতেও খুব স্বাদ। জওয়ানরা চেটেপুটেই খাচ্ছেন।” উল্লেখ্য জওয়ানদের কেউ গুজরাট, কেউ পাঞ্জাব কেউ বা হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা। ফলে বাঙালি খাবারের সঙ্গে তাঁদের দূর দূরান্তে কোনও সম্পর্ক নেই। তবুও তপ্ত গরমে বাংলায় এসে কেন্দ্রীয় বাহিনীদের ক্যাম্পের হেঁসেলে জায়গা করে নিয়েছে সজনে ডাটা। অর্থাৎ অবাঙালি জাওয়ানদের কাছে এখন হিট টাটকা তাজা সজনে ডাটা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Central Force: রাজ্যে বাহিনীর গতিবিধির রিপোর্ট রোজ পাঠাতে হবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে, জানাল সিআরপিএফ

    Central Force: রাজ্যে বাহিনীর গতিবিধির রিপোর্ট রোজ পাঠাতে হবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে, জানাল সিআরপিএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধি সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্ট প্রতি দিন পাঠাতে হবে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে। চলতি সপ্তাহের শুক্রবার থেকেই প্রতি দিন এ সংক্রান্ত রিপোর্ট দিতে হবে, এ রাজ্যের বাহিনী সমন্বয়কারী অফিসারকে (Central Force)। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে নির্দেশ জারি করেছে সিআরপিএফ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে এর ফলে রাজ্যের শাসক দলের প্রশাসন নিজেদের মতো করে ব্যবহার করতে পারবে না।

    নির্দেশে কী বলা হয়েছে? 

    ওই নির্দেশে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) অবস্থান ও গতিবিধি সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্ট ই-মেল ও হার্ডকপি মারফত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে রিপোর্ট দিতে হবে। ওই নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যাতে সঠিক ভাবে ব্যবহার করা হয়, সে জন্যই এই পদক্ষেপ নিতে হবে। সিআরপিএফ আরও জানিয়েছে, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এবং ডিজিপির সঙ্গে আলোচনা করেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রতিনিধি সিদ্ধান্ত নেবেন কোথায়, কত বাহিনী মোতায়েন হবে। বাহিনীর যাতায়তের সুবিধার জন্য রেলকে বিশেষ ট্রেনও দিতে বলা হয়েছে।

    এপ্রিলের শুরুতেই রাজ্যে আসছে আরও ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

    এপ্রিলের শুরুতেই রাজ্যে আসছে আরও ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর মধ্যে রয়েছে, ১৫ কোম্পানি সিআরপিএফ (সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স), পাঁচ কোম্পানি বিএসএফ (সীমান্তরক্ষী বাহিনী) এবং সাত কোম্পানি সিআইএসএফ (সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স)। ইতিমধ্যেই দু’দফায় মোট ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে এসেছে। প্রথম দফায়, ১ মার্চ ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসে। ৭ মার্চ দ্বিতীয় দফায় এসেছিন আরও ৫০ বাহিনী (Central Force)। জেলায় জেলায় বাহিনী রুটমার্চও করছে। সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ নির্মাণ ও সাধারণ মানুষের মনোবল বৃদ্ধি করতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর এমন রুটমার্চ বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসনের দাবি, ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল শুরু হয়েছে।

    ৭ দফায় নির্বাচন

    উল্লেখ্য, সারা দেশে নির্বাচন সাত দফায় হবে। প্রতিটি দফাতেই পশ্চিমবঙ্গের কোনও না কোনও আসন থাকবেই। প্রথম দফার নির্বাচন ১৯ এপ্রিল। প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ হবে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলায় প্রথম দফার তিনটি আসনের ভোটে ২২৫ কোম্পানির বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) ব্যবহার করা হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bastar: ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তাবাহিনীর এনকাউন্টারে খতম ৭ মাওবাদী

    Bastar: ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তাবাহিনীর এনকাউন্টারে খতম ৭ মাওবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত রবিবার থেকে ছত্তিশগড়ের বস্তারে (Bastar) নিরাপত্তা বাহিনীর এনকাউন্টারে খতম সাত মাওবাদী। রবিবার নিহত হন ৩ মাওবাদী নেতা, মঙ্গলবারের রাতের অভিযানে মারা যান ৪ মাওবাদী। বিজাপুরের জঙ্গলে গতকাল মঙ্গলবার রাতে এই অভিযান চালায় সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স, বস্তার ফাইটারস্ এবং জেলা পুলিশের একটি টিম।

    মঙ্গলরাতে মাওবাদীদের সঙ্গে জঙ্গলে গুলির লড়াই

    নিরাপত্তা বাহিনী গোপন সূত্রে খবর পায়, ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি মাওবাদীদের দল বিজাপুরের জঙ্গলে রয়েছে। সেই মতো হানা দেয় নিরাপত্তা বাহিনী। জানা গিয়েছে জঙ্গলা পুলিশ স্টেশনের আওতায় থাকা ওই অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনী পৌঁছাতেই শুরু হয়ে যায় গুলির লড়াই। নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে এও খবর ছিল, ওই অঞ্চলে (Bastar) গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন যতনা সরকার নামের শীর্ষ মাওবাদী নেতা। জানা গিয়েছে, কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে ওই গুলির লড়াই। যখন গুলির লড়াই শেষ হয় তখন চারজন মাওবাদী নেতার দেহ উদ্ধার হয়। মাওবাদী নেতাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র এবং বিস্ফোরক। দেশীয় পিস্তল, মাওবাদীদের প্রচার পুস্তিকা, ওয়াকি টকি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীও উদ্ধার করা হয়েছে।

    রবিবার নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে খতম ৩ মাওবাদী

    প্রসঙ্গত এর আগে গত রবিবার ২৫ ফেব্রুয়ারি নিরাপত্তা বাহিনী অপারেশন চালায় কোয়ালিবেড়াতে (Bastar)। সেখানেও তিনজন মাওবাদী নিহত হয় এনকাউন্টারে। জানা গিয়েছে টেকালগুডা নামক জায়গাতে চলতি বছরের শুরুতেই হামলা চালায় মাওবাদীরা। তারপরেই পাল্টা প্রত্যাঘাতে নামে নিরাপত্তা বাহিনী। টেকালগুডাতে অবস্থিত নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্পেও হামলা চালায় মাওবাদীরা। এবং সেখানে বেশ কয়েকজন রক্ষী নিহত হন। এরপরেই সুকমা জেলায় স্থানীয় পুবেরতি গ্রামে একটি ক্যাম্প তৈরি করে জওয়ানরা। এখান থেকেই যাবতীয় অপারেশন চালাতে থাকে নিরাপত্তা বাহিনী। সুকমাতে যে জায়গায় নিরাপত্তারক্ষীরা ক্যাম্প তৈরি করেছে সেটি কুখ্যাত মাওবাদী নেতা মাধবী হিদমার বাসস্থান বলে পরিচিত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share