Tag: Delhi Police

Delhi Police

  • Delhi Blast: দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে নাম জড়াল আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ সিদ্দিকির

    Delhi Blast: দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে নাম জড়াল আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ সিদ্দিকির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির লালকেল্লা বিস্ফোরণকাণ্ডে (Delhi Blast) এবার উঠে এল আরও একজনের নাম। তিনি ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Al Falah University) প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং ট্রাস্টি জাভেদ আহমেদ সিদ্দিকি। বিস্ফোরণকাণ্ডে প্রধান তিন সন্দেহভাজনের মধ্যে রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জনও, একজন শাহিন সাঈদ এবং অন্যজন মুজাম্মিল শাকিল। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়ন নিয়ে আলাদাভাবে তদন্ত শুরু করেছে ইডি।

    প্রতারণার মামলায় নাম জড়িয়েছিল সিদ্দিকির (Delhi Blast)

    সূত্রের খবর, সিদ্দিকির বিস্তৃত কর্পোরেট নেটওয়ার্ক রয়েছে। ৭.৫ কোটি টাকার প্রতারণার একটি পুরানো মামলায় নাম জড়িয়েছিল সিদ্দিকি ও তাঁর এক সহযোগীর। তিন বছর জেলও খেটেছিলেন তাঁরা। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনি উপদেষ্টা মহম্মদ রাজি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, সিদ্দিকির বিরুদ্ধে সব প্রতারণার অভিযোগ, যার মধ্যে ৭.৫ কোটি টাকার মামলাটিও রয়েছে, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তিনি জানান, শাকিলকে নিয়োগের বিষয়ে তাঁর কাছে কোনও তথ্য নেই। নতুন নিয়োগ ও যাচাই-বাছাই সম্পূর্ণভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব।

    ন’টি কোম্পানির বোর্ডে সিদ্দিকি!

    মধ্যপ্রদেশের মহৌতে জন্ম সিদ্দিকির। বর্তমানে (Delhi Blast) তিনি রয়েছেন ন’টি কোম্পানির বোর্ডে। এগুলি সবই আল-ফালাহ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের সঙ্গে যুক্ত। এই সংস্থাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকলাপ তত্ত্বাবধান করে। এই ন’টি প্রতিষ্ঠান শিক্ষা, সফটওয়্যার, আর্থিক পরিষেবা এবং জ্বালানি খাতের সঙ্গে সম্পর্কিত। যদিও এদের অধিকাংশেরই ঠিকানা একই, দিল্লির একটি ভবন। এই প্রতিষ্ঠানগুলির বেশিরভাগই ২০১৯ সাল পর্যন্ত সক্রিয় ছিল। পরে সেগুলিতে ঝাঁপ পড়ে যায়। যদিও আল-ফালাহ মেডিক্যাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন সাফল্যের মুখ দেখে। এটি ১৯৯৭ সালে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসেবে পথ চলা শুরু করে। বর্তমানে ৭৮ একর জমির ওপর চলছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস।

    আল-ফালাহ ভবনটি আল-ফালাহ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অফিস হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের জেরে যে পুরানো ফৌজদারি মামলাটি ফের সামনে এসেছে, সেটি দায়ের করা হয়েছিল দিল্লির নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি থানায়। অভিযোগকারীর দাবি, সিদ্দিকি ও তাঁর সহযোগীরা ভুয়ো বিনিয়োগ প্রকল্প চালু করেছিলেন। তাঁরা বিনিয়োগকারীদের আল-ফালাহ কোম্পানির আমানতে টাকা রাখতে রাজি করান। পরে জাল নথি তৈরি করে দেখানো হয় যে এই আমানতগুলি শেয়ারে রূপান্তরিত হয়েছে (Al Falah University)। এভাবে সংগৃহীত ৭.৫ কোটি টাকার তহবিল অভিযুক্তদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয় (Delhi Blast)।

  • Delhi Police: দিল্লিতে বড় আত্মঘাতী হামলার ছক পাকিস্তানের! ধৃত ২ সন্দেহভাজন ‘ফিদায়েঁ’ জঙ্গি

    Delhi Police: দিল্লিতে বড় আত্মঘাতী হামলার ছক পাকিস্তানের! ধৃত ২ সন্দেহভাজন ‘ফিদায়েঁ’ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের রাজধানীতে জঙ্গি হামলার একটি বড়সড় ছক বানচাল (Terror Plot Foiled) করল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। গোয়েন্দাদের জালে ধরা পড়ল ২ সন্দেহভাজন ইসলামিক স্টেট জঙ্গি (ISIS Operatives Arrested)। শুক্রবার সকালে দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল ওই দুই সন্দেহভাজন আইসিস বা আইএস জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে। এক সন্দেহভাজন জঙ্গি দিল্লির বাসিন্দা। অপরজনের বাড়ি মধ্যপ্রদেশে। দুজনেরই বয়স ২০ থেকে ২৬ বছরের মধ্যে বলে জানা গেছে।

    অস্ত্রশস্ত্র এবং বিস্ফোরক তৈরির মশলা উদ্ধার

    সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন যে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের অভিযানের সময় ধৃত দুই জঙ্গিরই নাম আদনান। এক জঙ্গিকে দিল্লির সাদিক নগর থেকে এবং অন্যজনকে ভোপাল থেকে ধরা হয়েছে। জানা গিয়েছে, দিল্লির কোনও একটি জনবহুল এলাকায় জঙ্গি হামলার ষড়যন্ত্র (Terror Plot Foiled) করা হয়েছিল। যে অস্ত্রশস্ত্র এবং বিস্ফোরক সংগ্রহ করেছিল তারা, যা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিদের কাছ থেকে বিস্ফোরক উপকরণ, অ্যাসিড, সালফার পাউডার, বল বিয়ারিং এবং আইইডি সার্কিটের মতো বোমা তৈরির রাসায়নিক উদ্ধার করা হয়েছে।

    দিল্লিতেই আত্মঘাতী হামলার ছক ছিল!

    ধৃতদের জেরা করে তদন্তকারীরা (Delhi Police) জানতে পেরেছেন, তাদের পরিকল্পনা বেশ অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছে বলেও প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, আইইডি বিস্ফোরণের প্রস্তুতির চূড়ান্ত পর্যায়ে ছিল। এই দু’জন আত্মঘাতী হামলার জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। দিল্লিতেই ফিদায়েঁ হামলার ছক ছিল তাদের। তারা আইসিসের সঙ্গে যুক্ত হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের সঙ্গে আর কে জড়িত, কোথায় হামলার পরিকল্পনা ছিল, কোথা থেকে হামলার নির্দেশ আসছে, যাবতীয় তথ্য জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। এই গ্রেফতারির ফলে দিল্লিতে বড়সড় নাশকতার ছক (Terror Plot Foiled) ভেস্তে গেল, আত্মবিশ্বাসী গোয়েন্দারা (Delhi Police)।

    নেপথ্যে আইএসআইয়ের হাত!

    প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া দুই জঙ্গিদের নেপথ্যে আইএসআইয়ের হাত রয়েছে বলেই অনুমান। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার হয়ে নাশকতা ছড়াতে ভারতে এসে আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর নাম ব্যবহার করেছে ধৃতরা, এমনটাই মনে করা হচ্ছে (Delhi Police)। আসল পরিচয় গোপন করতেই এই কৌশল। তবে দুই জঙ্গি গ্রেফতার হওয়ার পরেও অপারেশন চলছে। গোয়েন্দাদের অনুমান, নাশকতার ষড়যন্ত্রে (Terror Plot Foiled) আরও কয়েক জন আইএস জঙ্গি জড়িত থাকতে পারে।

  • Delhi Police: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের পর্দা ফাঁস, গ্রেফতার কিংপিন চাঁদ মিঞা

    Delhi Police: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের পর্দা ফাঁস, গ্রেফতার কিংপিন চাঁদ মিঞা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন রাজ্যে সক্রিয় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের (Bangladeshi Infiltration) বিস্তৃত নেটওয়ার্কের পর্দা ফাঁস করল দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) দক্ষিণ-পূর্ব জেলা অ্যান্টি নারকোটিকস স্কোয়াড। গত কয়েকদিন ধরে অভিযান চালিয়ে এই স্কোয়াডই গ্রেফতার করে সব মিলিয়ে মোট ৫২ জনকে। এর মধ্যে ৪৭ জন বাংলাদেশি। আর পাঁচজন তাদের ভারতীয় সহযোগী। এই সিন্ডিকেটের নেতা চাঁদ মিঞাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এই চাঁদ মিঞা গত প্রায় ১২ বছর ধরে পলাতক ছিল।

    ভারতে অনুপ্রবেশ (Delhi Police)

    ২০২৫ সালের ১২ মার্চ সূত্র মারফত দিল্লি পুলিশ জানতে পারে বাংলাদেশি নাগরিক আসলাম ওরফে মাসুন ওরফে মাহমুদ সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে। সে লুকিয়ে রয়েছে তৈমুর নগরে। অভিযান চালিয়ে পুলিশ দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশের টানা জেরায় আসলাম কবুল করে, সে বাংলাদেশের নোয়াখালি জেলার বাসিন্দা। তার কাছ থেকে একটি জাল আধার কার্ড ও বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়।

    মূল হোতা চাঁদ মিঞা

    আসলামকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে এই অনুপ্রবেশ চক্রের মূল হোতা চাঁদ মিঞা। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তাকে জেরা করে জানা যায়, চেন্নাইতে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে ৩৩ জন বাংলাদেশি। অভিযান চালিয়ে তাদেরও গ্রেফতার করে পুলিশ। এই অভিযান সংক্রান্ত পৃথক এফআইআর দায়ের হয় দিল্লি ও চেন্নাইয়ে। পুলিশ এই অনুপ্রবেশ চক্রের সঙ্গে জড়িত পাঁচ ভারতীয় এজেন্টকেও গ্রেফতার করেছে। এরা দিল্লিতে সাইবার ক্যাফে এবং আধার সেবা কেন্দ্র চালাত। এরাই অনুপ্রবেশকারীদের জাল আধার কার্ড, জন্ম সংক্রান্ত শংসাপত্র এবং জাতিগত শংসাপত্র-সহ নকল পরিচয়পত্র তৈরি করতে সাহায্য করত (Bangladeshi Infiltration)।

    বাজেয়াপ্ত জাল আধার কার্ড

    তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ (Delhi Police) বাজেয়াপ্ত করেছে ১১টি ভুয়ো আধার কার্ড, বাংলাদেশি পরিচয়পত্র, একটি ল্যাপটপ ও চারটি হার্ড ডিস্ক, একটি কালার প্রিন্টার, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও রেটিনা স্ক্যানার, জাল জাতি ও জন্ম সার্টিফিকেট, ৯টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ১৯ হাজার ১৭০ টাকা। তদন্তকারীরা জেনেছেন, এই সিন্ডিকেটটি পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয় হয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতের মধ্যে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারে সাহায্য করত। এজন্য জনপ্রতি তারা নিত ২৫ হাজার টাকা করে। চাঁদ মিঞা ব্যক্তিগতভাবে এক সঙ্গে ৮ থেকে ১০ জন অনুপ্রবেশকারীকে নিয়ে যেত। ভারতে প্রবেশের পর অনুপ্রবেশকারীরা প্রথমে অসমে পৌঁছত। সেখান থেকে লুকমান নামের আর এক হ্যান্ডলারের সাহায্যে চলে যেত দিল্লি বা ভারতের অন্যান্য শহরে।

    ভুয়ো কাগজপত্র

    দিল্লিতে পৌঁছনর পর ভারতীয় এজেন্টরা তাদের ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় প্রতিষ্ঠা করতে ভুয়ো কাগজপত্র তৈরি করত। বেশিরভাগ অনুপ্রবেশকারীকেই প্রথমে আবর্জনা কুড়ানো বা অন্যান্য ছোটখাট কাজে নিয়োজিত করা হত, যাতে তারা কর্তৃপক্ষের নজর এড়াতে পারে (Bangladeshi Infiltration)। ডিসিপি রবি কুমার সিং জানান, ইন্সপেক্টর বিষ্ণু দত্তের নেতৃত্বে এএনএস দিল্লি, চেন্নাই ও বেঙ্গালুরু-সহ বিভিন্ন শহরে যৌথভাবে অভিযান চালিয়েছে। এই গোষ্ঠীটি দিল্লিকে জাল কাগজপত্র তৈরির মূল কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করত। পুলিশের ধারণা, এটি কেবল হিমশৈলের চূড়ামাত্র। এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে ১০০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিক ও তাদের একাধিক ভারতীয় সহযোগী। কর্তৃপক্ষ তদন্তের পরিধি বাড়িয়ে এই নেটওয়ার্কের বাকি শাখাগুলির টিকি ছোঁয়ার চেষ্টা করছে (Delhi Police)। কয়েক বছর আগেও এই ধরনের চারটি অবৈধ অনুপ্রবেশ চক্র ধ্বংস করেছে পুলিশ। তাতে গ্রেফতার হয়েছিল ৪০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিক ও তাদের ভারতীয় এজেন্ট।

    কে এই চাঁদ মিঞা

    জানা গিয়েছে, পঞ্চান্ন বছর বয়সি চাঁদ মিঞা বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার মুদ্দু বরিশালের বাসিন্দা। গত ১০-১২ বছর ধরে সে মানব পাচার করছিল। চার বছর বয়সে সে নিজেই ভারতে অনুপ্রবেশ করে। তারা প্রথমে দিল্লির সীমাপুরী ও পরে তৈমুর নগরে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করে। বছরের পর বছর ধরে চাঁদ চেন্নাইতে তার ঘাঁটি স্থানান্তরিত করে। তার পর সে এমন একটি নেটওয়ার্ক পরিচালনা করতে শুরু করে যার মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের বেনাপোল এলাকা এবং মেঘালয়ের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিদের এদেশে অনুপ্রবেশের কাজ চালিয়ে যেতে থাকে। এ পর্যন্ত চাঁদ মিঞার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে শনাক্ত হওয়া ১৮ জন বাংলাদেশি নাগরিককে এফআরআরও-র সাহায্যে বহিষ্কার করা হয়েছে (Delhi Police)।

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই দিল্লির পাহাড়গঞ্জ এলাকায় অবৈধভাবে বসবাসকারী আরও পাঁচজন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা হল মিম আখতার, মিনা বেগম, শেখ মুন্নি, পায়েল শেখ, সোনিয়া আখতার এবং তানিয়া খান। পুলিশের দাবি (Bangladeshi Infiltration), এদের কারও কাছে বৈধ অভিবাসন সংক্রান্ত কোনও নথিপত্র নেই (Delhi Police)।

  • Delhi: জাল পরিচয় পত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিক সহ ১১ জন গ্রেফতার

    Delhi: জাল পরিচয় পত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিক সহ ১১ জন গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধ ভিসা ও পাসপোর্ট তৈরির চক্রের হদিশ পেল দিল্লি পুলিশ (Delhi)। দিল্লিতে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বড় অভিযান চালিয়ে ৫ বাংলাদেশি নাগরিক সহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরা জাল ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরির সাথে জড়িত বলে সন্দেহ পুলিশের। ২৪ ডিসেম্বর, দিল্লি পুলিশ এই ১১ জনকে গ্রেফতার করে। এরা অবৈধ অভিবাসীদের জন্য জাল আধার কার্ড, জন্ম সনদ, এবং অন্যান্য পরিচয়পত্র তৈরি করছিল। এই চক্রটি প্রধানত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতীয় পরিচয়পত্র পেতে সাহায্য করছিল।

    জাল নথি তৈরির চক্রের হদিশ

    দক্ষিণ দিল্লির (Delhi) ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (DCP) অঙ্কিত চৌহান জানিয়েছেন, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আধার কার্ড অপারেটর, প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞ এবং জাল ডকুমেন্ট তৈরি সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা রয়েছে। তারা সম্প্রতি সান্তো শেখ নামে একজন ব্যক্তির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও যুক্ত। সান্তোই এই অভিবাসীদের ভারতে আনার কাজ করত, বলে অনুমান পুলিশের। ডেপুটি কমিশনার অঙ্কিত চৌহান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে অনেক অবৈধ অভিবাসী ভারতীয় বনাঞ্চল বা সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। তারপর দিল্লিতে এসে এই চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারাও সান্তো শেখের মাধ্যমেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছিল। শেখের সঙ্গে জড়িত ছিলেন সাহিল নামে একজন ব্যক্তি, যিনি রোহিণী এলাকায় পুণাম কম্পিউটার সেন্টারের মালিক। তারা একসঙ্গে এই বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য জাল জন্ম সনদ এবং আধার কার্ড তৈরি করছিল।

    আরও পড়ুন: বিগ্রহ সরিয়ে ওড়ানো হয়েছিল ইসলামি পতাকা, দখলমুক্ত গঙ্গা মন্দির

    বিধানসভা নির্বাচনের আগে সক্রিয় পুলিশ

    ইতিমধ্যেই পুলিশ (Delhi) একটি ওয়েবসাইট চিহ্নিত হয়েছে, যা এই জাল সনদ তৈরি করতে ব্যবহৃত হতো। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কমপক্ষে ২২৮টি জাল সনদ তৈরি হয়েছে, তবে পুলিশের সন্দেহ, মোট সংখ্যা হাজারেরও বেশি হতে পারে। গ্রেফতার হওয়া ১১ জনের মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশি এবং ৬ জন তাদের ভারতীয় সহযোগী। অবৈধ অভিবাসীরা এই জাল ডকুমেন্ট ব্যবহার করে দিল্লিতে বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করতে পারত বলে জানান ডেপুটি কমিশনার চৌহান। এই চক্রের অপারেশন সম্পর্কে আরও তথ্য জানার জন্য পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে। অবৈধ অভিবাসীদের অবস্থানও চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কতগুলি জাল ডকুমেন্ট তৈরি করা হয়েছে, তারও খোঁজ চলছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা দিল্লি পুলিশকে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আরও তীব্র অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই ১৭৫ জন সন্দেহভাজন বাংলাদেশি অভিবাসী চিহ্নিত হয়েছে। তাদের ডকুমেন্ট যাচাই করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi Police: দিল্লি পুলিশের অনুপ্রবেশকারী বিরোধী অভিযান, শনাক্ত ১৭৫জন বাংলাদেশি

    Delhi Police: দিল্লি পুলিশের অনুপ্রবেশকারী বিরোধী অভিযান, শনাক্ত ১৭৫জন বাংলাদেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে (Delhi Police) অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্তকরণের কাজে বড়সড় সাফল্য পেল পুলিশ। গত ১২ ঘণ্টায় দিল্লি পুলিশ ১৭৫ জনকে শনাক্ত করতে পেরেছে, যারা কোনও রকম নথি ছাড়াই বসবাস করছিল দিল্লিতে। প্রসঙ্গত, দিল্লিতে এই অভিযান শুরু হয় ১১ ডিসেম্বর। গত পরশু অর্থাৎ ২১ ডিসেম্বর নতুন করে ফের একবার অভিযানে নামে দিল্লি পুলিশ।

    চলতি মাসের গোড়ার দিকেই নির্দেশিকা জারি করেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর 

    চলতি মাসের গোড়ার দিকে দিল্লির (Delhi Police) লেফটেন্যান্ট গভর্নর একটি নির্দেশিকা জারি করেছিলেন। সেখানে জানানো হয়েছিল যে অবৈধভাবে যে সব অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বসবাস করছে দিল্লিতে, তাদের শনাক্ত করতে হবে। এরপরেই অপারেশনে নামে পুলিশ।

    কী বলছেন দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) উচ্চ পদস্থ কর্তা 

    দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) এক উচ্চপদস্থ কর্তা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এই ধরনের অভিযান করতে স্থানীয় থানা থেকেও পুলিশ আধিকারিকদের যেমন প্রতিনিধি হিসেবে রাখা হয়েছে, তেমনি জেলার স্তরেও প্রতিনিধিদের রাখা হয়েছে। রাখা হয়েছে ফরেন সেলকেও। এই সব কিছু মিলিয়ে একটা টিম তৈরি করা হয়। পুলিশের এই দল প্রত্যেক বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ে এবং তাদের বৈধ নথিপত্র পরীক্ষা করে। শুধু তাই নয়, এ ক্ষেত্রে স্থানীয় ইনফর্মারদেরও সাহায্য নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    আগামীদিনেও চলবে এমন অভিযান

    তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা (Delhi Police) এই সব ডকুমেন্টগুলি পরীক্ষা করেন। পরে ক্রস চেকিং করা হয় সেগুলিকে। তথ্য নেওয়া হয় সন্দেহভাজনদের (Bangladeshi) প্রতিবেশী এবং স্থানীয় ইনফরমারদের কাছ থেকেও। জানা গিয়েছে, যে ১৭৫ জন অনুপ্রবেশকারী বৈধ কোনও কাগজপত্রই দেখাতে পারেনি, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দিল্লি পুলিশের কর্তারা সংবাদ মাধ্যমকে এও জানিয়েছেন যে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে এই অভিযান চালানো হচ্ছে। কারণ যেখানে দেশের স্বার্থ জড়িয়ে আছে, সেই সেই সব ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হবে। এই অপারেশন চলতেই থাকবে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Al Qaeda: ভারতে আত্মঘাতী জঙ্গি বাহিনী গড়তে চেয়েছিল ধৃত আল-কায়েদা জঙ্গি ইশতিয়াক!

    Al Qaeda: ভারতে আত্মঘাতী জঙ্গি বাহিনী গড়তে চেয়েছিল ধৃত আল-কায়েদা জঙ্গি ইশতিয়াক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পক্ষকাল আগে পুলিশ গ্রেফতার করে আল কায়েদা-লিঙ্কড (Al Qaeda) সন্ত্রাসী (Suicide Squad) মডিউলের প্রধান ডঃ ইশতিয়াককে। ঝাড়খণ্ডের রাঁচি থেকে তাকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। এবার, পুলিশের সামনে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। জানা গিয়েছে, এই ইশতিয়াক ভারতে একটি আত্মঘাতী জঙ্গি বাহিনী তৈরি করার চেষ্টায় ছিল।

    ইশতিয়াকের কীর্তি (Al Qaeda)

    দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রয়োজন ট্রেনিংয়ের। সেজন্য একটি পার্বত্য এলাকা বেছে নিয়েছিল ইশতিয়াক। এখানেই জঙ্গি তৈরি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। তরুণদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজও হচ্ছিল এই এলাকায়। চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য প্রকাশ করেছে দিল্লি পুলিশ। জানা গিয়েছে, দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল ধৃত ইশতিয়াক, ইনামুল আনসারি, শাহবাজ আনসারি, মতিউর রহমান এবং আলতাফকে নিয়ে রাঁচি পৌঁছেছে। অভিযুক্তরা তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে কতদূর এগিয়েছিল, তা জানতেই রাঁচি নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের।

    ঘন জঙ্গলে শিবির

    জঙ্গিরা তদন্তকারীদের জানিয়েছে, তারা রাঁচির চানহো গ্রামের কাছে নকাটা জঙ্গলে যেত। এই জঙ্গলের আশপাশে কোনও জনবসতি নেই। তাই ঘন জঙ্গলের ভেতরে কী হচ্ছে, বাইরে থেকে কারও নজরে আসে না। তাই জায়গাটি জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের জন্য সব চেয়ে উপযুক্ত স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। অপরাধীরা পুলিশকে জানিয়েছে, সেখানে তাদের আত্মঘাতী জঙ্গি (Suicide Squad) হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছিল। অস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছিল। ধৃতেরা জানিয়েছে, তারা ইশতিয়াকের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করছিল। এই ইশতিয়াকই তাদের প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিল। তাদের সবার লক্ষ্য, ভারতে ইসলামি শাসন কায়েম করা।

    আরও পড়ুন: ‘‘আমার বাড়িতে আর কোনওদিন…’’, মমতার উৎসব-মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নির্যাতিতার মা

    এই জঙ্গি দলের (Al Qaeda) নেতা ইশতিয়াক। সন্ত্রাসীদের কয়েকজন সদস্যকে একই রকম প্রশিক্ষণ দিতে রাজস্থানে পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ জেনেছে, তারা আল কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট (আকিস) মডিউলের সদস্য (Suicide Squad)। তদন্তকারীরা জেনেছেন, ইশতিয়াক তার সন্ত্রাসী মডিউলকে উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানেও বিস্তৃত করেছিল। সে বিহারের লখিসরাই থেকে অস্ত্র কিনেছিল। রাজস্থানে অভিযান চালানো হয়। সেখানে থেকে একে-৪৭ রাইফেল, .৩৮ বোর রিভলভার, ৬টি তাজা কার্তুজ, .৩২ বোরের ৩০টি তাজা কার্তুজ, একে-৪৭ রাইফেলের ৩০টি কার্তুজ, ডামি ইনসাস, এয়ার রাইফেল, লোহার কনুই পাইপ, হ্যান্ড গ্রেনেড ও অন্যান্য জিনিস উদ্ধার করা হয়।

    প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ড পুলিশের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড ঝাড়খণ্ডের লোহারদাগা-সহ ১৪টি এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ৮ জনকে আটক করেছিল । পরে গ্রেফতার করা হয় তাদের (Al Qaeda)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

       

  • Delhi Police: নাম-ছবি দিয়ে পোস্টার সাঁটিয়েছিল পুলিশ, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লিতে ধৃত আইএস জঙ্গি

    Delhi Police: নাম-ছবি দিয়ে পোস্টার সাঁটিয়েছিল পুলিশ, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লিতে ধৃত আইএস জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি শহরজুড়ে জঙ্গিদের নাম-ছবি দিয়ে পোস্টার সাঁটিয়েছিল পুলিশ (Delhi Police)। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হাতেনাতে পাকড়াও এক আইএস জঙ্গি (ISIS militant)। পুলিশের বিশেষ দল স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের আগেই যে কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে, তার নাম রিজওয়ান আলি। বৃহস্পতিবার, ১৫ জন জঙ্গির নাম ও ছবি সমেত পোস্টার সাঁটিয়ে দিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। তার মধ্যে ৬ জঙ্গি ছিল আল কায়েদার। তালিকায় ছিল কয়েকজন খালিস্তান জঙ্গি। এছাড়া, বাকিরা ছিল অন্যান্য নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সক্রিয় জঙ্গি। পুলিশকে যে কোনও তথ্য দিলে পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছিল। ফলে অভিনব প্রচারে হাতেনাতে সাফল্য পেল পুলিশ।

    রিজওয়ানের মাথার দাম ছিল ৩ লক্ষ টাকা (Delhi Police)

    জানা গিয়েছে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাজধানীর গঙ্গাবক্স মার্গের কাছে রাত ১১ টার সময় এই আইএস জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। সেই সঙ্গে তার কাছ থেকে একটি ৩০ বোরের স্টার পিস্তল, ৩টি তাজা কার্তুজ এবং ২টি মোবাইল উদ্ধার করেছে। দিল্লির দরিয়াগঞ্জ এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল এই জঙ্গি। এই কুখ্যাত জঙ্গির (ISIS militant) মাথায় ৩ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত থাকার বিষয়ে আগেই প্রমাণ সংগ্রহ করে পুলিশকে দিয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, রিজওয়ান আইসিসের পুণে মডিউলের অংশ হিসেবে সক্রিয় ভাবে কাজ করছিল। অনেক দিন ধরে পলাতক ছিল। তার ছবি ও নাম সমেত পোস্টার সাঁটিয়ে প্রচার করতেই সাফল্য মিলেছে।

    আরও পড়ুনঃ ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র হবে ছত্তিশগড়ে, ছাড়পত্র দিল বিজেপি সরকার

    আল কায়েদা, খালিস্তানি জঙ্গির খোঁজে তল্লাশি

    শহরজুড়ে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করতে, আল কায়েদা এবং খালিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন জঙ্গিদের নাম-ছবি দিয়ে পোস্টার লাগিয়ে দিয়েছে ইতিমধ্যে। সেই সঙ্গে সন্ত্রাসীদের ধরতে সহায়তা করার জন্য মানুষকে সজাগ থাকার কথাও বলা হয়েছে। আবার জঙ্গিদের সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার কথা জানিয়ে পুরস্কারের ঘোষণা করা হয়েছে। অপর দিকে দিল্লির মতো পঞ্জাব পুলিশও ২১টি জেলায় তল্লাশি অভিযান চালানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। শহরের জনবহুল জায়গায়গুলিতে চলছে কড়া নজরদারি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Organ Transplant Racket: অঙ্গ প্রতিস্থাপন র‍্যাকেটের পর্দাফাঁস! দিল্লি পুলিশের জালে অভিযুক্তরা

    Organ Transplant Racket: অঙ্গ প্রতিস্থাপন র‍্যাকেটের পর্দাফাঁস! দিল্লি পুলিশের জালে অভিযুক্তরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়সড় সাফল্য পেল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। প্রতিবছরই ভারতে চিকিৎসা করাতে আসেন প্রচুর বাংলাদেশি নাগরিক। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই দিনের পর দিন ধরে চলছে কিডনি পাচার চক্র (Organ Transplant Racket)। এবার সেই অঙ্গ প্রতিস্থাপন র‍্যাকেটের পর্দাফাঁস করেই সাফল্য পেল দিল্লি পুলিশ। ইতিমধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পড়েছে অভিযুক্তরা।   

    বাংলাদেশ থেকে চলত এই চক্র পরিচালনা (Organ Transplant Racket)

    এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তার মধ্যে আবার একজন ডাক্তারও রয়েছেন। ৫০ বছর বয়সী ওই ডাক্তার উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় একটি হাসপাতালে ১৬টিরও বেশি অপারেশন করেছেন। মূলত বাংলাদেশ থেকে এই চক্র পরিচালনা করা হত বলে জানা গিয়েছে। কারণ মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, এই র‍্যাকেটের সঙ্গে জড়িতদের বাংলাদেশ যোগ রয়েছে। প্রতি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য তারা ২৫-৩০ লক্ষ টাকা নিত। ২০১৯ সাল থেকে তারা এই অঙ্গ প্রতিস্থাপন চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। 

    কীভাবে চলত এই পাচার চক্র?  

    ক্রাইম ব্রাঞ্চের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতে, অভিযুক্তরা হাসপাতাল থেকে একজন ডাক্তারকে টাকার লোভ দেখিয়ে তাঁকে দিয়ে কাজ চালাত। এ প্রসঙ্গে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ জানিয়েছে যে, দুটি হাসপাতাল মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ৩৫টি ট্রান্সপ্লান্ট (Organ Transplant Racket) করা হয়েছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নথিগুলো সঠিকভাবে যাচাই করেছে কিনা তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। কর্মকর্তাদের মতে, অভিযুক্তরা বাংলাদেশের হাসপাতাল থেকে জাল লেটারহেড তৈরি করে শুধুমাত্র ইমেল পরিবর্তন করত। এই অভিযুক্তরা ভালো করেই জানে যে তাদের ইমেল আইডি বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হবে। তাই নতুন ইমেল আইডি তৈরি করা হত, যাতে কোনোভাবেই ইমেল আইডি হ্যাক হয়ে তাদের কারসাজি ধরা না পড়ে যায়।  

    আরও পড়ুন: কর্ণাটকের নেহা হত্যাকাণ্ডে ৪৮৩ পৃষ্ঠার চার্জশিটে উল্লেখ নেই লাভ জিহাদের

    অপরাধ দমন শাখার ডিসিপির মন্তব্য (Delhi Police)

    এ প্রসঙ্গে অপরাধ দমন শাখার ডিসিপি অমিত গোয়েল বলেছেন, “ গত ৯ জুলাই আন্তর্জাতিক অঙ্গ প্রতিস্থাপন র‍্যাকেটের (Organ Transplant Racket) সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই র‍্যাকেটের মূল মাস্টারমাইন্ড একজন বাংলাদেশি। দাতা এবং গ্রহণকারী উভয়ই বাংলাদেশের নাগরিক। আমরা রাসেল নামে একজনকে গ্রেফতার করেছি, যে রোগী ও দাতাদের মধ্যে যোগাযোগ করিয়ে দিত। এছাড়াও ট্রান্সপ্লান্টের সঙ্গে যুক্ত এক মহিলা ডাক্তারকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi News: চেয়েছিলেন পুত্রসন্তান, হল যমজ কন্যাসন্তান, দু’জনকেই খুন করে গ্রেফতার ‘কীর্তিমান’ পিতা

    Delhi News: চেয়েছিলেন পুত্রসন্তান, হল যমজ কন্যাসন্তান, দু’জনকেই খুন করে গ্রেফতার ‘কীর্তিমান’ পিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের দুই যমজ সদ্যজাত কন্যাকে হত্যা (Murder) করে কবর দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর-পশ্চিম দিল্লির (Delhi News) সুলতানপুরী এলাকায়। অভিযোগ, গত ৩ জুন নিজের হাতে দুই নবজাতক কন্যাকে হত্যা করে নীরজ সোলাঙ্কি নামে এক ব্যাক্তি। নবজাতকদের খুন করে দেহ মাটি চাপা দিয়ে দেয় সে। অবশেষে হরিয়ানা (Haryana) থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ (Police) ।

    যমজ কন্যাসন্তানের জন্ম নেওয়ায় অখুশি পিতা

    পুলিশ জানিয়েছে, নীরজ সোলঙ্কি তাঁর স্ত্রীর কাছে একটি পুত্র সন্তান আশা করেছিলেন। এবং যমজ কন্যার জন্ম নিয়ে বিরক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। ৩ জুন কথিত খুনের পর থেকে তিনি পলাতক (Delhi News) ছিলেন। তাঁকে হরিয়ানা থেকে গ্রেফতার করা হয়। নীরজ সোলঙ্কির সঙ্গে দিল্লির সুলতানপুরীতে বসবাস করতেন তাঁর স্ত্রী পূজা সোলঙ্কি। ৩০ মে হরিয়ানার রোহতকের একটি হাসপাতালে যমজ কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন পূজা।

    নিজের হাতেই দুই সদ্যজাতকে খুন (Delhi News)

    “সদ্যজাতদের কন্যা সন্তানদের খুন করে অভিযুক্ত নীরজ তাঁর অবস্থান পরিবর্তন করে দিল্লি এবং হরিয়ানায় বিভিন্ন ঠিকানায় লুকিয়ে গ্রেফতার এড়াচ্ছিলেন,” পুলিশ একটি আধিকারিক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে। নীরজ সোলঙ্কির (৩২) শ্যালক পুলিশের কাছে অভিযোগ করার পর থেকেই তাঁকে পুলিশ খুঁজে বেড়াচ্ছিল। পুলিশকে ফোন করে নীরজের শ্যালক জানান, “নীরজ ৩ দিন বয়সী যমজ মেয়েকে (Delhi News) হত্যা (Murder) করেছে এবং একটি শ্মশানে কবর দিয়েছেন। এরপর, শ্মশানে পুলিশ যায়, যেখানে শিশুদের কবর দেওয়া হয়েছিল এবং মৃতদেহগুলি উত্তোলনের জন্য সংশ্লিষ্ট এসডিএম (সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট) এর কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়। ৫ জুন, মঙ্গলপুরীর একটি মর্গে মৃতদেহগুলি উত্তোলন করে সংরক্ষণ করা হয়। ৬ জুন, পুলিশ ময়নাতদন্ত করিয়ে মৃতদের পূজার ভাইয়ের হাতে তুলে দেয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi Police: ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় প্রথম মামলা দায়ের, কোথায়, কার বিরুদ্ধে?

    Delhi Police: ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় প্রথম মামলা দায়ের, কোথায়, কার বিরুদ্ধে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ সোমবার ১ জুলাই থেকেই কার্যকর হয়েছে তিনটি নতুন ফৌজদারি আইন। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (Bharatiya Nyaya Sanhita) আওতায় প্রথম এফআইআর দায়ের করল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। জানা গিয়েছে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা- ২০২৩ এর ২৮৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে দিল্লির কমলা নগর থানায়। দিল্লির রাস্তার একজন ফুটপাত ব্যবসায়ী বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কারণ হিসেবে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) জানিয়েছে, রেলের ওভারব্রিজের নিচের রাস্তার একটি এংশ জোর করে দখলে নিয়েছিলেন ওই ফুটপাত ব্যবসায়ী। এর ফলে সাধারণ মানুষদের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছিল। 

    বারবার সরে যেতে বলা হলেও ওই ফুটপাত ব্যবসায়ী সরে যান নি (Delhi Police)

    জানা গিয়েছে, একটি গাড়ির ওপরে গুটখা ও জলের বোতল বিক্রি করতেন ওই ফুটপাত ব্যবসায়ী। তাঁকে সেই রাস্তা থেকে একাধিক বার সরে যেতে বলা হলেও তিনি যেতে চান নি। এরপরেই ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ২৮৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী তাঁর নামে এফআইআর (Delhi Police) দায়ের করা হয়। একইভাবে নতুন ফৌজদারি আইনের (Delhi Police) অনুসারে মধ্যপ্রদেশের ভোপালের নিশাতপুরা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গতকাল রাত বারোটার পরে ওই অভিযোগ দায়ের করা হয়। যদিও মামলার বিষয়ে বিস্তারিত এখনও কিছু জানা যায়নি।

    নয়া আইনের বৈশিষ্ট্য

    এত দিন আইনে সাজার কথা বলা ছিল। এ বার নতুন আইনের নামের মধ্য দিয়েই সাধারণ মানুষ যাতে ন্যায় পান সেই ভাবনা প্রকাশ পেয়েছে। ভারতীয় বিধানে ন্যায়দণ্ডের কাছে সবাইকে সমান চোখে দেখার কথা বলা রয়েছে। ন্যায় সংহিতায় (Bharatiya Nyaya Sanhita) নতুন ২০টি অপরাধ চিহ্নিত করা হয়েছে। আর ভারতীয় দণ্ডবিধিতে থাকা ১৯টি বিধান বাদ পড়েছে ন্যায় সংহিতায়। একই সঙ্গে ৩৩টি অপরাধের জন্য কারাদণ্ডের সাজার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ৮৩টি অপরাধের জন্য জরিমানার পরিমাণও আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার ২৩টি এমন অপরাধ চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে একটি বাধ্যতামূলক সর্বনিম্ন শাস্তির কথা বলা রয়েছে ন্যায় সংহিতায়।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share