Tag: Delhi Police

Delhi Police

  • Parliament Security Breach: মরুরাজ্যে ললিতের ডেরায় মিলল আধপোড়া মোবাইল, জুতো, রহস্যের কিনারা শীঘ্রই?

    Parliament Security Breach: মরুরাজ্যে ললিতের ডেরায় মিলল আধপোড়া মোবাইল, জুতো, রহস্যের কিনারা শীঘ্রই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানে ললিতের  (Parliament Security Breach) ডেরায় মিলল পোড়া মোবাইলের অংশ। বেশ কিছু আধপোড়া কাপড় এবং জুতোও উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিশ। প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে প্রথমে ভাঙা হয়েছিল মোবাইলগুলি। পরে সেগুলিতে লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন।

    রাজস্থানে পালিয়েছিল ললিত

    লোকসভাকাণ্ডে শনিবারই গ্রেফতার করা হয়েছে ষষ্ঠ অভিযুক্ত মহেশ কুনাওয়াতকে। ঘটনার পর এই মহেশই মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝাকে দিল্লি থেকে মরুরাজ্যে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল। মহেশকে গ্রেফতার করার পর স্পষ্ট হয়ে যায় পুরো সিনারিওটা। গত বুধবার, ঘটনার দিন লোকসভার অধিবেশন কক্ষে (Parliament Security Breach) যখন ঢুকে পড়েছিল দুই হানাদার, ঠিক সেই সময়ই সংসদ চত্বরে ‘তানাশাহি নেহি চলেগি’, ‘ভারত মাতা কি জয় স্লোগান’ দিচ্ছিল আরও দুজন। মোবাইলে পুরো ঘটনাটি রেকর্ড করছিল ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা।

    কী মিলল ললিতের ডেরায়?

    অপারেশনের আগে সে-ই বাকি চারজনের (সংসদের ভেতরে দুজন, বাইরে দুজন) মোবাইল ফোন নিয়ে নিয়েছিল। ঘটনার পরে পরেই দিল্লি ছেড়ে ললিত পালিয়ে যায় রাজস্থানে। সেখানে গিয়েই প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশে মোবাইল ফোনগুলি ভেঙে লাগিয়ে দেয় আগুন। এসব করার আগে ‘ভগৎ সিং ফ্যান ক্লাব’ ফেসবুক পেজের এক বন্ধুর সঙ্গে মোবাইলে ললিত কথা বলেছিল বলেও জেনেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, রাজস্থানে যেখানে গিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল ললিত, সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে আধপোড়া মোবাইল, কাপড় এবং জুতো।

    আরও পড়ুুন: “সংসদের ঘটনার গুরুত্বকে ছোট করে দেখা উচিত নয়”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    এদিকে, সংসদ সদস্য বিজেপির প্রতাপ সিনহাকে তদন্তের স্বার্থে তলব করতে পারে দিল্লি পুলিশ। এই প্রতাপের ভিজিটর পাশ নিয়েই লোকসভার দর্শক গ্যালারিতে ঢুকে পড়েছিল সাগর শর্মা ও ডি মনোরঞ্জন। শুক্রবার অভিযুক্তদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছিল পুলিশ। কীভাবে তারা সংসদ চত্বরে ঢুকল, আর কোথায় কোথায় গিয়েছিল, সবই ধৃতদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    প্রসঙ্গত, লোকসভার অধিবেশন চলাকালীনই দর্শক গ্যালারি থেকে লাফিয়ে অধিবেশন কক্ষে পড়েছিল সাগর ও মনোরঞ্জন। পরে জুতোয় লুকিয়ে রাখা রং-বোমা ফাটায়। প্রথম হকচকিয়ে গেলেও, পরে তাদের ধরে ফেলেন দুই সাংসদ। মার্শাল ডেকে তুলে দেওয়া হয় তাঁদের হাতে। ওই ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ (Parliament Security Breach)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

       

  • Parliament Security Breach: “সংসদের ঘটনার গুরুত্বকে ছোট করে দেখা উচিত নয়”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Parliament Security Breach: “সংসদের ঘটনার গুরুত্বকে ছোট করে দেখা উচিত নয়”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সংসদের ঘটনার (Parliament Security Breach) গুরুত্বকে ছোট করে দেখা উচিত নয়।” লোকসভাকাণ্ডে এমনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর মতে, বিষয়টি উদ্বেগজনক। তাই এনিয়ে রাজনীতি না করে সমস্যার সমাধানে জোর দেওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি। যেহেতু বিষয়টি জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তও চান প্রধানমন্ত্রী।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সকলের এই ঘটনার গুরুত্ব বোঝা উচিত। ঘটনার গভীরে গিয়ে সকলে মিলে একটি সমাধান সূত্র খুঁজে বের করা উচিত। যাতে বিষয়টির পুনরাবৃত্তি না হয়। লোকসভার স্পিকার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের সকলের বিশ্বাস, খুব শীঘ্রই ষড়যন্ত্র ফাঁস হবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই ঘটনার পিছনে অভিযুক্তদের উদ্দেশ্য কী ছিল এবং এর নেপথ্যে কাদের মাথা কাজ করছে, তা জানা খুবই জরুরি।” তিনি বলেন, “এই জাতীয় বিষয়ে বিতর্ক বা প্রতিবাদ থেকে প্রত্যেকেরই বিরত থাকা উচিত। এই ঘটনার পর লোকসভার অধ্যক্ষ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা সবাই নিশ্চিত যে এই ষড়যন্ত্র ফাঁস হবে।”

    ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন?

    প্রসঙ্গত, গত বুধবার অধিবেশন চলাকালীন আচমকাই লোকসভার দর্শক গ্যালারি থেকে অধিবেশন (Parliament Security Breach) কক্ষে ঝাঁপ দেয় দুই হানাদার। হানাদাররা যখন লাফিয়ে নীচে পড়ে, তখন প্রশ্ন করছিলেন মালদহ উত্তরের সাংসদ বিজেপির খগেন মুর্মু। হঠাৎ করে এই ঘটনা ঘটায় হতচকিত হয়ে পড়েন সাংসদরা। এই সুযোগে জুতোয় লুকিয়ে রাখা স্মোক ক্যানে বিস্ফোরণ ঘটায় হানাদাররা। অধিবেশন কক্ষ ভরে যায় রঙ্গিন ধোঁয়ায়। প্রাথমিক ঘোর কাটিয়ে দুই সাংসদ ধরে ফেলেন সাগর শর্মা ও মনোরঞ্জন ডি নামে দুই হানাদারকে। তার আগে তারা এগোচ্ছিল অধ্যক্ষের দিকে। পরে মার্শাল ডেকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সাগর ও মনোরঞ্জনকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘যখন অন্যদের থেকে প্রত্যাশা শেষ হয়, তখনই মোদির গ্যারান্টি শুরু হয়’’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    অধিবেশন কক্ষে যখন এসব চলছে, তখন সংসদ চত্বরে ‘তানাশাহি নেহি চলেগি’, ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দিচ্ছিলেন অমল শিন্ডে ও নীলম দেবী নামে দুজন। ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা চত্বরের বাইরে থেকে সেই ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং করে পোস্ট করছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই পাঁচজনকেই গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। শনিবার গ্রেফতার করা হয় মহেশ কুমাওয়াতকে। ললিতকে দিল্লি থেকে পালাতে সাহায্য (Parliament Security Breach) করেছিল সে-ই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Security Breach: লোকসভাকাণ্ডে গ্রেফতার মহেশ, ললিতকে পালাতে সাহায্য করেছিল সে-ই?

    Parliament Security Breach: লোকসভাকাণ্ডে গ্রেফতার মহেশ, ললিতকে পালাতে সাহায্য করেছিল সে-ই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভাকাণ্ডে (Parliament Security Breach) গ্রেফতার আরও এক। দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার মহেশ কুমাওয়াত। এনিয়ে ওই ঘটনায় মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। হেফাজতে নিয়ে মহেশকে জেরা করতে চাইছে পুলিশ। এই মহেশই লোকসভাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝাকে দিল্লি থেকে পালাতে সাহায্য করেছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোরেই গ্রেফতার করা হয় ললিতকে। শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছে মহেশকে। যদিও আগেই আটক করা হয়েছিল তাকে। এদিন সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    মহেশের ডেরায় ছিল ললিত!

    আদালতে দিল্লি পুলিশের দাবি, দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চেয়েছিল অভিযুক্তরা। তবে কেন তারা এই ধরনের ঘটনা ঘটাল, ঘটনার নেপথ্যেই বা কারা, এই হামলার পেছনে শত্রু কোনও দেশ বা জঙ্গি সংগঠনের হাত রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মহেশ রাজস্থানের নাগৌর জেলার বাসিন্দা। ঘটনার পর দিল্লি থেকে পালিয়ে মরুরাজ্যে মহেশের ডেরায়ই গা ঢাকা দিয়েছিল ললিত। ললিতের সঙ্গে মিলে মহেশও ঘটনার দিন ধৃত চারজনের মোবাইল ফোনগুলি নষ্ট করেছিল বলেই দাবি পুলিশের। মহেশের সম্পর্কিত এক ভাইকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে (Parliament Security Breach) পুলিশ। তবে তাকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি।

    দুই প্ল্যান

    পুলিশ জেনেছে, অভিযুক্তরা দু রকমের পরিকল্পনা করেছিল। ম্যারাথন জেরায় ললিত পুলিশকে জানিয়েছে, প্ল্যান-এ ব্যর্থ হলে প্রয়োগ করা হত প্ল্যান-বি। সংসদের ভেতরে দুজন নয়, তিনজনের হানা দেওয়ার কথা ছিল। সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জন ডি ছাড়াও আর যার হানা দেওয়ার কথা ছিল, সে-ই হল মহেশ। পরে অবশ্য বদলানো হয় পরিকল্পনা। কারণ ঘটনার পর দিল্লি থেকে পালিয়ে গিয়ে মহেশের ডেরায় ওঠার কথা ছিল হানাদারদের। তাছাড়া, দর্শক হিসেবে সংসদে ঢোকার পাস ছিল সাগর ও মনোরঞ্জনের কাছে। তাই এই দুজনই লোকসভায় ঢুকবে বলে ঠিক হয়েছিল। রং-বোমা জ্বালিয়ে সংসদের দিকে যাওয়ার দায়িত্ব বর্তেছিল অমল শিন্ডে ও নীলম আজাদের ওপর।

    আরও পড়ুুন: ‘চোরেরা সব ভিতরে ঢুকবে’, তৃণমূলকে তোপ সুকান্তর

    আর প্ল্যান-বি অনুযায়ী, অমল ও নীলম সংসদের কাছে পৌঁছতে না পারলে, অন্য দিক দিয়ে কৈলাস ও মহেশ রং-বোমা জ্বালিয়ে স্লোগান দিতে দিতে যাবে সংসদের দিকে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে কৈলাস ও মহেশের হরিয়ানার গুরুগ্রামে বিশাল শর্মা ওরফে ভিকির বাড়িতে পৌঁছতে না পারায় এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয় অমল ও নীলমকে। বিশালকে আটক করা হলেও গ্রেফতার করা হয়নি (Parliament Security Breach) শনিবার সন্ধে পর্যন্ত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Security Breach: চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি ললিত ঝা-র, কী বলল লোকসভাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড?  

    Parliament Security Breach: চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি ললিত ঝা-র, কী বলল লোকসভাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশি জেরায় চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি লোকসভাকাণ্ডে (Parliament Security Breach) ধৃত ললিত ঝায়ের। টানা পুলিশি জেরায় ললিতের স্বীকারোক্তি, প্ল্যান-এ সফল না হলে প্ল্যান-বি তৈরি ছিল সাগর-নীলমদের। লোকসভাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড এই ললিতই। বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লির কর্তব্যপথ থানায় আত্মসমর্পণ করে সে। প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে সে নষ্ট করে ফেলেছে নিজের ও বাকি অভিযুক্তদের মোবাইল ফোনগুলি।

    মাস্টারমাইন্ড ললিত

    বুধবার লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন দর্শক গ্যালারি থেকে লাফিয়ে অধিবেশন কক্ষে পড়ে দুই হানাদার। আগে থেকে জুতোয় লুকিয়ে রাখা স্মোক গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। তার জেরে অধিবেশন কক্ষ ভরে যায় রঙিন ধোঁয়ায়। পরে দুই সাংসদের হাতে ধরা পড়ে যায় হানাদাররা। ওই ঘটনায় সংসদ চত্বর থেকে গ্রেফতার করা হয় আরও দুজনকে। তার পরেই জানা যায়, লোকসভাকাণ্ডের (Parliament Security Breach) মাস্টারমাইন্ড ললিত। ললিতকে টানা জেরা করছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল।

    কী জানাল ললিত?

    লাগাতার জেরায় তদন্তকারীদের ললিত জানিয়েছে, যদি ভিজিটর্স গ্যালারি থেকে স্মোক গ্রেনেড বিস্ফোরণের সুযোগ সাগর-নীলমরা না পেত, তাহলে তৈরি ছিল প্ল্যান-বি। ললিত বলেন, “যদি প্রথম পরিকল্পনা অনুযায়ী নীলম ও আমল সংসদের সামনে পৌঁছতে না পারত, তাহলে মহেশ ও কৈলাশকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছিল। অন্য দিক থেকে লোকসভায় গিয়ে কালার বম্ব ফাটাত ওরা। মিডিয়ার ক্যামেরার সামনে স্লোগান দেওয়ার জন্যও তৈরি ছিল দুজন।”

    আরও পড়ুুন: “মোদিজির পা ধরে লাভ নেই, কিছুই পাবেন না”, দিল্লিতে বৈঠকের আগে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    অপারেশন সাকসেসফুল হওয়ার পর যাতে তারা পালাতে পারে, সেজন্য বাকিদের সাহায্য করতেও একটি প্ল্যান তৈরি করে রেখেছিল ললিত। কথা ছিল, সকলেই পালিয়ে যাবে রাজস্থানে। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে নীলম, সাগর, মনোরঞ্জন ও আমলকে পালাতে সাহায্য করার কথা ছিল মহেশের। ললিতের জন্য গেস্ট হাউসের ব্যবস্থা করেছিল এই মহেশই। এই গেস্ট হাউসে বসেই টেলিভিশনের পর্দায় লোকসভাকাণ্ডের খবরের ওপর নজর রাখছিল সে।

    এদিকে, সেদিনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে চাইছে দিল্লি পুলিশ। ঘটনার দিনের মতোই সাগর ও মনোরঞ্জন দর্শক গ্যালারি থেকে ঝাঁপ দেবে লোকসভার চেম্বারে। নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি পেরিয়ে বুধবার তারা কীভাবে লোকসভার অধিবেশন কক্ষে ঢুকে পড়েছিল, মূলত তা-ই জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা (Parliament Security Breach)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NewsClick: খবরের আড়ালে চিনের প্রচার! গ্রেফতার নিউজক্লিকের প্রতিষ্ঠাতা প্রবীর পুরকায়স্থ 

    NewsClick: খবরের আড়ালে চিনের প্রচার! গ্রেফতার নিউজক্লিকের প্রতিষ্ঠাতা প্রবীর পুরকায়স্থ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইনে নিউজক্লিকের সাংবাদিক প্রবীর পুরকায়স্থকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। দিনভর তল্লাশির পর, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘নিউজক্লিক’-এর প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রধান সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থ-সহ দুজনকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশের বিশেষ শাখা। বেআইনি কর্মকাণ্ড (প্রতিরোধ) আইন বা ইউপিএ (UAPA)-র আওতায় এই নিউজ পোর্টালের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে দিল্লি পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে সংস্থার এইচআর প্রধান অনিন্দ্য চক্রবর্তীকেও। চিনের হয়ে প্রচারের জন্য বিদেশ থেকে তহবিল গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে এই অনলাইন পোর্টালটির বিরুদ্ধে। তল্লাশির পর ওই দুই সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয় এবং নিউজক্লিকের অফিসও সিল করে দেওয়া হয়েছে।

    কী বলছে পুলিশ

    দিল্লি পুলিশ বলেছে, “মোট ৩৭ জন সন্দেহভাজন পুরুষকে জেরা করা হয়েছে। পাশাপাশি ৯ জন সন্দেহভাজন মহিলার বাড়িতে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরীক্ষার জন্য তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ডিজিটাল যন্ত্র, নথিপত্র ইত্যাদি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।” তদন্তের অংশ হিসেবেই প্রবীর পুরকায়স্থ এবং অনিন্দ্য চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের প্রথমে  জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লি পুলিশের দক্ষিণ দিল্লির এক কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে দিল্লি পুলিশের এক ফরেনসিক দলও উপস্থিত ছিল।

    কত টাকা এসেছিল চিন থেকে

    সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক টাইমস একটি অন্তর্তদন্তমূলক রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল চিনের পক্ষে প্রচার করার জন্য তারা ফান্ডিং পাচ্ছে। এরপরই শুরু হয় অভিযান। এর আগে দিল্লি এনসিআর, মুম্বইতে অন্তত ২০টি জায়গায় পুলিশ অভিযানে নামে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, নিউজ ক্লিক প্রায় ৩৮ কোটি টাকা চিনের এক সূত্র থেকে পেয়েছিল। এই ওয়েবসাইটটি মূলত চিনের পক্ষে খবর করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল। ২৯ কোটি এক্সপোর্ট সার্ভিস হিসাবে পেয়েছিল এই সংস্থা। আর ৯ কোটি পেয়েছিল এফডিআই হিসাবে। এই ফান্ড তিস্তা শীতলাবাদ ও গৌতম নবলাখার মধ্যেও ভাগ করা হয়েছিল বলে খবর।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sitaram Yechury: সিপিএম নেতা ইয়েচুরির বাসভবনে দিল্লি পুলিশের হানা! জানেন তাঁর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ?

    Sitaram Yechury: সিপিএম নেতা ইয়েচুরির বাসভবনে দিল্লি পুলিশের হানা! জানেন তাঁর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিপিআইএম-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির বাসভবনে হানা দিল দিল্লি  পুলিশের স্পেশ্যাল সেল। মঙ্গলবার সকালে তদন্তকারী আধিকারিকদের একটি দল হাজির হয় তাঁর বাসভবনে। নিউজ পোর্টাল নিউজক্লিকের অফিস এবং সাংবাদিকদের বাড়িতে তল্লাশির সঙ্গে এর যোগাযোগ রয়েছে বলে খবর। 

    কেন এই তল্লাশি

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিপিআইএম অফিসে কর্মরত এক ব্যক্তির ছেলে, সুমিত, নিউজক্লিকে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজ করেন। এই সুমিত আবার সীতারাম ইয়েচুরির বাড়ির পাশের বাড়িতেই থাকেন। তাঁর খোঁজেই ইয়েচুরির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। ইয়েচুরি নিজেও একথা জানিয়েছেন। তবে কোনওরকম কারণ বা পেপার না দেখিয়েই বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে দাবি তাঁর। সুমিত নামে ওই যুবকের ল্যাপটপ এবং মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

    সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক টাইমস একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ক্লিকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলা হয়েছে। ভারত বিরোধী কার্যকলাপ চালাতে এবং খবর প্রকাশ করতে এই সংবাদমাধ্যমে চিন বিনিয়োগ করছে বলে খবর। সূত্রের খবর, সেই অভিযোগ প্রমাণের লক্ষ্যেই মঙ্গলবার সকাল থেকে দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল তল্লাশি অভিযানে নামে। দিল্লির আরও ৩০টি এলাকায় চলছে তল্লাশি অভিযান।

    আরও পড়ুন: ‘৪০ জন কূটনীতিককে সরাও, নাহলে…’, সংঘাতের আবহে কানাডাকে বলল ভারত

    গত অগাস্ট মাস থেকেই ভারত সরকারের স্ক্যানারে রয়েছে নিউজ ক্লিক সংবাদমাধ্যম। নিউ ইয়র্কে প্রকাশিত রিপোর্ট মোতাবেক এই অনলাইন মিডিয়া পোর্টালটিতে বিনিয়োগ রয়েছে নেভিল রায় সিংঘম নামে এক মার্কিন মিলিয়নিয়রের। এই ধনকুবের চিনা প্রোপাগান্ডা চালায় বলেও অভিযোগ। এই সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের আর্থিক বিভাগ একটি মামলাও দায়ের করে। ২০২১ সালেও এই নিউজ ক্লিকের অফিসে হানা দিয়েছিল আয়কর দফতর। আয়কর কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল সে সময়। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Delhi Police: লাঠি উঁচিয়ে দিল্লি পুলিশ! তড়িঘড়ি রাজঘাট ছাড়লেন অভিষেক ও তাঁর দলবল

    Delhi Police: লাঠি উঁচিয়ে দিল্লি পুলিশ! তড়িঘড়ি রাজঘাট ছাড়লেন অভিষেক ও তাঁর দলবল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে বাজার গরম করতে রাজঘাটে ধরনায় বসে ছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অবস্থান কর্মসূচির কোনও লিখিত অনুমতি ছিল না, তাই ধরনার মাঝপথেই লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে এল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। আর এতেই বেআইনি জমায়েত ছত্রভঙ্গ হল তৃণমূলীদের। দিল্লি পুলিশের সঙ্গে এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে তৃণমূল কর্মীদের সরানোর তোড়জোড় শুরু করে, তখনই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় রাজ্যের শাসক দলের কর্মীদের। সেই সময়ে বাধ্য হয়ে জায়গা ছেড়ে পালিয়ে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

    লাঠি উঁচিয়ে পুলিশ

    তৃণমূল দাবি করছে যে সাংবাদিক বৈঠকও করতে দেওয়া হয়নি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তার আগেই জোর করে গাড়িতে তুলে রাজঘাট থেকে নাকি বের করে দিয়েছে তাঁকে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। শাসকদলের নেতৃত্বের এহেন আচরণকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘বাংলার বাঘ দিল্লিতে ইঁদুর।’’ এ নিয়ে তৃণমূলের সেকেন্ড দিন কমান্ডের বক্তব্য, ‘‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই ধরনায় বসে ছিলাম কিন্তু পুলিশ (Delhi Police) এসে আমাদের এখান থেকে উঠে যেতে বলে। অনুমতি ছাড়া যে রাজঘাট এভাবে অবরোধ করে রাখা যায়না, তা কি জানেনা রাজ্যের শাসক দল! প্রশ্ন বিভিন্ন মহলের। দিল্লির পুলিশ এবং সিআরপিএফ অবশ্য তৃণমূল নেতৃত্বকে বলতে থাকে যে রাজঘাটে এভাবে ধরনায় বসার কারণে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছে। তাতেও কর্ণপাত না করাতে এই সক্রিয় হয় প্রশাসন।

    শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষ

    কলকাতাতে বিজেপির কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন শুভেন্দু। সাংবাদিকরা তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন করতেই নন্দীগ্রামের বিধায়কের জবাব, ‘‘বিক্ষোভ করতে গিয়েছিল ওরা। ২০ মিনিট পরই লাঠি উঁচিয়েছে সিআইএসএফ আর দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। সকলে চলে গিয়েছে। ওরা বাংলায় বাঘ, সিংহ। দিল্লিতে লাঠি দেখাতেই ইঁদুর।’’ শুভেন্দুর আরও সংযোজন, ‘‘মমতা ব্যানার্জী টাকা চুরি করেছে, তাই যাননি। প্রশ্ন তুলুন ১ কোটি ৩০ লাখ ভুয়ো জবকার্ডগুলো কোথায়?’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pro Khalistan Slogans: ‘দিল্লি বনেগা খালিস্তান’! রাজধানীর মেট্রো স্টেশনের দেওয়ালে দেশবিরোধী স্লোগান

    Pro Khalistan Slogans: ‘দিল্লি বনেগা খালিস্তান’! রাজধানীর মেট্রো স্টেশনের দেওয়ালে দেশবিরোধী স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী মাসেই জি২০ শীর্ষ সম্মেলন হবে রাজধানীতে (New Delhi)। তার আগে দিল্লির পাঁচটি মেট্রো স্টেশনে ‘দিল্লি বনেগা খালিস্তান’ স্লোগান (Pro Khalistan Slogans) লিখল খালিস্তানপন্থী ‘শিখস ফর জাস্টিস’ সংগঠন। তাদের নেতা গুরুপতয়ন্ত সিং পান্নুন ভিডিয়োতে দাবি করেছেন, ‘‘প্রগতি ময়দানে জি২০ সম্মেলন ব্যাহত করার লড়াই শুরু হল। এ ভাবেই আমরা জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলিকেও বার্তা দিচ্ছি। পাঞ্জাব ভারতের অংশ নয়।’’

    কারা লিখল স্লোগান

    দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, শিবাজি পার্ক থেকে পাঞ্জাবি বাগ পর্যন্ত বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনের দেওয়ালে লেখা হয়েছে খালিস্তান পন্থী স্লোগান। তবে ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ সেই স্লোগান ঢেকে দেয়। পাঞ্জাবি বাগ, শিবাজি পার্ক, পশ্চিম বিহার, উদ্যোগনগর, মহারাজা সুরযমল স্টেশন সহ পশ্চিম দিল্লির বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনের দেওয়ালে স্প্রে করে এসব লেখা হয়েছে। জি২০ শীর্ষ বৈঠকের সময়ে খালিস্তানের দাবিতে খালিস্তানপন্থীরা কানাডায় ‘গণভোট’ নেবে বলে দাবি ‘শিখস ফর জাস্টিস’-এর। ‘শিখস ফর জাস্টিস’ সংগঠন ভারতে ইউএপিএ আইনের অধীনে নিষিদ্ধ। তারাই যে এই ঘটনার পিছনে রয়েছে, তা স্বীকার করেছে দিল্লি পুলিশও। তারা জানিয়েছে, এ নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। স্লোগান লেখা মেট্রো স্টেশনের ফুটেজও ওই সংগঠনের তরফে প্রকাশ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: দত্তপুকুরকাণ্ডে এনআইএ তদন্ত চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি সুকান্তর

    তদন্তে দিল্লি পুলিশ

    সেপ্টেম্বরের ৯-১০ দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলন হবে। জি২০ শীর্ষ বৈঠক উপলক্ষে আপাতত সাজো সাজো রব রাজধানীতে। ওই শীর্ষ বৈঠক উপলক্ষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ-র কয়েক দিন দিল্লিতে থাকার কথা। তার আগে এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল ইতিমধ্য়েই তদন্তে নেমে পড়েছে। কারা এর পেছনে রয়েছে, তাদের কী ধরনের মতলব রয়েছে সবটা দেখার চেষ্টা করছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। মেট্রো স্টেশনের ফুটেজ পরীক্ষা করে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। ফুটেজ পরীক্ষা করার জন্য মেট্রো স্টেশনগুলির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ-এর সাহায্য নিচ্ছেন দিল্লি পুলিশের গোয়েন্দারা। দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার জ্ঞানবন্ত নাইকের বক্তব্য, ‘‘নাঙ্গলোইয়ে স্লোগান লেখার কথা আমরা আজ সকাল ১১টায় জানতে পেরেছি। তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Security Force Rule: হানি ট্র্যাপের হাতছানি এড়াতে আধা সামরিক বাহিনীতে কড়া নির্দেশিকা

    Security Force Rule: হানি ট্র্যাপের হাতছানি এড়াতে আধা সামরিক বাহিনীতে কড়া নির্দেশিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘হানি ট্র্যাপের (Honey Trap) ফাঁদ থেকে কেন্দ্রীয়  আধিকারিকদের বাঁচাতেই এবার কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর তরফে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হল। পুলিশ আধিকারিকদের নির্দেশ (Security Force Rule) দেওয়া হল অনলাইনে কোনও রকমের বন্ধুত্ব যেন না পাতান। এছাড়াও ইউনিফর্ম পড়ে সোশ্যাল মাধ্য়মে ছবি আপলোড বা সাজেশনে আসা কোনও প্রোফাইলে যেন ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট না পাঠান, তার কথাও বলা হয়েছে।

    কী কী করতে মানা

    অনলাইনে বন্ধুত্ব পাতিয়ে যৌনতার ফাঁদে ফেলার মতো ঘটনা বার বার প্রকাশ্যে আসায় দেশের গোয়েন্দা সংস্থার তরফে সতর্ক করা হল। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার জন্য বেছে বেছে দেশের নিরাপত্তাবাহিনীর কর্মীদেরই বাছা হচ্ছে। ‘যৌনতার ফাঁদ’ পেতে অনলাইনে বন্ধুত্ব পাতানো, ছবি এবং ভিডিয়ো শেয়ার করার মতো ঘটনা ঘটছে। এমন বেশ কিছু ঘটনা মাঝেমধ্যেই প্রকাশ্যে আসছে। আর সেই ফাঁদে যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্মীরা পা না-দেন, তাই তাঁদের সতর্ক করলেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের থেকে এমন সতর্কবার্তা পাওয়ার পরই দেশের আধাসামরিক বাহিনী এবং পুলিশকর্মীদের সতর্ক করার কাজ শুরু হয়েছে।

    কেন এই নিষেধাজ্ঞা

    কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে যে বহু আধিকারিকরাই নিজেদের ইউনিফর্মে ছবি বা ভিডিয়ো আপলোড করছেন। স্পর্শকাতর স্থান, যেমন সেনা ছাউনি বা অন্য কোনও ক্যাম্প থেকে এইসব ছবি-ভিডিয়ো আপলোড হওয়ায় অনেক গোপনীয় তথ্য ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। অনলাইনে বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে অচেনা মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও চ্যাট করেও বিপদ ডেকে আনছেন। এই সমস্ত কার্যকলাপ থেকেই এবার বিরত থাকতে বলা হল আধিকারিকদের। শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীই নয়, প্য়ারামিলিটারি ও পুলিশ বাহিনীকেও এই নির্দেশ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। যদি এই নির্দেশ না মানা হয়, তবে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। বিএসএফ ও আইটিবিপির তরফেও বাহিনীকে এই নির্দেশ অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: দেশের গোপন নথি পাক গুপ্তচর সংস্থাকে পাচারের অভিযোগ! কলকাতায় ধৃত বিহারের যুবক

    দিল্লি পুলিশের একটি সূত্রের খবর, পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরা তাঁর বাহিনীর সমস্ত কর্মীকে এ বিষয়ে অবহিত করেছেন। সমাজমাধ্যমে কোনও উস্কানিমূলক, কোনও কুরুচিকর মন্তব্য না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, যত ক্ষণ কাজ করবেন তত ক্ষণ কোনও সমাজমাধ্যম ব্যাবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও কোনও সংবেদনশীল ছবি পোস্ট না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের উপরে উড়ছে রহস্যজনক ড্রোন! তদন্ত শুরু দিল্লি পুলিশের

    PM Modi: প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের উপরে উড়ছে রহস্যজনক ড্রোন! তদন্ত শুরু দিল্লি পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) বাসভবনের উপরে ড্রোন ওড়ার খবর দিল  স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ। এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন দিল্লি পুলিশের আধিকারিকেরা। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার ভোর ৫টা নাগাদ স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি)-এর সদস্যেরা দিল্লি পুলিশকে এই বিষয়ে অবহিত করেন। 

    কারা প্রথম ড্রোন দেখতে পায়

    প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন এসপিজি-র আধিকারিকেরাই। তাঁরাই প্রথম ড্রোনটি লক্ষ্য করেন। রহস্যজনক গতিবিধি নজরে আসতেই সঙ্গে সঙ্গে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। রহস্যজনক ওই ড্রোনটিকে ট্র্যাক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ভোর ৫টা নাগাদ রাজধানীতে ৭ নম্বর লোক কল্যাণ মার্গের বাসভবনের মাথায় ড্রোনটিকে উড়তে দেখা যায়।

    প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ‘নো ফ্লাই জোন’-এর মধ্যে পড়ে। অর্থাৎ, নিরাপত্তার কারণে ওই বাসভবনের উপর দিয়ে কোনও বিমান কিংবা ড্রোন উড়ে যেতে পারে না। তার পরও কী ভাবে ড্রোনটি উড়ল, তা নিয়ে সংশয় থাকছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তায় কোনওরকম গাফিলতি দেখা গিয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  কোথা থেকে এই ড্রোন উড়ে এল, সেই লোকেশন খুঁজে বরে করার চেষ্টা চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য হাতে আসেনি তদন্তকারীদের।

    আরও পড়ুন: দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগ! ওমপ্রকাশ মিশ্রর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ রাজ্যপালের

    রহস্যময় ড্রোন সম্পর্কে খোঁজখবর শুরু

    হালফিলে ড্রোন বিষয়টি নিরাপত্তার দিক থেকে খুবই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। গোটা পশ্চিম এশিয়া জুড়ে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ আবার তাদের দমনে ড্রোন ব্যবহার হচ্ছে। মাটি থেকে অনেক উপরে থাকলে অনেক সময়েই ড্রোন চিহ্নিত করা যায় না।  ঘটনার তদন্তে নেমে দিল্লি পুলিশ ওই রহস্যময় ড্রোন সম্পর্কে খোঁজখবর শুরু করে। যোগাযোগ করা হয় এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-র সঙ্গেও। কিন্তু এমন কোনও ড্রোনের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এই প্রসঙ্গে দিল্লি পুলিশের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, “আমাদের কাছে খবর এসেছে যে, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের কাছে একটি শনাক্ত করতে না পারা উড়ন্ত জিনিস দেখা গিয়েছে। আমরা সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে এমন কোনও জিনিস পাইনি। এটিসির সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের নজরেও এমন কিছু আসেনি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share