Tag: ECI

ECI

  • EVM: সন্দেহের বিরুদ্ধে বারবার লড়াই করে জিতেছে ইভিএম, ভোটের মাঝে জানুন সেই ইতিহাস

    EVM: সন্দেহের বিরুদ্ধে বারবার লড়াই করে জিতেছে ইভিএম, ভোটের মাঝে জানুন সেই ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটে হারলেই ইভিএমকে (EVM) তোপ দাগেন বিরোধীরা। তাঁরা নিজেদের ব্যর্থতার দায় চাপান ইভিএমের ওপরে। বর্তমানে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। এ সময় আবার একবার খবরের শিরোনামে এসেছে ইভিএম। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট ইভিএমের স্বচ্ছতায় সিলমোহর দিয়েছে। ইভিএমের ওপর হওয়া যাবতীয় সন্দেহকে মোকাবিলা করার জন্য বেঁচে নেই আজ সেই মানুষটি, যিনি ইভিএমের নকশা করেছিলেন। তিনি এস রঙ্গরাজন।

    এস রঙ্গরাজনের ৮৯তম জন্মদিন আজ 

    এস রঙ্গরাজন তামিলনাড়ুতে প্রসিদ্ধ ছিলেন ‘লেখক সুজাতা’ নামে। তিনি ছিলেন প্রসিদ্ধ তামিল লেখকদের মধ্যে অন্যতম। যিনি থ্রিলার, বিজ্ঞান কল্পকাহিনী, নাটক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি- এই সমস্ত বিষয় নিয়ে লেখা লিখতেন। তাঁর অসংখ্য চিত্রনাট্য আজও সমান জনপ্রিয়। আজ ইভিএম নির্মাতা এস রঙ্গরাজনের ৮৯তম জন্মদিন। দুর্ভাগ্যক্রমে ২০০৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি এই মানুষটি পরলোকগমন করেন।

    ইভিএম তৈরির ভাবনা

    প্রসঙ্গত, রঙ্গরাজন ছিলেন ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের একজন ইঞ্জিনিয়ার। সেখানে তিনি যুক্ত ছিলেন নানা ধরনের মেশিন ডিজাইনের সঙ্গে। ১৯৮৯ সালে ইভিএম (EVM) এর পরীক্ষামূলক ব্যবহার করেন তিনি। তার পরবর্তীকালে ২০০৪ সালে প্রায় ১০ লক্ষ ইভিএমে মেশিনে ভোট হয়। ১৯৭৭ সালে এস এল শাকধর যিনি ছিলেন তৎকালীন ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার, তিনি একবার হায়দরাবাদ সফর করেন। এই সময় তিনি ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডকে তৈরি করতে বলেন এমন একটি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস, যা পরবর্তীকালে নির্বাচন পরিচালনার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। ১৯৭৭ সালে দেশের তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এমন অনুরোধ খুঁজে পাওয়া যায় অনিল মাহেশ্বরী এবং বিপুল মাহেশ্বরীর লেখা বই ‘India’s Experiment With Democracy: The Life of a Nation Through Its Elections’-তে।

    নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে প্রথমবার ইভিএম নিয়ে আলোচনা

    ১৯৮০ সালের অগাস্ট মাসে রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের একটি বৈঠকে ভারতের নির্বাচন কমিশন (EVM) ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের মাধ্যমে নির্বাচন পরিচালনার কার্যকারিতা তুলে ধরে। ঠিক এই সময়ের মধ্যে ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, একটি মাইক্রোকম্পিউটার ভিত্তিক ভোটিং মেশিন তৈরি করে, যা কোম্পানির বিভিন্ন ইউনিয়নের নির্বাচনের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। একথা উল্লেখ রয়েছে অনিল মাহেশর এবং বিপুল মাহেশ্বরীর লেখা বই ‘The Power of the Ballot: Travail and Triumph in the Elections’-তে। ১৯৮১ সালের ২৯ জুলাই ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড ইভিএম তৈরির জন্য ভারতের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এর পাশাপাশি ভারত ইলেকট্রনিক লিমিটেড সে সময়ে বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গেও এ নিয়ে একপ্রস্থ বৈঠক করে।

    ভিভিপ্যাট কবে এল?

    পরবর্তীকালে ইভিএমের (EVM) ভোটে কারচুপি হচ্ছে বলে সরব হয় বেশ কিছু বিরোধী দল। ইভিএমের ওপর যখন সন্দেহ শুরু হয় তখন চালু করা হয় ভোটার ভেরিফাইড পেপার অডিট ট্রেল, যাকে সংক্ষেপে বলা হয় ভিভিপ্যাট। আমরা ভোট দিতে গেলেই বুঝতে পারি যে ইভিএম মেশিনের সঙ্গে ভিভিপ্যাট জোড়া থাকে। ভোট দেওয়ার সঙ্গেই নিজেদের ভোট যাকে দেওয়া হয়, তার প্রমাণ পত্র হিসেবে একটি স্লিপ প্রিন্ট হয়ে যায়। এই স্লিপটি ৭ সেকেন্ডের জন্য দেখা যায়। তবে তা ভোটারদের কাছে আসে না। ভিভিপ্যাটে থেকে যায়। যাঁরা গণনা কেন্দ্রে থাকেন, তাঁরা ভোট যাচাই করতে এই স্লিপগুলিকে ব্যবহার করেন।

    ২০১০ সালে এসে ভিভিপ্যাটের ধারণা

    প্রসঙ্গত, নির্বাচন প্রক্রিয়াতে আরও স্বচ্ছতা আনতেই ২০১০ সালে ভিভিপ্যাট ধারণাটি প্রস্তাব করা হয়েছিল। অবশেষে নির্বাচন কমিশন এই সংক্রান্ত প্রস্তাব তাদের প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে পাঠায়। শেষমেশ তা সংযুক্ত করা হয় ইভিএমের সঙ্গে। ২০১৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় বেশ কিছু এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে ভিভিপ্যাট চালানো হয়। ২০১৯ সালে দেশের সপ্তদশ লোকসভার নির্বাচনে সমস্ত ইভিএম (EVM) মেশিনের সঙ্গে ভিপিপ্যাট সংযুক্ত ছিল।

    প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এসওয়াই কুরেশি কী বলছেন?

    প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এসওয়াই কুরেশি তাঁর লেখা ‘India’s Experiment With Democracy: The Life of a Nation Through Its Elections’ নামের বইতে লিখছেন, “ভিভিপ্যাট মেশিনগুলি ইভিএম এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল সন্দেহ দূর করার জন্য। এছাড়া, ভোটাররা তাঁদের ভোট সঠিকভাবে দিতে পারছেন কিনা তার প্রমাণপত্র হিসেবে রাখা ছিল ভিভিপ্যাট। বেশ কিছু উপনির্বাচনে ভিভিপ্যাটকে ত্রুটিপূর্ণ পাওয়া গিয়েছে কিন্তু ইভিএম কে কখনও নয়।” কুরেশি তাঁর বইতে আরও লিখেছেন যে যতবারই কোনও রাজনৈতিক দল নির্বাচনে হেরেছে, ততবারই মেশিনকে দোষারোপ করেছে তারা। তবে তাদের কেউই প্রমাণ করতে পারেনি তাদের নিজেদের দাবি।

    এস রঙ্গরাজন কী বলতেন নিজের সৃষ্টি সম্পর্কে?

    ইভিএমের নকশাকারী এস রঙ্গরাজন তাঁর সৃষ্টিকে রক্ষা করতে কলম ধরেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, “ইভিএম (EVM) এমন একটা আবিষ্কার যা তাঁকে তার লেখার মতোই গর্বিত করেছে।” তবুও রঙ্গরাজনের মৃত্যুর এক বছর পরে ইভিএম ফের খবরে শিরোনামে আসে। যখন প্রাক্তন জাতীয় নির্বাচন কমিশনার নবীন চাওলা তার বই ‘এভরি ভোট কাউন্টস দ্য স্টোরি অব ইন্ডিয়া ইলেকশন’- এ নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে লেখেন, “ঝড় সমুদ্রে ইভিএম ক্রমশই বিধ্বস্ত হতে চলেছে।”  প্রসঙ্গত, হরিপ্রসাদ নামের একজন ইঞ্জিনিয়ার, কয়েকজন আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানীর সহযোগিতায় দাবি করেছিলেন যে ইভিএমকে হ্যাক করা যায়। তবে হরিপ্রসাদ কোথা থেকে ইভিএম পেয়েছিলেন, সে কথা তিনি বলতে পারেননি। পরবর্তীকালে তাঁকে মুম্বইয়ের কাস্টম হাউস থেকে ইভিএম চুরির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

    ২৪ দেশে ইভিএমে ভোট হয় আজও

    আজও সারা পৃথিবীব্যাপী প্রায় ২৪ দেশে ইভিএমে ভোটিং ব্যবস্থা চালু রয়েছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশন ইভিএমে (EVM) যাঁরা সন্দেহ করেন তাদের উদ্দেশে নিজেদের ওয়েবসাইটে লিখেছে, “স্বঘোষিত কিছু প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এবং কিছু সমাজ মাধ্যমের ব্যক্তি এটা উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হন যে ইভিএমকে কখনই কম্পিউটারের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। কম্পিউটার চলে একটি অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে। ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট গুলি চলে একটি বিশেষ প্রোগ্রামের মাধ্যমে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ECI: তৃতীয় দফায় আরও কড়া কমিশন, তাপপ্রবাহ নিয়ে জারি গাইডলাইন

    ECI: তৃতীয় দফায় আরও কড়া কমিশন, তাপপ্রবাহ নিয়ে জারি গাইডলাইন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয় দফায় (Phase Three Voting) আরও কড়া মনোভাব নিল নির্বাচন কমিশন (ECI)। প্রয়োজনে আরও ভোট কর্মীর সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তা ভাবনা রয়েছে কমিশনের। প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় তাপপ্রবাহ (Heatwave Warning) নিয়ে জাতীয় নির্বাচনের কমিশনের একাধিক গাইডলাইন মানা হয়নি এমনই অভিযোগ উঠেছে। এই কারণে জেলা স্তরের নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের সতর্কবার্তা দিলেন মুখ্য নির্বাচনী অধিকারিক।

    কেন ক্ষুব্ধ নির্বাচন কমিশন

    লোকসভা নির্বাচনে মাত্র দুটি পর্ব শেষ হয়েছে। শুক্রবার ১৩ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ভোট হয়েছে দ্বিতীয় দফায় ৮৮টি আসনে ভোট (Loksabha Election 2024) গ্রহণ হয়। এই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের, দার্জিলিং, রায়গঞ্জ ও বালুরঘাট কেন্দ্র ছিল। তৃতীয় দফায় তাপপ্রবাহ নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করেছে কমিশন (ECI)। এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে গরম আরও বেড়েছে। এএকথা ভালভাবেই জানে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। প্রথম দুই দফার তুলনায় অনেকটাই কম ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। সর্বসাকুল্যে  ৬৬ শতাংশের কিছু বেশি ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) শতকরা বিচারে ৮০ শতাংশের কাছাকাছি ভোট প্রয়োগ হয়ে থাকে। ৬৬ শতাংশ ভোটদানের মোটেও খুশি নয় নির্বাচন কমিশন। যে কারণে, তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণের (Phase Three Voting) আগে রাজ্যগুলির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের নির্দেশ, “প্রয়োজনে আরও পদক্ষেপ নিতে হবে । যে সকল জায়গায় তাপপ্রবাহ (Moderate Heatwave Warning) সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে সেখানে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুথগুলিতে সেক্টর অফিসারদের এই মর্মে পর্যালোচনা করতে হবে। প্রয়োজন হলে ভোটকর্মীর সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ECI)। ওআরএস, পানীয় জল মেডিকেল কিট ও বয়স্কদের জন্য আলাদা লাইনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    নেওয়া হবে এই ব্যবস্থা

    তৃতীয় দফায় (Phase Three Voting) মোট ৪০২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েন করা হবে। এই পর্বে ভোট হবে জঙ্গিপুর, মুর্শিদাবাদ (Murshidabad), মালদা (Malda) উত্তর ও দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রে। ৭ মে তৃতীয় দফায় বাংলার এই চার আসনে ভোটগ্রহণ হবে। প্রসঙ্গত বিভিন্ন জায়গায় ভোটারদের একাংশের জন্য আইসক্রিমের ব্যবস্থা করেছিল নির্বাচন কমিশন। যদিও বাংলায় আইসক্রিমের দেখা মেলেনি। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাজীব কুমার তার সহযোগী জ্ঞানেশ কুমার এবং সুখবিন্দর সিং সন্ধু মোট ২৬৫ জন অবজারভারকে এই পর্বে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় (ECI) নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ECI: প্রথম দু’দফাতেই ভোট পড়েছে ৬৬ শতাংশ, কেন কম? ব্যাখ্যা কমিশনের

    ECI: প্রথম দু’দফাতেই ভোট পড়েছে ৬৬ শতাংশ, কেন কম? ব্যাখ্যা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election 2024) প্রথম দফায় ১৯ এপ্রিল এবং দ্বিতীয় দফায় ২৬শে এপ্রিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভোট হয়েছিল। কত শতাংশ নির্বাচক ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন সে সংক্রান্ত তথ্য মঙ্গলবার প্রকাশ করল ভারতের নির্বাচন কমিশন (ECI)। কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৬৬ শতাংশ নির্বাচক ভোটদান করেছেন।

    (ECI) কমিশনের রিপোর্ট

    কমিশনের (ECI) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রথম পর্বে ১৯ এপ্রিল ৬৬.১৪ শতাংশ নির্বাচক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ২৬শে এপ্রিল দ্বিতীয় পর্বে ৬৬.৭১ শতাংশ নির্বাচক ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তালিকায় দেখা যাচ্ছে প্রথম পর্বে ৬৬.২২ শতাংশ পুরুষ ভোটার ৬৬.০৭ শতাংশ মহিলা ভোটার এবং ৩১.৩২ শতাংশ তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬৬.৯৯ শতাংশ পুরুষ ৬৬.৪২ শতাংশ মহিলা এবং ২৩.৮৬ শতাংশ তৃতীয় লিঙ্গের (Third Gender) ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। প্রসঙ্গত ৫৪৩ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে প্রথম দফায় ১০২ টি এবং দ্বিতীয় দফায় ৮৮ টি কেন্দ্রে নির্বাচন হয়। এরপর ৭, ১৩, ২৫ মে ও ১ জুন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নির্বাচন হবে এবং ৪ জুন নির্বাচনের ফল প্রকাশ হবে।

    আরও খবর: তৃতীয় দফায় কী প্রচার করবেন, কৌশল বাতলে এনডিএ প্রার্থীদের চিঠি মোদির

    (ECI) কমিশন কী বলছে

    মনে করা হচ্ছে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তজুড়ে তীব্র দাবদাহের কারণে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং ইলেকশন কমিশন (ECI) যতটা আশা করেছিল তার থেকে অনেকটাই কম ভোট পড়েছে এবারে নির্বাচনের প্রথম দুই দফায়। কমিশন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের প্রচারে ভোটারদের ভোটদানের উৎসাহিত করার চেষ্টা করেছে। বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে ঠান্ডা পানীয় ও আইসক্রিম খাওয়ানো হচ্ছে। তা সত্ত্বেও প্রথম দুই দফায় ২০১৯ এর লোকসভায় তুলনায় অনেকটাই কম ভোট পড়েছে।

    তিনবার টানা ক্ষমতায় আসতে পারবে বিজেপি?

    এবার ক্ষমতায় এলে হ্যাটট্রিক করবে মোদি সরকার। অকংগ্রেসি দল হিসেবে তিনবার টানা ক্ষমতায় আসা মোদি সরকারের জন্য রেকর্ড হবে। কিন্তু কম ভোট দান বিজেপিকেও চিন্তায় ফেলেছে। তবে চিন্তায় রয়েছে বিরোধীরাও। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত বিজেপি জিতবে তাই ভোট নষ্ট করে লাভ নেই একথা ভেবে বিরোধী দলের ভোটাররা এগিয়ে আসছেন না। এটা হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কম ভোটদানে বিরোধীদের বাড়তি সুবিধা হবে এমনটা মনে করা ঠিক হবে না বলেই মনে করছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক কেন্দ্রীয় নেতার মতে, “এখন অবধি যা ট্রেন্ড তাতে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী রয়েছে দলের উচ্চ নেতৃতে। কম ভোট হচ্ছে এর মানে এটাও হতে পারে যে যারা বিরোধীদের ভোট দিতে চাইছে তাঁরা ভোটদান থেকে বিরত থাকছে। গরমও একটা কারণ হতে পারে। আমাদের দলের কর্মীরা ভোটদানের উদ্বুদ্ধ করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। আমাদের ভোটাররা ভোট দিতে আসছেন এটুকু বলতে পারি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ঝাঁঝাঁ রোদ! ভোট দেবেন কী ভাবে? বৈঠক নির্বাচন কমিশনের

    Lok Sabha Election 2024: ঝাঁঝাঁ রোদ! ভোট দেবেন কী ভাবে? বৈঠক নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ জুড়ে চলছে তাপপ্রবাহ। এর মধ্যেই চলছে লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election 2024)। প্রথম দফা ভোট মিটলেও এখনও বাকি ছয় দফা। এর মাঝেই আবহাওয়া দফতরের (IMD) তরফে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে আগামী দিনগুলিতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্বাভাবিকের থেকে বেশি হবে তাপমাত্রা। এই অসহনীয় গরমে কীভাবে ভোট দেবেন তা ভেবেই নাজেহাল বাসিন্দারা। ব্যবস্থা করছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। 

    বৈঠকে কমিশন

    গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভোট আয়োজনের জন্য সোমবার আবহাওয়া দফতর সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসল নির্বাচন (Loksabha Election 2024) কমিশন। মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার রাজীব কুমারের সঙ্গে অন্য দুই নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার ও সুখবীর সিং সান্ধু এই বৈঠকটি পরিচালনা করেন। এই গরমে কীভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করে সুষ্ঠুভাবে পুরো নির্বাচনটি সম্পন্ন করা যাবে? তাপপ্রবাহ থেকে কীভাবে রক্ষা করা যাবে ভোটারদের? এর উত্তর খুঁজতে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের পাশাপাশি হাজির ছিলেন ভারতীয় আবহাওয়া দফতর, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ, স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের আধিকারিকরা।

    কী বলছে আবহাওয়া দফতর

    এপ্রসঙ্গে ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের ডিজি মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেন, “আবহাওয়া দফতরের তরফে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ঋতু অনুযায়ী পূর্বাভাস দেওয়ার পাশাপাশি আমরা মাসিক, সাপ্তাহিক ও প্রতিদিনের পূর্বাভাস দিচ্ছি এবং তাদের তাপপ্রবাহ এবং আর্দ্রতা সম্পর্কেও পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন দফায় যেখানে যেখান ভোটগ্রহণ হবে সেই এলাকাগুলি সম্পর্কেও কমিশনকে তথ্য ও পূর্বাভাস পৌঁছে দিচ্ছি আমরা।” উল্লেখ্য, গত ১১ এপ্রিল তাপপ্রবাহের এই মরশুমে নির্বাচন নিয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত তা নিয়ে একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাতে কীভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যাবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছিল। বৈঠকে লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election 2024) সময় তাপপ্রবাহের কারণে ঝুঁকি কমানোর ব্যবস্থা নিয়ে আলোচন হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: দ্বিতীয় দফার আগে নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের তথ্য প্রকাশ করল কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: দ্বিতীয় দফার আগে নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের তথ্য প্রকাশ করল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম দফার নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিল কমিশন (ECI)। দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন রয়েছে রাজ্যের ৩টি লোকসভা কেন্দ্রে (Lok Sabha Election 2024)-দার্জিলিং (Darjeeling), রায়গঞ্জ (Raiganj) এবং বালুরঘাট (Balurghat)। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে দ্বিতীয় দফার ৩টি লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনের আগে পর্যবেক্ষকদের নাম, ফোন নম্বর, এবং ইমেল আইডি প্রকাশ্যে আনল নির্বাচন কমিশন। ভোটাররা কোনও ক্ষেত্রে ভোট দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে সংশ্লিষ্ট ফোন নম্বর এবং ইমেল আইডিতে অভিযোগ জানাতে পারবেন। অপর দিকে স্ট্রং রুমের বাইরে শিবিরে ছাড়পত্র দিল কমিশন।

    এক্সপেন্ডিচার পর্যবেক্ষকদের তালিকা (Lok Sabha Election 2024)

    ১. দার্জিলিং

    শ্রী পুষ্কর কাঠুরিয়া (ফোন নম্বর-7318695201), (email-deodarj@gmail.com)

    শ্রী বি নিশান্থ রাও (ফোন নম্বর-7319349201), (email-chennai.ddit.inv3.3@incometax.gov.in)

    ২. রায়গঞ্জ:

    শ্রী হারশ সিদ্ধার্থ (ফোন নম্বর-9046227872), (Email Id-exobs.raiganj@gmail.com)

    ৩. বালুরঘাট

    শ্রী ভাঙ্গেপাটিল পুশকারাজ রমেশ (ফোন নম্বর-7586926462) (Email Id-expenditureobserver.blg6pc@gmail.com)

    সাধারণ পর্যবেক্ষক (Lok Sabha Election 2024)

    ১. দার্জিলিং 

    শ্রী বিক্রম সিং মালিক (ফোন-736494505), (Email-genobs04darj@gmail.com)

    ২.রায়গঞ্জ

    শ্রী শ্রীধর বাবু আড্ডাকানি (ফোন-9046227870), (Email-genobs.raiganj@gmail.com)

    ৩. বালুরঘাট

    শ্রী নর্মাদেশ্বর লাল (ফোন নম্বর-7384269466), (Email Id-generalobserver.blg6pc@gmail.com)

    পুলিশ পর্যবেক্ষক (Lok Sabha Election 2024)

    ১. দার্জিলিং

    শ্রী প্রদীপ কুমার যাদব (ফোন নম্বর-7318748206), (Email Id-policeobserver24@gmail.com)

    ২. রায়গঞ্জ

    শ্রী সুভাষ চন্দ্র ডুবেই (ফোন নম্বর-9046227871), (Email Id-udpoliceobserver@gmail.com)

    ৩. বালুরঘাট

    শ্রী হনুমন্তারায়া (ফোন নম্বর-7384013279), (Email Id-observerddnj@gmail.com)

    কোন কেন্দ্রে কত স্পর্শকাতর বুথ (Loksabha Election)?

    প্রসঙ্গত দার্জিলিংয়ে মোট পোলিং স্টেশন ১৯৯৯টি। স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৪০৮। রায়গঞ্জ মোট পোলিং স্টেশন ১৭৩০টি এবং স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৪১৮টি। বালুরঘাটে মোট পোলিং স্টেশন ১৫৬৯টি এবং স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৩০৮টি। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ৩টি লোকসভা কেন্দ্রে (Lok Sabha Election 2024) মোট পোলিং স্টেশন ৫২৯৮ টি এবং মোট স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ১১৩৪।

    আরও পড়ুনঃ ‘ইন্ডি’ জোটকে ‘ঝগড়ুটে জোট’ আখ্যা বিজেপির, কেন জানেন?

    গণনায় কারচুপি রুখতে কড়া কমিশন

    প্রথম দফা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) কোনও মায়ের কোল খালি হয়নি ঠিকই। তবে একেবারে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে, একথাও বলা যাবে না। শাসক দলের তরফে পুলিশকে কাজে লাগানো, বিরোধী দলের এজেন্টদের বসতে না দেওয়া, ভোটারদের ভয় দেখানো সহ নানা ঘটনা ঘটেছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের পর গণনায় “খেলা” হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। গণনায় কারচুপির অভিযোগ আটকাতে তার জন্য এবার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশন ঠিক করেছে, এবার থেকে স্ট্রংরুমের বাইরে যে কোনও রাজনৈতিক দল শিবির করে বসে থেকে নজর রাখতে পারবে স্ট্রং রুমের দিকে। সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে ভিতরে কোনও কারচুপি হচ্ছে কিনা, জানতে পারবে রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। প্রতিটি স্ট্রং রুমের বাইরে এক প্ল্যাটুন অর্থাৎ ২৪ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তিন শিফটে তাদের ডিউটি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে নিয়ম করে রিটার্নিং অফিসারকে স্ট্রং রুমে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হবে এবং সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট লিখে রেখে আসতে হবে সেখানে রাখা খাতায়। যদি কোনও প্রার্থী স্ট্রং রুমের অবস্থা দেখতে চান, তাঁকে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে স্ট্রং রুমের সামনে পৌঁছতে হবে। সঙ্গে জলের বোতল, মোবাইল সহ অন্যান্য কিছুই রাখা চলবে না। শুধুমাত্র সাদা কাগজ এবং পেন নিয়ে প্রার্থী যেতে পারেন স্ট্রং রুমের সামনে। সেখানে রাখা খাতায় তাঁর নিজের নাম, ফোন নাম্বার ঠিকানা সহ যাবতীয় তথ্য লিখতে হবে প্রার্থীকেও। ফলে গণনার আগে “ইভিএমে খেলা” আটকানো যাবে বলে মনে করছে কমিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Election 2024: বাংলায় গড় ভোটদান ৭৭.৫৭ শতাংশ, দেশে ৫৯.৭১ শতাংশ, জানাল কমিশন

    Loksabha Election 2024: বাংলায় গড় ভোটদান ৭৭.৫৭ শতাংশ, দেশে ৫৯.৭১ শতাংশ, জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্ষিপ্ত হিংসার মধ্যেই মিটল বাংলার তিন আসন সমেত দেশের ১০২ লোকসভা কেন্দ্রের (Loksabha Election 2024) ভোটপর্ব। এই পর্বে ২১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দফার ভোটে ১৬০০ জনেরও বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে জানা গিয়েছে। এই পর্বে নয়জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং একজন প্রাক্তন রাজ্যপালের ভাগ্য নির্ধারণ হতে চলেছে। আজ সকাল ৭টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। বাংলায় গড় ভোটদান ৭৭.৫৭ শতাংশ। কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুসারে ২১ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২ আসনে লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election 2024) প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ চলছে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫৯.৭১ শতাংশ।

    ১৬.৬৩ কোটিরও বেশি ভোটার ছিল প্রথম দফায়

    বাংলায় সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে, ৭৭.৫৭ শতাংশ। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রথম দফায় ভোটের হার ছিল ৬৯.৪৩ শতাংশ।
    নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুসারে প্রথম দফায় ১৬.৬৩ কোটিরও বেশি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের (Loksabha Election 2024) মাধ্যেম সরকার নির্বাচন করবেন। এর মধ্যে ৮.৪ কোটি পুরুষ এবং ৮.২৩ কোটি মহিলা ভোটার রয়েছেন। ৩৫.৬৭ লাখ ভোটার প্রথমবারের জন্য তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। যেখানে ২০ থেকে ২৩ বছর বয়সী ভোটারের সংখ্যা ৩.৫১ কোটি। এর জন্য ১ লাখ ৮৭ হাজার ভোটকেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুসারে বাংলা এবং মণিপুরের কিছু অংশে বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা ঘটেছে।

    বিহারে ভোট সর্বনিম্ন

    মণিপুরে, থামানপোকপিতে একটি ভোটকেন্দ্রের (Loksabha Election 2024) কাছে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষিপ্ত হিংসা সত্ত্বেও, ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার সময় মণিপুরে ৬৭.৪৬% ভোট পড়েছে। সমীক্ষাতে দেখা যাচ্ছে এনডিএ জোট টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরছে। অন্যদিকে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া বিজেপির বিরুদ্ধে ময়দানে সেভাবে দাগ কাটতে পারছে না মানুষের মনে। সকলের নজর এবার তামিলনাড়ুর দিকেই রয়েছে। সেখানে ৩৯ লোকসভা আসনে ভোট চলছে। বিজেপি দক্ষিণের রাজ্যে বেশ ভাল ভোটের আশা করছে। এদিন বিহারে সর্বনিম্ন ৪৬.৩২% ভোট পড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের উৎসব শুরু, প্রথম দফার ভোটগ্রহণ চলছে দেশে

    Lok Sabha Election 2024: বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের উৎসব শুরু, প্রথম দফার ভোটগ্রহণ চলছে দেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়ে গিয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের উৎসব (Lok Sabha Election 2024)। আজ, শুক্রবার ১৯ এপ্রিল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে ভোট উৎসব। এবার নির্বাচন হবে সাত দফায়। প্রথম দফার নির্বাচনই শুরু হয়ে গিয়েছে এদিন সকাল সাতটায়। লোকসভার ৫৪৩টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে সাত দফায়। প্রথম দফায় নির্বাচন হচ্ছে দেশের ১০২টি আসনে। ২১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এই কেন্দ্রগুলি।

    ভোট-আখ্যান (Lok Sabha Election 2024)

    এদিন উত্তরপূর্বের দুই রাজ্যে চলছে বিধানসভা নির্বাচনও। এই রাজ্যগুলি হল সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশ। অরুণাচল প্রদেশের চিন সীমান্ত ঘেঁষা একটি গ্রামে মাত্র একজন ভোটারের ভোট নিতে চলে গিয়েছেন পোলিং অফিসাররা। পাহাড়ের পাকদণ্ডী বেয়ে ৩৯ কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে বুথে পৌঁছেছেন তাঁরা। তৈরি হয়েছে আস্ত একটি বুথও। প্রথম দফায় ভোট করানোর দায়িত্বে রয়েছেন ১৮ লাখ নির্বাচন কর্মী। নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) বিঘ্নহীন করতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সারাদেশে ৩৬১ জন অবজারভার। তার মধ্যে ১২৭ জন জেনারেল অবজারভার, ৬৭ জন পুলিশ অবজারভার, ১৬৭ জন এক্সপেন্ডিচার অবজারভার। ৪৬২৭ ফ্লাইং স্কয়ার্ড, ২০২৮ ভিডিও সার্ভেলেন্স টিম। ১৩৭৪ ইন্টার স্টেট, ১৬২ ইন্টারন্যশনাল বর্ডার চেকিং। ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হয়েছে সকাল সাতটায়। চলবে সন্ধে ছ’টা পর্যন্ত। বুথ খোলা হয়েছে ১.৮৭ লাখ। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এদিন যাঁরা মতদান করবেন, তাঁদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮.৪ কোটি, মহিলা ৮.২৩ কোটি। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ১১ হাজার ৩৭১ জন। প্রথম ভোট দিচ্ছেন ৩৫.৬৭ লক্ষ। ২০-২৯ বছর বয়সি ভোটারের সংখ্যা ৩.৫১ কোটি। এই দফায় ১৬২৫ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে।

    কোথায় কত আসনে ভোট

    এদিন তামিলনাড়ুর ৩৯টি আসনেই ভোট হচ্ছে। নির্বাচন হচ্ছে উত্তরাখণ্ডের ৫টি, অরুণাচলের ২টি, মেঘালয়ের ২টি, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ১টি, মিজোরামের ১টি, নাগাল্যান্ডের ১টি, পুদুচেরির ১টি, সিকিমের ১টি এবং লাক্ষাদ্বীপের ১টি আসনেও। এদিনই মতদান করবেন রাজস্থানের ১২টি, উত্তরপ্রদেশের ৮টি, মধ্যপ্রদেশের ৬টি, আসাম এবং মহারাষ্ট্রের ৫টি করে, বিহারের ৪টি এবং পশ্চিমবঙ্গের ৩টি কেন্দ্রের ভোটাররাও। ভোট দিচ্ছেন ত্রিপুরা, ছত্তিশগড় এবং জম্মু-কাশ্মীরের ১টি করে কেন্দ্রের ভোটাররাও।

    আরও পড়ুুন: দিনহাটাতেই ‘বন্দি’ থাকতে হবে উদয়নকে, ফরমান কমিশনের, বিপাকে তৃণমূল!

    হিংসাদীর্ণ মণিপুরে লোকসভার আসন রয়েছে ২টি – একটি ইনার মণিপুর, অন্যটি আউটার মণিপুর। বিশেষ পরিস্থিতির কারণে আউটার মণিপুরে নির্বাচন হবে দু’দফায়। ইনার মণিপুর আসনে নির্বাচন হচ্ছে এদিনই। আউটার মণিপুরে নির্বাচন হবে ১৯ এপ্রিল ও ২৬ এপ্রিল (Lok Sabha Election 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Election 2024: প্রথম দফায় বাংলার কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে শুরু ভোটগ্রহণ

    Lok Sabha Election 2024: প্রথম দফায় বাংলার কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে শুরু ভোটগ্রহণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণতন্ত্রের উৎসব শুরু হয়ে গেল বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র ভারতবর্ষে। সাত দফার লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) আজ প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। গোটা দেশে ১০২ আসনে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণের প্রক্রিয়া। পশ্চিমবঙ্গেও ভোটগ্রহণ হবে সাত দফাতেই। আজ প্রথম দফায় (West Bengal Phase 1) পশ্চিমবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। তিনটিই উত্তরবঙ্গে। এই তিনটি আসন হল— কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক এই তিন আসনের খুঁটিনাটি। তিন আসনের জন্য ২৭৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ১২ হাজার ৩১০ জন রাজ্য পুলিশ থাকছে তিন আসনের মোট ৫ হাজার ৮১৪টি বুথের জন্য।

    কোচবিহার

    প্রথম দফায় (West Bengal Phase 1) ভোট হচ্ছে কোচবিহারে। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া উত্তরবঙ্গের কোচবিহার আসনটির অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। মাথাভাঙা, কোচবিহার উত্তর, কোচবিহার দক্ষিণ, শীতলকুচি, সিতাই, দিনহাটা এবং নাটাবাড়ি — কোচবিহার লোকসভা আসনের অন্তর্গত (Lok Sabha Election 2024)। এই আসনে মোট বৈধ ভোটারের সংখ্যা ১৯ লক্ষ ৬৬ হাজার ৮৯৩। এর মধ্যে, ১০ লক্ষ ১৪ হাজার ৮৬৪ জন পুরুষ। প্রায় ৯ লক্ষ ৫২ হাজার মহিলা। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে মোট ৩৩ জন। 

    পোলিং স্টেশন বা ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ৪৩। স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ১৯৬। মডেল বুথের সংখ্যা ২১। প্রতিটি বুথেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। যে ভোটকেন্দ্রে দুটি বুথ রয়েছে সেখানে অন্তত চারজন কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং যেখানে তিন থেকে পাঁচটি বুথ রয়েছে সেখানে আটজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা হবে। এর পাশাপাশি, সব বুথেই চলবে ওয়েব-কাস্টিং। মোট ১১২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন থাকবে কোচবিহারে। এছাড়া, আরও ৪ হাজার রাজ্য পুলিশ থাকবে। মোট ভোট-কর্মীর সংখ্যা ১২,১৮০। কোচবিহারের দিকে বিশেষ নজর রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। এই আসনে মাইক্রো অবজারভার থাকছেন ৩২৮ জন। সকাল থেকে পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখবেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক।

    কোচবিহার আসনটি সংরক্ষিত আসন (Lok Sabha Election 2024)। এই আসনে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১৪। এর মধ্যে বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। তৃণমূল কংগ্রেসের জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। ফরোয়ার্ড ব্লকের নীতীশ চন্দ্র রায় এবং কংগ্রেসের পিয়া রায় চৌধুরী। গত লোকসভা নির্বাচনে এই আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। 

    আলিপুরদুয়ার

    প্রথম দফায় (West Bengal Phase 1) ভোট হচ্ছে আলিপুরদুয়ারে। উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার আসনটির অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র (Lok Sabha Election 2024) রয়েছে। সেগুলি হল— কুমারগ্রাম, কালচিনি, আলিপুরদুয়ার, ফালাকাটা, মাদারিহাট, তুফানগঞ্জ (জেলা কোচবিহার) এবং নাগরাকাটা (জেলা জলপাইগুড়ি)। এই আসনে মোট বৈধ ভোটারের সংখ্যা ১৭ লক্ষ ৭৩ হাজার ২৫২। এর মধ্যে, ৮ লক্ষ ৮৯ হাজার ০১৯ জন পুরুষ। ৮ লক্ষ ৮৪ হাজার ১৭১ জন মহিলা। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে মোট ৬২ জন। 

    এই আসনে পোলিং স্টেশন বা ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৮৬৭। প্রতিটি বুথেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর পাশাপাশি, সব বুথেই চলবে ওয়েব-কাস্টিং। মোট ৬৩ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন থাকবে আলিপুরদুয়ারে। এছাড়া, আরও ২ হাজার ৭৫৮ জন রাজ্য পুলিশ থাকবে। আলিপুরদুয়ারে ১৮০ জন মাইক্রো অবজারভার থাকছেন। 

    আলিপুরদুয়ার আসনটি সংরক্ষিত আসন। এই আসনে বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রকাশ চিক বরাইক। আরএসপির মিলি ওরাওঁ। ২০১৯ সালে লোকসভা আসন দখল করে বিজেপি। 

    জলপাইগুড়ি

    প্রথম দফায় (West Bengal Phase 1) ভোট হচ্ছে জলপাইগুড়িতে। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি আসনটির অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি হল— ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ি, জলপাইগুড়ি, রাজগঞ্জ, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি, মাল এবং মেখলিগঞ্জ (জেলা কোচবিহার)। এই আসনে মোট বৈধ ভোটারের (Lok Sabha Election 2024) সংখ্যা ১৮ লক্ষ ৮৫ হাজার ৯৬৩। এর মধ্যে, পুরুষ ভোটার ৯ লক্ষ ৫৮ হাজার ৬১১ জন।মহিলা ভোটার ৯ লক্ষ ২৭ হাজার ৩৩৯ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ১৩ জন।

    পোলিং স্টেশন বা ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৯০৪। স্পর্শকাতর বুথে আছে ২৯৬টি। যার মধ্যেই ১৯৮টি অতিস্পর্শকাতর বুথ আছে। মহিলা পরিচালিত বুথের সংখ্যা ১৪৯টি। থিম বুথের সংখ্যা ১৩টি। ৮ হাজার ভোটকর্মী এই কেন্দ্রে থাকছেন। প্রতিটি বুথেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর পাশাপাশি, সব বুথেই চলবে ওয়েব-কাস্টিং। মোট ৭৫ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন থাকবে জলপাইগুড়িতে। জলপাইগুড়িতে ২০২ জন মাইক্রো অবজারভার থাকছেন। 

    জলপাইগুড়ি আসনটি সংরক্ষিত আসন। এই আসনে বিজেপি প্রার্থী (Lok Sabha Election 2024) জয়ন্ত রায়। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়। সিপিএমের দেবরাজ বর্মণ। ২০১৯ সালে লোকসভা আসন দখল করে বিজেপি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: ১ মার্চ থেকে প্রতিদিন বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১০০ কোটি টাকা, জানাল কমিশন

    Lok Sabha Elections 2024: ১ মার্চ থেকে প্রতিদিন বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১০০ কোটি টাকা, জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালো টাকা উদ্ধারে জোর দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Lok Sabha Elections 2024)। তার ফলও মিলল হাতে হাতে। জানা গিয়েছে, মার্চ মাস থেকে এ পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ১০০ কোটি টাকা করে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের দাবি, ১ মার্চ থেকে প্রতিদিন ১০০ কোটি টাকা করে বেআইনি নগদ বাজেয়াপ্ত করছেন কমিশনের আধিকারিকরা। কমিশন জানিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে এখনও পর্যন্ত ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে ৪ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা। জারি করা বিবৃতিতে কমিশন জানিয়েছে, দেশের ৭৫ বছরের লোকসভা নির্বাচনের ইতিহাসে এই প্রথম সর্বাধিক নগদ অর্থ বাজেয়াপ্ত করেছে কমিশন। ভোটারদের প্রভাবিত করতেই এই অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছিল বলেও খবর কমিশন সূত্রে।

    ফোর ‘এম’-এর বিরুদ্ধে লড়াই (Lok Sabha Elections 2024)

    ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। নির্বাচন হবে সাত দফায়। শেষ দফার নির্বাচন হবে ১ জুন। ফল ঘোষণা ৪ জুন। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করার সময়ই নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছিল, তাদের লড়াই ফোর ‘এম’-এর বিরুদ্ধে। এই ফোর ‘এম’ হল, ‘মানি পাওয়ার’, ‘মাসল পাওয়ার’, ‘মিসইনফর্মেশন’ এবং ‘মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট’ লঙ্ঘন। কমিশন জানিয়েছিল, এই লড়াই তাদের কাছে চ্যালেঞ্জিং। নির্বাচনে মানি পাওয়ার ব্যবহার করে যাতে কোনওভাবেই ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা না হয়, সেজন্য একাধিক কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। তার জেরেই ফি দিন বাজেয়াপ্ত হচ্ছে ১০০ কোটি করে টাকা।

    মাদক ও খয়রাতি

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় এবার মাদক ও খয়রাতি বেড়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। কমিশন এ পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করেছে ২,০৬৮.৮ কোটি টাকার মাদক। উদ্ধার হওয়া খয়রাতি দ্রব্যের মূল্য ১,১৪২.৪৯ কোটি টাকা। ৪৮৯.৩ কোটি টাকার মদও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে (Lok Sabha Elections 2024)।

    আরও পড়ুুন: বিজেপির ‘সঙ্কল্পপত্রে’ করা হয়েছে কোন কোন সঙ্কল্প, জানেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Loksabha Election 2024: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ কেন্দ্রে ভোটে বিশেষ চমক কী জানেন?

    Loksabha Election 2024: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ কেন্দ্রে ভোটে বিশেষ চমক কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সব জায়গায় ভোট দেওয়ার সময় একটি মেশিন থাকলেও রায়গঞ্জে কেন্দ্রের বুথগুলিতে (Raiganj) দুটি মেশিন দেখতে পাবেন ভোটাররা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের তুলনায় এই নির্বাচনে (Loksabha Election 2024) উত্তর দিনাজপুরে অন্য চিত্র দেখতে পাবেন সাধারণ ভোটাররা। এবার নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে রায়গঞ্জে থাকছে দুটি করে মেশিন (Ballot Unit)। কিন্তু জানেন কী দুটি মেশিন থাকার কারণ?

    ভোট কেন্দ্রে কেন দুটি মেশিন?

    নির্বাচন কমিশন (ECI) সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার উত্তর দিনাজপুরে তুলনামূলক বেশি সংখ্যক প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন। সর্বোচ্চ ১৫ জন প্রার্থী ও নোটা মিলিয়ে তৈরি হয় একটি ব্যালট ইউনিট। যার মধ্যে ১৫ জন প্রার্থীকে জায়গা করে দেওয়া সম্ভব। কিন্তু রায়গঞ্জে এবার বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে মোট ২০ জন প্রার্থী নির্বাচনে (Loksabha Election 2024) প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন। যার জন্য একটি ব্যালটে তাঁদের জায়গা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলের দুটি করে ইউনিট থাকবে রায়গঞ্জের সমস্ত বুথে। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) নির্দেশেই এই কেন্দ্রের সমস্ত বুথে দুটি ব্যালট ইউনিট থাকবে। এই ব্যালট ইউনিট থেকেই পছন্দের প্রার্থী কিংবা নোটায় (Nota) ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন ভোটাররা। এই লোকসভা কেন্দ্রে তুলনামূলক বেশি প্রার্থী থাকায় প্রথম মেশিনে ১৬ জন প্রার্থী ও অপর মেশিনে চারজন প্রার্থী এবং নোটার বোতাম থাকবে। সেই সঙ্গে থাকবে আরও একটি ভিভিপ্যাট। রাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্রের তুলনায় রায়গঞ্জের বুথে এবার অন্য চিত্র দেখা যাবে।

    আরও পড়ুনঃ ভোটের মুখে তালা পড়ল হাওড়া জুট মিলে! বিপাকে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক

    দুটি মেশিনের প্রার্থী চয়নে সুবিধা

    কমিশন সূত্রে জানা গেছে, দুটি মেশিন থাকায় ভোটারদের কোনও অসুবিধা হবে না, কারণ দুটি মেশিন পাশাপাশি থাকবে। ফলে পছন্দের প্রার্থী (Loksabha Election 2024) কিংবা নোটার বোতাম খুঁজে নিতে অসুবিধা হবে না ভোটারদের। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে আগেভাগেই ভোটারদের এবিষয়ে অবহিত করা হবে। আগেও ভারতের নানান প্রান্তে অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রার্থী ভোটে দাঁড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। তবে এক্ষেত্রে রেকর্ড হয়েছিল ১৯৯৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তামিলনাডুর মোদাকুরিচি কেন্দ্রে। সেবার ওই কেন্দ্র থেকে ১০৩৩ জন প্রার্থী হয়েছিলেন। তখন ইভিএমের বদলে কাগজের ব্যালট ব্যবহার করার চল ছিল। বইয়ের আকারে ব্যালট ছাপা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share