Tag: ECI

ECI

  • Lok Sabha Election 2024: তৃণমূল বিধায়ক লাভলীর স্বামীকে পুলিশের ডিসি পদ থেকে সরাল কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: তৃণমূল বিধায়ক লাভলীর স্বামীকে পুলিশের ডিসি পদ থেকে সরাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন প্রক্রিয়া (Lok Sabha Election 2024) থেকে সরিয়ে দেওয়া হল কলকাতা পুলিশের ডিসি দক্ষিণ-পশ্চিম সৌম্য রায়কে। সৌম্য রায় হলেন সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক লাভলী মৈত্রর স্বামী। প্রসঙ্গত, এটাই প্রথমবার নয় ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে  লাভলী মৈত্র যখন প্রার্থী হন তখনও সৌম্য রায়কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন তাঁকে পদ থেকে সরানোর কথা জানিয়েছে।

    কী লেখা রয়েছে কমিশনের চিঠিতে? 

    নির্বাচন কমিশনের (Lok Sabha Election 2024) তরফ থেকে সৌম্য রায়কে সরানোর কথা জানিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, অবিলম্বে আইপিএস সৌম্যকে কলকাতা পুলিশের দক্ষিণ-পশ্চিম বিভাগের ডিসি পদ থেকে সরিয়ে কোনও অ-নির্বাচনী পদে রাখতে হবে। পাশাপাশি কমিশন আরও জানিয়েছে, তাঁকে এমন পদে বদলি করতে হবে, সেই পদের সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়ার কোনও রকমের সম্পর্ক থাকবে না।

    নতুন নাম চেয়েছে কমিশন

    সৌম্যর পদ খালি হওয়ার (Lok Sabha Election 2024) পরে তা পূরণের জন্য তিনজন আধিকারিকের নামও চেয়েছে কমিশন। রাজ্যের কাছে আগামীকাল অর্থাৎ ৩ এপ্রিল দুপুর তিনটের, তিনটি নাম চেয়েছে কমিশন। প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে আদর্শ আচরণ বিধি। আচরণ বিধি লাগু থাকার সময় নির্বাচন কমিশনের হাতে বিশেষ কিছু ক্ষমতা থাকে। এই বিশেষ ক্ষমতা বলে কমিশন সরকারি অফিসারদের বদলি করতে পারে। নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্য অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনকে সংঘটিত করা। সেই কথা মাথায় রেখে তৃণমূল নেত্রী তথা বিধায়কের স্বামীকে বদলির সিদ্ধান্ত নিল কমিশন।

    গতকাল সরানো হয় ২ অফিসারকে

    প্রসঙ্গত, পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগে এ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (CEO) দফতরের দুই অফিসারকে গতকালই সরিয়ে দেয় কমিশন। যাঁদের সরানো হয়েছে তাঁরা হলেন, অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অমিত রায়চৌধুরী এবং যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাহুল নাথ। প্রসঙ্গত ভোট ঘোষণার (Lok Sabha Election 2024) পরেই লাগু হয় আদর্শ আচরণবিধি। তখনই কমিশন সরিয়ে দিয়েছিল রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। এর পাশাপাশি সরানো হয়েছিল চার জেলাশাসককেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Election Commission: পক্ষপাতের অভিযোগে রাজ্যের ২ সিনিয়র নির্বাচনী অফিসারকে সরাল কমিশন

    Election Commission: পক্ষপাতের অভিযোগে রাজ্যের ২ সিনিয়র নির্বাচনী অফিসারকে সরাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগে এ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (CEO) দফতরের দুই অফিসারকে সরিয়ে দিল কমিশন (Election Commission)। যাঁদের সরানো হল তাঁরা হলেন, অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অমিত রায়চৌধুরী এবং যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাহুল নাথ। প্রসঙ্গত ভোট ঘোষণার (Lok Sabha Election 2024) পরেই লাগু হয় আদর্শ আচরণবিধি। তখনই কমিশন সরিয়ে দিয়েছিল রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। এর পাশাপাশি সরানো হয়েছিল চার জেলাশাসককেও।

    পক্ষপাতের অভিযোগ ছিল ২ অফিসারের বিরুদ্ধে

    কমিশন (ECI) সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুই আধিকারিকের (Election Commission) বিরুদ্ধে পক্ষপাতের একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছিল। দুজনেই ছিলেন ডাব্লুবিসিএস অফিসার। কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচন প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ এবং অবাধ রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এর পাশাপাশি ওই দুই অফিসারের পরিবর্তে অন্য নামও কমিশন চেয়েছে রাজ্যের কাছে। প্রসঙ্গত, ভোট ঘোষণার (Lok Sabha Election 2024) পরে আদর্শ আচরণবিধি লাগু হওয়া থেকেই সরকারি অফিসারদের বদলি করার বিশেষ ক্ষমতা থাকে নির্বাচন কমিশনের হাতে। সেই ক্ষমতা বলেই এই দুই আধিকারিককে (Election Commission) সরানো হল।

    আরও পড়ুন: ভোটের উত্তাপে রাজ্যের স্কুলগুলিতে এগিয়ে এল গরমের ছুটি, বাড়ল দিনও, কবে থেকে?

    ৪ জেলাশাসককে সরানো হয় আগেই

    এর আগেও নির্বাচন কমিশন সরিয়ে দেয় পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম এবং বীরভূম-এই চার জেলার জেলাশাসককে। তখন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছিল, ওই চার জেলাশাসক কেউই (Election Commission) আইএস ক্যাডারের অফিসার নন। তাঁরা ডাব্লুবিসিএস আধিকারিক। প্রসঙ্গত, যে কোনও জেলায় নির্বাচনী প্রক্রিয়ার দেখভালের সর্বোচ্চ দায়িত্ব থাকে জেলাশাসকের ওপরে। অবাধ-শান্তিপূর্ণ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন করাতে বড় ভূমিকা থাকে জেলাশাসকদের। তাই কোনও রকম যাতে অভিযোগ না ওঠে সেদিকে তাকিয়ে আইএএস ক্যাডারের চার জেলাশাসককে নিয়োগ করে কমিশন (ECI)। প্রসঙ্গত, সারা দেশের মতো পশ্চিমবঙ্গেও ভোট (Lok Sabha Election 2024) হবে সাত দফায়। ১৯ এপ্রিল থেকে ভোট শুরু হচ্ছে বাংলায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Prashant Kishor: নির্বাচন কমিশনে নথিভুক্ত হল পিকে-র দল, ৪০ আসনেই প্রার্থী দেবে বিহারে

    Prashant Kishor: নির্বাচন কমিশনে নথিভুক্ত হল পিকে-র দল, ৪০ আসনেই প্রার্থী দেবে বিহারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের দল ‘জন সূরজ পার্টি’কে নির্বাচন কমিশনে নথিভুক্ত করলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। জানা গিয়েছে, বিহারে ৪০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে পিকের দল। নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে ‘জন সূরজ পার্টি’কে আপেল প্রতীক প্রদান করা হয়েছে। আপেল সাধারণভাবে যাঁরা নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তাঁদেরই দেওয়া হয়। তবে পিকে-র দলকে কেন আপেল প্রতীক দেওয়া হল এব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। সারা দেশে নথিভুক্ত সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিরই প্রতীক সামনে এনেছে কমিশন। এই তালিকা ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে বিহারেও। যদিও তাঁর নিজের দল গঠনের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)।

    ‘জন সূরজ পার্টি’র সভাপতি

    জানা গিয়েছে, নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই ‘জন সূরজ পার্টি’র সভাপতিকে যাবতীয় প্রয়োজনীয় নথি পাঠিয়ে দিয়েছে। ‘জন সূরজ পার্টি’র সভাপতির ঠিকানা দেওয়া রয়েছে দক্ষিণেশ্বর বিল্ডিং, ১০ হেলার রোড, নয়াদিল্লি। তবে ‘জন সূরজ পার্টি’র সভাপতির নাম এখনও সামনে আসেনি। প্রসঙ্গত, বিহারের রাজনীতিতে প্রশান্ত কিশোর নীতীশ-বিরোধী বলেই পরিচিত। সম্প্রতি, নীতীশ ফিরে গিয়েছেন এনডিএ শিবিরে। সেই সময়ই নীতীশের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন পিকে। তিনি বলেন, “তিনি (নীতীশ কুমার) তাঁর জীবনের শেষ ইনিংস খেলছেন।” পিকে-র আরও দাবি, “নীতীশ কুমার আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ২০টির বেশি আসন পাবেন না, সেটা যে জোটের সঙ্গেই লড়াই করুন।” তাঁর এই ভবিষ্যদ্বাণী ভুল হবে না দাবি জানিয়ে পিকে-র বিস্ফোরক মন্তব্য, “যদিও ২০টির বেশি আসন পান, তাহলে আমি আমার কাজ ছেড়ে দেব।”  রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, নীতীশকে টেক্কা দিতেই নয়া পার্টি স্থাপন করলেন পিকে।

    পশ্চিমবঙ্গে ভোটের ফল নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী

    সম্প্রতি বাংলাতে লোকসভার ফলাফল নিয়ে পূর্বাভাস দেন পিকে। গত মার্চ মাসে হায়দরাবাদে একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোর বলেন, ‘‘বাংলায় লোকসভা ভোটের ফলাফল নিয়ে আমি এখনই কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করতে চাই না। তবে বেশিরভাগ লোক যা ভাবছে, তার বিপরীতে গিয়ে আমি এটা বলতে চাই যে বিজেপি খুব সম্ভাবত তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ে ভালো করবে। বাংলা থেকে বিজেপির ফলাফল আশ্চর্যজনক ভাবে ভালো হবে। এর জন্য প্রস্তুত থাকুন।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Election Commission: বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি কমিশনের

    Election Commission: বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি কমিশনের (Election Commission)। দেশে সাত দফায় লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই সময়ের মধ্যে সমীক্ষার ফল প্রকাশ করতে পারবে না কোনও সংস্থা। রবিবারই এ সংক্রান্ত কমিশনের বিধি নিষেধ সামনে এসেছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত ‘এক্সিট পোল’-সহ কোনও ভোট সমীক্ষাই প্রকাশ করা যাবে না। প্রসঙ্গত, ১ জুন হল সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ। ওই দিনই শেষ হবে দেশের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ-পর্ব। ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর সমীক্ষার ফল প্রকাশ করতে পারবে যে কোনও সংবাদমাধ্যম অথবা সংস্থা।

    ভোটাররা প্রভাবিত হন ‘এক্সিট পোল’-এ

    নির্বাচনে কী ফল হতে পারে, তা সমীক্ষা (Election Commission) করা হয়। এরপর এই ফলাফল দেখানো হয় সংবাদমাধ্যমে। ভোটগ্রহণের পরে হয় এক্সিট পোল বা বুথফেরত সমীক্ষা। নির্বাচন চলাকালীন এই ধরণের ফলাফল প্রকাশ হলে ভোটাররা প্রভাবিত হতে পারেন বলে মনে করেন অনেকেই। সেই মতো নির্বাচন কমিশন প্রতিবারই এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। ভোট চলাকালীন সমীক্ষার ফল প্রকাশে থাকে নিষেধাজ্ঞা। এবারেও তাই হল।  ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরুর দিন থেকে শেষের দিন পর্যন্ত ওই নির্দেশ মেনে চলতে হবে সকল সংবাদ মাধ্যমকে।

    নির্বাচন সংক্রান্ত ভুয়ো খবরেও কড়া নজর রাখছে কমিশন 

    এর পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমে নির্বাচন সংক্রান্ত ভুয়ো খবরেও কড়া নজর রাখছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। বিভিন্ন রাজ্যের সিইওদের এ সংক্রান্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলির সামাজিক মাধ্যম নজরে রাখতে হবে। নজরে থাকবে প্রার্থীদের ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টগুলিও। কমিশন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মোট ২৫টি স্পর্শকাতর ‘কী-ওয়ার্ডস’ ব্যবহার করা হচ্ছে, যা কমিশনের নজরে এসেছে। এগুলি বিভিন্ন সামাজমাধ্যম ‘স্ক্যান’ করবে। ভোটাররা প্রভাবিত হতে পারেন এমন কোনও পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Election Commission: ভোট ঘোষণার পরে বাংলায় উদ্ধার প্রায় ১৪০ কোটির সোনা-মাদক, জানাল কমিশন

    Election Commission: ভোট ঘোষণার পরে বাংলায় উদ্ধার প্রায় ১৪০ কোটির সোনা-মাদক, জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে কমিশন ১৬ মার্চ। তারপর থেকেই পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় উদ্ধার হয়েছে সোনা, মাদক, অ্যালকোহল সমেত অন্যান্য সামগ্রী। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১৪০ কোটি টাকা। এর পাশাপাশি ৭ কোটি টাকারও বেশি নগদ উদ্ধারের ঘটনাও সামনে এসেছে। শনিবারই এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।

    ভোট ঘোষণার পর থেকেই চলছে পাচার রুখতে অভিযান

    ভোট ঘোষণার পরে নির্বাচন কমিশন (Election Commission) ইতিমধ্যে ১২.৭ লাখ লিটার মদ উদ্ধার করেছে। যার বর্তমান কালের বাজার মূল্য হল ৩৩.৮৬ কোটি টাকা। এর পাশাপাশি কমিশন উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে সাড়ে ৩ কেজিরও বেশি মাদক যার বর্তমান বাজার মূল্য ১৮.২৮ কোটি টাকা। এছাড়াও ২৭.৩২ কোটি টাকার সোনা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে কমিশন। নির্বাচন কমিশন আরও জানিয়েছে, ভোটের আগে অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে ৩৬ কোটি টাকার। প্রসঙ্গত, ভারতবর্ষে যে কোনও ভোটের অন্যতম কালো দিক হিসেবে সামনে আসে টাকা বিলি। এর পাশাপাশি ভোটের সময় ভোটারদেরকে বিনামূল্যে মদ সরবরাহ করে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে রাজনৈতিক দলগুলি। এমন অভিযোগও সামনে আসে। এবারে আগে থেকেই সে নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।

    অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত ‘সেনসিটিভ’ পশ্চিমবঙ্গের ৬ লোকসভা

    নির্বাচন কমিশন (Election Commission) ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ছটি লোকসভা কেন্দ্রকে অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত ‘সেনসিটিভ’ বলে ঘোষণা করেছে। তার মানে এই সমস্ত লোকসভাগুলিতে বেআইনি অর্থের কারবার খুব বেশি হয়। সাধারণভাবে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে বেআইনি অর্থের কারবার, গরু পাচার, মাদক পাচার, সোনা পাচারের অভিযোগ সারা বছর ধরেই আসে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় স্থানীয় শাসক দলের মদতে এই কারবার চালায় অপরাধীরা। ভোটের আগে এগুলিকে একেবারে বন্ধ করতে উদ্যোগী হয়েছে কমিশন। শুক্রবার কলকাতা পুলিশ নাকা চেকিং চালায় জোড়া বাগান সংলগ্ন অঞ্চলে। কলকাতার উত্তর দিকে অবস্থিত এই অঞ্চলে ১৫ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত (Election Commission) করতে সক্ষম হয় পুলিশ। যার আনুমানিক মূল্য ৮২ লাখ টাকা। এই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতারও করেছে কলকাতা পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে এই সোনা পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Election Commission: ভোট প্রচারে বিশ্বকাপের ছবি! ইউসুফের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ কমিশনের

    Election Commission: ভোট প্রচারে বিশ্বকাপের ছবি! ইউসুফের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ের ছবি ব্যবহার। আর তাতেই বিতর্কে জড়ালেন বহরমপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ( Election Commission) কাছে প্রার্থীর বিরুদ্ধে নালিশ জানায় বিরোধীরা। এবার সেই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপও নিতে দেখা গেল কমিশনকে। বিশ্বকাপের ছবি ভোটের প্রচারে ব্যবহার করা যাবে না, এ কথা সাফ জানিয়েছে কমিশন।

    সচিন তেন্ডুলকরের ছবি ব্যবহারেরও অভিযোগ

    উল্লেখ্য, অধীর-গড় বলেই পরিচিত বহরমপুর। সেখানে তৃণমূলের বাজি ভারতীয় ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। অন্যদিকে বিজেপিও নামিয়েছে জবরদস্ত প্রার্থী ডাক্তার নির্মলকুমার সাহাকে। বেশ কয়েকটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, বিজেপি ৩১ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জিততে চলেছে ওই কেন্দ্র। অন্যদিকে ৩১ শতাংশ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকবে তৃণমূল। বহরমপুরের রবিনহুড অধীরের তৃতীয় স্থানে নেমে আসার প্রবল সম্ভাবনা। এই আবহে বহরমপুরে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সব দলই। সম্প্রতি, ইউসুফের নির্বাচনী প্রচারের একটি ফ্লেক্সে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ের বিভিন্ন মুহূর্ত তুলে ধরা হয়। বিশ্বকাপ ( Election Commission) হাতে ইউসুফের ছবি দেখা যায়, সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে ইউসুফের ছবিও দেখা যায়।

    ব্যক্তিগত স্বার্থ পূরণের উদ্দেশেই বিশ্বকাপের ছবি ব্যবহার!

    আর এই ফ্লেক্সকে নিয়েই তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল বিরোধীরা। অভিযোগ জানানো হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের কাছে। বলা হয়, ব্যক্তিগত স্বার্থ পূরণের উদ্দেশেই বিশ্বকাপের ছবি ব্যবহার করছেন ইউসুফ পাঠান। সঙ্গে এটাও বলা হয়েছিল, ভারতরত্ন সচিন তেন্ডুলকরের নাম ও ছবি ব্যবহার করে সাধারণ ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই অভিযোগ পাওয়া মাত্রই সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপও করেছিল কমিশন ( Election Commission)। জেলাশাসকের থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছিল। আর এবার কমিশনের থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, কোনওভাবেই বিশ্বকাপের ওই ধরনের ছবি আর ব্যবহার করা যাবে না নির্বাচনী প্রচারে।

    ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে নিজের ইমেজ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন ইউসুফ!

    তবে পাল্টা বিবৃতি দিয়েছেন ইউসুফ পাঠানও। তাঁরও বক্তব্য, বিশ্বকাপের সঙ্গে তাঁর ছবি রয়েছে কারণ তিনি বিশ্বকাপ জিতেছেন। তবে ওয়াকিবহাল মহল বলছে, ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে নিজের ইমেজ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন ইউসুফ। কারণ বিশ্বকাপ জয় একার কৃতিত্ব নয়, তা দলগত প্রয়াস। ইউসুফকে এও বলতে শোনা গিয়েছে, তিনি নাকি পরিশ্রম করে এটা অর্জন করেছেন। প্রসঙ্গত নির্বাচন কমিশনে হাজার হাজার অভিযোগ জমা পড়লেও বহরমপুর কেন্দ্র নিয়ে এমন অভিযোগ প্রায় নতুনই। এমন অভিযোগ সাধারণত দেখা যায় না, এমনটাই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেদের। খেলোয়াড়দের ছবি ব্যবহার নিয়ে এইরকম অভিযোগ আগে আসেনি কমিশনের কাছে। এটা নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ বলা যায় নাকি, সেই  বিষয়ে জানার জন্য দিল্লিতে রিপোর্ট পাঠায় সিইও দফতর। তারপরেই এমন নির্দেশ দেয় কমিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Election Commission: ভোটের দিন কি সবেতন ছুটি আপনার প্রাপ্য? কী বলছে কমিশনের আইন?

    Election Commission: ভোটের দিন কি সবেতন ছুটি আপনার প্রাপ্য? কী বলছে কমিশনের আইন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এপ্রিল মাসের ১৯ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। চলতি মাসের ১৬ তারিখ লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। সারা দেশে সাত দফায় ভোট হবে দেশে। প্রতিটি দফায় পশ্চিমবঙ্গের কোনও না কোনও আসন থাকবে। ভোট শেষ হবে ১ জুন। ৪ জুন প্রকাশিত হবে লোকসভা ভোটের ফল। সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারীরা কি ছুটি পাবেন ভোটের দিনগুলিতে? কী বলছে কমিশন? কী সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য?

    কী বলছে নির্বাচন কমিশনের নিয়ম?

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেক ভোটারের নিজের কেন্দ্রের ভোটের দিন সবেতন ছুটি প্রাপ্য। ১৯৫১ সালের ‘রিপ্রেজেন্টেশন অফ দ্য পিপলস অ্যাক্ট’ অনুযায়ী এই ছুটি পেতে পারেন ভোটাররা। এই আইনের ১৩৫বি ধারায় তা উল্লেখও করা রয়েছে। সরকারি, বেসরকারি, আধা সরকারি এবং সমস্ত প্রকারের অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এই সবেতন ছুটির কথা বলা রয়েছে সেখানে। শুধু তাই নয়, কর্তৃপক্ষ ছুটি না দিলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে জরিমানাও করা যেতে পারে। লোকসভা নির্বাচন, বিধানসভা নির্বাচন সমেত সমস্ত নির্বাচনের ক্ষেত্রেই এই ছুটি পাবেন ভোটাররা। কোনও ভোটার যদি কর্মসূত্রে অন্য রাজ্যে বাস করেন, সে ক্ষেত্রেও নিজের কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার জন্য তাঁকে সবেতন ছুটি দেওয়া বাধ্যতামূলক। 

    বাংলায় ছুটি ঘোষণা

    প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের দিনগুলিতে ইতিমধ্যে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে নবান্ন। বৃহস্পতিবারই এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি সামনে আসে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে (Election Commission)। যে যে কেন্দ্রে যেদিন নির্বাচন রয়েছে সেই কেন্দ্রগুলিতে সেদিন ভোটাররা সবেতন ছুটি পাবেন। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কেবলমাত্র সরকারি দফতর নয়, বেসরকারি কর্মীদেরও ওই দিনগুলিতে ছুটি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। জানা গিয়েছে, শ্রম দফরের তরফে এ নিয়ে একটি পৃথক বিজ্ঞাপ্তি জারি করা হবে শীঘ্রই।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Election Commission: সিঙাড়া থেকে হেলিপ্যাড তৈরির খরচ, ভোট প্রচারে রেট বেঁধে দিল কমিশন

    Election Commission: সিঙাড়া থেকে হেলিপ্যাড তৈরির খরচ, ভোট প্রচারে রেট বেঁধে দিল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনকে স্বচ্ছ ও অবাধ করার ঘোষণা কমিশন (Election Commission) আগেই করেছিল। সেই মতো একের পর এক পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে কমিশনকে। এবার ভোটের খরচকে স্বচ্ছ করতে বিভিন্ন রেট বেঁধে দিতে চলেছে কমিশন। এমনটাই জানা গিয়েছে। এবিষয়ে এক কদম এগিয়ে ২৮১টি সামগ্রীর মূল্য বেঁধে দিল যোগী রাজ্যের গৌতম বুদ্ধ নগর জেলা প্রশাসন। তবে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্থানীয় দরকে মাথায় রেখে এই রেট চার্টে সামান্য অদলবদল করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।  কিন্তু, কেন এমন মূল্য বেঁধে দেওয়ার প্রয়োজন হল?

    কেন এমন সিদ্ধান্ত? 

    গৌতম বুদ্ধ নগরের এক আধিকারিকের কথায়,  “কেউ হিসাবে গরমিল দেখাতে পারবে না। ধরুন কোনও দল ১ হাজার সিঙাড়া বা মিষ্টি বিতরণ করেছে, তখন এর মূল্য এই রেট তালিকার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে।” নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেক প্রার্থীকে নির্বাচনী খরচের জন্য একটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে রাখতে হবে। প্রচারের প্রতিটি খরচ সেই অ্যাকাউন্ট থেকেই হওয়া বাঞ্ছনীয়। ২০ হাজার টাকার বেশি খরচ করলে তা চেকের মাধ্যমে করতে হবে প্রার্থীদের। এই হিসাবে দেখা যাচ্ছে ২০১৯ সালের তুলনায় ১৮তম লোকসভা নির্বাচন প্রার্থীদের ২০% খরচ বাড়তে চলেছে। কারণ গত পাঁচ বছরে সিঙাড়া থেকে থেকে স্পেশাল থালি, কফি, পোহা, পুরি-সবজি সমেত অন্যান্য সামগ্রীর দাম বেড়েছে।

    সিঙাড়া, পোহা, পুরি-সবজির রেট বেঁধে দেওয়া হল

    নির্বাচনে কমিশনের (Election Commission) একটি সূত্র জানাচ্ছে, ২০১৯ সালে যে সিঙাড়ার দাম ৮ টাকা ছিল বর্তমানে তা পৌঁছেছে ১০ টাকায়। এইভাবে ১০০ টাকার স্পেশাল থালি ২০২৪ সালে হয়েছে ১৬০ টাকা। পোহার দামও বেড়েছে পাঁচ টাকা। এক কাপ চায়ের দাম ধরা হচ্ছে ১৪ টাকা। পুরি-সবজির দাম ৬০ টাকা, লাঞ্চ প্যাকেট ১২০ টাকা, ভিআইপি লাঞ্চ প্যাকেট ২০০ টাকা, জলের বোতল ২০ টাকা, কোল্ড-ড্রিঙ্কস ১৫ টাকা। একইভাবে, বরফি ২০০ টাকা কিলো, বিস্কুট ১৫০ টাকা কিলো, ব্রেড পকোড়া ১০ টাকা, স্যান্ডউইচ ১৫ টাকা এবং জিলিপি ১৪০ টাকা কিলো ধার্য করেছে কমিশন। 

    ধার্য করা হয়েছে হোটেল, গাড়ি ভাড়ার খরচও

    হোটেলে রুম বুক করলে এসি সিঙ্গেল বেডের ভাড়া ধরা হয়েছে ১,৬৫০ টাকা। আর ডবল বেডে ভাড়া ধরা হয়েছে ২,১০০ টাকা, এসি ছাড়া হোটেল রুমের খরচ ধরা হচ্ছে ৯০০ টাকা। ডাবল বেডে ১,৩০০ টাকা। এর পাশাপাশি, নির্বাচনের প্রচারের (Election Commission) কাজে ব্যবহৃত যানবাহনগুলির খরচাও বেড়েছে। এই যানবাহনগুলির একদিনের ভাড়া আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা হয়েছে। জীপ গাড়ির দর ঘণ্টাপ্রতি ১০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। একইভাবে টেম্পো ৮৫০ টাকা, টাটা সুমো ১২০০ টাকা, ইনোভা ২৭০০ টাকা, স্করপিও ১৫০০ টাকা, ইন্ডিগো, সুইফ্ট এবং বোলেরো ১২০০ টাকা, টাটা সাফারি ১৬০০ টাকা এবং টাভেরা ১৭০০ টাকা। গাড়ি চালকের মজুরি ধরা হয়েছে ৫৪০ টাকা হয়েছে।

    হেলিপ্যাড তৈরির খরচ

    বড় বড় তারকা প্রচারকরা (Election Commission) সাধারণত হেলিকপ্টারে উড়ে প্রচারে আসেন। তাঁদের জন্য নির্মাণ করতে হয় হেলিপ্যাড। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও হেলপ্যাড তৈরিতে খরচ ছিল ১০,০০০ টাকা। ২০২৪ সালে এটা ধরা হয়েছে ১২ হাজার টাকা। এর পাশাপাশি প্যান্ডেল, মঞ্চ, ব্যানার ইত্যাদির খরচও বেশি ধরা হয়েছে আগের থেকে। ড্রোন ক্যামেরার খরচ ১৫ মিনিটের জন্য ১৬ হাজার টাকা রাখা হয়েছে।

    নেতাদের জন্য গাঁদা-গোলাপ ফুলের মালা

    রেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে ফুলের মালাতেও (Election Commission)। গাঁদা ফুলের মালার এক পিসের দাম ধরা হয়েছে ২৫ টাকা। ফুলের তোড়ার দাম ধার্য করা হয়েছে ১৮০ টাকা। ভিভিআইপি নেতারা মঞ্চে এলে দৈত্যকায় ফুলের মালা ব্যবহার করতে দেখা যায়। এর দাম ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত ধরা হয়েছে। গোলাপ ফুলের বুকের দাম ৪০০ টাকা নির্ধারিত হয়েছে। খরচ বেড়েছে প্রজেক্টরেরও। ৪৪ ইঞ্চি এলইডি’র ডিসপ্লে ২০২৪ সালে ৫০০০ টাকা ভাড়া হিসাবে ধরা হচ্ছে প্রতি ১২ ঘণ্টায়। ২০১৯ সালে যা ৩,০০০ টাকা ছিল।

    ঢোল-করতাল থেকে নাচগানের আসরও তালিকায়

    প্রচারে জনসংযোগ বাড়াতে বহু প্রার্থী খোল-করতাল থেকে শুরু করে ডিজে ও নাচগানের আয়োজন করেন। নির্ধারিত হয়েছে তার খরচও। জানা যাচ্ছে, ঢোল-নাগাড়ার জন্য ঘণ্টাপ্রতি ৫৫০ টাকা এবং নাচগানের আসরের জন্য ৯,৫০০ টাকা নির্ধারিত করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election: বাংলার জন্য পুলিশ পর্যবেক্ষক,  লোকসভা ভোটে নজর রাখতে বিশেষ পর্যবেক্ষক আনছে কমিশন

    Lok Sabha Election: বাংলার জন্য পুলিশ পর্যবেক্ষক,  লোকসভা ভোটে নজর রাখতে বিশেষ পর্যবেক্ষক আনছে কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election) কড়া নজর রাখতে সক্রিয় নির্বাচন কমিশন। বুধবার বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসাবে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অনিল শর্মাকে নিয়োগ করেছিল কমিশন। এবার ভোটে নজরদারির জন্য বিশেষ পর্যবেক্ষক আইএএস আধিকারিক অলোক সিনহাকে নিয়োগ করা হল। বৃহস্পতিবার কমিশন এ কথা জানিয়েছে। 

    কেন বিশেষ পর্যবেক্ষক

    সাধারণভাবে, ভোটের (Lok Sabha Election) সময় বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে কমিশন, তবে নির্বাচনের এতটা আগে থাকতে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ হয় না। তবে এবার লোকসভা ভোট শুরুর আগে থেকেই বাংলার আইন-শৃঙ্খলার উপর বাড়তি জোর দিতে চাইছে কমিশন। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের সময় বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে শর্মার। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক শর্মার রিপোর্ট করার কথা বিশেষ পর্যবেক্ষক অলোক সিনহার কাছে। 

    কেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক

    রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে অভিজ্ঞতা থাকার কারণেই অনিল শর্মাকে চণ্ডীগঢ় থেকে বাংলায় নিয়ে আসা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে ভোট পর্ব শুরু হচ্ছে রাজ্যে। লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election) ঘোষণার আগে থেকেই বঙ্গের বিভিন্ন জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, গ্রেফতারি বা টাকা উদ্ধারের মতো ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। তা বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের সুপারিশ করাই বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকের মূল কাজ। এবারের লোকসভা নির্বাচনে গোটা দেশে মোট ২১০০ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে আয়-ব্যয় পর্যবেক্ষক, পুলিশ ও সাধারণ পর্যবেক্ষক রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগ! কংগ্রেস ছাড়লেন দেশের ধনীতম মহিলা সাবিত্রী জিন্দাল

    আয়-ব্যয় পর্যবেক্ষক

    প্রথম দফায় ১৯ এপ্রিল বাংলায় তিনটি আসনে ভোট (Lok Sabha Election) রয়েছে। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে। ইতিমধ্যেই এই তিনটি জায়গার জন্য তিন জন আয়-ব্যয় পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে কমিশন। কোচবিহারের জন্য আইআরএস সঞ্জয় কুমার, জলপাইগুড়ির জন্য মদনমোহন মীণা ও আলিপুরদুয়ারের জন্য শালম কে দুর্গেশ যাদবকে আয়-ব্যয় পর্যবেক্ষক হিসেবে আনা হয়েছে। প্রসঙ্গত বিগত কয়েক বছরে বিভিন্ন ভোটে এই রাজ্যে অশান্তির ছবি স্পষ্ট ধরা পড়েছে। তাই এই বছর সরকার এই ব্যাপারে আগাম সতর্ক বলে মনে করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok sabha Election 2024: লোকসভা ভোটে খরচ হতে পারে ১.২০ লাখ কোটি টাকারও বেশি, বলছে রিপোর্ট

    Lok sabha Election 2024: লোকসভা ভোটে খরচ হতে পারে ১.২০ লাখ কোটি টাকারও বেশি, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট (Lok sabha Election 2024) মানেই শুধু খরচ আর খরচ। গত ১৬ মার্চ ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে কমিশন। এরমধ্যে প্রচার পর্বও শুরু করে দিয়েছে সব রাজনৈতিক দলগুলি। অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন করতে মোটা টাকা অর্থ ব্যয় হয় কমিশনেরও। পরিসংখ্যান বলছে, স্বাধীন ভারতে যখন প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল (১৯৫১ ডিসেম্বর) সেবার নির্বাচন কমিশনের খরচ হয় প্রায় ১০.৫ কোটি টাকা। সময় যত এগোতে থাকে প্রতি বছরই নির্বাচনের খরচের বহরও বাড়তে থাকে। একটি রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে খরচ হতে পারে ১.২০ লাখ কোটি টাকারও (Lok sabha Election 2024) বেশি।

    সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলিতে খরচ

    সেন্টার ফর মিডিয়া স্টাজিজ নামের একটি সংস্থার অনুমান, এবারের সাধারণ নির্বাচনে ১.২০ লাখ কোটি টাকারও বেশি খরচ হতে চলেছে। বিশ্বের সব থেকে বৃহত্তম গণতন্ত্রের নির্বাচন বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক ব্যয়বহুল ভোট হতে চলেছে। গবেষণায় (Lok sabha Election 2024) দেখা যাচ্ছে, প্রতি পাঁচ বছরে নির্বাচনী ব্যয় দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। ২০১৯ সালের নির্বাচনে ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে অনুমান করা হয়েছিল। তার আগে ২০১৪ সালে ১৬তম লোকসভা নির্বাচনে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছিল বলে জানা যায় কমিশনের সাইট থেকে।

    কেন এত ব্যয় বহুল নির্বাচন 

    ক্ষমতায় আসতে রাজনৈতিক দলগুলি এবং প্রার্থীরা জলের মতো অর্থ ব্যয় করা হয়। নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের ব্যয়ের বিষয়ে বিধি নিষেধ জারি করলেও রাজনৈতিক দলগুলির ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, আর এসব কারণেই ভারতে লোকসভা নির্বাচনে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খরচ হয়। হিসাব বলছে, গত কয়েক বছর ভারতের লোকসভা ভোটে যা খরচ হয়েছে তা বিশ্বের একাধিক দেশের জিডিপির সমান। লোকসভা নির্বাচনে যে কোনও দলের প্রার্থীর জন্য ৯৫ লাখ টাকা সীমা নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ একজন প্রার্থী (Lok sabha Election 2024) নির্বাচনী প্রচারে ৯৫ লাখ টাকার বেশি খরচ করতে পারবেন না।

    দলের খরচ কত?

    অ্যাসোসিয়েশন ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (ADR) এর রিপোর্ট অনুসারে, গত নির্বাচনে সাতটি জাতীয় দল ৫,৫৪৪ কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করেছিল। এর মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ৪,০৫৭ কোটি টাকা। কংগ্রেস ১,১৬৭ কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করে। হিসাব বলছে, ২০১৯ সালে, বিজেপি ১,১৪২ কোটি টাকা খরচ করেছিল। কংগ্রেস ৬২৬ কোটি টাকারও বেশি খরচ করেছে। ২০১৯ সালে, বিজেপি ৩০৩টি আসন জিতেছিল। এই হিসাব অনুযায়ী, এক একটি আসন জিততে গেরুয়া শিবির গড়ে ৪.৪ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। কংগ্রেসের ঘরে যায় মাত্র ৫২টি আসন। সেই হিসেবে একটি আসন জেতার জন্য গড়ে তাদের খরচ হয়েছে ১২ কোটি টাকার বেশি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share